আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث وتسعين ومائة

ترجمة هارون الرشيد

ترجمة هارون الرشيد

পৃষ্ঠা - ৮৩১৯


জীবন বৃত্তান্ত
নাম : আমীরুল মু’মিনীন হারুনুর রশীদ ইবন আল-মাহদী মুহাম্মদ ইবনুল মানসুর আবু
জাফর আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) ইবন আবদুল
মুত্তা ৷লিক আল-কুরাশী আ ৷ল-হাশিমী ৷ কুনিয়াত : আবু মুহাম্মদ ও মতা ভরে আবু জাফর ৷ তার
মাতা ছিলেন খ৷ ৷য়যুরান৩ তিনি ছিলেন পিতার উম্মু ওয়ালাদ (দামী-মাতা) ১ ৷ ন্ার জন্ম সন ছিল একশ
৫ছচল্লিশ হিজবী সনের শ ৷৷ওয়াল মাসে ৷ মতাম্ভরে একশ সাতচল্লিশ বা তা ৷টচল্লিশ সনে এবং কারো
কারো মতে একশ পঞ্চাশ হিজবী সনে ৷ তার ভাই মুসা আল-হাদীর মৃত্যুর পরে একশ সত্তর
হিজরীর ববীউল আ ৷উয়ালে তার খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ এটি ছিল তার পিতার
তাকে পরবর্তী যুবরাজ” ঘোষণা অনুসারে ৷ তিনি তার পিতা ও দাদা হ তে হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আর মুবারক ইবন ফুয লা৷ হতেহ হাসান হতে আন ৷স ইবন মা ৷লিক (বা) সনদে এ হাদীস
বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (স) বলেছেন, ;;: রু;£ন্ শুরু এ এে ৷ ৷ষ্ম্বু; ৷ আগুন
(জাহান্নড়াম) হতে আত্মরক্ষা কর এটি খুরমার টুকরো দিয়ে হলেও’ ৷ মিম্বরে জনতার সামনে
ভাষণ দেয়ার সময়ও তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷৩ ৷র কাছ হতে হাদীস বর্ণনাকা রীদের মধ্যে
রয়েছেন তার ছেলে, ইসহাকের পিতা সুলায়মান আল-হাশিমী ও নাকাত ৷ইবন আমর প্রমুখ ৷
রশীদ ছিলেন শ্বে৩ বর্ণের দীর্ঘকায় এবং সুন্দর স্বাস্থ্যবান মানুষ ৷৩ তার পিতার জীবনকালেই
কয়েকবার সাইফা অভিযান পরিচালন৷ করেন ৷ কনণ্টান্টিনােপল অবরোধের পর মুসলিম ও
রোমানদের মধ্যে সন্ধি সম্পাদিত করেন ৷ এ অভিযানে মুসলমানরা অবর্ণনীয় ক্লেভুণ ও প্রচণ্ডভীতির
সম্মুখীন হয়েছিল ৷ এ সন্ধি হয়েছিল লায়ুন ( ;, ,৷ ) এর শ্রী আগস্টা’ উপাধিক৷ রিণী রানীর সংগে
মুসলমানদেরকে প্রতি ৩বছর বিশ ল পরিমাণে পণ্যবােঝা প্রদানের শর্তে ৷ এতে মুসলমানরা
অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছিল ৷ এ ঘটনা ছিল একশ ষাট হিজরীর এবং এ ঘটনা ই তার পিতা ৷কে তার
ভাইয়ের পরে তার জন্য খিলাফতের বায়আত গ্রহণে র (যুবরাজ) ঘোষণা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করেছিল ৷
পরে একশ সত্তর হিজরীতে খিলাফতে মসনদে অতিরিক্ত হওয়ার পর তিনি নিজেকে স্বভ৷ ৷ব-চরিত্রে
উত্তম মানুষরুপে প্রতিষ্ঠি৷ করেন এবং তিনি ছিলেন অধিক ঘুদ্ধাভিজান ও অধিক হজ্জ
সম্পাদনকারী ৷ এ কারণেই করি আবুস সুল৷ ( ,৬পু ৷ ৷ ) তার সম্পর্কে বলেছেন-

এ ৷ এ



“যে কেউ আপনার সাক্ষা ৷তপ্রার্থী কিংবা তার ইচ্ছা পােষণকারী হবে সে৩ তা লাভ করতে পারে
দুই পবিত্র নগরে (মক্কা-মদীনায় হারাম শরীফে) অথবা ইসলামী রাজ্যের সীমান্তে ৷ কেননা,
আপনার অবস্থান হয় শত্রুর দেশে ত্যাজী ঘোড়ার পিঠে অথবা সুখ-শান্তির’ দেশে (উটের পিঠে)
হাওদার উপরে ৷ সীমান্ত সংরক্ষণে আপনি ব্যতীত অন্য মানুষেরা কঠোর কর্তব্য পালনের পরিচয়
দিতে পারেনি ৷”

১ যে দাসীর গর্ভে মালিকের সন্তান জন্ম নেয় তাকে উম্মু ওয়ালাদ বলা হয় ৷ মনে রাখতে হবে যে, তখনকার
রাজপরিবারের দাসীরা সাধারণত বিজিত রাজপরিবারের বল্যা হত ৷ অনুবাদক




وَقَدْ أَمَرَ بِحَفْرِ قَبْرِهِ قَبْلَ مَوْتِهِ فِي الدَّارِ الَّتِي كَانَ فِيهَا، وَهِيَ دَارُ حُمَيْدِ بْنِ أَبِي غَانِمٍ الطَّائِيِّ، فَجَعَلَ يَنْظُرُ إِلَى قَبْرِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: ابْنَ آدَمَ تَصِيرُ إِلَى هَذَا! ثُمَّ أَمَرَ بِقُرَّاءٍ فَقَرَءُوا فِي الْقَبْرِ الْقُرْآنَ حَتَّى خَتَمُوهُ، وَهُوَ فِي مَحَفَّةٍ عَلَى شَفِيرِ الْقَبْرِ، وَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ احْتَبَى بِمُلَاءَةٍ وَجَلَسَ يُقَاسِي سَكَرَاتِ الْمَوْتِ، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ مَنْ حَضَرَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَوِ اضْطَجَعْتَ كَانَ أَهْوَنَ عَلَيْكَ. فَضَحِكَ ضَحِكَ صَحِيحٍ، ثُمَّ قَالَ: أَمَا سَمِعْتَ قَوْلَ الشَّاعِرِ: وَإِنِّي مِنْ قَوْمٍ كِرَامٍ يَزِيدُهُمْ ... شِمَاسًا، وَصَبْرًا شِدَّةُ الْحَدَثَانِ وَكَانَتْ وَفَاتُهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ، وَقِيلَ: لَيْلَةَ الْأَحَدِ. مُسْتَهَلَّ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ، عَنْ خَمْسٍ، وَقِيلَ: سَبْعٍ وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. فَكَانَ مُلْكُهُ ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. [تَرْجَمَةُ هَارُونَ الرَّشِيدِ] وَهَذِهِ تَرْجَمَتُهُ هُوَ هَارُونُ الرَّشِيدُ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ، ابْنُ الْمَهْدِيِّ مُحَمَّدِ بْنِ الْمَنْصُورِ أَبِي جَعْفَرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ، أَبُو مُحَمَّدٍ، وَيُقَالُ: أَبُو جَعْفَرٍ. وَأُمُّهُ الْخَيْزُرَانُ أُمُّ وَلَدٍ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ سِتٍّ، وَقِيلَ: سَبْعٍ، وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ
পৃষ্ঠা - ৮৩২০

তিনি প্রতিদিন তার ব্যক্তিগত সম্পদ হতে এক হাজার দিরহাম সাদাক৷ করতে ন ৷ তিনি হৰুজ্জ
গমন করলে তার সংগে একশজন ফকীহ্ ও তাদের সন্তানদের হজ্জ করাতেন ৷ আর নিজে হভ্রুজ্জ
না গেলে তিনশজনকে হজ্জ করাতেন এবং তাদের জন্য উন্নতমানের পোশাক ও প্রচুর অর্থ ব্যয়
করতেন ৷ দান ব্যতীত অন্যসব বিষয়ে দাদা আবু জাফর মানসুরের সাদৃশ্য গ্রহণ করা পসন্দ
করতেন ৷ সালে তিনি ছিলেন দ্রুতগামী ও বিশাল পরিমাণে দানকারী ৷ ফকীহ্ ও কবিদের
তালবাসতেন এবং তাদেরকে দান-দক্ষিণা দিতেন ৷ তার কাছে কারো সৎকর্ম ও সদাচরণ বিনষ্ট ও
অনাদৃত হত না ৷ তার আংটিতে অংকিত বাণী ছিল (কালিমা) ব্া৷ ৷ ৰু৷ ৷ ব্লু৷ ৷ ব্লুা-তিনি দৈনিক
একশ রাকাআত নফল সালাত আদায় করতেন ৷ বিশেষ কোন কারণ ব্যতীত ৰুধৃথিবীর শেষ দিন
পর্যন্ত তার এ নিয়মে কোন ব্যতিক্রম হতো না ৷

ইবন আবু মারয়াম ছিলেন হারুনকে আনন্দদানকারী বিনোদন সংপী ৷ হিজায ও অন্যান্য
অঞ্চলের বিশেষ তথ্য প্রবাহের অবগতিতে তার বৈশিষ্ট্য ছিল ৷ হারুনুর রশীদও তাকে তার
রাজকীয় ভবনে স্থান দিয়েছিলেন এবং তাকে নিজ পরিবারের সদস্য করে নিয়েছিলেন ৷ একদিনের
ঘটনাং হারুনুর রশীদ ইবন আবু মারায়ামকে ফজরের সালাতের উদ্দেশ্যে জাগিয়ে দিলে তিনি
উঠে উযুকরলেন ৷ পরে হারুনুর রশীদকে সালাতে ;; ’; ;;fl ৷াৰু ৷ ? ৷ র্চুঙ্ (আমার কী
যুক্তি আছে যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন আমি তার ইৰাদত করব না ) পাঠ করতে শুনতে
পেয়ে ইবন আবুমারয়াম (রসিকতার উদ্দেশ্যে) বললেন, আল্লাহ্র কসম ! আমি তা জানি না
৷ এ রসিকতায় হারুনুর রশীদ হেসে দিয়ে সালাত ছেড়ে দিলেন ৷ পরে তাকে লক্ষ্য করে
বললেন, কপাল পােড়৷ ৷ সালাত ও কুরআন (রসিকতার ক্ষেত্র করা) হতে দুরে থেকে অন্য সব
বিষয়ে বলতে পার ৷

একদিন আব্বাস ইবন মুহাম্মদ হারুনুর রশীদের কাছে আগমন করলেন ৷ তার সংগে ছিল
রুপার তৈরি একটি পোড়ামাটির বৈয়াম, যাতে অতি ৩মুল্যবান উত্তম সুগন্ধি ছিল ৷ আব্বাস এ
সুগন্ধির অত্যধিক প্রশংসা ও গুণগান করতে লাগলেন এবং খলীফাং ৷কে তা গ্রহণ করার আবেদন
জানালে তিনি তা গ্রহণ করলেন ৷ তখন ইবন আবু মারয়াম তা দানরুপে প্রার্থনা করলে খলীফা
তাকে দান করে দিলেন ৷ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আব্বাস তাকে বললেন, দুর্ভাগ৷ কোথাক৷ র ! আমি
এমন কিছু নিয়ে এলাম যা হতে ৩আমি নিজেকেও পরিবারের লোকদের বঞ্চিত রেখে আমার মনীব
আমীরুল মু’মিনীনকে অগাধিকার প্রদান করলাম ৷ আর তুমি তা নিয়ে নিলে ? তখন ইবন আবু
মারয়াম সে সুগন্ধি তার পাছায় মাখবার কসম করলেন এবং তখনই ত৷ হাতে লাগিয়ে পাছায়
ঘষতে লাগলেন এবং সমস্ত অংগ প্রতঙ্গে মালিশ করলেন ৷ হারুনুর রশীদ এ অবন্থায়ত তার হাসি
সংবরণ করতে পারছিলেন না ৷ পরে ইবন আবু মারয়াম সেখানে দাড়িয়ে থাকা খাকান’ নামের
এক খাদিমকে বললেন, আমার ৫গালামকে খুজে নিয়ে এসো ৷ খলীফ৷ তাকে বললেন, যাও, তার
গোলামকে ডেকে নিয়ে এসো ৷ গোলাম উপস্থিত হলে তাকে বললেন, যাও এ সুগন্ধি (বাদী)
স’াতাক এর কাছে নিয়ে যাও ৷ তাকে বলবে, “সে যেন তা তার নিতস্বে মালিশ করে ৷ আমি
এসে তার সংগে সংগম সুখ ভোগ করব ৷” এতে হারুনুর রশীদের হাসি সর্বম ৷ত্রা ছাড়িয়ে গেল ৷

পরে ইবন আবু মারয়াম আব্বাস ইবন মুহাম্মদকে লক্ষ্য করে বললেন, তুমি আমীরুল


سَنَةَ خَمْسِينَ وَمِائَةٍ، وَبُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ مَوْتِ أَخِيهِ مُوسَى الْهَادِي فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ، بِعَهْدٍ مِنْ أَبِيهِ الْمَهْدِيِّ كَمَا تَقَدَّمَ. رَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ وَجَدِّهِ، وَحَدَّثَ عَنِ الْمُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اتَّقُوا النَّارَ، وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ» أَوْرَدَهُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ. وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ ابْنُهُ، وَسُلَيْمَانُ الْهَاشِمِيُّ، وَالِدُ إِسْحَاقَ، وَنُبَاتَةُ بْنُ عَمْرٍو. وَكَانَ الرَّشِيدُ أَبْيَضَ طَوِيلًا سَمِينًا جَمِيلًا. وَقَدْ غَزَا الصَّائِفَةَ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ مِرَارًا، وَعَقَدَ الْهُدْنَةَ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَالرُّومِ بَعْدَ مُحَاصَرَتِهِ الْقُسْطَنْطِينِيَّةَ وَقَدْ لَقِيَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ ذَلِكَ جَهْدًا جَهِيدًا، وَخَوْفًا شَدِيدًا، وَكَانَ الصُّلْحُ مَعَ امْرَأَةِ أَلْيُونَ، وَهِيَ الْمُلَقَّبَةُ بِأُغُسْطَةَ عَلَى حَمْلٍ كَثِيرٍ تَبْذُلُهُ لِلْمُسْلِمِينَ فِي كُلِّ عَامٍ، فَفَرِحَ الْمُسْلِمُونَ فِي الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ كَمَا تَقَدَّمَ، فَهَذَا هُوَ الَّذِي حَدَا أَبَاهُ عَلَى أَنْ بَايَعَ لَهُ بِوِلَايَةِ الْعَهْدِ بَعْدَ أَخِيهِ مُوسَى الْهَادِي، وَذَلِكَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ. ثُمَّ لَمَّا أَفْضَتِ الْخِلَافَةُ إِلَيْهِ بَعْدَ أَخِيهِ فِي سَنَةِ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ، كَانَ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ سِيرَةً، وَأَكْثَرِهِمْ غَزْوًا وَحَجًّا بِنَفْسِهِ، وَلِهَذَا قَالَ فِيهِ أَبُو السَّعْلِيِّ:
পৃষ্ঠা - ৮৩২১
فَمَنْ يَطْلُبْ لِقَاءَكَ أَوْ يُرِدْهُ ... فَبِالْحَرَمَيْنِ أَوْ أَقْصَى الثُّغُورِ فَفِي أَرْضِ الْعَدُوِّ عَلَى طِمِرٍّ ... وَفِي أَرْضِ الْبَنِيَّةِ فَوْقَ كُورِ وَمَا حَازَ الثُّغُورَ سِوَاكَ خَلْقٌ ... مِنَ الْمُسْتَخْلَفِينَ عَلَى الْأُمُورِ وَكَانَ يَتَصَدَّقُ مِنْ صُلْبِ مَالِهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ، وَإِذَا حَجَّ أَحَجَّ مَعَهُ مِائَةً مِنَ الْفُقَهَاءِ وَأَبْنَائِهِمْ، وَإِذَا لَمْ يَحُجَّ أَحَجَّ ثَلَاثَمِائَةٍ بِالنَّفَقَةِ السَّابِغَةِ، وَالْكُسْوَةِ التَّامَّةِ، وَكَانَ يُحِبُّ التَّشَبُّهَ بِجَدِّهِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ إِلَّا فِي الْعَطَاءِ، فَإِنَّهُ كَانَ سَرِيعَ الْعَطَاءِ جَزِيلَهُ، وَكَانَ يُحِبُّ الْفُقَهَاءَ، وَالشُّعَرَاءَ، وَيُعْطِيهِمْ كَثِيرًا، وَلَا يَضِيعُ لَدَيْهِ بِرٌّ وَلَا مَعْرُوفٌ، وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَكَانَ يُصَلِّي فِي كُلِّ يَوْمٍ مِائَةَ رَكْعَةٍ تَطَوُّعًا، إِلَى أَنْ فَارَقَ الدُّنْيَا، إِلَّا أَنْ تَعْرِضَ لَهُ عِلَّةٌ. وَكَانَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ الْمَدَنِيُّ هُوَ الَّذِي يُضْحِكُهُ، وَكَانَ عِنْدَهُ فَضِيلَةٌ بِأَخْبَارِ الْحِجَازِ، وَغَيْرِهَا، وَكَانَ الرَّشِيدُ قَدْ أَنْزَلَهُ فِي قَصْرِهِ، وَخَلَطَهُ بِأَهْلِهِ. نَبَّهَهُ الرَّشِيدُ يَوْمًا إِلَى صَلَاةِ الصُّبْحِ فَقَامَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ أَدْرَكَ الرَّشِيدَ، وَهُوَ يَقْرَأُ {وَمَا لِيَ لَا أَعْبُدُ الَّذِي فَطَرَنِي} [يس: 22] فَقَالَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ: لَا أَدْرِي وَاللَّهِ. فَضَحِكَ الرَّشِيدُ، وَقَطَعَ الصَّلَاةَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ، وَقَالَ: وَيْحَكَ! اجْتَنِبِ الصَّلَاةَ وَالْقُرْآنَ،
পৃষ্ঠা - ৮৩২২


ঘু’মিনীনের কাছে এ সুগন্ধি নিয়ে এসে তার প্রশংসা করতে শুরু করেছ যার রাজত্ব এত বিশাল
যে, আকাশ যা কিছু বর্ষণ করে এবং পৃথিবী যা কিছু উৎপন্ন করে তা তার কর্তৃত্ব ও দখলদারািত্বই
হয়ে থাকে ৷ বরং এর চেয়ে বড় বিম্ময়ের ব্যাপারে এই যে, মালাকুল মাওতকে বলা হল, এ
লোক তোমাকে যা আদেশ করবে তা তুমি বাস্তবায়িত করবে ৷ ” আর তুমি কি না তারই সামনে এ
দামী সুগন্ধির প্রশংসা করছ এমনভাবে যেন তিনি তরকারী বিক্রেতা ৷ কিত্বা রুটি তৈরিকারী বা
বাবুর্চি অথবা খেজুর বিক্রেত৷ ৷ এ কথা শুনে হাসির দমকে হারুনুর রশীদ প্রায় মারা যাচ্ছিলেন ৷
পরে তিনি ইবন আবু মারয়ামকে এক লাখ ব্বিহাম দেয়ার আদেশ দিলেন ৷

একদিন হারুনুর রশীদ ঔষধ পান করলেন ৷ ইবন আবু মারয়াম সে দিন তার প্রহরীর
(সচিবের’) দায়িত্ব পালনের আবেদন জানালেন এবং যা কিছু (হাদিয়া-নজরানা রুপে) অর্জিত হবে
তা তার ও আমীরুল মু’মিনীনের মধ্যে বন্টিত হওয়ার শর্ত করলেন ৷ হারুন তাকে প্রহরীর দায়িত্বে
নিযুক্ত করলেন ৷ চারদিক হতে দুতেরা হাদিয়া নিয়ে আসতে লাগল ৷ মহিয়ষী যুবায়দার কাছ হতে
এবং বারমাকীদের ও বড় বড় আমীরদের কাছ হতে ৷ এ দিনের মোট হাদিয়ার পরিমাণ ছিল ষাট
হাজার দীনার ৷ পরের দিন হারুনুর রশীদ তাকে প্রাপ্তির পরিমাণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন ৷ তিনি
তা অবহিত করলে হারুন বললেন, আমার হিসৃসা কোথায় ? ইবন আবুমারয়াম বললেন, আমি
তার বিনিময়ে দশ হাজার আপেল দিয়ে আপনার সংগে আপোষ করলাম ৷

একবার তিনি আবু মুআবিয়া আঘৃ-ষারীর (অন্ধ) মুহাম্মদ ইবন হাযিমের কাছ হতে হাদীস
শোনার উদ্দেশ্যে তাকে নিজের কাছে আহ্বান করে আনলেন ৷ এ প্রসংগে আবুঘুআবিয়া বলেন,

আমি তার কাছে যে কোন হাদীস উল্লেখ করলেই তিনি বলে উঠতেন : ষ্া৷; ;’, ধ্র্দু৷ ৷ টুা

র্দু;;র্দু ;, (আল্লাহ আমার মনিবের প্রতি সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন ৷ ) এতে তিনি কোন
ওয়ড়াজউপদেশের বিষয় শুনতে পেলে কেদে কেদে মাটি ভিজিয়ে ফেলতেন ৷ একদিন আমি তার
কাছে আহার করেছিলাম ৷ আমি হাত ধোয়ার জন্য উঠলে তিনি আমার হাতে পানি ঢেলে দিতে
লাগলেন ৷ আমি তো তাকে দেখছিলাম না ৷ তিনি বললেন, আবুমুআবিয়া ! আপনি কি জানেন
যে, কে আপনার হাতে পানি ঢেলে দিচ্ছে ? আমি বললাম, না ৷ তিনি বললেন, আমীরুল
ঘু’মিনীন’ আপনাকে পানি ঢেলে দিচ্ছেন ৷ আবু মুআবিয়া বলেন, তখন আমি তার জন্য দৃআ
করলে তিনি বললেন, আমি তো ইলমের তাজীম করার উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছি ৷ ’

একদিন আবু মুআবিয়া তাকে আ মাশ হতে আবু সালিহ আবু হুরায়রা (রা) সনদে (বর্ণিত)
আদম ও মুসা (আ)-এরবিতর্ক সক্রোন্ত হাদীস র্তাকে শোনাচ্ছিলেন ৷ তখন হারুনুর রশীদের চাচা
বললেন, হে আবুমুআবিয়া ৷ এরা দু’জন কোথায় একত্রিত হয়েছিলেন ? এতে হারুন প্রচণ্ডরুপে
রাগাষিত হয়ে বললেন, “হাদীসের প্রতি কটাক্ষ করা হচ্ছে ? তরবারী ও চামড়ার ফরাশ (মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করার সময় বন্দীকে বসাবার জন্য ব্যবহারের চামড়া) নিয়ে এসো ৷ তা নিয়ে আসা হলে
লোকেরা তার জন্য সুপারিশ করতে লাগল ৷ হারুনুর রশীদ বললেন, এ তো ধর্মদ্রেড়াহ ৷ পরে
তাকে কারারুদ্ধ করার আদেশ দিলেন এবং কসম করে বললেন, “তার মাথায় কে এসব
ঢুকিয়েছে তা আমাকে অবহিত না করা পর্যন্ত যে বের হতে পারবে না ৷” তখন চাচা শক্ত-কঠিন
কসম করে বললেন, কেউ তাকে তা বলে দেয়নি, বরং কথাটি হঠাৎ আমার মুখ ফসৃকে বেরিয়ে


وَلَكَ مَا عَدَا ذَلِكَ. وَدَخَلَ يَوْمًا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَلَى الرَّشِيدِ، وَمَعَهُ بَرْنِيَّةٌ مِنْ فِضَّةٍ فِيهَا غَالِيَةٌ مِنْ أَحْسَنِ الطِّيبِ، فَجَعَلَ يَمْدَحُهَا، وَيَزِيدُ فِي شُكْرِهَا، وَسَأَلَ مِنَ الرَّشِيدِ أَنْ يَقْبَلَهَا مِنْهُ فَقَبِلَهَا، فَاسْتَوْهَبَهَا مِنْهُ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ فَوَهَبَهَا لَهُ، فَقَالَ لَهُ الْعَبَّاسُ: وَيَحَكَ! جِئْتُ بِشَيْءٍ مَنَعْتُهُ نَفْسِي، وَآثَرْتُ بِهِ سَيِّدِي فَأَخَذْتَهُ. فَحَلَفَ ابْنُ مَرْيَمَ لَيُطَيِّبَنَّ بِهِ اسْتَهُ، ثُمَّ أَخَذَ مِنْهَا شَيْئًا فَطَلَى بِهِ اسْتَهُ، وَدَهَنَ جَوَارِحَهُ كُلَّهَا مِنْهَا، وَالرَّشِيدُ لَا يَتَمَالَكُ نَفْسَهُ مِنَ الضَّحِكِ. ثُمَّ قَالَ لِخَادِمٍ قَائِمٍ يُقَالُ لَهُ خَاقَانُ: اطْلُبْ لِي غُلَامِي. فَقَالَ الرَّشِيدُ: ادْعُ لَهُ غُلَامَهُ. فَقَالَ لَهُ: خُذْ هَذِهِ الْغَالِيَةَ، وَاذْهَبْ بِهَا إِلَى سِتِّكَ فَمُرْهَا فَلْتُطَيِّبْ مِنْهَا اسْتَهَا حَتَّى أَرْجِعَ إِلَيْهَا فَأَنِيكَهَا. فَذَهَبَ الضَّحِكُ بِالرَّشِيدِ كُلَّ مَذْهَبٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَلَى الْعَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ، فَقَالَ لَهُ: جِئْتَ بِهَذِهِ الْغَالِيَةِ تَمْدَحُهَا عِنْدَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِي مَا تُمْطِرُ السَّمَاءُ شَيْئًا، وَلَا تُنْبِتُ الْأَرْضُ شَيْئًا إِلَّا وَهُوَ تَحْتَ تَصَرُّفِهِ، وَفِي يَدِهِ؟ وَأَعْجَبُ مِنْ هَذَا أَنْ قِيلَ لِمَلَكِ الْمَوْتِ: مَا أَمَرَكَ بِهِ هَذَا فَأَنْفِذْهُ. وَأَنْتَ تَمْدَحُ هَذِهِ الْغَالِيَةَ عِنْدَهُ كَأَنَّهُ بَقَّالٌ، أَوْ خَبَّازٌ، أَوْ طَبَّاخٌ، أَوْ تَمَّارٌ. فَكَادَ الرَّشِيدُ يَهْلِكُ مِنْ شِدَّةِ
পৃষ্ঠা - ৮৩২৩


গিয়েছে ৷ আমি এজন্য আল্লাহর কাছে তওবা ও ইসতিগফার করছি ৷ তখন খলীফ৷ তাকে মুক্ত
করে দিলেন ৷

কারো কারো বর্ণনায় আছে, আমি একদিন৷ হা রুনুর রশীদের দরবারে উপস্থিত হলাম ৷ ৩ খন
তার সামনে গর্দান কর্তিত একটি লাশ পড়েছিল এবং জল্পাদ লাশের যাতে তার ৩রবারি মুছে
নিচ্ছিল ৷ তখন হারুনুৱ রশীদ বললেন, আমি তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছি, কারণ সে
কুৱআনকে সৃষ্ট’ (মাখলুক) বলেছে ৷ এ কারণে তাকে হত্যা করা মহিয়ান-গবিয়ান আল্লাহ্র
নৈকট্য পাওয়ার উপায় ৷ কোন আলিম মনীষী তাকে বললেন, আমীরুল মু ’মিনীন ! আপনি এদের
প্রতি ৩সুদৃষ্টি দিবেন যারা আবু বকর (রা) ও উমর (রা) কে তা ৷লবাসে এবং তাদের অন্যদের চেয়ে
অগ্রবর্তী সাব্যস্ত করে ৷ আপনি আপনার প্রতিপত্তির মাহাআে তাদের মর্যাদামণ্ডিত করবেন ৷ হারুনুৱ
রশীদ বললেন, “আমি কি তা-ই করছি না ৷ আল্লাহর কসম! অনুরুপই আমি তাদের ভালবাসি
এবং যারা তাদের ভালবাসে তাদেরও আমি ভালবাসব এবং যারা তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে
আমি তাদের শাস্তি দিব ৷

ইবনুস সিমাক তাকে বললেন, “আল্লাহ্ কাউকে আপনার উপরে উন্নীত করেননি ৷ সুতরাং
আপনার সাধনা হবে যেন কেউ আপনার চেয়ে আল্লাহ্র অধিক অনুগত না হয় ৷ এ কথা শুনে
হারুন বললেন, আপনার বক্তব্য সংক্ষিপ্ত হলেও তার উপদেশ অত্যন্ত সারগর্ভ ৷ ’ (বর্ণনান্তরে)
ফুযায়ল ইবন ইয়ান অথবা অন্য কেউ তাকে বললেন, দৃনিয়াতে এদের কা ৷উকে আল্পাহ্ আপনার
উচর্ধ্ব উন্নীত করেননি ৷ সুতরাং আখিরাতে তাদের কেউ আপনার উরুর্ধ্ব না যেতে পারে আপনাকে
সে সাধনাই করতে হবে ৷ কাজেই নিজেকে যেহনত শ্রমে নিমগ্ন করুন এবং আপনার
পালনকর্তার আনুগত্যের কাজে প্রবৃত্তিকে লাগিয়ে রাখুন ৷

একদিন ইবনুস সিমাক তার কাছে প্রবেশ করলেন ৷ তখন খলীফ৷ পানি পান করতে চাইলে
ঠাণ্ড৷ পানির একটি কলসী তার কাছে নিয়ে আসা হল ৷ তিনি ইবনুস সিমাক বললেন, আমাকে
নসীহত করুন !’ তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! এ পানি আপনাকে দেয়৷ না হলে (এবং
ক্রয় করে নিতে বাধ্য হলে) আপনি কত দাম দিয়ে তা ক্রয় করতেন ? তিনি বললেন, “আমার
রাজত্বের অর্ধেক দিয়ে ৷” ইবন সিমাক বললেন, স্বচ্ছন্দে পান করুন ! পান করার পরে তিনি
বললেন, বলুন তো, যদি আপনার দেহ হতে এ পানি বেরিয়ে যেতে বাধাগ্রন্ত হয়ত তবে কি
পরিমাণের বিনিময়ে আপনি তার সুরাহায় ব্যবস্থা করবেন ৷’ তিনি বললেন, আমার রাজত্বের
অবশিষ্ট অ র্ধেক দিয়ে ৷ তখন ইবন সিমাক বললেন, যে রাজত্বের অর্ধেকের দাম একবারের পান
করার সমান এবং অপর অর্ধেকের দাম একবারের পেশাবের সমান তা অবশ্য তাতে
প্রতিযোগিতা ৷য় লিপ্ত না হওয়া র ৷উপযােগী বিষয় ৷ এতে হা রুনুর রশীদ কা ৷দতে লাগলেন ৷

ইবন কৃতায়ব৷ বলেন, আর রিয়াশী আমা শুদর শুনিয়েছেন ৷ তিনি আসমাঈকে বলতে
শুনেছেন, আমি৷ ৷রুনুর রশীদের কাছে প্রবেশ করলাম ৷ তিনি তখন তার নখ কাটছিলেন ৷ দিনটি
ছিল শুক্রবার ৷ এ ব্যাপারে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে৩ তিনি বললেন, বৃহস্পতিবারে নখ কাটা
সুন্নাতরুপে বিবেচিত ; তবে আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, শুক্রবারে নখ কাটা দারিদ্র
বিদুরীত করে৷ ৷”আমি বললাম , আমীরুল মু’মিনীন ! আপনিও দারিদ্রের ভয় করেন? তিনি
বললেন, হে আসমাঈ ! দারিদ্রকে আমার চেয়ে অধিক ভয়য় করে এমন কেউ কি আছে ? ইবন


الضَّحِكِ ثُمَّ أَمَرَ لِابْنِ أَبِي مَرْيَمَ بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَقَدْ شَرِبَ الرَّشِيدُ يَوْمًا دَوَاءً فَسَأَلَهُ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَنْ يَلِيَ الْحِجَابَةَ فِي هَذَا الْيَوْمِ، وَمَهْمَا حَصَلَ لَهُ فَهُوَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَوَلَّاهُ الْحِجَابَةَ، فَجَاءَتِ الرُّسُلُ بِالْهَدَايَا مِنْ كُلِّ جَانِبٍ مِنْ عِنْدِ زُبَيْدَةَ، وَالْبَرَامِكَةِ، وَكِبَارِ الْأُمَرَاءِ، فَكَانَ حَاصِلُهُ فِي هَذَا الْيَوْمِ سِتِّينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَسَأَلَهُ الرَّشِيدُ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي عَمَّا تَحَصَّلَ، فَأَخْبَرَهُ، قَالَ: فَأَيْنَ نَصِيبِي؟ قَالَ: مَعْزُولٌ. قَالَ: قَدْ صَالَحْتُكَ عَلَيْهِ بِعَشَرَةِ آلَافِ تُفَّاحَةٍ. وَقَدِ اسْتَدْعَى إِلَيْهِ أَبَا مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرَ مُحَمَّدَ بْنَ خَازِمٍ لِيَسْمَعَ مِنْهُ الْحَدِيثَ، قَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ: مَا ذَكَرْتُ عِنْدَهُ فِي حَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ إِلَّا قَالَ: صَلَّى اللَّهُ وَسَلَّمَ عَلَى سَيِّدِي. وَإِذَا سَمِعَ حَدِيثًا فِيهِ مَوْعِظَةٌ يَبْكِي حَتَّى يَبُلَّ الثَّرَى. وَأَكَلْتُ عِنْدَهُ يَوْمًا ثُمَّ قُمْتُ لِأَغْسِلَ يَدِي فَصَبَّ الْمَاءَ عَلَيَّ، وَأَنَا لَا أَرَاهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَبَا مُعَاوِيَةَ، أَتَدْرِي مَنْ يَصُبُّ عَلَيْكَ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ: أَنَا. فَدَعَا لَهُ أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ، فَقَالَ: إِنَّمَا أَرَدْتُ تَعْظِيمَ الْعِلْمِ، وَقَدْ حَدَّثَهُ أَبُو مُعَاوِيَةَ يَوْمًا عَنِ
পৃষ্ঠা - ৮৩২৪
الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِحَدِيثِ: " " «احْتَجَّ آدَمُ، وَمُوسَى» " " فَقَالَ عَمُّ الرَّشِيدِ: أَيْنَ الْتَقَيَا يَا أَبَا مُعَاوِيَةَ؟ فَغَضِبَ الرَّشِيدُ مِنْ ذَلِكَ غَضَبًا شَدِيدًا، وَقَالَ: أَتَعْتَرِضُ عَلَى الْحَدِيثِ؟ ! عَلَيَّ بِالنَّطْعِ، وَالسَّيْفِ. فَأُحْضِرَ ذَلِكَ، فَقَامَ النَّاسُ إِلَيْهِ يَشْفَعُونَ فِيهِ، فَقَالَ الرَّشِيدُ: هَذِهِ زَنْدَقَةٌ. ثُمَّ أَمَرَ بِسَجْنِهِ، وَقَالَ: لَا يَخْرُجُ حَتَّى يُخْبِرَنِي مَنْ أَلْقَى إِلَيْهِ هَذَا. فَأَقْسَمَ بِالْأَيْمَانِ الْمُغَلَّظَةِ مَا قَالَ لَهُ أَحَدٌ وَإِنَّمَا كَانَتْ بَادِرَةً مِنِّي، فَأَطْلَقَهُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: دَخَلْتُ عَلَى هَارُونَ الرَّشِيدِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ رَجُلٌ مَضْرُوبُ الْعُنُقِ، وَالسَّيَّافُ يَمْسَحُ سَيْفَهُ فِي قَفَا الرَّجُلِ الْمَقْتُولِ، فَقَالَ هَارُونُ: قَتَلْتُهُ لِأَنَّهُ قَالَ: الْقُرْآنُ مَخْلُوقٌ. فَقَتَلْتُهُ قُرْبَةً إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، انْظُرْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَبَا بَكْرٍ، وَعُمَرَ، وَيُقَدِّمُونَهُمَا فَأَكْرِمْهُمْ يَعِزُّ سُلْطَانُكَ. فَقَالَ الرَّشِيدُ: أَوَلَسْتُ كَذَلِكَ؟ ! أَنَا وَاللَّهِ كَذَلِكَ أُحِبُّهُمَا، وَأُحِبُّ مَنْ يُحِبُّهُمَا، وَأُعَاقِبُ مَنْ يُبْغِضُهُمَا. وَقَالَ لَهُ ابْنُ السِّمَاكِ أَوْ غَيْرُهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَجْعَلْ أَحَدًا مِنْ هَؤُلَاءِ فَوْقَكُ، فَاجْتَهِدْ أَنْ لَا يَكُونَ فِيهِمْ أَحَدٌ أَطْوَعَ إِلَى اللَّهِ مِنْكَ. فَقَالَ: لَئِنْ كُنْتَ أَقْصَرْتَ فِي الْكَلَامِ لَقَدْ أَبْلَغْتَ فِي الْمَوْعِظَةِ.
পৃষ্ঠা - ৮৩২৫


০০

৩৭৪ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

আসাকির ইব্রাহীম আল সাহসী হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি হারুন রশীদের
কাছে ছিলাম ৷ তিনি তার বাবুর্চিকে ডেকে বললেন, তোমার খাদ্যের মধ্যে কি উটের গোশৃত
আছে ? বাবুর্চি বলল, জী হয়, বিভিন্ন ধরনের আছে ৷ হারুন বললেন, খাবারের সংগে তা-ও
পরিবেশন করবে ৷ পরে তা সামনে পরিবেশন করা হলে তিনি তা হতে একটি গ্রাস তুলে নিলেন
এবং তা মুখে দিলেন ৷ এ সময় জাফর ৰারমাকী হেসে দিলে হারুনুর রশীদ তার গ্রাস চিবানাে
বন্ধ করে দিলেন এবং জাফরকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমার হাসির কারণ কি ? জাফর
বললেন, আমীরুল ঘুমিনীন যে কিছু নয় ৷ র্বাদীর সংগে গত রাতের একটি কথা মনে পড়ে
গিয়েছিল ৷ হারুন বললেন, তোমার উপরে আমার অধিকারের কসম ! যদি না তুমি আমাকে
আসল কথা অবহিত কর ! জাফর বললেন, ঠিক আছে ৷ আপনি এ লুকমাটি খেয়ে নিন ! তখন
হারুন সেটি মুখ থেকে ফেলে দিয়ে বললেন, আল্পাহ্র কসম ! তুমি অবশ্যই আমাকে আসল
ঘটনা অবহিত করবে ৷ তখন জাফর বললেন, হে আমীরুল ঘু’মিনীন ! আপনার ধারণায় আপনার
এ উটের পােশৃতের খাবারের দাম কত পড়ছে ? খলীফা বললেন, চার দিরহাম হবে ৷ জা“ফর
বললেন, না, আল্লাহর কসম ! হে আমীরুল ঘু’মিনীন ! বরং চার লাখ দিরহাম ৷ খলীফা বললেন,
তা কী রুপে ? জাফর বললেন, অনেক দিন আগে আপনি একবার আপনার রাবুর্চির কাছে উটের
পােশৃত চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু সে দিন তার কাছে তা ছিল না ৷ তখন বলা হয়েছিল, অবশ্যই রান্নাঘর
উটের গোশৃত শুন্য থাকবে না ৷’ সুতরাং আমরা সেদিন হতে আমীরুল ঘুমিনীনের রান্নাঘরের
জন্য দৈনিক একটি উট যবাই করে চলেছি ৷ কেননা, আমরা বজাের হতে উটের গোশৃত খবিদ
করিনা ৷ কাজেই সেদিন হতে আজ পর্যন্ত উটের গােশৃতের জন্য চার লাখ দিরহাম ব্যয় করা
হয়েছে এবং ইতিমধ্যে আজকের দিন ব্যতীত আর কোন দিন আমীরুল মু’মিনীন উটের
গোশৃতের চাহিদা প্রকাশ করেননি, ৷ জাফর বললেন, আমি হেসেছিলাম এ কারণে যে, আমীরুল
মু’মিনীন আজই সে গোশত হতে এ লুকমাটি মুখে দিয়েছেন এবং বাস্তবে আমীরুল মু’মিনীনের
জন্য তার দাম পড়েছে চার লাখ দিরহাম ৷

বর্ণনাকারী বলেন, এসব কথা শোনার পর হারুনুর রশীদ প্রচণ্ডরুপে র্কাদতে লাগলেন এবং
তার সামনে হতে দস্তরখান তুলে নেয়ার আদেশ দিলেন ৷ পরে তিনি নিজে নিজেকে এই বলে
ধমকাতে লাগলেন ৷ আল্লাহ্র কসম ! হারুন ! তুমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছ ৷’ তিনি এভাবে তিনি
মুআয্যিন তাকে যুহর সালাতের সময় হওয়ার অবগতি প্রদান পর্যন্ত তিনি র্কাদতে থাকলেন ৷
মুআয্যিনের আহ্বানে তিনি বের হয়ে লোকদের সংগে সালাত আদায় করলেন ৷ পরে ফিরে এসে
মুআবৃযিনগণ তাকে আসর সালাতের আহ্বান জানানো পর্যন্ত র্কাদতে থাকলেন ৷ এ সময় তিনি দুই
হারমের (মক্কা-মদীনা) ফকীরদের জন্য বিশ লাখ দান করার আদেশ দিলেন ৷ প্রতি হারড়ামের জন্য
দশ লাখ বরাদ্দ করলেন ৷ অনুরুপ বাগদাদের পশ্চিম ও পুর্ব প্রান্তদ্বয়ে দশ লাখ করে বিশ লাখ এবং
কুফা ও বসরার ফকীরদের জন্য দশ লাখ সাদাকা করার আদেশ দিলেন ৷ পরে আসরের সালাতের
জন্য বেরিয়ে গেলেন ৷ পরে আবার ফিরে এসে মাগরিবের সালাত পর্যন্ত র্কাদতে থাকলেন এবং
সালাতের পরে ফিরে এলেন ৷ তখন কাযী আবু ইউসুফ তার কাছে এলেন ৷ তিনি বললেন, কী
ব্যাপার ! আমীরুল ঘু’মিনীন ! আজ দিনভর কেদে চলছেন ? হারুনুর রশীদ তার ঘটনা বললেন
এবং তার বাসনা পুরণের জন্য বিশাল অর্থ ব্যায়ের কথা এবং তা হতে মাত্র এক লুকমা আহার


وَدَخَلَ عَلَيْهِ ابْنُ السِّمَاكِ يَوْمًا فَاسْتَسْقَى الرَّشِيدُ فَأُتِيَ بِقُلَّةٍ فِيهَا مَاءٌ مُبَرَّدٌ، فَقَالَ لِابْنِ السِّمَاكِ: عِظْنِي. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، بِكُمْ كُنْتَ مُشْتَرِيًا هَذِهِ الشَّرْبَةَ لَوْ مُنِعْتَهَا؟ فَقَالَ: بِنِصْفِ مُلْكِي. فَقَالَ: اشْرَبْ هَنِيئًا. فَلَمَّا شَرِبَ قَالَ: أَرَأَيْتَ لَوْ مُنِعْتَ خُرُوجَهَا مِنْ بَدَنِكَ، بِكَمْ كُنْتَ تَشْتَرِي ذَلِكَ؟ قَالَ: بِمُلْكِي كُلِّهِ. فَقَالَ: إِنَّ مُلْكًا قِيمَتُهُ شَرْبَةُ مَاءٍ لَخَلِيقٌ أَنْ لَا يُتَنَافَسَ فِيهِ. فَبَكَى هَارُونُ. وَقَالَ ابْنُ قُتَيْبَةَ: ثِنَا الرِّيَاشِيُّ، سَمِعْتُ الْأَصْمَعِيَّ، يَقُولُ: دَخَلْتُ عَلَى الرَّشِيدِ، وَهُوَ يُقَلِّمُ أَظْفَارَهُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَقُلْتُ لَهُ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: أَخْذُ الْأَظْفَارِ يَوْمَ الْخَمِيسِ مِنَ السُّنَّةِ، وَبَلَغَنِي أَنَّ أَخْذَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ يَنْفِي الْفَقْرَ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَوَ تَخْشَى الْفَقْرَ؟ ! فَقَالَ: يَا أَصْمَعِيُّ، وَهَلْ أَحَدٌ أَخْشَى لِلْفَقْرِ مِنَى؟ وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمَهْدِيِّ قَالَ: كُنْتُ يَوْمًا عِنْدَ الرَّشِيدِ فَدَعَا طَبَّاخَهُ، فَقَالَ: أَعِنْدَكَ فِي الطَّعَامِ لَحْمُ جَزُورٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، أَلْوَانٌ مِنْهُ. فَقَالَ: أَحْضِرْهُ مَعَ الطَّعَامِ، فَلَمَّا وُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ أَخَذَ لُقْمَةً مِنْهُ، فَوَضَعَهَا فِي فِيهِ، فَضَحِكَ جَعْفَرٌ الْبَرْمَكِيُّ، فَتَرَكَ الرَّشِيدُ مَضْغَ اللُّقْمَةِ، وَأَقْبَلَ عَلَيْهِ، فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৮৩২৬

করার কথা অবহিত করলেন ৷ তখন আবু ইউসুফ জাফরকে বললেন, আপনারা যে উট যবাই
করতেন তার গােশৃত কি নষ্ট হয়ে যেত কিৎব৷ লোকেরা তা আহার করত ? তিনি বললেন, না,

রং লোকেরা তা আহার করত ৷ আবু ইউসুফ বললেন, আমীরুল মু’মিনীন ৷ আপনি আল্লাহ্
তাআলার পক্ষ হতে সওয়াবের সুসৎবাদ গ্রহণ করুন আপনার সৈ অর্থ বারের জন্য যা বিগত
দিনওলােতে মুসলমানগণ আহার করেছে এবং সে সাদাকার জন্য যা করার তাওফীক আল্লাহ
আপনাকে দান করেছেন এবং আজকের এদিনে অ ৷ল্লাহ্ আপনাকে তার যে ভয় ও ভীতির তাওফীক
দান করেছেন সে জন্য ৷ আল্লাহ তা অ ৷ল৷ তাে বলেছেন, ঢ়ঢ় ; , হু ঢ়ন্ত্রট্রু ; ঢ় টু,পু , “যে

তার পালনকতার সামনে দ ৷ড়াবা ৷র (এবং জীবনের হিসাব নিকা শ দেয়ার) ভয়ে ভয়ার্ত, তার জন্য
রয়েছে দু টি জান্ন৷ ত ৷” তখন হ রুনুর রশীদ আবু ইউসুফকে চার লাখ দেয়ার আদেশ দিলেন এবং
সে সময় খাবার আনিয়ে তা আহার করলেন ৷ ফলে এ দিনে তার সকালের খাবারই বিকালের
খাবার হয়ে গিয়েছিল ৷
আমর ইবন বাহ্র আল-জাহিজ বলেন, হারুন রশীদের জন্য ভ ৷বগাম্বীর্য ও রসিকতার এমন
সমন্বয় ঘটেছিল যা তার পরে আর কারো ক্ষেত্রে ঘটেনি ৷ (যেমন) আবু ইউসুফের ন্যায় ব্যক্তিত্ব
ছিলেন তার কাষী (বিচারপতি), বারমাকী(দের ন্যায় বিদ্বান গুণবান)-রা ছিল তার উযীর ও মন্তী;
অত্যন্ত সুসতর্ক ও ধীমান৷ ফ ৷ঘৃল ইবনুর রাবী ছিলেন তার প্রধান সচিব (প্রধানমত্রী); উমর ইবনুল
আব্বাস ইবন মুহাম্মদ তার একান্ত সহচর ৷ মারওয়৷ ন ইবন আবু হাফসাত তার সভাকবি, তার গায়ক
ইব্রাহীম মাওসিলী যিনি স ৎশ্লিষ্ট বিষয়ে সমকালে ছিলেন অতৃলনীয় ৷ ইবন আবু মারয়াম তার
রসিক বন্ধু এবং৩ তার সুরশি ৷ল্পী বারসুম৷ ৷ আর (সর্বাধিক উল্পেখভৈযাগ্য) তার জীবন সং গিনী উম্মু
জাফর হতে যুবায়দ৷ যিনি ছিলেন যে কোন ভাল কাজে সর্বাধিক আগ্রহী এবং যে কোন নেক ও
পুণ্যের কাজে সকলের চেয়ে অগ্রগামী ৷ হারুনুর রশীদের অস্বীকৃতির পরে যিনি হারামে পানি
সরবরাহের ব্যবস্থা (নহ্রে যুবায়দা) সম্পন্ন করেছিলেন এবং তার হাত দিয়ে আল্লাহ তাআলা এ
ধরনের অনেক শুভকর্য সম্পাদন করিয়েছিলেন ৷
খতীব বাগদাদী বর্ণনা করেন ৷ হারুনুর রশীদ বলতেন, আমরা এমন এক সম্প্রদায়ের সদস্য
যাদের দর্শন প্রভাব বিস্তারকারী ৷ যাদের উত্থান সুন্দর ৷ আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর উত্তারাধিকার
ধন্য এবং আল্লাহর খিলাফত আমাদের মধ্যে বিদ্যমান ৷ একবার হারুনুর রশীদ বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ
করার সময় এক ব্যক্তি তার সামনে এসে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমি আপনাকে একটি
কথা বলতে চাই যাতে কিছু রুঢ়৩ তা থাকবে ৷’ তিনি বললেন, না এবং তা সুন্দর নয় ৷ আল্লাহ
তা অ লা৷ তো তোমার চেয়ে উত্তম ব্যক্তিকে আমার চেয়ে নিকুষ্ট ব্যক্তির কাছে পা ৷ঠিয়েছিলেন এবং
তাকে তার সংগে কোমল’ কথা বলার আদেশ দিয়েছিলেন ৷

ও আরব ইবন হারব হতে ৩বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, একবার আমি হারুনুর রশীদকে মক্কা র রাস্তায়
দেখতে পেলাম ৷ আমি মনে মনে নিজেকে বললাম, “তোমার জন্য সৎ কাজের আদেশ প্রদান ও
অন্যায় কাজে নিষেধ৷ ৷জ্ঞ৷ প্রদান অপরিহার্য ৷ তখন আমার প্রবৃত্তি আমাকে ভয় দেথাল যে, এখনই
তিনি৫ তামার গর্দান উড়িয়ে দেয়৷ হবে ৷ আমি বললাম, তবুও তোমাকে তা করতেই হবে ৷”
তখন আমি দুর থেকে তাকে ডাক দিলাম হে হারুন ৷ আপনি উষ্মতকে ও পশুপালকে শান্ত
করে দিয়েছেন ৷ তিনি বললেন, লোকটিকে ধর ৷ ’ তখন আমাকে তার কাছে উপস্থিত করা হল ৷


مِمَّ تَضْحَكُ؟ قَالَ: لَا شَيْءَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، ذَكَرْتُ كَلَامًا دَارَ بَيْنِي وَبَيْنَ جَارِيَتِي الْبَارِحَةَ. فَقَالَ: بِحَقِّي عَلَيْكَ لَمَا أَخْبَرْتَنِي بِهِ. قَالَ: حَتَّى تَأْكُلَ هَذِهِ اللُّقْمَةَ، فَأَلْقَاهَا مِنْ فِيهِ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَتُخْبِرَنِّي. فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، بِكَمْ تَقُولُ إِنَّ هَذَا الطَّعَامَ مِنْ لَحْمِ الْجَزُورِ يُقَوَّمُ عَلَيْكَ؟ قَالَ: بِأَرْبَعَةِ دَرَاهِمَ. قَالَ: لَا، وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، بَلْ بِأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. قَالَ: وَكَيْفَ ذَلِكَ؟ قَالَ: إِنَّكَ طَلَبْتَ مِنْ طَبَّاخِكَ هَذَا لَحْمَ جَزُورٍ قَبْلَ هَذَا الْيَوْمِ بِمُدَّةٍ طَوِيلَةٍ فَلَمْ يُوجَدْ عِنْدَهُ، فَقُلْتُ: لَا يَخْلُوَنَّ الْمَطْبَخُ مِنْ لَحْمِ جَزُورٍ، فَنَحْنُ نَنْحَرُ كُلَّ يَوْمٍ جَزُورًا؛ لِأَنَّا لَا نَشْتَرِي لَحْمَ الْجَزُورِ مِنَ السُّوقِ، فَصُرِفَ فِي لَحْمِ الْجَزُورِ مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ أَرْبَعُمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَلَمْ يَطْلُبْ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ لَحْمَ الْجَزُورِ إِلَّا هَذَا الْيَوْمَ، قَالَ جَعْفَرٌ: فَضَحِكْتُ؛ لِأَنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّمَا نَالَهُ مِنْ ذَلِكَ هَذِهِ اللُّقْمَةُ، فَهِيَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ بِأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفٍ. قَالَ: فَبَكَى الرَّشِيدُ بُكَاءً شَدِيدًا، وَأَقْبَلَ عَلَى نَفْسِهِ يُوَبِّخُهَا، وَيَقُولُ: هَلَكْتَ وَاللَّهِ يَا هَارُونُ. وَأَمَرَ بِرَفْعِ السِّمَاطِ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ، وَلَمْ يَزَلْ يَبْكِي حَتَّى آذَنَهُ الْمُؤَذِّنُونَ بِصَلَاةِ الظُّهْرِ، فَخَرَجَ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ، ثُمَّ رَجَعَ يَبْكِي، وَقَدْ أَمَرَ بِأَلْفَيْ أَلْفٍ تُصْرَفُ إِلَى فُقَرَاءِ الْحَرَمَيْنِ، فِي كُلِّ حَرَمٍ أَلْفُ أَلْفٍ صَدَقَةً، وَأَمَرَ بِأَلْفَيْ أَلْفٍ يَتَصَدَّقُ بِهَا فِي جَانِبَيْ بَغْدَادَ؛ الْغَرْبِيِّ، وَالشَّرْقِيِّ، وَبِأَلْفِ أَلْفٍ يُتَصَدَّقُ بِهَا عَلَى
পৃষ্ঠা - ৮৩২৭
فَقُرَاءِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ. ثُمَّ خَرَجَ لِصَلَاةِ الْعَصْرِ، ثُمَّ رَجَعَ يَبْكِي حَتَّى صَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ رَجَعَ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو يُوسُفَ الْقَاضِي، فَقَالَ: مَا شَأْنُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَاكِيًا فِي هَذَا الْيَوْمِ؟ فَذَكَرَ أَمْرَهُ، وَمَا صَرَفَ مِنَ الْمَالِ الْجَزِيلِ لِأَجْلِ شَهْوَتِهِ، وَإِنَّمَا نَالَهُ مِنْهَا لُقْمَةٌ، فَقَالَ أَبُو يُوسُفَ لِجَعْفَرٍ: هَلْ كَانَ مَا يَذْبَحُونَهُ مِنَ الْجَزُورِ يَفْسَدُ، أَوْ يَأْكُلُهُ النَّاسُ؟ قَالَ: بَلْ يَأْكُلُهُ النَّاسُ. فَقَالَ: أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِثَوَابِ اللَّهِ فِيمَا صَرَفْتَهُ مِنَ الْمَالِ الَّذِي أَكَلَهُ الْمُسْلِمُونَ فِي الْأَيَّامِ الْمَاضِيَةِ، وَبِمَا يَسَّرَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ مِنَ الصَّدَقَةِ فِي هَذَا الْيَوْمِ عَلَى الْفُقَرَاءِ، وَبِمَا رَزَقَكَ اللَّهُ مِنْ خَشْيَتِهِ وَخَوْفِهِ فِي هَذَا الْيَوْمِ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَلِمَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ جَنَّتَانِ} [الرحمن: 46] فَأَمَرَ لَهُ الرَّشِيدُ بِأَرْبَعِمِائَةِ أَلْفٍ، ثُمَّ اسْتَدْعَى بِطَعَامٍ، فَأَكَلَ مِنْهُ فَكَانَ غَدَاؤُهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ عَشَاءً. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ بَحْرٍ الْجَاحِظُ: اجْتَمَعَ لِلرَّشِيدِ مِنَ الْجِدِّ وَالْهَزْلِ مَا لَمْ يَجْتَمِعْ لِغَيْرِهِ، كَانَ أَبُو يُوسُفَ قَاضِيَهُ، وَالْبَرَامِكَةُ وُزَرَاءَهُ، وَحَاجِبُهُ الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ أَنْبَهُ النَّاسِ، وَأَشَدُّهُمْ تَعَاظُمًا، وَنَدِيمُهُ عَمُّ أَبِيهِ الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ صَاحِبُ الْعَبَّاسِيَّةِ، وَشَاعِرُهُ مَرْوَانُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ وَمُغَنِّيهِ إِبْرَاهِيمُ الْمَوْصِلِيُّ وَاحِدُ
পৃষ্ঠা - ৮৩২৮


০০

৩৭৬ আল-বিদ!য়! ওয়াননিহ!য়া

তখন তার হাতে ছিল লোহার তৈরি একটি কুঠার ৷ য! দিয়ে তিনি ক্রীড়া করছিলেন ৷ তিনি তখন
একটি কৃরসীতে উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তিনি বললেন, কােনৃ গোত্রের লোক হে ? আমি বললাম,
একজন মুসলমান ৷ তিনি বললেন, তে!ম!র ম! পুত্রহ!রা হোক ! তুমি কোন গোত্রের লোক !
আমি বললাম, আনৃবার গোত্রের ৷ তিনি বললেন, আমাকে আমার নাম ধরে ডাক দেয়ার হিম্ম!ত
তোমাকে কে দিয়েছে ৷ শুআয়ব বলেন, তখনই আমার মনে এমন কথার উদয় হল য! ইতে!পুর্বে
কখনও উদয় হয়নি ৷ ’ আমি বললাম, আমি অ!ল্পাহ্কে তার নাম ধরে ডাকি ইয়া আল্লাহ!” সুতরাং
আপনাকে আপনার নাম ধরে ডাকব না কেন : আল্লাহ সুবহান!হ্র ওয়া ত!আলাও ভীর সৃষ্টির মধ্যে
তীব্র কাছে সর্বাধিক প্রিয়দের তাদের নাম নিয়ে ভোকছেন হে আদম !, হে নুহ !, হে হ্রদ ! , হে
সালিহ, ! হে ইব্রাহীম, ! হে মুসা, ! হে ঈসা, ! ওহে মুহাম্মদ বলে ৷ আর তীর সৃষ্টির মধ্যে তার

সর্বাধিক অপসন্দনীয় ব্যক্তিকে উল্লেখ করেছেন৩ তার উপন!মে এবং এভাবে বলেছেন যে,


ইবনুস সিমাক একদিন তাকে বললেন, আপনি একাকী ইনতিক! !ল করবেন, একাকী কবরে
প্রবেশ করবেন এবং সেখান হতে আপনাকে একাকী উঠ!নাে হবে ৷ সুতরাং মহিয়!ন-গরিয়!ন
আল্লাহর সামনে উপস্থিত এবং জান্ন!ত ও জাহ!ন্ন!মের মাঝে অবন্থ!নকে ভয় করুন ! যখন দৃশ্চিন্তা
আচ্ছাদিত করবে, প! পিছনে যাবে, অনুভৈশাচনা আগত হবে ৷ সে দিন কোন তওবা কবুল করা হবে
ন! ! কোন বিচ্যুতি ক্ষমা করা হবে না এবং মুক্তিপণ গ্রহণ কর! হবে না ৷ এতে হ!রুনুর রশীদ
কাদতে লাগলেন এবং তীর ক!ন্ন!র আওয়াজ চড়ে গেল ৷ তখন ইয়!হ্ইয়া ইবন খালিদ ইবনুস
সিমাককে বললেন, হে ইবনুস সিমাক ! আপনি আমীরুল মু’মিনীনের জন্য আজকের র!তটি
কঠিন করে দিলেন ৷ তখন তিনি উঠে সেখান হতে কাদতে কাদতে বেরিয়ে গেলেন ৷ ফুয!য়ল
ইবন ইয়ার মক্কায় ৩!র ওয়!জের রাতে তার দীর্ঘ বক্তব্যের মধ্যে বলেছিলেন, ৫হ সুশ্ৰী চেহ!র!র
অধিকারী ! আপনাকে এদের সকলের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে ৷ আল্লাহ ত!আলা
বলেছেনঃ’ (এর ব্যাখ্যায় লায়ছ মুজাহিদ হতে বর্ণনা করেছেন) ৷
পৃথিবীর জীবনে সংযোগের সব সুত্র ছিন্ন হয়ে যাবে ৷ এতে হ!রুন কাদতে লাগলেন এবং পরে
হেচকি দিতে লাগলেন ৷

ফুযায়ল বলেন, একদিন হ!রুনুর রশীদ আমাকে ড!কলেন ৷ সেদিন তিনি তার ঘরগুলো
সুসজ্জিত করেছিলেন এবং বহুল পরিমাণে খাদ্য পানীয়ের ও সুস্ব!দৃ খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন ৷
পরে তিনি (করি) আকুলঅ!তাহিয়্যাকে ডেকে বললেন, আমাদের এ সুখ ও প্রাচুর্যের বর্ণনা দিয়ে
কবিতা রচনা কর ৷ আবুল আত!হিয়্যা বললেন :

০’






عَصْرِهِ فِي صِنَاعَتِهِ وَضَارِبُهُ زَلْزَلٌ، وَزَامِرُهُ بَرْصُومَا، وَزَوْجَتُهُ أُمُّ جَعْفَرٍ يَعْنِي زُبَيْدَةَ، وَكَانَتْ أَرْغَبَ النَّاسِ فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَأَسْرَعَهُمْ إِلَى كُلِّ بِرٍّ وَمَعْرُوفٍ، أَدْخَلَتِ الْمَاءَ الْحَرَمَ بَعْدَ امْتِنَاعِهِ مِنْ ذَلِكَ، إِلَى أَشْيَاءَ مِنَ الْمَعْرُوفِ. وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّ الرَّشِيدَ كَانَ يَقُولُ: إِنَّا مِنْ قَوْمٍ عَظُمَتْ رَزِيَّتُهُمْ، وَحَسُنَتْ بَقِيَّتُهُمْ، وَرِثْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَقِيَتْ فِينَا خِلَافَةُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَبَيْنَمَا الرَّشِيدُ يَطُوفُ يَوْمًا بِالْبَيْتِ إِذْ عَرَضَ لَهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُكَلِّمَكَ بِكَلَامٍ فِيهِ غِلْظَةٌ. فَقَالَ: لَا، وَلَا نِعْمَتْ عَيْنٌ، قَدْ بَعَثَ اللَّهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ إِلَى مَنْ هُوَ شَرٌّ مِنِّي فَأَمَرَهُ أَنْ يَقُولَ لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا. وَعَنْ شُعَيْبِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ: رَأَيْتُ الرَّشِيدَ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: قَدْ وَجَبَ عَلَيْكَ الْأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ، وَالنَّهْيُ عَنِ الْمُنْكَرِ، فَخَوَّفَتْنِي، وَقَالَتْ: إِنَّهُ الْآنَ يَضْرِبُ عُنُقَكَ. فَقُلْتُ: لَا بُدَّ مِنْ ذَلِكَ. فَنَادَيْتُهُ: فَقُلْتُ: يَا هَارُونُ، قَدْ أَتْعَبْتَ الْأُمَّةَ، وَالْبَهَائِمَ. فَقَالَ: خُذُوهُ. فَأُدْخِلْتُ عَلَيْهِ، وَفِي يَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৮৩২৯


“ তোমাদের যতদিন মনে চায় সুউচ্চ অট্টালিকার ছায়ায় নিরাপদ জীবন কাটাও ৷ সকাল হতে
সন্ধ্য৷ অবধি তােমা র চা ৷হিদা পুরণের মেহনত চলতে থাকবে ৷ যখন বুকের শ্বাস সংকটের কারণে
প্রাণ অস্থির হয়ে তড়পাতে থাকবে ৷ তখনই শুধুতু মি নিশ্চিতরুপে জানতে পারবে যে, তুমি ছিলে
প্রতারণা র শিকার ৷ ”

বর্ণনাকা রী বলেন, কবিতা শুনে হারুনুর রশীদ প্রচণ্ড ও প্রবল ক ৷ন্নায় ভেৎগে পড়লেন ৷ খনত
ফাযল ইবন ইয়াহ্ইয়া কব্যিক বললেন, আমীরুল মু মিনীন আপনাকে ডেকেছিলেন তাকে আনন্দ
দেয়ার জন্য; আপনি তাকে দুঃখ দিলেন ? হারুনুর রশীদ তাকে বললেন, তাকে ছেড়ে দাও, যে
আমাদের অন্ধত্বের মধ্যে দেখতে পেয়েছিল এবং আমাদের অন্ধতু আরো ব৷ ৷ড়িয়ে দেয়৷ সে পসন্দ
করেনি ৷ অপর এক সুত্রের বর্ণনায় আছে হ রুনুর রশীদ আবুল আ৩ ৷হিয়্যাকে বললেন সারগর্ভ
সংক্ষিপ্ত কবিতা ৷র কিছু লাইন বলে আমাকে উপদেশ দিন ৷ তখন তিনি বললেন :

;প্রুটুগু;ৰুা

“এক পলক ও এ নিঃশ্বাসের জন্যও তুমি মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে না ৷ পর্দাআবরণও
পাহারাদাব দিয়ে তুমি সুরক্ষার ব্যবস্থা করে থাকলেও ৷ জেনে রাখবে মৃত্যুর তীর হতে আত্মরক্ষায়
বর্ম পরিধানকা ৷রী ও ঢ ৷ল ব্যবহারকারী যে কোন ব্যক্তিকে তা আঘাত করেই৷ ছ৷ ড়বে ৷৩ তুমি মুক্তির
আশা করছ অথচ তার উপযোগী পথ ধরে চলছ না ৷ শুক্নো জায়গায় নৌকা চলতে পারে না”

বর্ণনা কারী বলেন, কবিতা শুনে হা রুনুর রশীদ অচেতন হয়ে পড়ে গেলেন ৷

একবার হারুনুর রশীদ আবুল আতা ৷হিয়্যাকে কারারুদ্ধ করেছিলেন ৷ জেলখা নায় সে কি বলে

তা পৌছাবার জন্য খলীফা লোক লাগিয়ে রেখেছিলেন ৷ এ সময় আবুল আ৩ ৷হিয়্যা একদিন

জেলখানার দেয়ালে লিখালন :

,ণ্এদুঠু!


“শোন ! আল্লাহর কসম যুলুম অবশ্যই দৃর্ভাগ্য ৷ মন্দ লোকের ই বড় যুলুমবাজ হয়ে

থাকে ৷ বিচার দিনের বিচারপতি সকাশে তোমাকে যেতেই হবে ৷ আল্লাহর কাছেই সমবেত হবে
বাদী ও বিবাদী ৷

বর্ণনাকা বী বলেন, খলীফা তখন তাকে ডেকে আনলেন ও অভিযোগ মুক্ত করে ছেড়ে দিলেন
এবং এক হাজার দীনার তাকে হিব৷ করলেন ৷

হাসান ইবন আবুল ফ ৷হ্ম বলেন, মুহাম্মদ ইবন আব্বাদ সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) হতে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, আমি হারুনুর বশীদের কাছে প্রবেশ করলে তিনি বললেন,
“আপনার খবরা খবর কি ? আমি বললাম,



&)ছান্
আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড )-৪৮


لَتٌّ مِنْ حَدِيدٍ يَلْعَبُ بِهِ، وَهُوَ جَالِسٌ عَلَى كُرْسِيٍّ، فَقَالَ: مِمَّنِ الرَّجُلُ؟ فَقُلْتُ: رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. فَقَالَ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ، مِمَّنْ أَنْتَ؟ فَقُلْتُ: مِنَ الْأَبْنَاءِ. فَقَالَ: مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ دَعَوْتَنِي بِاسْمِي؟ قَالَ: فَخَطَرَ بِبَالِي شَيْءٌ لَمْ يَخْطُرْ بِبَالِي قَبْلَ ذَلِكَ، فَقُلْتُ: أَنَا أَدْعُو اللَّهَ بِاسْمِهِ، يَا اللَّهُ، يَا رَحْمَنُ أَفَلَا أَدْعُوكَ بِاسْمِكَ؟ ! وَهَذَا اللَّهُ سُبْحَانَهُ قَدْ دَعَا أَحَبَّ خَلْقِهِ إِلَيْهِ بِاسْمِهِ: مُحَمَّدًا، وَكَنَّى أَبْغَضَ الْخَلْقِ إِلَيْهِ، فَقَالَ {تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ} [المسد: 1] فَقَالَ الرَّشِيدُ: أَخْرِجُوهُ أَخْرِجُوهُ. وَقَالَ لَهُ ابْنُ السِّمَاكِ يَوْمًا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ تَمُوتُ وَحْدَكَ، وَتُقْبَرُ وَحْدَكَ، فَاحْذَرِ الْمُقَامَ بَيْنَ يَدَيِ الْجَبَّارِ، وَالْوُقُوفَ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، حِينَ يُؤْخَذُ بِالْكَظَمِ، وَتَزِلُّ الْقَدَمُ، وَيَقَعُ النَّدَمُ، فَلَا تَوْبَةَ تُنَالُ، وَلَا عَثْرَةَ تُقَالُ، وَلَا يُقْبَلُ فِدَاءٌ بِمَالٍ. فَجَعَلَ الرَّشِيدُ يَبْكِي حَتَّى عَلَا صَوْتُهُ، فَقَالَ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ لَهُ: يَا ابْنَ السِّمَاكِ لَقَدْ شَقَقْتَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ اللَّيْلَةَ. فَقَامَ فَخَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ، وَهُوَ يَبْكِي.
পৃষ্ঠা - ৮৩৩০
وَقَالَ لَهُ الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ فِي جُمْلَةِ مَوْعِظَتِهِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ بِمَكَّةَ: يَا صَبِيحَ الْوَجْهِ، إِنَّكَ مَسْئُولٌ عَنْ هَؤُلَاءِ كُلِّهِمْ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْأَسْبَابُ} [البقرة: 166] قَالَ: حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ مُجَاهِدٍ: الْوُصَلَاتُ الَّتِي كَانَتْ بَيْنَهُمْ فِي الدُّنْيَا. فَبَكَى حَتَّى جَعَلَ يَشْهَقُ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: اسْتَدْعَانِي الرَّشِيدُ يَوْمًا، وَقَدْ زَخْرَفَ مَنَازِلَهُ، وَأَكْثَرَ الطَّعَامَ، وَالشَّرَابَ، وَاللَّذَّاتِ فِيهَا، ثُمَّ اسْتَدْعَى أَبَا الْعَتَاهِيَةِ، فَقَالَ لَهُ: صِفْ لَنَا مَا نَحْنُ فِيهِ مِنَ الْعَيْشِ، وَالنَّعِيمِ، فَأَنْشَأَ يَقُولُ: عِشْ مَا بَدَا لَكَ سَالِمًا ... فِي ظِلِّ شَاهِقَةِ الْقُصُورِ يَسْعَى عَلَيْكَ بِمَا اشْتَهَيْ ... تَ لَدَى الرَّوَاحِ وَفِي الْبُكُورِ فَإِذَا النُّفُوسُ تَقَعْقَعَتْ ... عَنْ ضِيقِ حَشْرَجَةِ الصُّدُورِ فَهُنَاكَ تَعْلَمُ مُوقِنًا ... مَا كُنْتَ إِلَّا فِي غُرُورِ قَالَ: فَبَكَى الرَّشِيدُ بُكَاءً شَدِيدًا. فَقَالَ الْفَضْلُ بْنُ يَحْيَى: دَعَاكَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ لِتَسُرَّهُ فَأَحْزَنْتَهُ؟ فَقَالَ لَهُ الرَّشِيدُ: دَعْهُ؛ فَإِنَّهُ رَآنَا فِي عَمًى فَكَرِهَ أَنْ يَزِيدَنَا عَمًى. وَمِنْ وَجْهٍ آخَرَ أَنَّ الرَّشِيدَ قَالَ لِأَبِي الْعَتَاهِيَةِ: عِظْنِي بِأَبْيَاتٍ مِنَ الشِّعْرِ
পৃষ্ঠা - ৮৩৩১


“ঘরওলো যা গোপন করে রাখে তা-ও আল্লাহ্র দৃষ্টিতে রয়েছে ; ধৈর্যধারণ ও নিরবতা
অবলম্বন দীর্ঘমেয়াদী হয়েছে ৷”

তখন হারুনুর রশীদ বললেন, হে অমুক ৷ ইবন উয়ায়না ৷র জন্য এক লাখ, যা তাকে ও
তার উত্তরসুরীদের প্রয়োজন মিটিয়ে দিবে ৷ অথচ রশীদের মোটেই লে ৷কসান করবে না ৷

আসমাঈ বলেন, আমি হক্কজ্জর সফরে হারুনুর রশীদের সংগে ছিলাম ৷ আমরা একটি
উপত্যা ৷কায় পথ চলছিলাম, দেখলাম তার পাড়ে এক সুন্দরী নারী বসে আছে ৷ তার সামনে রয়েছে
একটি পের লা এবং সে এই কবিতা আবৃত্তি করে করে সাহায্য প্রার্থনা করছে-

াপুন্া৷
রুদ্বুাব্লুট্রু ;দু

“দুর্ডিংক্ষর নিম্পেষণ আমাদের নিম্পেষিত করে দিয়েছে এবং কালের চক্র আমাদের ছুড়ে
ফেলে দিয়েছে ৷৩ তাই আমরা৫ আমাদের কাছে এসেছি এবং তোমাদের খাদ্য ও পাথেয় হাতে
পাওয়ার আশায় হাত পেতেছি ৷ সুতরাং তোমরা আমাদের কাছে প্রতিদা ৷ন ও বিনিময় অন্বেষণ কর;
হে বায়তুল হারামের যিয়ারাতে আগত যাত্রীরা ৷ যে আমাকে দেখল সে আমাকে ও আমার
বাহনকে দেখল, তোমরা আমার দারিদ্র এবং আমার অবস্থানের হীনতার প্রতি দয়া কর ৷

আসমাঈ বলেন, আমি হারুন রশীদের কাছে গিয়ে সে নারীর কথা অবহিত করলে তিনি নিজে
তার কাছে এলেন এবং তার বক্তব্য শুনে তার প্রতি দয়াদৃ হলেন ও কেদে ফেললেন ৷ পরে খ৷ দিম
মাসরুরকে তার পেয়ালাটি স্বর্ণ দিয়ে ভরে দেয়ার জন্য আদেশ দিলেন ৷ যে তা পুর্ণ করে দিল ৷
এমনকি তা থেকে ডানে-বামে গড়িয়ে পড়তে লাগল ৷
একবার হারুনুর রশীদ হক্কজ্জর পথে এক পল্লীবাসী বেদুঈন উট চালাবার হুদী সংগীত গাইতে
শুনলেন :
ণ্র্দু১ ৷

! শ্ ৷ § শ্ ৷ ; শ্

“হে চিন্তার বাহক চিন্তাগ্রস্ত হয়াে না ; তুমি অতিবাহিত করছ আর তাপদাহ তোমার জন্য
উত্তপ্ত হচ্ছে ৷ যে কী রুপে তোমাকে মন্ত্র করবে ; অথচ বিধির লিখন শুকিয়ে গেছে ; আর
তোমার সুস্বান্থা ও ব্যাধি নেমে গিয়েছে ৷
তখন হারুনুর রশীদ তার কোন খাদিমকে বললেন, তোমার সংগে কী আছে ? সে বলল,
চারশ দীনার ৷ খলীফা বললেন, সেগুলো এ বেদুঈনকে দিয়ে দাও ! সে দীনারগুলাে হাতে নেয়ার
পর তার সংগীরা৩ ৷ ৷র কাধে হাত দিয়ে আঘাত করল এবং কবিতা আবৃত্তি করে বলল,




وَأَوْجِزْ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: لَا تَأْمَنِ الْمَوْتَ فِي طَرَفٍ وَلَا نَفَسٍ ... وَلَوْ تَمَنَّعْتَ بِالْحُجَّابِ وَالْحَرَسِ وَاعْلَمْ بِأَنَّ سِهَامَ الْمَوْتِ قَاصِدَةٌ ... لِكُلِّ مُدَّرِعٍ مِنْهَا وَمُتَّرِسِ تَرْجُو النَّجَاةَ وَلَمْ تَسْلُكْ مَسَالِكَهَا ... إِنَّ السَّفِينَةَ لَا تَجْرِي عَلَى الْيَبَسِ قَالَ: فَخَرَّ الرَّشِيدُ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ. وَقَدْ حَبَسَ الرَّشِيدُ مَرَّةً أَبَا الْعَتَاهِيَةِ، وَأَرْصَدَ عَلَيْهِ مَنْ يَأْتِيهِ بِمَا يَقُولُ، فَكَتَبَ مَرَّةً عَلَى جِدَارِ الْحَبْسِ: أَمَا وَاللَّهِ إِنَّ الظُّلْمَ لُومٌ ... وَمَا زَالَ الْمُسِيءُ هُوَ الظَّلُومُ إِلَى دَيَّانِ يَوْمِ الدِّينِ نَمْضِي ... وَعِنْدَ اللَّهِ تَجْتَمِعُ الْخُصُومُ قَالَ: فَاسْتَدْعَاهُ وَاسْتَجْعَلَهُ فِي حِلٍّ، وَوَهَبَهُ أَلْفَ دِينَارٍ، وَأَطْلَقَهُ. وَقَالَ الْحُسَيْنُ بْنُ الْفَهْمِ: ثِنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى الرَّشِيدِ فَقَالَ: مَا خَبَرُكَ؟ فَقُلْتُ: بِعَيْنِ اللَّهِ مَا تَخْفَى الْبُيُوتُ ... فَقَدْ طَالَ التَّحَمُّلُ وَالسُّكُوتُ فَقَالَ: يَا فُلَانُ، مِائَةُ أَلْفٍ لِابْنِ عُيَيْنَةَ تُغْنِيهِ، وَتُغْنِي عَقِبَهُ، وَلَا تَضُرُّ الرَّشِيدَ شَيْئًا.
পৃষ্ঠা - ৮৩৩২


“আমি তে! ছিলাম কাকা ইবন আমৃরের পাশে উপবেশনকারী ; কাকা-এর পাশে বসা
ব্যক্তি দৃর্ভাগা হয় না ৷”

তখন হারুনুর রশীদ কোন খাদিমকে আদেশ করলেন, তার কাছে বিদ্যমান স্বর্ণ এ কবিতা
আবৃত্তিকারীকে দেয়ার জন্য ৷ দেখা গেল যে, তার কাছে আছে দৃইশ দীনার ৷

আবুউবায়দ বলেছেন, এ কবিতাটি একটি প্রবাদ বাক্য এবং এর মুল ঘটনা এই যে, মুআবিয়া
ইবন আবু সুফিয়ান (রা) (ক কিছু স্বর্ণের পেয়! ল! হাদিয়া দেয়া হলেও তিনি তা তার সভাসদদের
মধ্যে বণ্টন করে দিলেন ৷ তখন তার পাশে বসা ছিলেন কা কা ইবন আমৃর এবং কা বা এর
পাশে ছিল জনৈক বেদুঈন ৷ য!র জন্য কে! ন পেয়৷ লা অবশিষ্ট ছিল ন! ৷ বেদৃঈন লজ্জায় মাথা মত
করে বসে রইল ৷ তখন কা কা তা ভাগের পেয়ালাটি তাকে দিয়ে দিলেন ৷ তখন বেদুঈনটি উঠে
দাড়াল এবং এ বলতে লাগল

একদিন হারুনুর রশীদ মহিয়ষী যুবায়দার কাছ থেকে বেরিয়ে এলেন, তখন তিনি হাসছিলেন ৷
কেউ বলল, আমীরুল মু’মিনীনের হাসির কারণ ? তিনি বললেন, আজ আমি এ নারীর অর্থাৎ
যুবায়দার নিকট প্রবেশ করলাম এবং তার কাছে বিশ্রাম করলাম ও ঘুমিয়ে পড়লাম ৷ পরে স্বর্ণ
ঢেলে রাখার আওয়াজ আমার ঘুম ভেৎগে দিলে লোকের! বলল, এই তিনলাখ দীনার মিসর হতে
এসেছে ৷ তখন যুবায়দা বলল, এগুলাে আমাকে স্থির! করে দিন !’ (হে চ!চাত তাই !) আমি
বললাম, ঠিক আছে, তা তােমাবই ! পরে আমি তার কাছ হতে বেরিয়ে আসার আগেই সে মুখ
ভেৎচিয়ে (কৃত্রিম ক্ষোভ দেখিয়ে) বলল, “তোমার কাছে কী সদাচরণ পেলাম এ জীবনে ?

একদিন হারুনুর রশীদ মুফ!ঘৃয়ল আয্যাবীকে বললেন, নেকড়ে সম্পর্কে সর্বাধিক সুন্দর
কবিতা কি আছে বল ৷ তা হলে তুমি এ আৎটি পাবে ৷ যা এক হাজার ছয়শ দীনারে কেনা
হয়েছে ৷ ’ তখন ফাযল কবির এ পংক্তি আবৃত্তি করলেন-

’ণ্া;’,
“সে তার এক পুতলী (চোখ) দ্বারা ঘুমায় এবং অপরটি দ্বারা সকল হতে আত্মরক্ষ! করে ৷
সুতরাং (বলা যায় যে,) যে একই সংগে জাগ্নত ও নিদ্রিত ৷”
হারুনুর রশীদ বললেন, তুমি আমার কাছ হতে আ ৷ত্টিটি ছিনিয়ে নেয়ার জন্যই এমন করে
বললে ৷ পরে আৎটিটি৩ার ৷দিকে ছুড়ে দিলেন ৷ পরে যুবায়দা৩ তার কাছে লোক প!ঠ!লেন এবং
এক হাজার ছয়শ দীন৷ ৷র দিয়ে আৎটিটি মুফ৷ য্য়লের নিকট হতে ৩কিনে আ নলেন এবং এ কথা বলে
তা রশীদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন যে, আমি লক্ষ্য করেছি যে, এটি আপনার যোগ পসন্দনীয় ৷

হারুনুর রশীদ দীন৷ ৷রসহ্ সেটি পুনরায় মুফায্যলের কাছে পাঠিয়ে দিলেন এবং বললেন, “আমরা
কো ন কিছু স্থির! করে তা পুনরায় ফিরিয়ে নেই না ৷”

হারুনুর রশীদ একদিন আব্বাস ইবন আহ্মাদকে বললেন, আরবীদের সৰ্বাধিক প্রেম রসাত্মক
ও ল! ৷৩লি ব্রপুর্ণ কবিতা কো ৷নটি ? আব্বাস বললেন, বুছায়ন৷ সম্পর্কে জামীলের উক্তি —

শ্ ’ ’ ষ্ শ্ন্’ ৷ ’ : ’ ’

জু;ৰুশ্হু১ বুদৃ


وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: كُنْتُ مَعَ الرَّشِيدِ فِي الْحَجِّ، فَمَرَرْنَا بِوَادٍ، فَإِذَا عَلَى شَفِيرِهِ امْرَأَةٌ صَبِيَّةٌ حَسْنَاءُ بَيْنَ يَدَيْهَا قَصْعَةٌ، وَهِيَ تَسْأَلُ فِيهَا، وَتَقُولُ: طَحْطَحَتْنَا طَحَاطِحُ الْأَعْوَامِ ... وَرَمَتْنَا حَوَادِثُ الْأَيَّامِ فَأَتَيْنَاكُمْ نَمُدُّ أَكُفًّا ... لِفَضَالَاتِ زَادِكُمْ، وَالطَّعَامِ فَاطْلُبُوا الْأَجْرَ، وَالْمَثُوبَةَ فِينَا ... أَيُّهَا الزَّائِرُونَ بَيْتَ الْحَرَامِ مَنْ رَآنِي فَقَدْ رَآنِي، وَرَحْلِي ... فَارْحَمُوا غُرْبَتِي، وَذُلَّ مَقَامِي قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: فَذَهَبْتُ إِلَى الرَّشِيدِ فَأَخْبَرْتُهُ بِأَمْرِهَا، فَجَاءَ بِنَفْسِهِ حَتَّى وَقَفَ عَلَيْهَا، فَسَمِعَهَا فَرَحِمَهَا وَبَكَى، وَأَمَرَ مَسْرُورًا الْخَادِمَ أَنْ يَمْلَأَ قَصْعَتَهَا ذَهَبًا، فَمَلَأَهَا حَتَّى جَعَلَتْ تَفِيضُ يَمِينًا، وَشِمَالًا. وَسَمِعَ مَرَّةً الرَّشِيدُ أَعْرَابِيًّا يَحْدُو إِبِلَهُ فِي طَرِيقِ الْحَجِّ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا أَيُّهَا الْمُجْمِعُ هَمًّا لَا تُهَمْ ... إِنَّكَ إِنْ تُقْضَى لَكَ الْحُمَّى تُحَمْ كَيْفَ تَوَقِّيكَ وَقَدْ جَفَّ الْقَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৮৩৩৩
وَحَطَّتِ الصِّحَّةُ مِنْكَ وَالسَّقَمْ فَقَالَ الرَّشِيدُ لِبَعْضِ الْخَدَمِ: مَا مَعَكَ؟ قَالَ: أَرْبَعُمِائَةِ دِينَارٍ. فَقَالَ: ادْفَعْهَا إِلَى هَذَا الْأَعْرَابِيِّ. فَلَمَّا قَبَضَهَا ضَرَبَ رَفِيقُهُ بِيَدِهِ عَلَى كَتِفِهِ، وَقَالَ مُتَمَثِّلًا: وَكُنْتُ جَلِيسَ قَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو ... وَلَا يَشْقَى بِقَعْقَاعٍ جَلِيسُ فَأَمَرَ الرَّشِيدُ بَعْضَ الْخَدَمِ أَنْ يُعْطِيَ الْمُتَمَثِّلَ مَا مَعَهُ مِنَ الذَّهَبِ، فَإِذَا مَعَهُ مِائَتَا دِينَارٍ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: أَصْلُ هَذَا الْمَثَلِ أَنَّ مُعَاوِيَةَ أُهْدِيَتْ لَهُ هَدِيَّةٌ؛ جَامَاتٌ مِنْ ذَهَبٍ، فَفَرَّقَهَا عَلَى جُلَسَائِهِ، وَإِلَى جَانِبِهِ قَعْقَاعُ بْنُ عَمْرٍو، وَإِلَى جَانِبِ الْقَعْقَاعِ أَعْرَابِيٌّ لَمْ يَفْضُلْ لَهُ مِنْهَا شَيْءٌ، فَأَطْرَقَ الْأَعْرَابِيُّ حَيَاءً، فَدَفَعَ إِلَيْهِ الْقَعْقَاعُ الْجَامَ الَّذِي حَصَلَ لَهُ، فَنَهَضَ الْأَعْرَابِيُّ، وَهُوَ يَقُولُ: وَكُنْتُ جَلِيسَ قَعْقَاعِ بْنِ عَمْرٍو ... وَلَا يَشْقَى بِقَعْقَاعٍ جَلِيسُ وَخَرَجَ الرَّشِيدُ يَوْمًا مِنْ عِنْدِ زُبَيْدَةَ، وَهُوَ يَضْحَكُ فَقِيلَ لَهُ: مِمَّ تَضْحَكُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: دَخَلَتْ إِلَيَّ هَذِهِ الْمَرْأَةُ - يَعْنِي زَوْجَتَهُ زُبَيْدَةَ - فَأَكَلْتُ عِنْدَهَا، وَنِمْتُ، فَمَا اسْتَيْقَظْتُ إِلَّا بِصَوْتِ ذَهَبٍ يُصَبُّ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟
পৃষ্ঠা - ৮৩৩৪


“হায় আমি যদি (প্রেমের) অন্ধ ও (দৃর্নামে) বধির হতাম, বুছায়না আমাকে নিয়ে চলত এবং
তার কথা আমার কাছে গোপননা হত ৷”

রশীদ আব্বাসকে বললেন, এ ধরনের প্রসংগে তোমার কবিতা আরও লালিতাপুর্ণ ৷ তা এই
প্রেম আল্লাহ্র সকল বান্দার কাছেই চক্কর দিল ; শেষে যখন তাদের মধ্য হতে আমার কাছে
এল তখন (চক্কর দেয়া বন্ধ করে) থেমে গেল ৷ ’

তখন আব্বাস খলীফড়াকে বললেন, আমীরুল মু’মিনীন ! তা হলে আপনার বক্তব্য এ সবের
চেয়ে সুক্ষ্ম রসাত্মকষ্

শ্ ৷ষ্শ্শ্ ন্ শ্শ্শ্ ৷ ষ্শ্ ন্শ্ : :; ,—


ষ্ শ্ ণ্ ব্লুষ্


“তোমার জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, তুমি আমার মালিকানা অর্জন করেছ ৷ আর সকল মানুষই
আমার গোলাম ৷ আর তুমি আমার হাতপা কেটে ফেললেও প্রেমাতিশয্যে আমি বলব, উত্তম
করেছ, আরো কর ৷”

বর্ণনাকারী বলেন, হারুনুর্বৃরশীদ এত আনন্দিত হলেন এবং হেসে দিলেন ৷

হারুনুর রশীদের তিন স্তর বিশিষ্ট প্রেয়সী দাসী প্রসংগে তার কবিতায় রয়েছে

ৰুাশ্৷ এ ৷টু৷ র্চুন্
“তিন উদ্ভিন্নড়া আমার লাগামের’ মালিকানা দখল করেছে এবং আমার হৃদয়ের সর্বত্র
অনুপ্রবেশ করেছে ৷ এ কী ব্যাপার জগত তো আমার আনুগত্য করে আর আমি আনুগত্য করি
তাদের অথচ তারা লিপ্ত আমার অবাধ্যতায় ৷ ব্যাপার এ ছাড়া আর কিছু নয় যে, প্রেমের রাজ্যছু
কর্তৃতু যার বলে তারা বলীয়ান আমার রাজত্বের চেয়ে অনেক প্রবল ৷”

এবং আল-ইকদের প্রন্থকার তার কিভাবে যে কবিতা উল্লেখ করেছেন —
“বাইরে দেখায় প্রত্যাথ্যান ৷ অন্তরে লুকিয়ে রাখে প্রেম সে প্রেমিকা মনে মনে রাষী, চোখে
(কৃত্রিম) ক্রোধের প্রকাশ ৷”

ইবন জারীর প্রমুখ বর্ণনা করেছেন, হারুনুর রশীদের ভরণে দাসী-সেবাদাসী, খাস বীদী এবং
তাদের খাদিমা এবং তার শ্রী ও বোনদের খাদিমা মিলিয়ে চার হাজার বীদী ছিল ৷ একদিন এদের
সকলেই তার সামনে উপস্থিত হল এবং তাদের মধ্যের পায়িকড়ারা তাকে গান গেয়ে গােনান ৷
এতে তিনি অত্যন্ত মাতােয়ারা হয়ে তাদের মাঝে ড্রো ছিটিয়ে দেয়ার আদেশ দিলেন ৷ এতে যে


قَالُوا: هَذِهِ ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ قَدِمَتْ مِنْ مِصْرَ. فَقَالَتْ: هَبْهَا لِي يَابْنَ عَمِّ. فَقُلْتُ: هِيَ لَكِ. ثُمَّ مَا خَرَجْتُ حَتَّى عَرْبَدَتْ عَلَيَّ، وَقَالَتْ: أَيُّ خَيْرٍ رَأَيْتُ مِنْكَ؟ وَقَالَ الرَّشِيدُ مَرَّةً لِلْمُفَضَّلِ الضَّبِّيِّ: مَا أَحْسَنُ مَا قِيلَ فِي الذِّئْبِ، وَلَكَ هَذَا الْخَاتَمُ، وَشِرَاؤُهُ أَلْفٌ وَسِتُّمِائَةِ دِينَارٍ؟ فَأَنْشَدَ قَوْلَ الشَّاعِرِ: يَنَامُ بِإِحْدَى مُقْلَتَيْهِ وَيَتَّقِي ... بِأُخْرَى الرَّزَايَا فَهُو يَقْظَانُ هَاجِعُ فَقَالَ: مَا قُلْتَ هَذَا إِلَّا لِتَسْلُبَنَا الْخَاتَمَ. ثُمَّ أَلْقَاهُ إِلَيْهِ، فَبَعَثَتْ زُبَيْدَةُ فَاشْتَرَتْهُ مِنْهُ بِأَلْفٍ وَسِتِّمِائَةِ دِينَارٍ، وَبَعَثَتْ بِهِ إِلَى الرَّشِيدِ، وَقَالَتْ: إِنِّي رَأَيْتُكَ مُعْجَبًا بِهِ. فَرَدَّهُ إِلَى الْمُفَضَّلِ، وَالدَّنَانِيرَ، وَقَالَ: مَا كُنَّا لِنَهَبَ شَيْئًا، وَنَرْجِعَ فِيهِ. وَقَالَ الرَّشِيدُ يَوْمًا لِلْعَبَّاسِ بْنِ الْأَحْنَفِ: أَيُّ بَيْتٍ قَالَتْهُ الْعَرَبُ أَرَقُّ؟ فَقَالَ: قَوْلُ جَمِيلٍ فِي بُثَيْنَةَ: أَلَا لَيْتَنِي أَعْمَى أَصَمُّ تَقُودُنِي ... بُثَيْنَةُ لَا يَخْفَى عَلَيَّ كَلَامُهُا فَقَالَ لَهُ الرَّشِيدُ: فَقَوْلُكَ أَرَقُّ مِنْ هَذَا حَيْثُ قُلْتَ: طَافَ الْهَوَى فِي عِبَادِ اللَّهِ كُلِّهِمْ ... حَتَّى إِذَا مَرَّ بِي مِنْ بَيْنِهِمْ وَقَفَا فَقَالَ الْعَبَّاسُ: فَقَوْلُكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَرَقُّ مِنْ هَذَا كُلِّهِ: أَمَا يَكْفِيكِ أَنَّكِ تَمْلِكِينِي ... وَأَنَّ النَّاسَ كُلَّهُمْ عَبِيدِي
পৃষ্ঠা - ৮৩৩৫

দিন প্রত্যেকের প্রাপ্ত সম্পদের পরিমাণ ছিল তিন হাজার দিরহাম ৷ ইবন আসাকিরও এটি বর্ণনা
করেছেন ৷ ,

একটি বর্ণনায় আছে,৩ তিনি মদীনা হতে একটি বাদী খরিদ করেছিলেন ৷ সে তাকে প্রচওরুপে
মােহাবিষ্ট করে ফেলেছিল ৷ একদিন তিনি তার সাবেক ম! ৷লিকদের ও তাদের সংশ্লিষ্ট আশ্রিতদের
প্রয়োজন মিটিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে তাদের উপস্থিত করার আদেশ দিলেন ৷ খনত তারা আশিজন
লোক উপস্থিত করল ৷ খলীফা তার প্রধানমত্রীকে অর্থাৎ ফাযল ইবনুর রাবী কে তাদের সংগে
সাক্ষাত করে তাদের প্রয়োজনগুলাে লিখে নেয়ার আদেশ দিলেন ৷ তাদের মধ্যে একজন লোক
এমন ছিল যে, যে ঐ বাদীর প্রেমে পড়ার কারণে মদীনায় অবস্থান গ্রহণ করেছিল ৷ ৰ্বাদী তার কাছে
লোক পাঠালে তাকেও নিয়ে আসা হল ৷ ফাযল তাকে বললেন, তোমার প্রয়োজন বল ৷ সে বলল,
আমার বাসনা এই যে, আমীরুল মু’মিনীন আমাকে অমুক (বাদীয়) পাশে বসাবেন, আমি তিন
রিত্ল (প্রায় পাউন্ড) সুরা পান করব আর সে আমাকে তিনটি পান ণ্শানাবে ৷ ফাযল বললেন, তু
কি উন্মাদ ? সে বলল, “না ৷ তবে আমি (অনুমতি পেলে) আমার এ বাসনা সরাসরি আমীরুল
ঘু’মিনীনের কাছে নিবেদন করতে পারি ৷” তখন খলীফার কাছে বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তিনি
প্রেমিককে উপস্থিত করে বাদীকে তার পাশে এমনভাবে বসাবার আদেশ দিলেন যাতে তিনি
(খলীফা) তাদের দেখতে পান এবং তারা তাকে দেখতে না পায় ৷ তখন বাদীকে একটি চেয়ারে
বসান হল ৷ খাদিমর৷ তার সামনে ছিল এবং প্রেমিক পুরুষকে উপস্থিত করে একটি চেয়ারে
বসানো হল ৷ সে এক রিত্ল (সুরা) পা ন করে বাদীকে বললো, আমাকে এ গান গেয়ে শুনাও-


াট্রু,৷ ৰুাগ্লুওট্রু
আমার বন্ধুদ্বয় থাম ৷ আল্লাহ্ তোমাদের বরকতময় করুন ৷ যদিও হিন্দ (প্রেয়সী) স্বেচ্ছায়
তোমাদের দেশে অবস্থান করেনি ৷ তাকে বলবে পথের ভ্রান্তি আমাদের অতিক্রান্ত করায়নি, বরং
আমরা ইচ্ছাকৃতরুপে তোমাদের সংগে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে অতিক্রম করেছি ৷ আগামী কাল
আমাদের ও তোমাদের মধ্য হতে প্রন্থানকারী অনেক হবে এবং তোমাদের নিবাসের সংগে আমার
নিবাসের দুরত্ব বাড়তে থাকবে ৷’
বর্ণনাকারী বলেন, তখন বীদী তাকে গান গেয়ে শোনাল এবং খাদিমরা তাকে উদ্বুদ্ধ করলে
সে আর এক রিতল পান করে বাদীকে বলল, আমাকে তোমার জন্য উৎসগীতি করা হোক-
আমাকে এ গানটি ণ্শানাও

,, , , , ( , , ,

মোঃ,
“জনসমক্ষে আমাদের (ঢেহারার) চোখগুলে৷ কথা বলে, আমরা (আমাদের মুখওলাে)
নীরবত৷ পালন করে ৷ আর প্রেমাসক্তি কথা বলে ৷ কখনো আমরা র৷ ৷গ করি এবং আমার চোখে
থাকে সন্তুষ্টির ঝিলিক ; তা আমাদের অভ্যন্তরে থাকে, অন্যরা ত! জানে না” ৷


وَأَنَّكِ لَوْ قَطَعْتِ يَدِي، وَرِجْلِي لَقُلْتُ مِنَ الْهَوَى أَحْسَنْتِ زِيدِي قَالَ: فَضَحِكَ الرَّشِيدُ، وَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ. وَمِنْ شَعْرِ الرَّشِيدِ فِي ثَلَاثِ حَظِيَّاتٍ كُنَّ عِنْدَهُ مِنَ الْخَوَاصِّ: مَلَكَ الثَّلَاثُ الْآنِسَاتُ عِنَانِي ... وَحَلَلْنَ مِنْ قَلْبِي بِكُلِّ مَكَانِ مَا لِي تُطَاوِعُنِي الْبَرِيَّةُ كُلُّهَا ... وَأُطِيعُهُنَّ، وَهُنَّ فِي عِصْيَانِي مَا ذَاكَ إِلَّا أَنَّ سُلْطَانَ الْهَوَى ... وَبِهِ قَوَيْنَ أَعَزُّ مِنْ سُلْطَانِي وَمِنْ شَعْرِهِ فِيمَا أَوْرَدَهُ صَاحِبُ الْعِقْدِ فِي كِتَابِهِ: تُبْدِي صُدُودًا وَتُخْفِي تَحْتَهُ مِقَّةً ... فَالنَّفْسُ رَاضِيَةٌ وَالطَّرْفُ غَضْبَانُ يَا مَنْ بَذَلْتُ لَهُ خَدِّي فَزَلَّلَهُ ... وَلَيْسَ فَوْقِي سِوَى الرَّحْمَنِ سُلْطَانُ وَذَكَرَ أَبُو هِفَّانَ أَنَّهُ كَانَ فِي دَارِ الرَّشِيدِ مِنَ الْجَوَارِي، وَالْحَظَايَا، وَخَدَمِهِنَّ، وَخَدَمِ زَوْجَتِهِ، وَأَخَوَاتِهِ أَرْبَعَةُ آلَافِ جَارِيَةٍ، وَأَنَّهُنَّ حَضَرْنَ كُلُّهُنَّ يَوْمًا بَيْنَ يَدَيْهِ، وَغَنَّتْهُ الْمُطْرِبَاتُ فَطَرِبَ جِدًّا، وَأَمَرَ بِمَالٍ فَنُثِرَ عَلَيْهِنَّ، فَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৮৩৩৬
مَبْلَغُهُ سِتَّةَ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ. وَرَوَى أَنَّهُ اشْتَرَى جَارِيَةً مِنَ الْمَدِينَةِ فَأُعْجِبَ بِهَا جِدًّا، فَأَمَرَ بِإِحْضَارِ مَوَالِيهَا، وَمَنْ يَلُوذُ بِهِمْ لِيَقْضِيَ حَوَائِجَهُمْ، فَقَدِمُوا فِي ثَمَانِينَ نَفْسًا، فَأَمَرَ الْحَاجِبَ الْفَضْلَ بْنَ الرَّبِيعِ أَنْ يَتَلَقَّاهُمْ، وَيَكْتُبَ حَوَائِجَهُمْ، فَكَانَ فِيهِمْ رَجُلٌ أَعْرَابِيٌّ قَدْ أَقَامَ بِالْمَدِينَةِ، وَهُوَ يَهْوَى تِلْكَ الْجَارِيَةَ، فَقَالَ لَهُ الْحَاجِبُ: مَا حَاجَتُكَ؟ قَالَ: حَاجَتِي أَنْ يُجْلِسَنِي أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ مَعَ فُلَانَةٍ فَأَشْرَبَ ثَلَاثَةَ أَرْطَالٍ مِنْ شَرَابٍ، فَتُغَنِّينِي ثَلَاثَةَ أَصْوَاتٍ. فَقَالَ: أَمَجْنُونٌ أَنْتَ؟ فَقَالَ: لَا، وَلَكِنِ اعْرِضْ ذَلِكَ عَلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى الْخَلِيفَةِ، ذَكَرَ لَهُ مَا قَالَ ذَلِكَ الرَّجُلُ، فَأَمَرَ بِإِحْضَارِهِ، وَأَنْ تَجْلِسَ مَعَهُ الْجَارِيَةُ بِحَيْثُ يَنْظُرُ إِلَيْهِمَا، فَجَلَسَتْ عَلَى كُرْسِيٍّ، وَالْخُدَّامُ بَيْنَ يَدَيْهَا وَجَلَسَ الرَّجُلُ عَلَى كُرْسِيٍّ، فَشَرِبَ رِطْلًا، وَقَالَ لَهَا: غَنِّينِي: خَلِيلَيَّ عُوجَا بَارَكَ اللَّهُ فِيكُمَا ... وَإِنْ لَمْ تَكُنْ هِنْدُ بِأَرْضِكُمَا قَصْدَا وَقُولَا لَهَا لَيْسَ الضَّلَالُ أَجَازَنَا ... وَلَكِنَّنَا جُزْنَا لِنَلْقَاكُمْ عَمْدَا غَدًا يَكْثُرُ الْبَاكُونَ مِنَّا، وَمِنْكُمُ ... وَتَزْدَادُ دَارِي مِنْ دِيَارِكُمْ بُعْدَا فَغَنَّتْهُ ثُمَّ اسْتَعْجَلَهُ الْخَادِمُ فَشَرِبَ رِطْلًا آخَرَ، وَقَالَ: غَنِّينِي، جُعِلْتُ فِدَاكِ:
পৃষ্ঠা - ৮৩৩৭


ফি

৩৮২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

বর্ণনাকারী বলেন, র্বাদী তাকে গেয়ে ণ্শানাল এবং সে তৃতীয় রিত্ল পান করে বলল, আল্লাহ
আমাকে চতামার জন্য উৎসর্গীত করুন ৷ এ গানটি আমাকে শোনাও-

“উত্তমই ছিল আমাদের (মিলন ও) বিচ্ছেদ; কাল আমাদের সংগে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে,
আমরা বিশ্বাস ভ ৎগ করিনি ৷ হয়ে যদি সে যুগ আমাদের জন্য তেমন একটি দিন ফিরিয়ে দিত
যেমন আমরা এক সময় ছিলাম ৷”
বর্ণনা কারী বলেন, পরে সে তরুণ সেখানকার একটি সিড়ির উপরের ধাপে উঠল এবং সেখান
হতে মাথা নিচের দিকে দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করল ৷ হারুনুর রশীদ বললেন, এ তরুণ
অতি ব্যস্তত৷ দেখিয়েছে ৷ আল্লাহর কসম ! সে তাড়াহুড়া না করলে আমি অবশ্যই বীদীটি তাকে
হিবা করে দিতড়াম ৷
হারুনুর রশীদের মাহাত্ম্য ও বদান্যতড়ার বিবরণ সুদীর্ঘ ৷ মনীষিগণ এর অনেক কিছু উল্লেখ
করেছেন ৷ আমি তার একটি যথাযাে গ্য নমুনা উপস্থাপন করলাম ৷ ফুযায়ল ইবন ইয়ায বলতেন,
অন্য কারো মৃত্যু হারুনুর রশীদের মৃত্যুর চেয়ে আমাদের জন্য কঠিন নয় ৷ কেননা, তার পরে
আমি বহু কঠিন সং কটের আশংকা করছি এবং (এজন্য) আমি আল্লাহ্র কাছে দৃআ করি ৷ তিনি
যেন আমার বয়স হতে নিয়ে তার বয়স বাড়িয়ে দেন ৷ মনীষিগণ বলেন, যখন হারুনুর রশীদের
মৃত্যু হল এবং সে সব সংকট মাথাচড়াে দিয়ে উঠল এবং জাতীয় জীবনে কঠিন বিরোধ ও হাংগামা

দেখা দিল ৷ এমনকি কুরআন সৃষ্ট (মাখলুক) হওয়ার মতবাদ প্রকাশ পেল ৷ তখন আমরা ফুযায়ল
যে সবের আশংকা করেছিলেন তা ষ্ংপষ্টরুপে বুঝতে পারলাম ৷

হাত ও লাল মাটি এবং জনৈক (নেপথ্য) বক্তার এটি আমীরুল মু’মিনীরের কবর’ সংক্রান্ত

স্বপ্নের বিবরণ আগে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ ভুসে তার মৃত্যু হয়েছিল ৷ ইবন আসাকির বর্ণনা
করেছেন, হারুনুর রশীদ স্বপ্নে দেখলেন যেন কোন বক্তা বলছে (কবিতা)


যেন আমি এ প্রাসাদে, যার বাসিন্দারা ধ্বংস হয়েছে (শেষ পর্যন্ত) আগে আরো
বর্ণিত হয়েছে যে, এ স্বপ্নে দেখেছিলেন তার ভাই মুসা আল-হাদী এবং তীর পিতা মুহাম্মদ
আল-মাহদী ৷ (আল্লাহ্ইসমধিক অবগত) ৷ আমরা আরো বর্ণনা করে এসেছি যে, হারুনুর রশীদ
তীর জীবনকালে নিজেই তীর কবর খনন করার এবং তাতে একবার পুর্ণ কুরআন খতম করার
আদেশ দিয়েছিলেন ৷ তাকে কবরের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তিনি তখন কেদে কেদে
বলছিলেন, হে আদম সন্তান ! এখানেই হবে তোমার ঠীই ৷ তিনি বুক বরাবর স্থানটি প্রশস্ত ও
পায়ের দিক লম্বা করার আদেশ দিয়েছিলেন ৷ পরে তিনি বলতে লাগলেন ৷ পু ৰুছু :ব্লু৷ ৷

ৰুএেঠু ;; ঞ ৰু ৷ ১ আমার সম্পদ আমার প্রয়োজন মিটায়নি ; আমার প্রতিপত্তি

নি৪শেষ হয়ে হেগিয়েছে ৷ এ সময়ও তিনি কেদে চলছিলেন ৷ একটি বর্ণনায় আছে, তীর মুমুর্বু
অবস্থায় তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ ! অনৃগ্নহ দ্বারা আমাদের উপকৃত করুন ! আমাদের মন্দ কাজ


تَكَلَّمُ مِنَّا فِي الْوُجُوهِ عُيُونُنَا ... فَنَحْنُ سُكُوتٌ، وَالْهَوَى يَتَكَلَّمُ وَنَغْضَبُ أَحْيَانًا وَنَرْضَى بِطَرْفِنَا ... وَذَلِكَ فِيمَا بَيْنَنَا لَيْسَ يُعْلَمُ فَغَنَّتْهُ، ثُمَّ شَرِبَ رِطْلًا ثَالِثًا، وَقَالَ: غَنِّينِي جَعَلَنِي اللَّهُ فِدَاكِ: أَحْسَنُ مَا كُنَّا تَفَرُّقُنَا ... وَخَانَنَا الدَّهْرُ، وَمَا خُنَّا فَلَيْتَ ذَا الدَّهْرَ لَنَا مَرَّةً ... عَادَ لَنَا يَوْمًا كَمَا كُنَّا قَالَ: ثُمَّ قَامَ الشَّابُّ إِلَى دَرَجَةٍ هُنَاكَ فَعَلَاهَا، ثُمَّ أَلْقَى نَفْسَهُ مِنْ أَعْلَاهَا عَلَى أُمِّ رَأْسِهِ فَمَاتَ. فَقَالَ الرَّشِيدُ: عَجِلَ الْفَتَى، وَاللَّهِ لَوْ لَمْ يَعْجَلْ لَوَهَبْتُهَا لَهُ. وَفَضَائِلُهُ، وَمَكَارِمُهُ، وَمَآثِرُهُ، وَأَشْعَارُهُ كَثِيرَةٌ جِدًّا، قَدْ أَوْرَدَ الْأَئِمَّةُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا كَثِيرًا، وَقَدْ ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ أُنْمُوذَجًا صَالِحًا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ كَانَ الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ يَقُولُ: لَيْسَ أَحَدٌ أَعَزَّ عَلَيْنَا مِنْ مَوْتِ هَارُونَ الرَّشِيدِ وَإِنِّي لَأَدْعُو اللَّهَ أَنْ يَزِيدَ فِي عُمُرِهِ مِنْ عُمُرِي. قَالُوا: فَلَمَّا مَاتَ الرَّشِيدُ، وَظَهَرَتْ تِلْكَ الْفِتَنُ وَالِاخْتِلَافَاتُ، وَالْقَوْلُ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ، عَرَفْنَا مَا كَانَ يَحْمِلُ الْفُضَيْلَ عَلَى ذَلِكَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا رَآهُ فِي مَنَامِهِ مِنْ ذَلِكَ، وَفِيهِ تُرْبَةٌ حَمْرَاءُ، وَقَائِلٌ يَقُولُ: هَذِهِ تُرْبَةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَكَانَتْ بِطُوسَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ الرَّشِيدَ رَأَى فِي مَنَامِهِ قَائِلًا يَقُولُ: كَأَنِّي بِهَذَا الْقَصْرِ قَدْ بَادَ أَهْلُهُ ... . . . . . . . . . .
পৃষ্ঠা - ৮৩৩৮


ক্ষমা করে দিন ৷ হে সেই সত্তা যার মৃত্যু নেই ৷ বাবা মারা যায় তাদের প্রতি রহম করুন ৷ তীর
ব্যাধি ছিল রক্তের এবং মতাতরে ফুসফুসের (শ্বাস কষ্টের) ৷

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জিবরীল তীর ব্যাধির কথা তার থেকে গোপন করেছিলেন ৷ হারুনুর
রশীদ এক ব্যক্তিকে বোতলে করে তার পেশার নিয়ে যাওয়ার এবং তা কার পেশার তা অবহিত না
করে (হাকীম) জিবরীলকে তা দেখিয়ে আনার আদেশ দিলেন ৷ তাকে বলে দিলেন যে, চিকিৎসক
কার পেশার জানতে চাইলে তাকে বলবে, এটা আমাদের এক রোগীর পেশাব’ ৷ জিবরীল পেশাব
পরীক্ষা করে তার কাছের এক ব্যক্তিকে বললেন, এ পেশার সে ব্যক্তির পেশাবের ন্যায়’ ৷ সে
ব্যক্তি’ দ্বারা কে উদ্দেশ্যে তা পেশারনিয়ে আসা ব্যক্তি অনুধাবন করে ফেলল ৷ সে চিকিৎসককে
বলল, “আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, এ পেশার যায় তার সম্পর্কে আমাকে অবহিত
করুন ৷ (তার রোগের অবস্থা কেমন ?) কেননা, তার কাছে আমার কিছু পাওনা রয়েছে ৷ এখন
তার ব্যাপারে আশা ভরসা থাকলে অন্যথায় আমার পাওনা উসুল করে নিন ৷ তিনি
বললেন, যাও, তার কাছ হতে উসুল করে নাও, কেননা অল্প কয়দিনই তার জীবন আছে ৷ লোকটি
এসে হারুনুর রশীদকে সব কথা অবহিত করলে তিনি জিবরীলকে ডেকে আনার জন্য লোক
পাঠালেন ৷ জিবরীল হারুনুর রশীদের মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত আত্মগােপন করে থাকলেন ৷ হারুনুর রশীদ
তার এ অবস্থায় কবিতা বলেছিলেন-

ব্লু
’ ৷ হুট্াহু;ট্র

“আমি এখন তুস শহরে অবস্থান করছি ; তুসে আমার কোন অন্তরংগ বন্ধু নেই ৷ আমার
অবস্থার ব্যাপারে আমি আমার মা’বুদের কাছে আশাবাদী ; কেননা, তিনি আমার প্রতি অতি
দয়াবান ৷ আমাকে তুলে নিয়ে এসেছে তীরই অলঙ্ঘনীয় ফায়সালা ৷ এতে আমারও রয়েছে পুর্ণ
তৃষ্টি ৷ সরর ও আত্মসমর্পণ ৷”

হিজরী একশ তিরানব্বই সনে ৩রা জুমাদাল উখৃরা শনিবার তিনি ইনতিকাল করেন ৷
মতড়ান্তরে তার মৃত্যু হয়েছিল জুমাদাল উলা মাংস এবং মতাতরে রবীউল আউয়ালে ৷ তখন তার
বয়স হয়েছিল পয়তাল্লিশ অথবা সাতচল্পিশ অথবা আটচল্লিশ বছর ৷ তীর খিলাফতের সময়কাল
ছিল তেইশ বছর এক মাস আঠার দিন মতভোর তেইশ বছর তিন মাস ৷ তার পুত্র সালিহ তীর
জানাযার সালাত আদায় করেন ৷ তৃসের অন্তর্গত সানাবায (১া) নামের জনপদে তীকে
সমাহিত করা হয় ৷ কেউ কেউ বলেছেন, হারুনুর রশীদের মৃত্যুর পরে ভুল হতে লোকদের
প্রত্যাবর্তনকালে আমি সানাৰাযে তীর আবাসন্থলে এ কবিতা পাঠ করলাম-



) ’ ণ্শ্ৰ্ণ্শ্শ্ ৷শ্ শ্শ্ শ্ শ্শ্ষ্ষ্ শ্


الشِّعْرَ إِلَى آخِرِهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ ذَلِكَ رَآهُ أَخُوهُ مُوسَى الْهَادِي، وَأَبُوهُ مُحَمَّدٌ الْمَهْدِيُّ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدَّمْنَا أَنَّهُ أَمَرَ بِحَفْرِ قَبْرِهِ فِي حَيَاتِهِ، وَأَمَرَ بِقِرَاءَةِ خَتْمَةٍ فِيهِ، وَأَنَّهُ حُمِلَ حَتَّى نَظَرَ إِلَيْهِ فَجَعَلَ يَقُولُ: إِلَى هَاهُنَا تَصِيرُ يَابْنَ آدَمَ! وَيَبْكِي، وَأَمَرَ أَنْ يُوَسَّعَ عِنْدَ صَدْرِهِ، وَأَنْ يُمَدَّ مِنْ عِنْدِ رِجْلَيْهِ، ثُمَّ جَعَلَ يَقُولُ {مَا أَغْنَى عَنِّي مَالِيَهْ هَلَكَ عَنِّي سُلْطَانِيَهْ} [الحاقة: 28] [الْحَاقَّةِ: 28، 29] وَيَبْكِي. وَيُقَالُ: إِنَّ آخَرَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ حِينَ احْتُضِرَ: اللَّهُمَّ انْفَعْنَا بِالْإِحْسَانِ، وَاغْفِرْ لَنَا الْإِسَاءَةَ، يَا مَنْ لَا يَمُوتُ، ارْحَمْ مَنْ يَمُوتُ. وَكَانَ مَرَضُهُ بِالدَّمِ، وَقِيلَ: بِالسُّلِّ. وَكَانَ جِبْرِيلُ بْنُ بَخْتَيْشُوعَ يَكْتُمُهُ مَا بِهِ مِنَ الْعِلَّةِ، فَأَمَرَ الرَّشِيدُ رَجُلًا أَنْ يَأْخُذَ مَاءَهُ فِي قَارُورَةٍ، وَيَذْهَبَ بِهِ إِلَى جِبْرِيلَ فَيُرِيَهُ إِيَّاهُ، عَلَى أَنَّهُ لِمَرِيضٍ عِنْدَهُ، فَلَمَّا رَآهُ قَالَ لِرَجُلٍ عِنْدَهُ: هَذَا مِثْلُ مَاءِ ذَلِكَ الرَّجُلِ. فَفَهِمَ صَاحِبُ الْقَارُورَةِ مَنْ عَنَى بِهِ، فَقَالَ لَهُ: بِاللَّهِ عَلَيْكَ أَخْبِرْنِي عَنْ حَالِ صَاحِبِ هَذَا الْمَاءِ؛ فَإِنَّ لِي عَلَيْهِ مَالًا، فَإِنْ كَانَ بِهِ رَجَاءٌ، وَإِلَّا أَخَذْتُهُ مِنْهُ. فَقَالَ: اذْهَبْ فَتَخَلَّصْ مِنْهُ؛ فَإِنَّهُ لَا يَعِيشُ إِلَّا أَيَّامًا. فَلَمَّا جَاءَ، وَأَخْبَرَ الرَّشِيدَ، بَعَثَ إِلَى جِبْرِيلَ فَتَغَيَّبَ حَتَّى مَاتَ الرَّشِيدُ. وَقَدْ قَالَ الرَّشِيدُ فِي هَذِهِ الْحَالِ: إِنِّي بِطُوسَ مُقِيمٌ مَا لِي ... بِطُوسَ حَمِيمُ أَرْجُو إِلَهِي لِمَا بِي فَإِنَّهُ بِي رَحِيمُ
পৃষ্ঠা - ৮৩৩৯
لَقَدْ أَتَانِي بِطُوسَ ... قَضَاؤُهُ الْمَحْتُومُ وَلَيْسَ إِلَّا رِضَائِي ... وَالصَّبْرُ وَالتَّسْلِيمُ مَاتَ بِطُوسَ يَوْمَ السَّبْتِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: إِنَّهُ تُوُفِّيَ فِي جُمَادَى الْأُولَى. وَقِيلَ: فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. وَلَهُ مِنَ الْعُمُرِ خَمْسٌ، وَقِيلَ: سِتٌّ، وَقِيلَ: سَبْعٌ، وَقِيلَ: ثَمَانٍ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. وَمُدَّةُ وِلَايَتِهِ لِلْخِلَافَةِ ثَلَاثٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، وَشَهْرٌ، وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ يَوْمًا. وَقِيلَ: وَثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ. وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ صَالِحٌ، وَدُفِنَ بِقَرْيَةٍ مِنْ قُرَى طُوسَ يُقَالُ لَهَا سَنَابَاذُ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَسَامَحَهُ، وَأَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: قَرَأْتُ عَلَى خِيَامِ الرَّشِيدِ بِسَنَابَاذَ، وَالنَّاسُ مُنْصَرِفُونَ مِنْ طُوسَ مِنْ بَعْدِ مَوْتِهِ: مَنَازِلُ الْعَسْكَرِ مَعْمُورَةٌ ... وَالْمَنْزِلُ الْأَعْظَمُ مَهْجُورُ خَلِيفَةُ اللَّهِ بِدَارِ الْبِلَى ... تَسْفِي عَلَى أَجْدَاثِهِ الْمُورُ أَقْبَلَتِ الْعِيرُ تُبَاهِي بِهِ ... وَانْصَرَفَتْ تَنْدُبُهُ الْعِيرُ وَقَدْ رَثَاهُ أَبُو الشِّيصِ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৮৩৪০


“সেনাবাহিনীর নিবাসগুলো রয়েছে অবাদ, কিত্তু প্রধান নিবাসটি এখন পরিত্যক্ত ৷ আল্লাহর
খলীফা চলে গিয়েছেন জীর্ণতার জগতে ; তার কবরের উপরে ছুটাছুটি করছে ছাগল ছনারা ৷ এক
কাফিলা এগিয়ে এল তাকে নিয়ে গর্ব করতে করতে এবং কাফেলা চলে গেল এমন অবস্থায় যে
তারা তীর জন্য শোক প্রকাশ করছিল ৷

আবুশ শীস তার মৃত্যুতে শোকগাথা রচনা করেন ৷ তাতে আছে-
া;
“পুর্বদেশে একটি সুর্য অস্তমিত হল ৷ তার জন্য দৃ’চােখ অশ্রু টলমল ৷ এমন সুর্য আমরা
কোন দিন দেখিনি যা যে দিকে উদিত হয় সেদিকেই অস্তমিত হয় ৷ ”
অন্যান্য কবিগণও তার শোকগাথা রচনা করেছেন ৷ ইবনুল জাওযী বলেছেন, হারুনুর রশীদ
এত পরিমাণ মীরাছ রেখে যান যে, অন্য কোন খলীফা তা রেখে যাননি ৷ ভু-সম্পদ ও বাড়ি-ঘর

ব্যতীত তার রেখে যাওয়া মণিমুক্ত৷ ও মুল্যবান অড়াসবাবপত্রের মুল্য ছিল দশকোটি পয়ত্রিশ হাজার
স্বর্ণদ্রো ৷ ইবন জায়ীর বলেছেন, বায়তৃল সালে রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ সত্তর কােটিরও অধিক ছিল ৷

খলীফা হারুনুর রশীদের শ্রী, দাসী ও সন্তান-সন্ততি

হারুনুর রশীদ তার চাচাত বোন অর্থাৎ চাচা জাফর ইবন আবু জাফর আল-মানসুরের কন্যা
যুবায়দা উম্মু জাফরকে বিয়ে করেন ৷ এ বিয়ে হয়েছিল পিতা মাহদীর জীবনকালে এ্যাকশ পয়ষট্টি
হিজরী সনে ৷ এ স্তীর গর্ভে জন্ম হয় পুত্র মুহাম্মদ আল-আমীনের ৷ যুবায়দার মৃত্যু হয়েছিল ইেশ
ষোল হিজরীতে (বিবরণ সমাগত) ৷ পরে তিনি তার ভাই মুসা আল-হাদীর উম্মু ওয়ালাদ
(আমাতৃল আযীয)-কে বিয়ে করেন এবং এ ত্রীর গর্ভে পুত্র আলী ইবনুর রশীদের জন্ম হয় ৷ তিনি
সালিহ আল-মিসকীনের কন্যা উম্মু মুহাম্মদকে এবং তার চাচা সুলায়মান ইবন আবুজাফরের কন্যা
হলে আল-আব্বাসাকে বিয়ে করেন এবং আর-রাক্কায় একশ সাতাশি হিজরীতে একই রাতে এ
দুই ত্রীর সংগে বাসর যাপন করেন ৷ তিনি আযীযা বিনতৃল গিতরীফ অর্থাৎ মামাত বোন-তার মা
খায়যুবানের ভাইয়ের কন্যাকে বিয়ে করেন এবং উছমানী বংশের আবদৃল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উছমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর কন্যাকে বিয়ে করেন ৷ একে
আল-জুরাশিয়াও বলা হয় ৷ কেননা, ইয়ামানের জুরুশে তার জন্ম হয়েছিল ৷ হারুনুর রশীদ চার
জন ত্রী রেখে মারা যান ৷ এরা ছিলেন যুবায়দা, আব্বাসা, সালিহের কন্যা এবং এ শেষোক্ত
উছমানিয়া ৷ আর বিশিষ্ট ও একান্ত দাসী-ৰ্বাদীর সংখ্যা ছিল অনেক ৷ এমনকি কেউ কেউ বলেছেন
যে, তার ভবনে চার হাজার সুন্দরী সেবাদাসী ছিল ৷

তার পুত্র সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন যুবায়দার সন্তান মুহাম্মদ আল-আযীন মারাজিল নাম্বী বীদীর
ঘরে আবদুল্লাহ আল-মড়ামুন ৷ মারিদা নান্নী উম্মু ওয়ালাদের ঘরে আবু ইসহাক মুহাম্মদ আল-
মুতাসিম ৷ কাসফ নান্নী বীদীর গর্ভে কাসিম আল-মু’তামান ৷ আমাতৃল আযীযের গর্ভে আলী
রাঈম (রু,;,) নারী বীদীর ঘরে সালিহ ৷ এছাড়া আবুইয়াকুব মুহাম্মদ, আবুঈসা মুহাম্মদ, আবুল
আব্বাস মুহাম্মদ ও আবু আলী মুহাম্মদ-এরা সকলেই উম্মু ওয়ালাদের সন্তান ৷ আর কন্যা সন্তানদের


غَرَبَتْ فِي الشَّرْقِ شَمْسٌ ... فَلَهَا الْعَيْنَانِ تَدْمَعْ مَا رَأَيْنَا قَطُّ شَمْسًا ... غَرَبَتْ مِنْ حَيْثُ تَطْلُعْ وَقَدْ رَثَاهُ الشُّعَرَاءُ بِقَصَائِدَ. قَالَ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " " الْمُنْتَظَمِ " ": وَقَدْ خَلَّفَ الرَّشِيدُ مِنَ الْمِيرَاثِ مَا لَمْ يُخَلِّفْهُ أَحَدٌ مِنَ الْخُلَفَاءِ، مِنَ الْجَوَاهِرِ، وَالْأَثَاثِ، وَالْأَمْتِعَةِ سِوَى الضِّيَاعِ، وَالدُّورِ مَا قِيمَتُهُ مِائَةُ أَلْفِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَخَمْسَةٌ وَثَلَاثُونَ أَلْفَ أَلْفِ دِينَارٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَكَانَ فِي بَيْتِ الْمَالِ لِمَصَالِحِ النَّاسِ تِسْعُمِائَةِ أَلْفِ أَلْفٍ، وَنَيِّفٍ. ذِكْرُ زَوْجَاتِهِ، وَبَنِيهِ، وَبَنَاتِهِ تَزَوَّجَ أُمَّ جَعْفَرٍ زُبَيْدَةَ بِنْتَ عَمِّهِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ الْمَهْدِيِّ، فَوَلَدَتْ لَهُ مُحَمَّدًا الْأَمِينَ، وَمَاتَتْ فِي سَنَةِ سِتَّ عَشْرَةَ وَمِائَتَيْنِ كَمَا سَيَأْتِي. وَتَزَوَّجَ أَمَةَ الْعَزِيزِ أُمَّ وَلَدٍ كَانَتْ لِأَخِيهِ مُوسَى الْهَادِي فَوَلَدَتْ لَهُ عَلِيَّ بْنَ الرَّشِيدِ. وَتَزَوَّجَ أُمَّ مُحَمَّدٍ بِنْتَ صَالِحٍ الْمِسْكِينِ، وَالْعَبَّاسَةَ بِنْتَ عَمِّهِ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي جَعْفَرٍ، فَزُفَّتَا إِلَيْهِ فِي لَيْلَةٍ وَاحِدَةٍ سَنَةَ سَبْعٍ
পৃষ্ঠা - ৮৩৪১
وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ بِالرَّقَّةِ. وَتَزَوَّجَ عَزِيزَةَ بِنْتَ الْغِطْرِيفِ، وَهِيَ بِنْتُ خَالِهِ أَخِي أُمِّهِ الْخَيْزُرَانِ وَتَزَوَّجَ ابْنَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ الْعُثْمَانِيَّةَ، وَيُقَالُ لَهَا: الْجُرَشِيَّةُ. لِأَنَّهَا وُلِدَتْ بِجُرَشَ بِالْيَمَنِ. وَتُوُفِّيَ الرَّشِيدُ عَنْ أَرْبَعِ حَرَائِرَ: زُبَيْدَةَ، وَعَبَّاسَةَ، وَابْنَةِ صَالِحٍ، وَالْعُثْمَانِيَّةِ هَذِهِ. وَأَمَّا الْحَظَايَا مِنَ الْجَوَارِي فَكَثِيرٌ جِدًّا حَتَّى قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ كَانَ عِنْدَهُ فِي دَارِهِ أَرْبَعَةُ آلَافِ جَارِيَةٍ. وَأَمَّا أَوْلَادُهُ الذُّكُورُ فَمُحَمَّدٌ الْأَمِينُ بْنُ زُبَيْدَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ الْمَأْمُونُ مِنْ جَارِيَةٍ اسْمُهَا مَرَاجِلُ، وَمُحَمَّدٌ أَبُو إِسْحَاقَ الْمُعْتَصِمُ مِنْ أُمِّ وَلَدٍ يُقَالُ لَهَا: مَارِدَةُ، وَالْقَاسِمُ الْمُؤْتَمَنُ مِنْ جَارِيَةٍ يُقَالُ لَهَا: قَصْفُ. وَعَلِيٌّ أُمُّهُ أَمَةُ الْعَزِيزِ، وَصَالِحٌ مِنْ جَارِيَةٍ اسْمُهَا رَثْمُ، وَمُحَمَّدٌ أَبُو يَعْقُوبَ، وَمُحَمَّدٌ أَبُو عِيسَى، وَمُحَمَّدٌ أَبُو الْعَبَّاسِ، وَمُحَمَّدٌ أَبُو عَلِيٍّ، كُلُّ هَؤُلَاءِ مِنْ أُمَّهَاتِ أَوْلَادٍ. وَمِنَ الْإِنَاثِ سَكِينَةُ مِنْ قَصْفَ، وَأُمُّ حَبِيبٍ مِنْ مَارِدَةَ، وَأَرْوَى، وَأُمُّ الْحَسَنِ، وَأُمُّ مُحَمَّدٍ حَمْدُونَةَ، وَفَاطِمَةُ، وَأُمُّهَا غُصَصُ، وَأُمُّ سَلَمَةَ، وَخَدِيجَةُ، وَأُمُّ الْقَاسِمِ، وَرَمْلَةُ، وَأُمُّ عَلِيٍّ، وَأُمُّ الْغَالِيَةِ، وَرَيْطَةُ، كُلُّهُنَّ مِنْ أُمَّهَاتِ أَوْلَادٍ.