আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة خمس وتسعين ومائة

من توفي فيها من الأعيان

من توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৮৩৫৫


আলী ইবন ঈস৷ ইবন মাহানী কবযাই করেছিল ৷ এতে মামুন ও তার দলের লোকেরা আনন্দিত
হল ৷ এ দুঃসংবাদ যখন বাপদাদে আমীনের কাছে পৌছল তখন তিনি দজলায় মাছ শিকার
করছিলেন ৷ তিনি (সংবাদ বাহককে) বললেন, রেখে দাও ওসব ! কাওছার দু’টি মাছ শিকার
করেছে ৷ আমি এখনও একটি শিকার করতে পারলাম না ৷

বাগদ৷ দের ব ৷৷সিন্দ ৷রা আ ৷তৎকিত হল এবং এ ঘটনার বিভীষিক৷ র আশ্৷ ৎকায় ভীত হল মুহাম্মদ
আল-আমীন তার কৃতকর্ম অংগীকার ৩ ৎপ করা, ভইি মামুনকে বরখাস্ত করা এবং পরে সংঘটিত
ভয়ংকর ঘটনা ৷র কারণে অনুতপ্ত হলেন ৷ দুঃসংবাদ তার কাছে পৌছেছিল এ বছরের শাওয়াল
মাসে ৷ পরে তিনি বিশ হাজার যোদ্ধার বাহিনী দিয়ে আবদুর রহমান ইবন৷ জা বালা আয্বারীকে
হামদানে পাঠালেন তাহির ইবনুল হুসায়ন ইবন মুসআব ও তার অনুগামী খুরাসানবাসীদেৱ সংগে
যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ৷ এ বাহিনী প্রতিপক্ষের কাছাকাছি পৌছলে তারাও সামনের দিকে এগিয়ে
এল এবং উভয় প্রচণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হল ৷ যাতে উভয়পক্ষে বহু সংখ্যক সৈন্য নিহত হল ৷ শেষ দিকে
আবদুর রহমান ইবন জাবা ৷লার বাহিনী পরাস্ত হয়ে হামাদানে আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হল ৷৩ তাহির
সেখানে তাদের অবরোধ করে রাখল এবং অবশেষে তাদের সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসতে
বাধ্য করল ৷ তখন তাহির তাদের সংগে সন্ধিবদ্ধ হয়ে তাদের নিরাপত্তা দিল এবং বিশ্বস্ততার
আচরণ করল ৷ আবদুর রহমান ইবন জাবালা ও বাগদাদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষে ফিরে চলল ৷ কিংছু
পরে তাহিরের বাহিনীর সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের অসতর্কতার সুযোগে তাদের উপর
আক্রমণ পরিচালনা করল এবং তাদের বিশাল সংখ্যায় হত্যা করল ৷ তাহিরের বাহিনী দৃঢ়
অবস্থানের পরিচয় দিল এবং পরে তারা নিজেদের প্রস্তুত করে পাল্টা আক্রমণ চালাল এবং
প্রতিপক্ষকে পরাজিত করল ৷ এতে আবদুর রহমান ইবন জাবালা নিহত হলেন এবং তার বাহিনী
ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে গেল ৷ পরাস্ত বাহিনী বাপদাদে পৌছলে সেখানে অন্থিরত৷ ছড়িয়ে পড়ল এবং
বিভিন্ন ধরণের গুজবের বিস্তার ঘটল ৷ এসব ছিল এ বছরের জিলহজ্জ মাসের ঘটনা ৷ তাহির
কাঘৃবীন ও সংলগ্ন অঞ্চল হতে ন্ব ৩আমীনের শাসনকর্তাদের তাড়িয়ে দিলেন এবং এ সব অঞ্চলে
মামুনের কর্তৃত্ব অভ্যস্ত জোরদার হয়ে গেল ৷

এ বছরের যিলহারুজ্জই শামে আসৃসুফিয়ানীর বিদ্রোহের ঘটনা সংঘটিত হয় ৷ তার প্রকৃত নাম
আলী ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন খালিদ ইবন ইয়াযীদ ইবন মুআবিয়৷ ইবন আবু সুফিয়ান (বা) যে
শামের শাসনকর্তাকে সেখান হতে বিতাড়িত করে তার কর্তৃত্বের প্রতি ৩আহ্বান করে ৷ আসীন তার
বিরুদ্ধে বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু বাহিনী তার দিকে না গিয়ে বাক্কার অবস্থান গ্রহণ করে ৷
তার পরবর্তী অবস্থার ৷বিবরণ পরে উপস্থাপন করছি ৷ এ বছর লোকদের নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন
হিজাযের নায়িব দাউদ ইবন ঈসা ৷ এ বছর অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন ৷ এদের মধ্যে
রয়েছেন

ইসহ্াকইৰ্ন ইউসুফ আল-আযরাক
হাদীস শাস্তের অন্যতম ইমাম, আহমদ প্রমুখ তার কাছ হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বাক্কার ইবন আবদুল্লাহ
ইনি বাক্কার ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুসআব ইবন ছাবিত ইবন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (বা) ৷


بْنَ جَبَلَةَ وَفَرَّ أَصْحَابُهُ خَائِبِينَ. فَلَمَّا رَجَعُوا إِلَى بَغْدَادَ وَاضْطَرَبَتِ الْأُمُورُ، وَكَثُرَتِ الْأَرَاجِيفُ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَطَرَدَ طَاهِرٌ عُمَّالَ مُحَمَّدٍ الْأَمِينِ عَنْ قَزْوِينَ وَتِلْكَ النَّوَاحِي، وَقَوِيَ أَمْرُ الْمَأْمُونِ جِدًّا بِتِلْكَ الْبِلَادِ. وَفِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ ظَهَرَ أَمْرُ السُّفْيَانِيِّ بِالشَّامِ، وَاسْمُهُ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، فَعَزَلَ نَائِبَهَا، وَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْأَمِينُ جَيْشًا، فَلَمْ يَقْدَمُوا عَلَيْهِ بَلْ أَقَامُوا بِالرَّقَّةِ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا سَنَذْكُرُهُ بَعْدُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ نَائِبُ الْحِجَازِ دَاوُدُ بْنُ عِيسَى. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا كَانَتْ وَفَاةُ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَعْيَانِ مِنْهُمْ: إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الْأَزْرَقُ أَحَدُ أَئِمَّةِ الْحَدِيثِ رَوَى عَنْهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَغَيْرُهُ. بَكَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُصْعَبِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ وَكَانَ نَائِبَ الْمَدِينَةِ لِلرَّشِيدِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً وَأَشْهُرًا، وَقَدْ أَطْلَقَ الرَّشِيدُ عَلَى يَدَيْهِ لِأَهْلِهَا
পৃষ্ঠা - ৮৩৫৬

বার বছর এক মাস যাবত মদীনায় হ রুনুর রশীদের নায়িব (শা ৷সনকর্তা) পদে নিয়োজিত ছিলেন ৷
হারুনুর রশীদ তার মাধ্যমে মদীনাব৷ সীদের জন্য ব র লাখ দীনার (স্বর্ণঘুদ্রা) অনুদা ন ৷বণ্টন করেন ৷
তিনি নিজেও ছিলেন অভিজাত, দানবীর ও সম্মানের পাত্র ৷

করি আবু নুওয়াস

তার নাম ও বং ×শধারাহ ৷সান ইবন হানি ইবন৷ স ৷ব্বাহ ইবন আবদুল্লাহ ইবনুল৷ জ ৷ররাহ ইবন
হানাব ইবন দাউদ ইবন গনোম ইবন সুলায়ম ৷ আবদুল্লাহ ইবন সা দ তাকে আল-জা ররাহ ইবন
আবদুল্লাহ আল-হাকামীর সং ×গে সম্বন্ধিত করেছেন ৷৩ তাকে আবু নুওয়াস আল বিসরীও বলা
হয়েছে ৷ তার পিতা ছিলেন দামিশক নিবাসী এবং মারওয়ান ইবন মুহাম্মদের অঞ্চলের লোক ৷
পরে তিনি আহওয়ায়ে বসবাস শুরু করেন এবং খালবান নামের এক নারীকে বিয়ে করেন ৷ এ
শ্রীর ঘরে আবু নুওয়াস ও আবু ঘুআয নামে অপর এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় ৷ পরে নুওয়াস
বসরায় চলে যান এবং সেখানে আবু যায়দ ও আবু উবায়দার কাছে আদর (সাহিত্য) অধ্যয়ন
করেন, সীবাওয়াহ-র কিতাব অধ্যয়ন করেন এবং খালাফ আল-আহমারের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে অবস্থান
করেন এবং ইউনুস ইবন হাবীব আল-জারড়ামী আন নাহ্বীর সান্নিধ্য অর্জন করেন ৷ কাষী ইবন
খাল্লিকান বলেছেন, আবুনুওয়াস আবু উসামা ও ইবনুল হুবাব কুফীর সংসর্গ লাভ করেন ৷ তিনি
হাদীস বর্ণনা করেছেন আযহার ইবন সাদ, হাম্মাদ ইবন যায়দ, হান্মাদ ইবন সালামা, আবদুল
ওয়াহিদ ইবন যিয়াদ ৷ মুতামির ইবন সুলায়মান, ইয়াহ্ইয়৷ আল কাত্তান প্রমুখ হতে এবং মুহাম্মদ
ইবন ইবরাহীম ইবন কাহীর আসৃ-সুফী তার কাছ হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার কাছ হতে
হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে রয়েছেন শাফিঈ ৷ আহমদ ইবন হাম্বল, গুনদার এবং অন্যান্য
খ্যাতিমান আলিমগণ ৷ তার বরাতে বর্ণিত প্রসিদ্ধ হাদীসসমুহের মধ্যে রয়েছে মুহাম্মদ ইবন
ইবরাহীম ইবন কাহীব সুফী হতে ৩হাম্মাদ ইবন সালাম৷ হতে ছা ৷তবি আনাস (রা) সনদে বর্ণিত
হাদীস ৷ আনা ন (রা) বলেন, রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) বলেছেন০ :


ভোমাদের কেউ যেন আল্পাহ্র প্রতি সৃধারণ৷ পোষণ করা ব্যতীত মৃত্যুবরণ না করে ৷
কেননা, আল্লাহর প্রতি সুধারণ৷ পোষণ করা জান্ন৷ তের মুল্য ৷ ’

মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম বলেন, আমরা আবু নুওয়াসের মৃতু ত্যু সন্নিকট অবস্থায় তা যে কাছে
গেলাম ৷ তখন সা ৷লিহ ইবন আ ৷৷লী হ৷ শিমী তাকে বললেন, হে আবু আ ৷ লী ! এখন আপনি দুনিয়ার
জীবনের শেষ দিন এবং আখিরাতে তর জীবনের প্রথম দিনটিতে রয়েছেন ৷ আপনার ও আল্লাহর
মাঝে কিছু ছোটখাট অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে ৷ সুতরাং আপনার আমলের ব্যাপারে আল্লাহ্র
কাছে তওব৷ করুন ! আবু নুওয়াস বললেন, “আমাকে ভয় দেখাচ্ছ ? আল্লাহর কসম ! আমাকে
হেলান দিয়ে বসিয়ে দাও ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তাকে হেলান দিয়ে বসিয়ে দিলে তিনি
বললেন, হাম্মাদ ইবন সা ৷লামা ইয়াযীদ আর-রুকাশী হতে ৩আমাকে এ হাদীস শুনিয়েছেন, তিনি

ানাস ইবন মালিক (বা) হতে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :


أَلْفَ أَلْفَ دِينَارٍ وَمِائَتَيْ أَلْفِ دِينَارٍ، وَكَانَ شَرِيفًا جَوَادًا مُعَظَّمًا مُمَدَّحًا. وَأَبُو نُوَاسٍ الشَّاعِرُ وَاسْمُهُ الْحَسَنُ بْنُ هَانِئِ بْنِ عَبْدِ الْأَوَّلِ بْنِ صَبَاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجَرَّاحِ بْنِ وُهَيْبِ بْنِ ذَوَّةَ بْنِ غَنْمِ بْنِ سَلِيمِ بْنِ حَكَمِ بْنِ سَعْدِ الْعَشِيرَةِ بْنِ مَالِكِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْغَوْثِ بْنِ طَيِّئِ بْنِ أُدَدِ بْنِ شَبِيبِ بْنِ سَبِيعِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ عَوْفِ بْنِ زَيْدِ بْنِ هَمَيْسَعِ بْنِ عَمْرِو بْنِ يَشْجُبَ بْنِ عَرِيبِ بْنِ زَيْدِ بْنِ كَهْلَانِ بْنِ سَبَأِ بْنِ يَشْجُبَ بْنِ يَعْرُبَ بْنِ قَحْطَانَ بْنِ عَابِرِ بْنِ شَالَخِ بْنِ أَرْفَخْشَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، كَذَا نَسَبَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي سَعْدٍ الْوَرَّاقُ أَبُو عَلِيٍّ الْحَكَمِيُّ نِسْبَةً إِلَى وَلَاءِ الْجَرَّاحِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْحَكَمِيِّ. وَيُقَالُ لَهُ: أَبُو نُوَاسٍ الْبَصْرِيُّ. كَانَ أَبُوهُ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ مِنْ جُنْدِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ، ثُمَّ صَارَ إِلَى الْأَهْوَازِ، وَتَزَوَّجَ امْرَأَةً يُقَالُ لَهَا جُلْبَانُ. فَوَلَدَتْ لَهُ أَبَا نُوَاسٍ هَذَا، وَابْنًا آخَرَ يُقَالُ لَهُ: أَبُو مُعَاذٍ. ثُمَّ صَارَ أَبُو نُوَاسٍ إِلَى الْبَصْرَةِ فَتَأَدَّبَ بِهَا عَلَى أَبِي زَيْدٍ وَأَبِي عُبَيْدَةَ، وَقَرَأَ كِتَابَ سِيبَوَيْهِ وَلَزِمَ خَلَفًا الْأَحْمَرَ، وَصَحِبَ
পৃষ্ঠা - ৮৩৫৭



ধ্া

“প্রত্যেক নবীর জন্য একটি শাফাআত (সুপারিশ বরাদ্ধ) রয়েছে, আমার শাফআ ৩টি আ ৷মি
কিয়ামতের দিনে আমার উম্মতে র কবীরা গোনাহকা ৷রীদের জন্য লুকিয়ে ব্লেখেছি ৷” পরে তিনি
বললেন, “এখন তুমি কি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত দেখছ না

আবু নুওয়াস বলেছেন, খানসা ও লায়লা র ন্যায় বিশ্বখ্যাত যাটজ়ন মহিলা কবির কবিতা
খশোর আগে আমি কবিতা বলিনি; সুতরাং পুরুষ কবিদের সংখ্যা তুমি বুঝে নাও ৷ ইয়াকুব
ইবনুস সিক্কীত বলেছেন, জা ৷হিলী করি ইমরুল কা রন ও আ শ হতে ইসলামী করি জা জীব ও
ফারাযদাক হতে এবং নতুন প্রজন্মের করি আবু নুওয়াস হতে ৩কবিতা ৷র প্রশিক্ষণ লাভ করলে তা
তোমার জন্য যথেষ্ট ৷ আসমা ঈ, জ ৷হিয ও নাজজাম প্রমুখের ন্যায় অনেক মনীষী৩ তার সাহিত্য
দক্ষতার প্রন্ণং সা করেছেন ৷ আবু আমৃর শায়বানী বলেছেন, আবু নুওয়াস যদি তার কবিতাকে
ময়লা-দুর্গন্ধ দেয় নষ্ট না করত তবে অবশ্যই আমরা তার কবিতা প্রমাণরুপে পেশ করতাম ৷ এর
দ্বারা উদ্দেশ্য তার মদের ন্তুতি ৩মুলক এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সুন্দর বালক-কিশোরদের বিষয়ে তার
কবিতা ৷ এদের প্রতি তার আকর্ষণ ছিল এক এ ধরনের অন্যান্য বিষয়, যা তার কবিতায় সুবিদিত
এ সব তার অপকর্ম ও আপত্তিকর হওয়া র কারণ ৷

একবার একদল করি মামুনের কাছে সমবেত হল ৩ তাদের বলা হল এ কবিতার রচনা ৷কারী
কে ?
এে
“যখন সে তাকে ঢোক ঢোক করে গলধকরণ করছিল, আমরা তখন থেমে গেলাম, যেন

আমরা দেখছিলাম, মাটিতে অবস্থানরত একটি চীদ তারকাকে গিলে ফেলেছে ৷”
লোকেরা বলল, (এর রচয়িতা) আবুনুওয়াস, মামুন বললেন, তা হলে এ কবিতা কার ?


“যখন তরুণে র কষ্ঠনা লীর প্রান্তে (আল জিহ্ব৷ ৷র) কাছে তা নেমে আসে, তখন তাকে ছাড়
দাও যার সংকল্প তার হৃদয় হতে প্ৰন্থানােদ্যত ৷” লোকেরা বলল, আবুনুওয়াসের কবিতা ৷ তিনি
বললেন, তা হলে এ কবিতা কার ?

“তাদের অংগ সন্ধিসমুহে (রন্ধে রন্ধে) প্রবিষ্ট হল রোগের রবন্ধ্র রভৈন্ধ্র আরোগ্য নিরাময়
প্রবিষ্ট হওয়ার ন্যায় ৷ ” লোকেরা বলল, এ ও আবু নুওয়াসের কবিতা ৷ মামুন বললেন, সুতরাংঅ ৷বু
নুওয়াসই তোমাদের সেরা করি ৷

সুফিয়ান ইবন উয়ায়না ইবন ঘুনাযিরকে বললেন, তোমাদের আবুনুওয়াসের এ কবিতা কত
রসাত্মক ৷

আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১০ম খও) ৫০


يُونُسَ بْنَ حَبِيبٍ الضَّبِّيَّ النَّحْوِيَّ. قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ: وَقَدْ صَحِبَ أَبَا أُسَامَةَ وَالِبَةَ بْنَ الْحُبَابِ الْكُوفِيَّ، فَتَأَدَّبَ بِهِ. وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَزْهَرَ بْنِ سَعْدٍ، وَحَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، وَحَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، وَعَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ زِيَادٍ، وَمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، وَيَحْيَى الْقَطَّانِ، وَعَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الصَّيْرَفِيُّ، حَكَى عَنْهُ جَمَاعَةٌ مِنْهُمُ الشَّافِعِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَالْجَاحِظُ، وَغُنْدَرٌ. وَمِنْ مَشَاهِيرِ حَدِيثِهِ مَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الصَّيْرَفِيُّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلَّا وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّهِ فَإِنَّ حُسْنَ الظَّنِّ بِاللَّهِ ثَمَنُ الْجَنَّةِ» . وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: دَخَلْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُ صَالِحُ بْنُ عَلِيٍّ الْهَاشِمِيُّ: يَا أَبَا عَلِيٍّ، أَنْتَ الْيَوْمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا، وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮৩৫৮
أَيَّامِ الْآخِرَةِ، وَبَيْنَكَ وَبَيْنَ اللَّهِ هَنَاتٌ، فَتُبْ إِلَى اللَّهِ - عَزَّ وَجَلَّ - مِنْ عَمَلِكَ. فَقَالَ: إِيَّاىَ تُخَوِّفُ بِاللَّهِ؟ ! فَقَالَ: أَسْنِدُونِي. فَأَسْنَدُوهُ. فَقَالَ: حَدَّثَنِي حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يَزِيدَ الرَّقَاشِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ شَفَاعَةً، وَإِنِّي اخْتَبَأْتُ شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ» ثُمَّ قَالَ: أَفَتُرَانِي لَا أَكُونُ مِنْهُمْ؟ وَقَالَ أَبُو نُوَاسٍ: مَا قُلْتُ الشِّعْرَ حَتَّى رَوَيْتُ لِسِتِّينَ امْرَأَةً؛ مِنْهُنَّ خَنْسَاءُ، وَلَيْلَى، فَمَا ظَنُّكَ بِالرِّجَالِ؟ وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ السِّكِّيتِ: إِذَا رَوَيْتَ الشِّعْرَ عَنِ امْرِئِ الْقَيْسِ وَالْأَعْشَى مِنْ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَمِنَ الْإِسْلَامِيِّينَ لِجَرِيرٍ وَالْفَرَزْدَقِ، وَمِنَ الْمُحْدَثِينَ عَنْ أَبِي نُوَاسٍ فَحَسْبُكَ. وَقَدْ أَثْنَى عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ؛ مِنْهُمُ الْأَصْمَعِيُّ، وَالْجَاحِظُ، وَالنَّظَّامُ. وَقَالَ أَبُو عَمْرٍو الشَّيْبَانِيُّ: لَوْلَا أَنَّ أَبَا نُوَاسٍ أَفْسَدَ شِعْرَهُ بِهَذِهِ الْأَقْذَارِ لَاحْتَجَجْنَا بِهِ فِي كُتُبِنَا. يَعْنِي شِعْرَهُ فِي الْخَمْرِيَّاتِ، وَالْأَحْدَاثِ. وَقَدِ اجْتَمَعَ طَائِفَةٌ مِنَ الشُّعَرَاءِ عِنْدَ الْمَأْمُونِ فَقَالَ لَهُمْ: أَيُّكُمُ الْقَائِلُ:
পৃষ্ঠা - ৮৩৫৯


াৰু,ভ্রুও ৷ঠু
হুার্টু১া
“আহরে ! সে র্চাদমুখ যা দেখে ছিলাম এক শোক অনুষ্ঠানে ৷ যে এক পশল৷ রিলাপ করছিল
সখাদের মাঝে বসে ৷ মাতম অনুষ্ঠানই তাকে আমার সামনে প্রকাশমান করেছিল ; প্রহরী ও
রদ্বারক্ষীদের নাকে ধুলো মাখিয়ে; অসন্তুষ্টির সংগে ৷ র্কাদছিল৷ আর বমুক্ত৷ করছিল তার চোখ হতে;

আর (শোকে সে) গোলাপ পাপড়িতে আঘাত করছিল উন্নাব দিয়ে (লাল ফুলের ন্যায় হাত দিয়ে

পাল চাপড়াচ্ছিল) ৷ তার আপনজনের মধ্যে মৃত্যুধারা চলমান থাক আর এভাবে আমার তাকে
দর্শন৷ না ৩ করাও চলম৷ ন থাক!

ইবনুল আ রা ৷বী বলেছেন, আবু নুওয়াস তার এ কবিতায় সেরা কবির আসনে অধিষ্ঠিত-

“আমার কালচক্র হতে ৩আমি আত্মগােপন করেছি তার বা ৷বতীয় আশ্রয়-আচ্ছাদন দিয়ে ; ফলে
আমার চোখ দেখতে পায় আমার কালচক্রে, কিন্তু সে দেশে না আমাকে ৷”

সুতরাং তুমি যদি কালকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা কর তবে সে জা মনে না (জবাব দিতে

পারবে ন্বা) এবং আমার অবস্থান কোথায় তা জিজ্ঞাসা করলে আমার অবস্থান চিহ্নিত করতে
পারবে না ৷

আবুল আতা ৷হিয়্যা বলেছেন, যুহদ’ (দুনিয়ার প্রতি অনীহা) প্রসংগে আমি বিশ৷ হাজ আর ৷কবিতা
বলেছি;৩ তবুও আমার ৰাসন৷ হয় যে, যদি আমি তার বিনিময়ে আবু নুওয়াসের৩ তিন লাইন কবিতা
পেয়ে যেতাম যা তার কবরে লিখা রয়েছে তা এই ৷

§

স্থ,র্ন্তা;১

হে নুওয়াস (নওয়াস্যা) পা ৷ন্তীর্য ধা ৷রণ কর, অথবা মেজায বিকৃত কর অথবা ধৈর্যের মহড়া
দেখাও ! সময় যদি কখনো তোমার সংগে মন্দ আচরণ করে থাকে, তার অবশ্যই অনেক অধিক

পরিমাণে সে €তামাকে আনন্দ দিয়েছে ৷ হে অধিক পরিমাণের পাপেব পাপী আল্পাহ্ৱ ক্ষমা
তোমার পাপের চেয়ে অনেক অধিক ৷

কোন আমীরের স্তুতিগাথায় আবুনুওয়াসের কবিতা যে আছে


فَلَمَّا تَحَسَّاهَا وَقَفْنَا كَأَنَّنَا ... نَرَى قَمَرًا فِي الْأَرْضِ يَبْلَعُ كَوْكَبًا قَالُوا: أَبُو نُوَاسٍ قَالَ: فَأَيُّكُمُ الْقَائِلُ: إِذَا نَزَلَتْ دُونَ اللَّهَاةِ مِنَ الْفَتَى ... دَعَا هَمُّهُ عَنْ صَدْرِهِ بِرَحِيلِ قَالُوا: أَبُو نُوَاسٍ قَالَ: فَأَيُّكُمُ الْقَائِلُ: فَتَمَشَّتْ فِي مَفَاصِلِهِمْ ... كَتَمَشِّي الْبُرْءِ فِي السَّقَمِ قَالُوا: أَبُو نُوَاسٍ قَالَ: فَهُوَ أَشْعَرُكُمْ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ لِابْنِ مُنَاذِرٍ: مَا أَشْعَرَ ظَرِيفُكُمْ أَبَا نُوَاسٍ فِي قَوْلِهِ: يَا قَمَرًا أَبْصَرْتُ فِي مَأْتَمٍ ... يَنْدُبُ شَجْوًا بَيْنَ أَتْرَابِ أَبْرَزَهُ الْمَأْتَمُ لِي كَارِهًا ... بِرَغْمِ ذِي بَابٍ وَحُجَّابِ يَبْكِي فَيُذْرِي الدُّرَّ مِنْ نَرْجِسٍ ... وَيَلْطِمُ الْوَرْدَ بِعُنَّابِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৬০



আল্লাহ্তাকে নব উদ্ভাবন’ করেছেন ৷ সুত তরাং তার অনুরুপ কে উই তার সন্ধানী অনুসন্ধানী

নয় ৷ আল্লাহর জন্য কোন অভিনব’ বিষয় নয় যে, সমগ্র ৰিশ্বকে একের মধ্যে সমন্বিত করে
দিবেন ৷”

লোকেরা সুফিয়ান ইবন উয়ায়নাকে আবুনুওয়াসের এ কবিতা আবৃত্তি করে গোনাল যাতে
রয়েছে

শ্ ৷ষ্শ্ ;: শ্ ০শ্ ৰ্টশ্ ষ্ণ্ ১শ্ ষ্ ! ষ্
মোঃ এ

ৰ্টশ্




; ষ্

গ্রএ
ষ্ — শ্

“যে কোন আসক্তি’-র পিছনে রয়েছে কোন না কোন সুত্র ও কা ৷রণ ; যা থেকে হয় তার
সুচনা ও ক্রমবিকাশ ৷ আমার অন্তরকে আসক্তিগ্নস্ত করেছে এক পর্দানশীনা’, যে তার চেহারাকে
সৌন্দর্যে নিকাব দ্বারা আচ্ছাদিত করেছে ৷ খেয়াল করে দেখলাম তাকে ও সৌন্দর্যকে য,৷ সে
চয়ন করে করে ও তুলে তুলে আহরণ করছিল ৷ সে পরিধান করল যে সৌন্দর্যের বাছাইকৃত

অংশগুলো এবং তা হতে যা অনুমান প্রদত্ত হয়েছিল তারও কিছু ফিরিয়ে নিল ৷ এখন তার অবস্থা
এই যে, যদি তার জন্য সৌন্দর্যের ব্যাপারে পুনং প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা ৷কর৷ হয় তবে কোন
চাহিদাই তাকে ফিরিয়ে আ নবে না ৷ কৌতু ক ও তামাশার বিষয়টিই বাস্তবের রুপ ধারণ করল ,বহু
বাস্তবই এমন রয়েছে যা ক্রীড়া ও তামাশা’ র উৎপাদিত সুফল ৷’

ইবন উয়ায়ন৷ এ কবিতা শুনে বললেন, আমি এ নারীর স্রষ্টা ৷র প্রতি ঈমান আ নয়ন করলাম ৷

ইবন দৃরায়দ বলেন, আবুহাতিম বলেছেন, জন৩ তা কবি৩ ৷র এ লাইন দু’টি বদলে দিলে আমি
তা স্বর্ণের পানি৷ দ্ব ৷র৷ লিখতাম-

, এ
আমি যে পরিমাণ বিপদ-মুসীবতে আক্রান্ত, তোমার কাছে তার চেয়ে বেশী চাইলে সে
যেশী’ (না থাকার কারণে) তোমাকে অনটনগ্রস্ত করে দিত ৩৷ আমার জীবনের অনুরুপ (দুঃখময়)

জীবন সহকারে আমার হায়াস্তুত তর (প্রস্তাব) মৃতদের কাছে পেশ করা হলে তারা তা পেতে আগ্রহী
হয়ে না ৷ ন্


لَا زَالَ مَوْتًا دَأْبُ أَحْبَابِهِ وَلَا تَزَلْ رُؤْيَتُهُ دَابِي وَقَالَ ابْنُ الْأَعْرَابِيِّ: أَشْعَرُ النَّاسِ أَبُو نُوَاسٍ فِي قَوْلِهِ: تَغَطَّيْتُ مِنْ دَهْرِي بِظِلِّ جَنَاحِهِ ... فَعَيْنِي تَرَى دَهْرِي، وَلَيْسَ يَرَانِي فَلَوْ تَسْأَلُ الْأَيَّامُ مَا اسْمِي لَمَا دَرَتْ ... وَأَيْنَ مَكَانِي مَا عَرَفْنَ مَكَانِي وَقَالَ أَبُو الْعَتَاهِيَةِ: قُلْتُ فِي الزُّهْدِ عِشْرِينَ أَلْفَ بَيْتٍ، وَوَدِدْتُ أَنَّ لِي مَكَانَهَا الْأَبْيَاتَ الثَّلَاثَةَ الَّتِي قَالَهَا أَبُو نُوَاسٍ، وَهِيَ هَذِهِ وَكَانَتْ مَكْتُوبَةً عَلَى قَبْرِهِ: يَا نُوَاسِيُّ تَوَقَّرْ ... وَتَعَزَّ وَتَصَبَّرْ إِنْ يَكُنْ سَاءَكَ دَهْرٌ ... فَلَمَا سَرَّكَ أَكْثَرْ يَا كَبِيرَ الذَّنْبِ عَفْوُ اللَّ ... هِ مِنْ ذَنْبِكَ أَكْبَرْ وَمِنْ شَعْرِ أَبِي نُوَاسٍ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ يَمْدَحُ بَعْضَ الْأُمَرَاءِ: أَوْجَدَهُ اللَّهُ فَمَا مِثْلُهُ ... لِطَالِبِ ذَاكَ وَلَا نَاشِدِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৬১
وَلَيْسَ لِلَّهِ بِمُسْتَنْكَرٍ أَنْ يَجْمَعَ الْعَالَمَ فِي وَاحِدِ وَأَنْشَدُوا لِسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ قَوْلَ أَبِي نُوَاسٍ: مَا هَوًى إِلَّا لَهُ سَبَبُ ... يَبْتَدِي مِنْهُ وَيَنْشَعِبُ فَتَنَتْ قَلْبِي مُحَجَّبَةٌ ... وَجْهُهُا بِالْحُسْنِ مُنْتَقِبُ خَلِيَتْ وَالْحُسْنُ تَأْخُذُهُ ... تَنْتَقِي مِنْهُ وَتَنْتَخِبُ فَاكْتَسَتْ مِنْهُ طَرَائِفُهُ ... وَاسْتَزَادَتْ بَعْضَ مَا تَهَبُ فَهِيَ لَوْ صَيَّرْتَ فِيهِ لَهَا ... عَوْدَةً لَمْ يُثْنِهَا أَرَبُ صَارَ جِدًّا مَا مَزَحْتَ بِهِ ... رُبَّ جِدٍّ جَرَّهُ اللَّعِبُ فَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ: آمَنْتُ بِالَّذِي خَلَقَهَا. وَقَالَ ابْنُ دُرَيْدٍ: قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَوْلَا أَنَّ الْعَامَّةَ بَذَلَتْ هَذَيْنِ الْبَيْتَيْنِ لَكَتَبْتُهُمَا بِمَاءِ الذَّهَبِ وَهُمَا لِأَبِي نُوَاسٍ: وَلَوْ أَنِّي اسْتَزَدْتُكَ فَوْقَ مَا بِي ... مِنَ الْبَلْوَى لَأَعْوَزَكَ الْمَزِيدُ وَلَوْ عُرِضَتْ عَلَى الْمَوْتَى حَيَاتِي ... بِعَيْشٍ مِثْلَ عَيْشِي لَمْ يُرِيدُوا
পৃষ্ঠা - ৮৩৬২


আবুহুরায়রা (বা) হতে সৃহায়ল হতে আবু সালিহ সনদের এ হাদীস আবু নুওয়াস শুনেছিলেন
যে, বা সুলুল্লা হ্ (সা) বলেছেন০ ং


×

কলবগুলো যুথবদ্ধ (সমবেত) বাহিনীর ন্যায় (ছিল); সুতরাং (রুহের জগতে) যাদের মধ্যে
পরস্পর পরিচয় গড়ে উঠেছিল তারা (পৃথিবীতে) সশ্রীতিসম্পন্ন হয় এবং যারা পরস্পর অপরিচিত

ছিল তা ৷রা মত বিরোধে লিপ্ত হয় ৷ আবু নুওয়াস তারপর এক কবিতায় হাদীসটি ছন্দো বদ্ধ করলেন
এভাবে-

৷ এ ৷

“অন্তরগুলাে অবশ্যই আল্লাহর যুথবদ্ধ বাহিনী, পৃথিবীতে প্রেম-প্রীতির সুত্রে তারা পরিচিত
হয় ৷ সুতরাং এগুলোর মধ্যে যারা পরস্পর অপরিচিত তারা মতবিরোধকারী এবং এগুলোর মধ্যে
যায় বা পরস্পর পরিচিত তারা সশ্রীতিবদ্ধ ৷” ণ্
একদিন আবু নুওয়াস একদল মুহাদ্দিসের সংগে আবদুল ওয়াহিদ ইবন যিয়াদের ক৷ ছে
উপস্থিত হলেন ৷ আবদুল ওয়াহিদ তাদের বললেন, আপনাদের প্রত্যেকে দশ দশটি হাদীস পসন্দ
করুন, যা আমি তাকে শোনাব ৷ তখন আবুনুওয়াস ব্যতীত তাদের প্রত্যেকেই তা গ্রহণে সম্মতি
প্রকাশ করলেন ৷ আবদুল ওয়াহিদ৷ আ বু নুওয়াসকে বললেন, তারা যেরুপ ৷সম্মতি প্রকাশ করেছে
তুমি সেরুপ করছ না কেন ? তখন তিনি আবৃত্তি করতে লাগলেন-

× × × × ৷ ’ ৷ ;××
× × ’ ৭ ×

“আমরা তাে রিওয়ায়াত করত ৷ম সাঈদ হতে কাতাদা হতে না ৷ঈদ ইবনুল মুসায়্যাব তারপর
সা দ ইবন উবাদ৷ (রা) সনদে এবং শা বী হতে, শা বী তাে দৃঢ়চেতা শায়খ এবং উত্তম ব্যক্তিদের
হতে ও বিদ্বানবর্গহতে আমরা তা উদ্ধৃত করি যে, “যে প্রেমিকরুপে (বিরহে) মারা যাবে, তার
জন্য শহীদের সওয়াব ৷

তখন আবদুল ওয়াহিদ তাকে বললেন, পাপাচারী ! আমার এখান হতে বেরিয়ে যাও !
তােমাকেও হাদীস৷ শে নেবে না এবং তোমার কারণে এদের ক৷ ৷উকেও হা ৷দীস শে ৷নাব না ৷ এ সংব বাদ
মালিক ইবন আসাম ও ইব্রাহীম ইবন আবু ইয়াহ্ইয়ার কাছে পৌছলে তারা বললেন, তাকে

হাদীস শোনানােই (আমাদের দৃষ্টিতে) সমীচীন ছিল , হয়তো আল্লাহ্ তার সংশোধনের ব্যবস্থা
করতেন ৷


وَقَدْ سَمِعَ أَبُو نُوَاسٍ حَدِيثَ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْقُلُوبُ جُنُودٌ مُجَنَّدَةٌ، فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا ائْتَلَفَ وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا اخْتَلَفَ» فَنَظَمَ ذَلِكَ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ يَقُولُ فِيهَا: إِنَّ الْقُلُوبَ لَأَجْنَادٌ مُجَنَّدَةٌ ... لِلَّهِ فِي الْأَرْضِ بِالْأَهْوَاءِ تَعْتَرِفُ فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا فَهُوَ مُؤْتَلِفٌ ... وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا فَهُوَ مُخْتَلِفُ وَدَخَلَ أَبُو نُوَاسٍ يَوْمًا مَعَ جَمَاعَةٍ مِنَ الْمُحَدِّثِينَ عَلَى عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ زِيَادٍ فَقَالَ لَهُمْ عَبْدُ الْوَاحِدِ: لِيَخْتَرْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ عَشَرَةَ أَحَادِيثَ أُحَدِّثُهُ بِهَا. فَاخْتَارَ كُلُّ وَاحِدٍ عَشَرَةً، إِلَّا أَبَا نُوَاسٍ، فَقَالَ لَهُ: مَا لَكَ لَا تَخْتَارُ كَمَا اخْتَارُوا؟ فَأَنْشَأَ يَقُولُ: وَلَقَدْ كُنَّا رَوَيْنَا ... عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَهْ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّ ... بِ ثُمَّ سَعْدِ بْنِ عُبَادَهْ وَعَنْ الشَّعْبِيِّ وَالشَّعْ ... بِيُّ شَيْخٌ ذُو جَلَادَهْ وَعَنِ الْأَخْيَارِ نَحْكِي ... هِ وَعَنْ أَهْلِ الْإِفَادَهْ أَنَّ مَنْ مَاتَ مُحِبًّا ... فَلَهُ أَجْرُ شَهَادَهْ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الْوَاحِدِ: قُمْ يَا مَاجِنُ لَا حَدَّثْتُكَ وَلَا حَدَّثْتُ أَحَدًا مِنْ هَؤُلَاءِ مِنْ أَجْلِكَ. فَبَلَغَ ذَلِكَ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ وَإِبْرَاهِيمَ بْنَ أَبِي يَحْيَى، فَقَالَا: كَانَ يَنْبَغِي
পৃষ্ঠা - ৮৩৬৩


গ্রন্থকা রের বক্তব্যং আবু নুওয়াস তার রচিত এ কবিতায় যা বলেছেন৩ তা ইবন আদী তার
ল-কা ৷মিলে ইবন আব্বাস (বা) হতে মাওকুফ ও মারকুরুপে রিওয়ায়াত করেছেনং : ব্লুস্ছু ;
(যে প্রেমে পড়ল এবং পবিত্র রইল ও গোপন করল এবং
মার৷ গেল সে শহীদরুপে মারা গেল ৷) এর মর্ম এই যে, কেউ নিজের ইচ্ছার বাইরে প্রেমাক্রান্ত
হলে এবং সবর ও ধৈর্যধারণের মাধ্যমে নিজের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষায় অশ্লীল কাজ হতে বেচে
থাকলে এবং মানুষের কাছে র্ফাস না করলে এবং এ কারণে মৃত্যুবরণ করলে যে অনেক অনেক

সওয়াবের অংশীদার হবে ৷ এ হাদীস সহীহ্ হলে এটিও এক ধরনের শাহাদাত (শহীদী মৃত্যু)
হবে ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবহিত ৷

খভীবও বর্ণনা করেছেন, শুব৷ আবু নুওয়াসের সংগে সাক্ষাত করে বললেন, আপনার
অভিনব সংগ্রহ হতে আমাদের হাদীস গােনান ৷ আবু নুওয়াসত তাৎক্ষণিকরুপে বলতে লাপলেন-
খাফ ফ৷ ফ ওয়াইল ও খালিদ৷ হ য্য৷ হতে তআমাদের হাদীস শুনিয়েছেন,তার৷ জাবির (বা) হতে এবং
মিসআর তার কোন সং গী থেকে শায়খ এটি আমির পর্যন্ত পৌছিয়েছেন, তারা সকলে বলেছেন,

“যে কো ন কা ৷লিমার প্রতি কো ন পবিত্র স্বভাবধারী আসক্ত হল এবং সে৩ তাকে মিলনে সৌভ৷ ৷গ্যবান

করল ও স্মরণক৷ বী সংরক্ষণ ৷কারীর মিলন স্থায়ী করল তার জন্য জা ন্নাত উন্মুক্ত হল এবং যার
কুসুমা ৷স্তীর্ণ চ৷ ৷রণ ভুমিতে সে বিচরণ করবে ৷ আর যে প্রেমাস্পদ তার প্রেমিককে পুর্ণাৎগ স্থায়ী
মিলনের পরে নিপীড়ন করবে সে তাে দৃর্ভাপারুপে আল্লাহ্র আযাবে আর বি৩াড়ন ও চিরস্থায়ী
দৃর্ভাগ্য (মুল পাঠ অস্পষ্ট ৷ অনুবাদক) ৷ তখন ও যা তাকে বললেন, আপনি সুন্দর চরিত্রের
অধিকারী এবং সেই সুবাদে আমি আপনার ব্যাপারে আশাবাদী ৷

আবুনুওয়াস আরও আবৃত্তি করলেন,

০ ৷ শ্



“হে যাদুময়ী দুইপুত তলী (নয়ন) ও গ্রীবার অধিকারী এবং ওয়াদ৷ করে করে আমাকে
হত্যাকায়ী ৷ আমাকে মিলনের ওয়াদ৷ দিয়ে পরে তা ভ ৎগ কর ,হায় আমার দৃর্ভ ৷গ্য আমার সং গে
তোমার ওয়াদ৷ ভৎগের কারণে ৷

(এ প্ৰসৎগে) মুহাদ্দিস আ ল-আযরাক শাহ্র ও আওফ৷ সুত্রে ইবন মাসউদ (বা) হতে হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ “কা ফির নারী ও জা হান্নামের বেড়িতে আবদ্ধ কা ৷ফির ব্যতীত কেউ ওয়াদ৷ ভ ৎগ
করে না ৷”

আবু নুওয়াসের এ কবিতা ইসহাক ইবন ইউসুফ আল আযরাকের কাছে পৌছলে তিনি
বললেন, অ ৷ল্লাহ্র দৃশ্৷ মন আমার নামে, তা ৷বিঈদের নামে এবং মুহাম্মদ (সা) এর সাহাবীদের নামে
মিথ্যা বলেছে ৷


أَنْ يُحَدِّثَهُ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَهُ. قُلْتُ: وَهَذَا الَّذِي أَنْشَدَهُ أَبُو نُوَاسٍ فِي شِعْرِهِ قَدْ رَوَاهُ ابْنُ عَدِيٍّ فِي " " كَامِلِهِ " " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَوْقُوفًا، وَمَرْفُوعًا «مَنْ عَشِقَ فَعَفَّ فَكَتَمَ فَمَاتَ مَاتَ شَهِيدًا» وَمَعْنَى هَذَا أَنَّ مَنِ ابْتُلِيَ بِالْعِشْقِ مِنْ غَيْرِ اخْتِيَارٍ مِنْهُ فَصَبَرَ وَعَفَّ عَنِ الْفَاحِشَةِ وَلَمْ يُفْشِ ذَلِكَ فَمَاتَ بِسَبَبِ ذَلِكَ، حَصَلَ لَهُ أَجْرٌ كَبِيرٌ، فَإِنْ صَحَّ هَذَا كَانَ ذَلِكَ لَهُ نَوْعُ شَهَادَةٍ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْخَطِيبُ أَيْضًا أَنَّ شُعْبَةَ لَقِيَ أَبَا نُوَاسٍ فَقَالَ لَهُ: حَدِّثْنَا مِنْ طُرَفِكَ، فَقَالَ مُرْتَجِلًا: حَدَّثَنَا الْخَفَّافُ عَنْ وَائِلٍ ... وَخَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ جَابِرِ وَمِسْعَرٌ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ ... يَرْفَعُهُ الشَّيْخُ إِلَى عَامِرِ قَالُوا جَمِيعًا أَيُّمَا طِفْلَةٍ ... عُلِّقَهَا ذُو خُلُقٍ طَاهِرِ فَوَاصَلَتْهُ ثُمَّ دَامَتْ لَهُ ... عَلَى وِصَالِ الْحَافِظِ الذَّاكِرِ كَانَتْ لَهُ الْجَنَّةُ مَفْتُوحَةً ... يَرْتَعُ فِي مَرْتَعِهَا الزَّاهِرِ وَأَيُّ مَعْشُوقٍ جَفَا عَاشِقًا ... بَعْدَ وِصَالٍ دَائِمٍ نَاضِرِ فَفِي عَذَابِ اللَّهِ بُعْدًا لَهُ ... نَعَمْ وَسُحْقٍ دَائِمٍ دَاحِرِ فَقَالَ لَهُ شُعْبَةُ: إِنَّكَ لَجَمِيلُ الْأَخْلَاقِ، وَإِنِّي لَأَرْجُو لَكَ.
পৃষ্ঠা - ৮৩৬৪


সালীম ইবন মানসুর ইবন আমার হতে বর্ণিত ৩৷ তিনি বলেন, আ মি আবু নুওয়াসকে আমার
পিতার মজলিসে প্রচণ্ডরুপৈ কা দতে দেখলে আমি বললাম, আমি আশা করি, এ প্রচণ্ড কান্নার পর
আল্লাহ্ আপনাকে আয৷ ব দিবেন না ৷ তখন যে এ কবিতা বলতে লাগল-

) ৷




“মানসুরের মজলিসে আমার কান্ন৷ জান্নাত ও তার হ্ররের প্রতি আকর্ষণের কারণে ছিল না
এবং কবর ও তার ভয়ংকর অবস্থার ভয়েও ছিল না এবং শিংগার কুকে প্রলয়ের্বুভয়েও ছিল না ৷
াহান্নাম ও তার বেড়ি-শিকলের ভয়ও ছিল না ; কিংবা সহায়হীনতা ও নির্যাতিত হওয়ার কারণেও
ছিল না ৷ আমার কান্ন৷ ছিল সে হরিণ শাবকের’ জন্য ; আমার সত্তা যাকে সব সংকট হতে সুরক্ষা
করে ৷ পরে সে বলল, আমি তো কেদেছি আপনার পিতার কাছে বসা ঐ সুন্দর বালকের কান্নার
কারণে ৷ সে ছিল একটি সুশ্ৰী বালক, যে ওয়াজ শুনে মহিয়ান-গরিয়ান আল্লাহ্র ভয়ে র্কীদছিল ৷”

আবুনুওয়াস নিজেই বর্ণনা করেছেন, একবার এক তাতী আমাকে দাওয়াত করল এবং তার
বাড়িতে আমাকে আপ্যায়ন করার জন্য অত্যন্ত বিনীত আবদার করল এবং আমি তার আহ্বানে ইক্লা
না বলা পর্যন্ত আমার পিছনে লেগে থাকল ৷ আমি সম্মত হলে সে তার বাড়ির দিকে চলল এবং
আমিও তার সংগে চললাম ৷ দেখলাম, তার বাড়িটি ভালই ৷ দেখলাম, র্তাভী মোটামুটিভাবে
একটি আপ্যায়ন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে এবং অন্যত তাতীদেরও সমবেত করেছে ৷ আমরা
পানাহ্ার পর্ব শেষ করলে মেযবান আমাকে বলল, জনাব ! আমার একান্ত কামনা, আপনি আমার
দাসী সম্পর্কে কিছু কবিতা বলবেন ৷ সে তার এক দাসীর প্রতি প্রবলরুপে আসক্ত ছিল ৷ আমি
তাকে বললাম, তাকে আমার সামনে নিয়ে এস, তবে আমি তাকে দেখে তার পঠনাকৃতি ৩৩ তার
রুপ সৌন্দর্য নিয়ে কবিতা বলব ৷ সেত তাকে পর্দায় বাইরে নিয়ে এলে আমি দেখলাম আল্লাহর এক
কুশ্ৰী ও বিদঘুটে সৃষ্টি, কৃষ্ণ, চুলে সাদা-কালাের মিশ্রণ বদ-সুরত, যার মুখের লালা বুকে গড়িয়ে
পড়ছিল ৷ আমি তার মালিককে জিজ্ঞাসা করলাম, তার নাম কি ? সে বলল, তাসনীম (সুপের
পানি) ৷ তখন কবিতা রচনা করলাম-

¢) # ণ্ষ্ রুণ্শ্ ৷ ণ্শ্ছু) :শ্শ্শ্ শ্
; ;
“ তাসনীমের প্রেম আমার রাতকে বিনিদ্বে করে রেখেছে, সে এক কিশোরী (ৰ্বাদী) সৌন্দর্যে

সে পেচার সেরা ,তার মুখের ঘ্রাণ যেন বাঝ৷ ৷ল সিরকা কিংবা রসুনের এক পাট ৷৩ তার প্রতি
আমার প্রেমে যে এমন এক বায়ু ছাড়ল যা দিয়ে সে রোম সম্রা ৷টকে কা ৷পিয়ে দিল ৷”


وَأَنْشَدَ أَبُو نُوَاسٍ أَيْضًا: يَا سَاحِرَ الْمُقْلَتَيْنِ وَالْجِيدِ ... وَقَاتِلِي مِنْكَ بِالْمَوَاعِيدِ تُوعِدُنِي الْوَصْلَ ثُمْ تُخْلِفُنِي ... فَوَابَلَائِي مِنْ خُلْفِ مَوْعُودِي حَدَّثَنِي الْأَزْرَقُ الْمُحَدِّثُ عَنْ ... شَمْرٍ وَعَوْفٍ عَنْ ابْنِ مَسْعُودِ مَا يُخْلِفُ الْوَعْدَ غَيْرُ كَافِرَةٍ ... وَكَافِرٍ فِي الْجَحِيمِ مَصْفُودِ فَبَلَغَ ذَلِكَ إِسْحَاقَ بْنَ يُوسُفَ الْأَزْرَقَ فَقَالَ: كَذَبَ عَدُوُّ اللَّهِ عَلَيَّ، وَعَلَى التَّابِعِينِ، وَعَلَى أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَعَنْ سُلَيْمِ بْنِ مَنْصُورٍ قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا نُوَاسٍ فِي مَجْلِسِ أَبِي يَبْكِي بُكَاءً شَدِيدًا فَقُلْتُ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا يُعَذِّبَكَ اللَّهُ بَعْدَ هَذَا الْبُكَاءِ أَبَدًا. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: لَمْ أَبْكِ فِي مَجْلِسِ مَنْصُورِ ... شَوْقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَالْحُورِ وَلَا مِنَ الْقَبْرِ وَأَهْوَالِهِ ... وَلَا مِنَ النَّفْخَةِ فِي الصُّورِ وَلَا مِنَ النَّارِ وَأَغْلَالِهَا ... وَلَا مِنَ الْخُذْلَانِ وَالْجُورِ لَكِنْ بُكَائِي لِبُكَا شَادِنٍ ... تَقِيهِ نَفْسِي كُلَّ مَحْذُورِ ثُمَّ قَالَ: إِنَّمَا بَكَيْتُ لِبُكَاءِ هَذَا الْأَمْرَدِ الَّذِي إِلَى جَانِبِ أَبِيكَ، وَكَانَ صَبِيًّا حَسَنَ الصُّورَةِ، يَسْمَعُ الْوَعْظَ فَيَبْكِي خَوْفًا مِنَ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ.
পৃষ্ঠা - ৮৩৬৫
قَالَ أَبُو نُوَاسٍ: دَعَانِي يَوْمًا بَعْضُ الْحَاكَةِ، وَأَلَحَّ عَلِيَّ لِيُضِيفَنِي فِي مَنْزِلِهِ، وَلَمْ يَزَلْ بِي حَتَّى أَجَبْتُهُ، فَسَارَ إِلَى مَنْزِلِهِ وَسِرْتُ مَعَهُ، فَإِذَا مَنْزِلٌ لَا بَأْسَ بِهِ، وَقَدِ احْتَفَلَ الْحَائِكُ فَلَمْ يُقَصِّرْ، فَأَكَلْنَا وَشَرِبْنَا، ثُمَّ قَالَ: يَا سَيِّدِي، أَشْتَهِي أَنْ تَقُولَ فِي جَارِيَتِي شَيْئًا مِنَ الشِّعْرِ وَكَانَ مُغْرَمًا بِجَارِيَةٍ لَهُ. قَالَ أَبُو نُوَاسٍ فَقُلْتُ: أَرِنِيهَا حَتَّى أَنْظِمَ عَلَى شَكْلِهَا، وَحُسْنِهَا. فَكَشَفَ عَنْهَا الْحِجَابَ، فَإِذَا هِيَ مِنْ أَسْمَجِ خَلْقِ اللَّهِ وَأَوْحَشِهِمْ، سَوْدَاءُ شَمْطَاءُ دِنْدَانِيَةٌ يَسِيلُ لُعَابُهَا عَلَى صَدْرِهَا، فَقُلْتُ لِسَيِّدِهَا: مَا اسْمُهَا؟ فَقَالَ: تَسْنِيمُ. فَأَنْشَأْتُ أَقُولُ: أَسْهَرَ لَيْلِي حُبُّ تَسْنِيمِ ... جَارِيَةٍ فِي الْحُسْنِ كَالْبُومِ كَأَنَّمَا نَكْهَتُهَا كَامِخٌ ... أَوْ حُزْمَةٌ مِنْ حُزَمِ الثُّومِ ضَرَطْتُ مِنْ حُبِّي لَهَا ضَرْطَةً ... أَفْزَعْتُ مِنْهَا مَلِكَ الرُّومِ قَالَ: فَقَامَ الْحَائِكُ يَرْقُصُ وَيُصَفِّقُ سَائِرَ يَوْمِهِ، وَيَفْرَحُ وَيَقُولُ: شَبَّهَهَا وَاللَّهِ بِمَلِكِ الرُّومِ. وَمِنْ شَعْرِ أَبِي نُوَاسٍ: أَبْرَمَنِي النَّاسُ يَقُولُونَ تُبْ ... بِزَعْمِهِمْ كَثْرَةُ أَوْزَارِيَهْ إِنْ كُنْتُ فِي النَّارِ وَفِي جَنَّةٍ ... مَاذَا عَلَيْكُمْ يَا بَنِي الزَّانِيَهْ وَبِالْجُمْلَةِ فَقَدْ ذَكَرُوا عَنْهُ أُمُورًا كَثِيرَةً، وَأَشْعَارًا مُنْكَرَةً، وَمُجُونًا كَثِيرَةً،
পৃষ্ঠা - ৮৩৬৬

বর্ণনাকারী বলেন, কবিতা শুনেত স্ভী আ নন্দে আত্মহারা হয়ে নাচতে লাগল এবং সারা দিন হৈ
চৈ করে আনন্দ প্রকাশ করল ৷ সে বলতে লাগল, আল্লাহ্র কসম ! করি আমার প্রেয়সীকে রোম
সম্রাটের সংগে তুলনা করেছেন ৷

আবু নুওয়াসের আর একটি কবিতা —


“লোকেরা আমাকে তাক্তবিরক্ত করে দিয়েছে তাদের ধারণা প্ৰসুত এ কথা বলে যে, আমার

গোনাহের বোঝা অনেক হয়ে গিয়েছে ৷ (আচ্ছা,) আমি জাহান্নামে যাই কিংবা জান্নাতে ; তাতে
তোমাদের কী সমস্যা হে জারজ সভানেরা ৷

মােটকথা, ঐতিহাসিক ও সমালোচকগণ তার সম্পর্কে এ ধরনের বহু আপত্তিকর বিষয়
লজ্জাহীন৩ ৷ অশ্লীলতা সম্পন্ন গর্হিত কবিতা র কথা উল্লেখ করেছেন ৷ মদের ন্তুতি ৩ও কুকর্ম
সংক্রান্ত এবং শুশ্রুবিহীন সুশ্ৰী কিশো ৷র ও তরুণীদের নিয়ে তার প্রেম-ক্রীড়৷ ত্ক্রাত বহু অশ্লীল ও
দৃর্গন্ধময় কবিতা রয়েছে ৷ এ কারণে একদল তাকে ফাসিক বলেছেন এবং অশ্লীলতায় অভিযুক্ত
করেছেন, একদল তাকে ধর্মদ্রো হী বলে অভিযুক্ত করেছেন ৷ কেউ কি মনে করেন, যে ছিল
ভনিতাক ৷রী ৷ তবে তার কবিতা ৷র প্রতি ৩লক্ষ্য করলে প্রথম মতটি অধিক স্পষ্ট সাব্যস্ত হবে ৷ আর
ধর্মদ্রোহী হওয়ার অভিযোগ অবশ্যই স্বীকৃত নয় ৷ তবে৩ তার মধ্যে চরম লজ্জাহীনতা ৷ও অশ্রীলতা
ছিল ৷৩ তার শৈশব ও বার্ধক্যে৩ তার সম্পর্কে এমন কিছু বিষয়ের কথা বলা হয়েছে যার যথার্থতা
আল্লাহ্ মা লুম ৷ জনসাধারণের মধ্যে তার সম্পর্কে এমন অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে যার কোন
ভিত্তি নেই ৷ জামি দ৷ মিাশ ৷কের আং গিনায় একটি গম্বুজ আছে যা থেকে পানি উথলে বের হয় ৷-
দামিশ কবাসীর৷ এটিকে আবুনুওয়াসের গম্বুজ নামে অভিহিত করে থাকে ৷ এটি তার মৃত্যুর দেড়
শত বছরের চেয়ে বেশী সময় পরে নির্মিত হয়েছে ৷ সুতরাং এটিকে তার নামে সম্পর্কিত করার
প্রকৃত কারণ আমার জানা নেই ৷ অ ৷ল্লাহ্ই সমধিক অবহিত ৷

মুহাম্মদ ইবন আবু উমর বলেন, আমি আবুনুওয়াসকে বলতে শুনেছি, আল্লাহর কসম ! আমি
হারাম কাজের উদ্দেশ্যে কখনো আমার পাজামা থুলিনি ৷ একবার হারুনুর রশীদের পুত্র মুহাম্মদ

আল-আমীন তাকে বলেছিলেন, তুমি তো যিনদীক ধর্মদ্বোহী ৷ তখন আবু নুওয়াস বললেন, আমি
কী করে ষিনদীক হব যেখানে আমি এ কবিতা বলেছি-

; ণ্ শ্ ৷ শ্শ্ শ্ ! ; র্চশ্

শ্ শ্ শ্

ধ্ এ

ষ্ ; শ্


وَلَهُ فِي الْخَمْرِيَّاتِ وَالْقَاذُورَاتِ وَالتَّشَبُّبِ بِالْمُرْدَانِ وَالنِّسْوَانِ أَشْيَاءُ بَشِعَةٌ شَنِيعَةٌ، فَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُفَسِّقُهُ وَيَرْمِيهِ بِالْفَاحِشَةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَرْمِيهِ بِالزَّنْدَقَةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: إِنَّمَا كَانَ يُخَرِّبُ عَلَى نَفْسِهِ. وَالْأَوَّلُ أَظْهَرُ؛ لِمَا فِي أَشْعَارِهِ، فَأَمَّا الزَّنْدَقَةُ فَبَعِيدَةٌ عَنْهُ، وَلَكِنْ كَانَ فِيهِ مُجُونٌ وَخَلَاعَةٌ كَثِيرَةٌ. وَقَدْ عَزَوْا إِلَيْهِ فِي صِغَرِهِ وَكِبَرِهِ أَشْيَاءَ، اللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهَا. وَالْعَامَّةُ تَنْقُلُ عَنْهُ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً لَا حَقِيقَةَ لَهَا. وَفِي صَحْنِ جَامِعِ دِمَشْقَ قُبَّةٌ يَفُورُ الْمَاءُ مِنْ وَسَطِهَا، يَقُولُ الدَّمَاشِقَةُ: قُبَّةُ أَبِي نُوَاسٍ. وَهِيَ مَبْنِيَّةٌ بَعْدَ مَوْتِهِ بِأَزْيَدَ مِنْ مِائَةٍ وَخَمْسِينَ سَنَةً، فَمَا أَدْرِي لِمَاذَا تُسَمَّى بِهَذَا؟ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَيْرٍ: سَمِعْتُ أَبَا نُوَاسٍ يَقُولُ: وَاللَّهِ مَا فَتَحْتُ سَرَاوِيلِي بِحَرَامٍ قَطُّ. وَقَالَ مُحَمَّدٌ الْأَمِينُ بْنُ هَارُونَ الرَّشِيدِ لِأَبِي نُوَاسٍ: أَنْتَ زِنْدِيقٌ. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، كَيْفَ وَأَنَا أَقُولُ: أُصَلِّي الصَّلَاةَ الْخَمْسَ فِي حِينِ وَقْتِهَا ... وَأَشْهَدُ بِالتَّوْحِيدِ للَّهِ خَاضِعَا وَأُحْسِنُ غُسْلًا إِنْ رَكِبْتُ جَنَابَةً ... وَإِنْ جَاءَنِي الْمِسْكِينُ لَمْ أَكُ مَانِعَا وَإِنِّي وَإِنْ حَانَتْ مِنَ الْكَأْسِ دَعْوَةٌ ... إِلَى بَيْعَةِ السَّاقِي أُجِيبُ مُسَارِعَا
পৃষ্ঠা - ৮৩৬৭


ট্রুা;ছুা ,
আমি তো প৷ ৷চ ওয়ড়াক্ত সাল ৷ত আদ৷ য় করি যথ৷ সময়ে ; আর আল্লাহর জন্য অনুগত হয়ে তার
৩াওহীদ ও একত্বাদের সাক্ষ্য প্রমাণ করি ৷ জ ৷নাবাণ্ডে ’ লিপ্ত হলে আমি সুন্দর করে গোসল করি;
কোন মিসর্কীন আমার কাছে এলে তার জন্য বা যা হই না ৷ আবার সাকী’-র ডেরায় (ক্লাবে
রেস্তোরায়) কোন পেয়ালার’ আহ্বান পেলে আমি তাতে সাড়া দেই অতি দ্রুত ৷ তা পান করি
নিরেট রুপে, দুম্বার তুনা পাজর সহকারে এবং চর্বিদার ছাগল ছানা যা সকালে দুধ পানে অভ্যস্ত
ছিল এবং চিত্তহরী ধবধবে সাদা ময়দ৷ র রুটি) তিতিরের ণ্রাষ্ট, বাদাম আর মিষ্টি ,সুরাসেবীর
জন্য এ সব অত্যন্ত উপাদেয় ৷ রাফিযীদের সংমিশ্রণকে ওে ৷ আমি সানন্দচিত্তে (চিকিৎসক)
বাখভীশু র কু-এর উদ্দেশ্যে আগুনে ফেলে দিব” ৷
কবিত ৷ শুনে আসীন তাকে বললেন, অথর্ব কোথাকার ! বাথতীশু এর কুকের আশ্রয় নিতে
তোমাকে বাধ্য করল কে ? আবুনুওয়াস বললেন, তাকে দিয়ে কা ৷ফিয়৷ (কবিতার ছন্দ মিল)
পুর্ণাৎ গ হয়েছে ৷ আমীন তাকে রাজকীয় পুরস্কার প্রদানের আদেশ ৷দিলেন ৷ (তার উল্লিখিত
বাথতীশু ছিলেন খলীফ৷ ৷গণের ব্যক্তিগত চিকিৎসক) ৷ জ্বাহিয বলেন, আবু নুওয়াসের উক্তির চেয়ে
অধিক সুক্ষ্ম মর্ম সম্পন্ন ও সৌন্দর্যমণ্ডিত উক্তি কবিদের কবিতায় আ ৷মি দেখিনি ৷৩ তার উক্তি —





ৰুন্রুাএ শুট্রুা;ৰু ংণ্ঠুৰু ৷ ১৷ ৷ ঞ,াষ্কৃ ষ্১ টুা,,ৰুহৃা৷ ষ্াশ্১া

আগুন প্রজ্বলনকারী যে কোন আগুন প্ৰজ্বলিত করুক ; কৌতুক-মশকরাকারী যে নিরেট
বাস্তবেই উপনীত হে ক আল্লাহ্ রে ! বা র্ধক্য ক৩ই উত্তম উপদেশ ৷৷দাত ও নসীহতকারী, সাধারণ
উপদেশদাতা ভুল করলেও উচ্ছল তরুণ শুধু তার প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে; অথচ সত্যের

পথ-পন্থ৷ তার জন্য অত্যন্ত স্পষ্ট ৷ তোমার দু চোখ তো ল সে (জা ৷ন্নাতী) নারীদের দিকে, যাদের
মহরান৷ হচ্ছে লেক আমল ৷

সুন্দরী হুরীদের আচ্ছাদনযুক্ত করতে পারে শুধু যে ব্যক্তি যার মীযান (আমলের পাল্লা) ভারী
হবে ৷
ছুন্ ৷ ৷ ;,;

“যে আল্লাহ্কে ভয় করে চলল (তাকওয়৷ অবলম্বন করল) সে ই যে ব্যক্তি য র কাছে
লাভজনক ব্যবসাক্ষেএ পৌছে দেয়৷ হল ৷ দীনে কোন গলদ বিষয় ও বাধা নেই; সুত তরাৎ তুমি
সকালবিকা ৷ল যাএ এ৷ কর ৷ যে জন্য তোমার যাত্রা করা র ৷ইচ্ছা হয় ৷”


وَأَشْرَبُهَا صِرْفًا عَلَى جَنْبِ مَاعِزٍ وَجَدْيٍ كَثِيرِ الشَّحْمِ أَصْبَحَ رَاضِعَا ... وَجُوذَابَ حُوَّارَى وَجُوزٍ وَسُكَّرٍ وَمَا زَالَ لِلْمَخْمُورِ ذَلِكَ نَافِعَا ... وَأَجْعَلُ تَخْلِيطَ الرَّوَافِضِ كُلِّهِمْ لِفَقْحَةِ بَخْتَيْشُوعَ فِي النَّارِ طَابِعَا فَقَالَ لَهُ الْأَمِينُ: وَيْحَكَ، وَمَا الَّذِي أَلْجَأَكَ إِلَى فَقْحَةِ بَخْتَيْشُوعَ؟ فَقَالَ: بِهَا تَمَّتِ الْقَافِيَةُ فَأَمَرَ لَهُ بِجَائِزَةٍ. وَقَالَ الْجَاحِظُ: لَا أَعْرِفُ فِي كَلَامِ الشُّعَرَاءِ أَرْفَعَ وَلَا أَحْسَنَ مِنْ قَوْلِ أَبِي نُوَاسٍ: أَيَّةُ نارٍ قَدَحَ الْقَادِحُ ... وَأَيُّ جِدٍّ بَلَغَ الْمَازِحُ لِلَّهِ دَرُّ الشَيبِ مِنْ واعِظٍ ... وَناصِحٍ لَو خُطِئَ الناصِحُ يَأَبْى الْفَتَى إِلَّا اتِّبَاعَ الْهَوَى ... وَمَنْهَجُ الْحَقِّ لَهُ واضِحُ فَاسْمُ بِعَيْنَيْكَ إِلى نِسْوَةٍ ... مُهُورُهُنَّ الْعَمَلُ الصَّالِحُ
পৃষ্ঠা - ৮৩৬৮
لَا يَجْتَلِي الْحَوْرَاءَ مِنَ خِدْرِهَا إِلَّا امْرُؤٌ مِيْزَانُهُ رَاجِحُ ... مَنِ اتَّقى اللَّهَ فَذَاكَ الَّذِي سِيقَ إِلَيهِ الْمَتْجَرُ الرَّابِحُ ... فَاغْدُ فَمَا فِي الدِّينِ أُغْلُوطَةٌ وَرُحْ لِمَا أَنْتَ لَهُ رَائِحُ وَقَدِ اسْتَنْشَدَهُ أَبُو هِفَّانَ قَصِيدَتَهُ الَّتِي يَقُولُ فِي أَوَّلِهَا: لَا تَنْسَ لَيْلَى وَلَا تَطْرَبْ إِلَى هِنْدٍ فَلَمَّا فَرَغَ مِنْهَا سَجَدَ لَهُ أَبُو هِفَّانَ، فَقَالَ لَهُ أَبُو نُوَاسٍ: وَاللَّهِ لَا أُكَلِّمُكَ مُدَّةً. قَالَ: فَغَمَّنِي ذَلِكَ، فَلَمَّا أَرَدْتُ الِانْصِرَافَ قَالَ: مَتَى أَرَاكَ؟ فَقُلْتُ: أَلَمْ تُقْسِمْ؟ فَقَالَ: الدَّهْرُ أَقْصَرُ مِنْ أَنْ يَكُونَ مَعَهُ هَجْرٌ. وَمِنْ مُسْتَجَادِ شِعْرِهِ قَوْلُهُ: أَيَا رُبَّ وَجْهٍ فِي التُّرَابِ عَتِيقِ ... وَيا رُبَّ حُسْنٍ فِي التُّرَابِ رَقِيقِ وَيَا رُبَّ حَزْمٍ فِي التُّرَابِ وَنَجْدَةٍ ... وَيَا رُبَّ رَأيٍ فِي التُّرَابِ وَثِيقِ أَرَى كُلَّ حَيٍّ هَالِكاً وَابْنَ هَالِكٍ ... وَذَا حَسَبٍ فِي الْهَالِكِينَ عَرِيقِ فَقُلْ لِقَرِيبِ الدَّارِ إِنَّكَ ظَاعِنٌ ... إِلَى سَفَرٍ نَائِي الْمَحَلِّ سَحِيقِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৬৯

আল-বিদায়া ওয়ান নিহ্ায়া : : ১

আবুআফফান তাকে একবা র সে কাসীদা টি আবৃত্তি করতে বললেন, যার শুরুতে আছে-১া
আবৃত্তি শেষ করলে আবু আফ্ফান তার সামনে সিজদাবনত হল ৷ তখন আবু নুওয়াস তাকে
বললেন, আল্লাহ্র কসম ! দীর্ঘদিন (এক মুদ্দ৩ ) পর্যন্ত আমি তোমার সৎ গে কথা বলব না ৷ আবু
আফ্ফান বলেন, ৩ার এ কসম আমাকে দৃশ্চিত্তায় ফেলে দিল ৷ পরে যখন আমি চলে যেতে
উদ্যত ৩হলাম তখন তিনি বললেন, তোমাকে আবার কবে দেখব ? আামি বললাম, আপনি না কসম
করলেন ? তিনি বললেন, ৷ (সম্পর্কবর্জন’-এর চেয়ে
দীর্ঘকাল’ ও দাহার’-এর মেয়াদ অবশ্যই সংক্ষিপ্ত) ৷
আবুনুওয়াসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতায় আছে

; ;

প্রুহুট্রু ১৷ ৷


৫“শান ! বহুাধীন-মর্যাদাবান চেহারা মাটিতে মিশ গিয়েছে, বহু আকর্ষণীয় সৌন্দর্যও
মাটিতে মিশে বিলীন হয়েছে ৷ কতাহ পা ম্বীর্য ভৈন্থর্য ও অভিজাত তা মিশিাছে মাটির সাথে ,ক৩ইি সৃদৃঢ়
অভিমত বিলীন হয়েছে মাটিতে ৷ কাছে বসবাসকারীকে বল,৩ তুমি অবশ্যই প্রস্থ ন করবে বহু
দুর দুরান্তের গন্তব্যাভিমুথী সফরে ৷ সকল জীবম্ভকেই আমি দেখতে মৃত্যুপথযাত্রী এবং
মৃত্যুপখযাত্রীর পুত্র, আর অভিজাত বংশধরও রয়েছে ধ্বৎসবরণক কারীদের তালিকায় ৷ কোন
বুদ্ধিমান যখন দুনিয়াকে পরীক্ষাকরে দেখবে তখন দুনিয়া তাকে বন্ধুর বেশে শত্রুভ্রুক উন্মুক্ত করে
দেখাবে ৷”

অনুরুপ তার উক্তি

১া

“নােভাতুর হয়ো না ৷ ৫কননা, লোভে রয়েছে যিল্পভী; আর ইয্যত ৩রয়েছে ন্থের্যে ; হঠাৎ
রাগে কিং বা নির্বুদ্ধি৩ায় নয় ৷ আহম্মকীর কারণে অহৎকা বের নিমগ্নকে বল, তুমি অহৎকারের

পরিণতি সম্পর্কে অবহিত হলে কখনো অহংকার করতে না ৷ অহৎকারে দীনকে ধ্বংস করে ৷
বুদ্ধিমত্তাহ্রাস করে দেয় এবং মর্যাদা ধ্বংস করে দেয় ৷ সুতরাং সতর্ক সচেতন হও ৷”

আবুল আ৩াহিয়্যা কাসিম ইবন ইসমা ঈল এক ক ষ্াজ বিক্রেতার (লাইব্রেরীর) দোকানে বসে
ছিলেন ৷ তিনি সেখানে একটিা খা৩ার মলাটে এ কবিতা লিখলেন-

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াবু ( ১ :ম খণ্ড)-৫১

০০াড়া



إِذَا امْتَحَنَ الدُّنْيَا لَبِيبٌ تَكَشَّفَتْ لَهُ عَنْ عَدُوٍّ فِي ثِيَابِ صَدِيقِ وَقَوْلُهُ: لَا تَشْرَهَنَّ فَإِنَّ الذُّلَّ فِي الشَّرَهِ ... وَالْعِزُّ فِي الْحِلْمِ لَا فِي الطَّيْشِ وَالسَّفَهِ وَقُلْ لِمُغْتَبِطٍ فِي التِّيْهِ مِنْ حُمَقٍ ... لَوْ كُنْتَ تَعْلَمُ مَا فِي التِّيهِ لَمْ تَتُهِ التِّيهُ مَفْسَدَةٌ لِلدِّينِ مَنْقَصَةٌ ... لِلْعَقْلِ مَهْلَكَةٌ لِلْعِرْضِ فَانْتَبِهِ وَجَلَسَ أَبُو الْعَتَاهِيَةِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْقَاسِمِ فِي دُكَّانِ وَرَّاقٍ، فَكَتَبَ عَلَى ظَهْرِ دَفْتَرٍ: أَيَا عَجَبًا كَيْفَ يُعْصَى الْإِلَ ... هُ أَمْ كَيْفَ يَجْحَدُهُ الْجَاحِدُ وَفِي كُلِّ شَيْءٍ لَهُ آيَةٌ ... تَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ وَاحِدُ ثُمَّ جَاءَ أَبُو نُوَاسٍ فَقَرَأَهَا، ثُمَّ قَالَ: أَحْسَنَ، قَاتَلَهُ اللَّهُ، وَاللَّهِ لَوَدِدْتُ أَنَّهَا لِي بِجَمِيعِ شَيْءٍ قُلْتُهُ، لِمَنْ هَذِهِ؟ قِيلَ: لِأَبِي الْعَتَاهِيَةِ. فَأَخَذَ الدَّفْتَرَ، فَكَتَبَ إِلَى جَانِبِهَا: سُبْحَانَ مَنْ خَلَقَ الْخَلْ قَ مِنْ ضَعِيفٍ ... مَهِينِ يَسوقُهُ مِنْ قَرَارٍ إِلى قَرارٍ مَكِينِ يَحورُ شَيئًا فَشَيئًا فِي الْحُجُبِ دُونَ الْعُيُونِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৭০
৷ঠুা
ন্চুন্ৰুহ্রষ্

“ওহে বিম্ময় ! কী রুপে কেউ আল্লাহর নতফরমতনী করে অথবা অস্বীকা ততরক তরী তাকে অস্বীকার
করে ? অথচ সব কিছুভে তার জন্য এ কথার নিদর্শন বিদ্যমান যে তিনি এক একক ৷”

পরে আবু নুওয়তস সেখানে আগমন করলেন এবং এ কবি৩ ত পাঠ করে বললেন, আল্লাহর
কসম ! করি অত্যন্ত সুন্দর কবিতা বলেছেন, আল্লাহর কসম আমার মনে চায় যে, আমি যত
কবি৩ ত রচনা করেছি তার সবের বিনিময়ে এ কবি৩ ত আমার হত ! এটা ক র রচনা ? লোকেরা
বলল, আবুল আত তহিয়্যার ৷ তখন আবুনুওয়তস সে খত তাটিত হত৩ তে নিয়ে তার পা শে তলিখলেন-
ক্রা-ন্ছু
প্রু
পবিত্র-নিষ্কলুষ সে সত্তা যিনি সৃষ্ট জগ৩ কে সৃষ্টি করেছেন হীনশ্লাঞ্চুনতকর দৃর্বলতত হতে ৷

তাকে পরিচালিত করতে থেকেছেন এক ন্থিরতত র ক্ষেত্র হতে পরবর্তী ন্থির৩ তর ক্ষেত্রের দিকে ৷

একটু একটু করে ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি করে ন দৃষ্টির ৩াওরতণে পর্দতর ব৩া৩তওরে ৷ অবশেষে প্রকাশ পেল
সৃজি৩ তম্পন্দন স্থিরতত র মাঝে ৷’-

তার তগ্রেষ্ঠ কবিতা তর তা ততলিক তয় রয়েছে



ষ্১া’১ ৷ ষ্পুৰুব্লুঠুর্দুশু ,
০াত৷ এে৷ ষ্১ ঠু;ণ্; ১তট্রু ৰু৷ ৷ ষ্া; ষ্টুব্ল:া৷ ট্রুতঞএে ৷ ৷স্থুৰুর্দুা
র্চু৷ ষ্ত;

“আমার যৌবনের শক্তি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল এবং থেলাধুলতয় ভতটত পড়লশ্ যখন বতর্ধক্য আমার
সিথিকে মহতপ্রলয়ের সং বাদ দিল এবং বুদ্ধি-বিবেক আমাকে নিষেধ করল ৷ ফলে আমি ন্যায়
পরতয়ণততর দিকে আকৃষ্ট হলতম এবং আমাকে স৩ বকিতরীর বক্তব্য সন্ত্রস্ত হলতম ৷ হে উদা সীন,
ভুলের স্বীকতরোক্তিকত রী! ভুলকারীর জন্য পুনরাবৃত্তির ওযর গ্রহণ যেত গ্য নয় ৷ আমরা আমাদের

আমল দ্বারা মুক্তি লাভের ক্ষমতা রাখি না সে দিন, যে দিন আকাশ কপত তলের কত তছেই প্রকত ৷শমান
হবে ৷ তবুও মন্দ কাজ ও ঘটতে-বিচ্যুতি ৩সতত্ত্বও অ তমরত অ তল্লতহ্র উত্তম ক্ষমতর প্রতি আশ ততবতদী ৷ ”

এবং তার কালজয়ী এ কবিতা-


حَتَّى بَدَتْ حَرَكَاتٌ مَخْلُوقَةٌ مِنْ سُكُونِ وَمِنْ شِعْرِ أَبِي نُوَاسٍ الْمُسْتَجَادِ قَوْلُهُ: انْقَضَتْ شِرَّتِي فَعِفْتُ الْمَلَاهِي ... إِذْ رَمَى الشَّيْبُ مَفْرِقِي بِالدَّوَاهِي وَنَهَتْنِي النُّهَى فَمِلْتُ إِلَى الْعَدْ ... لِ وَأَشْفَقْتُ مِنْ مَقَالَةِ نَاهِ أَيُّهَا الْغَافِلُ الْمُقِيمُ عَلَى السَّهْ ... وِ وَلَا عُذْرَ فِي الْمُقَامِ لِسَاهِ لَا بِأَعْمَالِنَا نُطِيقُ خَلَاصًا ... يَوْمَ تَبْدُو السِّمَاتُ فَوْقَ الْجِبَاهِ غَيْرَ أَنَّا عَلَى الْإِسَاءَةِ وَالتَّفْ ... رِيطِ نَرْجُو مِنْ حُسْنِ عَفْوِ الْإِلَهِ وَقَوْلُهُ: نَمُوتُ وَنَبْلَى غَيْرَ أَنَّ ذُنُوبَنَا ... إِذَا نَحْنُ مِتْنَا لَا تَمُوتُ وَلَا تَبْلَى أَلَا رُبَّ ذِي عَيْنَيْنِ لَا تَنْفَعَانِهِ ... وَهَلْ تَنْفَعُ الْعَيْنَانِ مَنْ قَلْبُهُ أَعْمَى وَقَوْلُهُ: لَوْ أَنَّ عَيْنًا وَهَّمَتْهَا نَفْسُهَا ... يَوْمَ الْحِسَابِ مُمَثَّلًا لَمْ تَطْرَفِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৭১


“আমরা মরে যাই এবং জীর্ণ হয়ে যাই ; কিন্তু আমাদের পাপগুলাে আমরা যারা গেলেও-

মরে যায় না ও জীর্ণ-বিলীন হয়ে যায় না ৷ ওহে গােন ! বহু দুই চোখওয়ালা এমনও আছে যে,
চোখ তাদের উপকারে আসে না এবং যার অন্তর অন্ধ চোখ তার উপকার করে না ৷ ”

অনুরুপ তার এ কবিতা
চুএ-ন্এঠো
কোন সত্তা তার চোখের কাছে হিসাব দিবসের দৃশ্য চিত্রিত করে উপস্থাপন করলে সে চোখ
আর পলক ফেলবে না ৷ পুত-পবিত্র মহা রাজত্বের অধিকারী আল্লাহ্ ! কোন সে রাত যার

সকালকে নিম্প্রভ করা হয়েছে (হাশরে) অবস্থানের দিন দ্বারা ৷ সৃষ্টির পালনকর্তা সৃষ্টির জন্য বিনাশ
লিখে দিয়েছেন ; সুতরাং মানুষ রয়েছে আগমন ও প্রভ্যাগমনের মাঝে ৷ ’

বর্ণিত আছে, আবুনুওয়াস হরুজ্জর ইহরাম বীধার ইচ্ছা করলে এ কবিতা রচনা করলেন-

এঞা ৰুদ্ভুরুৰু এষ্ণু
“হে মালিক ! কতই ন্যায়পরায়ণ তুমি ? যারাই কোন কিছুর মালিক, তাদের হে মহা মালিক !
লাব্বায়কা হাযির বান্দা হাযির নিশ্চয় সব প্রশংসা তোমার, আর রাজতু ; তোমার কোন শরীক
নেই তোমার রান্দার তোমার উদ্দেশ্যে ইহ্রাম বেধেছে ; সে যেখানেই পথ চলুক ৷ ক্কুসিই তার
জন্য, হে আমার পালনকর্তা তুমি না হলে তো সে ধ্বংস হয়েই যেত : লাব্বায়ক হাযির, হাযির ,

সব প্রশংসা তোমার ৷ এবং রাজত্ব ; তোমার কোন শরীক নেই ৷ রাত যখন তার আধার ঘনীভ্যুচ
হয় এবং মহাকাশে সম্ভরণকারীরা তাদের কক্ষপথে চলমান হয় ৷ সকল নবী ও ফেরেশতা এবং

ণোমোঃ :০ তো

سُبْحَانَ ذِي الْمَلَكُوتِ أَيَّةَ لَيْلَةٍ ... مَخِضَتْ صَبِيحَتُهَا بِيَوْمِ الْمَوْقِفِ كَتَبَ الْفَنَاءَ عَلَى الْبَرِيَّةِ رَبُّهَا ... فَالنَّاسُ بَيْنَ مُقَدَّمٍ وَمُخَلَّفِ وَذَكَرُوا أَنَّ أَبَا نُوَاسٍ لَمَّا أَرَادَ الْإِحْرَامَ بِالْحَجِّ قَالَ: إِلَهَنَا مَا أَعْدَلَكْ ... مَلِيكَ كُلِّ مَنْ مَلَكْ لَبَّيْكَ قَدْ لَبَّيْتُ لَكْ ... لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكْ ... مَا خَابَ عَبْدٌ سَأَلَكْ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ لَكْ ... وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ أَنْتَ لَهُ حَيْثُ سَلَكَ ... لَوْلَاكَ يَا رَبِّي هَلَكْ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ لَكَ ... وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ وَاللَّيْلُ لَمَّا أَنْ حَلَكْ ... وَالسَّابِحَاتُ فِي الْفَلَكْ عَلَى مَجَارِي الْمُنْسَلَكْ ... كُلُّ نَبِيٍّ وَمَلَكْ وَكُلُّ مَنْ أَهَلَّ لَكْ ... سَبَّحَ أَوْ صَلَّى فَلَكْ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ لَكْ ... وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكْ
পৃষ্ঠা - ৮৩৭২
يَا مُخْطِئًا مَا أَغْفَلَكْ ... عَجِّلْ وَبَادِرْ أَمَلَكْ وَاخْتِمْ بِخَيْرٍ عَمَلَكْ ... لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ لَكْ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيكَ لَكْ وَقَالَ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ: ثِنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ، سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ يَحْيَى ثَعْلَبًا يَقُولُ: دَخَلْتُ عَلَى أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، فَرَأَيْتُ رَجُلًا تُهِمُّهُ نَفْسُهُ، لَا يُحِبُّ أَنْ يُكْثَرَ عَلَيْهِ، كَأَنَّ النِّيرَانَ قَدْ سُعِّرَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَمَا زِلْتُ أَتَرَفَّقُ بِهِ، وَتَوَسَّلْتُ إِلَيْهِ بِأَنِّي مِنْ مَوَالِي شَيْبَانَ، حَتَّى قَالَ: فِي أَيِّ شَيْءٍ نَظَرْتَ؟ فَقُلْتُ: فِي عِلْمِ اللُّغَةِ وَالشِّعْرِ. قَالَ: مَرَرْتُ بِالْبَصْرَةِ وَجَمَاعَةٌ يَكْتُبُونَ عَنْ رَجُلٍ الشِّعْرَ، وَقِيلَ لِي: هَذَا أَبُو نُوَاسٍ فَتَخَلَّلْتُ النَّاسَ وَرَائِي، فَلَمَّا جَلَسْتُ أَمْلَى عَلَيْنَا: إِذَا مَا خَلَوْتَ الدَّهْرَ يَوْمًا فَلَا تَقُلْ ... خَلَوْتُ وَلَكِنْ قُلْ عَلَيَّ رَقِيبُ وَلَا تَحْسَبَنَّ اللَّهَ يَغْفَلُ سَاعَةً ... وَلَا أَنَّ مَا يَخْفَى عَلَيْهِ يَغِيبُ لَهَوْنَا لَعَمْرُ اللَّهِ حَتَّى تَتَابَعَتْ ... ذُنُوبٌ عَلَى آثَارِهِنَّ ذُنُوبُ
পৃষ্ঠা - ৮৩৭৩


যারা ই তোমার উদ্দেশ্যে ইহরাম বাধে (ও৩ তালবিয়া উচ্চারণ করে)-৩ ৩াসবীহ পাঠ করে কিংবা

সালাত আদায় করে তা তোম ৷রই জন্য; লাব্বায়ক হাযির সব প্রশংসা তোমার এবং রাজত্ব
( তোম র), কে ন শ্ ৷রীক নেই তোমার ৷ হে পাপাচ৷ ৷রী ! কতই মুর্থতু ! সে প ৷লনকর্তা র অবাধ্য
হয়েছ যিনি তোমাকে সুপরিমিত করেছেন, তোমাকে ক্ষমতাবান করেছেন এবং তোমাকে
অবকাশ দিয়েছেন ৷ তোমার আশা-বাসনা (দুরাশা) কে অতিক্রম করে দাড়িয়ে যাও এবং তোমার
আমলকে উত্তম কিছু দিয়ে সমাপ্ত কর ; লাব্বায়ক হাযির বান্দ৷ হাযিব ও সব প্রশংসা তোমার এবং
রাজত্ব, নেই কোন শয়ীক তোমার ”

ঘুআফী ইবন যাকারিয়া হারীরী বলেন, মুহাম্মদ ইবনৃল আব্বাস ইবনুল ওয়ালীদ আমাদের কাছে
বরুনি৷ করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আহমদ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন ছালাবকে বলতে শুনেছি, আমি
আহমদ ইবন হাম্বলের নিকট প্রবেশ করলাম ৷ আমি এমন এক ব্যক্তিকে দেখলাম যার সত্য
তাকে চিস্তাগ্নস্ত করে রেখেছে এবং তিনি নিজের কাছে অনেক মানুষের উপস্থিতি পসন্দ করছেন
না ৷ যেন আগুন তার সামনে প্রজুলিত করে রাখা হয়েছে ৷ আমি তার মনোরঞ্জন করতে লাগলাম
এবং আমি শ্া৷য়বান গোত্রের মাওলা এ কথা বলে তার কাছে পৌছার উপায় খুজতে লাগলাম ৷
অবশেষে তিনি আমার সংগে কথা বলতে সম্মত হলেন ৷ তিনি বললেন, আপনি কোন প্রকারের
ইল্ম নিয়ে চর্চা করেছেন ? আমি বললাম, অভিধান ও কাব্য নিয়ে ৷ তিনি বললেন, আমি বসরায়
এক দল লোককে দেখলাম, তারা এক ব্যক্তির কাছ হতে কবিতা লিখছে ৷ আমাকে বলা হল, ইনি

আবু নুওয়াস ৷ আমি লোকদের ডিংগিয়ে তার কাছে পৌছলাম ৷ আমি তার কাছে বসলে তিনি
আমাদের এ কবিতা লেখালেন-

৷ ১ ৷
১াএ
া;১৷ ৷ ;,; ৷;টুস্থুৰু
৷ ন্ দু৷ ’;ন্এএে
দীর্ঘ জীবনকা ৷লে (কান দিন তুমি নির্জনে অবস্থান করলেও এ কথা বলনা যে, আমি নির্জনে
রয়েছি (সুতরাং যা ইচ্ছা তা করতে পারি) বরং নির্জনেও রয়েছে গোপন পর্যবেক্ষণক৷ ৷রী ৷ কক্ষণো
আল্লাহ্কে এক ঘুহুর্তের জন্য অমনােযােগী’ ধারণ ৷ কর না এবং কোন নগোপনে পাপক৷ ৷রীও তার
কাছে অদৃশ্য থাকে না ৷ আমরা পাপের কাজে উদাসীনতা প্রদর্শন করেছি ; ফলে পাপের পরে

পাপের ধারা প্রবাহিত হয়েছে ৷ হায় বাসন৷ ! যদি আল্লাহ বিগত বিষয়গুলো মাফ করে দেন এবং
আমাদের তওরা করার অনুমতি দেন ৷ তবে আমরা তওরা করব ৷ ’

কারো কারো বর্ণনায় এ কবিতার সংগে আবুনুওয়াসের নিম্নের কবিতার উল্লেখ রয়েছে
র্দুৰু,এ১ ৷১ ৷ টুাপ্রুওা
মোঃ ,া,এে

)

শ্ শ্ এ শ্ শ্ শ্ শ্ এ


فَيَا لَيْتَ أَنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ مَا مَضَى ... وَيَأْذَنُ فِي تَوْبَاتِنَا فَنَتُوبُ وَزَادَ بَعْضُهُمْ فِي رِوَايَةٍ عَنْ أَبِي نُوَاسٍ بَعْدَ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ: أَقُولُ إِذَا ضَاقَتْ عَلَيَّ مَذَاهِبِي ... وَحَلَّ بِقَلْبِي لِلْهُمُومِ نُدُوبُ لِطُولِ جِنَايَاتِي وَعِظَمِ خَطِيئَتِي ... هَلَكْتُ وَمَا لِي فِي الْمَتَابِ نَصِيبُ وَأَغْرَقُ فِي بَحْرِ الْمَخَافَةِ آيِسًا ... وَتَرْجِعُ نَفْسِي تَارَةً فَتَتُوبُ وَيُذْكَرُ عَفْوٌ لِلْكَرِيمِ عَنِ الْوَرَى ... فَأَحْيَا وَأَرْجُو عَفْوَهُ فَأُنِيبُ فَأَخْضَعُ فِي قَوْلِي وَأَرْغَبُ سَائِلًا ... عَسَى كَاشِفُ الْبَلْوَى عَلَيَّ يَتُوبُ قَالَ ابْنُ طَرَارَا الْجَرِيرِيُّ، وَقَدْ رُوِيَتْ هَذِهِ الْأَبْيَاتُ: لِمَنْ؟ قِيلَ: لِأَبِي نُوَاسٍ، وَهِيَ فِي زُهْدِيَّاتِهِ. وَقَدِ اسْتَشْهَدَ بِهَا النُّحَاةُ فِي أَمَاكِنَ كَثِيرَةٍ قَدْ ذَكَرْنَاهَا. وَقَالَ حَسَنُ ابْنُ الدَّايَةِ: دَخَلْتُ عَلَى أَبِي نُوَاسٍ وَهُوَ فِي مَرَضِ الْمَوْتِ، فَقُلْتُ: عِظْنِي. فَأَنْشَأَ يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৮৩৭৪


ষ্;৩ব্রাক্ট্রটু
“আমার (জীবন) চলার পথ যখন আমার জন্য সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং আমার হৃদয় জগতে
দৃশ্চিম্ভার জন্য বিলাপ নেমে আসে তখন আমি বলি আমার অপরাধের দীর্ঘ ফিরিস্ত ও আমার
ভ্রান্তির বিশাল পরিধির কারণে আমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছি এবং তওবায় আমার কোন অংশ নেই ৷
আমি নিরাশায় ভীতির সাগরে ডুবে যাই (হড়াবুডুবু খইি) এবং কখনো আমার সত্তা ফিরে এসে
বংতওব৷ করে ৷ সে আমাকে সৃষ্টির প্রতি দয়াবানের ক্ষমা স্মরণ করিয়ে দেয় ৷ ফলে আ মি জীবন
ফিরে পাই এবংত ত৷ র ক্ষমাৱ প্রতি আশাবাদী হয়ে (ত যে দিকে) ধাৰিত হই ৷ তখন আমি আমার
কথায় বিনয়ী হই এবং আগ্রহ ভরে (ক্ষমা) প্রার্থনা করি; আশা করি, বিপদ অবমুক্তকা ৷রী আমার
তওবা কবুল করবেন ৷ ”
ইবন তাররায আল-জারীরী বলেছেন ৷ আমি এ কবিতাগুলো উদ্ধৃত করেছি--জবাবে বলা হল,
আবু নুওয়াসের ৷ এগুলো তার যুহদ’ (পৃথিবীর প্রতি অনীহ৷ ও বিরাগ) বিষয়ক কবিতার অন্তর্ভুক্ত ৷
নাহুবিদপণ বহু স্থানে এগুলো দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি ৷

হাসান ইবনুদ-দা যা বলেছেন, আবু নুওয়াসের মরণ-ব্যাধির সময় আমি তার কাছে গেলাম
এবং তাকে বললাম, আমাকে উপদেশ দিন ! তখন তিনি আবৃত্তি করতে লাগলেন —




র্দু প্ণ্ন্এ্পু
“কর, তোমার সাধ্যানুসারে বেশী বেশী গোনাহ কর ; কেননা ত তো এক মহা ক্ষমাশীল
পালনকর্তার সাক্ষাত লাভ করবে ৷ ভুমি অচিরেই দেখতে পাবে তীর কাছে গেলেই ক্ষমা
এবং সাক্ষাত লাভ করবে এক ক্ষমতাবান মইিয়ান মালিকের ৷ তখন তমিএই আক্ষেপে হাত
কামড়াবে যে, আগুনের (জাহান্নামের) ভয়ে তুমি মন্দ কাজ বর্জন করেছিলে” ৷
আমি বললাম, হতভাপা এরকম নাযুক পবিন্থিমিস্থত ও মি আমাকে এমন উপদেশ দিলে ?
তিনি বললেন, চুপ থাক ! (হাদীস ৫শ্ ৷৷ন-) হ ৷ম্মাদ ইবন সালামা ছা ৷বিত সুত্রে আনাস (বা) হতে
বনাি করেন৷ মিনি বলেন নবী (সা) বলেছেন,’ এে ৷ গ্লু,ষ্ ,; এে ৷ ৰুাণ্ড্রৰু৷ ;; ন্প্রু৷ ৷
আমি আমার শাফাআত আমার উষ্মতের কাবীর৷ পােনাহকা ৷রীদের জন্য সঞ্চয় করে রেখেছি ৷ এ
সনদেইত তার সুত্রে পুবে বর্ণিত হয়েছে, (হাদীস ) টু,া;৷ ৷ ;,প্রুট্রু প্রুঠুা, ১৷ ৷ ণ্হু ৷ ”fl“ ১া
এ ৮ (তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি তসুধ ৷রণ৷ পোষণ না করে মৃতদ্রবরণ না করে ৷ রাবী
প্রমুখ শাফিঈ হতে বর্ণনা করেছেন ৷ তনি বলেন, আবু নুওয়াস যে দিন মৃত্যুবরণ করেন সেদিন
আমরা তার কাছে প্রবেশ করলাম, তখন তার জীবন বায়ু নির্গত হচ্ছিল ৷ আমরা বললাম,
আজকের দিনের জন্য আপনি কী প্রস্তুত করে রেখেছেন ? তিনি এ কবিতা আবৃত্তি করলেন-


تَكَثَّرْ مَا اسْتَطَعْتَ مِنَ الْخَطَايَا ... فَإِنَّكَ لَاقِي رَبًّا غَفُورَا سَتُبْصِرُ إِذْ وَرَدْتَ عَلَيْهِ عَفْوَا ... وَتَلْقَى سَيِّدًا مَلِكًا قَدِيرَا تَعَضُّ نَدَامَةً كَفَّيْكَ مِمَّا ... تَرَكْتَ مَخَافَةَ النَّارِ السُّرُورَا فَقُلْتُ: وَيْلَكَ، فِي مِثْلِ هَذِهِ الْحَالِ تَعِظُنِي بِهَذِهِ الْمَوْعِظَةِ؟ فَقَالَ: اسْكُتْ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ادَّخَرْتُ شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي» وَقَدْ تَقَدَّمَ لَهُ بِهَذَا السَّنَدِ «لَا يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلَّا وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّهِ» وَقَالَ الرَّبِيعُ وَغَيْرُهُ، عَنِ الشَّافِعِيِّ: دَخَلْنَا عَلَى أَبِي نُوَاسٍ فِي الْيَوْمِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، وَهُوَ يَجُودُ بِنَفْسِهِ، فَقُلْنَا: مَا أَعْدَدْتَ لِهَذَا الْيَوْمِ؟ فَأَنْشَأَ يَقُولُ: تَعَاظَمَنِي ذَنْبِي فَلَمَّا قَرَنْتُهُ ... بِعَفْوِكَ رَبِّي كَانَ عَفْوُكَ أَعْظَمَا فَمَا زِلْتَ ذَا عَفْوٍ عَنِ الذَّنْبِ لَمْ تَزَلْ ... تَجُودُ وَتَعْفُو مِنَّةً وَتَكَرُّمَا وَلَوْلَاكَ لَمْ يَصْمُدْ لِإِبْلِيسَ عَابِدٌ ... فَكَيْفَ وَقَدْ أَغْوَى صَفِيَّكَ آدَمَا
পৃষ্ঠা - ৮৩৭৫
رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَرُوِيَ أَنَّهُمْ وَجَدُوا عِنْدَ رَأْسِهِ رُقْعَةً مَكْتُوبًا فِيهَا بِخَطِّهِ: يَا رَبِّ إِنْ عَظُمَتْ ذُنُوبِي كَثْرَةً ... فَلَقَدْ عَلِمْتُ بِأَنَّ عَفْوَكَ أَعْظَمُ إِنْ كَانَ لَا يَرْجُوكَ إِلَّا مُحْسِنٌ ... فَمَنِ الَّذِي يَدْعُو وَيَرْجُو الْمُجْرِمُ أَدْعُوكَ رَبِّ كَمَا أَمَرْتَ تَضَرُّعًا ... فَإِذَا رَدَدْتَ يَدِي فَمَنْ ذَا يَرْحَمُ مَا لِي إِلَيْكَ وَسِيلَةٌ إِلَّا الرَّجَا ... وَجَمِيلُ عَفْوِكَ ثُمَّ أَنَّي مُسْلِمُ وَقَالَ يُوسُفُ ابْنُ الدَّايَةِ: دَخَلْتُ عَلَيْهِ، وَهُوَ فِي السِّيَاقِ، فَقُلْتُ: كَيْفَ تَجِدُكَ؟ فَأَطْرَقَ مَلِيًّا، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، فَقَالَ: دَبَّ فِيَّ الْفَنَاءُ سُفْلًا وَعُلْوًا ... وَأُرَانِي أَمُوتُ عُضْوًا فَعُضْوَا لَيْسَ تَأْتِي مِنْ سَاعَةٍ بِيَ إِلَّا ... نَقَصَتْنِي بِمُرِّهَا فِيَّ جَزْوَا ذَهَبَتْ جِدَّتِي بِلَذَّةِ عَيْشِي ... وَتَذَكَّرْتُ طَاعَةَ اللَّهِ نِضْوَا
পৃষ্ঠা - ৮৩৭৬

টুহ্রট্রৰু, হ্দ্বুণ্া:
আমার পাপরাশি আমার দৃষ্টিতে বিশাল প্রতিভাত হয় ; পরে আমি তাকে আপনার ক্ষমার
পাশাপাশি রাখলে হে আমার পালনকর্তা ! আপনার ক্ষমা বিশালতম দেখা যায় ৷ আপনি তেড়া সদা
সর্বদা গোনাহ ক্ষমাকারী এবং অনুগ্রহ ও বদান্যতার কারণেই আপনার ক্ষমা ও দানের ধারা সদা
চলমান ৷ আপনি (ও আপনার অনুগ্রহ) না হলে কোন আবিদ ইবলীসের খপ্পর হতে রক্ষা পেত না ৷
কেননা, সে তো আপনার বিশিষ্ট নির্বাচিত আদম (আ)-কে বিভ্রান্তি করে ফেলেছিল ৷

ইবন আসাকির এটি বর্ণনা করেছেন ৷ তার বর্ণনায় আরো আছে যে, লোকেরা আবু নৃওয়াসের
মাথার কাছে এক টুকরা কাগজ পেয়েছিল যাতে তার নিজ হস্তাক্ষরে লেখা ছিল-

১৷ ৷ এ প্ৰুর্চুৰুন্৷ হ্১ষ্-ৰু ;, ৷


হে আমার পালনকর্তা ! পরিমাণে আমার পাপ যদি হয় বিশাল, তবে আমি তো জানি,
তোমার ক্ষমা বিশালতম ৷ হে আমার পালনকর্তা ! তোমার কাছে দৃআ করছি কান্নাকাটি সহকারে,
যেমন তুমি আদেশ করেছ ৷ তুমি যদি আমার হাত ফিরিয়ে দাও তবে কে আছে (আমাকে) দয়া
করবে ? যদি এমন হয় যে, শুধু পুণ্যবানই তোমার কাছে আশাবাদী হবে, তবে অপরাধী পাপাচারী
কার কাছে আশা পোষণ করবে ? আশা ও বাসনা এবং তোমার সুমহান ক্ষমা ব্যতীত এবং এই
ভরসা ব্যতীত যে, আমি একজন মুসলিম আত্মসমর্পণকারী তোমার কাছে আমার (দাবী করার)
আর কোন উসীলা ও সুত্র নেই ৷ ”

ইউসুফ ইবনুদ দায়া বলেন, আমি আবু নৃওয়াসের কাছে গেলাম, তখন তিনি মুমুর্বৃ অবস্থায়
ছিলেন ৷ আমি বললাম, কী অবস্থান এখন আপনারা তিনি দীর্ঘ সময় মাথা নত করে রাখলেন এবং
পরে মাথা তুলে বললেন, (কবিতা)

;;
া,;,পু,
“বিনাশ-বিলুপ্তি’ আমার দেহের উপর-নিচ সর্বত্র চলাচল’ করছে আর আমি দেখতে পাচ্ছি


قَدْ أَسْأْنَا كُلَّ الْإِسَاءَةِ فَاللَّهُمَّ ... صَفْحًا عَنَّا وَغَفْرًا وَعَفْوَا ثُمَّ مَاتَ مِنْ سَاعَتِهِ، سَامَحَهُ اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصًا. فَأَوْصَى أَنْ يُجْعَلَ فِي فَمِهِ إِذَا غَسَّلُوهُ، فَفَعَلُوا بِهِ ذَلِكَ. وَلَمَّا مَاتَ لَمْ يَجِدُوا لَهُ مِنَ الْمَالِ سِوَى ثَلَاثِمِائَةِ دِرْهَمٍ وَثِيَابِهِ وَأَثَاثِهِ. وَقَدْ كَانَتْ وَفَاتُهُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ بِبَغْدَادَ وَدُفِنَ فِي مَقَابِرِ الشُّونِيزِيَّةِ فِي تَلِّ الْيَهُودِ، وَلَهُ خَمْسُونَ سَنَةً، وَقِيلَ: سِتُّونَ سَنَةً. وَقِيلَ: تِسْعٌ وَخَمْسُونَ سَنَةً. وَقَدْ رَآهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ فِي الْمَنَامِ، فَقَالَ لَهُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ: غَفَرَ لِي بِأَبْيَاتٍ قُلْتُهَا فِي النَّرْجِسِ: تَأَمَّلْ فِي نَبَاتِ الْأَرْضِ وَانْظُرْ ... إِلَى آثَارِ مَا فَعَلَ الْمَلِيكُ عُيُونٌ مِنْ لُجَيْنٍ فَاخِرَاتٌ ... بِأَحْدَاقٍ هِيَ الذَّهَبُ السَّبِيكُ عَلَى قَصَبِ الزَّبَرْجَدِ شَاهِدَاتٌ ... بِأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ لَهُ شَرِيكُ وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: غَفَرَ لِي بِأَبْيَاتٍ قُلْتُهَا، وَهِيَ تَحْتَ وِسَادَتِي، فَجَاءُوا فَوَجَدُوهَا فِي رُقْعَةٍ بِخَطِّهِ وَهِيَ هَذِهِ الْأَبْيَاتُ:
পৃষ্ঠা - ৮৩৭৭

যে, এক এক অংগ করে আমার মৃত্যু হচ্ছে ৷ এক একটি মুহুর্তে আমার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে
আর তার অতিক্রমণ আমার এক একটি অংগ ক্ষয় করে দিচ্ছে ৷ আমার হিম্মত ও সুন্থতার সময়
অতিবাহিত হয়েছে জীবন ভোগের আনন্দ বিলাসে ; এখন জীর্ণ-শীর্ণ অবস্থায় স্মরণ করছি আল্লাহর
আনুগত্যের কথা ৷ আমরা মন্দ করেছি পরিপুর্ণ মন্দ ; হে আল্লাহ ! মার্জনা ! মাগফিরাত ! ! ও
ক্ষমা ৷ ৷”

এরপর অবিলম্বে তার মৃত্যু হল ৷ আল্লাহ আমাদের ও তাকে মার্জনা করুন আমীন !

তার আত্টিতে খােদাইকৃত বাণী ছিল : ৷া; <ট্রু৷ ৷ ১৷ ৷ < ১৷ তিনি সেটি গোসলের সময়
তার মুখের মধ্যে দিয়ে দেয়ার ওসিয়ত করেছিলেন ৷ লোকেরাও তা-ই করেছিল ৷ মৃত্যুর পরে
তার পরিত্যক্ত সম্পদের মধ্যে তার কাপড়চােপড়, তার আসবাবপত্র ও তিনশ দিরহামের
অতিরিক্ত কিছু পাওয়া গেল না ৷ এ বছরেই বাগদাদে তার মৃত্যু হয়েছিল এবং ইয়াহুদী অধিত্যকায়
(টিলাভুমি) শাওনীযী গোরন্থানে তাকে দাফন করা হয় ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল পঞ্চাশ বছর
এবং মতান্তরে ষাট বছর অথবা উনষাট বছর ৷ তার বন্ধুদের কেউ তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা
করল, আল্লাহ্ আপনার সংগে কেমন আচরণ করেছেন ? তিনি বললেন, আমাকে সে কবিতার
জন্য মাফ করে দিয়েছেন যা আমি নার্গিস (ফুল) সম্পর্কে রচনা করেছিলাম-


র্চুণ্ড্রপু
ষ্ণ্১৷ ;,প্রু ;, ;র্মু;

ভুমিতে উৎপাদিত গাছপালা নিয় চিন্তা-ভাবনা কর এবং মহা মালিক কী বিনির্মাণ করেছেন তা
লক্ষ্য কর ৷ (তুমি দেখতে পাবে, নার্গিস যেন, ) রুপার তৈরি চোখ (এর বহিরাবয়ব) যা ৰিগলিত
সোনা দিয়ে (তৈরি) দৃষ্টিশক্তি (চোখের অভ্যন্তর ভাগ) দিয়ে দর্শন করছে ; পান্নড়ার তৈরি ডালের
উপরে (দোলায়মান) — সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্র কোন শরীক নেই ৷’

অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, আমাকে সে কয় লাইন কবিতার কারণে মাফ করে

দেয়৷ হয়েছে ৷ যা আমি রচনা করেছিলাম এবং তা আমার বালিশের নিচে রয়েছে ৷ তখন তারা
এসে এক টুকরা কাগজে তার হাতের লেখা দেখতে পেল


সহ অন্যান্য লাইনগুলি, যা পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ ইবন আসাকিরের একটি বর্ণনায় আছে ৷
কেউ বলেছেন, আমি স্বপ্নে আবু নুওয়াসকে উত্তম বেশভুষা ও বিশাল প্রাচুর্যের মধ্যে দেখতে পেয়ে
জিজ্ঞাসা করলাম ৷ আল্লাহ্ আপনার সংগে কী আচরণ করেছেন ? তিনি বললেন, আমাকে মাফ
করে দিয়েছেন ৷ আমি বললড়াম, কিসের উসীলায় , আপনি তো নিজেকে ভাল-মন্দ কর্মে জড়িয়ে
রেখেছিলেন ? তিনি বললেন, এক রাতে একজন পুণ্যবান ব্যক্তি কবরস্থানে এলেন এবং তার
চাদর (জায়নামায) বিছিয়ে দুই রাকআত সালাত আদায় করলেন, যাতে তিনি দুই হাজার বার সুরা
ইখলাস ( ৷ এি ৷ ,ষ্ ,:ষ্) পাঠ করলেন ৷ পরে তার সওয়াব এ কবরস্থানের বাসিন্দাদের জন্য


يَا رَبِّ إِنْ عَظُمَتْ ذُنُوبِي كَثْرَةً ... فَلَقْدْ عَلِمْتُ بِأَنَّ عَفْوَكَ أَعْظَمُ الْأَبْيَاتِ. وَقَدْ تَقَدَّمَتْ. وَفِي رِوَايَةٍ لِابْنِ عَسَاكِرَ، قَالَ بَعْضُهُمْ: رَأَيْتُهُ فِي الْمَنَامِ فِي هَيْئَةٍ حَسَنَةٍ وَنِعْمَةٍ عَظِيمَةٍ، فَقُلْتُ لَهُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ قَالَ: غَفَرَ لِي. قُلْتُ: بِمَاذَا؟ وَقَدْ كُنْتَ مُخَلِّطًا عَلَى نَفْسِكَ؟ فَقَالَ: جَاءَ ذَاتَ لَيْلَةٍ رَجُلٌ صَالِحٌ إِلَى الْمَقَابِرِ، فَبَسَطَ رِدَاءَهُ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، قَرَأَ فِيهِمَا أَلْفَيْ مَرَّةٍ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] ثُمَّ أَهْدَى ثَوَابَ ذَلِكَ لِأَهْلِ تِلْكَ الْمَقَابِرِ، فَدَخَلْتُ أَنَا فِي جُمْلَتِهِمْ فَغَفَرَ اللَّهُ لِي. وَقَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ لَمَّا صَحِبَ أَبَا أُسَامَةَ وَالِبَةَ بْنَ الْحُبَابِ قَدِمَ بِهِ بَغْدَادَ فَكَانَ أَوَّلَ شِعْرٍ قَالَهُ أَبُو نُوَاسٍ: حَامِلُ الْهَوَى تَعِبُ ... يَسْتَخِفُّهُ الطَّرَبُ إِنْ بَكَى يَحِقُّ لَهُ ... لَيْسَ مَا بِهِ لَعِبُ تَضْحَكِينَ لَاهِيَةً ... وَالْمُحِبُّ يَنْتَحِبُ تَعْجَبِينَ مِنْ سَقَمِي ... صِحَّتِي هِيَ الْعَجَبُ
পৃষ্ঠা - ৮৩৭৮
وَقَالَ الْمَأْمُونُ: مَا أَحْسَنَ قَوْلَهُ: وَمَا النَّاسُ إِلَّا هَالِكٌ وَابْنُ هَالِكٍ ... وَذُو نَسَبٍ فِي الْهَالِكِينَ عَرِيقُ إِذَا امْتَحَنَ الدُّنْيَا لَبِيبٌ تَكَشَّفَتْ لَهُ ... عَنْ عَدُوٍّ فِي ثِيَابِ صَدِيقِ قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ: وَمَا أَشَدَّ رَجَاءَهُ بِرَبِّهِ حَيْثُ يَقُولُ: تَكَثَّرْ مَا اسْتَطَعْتَ مِنَ الْخَطَايَا ... فَإِنَّكَ لَاقِي رَبًّا غَفُورَا سَتُبْصِرُ إِذْ وَرَدْتَ عَلَيْهِ عَفْوًا ... وَتَلْقَى سَيِّدًا مَلِكًا قَدِيرًا تَعَضُّ نَدَامَةً كَفَّيْكَ مِمَّا ... تَرَكْتَ مَخَافَةَ النَّارِ السُّرُورَا وَفِيهَا تُوُفِّيَ: أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ أَحَدُ مَشَايِخِ الْحَدِيثِ الثِّقَاتِ الْمَشْهُورِينَ. وَالْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ الدِّمَشْقِيُّ تِلْمِيذُ الْأَوْزَاعِيِّ.