আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة أربع وتسعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮৩৪৮


মুহাম্মদ ইবন জা ফর

আবদুল্লাহ ইবন জা ফরের উপাধি ছিল গুনদার’ ৷ তিনি ও ,ৰা সাঈদ ইবন আবু আরুবা ও
আরো অনেক মনীষী হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তার কাছ হতে ৩রিওয়ায়াতক ৷রীদের
স ৎখ্যাও অনেক ৷ তাদের মধ্যে উল্লেখব্লুয়াগ্য ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল প্রমুখ ৷ তিনি ছিলেন ছিকা
(আস্থা ভাজন) সুদৃঢ় স্মৃতি ৩শক্তির অধিকারী ৷৩ তার সম্পর্কে এমন বহু ক ৷হিনী বর্ণিত হয়েছে যা
দুনিয়ার প্রতি তার অনীহা ও উদাসীনতা ৷র প্রমাণ বহন করে ৷ এ বছরে৩ তিনি বসরায় ইনতিকাল
করেন এবং মতান্তরে এর পুর্ববর্তী বছর এবং কারো কারো মতে এর পরবর্তী বছর৩ তিনি

ইনতিকাল করেন ৷ পুর্বসুরী ও উত্তরসুরী মনীষীদের মধ্যে অনেকেরই তার অনুরুপ (গুনদার)
উপাধি ছিল ৷

আবু বকর ইবন আইয়াশ

তিনি ছিলেন অন্যতম ইমাম ৷ আবুইস্হাক সাবীঈ ৷ আ মাশ, হিশাম, হাম্মাম ইবন উরওয়া
প্রমুখ ছিলেন তার হাদীব্লুসর শায়খ ৷৩ তার অনেক ছাত্রের মধ্যে ৰিব্লুশ ৷ষ উল্লেখযোগ্য ইমাম আহমদ
ইবন হাম্বল ৷ ইয়াযীদ ইবন হারুন বলেছেন, তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ বিদ্বান ৷ চল্লিশ বছর যাবত মাটিতে
পাজর সংযুক্ত করেননি ৷ ষাট বছর যাবত প্রতিদিন পুর্ণ এক মত তম কুরআন পাঠ করেছেন ৷ আশি
রমযান সিয়াম পালন করেছেন ৷ ছিয়ানব্বই বছর বয়সে ইনতিকাল করেন ৷ মৃত্যু সন্নিকট হলে
তার পুত্র তার জন্য কাদতে লাগলে তিনি বললেন, প্রিয় পুত্র ! কাদছ কেন : আল্লাহর কসম!
তােমা র পিতা কখনো কোন অশ্লীল কাজ করেনি ৷

১৯৪ হিজরীর আগমন

এ বছর হিমসব৷ সীরা তাদের শ ৷৷সনকর্তাকে বিতাড়িত করলে আ ল আমীন তাকে বরখাস্ত করে
আবদুল্লাহ ইবন স৷ ৷ঈদ হাবশীকে তাদের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ নতুন শ ৷৷সনকত৷ সেখানকার
শীর্ষস্থানীয় একদলকে হত্যা করেন এবং প্রান্তিক অঞ্চল পুড়িয়ে দেন ৷ তখন তারা তার কাছে
নিরাপত্তার আবেদন জমা লে তিনি তাদের নিরাপত্তা দেন ৷ পরে তারা আবার বিশৃৎখল৷ সৃষ্টি করলে
তিনি পুনরায় তা ৷দের অনেকব্লুক হত্যা করেন ৷ এ বছর আমীন তার ভইি কাসিমব্লুক আ ৷ল-জাযীর৷ ও
সীমান্ত অঞ্চলের শাসনকর্তা পদ হতে বরখাস্ত করে খুযায়ম৷ ইবন খ৷ যিমকে তার স্থলে নিয়োগ
করেন এবং ভাইকে তার কাছে বাগদাদে অবস্থান করা র আদেশ প্রদান করেন ৷

এ বছরই আমীন সকল নগরীর (মসজিদের) মিম্বরগুলোব্লু৩ তার পুত্র মুসা ইবনুল আমীনের
জন্য দু আ করার এবং তার পরবর্তী আমীর হওয়ার ফরমান জা ৷রী করেন এবং পুত্রকে আন-
নাতিকু বিল হাক্কি (সত্যভাষী) খিতাব্লুব ভুষিত করেন ৷ এ ফরমাব্লুন পুত্রের পরে ভাই মামুব্লুনর
জন্য এবং তার পরে অপর ভাই কাসিব্লুমর জন্য দুআ করার আদেশ দেয়৷ হয় ৷ প্রথমদিকে
আমীব্লুনর নিয়ত ছিল৩ শর দুই ভাইকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা ৷করা ৷ কিন্তু উযীর ফাযল ইবনুর রাবী

তাকে পরামর্শ দিতে থাকেন এবং ক্রমান্বয়ে ভাইদের ব্যাপারে তার মনে ৷ভাবের পরিবতন ঘটাতে
থাকেন ৷ উযীর মামুন ও কাসিমকে পদচ্যুত করতে উদ্বুদ্ধ করেন এবং মামুব্লুনর বিষয়টি তার
কাছে তৃচ্ছ করে উপস্থাপন করেন ৷ মামুন খলীফা হলে ফায়লকে উযীরের পদ হতে সরিয়ে দিবেন


[سَنَةُ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ فِيهَا خَلَعَ أَهْلُ حِمْصَ نَائِبَهُمْ، فَعَزَلَهُ عَنْهُمُ الْأَمِينُ، وَوَلَّى عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَعِيدٍ الْحَرَشِيَّ فَقَتَلَ طَائِفَةً مِنْ وُجُوهِهَا، وَحَرَّقَ نَوَاحِيَهَا بِالنَّارِ، فَسَأَلُوهُ الْأَمَانَ فَأَمَّنَهُمْ، ثُمَّ هَاجُوا، فَضَرَبَ أَعْنَاقَ كَثِيرٍ مِنْهُمْ أَيْضًا. وَفِيهَا عَزَلَ الْأَمِينُ أَخَاهُ الْقَاسِمَ عَنِ الْجَزِيرَةِ وَالثُّغُورِ، وَوَلَّى عَلَى ذَلِكَ خُزَيْمَةَ بْنَ خَازِمٍ وَأَمَرَ أَخَاهُ بِالْمُقَامِ عِنْدَهُ بِبَغْدَادَ. وَفِيهَا أَمَرَ الْأَمِينُ بِالدُّعَاءِ لِوَلَدِهِ مُوسَى عَلَى الْمَنَابِرِ فِي سَائِرِ الْأَمْصَارِ، وَبِالْإِمْرَةِ مِنْ بَعْدِهِ، وَسَمَّاهُ النَّاطِقَ بِالْحَقِّ، ثُمَّ يُدْعَى بَعْدَهُ لِلْمَأْمُونِ، ثُمَّ لِلْقَاسِمِ، وَمِنْ نِيَّةِ الْأَمِينِ الْوَفَاءُ لِأَخَوَيْهِ بِمَا شَرَطَ لَهُمَا، فَلَمْ يَزَلْ بِهِ الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ حَتَّى غَيَّرَ نِيَّتَهُ فِي أَخَوَيْهِ، وَحَسَّنَ لَهُ خَلْعَ الْمَأْمُونِ وَالْقَاسِمِ، وَصَغَّرَ عِنْدَهُ شَأْنَ الْمَأْمُونِ وَإِنَّمَا حَمَلَهُ عَلَى ذَلِكَ خَوْفُهُ مِنَ الْمَأْمُونِ إِنْ أَفْضَتْ إِلَيْهِ الْخِلَافَةُ يَوْمًا مِنَ الدَّهْرِ، فَيَسْعَى فِي خَلْعِهِ، وَزَوَالِ الْوِلَايَةِ عَنْهُ، فَوَافَقَهُ الْأَمِينُ عَلَى ذَلِكَ، وَأَمَرَ بِالدُّعَاءِ لِوَلَدِهِ مُوسَى مِنْ بَعْدِهِ بِوِلَايَةِ عَهْدِهِ، وَذَلِكَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا. فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ الْمَأْمُونَ قَطَعَ الْبَرِيدَ عَنْهُ، وَتَرَكَ ضَرْبَ اسْمِهِ عَلَى السِّكَّةِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৪৯


এ আশংকাই উযীরকে এসব করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল ৷ আমীনও শেষে এ ব্যাপারে উযীরের সংগে
ঐকমত্য পোষণ করেন এবং পুত্র মুসার জন্য দুআ করার ও তার পরে ঘুবরাজ’ হওয়ার ফরমান
জারী করেন ৷ এটি ছিল এ বছরের রবীউল আওয়ালের ঘটনা ৷ মামুনের কাছে এসব সংবাদ
পৌছলে মামুন কােন্দ্রর সংগে ডাক যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন এবং মুদ্রা ও রাজকীয় ব্যস্ত্র
খলীফার (আমীনের) নামের মােহরের ছাপ দেয়৷ বন্ধ করে দিলেন এবং তার সংগে সম্পর্কের
অবনতি ঘটালেন ৷ এ পরিস্থিতিতে (বিদ্রোহী) রাফি ইবনুল লায়ছ নিরাপত্তা প্রা ৷র্থন৷ করে মামুনের

কাছে পত্র লিখলে তিনি তাবৃক নিরাপত্তা দিলেন ৷ রাফি তা ৷র সহযােদ্ধাদের নিয়ে মামুনের কাছে
চলে এল ৷ মামুন তাকে সমান ও মর্যাদার সংগে গ্রহণ করলেন ৷ তার পরপরই হারছ৷ মাও আগমন
করলে মামুন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তাকে স্বাগতম জানালেন এবং তাকে বিশেষ গার্ড বা ৷হিনীর
অধিনায়ক করলেন ৷ সেনাবাহিনী মামুনের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সংবাদ অবগত হয়ে আমীন ক্ষুব্ধ ও
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলেন ৷ তিনি মামুনের কাছে একাধিক পত্র লিখলেন এবং শীর্ষপর্যায়ের তিনজন
আমীরকে দুতরুপে পাঠালেন ৷ এতে ততিনি তার পুত্রকে অগ্রবর্তী মেনে নেয়ার জন্য মামুনকে
অনুরোধ করলেন এবং তাকে আন-নাতিকু বিল হাক্কি’ খিতাবে ভুষিত ৩করার বিষয়টি অবহিত
করলেন ৷ মামুন এতে তার অসম্মতি প্রকাশ করলে আযীরগণ তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সম্মত করার
এবং আমীনের আহ্বানে সাড়া প্রদানে রাযী করার জন্য জোর প্ৰচেষ্টা৷ চ ৷লালেন ৷ এতে মামুন
আরো কঠে৷ ৷ররুপে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে আব্বাস ইবন মুসা ইবন ঈস৷ বললেন, “আমার
াপ৩াও নিজেকে রায়আত থেকে অব মুক্ত” করেছিলেন ৷ তাতে কী ফায়দ৷ হয়েছিল ? মামুন
বললেন, তোমার পিতা ছিলেন একজন অপসন্দনীয় ব্যক্তি ৷ পরে মামুন আব্বাসকে বিভিন্ন
প্রতিশ্রুতি প্রদান ও প্রলো ভন দিতে থাকলেন ৷ অবশেষে আব্বাস তা ৷র হাতে খিলাফতের রায়আত
করলেন ৷ পরে তিনি বাগদাদ প্রত্যাবর্তন করার পর বাগদাদে আমীনের কার্যক্রম সম্পর্কে তাকে
অবহিত করতেন এবং প্রয়োজনীয় উপদেশ দিতেন ৷

দুতগণ আমীনের কাছে ফিরে এসে তার ভাইয়ের বক্তব্য তাকে অবহিত করলেন ৷ এ সময়
ফায়ল ইবনুর রাবী মামুনকে বরখাস্ত করার জন্য চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমীনকে উদ্বুদ্ধ করলেন ৷
সুতরাং আমীন মামুনকে বরখাস্ত করলেন এবং সমগ দেখে তার পুত্রের জন্য দুআ করার আদেশ
জারী করলেন ৷ মামুনের সমালোচনা ও তার দোষ চর্চার জন্য সারা দেশে লোক নিয়োগ করা
হল ৷ হারুনুর রশীদ যে লিপিটি লিখেছিলেন এবং কাবা শরীফে গচ্ছিত রেখেছিলেন ৷ মক্কায়
লোক পাঠিয়ে সেটি নিয়ে আসা হল ৷ আমীন সেটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করলেন এবং পুত্র

আন-নাতিকু বিল হাক্কির মনোনয়নের ব্যাপারে চুড়ান্ত রায়আত গ্রহণ করলেন ৷ এ সময় আমীন ও
মামুনের মধ্যে পত্রের আদান-প্রদা ন ও দুতের গমনাগমন চলতে থাকে ৷ যার বিশদ আলোচনা
বেশ দীর্ঘ ৷ ইবন জ বীর তার তারীখ (ইতিন্ ৷স) গ্রন্থে সে সবের বিশদ বিবরণ উপস্থাপন
করেছেন ৷ পরবর্তী পরিস্থিতি এই দাড়াল যে, দুজনের প্রত্যেকে নিজ নিজ দখলভুক্ত ও দুর্গের

প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করলেন এবং সেনাবাহিনী প্রস্তুত করলেন ও জনগণের মনোরঞ্জনে
সচেষ্ট হলেন ৷

এ বছরেই রােমানরা তাদের সম্রাট মীখাঈলের প্রতি বী তশ্রদ্ধ হয়ে তাকে উৎখাত ও হত্যা
ক বার ৷৷সিদ্ধ ৷ন্ত গ্রহণ করে ৷ মীখা ঈল রাজ ক্ষমতা পরিত্যাগ করে সন্না৷স্রত (রাহবা নিয়া৩ ) গ্রহণ


وَالطُّرُزِ، وَتَنَكَّرَ لِأَخِيهِ الْأَمِينِ، وَبَعَثَ رَافِعُ بْنُ اللَّيْثِ إِلَى الْمَأْمُونِ يَسْأَلُ مِنْهُ الْأَمَانَ فَأَمَّنَهُ، فَسَارَ إِلَيْهِ بِمَنْ مَعَهُ، فَأَكْرَمَهُ الْمَأْمُونُ وَعَظَّمَهُ، وَجَاءَ هَرْثَمَةُ عَلَى إِثْرِهِ فَتَلَقَّاهُ الْمَأْمُونُ وَوُجُوهُ النَّاسِ، وَوَلَّاهُ الْحَرَسَ، فَلَمَّا بَلَغَ الْأَمِينَ أَنَّ الْجُنُودَ قَدِ الْتَفَّتَ عَلَى أَخِيهِ الْمَأْمُونِ سَاءَهُ ذَلِكَ وَأَنْكَرَهُ، وَكَتَبَ إِلَى الْمَأْمُونِ كِتَابًا وَأَرْسَلَ إِلَيْهِ رُسُلًا ثَلَاثَةً مِنْ أَكَابِرِ الْأُمَرَاءِ، يَسْأَلُهُ أَنْ يُجِيبَهُ إِلَى تَقْدِيمِ وَلَدِهِ مُوسَى عَلَيْهِ، وَأَنَّهُ قَدْ سَمَّاهُ النَّاطِقَ بِالْحَقِّ، فَأَظْهَرَ الْمَأْمُونُ الِامْتِنَاعَ وَشَرَعُوا فِي مُطَايَبَتِهِ، وَمُلَايَنَتِهِ، وَأَنْ يُجِيبَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، فَأَبَى كُلَّ الْإِبَاءِ، فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ بْنُ مُوسَى بْنِ عِيسَى: فَقَدْ خَلَعَ أَبِي نَفْسَهُ فَمَاذَا كَانَ؟ فَقَالَ: إِنَّ أَبَاكَ كَانَ امْرَأً مُكْرَهًا، ثُمَّ لَمْ يَزَلِ الْمَأْمُونُ يَعِدُ الْعَبَّاسَ وَيُمَنِّيهِ حَتَّى بَايَعَهُ بِالْخِلَافَةِ، ثُمَّ لَمَّا رَجَعَ إِلَى بَغْدَادَ كَانَ يُرَاسِلُهُ بِمَا كَانَ مِنَ الْأَمْرِ بِبَغْدَادَ وَيُنَاصِحُهُ، وَلَمَّا رَجَعَ الرُّسُلُ إِلَى الْأَمِينِ أَخْبَرُوهُ بِمَا كَانَ مِنْ جَوَابِهِ، فَعِنْدَ ذَلِكَ صَمَّمَ الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ عَلَى الْأَمِينِ فِي خَلْعِ الْمَأْمُونِ فَخَلَعَهُ، وَأَمَرَ بِالدُّعَاءِ لِوَلَدِهِ فِي الْعِرَاقِ كُلِّهِ وَبِلَادِ الْحِجَازِ وَغَيْرِهَا مِنَ الْبِلَادِ، وَسَمَّاهُ النَّاطِقَ بِالْحَقِّ، وَجَعَلُوا مَنْ يَتَكَلَّمُ فِي الْمَأْمُونِ وَيَذْكُرُ مَسَاوِئَهُ، وَبَعَثُوا إِلَى مَكَّةَ فَأَخَذُوا الْكِتَابَ الَّذِي كَتَبَهُ الرَّشِيدُ، وَأَوْدَعَهُ فِي الْكَعْبَةِ، فَمَزَّقَهُ الْأَمِينُ، وَأَكَّدُوا الْبَيْعَةَ لِلنَّاطِقِ بِالْحَقِّ مُوسَى بْنِ الْأَمِينِ عَلَى مَا يَلِيهِ أَبُوهُ مِنَ الْأَعْمَالِ، وَجَرَتْ بَيْنَ الْأَمِينِ وَالْمَأْمُونِ مُكَاتَبَاتٌ وَرُسُلٌ يَطُولُ بَسْطُهَا، وَقَدِ اسْتَقْصَاهَا الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ فِي " " تَارِيخِهِ " " ثُمَّ آلَ
পৃষ্ঠা - ৮৩৫০

করে ৷ ণ্রামানরা তার স্থলে ইলিয়ন (লিয়ােন)-ণ্ক তাদের রজাে মনোনীত করে ৷ এ বছরের
হিজাষের শাসনকর্তা (নায়িব) দাউদ ইবন ঈসা মতান্তরে আলী ইবনুর রশীদ লোকদের নিয়ে হজ্জ
সম্পাদন করেন ৷ এ বছরে মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্টদের তালিকায় রয়েছেন ৷

আবু ৰাহ্র সালিম ইবন সালিম আল-ৰালখী

তিনি ছিলেন (বাল্খ হতে আগত) বাগদাদ প্রবাসী ৷ এখানে ইব্রাহীম ইবন তাহমান ও
সুফিয়ান সাওরী হতে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তার কাছ হতে হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে রয়েছেন
হাসান ইবন আরাসা ৷ তিনি ছিলেন দুনিয়া বিমুখ আবিদ ৷ চল্লিশ বছর তার জন্য শয্যা বিছানাে হয়নি
এবং দীর্ঘ কাল তিনি ঈদের দিন ব্যতীত প্রতিদিন রেড়ায়া রাখতেন এবং আকাশের দিকে মাথা
তৃলতেন না ৷ তিনি মুরজিআ মতবাদের দাঈ ছিলেন এবং হাদীস বর্ণনায় দুর্বল বিবেচিত হতেন ৷
তবে সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধে তিনি ছিলেন নেতৃতৃদানকারী ৷ বাগদাদ আগমনের
পর তিনি হারুনুর রশীদের বহু কাজে প্রতিবাদ করেন ও তার কঠোর সমালোচনা করেন ৷ খলীফা
তাকে বারটি বেড়ি পড়িয়ে অন্তরীণ করেন ৷ আবুমুআবিয়া তার জন্য সুপারিশ করতে থাকলে
তাকে চারটি বেড়িতে আবদ্ধ রাখা হয় ৷ পরে তিনি নিজ পরিবার-পরিজনের সংগে মিলিত হওয়ার
জন্য দৃআ করতে থাকেন ৷ হারুনুর রশীদের মৃত্যু হলে যুবায়দা তাকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করেন ৷
তিনি তীর পরিবারের কাছে ফিরে যান ৷ তারা তখন হজ্জ উপলক্ষে মক্কায় অবস্থান করছিল ৷ তিনি
মক্কায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ একদিন তার শীলা খাওয়ার বাসনা হল ৷ সে বাসনা হওয়ার দিলেই শীলা
বর্ষিত হল এবং তিনি তা ভক্ষণ করলেন ৷ এ বছরের জিলহাজ্জ মাসে তিনি ইনতিকাল করেন ৷

আবদুল ওয়াহ্হাব ইবন আবদুল মজীদ
ছাকীফ গোত্রের লোক ৷ বার্ষিক প্রায় পঞ্চাশ হাজার আমদানীর মালিক ছিলেন যার সবই
মুহাদ্দিসগণের খিদমতে ব্যয় করতেন ৷ তিনি চুরাশি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন ৷

আবুন নাস্র আল-জুহানী আল-মুসাব

মদীনা শরীফে মসজিদে নববীর সুফ্ফার উত্তর দেয়ালের কাছে অবস্থান করতেন ৷ তিনি
ছিলেন দীর্ঘ সময় নিববতা পালনকারী ৷ কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে অত্যন্ত সুন্দর জবাব
দিতেন এবং অত্যন্ত মুল্যবান কথা বলতেন যা অমুল্য বাণীরুপে উদ্ধৃত ও লিপিবদ্ধ করা হত ৷
জুমুআর দিন তিনি সালাতের আগে বের হতেন এবং মুসল্পীদের বিভিন্ন দলের কাছে গিয়ে ওয়াজ
করতেন ৷ তিনি বলতেন (কুরআনের বাণী —)
১ওষ্ও১ওন্ % ন্এও ১এ’ণ্ওও


(হে মানুষ ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর এবং ভয় কর সে দিনের, যখন পিতা
সন্তানের কোন উপকারে আসবে না ৷ সন্তানও কোন উপকারে আসবে না তার পিতার (সুরা
লুকমান : ৩৩) এবং

ষ্

শ্ ৷ শ্

০০ ৷৷া



الْحَالُ إِلَى أَنِ احْتَفَظَ كُلٌّ مِنْهُمَا عَلَى بِلَادِهِ وَحَصَّنَهَا وَهَيَّأَ الْجُيُوشَ وَالْجُنُودَ وَتَأَلَّفَ الرَّعَايَا. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَدَتِ الرُّومُ عَلَى مَلِكِهِمْ مِيخَائِيلَ فَرَامُوا خَلْعَهُ وَقَتْلَهُ فَتَرَكَ الْمُلْكَ وَتَرَهَّبَ، وَوَلَّوْا عَلَيْهِمْ لِيُونَ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا نَائِبُ الْحِجَازِ دَاوُدُ بْنُ عِيسَى، وَقِيلَ: عَلِيُّ بْنُ الرَّشِيدِ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَقَدْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: سَلْمُ بْنُ سَالِمٍ أَبُو مُحَمَّدٍ الْبَلْخِيُّ، قَدِمَ بَغْدَادَ وَحَدَّثَ بِهَا عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ وَالثَّوْرِيِّ. وَعَنْهُ الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ. وَكَانَ عَابِدًا زَاهِدًا، مَكَثَ أَرْبَعِينَ سَنَةً لَمْ نَرَ لَهُ فِرَاشًا، وَصَامَهَا كُلَّهَا إِلَّا يَوْمَ عِيدِ فِطْرٍ أَوْ أَضْحَى، وَلَمْ يَرْفَعْ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَكَانَ دَاعِيَةً إِلَى الْإِرْجَاءِ، ضَعِيفَ الْحَدِيثِ، إِلَّا أَنَّهُ كَانَ رَأْسًا فِي الْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ، وَكَانَ قَدْ قَدِمَ بَغْدَادَ فَشَنَّعَ عَلَى الرَّشِيدِ، فَحَبَسَهُ وَقَيَّدَهُ بِاثْنَيْ عَشَرَ قَيْدًا، فَلَمْ يَزَلْ أَبُو مُعَاوِيَةَ يَشْفَعُ فِيهِ حَتَّى تَرَكُوهُ فِي أَرْبَعَةِ قُيُودٍ، ثُمَّ كَانَ يَدْعُو اللَّهَ أَنْ يَرُدَّهُ إِلَى أَهْلِهِ. فَلَمَّا تُوُفِّيَ الرَّشِيدُ أَطْلَقَتْهُ زُبَيْدَةُ
পৃষ্ঠা - ৮৩৫১
فَرَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ وَكَانُوا بِمَكَّةَ قَدْ جَاءُوا حُجَّاجًا فَمَرِضَ بِمَكَّةَ. وَاشْتَهَى يَوْمًا بَرَدًا، فَسَقَطَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ بَرَدٌ، فَأَكَلَ مِنْهُ. وَمَاتَ فِي ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الثَّقَفِيُّ، كَانَتْ غَلَّتُهُ فِي السَّنَةِ قَرِيبًا مِنْ خَمْسِينَ أَلْفًا يُنْفِقُهَا كُلَّهَا عَلَى أَهْلِ الْحَدِيثِ. تُوُفِّيَ عَنْ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً. أَبُو النَّصْرِ الْجُهَنِيُّ الْمُصَابُ، كَانَ مُقِيمًا بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ بِالصُّفَّةِ مِنَ الْمَسْجِدِ فِي الْحَائِطِ الشَّمَالِيِّ مِنْهُ، وَكَانَ يُطِيلُ السُّكُوتَ، فَإِذَا سُئِلَ أَجَابَ بِجَوَابٍ حَسَنٍ، وَيَتَكَلَّمُ بِكَلِمَاتٍ مُفِيدَةٍ تُؤْثَرُ عَنْهُ، وَتُكْتَبُ، وَكَانَ يَخْرُجُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَبْلَ الصَّلَاةِ فَيَقِفُ عَلَى مَجَامِعِ النَّاسِ فَيَقُولُ {يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ وَاخْشَوْا يَوْمًا لَا يَجْزِي وَالِدٌ عَنْ وَلَدِهِ وَلَا مَوْلُودٌ هُوَ جَازٍ عَنْ وَالِدِهِ شَيْئًا} [لقمان: 33] وَ {يَوْمًا لَا تَجْزِي نَفْسٌ عَنْ نَفْسٍ شَيْئًا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَاعَةٌ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ} [البقرة: 48] ثُمَّ يَنْتَقِلُ مِنْ جَمَاعَةٍ إِلَى جَمَاعَةٍ حَتَّى يَدْخُلَ الْمَسْجِدَ فَيُصَلِّيَ فِيهِ الْجُمُعَةَ، ثُمَّ لَا يَخْرُجُ حَتَّى يُصَلِّيَ
পৃষ্ঠা - ৮৩৫২
الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ. وَقَدْ وَعَظَ مَرَّةً هَارُونَ الرَّشِيدَ بِكَلَامٍ حَسَنٍ فَقَالَ: اعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ سَائِلُكَ عَنْ أُمَّةِ نَبِيِّهِ، فَأَعِدَّ لِذَلِكَ جَوَابًا، وَقَدْ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لَوْ مَاتَتْ سَخْلَةٌ بِالْعِرَاقِ ضَيَاعًا لَخَشِيتُ أَنْ يَسْأَلَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنْهَا. فَقَالَ: إِنِّي لَسْتُ كَعُمَرَ، وَإِنَّ دَهْرِي لَيْسَ كَدَهْرِهِ. فَقَالَ: مَا هَذَا بِمُغْنٍ عَنْكَ شَيْئًا. فَأَمَرَ لَهُ بِثَلَاثِمِائَةِ دِينَارٍ، فَقَالَ: أَنَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الصُّفَّةِ، فَمُرْ بِهَا فَلْتُقَسَّمْ عَلَيْهِمْ وَأَنَا وَاحِدٌ مِنْهُمْ.