আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثمانين ومائة

وممن توفي فيها من الأعيان

وممن توفي فيها من الأعيان

পৃষ্ঠা - ৮২৭৬


জাফরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়৷ হয়েছিল একশত সাতা ৷শি হিজরী সনের সফর মাসের সুচনায়
শনিবার রাতে ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল সাইত্রিশ বছর এবং এর মধ্যে সাত ব বছর৩ তিনি
প্রধা ৷নমন্তী ছিলেন ৷

(জা ফর পরিবারের করুণ পরিণতি এমন হয়েছিল যে, ) এক ঈদুল আযহার দিনে জাফরের
মা আব্বাস৷ শীত নিবারণের জন্য মানুষের কাছে একটি দৃম্বার চামড়ার সাহায্য প্রার্থনা করছিল ৷
লোকেরা তাকে তাদের পুর্বেকার প্রাচুর্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, এমনি এক দিনে
আমার অবস্থা এমন ছিল যে , আমার শিয়রে চারশ বাদী আমার সেবার জন্য দাড়িয়ে থাকত ৷ আর
আমি বলতাম, আমার ছেলে জাফর মাতৃভক্ত পুত্র নয় ৷

খতীব বাগদাদী তার সনদে বর্ণনা করেছেন, হারুনুর রশীদ কর্তক জা ফরকে হত্যা করা এবং
বারমাকীদের উপর নেমে আসা ভাগ্য বিপর্যয়ের সংবাদ সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ (র) এর কাছে
পৌছলে তিনি কিবলামুখী হয়ে বললেন, ইয়৷ অ ৷ল্লাহ্ জাফর আমার দুনিয়ার ঝামেলা মুক্তির
জন্য যথেষ্ট হয়েছিলেন ৷ আপনি তার আখিরাতে র ঝামেলা মুক্তির জন্য যথেষ্ট হয়ে যান ৷

একটি আশ্চর্য ঘটনা

আল-মুনতাজাম কিভাবে ইবনুল জাওষী উল্লেখ করেছেন, খলীফা মামুনের কাছে এ মর্মে
সংবাদ পৌছল যে, জনৈক ব্যক্তি বারমাকীদের কবরন্থানে গিয়ে কান্নাকাটি করে ও তাদের জন্য
বিলাপ-মাতম করে ৷ খলীফ৷ তাকে নিয়ে আসা র জন্য লোক পাঠালেন ৷ সে জীবনের ব্যা ৷পারে
নিরাশ হয়ে খলীফার দরবারে প্রবেশ করল ৷ খলীফা তাকে বললেন, দৃর্ভ ৷গা তুমি এসব করছ
কেন ? লোকঢি বলল, হে আমীরুল মু মিনীন তারা আমাকে বিশাল অনুগ্ন হ করেছিল এবং
অনেক দান-দক্ষিণা দিয়েছিল ৷ খলীফ৷ বললেন, তারা তোমাকে কী দান করেছিল ? সে বলল,
আমার নাম আল-মুনযির ইবনুল মুর্গীরা ৷ আমার নিবাস দামেশকে ৷ এক সময় আমি দামেশৃকে
বিশাল সম্পদ ও প্রাচুর্যের অধিকারী ছিলাম ৷ পরে আমার যে প্রাচুর্যনিঃশেয হয়ে গেল এবং আমার
অবস্থা এমন হল যে, আমি আমার বসত বাড়িটি বেচে ফেলতে বাধ্য হলাম এবং আমি
কপর্দকশুন্য হয়ে গেলাম ৷ তখন আমার বন্ধুদের কেউ কেউ আমাকে বাগদাদে বারমাকীদের
শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিল ৷

আমি বাড়িতে গেলাম এবং আমার পরিবার পরিজনকে সংগে নিয়ে বাগদাদে পৌছলাম ৷
তখন আমার সংগে ছিল বিশে ৷র অধিক নারী ৷ আমি তাদের একটি অনাবাদ মসজিদে রেখে
সালাত আদা ৷য়ের জন্য একটি আবাদ মসজিদের উদ্দেশে ঢ বেরিয়ে পড়লাম ৷ আমি একটি মসজিদে
পৌছলাম যেখানে এমন একদল লোক ছিল যাদের চেয়ে সুন্দর চেহারার মানুষ আমি দেখিনি ৷
আমি তাদের স ×গে বসলাম এবং আমার পরিজনের ক্ষুধা মেটাবার জন্য সামান্য খাদ্য প্রার্থনা

করার কথাটি মনে মনে আওড়াতে লাগলাম ৷ কিন্তু লজ্জা আমাকে তা মুখ হতে উচ্চা ৷রণে বাধা
দিল ৷

আমার এ অবস্থায় একজন খাদিম এসে ণ্লাকদের আহ্বান জানালে তারা ৷সকলে উঠে পড়ল ৷
আমি তাদের সংগে চললাম ৷ত তারা এক বিরাট ভবনে প্রবেশ করল ৷ দেখলাম উষীর ইয়াহ্ইয়া
ইবন খালিদ সেখানে উপবিষ্ট রয়েছেন ৷ লোকেরা তার চারপাশে আসন নিল ৷ তখন তার এক


عِيَالِي يَتَمَرَّغُونَ فِي الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ فِيهَا، وَقَدْ وَصَلَ إِلَيْهِمْ مِائَةُ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَعَشَرَةُ آلَافِ دِينَارٍ، وَكِتَابٌ فِيهِ تَمْلِيكُ الدَّارِ بِمَا فِيهَا، وَبِقَرْيَتَيْنِ جَلِيلَتَيْنِ لَهُمْ، فَكُنْتُ مَعَ الْبَرَامِكَةِ فِي أَطْيَبِ عَيْشٍ، فَلَمَّا أُصِيبُوا أَخَذَ مِنِّي عَمْرُو بْنُ مَسْعَدَةَ الْقَرْيَتَيْنِ، وَأَلْزَمَنِي بِخَرَاجِهِمَا، فَكُلَّمَا لَحِقَتْنِي فَاقَةٌ قَصَدْتُ دَوْرَهُمْ وَقُبُورَهُمْ فَبَكَيْتُ عَلَيْهِمْ. فَأَمَرَ الْمَأْمُونُ بِرَدِّ الْقَرْيَتَيْنِ عَلَيْهِ وَخَرَاجِهِمَا. فَبَكَى الشَّيْخُ بُكَاءً شَدِيدًا، فَقَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: أَلَمْ أَسْتَأْنِفْ بِكَ جَمِيلًا؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنْ هُوَ مِنْ بَرَكَةِ الْبَرَامِكَةِ. فَقَالَ الْمَأْمُونُ: امْضِ مُصَاحَبًا فَإِنَّ الْوَفَاءَ مُبَارَكٌ، وَحُسْنَ الْعَهْدِ مِنَ الْإِيمَانِ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، أَبُو عَلِيٍّ التَّمِيمِيُّ، أَحَدُ أَئِمَّةِ الْعُبَّادِ، وَعَلَمُ الزُّهَّادِ، وَوَاحِدُ الْعُلَمَاءِ الْأَوْلِيَاءِ، وُلِدَ بِخُرَاسَانَ بِكَوْرَةِ أَبِيوَرْدَ، وَقَدِمَ الْكُوفَةَ وَهُوَ كَبِيرٌ، فَسَمِعَ الْأَعْمَشَ، وَمَنْصُورَ بْنَ الْمُعْتَمِرِ وَعَطَاءَ بْنَ السَّائِبِ، وَحُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَغَيْرَهُمْ، ثُمَّ انْتَقَلَ إِلَى مَكَّةَ فَتَعَبَّدَ بِهَا، وَكَانَ حَسَنَ تِلَاوَةِ الْقُرْآنِ، كَثِيرَ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ، وَكَانَ سَيِّدًا كَبِيرَ الشَّأْنِ، ثِقَةً مِنْ أَئِمَّةِ الرِّوَايَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَرَضِيَ عَنْهُ، وَلَهُ مَعَ الرَّشِيدِ قِصَّةُ مَوْعِظَتِهِ لَهُ، وَقَدْ رُوِّينَا ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৮২৭৭

ভাতিজার সংগে তার কন্যা আইশা-র আক্দ সম্পন্ন করা হল ৷ মজলিসে মিশকের টুকরা ও
আম্বরের পাত্র ছিটানাে হল ৷ এরপর খাদিমরা যেহমানদের প্রত্যেকের কাছে রুপার তৈরি এক
একটি উপহার পাত্র নিয়ে গেল ৷ যাতে ছিল এক হাজার করোর্ণা হুদ্রা ও সেই সংগে মিশক চুর্ণ ৷
লোকেরা তা নিয়ে উঠে চলে গেল ৷ আমি একাকী বসে রইলাম ৷ আমাকে দেয়া উপহার পাত্রটি
আমার সামনেই ছিল ৷ সেটি অতি মুল্যবান হওয়ার কারণে সেটি নিয়ে যেতে আমি অম্ভরে শংকা
বোধ করছিলাম ৷

উপস্থিত কেউ আমাকে বলল, তুমি এটি নিয়ে চলে যাচ্ছ না কেন ? তখন আমি হাত বাড়িয়ে
পাত্রটি তুলে নিলাম এবংার্ণমুদ্রাগুলাে আমার পকােট রাখলড়াম ও পাত্রটি বগলদাবা করে উঠে
পড়লাম ৷ আমার ভয় হচ্ছিল যে, সেটি হয়তো আমার কাছ হতে নিয়ে নেয়া হবে ৷ আমি
এদিক-সেদিক তাকাতে লাগলাম ৷ উযীর আমার অজ্ঞাতে আমাকে দেখে চলছিলেন ৷ আমি
দরজার পর্দায় কাছে পৌছলে লোকেরা তার আদেশে আমাকে তার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে গেল ৷
তখন আমি মানের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে পেলাম ৷

উযীর আমাকে বললেন, তুমি ভয় পাচ্ছ কেন ? তখন আমি আমার সব কথা তাকে বর্ণনা
করলে তিনি কেদে ফেললেন ও তীর সন্তানদের বললেন, একে নিয়ে গিয়ে তোমাদের সংগে
মিলিয়ে লও ৷ তখন একজন খড়াদিম এসে আমার কাছ হতোর্ণমুদ্র৷ ও পাত্রটি নিয়ে গেল ৷ আমি
তার সন্তানদের কাছে একের পর এক দশ দিন অবস্থান করলাম ৷ আমার মন পড়েছিল আমার
পরিজনের কাছে ৷ কিন্তু আমি তাদের কাছে ফিরে যেতে পারছিলাম না ৷ দশদিন অতিক্রান্ত হলে
খাদিম এসে আমাকে বলল, তুমি তোমার পরিবারের কাছে যাবে না ? আমি বললাম, আল্লাহর
কসম ! অবশ্যই যাব ৷ তখন খাদিম আমার সামনে হীটতে লাগল, কিন্তু পাত্র ওার্ণচড্রা আমাকে
ফিরিয়ে দিল না ৷ আমি (মনে মনে) বললাম, হায় ! এ ঘটনা যদি আমার কাছ হতে পাত্র ও
াণ্টাদ্রা নিয়ে নেয়ার আগে ঘটত ৷ হার আমার পরিবার-পরিজন যদি তা দেখতে পেত !

খাদিম আমার সামনে চলতে চলতে এমন একটি বাড়িতে পৌছল যার চেয়ে সুন্দর বাড়ি
আমি দেখিনি ৷ বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে আমি দেখলাম যে, আমার পরিবারের লোকেরা
সেখানোর্ণ (অলংকার) ও রেশমী বত্রে লুটোপুটি খাচ্ছে ৷ তারা বাড়িতে এক লাখ দিরহাম
(রৌপ্য মুদ্রা) ও দশ হাজার দীনার (ার্ণমুদ্রা) পাঠিয়ে দিয়েছে ৷ সেই সংগে সমুদয় আসবাবপত্রসহ
বাড়ির মালিকানার দলীল ও দুইটি বিরাট গ্রামের লাখেরাজ বরাদ্দপত্রও পৌছে দেয়া হয়েছে ৷

এরপর হতে আমি বারমাকীদের সংগে প্রাচুর্যময় জীবন যাপন করছিলাম ৷ তারা দৃর্ডাগ্যের
শিকার হলে আমর ইবন মাসঅদো আমার নামে প্রদত্ত গ্রাম দুইটির বরাদ্দ বাতিল করে আমার
উপর তার খারাজ (রাজা) ধার্য করে দিল ৷ এরপর হতে যখনই আমি অনটনের শিকার হই তখন
তাদের (পরিত্যক্ত) বাড়ি-ঘর ও কবরের কাছে পৌছে তাদের স্মরণে কান্নাকাটি করি ৷

এসব শুনে খলীফা মামুন গ্রাম দু’টি ফিরিয়ে দেয়ার ফরমান জারী করলেন ৷ এতে বৃদ্ধ
লোকটি কুপিয়ে কাদতে শুরু করলে মামুন বললেন, কী ব্যাপার ? আমি কী তোমার সংগে নতুন
করে সদাচরণ করলাম না ? সে বলল, তা অবশ্যই ৷ তবে তা-ও তো বারমার্কীদের বরকতে ৷
মামুন বললেন, আচ্ছা সাহচর্য অব্যাহত রাখ ৷ কেননা অংগীকার প্রতিপালন রবকতময় এবং উত্তম
সাহচর্য ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা ঈমানের অংগ ৷


مُطَوَّلًا فِي كَيْفِيَّةِ دُخُولِ الرَّشِيدِ عَلَيْهِ مَنْزِلَهُ، وَمَا قَالَ لَهُ الْفُضَيْلُ، وَعَرْضِ الرَّشِيدِ عَلَيْهِ الْمَالَ، فَأَبَى ذَلِكَ وَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ شَيْئًا، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَكَّةَ فِي هَذَا الْعَامِ، فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ شَاطِرًا يَقْطَعُ الطَّرِيقَ، وَكَانَ يَتَعَشَّقُ جَارِيَةً، فَبَيْنَمَا هُوَ ذَاتَ لَيْلَةٍ يَتَسَوَّرُ عَلَيْهَا جِدَارًا إِذْ سَمِعَ قَارِئًا يَقْرَأُ: {أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنْ تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ} [الحديد: 16] . فَقَالَ: بَلَى يَا رَبِّ. وَأَقْلَعَ عَمَّا هُوَ فِيهِ، وَرَجَعَ إِلَى خَرِبَةٍ، فَبَاتَ بِهَا فَسَمِعَ سِفَارًا يَقُولُونَ: إِنَّ فُضَيْلًا أَمَامَكُمْ يَقْطَعُ الطَّرِيقَ. فَأَمَّنَهُمْ، وَاسْتَمَرَّ عَلَى تَوْبَتِهِ، حَتَّى كَانَ مِنْهُ مَا كَانَ مِنَ السِّيَادَةِ وَالْعِبَادَةِ وَالزَّهَادَةِ، ثُمَّ صَارَ عَلَمًا يُقْتَدَى بِهِ وَيُهْتَدَى بِكَلَامِهِ وَفِعَالِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ الْفُضَيْلُ: لَوْ أَنَّ الدُّنْيَا كُلَّهَا حَلَالٌ لَا أُحَاسَبُ بِهَا، لَكُنْتُ أَتَقَذَّرُهَا كَمَا يَتَقَذَّرُ أَحَدُكُمُ الْجِيفَةَ إِذَا مَرَّ بِهَا أَنْ تُصِيبُ ثَوْبَهُ. وَقَالَ: الْعَمَلُ لِأَجْلِ النَّاسِ شِرْكٌ، وَتَرْكُ الْعَمَلِ لِأَجْلِ النَّاسِ رِيَاءٌ، وَالْإِخْلَاصُ أَنْ يُعَافِيَكَ اللَّهُ مِنْهُمَا.
পৃষ্ঠা - ৮২৭৮


হযরত ফুযায়ল ইৰ্ন ইয়ার (র)

এ সনে যাদের ইনতিকাল হয় উল্লেখযােগ্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফুযায়ল ইবন ইয়ায
আবু আলী আত্-তামীমী ৷ তিনি শীর্ষ স্থানীয় অধিক আবিদজুলের অন্যতম, প্রখ্যাত আদিম ও
ওলীগণের অন্যতম ৷ খুরাসানের দীন্দর অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন এবং বয়স্ক অবস্থায় কুফায়
আগমন করেন ৷ তিনি আমাশ, মড়ানসুর ইবনুল মু’তামির, আতা ইবনুল সাইব, হুসায়ন ইবন
আবদুর রহমান প্রমুখের কাছে থেকে হাদীস আহরণ করেন ৷ পরে মক্কায় চলে যান এবং সেখানে
ইবাদতে নিমগ্ন থাকেন ৷ তিনি ছিলেন শ্রুতিমধুর তিলাওয়াতের অধিকারী এবং অধিক পরিমাণে
সালাত-সিয়াম পালনকারী ৷ তিনি ছিলেন হাদীসের আস্থাভাজন (ছিকা) ইমামরুপে মহান নেতৃত্বের
আসনে বরিত ৷ (আল্লাহ র্তাকে রহম করুন ও তার প্ৰতি সন্তুষ্ট হোন) ৷

খলীফা হারুনুর রশীদ ও তার মধ্যে একটি দীর্ঘ ঘটনা রয়েছে যা আমরা তীর ঘরে খলীফার
আগমনের অবস্থা প্রসংগে বিশদরুপে বর্ণনা করেছি ৷ খলীফাকে ফুযায়ল ইবন ইয়ায যা বলেছিলেন
এবং হারুনুর রশীদ তাকে সম্পদ গ্রহণের অনুরোধ করলে তা গ্রহণে তার অস্বীকৃতি ইত্যাদি বিষয়
সেখানে আমরা উল্লেখ করে এসেছি ৷

এ বছরের মুহাররাম মাসে তিনি মক্কায়ইনতিকাল করেন ৷

বিভিন্ন বর্ণনায় আছে ৷ এক সময় ফুযায়ল বিপথগামী দুর্ধর্ষ ডাকাত ছিল এবং রাহাজানি করে
বেড়াত ৷ সে এক তরুণীকে প্রেম নিবেদন করত ৷ এক রাতে সে প্রেমিকার কাছে যাওয়ার জন্য
একটি দেয়াল টপকাবার সময় সে কোন কুরআন তিলাওয়াতকারীকে এ আয়াত তিলাওয়াত করতে
শুনতে পেল-

ান্’;ট্রু ৷ ;,ঠু;ার্দু৷ শ্ৰু,হু ৰু’ন্’া

“যায়৷ ঈমান এন্যেছ তাদের জন্য কি আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার সময়

এসে পৌছেনি ? (সুরা হড়াদীদ : ১৬) ৷”

তিলাওয়াতের আওয়ায কর্ণকুহরে আঘাত করলে সে আচমকা বলে উঠল, ইা, হী৷ এবং সে
তওবা করে তার পেশা ও অপকর্ম সম্পুর্ণ পরিত্যাগ করল এবং একটি অনাৰাদ স্থানে চলে গিয়ে
সেখানে রাত অতিবাহিত করল ৷ সেখানে সে একটি কাফেলার লোকদের বলতে শুনল , সাবধান ৷
সামনেই ফুযায়ল ডাকাতেৱ আস্তানা ! ফুযায়ল বের হয়ে পথিকদের নিরাপত্তা দিন এবং নিজের
তওবায় অবিচল রইল ৷ এরপর হতে তিনি ইবাদাত ও দরবেশীর শীর্ষ স্তরে উপনীত হতে লাগলেন
এবং এক সময় এমন বরেণ্য বুযুর্গে পরিণত হলেন যে মানুষ তার মাধ্যমে হিদায়াত পেতে লাগল
এবং তার বাণী ও কর্মের অনুসরণ করতে লাগল ৷

ফুযায়ল (র)-এর অমুল্য বাণী

১ সমগ দুনিয়া যদি এমন হলোল হত যে, তার জন্য আমাকে কোন হিসাব দিতে হবে না
তবুও আমি তা থেকে এমনভাবে আত্মরক্ষা করে চলতড়াম যেরুপ তোমরা মৃত দেহের পাশ দিয়ে
পথ চলার সময় তা তোমাদের কাপড়ে লেগে যাওয়ার ভয়ে সতর্কতা অবলম্বন কর ৷


وَقَالَ لَهُ الرَّشِيدُ يَوْمًا: مَا أَزْهَدَكَ! فَقَالَ: أَنْتَ أَزْهَدُ مِنِّي ; لِأَنِّي زَهِدْتُ فِي الدُّنْيَا الْفَانِيَةِ، وَأَنْتَ زَهِدْتَ فِي الْآخِرَةِ الْبَاقِيَةِ. وَمِنْ كَلَامِهِ: لَوْ أَنَّ لِي دَعْوَةً مُسْتَجَابَةً لَدَعَوْتُ بِهَا لِإِمَامِ عَامَّةٍ ; فَإِنَّهُ إِذَا صَلَحَ أَمِنَتِ الْبِلَادُ وَالْعِبَادُ. وَقَالَ: إِنِّي لَأَعْصِي اللَّهَ فَأَعْرِفُ ذَلِكَ فِي خُلِقِ حِمَارِي وَخَادِمِي. وَقَالَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا} [الملك: 2] . قَالَ: يَعْنِي أَخْلَصَهُ وَأَصْوَبَهُ ;إِنَّ الْعَمَلَ يَجِبُ أَنْ يَكُونَ خَالِصًا لِلَّهِ، وَصَوَابًا عَلَى مُتَابَعَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، وَعَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮২৭৯
مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ الْعَمِّيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْأَمِيرُ بِبِلَادِ الرُّومِ مَعَ الْقَاسِمِ ابْنِ الرَّشِيدِ فِي الصَّائِفَةِ، وَمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَأَبُو شُعَيْبٍ الْبَرَاثِيُّ الزَّاهِدُ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَكَنَ بَرَاثَا فِي كُوخٍ لَهُ يَتَعَبَّدُ فِيهِ، فَهَوِيَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِ الرُّؤَسَاءِ، فَانْخَلَعَتْ مِمَّا كَانَتْ فِيهِ مِنَ السَّعَادَةِ وَالْحِشْمَةِ، وَتَزَوَّجَتْهُ وَأَقَامَتْ مَعَهُ يَتَعَبَّدَانِ فِي ذَلِكَ الْكُوخِ حَتَّى مَاتَا، رَحِمَهُمَا اللَّهُ، وَيُقَالُ إِنَّ اسْمَهَا جَوْهَرَةُ.