আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وثمانين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮২৫৫

এ বছর যারা ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন : আল-আব্বাস ইবন মুহাম্মদ ৷
তিনি ছিলেন আর-রশীদের চাচা আল-আব্বাস ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আব্বাস ৷ তিনি ছিলেন কুরায়শদের সর্দারদের অন্যতম ৷ আর-রশীদের যুগে তিনি আল-জাযীরার
আমীর ছিলেন ৷ একদিনে আর-রশীদ তাকে ৫০ লক্ষ দিরহাম দান করেন ৷ তার নামের সাথে
সম্পর্কিত আল-আব্বাসিয়া নামক জায়গায় তাকে দাফন করা হয় ৷ তার বয়স ছিল ৬৫ বছর ৷
আল-আমীন তার জানাযার নামায পড়ান ৷ এ বছর ইন্তিকালকারীদের অন্য একজন ছিলেন
ইয়াকতীন ইবন মুসা ৷ তিনি ছিলেন আব্বাসী খিলাফতের আহবায়কদের অন্যতম ৷ তিনি ছিলেন
তীক্ষ্ণ ধী-সম্পন্ন বুদ্ধিজীবী ৷ একবার, তিনি একটি খুব বড় কৌশল অবলম্বন করেছিলেন ৷ যখন
মারওয়ানুল হিমার ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদকে হাররানে বন্দী করেছিলেন ৷ আব্বাসী খিলাফতের
আন্দোলনকারীরা কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েছিল যে তার পরে তারা কাকে নেতা নির্ধারণ করবে ?
যদি ইবরাহীমকে হত্যা করা হয় তাহলে তার পরে আন্দোলন পরিচালনা কে করবে ? তখন
ইয়াকতীন মারওয়ানের কাছে গমন করেন ৷ তিনি তার সামনে একজন ব্যবসায়ী বেশে দণ্ডায়মান
হলেন এবং বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! নিঃসন্দেহে আমি ইবরাহীম্ ইবন মুহাম্মদের কাছে
কিছু সামগ্রী বিক্রি করেছি কিন্তু তার থেকে এখনও মুল্য হস্তগত করতে পারিনি ৷ কেননা, আপনার
দুতেরা তাকে পাকড়াও করেছে ৷ যদি আমীরুল মু’মিনীন চান তাহলে তিনি আমার ও তার মধ্যে
একত্র হবার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন যাতে তার থেকে আমার দ্রব্য সামগ্রীর মুল্য আমি আদায়
করতে পারি ৷ খলীফা মারওয়ান বললেন, হয় ৷ তখন তিনি একজন গোলামসহ তাকে তার কাছে
প্রেরণ করেন ৷ যখন ইয়াকতীন তাকে দেখে ডান করে বলেন, হে আল্লাহ্ব দৃশমন ! তুমি কাকে
ওসিয়ত করছ তোমার পরে যার থেকে আমি আমার সম্পদ গ্রহণ করব ? তিনি তখন বললেন,
ইবনুল হারিছিয়া অর্থাৎ তার ভাই আবদুল্লাহ্ আল-সাফ্ফাহ ৷ তখন ইয়াকতীন আব্বাসী খিলাফতের
আহ্বানকারীদের কাছে ফিরে গেলেন এবং তাদেরকে তার অভিমতের কথা জানালেন ৷ তখন
তারা আস-সাফ্ফাহ এর হাতে বায়আত করেন ৷ এর পরের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে ৷

১৮৭ হিজরীর আগমন

এ বছর ছিল আর-রশীদের হাতে বারমাকীদের পতন ৷ তিনি জাফর ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন
খালিদ আল বারমাকীকে হত্যা করেন ৷ তাদের ঘরগুলো ধ্বংস কর দেন এবং এভাবে তাদের
নাম ও নিশানা মিটে যায় ৷ তাদের ছোট ও বড় নিঃশেষ হয়ে যায় ৷ এর কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন
মতামত দেখা যায় যা ইবন জারীর ও অন্যরা উল্লেখ করেছেন ৷ কথিত আছে যে, আর-রশী দ
একবার ইয়াহ্ইয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানকে জাফর আল-বারমাকীর কাছে সােপর্দ করেন
যাতে তিনি তাকে তার কাছে বন্দী করে রাখেন ৷ ইয়াহ্ইয়া তার সাথে সর্বদা মমতাপুর্ণ আচরণ
প্রদর্শন করতে থাকেন ৷ এরপর তিনি তাকে ছেড়ে দেন ৷ আল-ফযল ইবন রাবী,আররশীদের
কাছে এটা সম্বন্ধে পরোক্ষ নিন্দা করেন ৷ আর-রশীদ তখন তাকে বললেন, তোমার দুর্ভাগ্য,
আমার ও জাফরের মধ্যে তুমি হস্তক্ষেপ করবে না ৷ এরপর তিনি মনে মনে বলেন, যে হয়ত
আমার কথা অমান্য করে তাকে ছেড়ে দিয়েছে ৷ আর এ সম্পর্কে আমি জানি না ৷ এরপর
আর-রশীদ জাফরকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷ তিনি তার কাছে সত্য কথা বললেন ৷
আর-রশীদ তার উপর রাগাম্বিত হলেন এবং শপখ করেন যে তিনি তাকে হত্যা করবেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ٍ مَهْلِكُ الْبَرَامِكَةِ فِيهَا كَانَ مَقْتَلُ الرَّشِيدِ جَعْفَرَ بْنَ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ الْبَرْمَكِيَّ، وَدَمَارُ دِيَارِهِمْ وَانْدِثَارُ آثَارِهِمْ، وَذَهَابُ صِغَارِهِمْ وَكِبَارِهِمْ، وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي سَبَبِ ذَلِكَ عَلَى أَقْوَالٍ ذَكَرَهَا أَبُو جَعْفَرٍ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ، فَمِمَّا قِيلَ: إِنَّ الرَّشِيدَ كَانَ قَدْ سَلَّمَ يَحْيَى بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ إِلَى جَعْفَرٍ الْبَرْمَكِيِّ فَسَجَنَهُ عِنْدَهُ، فَمَا زَالَ يَحْيَى يَتَرَقَّقُ لَهُ حَتَّى أَطْلَقَهُ جَعْفَرٌ، فَنَمَّ الْفَضْلُ بْنُ الرَّبِيعِ عَلَى جَعْفَرٍ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ الرَّشِيدُ: وَيْلَكَ لَا تَدْخُلْ بَيْنِي وَبَيْنَ جَعْفَرٍ فَلَعَلَّهُ أَطْلَقَهُ عَنْ أَمْرِي وَأَنَا لَا أَشْعُرُ. ثُمَّ سَأَلَ الرَّشِيدُ جَعْفَرًا عَنْ ذَلِكَ فَصَدَقَهُ الْحَالَ، فَتَغَيَّظَ عَلَيْهِ الرَّشِيدُ وَحَلَفَ لَيَقْتُلَنَّهُ وَكَرِهَ الْبَرَامِكَةَ وَمَقَتَهُمْ وَقَلَاهُمْ بَعْدَ ذَلِكَ، بَعْدَ مَا كَانُوا أَحْظَى النَّاسِ عِنْدَهُ وَأَحَبَّهُمْ إِلَيْهِ. وَكَانَتْ أُمُّ جَعْفَرٍ وَالْفَضْلِ أُمَّهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ فَحَصَلَ لَهُمْ مِنَ الرِّفْعَةِ فِي الدُّنْيَا وَكَثْرَةِ الْمَالِ بِسَبَبِ ذَلِكَ شَيْءٌ كَثِيرٌ لَمْ يَحْصُلْ لِمَنْ قَبْلَهُمْ مِنَ الْوُزَرَاءِ وَلَا لِمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْأَكَابِرِ وَالرُّؤَسَاءِ، بِحَيْثُ إِنَّ جَعْفَرًا بَنَى دَارًا غَرِمَ عَلَيْهَا عِشْرِينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَكَانَ ذَلِكَ مِنْ جُمْلَةِ مَا نَقَمَهُ عَلَيْهِ الرَّشِيدُ. وَيُقَالُ: إِنَّ الرَّشِيدَ
পৃষ্ঠা - ৮২৫৬


অন্যদিকে তিনি বারমাকীদের ঘৃণা করতে লাগলেন ৷ এরপর তিনি তাদেরকে হত্যা করলেন ৷ আর

জনগণের মধ্যে তারাই অধিক সম্পদ অর্জন ও অধিক প্রিয় পাত্র হওয়ার পর তিনি তাদেরকে
অপসন্দ করতে লাগলেন ৷ জা ফর ও ফযলের মাতা আর-রশীদের রিদাঈ (দুধ মাতা) মাতা
ছিলেন ৷৩ তাই আর-রশীদ বারমাকীদেরকে দুনিয়াবী মর্যাদা দান করেন ও এ কারণে তাদেরকে
প্রচুর পরিমাণে সম্পদ দান করেন ৷৩ তাদের পুর্বে কোন মত্রী কিৎব৷ তাদের পরে কোন সর্দার ও
মুরবৰী এত পরিমাণ ৷সম্পদ৩ তার থেকে অর্জন করতে পারেননি ৷ উদাহরণস্বরুপ বলা যায় যে,
জ ফর একটি ঘর নির্মাণ করেছিলেন যার জন্য খরচ হয়েছিল দুই কোটি দিরহাম ৷ আর-রশীদ

তাদের প্রতি যে শাস্তি প্রয়োগ করেছিলেন তার কিঞ্চিৎ বর্ণন৷ পেশ করা হল ৷ কেউ কেউ বলেন,
আররশীদ তাদেরকে হত্যা করেছেন ৷ কারণ তিনি যখন কোন শহরে কিৎব৷ প্রদেশে যেতেন,
কিৎব৷ গ্রামে বা কোন ক্ষেত খামারের কাছে যেতেন কিংবা কোন বাগানে যেহু৩ ৩ন জিজ্ঞাসা করলে
বলা হত এটাজ জাফহুরর ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, বারমাকীরা আর-রশীদের খিলাফত বিনষ্ট
করতে ও যিনদীকী আকীদ৷ প্রকাশ করতে চেয়েছিল ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি তাদেরকে
আল-আব্বাস৷ এর কারণে হত্যা করেছেন ৷ আলিমদের মধ্যে কিছু সংখ্যক আলিম রয়েছেন হারা
এটা অস্বীকার করেন যদিও ইবন জারীর এটা উল্লেখ করেছেন ৷

ইবনুল জাওযী উল্লেখ করেন, আররশীদহুক বারমাকীদের হত্যা করার ব্যাপারে প্রশ্ন করা
হলে আর-রশীদ বলেন, যদি আমি জানতে পারি যে, আমার জামাটি এর কারণ জানে তাহলে আমি
অবশ্যই এটাকে পুড়িয়ে দেব ৷ অনুমতি ব্যতীত জা ৷ফর খলীফ৷ আর রশীদের ঘরে প্রবেশ
করতেন ৷ এমনকি যখন তিনি বিছ৷ নায় ক ৷রে৷ সাথে বিশ্রাম করতেন তখনও তিনি প্রবেশ করতে
পারতেন ৷ এটা অত্যন্ত ইঘৃয৩ আবরু ও উচ্চ মর্যাদার ব্যাপ ৷র ৷ছিল ৷

মাদকতাপুর্ণ শরাব পাহুন যারা তার সন দিত তা ৷রা জা ফরের মাধ্যমে সংগৃহীত হত ৷ হ৷ রুনুর
রশীদ তার খিলাফতের শেষের দিকে মাদক৷ ৷সক্ত হয়ে পহুড়ছিলেন ৷৩ তার পরিবারের মধ্যে তার
কাছে অধিক ৷প্ৰয় ছিল তার বোন আল-আব্বাসা বিনত আল-মাহদী ৷ তিনি তাকে নিজের কাছে
উপস্থিত রা ৷খতেন এবং জা ফর বারমাকীও তার সাথে উপস্থিত থাকতেন ৷ তিনি তাকে বিয়ে
করলেন যাতে তার দিকে নযর করাটা বৈধ হয় ৷ কিত্তু তার সাথেশ্ ৷তা ৩কর৷ হয়েছিল যে,
আর-রশীদ আব্বাসার সাথে সঙ্গম করবে না ৷ কোন কোন সময় রশীদ উঠে দ্ন্াড়াতেন এবং
দুজনকে রেখে চলে যেতেন ৷ তারা দু’জহুন শরাব পানের দরুন মাতাল হয়ে যেত ৷ প্রায় সময়
জাফর তার সাথে সঙ্গম করত ৷ একবার সে তার গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং সে একটি সন্তান জন্ম
দেয় ৷ আব্বাস৷ তার সন্তানটিহুক তার একজন দাসীর সাথে মক্কায় প্রেরণ করে ৷ আর বাচ্চাটি
সেখানে বড় হতে থাকে ৷

ইবন খাল্লিক৷ ৷ন উল্লেখ করেন, রশীদ যখন তার বোন আব্বাসাহুক জা ফর থেকে এনে বিয়ে
করেন জা ফর তাকে অত্যন্ত ভালবাসত ৷ একদিন আব্বাস৷ জা ফরের সাথে সঙ্গম করতে ইচ্ছা
করল কিত্তু জাফর আররশীদের ভয়ে এ কাজ থেকে বিরত রইল ৷ তখন আব্বাসা একটি
কৌশলের আশ্রয় নিল ৷ জা ফরের মাতা প্রতি শুক্রবার রাতে একটি সুন্দরী কুমারী ৩রুণীকে
জা ফরের কা হুছ হা ৷দিয়াস্বরুপ প্রেরণ করত ৷ আব্বাসা তার মা তাকে বলল, আমাকে একটি দাসীর
রেখে তার কাছে প্রবেশ করতে দাও ৷ এ কাজ করার জন্য সে তাকে বার বার অনুরোধ করল, যে


كَانَ لَا يَكَادُ يَمُرُّ بِبَلَدٍ وَلَا إِقْلِيمٍ فَيَسْأَلُ عَنْ قَرْيَةٍ أَوْ مَزْرَعَةٍ أَوْ بُسْتَانٍ إِلَّا قِيلَ: هَذَا لِجَعْفَرٍ. وَقِيلَ: إِنَّ الْبَرَامِكَةَ كَانُوا يُرِيدُونَ إِبْطَالَ خِلَافَةِ الرَّشِيدِ وَإِظْهَارَ الزَّنْدَقَةِ. وَقِيلَ: بِسَبَبِ الْعَبَّاسَةِ. وَمِنَ الْعُلَمَاءِ مَنْ أَنْكَرَ ذَلِكَ. وَإِنْ كَانَ ابْنُ جَرِيرٍ قَدْ ذَكَرَهُ. رَوَى ابْنُ الْجَوْزِيِّ أَنَّ الرَّشِيدَ سُئِلَ عَنِ السَّبَبِ الَّذِي مِنْ أَجْلِهِ أَهْلَكَ الْبَرَامِكَةَ فَقَالَ: لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ قَمِيصِي يَعْلَمُ ذَلِكَ لَأَحْرَقْتُهُ. وَقَدْ كَانَ جَعْفَرٌ يَدْخُلُ عَلَى الرَّشِيدِ بِغَيْرِ إِذْنٍ حَتَّى كَانَ رُبَّمَا دَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي الْفِرَاشِ مَعَ حَظَايَاهُ، وَهَذِهِ وَجَاهَةٌ عَظِيمَةٌ وَمَنْزِلَةٌ عَالِيَةٌ، وَكَانَ مِنْ أَحْظَى الْعُشَرَاءِ عَلَى الشَّرَابِ - فَإِنَّ الرَّشِيدَ كَانَ يَسْتَعْمِلُ فِي أَوَاخِرِ مُلْكِهِ الْمُسْكِرَ، وَكَأَنَّهُ الْمُخْتَلَفُ فِيهِ - وَكَانَ أَحَبَّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ أُخْتُهُ الْعَبَّاسَةُ بِنْتُ الْمَهْدِيِّ، وَكَانَ يُحْضِرُهَا مَعَهُ، وَجَعْفَرٌ الْبَرْمَكِيُّ حَاضِرٌ أَيْضًا، فَزَوَّجَهُ بِهَا لِيَحِلَّ لَهُ النَّظَرُ إِلَيْهَا، وَاشْتَرَطَ عَلَيْهِ أَنْ لَا يَطَأْهَا، فَكَانَ الرَّشِيدُ رُبَّمَا قَامَ وَتَرَكَهُمَا وَهُمَا ثَمِلَانِ مِنَ الشَّرَابِ، فَرُبَّمَا وَاقَعَهَا جَعْفَرٌ فَاتَّفَقَ حَمْلُهَا مِنْهُ فَوَلَدَتْ وَلَدًا، وَبَعْثَتْهُ مَعَ بَعْضِ جَوَارِيهَا إِلَى مَكَّةَ، فَكَانَ يُرَبَّى بِهَا. وَذَكَرَ الْقَاضِي ابْنُ خِلِّكَانَ فِي " الْوَفَيَاتِ " صِفَةً أُخْرَى فِي مَقْتَلِ جَعْفَرٍ، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا زَوَّجَ الرَّشِيدُ جَعْفَرًا مِنَ الْعَبَّاسَةِ أَحَبَّتْهُ حُبًّا شَدِيدًا، فَرَاوَدَتْهُ عَنْ نَفْسِهِ فَامْتَنَعَ أَشَدَّ الِامْتِنَاعِ مِنْ خَشْيَةِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَاحْتَالَتْ عَلَيْهِ، وَكَانَتْ أُمُّهُ
পৃষ্ঠা - ৮২৫৭
تُهْدِي إِلَيْهِ فِي كُلِّ لَيْلَةِ جُمْعَةٍ جَارِيَةً حَسْنَاءَ بِكْرًا فَقَالَتْ لِأُمِّهِ: أَدْخِلِينِي عَلَيْهِ فِي صِفَةِ جَارِيَةٍ مِنْ تِلْكَ الْجَوَارِي فَهَابَتْ مِنْ تِلْكَ، فَتَهَدَّدَتْهَا حَتَّى فَعَلَتْ، فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ وَكَانَ لَا يَتَحَقَّقُ وَجْهَهَا مِنْ مَهَابَةِ الرَّشِيدِ، فَوَاقَعَهَا فَقَالَتْ لَهُ: كَيْفَ رَأَيْتَ خَدِيعَةَ بَنَاتِ الْمُلُوكِ. فَقَالَ: وَمَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَتْ: أَنَا الْعَبَّاسَةُ. وَحَمَلَتْ مِنْ تِلْكَ اللَّيْلَةِ، فَدَخَلَ عَلَى أُمِّهِ فَقَالَ لَهَا. بِعْتِينِي وَاللَّهِ بِرَخِيصٍ. ثُمَّ إِنَّ وَالِدَهُ يَحْيَى بْنَ خَالِدٍ جَعَلَ يُضَيِّقُ عَلَى عِيَالِ الرَّشِيدِ فِي النَّفَقَةِ، حَتَّى شَكَتْهُ إِلَى الرَّشِيدِ زُبَيْدَةُ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَفْشَتْ لَهُ سِرَّ الْعَبَّاسَةِ، فَاسْتَشَاطَ غَضَبًا، وَلَمَّا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ الْوَلَدَ قَدْ أَرْسَلَتْ بِهِ إِلَى مَكَّةَ حَجَّ عَامَهُ ذَلِكَ حَتَّى تَحَقَّقَ الْأَمْرَ. وَيُقَالُ: إِنَّ بَعْضَ الْجَوَارِي نَمَّتْ عَلَيْهَا إِلَى الرَّشِيدِ، وَأَخْبَرَتْهُ بِمَا وَقَعَ مِنَ الْأَمْرِ، وَأَنَّ الْوَلَدَ بِمَكَّةَ، وَعِنْدَهُ جَوَارٍ وَمَعَهُ أَمْوَالٌ وَحُلِيٌّ كَثِيرٌ، فَلَمْ يُصَدِّقْ حَتَّى حَجَّ فِي السَّنَةِ الْحَالِيَّةِ، فَكَشَفَ عَنِ الْحَالِ، فَإِذَا هُوَ كَمَا ذَكَرَتْ تِلْكَ الْجَارِيَةُ. وَقَدْ حَجَّ فِي هَذِهِ السَّنَةِ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ الْوَزِيرُ، وَقَدِ اسْتَشْعَرَ الْغَضَبَ مِنَ الرَّشِيدِ عَلَيْهِ، فَجَعَلَ يَدْعُو عِنْدَ الْكَعْبَةِ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ يُرْضِيكَ عَنِّي سَلْبُ مَالِيَ وَوَلَدِي وَأَهْلِي فَافْعَلْ ذَلِكَ بِي، وَأَبْقِ عَلَيَّ مِنْهُمُ الْفَضْلَ. ثُمَّ خَرَجَ، فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ بَابِ الْمَسْجِدِ رَجَعَ فَقَالَ: اللَّهُمَّ وَالْفَضْلُ مَعَهُمْ، فَإِنِّي رَاضٍ بِرِضَاكَ عَنِّي وَلَا تَسْتَثْنِ مِنْهُمْ أَحَدًا. فَلَمَّا قَفَلَ الرَّشِيدُ مِنَ الْحَجِّ صَارَ إِلَى الْحِيرَةِ، ثُمَّ رَكِبَ فِي السُّفُنِ إِلَى الْعُمْرِ مِنْ أَرْضِ الْأَنْبَارِ، فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ السَّبْتِ سَلْخَ الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ أَعْنِي سَنَةَ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ أَرْسَلَ مَسْرُورًا الْخَادِمَ، وَمَعَهُ حَمَّادُ بْنُ سَالِمٍ أَبُو عِصْمَةَ فِي جَمَاعَةٍ
পৃষ্ঠা - ৮২৫৮


ভয় পেলে আব্বাসা তাকে হুমকি প্রদান করে ৷ অগত্যা যে তা করল ৷ যখন সে জাফরের কাছে
প্রবেশ করল তখন সে তার ঢেহারার প্রকৃত তত্ত্ব সম্পর্কে অবগত হতে পারল না ৷ এরপর জাফর
তার সাথে সঙ্গম করল ৷ তখন সে বলল, রাজ কন্যাদের চালাকি কি টের পেয়েছ ? আর ঐ রাতে,
সে গর্ভবতী হয় ৷ এরপর জাফর তার মায়ের কাছে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, আল্লাহ্র
শপথ ! আপনি আজ আমাকে সস্তা দ্রব্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দিলেন ৷ এরপর জাফরের পিতা
ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ আর-রশীদের পরিবারের দৈনন্দিন খরচহ্রাস করে দিতে লাগলেন ৷ ফলে
রাজ পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অনটনে পড়তে হয় যার ফলে এমনকি যুবায়দা কয়েকবার
আর রশীদের কাছে অভিযোগ উত্থাপন করেন ৷ এরপর যুবায়দা আর-রশীদের কাছে আল-
আব্বাসার গোপন তথ্য ফীস করে দেন ৷ ফলে আররশীদ রাগে উন্মাদ হয়ে পড়েন ৷ আবার যখন

ৎবাদ পেলেন যে , আব্বাসা তার সম্ভানকে মক্কায় প্রেরণ করে দিয়েছে তিনি পরবর্তী বছর হরুজ্জ
গমন করেন এবং বিষয়টি সমন্ধে সুনিশ্চিত হন ৷ কেউ কেউ বলেন, কোন দাসী তার বিরুদ্ধে
আর-বশীদের কাছে গোপনে অভিযোগ করেছিল ৷ আর যা ঘটেছে তার বিস্তা ত বর্ণনা আর
রশীদের কাছে পেশ করেছিল ৷ সম্ভানটি ছিল মক্কায়, তার কাছে ছিল খিদমতে নিয়োজিত দাসী
এবং প্রচুর ধন-সম্পদ ও অনেক অলংকারাদি ৷ আর-রশীদ পরবর্তী বছর হজ্জ করার পুর্বে তা
বিশ্বাস করেননি ৷ এরপর বিষয়টি তার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল ৷ আর এর বর্ণনা উপরে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷

আর-রশীদ যে বছর হজ্জ করেন ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদও ঐ বছর হজ্জ করেন ৷ তিনি কাবার
ভিতরে দাড়িয়ে দুআ করছিলেন, “হে আল্লাহ্ ! যদি আমার সমস্ত মান, সন্তান ও পরিবার-পরিজন
বিনষ্ট হয়ে যাওয়াটা তুমি পসন্দ কর তাহলে তুমি তাই কর ৷ আর তাদের মধ্য থেকে ফযলকে
তুমি আমার জন্য অবশিষ্ট রাখ ৷ এরপর বের হয়ে আসলেন যখন মসজিদের দরজা পর্যন্ত
আগমন করলেন তখন আবার ফিরে গেলেন এবং বললেন, “হে আল্লাহ্ ! তাদের সাথে তুমি
ফযলকেও বিনষ্ট কর ৷ আমি তোমার সভুষ্টিতে সন্তুষ্ট ৷ তুমি তাদের মধ্য থেকে কাউকে বাদ দিও
না ৷”

আররশীদ যখন হজ্জ থেকে ফিরে আসেন হীরায় গমন করেন ৷ তারপর আল-আম্বর
ভুখণ্ডের প্রত্যন্ত এলাকায় নৌঘান যােগে গমন করেন ৷ যখন শনিবার রাত আসে এ বছরের
মুহাররম মাস চলে যায়, তিনি তার খাদিম মাসরুর ও তার সাথে আবু ইসমা হাম্মড়াদ ইবন
সালিমকে একদল সৈন্যসহ প্রেরণ করেন ৷ তারা রাতের বেলায় জাফর ইবন ইয়াহ্ইয়াকে ঘেরাও
করে ফেলে ৷ তখন খাদিমমাসরুর তার কাছে গমন করেন ৷ তার কাছে ছিল বখতীশু আল-
মুতাব্বিব ; আবু রুকানা আল আমা আল-মুগান্নী আল-কালুযানী , সে ছিল তার কাজে এবং যে
ছিল আনন্দে ; আবুরুকানা গান গাচ্ছিল :

# ) শ্

অর্থাৎ নিজেকে মৃত্যু থেকে দুরে মনে করো না ৷ কেননা প্রতিটি যুবকের কাছে মৃত্যু
আগমন করবে, কারো কাছে রাতে এবং কারো কাছে সকালে ৷ ’

আল-খাদিম তাকে বলল, হে আবুল ফযল ! মৃত্যু তোমার কাছে রাতের বেলায় উপস্থিত ৷


مِنَ الْجُنْدِ فَأَطَافُوا بِجَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى لَيْلًا، فَدَخَلَ عَلَيْهِ مَسْرُورٌ الْخَادِمُ، وَعِنْدَهُ بُخْتَيَشُوعُ الْمُتَطَبِّبُ، وَأَبُو زَكَّارٍ الْأَعْمَى الْمُغَنِّي الْكَلْوَذَانِيُّ، وَهُوَ فِي أَمْرِهِ، وَأَبُو زَكَّارٍ يُغَنِّيهِ: فَلَا تَبْعَدْ فَكُلُّ فَتًى سَيَأْتِي ... عَلَيْهِ الْمَوْتُ يَطْرُقُ أَوْ يُغَادِي فَقَالَ الْخَادِمُ لَهُ: يَا أَبَا الْفَضْلِ، هَذَا الْمَوْتُ قَدْ طُرَقَكَ، أَجِبْ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَامَ إِلَيْهِ، فَقَبَّلَ قَدَمَيْهِ، وَدَخَلَ عَلَيْهِ، أَنْ يَدْخُلَ إِلَى أَهْلِهِ، فَيُوصِيَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: أَمَّا الدُّخُولُ فَلَا سَبِيلَ إِلَيْهِ، فَأَوْصَى جَعْفَرٌ وَأَعْتَقَ جَمَاعَةً مِنْ مَمَالِيكِهِ، وَجَاءَتْ رُسُلُ الرَّشِيدِ تَسْتَحِثُّ الْخَادِمَ، فَأَخْرَجَهُ إِخْرَاجًا عَنِيفًا يَقُودُهُ، حَتَّى أَتَى الْمَنْزِلَ الَّذِي كَانَ فِيهِ الرَّشِيدُ فَحَبَسَهُ وَقَيَّدَهُ بِقَيْدِ حِمَارٍ، وَأَعْلَمَ الرَّشِيدَ بِمَا كَانَ فَعَلَ، فَأَمَرَهُ بِضَرْبِ عُنُقِهِ، فَجَاءَ إِلَى جَعْفَرٍ فَقَالَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ قَدْ أَمَرَنِي أَنْ آتِيَهُ بِرَأْسِكَ، فَقَالَ: يَا أَبَا هَاشِمٍ، لَعَلَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ سَكْرَانُ، فَإِذَا صَحَا عَاتَبَكَ عَلَى ذَلِكَ، فَعَاوِدْهُ. فَرَجَعَ إِلَيْهِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَعَلَّكَ مَشْغُولٌ. فَقَالَ: وَيْحَكَ يَا مَاصَّ بَظْرِ أُمِّهِ! ائْتِنِي بِرَأْسِهِ. فَكَرَّرَ عَلَيْهِ جَعْفَرٌ الْمُعَاوَدَةَ، فَقَالَ لَهُ: بَرِئْتُ مِنَ الْمَهْدِيِّ لَئِنْ لَمْ تَأْتِنِي بِرَأْسِهِ لَأَبْعَثَنَّ مَنْ يَأْتِينِي بِرَأْسِكَ وَرَأْسِهِ. فَرَجَعَ إِلَى جَعْفَرٍ، فَحَزَّ رَأْسَهُ، وَجَاءَ بِهِ إِلَى الرَّشِيدِ، فَأَلْقَاهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَرْسَلَ الرَّشِيدُ مِنْ لَيْلَتِهِ الْبُرُدَ فِي الِاحْتِيَاطِ عَلَى الْبَرَامِكَةِ جَمِيعِهِمْ بِبَغْدَادَ وَغَيْرِهَا، وَمَنْ كَانَ مِنْهُمْ بِسَبِيلٍ فَأُخِذُوا كُلُّهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، فَلَمْ يُفْلِتْ مِنْهُمْ أَحَدٌ، وَحَبَسَ يَحْيَى بْنَ خَالِدٍ فِي مَنْزِلِهِ، وَحَبَسَ الْفَضْلَ بْنَ يَحْيَى فِي مَنْزِلٍ آخَرَ، وَأَخَذَ جَمِيعَ مَا كَانُوا يَمْلِكُونَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ، وَالْمَوَالِي، وَالْحَشَمِ، وَالْخَدَمِ، وَاحْتِيطَ عَلَى أَمْلَاكِهِمْ، وَبَعَثَ الرَّشِيدُ بِرَأْسِ جَعْفَرٍ وَجُثَّتِهِ، ثُمَّ قُطِعَتْ بِاثْنَيْنِ، فَنُصِبَ الرَّأْسُ عِنْدَ الْجِسْرِ الْأَعْلَى، وَشِقُّ الْجُثَّةِ عِنْدَ الْجِسْرِ الْأَسْفَلِ، وَشِقُّهَا الْآخَرُ عِنْدَ الْجِسْرِ الْآخَرِ، ثُمَّ أُحْرِقَتْ بَعْدَ
পৃষ্ঠা - ৮২৫৯
ذَلِكَ، وَنُودِيَ فِي بَغْدَادَ أَنْ لَا أَمَانَ لِلْبَرَامِكَةِ وَلَا لِمَنْ آوَاهُمْ، إِلَّا مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، فَإِنَّهُ اسْتَثْنَاهُ مِنْ بَيْنِ الْبَرَامِكَةِ لِنُصْحِهِ لِلْخَلِيفَةِ. وَأَتَى الرَّشِيدُ بِأَنَسِ بْنِ أَبِي شَيْخٍ - وَكَانَ يُتَّهَمُ بِالزَّنْدَقَةِ، وَكَانَ مُصَاحِبًا لِجَعْفَرٍ الْبَرْمَكِيِّ - وَذَلِكَ لَيْلَةَ قُتِلَ جَعْفَرٌ، فَدَارَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ كَلَامٌ، فَأَخْرَجَ الرَّشِيدُ سَيْفًا مِنْ تَحْتِ فِرَاشِهِ، وَأَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ بِهِ، وَجَعَلَ يَتَمَثَّلُ بِبَيْتٍ قِيلَ فِي أَنَسٍ قَبْلَ ذَلِكَ: تَلَمَّظَ السَّيْفُ مِنْ شَوْقٍ إِلَى أَنَسٍ ... فَالسَّيْفُ يَلْحَظُ وَالْأَقْدَارُ تَنْتَظِرُ فَضُرِبَتْ عُنُقُ أَنَسٍ، فَسَبَقَ السَّيْفُ الدَّمَ، فَقَالَ الرَّشِيدُ: رَحِمَ اللَّهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُصْعَبٍ. فَقَالَ النَّاسُ: إِنَّ السَّيْفَ كَانَ سَيْفَ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ. وَشُحِنَتِ السُّجُونُ بِالْبَرَامِكَةِ، وَاسْتُلِبَتْ أَمْوَالُهُمْ كُلُّهَا. وَقَدْ كَانَ الرَّشِيدُ فِي الْيَوْمِ الَّذِي قَتَلَ فِي آخِرِهِ جَعْفَرًا، هُوَ وَإِيَّاهُ رَاكِبَيْنِ فِي الصَّيْدِ، وَقَدْ خَلَا بِهِ دُونَ وُلَاةِ الْعُهُودِ، وَطَيَّبَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ بِالْغَالِيَةِ بِيَدِهِ، وَلَمَّا كَانَ وَقْتُ الْمَغْرِبِ وَوَدَّعَهُ الرَّشِيدُ، ضَمَّهُ إِلَيْهِ وَقَالَ: لَوْلَا أَنَّ اللَّيْلَةَ لَيْلَةُ خَلْوَتِي بِالنِّسَاءِ مَا فَارَقْتُكَ، فَاذْهَبْ إِلَى مَنْزِلِكَ وَاشْرَبْ وَاطْرَبْ لِتَكُونَ عَلَى مِثْلِ حَالِي. فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ لَا أَشْتَهِي ذَلِكَ إِلَّا مَعَكَ. فَانْصَرَفَ عَنْهُ جَعْفَرٌ، فَمَا هُوَ إِلَّا أَنْ ذَهَبَ مِنَ اللَّيْلِ بَعْضُهُ حَتَّى أَوْقَعَ بِهِ مِنَ الْبَأْسِ وَالنَّكَالِ مَا تَقَدَّمَ ذِكْرُهُ، وَكَانَ ذَلِكَ لَيْلَةَ السَّبْتِ آخَرَ لَيْلَةٍ مِنَ الْمُحَرَّمِ، وَقِيلَ: إِنَّهَا مُسْتَهَلُّ صَفَرٍ سَنَةَ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ. وَكَانَ عُمْرُ جَعْفَرٍ إِذْ ذَاكَ سَبْعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَلَمَّا جَاءَ الْخَبَرُ إِلَى أَبِيهِ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ بِقَتْلِهِ قَالَ: قَتَلَ اللَّهُ ابْنَهُ. وَلَمَّا قِيلَ لَهُ:
পৃষ্ঠা - ৮২৬০


তুমি আমীরুল মু’মিনীনের ডাকে সাড়া দাও ৷ জা ৷ফর খলীফ৷ ৷র দিকে যাবার জন্য উঠে দী ৷ড়াল ৷
দৃ ’পায়ে এগিয়ে গেল মন্থর গতিতে যাতে সে৩ তার পরিবারের কাছে প্রথম প্রবেশ করতে পারে ও
তাদেরকে ওসীয়ত করতে পারে ৷ কিন্তু আল-খাদিম বলল, প্রবেশের অনুমতি নেই তবে ওসীয়ত
করতে পার ৷ তখন সে ওসীয়ত করে ৷ তার সবগুলো গোলাম আযাদ করে দেয় কিত্বা কিছু
থেকে গোলাম আযাদ করে দেয় ৷ আর-রশীদের দুতগণত তাকে খোজ করার জন্য আগমন
করল ৷ এরপর তাকে জোর করে বের করা হল এবং তারা তাকে তাড়িয়ে নিয়ে চলল৷ যে ঘরে
আর-রশীদ অবন্থ ন ৷করছিলেন সেখানে তারা তাকে নিয়ে আসল ৷ আর ৷র-রশীদ তাকে বন্দী করেন
এবং গাধার ন্যায় বেধে নেন ৷ দুতগণ আ ৷র-রশীদের কাছে জানতে চাইল, এরপর তার সাথে কী
করা হবে ? তখন তার শিরচ্ছেদ করার নির্দেশ দিলেন ৷ জল্লাদ জাফরের কাছে আগমন করল
এবং বলল, নিঃসন্দেহে আমীরুল মু’মিনীন আমাকে হুকুম দিয়েছেন যেন আমি তোমার মাথা
নিয়ে৩ার কাছে গমন করি ৷ জা ফর বলল, হে আবুহাশিম ৷ সম্ভবত আমীরুল মুমিনীন মাতা ল ৷
যখন তিনি সচেতনতা ফিরে পাবেন তখন আমার সম্পর্কে তিনি তোমাকে তিরস্কার করবেন ৷
এরপর জা ফর কথাটি আবারও বলল ৷ জল্পাদ আর-রশীদের কাছে ফিরে গেল এবং বলল, যে
বলছে সম্ভবতঅ আপনি ব্যস্ত ৷ আর-রশীদ বললেন, হে মায়ের ভগাঙ্কুর চােষণকারী ! তার মাথা
আমার কাছে নিয়ে আস ৷ সে জা ফরের কথাটি পুনরাবৃত্তি করল ৷৩ ততীয় বারের সময় তা ৷ব-রশীদ
বললেন, এখন আর আমি খলীফ৷ আল-মাহদীর কাছে দায়বন্ধ নই, যদি তুমি আমার আদেশ
অমান্য কর ও তার মাথা আমার ক ৷ছে নিয়ে না আস আ ৷মি এমন ব্যক্তিকে প্রেরণ করব হুয তোমার
তার উভয়ের মাথা আমার কাছে নিয়ে আসবে ৷ এরপর জল্লাদ জাফবের কাছে ফিরে গেল
এবং তার মাথা কেটে নিল ৷ মাথা নিয়ে সে আর-রশীদের কাছে আগমন করল এবং এটা তার
সামনে রেখে দিল ৷ বাগদাদ ও অন্যান্য জায়গায় যে সব বারমাকী সদস্য বিদ্যমান ছিল তাদের
সকলকে একেবারে খতম করার জন্য লোক প্রেরণ করেন ৷ তাদের মধ্যে যাদের পাওয়া যায়
একেবারে তাদের সকলকে পাকড়াও করার জন্য হুকুম দেয়৷ হল ৷ তাদের একজনও বাকী রইল
না ৷ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদকে৩ তার ঘরে বন্দী করা হল এবং আল-ফয়ল ইবন ইয়াহ্ইয়াকে অন্য
একটি ঘরে বন্দী করা হল ৷ বারমার্কীরা যেসব পার্থিব সম্পদ হস্তণত ও কুক্ষিগত করেছিলত
সব কিছুই বাজেয়াপ্ত করা হল ৷ আর-রশীদের কাছে জাফরের মাথা ও শরীরট৷ প্রেরণ করা হল ৷
মাথাঢিকে উপরের সেতুর কাছে স্থাপন করা হল তার শরীরটাকে দু’খণ্ডে বিভক্ত করা হল এক খণ্ড
নিচের সেতুর কাছে স্থাপন করা হল এবং অন্য খণ্ডটি অন্য সেতুর কাছে স্থাপন করা হল ৷ এরপর
এগুলোকে পুড়িয়ে দেয়৷ হল ৷ বাগদা দে ঘোষণা করা হল, বা ৷রমাকীদের জন্য কো ন নিরাপত্তা (নই
এবং যারা তাদের আশ্রয় দেবে তাদের নিরাপত্তা নেই ৷৩ তবে মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ইবন
খালিদের জন্য ব্যতিক্রম হুকুম রয়েছে ৷ কেননা সে খলীফাকে সৎ উপদেশ দিয়েছিল ৷
আর-রশীদের সামনে আনাস ইবন আবুশায়খকে আনা হল ৷ কেননা সে যিনদীক বলে অভিযোগ
আনা হয়েছিল ৷ সে ছিল জাফরের বন্ধু ৷ আর-রশীদ ও তার মধ্যে বেশ কথা কাটাকাটি হয় ৷
এরপর আর-রশীদ তার বিছানার নীচে থেকে একটি তলোয়ার বের করেন এবং ঐ তরবারি দ্বারা
তাকে হত্যা করার হুকুম দেন ৷ তিনি একটি কবিতা আবৃত্তি করেন যা আমাদের হত্যা সম্পর্কে
পুবে রচিত হয়েছিলং :

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ( ১ :ম খণ্ড)-৪ ২


قَدْ خُرِّبَتْ دَارُكَ. قَالَ: خَرَّبَ اللَّهُ دَوْرَهُ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمَّا نَظَرَ إِلَى دَارِهِ وَقَدْ هُتِكَتْ سُتُورُهَا، وَاسْتُبِيحَتْ قُصُورُهَا، وَانْتُهِبَ مَا فِيهَا، قَالَ: هَكَذَا تَقُومُ السَّاعَةُ. وَقَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ بَعْضُ أَصْحَابِهِ يُعَزِّيهِ فِيمَا وَقَعَ، فَكَتَبَ جَوَابَ التَّعْزِيَةِ: أَنَا بِقَضَاءِ اللَّهِ رَاضٍ، وَبِالْخِيَارِ عَالِمٌ، وَلَا يُؤَاخِذُ اللَّهُ الْعِبَادَ إِلَّا بِذُنُوبِهِمْ، وَمَا اللَّهُ بِظَلَّامٍ لِلْعَبِيدِ، وَمَا يَغْفِرُ اللَّهُ أَكْثَرُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَقَدْ أَكْثَرَ الشُّعَرَاءُ مِنَ الْمَرَاثِي فِي الْبَرَامِكَةِ، فَمِنْ ذَلِكَ قَوْلُ الرَّقَاشِيِّ - وَيُذْكَرُ أَنَّهَا لِأَبِي نُوَاسٍ -: أَلَانَ اسْتَرَحْنَا وَاسْتَرَاحَتْ رِكَابُنَا ... وَأَمْسَكَ مَنْ يُجْدِي وَمَنْ كَانَ يَجْتَدِي فَقُلْ لِلْمَطَايَا قَدْ أَمِنْتِ مِنَ السُّرَى ... وَطَيِّ الْفَيَافِي فَدْفَدًا بَعْدَ فَدْفَدِ وَقُلْ لِلْمَنَايَا قَدْ ظَفِرْتِ بِجَعْفَرٍ ... وَلَنْ تَظْفَرِي مِنْ بَعْدِهِ بَمُسَوَّدِ وَقُلْ لِلْعَطَايَا بَعْدْ فَضْلٍ تَعَطَّلِي ... وَقُلْ لِلرَّزَايَا كُلَّ يَوْمٍ تَجَدَّدِي وَدُونَكِ سَيْفًا بَرْمَكِيًّا مُهَنَّدًا ... أُصِيبَ بِسَيْفٍ هَاشِمِيٍّ مُهَنَّدِ وَقَالَ الرَّقَاشِيُّ وَقَدْ نَظَرَ إِلَى جَعْفَرٍ وَهُوَ عَلَى جِذْعِهِ مَصْلُوبٌ: أَمَا وَاللَّهِ لَوْلَا خَوْفُ وَاشٍ ... وَعَيْنٌ لِلْخَلِيفَةِ لَا تَنَامُ لَطُفْنَا حَوْلِ جِذْعِكَ وَاسْتَلَمْنَا ... كَمَا لِلنَّاسِ بِالْحَجَرِ اسْتِلَامُ فَمَا أَبْصَرْتُ قُبْلَكَ يَابْنَ يَحْيَى ... حُسَامًا فَلَّهُ السَّيْفُ الْحُسَامُ عَلَى اللَّذَّاتِ وَالدُّنْيَا جَمِيعًا ... وَدَوْلَةِ آلِ بَرْمَكٍ السَّلَامُ
পৃষ্ঠা - ৮২৬১
قَالَ: فَاسْتَدْعَى بِهِ الرَّشِيدُ وَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ! كَمْ كَانَ يُعْطِيكَ جَعْفَرٌ كُلَّ عَامٍ؟ قَالَ: أَلْفُ دِينَارٍ. فَأَمَرَ لَهُ بِأَلْفَيْ دِينَارٍ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ عَنْ عَمِّهِ مُصْعَبٍ الزُّبَيْرِيِّ قَالَ: لَمَّا قُتِلَ جَعْفَرُ بْنُ يَحْيَى وَقَفَتِ امْرَأَةٌ عَلَى حِمَارٍ فَارِهٍ، فَقَالَتْ بِلِسَانٍ فَصِيحٍ: وَاللَّهِ لَئِنْ صِرْتَ الْيَوْمَ آيَةً فَلَقَدْ كُنْتَ فِي الْمَكَارِمِ غَايَةً. ثُمَّ أَنْشَأَتْ تَقُولُ: وَلَمَّا رَأَيْتُ السَّيْفَ خَالَطَ جَعْفَرًا ... وَنَادَى مُنَادٍ لِلْخَلِيفَةِ فِي يَحْيَى بَكَيْتُ عَلَى الدُّنْيَا وَأَيْقَنْتُ أَنَّمَا ... قُصَارَى الْفَتَى يَوْمًا مُفَارَقَةُ الدُّنْيَا وَمَا هِيَ إِلَّا دَوْلَةٌ بَعْدَ دَوْلَةٍ ... تُخَوِّلُ ذَا نُعْمَى وَتُعْقِبُ ذَا بَلْوَى إِذَا أَنْزَلَتْ هَذَا مَنَازِلَ رِفْعَةٍ ... مِنَ الْمُلْكِ حَطَّتْ ذَا إِلَى الْغَايَةِ الْقُصْوَى قَالَ ثُمَّ حَرَّكَتْ حِمَارَهَا، فَذَهَبَتْ فَكَأَنَّهَا كَانَتْ رِيحًا لَا أَثَرَ لَهَا، وَلَا يُعْرَفُ أَيْنَ ذَهَبَتْ وَذَكَرَ الشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْمُنْتَظَمِ " أَنَّ جَعْفَرًا كَانَتْ لَهُ جَارِيَةٌ يُقَالُ لَهَا: فَنْفَنَةُ. مُغَنِيَّةٌ لَمْ يَكُنْ لَهَا فِي الدُّنْيَا نَظِيرٌ، كَانَ مُشْتَرَاهَا عَلَيْهِ بِمَنْ مَعَهَا مِنَ الْجَوَارِي مِائَةَ أَلْفِ دِينَارٍ، فَطَلَبَهَا مِنْهُ الرَّشِيدُ، فَامْتَنَعَ مِنْ ذَلِكَ، فَلَمَّا قَتَلَهُ الرَّشِيدُ اصْطَفَى تِلْكَ الْجَارِيَةَ، فَأَحْضَرَهَا لَيْلَةً فِي مَجْلِسِ شَرَابِهِ، وَعِنْدَهُ
পৃষ্ঠা - ৮২৬২



অর্থাৎ আনাসের প্রতি ৩আকুল আক৷ ক্ষোয় তলোয়ারঢি যেন স্বাদ গ্রহণ করতে চায় ৷ তাই
তলোয়া র চুড়৷ ম্ভ নির্দেশের প্ৰতি তাকিয়ে রয়েছে আর ভাগ্যও অপেক্ষায় রয়েছে ৷’
এরপর আনাসের গর্দান উড়িয়ে দেয়া হল ৷ তলোয়ার রক্তের অগ্রে চলে গেল ৷ আর-রশীদ
বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুসআবকে আল্লাহ রহম করুন ৷ লোকজ নের ৷ বলে উঠল আসলে
তলােয়ারের রক্ষণাবেক্ষণ ছিল যুবায়র ইবনুল আওয়ামের জন্য ৷ এরপর কায়েদখানাগুলো
বাবমাকীদের দ্বারা ভর্তি হয়ে গেল এবং তাদের সঘুদয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল ৷ আর তাদের
থেকে আশির্বাদ ও দানগুলাে বিদায় হয়ে গেল ৷ যে দিনের শেষে জাফরকে হত্যা করা হয়েছিল
সে দিনের প্রথম অং শও জাফর এবং আর-রশীদ দু’জনই শিকারের খোজে সওযারীতে উপবিষ্ট
ছিলেন ৷ যুবরাজদের বাদ দিয়ে তারা দু জন আনন্দে বিভো ৷র ছিলেন ৷ আর রশীদ হাত ৩প্রসারিত
করেও তাকে স্বাপ ত জানান ৷ যখন মাপবিবের সময় হয় আর-রশীদ তাকে বিদায় জা যান ও তার
সাথে কােলাকুলি করেন এবং বলেন, রাষ্ক’৩ র বেলা যদি আমি না ৷রীদের সাথে একান্তে মিলিত না
হতাম তাহলে আমি তােম৷ থেকে পৃথক হতাম না ৷ তুমি তোমার ঘরে যাও, মদ পান কর, আনন্দ
কর এবং এমনতা বে সুখের জীবন যাপন কর যেমন আমি সুখের জীবন যাপন করে থাকি ৷ এ
ব্যাপারে তুমি যেন আমার ন্যায় মহা-আনন্দে যেতে থাকতে পার এটাই আমার কামনা ৷ জাফর
বললেন : আল্লাহর শপথ , হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আমি তোমাকে ছাড়া এসব আনন্দ করতে চাই
না ৷ আর-রশীদ বললেন, না, এরুপ করে৷ না নিজের ঘরে বিদায় নিয়ে ফিরে যাও ৷ এরপর
জাফর তার থেকে বিদায় নিলেন ৷ তবে রাতের একাৎশ পার হওয়ার পর বিপর্যয় সংঘটিত হল
যেমন পুর্বে বংনাি করা হয়েছে ৷ আর এ সময়টা ছিল ঘুহ৷ ররমের শেষ রাত শনিবারের রাত ৷ কেউ
কেউ বলেন, এটা ছিল এ বছরের সফর মাসের পহেলা তারিখের রাত ৷ তখন জা ফরের বয়স
ছিল ৩৭ বছর ৷ যখন৩ তার ৷৩পি ৷ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদের কাছে জ৷ ফরের নিহত হওয়ার সংবাদ
পৌছে তখন তিনি বলেন, আল্লাহ যেন তার পুত্রকে হত্যা করেন ৷ যখন তাকে বলা হল আপনার
ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে তিনি বললেন, আল্লাহ যেন তার ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে দেন ৷
কথিত আছে ইয়াহ্ইয়৷ যখন তার ঘর-বাড়িগুলাের দিকে নযর করেন যেগুলোর পর্দা ছিড়ে ফেলা
হয়েছিল এবং ভবনগুলাে ধুলিসাৎ করে দেয়া হয়েছিল আর৩ তার যা ছিল তা লুটপ ট হয়ে
গিয়েছিল ৷ তিনি বললেন, এভাবেই কিয়ামত সংঘটিত হয়ে ৷’৩ তার কোন এক সাবী’ তার উপর যে
মুসীবত আ ৷পতিত হয়েছিল তার প্ৰতি সমবেদন৷ জ্ঞাপন করে একটি পত্র লিখেছিলেন ৷ এ
সমবেদন৷ পত্রের উত্তর প্রদানকালে তিনি লিখেন, আমি আল্লাহর সিদ্ধান্তে বাযী এবং তার শক্তি
সম্বন্ধেও জ্ঞাত ৷ আল্লাহ পাপের কারণে বান্দা দের ৷৷স্তি দেন ৷ আল্লাহ তার কোন বান্দ ন্দার ৷উপর যুলুম
করেন না ৷ আল্লাহ যা ক্ষমা করেন তা প্রচুর এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য ৷ বাবমাকীদের
সম্বন্ধে বহু কবি গােকগাথা লিখেছেন ৷ আর-রাক্কাশী এ সম্বন্ধে বলেন ; কেউ কেউ বলেন :
আবুনাওয়াস বলেন :
াট্রুছুট্রুছুহু৷ ১১া৷

fl ষ্

শ্ষ্শ্ শ্ংশ্ র্চশ্ষ্ শ্


جَمَاعَةٌ مِنْ جُلَسَائِهِ وَسُمَّارِهِ وَأَحْبَابِهِ، فَأَمَرَ مَنْ مَعَهَا أَنْ يُغَنِّينَ، فَانْدَفَعَتْ كُلُّ وَاحِدَةٍ تَغَنِّي، حَتَّى انْتَهَتِ النَّوْبَةُ إِلَى فَنْفَنَةَ، فَأَمَرَهَا بِالْغِنَاءِ، فَأَسْبَلَتْ دَمْعَهَا وَقَالَتْ: أَمَّا بَعْدَ السَّادَةِ فَلَا. فَغَضِبَ الرَّشِيدُ مِنْ ذَلِكَ غَضَبًا شَدِيدًا، وَأَمَرَ بَعْضَ الْحَاضِرِينَ أَنْ يَأْخُذَهَا إِلَيْهِ فَقَدْ وَهَبَهَا لَهُ، ثُمَّ لَمَّا أَرَادَ الِانْصِرَافَ قَالَ لَهُ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ: لَا تَطَأْهَا. فَفَهِمُوا أَنَّهُ يُرِيدُ بِذَلِكَ كَسْرَهَا. فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ أَحْضَرَهَا، وَأَظْهَرَ أَنَّهُ قَدْ رَضِيَ عَنْهَا وَأَمَرَهَا بِالْغِنَاءِ، فَامْتَنَعَتْ وَأَرْسَلَتْ دُمُوعَهَا وَقَالَتْ: أَمَّا بَعْدَ السَّادَةِ فَلَا. فَغَضِبَ الرَّشِيدُ أَشَدَّ مِنَ الْأَوَّلِ، وَقَالَ: النِّطْعُ وَالسَّيْفُ. وَجَاءَ السَّيَّافُ، فَوَقَفَ عَلَى رَأْسِهَا، وَقَالَ لَهُ: إِذَا أَمَرْتُكَ ثَلَاثًا وَعَقَدْتُ أَصَابِعِي ثَلَاثًا فَاضْرِبْ. ثُمَّ قَالَ لَهَا: غَنِّي. فَبَكَتْ وَقَالَتْ: أَمَّا بَعْدَ السَّادَةِ فَلَا. فَعَقَدَ أُصْبَعَهُ الْخِنْصَرَ، ثُمَّ أَمَرَهَا الثَّانِيَةَ فَامْتَنَعَتْ، فَعَقَدَ اثْنَتَيْنِ، فَارْتَعَدَ الْحَاضِرُونَ، وَأَشْفَقُوا غَايَةَ الْإِشْفَاقِ، وَأَقْبَلُوا عَلَيْهَا يَسْأَلُونَهَا أَنْ لَا تَقْتَلَ نَفْسَهَا، وَأَنْ تُجِيبَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى مَا يُرِيدُ مِنْهَا. ثُمَّ أَمَرَهَا الثَّالِثَةَ، فَانْدَفَعَتْ تَغَنِّي: لَمَّا رَأَيْتُ الدِّيَارَ قَدْ دَرَسَتْ ... أَيْقَنْتُ أَنَّ النَّعِيمَ لَمْ يَعُدْ قَالَ: فَوَثَبَ إِلَيْهَا الرَّشِيدُ، وَأَخَذَ الْعُودَ مِنْ يَدِهَا، وَأَقْبَلَ يَضْرِبُ بِهِ وَجْهَهَا، وَرَأْسَهَا حَتَّى تَكَسَّرَ، وَأَقْبَلَتِ الدِّمَاءُ، وَتَطَايَرْنَا مِنْ حَوْلِهَا، وَحُمِلَتِ الْجَارِيَةُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ فَمَاتَتْ بَعْدَ ثَلَاثٍ. وَرُوِيَ أَنَّ الرَّشِيدَ كَانَ يَقُولُ: لَعَنَ اللَّهُ مَنْ أَغْرَانِي بِالْبَرَامِكَةِ، فَمَا وَجَدْتُ
পৃষ্ঠা - ৮২৬৩
بَعْدَهُمْ لَذَّةً وَلَا رَاحَةً وَلَا رَخَاءً، وَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنِّي شُوطِرْتُ نِصْفَ عُمْرِي وَمُلْكِي وَأَنِّي تَرَكْتُهُمْ عَلَى أَمْرِهِمْ. وَحَكَى ابْنُ خِلِّكَانَ أَنَّ جَعْفَرًا اشْتَرَى جَارِيَةً مِنْ رَجُلٍ بِأَرْبَعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَالْتَفَتَتْ إِلَى بَائِعِهَا وَقَالَتْ لَهُ: اذْكُرِ الْعَهْدَ الَّذِي بَيْنِي وَبَيْنَكَ أَنْ لَا تَأْكُلَ مِنْ ثَمَنِي شَيْئًا. فَبَكَى سَيِّدُهَا وَقَالَ: اشْهَدُوا أَنَّهَا حُرَّةٌ، وَأَنِّي قَدْ تَزَوَّجْتُهَا. فَقَالَ جَعْفَرٌ: اشْهَدُوا أَنَّ الثَّمَنَ لَهُ أَيْضًا. قَالَ: وَكَتَبَ إِلَى نَائِبٍ لَهُ: أَمَّا بَعْدُ; فَقَدْ كَثُرَ شَاكُوكَ، وَقَلَّ شَاكِرُوكَ، فَإِمَّا أَنْ تَعْدِلَ وَإِمَّا أَنْ تَعْتَزِلَ. وَمِنْ أَحْسَنِ مَا وَقَعَ مِنْهُ مِنَ التَّلَطُّفِ فِي إِزَالَةِ هَمِّ الرَّشِيدِ وَقَدْ دَخَلَ عَلَيْهِ مُنَجِّمٌ يَهُودِيٌّ، فَأَخْبَرَ أَنَّهُ سَيَمُوتُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، فَحَمَلَ الرَّشِيدُ هَمًّا عَظِيمًا، فَدَخَلَ جَعْفَرٌ فَسَأَلَ: مَا الْخَبَرُ؟ فَأُخْبِرَ بِقَوْلِ الْيَهُودِيِّ لِلْخَلِيفَةِ: أَنَّهُ سَيَمُوتُ مِنْ عَامِهِ هَذَا، فَاسْتَدْعَى جَعْفَرٌ الْيَهُودِيَّ، فَقَالَ لَهُ: كَمْ وَجَدْتَ بَقِيَ لَكَ مِنَ الْعُمْرِ؟ فَذَكَرَ مُدَّةً طَوِيلَةً، فَأَقْبَلَ عَلَى الرَّشِيدِ وَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْتُلْهُ حَتَّى تَعْلَمَ كَذِبَهُ فِيمَا أَخْبَرَ بِهِ عَنْ مَوْتِكَ، كَمَا عَلِمْتَ كَذِبَهُ فِيمَا أَخْبَرَ عَنْ عُمْرِهِ. فَأَمَرَ الرَّشِيدُ بِالْيَهُودِيِّ فَقُتِلَ، وَسُرِّيَ عَنِ الرَّشِيدِ هَمُّهُ الَّذِي كَانَ يَجِدُهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَبَعْدَ مَقْتَلِ الْبَرَامِكَةِ قَتَلَ الرَّشِيدُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ عُثْمَانَ بْنِ نَهِيكٍ، وَذَلِكَ أَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৮২৬৪

আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া ৩৩১

ট্রুাদ্বুট্রু

ট্রুব্লু;ঢ়ট্রু ণ্টুড্রু ছুাপু< ৷ ৷ ”fl ট্রুাছুঠু চু,া৷;; এ ;;; ৷হুভ্রুার্চুা৷ ট্রুাট্রুদ্বঠু


অর্থাৎ এখন আমরা বিশ্রাম নিচ্ছি আমাদের সওয়ারীগুলোও বিশ্রাম করছে, থেমে গেছে উট
চালকের পান, থেমে গেছেন যিনি উট চালনায় প্রতিযোগিতার হুকুম দিবেন ৷ সুতরাং তুমি
সওয়ারীদেরকে বলে দাও তোমরা রাতের বেলায় ভ্রমণ থেকে নিরাপদ হয়ে গেলে এবং কর্কশ
আওয়ায তুলে বিস্তীর্ণ প্রাম্ভর অতিক্রম করা থেকে তোমরা নিরাপদ হয়ে গেলে ৷ মৃভ্যুকে বলে
দাও তুমি জাফরের উপর আধিপাত্য বিস্তা র করলে, আর কখনও তার পরে কোন কৃষ্ণকা য়ের
উপর আাধিপা৩ তা বিস্তা র করতে পারবে না ৷ উপহার ও উপচৌকনগুলােকে বলে দাও ফযলের পরে
যেন এগুলো বন্ধ হয়ে যায়; বিপদ-আপদকে বলে দা ও প্রতিদিনই যেন নতুন নতুন এলাকা কে গ্রাস
করে, তোমার সামনেই পড়ে রয়েছে বারমার্কীদের ধারালো তলোয়ার অথচ এগুলো হাশিমী
তলোয়ারের সামনে নিক্রিয় অবস্থায় অবস্থান করছে ৷ জা ফর যথন তার দেহের মধ্যবর্তী অংশে

পতিত হয়ে রয়েছে তখন আর-রাক্কাশী জাফরের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেছেন :




অর্থাৎ “আল্লাহ্র শপথ, চুপলথোরের ভয় যদি বিদ্যমান না থাকত, খলীফায় পক্ষে অতন্দ্র
প্রহরীর ন্যায় গুপ্তচর যদি না থাকত তাহলে তোমার দেহের অংশের চতুর্দিকে আমরা তাওয়াফ
করতাম এবং সম্মানার্থে তার মধ্যে চুমু থেতাম যেমন হজ্জব্রত পালনকারী লোকজন কালা পাথরে
চুম্বন করে থাকে ৷ হে ইবন ইয়াহইয়া ! তোমার পুর্বে এমন তলোয়ার আমি আর দেখিনি যাকে

অন্য একটি ধারালাে তলোয়ার ভোতা করে দিয়েছে, দুনিয়া ও দুনিয়ার উপভোগ্য দ্রব্যাদি এবং
বারমাকীদের নিরাপদ সাম্রাজ্যকে গ্রাস করে ফেলেছে ৷”

বর্ণনাকারী বলেন, অর-রশীদ করিকে ডাকলেন এবং তাকে বললেন, জাফর তোমাকে প্রতি
বছর কী পরিমাণ সম্পদ প্রদান করত ? করি বললেন, এক হাজার দীনার ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
আর-রশীদ তখন কবিকে দু’হাজার দীনার প্রদান করার নির্দেশ দিলেন ৷ আয-যুবায়র ইবন রাক্কার
তা ৩ার চাচা ঘুসআব আয-যুবায়রী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আর-রশীদ যখন জাফরকে
হত্যা করেন একটি মহিলা একটি দ্রুত তপামী পাধার উপর দাড়ালেন এবং বিশুদ্ধ ভাষায় বলতে
লাপলেনং আল্লাহ্র শপথ, হে জা ফর ! আজকের দিনে মি একটি অমুল্য নিদর্শনে পরিণত
হলে; তুমি তােমা র পুর্ণ চরিত্র মাধুর্য প্রকাশ করলে ৷ তারপর করি কবিতা আবৃত্তি করলেনং :

দু ষ্

৷ এেট্রু


حَزِنَ عَلَى مَقْتَلِ الْبَرَامِكَةِ، وَلَاسِيَّمَا عَلَى جَعْفَرٍ، وَكَانَ يُكْثِرُ الْبُكَاءَ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ خَرَجَ مِنْ حَيِّزِ الْبُكَاءِ إِلَى حَيِّزِ الِانْتِصَارِ لَهُمْ وَالْأَخْذِ بِثَأْرِهِمْ، وَكَانَ إِذَا شَرِبَ فِي مَنْزِلِهِ يَقُولُ لِجَارِيَتِهِ: ائْتِينِي بِسَيْفِي. فَيَسُلُّهُ ثُمَّ يَقُولُ: وَاللَّهِ لَأَقْتُلَنَّ قَاتِلَهُ. فَأَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ ذَلِكَ، فَخَشِيَ ابْنُهُ عُثْمَانُ أَنْ يَطَّلِعَ الْخَلِيفَةُ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ، فَيُهْلِكُهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ، وَرَأَى أَنَّ أَبَاهُ لَا يَنْزِعُ عَنْ هَذَا، فَذَهَبَ إِلَى الْفَضْلِ بْنِ الرَّبِيعِ فَأَعْلَمَهُ، فَأَخْبَرَ الْفَضْلُ الْخَلِيفَةَ، فَاسْتَدْعَى بِهِ، فَاسْتَخْبَرَهُ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: مَنْ يَشْهَدُ مَعَكَ؟ قَالَ: فَلَانٌ الْخَادِمُ. فَجَاءَ بِهِ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ الرَّشِيدُ: لَا يَحِلُّ لِي قَتْلُ أَمِيرٍ كَبِيرٍ بِمُجَرَّدِ قَوْلِ غُلَامٍ وَخَصِيٍّ، لَعَلَّهُمَا قَدْ تَوَاصَيَا عَلَى ذَلِكَ. فَأَحْضُرُهُ الرَّشِيدُ مَعَهُ عَلَى الشَّرَابِ، ثُمَّ خَلَا بِهِ فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ يَا إِبْرَاهِيمُ، إِنَّ عِنْدِي سِرًّا أُحِبُّ أَنْ أُطْلِعَكَ عَلَيْهِ، قَدْ أَقْلَقَنِي فِي اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ. قَالَ: وَمَا هُوَ؟ قَالَ إِنِّي نَدِمْتُ عَلَى قَتْلِ الْبَرَامِكَةِ وَوَدِدْتُ أَنِّي قَدْ خَرَجْتُ مِنْ نِصْفِ مُلْكِي وَنُقِصْتُ نِصْفَ عُمْرِي وَلَمْ أَكُنْ فَعَلْتُ بِهِمْ مَا فَعَلْتُ، فَإِنِّي لَمْ أَجِدْ بَعْدَهُمْ لَذَّةً وَلَا رَاحَةً، فَقَالَ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى أَبِي الْفَضْلِ - يَعْنِي جَعْفَرًا، وَبَكَى - وَاللَّهِ يَا سَيِّدِي، لَقَدْ أَخْطَأْتَ فِي قَتْلِهِ. فَقَالَ لَهُ: قُمْ، لَعَنَكَ اللَّهُ. ثُمَّ قَتَلَهُ بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ. وَسَلَّمَ أَهْلَهُ وَوَلَدَهُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ غَضِبَ الرَّشِيدُ عَلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ صَالِحٍ بِسَبَبِ أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّهُ يُرِيدُ الْخِلَافَةَ، وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ بِسَبَبِهِ أَيْضًا عَلَى الْبَرَامِكَةِ الَّذِينَ هُمْ فِي الْحُبُوسِ، وَسَجَنَهُ، فَلَمْ يَزَلْ فِي السِّجْنِ حَتَّى تُوُفِّيَ الرَّشِيدُ فَأَخْرَجَهُ الْأَمِينُ، وَعَقَدَ لَهُ عَلَى نِيَابَةِ الشَّامِ.
পৃষ্ঠা - ৮২৬৫
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ ثَارَتِ الْعَصَبِيَّةُ أَيْضًا بِالشَّامِ بَيْنَ الْمُضَرِيَّةِ وَالْيَمَانِيَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمُ الرَّشِيدُ مُحَمَّدَ بْنَ مَنْصُورِ بْنِ زِيَادٍ فَأَصْلَحَ بَيْنِهِمْ. وَفِيهَا كَانَتْ زَلْزَلَةٌ عَظِيمَةٌ بِالْمِصِّيصَةِ، فَانْهَدَمَ بَعْضُ سُورِهَا، وَنَضَبَ مَاؤُهُمْ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ. وَفِيهَا بَعَثَ الرَّشِيدُ وَلَدَهُ الْقَاسِمَ عَلَى الصَّائِفَةِ، وَجَعَلَهُ قُرْبَانًا وَوَسِيلَةً، وَوَلَّاهُ الْعَوَاصِمَ، فَسَارَ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ، فَحَاصَرَهُمْ حَتَّى افْتَدَوْا مِنْهُ بِخَلْقٍ مِنَ الْأَسَارَى يُطْلِقُونَهُمْ وَيَرْجِعُ عَنْهُمْ، فَفَعَلَ ذَلِكَ. وَفِيهَا نَقَضَتِ الرُّومُ الصُّلْحَ الَّذِي كَانَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ الَّذِي كَانَ عَقَدَهُ الرَّشِيدُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رِينَى مَلِكَةِ الرُّومِ الْمُلَقَّبَةِ أُغُسْطَةُ، وَذَلِكَ أَنَّ الرُّومَ عَزَلُوهَا عَنْهُمْ، وَمَلَّكُوا عَلَيْهِمُ النَّقْفُورَ، وَكَانَ شُجَاعًا، يُقَالُ: إِنَّهُ مِنْ سُلَالَةِ آلِ جَفْنَةَ، وَإِنَّهُ قَبْلَ الْمُلْكِ كَانَ يَلِي دِيوَانَ الْخَرَاجِ، وَمَلَّكُوا نَقْفُورَ هَذَا عَلَيْهِمْ، فَخَلَعُوا رِينَى وَسَمَلُوا عَيْنَيْهَا، فَكَتَبَ إِلَى الرَّشِيدِ: مِنْ نَقْفُورَ مَلِكِ الرُّومِ إِلَى هَارُونَ مَلِكِ الْعَرَبِ، أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ الْمَلِكَةَ الَّتِي كَانَتْ قَبِلُ أَقَامَتْكَ مُقَامِ الرُّخِّ، وَأَقَامَتْ نَفْسَهَا مُقَامِ الْبَيْدَقِ، فَحَمَلَتْ إِلَيْكَ مِنْ أَمْوَالِهَا مَا كُنْتَ حَقِيقًا بِحَمْلِ أَمْثَالِهِ إِلَيْهَا،
পৃষ্ঠা - ৮২৬৬


া;৷৷
অর্থাৎ “যখন আমি তলোয়ারটিকে জা ফরের সাথে প্রাণ সৎহারের জন্য মিশ্ তে দেখলাম
তখন খলীফ৷ র একজন ঘোষক ইয়াহ্ইয়া সম্পর্কে ঘোষণা করল ৷ তখন আ ৷মি দুনিয়া র জন্য ক্রন্দন
করলাম এবং দৃঢ়ভাবে বুঝতে পারলাম যে যুবকের পার্শ্বদেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাড়গুলাে একদিন
দুনিয়াকে ছেড়ে যাবে ৷ দুনিয়াট৷ র নীতি ৩হল একটি সাম্রাজ্যের পর অন্য একটি সাম্রাজ্যের উত্থান ৷
যখন সাম্রাজ্যটির আ ৷বির্ভাব হয় তখন তা বিভিন্ন ধরনের নিআমত নিয়ে আসে আর যখন তা পিছু
টান মারে তখন তা বিভিন্ন ধরনের বিপদ পদ পিছনে সাক্ষী রেখে যায় ৷ যখন রাজ্যশাসন ক্ষমতা
তার সুউচ্চ মর্যাদার চুড়ায় উন্নীত হয় তখন তা পরে আবার দুরতম প্রান্তে পতিত হয়ে যায় ৷
বর্ণনাকারী বলেন, মহিলাটি তার গাধাটি নিয়ে এত দ্রুত চলে গেল মনে হল একটি ঝটিকা
এসেছিল যার কোন চিহ্ন বাকী রইল না এবং কোথায় চলে গেল তাও আর জানা গেল না ৷
ইবনুল জা ৷ওযী উল্লেখ করেন৪ জাফরের একটি দাসী ছিল ৷ তার নাম ছিল ফাভীনা
-মুগান্নিয়৷ ৷ দুনিয়ার তার কোন সমকক্ষ ছিল না ৷ তার সাথে খরিদকৃত ৩অন্য দাসীগুলােসহ তার
বাবদ মাে টি খরচ ছিল একলাখ দীনার ৷ জাফর থেকে আর-রশীদ তাকে পেতে ইচ্ছা করলেন ৷
জা ফর অস্বীকৃতি ৩জানালেন ৷ আর-রশীদ যখন তাকে হত্যা করলেন তখন এ দাসীঢিকে তিনি
নিজের জন্য নির্বাচন করেন ৷ একবাত মদ্যপানের মজলিসে তাকে হ যিব করানো হল ৷ খলীফা
কাংছ ছিলতা তার একদল সাথী ও রাতের বেলায় গল্প বর্ণনাক৷ রী ৷ দাসীটির সাথে অন্য যে সব দাসী
গান গেত তাদেরকে গান গাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়৷ হল ৷ তারা প্ৰতোকে গাইতে লাগল ৷-
ফাভীনা মুগান্নিয়ার পালা যখন আসল তখন আর-রশীদ তাকে গাইতে আদেশ করেন বিৎ সে
অশ্রু ফেলতে লাগল এবং বলল, তারপর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ! আর না আর রশীদ খুব
রাগান্বিত হলেন এবং উপস্থিত সদস্যদের একজনকে আদেশ করলেন যেন সে তাকে আর
রশীদের কাছে ধরে নিয়ে আসে ৷ আর তিনি তাকে ঐ দাসীকে দিয়ে দেবেন ৷ত তারপর যখন ঐ
ব্যক্তি চলে যাওয়ার ইচ্ছা করল আর-রশীদ তাকে বললেন, তার মধ্যে এবৎঅ র ৷ব-রশীদের মধ্যে
চুক্তি হল যে, তুমি তার সাথে সৎগম করবে না ৷ তারপর লোকটি বুঝতে পারল আর-রশীদ এটার
দ্বারা তাকে দমাতেইচ্ছা করেছিলেন ৷ কিছুক্ষণ পর লোকটি তাকে হ যিব করল এবং প্রকাশ করল
যে, আর ৷ব-রশীদ তার প্রতি রাযী এবং তাকে গান গাইতে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ দাসীটি গান গইিতে
অস্বীকৃতি জান ৷ল এবং অশ্রু ফেলতে লাগল, বলতে লাগল তারপর নেতৃন্থানীয় ব্যক্তিবর্গ
তবে না আর-রশীদ পুর্বের চেয়ে অধিক রাগাম্বিত হলেন এবং বললেন, যে বিছানায় রেখে
মানুষ যবাহ করা হয় তাও তলোয়ার হ যিব করা হোক ৷ জল্পাদ আগমন করল এবং দা ৷সীর মাথার
কাছে সাত ড়াল ৷ আর ৷ব-রশীদত৷ তাকে বললেন, যখন আমি তোমাকে তিনবার নির্দেশ দিব ও তিনবার
আমার আছুলগুলাে বন্ধ করব তখন তুমি তাকে আঘাত করবে ৷ তারপরও তিনি তাকে বললেন ং
গান গাও ৷ সে ক্রন্দন করতে লাগল এবং বলল, তারপর নৈতৃন্থানীয় লোক তবে না
তিনি তার কনিষ্ঠা অঙ্গুলি বন্ধ করেন এরপর তাকে দ্বিতীয়বার হুকুম দিলেন ৷ কিন্তু সে গ৷ ন গাওয়া


وَلَكِنَّ ذَلِكَ مِنْ ضَعْفِ النِّسَاءِ وَحُمْقِهِنَّ، فَإِذَا قَرَأْتَ كِتَابِي هَذَا فَارْدُدْ مَا حَصَلَ لَكَ مِنْ أَمْوَالِهَا، وَافْتَدِ نَفْسَكَ، وَإِلَّا فَالسَّيْفُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ. فَلَمَّا قَرَأَ الرَّشِيدُ الْكِتَابَ اسْتَفَزَّهُ الْغَضَبُ، حَتَّى لَمْ يُمْكِنْ أَحَدًا أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهِ دُونَ أَنْ يُخَاطِبَهُ، وَتَفَرَّقَ جُلَسَاؤُهُ خَوْفًا مِنْهُ، وَاسْتَدْعَى بِدَوَاةٍ وَكَتَبَ عَلَى ظَهْرِ الْكِتَابِ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، مِنْ هَارُونَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى نَقْفُورَ كَلْبِ الرُّومِ، قَدْ قَرَأْتُ كِتَابَكَ يَا ابْنَ الْكَافِرَةِ، وَالْجَوَابُ مَا تَرَاهُ دُونَ مَا تَسْمَعُهُ، وَالسَّلَامُ. ثُمَّ شَخَصَ مِنْ يَوْمِهِ حَتَّى أَقَامَ بِبَابِ هَرْقَلَةَ، فَفَتَحَهَا وَاصْطَفَى ابْنَةَ مَلِكِهَا، وَغَنِمَ مِنَ الْأَمْوَالِ شَيْئًا كَثِيرًا، وَخَرَّبَ وَأَحْرَقَ، وَاصْطَلَمَ، فَطَلَبَ نَقْفُورُ مِنْهُ الْمُوَادَعَةَ عَلَى خَرَاجٍ يُؤَدِّيهِ إِلَيْهِ فِي كُلِّ سَنَةٍ، فَأَجَابَهُ الرَّشِيدُ إِلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا رَجَعَ مِنْ غَزْوَتِهِ وَصَارَ بِالرِّقَّةِ، نَقَضَ الْكَافِرُ الْعَهْدَ، وَخَانَ الْمِيثَاقَ، وَكَانَ الْبَرْدُ قَدِ اشْتَدَّ جِدًّا، فَلَمْ يَقْدِرْ أَحَدٌ عَلَى إِخْبَارِ الرَّشِيدِ بِذَلِكَ; لِخَوْفِهِمْ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَعَلَيْهِ، حَتَّى يَنْفَصِلَ الشِّتَاءُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ. ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ جَعْفَرُ بْنُ يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ أَبُو الْفَضْلِ الْبَرْمَكِيُّ الْوَزِيرُ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৮২৬৭
الْوَزِيرِ، وَقَدْ وَلَّاهُ الرَّشِيدُ الشَّامَ وَغَيْرَهَا مِنَ الْبِلَادِ، وَذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ الرَّشِيدَ بَعَثَهُ إِلَى دِمَشْقَ لَمَّا ثَارَتِ الْفِتْنَةُ بَيْنِ الْعِشْرَيْنِ بَحُورَانَ بَيْنَ قَيْسٍ وَيَمَنٍ، وَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ مَا أَنْشَئُوهُ فِي الْإِسْلَامِ، كَانَ خَامِدًا فَأَثَارُوهُ فِي هَذَا الْأَوَانِ، فَلِمَا قَدِمَ جَعْفَرٌ بِجَيْشِهِ خَمَدَتِ الشُّرُورُ وَظَهَرَ السُّرُورُ، وَقِيلَتْ فِي ذَلِكَ أَشْعَارٌ حِسَانٌ قَدْ ذَكَرَهَا فِي تَرْجَمَتِهِ مِنْ " تَارِيخِهِ " فَمِنْهَا: لَقَدْ أُوقِدَتْ فِي الشَّامِ نِيرَانُ فِتْنَةٍ ... فَهَذَا أَوَانُ الشَّامِ تُخْمَدُ نَارُهَا إِذَا جَاشَ مَوْجُ الْبَحْرِ مِنْ آلِ بَرْمَكٍ ... عَلَيْهَا خَبَتْ شُهْبَانُهَا وَشِرَارُهَا رَمَاهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ بِجَعْفَرٍ ... وَفِيهِ تَلَاقَى صَدْعُهَا وَانْجِبَارُهَا رَمَاهَا بِمَيْمُونِ النَّقِيبَةِ مَاجِدٍ ... تَرَاضَى بِهِ قَحْطَانُهَا وَنِزَارُهَا هُوَ الْمَلِكُ الْمَأْمُولُ لِلَّبِرِّ وَالتُّقَى ... وَصَوْلَاتُهُ لَا يُسْتَطَاعُ خِطَارُهَا وَزِيرُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ وَسَيْفُهُ ... وَمُدْيَتُهُ وَالْحَرْبُ تَدْمَى شِفَارُهَا وَمَنْ تُطْوَ أَسْرَارُ الْخَلِيفَةِ دُونَهُ ... فَعِنْدَكَ مَأْوَاهَا وَأَنْتَ قَرَارُهَا إِذَا مَا ابْنُ يَحْيَى جَعْفَرٌ قَصَدَتْ لَهُ ... مُلِمَّاتُ خَطْبٍ لَمْ تَرُعْهُ كِبَارُهَا لَقَدْ نَشَأَتْ بِالشَّامِ مِنْكَ غَمَامَةٌ ... يُؤْمَلُ جَدْوَاهَا وَيُخْشَى دَمَارُهَا وَهِيَ قَصِيدَةٌ طَوِيلَةٌ، اقْتَصَرْنَا مِنْهَا عَلَى هَذَا الْقَدْرِ، وَكَانَتْ لَهُ فَصَاحَةٌ وَبَلَاغَةٌ وَكَرَمٌ زَائِدٌ، كَانَ أَبُوهُ قَدْ ضَمَّهُ إِلَى الْقَاضِي أَبِي يُوسُفَ، فَتَفَقَّهُ عَلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৮২৬৮

থেকে বিরত রইল ৷ তখন তিনি দুটি অছুলি বন্ধ করেন ৷ উপস্থিত সদস্যগণ কেপে উঠলেন এবং
চরমভাবে শং কিত হলেন ৷৩ তার দিকে অনুরোধ মালা নিয়ে প্রায় সকলে এগিয়ে আসবেন যাতে
যে গান পায় ও নিহত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করে এবং আমীরুল মুমিনীন যা ইচ্ছা করেন
তার প্রতি ৩যেন যথাষোগ্য সাড়া প্রদান করে ৷ তারপর তাকে তৃতীয়বারের মত নির্দেশ দিলেন তখন
সে ঘৃণাভরে গাইতে লাগল ং
াব্রদ্বু

অর্থাৎ যখন অ ৷মি দুনিয়াটাকে দেখলাম যে তা ধ্বংস হয়ে গেছে তখন আমি দৃঢ়ভা বে বিশ্বাস
করতে লাগলাম যে নিঃসন্দেহে নিআমত আর ফিরে আসবে না ৷ ’বর্ণা৷কারী বলেন, আর-রশীদ
লম্ফ দিয়ে তার দিকে এগিয়ে গেলেন ও গান গাওয়ার বাদ্য যত্রের কাঠটি তা ৷র হা ৩ থেকে কেড়ে
নিলেনৰু এবং৩ ৷ ৩ার দ্বারা দা ৷সীর চোখে, মুখে ও মাথায় আঘাত করতে লাগলেন যতক্ষণ না কাঠটি
ভেঙ্গে গেল আঘাতই করতে ছিলেন ৷ রক্ত প্রবাহিত হতে লাগল ৷ অন্য দা সীর৷ তার কাছে থেকে

দ্রুত পলায়ন করল ৷ আর রশীদের সম্মুখ থেকে দাসীটিকে উঠিয়ে নেওয়া হল ৷ তিনদিন পর সে
মারা গেল ৷

বর্ণিত রয়েছে যে আর-রশীদ বলতেন, বারমাকীদের সম্পর্কে যে আমার সাথে প্রতারণা
করেছে তার প্রতি ৩আল্লাহ্র অভিশাপ পতিত হোক ৷৩ তাদের পর আমি আর কো ন স্বাদ, শান্তি ও
আশা ভরসা পাচ্ছি না ৷ অ ৷ল্লাহ্র শপথ ! আমি চেয়েছিলাম আমার আযুর অর্ধেক ও রাজত্বের
অর্ধেক তাদেরকে দান করে তাদেরকে তাদের অবস্থায় ছেড়ে দেব ৷

ইবন খ৷ ল্লিকান বল্টা৷ করেন, একদিন জা ফর এক ব্যক্তি থেকে চল্লিশ হাজার দীনারের বিনিময়ে
একটি দাসী ক্রয় করলেন ৷ দা ৷সীটি তার বিক্রেতার দিকে তাকা ল এবং বলল, তোমার ও আমার
মধ্যে যে চুক্তিটি আছে৩ তা একটু স্মরণ কর ৷ তুমি আমার মুল্য থেকে কিছু ভক্ষণ করো না ৷ তখন
ব মনীব ক্রন্দন করলেন এবং বললেন, তোমরা সাক্ষী থাক, নিশ্চয়ই এ দাসীটি মুক্ত ৷ অর
আমি তাকে বিয়ে করলাম ৷ তখন জা ফর বললেন, তো ৷মর৷ সাক্ষী থাক, মুল্যটাও তারই জন্য ৷

তিনি একদিন তার নায়িবের নিকট পত্র লিখলেনং : এরপর তোমার বিরুদ্ধে অভিযোণকারীর

ৎখ্য৷ বেড়ে গেছে, তোমার প্রশংসাকারীর সংখ্যাহ্রাস পেয়েছে ৷ এখন তুমি ইনসাফ কর কিৎবা

সরে পড় ৷ আর-রশীদের দুশ্চিন্তা দুরীকরণে যে আচরণ তিনি প্রদর্শন করেছেন তা অত্যন্ত
প্রশংসনীয় ৷

একদিন আর-রশীদের দরবারে একজন ইয়াহ্দী জ্যোতির্বিদ প্রবেশ করে এবং তাকে সংবাদ
পরিবেশন করে যে এ বছর তিনি ইনতিকাল করবেন ৷ এতে আর-রশীদ অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে
পড়েন ৷ তারপর জাফর তার কাছে প্রবেশ করেন এবং প্রশ্ন করেন কী সংবাদ ? ইয়াহ্দী যা
বলেছিল তিনি তা জাফরের কাছে পেশ করলেন ৷ জাফর ইয়াহ্দীকে ডাকলেন এবং বললেন,
তোমার হায়াত আর কত বাকী রয়েছে ? সে উল্লেখ করল একটি দীর্ঘ সময় ৷ তখন জাফর
বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! তাকে আপনি হত্যা করুন যাতে আপনি তার মিথ্যাটি সম্বন্ধে
অবগত হতে পারেন ৷ সে আপনাকে আপনার হায়াত সম্বন্ধে মিথ্যা খবর পরিবেশন করেছে ৷ আর
রশীদ ইয়াহ্রদীকে হত্যা করার হুকুম দিলেন আর আর-রশীদ থেকে দৃশ্চিম্ভা দুরীভুত হয়ে গেল ৷


وَصَارَ لَهُ اخْتِصَاصٌ بِالرَّشِيدِ، وَقَدْ وَقَّعَ لَيْلَةً بِحَضْرَةِ الرَّشِيدِ زِيَادَةً عَلَى أَلْفِ تَوْقِيعٍ فَلَمْ يَخْرُجْ فِي شَيْءٍ مِنْهَا عَنْ مُوجَبِ الْفِقْهِ. وَقَدْ رَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْكَاتِبِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ هِشَامٍ الْكَاتِبِ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ كَاتِبِ عُثْمَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ كَاتِبِ الْوَحْيِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِذَا كَتَبْتَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَبَيِّنِ السِّينَ فِيهِ» . رَوَاهُ الْخَطِيبُ وَابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي الْقَاسِمِ الْكَعْبِيِّ الْمُتَكَلِّمِ، وَاسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ الْبَلْخِيُّ - وَقَدْ كَانَ كَاتِبًا لِمُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ، عَنْ طَاهِرِ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ مُصْعَبِ بْنِ رُزَيْقٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ سَهْلٍ ذِى الرِّيَاسَتَيْنِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى بِهِ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ بَحْرٍ الْجَاحِظُ: قَالَ جَعْفَرُ بْنُ يَحْيَى لِلرَّشِيدِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَ لِي أَبِي يَحْيَى: إِذَا أَقْبَلَتِ الدُّنْيَا عَلَيْكَ فَأَعْطِ ; فَإِنَّهَا لَا تَفْنَى، وَإِذَا أَدْبَرَتْ عَنْكَ فَأَعْطِ ; فَإِنَّهَا لَا تَبْقَى. قَالَ جَعْفَرٌ: وَأَنْشَدَنَا أَبِي: لَا تَبْخَلَنَّ لِدُنْيَا وَهْيَ مُقْبِلَةٌ ... فَلَيْسَ يَنْقُصُهَا التَّبْذِيرُ وَالسَّرَفُ فَإِنْ تَوَلَّتْ فَأَحْرَى أَنْ تَجُودَ بِهَا ... فَالْحَمْدُ مِنْهَا إِذَا مَا أَدْبَرَتْ خَلَفُ
পৃষ্ঠা - ৮২৬৯
قَالَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: وَقَدْ كَانَ جَعْفَرٌ مِنْ عُلُوِّ الْقَدْرِ وَنَفَاذِ الْأَمْرِ وَعِظَمِ الْمَحَلِّ وَجَلَالَةِ الْمَنْزِلَةِ عِنْدَ الرَّشِيدِ بِحَالَةٍ انْفَرَدَ بِهَا، وَلَمْ يُشَارَكْ فِيهَا، وَكَانَ سَمْحَ الْأَخْلَاقِ، طَلْقَ الْوَجْهِ، ظَاهِرَ الْبِشْرِ. فَأَمَّا جُودُهُ وَسَخَاؤُهُ وَبَذْلُهُ وَعَطَاؤُهُ فَأَشْهَرُ مِنْ أَنْ يُذْكَرَ وَأَبْيَنُ مِنْ أَنْ يَظْهَرَ، وَكَانَ أَيْضًا مِنْ ذَوِي الْفَصَاحَةِ الْمَذْكُورِينَ وَالْبَلَاغَةِ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ مُهَذَّبٍ حَاجِبِ الْعَبَّاسِ بْنِ مُحَمَّدٍ، صَاحِبِ قَطِيعَةِ الْعَبَّاسِ وَالْعَبَّاسِيَّةِ، أَنَّهُ أَصَابَتْهُ ضَائِقَةٌ، وَأَلَحَّ عَلَيْهِ الْمُطَالِبُونَ، وَعِنْدَهُ سَفَطٌ فِيهِ جَوْهَرٌ شِرَاؤُهُ عَلَيْهِ أَلْفُ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَحَمَلَهُ إِلَى جَعْفَرٍ لِيَبِيعَهُ مِنْهُ، فَاشْتَرَاهُ بِثَمَنِهِ وَوَزَنَ لَهُ أَلْفَ أَلْفٍ، وَقَبَضَ مِنْهُ السَّفَطَ وَأَجْلَسَهُ مَعَهُ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى مَنْزِلِهِ إِذَا السَّفَطُ قَدْ سَبَقَهُ إِلَى مَنْزِلِهِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا إِلَيْهِ لِيَشْكُرَهُ، فَوَجَدَهُ مَعَ أَخِيهِ الْفَضْلِ عَلَى بَابِ الرَّشِيدِ يَسْتَأْذِنَانِ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ جَعْفَرٌ: إِنِّي قَدْ ذَكَرْتُ أَمْرَكَ لِلْفَضْلِ، وَقَدْ أَمَرَ لَكَ بِأَلْفِ أَلْفٍ، وَمَا أَظُنُّهَا إِلَّا قَدْ سَبَقَتْكَ إِلَى أَهْلِكَ، وَسَأُفَاوِضُ فِيكَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَلَمَّا دَخَلَ ذَكَرَ أَمْرَهُ وَمَا لَحِقَهُ مِنَ الدُّيُونِ، فَأَمَرَ لَهُ بِثَلَاثِمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ. وَكَانَ جَعْفَرٌ لَيْلَةً فِي سَمَرِهِ وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَجَاءَتِ الْخُنْفُسَاءُ، حَتَّى رَكِبَتْ ثِيَابَ الرَّجُلِ، فَأَلْقَاهَا عَنْهُ جَعْفَرٌ. وَقَالَ: إِنَّ النَّاسَ يَقُولُونَ: إِنَّ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৮২৭০

বারমাকীদের হত্যাকাণ্ডের পর আর-রশীদ ইব্রাহীম ইবন উছমান ইবন নুহায়ককে হত্যা
করেন ৷ আর এটার কারণ হল যে, তিনি বারমাকীদের জন্য দুঃখিত হয়েছিলেন ৷ বিশেষকরে
জাফবের জন্য তিনি অত্যন্ত দুঃখিত হয়েছিলেন ৷ তিনি তাদের জন্য অত্যন্ত কান্নাকাটি করতেন ৷
তারপর তিনি কান্নাকাটির পর্যায় থেকে প্রতিশোধ নেয়ার পর্যায়ে উপনীত হন ৷ তিনি যখন ঘরে
মদ্যপান করতেন তার দাসীকেব্ললেন, আমার তলােয়ারটি আমাকে দাও ৷ তারপর তিনি এটাকে
কোষমুক্ত করতেন এবং বলতেন, আল্লাহর শপথ ! আমি নিশ্চয়ই তার হত্যাকরীিকে হত্যা করব ৷
তিনি এরুপ অধিকাংশ সময়ই বলতেন ৷, তখন তার পুত্র উছমান আশংকা করলেন যে যদি খলীফা
একথা জানতে পারেন তাহলে তাদের সকলকে তিনি ধ্বংস করে দেবেন ৷ আর তিনি চিন্তা করে
দেখলেন তার পিতা একাজ থেকে বিরত থাকছেন না ৷ উছমান তখন আল-ফযল ইবন
আর-রাবীর কাছে গমন করেন এবং এ বিষয়ে তাকে অবগত করেন ৷ আল-ফযল খলীফাকে
বিষয়টি জানান ৷ খলীফা তাকে ডেকে পাঠান এবং তার কাছে এ খবর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷
তিনি তাকে যথাযথ সংবাদ দেন ৷ এরপর তিনি বলেন, ইবরাহীমের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়ার মতো
তোমার সাথে আর কে আছেন ? তিনি বলেন অমুক খাদিম ৷ তাকে ডাকা হল এবং সে সাক্ষ্য
দিল ৷ আর-রশীদ তখন বললেন, একজন গোলাম ও একজন অণ্ডকােযহীন ব্যক্তির কথা একজন
বড় আমীরকে হত্যা করা হালাল নয় ৷ সম্ভবত তারা দৃ’জনই এ কথার উপর ষড়যন্ত্র করেছে ৷
তারপর আর-রশীদ তাকে শরাব পান করার সময় হড়াযির করান ৷ আর তার সাথে একান্তে কথা
বলেন ও মন্তব্য করে বলেন, তোমার দুর্ভাগ্য হে ইব্রাহীম ! আমার কাছে একটি গোপনীয় তথ্য
রয়েছে আমি শুধু তােমাকেই এ সম্বন্ধে অবগত করতে পসন্দ করছি ৷ রাত ও দিনে আমার
দুশ্চিস্তা অনেকহ্রাস পাবে ৷ তিনি বললেন, এটা কী ? আর-রশীদ বললেন, আমি বারমাকীদের
হত্যার ব্যাপারে লজ্জিত রয়েছি, আমি চেয়েছিলার্য আমার আয়ু থেকে ও রাজতৃ থেকে অর্ধেক
বের করে দেই তবুও আমি তাদের সাথে যেন যে কাজটি করেছি যে কাজটি না করতাম ৷ কেননা
আমি তাদের পরে আর কোন স্বাদ কিৎবা শান্তি পাচ্ছি না ৷ ইব্রাহীম বললেন, আবুল ফযল
জাফরের উপর আল্লাহর রহমত বর্নিত হোক ৷ এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ ! হে আমার
মনীব ! তাকে হত্যা করে আপনি ভুল করেছেন ৷ তখন আর-রশীদ বললেন, তোমার উপর
আল্লাহর লানত বর্নিত হোক ৷ তুমি দীড়াও ৷ এরপর তিনি তাকে বন্দী করেন ও তিন দিন পরে
তাকে হত্যা করেন ৷ এভাবে তার পরিবার ও তার সন্তানরা বেচে গেলেন ৷

এ বছরই আর বশীদ আবদুল মালিক ইবন সালিহের উপর রাগাম্বিত হন ৷ তার কারণ ছিল
এই যে, আররশীদের কাছে সংবাদ পৌছেছিল যে, তিনি খিলাফতের ইচ্ছা রাখেন ৷ তার
কারণেই বারমাকীদের উপর তিনি খুব রাপানিত হয়েছিলেন ৷ আর তারা যে সময় বন্দী অবস্থায়
ছিল ৷ এরপর আররশীদ তাকে বন্দী করেন ৷ আররশীদের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি কারাভােগ করেন ৷
তারপর আল-আমীন তাকে কারাগার থেকে যুক্তি দেন ও তাকে সিরিয়ার নায়িব্ নিযুক্ত করেন ৷ এ
বছরই সিরিয়ার আল-মুদারিয়া ও আলনাযারিয়া সম্প্রদায়দ্বয়ের মধ্যে দলাদলি দেখা দেয় ৷
আর-রশীদ মুহাম্মদ ইবন মানসুর ইবন যিয়াদকে তাদের নিকট প্রেরণ করেন ৷ তিনি তাদের মধ্যে
সন্ধি স্থাপন করেন ৷

এ বছরই মাসীসা নামক স্থানে বিরাট ভুমিকম্প সংঘটিত হয় ৷ শহরের কিছু প্রাচীর ধ্বংস হয়ে


قَصَدَتْهُ الْخُنْفُسَاءُ يُبَشَّرُ بِمَالٍ يُصِيبُهُ. فَأَمَرَ لَهُ جَعْفَرٌ بِأَلْفِ دِينَارٍ. ثُمَّ عَادَتِ الْخُنْفُسَاءُ، فَرَجَعَتْ إِلَى الرَّجُلِ، فَأَمَرَ لَهُ بِأَلْفِ دِينَارٍ أُخْرَى. وَحَجَّ مَرَّةً مَعَ الرَّشِيدِ، فَلَمَّا كَانُوا بِالْمَدِينَةِ قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ: انْظُرْ جَارِيَةً أَشْتَرِيهَا تَكُونُ فَائِقَةً فِي جَمَالِهَا وَغِنَائِهَا وَذَكَائِهَا. فَفَتَّشَ الرَّجُلُ فَوَجَدَ جَارِيَةً عَلَى النَّعْتِ، فَطَلَبَ سَيِّدُهَا فِيهَا مَالًا كَثِيرًا عَلَى أَنْ يَرَاهَا جَعْفَرٌ، فَذَهَبَ جَعْفَرٌ إِلَى مَنْزِلِ سَيِّدِهَا، فَلَمَّا رَآهَا أُعْجِبَ بِهَا، فَلَمَّا غَنَّتْهُ أَعْجَبَتْهُ أَكْثَرَ، فَسَاوَمَ صَاحِبَهَا فِيهَا، وَقَالَ: قَدْ أَحْضَرْنَا مَالًا فَإِنْ أَعْجَبَكَ وَإِلَّا زِدْنَاكَ. فَقَالَ لَهَا سَيِّدُهَا: إِنِّي كُنْتُ فِي نِعْمَةٍ، وَكُنْتِ عِنْدِي فِي غَايَةِ السُّرُورِ وَالسِّعَةِ، وَإِنَّهُ قَدِ انْقَبَضَ عَلَيَّ حَالِي، وَقَدْ أَحْبَبْتُ أَنْ أَبِيعَكَ لِهَذَا الْمَلِكِ، لِتَكُونِي عِنْدَهُ كَمَا كُنْتِ عِنْدِي. فَقَالَتْ: يَا سَيِّدِي، وَاللَّهِ لَوْ مَلَكْتُ مِنْكَ مَا مَلَكْتَ مِنِّي لَمْ أَبِعْكَ بِالدُّنْيَا وَمَا فِيهَا، وَأَيْنَ مَا كُنْتَ عَاهَدْتَنِي أَنْ لَا تَبِيعَنِي، وَلَا تَأْكُلَ ثَمَنِي؟! فَقَالَ سَيِّدُهَا لِجَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ: أُشْهِدُكُمْ أَنَّهَا حُرَّةٌ لِوَجْهِ اللَّهِ تَعَالَى، وَأَنِّي قَدْ تَزَوَّجْتُهَا. فَلَمَّا قَالَ ذَلِكَ نَهَضَ جَعْفَرٌ، وَقَامَ أَصْحَابُهُ، وَأَمَرُوا الْحَمَّالَ أَنْ يَحْمِلَ الدَّرَاهِمَ، فَقَالَ جَعْفَرٌ: وَاللَّهِ لَا تَتْبَعُنِي. وَقَالَ لِلرَّجُلِ: قَدْ مَلَّكْتُكَهَا. فَأَنْفِقْهَا عَلَى أَهْلِكَ. وَذَهَبَ وَتَرَكَهُ. هَذَا وَقَدْ كَانَ يُبَخَّلُ بِالنِّسْبَةِ إِلَى أَخِيهِ الْفَضْلِ، إِلَّا أَنَّ الْفَضْلَ كَانَ أَكْثَرَ مِنْهُ مَالًا. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ الدَّارَقُطْنِيِّ بِسَنَدِهِ أَنَّهُ لَمَّا أُصِيبَ جَعْفَرٌ وَجَدُوا لَهُ فِي جَرَّةٍ أَلْفَ دِينَارٍ، زِنَةُ كُلِّ دِينَارٍ مِائَةُ دِينَارٍ، مَكْتُوبٌ عَلَى صَفْحَةِ الدِّينَارِ
পৃষ্ঠা - ৮২৭১
الْوَاحِدَةُ جَعْفَرٌ، وَالْأُخْرَى: وَأَصْفَرَ مِنْ ضَرْبِ دَارِ الْمُلُوكِ ... يَلُوحُ عَلَى وَجْهِهِ جَعْفَرُ يَزِيدُ عَلَى مِائَةٍ وَاحِدًا ... مَتَى تُعْطِهِ مُعْسِرًا يُوسِرُ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ الْمُعَلَّى الرَّاوِيَةُ: كَتَبَتْ عِنَانُ جَارِيَةُ النَّاطِفِيِّ إِلَى جَعْفَرٍ تَطْلُبُ مِنْهُ أَنْ يَقُولَ لِأَبِيهِ يَحْيَى أَنْ يُشِيرَ عَلَى الرَّشِيدِ بِشِرَائِهَا، وَكَتَبَتْ إِلَيْهِ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ مِنْ شَعْرِهَا فِي جَعْفَرٍ: يَا لَائِمِي جَهْلًا أَلَا تُقْصِرُ ... مَنْ ذَا عَلَى حَرِّ الْهَوَى يَصْبِرُ لَا تَلْحَنِي إِذَا شَرِبْتُ الْهَوَى ... صَرْفًا فَمَمْزُوجُ الْهَوَى سُكْرُ أَحَاطَ بِيَ الْحُبُّ فَخَلْفِي لَهُ ... بَحْرٌ وَقُدَّامِي لَهُ أَبْحُرُ تُخْفِقُ رَايَاتِ الْهَوَى بِالرَّدَى ... فَوْقِي وَحَوْلِي لِلْهَوَى عَسْكَرُ سِيَّانَ عِنْدِي فِي الْهَوَى لَائِمٌ ... أَقَلَّ فِيهِ وَالَّذِي يَكْثُرُ أَنْتَ الْمُصَفَّى مِنْ بَنِي بَرْمَكٍ ... يَا جَعْفَرَ الْخَيْرَاتِ يَا جَعْفَرُ لَا يَبْلُغُ الْوَاصِفُ فِي وَصْفِهِ ... مَا فِيكَ مِنْ فَضْلٍ وَلَا يَعْشُرُ مَنْ وَفَّرَ الْمَالَ بِأَعْرَاضِهِ ... فَجَعْفَرٌ أَعْرَاضُهُ أَوْفَرُ دِيبَاجَةُ الْمُلْكِ عَلَى وَجْهِهِ ... وَفِي يَدَيْهِ الْعَارِضُ الْمُمْطِرُ سَحَّتْ عَلَيْنَا مِنْهُمَا دِيمَةٌ ... يَنْهَلُّ مِنْهَا الذَّهَبُ الْأَحْمَرُ لَوْ مَسَحَتْ كَفَّاهُ جُلْمُودَةً ... أَنْضَرَ فِيهَا الْوَرَقُ الْأَخْضَرُ لَا يَسْتَتِمُّ الْمَجْدُ إِلَّا فَتًى ... يَصْبِرُ لِلْبَذْلِ كَمَا يَصْبِرُ
পৃষ্ঠা - ৮২৭২

যায় এবং রাতের এক সময় শহরের পানি শুকিয়ে যায় ৷ এ বছরই আর-রশীদ তার পুত্র
আল-কাসিমকে গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ পরিচালনার জন্য রোমের শহরগুলোতে প্রেরণ করেন ৷ তিনি
তাকে কুরবানী ও ওসীলা হিসাবে উপস্থাপন করেন ৷ তিনি তাকে সীমান্তের দৃগ্সিমুহের প্রশাসক
নিযুক্ত করেন ৷ এরপর তিনি রোমের শহরগুলোর উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং তাদেরকে যেরাও
করে ফেলেন ৷ তারা বহু বন্দী রেখে যান ৷ যাতে তারা ভবিষ্যতে এদেরকে মুক্ত করাতে পারেন
এবং আল-কাসিমও তাদের থেকে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এরপর তিনি তা করলেন ৷

এ বছরই রোমকরা সন্ধি ভঙ্গ করে ৷ এ সন্ধিটি তাদের মধ্যে ও মুসলমানদের মধ্যে
আর-রশীদ দ্বারা সম্পন্ন হয়েছিল ৷ আর-রশীদ রোমের রাণী রীনিইয়া যার উপাধি ছিল আগাসতা ও
তার মধ্যে সন্ধি স্থাপন করেন ৷ কিন্তু রােমকরা তাকে বরখাস্ত করে এবং আননাকফোরকে
তাদের সম্রাট নিযুক্ত করে ৷ আন-নাকফোর ছিলেন খুব সাহসী ৷ কথিত আছে যে, তিনি ছিলেন
আলে জুফনার বংশধর ৷ তারা সম্রাজী রীনীয়াকে পদচ্যুত করে এবং তার চোখ উপড়ে ফেলে ৷
আন-নাকফোর তখন আর-রশীদের কাছে লিখেন : রোমের সুমাট আন-নাকফোর থেকে আরবের
সম্রাট হারুনুর রশীদের প্রতি তারপর সংবাদ এই যে, আমার পুর্বে যে সম্রাজী ছিলেন তিনি
আপনাকে আর রুখ নামক বিরাট আকৃতির পাখি হিসেবে গণ্য করেছেন আর নিজেকে আল-
বায়দাক নামক ক্ষুদ্র পদাতিক সৈন্য মনে করেছেন ৷ তাই তিনি আপনার কাছে এমন সব সম্পদ
উঠিয়ে দিয়েছেন যে পরিমাণ সম্পদ উঠাবার উপযুক্ত আপনি ছিলেন না ৷ আর এটা ছিল নারীদের
দুর্বলতা ও নির্বুদ্ধিতার ফসল স্বরুপ ৷ আপনি আমার এ পত্র পড়ার পর আপনাকে সম্রাজী যেসব
সম্পদ দিয়েছিলেন তা আমার কাছে ফেরত পাঠড়াবেন এবং এটাকে নিজের মুক্তিপণ হিসেবে মনে
করবেন ৷ অন্যথায় আমাদের ও আপনার মধ্যে তলোয়ার সিদ্ধান্ত নিবে ৷ হারুনুর রশীদ যখন তার
এ পত্র পড়লেন তখন তিনি এত অধিক রাগাম্বিত হলেন যে, কেউ তার দিকে তাকাতে পারল না
এবং কেউ তার সাথে কথা বলতে পারল না ৷ তার সভাসদবর্গ তার ভয়ে ভীত সন্ত্রন্ত হয়ে
পড়েছিলেন ৷ এরপর তিনি কালি কলম চেয়ে নিলেন এবং পত্রের অপর পৃষ্ঠায় লিখলেন ও পরম
করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে আমীরুল ঘু’মিনীন হারুনুর রশীদ হতে রোমের কুকুর
আন-নাকফোরের প্রতি : হে কাফির মহিলার পুত্র ! আমি তোমার পত্র পড়েছি উত্তর তুমি নিজ
চোখে দেখরে, শুনবে না ৷ বিদায় ৷ তারপর তিনি তৎক্ষণাৎ নিজেকে সেনাপতি নির্ধারণ করেন
এবং তিনি রওনা হয়ে যান ৷ হিরাক্লিয়াসের দরজা পর্যন্ত তিনি পৌছে যান ৷ এরপর তা জয় করেন
এবং সম্রাটের কন্যাকে নিজের জন্য মনোনীত করেন ৷ গনীমত হিসেবে প্রচুর সম্পদ লাভ করেন ৷
বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস করেন ও পুড়িয়ে দেন ৷ তারপর আন-নাকফোর প্রতি বছর জিযিয়া কর
আদায়ের শর্তে তার কাছে সন্ধির প্রস্তাব দেন ৷ আর-রশীদ তা গ্রহণ করেন ৷ যখন তিনি যুদ্ধ থেকে
প্রত্যাবর্তন করেন এবং আর-রিক্কায় পৌছেন তখন কাফিরটি চুক্তি ভঙ্গ করে ও খিয়ানতের আশ্রয়
নেয় ৷ তখন খুব ঠাণ্ডা পড়ছিল ৷ কেউই ঠাণ্ডার দরুন জানের ভয়ে সেখান থেকে আসতে সক্ষম
হল না এবং হারুনুর রশীদকে এ ব্যাপারে সংবাদ পৌছতে পারল না যতক্ষণ না শীতের মৌসুম
শেষ হল ৷

এ বছর আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী সােকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায়
করেন ৷


يَهْتَزُّ تَاجُ الْمُلْكِ مِنْ فَوْقِهِ فَخْرًا وَيُزْهِي تَحْتَهُ الْمِنْبَرُ ... أَشْبَهَهُ الْبَدْرُ إِذَا مَا بَدَا أَوْ غُرَّةٌ فِي وَجْهِهِ تُزْهِرُ ... وَاللَّهِ مَا أَدْرِي أَبَدْرُ الدُّجْى فِي وَجْهِهِ أَمْ وَجْهُهُ أَنْوَرُ ... يَسْتَمْطِرُ الزُّوَّارُ مِنْكَ النَّدَى وَأَنْتَ بِالزُّوَّارِ تَسْتَبْشِرُ وَكَتَبَتْ تَحْتَ أَبْيَاتِهَا حَاجَتَهَا، فَرَكِبَ مِنْ فَوْرِهِ إِلَى أَبِيهِ، فَأَدْخَلَهُ عَلَى الْخَلِيفَةِ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بِشِرَائِهَا، فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ لَا أَشْتَرِيهَا وَقَدْ قَالَ فِيهَا الشُّعَرَاءُ فَأَكْثَرُوا، وَاشْتَهَرَ أَمْرُهَا، وَهِيَ الَّتِي يَقُولُ فِيهَا أَبُو نُوَاسٍ: إِنَّ عِنَانَ النِّطَافَ جَارِيَةٌ ... أَصْبَحَ حِرُّهَا لِلنَّيْكِ مَيْدَانَا لَا يَشْتَرِيهَا إِلَّا ابْنُ زَانِيَةٍ ... أَوْ قَلْطَبَانٌ يَكُونُ مَنْ كَانَا وَعَنْ ثُمَامَةَ بْنِ أَشْرَسَ قَالَ: بِتُّ لَيْلَةً مَعَ جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى بْنِ خَالِدٍ، فَانْتَبَهَ مِنْ مَنَامِهِ يَبْكِي مَذْعُورًا، فَقُلْتُ: مَا شَأْنُكَ؟ قَالَ: رَأَيْتُ شَيْخًا جَاءَ فَأَخَذَ بِعِضَادَتَيْ هَذَا الْبَابِ وَقَالَ: كَأَنْ لَمْ يَكُنْ بَيْنَ الْحَجُونِ إِلَى الصَّفَا ... أَنِيسٌ وَلَمْ يَسْمُرْ بِمَكَّةَ سَامِرُ قَالَ فَأَجَبْتُهُ:
পৃষ্ঠা - ৮২৭৩
بَلَى نَحْنُ كُنَّا أَهْلَهَا فَأَبَادَنَا ... صُرُوفُ اللَّيَالِي وَالْجُدُودُ الْعَوَاثِرُ قَالَ ثُمَامَةُ بْنُ أَشْرَسَ: فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الْمُقْبِلَةُ قَتَلَهُ الرَّشِيدُ، وَنَصَبَ رَأَّسَهُ عَلَى الْجِسْرِ، ثُمَّ خَرَجَ الرَّشِيدُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، فَتَأَمَّلَهُ ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: تَقَاضَاكَ دَهْرُكَ مَا أَسْلَفَا ... وَكَدَّرَ عَيْشَكَ بَعْدَ الصَّفَا فَلَا تَعْجَبَنَّ فَإِنَّ الزَّمَانَ ... رَهِينٌ بِتَفْرِيقِ مَا أَلَّفَا قَالَ: فَنَظَرْتُ إِلَى جَعْفَرٍ، وَقُلْتُ: أَمَا لَئِنْ أَصْبَحْتَ آيَةً، فَلَقَدْ كُنْتُ فِي الْخَيْرِ غَايَةً. قَالَ: فَنَظَرَ إِلَيَّ الرَّشِيدُ كَأَنَّهُ جَمَلٌ صَئُولٌ، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: مَا يُعْجِبُ الْعَالَمَ مِنْ جَعْفَرٍ ... مَا عَايَنُوهُ فَبِنَا كَانَا مَنْ جَعْفَرٌ أَوْ مَنْ أَبُوهُ وَمَنْ ... كَانَتْ بَنُو بَرْمَكٍ لَوْلَانَا ثُمَّ حَوَّلَ وَجْهَ فَرَسِهِ وَانْصَرَفَ. وَقَدْ كَانَ مَقْتَلُ جَعْفَرٍ فِي لَيْلَةِ السَّبْتِ مُسْتَهَلَّ صَفَرٍ مِنْ سَنَةِ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ، وَكَانَ عُمْرُهُ سَبْعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً، وَكَانَ لَهُمْ فِي الْوِزَارَةِ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقَدْ دَخَلَتْ عُبَادَةُ أُمُّ جَعْفَرٍ عَلَى أُنَاسٍ فِي يَوْمِ عِيدِ أَضْحَى تَسْتَمْنِحُ مِنْهُمْ جِلْدَ شَاةٍ تَتَدَفَّأُ بِهِ، وَسَأَلُوهَا عَنْ أَمْرِهِمْ: فَقَالَتْ: أَذْكُرُ أَصْبَحْتُ فِي مِثْلِ هَذَا الْيَوْمِ وَإِنَّ عَلَى رَأْسِي أَرْبَعَمِائَةِ وَصِيفَةٍ، وَإِنِّي لَأَقُولُ: إِنَّ ابْنِي جَعْفَرًا عَاقٌّ بِي.
পৃষ্ঠা - ৮২৭৪


৫০া৷া৪া৷া$
এই সনে যাদের ইনতিকাল হয় তাদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

জাফর ইবন ইয়াহ্ইয়া বারমাকী

এ তালিকায় রয়েছেন (বাগদাদের খিলাফতের) উষীরের পুত্র উযীর আবুল ফযল জাফর ইবন
ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ ইবন বারমাক আল-বারমাকী ৷ খলীফ৷ হারুনুর রশীদ তাকে শাম (বৃহত্তর
সিরিয়া) ও অন্যান্য প্রদেশের শাসনকর্তা (গভর্নর) নিয়োগ করেছিলেন ৷ হুরানে কায়স ও
ইয়ামানেৱ মধ্যে উথিত দাৎগা যা আশীরান ফিতনা নামে অভিহিত উথিত হলে তা নিয়ন্ত্রণের
জন্য খলীফ৷ বা ৷রমাকীকে৷ দ ৷মেশকে পা ৷ঠিয়েছিলেন ৷ এটি ছিল ইসলামী বিশ্বে কায়স ও ইয়ামানেৱ
মধ্যে প্রজ্বলিত প্রথম দাৎগার আগুন ৷ জাহিলিয়াতের সময়কাল হতে তাদের মধ্যকার সংঘ ঘাতের
আগুন স্তিমিত ছিল, বা এ সময়ত তারা পুনরায় উজ্জীবিত করেছিল ৷

জা ফর বারমাকী তার বাহিনীসহ৷ দ ৷মেশকে উপনীত হলে সব সন্ত্রাসের আগুন নির্বাপিত হয়ে
সমাজ জীবনে সন্প্রীতি ও আনন্দের বায়ু প্রবাহিত হল ৷ এ প্রসৎগে সুন্দর সুন্দর কাব্য রচিত

হয়েছিল ৷ ইবন আসা ৷কির তার তারীখ (ইতিহাস) গ্রন্থে জা ফর বা রম৷ কীার জীবন বৃত্তান্ত অংশে সে
সব কবিতা উদ্ধৃত করেছেন ৷ সেগুলোর কয়েক প্ ৷ৎক্তিং :


এৰুা৷ ৰুদ্বু মোঃ ৷১া
গ্রাএ

অর্থাৎ “শামে দাৎগার আ গুন প্রজ্বলিত করা হল ৷ এখন শামের জন্য আ গুন নির্বাপিত হওয়ার
সময় সমাগত ৷ যখন বারমাকী সাগরের তরংগ সে আ গুনের উপর উছলে পড়ল তখনই তার শিখা
ও স্ফুলিঙ্গগুলো নিতে গেল ৷

আমীরুল মু’মিনীন (খলীফ৷ হারুনুর রশীদ) জাফরকে দিয়ে তার উপর আঘাত ৷৷ণিত
করলেন, যাতে ছিল তার মাথা বেদনার প্ৰতিষেধক ও প্রলেপ ৷ পুণ্য ও তাকগুয়ার জন্য তিনিই

কাডিক্ষত আশার পাত্র ৷ তার শা ৷ণিত আঘাতে প্রত্যাখাত করার সাধ্য নেই কারো ৷” এ কবিতাটি
বেশ দীর্ঘ ৷

জাফর ছিলেন বাগিাতা, অলৎকারপুর্ণ ভাষণ প্রতিভা, প্রবল মেধা ও দান-বদান্যতার অধিকারী ৷
পিতা তাকে কাযী (ইমাম) আবু ইউসুফ (র) এরা সান্নিধ্যে অবস্থান করিয়ে তার নিকট হতে
ফিক্হে বুৎপত্তি অর্জনের ব্যবস্থা ৷করেছিলেন ৷ হারুন রশীদের সংগে ও তার বিশ্বে যে ঘনিষ্টত৷ গড়ে
ব্ঠছিল ৷ একরাতে তিনি হারুনুর রশীদের দরবারে এক হাজার দস্তাব্যেয স্বাক্ষর করেন এবং
সেগুলোর একটিতেও তিনি ফিক্হের বিধান হতে ৩বিচ্যুতির শিক কর হননি ৷ জা ফর তার পিতা
থেকে কাতিব হামীদ থেকে উছমান (রা)-এর কাতিব আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান থেকে
কাতিবুল ওয়াহী (ওয়াহী লিখক) যায়দ ইবন ছাবিত (রা) সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, যায়দ


وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ لَمَّا بَلَغَهُ قَتْلُ الرَّشِيدِ جَعْفَرًا، وَمَا أَحَلَّ بِالْبَرَامِكَةِ مِنَ النِّقْمَةِ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّ جَعْفَرًا كَانَ قَدْ كَفَانِي مَئُونَةَ الدُّنْيَا فَاكْفِهِ مَئُونَةَ الْآخِرَةِ. [حِكَايَةٌ غَرِيبَةٌ] ذَكَرَ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " الْمُنْتَظَمِ " أَنَّ الْمَأْمُونَ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلًا يَأْتِي كُلَّ يَوْمٍ إِلَى قُبُورِ الْبَرَامِكَةِ فَيَبْكِي عَلَيْهِمْ وَيَنْدُبُهُمْ، فَبَعَثَ مَنْ جَاءَهُ بِهِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ وَقَدْ يَئِسَ مِنَ الْحَيَاةِ، فَقَالَ لَهُ: وَيْحَكَ! مَا يَحْمِلُكَ عَلَى صَنِيعِكَ هَذَا؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّهُمْ أَسْدَوْا إِلَى مَعْرُوفًا وَخَيْرًا كَثِيرًا، وَلِي خَبَرٌ طَوِيلٌ. فَقَالَ: قُلْ. قَالَ: أَنَا الْمُنْذِرُ بْنُ الْمُغِيرَةِ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ، كُنْتُ فِي نِعْمَةٍ عَظِيمَةٍ، فَزَالَتْ عَنِّي حَتَّى أَفْضَى بِي الْحَالُ إِلَى أَنْ بِعْتُ دَارِي، وَلَمْ يَبْقَ لِي شَيْءٌ فَأَشَارَ بَعْضُ أَصْحَابِي عَلَيَّ بِقَصْدِ الْبَرَامِكَةِ فَأَتَيْتُ بَغْدَادَ وَمَعِي نَيِّفٌ وَعِشْرُونَ امْرَأَةً وَصَبِيًّا، فَأَنْزَلْتُهُنَّ فِي مَسْجِدٍ ثُمَّ قَصَدْتُ مَسْجِدًا أَصْلِيُّ فِيهِ، فَإِذَا فِيهِ جَمَاعَةٌ لَمْ أَرَ أَحْسَنَ مِنْهُمْ، فَجَلَسْتُ
পৃষ্ঠা - ৮২৭৫

তার একটি কলসে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা পেয়েছিল ৷ যেগুলোর প্রতিটির ওজন ছিল একশত
দীনারের সমান ৷ মুদ্রাগুলাের উপরিভাগে জাফরের নাম ৎ ত ছিল ৷ কবি বলেছেন-

শ্ষ্ষ্শ্ শ্শ্!ষ্)শ্ #
ঠেন্ধ্রএ১

হলদে বরণ (সোনালী), রাজ ভবনের ছাপযুক্ত (কত মুদ্রা) যার মুখাবয়বে জাফর’
(শব্দটি) জ্বলজ্বল করছিল ৷ যার একটির মুল্য এক শ৩ টির অধিক ৷ কোন অসচ্ছলকে তুমি তা
দিয়ে দিলে সে সচ্ছল হয়ে যায় ৷’

আহমদ ইবনুল মুআল্লা আর-রাবিআহ বলেছেন, আন-নাতিফীর ৰ্বাদী আনান জাফরের কাছে
একটি কাব্যপত্র লিখল এ মর্মে যে, জাফর তীর পিতা ইয়াহ্ইয়াকে বলবেন, তিনি যেন খলীফা
হারুনুর রশীদকে আনান-কে ক্রয় করার পরামর্শ দেন ৷ এ পত্রে আনান জাফর সম্পর্কে তার এ
কবিতা লিখে পাঠাল-

প্রু১১’১ প্রুপ্রুচু ৷ টু’১ ক্লো; ৷ ১ ১;;? রা (১াট্রুহু ত্ ) ১ধ্রুষ্১ শ্লে১;’১৷ ৷পু
া১৷ (;,;১া১ৰু৷ ত্)ষ্১১;ৰুা
৷ ১ ১১ ৷১ ৷

হে প্রেমে ভৎসনা তিরষ্কারকায়ী ! একটু বিরতি দাও, তুমি থামছ না কেন ? কে আছে এমন
(বাহাদুর) যে প্রেমের অনল দাহে সবর করতে পারে ? আমার প্রেম মদিরাপান করার পর আমাকে
তা থেকে ফিরিয়ে রাখার জন্য ভর্চুসনা কর না ; কেননা প্রেম মিশ্রণের শরবর্ত অতি মধুর ৷
প্রেম-ভালবাসা আমাকে বেষ্টন করে ফেলেছে ; আমার পিছনে প্রেমের এক সাগর ৷ সামনে সাগর
আর সাগর ৷ ’

’এন্নী“শ্

প্রেমের পতাকাগুলো অস্ত্র উচিয়ে (আমার ধ্বংসের বা৩ ৷ নিয়ে) আমার মাথার উপরে
পত্পৎ করে উড়ছে, আর আমার চারপাশে অবস্থান নিয়েছে অনুরাগ-আকর্ষণের সেনাবাহিনী ৷
প্রেমে ভর্ন্তসনাকারী লঘু ভব্লুসনা করুক কিংবা ভারী ৷ এ দুটোই আমার কাছে সমান ৷ ’

! # ৷ # শ্ ) ৷ # ৷


ষ্ # ! শ্ ৷ ) ষ্


তৃমি বারমাক গোষ্ঠীর সুনির্বাচিত পরিচ্ছন্ন হে কল্যাণ ( ও দান-দক্ষিণার) সাগর ৷ হে
জা ফর ৷ কোন গুণ কীর্তনকা রী তার গুণ বর্ণনায় তোমার মাহাত্ম্য শ্রেষ্ঠত্বের মাত্র পর্যন্ত পৌছতে
পারে না ৷ তার দশমাত্শও বর্ণনা করতে পারে না ৷


إِلَيْهِمْ، فَجَعَلْتُ أُدِيرُ فِي نَفْسِي كَلَامًا أَطْلُبُ بِهِ مِنْهُمْ قُوتًا لِلْعِيَالِ، فَيَمْنَعُنِي مِنْ ذَلِكَ ذُلُّ السُّؤَالِ، فَبَيْنَا أَنَا كَذَلِكَ إِذَا بِخَادِمٍ قَدْ أَقْبَلَ فَاسْتَدْعَاهُمْ، فَقَامُوا كُلُّهُمْ وَقُمْتُ مَعَهُمْ، فَدَخَلُوا دَارًا عَظِيمَةً، فَإِذَا الْوَزِيرُ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ فِيهَا، فَجَلَسُوا حَوْلَهُ، فَعَقَدَ عَقْدَ ابْنَتِهِ عَائِشَةَ عَلَى ابْنِ عَمٍّ لَهُ، وَنَثَرُوا عَلَيْنَا سَحِيقَ الْمِسْكِ وَبَنَادِقَ الْعَنْبَرِ، ثُمَّ جَاءَتِ الْخَدَمُ إِلَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنَ الْجَمَاعَةِ بِصِينِيَّةٍ مِنْ فِضَّةٍ فِيهَا أَلْفُ دِينَارٍ، وَمَعَهَا فُتَاتُ الْمِسْكِ، فَأَخَذَهَا الْقَوْمُ وَنَهَضُوا، وَبَقِيَتْ بَيْنَ يَدَيَّ الصِّينِيَّةُ الَّتِي وَضَعُوهَا لِي، وَأَنَا أَهَابُ أَنْ آخُذَهَا مِنْ عَظَمَتِهَا عِنْدِي، فَقَالَ لِي بَعْضُ الْحَاضِرِينَ: أَلَّا تَأْخُذُهَا وَتَقُومُ؟ فَمَدَدْتُ يَدِي، فَأَخَذْتُهَا فَأَفْرَغْتُ ذَهَبَهَا فِي جَيْبِي وَأَخَذْتُ الصِّينِيَّةَ تَحْتَ إِبِطِي وَقُمْتُ وَأَنَا خَائِفٌ أَنْ تُؤْخَذَ مِنِّي، فَجَعَلْتُ أَتَلَفَّتُ وَالْوَزِيرُ يَنْظُرُ إِلَيَّ وَأَنَا لَا أَشْعُرُ، فَلَمَّا بَلَغْتُ السِّتَارَةَ أَمَرَهُمْ فَرَدُّونِي، فَيَئِسْتُ مِنَ الْمَالِ، فَلَمَّا رَجَعْتُ قَالَ لِي: مَا شَأْنُكَ؟ فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ خَبَرِي، فَبَكَى ثُمَّ قَالَ لِأَوْلَادِهِ: خُذُوا هَذَا فَضَمُّوهُ إِلَيْكُمْ. فَجَاءَنِي خَادِمٌ، فَأَخَذَ مِنِّي الذَّهَبَ وَالصِّينِيَّةَ، وَأَقَمْتُ عِنْدَهُمْ عَشَرَةَ أَيَّامٍ مِنْ وَلَدٍ إِلَى وَلَدٍ وَخَاطِرِي كُلُّهُ عِنْدَ عِيَالِي، وَلَا يُمْكِنُنِي الِانْصِرَافُ، فَلَمَّا انْقَضَتِ الْعَشْرَةُ جَاءَنِي خَادِمٌ فَقَالَ: أَلَا تَذْهَبُ إِلَى أَهْلِكَ؟ فَقُلْتُ: بَلَى وَاللَّهِ. فَقَامَ يَمْشِي أَمَامِي وَلَمْ يُعْطِنِي الذَّهَبَ، فَقُلْتُ: يَا لَيْتَ هَذَا كَانَ قَبْلَ هَذَا. فَسَارَ يَمْشِي أَمَامِي إِلَى دَارٍ لَمْ أَرَ أَحْسَنَ مِنْهَا، فَإِذَا
পৃষ্ঠা - ৮২৭৬


জাফরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়৷ হয়েছিল একশত সাতা ৷শি হিজরী সনের সফর মাসের সুচনায়
শনিবার রাতে ৷ তখন তার বয়স হয়েছিল সাইত্রিশ বছর এবং এর মধ্যে সাত ব বছর৩ তিনি
প্রধা ৷নমন্তী ছিলেন ৷

(জা ফর পরিবারের করুণ পরিণতি এমন হয়েছিল যে, ) এক ঈদুল আযহার দিনে জাফরের
মা আব্বাস৷ শীত নিবারণের জন্য মানুষের কাছে একটি দৃম্বার চামড়ার সাহায্য প্রার্থনা করছিল ৷
লোকেরা তাকে তাদের পুর্বেকার প্রাচুর্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল, এমনি এক দিনে
আমার অবস্থা এমন ছিল যে , আমার শিয়রে চারশ বাদী আমার সেবার জন্য দাড়িয়ে থাকত ৷ আর
আমি বলতাম, আমার ছেলে জাফর মাতৃভক্ত পুত্র নয় ৷

খতীব বাগদাদী তার সনদে বর্ণনা করেছেন, হারুনুর রশীদ কর্তক জা ফরকে হত্যা করা এবং
বারমাকীদের উপর নেমে আসা ভাগ্য বিপর্যয়ের সংবাদ সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ (র) এর কাছে
পৌছলে তিনি কিবলামুখী হয়ে বললেন, ইয়৷ অ ৷ল্লাহ্ জাফর আমার দুনিয়ার ঝামেলা মুক্তির
জন্য যথেষ্ট হয়েছিলেন ৷ আপনি তার আখিরাতে র ঝামেলা মুক্তির জন্য যথেষ্ট হয়ে যান ৷

একটি আশ্চর্য ঘটনা

আল-মুনতাজাম কিভাবে ইবনুল জাওষী উল্লেখ করেছেন, খলীফা মামুনের কাছে এ মর্মে
সংবাদ পৌছল যে, জনৈক ব্যক্তি বারমাকীদের কবরন্থানে গিয়ে কান্নাকাটি করে ও তাদের জন্য
বিলাপ-মাতম করে ৷ খলীফ৷ তাকে নিয়ে আসা র জন্য লোক পাঠালেন ৷ সে জীবনের ব্যা ৷পারে
নিরাশ হয়ে খলীফার দরবারে প্রবেশ করল ৷ খলীফা তাকে বললেন, দৃর্ভ ৷গা তুমি এসব করছ
কেন ? লোকঢি বলল, হে আমীরুল মু মিনীন তারা আমাকে বিশাল অনুগ্ন হ করেছিল এবং
অনেক দান-দক্ষিণা দিয়েছিল ৷ খলীফ৷ বললেন, তারা তোমাকে কী দান করেছিল ? সে বলল,
আমার নাম আল-মুনযির ইবনুল মুর্গীরা ৷ আমার নিবাস দামেশকে ৷ এক সময় আমি দামেশৃকে
বিশাল সম্পদ ও প্রাচুর্যের অধিকারী ছিলাম ৷ পরে আমার যে প্রাচুর্যনিঃশেয হয়ে গেল এবং আমার
অবস্থা এমন হল যে, আমি আমার বসত বাড়িটি বেচে ফেলতে বাধ্য হলাম এবং আমি
কপর্দকশুন্য হয়ে গেলাম ৷ তখন আমার বন্ধুদের কেউ কেউ আমাকে বাগদাদে বারমাকীদের
শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিল ৷

আমি বাড়িতে গেলাম এবং আমার পরিবার পরিজনকে সংগে নিয়ে বাগদাদে পৌছলাম ৷
তখন আমার সংগে ছিল বিশে ৷র অধিক নারী ৷ আমি তাদের একটি অনাবাদ মসজিদে রেখে
সালাত আদা ৷য়ের জন্য একটি আবাদ মসজিদের উদ্দেশে ঢ বেরিয়ে পড়লাম ৷ আমি একটি মসজিদে
পৌছলাম যেখানে এমন একদল লোক ছিল যাদের চেয়ে সুন্দর চেহারার মানুষ আমি দেখিনি ৷
আমি তাদের স ×গে বসলাম এবং আমার পরিজনের ক্ষুধা মেটাবার জন্য সামান্য খাদ্য প্রার্থনা

করার কথাটি মনে মনে আওড়াতে লাগলাম ৷ কিন্তু লজ্জা আমাকে তা মুখ হতে উচ্চা ৷রণে বাধা
দিল ৷

আমার এ অবস্থায় একজন খাদিম এসে ণ্লাকদের আহ্বান জানালে তারা ৷সকলে উঠে পড়ল ৷
আমি তাদের সংগে চললাম ৷ত তারা এক বিরাট ভবনে প্রবেশ করল ৷ দেখলাম উষীর ইয়াহ্ইয়া
ইবন খালিদ সেখানে উপবিষ্ট রয়েছেন ৷ লোকেরা তার চারপাশে আসন নিল ৷ তখন তার এক


عِيَالِي يَتَمَرَّغُونَ فِي الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ فِيهَا، وَقَدْ وَصَلَ إِلَيْهِمْ مِائَةُ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَعَشَرَةُ آلَافِ دِينَارٍ، وَكِتَابٌ فِيهِ تَمْلِيكُ الدَّارِ بِمَا فِيهَا، وَبِقَرْيَتَيْنِ جَلِيلَتَيْنِ لَهُمْ، فَكُنْتُ مَعَ الْبَرَامِكَةِ فِي أَطْيَبِ عَيْشٍ، فَلَمَّا أُصِيبُوا أَخَذَ مِنِّي عَمْرُو بْنُ مَسْعَدَةَ الْقَرْيَتَيْنِ، وَأَلْزَمَنِي بِخَرَاجِهِمَا، فَكُلَّمَا لَحِقَتْنِي فَاقَةٌ قَصَدْتُ دَوْرَهُمْ وَقُبُورَهُمْ فَبَكَيْتُ عَلَيْهِمْ. فَأَمَرَ الْمَأْمُونُ بِرَدِّ الْقَرْيَتَيْنِ عَلَيْهِ وَخَرَاجِهِمَا. فَبَكَى الشَّيْخُ بُكَاءً شَدِيدًا، فَقَالَ لَهُ الْمَأْمُونُ: أَلَمْ أَسْتَأْنِفْ بِكَ جَمِيلًا؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنْ هُوَ مِنْ بَرَكَةِ الْبَرَامِكَةِ. فَقَالَ الْمَأْمُونُ: امْضِ مُصَاحَبًا فَإِنَّ الْوَفَاءَ مُبَارَكٌ، وَحُسْنَ الْعَهْدِ مِنَ الْإِيمَانِ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] الْفُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، أَبُو عَلِيٍّ التَّمِيمِيُّ، أَحَدُ أَئِمَّةِ الْعُبَّادِ، وَعَلَمُ الزُّهَّادِ، وَوَاحِدُ الْعُلَمَاءِ الْأَوْلِيَاءِ، وُلِدَ بِخُرَاسَانَ بِكَوْرَةِ أَبِيوَرْدَ، وَقَدِمَ الْكُوفَةَ وَهُوَ كَبِيرٌ، فَسَمِعَ الْأَعْمَشَ، وَمَنْصُورَ بْنَ الْمُعْتَمِرِ وَعَطَاءَ بْنَ السَّائِبِ، وَحُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَغَيْرَهُمْ، ثُمَّ انْتَقَلَ إِلَى مَكَّةَ فَتَعَبَّدَ بِهَا، وَكَانَ حَسَنَ تِلَاوَةِ الْقُرْآنِ، كَثِيرَ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ، وَكَانَ سَيِّدًا كَبِيرَ الشَّأْنِ، ثِقَةً مِنْ أَئِمَّةِ الرِّوَايَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَرَضِيَ عَنْهُ، وَلَهُ مَعَ الرَّشِيدِ قِصَّةُ مَوْعِظَتِهِ لَهُ، وَقَدْ رُوِّينَا ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৮২৭৭

ভাতিজার সংগে তার কন্যা আইশা-র আক্দ সম্পন্ন করা হল ৷ মজলিসে মিশকের টুকরা ও
আম্বরের পাত্র ছিটানাে হল ৷ এরপর খাদিমরা যেহমানদের প্রত্যেকের কাছে রুপার তৈরি এক
একটি উপহার পাত্র নিয়ে গেল ৷ যাতে ছিল এক হাজার করোর্ণা হুদ্রা ও সেই সংগে মিশক চুর্ণ ৷
লোকেরা তা নিয়ে উঠে চলে গেল ৷ আমি একাকী বসে রইলাম ৷ আমাকে দেয়া উপহার পাত্রটি
আমার সামনেই ছিল ৷ সেটি অতি মুল্যবান হওয়ার কারণে সেটি নিয়ে যেতে আমি অম্ভরে শংকা
বোধ করছিলাম ৷

উপস্থিত কেউ আমাকে বলল, তুমি এটি নিয়ে চলে যাচ্ছ না কেন ? তখন আমি হাত বাড়িয়ে
পাত্রটি তুলে নিলাম এবংার্ণমুদ্রাগুলাে আমার পকােট রাখলড়াম ও পাত্রটি বগলদাবা করে উঠে
পড়লাম ৷ আমার ভয় হচ্ছিল যে, সেটি হয়তো আমার কাছ হতে নিয়ে নেয়া হবে ৷ আমি
এদিক-সেদিক তাকাতে লাগলাম ৷ উযীর আমার অজ্ঞাতে আমাকে দেখে চলছিলেন ৷ আমি
দরজার পর্দায় কাছে পৌছলে লোকেরা তার আদেশে আমাকে তার কাছে ফিরিয়ে নিয়ে গেল ৷
তখন আমি মানের ব্যাপারে নিরাশ হয়ে পেলাম ৷

উযীর আমাকে বললেন, তুমি ভয় পাচ্ছ কেন ? তখন আমি আমার সব কথা তাকে বর্ণনা
করলে তিনি কেদে ফেললেন ও তীর সন্তানদের বললেন, একে নিয়ে গিয়ে তোমাদের সংগে
মিলিয়ে লও ৷ তখন একজন খড়াদিম এসে আমার কাছ হতোর্ণমুদ্র৷ ও পাত্রটি নিয়ে গেল ৷ আমি
তার সন্তানদের কাছে একের পর এক দশ দিন অবস্থান করলাম ৷ আমার মন পড়েছিল আমার
পরিজনের কাছে ৷ কিন্তু আমি তাদের কাছে ফিরে যেতে পারছিলাম না ৷ দশদিন অতিক্রান্ত হলে
খাদিম এসে আমাকে বলল, তুমি তোমার পরিবারের কাছে যাবে না ? আমি বললাম, আল্লাহর
কসম ! অবশ্যই যাব ৷ তখন খাদিম আমার সামনে হীটতে লাগল, কিন্তু পাত্র ওার্ণচড্রা আমাকে
ফিরিয়ে দিল না ৷ আমি (মনে মনে) বললাম, হায় ! এ ঘটনা যদি আমার কাছ হতে পাত্র ও
াণ্টাদ্রা নিয়ে নেয়ার আগে ঘটত ৷ হার আমার পরিবার-পরিজন যদি তা দেখতে পেত !

খাদিম আমার সামনে চলতে চলতে এমন একটি বাড়িতে পৌছল যার চেয়ে সুন্দর বাড়ি
আমি দেখিনি ৷ বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে আমি দেখলাম যে, আমার পরিবারের লোকেরা
সেখানোর্ণ (অলংকার) ও রেশমী বত্রে লুটোপুটি খাচ্ছে ৷ তারা বাড়িতে এক লাখ দিরহাম
(রৌপ্য মুদ্রা) ও দশ হাজার দীনার (ার্ণমুদ্রা) পাঠিয়ে দিয়েছে ৷ সেই সংগে সমুদয় আসবাবপত্রসহ
বাড়ির মালিকানার দলীল ও দুইটি বিরাট গ্রামের লাখেরাজ বরাদ্দপত্রও পৌছে দেয়া হয়েছে ৷

এরপর হতে আমি বারমাকীদের সংগে প্রাচুর্যময় জীবন যাপন করছিলাম ৷ তারা দৃর্ডাগ্যের
শিকার হলে আমর ইবন মাসঅদো আমার নামে প্রদত্ত গ্রাম দুইটির বরাদ্দ বাতিল করে আমার
উপর তার খারাজ (রাজা) ধার্য করে দিল ৷ এরপর হতে যখনই আমি অনটনের শিকার হই তখন
তাদের (পরিত্যক্ত) বাড়ি-ঘর ও কবরের কাছে পৌছে তাদের স্মরণে কান্নাকাটি করি ৷

এসব শুনে খলীফা মামুন গ্রাম দু’টি ফিরিয়ে দেয়ার ফরমান জারী করলেন ৷ এতে বৃদ্ধ
লোকটি কুপিয়ে কাদতে শুরু করলে মামুন বললেন, কী ব্যাপার ? আমি কী তোমার সংগে নতুন
করে সদাচরণ করলাম না ? সে বলল, তা অবশ্যই ৷ তবে তা-ও তো বারমার্কীদের বরকতে ৷
মামুন বললেন, আচ্ছা সাহচর্য অব্যাহত রাখ ৷ কেননা অংগীকার প্রতিপালন রবকতময় এবং উত্তম
সাহচর্য ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা ঈমানের অংগ ৷


مُطَوَّلًا فِي كَيْفِيَّةِ دُخُولِ الرَّشِيدِ عَلَيْهِ مَنْزِلَهُ، وَمَا قَالَ لَهُ الْفُضَيْلُ، وَعَرْضِ الرَّشِيدِ عَلَيْهِ الْمَالَ، فَأَبَى ذَلِكَ وَلَمْ يَقْبَلْ مِنْهُ شَيْئًا، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِمَكَّةَ فِي هَذَا الْعَامِ، فِي الْمُحَرَّمِ مِنْهُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ شَاطِرًا يَقْطَعُ الطَّرِيقَ، وَكَانَ يَتَعَشَّقُ جَارِيَةً، فَبَيْنَمَا هُوَ ذَاتَ لَيْلَةٍ يَتَسَوَّرُ عَلَيْهَا جِدَارًا إِذْ سَمِعَ قَارِئًا يَقْرَأُ: {أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنْ تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ} [الحديد: 16] . فَقَالَ: بَلَى يَا رَبِّ. وَأَقْلَعَ عَمَّا هُوَ فِيهِ، وَرَجَعَ إِلَى خَرِبَةٍ، فَبَاتَ بِهَا فَسَمِعَ سِفَارًا يَقُولُونَ: إِنَّ فُضَيْلًا أَمَامَكُمْ يَقْطَعُ الطَّرِيقَ. فَأَمَّنَهُمْ، وَاسْتَمَرَّ عَلَى تَوْبَتِهِ، حَتَّى كَانَ مِنْهُ مَا كَانَ مِنَ السِّيَادَةِ وَالْعِبَادَةِ وَالزَّهَادَةِ، ثُمَّ صَارَ عَلَمًا يُقْتَدَى بِهِ وَيُهْتَدَى بِكَلَامِهِ وَفِعَالِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ الْفُضَيْلُ: لَوْ أَنَّ الدُّنْيَا كُلَّهَا حَلَالٌ لَا أُحَاسَبُ بِهَا، لَكُنْتُ أَتَقَذَّرُهَا كَمَا يَتَقَذَّرُ أَحَدُكُمُ الْجِيفَةَ إِذَا مَرَّ بِهَا أَنْ تُصِيبُ ثَوْبَهُ. وَقَالَ: الْعَمَلُ لِأَجْلِ النَّاسِ شِرْكٌ، وَتَرْكُ الْعَمَلِ لِأَجْلِ النَّاسِ رِيَاءٌ، وَالْإِخْلَاصُ أَنْ يُعَافِيَكَ اللَّهُ مِنْهُمَا.
পৃষ্ঠা - ৮২৭৮


হযরত ফুযায়ল ইৰ্ন ইয়ার (র)

এ সনে যাদের ইনতিকাল হয় উল্লেখযােগ্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফুযায়ল ইবন ইয়ায
আবু আলী আত্-তামীমী ৷ তিনি শীর্ষ স্থানীয় অধিক আবিদজুলের অন্যতম, প্রখ্যাত আদিম ও
ওলীগণের অন্যতম ৷ খুরাসানের দীন্দর অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন এবং বয়স্ক অবস্থায় কুফায়
আগমন করেন ৷ তিনি আমাশ, মড়ানসুর ইবনুল মু’তামির, আতা ইবনুল সাইব, হুসায়ন ইবন
আবদুর রহমান প্রমুখের কাছে থেকে হাদীস আহরণ করেন ৷ পরে মক্কায় চলে যান এবং সেখানে
ইবাদতে নিমগ্ন থাকেন ৷ তিনি ছিলেন শ্রুতিমধুর তিলাওয়াতের অধিকারী এবং অধিক পরিমাণে
সালাত-সিয়াম পালনকারী ৷ তিনি ছিলেন হাদীসের আস্থাভাজন (ছিকা) ইমামরুপে মহান নেতৃত্বের
আসনে বরিত ৷ (আল্লাহ র্তাকে রহম করুন ও তার প্ৰতি সন্তুষ্ট হোন) ৷

খলীফা হারুনুর রশীদ ও তার মধ্যে একটি দীর্ঘ ঘটনা রয়েছে যা আমরা তীর ঘরে খলীফার
আগমনের অবস্থা প্রসংগে বিশদরুপে বর্ণনা করেছি ৷ খলীফাকে ফুযায়ল ইবন ইয়ায যা বলেছিলেন
এবং হারুনুর রশীদ তাকে সম্পদ গ্রহণের অনুরোধ করলে তা গ্রহণে তার অস্বীকৃতি ইত্যাদি বিষয়
সেখানে আমরা উল্লেখ করে এসেছি ৷

এ বছরের মুহাররাম মাসে তিনি মক্কায়ইনতিকাল করেন ৷

বিভিন্ন বর্ণনায় আছে ৷ এক সময় ফুযায়ল বিপথগামী দুর্ধর্ষ ডাকাত ছিল এবং রাহাজানি করে
বেড়াত ৷ সে এক তরুণীকে প্রেম নিবেদন করত ৷ এক রাতে সে প্রেমিকার কাছে যাওয়ার জন্য
একটি দেয়াল টপকাবার সময় সে কোন কুরআন তিলাওয়াতকারীকে এ আয়াত তিলাওয়াত করতে
শুনতে পেল-

ান্’;ট্রু ৷ ;,ঠু;ার্দু৷ শ্ৰু,হু ৰু’ন্’া

“যায়৷ ঈমান এন্যেছ তাদের জন্য কি আল্লাহর স্মরণে তাদের অন্তর ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার সময়

এসে পৌছেনি ? (সুরা হড়াদীদ : ১৬) ৷”

তিলাওয়াতের আওয়ায কর্ণকুহরে আঘাত করলে সে আচমকা বলে উঠল, ইা, হী৷ এবং সে
তওবা করে তার পেশা ও অপকর্ম সম্পুর্ণ পরিত্যাগ করল এবং একটি অনাৰাদ স্থানে চলে গিয়ে
সেখানে রাত অতিবাহিত করল ৷ সেখানে সে একটি কাফেলার লোকদের বলতে শুনল , সাবধান ৷
সামনেই ফুযায়ল ডাকাতেৱ আস্তানা ! ফুযায়ল বের হয়ে পথিকদের নিরাপত্তা দিন এবং নিজের
তওবায় অবিচল রইল ৷ এরপর হতে তিনি ইবাদাত ও দরবেশীর শীর্ষ স্তরে উপনীত হতে লাগলেন
এবং এক সময় এমন বরেণ্য বুযুর্গে পরিণত হলেন যে মানুষ তার মাধ্যমে হিদায়াত পেতে লাগল
এবং তার বাণী ও কর্মের অনুসরণ করতে লাগল ৷

ফুযায়ল (র)-এর অমুল্য বাণী

১ সমগ দুনিয়া যদি এমন হলোল হত যে, তার জন্য আমাকে কোন হিসাব দিতে হবে না
তবুও আমি তা থেকে এমনভাবে আত্মরক্ষা করে চলতড়াম যেরুপ তোমরা মৃত দেহের পাশ দিয়ে
পথ চলার সময় তা তোমাদের কাপড়ে লেগে যাওয়ার ভয়ে সতর্কতা অবলম্বন কর ৷


وَقَالَ لَهُ الرَّشِيدُ يَوْمًا: مَا أَزْهَدَكَ! فَقَالَ: أَنْتَ أَزْهَدُ مِنِّي ; لِأَنِّي زَهِدْتُ فِي الدُّنْيَا الْفَانِيَةِ، وَأَنْتَ زَهِدْتَ فِي الْآخِرَةِ الْبَاقِيَةِ. وَمِنْ كَلَامِهِ: لَوْ أَنَّ لِي دَعْوَةً مُسْتَجَابَةً لَدَعَوْتُ بِهَا لِإِمَامِ عَامَّةٍ ; فَإِنَّهُ إِذَا صَلَحَ أَمِنَتِ الْبِلَادُ وَالْعِبَادُ. وَقَالَ: إِنِّي لَأَعْصِي اللَّهَ فَأَعْرِفُ ذَلِكَ فِي خُلِقِ حِمَارِي وَخَادِمِي. وَقَالَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا} [الملك: 2] . قَالَ: يَعْنِي أَخْلَصَهُ وَأَصْوَبَهُ ;إِنَّ الْعَمَلَ يَجِبُ أَنْ يَكُونَ خَالِصًا لِلَّهِ، وَصَوَابًا عَلَى مُتَابَعَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، وَعَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৮২৭৯
مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ الْعَمِّيُّ، وَعَلِيُّ بْنُ عِيسَى الْأَمِيرُ بِبِلَادِ الرُّومِ مَعَ الْقَاسِمِ ابْنِ الرَّشِيدِ فِي الصَّائِفَةِ، وَمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَأَبُو شُعَيْبٍ الْبَرَاثِيُّ الزَّاهِدُ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ سَكَنَ بَرَاثَا فِي كُوخٍ لَهُ يَتَعَبَّدُ فِيهِ، فَهَوِيَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِ الرُّؤَسَاءِ، فَانْخَلَعَتْ مِمَّا كَانَتْ فِيهِ مِنَ السَّعَادَةِ وَالْحِشْمَةِ، وَتَزَوَّجَتْهُ وَأَقَامَتْ مَعَهُ يَتَعَبَّدَانِ فِي ذَلِكَ الْكُوخِ حَتَّى مَاتَا، رَحِمَهُمَا اللَّهُ، وَيُقَالُ إِنَّ اسْمَهَا جَوْهَرَةُ.