আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست وتسعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮৩৭৯




০০ ৷৪া৷ ৷$

৪০৮ আলবিদায়া ওয়ান নিহ্ায়া

হাদিয়৷ করলেন ৷ আমিও তাদের সমষ্টির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলাম এবং আল্লাহ আমাকেও মা ফ করে
দিলেন ৷

ইবন খাল্লিকান বলেছেন, আবু উসামা ওয়ালিব৷ ইবনুল হুবাবের সংসর্গে অবস্থানকালে আবু
নুওয়াসের রচিত প্রথম কবিতা ছিল-

: শ্ শ্ ষ্ ব্লু — !
আে
প্রেমাসক্তির বোঝা বহনকারী ক্লান্ত, মত্তত৷ তাকে হেয় প্রতিপন্ন করে ৷ সে কীদলে তা তার

জন্য যথার্থই ; তার অবস্থা অবাস্তব ক্রী ৷ শ নয় ৷ তুমি হাসছ কুর্তিতে ৷ আর প্রেমিক চিৎকার করছে

(বেদনায়) ; আমার কোন ব্যাধিতে তোমার বিস্ময় জাগে, (অথচ) আমার সুন্থত ই হল পরম
বিম্ময় ৷

মামুন বলেছেন, তার এ কবিতা ক৩ ই সুন্দর ( পুবে উল্লিখিত)



ইবন খাল্লিকান বলেছেন, পালনক৩ ৷র প্ৰতিল্ডার সীমাহীন আশার প্রমাণ পাওয়া যায় ৩ যে এ
কবিতা ৷য়

! : শ্ # শ্ : শ্ শ্ ব্লু শ্ শ্
ধ্)ষ্ব্লুছু ৮ন্ণ্ )

তোমার যত সমর্থ হয় পাপের বোঝা বহন কর,

১৯৬ হিজরীর আগমন

এ বছর হাদীস শারুস্ত্রর প্রখ্যাত বরেণ্য মা,শা ৷ইখের অন্যতম আবু মুআবিয়৷ আয্যারীর এবং
আওযাঈর শাগরিদ ওয়ালীদ ইবন মুসলিম দ ৷মিশকী ইনতিকা ৷ল করেন ৷ এ বছর আমীন আসাদ
ইবন ইয়াযীদকে বন্দী করেন ৷ কারণ, তিনি সৎকটপুর্ণ সময়ও আমীনের ক্রীড়ামত্ততা,
জনসাধারণের ব্যাপারে অমনোযোগ এবং গ্রিকা৷র ইত্যাদিতে নিমগ্নতার ব্যাপারে তা তীব্র
সমালোচনা করেছিলেন ৷ প্

এ বছরই খলীফ৷ আমীন আহমদ ইবন ইয়াযীদ ও আবদুল্লাহ ইবন হুমায়দ ইবন কাহ্তাবাকে
চল্লিশ হাজার সৈন্য সহকারে মামুনের পক্ষে নিযুক্ত, তাহির ইবনুল হুসায়নের সংগে যুদ্ধ করার জন্য
হুলওয়ান অভিমুখে প্রেরণ করেন ৷ এ বাহিনী হুলওয়৷ নের কাছাকা ৷ছি পৌছলে৩ ৷হির তার বা ৷হিনীর
সুরক্ষার জন্য পরিখ৷ খনন করেন এবং প্ৰতিপক্ষের দুই সেনাপতির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির কুট-
কৌশল চালাতে থাকেন ৷ এতে সফলতা দেখা দেয় এবং তারা মতবিরোধে লিপ্ত হয়ে যুদ্ধ না


[سَنَةُ سِتٍّ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ فِيهَا حَبَسَ مُحَمَّدٌ الْأَمِينُ أَسَدَ بْنَ يَزِيدَ؛ لِأَجْلِ أَنَّهُ نَقَمَ عَلَى الْأَمِينِ لَعِبَهُ وَتَهَاوُنَهُ فِي أَمْرِ الرَّعِيَّةِ، وَارْتِكَابَهُ اللَّعِبَ وَالصَّيْدَ فِي هَذَا الْوَقْتِ. وَوَجَّهَ الْأَمِينُ أَحْمَدَ بْنَ مَزْيَدَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُمَيْدِ بْنِ قَحْطَبَةَ فِي أَرْبَعِينَ أَلْفًا مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عِشْرُونَ أَلْفًا إِلَى حُلْوَانَ لِقِتَالِ طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ أَمِيرِ الْحَرْبِ مِنْ جِهَةِ الْمَأْمُونِ فَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى قَرِيبٍ مِنْ حُلْوَانَ خَنْدَقَ طَاهِرٌ عَلَى جَيْشِهِ خَنْدَقًا، وَجَعَلَ يَعْمَلُ الْحِيلَةَ فِي إِيقَاعِ الْفِتْنَةِ بَيْنَ الْأَمِيرَيْنِ، فَاخْتَلَفَا فَرَجَعَا وَلَمْ يُقَاتِلَاهُ، وَدَخَلَ طَاهِرٌ إِلَى حُلْوَانَ وَجَاءَهُ كِتَابُ الْمَأْمُونِ بِتَسْلِيمِ مَا تَحْتَ يَدِهِ إِلَى هَرْثَمَةَ بْنِ أَعْيَنَ، وَأَنْ يَتَوَجَّهَ هُوَ إِلَى الْأَهْوَازِ، فَفَعَلَ ذَلِكَ. وَفِيهَا رَفَعَ الْمَأْمُونُ مَنْزِلَةَ الْفَضْلِ بْنِ سَهْلٍ وَلَّاهُ أَعْمَالًا كِبَارًا، وَسَمَّاهُ ذَا الرِّيَاسَتَيْنِ. وَفِيهَا وَلَّى الْأَمِينُ نِيَابَةَ الشَّامِ لِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ صَالِحِ بْنِ عَلِيٍّ وَقَدْ كَانَ أَخْرَجَهُ مِنْ سِجْنِ الرَّشِيدِ وَأَمَرَهُ أَنْ يَبْعَثَ لَهُ رِجَالًا وَجُنُودًا لِقِتَالِ طَاهِرٍ وهَرْثَمَةَ، فَلَمَّا وَصَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ صَالِحٍ إِلَى الرَّقَّةِ أَقَامَ بِهَا، وَكَتَبَ إِلَى رُؤَسَاءِ الشَّامِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৮০


করেই ফিরে চলে যায় ৷ এ সময় তা ৷হিরহুলওয়ানে প্রবেশ করেন ৷ তখন তার কাছে মামুনের পত্র
আসে এ মর্মে যে, তুমি তোমার কর্তৃতুাধীন অঞ্চল হায়ছামা ইবন আয়ানকে সমর্পণশ্ করে
আহওয়াযে চলে এস ৷ তাহির এ হুকুম প্রতিপালন করেন ৷

এ বছর মামুন তার উযীর ফাযল ইবন সাহ্লকে উন্নতি প্রদান করে তাকে বড় বড় কাজের
দায়িত্বে নিযুক্ত করেন এবং যুর-রিয়াসাতায়ন’ (দুই রাজত্বের অধিকারী) খিতাবে ভুষিত করেন ৷
এ বছর আমীন শামের শাসনকর্তৃত্বে আবদুল মালিক ইবন সালিহ ইবন আলীকে নিযুক্ত করেন,
যাকে তিনি হারুনুর রশীদ প্রদত্ত কারাবাস হতে মুক্তি দিয়েছিলেন ৷ তাকে তাহির ও হারছামার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য সেনাবাহিনী সরবরাহ করার আদেশ দেন ৷ আবদুল মালিক রাক্কায়
পৌছে সেখানে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং নামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে মনোরঞ্জন ও
সৌহার্দমুলক পত্র পাঠিয়ে তাদের আনুগত্যের প্রতি আহ্বান করেন ৷ এতে ততাদের বিপুল স খ্যক
লোক তার কাছে সমবেত হয় ৷ পরে জনতার মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় ৷ যার সুচনা হয়েছিল
হিসমবাসীদের মধ্যে ৷ সংকট ঘনীভুত হয় এবং যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদী রুপ ধারণ করে ৷ এতে আবদুল
মালিক ইবন সালিহ মৃত্যুবরণ করলে বাহিনী হুসায়ন ইবন আলী ইবন মাহানের পরিচালনায়
বাগদাদে প্রত্যাবর্তন করে ৷ বাগদাদরাসীরা তাকে সসম্মানে স্বাগতম জানায় ৷ এ ছিল এ বছরের
রজব মাসের ঘটনা ৷ হুসায়ন বাগদাদে পৌছলে আমীন দুতের মা ধ্যমে তাকে তলব করলে তিনি
বললেন, “আল্লাহর কসম! আমি তো দরবারের গাল্পিকও নই, তাড়ও নই; আমি তার দ্বারা
নিয়োজিতও নই এবং আমার হাতে রঞ্জীয় সম্পদ ও সংগৃহীত হয়নি ৷ সুতরাং এ রাতে আমাকে
তলব করার মতলব কী ?

আমীনের উৎখাত ও ভাই মামুনের খিলাফতের মসনদাসীন হওয়ার বিবরণ
আমীনের তলবী ফরমান সত্বেও হুসায়ন ইবন আলী ইবন মাহান সকালে খলীফ৷ র দরবারে
হাযির হলেন না ৷ এটি ছিল তার নাম হতে প্রত্যাবর্তনের পরের ঘটনা ৷ ববং সকালে তিনি
জনতার সামনে ভাষণ দিলেন এবং জনতাকে আমীনের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করলেন ৷ তিনি
খলীফার থেলাধুলায় নিমগ্নত৷ ও ক্রীড়ামত্ততাসহ বিভিন্ন পাপাচারে নিমজ্জিত থাকার উল্লেখ করে
বললেন, এই যার অবস্থা খিলাফত তার জন্য সংগত নয় ৷ তিনি বললেন, সে তো জনতাকে
ৎঘাতের মুখে ঠেলে দিতে চায় ৷ পরে তিনি জনতাকে তার বিরুদ্ধে করতে উদ্বুদ্ধ করলেন এবং
তাদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানালেন ৷ এতে বিশাল জনতা তার আশপাশে সমবেত হল ৷
অপরদিকে মুহাম্মদ আ ল আমীন তাকে দমন করার জন্য অশ্বারোহী বাহিনী প৷ ৷ঠ৷ ৷লে দিনের দীর্ঘক্ষণ
দুইদল যুদ্ধে লিপ্ত রইল ৷ পরে হুসায়নত তার ৷বাহিনীকে পদ৷ ৷তিক অবস্থায় তরবারি-বল্লম দ্বারা যুদ্ধ
করার আদেশ দিলেন ৷ এতে আমীনের বাহিনী পরাস্ত হল ৷ আমীনকে মসনদচ্যুত করেত রে ভাই
আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে বায়আত গ্রহণ করা হল ৷ এটি ছিল এ বছরের রজব মাসের এপার
তারিখ রবিবারের ঘটনা ৷ মংগলবার আমীনকেত ৷র (খিলাফত) ভবন ত্যাগ করে মধ্য বাগদাদে
আবু জা ফরের ভবনে স্থান৷ ভরে বাধ্য করা হল এবং ৎকীর্ণ পরিসরে বন্দী করে রাখা হল এবং
তার জীবনযাত্রা সংকটাপন্ন করা হল ৷ আব্বাস ইবন ঈসা ইবন মুসা আমীনের মাতা যুবায়দাকে ও
সেখানে স্থানা স্তরের আদেশ ৷দিল ৷ তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলে তাকে চাবুক দ্বারা প্রহার করে
জবরদস্তি স্থানান্তরিত হতে বাধ্য করল ৷ যুবায়দাত তার সন্তানদের নিয়ে স্থান নাম্ভরিত হলেন ৷

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড)-৫২


يَتَأَلَّفُهُمْ وَيَدْعُوهُمْ إِلَى الطَّاعَةِ، فَقَدِمَ عَلَيْهِ مِنْهُمْ خَلْقٌ كَثِيرٌ، ثُمَّ وَقَعَتْ حُرُوبٌ كَانَ مَبْدَؤُهَا مِنْ أَهْلِ حِمْصَ وَتَفَاقَمَ الْأَمْرُ وَطَالَ الْقِتَالُ بَيْنَ النَّاسِ، وَمَاتَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ صَالِحٍ هُنَالِكَ، فَرَجَعَ الْجَيْشُ إِلَى بَغْدَادَ صُحْبَةَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عِيسَى بْنِ مَاهَانَ، فَتَلَقَّاهُ أَهْلُ بَغْدَادَ بِالْإِكْرَامِ وَالِاحْتِرَامِ، وَذَلِكَ فِي شَهْرِ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. فَلَمَّا وَصَلَ إِلَيْهَا جَاءَهُ رَسُولُ الْأَمِينِ يَطْلُبُهُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا أَنَا بِمُسَامِرٍ وَلَا مُضْحِكٍ، وَلَا وَلِيتُ لَهُ عَمَلًا وَلَا جَاءَ لَهُ عَلَى يَدَيَّ مَالٌ، فَلِأَيِّ شَيْءٍ يُرِيدُنِي فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ؟ [سَبَبُ خَلْعِ مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ] ذِكْرُ سَبَبِ خَلْعِ مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ وَكَيْفَ أَفْضَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى أَخِيهِ الْمَأْمُونِ لَمَّا أَصْبَحَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عِيسَى بْنِ مَاهَانَ وَلَمْ يَذْهَبْ إِلَى الْأَمِينِ لَمَّا طَلَبَهُ، وَذَلِكَ بَعْدَ مَقْدَمِهِ بِالْجَيْشِ مِنْ الرَّقَّةِ قَامَ فِي النَّاسِ خَطِيبًا وَأَلَّبَهُمْ عَلَى الْأَمِينِ، وَذَكَرَ لَعِبَهُ وَمَا يَتَعَاطَاهُ مِنَ اللَّهْوِ وَغَيْرِ ذَلِكَ مِنَ الْمَعَاصِي، وَأَنَّهُ لَا تَصْلُحُ الْخِلَافَةُ لِمَنْ هَذَا حَالُهُ، وَأَنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يُوقِعَ الْبَأْسَ بَيْنَ النَّاسِ، ثُمَّ حَثَّهُمْ عَلَى الْقِيَامِ عَلَيْهِ وَالنُّهُوضِ إِلَيْهِ، وَنَدَبَهُمْ لِذَلِكَ، فَالْتَفَّ عَلَيْهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَبَعَثَ مُحَمَّدٌ الْأَمِينُ إِلَيْهِ خَيْلًا، فَاقْتَتَلُوا مَلِيًّا مِنَ النَّهَارِ، فَأَمَرَ الْحُسَيْنُ
পৃষ্ঠা - ৮৩৮১
أَصْحَابَهُ أَنْ يَتَرَجَّلُوا إِلَى الْأَرْضِ وَأَنْ يُقَاتِلُوا بِالسُّيُوفِ وَالرِّمَاحِ، فَانْهَزَمَ جَيْشُ الْأَمِينِ، وَخَلَعَ مُحَمَّدًا الْأَمِينَ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْأَحَدِ الْحَادِي عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَأَخَذَ الْبَيْعَةَ مِنَ الْغَدِ لِعَبْدِ اللَّهِ الْمَأْمُونِ وَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الثُّلَاثَاءِ نَقَلَ الْأَمِينَ مِنْ قَصْرِهِ إِلَى قَصْرِ أَبِي جَعْفَرٍ وَسَطَ بَغْدَادَ وَضَيَّقَ عَلَيْهِ وَقَيَّدَهُ وَاضْطَهَدَهُ، وَأَمَرَ الْعَبَّاسُ بْنُ مُوسَى بْنِ عِيسَى أُمَّهُ زُبَيْدَةَ أَنْ تَنْتَقِلَ إِلَى هُنَالِكَ فَامْتَنَعَتْ فَقَنَّعَهَا بِالسَّوْطِ، وَقَهَرَهَا عَلَى الِانْتِقَالِ، فَانْتَقَلَتْ مَعَ أَوْلَادِهَا، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ طَلَبُوا مِنَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ أُعْطِيَاتِهِمْ وَاخْتَلَفُوا عَلَيْهِ، وَصَارَ أَهْلُ بَغْدَادَ فِرْقَتَيْنِ؛ فِرْقَةً مَعَ الْخَلِيفَةِ وَفِرْقَةً عَلَيْهِ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا فَغَلَبَ حِزْبُ الْخَلِيفَةِ أُولَئِكَ، وَأَسَرُوا الْحُسَيْنَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ عِيسَى بْنِ مَاهَانَ وَقَيَّدُوهُ، وَدَخَلُوا بِهِ عَلَى الْخَلِيفَةِ، فَفَكُّوا عَنْهُ قُيُودَهُ، وَأَجْلَسُوهُ عَلَى السَّرِيرِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ أَمَرَ الْخَلِيفَةُ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ سِلَاحٌ مِنَ الْعَامَّةِ أَنْ يُعْطَى سِلَاحًا مِنَ الْخَزَائِنِ، فَانْتَهَبَ النَّاسُ خَزَائِنَ السِّلَاحِ بِسَبَبِ ذَلِكَ، وَأُتِيَ الْأَمِينُ بِالْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عِيسَى، فَلَامَهُ عَلَى مَا صَدَرَ مِنْهُ فَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ بِأَنَّ عَفْوَ الْخَلِيفَةِ حَمَلَهُ عَلَى ذَلِكَ، فَعَفَا عَنْهُ، وَخَلَعَ عَلَيْهِ، وَاسْتَوْزَرَهُ، وَأَعْطَاهُ الْخَاتَمَ، وَوَلَّاهُ مَا وَرَاءَ بَابِهِ، وَوَلَّاهُ الْحَرْبَ وَسَيَّرَهُ إِلَى حُلْوَانَ فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى الْجِسْرِ هَرَبَ فِي خَدَمِهِ وَحَاشِيَتِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْأَمِينُ مَنْ يَرُدُّهُ، فَرَكِبَتِ الْخُيُولُ وَرَاءَهُ فَأَدْرَكُوهُ، فَقَاتَلَهُمْ وَقَاتَلُوهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৩৮২


বুধবার সকালে লোকেরা হুসায়ন ইবন আলীর কাছে তাদের ভাতা দাবী করল এবং তার
গে বিরোধে লিপ্ত হল ৷ ফলে বাগদাদের বাসিন্দ বা দুই দলে বিভক্ত হল ৷ একদল খলীফা
আমীনের পক্ষে এবং একদল তার বিপক্ষে ৷ এ দুই দলে প্রচণ্ড যুদ্ধ বেধে গেল এবং তাতে
খলীফার দল বিজয়ী হল ৷৩ তারা হুসায়ন ইবন আলী ইবন ঈস৷ ইবন মাহানকে ষুদ্ধরন্দীরুপে
কারারুদ্ধ করল এবং তাকে হ্ালীফ৷ ৷র সামনে উপস্থিত করল ৷ খলীফ৷ কে ক ৷রামুক্ত করে তারা
তাকে পুনরায় মসনদাসীন করল ৷ এ সময় খলীফা সাধারণ মানুষের মধ্যে যাদের কাছে অস্ত্র ছিল
না তাদের সরকারী অস্ত্রতাওার হতে অস্ত্র সরবরাহের আদেশ দিলেন ৷ এ সুযোগে লোকেরা অস্ত্র
গুদামের ভাওার লুট করে নিল ৷ আমীনের হুকুমে হুসায়ন ইবন আ ৷লী ইবন ঈসাকে তার সামনে
হাজির করা হল ৷ তিনি তার কৃতকর্মের জন্য৩ তাকে তিরস্ক৷ ৷র করলে হুসায়ন বললেন, খলীফার
ক্ষমাপরায়ণতাই তাকে এরুপ করার দৃংসাহস যুগিয়েছে ৷ খলীফ৷ তাকে মাফ করে দিলেন এবং
তাকে খিলাতে (বিশেষ রাজকীয় পুরস্কারে) ভুষিত করে উষীর পদে নিয়োগ করলেন এবং তাকে
আ ৎটিব কর্তৃ তুও দরবার ফটকের বহিরাঞ্চলের কতৃতু প্রদান করলেন এবং যুদ্ধের কতৃৰুৎ নিয়োগ
করে হুনওয়ান অভিমুখে অভিযানে বেরিয়ে পড়া র আদেশ দিলেন ৷

হুসায়ন মিসর (পুল) অতিক্রম করার সময় তার একান্ত অনুগত সহচর ও খাদিমদের নিয়ে
পলায়ন করলেন ৷ আমীন তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য লোক পাঠ৷ ৷ল ৷ অশ্বারোহী দল তার পিছনে
ধাওয়৷ করল এবং তাকে নাপালে পেয়ে গেলে উভয় দল যুদ্ধে লিপ্ত হল ৷ খলীফ৷ ৷র বাহিনী তাকে
রজবের মাঝামাঝিতে হত্যা করল এবং তার কর্তিত মাথ৷ আমীনের কাছে নিয়ে এল ৷ লোকেরা
শুক্রবার আমীনের প্রতি তাদের রায়আতআ নুগতা নবায়ন করল ৷ হুসায়ন ইবন ঈস৷ নিহত হলে
হাজির (প্রধানমগ্রী) ফাযল ইবনুর রাবী পালিয়ে গেলেন ৷ অপরদিকে তাহির ইবনুল হুসায়ন
অধিকাৎশ অঞ্চলে মামুনের পক্ষে প্রাধান্য বিস্তার করে সেসব স্থানে প্রশাসক নিয়োগ করলে
অধিকাৎশ অঞ্চলের লোকেরা আমীনের বায়আত-আনুগত্য প্রত্যাখ্যান করে মামুনের বায়আত
গ্রহণ করল ৷ তাহির মাদায়িনের কাছে পৌছে ওয়াসিত ও সন্নিহিত অঞ্চলসহ মাদায়িন করতলগত
করল এবং হিজায, ইয়ামান, আ ল জা ৷যীর৷ ও মাওসিলে প্রভৃতি প্রদেশে ও মামুনের পক্ষে নায়িব

(প্রশাসক) নিয়োগ করল ৷ তখন ইসলামী সাম্রাজ্যের অল্প পরিমাণ এলাকাই আমীনের দখলে
অবশিষ্ট ছিল ৷

এ বছরের শাবান মাসে আমীন চারশ যুদ্ধপতাকা তৈরি করে প্রতি পতাকার জন্য একজন
সেনানায়ক নিযুক্ত করলেন এবং তাদের হারছামার স ৎগে যুদ্ধ করার জন্য পাঠালেন ৷ এ ইেদল
রমাযানে যুদ্ধে লিপ্ত হল ৷ হ ৷রছামা তাদের শক্তিখর্ব করে তাদের অথবা ৷হিনীর অধিনায়ক আ ৷লী ইবন
মুহাম্মদ ইবন ঈস৷ ইবন নাহীককে বন্দী করে মামুনের দরবারে পাঠিয়ে দিলেন ৷ অপরদিকে

তাহিরের বাহিনীর একটি দল পালিয়ে আমীনের কাছে পৌছলে আমীন তাদের বিপুল সম্পদ দান
করলেন এবং মর্যাদামণ্ডিত করলেন এবং সামান্য স্বরুপ তাদের দা ৷ড়ি গালিয়া’ (মুল্যবান সুগন্ধি)
দ্বারা আবৃত করলেন ৷ এ কারণে এ বাহিনী জায়শুল গালিয়া’ (পালিয়৷ বাহিনী) নামে অভিহিত
হয়েছিল ৷ পরে আমীন তাদের যুদ্ধাভিযানে উদ্বুদ্ধ করলেন এবং বিশাল বাহিনী দিয়ে তাহিরের
সংগে যুদ্ধ করার জন্য পাঠালেন ৷ তাহির এ বাহিনীকে পরাস্ত করে বিক্ষিপ্ত করে দিলেন এবং
তাদের সকল সম্পদ (অস্ত্র-শস্ত্র) হস্তগত করলেন ৷ তাহির ক্রমান্বয়ে বাগদাদের নিকটবর্তী হয়ে তা


فَقَتَلُوهُ لِمُنْتَصَفِ رَجَبٍ، وَجَاءُوا بِرَأْسِهِ إِلَى الْأَمِينِ، وَجَدَّدَ النَّاسُ بَيْعَةَ الْأَمِينِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ. وَلَمَّا قُتِلَ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عِيسَى هَرَبَ الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ الْحَاجِبُ، وَاسْتَحْوَذَ طَاهِرُ بْنُ الْحُسَيْنِ نَائِبُ الْمَأْمُونِ عَلَى أَكْثَرِ الْبِلَادِ، وَاسْتَنَابَ بِهَا النُّوَّابَ، مِنْ جِهَةِ الْمَأْمُونِ وَخَلَعَتْ أَكْثَرُ الْأَقَالِيمِ الْأَمِينَ، وَبَايَعُوا الْمَأْمُونَ وَتَدَنَّى طَاهِرٌ إِلَى الْمَدَائِنِ فَأَخَذَهَا مَعَ وَاسِطٍ وَأَعْمَالِهَا، وَاسْتَنَابَ مِنْ جِهَتِهِ عَلَى الْحِجَازِ وَالْيَمَنِ وَالْجَزِيرَةِ وَالْمَوْصِلِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَ الْأَمِينِ مِنَ الْبِلَادِ إِلَّا الْقَلِيلُ. وَفِي شَعْبَانَ مِنْهَا عَقَدَ مُحَمَّدٌ الْأَمِينُ أَرْبَعَمِائَةِ لِوَاءٍ، مَعَ كُلِّ لِوَاءٍ أَمِيرٌ، وَبَعَثَهُمْ لِقِتَالِ هَرْثَمَةَ بْنِ أَعْيَنَ فَالْتَقَوْا فِي شَهْرِ رَمَضَانَ فَكَسَرَهُمْ هَرْثَمَةُ، وَأَسَرَ مُقَدَّمَهُمْ عَلِيَّ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى بْنِ نَهِيكٍ، وَبَعَثَ بِهِ إِلَى الْمَأْمُونِ وَهَرَبَ جَمَاعَةٌ مِنْ جُنْدِ طَاهِرٍ، نَحْوٌ مِنْ خَمْسَةِ آلَافٍ، فَسَارُوا إِلَى الْأَمِينِ بِبَغْدَادَ فَأَعْطَاهُمْ أَمْوَالًا كَثِيرَةً، وَأَكْرَمَهُمْ وَغَلَّفَ لِحَاهُمْ بِالْغَالِيَةِ، فَسُمُّوا جَيْشَ الْغَالِيَةِ. ثُمَّ نَدَبَهُمُ الْأَمِينُ وَأَرْسَلَ مَعَهُمْ جَيْشًا كَثِيفًا لِقِتَالِ طَاهِرٍ فَهَزَمَهُمْ، وَفَرَّقَ شَمْلَهُمْ، وَأَخَذَ مَا كَانَ مَعَهُمْ. وَاقْتَرَبَ مِنْ بَغْدَادَ فَحَاصَرَهَا، وَبَعَثَ الْقُصَّادَ وَالْجَوَاسِيسَ يُلْقُونَ الْفِتْنَةَ بَيْنَ الْجُنْدِ حَتَّى تَفَرَّقُوا شِيَعًا، ثُمَّ وَقَعَ بَيْنَ الْجَيْشِ، وَسَعَتِ الْأَصَاغِرُ عَلَى الْأَكَابِرِ،
পৃষ্ঠা - ৮৩৮৩
وَاخْتَلَفُوا عَلَى الْأَمِينِ فِي سَادِسِ ذِي الْحِجَّةِ، فَقَالَ بَعْضُ الْبَغَادِدَةِ: قُلْ لِأَمِينِ اللَّهِ فِي نَفْسِهِ ... مَا شَتَّتَ الْجُنْدَ سِوَى الْغَالِيهْ وَطَاهِرٌ نَفْسِي تَقِي طَاهِرًا ... بِرُسْلِهِ وَالْعُدَّةِ الْكَافِيهْ أَضْحَى زِمَامُ الْمُلْكِ فِي كَفِّهِ ... مُقَاتِلًا لِلْفِئَةِ الْبَاغِيهْ يَا نَاكِثًا أَسْلَمَهُ نَكْثُهُ ... عُيُوبُهُ فِي جَيْشِهِ فَاشِيهْ قَدْ جَاءَكَ اللَّيْثُ بِشَدَّاتِهِ ... مُسْتَكْلِبًا فِي أُسُدٍ ضَارِيَهْ فَاهْرَبْ وَلَا مَهْرَبَ مِنْ مِثْلِهِ ... إِلَّا إِلَى النَّارِ أَوِ الْهَاوِيَهْ فَتَفَرَّقَ عَلَى الْأَمِينِ شَمْلُهُ، وَحَارَ فِي أَمْرِهِ، وَجَاءَ طَاهِرُ بْنُ الْحُسَيْنِ بِجُيُوشِهِ، فَنَزَلَ عَلَى بَابِ الْأَنْبَارِ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَاشْتَدَّ الْحَالُ عَلَى أَهْلِ الْبَلَدِ، وَأَخَذَتِ الدُّعَّارُ وَالشُّطَّارُ أَهْلَ الصَّلَاحِ، وَخُرِّبَتِ الدِّيَارُ، وَثَارَتِ الْفِتْنَةُ بَيْنَ النَّاسِ حَتَّى قَاتَلَ الْأَخُ أَخَاهُ، وَالِابْنُ أَبَاهُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْعَبَّاسُ بْنُ مُوسَى بْنِ عِيسَى بْنِ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْهَاشِمِيُّ، مِنْ قِبَلِ طَاهِرٍ، وَدَعَا لِلْمَأْمُونِ بِالْخِلَافَةِ بِمَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৮৪


অবরোধ করলেন এবং আমীনের বাহিনীর মধ্যে বিশৃৎখলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা দল ও গোপন
দুত পাঠালেন, ৷ এতে খলীফার বাহিনী বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেল ৷ পরে বাহিনীর মধ্যে বিরোধ
দেখা দিল এবং নবীণ-প্রবীণের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়ে গেল ৷ অবশেষে যিলহাংজ্জর ছয় তারিখে
আযীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ সংঘটিত হল ৷ এ প্রসংগে জ্যনক বাগদাদী করি বললেন :

ৰু১এেপ্রু

;ও
“ (খলীফা) আমীনুল্লাহ্কে বলে দাও তার সম্পর্কে, গালিয়া ব্যতীত সেনাবাহিনীর মাঝে তৃ
কিছুই বণ্টন করনি ৷ আর তাহির, আমার সত্তা তাহিরের জন্য উৎসর্ণীত হোক তার দুত ও যথার্থ
প্রতিশ্রুতি দ্বারা বিদ্রোহী দলের সংব্গ যুদ্ধ করে রাজত্বের লাগান তার হস্তগত হয়েছে ৷ হে ওয়াদা
ভত্গকারী ! যার ওয়াদা ভহুগ করা তাকে অসহায় করে দিয়েছে ৷ যার অপকর্মজনিত দােষসমুহ
স্বপ্ৰকাশ ৷ সিংহ এসেছে তোমার দিকে তার সব শক্তিমত্তা নিয়ে ; হিংস্রতার সংগেআক্রমণকারী
সিংহের ন্যায় হুৎকার ছেড়ে ৷ সুতরাং পালিয়ে যাও কিন্তু তার মত দুর্ধর্যের কাছ হতে পালাবার
স্থান আছে শুধু জাহান্নামে কিংবা হাবিয়া’ দোযখে ৷”
মােটকথা , আমীনের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়ে গেল এবং তিনি কিত্কর্ত্যৰ্ব্রুবিমুঢ় হয়ে গেলেন ৷
তাহির ইবনুল হুসায়ন তার বাহিনীসহ অগ্রগামী হল এবং যিল্হাংজ্জর বার তারিখে মংগলবার আল-
আম্বারের তােরণে পৌছে গেল ৷ নগরবাসীদের জীবনযাত্রা সংকটাপন্ন হয়ে গেল ৷ সন্ত্রড়াসী ও
দাৎগাবাজ লোকেরা ভাল মানুষদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলল ৷ বাড়ি-ঘর ধ্বংস হল , জনতার মধ্যে
দাত্গা ৷ৎপামা ছড়িয়ে পড়ল ৷ এমনকি ভাই ভাইকে, পুত্র পিতাকে স্বার্থান্ধতার কারণে আঘাত

করতে লাগল ৷ চরম অরাজকতার বিস্তার ঘটল ৷ সমগ্র জনতার মধ্যে স্বার্থ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ল
এবং নগর জুড়ে খুন-খারাবী ও হানাহানি চলতে লাগল ৷

এ বছর তাহিরের পক্ষ হতে নিয়োজিত আব্বাস ইবন মুসা ইবন ঈসা হাশিমী মানুষের হবুজ্জা

নেতুহু দিলেন ৷ তিনি মক্কা ও মদীনায় মামুনের খিলাফতের জন্য দৃআ করলেন ৷ এটি ছিল প্রথম
হভৈজ্জর মওসুম যাতে মড়ামুনের জন্য দৃআ করা হল ৷

এ বছর হিমসবাসীদের বরেণ্য ইমাম, ফকীহ্ ও মুহাদ্দিস বাকিয়্যা ইবনুল ও য়ালীদ হিমসী
ইনতিকাল করেন ৷ এ বছরে মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্টদের তালিকায় আরো রয়েছেন-

কাষী হাফ্স ইবন গিয়াছ
ইনি নব্বই বছরের অধিক জীবন লাভ করেন ৷ তার মৃত্যু সন্নিকট হলে তার কোন সহচর


النَّبَوِيَّةِ، وَهُوَ أَوَّلُ مَوْسِمٍ دُعِيَ فِيهِ لِلْمَأْمُونِ بِالْخِلَافَةِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ: بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ الْحِمْصِيُّ، إِمَامُ أَهْلِ حِمْصَ وَفَقِيهُهَا وَمُحَدِّثُهَا. وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ الْقَاضِي، عَاشَ فَوْقَ التِّسْعِينَ، وَلَمَّا احْتُضِرَ بَكَى بَعْضُ أَصْحَابِهِ، فَقَالَ لَهُ: لَا تَبْكِ، وَاللَّهِ مَا حَلَلْتُ سَرَاوِيلِي عَلَى حَرَامٍ قَطُّ، وَلَا جَلَسَ بَيْنَ يَدَيَّ خَصْمَانِ فَبَالَيْتُ عَلَى مَنْ وَقَعَ الْحُكْمُ مِنْهُمَا. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَرْزُوقٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الزَّاهِدُ، كَانَ وَزِيرًا لِلرَّشِيدِ فَتَرَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ، وَتَزَهَّدَ، وَأَوْصَى عِنْدَ مَوْتِهِ أَنْ يُطْرَحَ قَبْلَ مَوْتِهِ عَلَى مَزْبَلَةٍ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَرْحَمَهُ. أَبُو شِيصٍ الشَّاعِرُ مُحَمَّدُ بْنُ رَزِينِ بْنِ سُلَيْمَانَ، كَانَ إِنْشَادُ الشِّعْرِ وَإِنْشَاؤُهُ،
পৃষ্ঠা - ৮৩৮৫
وَنَظْمُهُ أَسْهَلَ عَلَيْهِ مِنْ شُرْبِ الْمَاءِ، وَكَانَ هُوَ وَمُسْلِمُ بْنُ الْوَلِيدِ الْمُلَقَّبُ صَرِيعَ الْغَوَانِي وَأَبُو نُوَاسٍ، وَدِعْبِلٌ يَجْتَمِعُونَ وَيَتَنَاشَدُونَ. وَقَدْ عَمِيَ أَبُو الشِّيصِ فِي آخِرِ عُمُرِهِ. وَمِنْ جَيِّدِ شِعْرِهِ قَوْلُهُ: وَقَفَ الْهَوَى بِي حَيْثُ أَنْتِ ... فَلَيْسَ لِي مُتَأَخَّرٌ عَنْهُ وَلَا مُتَقَدَّمُ أَجِدُ الْمَلَامَةَ فِي هَوَاكِ لَذِيذَةً ... حُبًّا لِذِكْرِكِ فَلْيَلُمْنِي اللُّوَّمُ أَشْبَهْتِ أَعْدَائِي فَصِرْتُ أُحِبُّهُمْ ... إِذْ كَانَ حَظِّي مِنْكِ حَظِّي مِنْهُمُ وأَهَنْتِنِي فَأَهَنْتُ نَفْسِي صَاغِرًا ... مَا مَنْ يَهُونُ عَلَيْكِ مِمَّنْ يُكْرَمُ