আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وثمانين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮২৩০

তার কাছে এরপর জীবন যাপন করা ভাল লাগছিল না ৷ এরপর তিনি আল্লাহর কাছে তা ফেরত
দেয়ার জন্য দরখাস্ত করেন ৷৩ তিনি ফেরত দেন ও পুর্বের অবন্থায়৩ তিনি ফিরে আসেন ৷

এ বছর ইয়াকুব আত তায়িব ইনতিকা ৷ল করেন ৷ তিনি ছিলেন একজন আ ৷বিদ ও কুফার
অধিবাসী ৷ আলী ইবন মুওয়াফ্ফাক, মানসুর ইবন আমার থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একরাতে আমি ঘর থেকে বের হলাম ৷ আমি ধারণা করেছিলাম যে, প্রভাত হয়ে গিয়েছে কিভু
আসলে রাতের কিছু অংশ বাকী ছিল ৷ তখন আমি ছোট একটি দরজার কাছে বসে পড়লাম ৷
দেখতে পেলাম একজন যুবক র্কাদছেন এবং বলছেন, “তোমার ইয্যত ও সম্মানের কসম,
আমি তোমার অবাধ্যতা দ্বারা ৫৩ আমার বিরোধি৩ার ইচ্ছা করেনি বরং আমার নফ্স এটার শি ৷কার
হয়েছে এবং দুর্ভ ৷গ্য আমার উপর জয়লাভ করেছে ৷ আমার উপর ৫৩ ৷মার বিলন্বিত পর্দা আমাকে
প্রতারণা করেছে ৷ কেননা কে আছে যে, আমাকে তোমার আমার থেকে রক্ষা করতে পারে ! যদি

তুমি আসা থেকে ৫৩ ৷মার সম্পর্কের রশি ৫কটে দাও তাহলে ৫ক আছে যে তোমার সাথে
সম্পর্কের রশি বহাল রাখতে পারে ? আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতার মধ্যে আমার বয়সের যে
দিনগুলাে চলে গেছে তা কতইনা খারাপ ! হে আমার দৃর্ভ ৷গ্য ! কতবার আমি তাওব৷ করব এবং
আবার গুনাহে ফিরে আসর ৷ এখন সময় হয়েছে আমি যেন আমার মহান প্রতিপালক থেকে
লজ্জাবােধ করি ৷ মানসুর বলেন, তখন আমি বললাম :

’১ং,’;া
৷ ,১ ৷,ম্পো ৷ এ১এ ৷ গ্র১ ৷ ৷১
অর্থাৎ বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, পরম করুণাময় ও অসীম
দয়ালু আল্লাহ্ব নামে ৷ “৫হ মু’মিনগণ ! ৫৩ ৷মরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-
পরিজনকে রক্ষা কর আগুন থেকে, বা ব ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম
হৃদয়, কঠে৷ ৷র স্বভা বের ৫ফরেশতাগণ যারা অমান্য করে না আল্লাহ্ যা তাদেরকে আদেশ করেন তা
এবং তারা যা করতে আদিষ্ট হয়৩ তাই করে (সুরা তাহরীম৪ ৬)” ৷
মানসুর বলেন, আমি একটি আওয়ায শুনলাম ও একটি কঠিন দােদুল্যমান অবস্থা অনুভব
করলাম ৷ এরপর আমি আমার কাজে চলে গেলাম ৷ যখন আমি ফেরত আসলাম তখন ঐ
দরজা ৷টির কাছ দিয়েই অতিক্রম কবছিলাম ৷ দেখলাম সেখানে একটি জা ৷নাযা রাখা হয়েছে ৷ এ

সম্পর্কে ৫লাকজনকে জিজ্ঞাসা করলাম এবং দেখলাম যে, ঐ যুবকটি এ আয়া৩ টি পাঠের কারণে
মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে ৷

১৮২ হিজরীর প্রারম্ভ

এ বছরই আর-রশীদ৩ রে ভাই মুহাম্মদ আল-আমীন ইবন যুবায়দা এরপর যুবরাজ হিসেবে
স্বীয় পুত্র অ ৷বদুল্লাহ্ আল-মামুনের পক্ষে বায়আত গ্রহণ করেন ৷ তখন তিনি হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তন
করার পর আর-রাক্ক৷ নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন ৷ তিনি তার পুত্র আল-মামুনকে জাফর ইবন


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا أَخَذَ الرَّشِيدُ لِوَلَدِهِ عَبْدِ اللَّهِ الْمَأْمُونِ الْبَيْعَةَ بِوِلَايَةِ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِ أَخِيهِ مُحَمَّدٍ ابْنِ زُبَيْدَةَ الْأَمِينِ، وَذَلِكَ بِالرَّقَّةِ بَعْدَ مَرْجِعِهِ مِنَ الْحَجِّ، وَضَمَّ ابْنَهُ الْمَأْمُونَ إِلَى جَعْفَرِ بْنِ يَحْيَى الْبَرْمَكِيِّ، ثُمَّ أَرْسَلَهُ إِلَى بَغْدَادَ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الرَّشِيدِ خَدَمَةً لَهُ، وَوَلَّاهُ خُرَاسَانَ وَمَا يَتَّصِلُ بِهَا، وَسَمَّاهُ الْمَأْمُونَ. وَفِيهَا رَجَعَ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ الْبَرْمَكِيُّ مِنْ مُجَاوَرَتِهِ بِمَكَّةَ إِلَى بَغْدَادَ. وَفِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ صَالِحٍ، فَبَلَغَ مَدِينَةَ أَصْحَابِ الْكَهْفِ. وَفِيهَا سَمَلَتِ الرُّومُ عَيْنَيْ مَلِكِهِمْ قُسْطَنْطِينَ بْنِ أَلْيُونَ، وَمَلَّكُوا عَلَيْهِمْ أُمَّهُ رِينَى، وَتُلَقَّبُ أُغُسْطَةَ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا مُوسَى بْنُ عِيسَى بْنِ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْعَبَّاسِ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ الْحِمْصِيُّ أَحَدُ الْمَشَاهِيرِ مِنْ أَئِمَّةِ الشَّامِيِّينَ، وَفِيهِ كَلَامٌ.
পৃষ্ঠা - ৮২৩১


”’ )

৩১২ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

ইয়াহ্ইয়৷ আল-বারমড়াকীর সাথে সম্পৃক্ত করেন এবং তাকে বাপদাদে প্রেরণ করেন ৷ তার সাথে
ছিল৩ার খিদমত করার জন্য অর ৷র-রশীদ পরিবারের একদল লোক ৷ তিনি তাকে খুরাসান ও
আশপাশের এলাকায় প্রশাসক নিযুক্ত করেন এবং তার নাম দেন আল-মামুন ৷

এ বছর ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ আল-বারমাকী মক্কার আশপাশ থেকে বাগদা দে প্রত্যাবর্তন
করেন ৷ এ বছর আবদুর রহমান ইবন আবদুল মালিক ইবন সালিহ গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ পরিচালনা
করেন এবং আসহাবে কাহফের শহর পর্যন্ত পৌছে যান ৷ এ বছরই হুরামানর৷ তাদের বাদশা
কুস্তানতিন ইবন আল ইউন এর দু’ চোখ উপড়ে দেন এবং তার মাতা রিন্নিয়াকে তাদের সম্রাজী
হিসেবে নিযুক্ত করেন ও তার উপ৷ দি দেয়া হয় আগাস্তাহ ৷ মুসা ইবন ঈস৷ ইবন আল-আব্বাস
লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷

এ বছর যে সব গণ্যমান্য ব্যক্তি ইননিক ল করেন তাদের মধ্য হতে একজন হলেন ং
ইসমাঈল ইবন আইয়াশ আল হিমসী ৷ তিনি সিরিয়ার প্রসিদ্ধ নেতাদের অন্য৩ ম ছিলেন ৷ তা
সম্বন্ধে সমালোচনা রয়েছে ৷

অন্য একজন হলেন : মারওয়ান ইবন আবুহাফস৷ ৷ তিনি একজন প্রসিদ্ধ শ্রদ্ধাভাজন কবি
ছিলেন ৷ তিনি খলীফাদের এবং বারমাকী সম্প্রদায়ের প্রশংসা করতেন ৷

অন্য একজন হহুলন৪ মা আন ইবন যায়িদা ৷ তিনি প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছিলেন তা সত্বেও
তিনি ছিলেন কৃপণদের অন্যতম ৷ তিনি কৃপণতা র কারণে প্রায় সময় হুগাশত ভক্ষণ করতেন না,
ঘরে বাতি ৩জ্ব ৷লাতেন না এবং সুভী, পশ ম ও মোটা কাপড় ব্যতীত পোশাক পরিধান করতেন না ৷
তার বন্ধু সালিম আল-খাসির যখন রাজধানীতে গমন করতেন তখন তিনি টাটু ঘোড়ার আরোহণ
করতেন আর তার পায়ে গােতা হুপত এক হাজার দীনারের মুল্যমান চাদর ৷ তার কাপড় থেকে
খুশবু বের হতো অন্যদিকে ম৷ আন খুব খারাপ ও নিকৃষ্ট৩ ম অবস্থায় দরবারে পৌছহুত তন ৷ তিনি
একদিন খলীফ৷ আল-মাহদীর দরবারে যান ৷ তখন তার পরিবারের এক মহিলা বললেন, যদি
খলীফ৷ তোমাকে কোন কিছু দান করেন তাহলে তার থেকে আমাকে কিছু দান করবে ৷ তিনি
বললেন, যদি খলীফা আমাকে এক লাখ দিরহাম দান করেন তাহলে তোমার জন্য থাকবে এক
দিরহাম ৷ এরপর খলীফা তাকে ষাট হাজার দিরহাম দান করেন , তখন তিনি মহিলাটিহুক চারটি
এক-ষষ্টমাত্শ দিরহাম দান করেন ৷ তিনি এ বছর বাগদাহুদ ইনতিকাল করেন এবং নসর ইবন
মালিকের কবরন্থাহুন তাকে দাফন করা হয় ৷

অন্য একজন হলেন কাযী আবু ইউসুফ ৷ তার পুর্ণ নাম হল ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম ইবন
হাবীব ইবন সা দ ইবন হাসানা ৷ হাসান৷ ছিলেন তার মা ৷৩ তার পি৩ ৷ হলেন বুজায়র ইবন
মুআ৷বিয়া ৷ উহুদ যুদ্ধের দিন তাকে শিশু বহুল গণ্য করা হয় ৷ এ জন্য তিনি উক্ত যুদ্ধে অং শ নিতে
পারেন নি ৷ আবু ইউসুফ ছিলেন আবু হানীফ৷ (র ) এর প্রবীণ সাথীদের অন্যতম ৷ তিনি
আল-আমাশ, হুমাম৷ ইবন উরওয়৷ , মুহাম্মদ ইবন ইসহাক, ইয়াহ্ইয়া ইবন সাঈদ ও অন্যদের
থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ তার থেকে যারা বর্ণনা করেন তারা হলেন : মুহাম্মদ ইবন হাসান,
আহমদ ইবন হাম্বল এবং ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মুঈন ৷ আলী ইবন জাদ বলেন, আমি তাকে বলতে
শুনেছি : আমার পিতা ইনতিকাল করেন তখন আমি ছিলাম ছোট ৷ আমার যা আমাকে একজন
ধোপার কাছে নিয়ে যান তখন আমি আবুহানীফ৷ (র) এর মজলিসে গমন করতাম এবং সেখানে


وَمَرْوَانُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ، الشَّاعِرُ الْمَشْهُورُ الْمَشْكُورُ، كَانَ يَمْدَحُ الْخُلَفَاءَ وَالْبَرَامِكَةَ وَمَعْنَ بْنَ زَائِدَةَ، وَكَانَ قَدْ تَحَصَّلَ لَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ شَيْءٌ كَثِيرٌ جِدًّا، وَكَانَ مَعَ ذَلِكَ مِنْ أَبْخَلِ النَّاسِ، لَا يَكَادُ يَأْكُلُ اللَّحْمَ مِنْ بُخْلِهِ، وَلَا يُشْعِلُ فِي بَيْتِهِ سِرَاجًا، وَلَا يَلْبَسُ مِنَ الثِّيَابِ إِلَّا الْكِرْبَاسَ وَالْفَرْوَ الْغَلِيظَ، وَكَانَ رَفِيقُهُ سَلْمٌ الْخَاسِرُ إِذَا رَكِبَ إِلَى دَارِ الْخِلَافَةِ يَأْتِي عَلَى بِرْذَوْنٍ، وَبَدْلَةٍ سَنِيَّةٍ تُسَاوِي أَلْفَ دِينَارٍ، وَالطِّيبُ يَنْفُحُ مِنْ ثِيَابِهِ، وَيَأْتِي مَرْوَانَ فِي شَرِّ حَالَةٍ وَأَسْوَئِهَا. وَخَرَجَ يَوْمًا إِلَى الْمَهْدِيِّ، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْ أَهْلِهِ: إِنْ أَطْلَقَ لَكَ الْخَلِيفَةُ شَيْئًا فَاجْعَلْ لِي مِنْهُ شَيْئًا. فَقَالَ: إِنْ أَعْطَانِي مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ فَلَكِ دِرْهَمٌ. فَأَعْطَاهُ سِتِّينَ أَلْفًا، فَأَعْطَاهَا أَرْبَعَةَ دَوَانِيقَ. تُوُفِّيَ بِبَغْدَادَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَدُفِنَ فِي مَقْبَرَةِ نَصْرِ بْنِ مَالِكٍ. وَالْقَاضِي أَبُو يُوسُفَ وَهُوَ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ حَبْتَةَ، وَهِيَ أُمُّهُ، وَأَبُوهُ بَحِيرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَسَعْدٌ هَذَا لَهُ صُحْبَةٌ، اسْتُصْغِرَ يَوْمَ
পৃষ্ঠা - ৮২৩২


০০ ৷৪া৷ ৷$

বসতাম ৷ আমার মাতা আমার পিছনে পিছনে যেতেন এবং আমার হাত ধরতে তন ও আবু হানীফা
(র) এর মজলিস থেকে ধরে নিয়ে আমাকে সেই ধোপার কাছে পৌছাতে তন কিন্তু আমি এ
ব্যাপারে র্ত ৷র ৷বিরোধিত৷ করতাম এবং আবুহানীফা (র) এর কাছে আমি গমন করতাম ৷ যখন এ
ব্যাপারটি দীর্ঘক৷ ল চলতে লাগল আবু ইউসুফ (র) এর মাতা আবু হানীফ৷ (র) কে বললেন,
এটাতে৷ একটি ইয়াতীম বাচ্চা, তা ৷র কোন সম্পদ নেই ৷ আমি তাকে আমার চরকার আয় দ্বারা
লালন পালন করছি৷ আ র তুমি তাকে আমা র থেকে নিয়ে পথভ্রষ্ট করছো ৷ আবুহানীফা (র) ত ৷কে
বললেন, চুপ থাক হে আহমক ! সে তো বিদ্যা অর্জন করছে এবং অচিরেই ফীরােযা পাথরের
ট্রেতে রাখা তাজা ফালুদা ভক্ষণ করবে ৷ আমার মাতা তাকে বললেন, তুমি একজন বৃদ্ধ,
আশ্চর্যজনক কিস্সা কাহিনী বর্ণনা করছো ৷ আবু ইউসুফ (র) বলেন, পরবর্তীতে আমি কাষী নিযুক্ত
হলাম ৷ আর তিনি ছিলেন প্রথম ব্যক্তি মাকে আল-হাদী কাযী নিযুক্ত করেছিলেন এবং কাযীউল
কুযাত উপাধি দিয়েছিলেন ৷ আবুইউসুফ (র)-কে বলা হতো কাযীউ কুযাতিদ দুনিয়া অর্থাৎ দুনিয়ার
কাযীদের কাযী ৷ কেননা তিনি সবগুলো প্রদেশে যেখানে সেখানে খলীফ৷ হুকুম জা ৷রি করতেন
সেখানে তা ৷র প্রতিনিধিত্ব করতে ন ৷ আবু ইউসুফ (র) বলেন আমি একদিন আর-রশীদের কাছে
উপবিষ্ট ছিলাম; ফীরােযা পাথরে নির্মিত ট্রে এর মধ্যে ফালুদা উপস্থাপন করা হল ৷ তখন তিনি
আমাকে বললেন, এটা থেকে থেয়ে নাও ৷ কেননা এটাতে ৷ সব সময় বানানো হয় না ৷ আমি
বললাম, হে আমীরুল মু মিনীন এটা কী ? তিনি বললেন, “এটা ফালুদা ৷” আবু ইউসুফ (র)
বলেন, এরপর আমি মুচকি হাসি দিলাম, তিনি বললেন, তোমার কী হয়েছে, তুমি মুচকি হাসছ ?
আমি বললাম, না, কিছুই না, আমীরুল মু’মিনীনকে৷ অ ৷ল্লাহ্৷ বী চিয়ে রাখুন ৷ খলীফ৷ বললেন, তুমি
অবশ্যই আমাকে এ ব্যাপারে সং বাদ পরিবেশন করবে ৷ এরপর আ ৷মি তার কাছে সব ঘটনা খুলে
বললাম ৷ খনত তিনি বললেন, নিশ্চয়ই জ্ঞান উপকা ৷রে আসে, এটা দুনিয়া ও আখিরাতে পদমর্যাদা
অর্জন করতে সাহায্য করে ৷ এরপর বললেন, আবুহানীফা (র ) কে আল্লাহ রহম করুন ৷ তিনি
তারআকলের চোখ দ্বারা যা দেখতেন তা মাথার চোখ দ্বারা দেখতেন না ৷ আবুহানীফা (র) আবু
ইউসুফ (র) সম্বন্ধে বলতেন৪ তিনি ছিলেন তার সাথীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী ৷
আল-মুযানী বলেন, আবু ইউসুফ (র)৩ তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী হাদীসের অনুসারী ছিলেন ৷
ইবন মাদীনী বলেন, তিনি ছিলেন অ৩ ত্যন্ত সতাবাদী ৷ ইবন যুঈন বলেন, তিনি ছিলেন বিশ্বস্ত ৷ আবু
যুব অ৷ বলেন,৩ তিনি ক ৷লাে মুখ হওয়া থেকে যুক্ত ছিলেন ৷ বাশৃশার আল খাফ্ফাফ বলেন, আমি
আবু ইউসুফ (র)-কে বলতে শুনেছি : যিনি কুরআনকে মাখলুক বলেন ও তার সাথে কথা বলা
হারাম ৷ তার থেকে দুরে থাকা ফরয ৷ তাকে সালাম দেয়৷ ও তার সালাম নেয়া কো ৷নট ৷ই বৈধ
নয় ৷ স্বর্ণাক্ষরে যা ৷লিখে রাখা প্রয়োজন তা হলো৩ তার নিম্নে বর্ণিত রাণীসমুহং : “যে পরশ পাথর
দ্বারা সম্পদ অনেষণ করে সে ফকীরে পরিণত ৩হয় ৷ যে হেয়ালিপুর্ণ ক ৷হিনীসঘুহের চর্চা করে সে
মিথ্যার আশ্রয় নেয় ৷ যে ইলমে কালাম কিৎব৷ বিতর্কের সাহায্যে ইলম অম্বেষণ করে সে
যিনদীকে পরিণত হয় ৷ ” একবার যখন তিনি ও ইমাম মালিক মদীনায় আর-রশীদের সামনে & ৷

এর মাসআলা ও শাক-সবজির যাকাত সম্পর্কে মুনাযড়ারায় লিপ্ত হন ইমাম মালিক এ সম্পর্কে
বাপ-দাদা ও পুর্ব পুরুষদের থেকে আগত দলীলগুলো পেশ করেন ৷ আর তিনি এরুপও যুক্তি
দেখান যে খুলাফায়ে রাশিদীনের সময় শাক-সবজি থেকে কর আদায় করা হত না তখন আবু

আল বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া ( ১ :ৰু খণ্ড)ষ্শ্৪ :

€০া৷া





أُحُدٍ، وَأَبُو يُوسُفَ الْقَاضِي هَذَا كَانَ أَكْبَرَ أَصْحَابِ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنِ الْأَعْمَشِ، وَهِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، وَمُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَغَيْرِهِمْ. وَعَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِيِنٍ. قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ: سَمِعْتُهُ يَقُولُ: تُوُفِّيَ أَبِي وَأَنَا صَغِيرٌ، فَأَسْلَمَتْنِي أُمِّي إِلَى قَصَّارٍ، فَكُنْتُ أَمُرُّ عَلَى حَلْقَةِ أَبِي حَنِيفَةَ، فَأَجْلِسُ فِيهَا، فَكَانَتْ أُمِّي تَتْبَعُنِي، فَتَأْخُذُ بِيَدِي مِنَ الْحَلْقَةِ وَتَذْهَبُ بِي إِلَى الْقَصَّارِ، ثُمَّ كُنْتُ أُخَالِفُهَا فِي ذَلِكَ وَأَذْهَبُ إِلَى أَبِي حَنِيفَةَ، فَلَمَّا طَالَ ذَلِكَ قَالَتْ أُمِّي لِأَبِي حَنِيفَةَ: إِنَّ هَذَا صَبِيٌّ يَتِيمٌ، لَيْسَ لَهُ شَيْءٌ إِلَّا مَا أُطْعِمُهُ مِنْ مِغْزَلِي، وَإِنَّكَ قَدْ أَفْسَدْتَهُ عَلَيَّ. فَقَالَ لَهَا: اسْكُتِي يَا رَعْنَاءُ، هَا هُوَ ذَا يَتَعَلَّمُ الْعِلْمَ، وَسَيَأْكُلُ الْفَالَوْذَجَ بِدُهْنِ الْفُسْتُقِ. فَقَالَتْ لَهُ: إِنَّكَ شَيْخٌ قَدْ خَرِفْتَ. قَالَ أَبُو يُوسُفَ: فَلَمَّا وَلِيتُ الْقَضَاءَ - وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ وَلَّاهُ الْقَضَاءَ الْهَادِي، وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ لُقِّبَ بِقَاضِي الْقُضَاةِ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: قَاضِي قُضَاةِ الدُّنْيَا. لِأَنَّهُ كَانَ يَسْتَنِيبُ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ الَّتِي يَحْكُمُ فِيهَا الْخَلِيفَةُ - قَالَ أَبُو يُوسُفَ: فَبَيْنَا أَنَا ذَاتَ يَوْمٍ عِنْدَ الرَّشِيدِ إِذْ أُتِيَ بِفَالَوْذَجَ وَكُنْتُ لَا أَعْرِفُهَا، فَقَالَ لِي: كُلْ مِنْ هَذَا; فَإِنَّهُ لَا يُصْنَعُ لَنَا كُلَّ وَقْتٍ. فَقُلْتُ: وَمَا هَذَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: هَذَا الْفَالَوْذَجُ. قَالَ: فَتَبَسَّمْتُ، فَقَالَ: مَا لَكَ تَتَبَسَّمُ؟ فَقُلْتُ: لَا شَيْءَ، أَبْقَى اللَّهُ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: لَتُخْبِرَنِّي: فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ مِنْ أَوَّلِهَا، فَقَالَ: إِنَّ الْعِلْمَ يَنْفَعُ وَيَرْفَعُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. ثُمَّ قَالَ: رَحِمَ اللَّهُ أَبَا حَنِيفَةَ، فَلِقَدْ كَانَ يَنْظُرُ بِعَيْنِ عَقْلِهِ مَا لَا يَرَاهُ بِعَيْنِ رَأْسِهِ.
পৃষ্ঠা - ৮২৩৩
وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ يَقُولُ عَنْ أَبِي يُوسُفَ: إِنَّهُ أَعْلَمُ أَصْحَابِهِ. وَقَالَ الْمُزَنِيُّ: كَانَ أَبُو يُوسُفَ أَتْبَعَهُمْ لِلْحَدِيثِ. وَقَالَ ابْنُ الْمَدِينِيِّ: كَانَ صَدُوقًا. وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: كَانَ ثِقَةً. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: كَانَ سَلِيمًا مِنَ التَّجَهُّمِ. وَقَالَ بَشَّارٌ الْخَفَّافُ: سَمِعْتُ أَبَا يُوسُفَ يَقُولُ: مَنْ قَالَ: الْقُرْآنُ مَخْلُوقٌ. فَحَرَامُ كَلَامُهُ، وَفَرْضٌ مُبَايَنَتُهُ. وَمِنْ كَلَامِهِ الَّذِي يَنْبَغِي كِتَابَتُهُ بِمَاءِ الذَّهَبِ قَوْلُهُ: مَنْ طَلَبَ الْمَالَ بِالْكِيمْيَاءِ أَفْلَسَ، وَمَنْ تَتَبَّعَ غَرَائِبَ الْحَدِيثِ كَذَبَ، وَمَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ بِالْكَلَامِ تَزَنْدَقَ. وَلَمَّا تَنَاظَرَ هُوَ وَمَالِكٌ بِالْمَدِينَةِ بِحَضْرَةِ الرَّشِيدِ فِي مَسْأَلَةِ الصَّاعِ وَزَكَاةِ الْخَضْرَاوَاتِ احْتَجَّ مَالِكٌ بِمَا اسْتَدْعَى بِهِ مِنْ تِلْكَ الصِّيعَانِ الْمَنْقُولَةِ عَنْ آبَائِهِمْ وَأَسْلَافِهِمْ، وَبِأَنَّهُ لَمْ تَكُنِ الْخَضْرَاوَاتُ فِي زَمَنِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ. فَقَالَ: لَوْ رَأَى صَاحِبِي مَا رَأَيْتُ لَرَجَعَ كَمَا رَجَعْتُ. وَهَذَا إِنْصَافٌ. وَقَدْ كَانَ يَحْضُرُ فِي مَجْلِسِ حُكْمِهِ الْعُلَمَاءُ عَلَى طَبَقَاتِهِمْ، حَتَّى إِنَّ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ كَانَ شَابًّا، وَكَانَ يَحْضُرُ مَجْلِسَهُ فِي أَثْنَاءِ النَّاسِ، فَيَتَنَاظَرُونَ وَيَتَبَاحَثُونَ فِيهِ، وَهُوَ مَعَ ذَلِكَ يَحْكُمُ وَيُصَنِّفُ أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৮২৩৪

ইউসুফ (র) বলেন, আমি যা দেখেছি আমার সাথী যদি তা দেখতেন তাহলে মাসআলাটি তিনি
পুনর্বিবেচনা করতেন যেমন আমি করেছি ৷ এটা তার থেকে ন্যায্য মন্তব্য ৷

তীর নির্দেশ জারির বৈঠকে উলামায়ে কিরাম তাদের স্তর অনুযায়ী উপস্থিত হতেন যেমন
আহমদ ইবন হাম্বল ৷ তিনি ছিলেন একজন যুবক ৷ লোকজনের মাঝে তিনিও মজলিসে হাযির
হতেন, ঘুনাযারা ও মুবাহাছা করতেন ৷ এতদ্সত্বেও তিনি ন্যায্য হুকুম জারি করতেন ৷ তিনি
বলতেন, আমি আশা করি যেন এ হুকুমটির ব্যাপারে আল্লাহ্ আমার কোন যুলুম কিংবা কারো প্রতি
দুর্বলতাবােধ সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা না করেন ৷ তবে একদিনের ঘটনা বারবার মনে পড়ে ৷
আমার কাছে একটি লোক আগমন করেন এবং বলেন যে, তার একটি বাগান আছে ৷ আর এখন
এটি আযীরুল মু’মিনীনের দখলে চলে গেছে ৷ তখন আমীরুল মু’মিনীনের কাছে আমি প্রবেশ
করলাম এবং এ ব্যাপারে তাকে অবগত করলাম ৷ তিনি বললেন, বাগানটি আমার ৷ আল-মাহদী
এটা আমার জন্য খরিদ করেছেন ৷ এরপর আমি বললাম, যদি আমীরুল মু’মিনীন চান তাহলে
তাকে হাযির করে তার অভিযোগ আমি শুনতে পারি ৷ সােকটিকে হাযির করানো হয় ৷ সে
বাগানটি দাবী করে ৷ তখন আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি কী বলেন ? তখন তিনি
বললেন, এটা আমার বাগান ৷ আমি সােকটিকে বললাম , তুমি তো শুনলে আমীরুল মুমিনীন কী
উত্তর দিলেন ? ল্যেকটি তখন বলল, তাহলে শপথ করানো হোক ৷ তখন আমি বললাম, হে
আমীরুল মু’মিনীন ! আপনি কি শপথ করবেন ? তিনি বললেন, না ৷ তখন আমি বললাম,, আমি
আপনার সামনে তিনবার শপথ পেশ করব ৷ যদি আপনি শপথ করেন তাহলে তো ভাল কথা
অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আমি হুকুম দেবাে হে আমীরুল মু’মিনীন ! এরপর আমি তার কাছে
তিনবার শপথ উত্থাপন করলাম কিন্তু তিনি শপথ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন ৷ তখন আমি
অভিযোগকারীর পক্ষে বাপানটির হুকুম দিলাম ৷ আবুইউসুফ (র) বলেন, মুকাদ্দমা চলাকালীন
সময়ে সােকটিকে খলীফার সপক্ষে মতামত পেশ করার জন্য চেষ্টা করলাম কিন্তু তা সম্ভব হয়নি ৷
এরপর কাযী আবু ইউসুফ বানানটি লেড়াকটির কাছে সোপর্দ করার ব্যবস্থা করলেন ৷

আলমুআফী মাকারিয়া আল-হড়ারীরী ; মুহাম্মদ ইবন আবুল আযহার থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি হাম্মাদ ইবন আবু ইসহাক থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি বশর ইবন আল ওয়ালীদ
থেকে এবং তিনি আবু ইউসুফ (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এক রাতে আমি নিজের
ৰিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম ৷ গভীর রাতে খলীফার দুত আমার ঘরের দরজায় আঘাত করতে
লাগলেন, আমি বিরক্তি সহকারে বের হয়ে আসলাম ৷ দুতটি বললেন, আমীরুল মু’মিনীন
আপনাকে ডাকছেন ৷ এরপর আমি গেলাম ; দেখলাম তিনি বলে আছেন, তার সাথে রয়েছেন
ঈসাইবন জাফর ৷ তখন আমাকে আর-রশীদ বললেন, এই ব্যক্তি যার কাছে আমি চেয়েছিলাম
যেন সে আমাকে একটি দাসী হেব৷ করে কিংবা আমার কাছে বিক্রি করে কিন্তু তা সে করল না ৷
আমি তোমাকে সাক্ষী রেখে বলছি যদি সে আমার এ কথা মান্য না করে আমি তাকে হত্যা
করব ৷ ’ আমি তখন ঈসা ইবন জাফরকে বললাম, আপনি এরুপ করছেন না কেন ? তিনি
বললেন, আমি তালাক, আযাদ করা এবং সম্পদ সাদাকা করা এসবের শপথ করেছি যদি আমি
দাসীটি বিক্রি করি কিংবা কাউকে হেবা করি (মুল কথা এ শপথের জন্য আ তাকে দাসীটি প্রদান
করতে পারছি না) আমাকে অড়ার-রশীদ বললেন, এটা থেকে পরিত্রাণ পাবার কী কোন ব্যবস্থা


وَقَالَ: وُلِّيتُ هَذَا الْحُكْمَ، وَأَرْجُو اللَّهَ أَنْ لَا يَسْأَلَنِي عَنْ جَوْرٍ وَلَا مَيْلٍ إِلَى أَحَدٍ إِلَّا يَوْمًا وَاحِدًا; جَاءَنِي رَجُلٌ فَذَكَرَ أَنَّ لَهُ بُسْتَانًا، وَأَنَّهُ فِي يَدِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَدَخَلْتُ إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ فَأَعْلَمْتُهُ، فَقَالَ: الْبُسْتَانُ لِي، اشْتَرَاهُ لِي الْمَهْدِيُّ. فَقُلْتُ: إِنْ رَأَى أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ يُحْضِرَهُ لِأَسْمَعَ دَعْوَاهُ. فَأَحْضَرَهُ فَادَّعَى بِالْبُسْتَانِ، فَقُلْتُ: مَا تَقُولُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: هُوَ بُسْتَانِي. فَقُلْتُ لِلرَّجُلِ: قَدْ سَمِعْتَ مَا أَجَابَ. فَقَالَ الرَّجُلُ: يَحْلِفُ. فَقُلْتُ: أَتَحْلِفُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: لَا. فَقُلْتُ: سَأَعْرِضُ عَلَيْكَ الْيَمِينَ ثَلَاثًا، فَإِنْ حَلَفْتَ وَإِلَّا حَكَمْتُ عَلَيْكَ. فَعَرَضْتُهَا عَلَيْهِ ثَلَاثًا فَامْتَنَعَ، فَحَكَمْتُ بِالْبُسْتَانِ لِلْمُدَّعِي. قَالَ: فَكُنْتُ فِي أَثْنَاءِ الْخُصُومَةِ أَوَدُّ أَنْ نَنْفَصِلَ، وَلَمْ يُمْكِنِّي أَنْ أُجْلِسَ الرَّجُلَ مَعَ الْخَلِيفَةِ. وَبَعَثَ الْقَاضِي أَبُو يُوسُفَ فِي تَسْلِيمِ الْبُسْتَانِ إِلَى الرَّجُلِ. وَرَوَى الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ أَبِي الْأَزْهَرِ، عَنْ حَمَّادِ ابْنِ أَبِي إِسْحَاقَ - الْمَوْصِلِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ بِشْرِ بْنِ الْوَلِيدِ، عَنْ أَبِي يُوسُفَ قَالَ: بَيْنَا أَنَا ذَاتَ لَيْلَةٍ قَدْ نِمْتُ فِي الْفِرَاشِ، إِذَا رَسُولُ الْخَلِيفَةِ يَطْرُقُ الْبَابَ، فَخَرَجْتُ مُنْزَعِجًا فَقَالَ: أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَدْعُوكَ. فَذَهَبْتُ فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ وَمَعَهُ عِيسَى بْنُ جَعْفَرٍ، فَقَالَ لِي الرَّشِيدُ: إِنَّ هَذَا قَدْ طَلَبْتُ مِنْهُ جَارِيَةً يَهَبُنِيهَا، فَلَمْ يَفْعَلْ، أَوْ يَبِيعُنِيهَا فَلَمْ يَفْعَلْ، وَإِنِّي أُشْهِدُكَ إِنْ لَمْ يُجِبْنِي إِلَى ذَلِكَ قَتَلْتُهُ. فَقُلْتُ لِعِيسَى: لِمَ لَمْ تَفْعَلْ؟ فَقَالَ: إِنِّي حَالِفٌ بِالطَّلَاقِ وَالْعَتَاقِ وَصَدَقَةِ مَالِي كُلِّهِ أَنْ لَا أَبِيعَهَا وَلَا أَهَبَهَا. فَقَالَ لِي الرَّشِيدُ: فَهَلْ لَهُ مِنْ مَخْلَصٍ؟ فَقُلْتُ: نَعَمْ، يَبِيعُكُ نِصْفَهَا، وَيَهَبُكَ نِصْفَهَا. فَوَهَبَهُ النِّصْفَ، وَبَاعَهُ النِّصْفَ بِمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، فَقَبِلَ مِنْهُ ذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৮২৩৫


আছেঃ আমি বললাম, ইৱা, যে আপনার কাছে দাসীর অর্ধেক বিক্রি করবে আর অর্ধেক আপনার
কাছে হেব৷ করবে ৷ তখন ঈসা ইবন জাফৱ অর্ধেকটি হেব৷ করলেন এবং অর্ধেকটি এক লাখ
দীনারের বিনিময়ে বিক্রি করলেন ৷ খলীফা তার থেকে এটা গ্রহণ করলেন ৷ এরপর দাসীটিকে
উপস্থিত করা হল ৷ হারুনুর রশীদ যখন তাকে দেখলেন তখন বললেন আজ রাত আমি তার সাথে
মিলিত হতে পারি এরুপ কোন ব্যবস্থা করা যায় কি ? আমি বললাম, সে তো খরিদকৃত দাসী, তার
ইসতিবরা দরকার (প্রয়োজনীয় ইদ্দত পালন করা) ৷ তবে আপনি যদি তাকে আযাদ করে দেন
এবং তাকে বিয়ে করেন তাহলে আপনি তার সাথে মিলিত হতে পারেন ৷ কেননা আযাদ মহিলার
ইসতিবরা প্রয়োজন নেই ৷ বর্ণনাকারী বলেন, হারুনুর রশীদ তাকে আযাদ করে দিলেন এবং তাকে
বিশ হাজার দীনারের বিনিময়ে বিয়ে করলেন ৷ আমার জন্য দু’লাখ দিরহাম ও বিশটি কাপড়ের
হুকুম দিলেন এবং দাসীঢির কাছে দশ হাজার দীনার প্রেরণ করা হল ৷

ইয়াহ্ইয়া ইবন মুঈন বলেন, একদিন আমি আবু ইউসুফ (র) এর কাছে উপস্থিত ছিলাম
তখন তার কাছে বিভিন্ন ধরনের কাপড় ও খুশবু হাদিয়া স্বরুপ আসল তখন এক ব্যক্তি একটি
হাদীসের সনদ সম্পর্কে আমাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন হাদীসটি হলো নিম্নরুপ : যদি কারো কাছে
কোন হাদিয়া আসে এবং তার কাছে কিছু সংখ্যক লোক বসা থাকে তাহলে তারা ঐ হাদিয়ায়
শরীক হবে ৷ আবু ইউসুফ (র) বলেন, এ ধরনের হুকুম পনির , খেজুর, কিসমিস ইত্যাদির ক্ষেত্রে
প্রযোজ্য ৷ আর এখন যে হাদিয়া এসেছে তা সে পর্যায়ের নয় ৷ হে যুবক ৷ এটা বায়তৃল সালে
নিয়ে যাও এটা বলে কাযী এ হাদিয়া থেকে কোন কিছু কাউকে দিলেন না ৷ বিশর ইবন গিয়াছ
আল-মুরায়সী বলেন, আমি আবু ইউসুফ (র)-কে বলতে শুনেছি : আমি সতের বছর যাবৎ আবু
হানীফ৷ (র) এর সংস্পর্শে ছিলাম ৷ এরপর আমাকে সতের বছর দুনিয়াটাকে ভোগ করার সুযোগ
দেয়া হলো ৷ এখন আমি আমার মৃত্যু সন্নিকট বলে ধারণা করছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি
মাত্র কয়েক মাস জীবিত থাকার পর ইনতিকাল করেন ৷

এ বছর রবীউল আউয়াল মাসে ৬৭ বছর বয়সে আবু ইউসুফ (র) ইনতিকাল করেন ৷ তার
পরে তার সন্তান ইউসুফ কাযী নিযুক্ত হন ৷ তিনি পুর্বে বাগদাদের পুর্বাৎশের নায়িব ছিলেন ৷
বর্ণনাকারীদের মধ্যে যীরা মনে করেন যে, ইমাম শাফিঈ (র) আবু ইউসুফ (র) এর সাথে সাক্ষাৎ
করেছিলেন যেমন আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ আল-বালভী আল-কাঘৃযাব ৷ছু,ট্র ৷ট্রু ষ্পু ৷ ইট্রুষ্টুা
বু ,ন্১ট্টদ্বুপু ! নামক কিতাবে এ কথা উল্লেখ করেছেন তারা অবশ্যই ভুল করেছেন ৷ কেননা ইমাম
শাফিঈ (র) সর্ব প্রথম ১৮৪ হি জরীতে বাগদাদে প্রথম আগমন করেন ৷ শাফিঈ (র) ইমাম মুহাম্মদ
ইবন হাসান আশ-শায়বানীর সাথে সাক্ষাৎ করেন ৷ তিনি তার সাথে তাল আচরণ করেন এবং
খোলা মেলা আলোচনা করেন ৷ তার মধ্যে কোন প্রকার বিরোধিতা পরিলক্ষিত হয়নি ৷ যেমন এ
ব্যাপারে যীদের কোন জ্ঞান নেই ভীরা উল্লেখ করে থাকেন ৷ আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

এ বছর মারা ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন : ইয়াকুব ইবন দাউদ ইবন
তাহমান ৷ তিনি হলেন আবু আবদুল্লাহ ইয়াকুব ইবন দাউদ ইবন তাহমান ৷ তিনি আবদুল্লাহ ইবন
হাযিম আস-সালামীর আযাদকৃত গোলাম ৷ খলীফা আল-মাহদী তাকে উযীর নিযুক্ত করেছিলেন ৷
তিনি তার কাছে অথ্যম্ভ মর্যাদ্যা অর্জন করেছিলেন ৷ খলীফা তার কাছে যাবতীয় কাজের তার অর্পণ
করেছিলেন ৷ এরপর যখন তাকে এক আলাবী ব্যক্তিকে হত্যা করার হুকুম দিলেন যেমন পুর্বে


وَأُحْضِرَتِ الْجَارِيَةُ، فَلَمَّا رَآهَا الرَّشِيدُ قَالَ: هَلْ لِي مِنْ سَبِيلٍ عَلَيْهَا اللَّيْلَةَ؟ قُلْتُ: إِنَّهَا مَمْلُوكَةٌ، وَلَا بُدَّ مِنَ اسْتِبْرَائِهَا، إِلَّا أَنْ تُعْتِقَهَا وَتَتَزَوَّجَهَا، فَإِنَّ الْحُرَّةَ لَا تُسْتَبْرَأُ. قَالَ: فَأَعْتَقَهَا وَزَوَّجْتُهَا مِنْهُ بِعِشْرِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، وَأَمَرَ لِي بِمِائَتَيْ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَعِشْرِينَ تَخْتًا مِنْ ثِيَابٍ، وَأَرْسَلَتْ إِلَيَّ الْجَارِيَةُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِينَارٍ. قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: كُنْتُ عِنْدَ أَبِي يُوسُفَ، فَجَاءَتْهُ هَدِيَّةٌ مِنْ ثِيَابٍ دَبِيقِيٍّ وَطِيبٍ وَتَمَاثِيلَ نِدٍّ وَغَيْرِ ذَلِكَ، فَذَاكَرَنِي رَجُلٌ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ: «مَنْ أُهْدِيَتْ لَهُ هَدِيَّةٌ وَعِنْدَهُ قَوْمٌ جُلُوسٌ فَهُمْ شُرَكَاؤُهُ» . فَقَالَ أَبُو يُوسُفَ: إِنَّمَا ذَاكَ فِي الْأَقِطِ وَالتَّمْرِ وَالزَّبِيبِ، وَلَمْ تَكُنِ الْهَدَايَا مَا تَرَوْنَ، يَا غُلَامُ، شِلْ إِلَى الْخَزَائِنِ. وَقَالَ بِشْرُ بْنُ غِيَاثٍ الْمَرِيسِيُّ: سَمِعْتُ أَبَا يُوسُفَ يَقُولُ: صَحِبْتُ أَبَا حَنِيفَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، ثُمَّ انْصَبَّتْ عَلَيَّ الدُّنْيَا سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَمَا أَظُنُّ أَجَلِي إِلَّا قَدِ اقْتَرَبَ. فَمَا كَانَ شُهُورٌ حَتَّى مَاتَ. وَقَدْ مَاتَ أَبُو يُوسُفَ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ تِسْعٍ وَسِتِّينَ سَنَةً، وَقَدْ مَكَثَ فِي الْقَضَاءِ سِتَّ عَشْرَةَ سَنَةً، وَوَلِيَ الْقَضَاءَ مِنْ بَعْدِهِ وَلَدُهُ يُوسُفُ.
পৃষ্ঠা - ৮২৩৬


উল্লেখ করা হ৫য়৫ছ৩ ৩নি তাকে ছেড়ে দেন এবং ঐ দাসীটি ত৷ ৷র বিরুদ্ধে গুপ্তচরের কাজ করে ৷
আল-মাহদী তাকে মাটির নীচে অবস্থিত কুপের ন্যায় কারাগারে নিক্ষেপ করেন ৷৩ তার জন্য একটি
গোলাকৃতির কক্ষ তৈরি করা হয় ৷ তা র চুল বড় হয়ে যায় এমনকি জীব জন্তুর চুলের ন্যায় লম্বা ও
অবিন্যস্ত হয়ে পড়ে এবং তিনি অন্ধ হয়ে যান ৷ কেউ কেউ বলেন, তার দৃষ্টি শক্তি ৫লাপ পেয়ে
যায় ৷ তিনি প্রায় ১৫ বছর ঐ কুপটিতে অবস্থান করেন যেখানে তিনি কোন আলো দেখতে ৫পতেন
না এবং কোন শব্দও ৫শানতে ৫পতেন না শুধুমাত্র সালাতের সময় তবে সালাতের কথা তারা
জানিয়ে দেওয়া হত ৷ প্রতিদিন৩ তার কাছে রুটি ও এক কলসী পানি রাখা হত ৷ এরুপভাবে সে
অবস্থান করতে লাগলেন ৷ এত ৷৫ব খলীফা আল-মাহদী ও আল-হাদীর যুগ অতিক্রা ৷ম্ভ হল এবং
আর-রশীদের যুগের প্রথমাংশও অতিবাহিত হল ৷ ইয়াকুব বলেন, আমার ঘুমের মধ্যে আমার
কাছে এক ব্যক্তি আগমন করে বললেন :



(


অর্থাৎ “তুমি যে দুঃখ ক৫ষ্ট আছ তার পিছনে রয়েছে অতি সব্লিকট নিষ্কৃতি ৷ ফলে

আশংকাগ্রস্ত ব্যক্তি ভীতি ৩মুক্ত হবে ৷ দাস তার দাসতু থেকে মুক্তি পাবে এবং অপরিচিত দুরের
পরিবার নিকটে আসবে ৷”

একদিন যখন ভোর হল আমাকে ডাকা হল ৷ তখন আমি ধারণা করলাম যে, আমাকে
সালা৫তর সময় সম্পর্কে অবগত করানো হচ্ছে ৷ নীচে আমার দিকে একটি রশি ঝুলিয়ে দেয়া হল
এবং আমাকে বলা হল, “এ রশিটি ৫তামার কােমরে বীধ ৷ ” এরপর সেখানে উপস্থিত লোকজন
আমাকে টেনে উপরে উঠাল ৷ উঠা৫নার পর আমি যখন আলোর দিকে নযর করলাম তখন কিছুই
দেখতে পেলাম না ৷ আমাকে খলীফার সামনে দাড় করানো হল এবং আমাকে বলা হল, আমীরুল
মু’মিনীন৫ক সালাম করো ৷ আমি তাকে খলীফা আল-মাহদী মনে করলাম এবং আমি তাকে তীর
নাম ধরে সালাম করলাম তিনি বললেন, আমি ওই লোক নই ৷ এরপর আমি বললাম, আপনি কি
খলীফ৷ আল-হাদী ? তিনি বললেন, আমি ঐ লোক নই ৷ পরে আমি বললাম, আস-সালামু
আলায়কুম হে আমীরুল মু’মিনীন আর রশীদ ! তখন তিনি বললেন, হীা, আমি খলীফা
আর-রশীদ ৷ এরপর খলীফ৷ বললেন, আল্লাহর শপথ ৫৩ ৷মার সম্বন্ধে আজ পর্যন্ত ৫কউ আমার
কাছে সুপারিশ করেনি ৷৩ তবে পতরা৫ত আমার একটি ছোট ৫ম৫য় আমার গর্দা৫নর উপর চড়ে
বসল তখন আমার স্মরণ হল আমিও তোমার গর্দা৫ন এরুপ চড়তাম আর তৃমিও আমাকে এরুপ
বহন করতে ৷ এরপর তুমি যেই দুঃখ ক৫ষ্ট আছ৩ তার প্রতি আমার অম্ভরে দয়া র উদ্রেক হল ৷ তাই
আমি তোমাকে বের করে নিয়ে আসলাম ৷ এরপর খলীফ তার প্রতি আরো দয়া করলেন এবং
ভাল আচরণ করলেন ৷ কিন্তু ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ ইবন বারমাক তার প্রতি হিংসা করতে
লাগলেন এবং আশংকা করতে লাগলেন যে, ত ৷৫ক ঐরুপ মর্যাদা য় অধিষ্ঠিত করা হবে যেরুপ
মর্যাদার তিনি আল-মাহদীর যু৫গ মর্যাদাবান ছিলেন ৷ ইয়াকুব ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ ইবন
বারমা৫কর এরুপ আশ ত্কা র কথা জাচ করতে পারলেন ৷ ত৷ ৷ই তিনি আর রশীদ থেকে মক্কায় চলে
যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন ৷ তিনি তাকে অনুমতি দিলেন ৷ তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই


وَقَدْ كَانَ نَائِبَهُ عَلَى الْجَانِبِ الْغَرْبِيِّ مِنْ بَغْدَادَ. وَمَنْ زَعَمَ مِنَ الرُّوَاةِ أَنَّ الشَّافِعِيَّ اجْتَمَعَ بِأَبِي يُوسُفَ كَمَا يَقُولُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْبَلَوِيُّ الْكَذَّابُ فِي الرِّحْلَةِ الَّتِي سَاقَهَا الشَّافِعِيُّ، فَقَدْ أَخْطَأَ فِي ذَلِكَ، فَإِنَّ الشَّافِعِيَّ إِنَّمَا وَرَدَ بَغْدَادَ فِي أَوَّلِ قَدْمَةٍ قَدِمَهَا إِلَيْهَا فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَثَمَانِينَ. وَإِنَّمَا اجْتَمَعَ بِمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ الشَّيْبَانِيِّ، فَأَحْسَنَ إِلَيْهِ وَأَقْبَلَ عَلَيْهِ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا شَنَآنٌ، كَمَا قَدْ يَذْكُرُهُ بَعْضُ مَنْ لَا خِبْرَةَ لَهُ بِهَذَا الشَّأْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ طَهْمَانَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَازِمٍ السُّلَمِيِّ، اسْتَوْزَرَهُ الْمَهْدِيُّ، وَسَلَّمَ إِلَيْهِ أَزِمَّةَ الْأُمُورِ، وَحَظِيَ عِنْدَهُ جِدًّا، ثُمَّ لَمَّا أَمَرَهُ بِقَتْلِ ذَلِكَ الْعَلَوِيِّ فَأَرْسَلَهُ، وَنَمَّتْ عَلَيْهِ الْجَارِيَةُ، وَتَحَقَّقَ أَنَّهُ لَمْ يَفْعَلْ، سَجَنَهُ فِي بِئْرٍ، وَبُنِيَتْ عَلَيْهِ قُبَّةٌ، وَنَبَتَ عَلَيْهِ شَعْرٌ كَمَا يَنْبُتُ شَعْرُ الْأَنْعَامِ، وَعَمِيَ، وَيُقَالُ: عَشِيَ بَصَرُهُ، وَمَكَثَ نَحْوًا مِنْ خَمْسَ عَشْرَ سَنَةً فِي ذَلِكَ الْمَكَانِ لَا يَرَى شَيْئًا، وَلَا يَسْمَعُ صَوْتًا إِلَّا حِينَ الصَّلَوَاتِ يُعْلَمُ بِهِ، وَيُدَلَّى إِلَيْهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ رَغِيفٌ وَكُوزُ مَاءٍ، حَتَّى انْقَضَتْ أَيَّامُ الْمَهْدِيِّ وَأَيَّامُ الْهَادِي وَصَدْرٌ مِنْ خِلَافَةِ الرَّشِيدِ، قَالَ يَعْقُوبُ: فَأَتَانِي آتٍ فِي مَنَامِي فَقَالَ: عَسَى الْكَرْبُ الَّذِي أَمْسَيْتَ فِيهِ ... يَكُونُ وَرَاءَهُ فَرَجٌ قَرِيبُ فَيَأَمَنَ خَائِفٌ وَيُفَكُّ عَانٍ ... وَيَأْتِي أَهْلَهُ النَّائِي الْغَرِيبُ
পৃষ্ঠা - ৮২৩৭
فَلَمَّا أَصْبَحْتُ نُودِيتُ فَظَنَنْتُ أَنِّي أُعْلَمُ بِوَقْتِ الصَّلَاةِ، وَدُلِيَّ إِلَيَّ حَبْلٌ، وَقِيلَ لِي: ارْبُطْ هَذَا الْحَبْلَ فِي وَسَطِكِ. فَأَخْرَجُونِي، فَلَمَّا نَظَرْتُ إِلَى الضِّيَاءِ لَمْ أُبْصِرْ شَيْئًا، وَأُوقِفْتُ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلِيفَةِ. فَظَنَنْتُهُ الْمَهْدِيَّ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ أَنَّهُ الْمَهْدِيُّ، فَقَالَ: لَسْتُ بِهِ. قُلْتُ: فَالْهَادِي؟ فَقَالَ: لَسْتُ بِهِ. فَقُلْتُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ الرَّشِيدَ. فَقَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهُ لَمْ يَشْفَعْ فِيكَ عِنْدِي أَحَدٌ، وَلَكِنِّي الْبَارِحَةَ حَمَلْتُ جَارِيَةً لِي صَغِيرَةً عَلَى عُنُقِي، فَذَكَرْتُ حَمْلَكَ إِيَّايَ عَلَى عُنُقِكَ، فَرَحِمْتُ مَا أَنْتَ فِيهِ مِنَ الضِّيقِ، فَأَخْرَجْتُكَ. ثُمَّ أَنْعَمَ عَلَيْهِ وَأَحْسَنَ إِلَيْهِ. فَغَارَ مِنْهُ يَحْيِي بْنُ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ، وَخَشِيَ أَنْ يُعِيدَهُ إِلَى الْمَنْزِلَةِ الَّتِي كَانَ فِيهَا أَيَّامِ الْمَهْدِيِّ، وَفَهِمَ ذَلِكَ يَعْقُوبُ، فَاسْتَأْذَنَ الْخَلِيفَةَ فِي الذَّهَابِ إِلَى مَكَّةَ، فَأَذِنَ لَهُ، فَكَانَ بِهَا حَتَّى مَاتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَيَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ أَبُو مُعَاوِيَةَ الْعَيْشِيُّ، كَانَ ثِقَةً عَالِمًا عَابِدًا وَرِعًا، تُوُفِّيَ أَبُوهُ وَكَانَ وَالِيَ الْبَصْرَةِ، وَتَرَكَ مِنَ الْمَالِ خَمْسَمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَلَمْ يَأْخُذْ مِنْهَا يَزِيدُ دِرْهَمًا وَاحِدًا، وَكَانَ يَعْمَلُ الْخُوصَ، وَيَأْكُلُ مِنْهُ. وَتُوُفِّيَ بِالْبَصْرَةِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ قَبْلَ ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.