আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৪৭৪


অঞ্চল তাকে জায়গীর রুপে বরাদ্দ দিলেন ৷ এ বছরের শাওয়ালের শেষ দিকে মামুন বাগদাদে
প্রত্যাবর্তন করলেন ৷

এ বছরে আবদুল্পাহ্ ইবন তাহির মিসরে অভিযান পরিচালনা করেন এবং খলীফার নির্দেশে
সেখানে জবর দখল প্রতিষ্ঠাকারী উবায়দুল্লাহ্ ইবনুল সারিয়ু৷ ইবনুল হাকামের সংগে বহু যুদ্ধের পর
মিসরকে অবর্মুক্ত ও পুনর্দখল প্রতিষ্ঠা করেন (যে সব যুদ্ধের দীর্ঘ বিবরণ পরিহার করা হল) ৷

এ বছরে মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্টদের মধ্যে রয়েছেন আবুআমৃর আশায়বানী ভাষা অভিধানবিদ,
যার নাম ছিল ইসহাক ইবন মুরাদ, মারওয়ান ইবন মুহাম্মদ আত তাতায়ী এবং ইয়াহ্ইয়া ইবন
ইসহাক প্রমুখ ৷ আল্লাহ্ সুবহানাহু সমধিক অবহিত ৷

২১ ১ হিজরীর আগমন

এ বছর আবুল জাঙ্ওয়াব, তুলক ইবন পানৃনাম, মুসান্নাফ ও মুসনাদ প্রণেত৷ আবদুর রাঘৃযাক
এবং আবদৃল্লাহ্ ইবন সালিহ আল-আজালী ইনতিকাল করেন ৷

বিখ্যাত কবি আবুল আতাহিয়া

তীর পুর্ব নাম ইসমাঈল ইবন কাসিম ইবন সুওয়ায়াদ ইবন কায়সান ৷ তিনি হিজাঘী
বংস্থশাদ্ভুত ৷ খলীফ৷ মাহ্দীর উতবা নাম্বী এক বাদীর প্রতি তার প্রেমাসক্তি ছিল ৷ একাধিক৷ বা ব সে
খলীফার কাছে তাকে চান ৷ কিন্তু খলীফ৷ তখন বাদীটি তাকে দান করেন তখন সে (বাদীটি )
তাকে প্রত্যাখ্যান করে বলে, আপনি কি আমাকে এমন এক কুৎসিত ব্যক্তির হাতে ততুলে দিচ্ছেন
যে (এককালে) কলস বিক্রি করত ? প্রেমাসক্তির কারণে তিনিত তাকে উদ্দেশ্য করে প্রায়শই প্রেম
কাব্য আবৃত্তি করতেন ৷ এভাবে তার প্রেমাসক্তির বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং তার বা বণে তিনি
খ্যা ৷তি লাভ করেন ৷ খলীফ৷ মাহদী তার এই মনােত ৷ব ৷উপলব্ধি করতেন ৷

ঘটনাক্রমে একবার মাহদী৷ ত ৷র মজলিসে সমক৷ ৷লীন কবিদের তলব করেন ৷ তখন সমবেত
কবিদের মাঝে আবুল আতাহিয়৷ এবং ভাল করি বাশৃশার ইবন বুরদ উপস্থিত হন ৷ তখন আবুল
আতাহিয়ার কন্টস্বর শুনতে পেয়ে বাশ্শার তীর পাশের সঙ্গীকে প্রশ্ন করে , এখানে কি আবুল
আতাহিয়া আছেন ? সে তখন বলে , হী৷ , এ কথা শুনে তিনি (আবুল আতাহিয়া) উতবার ব্যাপারে
তার রচিত ঐ কাসীদা আবৃত্তি করতে থাকেন যার প্রথম পঙ্ক্তি হল

শ্শ্শ্শ্শ্শ্

শুনে রাখ ! তার যা আছে আমার কত্রীরি ত৷ নেইট্টসৃ সে অভিযান করেছে তারপর তার
অভিমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে ৷

তখন বাশৃশার তার সঙ্গীকে বলেন, এরচেয়ে দুঃসাহসী করি আমি দেখিনি, এরপর আবুল
আত৷ ৷হিয়৷ তার এ কথায় উপনীত হন-

শ্শ্ শ্ষ্শ্শ্
কো

খিলাফত তার অনুগত’ হয়ে আচল হেচড়ে তার কাছে উপস্থিত হয়েছে ৷


[سَنَةُ إِحْدَى عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: أَبُو الْجَوَّابِ. وَطَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ بْنُ هَمَّامٍ الصَّنْعَانِيُّ، صَاحِبُ " الْمُصَنَّفِ "، وَ " الْمُسْنَدِ "، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ الْعِجْلِيُّ، وَأَبُو الْعَتَاهِيَةِ الشَّاعِرُ الْمُفْلِقُ الْمَشْهُورُ، وَاسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْقَاسِمِ بْنِ سُوَيْدِ بْنِ كَيْسَانَ، أَصْلُهُ مِنَ الْحِجَازِ، وَسَكَنَ بَغْدَادَ وَكَانَ يَبِيعُ الْجِرَارَ أَوَّلًا، ثُمَّ حَظِيَ عِنْدَ الْخُلَفَاءِ لَا سِيَّمَا الْمَهْدِيُّ، وَقَدْ كَانَ يَعْشَقُ جَارِيَةً لِلْمَهْدِيِّ اسْمُهُا عُتْبَةُ وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৮৪৭৫
طَلَبَهَا مِنَ الْخَلِيفَةِ غَيْرَ مَرَّةٍ، فَإِذَا سَمَحَ لَهُ بِهَا لَا تُرِيدُهُ الْجَارِيَةُ، وَتَقُولُ لِلْخَلِيفَةِ: أَتُعْطِينِي لِرَجُلٍ دَمِيمِ الْخَلْقِ كَانَ يَبِيعُ الْجِرَارَ؟ فَكَانَ يُكْثِرُ التَّغَزُّلَ فِيهَا، وَشَاعَ أَمْرُهُ وَاشْتُهِرَ بِهَا، وَكَانَ الْمَهْدِيُّ يَفْهَمُ ذَلِكَ مِنْهُ. وَقَدِ اتَّفَقَ فِي بَعْضِ الْأَحْيَانِ أَنَّ الْخَلِيفَةَ الْمَهْدِيَّ اسْتَدْعَى الشُّعَرَاءَ إِلَى مَجْلِسِهِ فَاجْتَمَعُوا، وَكَانَ فِيهِمْ أَبُو الْعَتَاهِيَةِ وَبَشَّارُ بْنُ بُرْدٍ الْأَعْمَى، فَسَمِعَ صَوْتَ أَبِي الْعَتَاهِيَةِ، فَقَالَ بَشَّارٌ لِجَلِيسِهِ: أَثَمَّ هَاهُنَا أَبُو الْعَتَاهِيَةِ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَوَجِمَ لَهَا بَشَّارٌ، ثُمَّ اسْتَنْشَدَ الْمَهْدِيُّ أَبَا الْعَتَاهِيَةِ. فَانْطَلَقَ يُنْشِدُهُ قَصِيدَتَهُ فِيهَا، الَّتِي أَوَّلُهَا: أَلَا مَا لِسَيِّدَتِي مَا لَهَا ... أَدَلَّتْ فَأَحْمِلَ إِدْلَالَاهَا فَقَالَ بَشَّارٌ لِجَلِيسِهِ: مَا رَأَيْتُ أَجْسَرَ مِنْ هَذَا. حَتَّى انْتَهَى أَبُو الْعَتَاهِيَةِ إِلَى قَوْلِهِ: أَتَتْهُ الْخِلَافَةُ مُنْقَادَةً ... إِلَيهِ تُجَرِّرُ أَذْيَالَهَا فَلَمْ تَكُ تَصْلُحُ إِلَّا لَهُ ... وَلَمْ يَكُ يَصْلُحُ إِلَّا لَهَا وَلَوْ رَامَهَا أَحَدٌ غَيْرُهُ ... لَزُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا
পৃষ্ঠা - ৮৪৭৬


ন্াব্ল
আর তা তিনি ছাড়া অন্য কারও কাব্য শোভা পায় না আর তিনিও তা’ ছাড়া অন্য কিছুর সাথে
বেমানান ৷

(«fl :ি ১ ন্;১টুৰু৷ ’ এ ১’১হ্র ’০ঠুছুব্লু £ শুাৰুণ্ :ি ট্রঙ্
তিনি ব্যতীত ৩অন্য কেউ যদি তা কামনা করত তাহলে পৃথিবী প্রচণ্ড কষ্পনে প্রকম্পিত হত ৷

# ’ ’ ণ্

াচুট্রু৷ ১এঙ্

, আর হৃদয় কন্যারা’ যদি তার অনুগত না হত তাহলে আল্লাহ তাদের আমলসমুহ কবুল
করতো না ৷
তখন বাশৃশার তার সঙ্গীকে বলেন, দেখ ৷ (তার প্রশংসায়) খলীফ৷ তার অর্সেন থেকে উড়াল
দিয়েছেন কি না ? রর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর কসম ! সে দিন তিনি ছাড়া অন্য কোন করি কোন
রখশিশ নিয়ে বের হয়নি ৷ ইবন খাল্লিকান বলেন, একবার আবুল আতা ৷৷হিয় র সাথে আবুনুওয়া সের
সাক্ষাৎ হয় আর তিনি ছিলেনত৷ার ও বাশৃশারের সমস্তরের করি তখন আবুল আত৷ ৷হিয়া আবু
নুওয়াসকে প্রশ্ন করেন, প্রতিদিন তুমি ক টি কবিতা পঙ্ক্তি রচনা কর ? তিনি বলেন, একটি বা
দু’টি ৷ এ কথা শুনে আবুল আত৷ ৷হিয়৷ বলেন, আমি কিন্তু প্রতিদিন একশ থেকে দৃইশর মতো

কবিতা পঙ্ক্তি রচনা করি ৷ তখন আবু নুওয়াস বিরুপ করে বলেন, তুমি সম্ভবত তোমার এ
জাতীয় কবিতা পঙ্ক্তি রচনা করে থাক-

াৰু
হে উতব৷ ! তোমার আমার কী হয়েছে ? হয়ে, আমি যদি তোমাকে না দেখতাম ! আমি যদি

এ জাতীয় কবিতা পঙ্ক্তি রচনা করতাম তাহলে প্রতিদিন এক থেকে দু’হাজাব পঙ্ক্তি রচনা করতে
পারতাম ৷ আমি রচনা করি এ জাতীয় পঙ্ক্তি

ৰ্টশ্ন্ধ্রশ্£
পুরুষের পরিধেয়ে বিদ্যমান এক তপ্ত হাত থেকে যার দুই প্রেমিক একজন সমকামী আর
অপরজন ব্যভিচারী ৷
এই কবিতা পঙ্ক্তি আবৃত্তি করার পর আবুনুওয়াস বলেন

আর তুমি যদি আমার ন্যায় কবিতা পঙ্ক্তি রচনা করতে ৩চাইতে তাহলে তা কোন দিন
তোমার পক্ষে সম্ভব হত না ৷ ইবন খাল্লিকা ৷ন বলেন, আবুল আতা ৷হিয়ার অন্যত তম কোমল কবিতা
পঙ্ক্তি হল :


! ৷ এ শ্


আমি তোমার প্রতি আসক্ত হয়েছি এবং আসক্তির আতিশয্যে আমার অবস্থা এমন হয়েছে যে
আমার নিকটবর্তী হলে আমার সঙ্গী আমার পরিধেয় থেকে সেই আসক্তির ঘ্রাণ অনুভব করে ৷


وَلَوْ لَمْ تُطِعْهُ بَنَاتُ الْقُلُوبِ لَمَا قَبِلَ اللُّهُ أَعْمَالَهَا فَقَالَ بَشَّارٌ لِجَلِيسِهِ: انْظُرْ وَيْحَكَ، أَطَارَ الْخَلِيفَةُ عَنْ فِرَاشِهِ أَمْ لَا؟ قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا خَرَجَ أَحَدٌ مِنَ الشُّعَرَاءِ يَوْمَئِذٍ بِجَائِزَةٍ غَيْرَهُ. وَقَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: اجْتَمَعَ أَبُو الْعَتَاهِيَةِ بِأَبِي نُوَاسٍ وَكَانَ فِي طَبَقَتِهِ وَطَبَقَةِ بَشَّارٍ، فَقَالَ أَبُو الْعَتَاهِيَةِ لِأَبِي نُوَاسٍ: كَمْ تَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ مِنَ الشِّعْرِ؟ قَالَ: بَيْتًا أَوْ بَيْتَيْنِ. فَقَالَ: لَكِنِّي أَعْمَلُ الْمِائَةَ وَالْمِائَتَيْنِ. فَقَالَ أَبُو نُوَاسٍ: لِأَنَّكَ تَعْمَلُ مِثْلَ قَوْلِكَ: يَا عُتْبَ مَا لِي وَلَكِ ... يَا لَيْتَنِي لَمْ أَرَكِ وَلَوْ أَرَدْتُ مِثْلَ هَذَا الْأَلْفَ وَالْأَلْفَيْنِ، لَقَدَرْتُ عَلَيْهِ، وَأَنَا أَعْمَلُ مِثْلَ قَوْلِي: مِنْ كَفِّ ذَاتِ حِرٍّ فِي زِيِّ ذِي ذَكَرٍ ... لَهَا مُحِبَّانِ لُوطِيٌّ وَزَنَّاءُ وَلَوْ أَرَدْتَ مِثْلَ هَذَا لَأَعْجَزَكَ الدَّهْرَ. قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: وَمِنْ لَطِيفِ شِعْرِ أَبِي الْعَتَاهِيَةِ: وَلَقَدْ صَبَوْتُ إِلَيْكِ حَتَّ ... ى صَارَ مِنْ فَرْطِ التَّصَابِي
পৃষ্ঠা - ৮৪৭৭
يَجِدُ الْجَلِيسُ إِذَا دَنَا رِيحَ التَّصَابِي فِي ثِيَابِي قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: وَأَشْعَارُهُ كَثِيرَةٌ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ ثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ ثَالِثَ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ وَقِيلَ: ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ. وَأَوْصَى أَنْ يَكْتُبَ عَلَى قَبْرِهِ بِبَغْدَادَ: إِنَّ عَيْشًا يَكُونُ آخِرَهُ الْمَوْتُ لَعَيْشٌ مُعَجَّلُ التَّنْغِيصِ