আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وثمانين ومائة

الأحداث التي وقعت فيها

পৃষ্ঠা - ৮২২৫


এ বছর যীর৷ ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে একজন হলেন ভ্রষেদ্বীর ন্বল্ন্তষিনাে ৷ তিনি
দীর্ঘকাল চিম্ভাগ্রস্ত থাকতেন এবং খুব বেশী করে র্কাদতেন ৷ তার একজন ণ্ন্কট ত্ত্বরইয় সফর
থেকে প্রত্যাগমন করেন ৷ তখন তিনি র্কাদতে লাগলেন ৷ এ সম্বন্ধে তাকে ক্তিদ্রুস্প্ করা হলে
তিনি বলেন, এ যুবকের আগমন আমাকে আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হওয়াং র্চিপুন্র কথা স্মরণ
করিয়ে দিয়েছে ৷ আগ্ ৷ন্তুকটি তুষ্ট অখচ৩ার ধ্বংস আসন্ন ৷ এ বছর ইমাম শ্ ফটরতণ্ন্ন্ ন্ মুসলিম
ইবন খ৷ ৷লিদ আ ল-যিনজি ইনতিকা ল করেন ৷৩ তিনি ছিলেন মক্কার বাসিন্দা ৩ ল্ন্মর্ধ্বয়ে ক্কিরম তার
স্মৃতিশক্তি বিলুপ্তির সমালোচনা করেন ৷

১৮১ হিজরীর আগমন

এ বছর আর-রশীদ রোমকদের শহরে যুদ্ধ করেন এবং একটি দুর্গ জয় করেন তর ধ্ ফ্লি
আস-স৷ ফ ৷ করি মারওয়৷ ন ইবন আবুহাফসা এ সম্পর্কে বলেনং :

টু,া

অর্থাৎ নিঃসন্দেহে আমীরুল মু’মিনীন ছিলেন ন্যায় পরায়ণ ৷ তিনি সাফসাফ দুর্গঢি জনমানব
শুন্য সমতল ভুমিতে পরিণত করে রেখে এস্যেছন ৷’ এ বছর আবদুল মালিক ইবন সালিহ
রোমকদের শহরে যুদ্ধ করেন ৷ তিনি আনকারা পর্যন্ত পৌছে যান এবং মাতমুর৷ জয় করেন ৷ এ
বছর আল-মুহাম্মারা সম্প্রদায় জুরজানে আধিপত্য বিস্তার করে ৷ এ বছর দীনি শিক্ষার
কিতাবগুলোতে আল্লাহর প্রতি ছানা পড়ার পর রাসুল (সা) -এর প্রতি দুরুদ পাঠ করার হুকুম
লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন ৷ এ বছর লোকজনকে নিয়ে আর-রশীদু হজ্জ আদায় করেন ৷ মিনা
ত্যাগ করার ক্ষেত্রে তৃরা করেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদ শাসনভার গ্রহণের দায়িত্ব থেকে

আর-রশীদের৷ কা ছে অব্যাহতি প্র৷ ৷র্থন৷ করেন ৷৩ তিনি তাকে অব্যাহতি প্ৰদা ন করেন ৷ ইয়াহ্ইয়া মক্কা
স্থায়ীভ৷ ৷বে বসবাস শুরু করেন ৷

এ বছর যীর৷ ইনতিকা ৷ল করেন তারা হলেনং আল-হাসান ইবন কাহতাবা ৷ তিনি ছিলেন
নেতৃন্থানী আমীরদের অন্যতম ,হাময৷ ইবন মালিক, তিনি আর-রশীদের আমলে খুরাসানের
আমীর ছিলেন , খ৷ লাফ ইবন খলীফা, তিনি আল-হাসান ইবন অ ৷রাফ৷ ৷র উস্তাদ ছিলেন ৷ তার বয়স
হয়েছিল একশ বছর ৷ আবদুল্লাহ ইবন আল-মুবারক,৩ তিনি ছিলেন আবু আবদুর রহমান আবদুল্পত্
ইবন আল ঘুবা রক আল ৷ল-মারুযী ৷৩ ৷র ৷পিতা ছিলেন তুর্কী এবং হামাদা ৷নবাসী বনু হানযালার এক
ব্যবসায়ী ব্যক্তির আযাদকৃত গোলাম ৷ ইবন মুবারক যখন হামাদান আগমন করতেন তহ্ন
হামাদানবাসীরা তাদের আযাদকৃত গোলামের সন্তানের প্ৰতি ৩খুব ভাল আচরণ করতেন ৷ র ভ্রু
ছিলেন খাওয়৷ ৷রিযমী মহিলা ৷ তিনি ১ ১৮ হিজরীতে ৩জনাগ্রহণ করেন ৷ তিনি৩ ৷বিঈ ইমামই স্মষ্ন্থন্ন্
ইবন খালিদ, আ মাশ, হিশ ৷ম ইবন উরওয়া, হুমায়দু৩ ৩তাবীল প্রমুখ থেকে হাদীস শবণ্ ৰুবুহুন্
তার থেকে বহু লোক হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি কন্ঠস্থুকরণ, ফিক৷ ৷হ, আ ৷রবী৩৷ ৷ষা, পর:হমগ্ণ্র
দানশীল৩ ৷, সাহসিকতা ও কবিতা রচনা র সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ৷৩ তার ৷প্রণীত বহু গু পুদ্বক ও
প্রজ্ঞা সম্বলিত বহু শ্রেষ্ঠ কবিতার সম্ভ৷ র ৷ তিনি বহুবার হজ্জ পালন করেন ও যুদ্ধে অহ্নণ্ গ্রহণ
করেন ৷ তার ছিল প্রায় চার লক্ষ দীনারের একটি ব্যবসায়ী মুলধন ৷ তিনি তা দিয়ে ৰু ষ্ন্ শহরে
ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করতেন ৷ তিনি যখন কোন আলিমের সাথে মিনিত : ন্ তর প্ৰতি


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَثَمَانِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا غَزَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ هَارُونُ الرَّشِيدُ بِلَادَ الرُّومِ، فَافْتَتَحَ حِصْنًا يُقَالُ لَهُ: الصَّفْصَافُ. فَقَالَ فِي ذَلِكَ مَرْوَانُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ: إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ الْمُصْطَفَى ... قَدْ تَرَكَ الصَّفْصَافَ قَاعًا صَفْصَفًا وَفِيهَا غَزَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ صَالِحٍ بِلَادَ الرُّومِ، فَبَلَغَ أَنْقَرَةَ وَافْتَتَحَ مَطْمُورَةَ. وَفِيهَا تَغَلَّبَتِ الْمُحَمِّرَةُ عَلَى جُرْجَانَ. وَفِيهَا أَمَرَ الرَّشِيدُ أَنْ يُكْتَبَ فِي صُدُورِ الرَّسَائِلِ الصَّلَاةُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ الثَّنَاءِ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ الرَّشِيدُ وَتَعَجَّلَ فِي النَّفْرِ، وَسَأَلَهُ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ أَنْ يُعْفِيَهُ مِنَ الْوِلَايَةِ، فَأَعْفَاهُ وَأَقَامَ يَحْيَى بِمَكَّةَ. ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: الْحَسَنُ بْنُ قَحْطَبَةَ أَحَدُ أَكَابِرِ الْأُمَرَاءِ الْعَبَّاسِيَّةِ، وَحَمْزَةُ بْنُ مَالِكٍ، وَلِيَ إِمْرَةَ خُرَاسَانَ فِي أَيَّامِ الرَّشِيدِ.
পৃষ্ঠা - ৮২২৬


তিনি ভাল ব্যবহার করতে ন ৷ প্রতি ৩বছর তার প্রায় এক লাখ দীনার ঘুনাফ৷ হত ৷ তিনি তার

মুনাফার সবটুকু ইবাদ৩গুযার , পরহেযগার ও বিদ্বান ব্যক্তিদের জন্য খরচ করে ফেলতেন ৷ কোন
কোন সমমুলধন থেকেও খরচ করতেন ৷

সুফিয়ান ইবন উয়ায়না বলেন, আমি তার কাজ ও সাহাবায়ে কিরামের কাজের ব্যাপারে
তুলনামুলক পর্যবেক্ষণ করলাম, অনুধাবন করতে পারলাম যে, রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাহচর্য ব্যতীত
অন্য কোন ব্যাপারে তারা তার থেকে শ্রেষ্ঠ ছিলেন না ৷

ইসমাঈল ইবন আইয়াশ বলেন, “পৃথিবীর বুকে তার ন্যায় তার সময়ে অন্য কেউ মর্যাদাবান
ছিলেন না ৷ আমি এমন কোন ভাল অভ্যাস সম্বন্ধে জানি না বা তা ল্লা৷হ্ তা আল৷ ইবন মুবারকের
মধ্যে সন্নিবেশিত করে দেননি ৷ তিনি বলেন, আমার কয়েকজন সাথী একদিন বর্ণনা করেন ৷ তারা
মিসর থেকে মক্কা সফরকালে৩ ৷ তার সঙ্গী ছিলেন ৷ তিনি তাদেরকে খেজুর ও ময়দ৷ দিয়ে তৈরি
হালুয়৷ খাওয়াতেন কিন্তু তিনি নিজে একাধারে রোযাদ৷ র ছিলেন ৷ একবার তিনি আর-রাক্কায়
আগমন করেন সেখানে হারুনুর রশীদ অবস্থান করছিলেন ৷ যখন তিনি সেখানে প্রবেশ করেন
লোকজন তার কাছে জমায়েত হন ৷ তার চতৃর্দিকে লোকজনের ভীড় লেগে গেল ৷ তখন
আর-রশীদের একজন উম্মু ওয়ালাদ প্রাসাদ থেকে উকি দিয়ে দেখলেন ৷ লোকজনের ভীড় দেখে
তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, লোকজনের কী হয়েছে ৷ তখন তাকে বলা হল, খুরাসানের উলামায়ে
কিরামের এক ব্যক্তি আগমন করেছেনত তাকে আবদুল্লাহ্ ইবন মুব৷ রক বলা হয় ৷৩ তার অভ্যর্থনার
জন্য লোকজন তার কাছে এসেছেন ৷ মহিলা টি বললেন, ইনিইতে৷ বাদশা, হ রুনুব রশীদ বাদশাহ
নন যার জন্য যেত, লাঠি, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ভয়-ভীতির মাধ্যমে জনগণকেত তার প্রতি সম্মান
প্রদর্শনের লক্ষে জমায়েত করা হয় ৷

একবার তিনি হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন ৷ কোন এক শহর অতিক্রম
করছিলেন ৷৩ তার সাথী সঙ্গীদের একটি পাখি মারা গেল ৷ সেখানকার কে ন একটি আবর্জনা
রাখার জায়গায় তা নিক্ষেপ করার জন্য৩ তিনি হুকুম দিলেন ৷৩ তার ৷সাথীরা তার সন্মুখভ৷ গে চলে
গেলেন ৷ তিনি তাদের একটু পিছনে পড়ে গেলেন ৷ যখন তিনি ময়লা ফেলার জায়গায় গমন
করেনঐ খনত দেখলেন একটি যুবতী মহিলা ত ৷র ৷নিকটবর্তী একটি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসল
এবংঐ মৃত পাখিটি কুড়িয়ে নিল ৷ এরপর সেত তা গুটিয়ে নিল এবং ঘরের দিকে দ্রুত প্রত্যাগমন
করল ৷ তিনি এগিয়ে আসলেন এবং তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞা ৷সা করলেন ৷ আর মৃত পাখিটি নিয়ে
নেয়ার ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করলেন ৷ যুবতী মহিলাটি উত্তরে বলল, এখানে আমার ভাই ও আমার
জন্য এ পায়জামাটি ব্যতীত আর কিছু নেই ৷ আর আমাদের জন্য এ ময়লা ফেলার জায়গায় যা
ফেলা হয় তা ব্যতীত ৩অন্য কোন খাবার নেই ৷ আর কিছু দিন থেকেই আমাদের জন্য অভাবের
দরুন মৃত জস্তু খাওয়া হালাল হয়েছে ৷ আমাদের পিতার ছিল বহু সম্পদ ৷ এরপর তার উপর যুলুম
করা হয় এবং যাবতীয় সম্পদ নিয়ে নেয়া হয় ও তাকে হত্যা করা হয় ৷ ইবন মুব৷ রক বোঝা
বহনকারী জানােয়ারদের ফেরত ডেকে পাঠালেন এবং তার দায়িতৃপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বললেন, (তামার
কাছে খরচের অর্থ কত রয়েছে ,? তিনি বললেন, এক হাজার দীনার ৷ তিনি বললেন, তার থেকে
বিশ দীনার গণনা করে আলাদা কর যার দ্বারা আমাদের জন্য যাতে পর্যন্ত যাওয়া য়থেষ্ট হবে ৷ আর
বাকীগুলাে তাকে দিয়ে দাও ৷ এ বছর হজ্জ পালন থেকে এ কাজটি উত্তম ৷ এরপর তিনি তার
সাথীদের নিয়ে ফেরত আসলেন ৷


وَخَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ شَيْخُ الْحَسَنِ بْنِ عَرَفَةَ عَنْ مِائَةِ سَنَةٍ. وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَرْوَزِيُّ، كَانَ أَبُوهُ تُرْكِيًّا مَوْلًى لِرَجُلٍ مِنَ التُّجَّارِ مِنْ بَنِي حَنْظَلَةَ مِنْ أَهْلِ هَمَذَانَ، فَكَانَ ابْنُ الْمُبَارَكِ إِذَا قَدِمَهَا أَحْسَنَ إِلَى وَلَدِ مَوْلَاهُمْ، وَكَانَتْ أُمُّهُ خَوَارِزْمِيَّةً، وُلِدَ سَنَةَ ثَمَانِ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ، وَسَمِعَ إِسْمَاعِيلَ بْنَ أَبِي خَالِدٍ، وَالْأَعْمَشَ، وَهِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ، وَحُمَيْدًا الطَّوِيلَ، وَغَيْرَهُمْ مِنْ أَئِمَّةِ التَّابِعِينَ. وَحَدَّثَ عَنْهُ خَلَائِقُ مِنَ النَّاسِ، وَكَانَ مَوْصُوفًا بِالْحِفْظِ وَالْفِقْهِ وَالْعَرَبِيَّةِ وَالزُّهْدِ وَالْكَرَمِ وَالشَّجَاعَةِ، وَلَهُ التَّصَانِيفُ الْحِسَانُ، وَالشِّعْرُ الْمُتَضَمِّنُ حِكَمًا جَمَّةً، وَكَانَ كَثِيرَ الْغَزْوِ وَالْحَجِّ، وَكَانَ لَهُ رَأْسُ مَالٍ نَحْوُ أَرْبَعِمِائَةِ أَلْفٍ يَدُورُ يَتَّجِرُ بِهِ فِي الْبُلْدَانِ، فَحَيْثُ اجْتَمَعَ بِعَالِمِ بَلْدَةٍ أَحْسَنَ إِلَيْهِ، وَكَانَ يَرْبُو كَسْبُهُ فِي كُلِّ سَنَةٍ عَلَى مِائَةِ أَلْفٍ، يُنْفِقُهَا كُلَّهَا فِي أَهْلِ الْعِلْمِ وَالْعِبَادَةِ، وَرُبَّمَا أَنْفَقَ مِنْ رَأْسِ الْمَالِ. قَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: نَظَرْتُ فِي أَمْرِهِ وَأَمْرِ الصَّحَابَةِ، فَمَا رَأَيْتُهُمْ يَفْضُلُونَ عَلَيْهِ إِلَّا بِصُحْبَتِهِمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ: مَا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مِثْلُهُ، وَمَا أَعْلَمُ خَصْلَةً مِنَ الْخَيْرِ إِلَّا وَقَدْ جَعَلَهَا اللَّهُ فِي ابْنِ الْمُبَارَكِ، وَلِقَدْ حَدَّثَنِي أَصْحَابِي أَنَّهُمْ صَحِبُوهُ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮২২৭
مِصْرَ إِلَى مَكَّةَ، فَكَانَ يُطْعِمُهُمُ الْخَبِيصَ، وَهُوَ الدَّهْرَ صَائِمٌ. وَقَدِمَ مَرَّةً إِلَى الرَّقَّةِ، وَبِهَا هَارُونُ الرَّشِيدُ، فَلَمَّا دَخَلَهَا انْجَفَلَ النَّاسُ يُهْرَعُونَ إِلَى ابْنِ الْمُبَارَكِ، وَازْدَحَمَ النَّاسُ حَوْلَهُ، فَأَشْرَفَتْ أُمُّ وَلَدٍ لِلرَّشِيدِ مِنْ قَصْرٍ هُنَاكَ فَقَالَتْ: مَا لِلنَّاسِ؟ فَقِيلَ لَهَا: قَدِمَ رَجُلٌ مِنْ عُلَمَاءِ خُرَاسَانَ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ. فَانْجَفَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ. فَقَالَتِ الْمَرْأَةُ: هَذَا هُوَ الْمُلْكُ، لَا مُلْكَ هَارُونَ الرَّشِيدِ الذى يَجْمَعُ النَّاسَ عَلَيْهِ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا وَالرَّغْبَةِ وَالرَّهْبَةِ. وَخَرَجَ مَرَّةً إِلَى الْحَجِّ، فَاجْتَازَ بِبَعْضِ الْبِلَادِ، فَمَاتَ طَائِرٌ مَعَهُمْ، فَأَمَرَ بِإِلْقَائِهِ عَلَى مَزْبَلَةٍ، وَسَارَ أَصْحَابُهُ أَمَامَهُ وَتَخَلَّفَ هُوَ وَرَاءَهُمْ، فَلَمَّا مَرَّ بِالْمَزْبَلَةِ إِذَا جَارِيَةٌ قَدْ خَرَجَتْ مِنْ دَارٍ قَرِيبَةٍ مِنْهَا، فَأَخَذَتْ ذَلِكَ الطَّائِرَ الْمَيِّتَ، فَكَشَفَ عَنْ أَمْرِهَا وَفَحَصَ، حَتَّى سَأَلَهَا، فَقَالَتْ: أَنَا وَأُخْتِي هَاهُنَا، لَيْسَ لَنَا شَيْءٌ إِلَّا هَذَا الْإِزَارَ، وَقَدْ حَلَّتْ لَنَا الْمَيْتَةُ، وَكَانَ أَبُونَا لَهُ مَالٌ= عَظِيمٌ، فَظُلِمَ وَأُخِذَ مَالُهُ وَقُتِلَ. فَأَمَرَ ابْنُ الْمُبَارَكِ بِرَدِّ الْأَحْمَالِ، وَقَالَ لِوَكِيلِهِ: كَمْ مَعَكَ مِنَ النَّفَقَةِ؟ فَقَالَ: أَلْفُ دِينَارٍ. فَقَالَ: عُدَّ مِنْهَا عِشْرِينَ دِينَارًا تَكْفِينَا إِلَى مَرْوَ، وَأَعْطِهَا الْبَاقِيَ، فَهَذَا أَفْضَلُ مِنْ حَجِّنَا فِي هَذَا الْعَامِ. ثُمَّ رَجَعَ. وَكَانَ إِذَا عَزَمَ عَلَى الْحَجِّ يَقُولُ لِأَصْحَابِهِ: مَنْ عَزَمَ مِنْكُمْ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৮২২৮

তিনি যখন হরুজ্জ গমন করার সংকল্প করতেন তার সাথীদের বলতেন, তোমাদের মধ্য
থেকে যারা এ বছর হত্রুজ্জর সং ×কল্প করেছ তারা যেন আমার কাছে তাদের খরচ নিয়ে আসে,
আমাকে যেন তাদের জন্য খরচ করতে না হয় ৷ এভাবে তিনি তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে তার
প্রয়োজনীয় খরচ নিয়ে নিতেন এবং প্রতিটি লোকের খলির উপর মালিকের নাম লিখে দিতেন ৷
আর সবগুলো থলিকে একটি সিন্দুকে পুরে নিতেন ৷ এরপর তাদেরকে নিয়ে বের হতেন ৷ প্রচুর
পরিমাণ খরচ করতে তন ও সাওয়ারীতে আরোহণ করতেন ৷ তাদের সাথে তাল ব্যবহার করতেন ও
নম্রতার আশ্রয় নিতেন ৷ যখন তারা হজ্জ সম্পন্ন করতেন তখন তিনি তাদেরকে বলতেন,
তােমাদেরকে কি তে তামাদের পরিবারবর্গ কোন হাদিয়া নিতে বলেছে ? এরপর তিনি তাদের
প্রত্যেকের জন্য তার পরিবারের ফরমইিশ মুতাবিক মকী হাদিয়া, ইয়ামানী হ দিয৷ ও অন্যান্য
হাদিয়া খরিদ করে দিতেন ৷ যখন তারা মদীনায় পৌছতেন তখনও তাদের জন্য মাদানী হাদিয়া
খরিদ করতেন ৷ আর যখন তারা তাদের শহরের দিকে প্রত্যাবর্তন করতেন তখন তিনি রা ৷স্তার
মাঝখান থেকে তাদের ঘরের লোকদের কাছে সংবাদ পাঠাতেন যাতে ত তারা তাদের ঘরবাড়ি
পরিষ্কা ৷র পরিচ্ছন্ন করতে পারে, দরজাজ জানালার প্রচলিত রং দিতে পা রে ও বাড়ির ফাটল ইত্যাদি
মেরামত করতে এবং সুসজ্জিত করতে পারে ৷ যখন তারা নিজ নিজ শহরে পৌছতেন তাদের
আগমনের পর তিনি তাদের জন্য ভোজের ব্যবস্থা করতেন ও তাদেরকে ডাকতেন ৷ এরপর তারা
খাওয়া-দাওয়া করতেন ও তাদেরকে তিনি বস্ত্র দান করতেন ৷ এরপর ঐ সিন্দুকটি চেয়ে পাঠাতেন,
সিন্দুকটি খুলতেন এবং থলেগুলে৷ বের করতেন ৷ তাদের মধ্যে থলেগুলাে বণ্টন করে দিতেন
যাতে তাদের প্রতেব্রকে নাম লিখা খরচের অর্থ বুঝে নিতে পারে ৷ তারা তাদের থলে বুঝে
নিতেন, তার তাদের ঘরে ফিরে যেতেন ৷ তারা আল্লাহ্র শোকর করতেন, প্রশংসার ঝাণ্ডা বহন
করতেন তাদের সফরের সামগ্রী এক উটের বোঝা হয়ে যেত ৷ আর এ সামগ্রীর মধ্যে থাকত
খাবারের বিভিন্ন উপকরণ যেমন গোশত, মুরপী, হালুয়৷ ইত্যাদি ৷ এরপর তিনি লোকজনকে

একদিন এক ভিক্ষুক তার কাছে ৩কিছু প্রার্থনা করল ৷ তখন তিনিাকে এক দিরহাম দান
করলেন ৷ তার এক সাথী তাকে বললেন, তারা ভুন৷ গােশত ও ফ ৷লুদ৷ ভক্ষণ করে থাকে ৷ তাই
তার জন্য এক টুকরাই যথেষ্ট ৷ তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ ! আমি ধারণা করেছিলাম যে, যে
শুধু তরকারী ও রুটি খেয়ে থাকে ৷ যদি সে ফালুদা ও ভুন৷ গোশত খেয়ে থাকে তাহলে তার জন্য
এক দিরহাম যথেষ্ট হবে না ৷ এরপর তিনি তার এক গোলামকে হুকুম দিলেন এবং বললেন ঐ
এক দিরহাম ফেরত নিয়ে এস এবং তাকে দশ দিরহাম প্রদান কর ৷ এভাবে তার পদ মর্যাদা ও
কৃতিতুপুর্ণ কার্যকলাপ অনেক বেশী ৷

আবু উমর ইবন আবদুল বার বলেন, “আলিমপণ তার গ্রহণযোগ্যতা , পদমর্যাদা , ইমামত ও
ইনসাফের উপর একমত রয়েছেন ৷” আবদুল্লাহ্ ইবন মুবারক এ বছরের রমযান মাসে ৬৩ বছর
বয়সে ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷

ঘুফায্যল ইবন ফুযালা এ বছর ইনবিক ল করেন ৷ তিনি দু বার মিসরের কাষী নিযুক্ত
হয়েছিলেন ৷ তিনি ছিলেন দীনদার ও বিশ্বস্ত ৷ তিনি একবার আল্লাহ্র কাছে তার থেকে আশা
আকাডক্ষা দুরীভুত করার দরখাস্ত করেন ৷ আল্লাহ্ তাআল৷ তা তার থেকে দুর করে দিলেন ৷ তখন


الْحَجِّ؟ فَيَأْخُذُ مِنْهُمْ نَفَقَاتِهِمْ، وَيَكْتُبُ عَلَى كُلِّ صُرَّةٍ اسْمَ صَاحِبِهَا وَيَجْمَعُهَا فِي صُنْدُوقٍ، ثُمَّ يَخْرُجُ بِهِمْ فِي أَوْسَعِ مَا يَكُونُ مِنَ النَّفَقَاتِ وَالرُّكُوبِ، وَحُسْنِ الْخُلُقِ وَالتَّيْسِيرِ عَلَيْهِمْ، فَإِذَا قَضَوْا حَجَّتَهُمْ يَقُولُ لَهُمْ: هَلْ أَوْصَاكُمْ أَهْلُوكُمْ بِهَدِيَّةٍ؟ فَيَشْتَرِي لِكُلٍّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ مَا وَصَّاهُ أَهْلُهُ مِنَ الْهَدَايَا الْمَكِّيَّةِ وَالْيَمَنِيَّةِ وَغَيْرِهَا، فَإِذَا جَاءُوا إِلَى الْمَدِينَةَ اشْتَرَى لَهُمْ مِنْهَا الْهَدَايَا الْمَدَنِيَّةَ، فَإِذَا قَفَلُوا بَعَثَ مِنْ أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ إِلَى بُيُوتِهِمْ فَأُصْلِحَتْ وَبُيِّضَتْ أَبْوَابُهَا وَرُمِّمَ شَعَثُهَا، فَإِذَا رَجَعُوا إِلَى أَوْطَانِهِمْ عَمِلَ وَلِيمَةً بَعْدَ قُدُومِهِمْ وَدَعَاهُمْ فَأَكَلُوا وَكَسَاهُمْ، ثُمَّ دَعَا بِذَلِكَ الصُّنْدُوقِ فَفَتَحَهُ وَأَخْرَجَ مِنْهُ تِلْكَ الصُّرَرَ، ثُمَّ يُقْسِمُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَأْخُذَ كُلُّ وَاحِدٍ نَفَقَتَهُ الَّتِي عَلَيْهَا اسْمُهُ، فَيَأْخُذُونَهَا وَيَنْصَرِفُونَ إِلَى مَنَازِلِهِمْ وَهُمْ شَاكِرُونَ نَاشِرُونَ لِوَاءَ الثَّنَاءِ الْجَمِيلِ. وَكَانَتْ سُفْرَتُهُ تُحْمَلُ عَلَى بَعِيرٍ وَحْدَهَا، وَفِيهَا مِنْ أَنْوَاعِ الْمَأْكُولِ مِنَ اللَّحْمِ وَالدَّجَاجِ وَالْحَلْوَى وَغَيْرِ ذَلِكَ، يُطْعِمُهُ وَهُوَ صَائِمٌ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي الْحَرِّ الشَّدِيدِ. وَسَأَلَهُ مَرَّةً سَائِلٌ، فَأَعْطَاهُ دِرْهَمًا، فَقَالَ لَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ: إِنَّ هَؤُلَاءِ يَأْكُلُونَ فِي غَدَائِهِمُ الشِّوَاءَ وَالْفَالَوْذَجَ، وَقَدْ كَانَ يَكْفِيهِ قِطْعَةٌ. فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا ظَنَنْتُ أَنَّهُ يَأْكُلُ إِلَّا الْبَقْلَ وَالْخُبْزَ، فَأَمَّا إِذَا كَانَ يَأْكُلُ الشِّوَاءَ وَالْفَالَوْذَجَ فَلَا بُدَّ مِنْ عَشَرَةِ دَرَاهِمَ، يَا غُلَامُ: رُدَّهُ وَأَعْطِهِ عَشَرَةَ دَرَاهِمَ. وَفَضَائِلُهُ وَمَنَاقِبُهُ وَمَآثِرُهُ كَثِيرَةٌ جِدًّا.
পৃষ্ঠা - ৮২২৯
قَالَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ: أَجْمَعَ الْعُلَمَاءُ عَلَى قَبُولِهِ وَجَلَالَتِهِ وَإِمَامَتِهِ وَعَدْلِهِ. تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ بِهَيْتَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي رَمَضَانِهَا عَنْ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً. وَمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ، وَلِيَ قَضَاءَ مِصْرَ مَرَّتَيْنِ، وَكَانَ دَيِّنًا ثِقَةً، سَأَلَ اللَّهَ أَنْ يُذْهِبَ عَنْهُ الْأَمَلَ، فَأَذْهَبَهُ، فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ لَا يُهَنِّئُهُ عَيْشٌ وَلَا شَيْءٌ مِنَ الدُّنْيَا، فَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ يَرُدَّهُ عَلَيْهِ فَرَدَّهُ، فَرَجَعَ إِلَى حَالِهِ. وَيَعْقُوبُ التَّائِبُ الْعَابِدُ الْكُوفِيُّ، قَالَ عَلِيٌّ ابْنُ الْمُوَفَّقِ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ عَمَّارٍ: خَرَجْتُ ذَاتَ لَيْلَةٍ وَأَنَا أَظُنُّ أَنِّي قَدْ أَصْبَحْتُ، فَإِذَا عَلَيَّ لَيْلٌ، فَجَلَسْتُ إِلَى بَابٍ صَغِيرٍ، وَإِذَا شَابٌّ يَبْكِي وَهُوَ يَقُولُ: وَعِزَّتِكَ وَجَلَالِكَ مَا أَرَدْتُ بِمَعْصِيَتِكَ مُخَالَفَتَكَ، وَلَكِنْ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي، وَغَلَبَتْنِي شِقْوَتِي، وَغَرَّنِي سِتْرُكَ الْمُرْخَى عَلَيَّ، فَالْآنَ مِنْ عَذَابِكَ مَنْ يَسْتَنْقِذُنِي؟ وَبِحَبْلِ مَنْ أَتَّصِلُ إِنْ قَطَعْتَ حَبْلَكَ عَنِّي؟ وَاسَوْأَتَاهُ عَلَى مَا مَضَى مِنْ أَيَّامِي فِي مَعْصِيَةِ رَبِّي! يَا وَيْلِي كَمْ أَتُوبُ، وَكَمْ أَعُودُ! قَدْ حَانَ لِي أَنْ أَسْتَحْيِيَ مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ مَنْصُورٌ: فَقُلْتُ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ {يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ} [التحريم: 6] . قَالَ: فَسَمِعْتُ صَوْتًا وَاضْطِرَابًا شَدِيدًا، فَذَهَبْتُ لِحَاجَتِي، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ رَجَعْتُ، فَلَمَّا مَرَرْتُ عَلَى ذَلِكَ الْبَابِ، فَإِذَا جِنَازَةٌ، فَسَأَلْتُ، فَإِذَا هُوَ قَدْ مَاتَ مِنْ سَمَاعِ هَذِهِ الْآيَةِ.