আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس ومائتين

পৃষ্ঠা - ৮৪৩৪


ম্বুা১

মোঃ
“আপনি যা চান তাই হয় ৷ আমি না চাইলেও ; আর আমি যা চাই তা আপনি না চাইলে হয়
না ৷ বান্দাদের আপনি সৃষ্টি করেছেন আপনার ইলমের ভিত্তিতে ; সে ইলমের ধারায়ই চলমান
থাকে তরুণ ও বয়স্ক ৷ তাদের কেউ দুর্ভাগা, আর তাদের কেউ ভাগ্যরান ; তাদের মাঝে আছে
নিকৃষ্ট-কুশ্ৰী ৷ তাদের মাঝে আছে উৎকৃষ্ট সুশ্রী ৷ ” একে আপনি করেছেন অনুগ্রহ আর একে
করেছেন সহায়হীন-অপদন্থ ; একে আপনি সাহায্য করেছেন; আর একে সাহায্য করেননি ৷
রাবী বলেন আমি শাফিঈকে বলতে শুনেছি, “রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ আবু

বকর (রা) ৷ তা ৷রপর উমর (রা) ৷৩ তারপর উছমান (রা) ৷ত তারপর আলী (রা) ৷ রাবী হতে আরো
বর্ণিত আছে তিনি বলেন, শাফিঈ (র) আমাকে এ কবিতা শুনিয়েছেন-

ঠুাষ্টু৷ ৷
এে খুম্বু১ ;,ৰু প্রুা; ষ্এে ৷ ষ্ওঙ্ ন্ট্রঠুষ্ট্রব্লু৷ (fl ৷ ;;ৰু মোঃ ৷ ;

মানুষ বীক৷ পথে চলেছে, অবশেষে তারা বুদ্ধিবৃত্তি দ্বারা দীনের মধ্যে নতুন বিষয়ের
বিদআংতর উদ্ভব ঘটিয়েছে, যা দিয়ে রাসুলগণ প্রেরতি হননি ৷

এমনকি তাদের অধিকাংশ আল্লাহর হককে লঘু ও হেয়প্রতিপন্ন করেছে ৷ আল্লাহর হক বর্জন
করে তারা অলীক কর্মব্যস্ততার দায় বহন করেছে ৷ ’

তাবাকাতৃশ শাফিইয়াহ কিতাবের প্রথমদিকে-ত “ তার ৷জীবনী আলোচনায়-আমি সুন্নাহ্ ও৩া
ব্যাখ্যায় ত ৷র কবিতা এবং হিকমত ও উপদেশ-প্রজ্ঞা বিষয়ে তার কবিতার একটি উল্লেখযােগৰু
পরিমাণ উদ্ধৃত করেছি ৷৩ তার ইনতিকা ৷ল হয়েছিল মিসরে দুইশ চার হিজরীর রজব মাসের শেষ
দিকে বৃহস্পতিবার অথবা মতাতরে শুক্রবার ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল চুয়ান্ন বছর ৷ তিনি ছিলেন
সুন্দর গৌর বর্ণের, দীর্ঘদেহী এবং প্রভাব বিস্তারকারী ব্যক্তি হ্সম্পন্ন ছিলেন ৷ শীআদের
বিরু দ্ধাচরণে যেহেদি দ্বারা খিজাব ব্যবহার করতেন ৷ আল্লাহ্ তড়াকে রহম করুন এবং তার
নিবাসকে মর্যাদামণ্ডিত করুন ৷

এ বছরে মৃভ্যুবৱণকারী বিশিষ্টদের তালিকায় আরো রয়েছেন ইসহাক ইবনুল ফুরাত, আশহুব
ইবন আবদুল আযীয মিসরী মালিকী, হাসান ইবন যিয়াদ আল-লু লুঈ আল-কুফী আল-হানাফী,
মুসনাদে তায়ালিসীর গ্রছকার অন্যতম হাফিজুল হাদীস আবু দাউদ সুলায়মান ইবন দাউদ
তায়ালিসী , আবু বাদৃর শুজা ইবনুল ওয়ালীদ, আবু বক্র আল-হানাফী, আবদুল কারীম , আবদুল
ওয়াহ্হাব ইবন আত৷ আল-র্খাফ্ফাফ ৷ অভিধানবিদ ইমাম নায্র ইবন শুমায়ন এবং অন্যতম
ইতিহাসবিদ বিদ্বান হিশাম ইবন মুহাম্মদ ইবনুস সাইব কালবী প্রমুখ ৷

২০৫ হিজরীর আগমন
এ বছর মামুন তাহির ইবনুল হুসায়ন ইবন মুসআবকে বাগদাদ, ইরাক ও খুরাসানসহ সন্নিহিত


[سَنَةَ خَمْسٍ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا وَلَّى الْمَأْمُونُ طَاهِرَ بْنَ الْحُسَيْنِ بْنِ مُصْعَبٍ نِيَابَةَ بَغْدَادَ وَالْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ إِلَى أَقْصَى عَمَلِ الْمَشْرِقِ، وَرَضِيَ عَنْهُ وَرَفَعَ مَنْزِلَتَهُ جِدًّا، وَذَلِكَ لِمَرَضِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ بِالسَّوَادِ. وَوَلَّى الْمَأْمُونُ مَكَانَ طَاهِرٍ عَلَى الرَّقَّةِ وَالْجَزِيرَةِ يَحْيَى بْنُ مُعَاذٍ وَقَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ إِلَى بَغْدَادَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ أَبُوهُ قَدِ اسْتَخْلَفَهُ عَلَى الرَّقَّةِ وَأَمَرَهُ بِمُقَاتَلَةِ نَصْرِ بْنِ شَبَثٍ وَوَلَّى الْمَأْمُونُ عِيسَى بْنَ يَزِيدَ الْجُلُودِيَّ مُقَاتَلَةَ الزُّطِّ. وَوَلَّى عِيسَى بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي خَالِدٍ أَذْرَبِيجَانَ وَإِرْمِينِيَةَ، وَأَمَرَهُ بِمُحَارَبَةِ بَابَكَ الْخُرَّمِيَّ وَمَاتَ نَائِبُ مِصْرَ السَّرِيُّ بْنُ الْحَكَمِ بِهَا. وَنَائِبُ السَّنَدِ دَاوُدُ بْنُ يَزِيدَ، فَوَلَّى مَكَانَهُ بِشْرَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৩৫


পুর্বাঞ্চলের৷ ন ৷য়ির নিযুক্ত করেন ৷৩ তার প্রতি ৩সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং তার মর্যাদা অনেক উন্নীত
করেন ৷ এর কারণ ছিল উযীর হাসান ইবন সাহলের সুওয়াদ (দাণ্ডে তর বিশেষ ধরনের) রোগে
আক্রান্ত হওয়া ৷ রাক্কা ও আল-জ৷ ৷যীরায় তাহিরের স্থানে মামুন ইয়াহ্ইয়া ইবন মুআযকে নিযুক্ত
করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন তাহির ইবনুল হুসায়ন এ বছর বাগদাদে আগমন করেন ৷৩ তার পিতা
তাকে রাক্কায় স্থলাভিষিক্ত করে এসেছিলেন এবং নাসৃর ইবন শাবছের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার
আদেশ দিয়েছিলেন ৷ মামুন ঈসা ইবন ইয়াযীদ আলজুলুদীকে যুত্ভীদের (জাটদের) বিরুদ্ধে
যুদ্ধের দ ৷য়িতু প্রদ৷ ৷ন করেন এবং ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু খালিদকে আয় ৷রবাইজ৷ ৷নের শাসক নিযুক্ত
করেন ৷ এ বছর মিসরের নায়িব আসসারী ইবনুল৷ হ ম্মাম সেখানে ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ সিন্ধুর নায়িব
দাউদ ইবন ইয়াযীদ ইনতিক৷ ৷ল করলে একলাখ দিরহ ম (রাজস্ব) প্রদানের শতে বিশৃর ইবন

দাউদকে সেখানকার নায়িব নিযুক্ত করা হয় ৷ এ বছর হাজীদের হহুজ্জর আমীর ছিলেন হারামায়নের
নায়িব উবায়দৃল্লাহ্ ইবনুল হুসায়ন ৷

এ বছর মৃত্যুবরণকা কারী বিশিষ্টদের তালিকায় রয়েছেন ইসহাক ইবন মানসুর সালুলী, বিশর
ইবন বক্র দামিশকী, আবু আ ৷মির আকদী, মুহাম্মদ ইবন উবা ৷য়দ তান৷ ৷ফিসী, ইয়াকুব আ ৷লহায়রামী,
আবদুর রহমান ইবন আতিয়্যা আবু সুলায়মান দারানী মতাম্ভরে আবদুর রহমান ইবন আহমদ
ইবন আতিয়্যা অথবা আবদুর রহমান ইবন আসকার প্রমুখ ৷

আবু সুলায়মান দারানী

ইনি নেক আমলকারী শীর্ষ আলিমদের অন্যতম (শ্রেষ্ঠবুযুর্গ) ; মুল নিবাস ওয়াসিতে ৷ পরে
দামিশকের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারিয়৷ নামক গ্রামে বসবাস করেন ৷ সৃফিয়ান সাওরী প্রমুখ হতে হাদীস
আহরণ করেন ৷ তীর কাছে হাদীস শ্রবণ করেছেন আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী (গ্রো ৷প্রুশ্৷ ৷) ও
একদল মনীষী ৷ হাফিয ইবন আসাকির তার সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, আলী ইবনুল
হাসান ইবন আবুর রাবী যাহিদকে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি ইব্রাহীম ইবন
আদহামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি ইবন আজলানকে কা ৷কা ইবন হাকীম সুত্রে অ ৷নাস
ইবন মালিক (বা) হতে উদ্ধৃত করতে শুনেছি ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনং : ষ্টু;

ব্যক্তি যুহরের পুর্বে চার
রাকআত সুন্নাত আদায় করবে আল্লাহ্ তাকে তার ঐ দিনের গোনাহ মাফ করে দিবেন’ ৷ আবুল
কাসিম কুশায়রী বলেছেন, আবু সুলায়মান দারানী হতে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন , আমি এক
(কিসৃসা বর্ণনাকারী পেশাদার) ওয়ায়েজের মজলিসে আসা-যাওয়া করতাম ৷ একদিন তার
কথাবার্তা আমার কলবে ক্রিয়া করল ৷ সেখান হতে উঠে আসার পর আমার কলবে৩ তার কিছুই
অবশিষ্ট রইল না ৷ আমি দ্বিতীয়বার তার কাছে গেলে তার কথা তার মজলিস থেকে উঠার
পরেও এবং বান্তায় আমার অন্তরে ক্রিয়া করে রাখল ৷ আমি তৃতীয়বার তীর কাছে গেলাম ৷
এবার তার কথা আমার বাড়িতে ফিরে আসা পর্যন্তও আমার অন্তরে ক্রিয়া বিস্তার করে রাখল ৷
আমি ৩ খন হতে তাসাওউফের তরীকার বিরুদ্ধাচরণের উপকরণসমুহ নষ্ট করে ফেললাম এবং

তরীকার একা ম্ভ অনুসারী হয়ে পেলাম ৷ আমি এ ঘটনা ইয়াহ্ইয়া ইবন ঘুআযকে রুশ্ ৷৷নালে তিনি
বললেন, চভুই কুরকী (বড় পা লম্বা ঘাড় বিশিষ্ট সারস জাতীয়) পাখি শিকার করেছে ৷ চতুং দ্বারা


دَاوُدَ، عَلَى أَنْ يَحْمِلَ إِلَيْهِ فِي كُلِّ سَنَةٍ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَسَنِ نَائِبُ الْحَرَمَيْنِ الشَّرِيفَيْنِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ السَّلُولِيُّ. وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ الدِّمَشْقِيُّ. وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ. وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيُّ. وَيَعْقُوبُ الْحَضْرَمِيُّ. وَأَبُو سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيُّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَطِيَّةَ. وَقِيلَ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৩৬
عَطِيَّةَ. وَقِيلَ: عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَسْكَرٍ، أَبُو سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيُّ. أَصْلُهُ مِنْ وَاسِطٍ وَسَكَنَ قَرْيَةً غَرْبِيَّ دِمَشْقَ يُقَالُ لَهَا: دَارَيَّا. وَقَدْ سَمِعَ الْحَدِيثَ مِنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَغَيْرِهِ، وَرَوَى عَنْهُ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ وَجَمَاعَةٌ. وَأَسْنَدَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِهِ، قَالَ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْحَسَنِ بْنِ أَبِي الرَّبِيعِ الزَّاهِدِ يَقُولُ: سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ أَدْهَمَ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنُ عَجْلَانَ يَذْكُرُ عَنِ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا غَفَرَ اللَّهُ ذُنُوبَهُ يَوْمَهُ ذَلِكَ» وَقَالَ أَبُو الْقَاسِمِ الْقُشَيْرِيُّ: حُكِيَ عَنْ أَبِي سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيِّ قَالَ: اخْتَلَفْتُ إِلَى مَجْلِسِ قَاصٍّ فَأَثَّرَ كَلَامُهُ فِي قَلْبِي، فَلَمَّا قُمْتُ لَمْ يَبْقَ فِي قَلْبِي شَيْءٌ، فَعُدْتُ ثَانِيَةً فَأَثَّرَ كَلَامُهُ فِي قَلْبِي بَعْدَ مَا قُمْتُ وَفِي الطَّرِيقِ، ثُمَّ عُدْتُ ثَالِثَةً فَبَقِيَ أَثَرُ كَلَامِهِ فِي قَلْبِي حَتَّى رَجَعْتُ إِلَى مَنْزِلِي، وَكَسَرْتُ آلَاتِ الْمُخَالَفَاتِ وَلَزِمْتُ الطَّرِيقَ. فَحَكَيْتُ هَذِهِ الْحِكَايَةَ لِيَحْيَى بْنِ مُعَاذٍ، فَقَالَ: عُصْفُورٌ اصْطَادَ كُرْكِيًّا. يَعْنِي بِالْعُصْفُورِ الْقَاصَّ، وَبِالْكُرْكِيِّ أَبَا سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيَّ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ يَقُولُ: لَيْسَ لِمَنْ أُلْهِمَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৩৭


পেশাদার ওয়ড়ায়েজকে এবং সারস দ্বারা আবু সুলায়মানকে বুঝালেন ৷ (অর্থাৎ ক্ষুদ্রে পাখি বড় পাখি
শিকার করেছে ৷)

আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী বলেছেন, আমি আবু সুলায়মানকে বলতে শুনেছি “কারো
অম্ভরে কোন ভাল বিষয়ের ইলহাম হলেও হাদীসে যে বিষয়টি না শোনা পর্যন্ত তা আমলে পরিণত
করার অবকাশ নেই ৷ হাদীসেও বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তদনুসারে আমল করলে তা হবে
নুরুন আলা নুর’ (সোনার সােহাগা) ৷ জুনায়দ বলেন, আবু সুলায়মান বলেছেন, (সুফী) সম্প্রদায়ের
সুক্ষ্ম রহস্যসমুহের কোন রহস্য অনেক সময় আমার অম্ভরে উদ্ভাসিত হয় ৷ কিন্তু আমি দুই বিশ্বস্ত
সাক্ষী ব্যতীত তা গ্রহণ করি না ৷ দুই সাক্ষী হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ্ ৷ জুনায়দ বলেন, আবু
সুলায়মান আরো বলেছেন, শ্রেষ্ঠ আমল হচ্ছে নফ্স ও প্ৰবৃত্তির কামনা-বাসনার বিপরীত করা ৷
তিনি বলেছেন, প্রতিটি জিনিসের একটি আলামত’ (পুর্বাভাষ) রয়েছে ৷ আল্লাহর ভয় কান্না বর্জন
করা আল্লাহর মদদ হতে বঞ্ছিত হওয়ার আলামত ৷ তিনি বলেছেন, প্রতিটি বস্তুর জং আছে
কলবের নুরের জন্য জং হচ্ছে পেট পুরে আহার করা ৷ তিনি বলেছেন, স্তী পরিবার , ধন-সম্পদ ও
সন্তান-সন্ততি যা কিছু আল্লাহ হতে তোমাকে ব্যস্ত ও অমনােযােগী রাখে তাই দুর্ডাপ্য-অপয়া
স্বরুপ ৷ তিনি বলেছেন, এক রাতে আমি মিহরাবে দুআ করছিলাম ৷ আমার দুই হাত ছিল
প্রসারিত ৷ ঠাণ্ডা আমাকে কাবু করে ফেললে আমি একটি হাত গুটিয়ে নিলাম এবং অন্য হাত
প্রসারিত রেখে দুআ করতে থাকলাম ৷ ইতিমধ্যে আমার চোখে নিদ্রার চাপ দেখা দিলে আমি
ঘুমিয়ে গেলাম ৷ তখন এক অদৃশ্য আওয়াযদাতা আমাকে আওয়ায দিয়ে বলল, হে আবুসুলায়মান
৷ আমরা এ (প্রসারিত) হাতে তার বা প্রাপ্য তা দিয়ে দিলাম, অন্য হাতটি থাকলে আমরা তাতেও
রেখে দিতাম ৷ আবু সুলায়মান বলেন, তখন আমি নিজের উপর এ কসম সাব্যস্ত করলাম যে,
শীত হোক, গরম হোক আমি আমার দুই হাত উন্মুক্ত রেখেই দুআ করব ৷ তিনি বলেছেন, এক
রাতে আমি আমার নির্ধারিত ওযীফা আদায় না করেই ঘুমিয়ে গেলাম ৷ আমি (স্বপ্নে) দেখলাম
যেন, এক সুন্দরী হ্ররী আমাকে বলছে আমাকে বিশেষ পর্দায় অম্ভরালে (হিফাজতে রেখে) পড়াচশ
বছর ধরে তোমার জন্য লালন-পালন করা হচ্ছে, আর তুমি ঘুমিয়ে থাকছ ?

আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী বলেন, আমি আবু সুলায়মানকে বলতে শুনেছি, জান্নাতে কিছু
নহর আছে যার দুই তীরে অনেক র্তাবু আছে ৷ যাতে হুরপণ অবস্থান করেন ৷ আল্লাহ বিশেষ
ব্যবস্থাপনায় হুরীদের সৃষ্টি করেন ৷ তাদের সৃষ্টি পরিপুর্ণ হলে ফেরেশতারা তাদের জন্য তাবু স্থাপন
করেন ৷ তাদের এক একজন এক বর্গমাইল ব্যাপী প্রশস্ত একটি সোনার ঢেয়ারেউপবিষ্ট থাকেন,
তাদের নিতম্ব চেয়ড়ারের পাশ দিয়ে বেরিয়ে পড়ার উপক্রম করে ৷ জান্নড়াত্তীরা তাদের ভবনসমুহ
হতে বেরিয়ে এসে সে সব নহরের তীরে বিনোদন করবে যতক্ষণ মন চায় ৷ পরে তারে
প্রত্যেকে এক একজন হ্রর নিয়ে নির্জনে অবস্থান করবে ৷ আবু সুলায়মান বলেন, যারা জান্নাতের
নহরসমুহের তীরে সে কুমারীদের সংগলাভের প্রত্যাশী তাদের অবস্থা দুনিয়ার কীরুপ হওয়া
বাঞ্চনীয় ৷

আহমদ আরো বলেন, আমি আবুসুলায়মানকে বলতে শুনেছি অনেক সময় আমার পাচ রাত
অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে এমন অবস্থায় যে, আমি সুরা ফাতিহার পরে একটি আয়াতও ন্ পাঠ
করতাম না ; তার মর্ম নিয়ে ভাবতে থাকতাম ৷ অনেক সময় কুরআনের এমন কোন আয়াত এসে


شَيْئًا مِنَ الْخَيْرِ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ حَتَّى يَسْمَعَهُ مِنَ الْأَثَرِ فَإِذَا سَمِعَهُ مِنَ الْأَثَرِ عَمِلَ بِهِ، وَحَمِدَ اللَّهَ حِينَ وَافَقَ مَا فِي قَلْبِهِ. وَقَالَ الْجُنَيْدُ: قَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيُّ: رُبَّمَا يَقَعُ فِي قَلْبِي النُّكْتَةُ مِنْ نُكَتِ الْقَوْمِ أَيَّامًا فَلَا أَقْبَلُ مِنْهُ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ عَدْلَيْنِ؛ الْكِتَابَ وَالسُّنَّةَ. قَالَ: وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: أَفْضَلُ الْأَعْمَالِ خِلَافُ هَوَى النَّفْسِ. وَقَالَ: لِكُلِّ شَيْءٍ عَلَمٌ وَعَلَمُ الْخِذْلَانِ تَرْكُ الْبُكَاءِ. وَقَالَ: لِكُلِّ شَيْءٍ صَدَأٌ وَصَدَأُ نُورِ الْقَلْبِ شِبَعُ الْبَطْنِ. وَقَالَ: كُلُّ مَا شَغَلَكَ عَنِ اللَّهِ؛ مِنْ أَهْلٍ أَوْ مَالٍ أَوْ وَلَدٍ؛ فَهُوَ عَلَيْكَ مَشْئُومٌ. وَقَالَ: كُنْتُ لَيْلَةً فِي الْمِحْرَابِ أَدْعُو وَيَدَايَ مَمْدُودَتَانِ فَغَلَبَنِي الْبَرْدُ فَضَمَمْتُ إِحْدَاهُمَا وَبَقِيَتِ الْأُخْرَى مَبْسُوطَةً أَدْعُو بِهَا، وَغَلَبْتَنِي عَيْنِي فَنِمْتُ، فَهَتَفَ بِي هَاتِفٌ: يَا أَبَا سُلَيْمَانَ، قَدْ وَضَعْنَا فِي هَذِهِ مَا أَصَابَهَا، وَلَوْ كَانَتِ الْأُخْرَى لَوَضَعْنَا فِيهَا. قَالَ: فَآلَيْتُ عَلَى نَفْسِي أَلَّا أَدْعُوَ إِلَّا وَيَدَايَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৩৮
خَارِجَتَانِ، حَرًّا كَانَ أَوْ بَرْدًا. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: نِمْتُ لَيْلَةً عَنْ وِرْدِي فَإِذَا أَنَا بِحَوْرَاءَ تَقُولُ لِي: تَنَامُ وَأَنَا أُرَبَّى لَكَ فِي الْخُدُورِ مُنْذُ خَمْسِمِائَةِ عَامٍ؟ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ يَقُولُ: إِنَّ فِي الْجَنَّةِ أَنْهَارًا عَلَى شَاطِئِهَا خِيَامٌ فِيهِنَّ الْحُورُ، يُنْشِئُ اللَّهُ خَلْقَ إِحْدَاهُنَّ إِنْشَاءً فَإِذَا تَكَامَلَ خَلْقُهَا ضَرَبَتِ الْمَلَائِكَةُ عَلَيْهِنَّ الْخِيَامَ، جَالِسَةً عَلَى كُرْسِيٍّ مِيلٍ فِي مِيلٍ، قَدْ خَرَجَ عَجِيزَتُهَا مِنْ جَانِبِ الْكُرْسِيِّ، فَيَجِيءُ أَهْلُ الْجَنَّةِ مِنْ قُصُورِهِمْ يَتَنَزَّهُونَ مَا شَاءُوا ثُمَّ يَخْلُو كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ بِوَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ. قَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: كَيْفَ يَكُونُ فِي الدُّنْيَا حَالُ مَنْ يُرِيدُ يَفْتَضُّ الْأَبْكَارَ عَلَى شَاطِئِ الْأَنْهَارِ فِي الْجَنَّةِ؟ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيَّ يَقُولُ: رُبَّمَا مَكَثْتُ خَمْسَ لَيَالٍ لَا أَقْرَأُ بَعْدَ الْفَاتِحَةِ إِلَّا بِآيَةٍ وَاحِدَةٍ أَتَفَكَّرُ فِي مَعَانِيهَا، وَلَرُبَّمَا جَاءَتِ الْآيَةُ مِنَ الْقُرْآنِ فَيَطِيرُ الْعَقْلُ، فَسُبْحَانَ مَنْ يَرُدُّهُ بَعْدُ! وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: أَصْلُ كُلِّ خَيْرٍ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ الْخَوْفُ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَمِفْتَاحُ الدُّنْيَا الشِّبَعُ، وَمِفْتَاحُ الْآخِرَةِ الْجُوعُ. وَقَالَ لِي يَوْمًا:
পৃষ্ঠা - ৮৪৩৯
يَا أَحْمَدُ، جَوِّعْ قَلْبَكَ، وَذِلَّ قَلْبَكَ، وَعَرِّ قَلْبَكَ، وَفَقِّرْ قَلْبَكَ، وَصَبِّرْ قَلْبَكَ، وَقَدِ انْقَضَتْ عَنْكَ أَيَّامُ الدُّنْيَا. وَقَالَ أَحْمَدُ: اشْتَهَى أَبُو سُلَيْمَانَ يَوْمًا رَغِيفًا حَارًّا بِمِلْحٍ، قَالَ: فَجِئْتُهُ بِهِ، فَعَضَّ مِنْهُ عَضَّةً ثُمَّ طَرَحَهُ، وَأَقْبَلَ يَبْكِي وَيَقُولُ: يَا رَبِّ عَجَّلْتَ لِي شَهْوَتِي، لَقَدْ أَطَلْتَ جَهْدِي وَشِقْوَتِي وَأَنَا تَائِبٌ فَاقْبَلْ تَوْبَتِي. فَلَمْ يَذُقِ الْمِلْحَ حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَا رَضِيتُ عَنْ نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْأَرْضِ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضَعُونِي كَاتِّضَاعِي عِنْدَ نَفْسِي مَا أَحْسَنُوا. وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ رَأَى لِنَفْسِهِ قِيمَةً لَمْ يَذُقْ حَلَاوَةَ الْخِدْمَةِ. وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: إِذَا تَكَلَّفَ الْمُتَعَبِّدُونَ أَنْ لَا يَتَكَلَّمُوا إِلَّا بِالْإِعْرَابِ، ذَهَبَ الْخُشُوعُ. وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: مَنْ حَسُنَ ظَنُّهُ بِاللَّهِ، ثُمَّ لَا يَخَافُ فَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৪০


০০ ৷৪া৷

৪৪০ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

যেত যাতে বুদ্ধি উড়ে যেত ৷ মহাপবিত্র সে সত্তা যিনি পরে তা ফিরিয়ে দিতেন ৷ আমি তাকে
আরো বলতে ওনেছি, দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণের মুলে রয়েছে মইিয়ান গরিয়ান

আল্লাহ্কে ভয় করা ৷ দুনিয়ার চাবিকা ঠি পেটপুরে খা ৷ওয়া ৷ আখির৷ ৷তে তর চাবি ক্ষুধা ৷ একদিন তিনি
আমাকে বললেন, হে আহমদ ৷ অল্প পরিমাণ ক্ষুধা, অল্প পরিমাণ বস্ত্রহীনতা , অল্প পরিমাণ দ্রা ৷রিদ্যু
ও অল্প পরিমাণ সবর এতেই তোমার পৃথিবীর জীবন ফুরিয়ে যাবে ৷ আহমদ বলেন, আবু
সুলায়মানের একদিন নুনসহ গরম রুটির চা ৷হিদ৷ হল ৷ আমি তার জন্য তা ৷নিয়ে এলে তিনি তাতে
এক কামড় দিয়ে তা ফেলে দিলেন এবং কােদ কেদে বলতে লাপলেন, হে পালনকতা ! আমার
চাহিদা আমাকে নগদে দিয়ে দেয়া হল ! আমার মেহনত ও আমার দুর্ভাগ্য দীর্ঘ করে ফেললাম ৷
অথচ আমি একজন নায়িব হওয়ার দাবীদার ৷ এর পরে তিনি মহিয়ান গরিয়ান আল্লাহর সংগে
মিলিত হওয়া পর্যন্ত নুনের স্বাদ আস্বাদন করেননি ৷ আহমদ বলেন, আমি তাকে বলতে ওনেছি,
আমি আমার প্রবৃত্তির ব্যাপারে এক মুহুর্তের জন্যও তৃষ্ট হইনি ৷ এখন যদি আমার নিজের কাছে
আমার অবনমিত ৩হওয়ার ন্যায় আমাকে অবনমিত করার উদ্দেশ্যে সমস্ত পৃথিবীবাসী সমবেত হয়

তারা তাতে সমর্থ হবে না ৷ আমিতাকে বলতে শুনেছি, যে নিজের সত্তা র কে ন মুল্য রয়েছে বলে
মনে করবে সে ৷খদমতের (তরীকতের সাধনার) মধুর স্বাদ আস্বাদন করবে না ৷ আমি তাকে
বলতে শুনেছি, যে আল্লাহর প্রতি সুধারণ৷ পোষণ করল পরে তা গোপন করল না এবং তার
আনুগত্য করল না সে আত্মপ্রতারিত ৷ তিনি আরো বলেছেন, বান্দার উপর আশা’-র চেয়ে ভয়’
প্রবলতর থাকা বাঞ্চুনীয় ; ভরের উপরে আশা প্রাধান্য বিস্তার করলে কলব নষ্ট হয়ে যাবে ৷

একদিন তিনি আমাকে বললেন, “সবরের উপরেও কোন স্তর আছে ?” আমি বললাম, জী
হ্যা, অর্থাৎ রিয৷ (আ ল্লাহ্র ফায়সালায় নিরংকুশতু ষ্টি এবং বান্দা র প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি) ৷ এ কথা
শুনে তিনি এত জোরে চিৎকার দিলেন যে তিনি অচেতন হয়ে গেলেন ৷ পরে চেতনা ফিরে
আসলে বললেন, যখন সবরবমরীদের অবস্থাই এই যে, (কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী) “বিনা
হিসাবে তাদের প্রতিদান পরিপুর্ণ করে দেয়৷ হবে ৷”৩ ন তাহলে অপর দল অর্থাৎ “যাদের প্রতি সভুষ্টি
বিথোষিত” তাদের সম্পর্কে তুমি কী ধারণা করতে পার ৷ তিনি বলতে ন, আমার কাছে এটা
আনন্দদায়ক নয় যে, দুনিয়া ওত ৷র শুরু হতে শেষ পর্যন্ত যা কিছু আছে তার আমার হবে এবং
আমি তা সবধরনের ৩ ৷ল কাজে ব্যয় করব আর তার বিপরীতে আমি এক পলকের জন্য আল্লাহ
হতে অমনােযোগী হব ৷ তিনি বলেছেন, এক যাহিদ (দৃনিয়াত্যাগী) অপর এক বা ৷হিদকে বললেন,
আমাকে উপদেশ দিন !’ তিনি বললেন, “আল্লাহ যেন তোমাকে যে স্থানে না দেখেন যেখানে
তিনি তোমাকে নিষেধ করেছেন এবং যেখানে তোমাকে আদেশ করেছেন সেখানে যেন তোমাকে
অনুপস্থিত না দেখেন ৷” অপরজন বললেন, আরও কিছু উপদেশ দিন ৷ তিনি বললেন, আমার
কাছে আর বেশী নেই ৷

তিনি বলেছেন, যেত তার ৷দিবসে উত্তম কাজ করবে, তার রজনীর জন্য যথেষ্ট হবে এবং যে
রজনীতে উত্তম কাজ করবে তার দিবসের জন্য যথেষ্ট হবে ৷ কোন কামনা-বাসনা বর্জনে যে
সত্যাশ্রয়ী হবে আল্পাহ্ তার অন্তর হতে ৩তা ৰিদুরিত করে দিবেন ৷ অ ৷ল্লাহ্র জন্য যে কামনা বর্জন
করা হল সে অম্ভরকে সে কামনার কারণে আমার দেয়৷ হতে আল্লাহ অনেক মহান ৷ তিনি
বলেছেন, যখন দুনিয়া কোন কলবে বসতি করে নেয় তখন আখিরাত সে কলব হতে প্রস্থান করে ৷


مَخْدُوعٌ. وَقَالَ: يَنْبَغِي لِلْخَوْفِ أَنْ يَكُونَ أَغْلَبَ مِنَ الرَّجَاءِ، فَإِذَا غَلَبَ الرَّجَاءُ عَلَى الْخَوْفِ فَسَدَ الْقَلْبُ. وَقَالَ لِي يَوْمًا: هَلْ فَوْقَ الصَّبْرِ مَنْزِلَةٌ؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ. يَعْنِي الرِّضَا. قَالَ: فَصَرَخَ صَرْخَةً غُشِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ: إِذَا كَانَ الصَّابِرُونَ يُوفَّوْنَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ، فَمَا ظَنُّكَ بِالْآخَرِينَ، وَهُمُ الَّذِينَ رَضِيَ عَنْهُمْ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ يَقُولُ: مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي الدُّنْيَا مِنْ أَوَّلِهَا إِلَى آخِرِهَا أُنْفِقُهُ فِي وُجُوهِ الْبِرِّ، وَأَنِّي أَغْفُلُ عَنِ اللَّهِ طَرْفَةَ عَيْنٍ. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: قَالَ زَاهِدٌ لِزَاهِدٍ: أَوْصِنِي. فَقَالَ: لَا يَرَاكَ اللَّهُ حَيْثُ نَهَاكَ وَلَا يَفْقِدُكَ حَيْثُ أَمَرَكَ. فَقَالَ: زِدْنِي. فَقَالَ: مَا عِنْدِي زِيَادَةٌ. وَقَالَ أَيْضًا: مَنْ أَحْسَنَ فِي نَهَارِهِ كُوفِئَ فِي لَيْلِهِ، وَمَنْ أَحْسَنَ فِي لَيْلِهِ كُوفِئَ فِي نَهَارِهِ، وَمَنْ صَدَقَ فِي تَرْكِ شَهْوَةٍ ذَهَبَ اللَّهُ بِهَا مِنْ قَلْبِهِ، وَاللَّهُ أَكْرَمُ مِنْ أَنْ يُعَذِّبَ قَلْبًا بِشَهْوَةٍ
পৃষ্ঠা - ৮৪৪১
تُرِكَتْ لَهُ. وَقَالَ: إِذَا سَكَنَتِ الدُّنْيَا الْقَلْبَ تَرَحَّلَتْ مِنْهُ الْآخِرَةُ. وَقَالَ: إِذَا كَانَتِ الْآخِرَةُ فِي الْقَلْبِ جَاءَتِ الدُّنْيَا تَزْحَمُهَا، وَإِذَا كَانَتِ الدُّنْيَا فِي الْقَلْبِ لَمْ تَزْحَمْهَا الْآخِرَةُ؛ إِنَّ الْآخِرَةَ كَرِيمَةٌ وَالدُّنْيَا لَئِيمَةٌ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: بِتُّ لَيْلَةً عِنْدَ أَبِي سُلَيْمَانَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: وَعِزَّتِكَ وَجَلَالِكَ لَئِنْ طَالَبْتَنِي بِذُنُوبِي لَأُطَالِبَنَّكَ بِعَفْوِكَ وَلَئِنْ طَالَبْتَنِي بِبُخْلِي لَأُطَالِبَنَّكَ بِسَخَائِكَ، وَلَئِنْ أَمَرْتَ بِي إِلَى النَّارِ لَأُخْبِرَنَّ أَهْلَ النَّارِ أَنِّي أُحِبُّكَ. وَكَانَ أَبُو سُلَيْمَانَ يَقُولُ: لَوْ شَكَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ فِي الْحَقِّ مَا شَكَكْتُ فِيهِ وَحْدِي. وَكَانَ يَقُولُ: مَا خَلَقَ اللَّهُ خَلْقًا أَهْوَنَ عَلَيَّ مِنْ إِبْلِيسَ، وَلَوْلَا أَنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَتَعَوَّذَ مِنْهُ مَا تَعَوَّذْتُ مِنْهُ أَبَدًا، وَلَوْ بَدَا لِي مَا لَطَمْتُ
পৃষ্ঠা - ৮৪৪২


ন্বব্ কোন কলবে আখিরাত অবস্থানকারী হলে দুনিয়া এসে তার সংগে ঠেলাব্লুঠলি করে ৷ কিন্তু
ন কলব্লুব দুনিয়া অবস্থান করলে আখিরাত তার সংগে ব্লুঠলাঠেলি করে না ৷ কেননা, দুনিয়া
ইতব আর আখিরাত ভদ্র ৷ কোন ভদ্রের জন্য কোন ইতব্লুরর সংগে ঠুকাঠুকি করা সমীচীন নয় ৷

আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী বলেন, একরাতে আমি আবু সুলায়মাব্লুনর কাছে অবস্থান
করলাম ৷ আমি তাকে বলতে শুনলাম, (হে আল্লাহ্ !) তোমার ইয্য়ত ও মাহাব্লুত্ম্যর কসম ! যদি
তুমি আমার গো নাহসমুব্লুহর জন্য আমাকে ধরপাকড় করত তবে আমি অবশ্যই ভোমা ৷র ক্ষমার জন্য
;তামাব্লুক ধরাধরি করব ৷ যদি তুমি আমাকে আমার কৃপণ তার জন্য ধরপাকড় কর, তবে আমি
অবশ্যই তোমাকে তোমার দান-বদান্যতার জন্য ধরাধরি করব ৷ তুমি আমাকে জাহান্নাব্লুম নিয়ে
যাওয়ার আদেশ দিলে আমি জাহান্নামবাসীব্লুক অবহিত করব যে, আমি অবশ্যই তোমাকে
ভালবাসি ৷ তিনি বলব্লু ৩ন, সব মানুষও যদি সত্যের ব্যাপারে সন্দিহান হয় আমি একাকী৩ ৷তে
সন্দিহান হতাম না ৷ তিনি বলতেন, আল্লাহ্ তা অ ৷লা যত কিছু থেকে পা নাহ চাওয়ার জন্য সৃষ্টি
করেছেন সেগুলোর মধ্যে ইবলীস আমার কাছে হীনতম ৷ আল্লাহ যদি আমাকে শয়তান হতে
আশ্রয় প্রার্থনার আদেশ না দিতেন তবে আমি কখনও তার থেকে আশ্রয় প্রা ৷র্থনা করতাম ন৷ ৷ যদি
সে আমার সামনে আত্মপ্রকাশ করে তবে আমি সরাসবি তার পাব্লুলই চড় কব্লুষ দিব ৷ তিনি
বলেছেন, বিরান ভাৎগ৷ ঘরের দেয়ালে সিদ কাটার জন্য চোর আসে না ৷ যেহেতু সে যে কোন
দিক থেকে তাতে প্রবেশ করতে পারে ৷ চোর আসে সমৃদ্ধ-আবাদ ঘরে ৷ অনুরুপ ইবলীসও শুধু
(ইবাদব্লুত ত) আবাদ কলব্লুবর কাছে আসে তাকে স্থালিত করার জন্য এবং তাকে ব্লুচয়ার (সম্মানের
অবস্থান) হতে না ৷মিয়ে তার সৰ্বাধিক প্রিয় ও দামী বস্তু ছিনিব্লুয় নেয়ার জন্য ৷

তিনি বলতেন, বান্দ৷ ৷যখন ইখলাস ও নিষ্ঠ৷ সম্পন্ন হয় তখন তার সব ওয়াসওয়াসা (কুচিন্তা ও
কুমন্ত্রণা) ও স্বপ্ন অর্থাৎ স্বপ্নদোষ বিদুরিত হয় ৷ তিনি বলেছেন, বিশ বছর আমি এমন অতিবাহিত
করেছি যে, আমার স্বপ্নব্লুদাষ হয়নি ৷ পরে আমি মক্কায় গেলাম এবং একদিন আমার ইশার
সালাব্লুতর জামাআত ছুটে গেল ৷ সে রাতে আমার স্বপ্নদাে ষ হল ৷ তিনি বলেছেন, তা ৷ল্লাহ্র সৃষ্টির
মধ্যে এমন একটি (বিশিষ্ট) সম্প্রদা য়ও আছেন জ ৷ন্নাত ও তাতে বিদ্যমান নিআম৩ রাজী আল্লাহ্
হতে তাদের অমনাে ৷ব্লুযাপী করবে না ৷ সুতরাং তারা আল্লাহ্ব্লুক ছেড়ে দুনিয়ার প্রতি মনাে ৷ব্লুযাগী হবে
কী রুপে ? তিনি বলেছেন, আল্লাহর কাছে দুনিয়ার মুল্য মশার পাখ৷ হতেও নগণ্য ৷ সুতরাং তাতে
অনীহ৷ ও বৈরাগ্যের কী মুল্য আছে ? অনীহ৷ (যুহ্দ) তো হবে জান্নাত ও ডাগর চােখ৷ হুরীদের
ব্যাপারে ৷ যাতে আল্লাহ্ তোমার অম্ভব্লুর তাকে ব্যতীত অন্য কিছু দেখতে না পান ৷ জুনায়দ বলেন,
একটি বিষয় আবু সুলায়মাব্লুনর নামে বর্ণিত রয়েছে, যা আমার কাছে অত্যন্ত সুন্দর মনে হয় ৷ তা
এই “ যে নিজেকে নিয়ে নিমগ্ন হবে সে মানুষ থেকে নির্লিপ্ত হবে এবং যে তার রবকে
( পালনকর্তাব্লুক) নিয়ে নিমগ্ন হবে সে মানুষ ও নিজ সত্তা হতে নির্লিপ্ত হবে ৷ ” তিনি বলেছেন,
উত্তম দান সে দান য৷ প্রয়োজনের অনুকুলে হয় ৷ তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি হালালরুব্লুপ এবং ভিক্ষা
প্রার্থনা ও মানুষের কাছে হাত পাতা হতে আত্মরক্ষ৷ র জন্য দুনিয়া সন্ধান করবে সে আল্লাহর সংগে
সাক্ষা ব্লুতর (কিয়ামব্লু৩ রত) দিনতার সংগে এমনভাবে সাক্ষাত করবে যে, তার চেহারা হবে পুগ্রিমাির
রাতের চাব্লুদর ন্যায় ৷ আর যে গর্ব-গৌরব করার জন্য এবং ধ্ন-সম্পদের প্রতিযোগিতা ৷র উদ্দেশ্যে

হালাল উপায়ে দুনিয়া সন্ধান করবে সে আল্লাহ্র সংগে সাক্ষা ব্লু৩ তর দিনতার ৷উপরে তার রাগান্বিত

অড়ালবিদত্ত্বয়শৃ ওয়শৃন নিহা-য়ক্ষু (১০ম থুাণ্ডুহ্রজ্জম্বীাণ্ডুা-০ব্লুপু০া৷া

إِلَّا صَفْحَةَ وَجْهِهِ. وَكَانَ يَقُولُ: إِنَّ اللِّصَّ لَا يَجِيءُ إِلَى خَرِبَةٍ يَنْقُبُ حِيطَانَهَا وَهُوَ قَادِرٌ عَلَى الدُّخُولِ إِلَيْهَا مِنْ أَيِّ مَكَانٍ شَاءَ، وَإِنَّمَا يَجِيءُ إِلَى بَيْتٍ مَعْمُورٍ، كَذَلِكَ إِبْلِيسُ لَا يَجِيءُ إِلَّا إِلَى كُلِّ قَلْبٍ عَامِرٍ لِيَسْتَنْزِلَهُ عَنْ شَيْءٍ. وَكَانَ يَقُولُ: إِذَا أَخْلَصَ الْعَبْدُ انْقَطَعَ عَنْهُ كَثْرَةُ الْوَسْوَاسِ وَالرِّيَاءِ وَالرُّؤْيَا. وَقَالَ: مَكَثْتُ عِشْرِينَ سَنَةً لَمْ أَحْتَلِمْ، فَدَخَلْتُ مَكَّةَ فَفَاتَتْنِي صَلَاةُ الْعِشَاءِ فِي جَمَاعَةٍ فَاحْتَلَمْتُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ. وَقَالَ: إِنَّ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ قَوْمًا لَا يَشْغَلُهُمُ الْجِنَانُ وَمَا فِيهَا مِنَ النَّعِيمِ عَنْهُ، فَكَيْفَ تَشْتَغِلُونَ بِالدُّنْيَا؟ وَقَالَ: الدُّنْيَا عِنْدَ اللَّهِ أَقَلُّ مِنْ جَنَاحِ بَعُوضَةٍ، فَمَا الزُّهْدُ فِيهَا؟ وَإِنَّمَا الزُّهْدُ فِي الْجِنَانِ وَالْحُورِ الْعِينِ، حَتَّى لَا يَرَى اللَّهُ فِي قَلْبِكَ غَيْرَهُ. وَقَالَ الْجُنَيْدُ: شَيْءٌ يُرْوَى عَنْ أَبِي سُلَيْمَانَ أَنَا اسْتَحْسَنْتُهُ كَثِيرًا؛ قَوْلُهُ: مَنِ
পৃষ্ঠা - ৮৪৪৩
اشْتَغَلَ بِنَفْسِهِ شُغِلَ عَنِ النَّاسِ، وَمَنِ اشْتَغَلَ بِرَبِّهِ شُغِلَ عَنْ نَفْسِهِ وَعَنِ النَّاسِ، وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ أَبُو سُلَيْمَانَ يَقُولُ: خَيْرُ السَّخَاءِ مَا وَافَقَ الْحَاجَةَ. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: مَنْ طَلَبَ الدُّنْيَا حَلَالًا وَاسْتِعْفَافًا عَنِ الْمَسْأَلَةِ وَاسْتِغْنَاءً عَنِ النَّاسِ، لَقِيَ اللَّهَ يَوْمَ يَلْقَاهُ وَوَجْهُهُ كَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، وَمَنْ طَلَبَ الدُّنْيَا حَلَالًا، مُفَاخِرًا وَمُكَاثِرًا لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ يَلْقَاهُ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ. وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا مَرْفُوعًا. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: إِنَّ قَوْمًا طَلَبُوا الْغِنَى فَحَسِبُوا أَنَّهُ فِي جَمْعِ الْمَالِ، أَلَا وَإِنَّمَا الْغِنَى فِي الْقَنَاعَةِ، وَطَلَبُوا الرَّاحَةَ فِي الْكَثْرَةِ، وَإِنَّمَا الرَّاحَةُ فِي الْقِلَّةِ، وَطَلَبُوا الْكَرَامَةَ مِنَ الْخَلْقِ، أَلَا وَهِيَ فِي التَّقْوَى، وَطَلَبُوا النِّعْمَةَ فِي اللِّبَاسِ الرَّقِيقِ اللَّيِّنِ، وَفِي طَعَامٍ طَيِّبٍ، وَالنِّعْمَةُ فِي
পৃষ্ঠা - ৮৪৪৪
الْإِسْلَامِ وَالسَّتْرِ وَالْعَافِيَةِ. وَكَانَ يَقُولُ: لَوْلَا قِيَامُ اللَّيْلِ مَا أَحْبَبْتُ الْبَقَاءَ فِي الدُّنْيَا، وَمَا أُحِبُّ الْبَقَاءَ فِي الدُّنْيَا لِتَشْقِيقِ الْأَنْهَارِ وَلَا لِغَرْسِ الْأَشْجَارِ. وَقَالَ: أَهْلُ الطَّاعَةِ فِي لَيْلِهِمْ أَلَذُّ مِنْ أَهْلِ اللَّهْوِ فِي لَهْوِهِمْ. وَقَالَ: رُبَّمَا اسْتَقْبَلَنِي الْفَرَحُ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ، وَرُبَّمَا رَأَيْتُ الْقَلْبَ يَضْحَكُ ضَحِكًا. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ الْحَوَارِيِّ: سَمِعْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ يَقُولُ: بَيْنَا أَنَا سَاجِدٌ، إِذْ ذَهَبَ بِيَ النَّوْمُ، فَإِذَا أَنَا بِهَا - يَعْنِي الْحَوْرَاءَ - قَدْ رَكَضَتْنِي بِرِجْلِهَا، فَقَالَتْ: حَبِيبِي، أَتَرْقُدُ عَيْنَاكَ وَالْمَلِكُ يَقْظَانُ يَنْظُرُ إِلَى الْمُتَهَجِّدِينَ فِي
পৃষ্ঠা - ৮৪৪৫


০০ ৷৪া৷ ৷$

৪ : ২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

অবস্থায় সাক্ষাত করবে ৷ মারফ হাদীসেও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি আরো বলেছেন, একদল
লোক সম্পদ ও তা সঞ্চয়ে ধনাচ্যতা সন্ধান করেছে তারা তাদের এ ধারণায় ভ্রান্তির শিকার
হয়েছে ৷ শুনে রাখ ! ধনাঢাতা নিহিত রয়েছে অল্পে তুষ্টিতে ৷ তারা আরাম সন্ধান করেছে
(সম্পদের) আধিক্যের মধ্যে, অথচ আরাম রয়েছোল্পতায় ৷ তারা সম্ম৷ ন চা য় সৃষ্টির কাছে, অথচ
তা রয়েছে তাকওয়৷ ও আল্লাহ্ ভীতিতে ৷ তা ৷রা আরাম-আয়েশ-ৰিলাসিত্’১ ৷ খুজেছে কোমল মিহি
পোশাক, সুাদু খাবার, সুউচ্চ সুদৃশ্য বাসস্থানে, অথচ তা রয়েছে ইসলাম, ঈমান, নেক আমল,
অপরের দোষ আবৃত রাখা ও ক্ষমা-মার্জন৷ এবৎঅ ৷ল্লাহ্র যিকিরের মধ্যে ৷ তিনি বলতেন, রাত
জেগে ইবাদত করা না থাকলে দৃনিয়াতে বেচে থাকা আমি পসন্দ করতাম না ৷ আমি দৃনিয়াকে
পাছরোপণ করা এবং খাল খনন করার জন্য ভালব৷ লি না, আমি তাকে ভ ৷লবাসি (পবমেব ) দুপুরের
সিয়াম পালন ও রাতে র কিয়াম ইবাদতে র জন্য ৷ তিনি বলেছেন, ইবাদতকারীরা তাদের রাতে
ক্রীড়ামওদের ক্রীড়ার চেয়ে অধিকাদ অনুভব করে ৷ তিনি বলেছেন অনেক সময় আনন্দ গভীর
রাতে আমাকোগতম আমার এবং অনেক সময় আমি কলবকে আনন্দে হাসতে দেখি ৷ তিনি
বলেছেন, কলরের উপর দিয়ে এমন অনেক সময় অতিবাহিত হয় যখন তা আনন্দ মত্ততায় নাচতে
থাকে ৷ তখন আমি বলি, জান্নাভীরা যদি এমন কিছুতে নিমপ্ন থাকে৩ তবে অবশ্যই তারা সুখময়
জীবনে রয়েছে ৷

আহমদ ইবন আবুল হাওয়ারী বলেন, আমি আবুসুলায়মানকে বলতে শুনেছি, একবার আমি
সিজদ৷ অবস্থায় আমার ঘুম চেপে এল ৷ হঠাৎ দেখলাম তাকে অর্থাৎ হ্ররীকে, সে তার পায়ের
গোড়ালী দিয়ে আমাকে নাড়৷ দিল ৷ যে আমাকে বলল, হে আমার প্রিয় : তোমার দৃ’চােখ ঘুমুচ্ছে,
অথচ বাদশা জেগে জেগে তাহাজ্জ্বদ আদায়কারীদের তাহাজ্জ্বদ আদায় দেখছেন ৷ সংকট (দৃর্ভাগ্য)
সে চোখের জন্য যা জ্বিারাদকে প্রতাপশালীব সংগে মুনাজাতের চেয়ে প্রাধান্য দেয় ৷ উঠ ৷
অবসর লাভের সময় নিকটবর্তী হয়েছে এবৎ প্রেমাস্পদরা এক অপরের সংগে সাক্ষাত করছে ৷ এ
সময় এ কোন জ্বি৷ ? আমার প্রিয় ! আমার চোখের শীতলতা তামার দুই চোখ ঘুমুচ্ছে অথচ
আমি লালিত আছি সংরক্ষিত স্থানে বিশ্বে যে তত্ত্বাবধানে এত এত কাল ধরে é আবু সুলায়মান
বলেন, আমি অস্থির হয়ে লাফিয়ে উঠলাম এবং তার ভৎসনার কারণে লজ্জায় ঘেমে গেলাম ৷ তার
কথার মধুরাদ তখনও আমার কানে ও হৃদয়ে অনুভব করছিলাম ৷

আহমদ বলেন, একবার আ ৷মি আবু সুলায়মানের কাছে গিয়ে দেখল৷ ৷,ম তিনি র্ক৷ ৷দছেন ৷ আমি
বললাম, আপনা ৷র কী হয়েছে ? তিনি বললেন গত রাতে আমাকেহু ম্কি দেয়৷ হয়েছে ৷ আমি
বললাম, কে আবার আপনাকে হুমকি দিলঃ তিনি বললেন, আ ৷মি আমার মিহবাবে ন্ডিামগ্ন ছিলাম ৷
হঠাৎ (াপ্নে) দুনিয়া র সেরা এক সুন্দরী তরুণীর কাছে সাত ড়,ালাম বা ব হাতে ছিল একটি পৃষ্ঠা এবং
সে বলছিল, হে শ ৷৷য়খ ! ঘুমুচ্ছেন ? আমি বললাম , যার চোখে ঘুম চেপে আসে যে ঘুমাতে বা বা
হয় ৷ সে বলল, কক্ষগে৷ নয়, জান্নাতের প্রার্থীর৷ ঘুমায় না ৷ পরে সে বলল, আপনি কি পড়তে
জানেন ? আমি বললাম , হী৷ ৷ পরে কাগজটি তার হাত হতে নিয়ে নিলাম ৷ দেখলাম তাতে লিখা
রয়েছে (কবিতা)

ণ্


تَهَجُّدِهِمْ؟ بُؤْسًا لَعِينٍ آثَرَتْ لَذَّةَ نَوْمَةٍ عَلَى لَذَّةِ مُنَاجَاةِ الْعَزِيزِ، قُمْ فَقَدْ دَنَا الْفَرَاغُ وَلَقِيَ الْمُحِبُّونَ بَعْضُهُمْ بَعْضًا، فَمَا هَذَا الرُّقَادُ؟ حَبِيبِي وَقُرَّةَ عَيْنِي، أَتَرْقُدُ عَيْنَاكَ وَأَنَا أُرَبَّى لَكَ فِي الْخُدُورِ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا؟ فَوَثَبْتُ فَزِعًا وَقَدْ عَرِقْتُ اسْتِحْيَاءً مِنْ تَوْبِيخِهَا إِيَّايَ، وَإِنَّ حَلَاوَةَ مَنْطِقِهَا لَفِي سَمْعِي وَقَلْبِي. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: دَخَلْتُ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ فَإِذَا هُوَ يَبْكِي، فَقُلْتُ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: زُجِرْتُ الْبَارِحَةَ فِي مَنَامِي. قُلْتُ: مَا الَّذِي حَلَّ بِكَ؟ قَالَ: بَيْنَا أَنَا قَدْ غَفَوْتُ فِي مِحْرَابِي إِذْ وَقَفَتْ عَلَيَّ جَارِيَةٌ تَفُوقُ الدُّنْيَا حُسْنًا، وَبِيَدِهَا وَرَقَةٌ وَهِيَ تَقُولُ: أَتَنَامُ يَا شَيْخُ؟ فَقُلْتُ: مَنْ غَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ نَامَ. فَقَالَتْ: كَلَّا إِنَّ طَالِبَ الْجَنَّةِ لَا يَنَامُ. ثُمَّ قَالَتْ: أَتَقْرَأُ؟ فَأَخَذْتُ الْوَرَقَةَ مِنْ يَدِهَا، فَإِذَا فِيهَا مَكْتُوبٌ: لَهَتْ بِكَ لَذَّةٌ عَنْ حُسْنِ عَيْشٍ ... مَعَ الْخَيْرَاتِ فِي غُرَفِ الْجِنَانِ تَعِيشُ مُخَلَّدًا لَا مَوْتَ فِيهَا ... وَتَنْعَمُ فِي الْجِنَانِ مَعَ الْحِسَانِ تَيَقَّظْ مِنْ مَنَامِكَ إِنَّ خَيْرًا ... مِنَ النَّوْمِ التَّهَجُّدُ بِالْقُرَانِ
পৃষ্ঠা - ৮৪৪৬
وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: أَمَا يَسْتَحِي أَحَدُهُمْ أَنْ يَلْبَسَ عَبَاءَةً بِثَلَاثَةِ دَرَاهِمَ وَفِي قَلْبِهِ شَهْوَةٌ بِخَمْسَةِ دَرَاهِمَ؟ وَقَالَ أَيْضًا: لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يُظْهِرَ لِلنَّاسِ الزُّهْدَ وَالشَّهَوَاتُ فِي قَلْبِهِ، فَإِذَا لَمْ يَبْقَ فِي قَلْبِهِ شَيْءٌ مِنْ شَهَوَاتِ الدُّنْيَا، جَازَ أَنْ يُظْهِرَ لِلنَّاسِ الزُّهْدَ بِلُبْسِ الْعَبَاءِ، فَإِنَّهَا عَلَمٌ مِنْ أَعْلَامِ الزُّهَّادِ، وَلَوْ لَبِسَ ثَوْبَيْنِ أَبْيَضَيْنِ لِيَسْتُرَ بِهِمَا أَبْصَارَ النَّاسِ عَنْهُ كَانَ أَسْلَمَ لِزُهْدِهِ. وَكَانَ يَقُولُ أَيْضًا: إِذَا رَأَيْتَ الصُّوفِيَّ يَتَنَوَّقُ فِي لُبْسِ الصُّوفِ، فَلَيْسَ بِصُوفِيٍّ، وَخِيَارُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَصْحَابُ الْقُطْنِ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ وَأَصْحَابُهُ. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: إِنَّمَا الْأَخُ الَّذِي يَعِظُكَ بِرُؤْيَتِهِ قَبْلَ كَلَامِهِ، وَقَدْ كُنْتُ أَنْظُرُ إِلَى الْأَخِ مِنْ أَصْحَابِي بِالْعِرَاقِ فَأَنْتَفِعُ بِرُؤْيَتِهِ شَهْرًا. وَقَالَ أَبُو سُلَيْمَانَ: قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: " عَبْدِي، إِنَّكَ مَا اسْتَحْيَيْتَ مِنِّي أَنْسَيْتُ النَّاسَ عُيُوبَكَ، وَأَنْسَيْتُ بِقَاعَ الْأَرْضِ ذُنُوبَكَ، وَمَحَوْتُ زَلَّاتِكَ مِنْ أُمِّ الْكِتَابِ، وَلَا أُنَاقِشُكَ فِي الْحِسَابِ
পৃষ্ঠা - ৮৪৪৭


(“ক্ষণিকের)াদ তোমাকে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষসমুহে কল্যাণবতীদের সংগে সুন্দর
জীবনের ব্যাপারে অমনোযাে গী করেছে ৷ তুমি যেথা নে জীবন যাপন করবে চিরস্থায়ী, সেখা ড়ানে নেই
মৃত্যু, তুমি সুন্দরীদের সংগে আয়েশী জীবন যাপন করবে ৷ তুমি নিদ্রা ত্যাগ করে সজাগ হও
কেননা ঘুম থেকে অনেক উত্তম হচ্ছে কুরআন নিয়ে ত ড়া’হড়াজ্জ্বদ রাতজ ৷গরণ করা’

অড়াবু সুলায়মান বলেছেন, তোমাদের লজ্জা হয় না যে তিন দিরহড়ামের আরা পরিধান করে
এবং তড়ার অন্তার পড়াচ দিরহড়ামের আবার প্রতি আকর্ষণ থাকে ৷ তিনি আরো বলেছেন, যারা অন্তরে
কামনা বড়াসনা রয়েছে এমন কারো জন্য যুহ্দ ও দুনিয়া বিমুখতা প্রদর্শন করা জাইয নয় ৷ ইা, যদি
তড়ার অন্তার কামনা-বড়াসনা ড়ার কিছুই৷ না থাকে তখন তার জন্য আবা পরিধান করে মানুষের কাছে
তার দুনিয়ড়াত্যাপী হওয়া প্রকাশ করা জাইয হবে ৷ কেননা,৩ ড়াদুনিয়া৩ ড়াগীদের আলড়ামতসমুহের
অন্যতম আলামত ৷ তবে যদি যে মানুষের দৃষ্টি হতে এবং৩ তা ড়ার যুহ্দ ও দুনিয়া বিমুখিতা হতে
আচ্ছাদন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দুইখড়ানা সাদা কাপড় পবি ধান করে তবে তা আবা পরিধানের চেয়ে তার
যুহ্দদরবেশী রক্ষায় অধিক নিরাপদ হবে ৷

তিনি বলেছেন, যদি কোন সুফীকে দেখ যে সুফ (সুফীদের পশমী পােশ ৷ক) পবিধানে সৌন্দর্য
পিহৃাসী হয়৩ তবে সে সুফী নয় ৷ এ উম্মতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণ হচ্ছেন তলা (সুতী পোশাক)
ব্যবহারকারিগণ আবুবকর (রা) ও তার অনুসারিগণ ৷ অন্য কেউ বলেছেন, যদি তুমি কোন
ফকীরের পোশাকে তুমি তার (ফকীরীর) দ্যুতি দেখতে পাও তবে তৃ তার সফলতার ব্যাপারে
নিরাশ হতে পড়ার ৷ অড়াবুসুলায় মান বলেছেন, “ভাই’ হচ্ছে যে ব্যক্তি যার দর্শনই তার কথা বলার
আগে তোমাকে উপদেশ দিবে ৷ ইরাকে আমি আমার বন্ধুদের মধ্যে এক ভাইকে দেখতাম এবং
এক মড়াস যাবত তাকে দেখে উপকৃত হয়েছি ৷ অড়াবুসুলায়মান বলেছেন, তা ৷ল্লাহ্ তাআলা বলেন,
হে আমার বড়ান্দা ! তুমি য৩ তদিন আমড়াকে লজ্জা করবে ততদিন আমি মানুষকে তোমার দোষ
ভুলিয়ে দিব, পৃথিবীর মাঢিকে তড়ামার পাপ বিস্মৃতি ৩করে দিব, উম্মুল কিতাব আমলনড়ামা হতে
তােমড়ার ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো মুছে দিব এবং কিয়ামতে র দিন তোমার হিসাব নিয়ে কষাকষি করব
না ৷ আহমদ বলেন, আমি আবু সুলয়ড়ামড়ানকে সবর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন,
“আল্লাহর কসম ! তৃমি৫ তামড়ার কাজ্জিত বিষয়ে সবরে সমর্থ হচ্ছ না ৷ সুতরাং তোমার
অপসন্দনীয় বিষয়ে তুমি কি করে তাতে সমর্থ হবে ৷

আহমদ বলেন, আমি একদিন তার সামনে (দুঃখ ভারাক্রান্ত) দীর্ঘশ্বাস ফেললাম ৷ তিনি
বললেন, কিয়ামতে র দিন তোমাকে এ দীর্ঘশ্বাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে ৷ যদি তা তোমার
বিগত কোন পড়াপের কারণে হয় তবে স্পে তা তোমড়ার জন্য উত্তম ,আর যদি তা দুনিয়ার কোন
কিছু কিৎবড়া কো ন কামনা-বড়াসনা ড়াহারিয়ে যাওয়ার কারণে হয় তবে তোমার জন্য দুর্ভাগ্য ৷ তিনি
বলেছেন, তরীকতের পথ হতে শুধু তারা ফিরে এসেছে ৷ (বিমুখ হয়েছে) যারা আল্লাহ পর্যন্ত
পৌছার পুর্বে ফিরে এসেছে ৷ আল্লাহ পর্যন্ত পৌছার পরে কেউ ফিরে আসে না ৷ তিনি বলেছেন,
যারা আল্লাহর না-ফরমা ৷নী করেত তারা আল্লাহর কাছে হেয় হওয়ার কারণোই তার না-ফরমানী করে ৷


يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي الْحَوَارِيِّ: سَأَلْتُ أَبَا سُلَيْمَانَ عَنِ الصَّبْرِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ إِنَّكَ لَا تَقْدِرُ عَلَيْهِ فِي الَّذِي تُحِبُّ، فَكَيْفَ فِيمَا تَكْرَهُ؟ قَالَ أَحْمَدُ: تَنَهَّدْتُ عِنْدَهُ يَوْمًا، فَقَالَ: إِنَّكَ مَسْئُولٌ عَنْهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَإِنْ كَانَتْ عَلَى ذَنْبٍ سَلَفَ فَطُوبَى لَكَ، وَإِنْ كَانَتْ عَلَى الدُّنْيَا فَوَيْلٌ لَكَ. وَقَالَ: إِنَّمَا رَجَعَ مِنَ الطَّرِيقِ قَبْلَ الْوُصُولِ، وَلَوْ وَصَلُوا إِلَى اللَّهِ مَا رَجَعُوا. وَقَالَ: إِنَّمَا عَصَى اللَّهَ مَنْ عَصَاهُ لِهَوَانِهِمْ عَلَيْهِ، وَلَوْ كَرُمُوا عَلَيْهِ لَحَجَزَهُمْ عَنْ مَعَاصِيهِ. وَقَالَ: جُلَسَاءُ الرَّحْمَنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ جَعَلَ فِيهِمْ خِصَالًا: الْكَرَمَ وَالْحِلْمَ، وَالْعِلْمَ وَالْحِكْمَةَ، وَالرِّقَّةَ، وَالرَّحْمَةَ، وَالْفَضْلَ، وَالصَّفْحَ، وَالْإِحْسَانَ وَالْبِرَّ، وَالْعَفْوَ وَاللُّطْفَ. وَذَكَرَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيُّ فِي كِتَابِ " " مِحَنِ الْمَشَايِخِ " "، أَنَّ أَبَا سُلَيْمَانَ الدَّارَانِيُّ أُخْرِجَ مِنْ دِمَشْقَ وَقَالُوا: إِنَّهُ يَزْعُمُ أَنَّهُ يَرَى الْمَلَائِكَةَ
পৃষ্ঠা - ৮৪৪৮
وَيُكَلِّمُونَهُ. فَخَرَجَ إِلَى بَعْضِ الثُّغُورِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ دِمَشْقَ أَنَّهُ إِنْ لَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِمْ هَلَكُوا، فَخَرَجُوا فِي طَلَبِهِ وَتَشَفَّعُوا إِلَيْهِ، حَتَّى رَدُّوهُ. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي وَفَاتِهِ عَلَى أَقْوَالٍ؛ فَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ وَمِائَتَيْنِ. وَقِيلَ: سَنَةَ خَمْسٍ وَمِائَتَيْنِ. وَقِيلَ: سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ. وَقِيلَ: سَنَةَ خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ وَمِائَتَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ مَرْوَانُ الطَّاطَرِيُّ يَوْمَ مَاتَ أَبُو سُلَيْمَانَ: لَقَدْ أُصِيبَ بِهِ أَهْلُ الْإِسْلَامِ كُلُّهِمْ. قُلْتُ: وَقَدْ دُفِنَ فِي قَرْيَةِ دَارَيَّا، وَقَبْرُهُ بِهَا مَشْهُورٌ وَعَلَيْهِ بِنَاءٌ، وَقِبْلَتُهُ مَسْجِدٌ بَنَاهُ الْأَمِيرُ نَاهِضُ الدِّينِ عُمَرُ الْمِهْرَانِيُّ، وَوَقَفَ عَلَى الْمُقِيمِينَ عِنْدَهُ وَقْفًا يَدْخُلُ عَلَيْهِمْ مِنْهُ غَلَّةٌ، وَقَدْ جَدَّدَ مَزَارَهُ فِي زَمَانِنَا هَذَا، وَلَمْ أَرَ الْحَافِظَ ابْنَ عَسَاكِرَ تَعَرَّضَ لِمَوْضِعِ دَفْنِهِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَهَذَا عَجَبٌ مِنْهُ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي الْحَوَارِيِّ قَالَ: كُنْتُ أَشْتَهِي أَنْ أَرَى أَبَا سُلَيْمَانَ فِي الْمَنَامِ فَرَأَيْتُهُ بَعْدَ سَنَةٍ، فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ يَا مُعَلِّمُ؟ فَقَالَ: يَا أَحْمَدُ، دَخَلْتُ يَوْمًا مِنْ بَابِ الصَّغِيرِ فَرَأَيْتُ حِمْلَ شِيحٍ، فَأَخَذْتُ مِنْهُ عُودًا، فَمَا أَدْرِي تَخَلَّلْتُ بِهِ أَوْ رَمَيْتُهُ، فَأَنَا فِي
পৃষ্ঠা - ৮৪৪৯
حِسَابِهِ إِلَى الْآنِ. وَقَدْ تُوُفِّيَ ابْنُهُ سُلَيْمَانُ بَعْدَهُ بِنَحْوٍ مِنْ سَنَتَيْنِ رَحِمَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى.