আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبعين ومائة من الهجرة النبوية

خلافة هارون الرشيد ابن المهدي

পৃষ্ঠা - ৮১৭৭


হয়ে গেল ৷ এরপর তিনি মাথা নীচু করলেন ৷ কিছুক্ষণ পর মাথা উঠালেন ৷ আর বললেন, আমি
আমার পিতা আল-মাহদীকে তার পিতা আল-মানসুর থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি ৷ তিনি
তার পিতা আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যে
কুরায়শকে অপমান করবে তাকে আল্লাহ্ অপমান করবেন ৷ আর তুমি হে আল্লাহর দৃশমন ৷ কেন
কুরায়শকে কষ্ট দিতে সম্মত হলে এমনকি রাসুলুল্লাহ্ (সা) পর্যন্ত কী ধ ডিঙ্গিয়ে গেলে ? তার গর্দান
কর্তন করে৷ ৷ এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে হত্যা করা হল ৷

এ বছর রবীউল আউয়াল মাসে আল-হাদী ইনতিকাল করেন ৷ তার ভাই হারুন তার সালাতে
জানায৷ পড়ান ৷ যে প্রাসাদ তিনি বাগদাদের পুর্ব দিকে ঈসাবাদে নির্মাণ করেছিলেন এবং তার নাম
রেখেছিলেন আল-আবইয়াদ, সেখানেই তাকে দাফন করা হয় ৷ তার ছেলে মেয়ের সংখ্যা ছিল
নয়জন, সাতজন পুত্র ও দু’জন কন্যা ৷ জাফর, আব্বাস, আবদুল্লাহ, ইসহাক, ইসমাঈল,
সুলায়মান, মুসা (অন্ধ) যিনি পিতার মৃত্যুর পর জন্মঃাহণ করেন ৷৩ তইি পিতার৷ না যে তার নাম রাখা
হয়েছিল ৷ কন্যা সন্তান দু জন হলেন৪ উম্মু ঈসা৷ যা কে আল ল-মামুন বিয়ে করেন ৷ উম্মু আব্বাস যাব র
উপাধি ছিল তাওবা ৷

হারুনুর রশীদ ইবন আল-মাহদীর খিলাফতকাল

যে রাতে তার ভাই মারা যান সেই রাতেই তার খিলাফতের বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ আর

তা ছিল একশ সত্তর হিজরীর রবীউল আউয়াল মাসের ১ ৫ তারিখ বৃহস্পতিবার রাত ৷ তখন
রশীদের বয়স ছিল বা ৷ইশ বছর ৷৩ তিনি ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খ৷ লিদ ইবন বার নাকের কাছে লোক প্রেরণ
করেন ও তাকে কারাগার থেকে বের করে আনেন ৷ এ রাতেই আল-হাদী তাকে এবং হারুনুর
রশীদকে হত্যা করার দৃঢ় সংকল্প করেছিল ৷ আর রশীদ ছিলেন তার বিদায়ী (দৃগ্ধ পোষ্য) পুত্র ৷
তা তাকে ঐ সময় মন্তীতৃ প্রদা ন করেন ৷ ইউসুফ ইবন আল-কা ৷সিম ইবন সাবহীকে রাষ্টীয় যোগাযোগ
দপ্তরের প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ তিনি খলীফার সামনে খভীব হিসেবে দণ্ডায়মান হন এবং
ইসাবাদে মিম্বরের উপর র্দাড়িয়ে তার জন্য বায়আত গ্রহণ করেন ৷ কথিত আছে যে, যে রাতে
আল-হাদী মারা যায় তখন ইয়াহ্ইয়৷ ইবন খালিদ ইবন বারমাক আর-রশীদের কাছে আগমন
করেন ৷ তিনি তাকে নিদ্রিত দেখতে পান তখন তিনি বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! উঠুন ৷
আর-রশীদ তখন তাকে বললেন, তুমি আমাকে আর কতবার ভয় দেখাবে ? যদি তোমাকে এই
ব্যক্তিটি একথা বলতে শুনে তাহলে এটা হবে তার কাছে আমার সবচেয়ে বড় গুনাহ ৷ ইয়াহ্ইয়া
বলেন, এই লোকটি ইতোমধ্যে মারা গেছে ৷ হারুন ৩ খন উঠে বললেন এবং বললেন, বিভিন্ন
প্রদেশে প্রশাসক নিযুক্তির ব্যাপারে তুমি আমাকে পরামর্শ প্ৰদা ন কর ৷ তখন ইয়াহ্ইয়৷ বিভিন্ন
প্রদেশের শাসকের নাম উল্লেখ করতে লাগলেন এবং রশীদও তাদেরকে নিয়োগ প্রদান করতে
লাগলেন ৷ তারা দু’জন একাজে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় অন্য একজন হিতাকাত্তক্ষী আগমন করেন এবং
বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ৷ আপনি শুভ সংবাদ গ্রহণ করুন ৷ এক্ষণি আপনার একটি পুত্র
সন্তান জন্ম নিয়েছে ৷ তখন তিনি বললেন, তার নাম হবে আবদুল্লাহ এবং তাকেই বলা হবে
আল-মড়ামুন ৷ এরপর ভোর বেলায় তিনি তার ভাই আল-হাদীর সালাতে জানায৷ আদায় করেন এবং
তাকে ঈসাবাদে দাফন করেন ৷ আর তিনি শপথ করেন যে, বাগদাদে গিয়ে তিনি সালাতে যুহর


الْعَبَّاسِ تُلَقَّبُ نُوتَةَ. [خِلَافَةُ هَارُونَ الرَّشِيدِ ابْنِ الْمَهْدِيِّ] بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ لَيْلَةَ مَاتَ أَخُوهُ الْهَادِي، وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْجُمْعَةِ لِلنِّصْفِ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ، وَكَانَ عُمْرُ الرَّشِيدِ يَوْمَئِذٍ ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ سَنَةً، فَبَعَثَ إِلَى يَحْيَى بْنِ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ، فَأَخْرَجَهُ مِنَ السِّجْنِ، وَقَدْ كَانَ الْهَادِي عَزَمَ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ عَلَى قَتْلِهِ وَقَتْلِ هَارُونَ الرَّشِيدِ، فَأَخْرَجَهُ الرَّشِيدُ، وَكَانَ ابْنَهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ، وَوَلَّاهُ حِينَئِذٍ الْوِزَارَةَ، وَوَلَّى يُوسُفَ بْنَ الْقَاسِمِ بْنِ صُبَيْحٍ كِتَابَةَ الْإِنْشَاءِ، وَكَانَ هُوَ الَّذِي قَامَ خَطِيبًا بَيْنَ يَدَيْهِ حِينَ أُخِذَتِ الْبَيْعَةُ لَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ بِعِيسَابَاذَ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ لِمَا مَاتَ الْهَادِي فِي اللَّيْلِ جَاءَ يَحْيَى بْنُ خَالِدِ بْنِ بَرْمَكَ إِلَى الرَّشِيدِ فَوَجَدَهُ نَائِمًا، فَقَالَ لَهُ: قُمْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ. فَقَالَ: كَمْ تُرَوِّعُنِي، وَلَوْ سَمِعَ بِهَذَا الْكَلَامِ هَذَا الرَّجُلُ لَكَانَ ذَلِكَ أَكْبَرَ ذُنُوبِي عِنْدَهُ. فَقَالَ لَهُ يَحْيَى: قَدْ مَاتَ الرَّجُلُ. فَجَلَسَ هَارُونُ فَقَالَ: أَشِرْ عَلَيَّ. فَجَعَلَ يَذْكُرُ لَهُ وِلَايَاتِ الْأَقَالِيمِ لِرِجَالٍ يُسَمِّيهِمْ، فَيُوَلِّيهِمُ الرَّشِيدُ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ آخَرُ فَقَالَ: أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ; فَقَدْ وُلِدَ لَكَ السَّاعَةَ غُلَامٌ. فَقَالَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ، وَهُوَ الْمَأْمُونُ ثُمَّ أَصْبَحَ فَصَلَّى عَلَى أَخِيهِ الْهَادِي، وَدَفَنَهُ بِعِيسَابَاذَ، وَحَلَفَ لَا يُصَلِّي الظُّهْرَ إِلَّا بِبَغْدَادَ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الْجِنَازَةِ أَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِ أَبِي عِصْمَةَ الْقَائِدِ; لِأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৮১৭৮


আদায় করবেন ৷ যখন তিনি সালাতে জানাযা থেকে অবসর গ্রহণ করেন তখন তিনি নেতা আবু
আসামাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন ৷ কেননা তিনি জাফর ইবন হাদীর পক্ষের লোক ছিলেন ৷
কোন এস সময় বাগদাদের সেতুর কাছে রশীদ মানুষের ভিড়ে পতিত হন ৷ তখন আবু আসামা
র্তাকে বলেন, তুমি ধৈর্য ধর এবং দীড়াও যতক্ষণ না যুবরাজ অতিক্রম করে যায় ৷ রশীদ তখন
বলেছিলেন, আমীরের হুকুম শিরোধার্য ৷ জাফর ও আবু আসামা সেতু পার হয়ে গেলেন কিন্তু
রশীদ ভগ্ন হৃদয়ে চুপচাপ দীড়িয়ে রইলেন ৷ রশীদ যখন খলীফা হন তখন তিনি আবু আসামাকে

হত্যা করার হুকুম দেন ৷ এরপর তিনি বাণদাদের দিকে ভ্রমণ শুরু করেন ৷ যখনতিনি বাগদাদের
সেতু পর্যন্ত পৌছেন তখন তিনি ভুবুরীদেরকে ডাকেন এবং বলেন, আমার থেকে একটি আত্টি
এখানে পড়ে গিয়েছে আমার পিতা আল-মাহদী এক লাখ দীনার দিয়ে এটা আমার জন্য খরিদ
করেছিলেন ৷ যখন কিছু দিন অতিবাহিত হল ঐ জিনিসটির খোজে আল-হাদী আমার কাছে লোক
প্রেরণ করেন ৷ তখন আমি এটা দুতের কাছে নিক্ষেপ করলাম এবং এটা এখানে পড়ে যায় ৷
ডুবুরীরা সেখানে ভুব দিতে থাকে এবং বহু চেষ্টায় পর তারা এটা পেয়ে যায় ৷ তাতে রশীদ অত্যন্ত
আনন্দিত হন ৷ রশীদ যখন ইয়াহ্ইয়া ইবন খালিদকে মগ্রী নিয়োগ করেন তখন তিনি তাকে
বলেন, আমি তোমার কাছে প্রজাদের ব্যাপারটি ছেড়ে দিলাম, এটা আমার ঘাড় থেকে খুলে নিলাম
এবং তোমার ঘাড়ে তা সােপর্দ করলাম ৷ তুমি যাকে ইচ্ছা আমীর নিয়োগ কর এবং যাকে ইচ্ছা
বরখাস্ত কর ৷ এ সম্বন্ধে কবি ইব্রাহীম ইবন আল-মাওসিলী বলেন :


অর্থাৎ “তুমি কি দেখ না ৷ সুর্যটি ছিল রুগ্ন ৷ আর যখন হারুন শাসনভার গ্রহণ করেন তখনই
তার জ্যোতি উজ্জ্বল রুপ ধারণ করল ৷ আর এটা হচ্ছে আল্লাহ্র বিশ্বন্ত দানশীল বন্দো হারুনের
বরকতে ৷ কেননা হারুনই এ সুর্যের অভিভাবক আর ইয়াহ্ইয়া হলেন তার ওযীর ৷

এরপর হারুন ইয়াহ্ইয়াহ ইবন খালিদকে হুকুম দিলেন কোন কাজের সিদ্ধান্ত তার জননী
আল-খায়যুরানের পরামর্শ ব্যতীত যেন না নেয়া হয় ৷ তিনি প্রতিটি কাজে পরামর্শ প্রদান করতেন ৷
তিনি সিদ্ধান্ত দিতেন, মীমাংসা করতেন, পরিচালনা করতেন এবং হুকৃম জারি করতেন ৷

এ বছর হারুনুর রশীদ আত্মীয়-স্বজনের জন্য নির্ধারিত অংশ বনু হাশিমের সদস্যদের মধ্যে
বরাবর বন্টন করার নীতি প্রবর্তন করেন ৷ এ বছর হারুন যিনদীকদের অনেককে খুজে বের করেন
এবং তাদের মধ্য থেকে একটি বিরাট দলকে হত্যা করেন ৷ এ বছর আহলে বায়তের কিছু সদস্য
তীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন ৷ আর এ বছরই মুহাম্মদ ইবন রশীদ ইবন যুবায়দা জন্মগ্রহণ করেন ৷
তিনি আল-আমীন হিসেবে পরিচিত ছিলেন ৷ তার জন্মের তারিখ হল এ বছরের শাওয়াল মসের
১৬ তারিখ জুমআর দিন ৷ এ বছরই তুর্কী খাদিম ফারাজের হাতে তারসুস শহরের নির্মাণ কাজ
সমাপ্ত হয় ৷ আর লোকজন তা ব্যবহার করতে শুরু করে ৷ এ বছরই আ মীরুল মু’মিনীন
আর-রশীদ লোকজনকে নিয়ে হজ্জ পালন করেন এবং হারামাইনবাসীদেরকে প্রচুর সম্পদ প্রদান
করেন ৷ কথিত আছে যে , এ বছর তিনি যুদ্ধও করেন ৷ এ সম্পর্কে কবি দাউদ ইবন রাযীন বলেনঃ


كَانَ مَعَ جَعْفَرٍ ابْنِ الْهَادِي فَزَاحَمُوا هَارُونَ عَلَى جِسْرٍ، فَقَالَ أَبُو عِصْمَةَ: قِفْ حَتَّى يَجُوزَ وَلِيُّ الْعَهْدِ. فَقَالَ الرَّشِيدُ: السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ لِلْأَمِيرِ. فَجَازَ جَعْفَرٌ وَوَقَفَ الرَّشِيدُ، فَلَمَّا وَلِيَ أَمَرَ بِقَتْلِ أَبِي عِصْمَةَ، ثُمَّ سَارَ إِلَى بَغْدَادَ فَلَمَّا انْتَهَى إِلَى جِسْرِ بَغْدَادَ اسْتَدْعَى بِالْغَوَّاصِينَ فَقَالَ: إِنِّي سَقَطَ مِنِّي هَاهُنَا خَاتَمٌ، كَانَ وَالِدِي الْمَهْدِيُّ قَدِ اشْتَرَاهُ لِي بِمِائَةِ أَلْفٍ، فَلَمَّا كَانَ مِنْ أَيَّامٍ بَعَثَ وَرَائِي الْهَادِي يَطْلُبُهُ، فَأَلْقَيْتُهُ إِلَى الرَّسُولِ، فَسَقَطَ هَاهُنَا. فَغَاصُوا وَرَاءَهُ فَوَجَدُوهُ، فَسُرَّ بِهِ الرَّشِيدُ سُرُورًا كَثِيرًا. وَلَمَّا وَلَّى الرَّشِيدُ يَحْيَى بْنَ خَالِدٍ الْوِزَارَةَ قَالَ لَهُ: قَدْ فَوَّضْتُ إِلَيْكَ أَمْرَ الرَّعِيَّةِ، وَخَلَعْتُ ذَلِكَ مِنْ عُنُقِي، وَجَعَلْتُهُ فِي عُنُقِكَ، فَوَلِّ مَنْ رَأَيْتَ، وَاعْزِلْ مَنْ رَأَيْتَ. فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ إِبْرَاهِيمُ الْمَوْصِلِيُّ: أَلَمْ تَرَ أَنَّ الشَّمْسَ كَانَتْ سَقِيمَةً ... فَلَمَّا وَلِيَ هَارُونُ أَشْرَقَ نُورُهَا بِيُمْنِ أَمِينِ اللَّهِ هَارُونَ ذِي النَّدَى ... فَهَارُونُ وَالِيهَا وَيَحْيَى وَزِيرُهَا وَكَانَتِ الْخَيْزُرَانُ هِيَ الْمُشَاوَرَةَ فِي الْأُمُورِ كُلِّهَا، لَا يَقْطَعُ يَحْيَى بْنُ خَالِدٍ أَمْرًا حَتَّى يُشَاوِرَهَا فِيمَا يُبْرِمُهُ وَيَحِلُّهُ وَيُمْضِيهِ وَيُحْكُمُهُ. وَفِيهَا أَمَرَ الرَّشِيدُ بِسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى أَنْ يُقَسَّمَ فِي بَنِي هَاشِمٍ عَلَى السَّوَاءِ. وَفِيهَا تَتَبَّعَ الرَّشِيدُ خَلْقًا مِنَ الزَّنَادِقَةِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ طَائِفَةً كَثِيرَةً. وَفِيهَا خَرَجَ عَلَيْهِ بَعْضُ أَهْلِ الْبَيْتِ. فِيهَا وُلِدَ الْأَمِينُ مُحَمَّدٌ ابْنُ الرَّشِيدِ مِنْ زُبَيْدَةَ، وَذَلِكَ يَوْمَ الْجُمْعَةِ لِسِتَّ
পৃষ্ঠা - ৮১৭৯
عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَوَّالَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَفِيهَا كَمُلَ بِنَاءُ مَدِينَةِ طَرَسُوسَ عَلَى يَدَيْ فَرَجٍ الْخَادِمِ التُّرْكِيِّ، وَنَزَلَهَا النَّاسُ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ هَارُونُ الرَّشِيدُ، وَأَعْطَى أَهْلَ الْحَرَمَيْنِ أَمْوَالًا كَثِيرَةً جِدًّا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ غَزَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ أَيْضًا. وَفِي ذَلِكَ يَقُولُ دَاوُدُ بْنُ رَزِينٍ الشَّاعِرُ: بِهَارُونَ لَاحَ النُّورُ فِي كُلِّ بَلْدَةٍ ... وَقَامَ بِهِ فِي عَدْلِ سِيرَتِهِ النَّهْجُ إِمَامٌ بِذَاتِ اللَّهِ أَصْبَحَ شُغْلُهُ ... وَأَكْثَرُ مَا يُعْنَى بِهِ الْغَزْوُ وَالْحَجُّ تَضِيقُ عُيُونُ النَّاسِ عَنْ نُورِ وَجْهِهِ ... إِذَا مَا بَدَا لِلنَّاسِ مَنْظَرُهُ الْبَلْجُ وَإِنَّ أَمِينَ اللَّهِ هَارُونَ ذَا النَّدَى ... يُنِيلُ الَّذِي يَرْجُوهُ أَضْعَافَ مَا يَرْجُو وَغَزَا الصَّائِفَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَكَّائِيُّ. ذِكْرُ مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ الْخَلِيلُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَمْرِو بْنِ تَمِيمٍ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْفَرَاهِيدِيُّ - وَيُقَالُ الْفُرْهُودِيُّ - الْأَزْدِيُّ الْيَحْمَدِيُّ، شَيْخُ النُّحَاةِ، وَعَنْهُ أَخَذَ سِيبَوَيْهِ وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَكَابِرِهِمْ، وَهُوَ الَّذِي اخْتَرَعَ عِلْمَ الْعَرُوضِ، قَسَّمَهُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৮১৮০


৷ শ্০ :× ৷ ×; — ! ৷ গু ষ্, শ্
’ড্রাট্রুা৷


’ ৷

৷ ’ : #



অর্থাৎ “হ রুনের মাধ্যমেই প্রতিটি শহরে আলো ছড়িয়ে পড়েছে ৷ আ তার দ্বারাই ইনসাফের
নিয়মনীতি প্রবর্তিত হয়েছে ৷ তিনি একজন ইমাম য়ার কর্মকাণ্ড আল্লাহর আদেশ নিষেধের সাথে
সম্পৃক্ত ৷ তার অধিকাংশ কাজই হল যুদ্ধ ও হহুজ্জর সাথে সম্পৃক্ত ৷৩ তার ঢেহারার জোাতিতে
অন্যদের চোখ ঝলসে গিয়েছে যখন মানুষের সামনে তার জ্যোতিময় দৃশ্য উদ্ভাসিত হয় ৷
নিঃসন্দেহে আল্লাহর ৰিশ্বস্ত হারুন হচ্ছেন দানশীল যে তার থেকে দান প্রত্যাশা করে তার
কয়েকগুণ বেশী সে পেয়ে থাকে ৷” এ বছর সুরায়মান ইবন আবদুল্লাহ আল-বাককাঈ গ্রীষ্মকালীন
যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷

এ বছর যে সব গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইনতিকাল করেন তার একটি খতিয়ান৪ আবুআবদুর
রহমান আল খলীল ইবন আহমদ ইবন আমর ইবন তামীম আল ফারহীদী ৷ আবার ৫কউ কেউ
বলেন, আল-ফ ৷রহুদী আল ইযদী ৷ তিনি ছিলেন নাহুৰিদদের উস্তাণ্দ্ ৷ তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ
করেন সীবাওয়ায়হ, আন-নদর ইবন শুমায়ল ও একা ৷ধিক বুযুর্গ ব্যক্তি ৷ তিনিই ইলমুল উরুদ
আবিষ্কার করেন ৷ এ বিদ্যাটিকে তিনি পাচটি ভাগে বিভক্ত করেন এবং পরে ১৫টি শাখা প্রশাখা
যুক্ত করেন ৷ আল-আখফাশ তীর মধ্যে আরো একটি শাখা বৃদ্ধি করেন যার নাম দেয়৷ হয়
আল-খাৰায ৷ কোন এক করি বলেন :

অর্থাৎ “আল খলীল কবিতার জগতে বা সৃষ্টি করেছেন তার পুর্বে এ সৃষ্ট জগতের কবিতা
বিশুদ্ধই ছিল ৷ ”

সংগীত বিদ্যার সাথেও তার কিছুটা পরিচিতি ছিল ৷ এ সম্বন্ধে তার রচনাও পাওয়া যায় ৷
অভিধান সম্পর্কে তার একটি সংকলন পাওয়া যায় ৷ যার নাম হল ণ্ ;ইা৷ ৷ ষ্১ ;,পুা’ ৷ ষ্ চুধু

তিনি তা শুরু করেছিলেন ৷ পরে আন-নদর ইবন শুমায়ল ও আল-খলীলের অন্য সাথীরা তা
পরিপুর্ণ করেন যেমন ঘুয়াররাজুস সাদুসী এবং সময় ইবন আলী আল জাহদামী ৷ তার তারা
আল-খলীল যা লিখেছিলেন তার সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্য বিধান করতে পারেননি ৷ ইবন
দারসভৃইয়৷ একটি কিতাব লিখেন এবং এটাতে যাবতীয় ত্রুটিগুলাে উল্লেখ করেন ও তার সমাধান
লিখে দেন ৷ আল-খলীল ছিলেন একজন সৎ, বুদ্ধিমান ও রাশভারী লোক ৷ তিনি একটি পরিপুর্ণ
জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিলেন ৷ তিনি দুনিয়ার সম্পদ খুবই কম ব্যবহার করতেন ৷ তিনি কঠিন ও সংকীর্ণ
জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷ তিনি বলতেন, আমার সাধ্যের বাইরে আমার চিন্তাধারা
অতিক্রম করে না ৷ তিনি ছিলেন চতুর ও বিনম্র স্বভাবের অধিকারী ৷ কথিত আছে যে, এক ব্যক্তি
ইলমুল উরুদ এ আত্মনিয়োগ করেন কিন্তু এ সম্বন্ধে তিনি তত দক্ষ ছিলেন না ৷ তিনি বলেন,

অষ্কৃলবিদশ্বয়ত্ত্ব ওয়ড়ান নিহত্ত্বয়ক্ষু (১০ম খণ্ডষ্টুক্রেম্ভীগ্রঙুমাম্রা-০ওেপ্লে

خَمْسِ دَوَائِرَ، وَفَرَّعَهُ إِلَى خَمْسَةَ عَشَرَ بَحْرًا، وَزَادَ الْأَخْفَشُ فِيهِ بَحْرًا آخَرَ، وَهُوَ الْخَبَبُ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ: قَدْ كَانَ شِعْرُ الْوَرَى صَحِيحًا ... مِنْ قَبْلُ أَنْ يُخْلَقَ الْخَلِيلُ وَقَدْ كَانَ لَهُ مَعْرِفَةٌ بِعِلْمِ النَّغَمِ، وَلَهُ فِيهِ تَصْنِيفٌ أَيْضًا، وَلَهُ كِتَابُ " الْعَيْنِ " فِي اللُّغَةِ، ابْتَدَأَهُ وَأَكْمَلَهُ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ وَأَضْرَابُهُ مِنْ أَصْحَابِهِ، كَمُؤَرِّجٍ السَّدُوسِيِّ، وَنَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ. فَلَمْ يُنَاسِبُوا مَا وَضَعَهُ الْخَلِيلُ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَقَدْ وَضَعَ ابْنُ دَرَسْتَوَيْهِ كِتَابًا بَيَّنَ فِيهِ مَا وَقَعَ لَهُمْ مِنَ الْخَلَلِ، فَأَفَادَ. وَقَدْ كَانَ الْخَلِيلُ رَجُلًا صَالِحًا عَاقِلًا كَامِلًا حَلِيمًا وَقُورًا، وَكَانَ مُتَقَلِّلًا مِنَ الدُّنْيَا، صَبُورًا عَلَى الْعَيْشِ الْخَشِنِ الضَّيِّقِ، وَكَانَ يَقُولُ: لَا يُجَاوِزُ هَمِّي مَا وَرَاءَ بَابِي. وَكَانَ ظَرِيفًا حَسَنَ الْخُلُقِ. وَذُكِرَ أَنَّهُ اشْتَغَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فِي الْعُرُوضِ، قَالَ: وَكَانَ بَعِيدَ الْفَهْمِ، قَالَ: فَقُلْتُ لَهُ يَوْمًا: كَيْفَ تُقَطِّعُ هَذَا الْبَيْتَ؟ إِذَا لَمْ تَسْتَطِعْ شَيْئًا فَدَعْهُ ... وَجَاوِزْهُ إِلَى مَا تَسْتَطِيعُ فَشَرَعَ مَعِي فِي تَقْطِيعِهِ عَلَى قَدْرِ مَعْرِفَتِهِ، ثُمَّ إِنَّهُ نَهَضَ مِنْ عِنْدِي فَلَمْ يَعُدْ إِلَيَّ، وَكَأَنَّهُ فَهِمَ مَا أَشَرْتُ إِلَيْهِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يُسَمَّ أَحَدٌ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَحْمَدَ سِوَى أَبِيهِ. رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَيْثَمَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৮১৮১
وُلِدَ الْخَلِيلُ سَنَةَ مِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَمَاتَ بِالْبَصْرَةِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَمِائَةٍ عَلَى الْمَشْهُورِ، وَقِيلَ: سَنَةَ سِتِّينَ، وَزَعَمَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي كِتَابِهِ " شُذُورِ الْعُقُودِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ كَامِلٍ الْمُرَادِيُّ مَوْلَاهُمُ، الْمِصْرِيُّ الْمُؤَذِّنُ، رَاوِيَةُ الشَّافِعِيِّ، وَآخِرُ مَنْ رَوَى عَنْهُ. وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا تَفَرَّسَ فِيهِ الشَّافِعِيُّ، وَفِي الْبُوَيْطِيِّ وَالْمُزَنِيِّ وَابْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، فَوَافَقَ ذَلِكَ مَا وَقَعَ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَمِنْ شِعْرِ الرَّبِيعِ هَذَا: صَبْرًا جَمِيلًا مَا أَسْرَعَ الْفَرَجَا ... مَنْ صَدَقَ اللَّهَ فِي الْأُمُورِ نَجَا مَنْ خَشِيَ اللَّهَ لَمْ يَنَلْهُ أَذَى ... وَمَنْ رَجَا اللَّهَ كَانَ حَيْثُ رَجَا فَأَمَّا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ الْجِيزِيُّ، فَإِنَّهُ رَوَى عَنِ الشَّافِعِيِّ أَيْضًا. وَقَدْ مَاتَ فِي سَنَةِ سِتٍّ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ، رَحِمَهُمَا اللَّهُ.