আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست وتسعين ومائة

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৮৩৮৪


অবরোধ করলেন এবং আমীনের বাহিনীর মধ্যে বিশৃৎখলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা দল ও গোপন
দুত পাঠালেন, ৷ এতে খলীফার বাহিনী বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেল ৷ পরে বাহিনীর মধ্যে বিরোধ
দেখা দিল এবং নবীণ-প্রবীণের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে গেল ৷ অবশেষে যিলহাংজ্জর ছয় তারিখে
আযীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংঘটিত হল ৷ এ প্রসংগে জ্যনক বাগদাদী করি বললেন :

ৰু১এেপ্রু

;ও
“ (খলীফা) আমীনুল্লাহ্কে বলে দাও তার সম্পর্কে, গালিয়া ব্যতীত সেনাবাহিনীর মাঝে তৃ
কিছুই বণ্টন করনি ৷ আর তাহির, আমার সত্তা তাহিরের জন্য উৎসর্ণীত হোক তার দুত ও যথার্থ
প্রতিশ্রুতি দ্বারা বিদ্রোহী দলের সংব্গ যুদ্ধ করে রাজত্বের লাগান তার হস্তগত হয়েছে ৷ হে ওয়াদা
ভত্গকারী ! যার ওয়াদা ভহুগ করা তাকে অসহায় করে দিয়েছে ৷ যার অপকর্মজনিত দােষসমুহ
স্বপ্ৰকাশ ৷ সিংহ এসেছে তোমার দিকে তার সব শক্তিমত্তা নিয়ে ; হিংস্রতার সংগেআক্রমণকারী
সিংহের ন্যায় হুৎকার ছেড়ে ৷ সুতরাং পালিয়ে যাও কিন্তু তার মত দুর্ধর্যের কাছ হতে পালাবার
স্থান আছে শুধু জাহান্নামে কিংবা হাবিয়া’ দোযখে ৷”
মােটকথা , আমীনের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে গেল এবং তিনি কিত্কর্ত্যৰ্ব্রুবিমুঢ় হয়ে গেলেন ৷
তাহির ইবনুল হুসায়ন তার বাহিনীসহ অগ্রগামী হল এবং যিল্হাংজ্জর বার তারিখে মংগলবার আল-
আম্বারের তােরণে পৌছে গেল ৷ নগরবাসীদের জীবনযাত্রা সংকটাপন্ন হয়ে গেল ৷ সন্ত্রড়াসী ও
দাৎগাবাজ লোকেরা ভাল মানুষদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলল ৷ বাড়ি-ঘর ধ্বংস হল , জনতার মধ্যে
দাত্গা ৷ৎপামা ছড়িয়ে পড়ল ৷ এমনকি ভাই ভাইকে, পুত্র পিতাকে স্বার্থান্ধতার কারণে আঘাত

করতে লাগল ৷ চরম অরাজকতার বিস্তার ঘটল ৷ সমগ্র জনতার মধ্যে স্বার্থ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ল
এবং নগর জুড়ে খুন-খারাবী ও হানাহানি চলতে লাগল ৷

এ বছর তাহিরের পক্ষ হতে নিয়োজিত আব্বাস ইবন মুসা ইবন ঈসা হাশিমী মানুষের হবুজ্জা

নেতুহু দিলেন ৷ তিনি মক্কা ও মদীনায় মামুনের খিলাফতের জন্য দৃআ করলেন ৷ এটি ছিল প্রথম
হভৈজ্জর মওসুম যাতে মড়ামুনের জন্য দৃআ করা হল ৷

এ বছর হিমসবাসীদের বরেণ্য ইমাম, ফকীহ্ ও মুহাদ্দিস বাকিয়্যা ইবনুল ও য়ালীদ হিমসী
ইনতিকাল করেন ৷ এ বছরে মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্টদের তালিকায় আরো রয়েছেন-

কাষী হাফ্স ইবন গিয়াছ
ইনি নব্বই বছরের অধিক জীবন লাভ করেন ৷ তার মৃত্যু সন্নিকট হলে তার কোন সহচর


النَّبَوِيَّةِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَوْسِمٍ دُعِيَ فِيهِ لِلْمَأْمُونِ بِالْخِلَافَةِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ: بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ الْحِمْصِيُّ، إِمَامُ أَهْلِ حِمْصَ وَفَقِيهُهَا وَمُحَدِّثُهَا. وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ الْقَاضِي، عَاشَ فَوْقَ التِّسْعِينَ، وَلَمَّا احْتُضِرَ بَكَى بَعْضُ أَصْحَابِهِ، فَقَالَ لَهُ: لَا تَبْكِ، وَاللَّهِ مَا حَلَلْتُ سَرَاوِيلِي عَلَى حَرَامٍ قَطُّ، وَلَا جَلَسَ بَيْنَ يَدَيَّ خَصْمَانِ فَبَالَيْتُ عَلَى مَنْ وَقَعَ الْحُكْمُ مِنْهُمَا. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَرْزُوقٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الزَّاهِدُ، كَانَ وَزِيرًا لِلرَّشِيدِ فَتَرَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَتَزَهَّدَ، وَأَوْصَى عِنْدَ مَوْتِهِ أَنْ يُطْرَحَ قَبْلَ مَوْتِهِ عَلَى مَزْبَلَةٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَرْحَمَهُ. أَبُو شِيصٍ الشَّاعِرُ مُحَمَّدُ بْنُ رَزِينِ بْنِ سُلَيْمَانَ، كَانَ إِنْشَادُ الشِّعْرِ وَإِنْشَاؤُهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৩৮৫
وَنَظْمُهُ أَسْهَلَ عَلَيْهِ مِنْ شُرْبِ الْمَاءِ، وَكَانَ هُوَ وَمُسْلِمُ بْنُ الْوَلِيدِ الْمُلَقَّبُ صَرِيعَ الْغَوَانِي وَأَبُو نُوَاسٍ، وَدِعْبِلٌ يَجْتَمِعُونَ وَيَتَنَاشَدُونَ. وَقَدْ عَمِيَ أَبُو الشِّيصِ فِي آخِرِ عُمُرِهِ. وَمِنْ جَيِّدِ شِعْرِهِ قَوْلُهُ: وَقَفَ الْهَوَى بِي حَيْثُ أَنْتِ ... فَلَيْسَ لِي مُتَأَخَّرٌ عَنْهُ وَلَا مُتَقَدَّمُ أَجِدُ الْمَلَامَةَ فِي هَوَاكِ لَذِيذَةً ... حُبًّا لِذِكْرِكِ فَلْيَلُمْنِي اللُّوَّمُ أَشْبَهْتِ أَعْدَائِي فَصِرْتُ أُحِبُّهُمْ ... إِذْ كَانَ حَظِّي مِنْكِ حَظِّي مِنْهُمُ وأَهَنْتِنِي فَأَهَنْتُ نَفْسِي صَاغِرًا ... مَا مَنْ يَهُونُ عَلَيْكِ مِمَّنْ يُكْرَمُ