আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وثمانين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮২৮৪



“আল্লাহ্র কসম ! আমার রোগ নির্ণয় ও ব্যবস্থাপত্র প্রদানে আমার চিকিৎসক ক্লান্ত হয়ে
গিয়েছে ৷ অচিরেই মৃত্যুর শোক সংবড়াদ’ শোনা যাবে ৷ যা ঘোষিত হবে বন্ধু ও শত্রুর
উদ্দেশ্যে ৷ ”

এ বছরে আরও ইনতিকাল করেন আবীর ইবন আবদুল হড়ামীদ, রুশৃদ ইবন সাদ, আবদা
ইবন সুলায়মান উকৰা ইবন খালিদ আবিদ উমর ইবন আইউব ৷ যিনি ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল

(র)-এর মড়াশাইখদের অন্যতম এবং একটি বর্ণনা মতে ঈসা ইবন ইউনুসও এ বছরেই ইনতিকাল
করেন

১৮৯ হিজরীৱ আগমন

এ সনের প্রারম্ভকালে হারুনুর রশীদ হজ্জ থেকে ফিরে এসে রায় অভিমুখে সফর করেন এবং
প্রশাসনে রদবদলের জন্য নিয়োগ ও বরখাস্ত করেন ৷ এ ধারায় আলী ইবন ঈসাকে খুরাসানের
প্রশাসক পদে পুনঃনিয়েম্পো প্রদান করেন ৷ এসব অঞ্চলের শাসকগণ ফসল হরেক রকমের জন্য
ও সম্পদের হাদিয়া-তােহ্ফা নিয়ে তার নিকট সমবেত হয় ৷ পরে খলীফা বাগদাদ অভিমুখে
প্রত্যাবর্তন করেন ৷ পথিমধ্যে কামরুল লুসুস-এ ঈদুল আযহা সমাগত হলে সেখানেই কুরবানীর
অনুষ্ঠান উদযাপন করেন এবং যিলহরুজ্জর তিন দিন অবশিষ্ট থাকাকালে বাগদাদে প্রবেশ করেন ৷
পুল অতিক্রম করার সময় তিনি জাফর ইবন ইয়াহ্ইয়া বারকামীর মৃতদেহ নামিয়ে ফেলার
আদেশ দেন ৷ সেটি নামিয়ে পােড়ানাে হয় ও পরে দাফন করা হয় ৷ লাশটি নিহত হওয়ার সময়
হতে এদিন পর্যন্ত শুলীবিদ্ধ অবস্থায় ছিল ৷

তারপর হারুনুর রশীদ আর রাক্কায় (আর-রশীদ নগরী) বসবাস করার উদ্দেশ্যে বাগদাদ
ত্যাগ করেন ৷ রাক্কায় অবস্থানে তার উদ্দেশ্য ছিল সেখানকার সত্রাসীদের দমন করা ৷ অন্যথায়
বাগদাদ ও তার মনােরম আবহাওয়া পরিবেশের জন্য তার মনে দুঃখবোধ ছিল ৷ বিষয়টি আব্বাস
ইবনুল আহনাফের কবিতায় ফুটে উঠেছে ৷ খলীফার সংগে বাগদাদ ত্যাগ প্রসংগে আব্বাসের
কবিতায় আছে-

এাব্র১শ্র্শ্ব! ৰু
আমরা (হজ্জ থেকে ফিরে এসে) উট বসাতে না বসাতেই (অবিলম্বে) পুনরায়য় চলতে শুরু

করলাম ৷ এমন যে, আমাদের উট বসানো ও প্ৰস্থানের মধ্যে ব্যবধান রেখা ছিল না ৷’

আমরা আগমন করলে লোকেরা আমাদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করল ৷ আমরা
বিদায়কে তাদের জিজ্ঞাসার (জবাবের) সংগে সংযুক্ত করে দিলাম ৷

এ বছরই হফ্টরুনুর রশীদ রোমানদের হাতে বন্দী মুসলমানদের বন্দী বিনিময় করে মুক্ত করে
আনলেন ৷ এমনকি লোকেরা বলতে লাগল যে, সেখানে একজন মুসলিম বব্দীও অবশিষ্ট রাখলেন
না ৷ এ প্রসংগে কোন করি বলেছেন-


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا رَجَعَ الرَّشِيدُ مِنَ الْحَجِّ، وَسَارَ إِلَى الرَّيِّ، فَوَلَّى وَعَزَلَ وَقَطَعَ وَوَصَلَ، وَرَدَّ عَلِيَّ بْنَ عِيسَى إِلَى وِلَايَةِ خُرَاسَانَ، وَجَاءَهُ نُوَّابُ تِلْكَ الْبُلْدَانِ بِالْهَدَايَا وَالتُّحَفِ مِنْ سَائِرِ الْأَشْكَالِ وَالْأَلْوَانِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى بَغْدَادَ فَأَدْرَكَهُ عِيدُ الْأَضْحَى بِقَصْرِ اللُّصُوصِ، فَضَحَّى عِنْدَهُ، وَدَخَلَ بَغْدَادَ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَلَمَّا اجْتَازَ بِالْجِسْرِ أَمَرَ بِجُثَّةِ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى الْبَرْمَكِيِّ، فَأُحْرِقَتْ، وَكَانَتْ مَصْلُوبَةً مُنْذُ قَتَلَهُ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ، ثُمَّ ارْتَحَلَ الرَّشِيدُ مِنْ بَغْدَادَ إِلَى الرَّقَّةِ وَهُوَ مُتَأَسِّفٌ عَلَى بَغْدَادَ وَطِيبِهَا، وَإِنَّمَا مُرَادُهُ بِمُقَامِهِ بِالرَّقَّةِ رَدْعُ الْمُفْسِدِينَ بِهَا، وَقَدْ قَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْأَحْنَفِ فِي سُرْعَةِ خُرُوجِهِمْ مِنْ بَغْدَادَ مَعَ الرَّشِيدِ: مَا أَنَخْنَا حَتَّى ارْتَحَلْنَا فَمَا نُ ... فَرِّقُ بَيْنَ الْمُنَاخِ وَالْإِرْتِحَالِ سَاءَلُونَا عَنْ حَالِنَا إِذْ قَدِمْنَا ... فَقَرَنَّا وَدَاعَهُمْ بِالسُّؤَالِ وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فَادَى الرَّشِيدُ الْأُسَارَى مِنَ الْمُسْلِمِينَ الَّذِينَ كَانُوا بِبِلَادِ الرُّومِ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ بِهَا أَسِيرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. فَقَالَ فِيهِ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ الْأَلِبَّاءِ: وَفُكَّتْ بِكَ الْأَسْرَى الَّتِي شُيِّدَتْ ... لَهَا مَحَابِسُ مَا فِيهَا حَمِيمٌ يَزُورُهَا عَلَى حِينِ أَعْيَا الْمُسْلِمِينَ فِكَاكُهَا ... وَقَالُوا سُجُونُ الْمُشْرِكِينَ قُبُورُهَا
পৃষ্ঠা - ৮২৮৫


নৌ
তোমাকে দিয়ে মুক্তি লাভ করল যে বন্দী দল যাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল কঠিন
কারাগার ৷ যেখানে কোন বন্ধুর সাক্ষাত লাভ করা যেত না ৷ এমন এক কঠিন সময়ে যখন তাদের

মুক্ত করার বিষয়টি মুসলমানদের অপারগ করে দিয়েছিল এবং লোকেরা বলাবলি করছিল,
মুশরিকদের কারাগারগুলােই হবে বন্দীদের কবর ৷’

এ বছর রোমানদের অবরোধ করার উদ্দেশ্যে আল কাসিম ইবনুর রশীদ মারজ দাবিক
সীমান্তে সেনা সমাবেশ করেন ৷ এ বছর আব্বাস ইবন মুসা ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন
বআদ্বল্পাহ্ ইবন৷ অ ৷ব্বাস (রা) এর পরিচালনায় মুসলমানরা হজ্জ সম্পদান করে ৷

এ বছরে যেসব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ইনতিকাল হয় তাদের সম্পর্কে আলোচনা

এদের মধ্যে রয়েছেন বিখ্যাত ব্যাকরণবিদ আবুল হাসান আলী ইবন হামযা ইবন আবদুল্লাহ
ইবন ফীরোয মাওলা (মিত্রতা) সুত্রে আসাদী এবং কিসাঈ নামে সমধিক পরিচিত ৷ এ পরিচিতির
কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনি মাত্র এক চাদরে (কিসা’ অর্থ চাদর) ইহরাম ৰ্বা ধার কারণে এবং
মতান্তরে তীর শায়খ হামযা আয্-যায়্যান্থতর দরবারে এক কাপড়ে অবস্থানের কারণে তিনি এ নামে
পরিচিতি লাভ করেন ৷ তিনি ছিলেন একাধারে অভিধান (লুগাত ও ভাষা)-বিদ ৷ ব্যাকরণবিদ ও
প্রখ্যাত কিরাআত বিশেষজ্ঞ সাত ইমামের অন্যতম ৷ তার মুল নিবাস ছিল কুফায় ৷ পরে তিনি
বাগদাদের নিবাসী হন ৷ তিনি হারুনুর রশীদ ও তার পুত্র আল-আমীনের গৃহ শিক্ষক ছিলেন ৷

তিনি ইলমুল কিরাআত শিক্ষা করেছিলেন হামযা ইবন হাবীব আঘৃ-যায়্যাতের নিকটে ৷ প্রথম
দিকে তিনি উসৃতাদের কিরাআত অনুসরণে পাঠদান করতেন ৷ পরে তিনি নিজস্ব কিরাআত পদ্ধতি
গ্রহণ করে তদনুসারে পাঠদান করেন ৷ আবু বক্র ইবন আইয়াশ, সুফিয়ান ইবন উয়ায়না প্রমুখ
হতে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তার নিকট হতে রিওয়ায়াত করেছেন ইয়াহ্ইয়া ইবন যিয়াদ

আল-ফাররা, আবু উবা ৷য়দ প্রমুখ ৷

ইমাম শাফিঈ বলেছেন, কেউ নাহু আহরণ করতে চাইলে তাকে কিসাঈর ঋণ গ্রহণ করতে
হবে ৷’ কিসাঈ নাহ শাস্ত্র নাহুবিদ ইমাম খলীলের নিকট শিক্ষা করেছেন ৷ একদিন তিনি উসতাদকে
জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি এ ইলম কার কাছে শিখেছেন ৷ খলীল বললেন, হিজাজের বেদুঈনদের
কাছে ৷ তখন কিসা ঈ হিজাজের পল্লী অঞ্চলে চলে গেলেন এবং মুল আ ৷রবী বেদুঈনদের নিকট
হতে অনেক কিছু লিপিবদ্ধ করলেন ৷ পরে তিনি উসত ৷দ খলীলের কাছে ফিরে এলে দেখতে
পেলেন যে তিনি ইনতিক৷ ৷ল করেছেনত তার স্থানে ইউনুস শীর্ষ আসন দখল করে নিয়েছেন ৷ এতে
তাদের দু জনের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক একাধিক তর্কবিবাদ অনুষ্ঠিত হল এবং অবশেষে ইউনুস তার
গ্রেষ্ঠতু স্বীকার করে নিয়ে তাকে তার আসনে অধিষ্ঠিত করলেন ৷

কিসাঈ বলেছেন, একদিন আমি হারুনুর রশীদকে নিয়ে সালাত আদায় করছিলাম ৷ তখন
আমার কিরাআত আমাকে মােহিত করল এবং আমি এমন একটি ভুল করলাম যে ভুল শিশুরাও

করে না ৷ আমি পড়ে ফেললাম ৷ হারুনুর রশীদ


وَفِيهَا رَابَطَ الْقَاسِمُ ابْنُ هَارُونَ الرَّشِيدِ بِمَرْجِ دَابِقٍ مُحَاصِرًا الرُّومَ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ الْعَبَّاسُ بْنُ مُوسَى بْنِ عِيسَى بْنِ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ. [ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] عَلِيُّ بْنُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ فَيْرُوزَ أَبُو الْحَسَنِ الْأَسَدِيُّ مَوْلَاهُمُ، الْكُوفِيُّ الْمَعْرُوفُ بِالْكِسَائِيِّ ; لِإِحْرَامِهِ فِي كِسَاءٍ، وَقِيلَ: لِاشْتِغَالِهِ عَلَى حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ فِي كِسَاءٍ. النَّحْوِيُّ اللُّغَوِيُّ أَحَدُ أَئِمَّةِ الْقُرَّاءِ، أَصْلُهُ مِنَ الْكُوفَةِ، ثُمَّ اسْتَوْطَنَ بَغْدَادَ، فَأَدَّبَ الرَّشِيدَ وَوَلَدَهُ الْأَمِينَ، وَقَدْ قَرَأَ عَلَى حَمْزَةَ بْنِ حَبِيبٍ الزَّيَّاتِ قِرَاءَتَهُ، وَكَانَ يُقْرِئُ بِهَا، ثُمَّ اخْتَارَ لِنَفْسِهِ قِرَاءَةً، فَكَانَ يَقْرَأُ بِهَا. رَوَى عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ وَسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَغَيْرِهِمَا، وَعَنْهُ يَحْيَى بْنُ زِيَادٍ الْفَرَّاءُ وَأَبُو عُبَيْدٍ. وَقَدْ قَالَ الشَّافِعِيُّ: مَنْ أَرَادَ أَنْ يَتَبَحَّرَ فِي النَّحْوِ فَهُوَ عِيَالٌ عَلَى الْكِسَائِيِّ.
পৃষ্ঠা - ৮২৮৬
وَقَدْ كَانَ الْكِسَائِيُّ أَخَذَ عَنِ الْخَلِيلِ صِنَاعَةَ النَّحْوِ، فَسَأَلَهُ يَوْمًا: عَمَّنْ أَخَذْتَ هَذَا؟ قَالَ: مِنْ بَوَادِي الْحِجَازِ. فَرَحَلَ الْكِسَائِيُّ إِلَى هُنَاكَ، فَكَتَبَ عَنِ الْعَرَبِ شَيْئًا كَثِيرًا، ثُمَّ عَادَ - وَمِنْ هِمَّتِهِ الْعَوْدُ - إِلَى الْخَلِيلِ، فَإِذَا هُوَ قَدْ مَاتَ، وَتَصَدَّرَ فِي مَوْضِعِهِ يُونُسُ، فَجَرَتْ بَيْنَهُمَا مُنَاظَرَاتٌ أَقَرَّ لَهُ فِيهَا يُونُسُ وَأَجْلَسَهُ فِي مَوْضِعِهِ. قَالَ الْكِسَائِيُّ: صَلَّيْتُ يَوْمًا بِالرَّشِيدِ، فَأَعْجَبَتْنِي قِرَاءَتِي، فَغَلِطْتُ غَلْطَةً مَا غَلِطَهَا صَبِيٌّ، أَرَدْتُ أَنْ أَقُولَ: {لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ} [الأعراف: 168] . فَقُلْتُ: لَعَلَّهُمْ يَرجِعِينَ. فَمَا تَجَاسَرَ الرَّشِيدُ أَنْ يَرُدَّهَا، لَكِنْ لَمَّا سَلَّمْتُ قَالَ: أَيُّ لُغَةٍ هَذِهِ؟ فَقُلْتُ: إِنَّ الْجَوَادَ قَدْ يَعْثُرُ. فَقَالَ: أَمَّا هَذَا فَنَعَمْ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَقِيتُ الْكِسَائِيَّ فَإِذَا هُوَ مَهْمُومٌ، فَقُلْتُ: مَا لَكَ؟ فَقَالَ: إِنَّ يَحْيَى بْنَ خَالِدٍ قَدْ وَجَّهَ إِلَيَّ يَسْأَلُنِي عَنْ أَشْيَاءَ، فَأَخْشَى مِنَ الْخَطَأِ. فَقُلْتُ لَهُ: قُلْ مَا شِئْتَ فَأَنْتَ الْكِسَائِيُّ. فَقَالَ: قَطْعُهُ اللَّهُ - يَعْنِي لِسَانَهُ - إِنْ قُلْتُ مَا لَمْ أَعْلَمْ. وَقَالَ الْكِسَائِيُّ: قُلْتُ يَوْمًا لِنَجَّارٍ: بِكَمْ هَذَانَ الْبَابَانِ؟ فَقَالَ: بَسَلْحَتَانِ يَا مَصْفَعَانِ. تُوُفِّيَ الْكِسَائِيُّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى الْمَشْهُورِ، عَنْ سَبْعِينَ سَنَةً. وَكَانَ فِي
পৃষ্ঠা - ৮২৮৭

তাতে লুকমা দিতে দুঃসাহসী হলেন না ৷ আমি সালাত ফেরাবার পর তিনি বললেন, এটি আবার
কোন লুগ৷ ত (কোন গোত্রের ভাষা) ? আমি বললাম চৌকস ঘোড় সওয়ারও কখনও পিছলে
পড়ে ৷ হারুন বলল, তা হলে তাে কিছু বলার নেই ৷

কেউ কেউ বলেছেন, আমি একবার কিসাঈর সংগে সাক্ষাত করলাম ৷ ভীকে চিস্তিত দেখতে

পেয়ে আমি বললাম, আপনার কী হয়েছে ? তিনি বললেন, উষীর ইয়াহ্ইয়া ইবন খড়ালিদ আমাকে
সংবাদ পাঠিয়েছেন ৷ তিনি আমার কাছে কোন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবেন ৷ আমার ভুল করে
ফেলার ভয় হচ্ছে ৷ আমি বললাম, আপনার যা ইচ্ছা জবাব দিবেন ৷ আপনি তো কিসাঈ ৷ তিনি
বললেন, আল্লাহ্ যেন সেটিকে — অর্থাৎ তার জিহ্বাকে কোট দেন ৷ যদি আমি এমন কিছু বলি যা

আমি জানি না ৷ একদিন কিসাঈ এক কাঠ মিদ্রীকে বললেন, এ দরজা দু’টির দাম কত ? ণ্ৰু)

( ট্রু, হে চড় থেকো ( অধিক ভুল
করার কারণে যে সাধারণত অধিক পরিমাণে চড়-থাপ্পর থেয়ে থাকে ৷ দুই সালিজ-এর বদলে ৷
(অর্থাৎ কিসা তীর প্রশ্নে ব্যাকারণগত ভুল করার কারণে মিশ্ৰী ও ইচ্ছা করে ব্যাকরণে ভুল করে
উত্তর দিল এবং কিসাঈ চড়-থাপ্পড় খেতে অভ্যস্ত হওয়ার ইংগিত করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন
করল) ৷

প্রসিদ্ধ মতে কিসাঈ এ বছর (১ ৭৯ হি ) ইনতিকাল করেন ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল সত্ত্বর
বছর ৷ এ সময় তিনি রায় অঞ্চলে হারুনুর রশীদের সংগে ছিলেন ৷ রায় অঞ্চলে একই দিনে
কিসাঈ ও ইমাম মুহাম্মদ ইবনুল হাসান (র)-এর মৃত্যু হয় ৷ এ সম্পর্কে হারুনুর রশীদ বলতেন,
ফিকাহ্ ও আরবী ভাষাকে আমি রায় এ দাফন করেছি ৷ ইবন খাল্লিকান বলেছেন, কারো কারো
মতে কিসাঈ দৃইশ বিরাশি হিজরীতে তুস শহরে ইনতিকাল করেন ৷ কিসাঈর মৃত্যুর পর কেউ
তীকে স্বপ্নে দেখল , তীর চেহারা ছিল পুর্ণিমাৱ চাদের ন্যায় ৷ যে তাকে জিজ্ঞাসা করল, আপনার
মালিক আপনার সংগে কি আচরণ করেছেন ? কিসাঈ বললেন কুরআনের ওসীলায় আমাকে
মাগফিরাত দান করেছেন ৷ আমি বললাম , হামযা-র অবস্থা কি ? কিসাঈ বললেন, তার অবস্থান
তো ইল্লিফ্রীনে (সুউচ্চ মাকামে) আমরা তাকে দুরে অবস্থানকারী তারকার (গ্রহের) ন্যায়
দেখতে পাই ৷

ইমাম মুহাম্মদ ইবনুল হাসান ইবন যুফার (র)

এ বছরে যীদের ইনতিকাল হয় তাদের মধ্য উল্লেখযোগ্যদের তালিকায় অন্যতম ইমাম
আবু হানীফা (র)-এর বিশিষ্ট ছাত্র আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনুল হাসান (ইমাম মুহাম্মদ)
আশ-শায়বানী মাওলা সুত্রে শায়বান গোত্রের ৷ তীর মুল নিবাস ছিল দামেশকের কোন জনপদে ৷
তার পিতা ইরাকে আগমন করেন এবং একশ বত্রিশ হিজরীতে ওয়াসিতে ইমাম মুহাম্মদ জন্মগ্রহণ
করেন ৷ তিনি কুফায় লালিত হন ৷ আবু হানীফা, মিসআর ,সাওরী , উমর ইবন বাবুর ও মালিক ইবন
মিসওয়াল (র) প্রমুখের কাছে শিক্ষা লাভ করেন ৷ ইমাম মালিক ইবন আনাস, আওযাঈ ও আবু
ইউসুফ (র) প্রমুখ হতে হাদীস ও ফিকাহ্ লিপিবদ্ধ করেন ৷ তিনি বাগদাদে বসবাস করেন এবং
সেখানে হাদীসের দরস দান করেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) বাগদাদ আগমন করলে একশ চৌরাশি
হিজরীতে ইমাম মুহাম্মদের নিকট হতে ইলুম লিপিবদ্ধ করেন ৷


صُحْبَةِ الرَّشِيدِ بِبِلَادِ الرَّيِّ، فَمَاتَ بِنَوَاحِيهَا هُوَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ أَيْضًا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، فَكَانَ الرَّشِيدُ يَقُولُ: دَفَنْتُ الْفِقْهَ وَالْعَرَبِيَّةَ بِالرَّيِّ. قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ: وَقِيلَ: إِنَّ الْكِسَائِيَّ تُوُفِّيَ بِطُوسَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَأَى بَعْضُهُمُ الْكِسَائِيَّ فِي الْمَنَامِ وَوَجْهُهُ كَالْبَدْرِ، فَقَالَ لَهُ: مَا فَعَلَ رَبُّكَ بِكَ؟ فَقَالَ: غَفَرَ لِي بِالْقُرْآنِ. فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ حَمْزَةُ؟ قَالَ: ذَاكَ فِي عِلِّيِّينَ، مَا نَرَاهُ إِلَّا كَمَا نَرَى الْكَوْكَبَ. مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ فَرْقَدٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الشَّيْبَانِيُّ مَوْلَاهُمْ، صَاحِبُ أَبِي حَنِيفَةَ، أَصْلُهُ مِنْ قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى دِمَشْقَ، قَدِمَ أَبُوهُ الْعِرَاقَ، فَوُلِدَ بِوَاسِطَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَنَشَأَ بِالْكُوفَةِ، فَسَمِعَ مِنْ أَبِي حَنِيفَةَ، وَمِسْعَرٍ، وَالثَّوْرِيِّ، وَعُمَرَ بْنِ ذَرٍّ، وَمَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، وَكَتَبَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَأَبِي يُوسُفَ، وَسَكَنَ بَغْدَادَ وَحَدَّثَ بِهَا، وَكَتَبَ عَنْهُ الشَّافِعِيُّ حِينَ قَدِمَهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ وَقْرَ بَعِيرٍ، وَوَلَّاهُ الرَّشِيدُ قَضَاءَ الرَّقَّةِ، ثُمَّ عَزَلَهُ وَخَرَجَ مَعَ الرَّشِيدِ إِلَى الرَّيِّ فَمَاتَ بِهَا.
পৃষ্ঠা - ৮২৮৮
وَكَانَ يَقُولُ لِأَهْلِهِ: لَا تَسْأَلُونِي حَاجَةً مِنْ حَاجَاتِ الدُّنْيَا فَتَشْغَلُوا قَلْبِي، وَخُذُوا مَا شِئْتُمْ مِنْ وَكِيلِي، فَإِنَّهُ أَقَلُّ لِهَمِّي وَأَفْرَغُ لِقَلْبِي. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: مَا رَأَيْتُ حَبْرًا سَمِينًا مِثْلَهُ، وَلَا رَأَيْتُ أَخَفَّ رُوحًا مِنْهُ، وَلَا أَفْصَحَ مِنْهُ، كُنْتُ إِذَا سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ كَأَنَّ الْقُرْآنَ نَزَلَ بِلُغَتِهِ. وَقَالَ أَيْضًا: مَا رَأَيْتُ أَعْقَلَ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ، كَانَ يَمْلَأُ الْعَيْنَ وَالْقَلْبَ. قَالَ الطَّحَاوِيُّ: كَانَ الشَّافِعِيُّ قَدْ طَلَبَ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ كِتَابَ السِّيَرِ، فَلَمْ يُجِبْهُ إِلَى الْإِعَارَةِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: قُلْ لِلَّذِي لَمْ تَرَ عَيْ ... نَا مَنْ رَآهُ مِثْلَهُ حَتَّى كَأَنَّ مَنْ رَآهُ ... قَدْ رَأَى مَنْ قَبْلَهْ الْعِلْمُ يَنْهَى أَهْلَهُ أَنْ يَمْنَعُوهُ أَهْلَهْ ... لَعَلَّهُ يَبْذُلُهُ لِأَهْلِهِ لَعَلَّهْ قَالَ: فَوَجَّهَ بِهِ إِلَيْهِ فِي الْحَالِ هَدِيَّةً لَا عَارِيَّةً. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ: قُلْتُ لِأَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ هَذِهِ الْمَسَائِلُ
পৃষ্ঠা - ৮২৮৯
الدِّقَاقُ مِنْ أَيْنَ هِيَ لَكَ؟ قَالَ: مِنْ كُتُبِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ. وَكَانَتْ وَفَاةُ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ وَالْكِسَائِيِّ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَقَالَ الرَّشِيدُ: دَفَنْتُ الْيَوْمَ اللُّغَةَ وَالْفِقْهَ جَمِيعًا. وَكَانَ عُمْرُ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ ثَمَانِيًا وَخَمْسِينَ سَنَةً.