আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وثمانين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮২৩৮


বসবাস করেন ৷ আল্লাহ তার প্রতি রহম করুন ৷ তিনি বলেন, ইয়াহ্ইয়া আশংকা করছিল যে,
আমি আবার শাসন কার্যে ফিরে আসর, না, আল্লাহর শপথ ! যদি আমাকে পুর্বের জায়গায়
প্রত্যাবর্তন করানো হত তাহলে আমি কোন দিন তা করতাম না ৷

এ বছর ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র)-এর হাদীসের উস্তাদ আবু মুআবিয়া ইয়াযীদ ইবন
যুরায় ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন নির্ভরযোগ্য বিশ্বস্ত আলিম, আবিদ ও পরহেযগার ৷ তার
পিতা ইনতিকাল করেন আর তিনি ছিলেন বসরায় শাসক ৷ তিনি পীচশত দিরহামের ন্যায় সম্পদ
রেখে যান ৷ কিন্তু ইয়াযীদ ঐ দিরহাম থেকে এক দিরহামও গ্রহণ করেননি ৷ তিনি খেজুর পাতা
দিয়ে নিজ হাতে কাজ করতে এবং তার আর দিয়ে নিজের ও পরিবারের জীবিকার খরচ
চালাতেন ৷ এ বছরই তিনি বসরায় ইনতিকাল করেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, এর পুর্বে
ইনতিকাল করেন ৷ আল্লাহ সম্যক অবগত ৷

১৮৩ হিজরীর আগমন

এ বছরই আরমানিয়াদের র্ঘাটি থেকে জনগণের প্রতিকুলে আল-খাযার সম্প্রদায়ের আবির্ভাব
ঘটে ৷ তারা আরমানিয়াদের শহরগুলােতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে ৷ তারা মুসলিম জনতা ও যিম্মিদের
মধ্য থেকে প্রায় এক লাখ লোককে বন্দী করে এবং বহু লোককে হত্যা করে ৷ আরমানিয়ার নায়িব
সাঈদ ইবন মুসলিম পরাজয়বরণ করেন ৷ আর-রশীদ তখন তাদেরকে দমন করার জন্য খাযিম
ইবন খুযায়মা ও ইয়াযীদ ইবন মাষীদকে এক বিরটি সৈন্যদলসহ প্রেরণ করেন ৷ তারা ঐসব শহরে
বিরাজমান বিশৃগ্রলা দমন করেন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন ৷ এ বছর আল-আববাস ইবন মুসা
আল-হাদী লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন ৷

এ বছর যে সব পণ্যমান্য ব্যক্তি ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন : আলী ইবন
আল-ফুযায়ল ইবন ইয়ায ৷ তিনি তীর পিতার জীবদ্দশায় ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন অধিক
ইবাদতগুযার , পরহ্বহযগার, আল্লাহ্র ভয়ে ভীত ও বিনয়ী ৷ অন্য একজন হলেন চ আবুল আব্বাস
মুহাম্মদ ইবন সাবীহ, বনুঅজােল আল-ঘুযাক্কাত্তরর আযাদকৃত দাস ৷ তিনি ইবন সাম্মাক হিসেবেও
পরিচিত ছিলেন ৷ তিনি ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ, আল-আমাশ, আস-সাওরী, হিশাম ইবন
উরওয়া ও অন্যদের থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ একদিন তিনি আর-রশীদের কাছে প্রবেশ করেন এবং
রশীদকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমার জন্য রয়েছে আল্লাহর সামনে দওড়ায়মান হবার স্থান ৷ এখন
চিন্তা করে দেখ কোন ঠিকানায় তোমাকে যেতে হবে জান্নড়াড়ে না জাহান্নড়ামে ? আর-রশীদ তখন
কীদতে থাকেন এমনকি তিনি মারা যাওয়ার উপক্রম হন ৷

এ বছর যীরা ইনতিকাল করেন তাদের অন্য একজন হলেন : মুসা ইবন জাফর ৷ তিনি
হলেন আবুল হাসান মুসা ইবন জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আল-হুসায়ন ইবন আলী
ইবন আবু তালিব আল-হাশিমী ৷ তাকে আল-কাযিমও বলা হয়ে থাকে ৷ তিনি ১২৮ কিংবা ১২৯
হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন অত্যধিক ইবাদতগুযার ও মান-সম্মানের অধিকারী ৷ যদি
কারো সম্বন্ধে তার কাছে খবর পৌছত যে, সে তাকে কষ্ট দিচ্ছে তখন তিনি তার কাছে স্বর্ণ ও
উপচৌকন প্রেরণ করতেন ৷ তার সন্তান-সত্ততি জন্ম নিয়েছিল চল্লিশজন ৷ একবার তাকে একটি
পরিজ ভৈতরিকারক গোলাম হাদিয়া দেওয়া হয় তিনি তাকে খরিদ করে নেন এবং তার শস্য


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا خَرَجَتِ الْخَزَرُ عَلَى النَّاسِ مِنْ ثُلْمَةِ أَرْمِينِيَّةَ، فَعَاثُوا فِي تِلْكَ الْبِلَادِ فَسَادًا، وَسَبَوْا مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَأَهْلِ الذِّمَّةِ نَحْوًا مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ، وَقَتَلُوا بَشَرًا كَثِيرًا، وَانْهَزَمَ نَائِبُ أَرْمِينِيَّةَ سَعِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، فَأَرْسَلَ الرَّشِيدُ إِلَيْهِمْ خُزَيْمَةَ بْنَ خَازِمٍ وَيَزِيدَ بْنَ مَزْيَدٍ فِي جُيُوشٍ كَثِيفَةٍ، إِلَى تِلْكَ الْبِلَادِ فَأَصْلَحُوا مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ الْعَيْثِ وَالْفَسَادِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ الْعَبَّاسُ بْنُ مُوسَى الْهَادِي. وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ عَلِيُّ بْنُ الْفُضَيْلِ بْنِ عِيَاضٍ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ، وَكَانَ كَثِيرَ الْعِبَادَةِ وَالْوَرَعِ وَالْخَوْفِ. وَمُحَمَّدُ بْنُ صُبَيْحٍ أَبُو الْعَبَّاسِ، مَوْلَى بَنِي عِجْلٍ، الْمُذَكِّرُ. وَيُعْرَفُ بِابْنِ السَّمَّاكِ. رَوَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ وَالْأَعْمَشِ وَالثَّوْرِيِّ وَهِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ وَغَيْرِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৮২৩৯
وَدَخَلَ يَوْمًا عَلَى الرَّشِيدِ، فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ لَكَ بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ مَوْقِفًا، فَانْظُرْ أَيْنَ مُنْصَرَفُكَ; إِلَى الْجَنَّةِ أَمْ إِلَى النَّارِ؟ فَبَكَى الرَّشِيدُ حَتَّى كَادَ يَمُوتُ. وَمُوسَى بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَبُو الْحَسَنِ الْهَاشِمِيُّ، وَيُقَالُ لَهُ: الْكَاظِمُ. وُلِدَ سَنَةَ ثَمَانٍ أَوْ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، وَكَانَ كَثِيرَ الْعِبَادَةِ وَالْمُرُوءَةِ، إِذَا بَلَغَهُ عَنْ أَحَدٍ أَنَّهُ يُؤْذِيهِ أَرْسَلَ إِلَيْهِ بِالتُّحَفِ وَالذَّهَبِ، وُلِدَ لَهُ مِنَ الذُّكُورِ وَالْإِنَاثِ أَرْبَعُونَ نَسَمَةً. وَأَهْدَى لَهُ مَرَّةً عَبْدٌ عَصِيدَةً فَاشْتَرَاهُ وَاشْتَرَى الْمَزْرَعَةَ الَّتِي هُوَ فِيهَا بِأَلْفِ دِينَارٍ، وَأَعْتَقَهُ، وَوَهَبَهَا لَهُ. وَقَدِ اسْتَدْعَاهُ الْمَهْدِيُّ إِلَى بَغْدَادَ فَحَبَسَهُ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ اللَّيَالِي رَأَى الْمَهْدِيُّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَهُوَ يَقُولُ لَهُ: يَا مُحَمَّدُ {فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ} [محمد: 22] . فَاسْتَيْقَظَ مَذْعُورًا، وَأَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ مِنَ السِّجْنِ لَيْلًا، فَأَجْلَسَهُ مَعَهُ، وَعَانَقَهُ وَأَقْبَلَ عَلَيْهِ، وَأَخَذَ عَلَيْهِ الْعَهْدَ أَنْ لَا يَخْرُجَ عَلَيْهِ، وَلَا عَلَى أَحَدٍ مِنْ أَوْلَادِهِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا هَذَا مِنْ شَأْنِي. فَقَالَ: صَدَقْتَ. وَأَمَرَ لَهُ بِثَلَاثَةِ آلَافِ دِينَارٍ، وَأَمَرَ بِهِ فَرُدَّ إِلَى الْمَدِينَةِ، فَمَا أَصْبَحَ الصَّبَاحُ إِلَّا وَهُوَ عَلَى الطَّرِيقِ، فَلَمْ يَزَلْ بِالْمَدِينَةِ حَتَّى كَانَتْ خِلَافَةُ الرَّشِيدِ فَحَجَّ، فَلَمَّا دَخَلَ لِيُسَلِّمَ عَلَى قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ مُوسَى بْنُ جَعْفَرٍ، فَقَالَ الرَّشِيدُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَا ابْنِ عَمِّ. فَقَالَ مُوسَى: السَّلَامُ عَلَيْكَ
পৃষ্ঠা - ৮২৪০


০০ ৷৪া৷ ৷$

৩১৮ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

ক্ষেত্রটিও এক হাজার দীনার দিয়ে খরিদ করে দেন যার মধ্যে যে ছিল ৷ তাকে আযাদ করে দেন
আর শস্য ক্ষেত্রটি তাকে দান করেন ৷ একবার খলীফা আল-মাহদী তীকে বাগদাদে তাকেন ও
তা তাকে বন্দী করেন ৷ রাতের বেলায় স্বপ্নে আল-মাহদী আলী ইবন আবু তালিব (রা)-কে দেখলেন ৷
তিনিতাকে বলছিলেনষ্ক “হে মুহাম্মাদ !

ণ্ব্র @ ) ৷ ৷স্টোট্রু ওে , ১৷ ৷ ১ ৷

অর্থাৎ “ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং
আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে ( সুরা মুহাম্মদ : ২২) !” ভীত হয়ে আল-মাহদী জেগে উঠেন এবং
তীর সম্বন্ধে হুকুম জারি করেন ও তীকে রাতের মধ্যে কারাগার থেকে বের করে আনেন ৷ তীকে
নিজের সাথে বসান, তীর সাথে মুআনাক৷ করেন ও তীর প্ৰতি প্রীত হন ৷ আর তীর থেকে
অঙ্গীকার নেন যে, তিনি তীর ও তীর বংশধরদের কারো বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন না ৷
তিনি বলেন, আল্লাহ্র শপথ ! এটা আমার কাজ নয় ৷ আর এরুপ আমি কোন দিন চিন্তাও করিনি ৷
তখন খলীফা বলেন, আপনি সত্য বলেছেন এবং তিন হাজার দীনার তাকে দেয়ার জন্য হুকুম
দেন ৷ আর তাকে মদীনা প্রত্যাবর্তনের আদেশ দেন ৷ ভোর না হতেই তাকে রাস্তায় পাওয়া গেল ৷
আর-রশীদের খিলাফত পর্যন্ত তিনি মদীনায় অবস্থান করতে থাকেন ৷ এরপর খলীফা আর-রশীদ
হজ্জ আদায় করেন ৷ যখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কবরে সালাম দেয়ার জন্য প্রবেশ করেন
তখন তীর সাথে ছিলেন মুসা ইবন জাফৱ আল-কাযিম ৷ খলীফা আর-রশীদ বলেন, আস-সালামু
আলায়কা ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ইয়৷ ইবনা আম অর্থাৎ আপনার উপর সালাম বর্নিত হোক হে আল্লাহ্র
রাসুল ! হে চাচাতে৷ ভাই ৷ তখন মুসা বললেন, আসসালাঘু আলায়কা ইয়৷ আবাতি অর্থাৎ হে পিতা
আপনার উপর সালাম বর্ষিত হোক ৷ আর-রশীদ তখন বলে উঠেন হে আবুল হুসায়ন এটাতো
অহংকার ও পর্বের কথা ৷ এরপর এটা সব সময় তীর অন্তরে বিরাজ করে ৷ ৬৯ হিজরী সনে তিনি
তাকে ডেকে পাঠান ও কা বগ্া৷ারে নিক্ষেপ করেন ৷ আর তার কারাবরণ যখন দীর্ঘায়িত হল তখন
মুসা খলীফা ৷র কাছে একটি পত্র লিখেন ৷ পত্রে তিনি লিখেন, হে আমীরুল মু’মিনীন আমার
একটি দুঃখের দিনের সাথে সাথে তােমারও একটি সুখের দিন অতিবাহিত হচ্ছে ৷ এভাবে আমরা
এমন একদিনে উপনীত হব যেদিন বাতিলের আশ্রয় গ্রহণকারীর৷ ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৷ এ বছর রজবের

২৫ তারিখ বাগদাদে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ আর তীর কবরও বাগদাদে রয়েছে বলে প্রসিদ্ধ ৷

এ বছর যারা ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে অন্য একজন হলেন : হাশিম ইবন বাশীর ইবন
আবুহাযিম ৷ তিনি হলেন আবু মুআবিয়া হাশি ৷ম ইবন বশীর ইবন আবুহাযিম আল-ক৷ ৷সিম ইবন
দীনার আস-সালামী আল-ওয়াসিতী ৷ত তার পিতা ছিলেন৷ হাজ্জ ৷জ ইবন ইউসুফ আছ-ছাকাফীব
বাবুর্চি ৷ পরে তিনি আচার বিক্রি করতেন কিভু তীর পুত্রকে ইল্ম হাসিল করতে নিষেধ করতেন
যাতে তীর পুত্র তীর পেশার কাজে সহায়তা করতে পারে ৷ তিনি কিন্তু হাদীস শ্রবণ করা থেকে

ত রইলেন না ৷ ঘটনাক্রমে হাশিম একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন ওয়াসিতের কাযী আবু
শায়ব৷ তীকে দেখতে আসেন ৷ আর তার সাথে ছিল অনেক লোক ৷ বশীর যখন তীকে দেখলেন
এতে তিনি খুশী হলেন এবং বললেন, হে বৎস ! তোমার বিষয়টি এতদুর পৌছেছে যে কাযী
সাহেব আমার ঘরে এসেছেন ৷ আজকের দিন থেকে তোমাকে আমি হাদীস অম্বেষণ হতে কারণ


يَا أَبَهْ. فَقَالَ الرَّشِيدُ: هَذَا هُوَ الْفَخْرُ يَا أَبَا الْحَسَنِ. ثُمَّ لَمْ يَزَلْ ذَلِكَ فِي نَفْسِهِ حَتَّى اسْتَدْعَاهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَسَبْعِينَ، وَسَجَنَهُ فَأَطَالَ سِجْنَهُ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ مُوسَى رِسَالَةً يَقُولُ فِيهَا: أَمَّا بَعْدُ، يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّهُ لَنْ يَنْقَضِيَ عَنِّي يَوْمٌ مِنَ الْبَلَاءِ إِلَّا انْقَضَى عَنْكَ يَوْمٌ مِنَ الرَّخَاءِ، حَتَّى يُفْضِيَ بِنَا ذَلِكَ إِلَى يَوْمٍ يَخْسَرُ فِيهِ الْمُبْطِلُونَ. تُوُفِّيَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِبَغْدَادَ، وَقَبْرُهُ هُنَاكَ مَشْهُورٌ. هُشَيْمُ بْنُ بَشِيرِ بْنِ أَبِي خَازِمٍ الْقَاسِمِ بْنِ دِينَارٍ، أَبُو مُعَاوِيَةَ السُّلَمِيُّ الْوَاسِطِيُّ، كَانَ أَبُوهُ طَبَّاخًا لِلْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ، ثُمَّ كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَبِيعُ الصَّحْنَاةَ وَالْكَوَامِخَ، وَكَانَ يَمْنَعُ ابْنَهُ مِنْ طَلَبِ الْعِلْمِ لِيُسَاعِدَهُ عَلَى صِنَاعَتِهِ، فَيَأْبَى إِلَّا أَنْ يَسْمَعَ الْحَدِيثَ. فَاتَّفَقَ أَنَّ هُشَيْمًا مَرِضَ، فَجَاءَهُ أَبُو شَيْبَةَ قَاضِي وَاسِطَ لِيَعُودَهُ، وَمَعَهُ خَلْقٌ مِنَ النَّاسِ، فَلَمَّا رَآهُ بَشِيرٌ فَرِحَ بِذَلِكَ وَقَالَ لَهُ: يَا بُنَيَّ، أَبَلَغَ مِنْ أَمْرِكَ أَنْ جَاءَ الْقَاضِي إِلَى مَنْزِلِي؟! لَا أَمْنَعُكَ بَعْدَ هَذَا الْيَوْمِ مِنْ طَلَبِ الْحَدِيثِ. كَانَ مِنْ سَادَاتِ الْعُلَمَاءِ، حَدَّثَ عَنْهُ; مَالِكٌ، وَشُعْبَةُ، وَالثَّوْرِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَخَلْقٌ سِوَاهُمْ، وَكَانَ مِنَ الصُّلَحَاءِ الْعُبَّادِ. مَكَثَ يُصَلِّي
পৃষ্ঠা - ৮২৪১
الصُّبْحَ بِوُضُوءِ الْعَشَاءِ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ عَشْرَ سِنِينَ. يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، قَاضِي الْمَدَائِنِ كَانَ مِنَ الْأَئِمَّةِ الثِّقَاتِ. يُونُسُ بْنُ حَبِيبٍ، أَحَدُ النُّحَاةِ النُّجَبَاءِ، وَقَدْ أَخَذَ عَنْ أَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ وَغَيْرِهِ، وَأَخَذَ عَنْهُ الْكِسَائِيُّ وَالْفَرَّاءُ، وَقَدْ كَانَتْ لَهُ حَلْقَةٌ بِالْبَصْرَةِ يَنْتَابُهَا أَهْلُ الْعِلْمِ وَالْأَدَبِ وَالْفُصَحَاءُ مِنَ الْحَاضِرِينَ وَالْعَرَبِ. تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ ثَمَانٍ وَتِسْعِينَ سَنَةً.