আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع ومائتين

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৮৪৫৩

ধন-সম্পদের প্রভুত ক্ষতি সাধন করে ৷ এ বছরে মামুন রাক্কা অঞ্চলের জন্য আবদুল্লাহ ইবন
তাহিরকে শাসনকর্তা নিয়োগ করেন এবং তাকে নাসর ইবন শাবছের সংগে যুদ্ধ করার আদেশ
দেন ৷ রাক্কার নায়িব ইয়াহ্ইয়া ইবন মুআয ইনতিকাল করলে সেখানকার নায়িবের পদ শুন্য হয় ৷
ইয়াহ্ইয়া মৃত্যুকালে তার পুত্র আহমদকে তার স্থলাভিষিক্ত করে গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু মামুন তাতে
অনুমোদন প্রদান করেননি ৷ আবদুল্লাহ ইবন তাহিরের আভিজাত্য এবং রডীয় বিষয়াদিতে তার
দুরদর্শীতার কারণেই মামুন তাকে রাক্কার নায়িব নিয়োগ করেন এবং নাস্র ইবন শাবছের
বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন ৷ তীর পিতা (তাহিব ইবনুল হুসায়ন, যিনি
ইতিপুর্বে রাক্কার শাসনকর্তা ছিলেন) খুরাসান হতে পুত্রের কাছে একটি পত্র লিখলেন যাতে
ন্যায়ের আদেশ, অন্যায়ের নিষেধ এবং কিতাব ও সুন্নড়াহের অনুসরণের সারগর্ভ উপদেশ ছিল ৷
ইবন জারীর এটি বিশদরুপে উল্লেখ করেছেন ৷ লোকেরা পত্রটির ব্যাপক লেনদেন করেছিল ৷
তারা সেটিকে পসন্দ করে পরস্পরে তা হাদিয়ারুপে প্রদান করেছিল ৷ এমনকি বিষয়টি খলীফা
মামুনের কাছেও উথাপিত হলে তিনি তা তার সামনে পাঠ করে গােনড়াবড়ার আদেশ দিলেন ৷
মামুনও সেটিকে অত্যন্ত পসন্দ করলেন এবং পরে সাম্রাজ্যের সমস্ত প্রদেশের শাসকদের কাছে
তার অনুলিপি পাঠাৰার আদেশ দিলেন ৷ এ বছর হাজীদেৱ নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করলেন দুই
হারামের নায়িব উবায়দুল্পাহ্ ইবনুল হাসান ৷ এ বছর মৃত্যুবরণকারী বরেণ্যদের মধ্যে রয়েছেন
আল মুবতাদা’ কিতাবের গ্রন্থকার, আবু হুযায়ফা ইসহাক ইবন বিশৃর আল কাহিলী হাজ্জাজ ইবন
মুহাম্মদ আল-আওয়ার কিতাবুল আকল রচয়িতা দাউদ ইবনুল মুহাব্বড়ার, সাবাবা ইবন সিওয়ার
(শাবাবা) , মুহাযির ইবনুল মাওরিদ (মুওয়াররাদ) , অভিধান শাস্তে আল মুছান্না-এর সংকলক
কুত্রুব ওয়াহব ইবন জারীর এবং ইমাম আহমদের শায়থ ইয়াযীদ ইবন হারুন (ব) ৷

২০ ৭ হিজরীর আগমন

এ বছর আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ ইবন উমর ইবন আলী ইবন আবু
তালিব (ব) ইয়ামানের আক্কা অঞ্চলে সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন ৷ তিনি মুহাম্মদ
( নেফসে যাকিয়্যা) এর বংশধর রাযী (রিযা)-র ইমামতের আহ্বান জানাচ্ছিলেন ৷ এর কারণ ছিল
এ সব অঞ্চলের শাসক ও রাজ কর্মচারীদের চারিত্রিক অধ্৪পতন ও জনগণের উপর তাদের
যুলুম-নিপীড়ন ৷ তিনি আত্মপ্রকাশ করলে লোকেরা তার তাতে বায়আত করল ৷ মামুন এক বিশাল
বাহিনী সহকারে দীনার ইবন আবদুল্লাহ্কে তার বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠড়ালেন ৷ তার সংগে আবদুর
রহমানের জন্য একটি নিরাপত্তা পত্রও ছিল তার আনুগত্য করার শর্তে ৷ বাহিনী প্রথমে হজ্জ
পালন করল, পরে ইয়ামান অভিমুখে রওনা করল ৷ তারা পত্রটি আবদুর রহমানের কাছে পাঠিয়ে
দিলে তিনি আনুগত্য স্বীকার করে নিলেন এবং উপস্থিত হয়ে দীনারের হাতে তার হাত রাখলেন ৷
পরে তারা তাকে নিয়ে বাগদাদের উদ্দেশ্যে সফর করলেন এবং আবদুর রহমান সেখানে কাল
পোশাক পরিধান করলেন ৷

এ বছর ইরাক ও সমগ্র খুরাসানের নায়িব তাহির ইবনুল হুসড়ায়ন ইবন মুসআব ইনতিকাল
করেন ৷ তিনি রাতে ইশার সালাত আদায় করেছিলেন ৷ সকালে তাকে তার বিছানায় কাপড়
জড়ানাে অবস্থায় মৃত পাওয়া গেল ৷ পরিবারের লোকেরা ফজরের জন্য তার বের হতে বিলম্ব হওয়া


[سَنَةُ سَبْعٍ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا خَرَجَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِبِلَادِ عَكٍّ فِي الْيَمَنِ، يَدْعُو إِلَى الرِّضَا مِنْ آلِ مُحَمَّدٍ، وَذَلِكَ أَنَّ الْعُمَّالَ بِالْيَمَنِ أَسَاءُوا السِّيرَةَ إِلَى الرَّعَايَا، فَلَمَّا ظَهَرَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ هَذَا بَايَعَهُ النَّاسُ، فَلَمَّا بَلَغَ أَمْرُهُ إِلَى الْمَأْمُونِ بَعَثَ إِلَيْهِ دِينَارَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ وَمَعَهُ كِتَابُ أَمَانٍ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذَا، إِنْ هُوَ سَمِعَ وَأَطَاعَ، فَحَضَرُوا الْمَوْسِمَ، ثُمَّ سَارُوا إِلَى الْيَمَنِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بَعَثَ دِينَارٌ بِكِتَابِ الْأَمَانِ فَقَبِلَهُ وَسَمِعَ وَأَطَاعَ، وَجَاءَ حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِ دِينَارٍ، فَسَارَ مَعَهُ إِلَى بَغْدَادَ وَلَبِسَ السَّوَادَ فِيهَا. وَفِيهَا تُوُفِّيَ طَاهِرُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ مُصْعَبٍ؛ نَائِبُ الْعِرَاقِ بِكَمَالِهَا،
পৃষ্ঠা - ৮৪৫৪
وَخُرَاسَانَ بِكَمَالِهَا، وُجِدَ فِي فِرَاشِهِ مَيِّتًا بَعْدَ مَا صَلَّى الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ وَالْتَفَّ فِي الْفِرَاشِ، فَاسْتَبْطَأَ أَهْلُهُ خُرُوجَهُ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَخُوهُ وَعَمُّهُ فَوَجَدَاهُ مَيِّتًا، فَلَمَّا بَلَغَ مَوْتُهُ الْمَأْمُونَ قَالَ: لِلْيَدَيْنِ وَلِلْفَمِ، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي قَدَّمَهُ وَأَخَّرَنَا. وَذَلِكَ أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهُ خَطَبَ يَوْمًا وَلَمْ يَدْعُ لَهُ فَوْقَ الْمِنْبَرِ، وَمَعَ هَذَا وَلَّى وَلَدَهُ عَبْدَ اللَّهِ مَكَانَهُ، مَعَ إِضَافَةِ أَرْضِ الْجَزِيرَةِ وَالشَّامِ إِلَى نِيَابَتِهِ، فَاسْتَخْلَفَ عَبْدُ اللَّهِ عَلَى خُرَاسَانَ أَخَاهُ طَلْحَةَ بْنَ طَاهِرٍ سَبْعَ سِنِينَ، ثُمَّ تُوُفِّيَ طَلْحَةُ فَاسْتَقَلَّ عَبْدُ اللَّهِ بِجَمِيعِ تِلْكَ الْبِلَادِ، وَكَانَ نَائِبُ عَبْدِ اللَّهِ عَلَى بَغْدَادَ إِسْحَاقَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ. وَقَدْ كَانَ طَاهِرُ بْنُ الْحُسَيْنِ هُوَ الَّذِي انْتَزَعَ بَغْدَادَ وَأَرْضَ الْعِرَاقِ بِكَمَالِهَا مِنْ يَدِ الْأَمِينِ بْنِ الرَّشِيدِ وَقَتَلَهُ أَيْضًا وَاسْتَوْسَقَ الْأَمْرُ لِلْمَأْمُونِ، كَمَا ذَكَرْنَا فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ، وَقَدْ دَخَلَ طَاهِرٌ هَذَا يَوْمًا عَلَى الْمَأْمُونِ فَسَأَلَهُ حَاجَةً فَقَضَاهَا لَهُ، ثُمَّ نَظَرَ إِلَيْهِ الْمَأْمُونُ وَاغْرَوْرَقَتْ عَيْنَاهُ، فَقَالَ لَهُ طَاهِرٌ: مَا يُبْكِيكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَلَمْ يُخْبِرْهُ، فَأَعْطَى طَاهِرٌ حُسَيْنًا الْخَادِمَ مِائَتَيْ أَلْفِ دِرْهَمٍ حَتَّى اسْتَعْلَمَ لَهُ مَا كَانَ خَبَرُ بُكَائِهِ، فَقَالَ لَهُ: لَا تُخْبِرْ بِهِ أَحَدًا، أَقْتُلُكَ، ذَكَرْتُ مَقْتَلَ أَخِي، وَمَا نَالَهُ مِنَ الْإِهَانَةِ عَلَى يَدَيْ
পৃষ্ঠা - ৮৪৫৫


লক্ষ্য করলেন ৷ পরে তার ভাই ও চাচা তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে মৃত দেখতে পেলেন ৷
মামুনের কাছে তার মৃত্যু সংবাদ পৌছলে তিনি বললেন, “দুই হাত ও মুখের কারণে” ৷ সমস্ত
ৎসা সে আল্লাহর যিনি তাকে আগে নিয়ে গেলেন এবং আমাদের পিছনে রেখে দিলেন ৷ এর
রহস্য এই যে, মানুষের কাছে এ মর্মে সং ×বাদ পৌছেছিল যে, একদিন তাহির ভাষণ দিলেন এবং
সে ভাষণে মিম্বরের উপরে মামুনের জন্য দু আ করলেন না ৷ এত কিছুর পরও তার পুত্র
আবদুল্লাহ্কে তার স্থলে ওয়ালী (আঞ্চলিক শাসনকর্তা) নিয়োগ করলেন এবং পিতার শাসনডুক্ত
এলাকার সংগে বর্ধিত করে আল-জা যীরা ও শ ৷৷মকেও তার শাসনভুক্ত করে দিলেন ৷ আবদুল্লাহ
তার ভাই৩ তালহ৷ ইবন তাহিরকে সাত বছর থুরাসানে তার সহকর্মী নিযুক্ত করে রাখলেন ৷ পরে
তা তালহার মৃত্যু হলে আবদুল্লাহ এককরুপে এ বিশাল অঞ্চলে শাসন পরিচ৷ ৷লন৷ করলেন ৷ বাগদাদে
তার সহকারী ছিলেন ইসহাক ইবন ইবরাহীম ৷৩ তাহির ইবনুল হুসায়নই ছিলেন যে ব্যক্তি যিনি
(মামুনের জন্য রাপদাদের মসনদ৷ ৷সীন হওয়ার পথ সুগম করেছিলেন এবং) আমীনের দখল হতে
বাগদাদ ও ইরাক ছিনিয়ে এসেছিলেন ও তাকে হত্যা করেছিলেন ৷ একদিন তাহির মামুনের
দরবারে উপস্থিত হলেন এবং তাকে কোন প্রয়োজনের কথা বললে৩ তিনি তার পুরণ করে দিলেন ৷
পরে মামুন তার দিকে তা ৷কালেন এবং তার চোখ অশ্রু টলমল হয়ে গেল ৷৩ তাহির তখন তাকে
বললেন, হে আমীরুল্ মু মিনীন আপনার ক ৷ন্নার কা ৷রণ কী ? মামুন তাকে তা অবহিত করলেন
না ৷ তখন তাহির (শাহী দরবারের) খাদিম হুসায়নকে এক লাখ দিরহাম দিয়ে আমীরুল
মু’মিনীনের কান্নার রহস্য উদ্যাটনের দায়িত্ব দিলেন ৷ এক সময় মামুন তাকে তা অবহিত করলেন
এর তা অন্য কারো কাছে প্রকাশ না করার কথা বলে তার অন্যথার ক্ষেত্রে তাকে হত্যার হুমকি
দিলেন ৷ (মামুন বলেছিলেন) তার আমার ভাইকে হত্যা করার কথা এবং তাহিরের হাতে তার
লাঞ্চুনা অপমানের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল ৷ আল্লাহর কসম আমি কােনদিন তা ভুলব না ৷
তাহির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মামুনের সামনে থেকে সরে যাওয়ার উপায় খুজতে
লাগলো ৷ তার চেষ্টা অব্যাহত রইল এবং এক সময় মামুন তাকে খুরাসানের শাসক নিয়োগ
করলেন এবং মামুন তার স০ ×গে নিজের ব্যক্তিগত খাদিমদের একজনকে পাঠিয়ে দিলেন ৷ মামুন
খাদিমকে বলে দিলেন যে, তার পক্ষ হতে সন্দেহজনক কিছু দেখতে পেলে৩ তাকে বিষ প্রয়োগ
করার ৷ এ কথা বলে তার হাতে অব্যর্থ বিষ দিয়ে দিলেন ৷ পরে যে দিন তাহির খুতবায় মামুনের
জন্য দৃ আ করলেন না তখন খাদিম তার সিরকার (বা বোনের) মধ্যে বিষ দিয়ে দিল এবং
সে রাতেই তিনি মারা গেলেন ৷ এ তাহিরকে যুল ইয়ামীনায়ন (দুই ডান হাতওয়ালা) নামে
অভিহিত করা হত ৷ তা ৷হির এক চাে ৷খের ট্যার৷ ছিলেন ৷ এ কারণে করি আমর ইবন নাকতাহ তার
সম্পর্কে বলেছেন :


“হে দুই ডান হ৷ ৷তওয়াল৷ এবং এক চােখধারী; এক চাে ৷খের ঘা ৷টতি ! তবে একটি অতিরিক্ত
ডানহাতশ্চে

দুহ ডান হাতওয়ালা’ নামের সুত্র নিয়ে মতভেদ রয়েছে ৷ কারো মতে তিনি তার বাম হাত
দিয়ে কারো ডান হাতে আঘাত করে তা ফেটে ফেলেছিলেন ৷ আর কারো কারো মতে কারণ তিনি


طَاهِرٍ، وَوَاللَّهِ لَا تَفُوتُهُ مِنِّي. فَلَمَّا تَحَقَّقَ طَاهِرٌ ذَلِكَ سَعَى فِي النُّقْلَةِ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، وَلَمْ يَزَلْ حَتَّى وَلَّاهُ خُرَاسَانَ وَأَطْلَقَ لَهُ خَادِمًا مِنْ خُدَّامِهِ، وَعَهِدَ إِلَى الْخَادِمِ إِنْ رَأَى مِنْهُ مَا يُرِيبُهُ أَنْ يَسُمَّهُ، فَلَمَّا خَطَبَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ طَاهِرٌ، وَلَمْ يَدْعُ لِلْمَأْمُونِ، سَمَّهُ الْخَادِمُ فِي كَامَخٍ، فَمَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ. وَقَدْ كَانَ طَاهِرُ بْنُ الْحُسَيْنِ هَذَا يُقَالُ لَهُ: ذُو الْيَمِينَيْنِ. وَكَانَ بِفَرْدِ عَيْنٍ، فَقَالَ فِيهِ عَمْرُو بْنُ بَانَةَ: يَا ذَا الْيَمِينَيْنِ وَعَيْنٍ وَاحِدَهْ ... نُقْصَانُ عَيْنٍ وَيَمِينٌ زَائِدَهْ وَاخْتُلِفَ فِي مَعْنَى كَوْنِهِ ذَا الْيَمِينَيْنِ، فَقِيلَ: لِأَنَّهُ ضَرَبَ رَجُلًا بِشِمَالِهِ فَقَدَّهُ نِصْفَيْنِ. وَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ لُقِّبَ بِذَلِكَ لِأَنَّهُ وَلِيَ الْعِرَاقَ وَخُرَاسَانَ. وَقَدْ كَانَ كَرِيمًا مُمَدَّحًا يُحِبُّ الشِّعْرَ وَيَجْزِي عَلَيْهِ الْجَزِيلَ. رَكِبَ يَوْمًا فِي حَرَّاقَةٍ فَقَالَ فِيهِ شَاعِرٌ:
পৃষ্ঠা - ৮৪৫৬
عَجِبْتُ لِحَرَّاقَةِ ابْنِ الْحُسَيْ ... نِ لَا غَرِقَتْ كَيْفَ لَا تَغْرَقُ وَبَحْرَانِ مِنْ فَوْقِهَا وَاحِدٌ ... وَآخَرُ مِنْ تَحْتِهَا مُطْبِقُ وَأَعْجَبُ مِنْ ذَاكَ أَعْوَادُهُا ... وَقَدْ مَسَّهَا كَيْفَ لَا تُورِقُ فَأَجَازَهُ بِثَلَاثَةِ آلَافِ دِينَارٍ، وَقَالَ: إِنْ زِدْتَنَا زِدْنَاكَ. قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: مَا أَحْسَنَ مَا قَالَهُ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي بَعْضِ الرُّؤَسَاءِ وَقَدْ رَكِبَ الْبَحْرَ: وَلَمَّا امْتَطَى الْبَحْرَ ابْتَهَلْتُ تَضَرُّعًا ... إِلَى اللَّهِ يَا مُجْرِيَ الرِّيَاحِ بِلُطْفِهِ جَعَلْتَ النَّدَى مِنْ كَفِّهِ ... مِثْلَ مَوْجِهِ فَسَلِّمْهُ وَاجْعَلْ مَوْجَهُ مِثْلَ كَفِّهِ قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ: مَاتَ طَاهِرُ بْنُ الْحُسَيْنِ هَذَا يَوْمَ السَّبْتِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سَبْعٍ وَمِائَتَيْنِ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ تِسْعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ. وَكَانَ الَّذِي سَارَ إِلَى وَلَدِهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ وَهُوَ بِأَرْضِ الرَّقَّةِ يُعَزِّيهِ فِي أَبِيهِ وَيُهَنِّيهِ بِوِلَايَةِ تِلْكَ الْبِلَادِ، الْقَاضِي يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ عَنْ أَمْرِ الْمَأْمُونِ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَلَا السِّعْرُ بِبَغْدَادَ وَالْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ، حَتَّى بَلَغَ سِعْرُ الْقَفِيزِ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৫৭


একই সংগে ইরাক ও খুরাসানের ন্যায় দুই বিশালতম প্রদেশের শাসনকর্তা ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন
দানশীল অভিজাত ; প্রশংসা প্রিয়, কবিদের পসন্দ করতেন এবং তাদের বড় বড় অংকে পুরস্কার

দিতেন ৷ একদিন তিনি যুদ্ধ জাহাজে আরোহণ করলে করি যে প্রসংগে কবিতা রচনা করে
বললেন-

দ্বু,;ও১৷ ৷ হন্াপ্রু৷ মোঃ ৷

# ’ শ্

আমি ইবনুল হুসায়নের রনত তরী দেখে বিস্ময় মোনছি তা যেন কো ন ৷দিন নিমজ্জিত না হয় ৷

কিন্তু, তা ডুবে যাচ্ছে না কেন ? তা যে ইে সমুদ্রের মাঝে (দো লায়মান), একটি সাগর (ইবনুল
হুস যেন) তার উপরে, আ র একটি তার নিচে ণ্বষ্টনকা রী ৷

আরও অধিক বিস্ময়ের ব্যাপার তরীর ভাল পালা (খুটি)গুলো, যেগুলো তিনি ছুয়ে দিয়েছেন-
তারা পত্র পল্লবিত হল না কেন ?৩ তাহির কবিকে তিন হাজার দীনা ৷রের পুরস্কার দিয়ে বললেন, তুমি
আরো ব্লেশী বললে আ ৷মি অ ৷রাে বেশী দিতাম ৷

ইবন খাল্লিক৷ ন (প্রসংগত) বলেন, কোন রঈসের সাগরাভৈরাহণ উপলক্ষে কোন কবির রচিত
এ কবিতা কতই সুন্দর-


“যখন তিনি সাগরের আরোহী হলেন আমি আল্লাহ্র কাছে কাকুতি মিনতি করে তার করুণার
প্রার্থী হলাম এ বায়ু প্রবাহকারী ! তার হাতের দান-বর্ষণকে করেছেন তার তরংগের ন্যায় ;
সুতরাং তাকে নিরাপদ সালামতে রাখুন এবং তার তরংগকে করুন তার হাতের তুলা ৷”

তাহিব ইবনুল হুসায়নের মৃত্যু হয়েছিল দুইশ সাত হিজরী সনের ২৫ জুমাদাল উখরা
শনিব৷ ৷র ৷ত তার জন্ম হয়েছিল সাতান্ন হিজরীতে ৷ রাক্কায় তার পুত্র আবদুল্লাহ্কে পিতার মৃত্যুতে
শোক-সমবেদনা প্রকাশ ও সে অঞ্চলের শাসনকতা নিযুক্তির মুবারকবাদদ দেয়ার জন্য মানুষের
হুকুমে গিয়েছিলেন কাযী ইয়াহ্ইয়া ইবন আকছাম ৷ এ বছর বাগদাদ, কুফ৷ ও বসরায় দ্রব্যমুল্য
অত্যন্ত চড়ে যায় ৷ এমনকি এক কাফীয গমের মুল্য চল্লিশ দিরহাম পর্যন্ত পৌছে যায় ৷ এ বছর
লোকদের হব্লুজ্জ নেতৃত্ব দেন মামুনের ভাই আবু আলী ইবনুর রশীদ ৷ এ বছর মৃত্যুবরণকারী
বিশিষ্টগণ হলেন বিশৃর ইবন উমর আয্-যাহরানী, জাফর ইবন আওন, আবদুস সামাদ ইবন
আবদুল ওয়ারিছ, ফ ৷বৃরাদ ইবন নুহ ৷ কা ৷সীর ইবন হিশাম, মুহাম্মদ ইবন কুনাসা ৷ বাগদাদের কাযী
এবং বিখ্যাত সীরাত ও মাগাযী বিশারদ মুহাম্মদ ইবন উমর আল ওয়াকিদী আবুন না ঘৃর হাশিম
ইবনুল কাসিম এবং বহু গ্রন্থ প্রণেত৷ হায়ছাম ইবন আদী প্রমুখ এবং আরো বিশিষ্ট ব্যক্তি যারা
ইনতিকা ৷ল করেনত তাদের নিম্নরুপ-

০০ ৷৷া



الْحِنْطَةِ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَبُو عَلِيِّ بْنُ الرَّشِيدِ، أَخُو الْمَأْمُونِ وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، وَعَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، وَقُرَادٌ أَبُو نُوحٍ، وَكَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كُنَاسَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ، قَاضِي بَغْدَادَ وَصَاحِبُ السِّيَرِ وَالْمَغَازِي، وَأَبُو النَّضْرِ هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، وَالْهَيْثَمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৫৮
عَدِيٍّ، صَاحِبُ التَّصَانِيفِ. وَيَحْيَى بْنُ زِيَادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَنْظُورٍ أَبُو زَكَرِيَّا، الْكُوفِيُّ، نَزِيلُ بَغْدَادَ مَوْلَى بَنِي سَعْدٍ، الْمَشْهُورُ بِالْفَرَّاءِ، شَيْخُ النُّحَاةِ وَاللُّغَوِيِّينَ وَالْقُرَّاءِ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي النَّحْوِ. وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ خَازِمِ بْنِ الْحُسَيْنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ {مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ} [الفاتحة: 4] بِالْأَلِفِ» . رَوَاهُ الْخَطِيبُ، قَالَ: وَكَانَ ثِقَةً إِمَامًا. وَذُكِرَ أَنَّ الْمَأْمُونَ أَمَرَهُ بِوَضْعِ كِتَابٍ فِي النَّحْوِ فَأَمْلَاهُ، وَكَتَبَهُ النَّاسُ عَنْهُ، وَأَمَرَ الْمَأْمُونُ بِكَتْبِهِ فِي الْخَزَائِنِ، وَأَنَّهُ كَانَ يُؤَدِّبُ وَلَدَيْهِ وَلِيَّيِ الْعَهْدِ، فَقَامَ يَوْمًا، فَابْتَدَرَاهُ أَيُّهُمَا يُقَدِّمُ نَعْلَيْهِ، فَتَنَازَعَا فِي ذَلِكَ ثُمَّ اصْطَلَحَا عَلَى أَنْ يُقَدِّمَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا نَعْلًا، فَأَطْلَقَ لَهُمَا أَبُوهُمَا عِشْرِينَ أَلْفِ دِينَارٍ، وَلِلْفَرَّاءِ عَشَرَةُ آلَافِ دِرْهَمٍ، وَقَالَ لَهُ: لَا أَعَزَّ مِنْكَ إِذْ يُقَدِّمُ نَعْلَيْكَ وَلِيَّا الْعَهْدِ.
পৃষ্ঠা - ৮৪৫৯
وَرُوِيَ أَنَّ بِشْرًا الْمَرِيسِيَّ أَوْ مُحَمَّدَ بْنَ الْحَسَنِ سَأَلَ الْفَرَّاءَ عَنْ رَجُلٍ سَهَا فِي سَجْدَتَيِ السَّهْوِ، فَقَالَ: لَا شَيْءَ عَلَيْهِ. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: لِأَنَّ أَصْحَابَنَا قَالُوا: الْمُصَغَّرُ لَا يُصَغَّرُ. فَقَالَ: مَا ظَنَنْتُ أَنَّ امْرَأَةً تَلِدُ مِثْلَكَ. وَالْمَشْهُورُ أَنَّ مُحَمَّدًا هُوَ الَّذِي سَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ، وَكَانَ ابْنَ خَالَةِ الْفَرَّاءِ وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الصُّولِيُّ: تُوُفِّيَ الْفَرَّاءُ سَنَةَ سَبْعٍ وَمِائَتَيْنِ. قَالَ الْخَطِيبُ: كَانَتْ وَفَاتُهُ بِبَغْدَادَ. وَقِيلَ: بِطَرِيقِ مَكَّةَ. وَقَدِ امْتَدَحُوهُ وَأَثْنَوْا عَلَيْهِ فِي مُصَنَّفَاتِهِ.