আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع وتسعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮৩৮৬


কাদতে শুরু করলে তিনি তাকে বললেন, কেদ না, আল্লাহর কসম ! আমি কখনও হারামের
উদ্দেশ্যে আমার পাজামা খুলিনি; আর এমন হয়নি যে, বাদী বিবাদী আমার সামনে বসােছ এবং
হুকুম ও রায় কার বিরুদ্ধে গেল্৷ আ ৷মি তার পরােয়৷ করেছি আপনজন হোক কিংবা অনা ৷ত্মীয় এবং
রাজ৷ বাদশা (ক্ষমতা ধর) হোক কিংবা সাধারণ নিম্নশ্রেণীর হে ক ৷

আবদুল্লাহ ইবন মাৱয়ুক

তিনি আবু মুহাম্মদ আঘৃ-যাহিদ নামে পরিচিত ৷ এক সময় হারুনুর রশীদের উযীর ছিলেন ৷
পরে এর সব কিছু পবি৩ ৷৷ণ করে দরবেশী গ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর সময় ওসিয়ত করেন যে,

তাকে যেন মৃতুরে মুহুৰুর্ত তাকে অ ৷স্তাকুরুড় নিক্ষেপ করা হয়; এ আশায় যে, আল্লাহ তাকে রহম
করবেন

মুহাম্মদ ইবন রাষীন ইবন সুলায়মান

করি আবুশীস; কবিদের উস্৩ ৷দ ৷ কবিতা রচনা করা ও ছন্দ তৈরি করা তার কাছে পানি
জ্ঞান করার চেয়ে সহজতর ছিল ৷ এ বক্তব্য ইবন খারািকান প্রমুখের ৷ করি আবু শীস, আবু
মুসলিম ইবনুল ওয়া ৷লীদ, সারীউল গাওয়ানী’ উপাধিধ৷ রী আবু নুওয়া স ও দিবিল আসর জমিয়ে

কবিতা চর্চা করতেন ৷ আবুশীসতার শেষ জীবনে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ৷৩ তার শ্রেষ্ঠ কবিতার
মধ্যে আছে-

ব্লুব্লুমোঃ;চু,

“প্রেম আমাকে সেখানেই দাড় করিয়ে দিয়েছে যেখানে রয়েছ তুমি ; সুতরাং আমার জন্য
সামনে চলার ও পিছনে ফেরার কোন স্থান নেই ৷ তোমার প্রেমের কারণে কৃত তিরস্কার-দৃর্নাম
আমার কাছে সুস্বাদৃ অনুভুত হয় ; তোমার আলোচনার প্রতি আসক্তির কারণে ; সুতরাং তিরস্কার-
কারীরা তিরস্কার করে যাক ৷ আমি এখন আমার দৃশমনদের সংগে সড়াদৃশ্যপুর্ণ হয়েছি ; ফলে এখন
তাদের ভালবাসতে শুরু করেছি কেননা , তাদের কাছ হতে আমার উপভােগের বিযয়ই তোমার

কাছ হতে ও উপভােগের বিষয় ৷ তুমি আমাকে লাঞ্ছিত করেছ ; কাজেই আমিও নিজেকে লাঞ্ছিত
অপদস্থু করেছি ; তোমার কাছে যে লাঞ্চুনার পাত্র সে মর্যাদার পাত্র হতেই পারে না ৷”

১৯৭ হিজরীর আগমন

নতুন বছরের সুচনা হল এ অবস্থায় যে, তাহির ইবনুল হুসায়ন হারছামা ইবন আয়ান ও তাদের
সহযোর্গীরা বাপদাদ অবরোধ ও আমীনকে সং কী র্ণ গণ্ডীতে আবদ্ধ করার ব্যাপারে অত্যন্ত
অনমনীয়ত৷ ৷র পন্থা গ্রহণ করল ৷ কা ৷সিম ইবনৃর রশীদ ও তার চাচা মানসুর পালিয়ে মামুনের কাছে
পৌছলে মামুন তাদের সম্মানের সংগে গ্রহণ করলেন এবং ভাই কা ৷সিমকে জুরজ৷ নের শাসনকর্তা


[سَنَةُ سَبْعٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ اسْتَهَلَّتْ وَقَدْ أَلَحَّ طَاهِرُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ مُصْعَبٍ وَهَرْثَمَةُ بْنُ أَعْيَنَ، وَمَنْ مَعَهُمَا مِنَ الْجُنُودِ فِي حِصَارِ بَغْدَادَ وَالتَّضْيِيقِ عَلَى مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ وَهَرَبَ الْقَاسِمُ بْنُ الرَّشِيدِ، وَعَمُّهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمَهْدِيِّ إِلَى الْمَأْمُونِ فَأَكْرَمَهُمَا، وَوَلَّى أَخَاهُ الْقَاسِمَ جُرْجَانَ وَاشْتَدَّ الْحِصَارُ بِبَغْدَادَ وَنُصِبَتْ عَلَيْهَا الْمَجَانِيقُ وَالْعَرَّادَاتُ وَضَاقَ الْأَمِينُ بِهِمْ ذَرْعًا، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ مَا يُنْفِقُ فِي الْجُنْدِ، فَاضْطَرَّ إِلَى ضَرْبِ آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ دَرَاهِمَ وَدَنَانِيرَ، وَهَرَبَ كَثِيرٌ مِنْ جُنْدِهِ إِلَى طَاهِرٍ، وَقُتِلَ مِنْ أَهْلِ الْبَلَدِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَأُخِذَتْ أَمْوَالٌ كَثِيرَةٌ مِنَ التُّجَّارِ، وَبَعَثَ مُحَمَّدٌ الْأَمِينُ إِلَى قُصُورٍ كَثِيرَةٍ، وَدُورٍ شَهِيرَةٍ، وَأَمَاكِنَ وَمَحَالَّ كَثِيرَةٍ فَحَرَّقَهَا لِمَا رَأَى فِي ذَلِكَ مِنَ الْمَصْلَحَةِ فَعَلَ كُلَّ هَذَا فِرَارًا مِنَ الْمَوْتِ، وَلِتَدُومَ الْخِلَافَةُ لَهُ فَلَمْ تَدُمْ، وَقُتِلَ، وَخُرِّبَتْ دِيَارُهُ كَمَا سَيَأْتِي قَرِيبًا وَفَعَلَ طَاهِرٌ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْأَمِينُ، حَتَّى كَادَتْ بَغْدَادُ تَخْرَبُ بِكَمَالِهَا، فَقَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ: مَنْ ذَا أَصَابَكِ يَا بَغْدَادُ بِالْعَيْنِ ... أَلَمْ تَكُونِي زَمَاناً قُرَّةَ الْعَيْنِ أَلَمْ يَكُنْ فِيكِ قَوْمٌ كَانَ مَسْكَنُهُمْ ... وَكَانَ قُرْبُهُمْ زَيْنًا مِنَ الزَّيْنِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৮৭

নিয়োগ করলেন ৷ বাগদাদে অবরোধ প্রচওরুপ ধারণ করল এবং কামান দাগানাে হল ও পাথুরে
গোলা বর্ষণ করা হল ৷ অড়ামীনের অবস্থা চরম সংকটাপন্ন হল ৷ সেনাবাহিনীর ব্যয় নির্বাহ অচল হয়ে
পড়লে আমীন সােনা-রুপার পাত্র গলিয়ে দিরহাম-দীনার তৈরি করতে বাধ্য হলেন ৷ তার বাহিনীর
অনেকে পালিয়ে তাহিরের কাছে চলে গেল ৷ শহরে অধিক হারে খুন-খারাবি চলতে লাগল ৷
সাধারণ মানুষের বহু সম্পদ লুষ্ঠিত হল ৷ আমীন তার স্বার্থ রক্ষার নগরীর বহু ভবনে এবং সুসজ্জিত
মুল্যবান ঘর-বাড়িতে ও দোকান-পাটে আগুন লাগিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিল ৷ এসব তিনি করেছিলেন
মৃত্যু হতে পলায়নের উদ্দেশ্যে এবং খিলাফত টিকিয়ে রাখার লক্ষেদ্র ৷ কিন্তু তার যে বাসনা পুর্ণ
হল না ৷ তাকে হত্যা করা হল এবং তার ভবনগুলাে ধ্বংস করা হল (বিবরণ সমাগত) ৷ তাহিরও
আমীনের ন্যায় জ্বালাও পােড়াও-এর পন্থা অবলম্বন করল এবং সমগ্র বাগদাদ ধ্বংস হওয়ার উপক্রম
হল ৷ এ পরিস্থিতির বিবরণে কেউ কেউ বলেছেন : (কবিতা)

৷ ৷টু৷ ;,;

০ষ্ষ্


র্দু,১১ ৷প্রু;হ্র

“হে বাগদাদ ! কে তোমাকে বদ নজর দিয়ে আক্রান্ত করল ? যুগ যুগ ধরে কি তুমি চোখের
শীতলতা ছিলে না ? তোমার এখানে কি একটি সম্প্রদায়ের অবস্থান ছিল না ৷ যাদের নিবাস ও
সান্নিধ্য ছিল সৌন্দর্য ও শোভা ৷ (কুলক্ষণে) কাক তাদের মাঝে বিচ্ছেদের আওয়ায তুলল, ফলে
তারা বিভক্ত হয়ে গেল ৷ কেমন দেখলে তুমি তাদের বিভক্তির মর্মবেদনা ৷ আমি আল্লাহর সোপর্দ
করছি যে লোকদের, যাদের কথা মনে পড়লেই আমার দু’চােখ গডি য়ে অশ্রু প্রবাহিত হয় ৷ তারা
ছিল সুখে আনন্দে কাল তাদের বিভক্ত ও বিক্ষিপ্ত করে দিল ৷ কালচক্রের কাজই হচ্ছে ইে দলকে
বিভক্ত-বিচ্ছিন্ন করা ৷ ”

কবিপণ এ বিষয়ে বহু কবিতা রচনা করলেন ৷ ইবন আবীর সে সব কবিতার নির্বাচিত অংশ
সংকলিত করেছেন ৷ এ প্রসংগে তিনি অতি দীর্ঘ একটি কবিতাও উদ্ধৃত করেছেন যাতে
ঘটনাবলীর আনুপুর্বিক বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপিত হয়েছে ৷ বিষয়টি মুলত এক ভয়ংকর প্ৰলয়ের
বিবরণ ৷ আমি যা সম্পুর্ণই পরিহার করলাম ৷

এ সময় তাহির বাগদাদের অড়ামীর-উমারা ও অন্যান্য ধনীদের যাবতীয় সম্পদ ও আমদানীর
উপর দখলদাবী প্রতিষ্ঠা করে তাদের নিরাপত্তা ও মামুনের হাতে বায়আতের আহ্বান জানাল ৷
এতে তাদের সকলেই সাড়া দিল ৷ এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন হুমায়দ ইবন
কাহ্তাবা, ইয়াহ্য়া ইবন আলী ইবন মড়াহান ৷ মুহাম্মদ ইবন আবুল আব্বাস তুসী প্রমুখ ৷ হাশিমী ও
অন্যান্য আমীরদের অনেকে তার সংগে পত্র আদান-প্রদান করল এবং আন্তরিকভাবে তার পক্ষ
অবলম্বন করল ৷

ধ্ষ্ ’


صَاحَ الْغُرَابُ بِهِمْ بِالْبَيْنِ فَافْتَرَقُوا مَاذَا لَقِيتِ بِهِمْ مِنْ لَوْعَةِ الْبَيْنِ ... أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ قَوْماً مَا ذَكَرْتُهُمْ إِلَّا تَحَدَّرَ مَاءُ الْعَيْنِ مِنْ عَيْنِي ... كَانُوا فَمَزَّقَهُمْ دَهْرٌ وَصَدَّعَهُمْ وَالدَّهْرُ يَصْدَعُ مَا بَيْنَ الْفَرِيقَيْنِ وَقَدْ أَكْثَرَ الشُّعَرَاءُ فِي ذَلِكَ، وَقَدْ أَوْرَدَ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ مِنْ ذَلِكَ طَرَفًا صَالِحًا، وَأَوْرَدَ فِي ذَلِكَ قَصِيدَةً طَوِيلَةً جِدًّا لِبَعْضِ أَهْلِ ذَلِكَ الزَّمَانِ، فِيهَا بَسْطُ مَا وَقَعَ، وَهِيَ هَوْلٌ مِنَ الْأَهْوَالِ اخْتَصَرْنَاهَا بِالْكُلِّيَّةِ. وَاسْتَحْوَذَ طَاهِرٌ عَلَى مَا كَانَ فِي الضِّيَاعِ مِنَ الْغَلَّاتِ وَالْحَوَاصِلِ لِلْأُمَرَاءِ وَغَيْرِهِمْ، وَدَعَاهُمْ إِلَى الْأَمَانِ، وَخَلْعِ الْأَمِينِ، وَالْبَيْعَةِ لِلْمَأْمُونِ، فَاسْتَجَابَ لَهُ جَمَاعَةٌ؛ مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ قَحْطَبَةَ، وَيَحْيَى بْنُ عَلِيِّ بْنِ مَاهَانَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْعَبَّاسِ الطُّوسِيُّ، وَكَاتَبَهُ خَلْقٌ مِنَ الْهَاشِمِيِّينَ وَالْأُمَرَاءِ، وَصَارَتْ قُلُوبُهُمْ مَعَهُ. وَاتَّفَقَ فِي بَعْضِ الْأَيَّامِ أَنْ ظَفِرَ أَصْحَابُ الْأَمِينِ بِبَعْضِ أَصْحَابِ طَاهِرٍ، فَقَتَلُوا مِنْهُمْ طَائِفَةً عِنْدَ قَصْرِ صَالِحٍ، فَلَمَّا جَرَى ذَلِكَ بَطَرَ الْأَمِينُ، وَأَقْبَلَ عَلَى اللَّهْوِ وَالشُّرْبِ وَاللَّعِبِ، وَوَكَّلَ الْأُمُورَ، وَتَدْبِيرَهَا إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى بْنِ نَهِيكٍ، ثُمَّ قَوِيَتْ شَوْكَةُ أَصْحَابِ طَاهِرٍ وَضَعُفَ جَانِبُ الْأَمِينِ جِدًّا، وَانْحَازَ النَّاسُ إِلَى جَيْشِ طَاهِرٍ، وَكَانَ جَانِبُهُ آمِنًا جِدًّا، لَا يَخَافُ أَحَدٌ فِيهِ مِنْ سَرِقَةٍ وَلَا نَهْبٍ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৮৩৮৮
غَيْرِ ذَلِكَ، وَقَدِ احْتَازَ طَاهِرٌ أَكْثَرَ مَحَالِّ بَغْدَادَ وَأَرْبَاضِهَا، وَمَنَعَ الْمَلَّاحِينَ أَنْ يَحْمِلُوا طَعَامًا إِلَى مَنْ خَالَفَهُ، لِيُضَيِّقَ عَلَيْهِمْ، فَغَلَتِ الْأَسْعَارُ عِنْدَهُمْ جِدًّا، وَنَدِمَ مَنْ لَمْ يَكُنْ خَرَجَ مِنْ بَغْدَادَ قَبْلَ ذَلِكَ، وَمُنِعَتِ التُّجَّارُ مِنَ الْقُدُومِ إِلَى بَغْدَادَ بِشَيْءٍ مِنَ الْبَضَائِعِ أَوِ الدَّقِيقِ، وَصُرِفَتِ السُّفُنُ إِلَى الْبَصْرَةِ وَغَيْرِهَا، وَقَدْ جَرَتْ بَيْنَ الْفَرِيقَيْنِ حُرُوبٌ كَثِيرَةٌ؛ فَمِنْ ذَلِكَ وَقْعَةُ دَرْبِ الْحِجَارَةِ، كَانَتْ لِأَصْحَابِ مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ قُتِلَ فِيهَا خَلْقٌ مِنْ أَصْحَابِ طَاهِرٍ، كَانَ الرَّجُلُ مِنَ الْعَيَّارِينَ وَالْحَرَافِشَةُ مِنَ الْبَغَادِدَةِ يَأْتِي عُرْيَانًا، وَمَعَهُ بَارِيَّةٌ مُقَيَّرَةٌ، وَتَحْتَ كَتِفِهِ مِخْلَاةٌ فِيهَا حِجَارَةٌ، فَإِذَا ضَرَبَهُ الْفَارِسُ مِنْ بَعِيدٍ بِالسَّهْمِ اتَّقَاهُ بِبَارِيَّتِهِ فَلَا يُؤْذِيهِ، وَإِذَا اقْتَرَبَ مِنْهُ رَمَاهُ بِحَجَرٍ فِي الْمِقْلَاعِ فَأَصَابَهُ، فَهَزَمُوهُمْ بِذَلِكَ. وَوَقْعَةُ الشَّمَّاسِيَّةِ أُسِرَ فِيهَا هَرْثَمَةُ بْنُ أَعْيَنَ فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى طَاهِرٍ، وَأَمَرَ بِعَقْدِ جِسْرٍ عَلَى دِجْلَةَ فَوْقَ الشَّمَّاسِيَّةِ، وَعَبَرَ بِنَفْسِهِ، وَمَنْ مَعَهُ إِلَى الْجَانِبِ الْآخَرِ فَقَاتَلَهُمْ بِنَفْسِهِ أَشَدَّ الْقِتَالِ حَتَّى أَزَالَهُمْ عَنْ مَوَاضِعِهِمْ، وَاسْتَرَدَّ مِنْهُمْ هَرْثَمَةَ، وَجَمَاعَةً مِمَّنْ كَانُوا أَسَرُوهُمْ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ وَقَالَ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৮৩৮৯


ঘটনাচক্রে একদিন আমীনের লোকেরা তাহিরের কিছু লোককে নাগালে পেয়ে কসরে সালিহ
(সালিহ ভবন)-এর কাছে তাদের কিছু কিছু লোককে হত্যা করল ৷ আমীন এ সংবাদ অবগত হয়ে
আনন্দ ও গর্বে আত্মাহারা হয়ে ক্রীড়া, স্ফুর্তি ও পানে মত্ত হলেন এবং সব কাজের দায়িতু ও কর্তৃতৃ
মুহাম্মদ ইবন ঈসা ইবন নাহীকের কাছে ন্যস্ত করলেন ৷ পরে ক্রমান্বয়ে তাহিরের সহচরদের
প্রতিপত্তি সরল হতে থাকল এবং আমীনের পক্ষ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে গেল ৷ মানুষ তাহিরের
সেনাবাহিনীর দখলকৃত অঞ্চলে সমবেত হতে লাগল ৷ তার দখলীকৃত এলাকা অত্যন্ত নিরাপদ
ছিল ৷ সেখানে কেউ চুরি , লুটতরাজ ও অরাজকতার ভয় করত না ৷ তাহির বাগদাদের অধিকাংশ
মহল্লা, আবাসিক অঞ্চল ও শহরতলী দখল করে নিল এবং শত্রুপক্ষের দিকে কোন খাদ্য বহন
করে নিতে মাঝিদের নিষেধ করে দিল ৷ ফলে শত্রুপক্ষের এলাকায় খাদ্য দ্রব্যের মুল্য অত্যন্ত
চড়ে গেল এবং যারা ইতিপুর্বে বাগদাদ তাগ করেছিল তারা আক্ষেপ করতে লাগল ৷ বহিরাপত
ব্যবসায়ীদের পণদ্বেব্য ও অটো নিয়ে বাপদাদে যেতে নিষেধ করে দেয়া হল ৷ পণ্যবাহী সব নৌকা
বসরা ও অন্যান্য শহর অভিমুখে ঘুরিয়ে দেয়া হল ৷ দুই দলে মধ্যে অনেক যুদ্ধ হল ৷ এগুলোর
মধ্যে উল্লেখযেথ্যে যুদ্ধ ছিল দারবুল হিজারার ঘটনা, আমীনের পক্ষের ষোদ্ধারা যাতে অনুকুল
অবস্থানে ছিল এবং এতে তাহিরের দলে অনেক লোক নিহত হয়েছিল ৷ এটি ছিল একটি যুদ্ধের
কৌশল ৷ বাপদাদের বখাটে ভবঘুরেদের এক একজন উলংগ হয়ে এগিয়ে আসত ৷ তার সংগে
থাকত আলকাতরা পলিশ করা তীর চাঠেকাংনার চাটাই (এক প্রকার চলে) এবং র্কাধের নিচে
থাকত একটি ঝুড়ি যার মধ্যে থাকত একটি পাথর ৷ কোল ঘোড় সওয়ার দুর হতে তাকে তীর
নিক্ষেপ করলে সে তার তীর ঠেকানাের চাটাই (ঢাল) দিয়ে তা ঠেকিয়ে দিত ফলে তা তাকে
আঘাত করতে পারত না ৷ পরে প্রতিপক্ষ কাছাকাছি এলে (পাথর উৎক্ষেপক যন্ত্র দিয়ে) ঝুড়ির
ভিতরের পাথরটি তার দিকে নিক্ষেপ করত ৷ যা তাকে আক্রান্ত করত ৷ এভাবে তারা প্রতিপক্ষকে
পরাস্ত করল ৷

অপর একটি ঘটনা ছিল শামসিয়ার ঘটনা ৷ এ ঘটনায় হারছামা ইবন আয়ান বন্দী হল ৷ এসব
ঘটনা তাহিরের জন্য সংকট সৃষ্টি করলে সে শামাসিয়ার উপরিভাগে দজলা টোইগ্রিস) নদীতে
একটি পুল তৈরি করার আদেশ দিল ৷ তাইির নিজেই কিছু সংগী নিয়ে অপর পাড়ে পার হয়ে গেল
এবং নিজেই তাদের বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তাদের ঘীটি হতে তাদের হটিয়ে দিল এবং
হারছামাসহ তার বাহিনীর আরো অনেক বন্দীকে মুক্ত করে আনল ৷ এ পরিস্থিতি মুহাম্মদ
আল-আমীনের জন্য সংকট সৃষ্টি করল ৷ এ প্রসংগে করি বলেছেন-

এ ; শ্ শ্ এ ষ্ র্শ্বণ্ শ্ণ্

ভো

“দুই প্রজাতির মধ্যে সর্বাধিক সাহসী হৃদপিণ্ডধারীর সংগে আমি শক্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছি
; যখন সে শক্তিমত্তার সংগে আত্মপ্রকাশ করেছে ; স্বাভাবিক মাত্রার শক্তি প্রকাশ নয় ৷ যেকোন
শক্তিধরের সংগে তার রয়েছে প্রতিরোধ-প্রতিযোগিতা ; তার সংগে সমানে সমান চালিয়ে যায়


مُنِيتُ بِأَشْجَعِ الثَّقَلَيْنِ قَلْبًا ... إِذَا مَا طَالَ لَيْسَ كَمَا يَطُولُ لَهُ مَعَ كُلِّ ذِي بَدَنٍ رَقِيبٌ ... يُشَاهِدُهُ وَيَعْلَمُ مَا يَقُولُ فَلَيْسَ بِمُغْفِلٍ أَمْرًا عِنَادًا ... إِذَا مَا الْأَمْرُ ضَيَّعَهُ الْغُفُولُ وَضَعُفَ أَمْرُ مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ ابْنِ زُبَيْدَةَ جِدًّا، وَلَمْ يَبْقَ عِنْدَهُ مَالٌ يُنْفِقُهُ عَلَى جُنْدِهِ، وَلَا عَلَى نَفْسِهِ، وَتَفَرَّقَ أَكْثَرُ أَصْحَابِهِ عَنْهُ، وَبَقِيَ مُضْطَهَدًا ذَلِيلًا. وَانْقَضَتْ هَذِهِ السَّنَةُ بِكَمَالِهَا وَالنَّاسُ فِي بَغْدَادَ فِي قَلَاقِلَ وَزَلَازِلَ وَهَيْشَاتٍ وَقِتَالٍ وَحِصَارٍ وَحَرْقٍ وَغَرَقٍ وَسَرَقٍ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُوسَى بْنِ عِيسَى الْهَاشِمِيُّ، وَدَعَا لِلْمَأْمُونِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ السَّادَةِ الْأَعْيَانِ: شُعَيْبُ بْنُ حَرْبٍ، أَحَدُ الزُّهَّادِ.
পৃষ্ঠা - ৮৩৯০
وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، إِمَامُ أَهْلِ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ. وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُسْهِرٍ، قَاضِي جَبُّلٍ، أَخُو عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ. وَعُثْمَانُ بْنُ سَعِيدٍ، أَبُو سَعِيدٍ، الْمُلَقَّبُ بِوَرْشٍ، أَحَدُ الْقُرَّاءِ الْمَشْهُورِينَ الرُّوَاةُ عَنْ نَافِعِ بْنِ أَبِي نُعَيْمٍ. وَوَكِيعُ بْنُ الْجَرَّاحِ الرُّؤَاسِيُّ، أَحَدُ أَعْلَامِ الْمُحَدِّثِينَ، مَاتَ عَنْ سِتٍّ وَسِتِّينَ سَنَةً.