আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة تسعين ومائة من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৮২৯০

হারুনুর রশীদ তাকে রাক্কা-র কাষী নিয়োগ করেন ও পরে অব্যাহতি প্রদান করেন ৷ ইমাম
মুহাম্মদ তার পরিবারের লোকদের বলতেন, তোমরা দুনিয়ার কোন প্রয়োজনের বিষয়ে আমাকে
জিজ্ঞাসা করে আমার মনকে তাতে নিমগ্ন করবে না ৷ বরং তোমরা আমার সম্পদ হতে তোমাদের
চাহিদা অনুসারে নিয়ে নিয়ে (এবং প্রয়োজন সমাধা করবে) ৷ কেননা, তা আমার দৃশ্চিন্তা লাঘব
করবে এবং আমার মনকে একাগ্র রাখবে ৷

ঈমাম শাফিঈ (র) বলেছেন, তার মত বিশাল পরিধির আলিম , তার চেয়ে অধিক বাত্মী ও
সাবলীল জীবন ও সরল প্রাণের অধিকারী আর কাউকে আমি দেখিনি ৷ আমি যখন তাকে কুরআন
তিলাওয়াত করতে শুনতাম তখন মনে হত যেন, তার ভাষায়ই কুরআন নাযিল হচ্ছে ৷ তিনি আরও
বলেছেন, আমি তার চেয়ে অধিক জ্ঞানবান কাউকে দেখিনি ৷ তার প্রভাব ও বুদ্ধিমত্তা দর্শকের
চোখ ও অন্তর পুর্ণ করে রাখত ৷ ইমাম তাহাৰী (র) বলেছেন, ইমাম শাফিঈ (র) ইমাম মুহাম্মদ
ইবনুল হাসানের কাছে তার কিতাবুস সিয়ার গ্রন্থটি দেয়ার জন্য আবদার করেছিলেন ৷ ইমাম
মুহাম্মদ তা ধারে প্রদানে সম্মত না হলে শাফিঈ (র) তাকে নিয়ে পাঠালেন-

ঞ ;>১ এ; ১১ ম, ১১ ১ব্রে ১ওন্
ণ্দ্বুা’া

“বল সে মহান ব্যক্তিকে যার তুলনা আমার দু’চােখ দেখেনি ; এমনকি তিনি এমন যে, যে
তাকে দেখল সে যেন তার পুর্বসুরী (বরণীয়)-দের দেখল ৷ ইলমের বিষয় (কিতাব) তার যােগ্য
ব্যক্তিকে দেয়া হতে বিরত থাকতে ইল্ম-ই তার অধিকারীকে নিষেধ করে ৷ কেননা, তা তাে তার
যােগ্যতাসম্পন্নকে দেয়ার জন্যই হয় তো” ,

বর্ণনাকারী বলেন, এ কাব্যপত্র পাওয়া মাত্র ইমাম মুহাম্মদ (র) তার কিতাবটি হাদিয়ারুপেই
( ধাররুপে নয়) শাফিঈ (র)-এর জন্য পাঠিয়ে দিলেন ৷ ইবরাহীম আল-হারবী বলেছেন, কেউ
ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র)-কে বলল, এ সব সুক্ষ্ম মাসআলা আপনি কিরুপে হাসিল করেছেনঃ
তিনি বললেন, মুহাম্মদ ইবনুল হাসান (র)-এর কিতাব হতে ৷

আগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইমাম মুহাম্মদ ও কিসাঈ একই দিনে ইনতিকাল করলে

খলীফা হারুনুর রশীদ বলেছিলেন, আজ ভাষা ও ফিকাহ্কে একত্রে সমাহিত করলাম ৷ মৃভ্যুকালে
ইমাম মুহাম্মদের বয়স হয়েছিল আটান্ন বছর ৷

১৯০ হিজরীর আগমন

এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে একটি ছিল সমরকান্দ অঞ্চলের শাসনকর্তা (গভর্নর)
রাফি ইবন লায়ছ ইবন নাসর ইবন সায়্যার কেদ্রীয় খিলাফতের আনুগত্য পরিত্যাগ করে বিদ্রোহ
ও স্বাধীনতা দাবী করেন ৷ এতে তার রাজধানী ও সন্নিহিত অঞ্চলের তার অনুপামী হয় এবং বিষয়টি
জটিল আকার ধারণ করে ৷ খুরাসানের নায়েব আলী ইবন ঈসা তাকে দমন করার জন্য অভিযান
পরিচালনা করলে রাফি তাকে পরাজিত করে ৷ এতে বিষয়টি আরও সংপীন আকার ধারণ করে ৷

এ বছর রজব মাসের বিশ তারিখে খলীফা নিজেই রোমানদের বিরুদ্ধে অভিযানে বের হন ৷
এ সময় তিনি মাথায় বিশেষ ধরনের টুপী (কালানমুওয়া) পরিধান করেছিলেন ৷ এ প্রসংগে আবুল
মুআল্পা আল কিকাবী র কবিতা-


[سَنَةُ تِسْعِينَ وَمِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا خَلَعَ رَافِعُ بْنُ لَيْثِ بْنِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ نَائِبُ سَمَرْقَنْدَ الطَّاعَةَ، وَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، وَتَابَعَهُ أَهْلُ بَلَدِهِ وَطَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْ تِلْكَ النَّاحِيَةِ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ، فَسَارَ إِلَيْهِ نَائِبُ خُرَاسَانَ عَلِيُّ بْنُ عِيسَى، فَهَزَمَهُ رَافِعٌ وَتَفَاقَمَ الْأَمْرُ بِهِ. وَفِيهَا سَارَ هَارُونُ الرَّشِيدُ لِغَزْوِ بِلَادِ الرُّومِ لِعَشْرٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ، وَقَدْ لَبِسَ عَلَى رَأْسِهِ قَلَنْسُوَةً، فَقَالَ فِيهَا أَبُو الْمُعَلَّى الْكِلَابِيُّ: فَمَنْ يَطْلُبْ لِقَاءَكَ أَوْ يُرِدْهُ ... فَبِالْحَرَمَيْنِ أَوْ أَقْصَى الثُّغُورِ فَفِي أَرْضِ الْعُدُوِّ عَلَى طِمِرٍّ ... وَفِي أَرْضِ التَّرَفُّهِ فَوْقَ كُورِ ثُمَّ وَصَلَ إِلَى الطُّوَانَةِ، فَعَسْكَرَ بِهَا، فَبَعَثَ إِلَيْهِ نَقْفُورُ بِالطَّاعَةِ، وَحَمَلَ الْخَرَاجَ وَالْجِزْيَةَ حَتَّى عَنْ رَأْسِهِ وَرَأْسِ وَلَدِهِ، وَأَهْلِ مَمْلَكَتِهِ - فِي كُلِّ سَنَةٍ - خَمْسِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، وَبَعَثَ يَطْلُبُ مِنَ الرَّشِيدِ جَارِيَةً قَدْ أَسَرُوهَا، كَانَتِ ابْنَةَ مَلِكِ هِرَقْلَةَ، وَكَانَ قَدْ خَطَبَهَا عَلَى وَلَدِهِ، فَبَعَثَ بِهَا الرَّشِيدُ مَعَ هَدَايَا وَتُحَفٍ، وَطِيبٍ بَعَثَ بِطَلَبِهِ، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ الرَّشِيدُ أَنْ يَحْمِلَ فِي كُلِّ سَنَةٍ ثَلَاثَمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَأَنْ لَا يُعَمِّرَ هِرَقْلَةَ. ثُمَّ انْصَرَفَ الرَّشِيدُ رَاجِعًا، وَاسْتَنَابَ عَلَى الْغَزْوِ عَقَبَةَ بْنَ جَعْفَرٍ.
পৃষ্ঠা - ৮২৯১


“কেউ তােমা ৷র দর্শন লাভের প্রার্থী হলে তা সে লাভ করতে পারে দৃই হ ৷রাম (মক্কা-মদীনায়)
অথবা দুর সীমান্তে ৷ কেননা, শত্রুর দেশে তোমার অবস্থান তাজী ঘোড়ার পিঠে এবং
সুখ-বিনােদনের দেশে (হতজ্জর সফরে) তোমার অবস্থান উটের পিঠের হাওদায় ৷ ব্যস্ততার

অজুহাতে পশ্চাতে অবস্থানকারী লোকেরা তোমার সংগ ব্যতীত সীমান্ত দখল ও সংরক্ষণ
করেনি ৷”

হারুনুর রশীদ সীমান্তে পৌছে তিওয়ালা দুর্গে সেনা ঘীটি স্থাপন করলেন ৷ এ ংস বাদ পেয়ে
খৃক্টান রাজা আন-নাকফো আনুপতে র পত্র পাঠাল এবং খারাজ ও জিঘৃয়া পাঠিয়ে দিল ৷ এমনকি
সমগ্র দেশবাসীর সংগে তার সন্তান ও নিজের জিযয়াও পাঠিয়ে দিল ৷ যার পরিমাণ ছিল৷ বার্ষিক
পনের হাজার দীনার ৷ আন-নাকফো খলীফা ৷র কাছে মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দী এক তরুণীকে
ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জন ল ৷ এ বন্দিনী ছিল রোম সম্রাটের রাজকন্যা এবং সে তার পুত্রের
বাগদত্তা ছিল ৷ হারুনুর রশীদ বহু হড়াদিয়া তােহফা ও উপহার সামগ্রীসহ এবং আন-নাকফো
কাডিক্ষত মুল্যবান সুগন্ধিসহ বন্দিনীকে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন এবং বার্ষিক তিন লাখ দীনার কর
পাঠিয়ে দেয়ার ও হিরা ক্লা পুনরায় আর বাদ না করার শর্ত আরোপ করলেন ৷

পরে হারুনুর রশীদ যুদ্ধাভিযানের জন্য উকবা ইবন জা ফরকে তার নায়েব নিয়োগ করে
রাজধা ৷নীতে ফিরে এলেন ৷

এ বছর সাইপ্রাস (কুবরুস) দ্বীপের ৰাসিন্দ বা চুক্তি ভৎ গ করলে মা য়ুদ ইবন ইয়াহ্ইয়া
তাদের দমনে যুদ্ধ করলেন এবং বিদ্রোহীদের হত্যা করলেন এবং বহু লোককে বন্দী করলেন ৷
আবদুল কায়স গোত্রের এক ব্যক্তি বিদ্রোহ উসকানী দিলে তাকে হত্যা করার জন্য হারুনুর রশীদ
লোক পাঠিয়ে দিলেন ৷ এ বছর ঈসা ইবন মুসা আল-হাদী আমীরুল হজ্জরুপে মুসলিম জনতাকে
নিয়ে হজ্জ পালন করেন ৷

এ বছর যাদের মৃত্যু হয় সে সব বিশিষ্ট ও খ্যাতিমান শীর্ষস্থানীয়দের তালিকা : এ তালিকার
মধ্যে রয়েছেন আবুল মুনযির আসাদ ইবন আযুর ইবন আমির আল-বাজালী ৷ কুফা নিবাসী ও
আবুহানীফা (র)-এর ছাত্র ৷ তিনি বাগদাদ ও ওয়াসিতে বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ পরে
দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত হলে নিজেই কাযীর পদ হতে অব্যাহতি গ্রহণ করেন ৷

আহমদ ইবন হাম্বল (র) বলেছেন, আবুল মুনযির সত্যভাষী ছিলেন ৷ ইবন মঈন তাকে
আস্থাতাজন (ছিকা) বলেছেন ৷ আলী ইবনুল মাদীনী ও যুথারী তার ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য
করেছেন ৷ র্তাকে পাগল’ আখ্যায়িত করা হয়েছে ৷ ষাট বছর যাবত সিয়াম পালনের কারণে তার
মস্তিষ্ক (শুকিয়ে) লঘু হয়ে গিয়েছিল ৷ এ কারণে লোকেরা মাজনুন বলতে লাগল ৷ একদিন আবুল
মুনযির যুনুন মিসরীর হালস্কার কাছে র্দদ্বড়িয়ে তার বয়ান শুনছিলেন ৷ তখন হঠাৎ চিৎকার করে উঠে
তিনি এ কবিতা আবৃত্তি করলেন-


وَنَقَضَ أَهْلُ قُبْرُسَ الْعَهْدَ، فَغَزَاهُمْ مَعْيُوفُ بْنُ يَحْيَى، فَسَبَى أَهْلَهَا، وَقَتَلَ مِنْهُمْ خَلْقًا كَثِيرًا، وَخَرَجَ رَجُلٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الرَّشِيدُ مَنْ قَتَلَهُ، وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عِيسَى بْنُ مُوسَى الْهَادِي. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ وَالْمَشَاهِيرِ] أَسَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ، أَبُو الْمُنْذِرِ الْبَجَلِيُّ الْكُوفِيُّ، صَاحِبُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَحَكَمَ بِبَغْدَادَ وَبِوَاسِطَ، فَلَمَّا أَنْكَرَ بَصَرَهُ عَزَلَ نَفْسَهُ عَنِ الْقَضَاءِ، وَرَوَى عَنْهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَقَالَ: كَانَ صَدُوقًا. وَوَثَّقَهُ ابْنُ مَعِينٍ، وَتَكَلَّمَ فِيهِ عَلِيٌّ ابْنُ الْمَدِينِيِّ وَالْبُخَارِيُّ. سَعْدُونُ الْمَجْنُونُ، صَامَ سِتِّينَ سَنَةً، فَخَفَّ دِمَاغُهُ، فَسَمَّاهُ النَّاسُ الْمَجْنُونَ. وَقَفَ يَوْمًا عَلَى حَلْقَةِ ذِي النُّونِ الْمِصْرِيِّ فَسَمِعَ كَلَامَهُ، فَصَرَخَ ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: وَلَا خَيْرَ فِي شَكْوَى إِلَى غَيْرِ مُشْتَكَى ... وَلَا بُدَّ مِنْ شَكْوَى إِذَا لَمْ يَكُنْ صَبْرُ وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: مَرَرْتُ بِهِ وَهُوَ جَالِسٌ عِنْدَ رَأْسِ شَيْخٍ سَكْرَانَ يَذُبُّ عَنْهُ، فَقُلْتُ: مَا لِي أَرَاكَ عِنْدَ رَأْسِ هَذَا الشَّيْخِ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ مَجْنُونٌ. فَقُلْتُ:
পৃষ্ঠা - ৮২৯২


খু;,
যে অভিযোগের সমাধান দিতে পারে না তার কাছে অভিযোগ উথাপনে কোন লাভ নেই ;
আর সবর করার হিম্মত না থাকলে অভিযোগ না করেও কোন উপায় নেই’ ৷

আসমাঈ বলেছেন, একদিন চলা র পথে আমি দেখলাম, আবুল মুনযির এক মাতাল বুদ্ধের
মাথার কাছে বসে বসে তার শরীর হতে মশা ৷৷-মাছি তাড়াচ্ছেন ৷ আমি বললাম, এ বুড়াে র মাথার
কাছে বসে কী করছেন ? তিনি বললেন, সােকটি উন্মাদ ৷ আমি বললাম, আপনি উন্মাদ না সে
উন্মাদ ? আবুল মুনযির বললেন, আমি নই, সে ই উন্মাদ ৷ কেননা, আমি তো যুহর ও আসর
জামাআতের সংগে আদায় করে এসেছি ৷ সে জ ৷মাআতেও সাল ৷তঅ ৷দায় করেনি, একা ৷কীও নয় ৷
তাছাড়া সে মদ থেয়েছে ৷ আমিত ৷খাইনি ৷ আমি বললাম এ প্রসংগে আপনার কাব্য প্রতিভার র
বিকাশ ঘটাননি ?৩ তিনি হ্যা বলে, কবিতা আবৃত্তি করতে লাগলেন-

া;৷দ্বুও
ড়ুন্া
আমি নাবীয়’ (খেজুর ভেজ ৷নাে রস) পরিত্যাগ করেছি মাদকসেবীদের জন্য এবং থী টি পা ৷নি
পানে অভ্যস্ত হয়েছি’ ৷ কেননা, নাবীয তো আ’যীয (সম্ম৷ ৷তনি ব্যক্তি) কে নীচ বানিয়ে দেয় এবং

সুন্দর মুখগুলােকে করে কালিমালিপ্ত ৷ যৌবনে তা বৈধ হওয়ার অবকাশ মেনে নিলেও-
বার্ধাক্য( এর শুভ্রতা) উদিত হওয়ার পরেও তার জন্য কী অজুহ্াত থাকতে পারে ?’

আসম৷ ৷ঈ বলেন, আমি বললাম, তুমি ঠিকই বলেছ,৩ তুমি জ্ঞা ৷৷নব ন ৷ সে ই পাগল ৷ এই সালে
মৃত্যুবরণকারী উল্লেখযোগ্যদের অন্যতম উরায়দ৷ ইবন হুমায়দ ইবন সুহায়র হতে আ বু আবদুর
রহমান তামীমী কুফী , (হারুনপুত্র) আল-আমীনের গৃহশি ক্ষক ৷ তিনি আ ৷মাশ হতে ৩হাদীস বর্ণনা
করেছেন এবং তার নিকট হতে বর্ণনা করেছেন আহমদ ইবন হাম্বল (র) ৷ তিনি তার সম্পর্কে
উত্তম মন্তব্য করতেন ৷

ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদ ইবন বারমাক

এ বছরে মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্টদেৱ অন্যতম ছিলেন উযীর জা ফর বা ৷রমাকীর পিতা উযীর আবু
আলী ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদ ৷ খলীফ৷ মাহদী তার পুত্র হ৷ রুনুর রশীদকে এ ইয়াহ্ইয়া এর হাতে
তুলে দিয়েছিলেন এবং ইয়াহ্ইয়৷ তাকে পুত্রের ন্যায় লালন-পালন করেন ৷ তার শ্রী তাকে নিজপুত্র
ফাযল ইবন ইয়াহ্ইয়৷ ৷র সংগে স্তন্য দা ন করেন ৷

হারুনুর রশীদ খিলাফতেৱ মসনদে আ ৷সীন হলে তার এ পালক পিতাকে যথাযথ মর্যাদ৷ প্রদান
করেন ৷ তিনি প্রকাশ্যে বলতেন, আমার পিা’ বলেছেন, আমার পিতা খিলাফা ৷তের
গুরুতুপুর্ণ বিষয়গুলো তার নিয়ন্ত্রণে সমর্পিত করলে এবং বারমাকীদের উপর দুর্যোগ নেমে
আমার পুর্ব পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে ৷ তাদের ভাগ্য বিপর্যয় শুরু হলে জাফরকে হত্যা

ন্নুশেল বিদত্ত্বহ্র্স্ট ৷ ওয়ান র্বৃণ্ত্ত্বহ্হুয় ১০ৰ্বা থ-ন্তু ) ৪ ৫

أَنْتَ الْمَجْنُونُ أَوْ هُوَ؟ قَالَ: لَا، بَلْ هُوَ، لِأَنِّي صَلَّيْتُ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمَاعَةً، وَهُوَ لَمْ يُصَلِّ جَمَاعَةً وَلَا فُرَادَى. قُلْتُ: فَهَلْ قُلْتَ فِي هَذَا شَيْئًا؟ قَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: تَرَكْتُ النَّبِيذَ لِأَهْلِ النَّبِيذِ ... وَأَصْبَحْتُ أَشْرَبُ مَاءَ قَرَاحًا لِأَنَّ النَّبِيذَ يُذِلُّ الْعَزِيزَ ... وَيَكْسُو بِذَاكَ الْوُجُوهَ الصِّبَاحَا فَإِنْ كَانَ ذَا جَائِزًا لِلشَّبَابِ ... فَمَا الْعُذْرُ مِنْهُ إِذَا الشَّيْبُ لَاحَا قَالَ الْأَصْمَعِيُّ: فَقُلْتُ لَهُ: صَدَقْتَ. وَانْصَرَفْتُ. عُبَيْدَةُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ صُهَيْبٍ، أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيُّ الْكُوفِيُّ، مُؤَدِّبُ الْأَمِينِ، رَوَى عَنِ الْأَعْمَشِ وَغَيْرِهِ، وَعَنْهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَكَانَ يُثْنِي عَلَيْهِ [يَحْيَى بْنُ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ] أَبُو عَلِيٍّ الْوَزِيرُ، وَالِدُ جَعْفَرٍ الْبَرْمَكِيُّ، ضَمَّ إِلَيْهِ الْمَهْدِيُّ وَلَدَهُ الرَّشِيدَ، فَرَبَّاهُ وَأَرْضَعَتْهُ امْرَأَتُهُ مَعَ الْفَضْلِ بْنِ يَحْيَى، فَلَمَّا وَلِيَ الرَّشِيدُ عَرَفَ لَهُ حَقَّهُ، وَكَانَ يَقُولُ: قَالَ أَبِي. وَفَوَّضَ إِلَيْهِ أُمُورَ الْخِلَافَةِ وَأَزِمَّتَهَا، وَلَمْ يَزَلْ كَذَلِكَ حَتَّى نُكِبَتِ الْبَرَامِكَةُ، فَقَتَلَ جَعْفَرًا، وَخَلَّدَ أَبَاهُ فِي الْحَبْسِ حَتَّى مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَكَانَ كَرِيمًا فَصِيحًا، ذَا رَأْيٍ سَدِيدٍ،
পৃষ্ঠা - ৮২৯৩


করা হয় এবং তার পিতা ইয়াহ্ইয়া কে য ৷৷বজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় ৷ কারাগারে থাক কাঅবস্থয়
বছরই৩৷ তার মৃত্যু হয় ৷

ইয়াহ্ইয়া ছিলেন অভিজাত মানসের অধিকারী ও বা ন্সীা, সুষ্ঠু বুদ্ধি ও নিপুণ মতামতের
অধিকারী প্র৷ ৷জ্ঞ ৷ তার সিদ্ধা ৷ন্ত ও কম ছিল কল্যাণবহ ৷ একদিন তিনি পুত্রদের বললেন, সব বিষয়
সম্পর্কেই কিছু না কিছু জ্ঞান আহরণ করবে ৷ কেননা, কেউ কোন বিষয়ে অজ্ঞ হলে তার
বিরোধিতায় অবতীর্ণ হয় ৷ তিনি আরও বলতেন :


০ ষ্

মোঃ
“যা কিছু শুনবে তার উত্তমগুলে৷ লিখে রাখবে, যা লিখবে তার উত্তমগুলে৷ মুখস্থকরবে এবং
যা মুখন্থ করবে তার উত্তমগুলে৷ (শুধু) ব্যক্ত করবে ৷”
তিনি পুএদের আরও বলতেন, যখন দুনিয়া (পার্থিব সম্পদ) এগিয়ে আসে তখনও ব্যয়
করবে ৷ কেননা তা স্থায়ী হবে না এবং যখন দুনিয়া পিছিয়ে যাবে তখনও ব্যয় করবে কেননা, যে
অবন্থ ও স্থায়ী হবে না ৷
কেউ চলার পথে৩ার আরোহী থাকা অবস্থায় ও সাহায্য প্রার্থ্যা৷ করলে তখনও তার সর্বনিম্ন
দানের পরিমাণ হত দৃইশ দিরহাম ৷ এ বিষয়ে জনৈক ব্যক্তি একদিন বলল-

,স্পেন্ফু ৷ জুপ্রুহুাঠু
গ্লু ষ্ট্রুট্রুণুশু
এোশু

“হে হাসুর’ (না ৷রী আকর্ষণমুক্ত পুত পবিত্র নবী) ইয়াহ্ইয়া (আ) এর মিতা’ ৷ আপনার জন্য
আমাদের পালনকর্তার দু’টি জান্নাত তৈরি করে বা যা হয়েছে ৷ (কেননা,) যে কেউ পথ চলতে
আপনাদের পাশ দিয়ে যায় তার জন্য আপনাদের দান বরাদ্দ রয়েছে দৃইশ ৷ (কিন্তু) আমার মত
লোকের জন্য দৃইশ দিরহাম স্বল্প ; তা তো ব্যস্ত অশ্ব৷ ৷রোহী পথচ৷ ৷রীর জন্য ৷ ’

এ কবিতা শুনে ইয়াহ্ইয়া বললেন তুমি সত্য বলেছ ৷ একথা বলে তাকে৩ ৷র ৷বাড়িতে নিয়ে
যাওয়ার আদেশ দিলেন ৷ বাড়িতে পৌছে তার খবরাখবর জিজ্ঞাসা করলে সে বলল যে, সে
ইদানিং বিয়ে করেছে এবং সে৩ তার খ্রীকে তুলে আনতে চায় ৷ তখন ইয়াহ্ইয়া তাকে তার
মহরান৷ বাবদ চার হাজ আর, তার বাড়ি৷ বা বদ চা ৷র হাজার আসবাবপত্র বাবদ চার হাজ৷ র ৷ বউ তুলে
আনার খরচ বাবদ চার হাজার এবং আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান খরচ বাবদ চার হজার দিরহাম দিয়ে
দিলেন ৷

আর একদিন এক ব্যক্তি এসে৩ তার কাছে কিছু৷ চাইলে তিনি বললেন পোড়৷ কপাল
কোথাক ৷র ! এমন সময় তুমি আমার কাছে এসেছ যে, আমার কাছে বিশেষ কো ন সম্পদ নেই ৷

তবে (এক কাজ কর) আমার এক বন্ধু আমাকে আমার প্াসন্দনীয় কিছু হাদিয়৷ দেয়ার জন্য
অনুমতি চেয়ে পাঠিয়েছে ৷ আমি জ ন পেয়েছি যে, তুাম তোমার একটি বাদী বিক্রি করতে


وَيَظْهَرُ مِنْ أُمُورِهِ خَيْرٌ وَصَلَاحٌ. قَالَ يَوْمًا لِوَلَدِهِ: خُذُوا مَنْ كُلِّ شَيْءٍ طَرَفًا، فَإِنَّ مَنْ جَهِلَ شَيْئًا عَادَاهُ. وَقَالَ لِأَوْلَادِهِ: اكْتُبُوا أَحْسَنَ مَا تَسْمَعُونَ، وَاحْفَظُوا أَحْسَنَ مَا تَكْتُبُونَ، وَتُحَدَّثُوا بِأَحْسَنِ مَا تَحْفَظُونَ. وَكَانَ يَقُولُ لَهُمْ: إِذَا أَقْبَلَتِ الدُّنْيَا فَأَنْفِقُوا مِنْهَا فَإِنَّهَا لَا تَفْنَى، وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَأَنْفِقُوا مِنْهَا فَإِنَّهَا لَا تَبْقَى. وَكَانَ إِذَا سَأَلَهُ سَائِلٌ فِي الطَّرِيقِ وَهُوَ رَاكِبٌ أَقَلُّ مَا يَأْمُرُ لَهُ بِمِائَتَيْ دِرْهَمٍ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ يَوْمًا: : يَا سَمِيَّ الْحَصُورِ يَحْيَى أُتِيحَتْ ... لَكَ مِنْ فَضْلِ رَبِّنَا جَنَّتَانِ كُلُّ مَنْ مَرَّ فِي الطَّرِيقِ عَلَيْكُمْ ... فَلَهُ مِنْ نَوَالِكُمْ مِائَتَانِ مِائَتَا دِرْهَمٍ لِمِثْلِي قَلِيلٌ ... هِيَ مِنْكُمْ لِلْقَابِسِ الْعَجْلَانِ فَقَالَ: صَدَقْتَ. وَأَمَرَ أَنْ يُسْبَقَ بِهِ إِلَى الدَّارِ، فَلَمَّا رَجَعَ سَأَلَ عَنْهُ، فَإِذَا هُوَ قَدْ تَزَوَّجَ، وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَدْخُلَ عَلَى أَهْلِهِ، فَأَعْطَاهُ صَدَاقَهَا أَرْبَعَةَ آلَافٍ، وَثَمَنَ دَارٍ أَرْبَعَةَ آلَافٍ، وَثَمَنَ الْأَمْتِعَةِ أَرْبَعَةَ آلَافٍ، وَثَمَنَ الدُّخُولِ أَرْبَعَةَ آلَافٍ، وَأَرْبَعَةَ آلَافٍ يَسْتَظْهِرُ بِهَا.
পৃষ্ঠা - ৮২৯৪
وَجَاءَ رَجُلٌ يَوْمًا يَسْأَلُهُ شَيْئًا، فَقَالَ: وَيْحَكْ! لَقَدْ جِئْتَنِي فِي وَقْتٍ لَا أَمْلِكُ فِيهِ مَالًا، وَلَكِنْ قَدْ بَعَثَ إِلَيَّ صَاحِبٌ لِي يَطْلُبُ مِنِّي أَنْ يُهْدِيَ إِلَيَّ مَا أُحِبُّ، وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَبِيعَ جَارِيَةً لَكَ، وَأَنَّكَ قَدْ أُعْطِيتَ فِيهَا ثَلَاثَةَ آلَافِ دِينَارٍ، وَإِنِّي سَأَطْلُبُهَا مِنْهُ، فَلَا تَبِعْهَا مِنْهُ بِأَقَلَّ مِنْ ثَلَاثِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمَّا جَائَنِي يُسَاوِمُنِي فِيهَا أَلْحَحْتُ أَنْ لَا أَبِيعَهَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلَاثِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَبَلَغَ ثَمَنُهَا عِشْرِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمَّا سَمِعْتُهَا ضَعُفُ قَلْبِي وَأَجَبْتُ إِلَى بَيْعِهَا، فَلَمَّا اجْتَمَعْتُ بِيَحْيَى، قَالَ: بِكُمْ بِعْتَهَا؟ قُلْتُ: بِعِشْرِينَ أَلْفَ دِينَارٍ. قَالَ: إِنَّكَ لَخَسِيسٌ، خُذْ جَارِيَتَكَ إِلَيْكَ، وَقَدْ بَعَثَ إِلَيَّ نَائِبُ فَارِسَ يَطْلُبُ مِنِّي أَنْ أَسْتَهْدِيَهُ شَيْئًا، وَإِنِّي سَأَطْلُبُهَا مِنْهُ، فَلَا تَبِعْهَا بِأَقَلِّ مِنْ خَمْسِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَجَاءُونِي فَوَصَلُوا إِلَى ثَلَاثِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَبِعْتُهَا. فَلَمَّا جِئْتُهُ لَامَنِي أَيْضًا، وَرَدَّهَا عَلَيَّ، فَقُلْتُ: أُشْهِدُكَ أَنَّهَا حُرَّةٌ، وَأَنِّي قَدْ تَزَوَّجْتُهَا. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ أَنَّ الرَّشِيدَ طَلَبَ مِنْ مَنْصُورِ بْنِ زِيَادٍ عَشَرَةَ آلَافِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَلَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ مِنْهَا سِوَى أَلْفِ أَلْفٍ، فَضَاقَ ذَرْعًا، وَقَدْ تَوَعَّدَهُ إِنْ لَمْ يَحْمِلْهَا فِي يَوْمِهِ ذَلِكَ وَإِلَّا قَتَلَهُ، فَدَخَلَ عَلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، وَذَكَرَ لَهُ أَمْرَهُ، فَأَطْلَقَ لَهُ خَمْسَةَ آلَافِ أَلْفٍ، وَاسْتَطْلَقَ لَهُ مِنَ ابْنِهِ الْفَضْلِ أَلْفَيْ أَلْفٍ، وَقَالَ لِابْنِهِ:
পৃষ্ঠা - ৮২৯৫

চহ্ও ৷ সে ৰ্বাদীর মুল্য তোমাকে তিন হাজার দীনার প্রস্তাব করা হয়েছে ৷ আমি বন্ধুর কাছে হাদিয়া
রপে সে বীদীটী চাইবো ৷ তুমি কিন্তু সেটি তার কাছে ত্রিশ হাজার দীনারের কমে বেচবে না ৷

তখন সে লোকেরা এসে আমার সংগে বীদীর দরদাম করে তা বিশ হাজার দীনার পর্যন্ত
:পাছল ৷ এত বেশী মুল্য শুনে তা প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারে আমার মন দুর্বল হয়ে গেলে আমি
তা বিক্রয়ে সম্মতি দিয়ে দিলাম ৷ তারা বীদী নিয়ে গেল এবং আমি বিশ হাজার দীনার বুঝে নিলাম ৷
তারা র্বীদীটি ইয়াহ্ইয়াকে হাদিয়া দিল ৷ পরে আমি ইয়াহ্ইয়ার সংগে সাক্ষাত করলে তিনি
বললেন, কত মুল্যে বিক্রি করেছিলে ? আমি বললাম, বিশ হাজার দীনার ৷ ইয়াহ্ইয়া বললেন,
তুমি ছোট মনের লোক ! যাও তোমার বীদী তোমার কাছে নিয়ে যাও ৷ আর ইতোমধ্যে আমার
আর ঘোড়সওয়ার পারসিক ( র্দে , ও) বন্ধু অনুরোধ করেছে ৷ আমি যেন তার কাছে হতে
পসন্দনীয় কোন হাদিয়া চেয়ে নেই ৷ আমি তার কাছে এ ৰ্বাদীটিই চাইব ৷ তৃমি কিন্তু এটি পঞ্চাশ
হাজার দীনারের কমে তার কাছে বিক্রি কর না ৷ পরে যে লোকেরা আমার কাছে এল এবং ৰীদীর
মুল্য ত্রিশ হাজার দীনার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল ৷ আমি সেটি তাদের কাছে বেচে দিলাম ৷ পরে আমি
ইয়াহ্ইয়ার কাছে গেলে এবারও তিনি আমাকে ভর্চুসনা করলেন এবং বীদী আমাকে ফিরিয়ে
দিলেন ৷ তখন আমি বললাম , আমি আপনাকে সাক্ষী করছি যে সে মুক্ত (আযাদ) এবং আমি
তাকে শ্ৰীরুপে গ্রহণ করলাম ৷ আমি বললাম, যে ৰ্বাদী আমাকে পঞ্চাশ হাজার দীনার পাইয়ে দিল
আমি কোন দিন তার অবমুল্যায়ন করব না ৷

খতীব বর্ণনা করেছেন, হারুনুর রশীদ মানসুর ইবন যিয়াদের কাছে এক কোটি দিরহাম দাবী
করলেন ৷ তখন তার কাছে দশ লাখের অধিক ছিল না ৷ ওদিকে খলীফা তাকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে
এ অর্থ প্রদান না করলে তাকে হত্যা করা ও তার বাড়ি-ঘর মিসমার করে দেয়ার হুমকি দিলেন ৷
সুতরাং মড়ানসুর অত্যন্ত দৃশ্চিম্ভায় পড়ে গেলেন ৷ তিনি ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদের কাছে গিয়ে তাকে
তার সংকটের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি নিজে তাকে পঞ্চাশ লাখ দিলেন এবং পুত্র ফযলের
নিকট হতে বিশ লাখ এনে দিলেন ৷ পুত্রকে তিনি বললেন, বাবা ! আমি শুনেছি যে, তুমি এ অর্থ
দিয়ে একটি জমি খরিদ করার ইচ্ছা করেছিলে ৷ এটি (সাহায্য প্রদানে) এমন এক সম্পদ যা
কৃতজ্ঞতার ফসল ফলাবে এবং যা যুগ যুগ ধরে বিদ্যমান থাকবে ৷ তিনি তার অপর পুত্র জাফরের
নিকট হতে দশ লাখ এনে দিলেন এবং তার র্বীদী দানানীরের নিকট হতে একটি হার নিয়ে নিলেন
যেটি একলাখ বিশ হাজার দীনারে (তখনকার বারলাখ দিরহামের সমমুল্য) খরিদ করা হয়েছিল
এবং তাতে কারুকাজকারী (ণ্,৷ ট্যাক্স আদায়কারী প্রাথী)-কে বলেছিলেন, এটি বিশ লাখ
হিসাবে ধরলাম ৷

এসব অর্থ সম্পদ হারুনুর রশীদ সমীপে উপস্থিত করা হলে তিনি হারটি ফিরিয়ে দিলেন ৷
কেননা, তিনিই এটি ইয়াহ্ইয়ার বীদীকে হিবা করে দিলেন ৷ সুতরাং একবার হিরা প্রদত্ত বস্তু
ফিরিয়ে নেয়া পসন্দ করলেন না ৷

কারাগারে আবদ্ধ থাকার সময় তার কোন সন্তান তাকে বলল, আব্বা, ক্ষমতার প্রতি পত্তি ও
অরুঢল প্রাচুর্যের পরে আমরা আজ এ অবস্থায় পৌছেছি ৷ ইয়াহ্ইয়া বললেন, বাবা মজলুমের বদ
দৃআ আমরা রাতের আধারে চলছিলাম এবং সে বদ দৃআর ব্যাপারে উদাসীন ছিলাম ৷ আল্লাহ্
তাতে উদাসীন’ থাকেননি ৷ এরপর তিনি এ কবিতা আবৃত্তি করলেন-


يَا بُنَيَّ، بَلَغَنِي أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَشْتَرِيَ بِهَا ضَيْعَةً، وَهَذِهِ ضَيْعَةٌ تُغِلُّ الشُّكْرَ وَتَبْقَى مَدَى الدَّهْرِ. وَأَخَذَ لَهُ مِنَ ابْنِهِ جَعْفَرٍ أَلْفَ أَلْفٍ، وَأَخَذَ لَهُ مَنْ جَارَيْتِهِ دَنَانِيرَ عُقْدًا مُشَتَرَاهُ مِائَةُ أَلْفِ دِينَارٍ، وَعِشْرُونَ أَلْفَ دِينَارٍ، وَقَالَ لِلْمُتَرَسِّمِ عَلَيْهِ: قَدْ حَسَبْنَاهُ عَلَيْكَ بِأَلْفَيْ أَلْفٍ. فَلَمَّا عُرِضَتِ الْأَمْوَالُ عَلَى الرَّشِيدِ رَدَّ الْعُقْدِ، وَكَانَ قَدْ وَهَبَهُ لِجَارِيَةِ يَحْيَى، فَلْمْ يَعُدْ فِيهِ بَعْدَ أَنْ وَهَبَهُ لَهَا. وَقَدْ قَالَ لَهُ بَعْضُ بَنِيهِ وَهُمْ فِي السِّجْنِ وَالْقُيُودِ: يَا أَبَتِ، بَعْدَ الْأَمْرِ وَالنَّهْيِ وَالنِّعْمَةِ صِرْنَا إِلَى هَذَا الْحَالِ. فَقَالَ: يَا بُنَيَّ، دَعْوَةُ مَظْلُومٍ سَرَتْ بِلَيْلٍ وَنَحْنُ عَنْهَا غَافِلُونَ، وَلَمْ يَغْفُلِ اللَّهُ عَنْهَا. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: رُبَّ قَوْمٍ قَدْ غَدَوْا فِي نِعْمَةٍ ... زَمَنًا وَالدَّهْرُ رَيَّانُ غَدَقْ سَكَتَ الدَّهْرُ زَمَانًا عَنْهُمُ ... ثُمَّ أَبْكَاهُمْ دَمًا حِينَ نَطَقْ وَقَدْ كَانَ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ يُجْرِي عَلَى سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ كُلَّ شَهْرٍ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَكَانَ سُفْيَانُ يَدْعُو لَهُ فِي سُجُودِهِ يَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنَّهُ قَدْ كَفَانِي أَمْرَ دُنْيَايَ فَاكْفِهِ أَمْرَ آخِرَتِهِ. فَلَمَّا مَاتَ يَحْيَى رَآهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ لَهُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ قَالَ: غَفَرَ لِي بِدُعَاءِ سُفْيَانَ. وَقَدْ كَانَتْ وَفَاةُ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، فِي الْحَبْسِ بِالرَّافِقَةِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ سَبْعِينَ سَنَةً، وَصَلَّى عَلَيْهِ ابْنُهُ الْفَضْلُ، وَدُفِنَ عَلَى شَطِّ الْفُرَاتِ. وَقَدْ وُجِدَ فِي جَيْبِهِ رُقْعَةٌ مَكْتُوبٌ فِيهَا بِخَطِّهِ: قَدْ تَقَدَّمَ الْخَصْمُ وَالْمُدَّعَى
পৃষ্ঠা - ৮২৯৬
عَلَيْهِ بِالْأَثَرِ، وَالْحَاكِمُ الْحَكَمُ الْعَدْلُ الَّذِي لَا يَجُورُ، وَلَا يَحْتَاجُ إِلَى بَيِّنَةٍ. فَحُمِلَتْ إِلَى الرَّشِيدِ، فَلَمَّا قَرَأَهَا مَا زَالَ يَبْكِي يَوْمَهُ ذَلِكَ، وَبَقِيَ أَيَّامًا يُتَبَيَّنُ الْأَسَى فِي وَجْهِهِ. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ هَذَا: سَأَلْتُ النَّدَا هَلْ أَنْتَ حُرٌّ فَقَالَ لَا ... وَلَكِنَّنِي عَبْدٌ لِيَحْيَى بْنِ خَالِدِ فَقُلْتُ شِرَاءً؟ قَالَ لَا بَلْ وِرَاثَةً ... تَوَارَثَنِي عَنْ وَالِدٍ بَعْدَ وَالِدِ