আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثنتين وستين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮১০৯
[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا خَرَجَ عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ هَاشِمٍ الْيَشْكُرِيُّ بِأَرْضِ قِنِّسْرِينَ، وَاتَّبَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَقَوِيَتْ شَوْكَتُهُ، فَقَاتَلَهُ خَلْقٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، وَجَهَّزَ إِلَيْهِ الْمَهْدِيُّ جُيُوشًا، وَأَنْفَقَ فِيهِمْ أَمْوَالًا جَزِيلَةً، وَهَزَمَ الْخَارِجِيُّ الْجُيُوشَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ إِنَّهُ قُتِلَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَفِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ الْحَسَنُ بْنُ قَحْطَبَةَ فِي ثَمَانِينَ أَلْفًا مِنَ الْمُرْتَزِقَةِ سِوَى الْمُطَّوِّعَةِ، فَقَهَرَ الرُّومَ، وَحَرَقَ بُلْدَانًا كَثِيرَةً وَخَرَّبَهَا، وَأَسَرَ خَلْقًا مِنَ الذَّرَارِي. وَكَذَلِكَ غَزَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي أُسَيْدٍ السُّلَمِيُّ بِلَادَ الرُّومِ مِنْ بَابِ قَالِيقَلَا، فَغَنَمَ وَسَلِمَ وَسَبَى خَلْقًا كَثِيرًا. وَفِيهَا خَرَجَتْ طَائِفَةٌ بِجُرْجَانَ، فَلَبِسُوا الْحُمْرَةَ; وَلِهَذَا يُقَالُ لَهُمُ: الْمُحَمِّرَةُ. مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: عَبْدُ الْقَهَّارِ. فَغَزَاهُ عُمَرُ بْنُ الْعَلَاءِ مِنْ طَبَرِسْتَانَ، فَقَهَرَ عَبْدَ الْقَهَّارِ، فَقَتَلَهُ وَأَصْحَابَهُ. وَفِيهَا أَجْرَى الْمَهْدِيُّ الْأَرْزَاقَ فِي سَائِرِ الْأَقَالِيمِ وَالْآفَاقِ عَلَى الْمُجَذَّمِينَ
পৃষ্ঠা - ৮১১০


ছেড়ে দিলেন ৷ কাষী তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিলেন ৷ এ বছরই আবু দালামা ইনতিকাল

করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, তিনি সত্তর বছর বয়সে খলীফা হারুনুর রশীদের থিলাফত পর্যন্ত বেচে
ছিলেন ৷ আল্লাহ সম্যক অবগত ৷

১৬২ হিজরীর আগমন

এ বছরই কুনসারীন ভুখণ্ডে আবদুস সালাম ইবন হাশিম আল-ইয়াশকুরী বিদ্রোহ ঘোষণা
করে ৷ জনতার একটি বিরাট দল তার অনুসারী হয়ে গেল ৷ তার শক্তি বৃদ্ধি পেল ৷ আমীরদের
একটি বিরাট দল তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করল কিন্তু তারা তাকে দমন করতে পারল না ৷ তার উদ্দেশ্যে
মাহদী একটি বিরাট সৈন্যদল গঠন করেন ৷ আর সৈন্যদের জন্য প্রচুর সম্পদ ব্যয়, করেন ৷ কিন্তু
সে তাদের কয়েকবার পরাজিত করে ৷ এরপর ব্যাপারটি এরুপ দড়োল যে, সে পরে নিহত হল ৷

এ বছরই আল-হাসান ইবন কাহতাবা আশি হাজার সৈন্য নিয়ে গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধে অংশ্যাহণ
করেন ৷ তিনি রোম শহ্বকে ধ্বংস করে দেন এবং ছোট ছোট অনেক শহরকে জ্বালিয়ে দেন ৷
বিভিন্ন জায়গাকে ধ্বংসাবশেষে পরিণত করেন এবং প্রচুর সংখ্যক অরাধ্য লোককে বন্দী করেন ৷
অনুরুপভাবে ইয়াযীদ ইবন আবু উসায়দ আস-সালামী রোমের বিভিন্ন শহরে বারে কালীকালা দিয়ে
যুদ্ধ করেন ৷ তিনি প্রচুর গনীমত অর্জন করেন, নিরাপদে ফেরত আসেন এবং বহু সংখ্যক
লোককে বন্দী করেন ৷

এ বছর জুরজানে একটি দল বিদ্রোহ করে , তারা লাল বস্ত্র পরিধান করে , তাদের নেতার নাম
ছিল আবদুল কাহহার ৷ তার বিরুদ্ধে অড়ামর ইবনুল আলা তাবারিস্তান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা
করেন ৷ এরপর তিনি আবদুল কাহহারকে পরাভুত করেন এবং তাকেও তার সাথীদেরকে হত্যা
করেন ৷ এ বছরই আল-মাহদী দেশের সমস্ত অঞ্চলে ও বিভিন্ন এলাকায় হাতকাটা লোক ও
কয়েদীদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করার নীতি প্রবর্তন করেন ৷ এটা ছিল একটি বিরাট সওয়াবের
কাজ ও বিরাট মান-সন্মানের ব্যাপার ৷ এ বছরই ইব্রাহীম ইবন জাফর ইবন আল-মানসুর
লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ এ বছর যে সব গণ্যমান্য ব্যক্তি ইনতিকাল করেন তারা
হলেন ;

ইব্রাহীম ইবন আদহাম

তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রসিদ্ধ বন্দো ও শীর্ষ পর্যায়ের পরহেযগারদের অন্যতম ৷ এ ব্যাপারে
তার ছিল অত্যন্ত দৃঢ় সংকল্প ৷ আল্লাহ তার উপর রহম করুন ৷

তার পুর্ণ নাম ছিল : ইবরাহীম ইবন আদহাম ইবন মানসুর ইবন ইয়াযীদ ইবন আমির ইবন
ইসহাক আত তামীমী ৷ তাকে আল-আজালীও বলা হত ৷ মুলত তিনি ছিলেন বালখের অধিবাসী ৷
এরপর তিনি সিরিয়ায় বসবাস শুরু করেন এবং পরে দামেশকে প্রবেশ করেন ৷ তিনি তার পিতা,
আমাশ , আবু হুরায়রা (রা) এর সাথী মুহাম্মাদ ইবন যিয়াদ, আবু ইসহাক আস-সাবীঈ ও অন্যান্য
থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তার থেকেও বহু লোক হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তাদের মধ্যে প্রসিদ্ধ
ছিলেন : বাকিয়া , আস-সাওবী , আবু ইসহাক আল-ফাযারী , মুহাম্মাদ ইবন হুমায়দ এবং আওযাঈ ৷

ইবন আসাকির আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান আল-জাযারীর মাধ্যমে ইবরাহীম ইবন
আদহাম থেকে তিনি মুহাম্মদ ইবন যিয়াদ সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ আবু


وَالْمُحْبَسِينَ، وَهَذِهِ مَثُوبَةٌ عَظِيمَةٌ وَمَكْرُمُةٌ جَسِيمَةٌ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ الْمَنْصُورِ. [وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ] إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ، أَحَدُ مَشَاهِيرِ الْعُبَّادِ، وَمِنْ أَكَابِرِ مَنْ لَهُ هِمَّةٌ عَالِيَةٌ مِنَ الْعُبَّادِ، وَدَاوُدُ الطَّائِيُّ، أَحَدُ أَئِمَّةِ الصُّوفِيَّةِ، وَزُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَيَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ. فَأَمَّا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ بْنِ مَنْصُورِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، أَبُو إِسْحَاقَ التَّمِيمِيُّ، وَيُقَالُ: الْعِجْلِيُّ. فَهُوَ أَحَدُ الزُّهَّادِ، أَصْلُهُ مِنْ بَلْخَ. وَسَكَنَ الشَّامَ، وَدَخَلَ دِمَشْقَ، وَرَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ، وَالْأَعْمَشِ، وَمُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ صَاحِبِ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، وَخَلْقٍ. وَحَدَّثَ عَنْهُ خَلْقٌ مِنْهُمْ; بَقِيَّةُ، وَالثَّوْرِيُّ، وَأَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حِمْيَرٍ، وَحَكَى عَنْهُ الْأَوْزَاعِيُّ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيِّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৮১১১


হুরায়রা (রা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে প্রবেশ করলাম ৷ দেখলাম, তিনি বসে
বসে শোলাত আদায় করছেন ৷ তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আপনি বসে বসে সালাত
আদায় করছেন, আপনার কী হয়েছে ? তিনি বললেন, ক্ষুধা, হে আবুহুরায়র৷ ! আবু হুরায়রা (বা)
বলেন, তখন আমি র্কাদতে লাগলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আবু হ্বায়রা ! তুমি র্কাদো
না ৷ কেননা, কিয়ামতের দিনের ভয়ারহতা ঐরুপ ক্ষুধার্তকে স্পর্শ করবে না যিনি তা দুনিয়ার
জগতে পুণ্য ও প্ৰতিদানের আশায় ভোগ করেছিলেন ৷ ইবন আসাকির বাকিয়া এর মাধ্যমে
ইব্রাহীম ইবন আদহাম থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি আবু ইসহাক আল-হামদানী থেকে রংনাি
করেন ৷ তিনি আম্মারড়া ইবন গাযিয়া থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, র ৷ সুপুপ্লা হু (সা ) বলেছেন : ধিএাপ্তি ও পরীক্ষা আসবে যা রান্দাদেরকে উৎসন্ন
করে ফেলরে কিন্তু তাদের ম ধ্য থেকে জ্ঞানী ব্যক্তি তার জ্ঞানের দ্বারায় তা থেকে রক্ষা পারে ৷

ইমাম নসোঈ (র) বলেন, ইব্রাহীম ইবন আদহাম ছিলেন নির্ভরযোগ্য, আমানতদার ও
পরহেযগারলোঃ ৩ানা৩ম ৷ আবু ণুআয়ম ও অখ্যাঃ৷ উল্লেখ করেছেন যে, তিনি থুরাসানের কোন
এক বাদশাহর বংশধর ছিলেন ৷ আর তিনি শিকার করা পসন্দ করতেন ৷ তিনি বলেন, একদিন
আমি ঘর থেকে বের হলাম এবং একটি শিয়ালের পেছনে ধাওয়া করলাম ৷ তখন কারবৃস সুরুজী
নামক জায়গা থেকে একজন ঘোষণাকায়ী ঘোষণা করেন, “তোমাকে এজন্য সৃষ্টি করা হয়নি ৷
কিৎবা তোমাকে একাজ করার নির্দেশও দেয়া হয়নি ৷ ” তিনি বলেন, তখন আমি চেতনা শক্তি
ফিরে পেলাম এবং বলতে লাপলাম, আমি শেষ সীমায় পৌছেছি, আমি শেষ সীমায় পৌছেছি ৷
আমার কাছে সারা বিশ্বের প্রতিপালকের তরফ থেকে ডীতি প্রদর্শনকাবী আগমন করেছেন ৷
এরপর আমি আমার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে গেলাম ৷ আমার ঘোড়া থেকে আমি অবতরণ
করলাম এবং আমার পিতার একজন রাখলের কাছে আগমন করলাম ৷ তার থেকে একটি লম্বা
জানা ও চাদর নিয়ে নিলাম এবং তা পরিধান করলাম ৷ এরপর আমি ইরাকে গমন করলাম ৷
সেখানে কিছুদিন কাজ করলাম কিন্তু রীতিমত হালাল কাজ করার সুযোগ হল না ৷ কোন এক
উস্তাদকে এরুপ রীতিমত হালাল কাজ কোথায় পাওয়া যাবে জিজ্ঞেস করায় তিনি আমাকে সিরিয়ার
শহরসমুহের কথা বললেন ৷ আমি তারসুস নামক শহরে আগমন করলাম এবং সেখানে কিছুদিন
কাজ করলাম ৷ বাগানের দেখা-ণ্ডনা করতাম এবং ফসল কর্তনকায়ীদের সাথে ফসল কর্তন
করতাম ৷ তিনি বলতেন , সিরিয়ার শহরগুলােতে আমি সুখে জীবন যাপন করছিলাম ৷ আমার
দীনকে নিয়ে আমি এক সুউচ্চ পর্বত থেকে অন্য পর্বতে গমন করতাম, এ পাহাড় থেকে অন্য
পাহাড়ে গমন করতাম ৷ যে ব্যক্তি আমাকে দেখঃ৩ সে বলত, আমি দ্বিধাদ্বভ্রুংদৃ আক্রান্ত ৷ এরপর
তিনি জঙ্গলে প্রবেশ করেন, মক্কায় গমন করেন এবং আস-সাওরী ও আল-ফুযন্বয়ল ইবন ইয়ায় এর
সংস্পর্শে থাকেন ৷ এরপর সিরিয়ার গমন করেন ও সেখানে ইনতিকাল করেন৷ তিনি ফসল
কর্তনকারীদের ন্যায় থেটে থেতেন, কর্ম সম্পাদনকারীদের ন্যায় কাজ করতেন এবং বাপানও
ইত্যাদির দেখাশুনা করতেন ৷







তার থেকে বংনাি করা হয়েছে যে, একদিন তিনি জঙ্গলে এক ব্যক্তির দেখা পান ৷ তিনি
তাকে ইসমুল্লাহিল আয়ম শিক্ষা দেন ৷ তিনি তা দ্বারা দুআ করতেন ৷ এমনকি তিনি আলষ্খিযির
(আ )-এর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন ৷ তিনি তাকে বলেছিলেন, আমার ভাই দাউদ (আ) তোমাকে


دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يُصَلِّي جَالِسًا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ تُصَلِّي جَالِسًا، فَمَا أَصَابَكَ؟ قَالَ: " الْجُوعُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ ". قَالَ: فَبَكَيْتُ، فَقَالَ: " لَا تَبْكِ; فَإِنَّ شِدَّةَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا تُصِيبُ الْجَائِعَ إِذَا احْتَسَبَ فِي دَارِ الدُّنْيَا» . وَمِنْ طَرِيقِ بَقِيَّةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْفِتْنَةَ تَجِيءُ فَتَنْسِفُ الْعِبَادَ نَسْفًا، وَيَنْجُو الْعَالِمُ مِنْهَا بِعِلْمِهِ» . قَالَ النَّسَائِيُّ: هُوَ ثِقَةٌ مَأْمُونٌ، أَحَدُ الزُّهَّادِ. وَذَكَرَ الْأُسْتَاذُ أَبُو الْقَاسِمِ الْقُشَيْرِيُّ فِي " رِسَالَتِهِ " أَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ أَدْهَمَ كَانَ مِنْ أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَتَصَيَّدُ إِذْ أَتْبَعَ ثَعْلَبًا أَوْ أَرْنَبًا، فَهَتَفَ بِهِ هَاتِفٌ مِنْ قَرَبُوسِ سَرْجِهِ: أَلِهَذَا خُلِقْتَ أَمْ بِهَذَا أُمِرْتَ؟ فَنَزَلَ عَنْ فَرَسِهِ وَجَاءَ إِلَى رَاعِي غَنَمٍ لِأَبِيهِ، فَأَخَذَ جُبَّةً مِنْ صُوفٍ فَلَبِسَهَا، وَأَعْطَاهُ فَرَسَهُ وَلِبَاسَهُ وَمَا كَانَ مَعَهُ، وَذَهَبَ فِي الْبَادِيَةِ، فَدَخَلَ مَكَّةَ، وَصَحِبَ الثَّوْرِيَّ، وَالْفُضَيْلَ بْنَ
পৃষ্ঠা - ৮১১২


ইসমুল্লাহিল আযম শিক্ষা দিয়েছেন ৷ উপরোক্ত বর্ণনা টি আল বৃা৷য়রী এবং ইবন আসকা তার
থেকে দুর্বল সনদে বর্ণনা ৷করেছেন ৷ এ বর্ণনায় আরো রয়েছে যে তিনি তাকে বলেন, নিশ্চয়ই
ইলিয়াস (আ) তোমাকে ইসমুল্লাহিল আযম শিক্ষা দিয়েছেন ৷ ইবরাহীম (র) বলেন উত্তম ৷৷ওয়া

দাওয়া কর ৷ রাত জাপরণ না করলে কিংবা দিনে সিয়াম পালন না করলে (ভাষার উপর কো ন কিছু
বর্তাবে না ৷

আবু নুআয়ম তার থেকে উল্লেখ করেন যে, তিনি৩ তার অধিকাংশ দু আয় বলতেন “হে
আল্লাহ, তুমি আমাকে তামার মুসীবতের লাঞ্চুনা থেকে তোমার আনুপতে ৷র সম্মানের দিকে
স্থানান্তরিত ও ধাবিত কর ৷ ” একদিন তাকে বলা হল যে, গােশতের দাম চড়ে গেছে ৷ তখন তিনি
বললেন, এটা সস্তা কর ৷ অর্থাৎ এখন খরিদ করো না; এটা কিছুদিনের মধ্যে সভা হয়ে যাবে ৷
কোন এক ইতিহাসরেত্তা বলেন, একদিন এক ঘোষণাকারী তার উপর দিক থেকে এ বলে ঘোষণা
করেন হে ইবরাহীম ! এ অনর্থক কা ৷জ কেন করছ ? আল্লাহ তা আলা ইরশাদ করেছেনং
’ ;;;;’:’; এে ৷ ,ন্হুট্রুাষ্টুাব্লুঠুহ্র ন্ৰুছুাব্লুদ্বুছুৰু ৷ণ্ ৷ ণ্পুন্স্ ষ্ ৷ “অর্থাৎ তোমরা কি মনে
করেছিলে যে, আর্মি তে ৷মাদেরকে অনকৈ সৃষ্টি করেছি এবংৰু তামরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত
হবে না ? (সুরা আল মুমিনুন ং ১ ১৫) ৷ ” তুমি আল্লাহ্কে ভয় কর ৷৫ তামার উচিত কিয়ামা ৷তের
দিনের জন্য পাথেয় স ৎগ্রহ করা ৷ তারপর তিনিত তার ৷সওয়ারী থেকে নেমে পড়লেন, দুনিয়া বর্জন
করলেন এবং আখিরাতে তর আমল শুরু করলেন ৷ ইবন আসাকির প্রথম দিক দিয়ে সন্দেহযুক্ত
একটি সনদে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি একদিন বলখের একটি সুদৃশ্য জায়গায় অবস্থান
করছিলাম ৷ এমন সময় সুদংনি চেহারা ও দাড়ির অধিকারী এক ব্যক্তি আমার ঘরের ছায়ায় প্রবেশ
করেন ৷ তিনি আমার সমগ্র হৃদয়ে স্থান করে নিলেন ৷ তখন আমি আমার গোলামকে আদেশ
করলাম, যে তাকে ডাকল ৷ তখন তিনি ঘরে প্রবেশ করেন ৷ আমি তীর সামনে খাদ্য পেশ
করলাম, কিন্তু তিনি থেতে অস্বীকৃতি জানান ৷ আমি বললাম , আপনি কোথা থেকে এসেছেন স্
তিনি বললেন, নদীর অপার থেকে ৷ আমি বললাম, আপনি কােথায় যাবেন ? তিনি বললেন, হচ্ছে
যার ৷ আমি বললাম, এত কম সময়ের মধ্যে স্ সেদিন ছিল যুলহাজ্জা মাসের প্রথম দিন কিংবা
দ্বিতীয় দিন ৷ তিনি বললেন, আল্লাহ যা চান তা করতে পারেন ৷ তখন আমি বললাম, আমি
আপনার সৎগী হতে তচাই ৷ তিনি বললেন, যদি ভুমি এটা পসন্দ কর তাহলে তে ৷মার নির্দিষ্ট সময়টি
হল রাত ৷ যখন রাত হলত তিনি আমার কাছে আসলেন এবং বললে ন, আল্লাহর নামে উঠে পড় ৷
আমি আমার ভ্রমণের বস্ত্র সৎগে নিলাম এবং ভ্রমণ শুরু করে দিলাম ৷ আমাদের নীচে ভুমি যেন

সংকুচিত হয়ে আসছে ৷ আর আমরা বিভিন্ন শহর অতিভ্রন্ ম করে চলে যাচ্ছি এবং আমরা
বলছিলাম , এটা অমুক শহর, এটা অমুক শহর ৷ যখন ভোর হয়ে গেল তখন তিনি আমার থেকে
পৃথক হয়ে গেলেন এবং বলতে লাগলেন, তোমার নির্দিষ্ট সময় হল রাত ৷ যখন রাত হল তখন
তিনি আমার কাছে আসলেন এবং আমরা গতকালের ন্যায় ভ্রমণ করলাম ৷ এরপর আমরা মদীনা
শরীফে পৌছে গেলাম ৷ এরপর মক্কা শরীফের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ৷ সেখানে আমরা রাতের
বেলায় পৌৰুশ্ হলাম ৷ আমরা লোকজনের সাথে হজ্জ আদায় করলাম ৷ তারপর আমরা সিৰিয য ফিরে
আসলাম এবং বায়তুল মুকাদ্দাস যিয়ারত করলাম ৷ তিনি আমাকে বললেন আ ৷মি সিরিয়ার একটি
স্থানে যাওয়ার মনস্থ করেছি ৷ এরপর আমি আমার শহর বলখে অনা৷ন্য দুর্বলের ন্যায় ফেরত
আসলাম ৷ কিন্তু আমি তার নাম জিজ্ঞাসা করিনি ৷ এটা ছিল আমার জীবনের প্রথম ঘটনা ৷

অন্য একটি সন্দেহজনক সনদে বর্ণিত রয়েছে যে, আবু হ৷ ৷তিম আররাযী আবু নুআয়ম (র)


عِيَاضٍ، وَدَخَلَ الشَّامَ وَمَاتَ بِهَا. وَكَانَ يَأْكُلُ مِنْ عَمَلِ يَدِهِ، مِثْلَ الْحَصَادِ، وَحِفْظِ الْبَسَاتِينِ، وَغَيْرِ ذَلِكَ. قَالَ الْقُشَيْرِيُّ: وَإِنَّهُ رَأَى فِي الْبَادِيَةِ رَجُلًا عَلَّمَهُ اسْمَ اللَّهِ الْأَعْظَمَ، فَدَعَا بِهِ بَعْدَهُ، فَرَأَى الْخَضِرَ، فَقَالَ: إِنَّمَا عَلَّمَكَ أَخِي دَاوُدُ اسْمَ اللَّهِ الْأَعْظَمَ. ثُمَّ سَاقَهُ الْقُشَيْرِيُّ بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍ لَا يَصِحُّ. وَرَوَاهَا ابْنُ عَسَاكِرَ أَيْضًا مِنْ وَجْهٍ آخَرَ ضَعِيفٍ، وَفِيهِ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ إِلْيَاسَ هُوَ عَلَّمَكَ الِاسْمَ الْأَعْظَمَ. قَالَ الْقُشَيْرِيُّ: وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ كَبِيرَ الشَّأْنِ فِي بَابِ الْوَرِعِ، وَيُحْكَى عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: أَطِبْ مَطْعَمَكَ، وَلَا عَلَيْكَ أَنْ لَا تَقُومَ اللَّيْلَ، وَتَصُومَ النَّهَارَ. وَقِيلَ: كَانَ أَكْثَرُ دُعَائِهِ: اللَّهُمَّ انْقُلْنِي مِنْ ذُلِّ مَعْصِيَتِكَ إِلَى عِزِّ طَاعَتِكَ. وَقِيلَ لِإِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ: إِنَّ اللَّحْمَ قَدْ غَلَا. فَقَالَ: أَرْخِصُوهُ. أَيْ لَا تَشْتَرُوهُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: هَتَفَ بِهِ الْهَاتِفُ قَائِلًا لَهُ مِنْ فَوْقِهِ: يَا إِبْرَاهِيمُ، مَا هَذَا
পৃষ্ঠা - ৮১১৩


হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি সুফিয়ান আস-সাওরী (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ইব্রাহীম
ইবন আদহাম (র) ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ) এর ন্যায় ছিলেন ৷ যদি তিনি সাহাবীদের যামানায়
হতেন তাহলে তিনি এমন একজন মর্যাদাবান ব্যক্তি হতেন য়ার থাকত বহু গোপন রহস্য ৷ আমি
তাকে কোন দিন প্রকাশ্যে তাসবীহ কিৎবা অন্য কিছু পড়তে দেখিনি ৷ কারো সাথে খাদ্য গ্রহণের
সময় তিনি সমাপ্তির লক্ষে সর্বশেষে হাত উঠাতেন ৷

আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (র) বলেন, ইব্রাহীম (র) ছিলেন একজন অনন্য ও ণসম্পন্ন মহা-
পুরুষ ও বিদ্বান ব্যক্তি ৷ তার ছিল আল্লাহ ও তার মধ্যে বহু গোপন তথ্য ও রহস্য ৷ আমি তাকে
কোন দিন প্রকাশ্যে তাসবীহ পড়তে অথবা অন্য কোন আমল করতে দেখিনি ৷ তিনি যখনই কারো
সাথে খাদ্য গ্রহণ করতেন তখন সমাপ্তির লক্ষে তিনি সর্বশেষে হাত উঠাতেন ৷

বিশর ইবন আল-হায়িছ আল-হাফী বলেন, চার ব্যক্তি রয়েছেন যাদেরকে আল্লাহ তাআলা
সুস্বাদু খাবারের দ্বারা মর্যাদাবান করেছেন : ইব্রাহীম ইবন আদুহাম, সৃলায়মান ইবন খাওয়াস,
ওহায়ব ইবন ওয়ারদ এবং ইউসুফ ইবন আসবাত ৷

ইবন আসাকির র্মুআবিয়া ইবন হাফস (র) এর মাধ্যমে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ইব্রাহীম
ইবন আদহাম একটি হাদীস শুনেছেন এবং এ হাদীসের দ্বারা তার যুগের বিপর্যযকে তুলে
ধরেছেন ৷ ইব্রাহীম (র) বলেন, রাবঈ ইবন খারাশ থেকে মানসুর আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, তিনি একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে গমন করেন এবং বলেন, হে
আল্লাহর রাসুল (সা) ! আমাকে এমন একটি আমল নির্দেশ করুন যা পালন করলে আল্লাহ
তা“আলা আমাকে মহব্বত করবেন এবং মানুযও আমাকে মহব্বত করবেন ৷ তিনি উত্তরে
বললেন, যখন তুমি ইচ্ছা কর যে, আল্লাহ যেন তোমাকে মহব্বত করেন তখন তুমি দুনিয়ার সাথে
শত্রুতা রাখ ৷ আর যখন তুমি ইচ্ছা কর যে মানুষ যেন তোমাকে মহব্বত করে তখন তোমার
কাছে দুনিয়ার যা কিছু সম্পদ থাকুক তা নগ্নপদকে দান কর ৷

ইবন আবু দুনিয়া বলেন, “আবু রাবী ইদরীস (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
একদিন কয়েকজন আলিমের কাছে ইব্রাহীম ইবন আদহাম (র) উপবিষ্ট ছিলেন ৷ তারা হাদীস
সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে লাগলেন কিন্তু ইব্রাহীম ছিলেন নিশ্চুপ ৷ তারপর তিনি বললেন,
মানসুর আমাদেরকে হাদীস ব্ংনাি করেছেন ৷ এরপর চুপ থাকেন, কোন কথা বললেন না ৷ এরপর
এ মজলিস থেকে উঠে গেলেন ৷ এ সম্পর্কে তার কোন সাথী তাকে ভৰুসন৷ করেন তখন তিনি
বলেন, আমি আজ পর্যন্ত আমার অম্ভরে এ মজলিসের ক্ষতিকর দিকটি নিয়ে ভয় করছিলাম ৷”

রুশদীন ইবন সা’দ (র) বলেন, একদিন ইব্রাহীম ইবন আদহাম (র) আল-আওযাঈ (র) এর
কাছ দিয়ে গমন করছিলেন ৷ আর তারই সাথে ছিল একদল জনতা ৷ তখন তিনি বললেন, এরুপ
জামাআতঢি যদি আবুহুরায়রা (রা) এর কাছে হত তাহলে তিনিও অবশ্যই তাদের থেকে অক্ষম
হয়ে পড়তেন ৷ তারপর আওযাঈ (র) উঠে দীড়ালেন এবং তাদেরকে তাদের অবস্থায় ছেড়ে চলে
গেলেন ৷

ইব্রাহীম ইবন বাশৃশার (র) বলেন, একদিন ইবন আদহাম (র) কে প্রশ্ন করা হল, আপনি
কেন হাদীসের চর্চা ছেড়ে দিয়েছেন ? তিনি বললেন, আমি তিনটি কারণে এটার প্ৰতি অমনােযােগী


الْعَبَثُ؟ {أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ} [المؤمنون: 115] . اتَّقِ اللَّهَ، وَعَلَيْكَ بِالزَّادِ لِيَوْمِ الْفَاقَةِ. قَالَ: فَنَزَلَ عَنْ دَابَّتِهِ، وَرَفَضَ الدُّنْيَا، وَأَخَذَ فِي عَمَلِ الْآخِرَةِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ - بِإِسْنَادٍ فِيهِ نَظَرٌ - عَنِ ابْتِدَاءِ أَمْرِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ قَالَ: بَيْنَمَا أَنَا يَوْمًا فِي مَنْظَرَةٍ لِي بِبَلْخَ، وَإِذَا بِشَيْخٍ حَسَنٍ قَدِ اسْتَظَلَّ بِفَيْئِهَا، فَأَخَذَ بِمَجَامِعِ قَلْبِي، فَأَمَرْتُ غُلَامِي، فَطَلَبَهُ فَدَخَلَ، فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ الطَّعَامَ، فَأَبَى، فَقُلْتُ: مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ؟ قَالَ: مِنْ وَرَاءِ النَّهْرِ. قُلْتُ: أَيْنَ تُرِيدُ؟ قَالَ: الْحَجَّ. قُلْتُ: فِي هَذَا الْوَقْتِ؟ - وَكَانَ أَوَّلَ يَوْمٍ مِنْ عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ أَوْ ثَانِيَهُ - فَقَالَ: يَفْعَلُ اللَّهُ مَا يَشَاءُ. فَقُلْتُ: الصُّحْبَةَ. قَالَ: إِنْ أَحْبَبْتَ ذَلِكَ فَمَوْعِدُكَ اللَّيْلُ. فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ جَاءَنِي فَقَالَ: قُمْ بِسْمِ اللَّهِ. فَأَخَذْتُ ثِيَابَ سَفَرِي، وَسِرْنَا نَمْشِي كَأَنَّمَا الْأَرْضُ تُجْذَبُ مِنْ تَحْتِنَا، وَنَحْنُ نَمُرُّ عَلَى الْبُلْدَانِ، وَنَقُولُ هَذِهِ فُلَانَةُ، هَذِهِ فُلَانَةُ. فَإِذَا كَانَ الصَّبَاحُ فَارَقَنِي وَيَقُولُ: مَوْعِدُكَ اللَّيْلُ. فَإِذَا كَانَ اللَّيْلُ جَاءَنِي، فَانْتَهَيْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، فَزُرْنَا قَبْرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ سِرْنَا إِلَى مَكَّةَ، فَجِئْنَاهَا لَيْلًا، فَقَضَيْنَا الْحَجَّ مَعَ النَّاسِ، ثُمَّ رَجَعْنَا إِلَى الشَّامِ، فَزُرْنَا بَيْتَ الْمَقْدِسِ، وَقَالَ: إِنِّي عَازِمٌ عَلَى الْمُقَامِ بِالشَّامِ. وَرَجَعْتُ أَنَا إِلَى بَلَدِي بَلْخَ أَسِيرُ سَيْرَ الضُّعَفَاءِ، حَتَّى رَجَعْتُ إِلَيْهَا، وَلَمْ أَسْأَلْهُ عَنِ اسْمِهِ، وَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ أَمْرِي. وَرُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ فِيهِ نَظَرٌ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ قَالَ: كَانَ
পৃষ্ঠা - ৮১১৪
إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ يُشْبِهُ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ، وَلَوْ كَانَ فِي الصَّحَابَةِ لَكَانَ رَجُلًا فَاضِلًا. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ رَجُلًا فَاضِلًا، لَهُ سَرَائِرُ، وَمَا رَأَيْتُهُ يُظْهِرُ تَسْبِيحًا وَلَا شَيْئًا مِنْ عَمَلِهِ، وَلَا أَكَلَ مَعَ أَحَدٍ طَعَامًا إِلَّا كَانَ آخِرَ مَنْ يَرْفَعُ يَدَهُ. وَقَالَ بِشْرُ بْنُ الْحَارِثِ الْحَافِي: أَرْبَعَةٌ رَفَعَهُمُ اللَّهُ بِطِيبِ الْمَطْعَمِ; إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ، وَسُلَيْمَانُ الْخَوَّاصُ، وَوُهَيْبُ بْنُ الْوَرْدِ، وَيُوسُفُ بْنُ أَسْبَاطٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مُعَاوِيَةَ بْنِ حَفْصٍ قَالَ: إِنَّمَا سَمِعَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ مِنْ مَنْصُورٍ حَدِيثًا، فَأَخَذَ بِهِ، فَسَادَ أَهْلَ زَمَانِهِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يُحِبُّنِي اللَّهُ عَلَيْهِ وَيُحِبُّنِي النَّاسُ. قَالَ: " إِذَا أَرَدْتَ أَنْ يُحِبَّكَ اللَّهُ فَأَبْغِضِ الدُّنْيَا، وَإِذَا أَرَدْتَ أَنْ يُحِبَّكَ النَّاسُ فَمَا كَانَ عِنْدَكَ مِنْ فُضُولِهَا فَانْبِذْهُ إِلَيْهِمْ ".» وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، عَنْ إِدْرِيسَ قَالَ: جَلَسَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ إِلَى بَعْضِ الْعُلَمَاءِ فَجَعَلُوا يَتَذَاكَرُونَ الْحَدِيثَ وَإِبْرَاهِيمُ سَاكِتٌ، ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ. ثُمَّ سَكَتَ، فَلَمْ يَنْطِقْ بِحَرْفٍ حَتَّى قَامَ مِنْ ذَلِكَ الْمَجْلِسِ، فَعَاتَبَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: إِنِّي لَأَخْشَى مَضَرَّةَ ذَلِكَ الْمَجْلِسِ
পৃষ্ঠা - ৮১১৫

হয়েছি ; নিআমতের পােকর করার জন্য, গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য এবং মৃত্যুর তৈরির
জন্য ৷ তারপর তিনি একটি চীৎকার দেন এবং বেভুশ হয়ে পড়েন ৷ উপস্থিত সকলে একজন

ঘোষণাকারীর ঘোষণা শুনতে পান ৷ তিনি বলছিলেন “আমার ও আমার ওলীদের মধ্যে হস্তক্ষেপ
করো না ৷ ”

আবু হানীফা (র) একদিন ইবরড়াহীম ইবন আদহামকে বললেন, তুমিও ইবাদতের দিক দিয়ে
প্রভুত আমল সাধন করেছ ; এখন ইলম যেন হয় তোমার লক্ষ্য বস্তু ৷ কেননা এটাই দীন প্রতিষ্ঠা
ও ইবাদতের মুল উৎস ৷ তখন ইবরাহীম (র) র্তাকে বললেন, ইবাদত ও ইলম মুতড়াবিক আমল
যেন তোমার লক্ষ্য বস্তু হয় , নচেৎ তোমার ধ্বংস অনিবার্য ৷ ইবরাহীম (র) বলেন, ফকীরদের
আল্লাহ তাআলা কত বড় নিআমত দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে কিয়ামতের দিন যাকাত , হজ্জ,
জিহাদ ও আত্মীয়তার হক আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না বরং এগুলো সম্পর্কে ধনী
বেচারাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে ও হিসাব নেয়া হবে ৷ শাকীক ইবন ইবরাহীম (র) বলেন, আমি
সিরিয়ার ইবন আদহাম (র)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলাম ৷ আমি তাকে ইরাকেও দেখেছিলাম
তখন তার সামনে ছিল ত্রিশজন চাকর ৷ আমি তাকে বললাম থুরাসানের রাজতু তুমি বর্জন করেছ
এবং তোমার নিআমত থেকে তুমি বের হয়ে এসেছ ৷ তখন তিনি বললেন, চুপ থাক ৷ এখানে
জীবন-যাপনেই আমি শাস্তি পাচ্ছি ৷ আমার দীনকে নিয়ে আমি এক সুউচ্চ পর্বত থেকে অন্য উচ্চ
পর্বত পর্যন্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছি ৷ যে আমাকে দেখে সে বলে, আমি কোন এক বিষয়ে উম্মত্ততাগ্রস্থ
ব্যক্তি, কুলি কিৎবা মাঝি ৷ এরপর তিনি বললেন, আমার কাছে এ হাদীস পৌছেছে যে,
“কিয়ামতের দিন একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে আল্লাহর সামনে হাযির করা হবে ৷ আল্লাহ তাকে
বলবেন, হে আমার বান্দা ! তোমার কী হয়েছিল, তুমি হজ্জ করলে না ? তখন সে উত্তরে বলবে,
হে আমার প্রতিপালক ! তুমিতে৷ আমাকে এমন সম্পদ দাওনি যা দ্বারা আমি হজ্জ করতে
পারতাম ৷ আল্লাহ তখন বলবেন, আমার বান্দা সত্য কথা বলেছে ৷ তাই তাকে জান্নাতে নিয়াে
যাও ৷” তিনি বলেন, আমি সিরিয়ার চব্বিশ বছর অবস্থান করেছি ৷ তবে আমি সেখানে যুদ্ধ করতে
কিৎরা সীমান্ত পাহারা দিতে অবস্থান করিনি ৷ আমি বরং সেখানে হালাল রুটি থেয়ে জীবন ধারণ
করার জন্য অবস্থান করছিলাম ৷

তিনি বলেন, চিন্তা দু’প্রকার : একটি হল তোমার পক্ষে অপরটি হল তোমার বিরুদ্ধে ৷
তোমার আখিরাতের চিন্তা হল তোমার উপকারের জন্য ৷ আর দুনিয়া ও দুনিয়ার গােডার চিন্তা হল
তোমার জন্য ক্ষতিকর ৷ তিনি আরো বলেন, পরহেযগারী তিন প্রকার : ওয়াজিব, মুস্তাহাব ও
সালাম৷ বা ত্রুটি মুক্তির বা শান্তির ৷ ওয়াজিব হল হারাম থেকে পরাহযগারী বা বিরত থাকা ৷ হালাল
কামােত্তেজনা থেকে বিরত থাকা পরহেযগারী সালাম বা ত্রুটি মুক্ত ৷ তিনিও তার সাথিগণ
নিজেদেরকে গোসলখানা, ঠাণ্ডা পানি ও জুতা ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতেন ৷ র্তারা লবণ
জাতীয় খাদ্যের মধ্যে গুড়া মসলা বা আচার মিশাতেন না ৷ যখন তিনি দস্তরখানে খেতে বসতেন
আর সেখানে থাকত উত্তম খাবার তখন তিনি উত্তম খাবারটি তীর সাথীদের দিয়ে দিতেন এবং
নিজে রুটি ও যয়তুন তেল খেয়ে নিতেন ৷ তিনি বলতেন, কম লােভ-লালসা, সতবােদিতা ও
পরহেযগারী জন্ম দেয় এবং বেশী নােভ-লালসা, দুঃখ-বষ্টি ও অধৈর্য সৃষ্টি করে ৷

এক ব্যক্তি র্তাকে একদিন বললেন, এটা একটি জুব্বাহ (লম্বা জামা), আমি চাই যে তুমি এটা

আলবিদায়া ওয়ান নিঃহায়া ( ১ :ম খণ্ড)-৩১


فِي قَلْبِي إِلَى هَذَا الْيَوْمِ. وَقَالَ رِشْدِينُ بْنُ سَعْدٍ: مَرَّ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ بِالْأَوْزَاعِيِّ، وَحَوْلَهُ حَلْقَةٌ فَقَالَ: لَوْ أَنَّ هَذِهِ الْحَلْقَةَ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ لَعَجَزَ عَنْهُمْ. فَقَامَ الْأَوْزَاعِيُّ وَتَرَكَهُمْ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ: قِيلَ لِابْنِ أَدْهَمَ: لِمَ لَا تَكْتُبُ الْحَدِيثَ؟ فَقَالَ: إِنِّي مَشْغُولٌ بِثَلَاثٍ; بِالشُّكْرِ عَلَى النِّعَمِ، وَبِالِاسْتِغْفَارِ مِنَ الذُّنُوبِ، وَبِالِاسْتِعْدَادِ لِلْمَوْتِ. ثُمَّ صَاحَ وَغُشِيَ عَلَيْهِ، فَسَمِعُوا هَاتِفًا يَقُولُ: لَا تَدْخُلُوا بَيْنِي وَبَيْنَ أَوْلِيَائِي. وَقَالَ أَبُو حَنِيفَةَ يَوْمًا لِإِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ: قَدْ رُزِقْتَ مِنَ الْعِبَادَةِ شَيْئًا صَالِحًا، فَلْيَكُنِ الْعِلْمُ مِنْ بَالِكَ; فَإِنَّهُ رَأَسُ الْعِبَادَةِ وَقِوَامُ الدِّينِ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ: مَاذَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَى الْفُقَرَاءِ! لَا يَسْأَلُهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَنْ زَكَاةٍ، وَلَا عَنْ حَجٍّ، وَلَا عَنْ جِهَادٍ، وَلَا عَنْ صِلَةِ رَحِمٍ، إِنَّمَا يَسْأَلُ هَؤُلَاءِ الْمَسَاكِينَ. يَعْنِي الْأَغْنِيَاءَ. وَقَالَ شَقِيقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: لَقِيتُ ابْنَ أَدْهَمَ بِالشَّامِ، وَقَدْ كُنْتُ رَأَيْتُهُ بِالْعِرَاقِ وَبَيْنَ يَدَيْهِ ثَلَاثُونَ شَاكِرِيًّا. فَقُلْتُ لَهُ: تَرَكْتَ خُرَاسَانَ، وَخَرَجْتَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮১১৬

আমার থেকে গ্রহণ কর ৷ তিনি বললেন, যদি তুমি ধনী হও তাহলে এটা আমি গ্রহণ করব ৷ আর
যদি তুমি ফকীর হও তাহলে আমি তা গ্রহণ করব না ৷ লোকটি বললেন “আমি ধনী” ৷ তিনি
বললেন, “তোমার কাছে কত আছে ?” তিনি বললেন, “দুই হাজার ৷” ইবরাহীম (র) বললেন,
“তুমি কি আক কাডাঃ৷ কর যে, তোমার চার হাজার হোক ?” তিনি বললেন, “হ্যা ৷ ” তিনি বললেন,
“তাহলে তুমি ফকীর ; এটা আমি তোমার থেকে গ্রহণ করব না ৷” তাকে একবার বলা হল, যদি
তুমি বিয়ে করতে ? তিনি বললেন, যদি আমার জীবনটাকে তালাক দেয়া সম্ভব হত তাহলে আমি
তাকে তালাক দিতাম ৷ একবার ইবরাহীম (র) মক্কায় পনের দিন অবস্থান করলেন ৷ তার সাথে
কোন বস্তু ছিল না ৷ বালু মিশ্রিত পানি৷ ছ ৷ড়া তার কাছে কোন পাথেয় ছিল না ৷ তিনি এক ওয়ুতে
পনের ওয়াক্ত সালাত আদায় করেছিলেন ৷ একদিন তিনি জর্দান নদীর তীরে রুটির টুকর৷ পানি
দিয়ে ভিজিয়ে তক্ষণ করেন ৷ এ খাদ্যটি তার সামনে রেখেছিলেন আবু ইউসুফ অ ল পাসুলী ৷
তিনি তা থেকে খেলেন ৷ এরপর তিনি দাড়ালেন এবং নদী থেকে পানি পান করলেন ৷ এরপর
তিনি চলে আসেন এবং চিৎ হয়ে শুয়ে পড়েন ৷৩ তিনি বললেন, হে আবু ইউসুফ ! যদি বাদশাহরা ও
বাদশাহদের সন্তান সন্ততির৷ জানতে পারত যে, আমরা কী নিআমত উপভোগ করছি তাহলে তারা
আমাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দাময় জীবনের জন্য সারা ৷জীবন আমার সাথে বিবাদ করত ৷ তখন আবু
ইউসুফ তাকে বললেন, সম্প্রদায়ের ল্যেকেরাও প্রশান্তি এবং প্রাচুর্য চায় কিন্তু তারা সরল পথকে
চিনতে ভুল করেছে ৷ ইবরাহীম (র) তখন মুচকি হাসি হাসলেন এবং বললেন তুমি একথা কোথা
থেকে শি ৷খলে ? এভাবে তিনি স্যাতস্টেতে ভুমিতে তার সাথীদের একটি দল নিয়ে অবস্থান
করছেন এমন সময় তার কাছে একজন আরোহী আগমন করলেন এবং বলতে লাগলে ন ,
আপনাদের মাঝে ইবরাহীম ইবন আদহাম কে ? ইবরাহীম (র)-এর প্রতি নির্দেশ করা হল ৷ তখন
তিনি বললেন, হে আমার মনিব ! আমি আপনার গোলাম ৷ আপনার পিতা ইনতিকাল করে গেছেন
এবং স্থানীয় কাযীর কাছে প্রচুর সম্পদ রেখে গেছেন ৷ আমি আপনার কাছে দশ হাজার দিরহাম
নিয়ে এসেছি যাতে আপনি বালখ শহরে যাওয়া পর্যন্ত খরচ করতে পারেন ৷ আপনার জন্য একটি
ঘোড়া ও একটি খচ্চর নিয়ে এসেছি যাতে আপনি সওযার হতে পারেন ৷ ইবরাহীম (র) অনেকক্ষণ
চুপ করে রইলেন ৷ এরপর মাথা উত্তোলন করে বললেন, যদি তুমি সতাবাদী হও তাহলে দিরহাম,
ঘোড়া ও খচ্চরটি তোমাকে দান করলাম ৷ এ সম্বন্ধে তুমি আর কাউকে জানারে না ৷ এরুপও
কথিত ৩আছে যে, তিনি এরপর বালখ শ ৷হরে গমন করেন, ক ৷ষী থেকে সমুদয় সম্পদ গ্রহণ করেন
এবং সমুদয় সম্পদ আল্লাহ্র রাস্তায় দান করেন ৷ এক সময় এক জায়গায় তার কোন একজন সাথী

তার সাথে ছিলেন ৷ তারা সেখানে দু’মাস অবস্থান করেন কিন্তু তাদের সাথে কোন খাবার ছিলনা
যা তারা যেতে পারে ৷ ইবরাহীম (র)ত তার সাথীকে বললেন ,এ জঙ্গলে প্রবেশ কর ৷ আর এ
ঘটনাটি ঘটেছিল ঠাণ্ডা ৷র দিন ৷ তার সাথী বলেন, আমি জঙ্গলে প্রবেশ করলাম একটি গাছ দেখতে
পেলাম যার মধ্যে রয়েছে বহু পীচ ফল ৷ তা দ্বারা আমার যেপটি ভরে নিলাম ৷ এরপর জঙ্গল
থেকে বের হয়ে আসলাম ৷ ইবরাহীম (র) বলেন, তোমার সাথে কী ? আমি রললাম, পীচ ফল ৷
তিনি বললেন, হে দুর্বল সং কল্পের অধিকারী ! যদি তুমি ধৈর্য ধরতে তাহলে পাক৷ খেজুর (পরে
যেতে যেতে যেমন মারইয়াম বিনৃত ইমরানকে রিযিক দেয়া হয়েছিল ৷



একদিন তার একজন সাথী তার কাছে ক্ষুধা র অভিযোগ করলেন ৷ তখন তিনি দু’ বাক ৩া


نِعْمَتِكَ؟ فَقَالَ: قَدْ تَهَنَّيْتُ بِالْعَيْشِ هَاهُنَا، أَفِرُّ بِدِينِي مِنْ شَاهِقٍ إِلَى شَاهِقٍ، فَمَنْ يَرَانِي يَقُولُ: مُوَسْوَسٌ. أَوْ: حَمَّالٌ. أَوْ: مَلَّاحٌ. ثُمَّ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّهُ يُؤْتَى بِالْفَقِيرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَيُوقَفُ بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَيَقُولُ لَهُ: يَا عَبْدِي، مَا لَكَ لَمْ تَحُجَّ؟ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ لَمْ تُعْطِنِي شَيْئًا أَحُجُّ بِهِ. فَيَقُولُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ: صَدَقَ عَبْدِي، اذْهَبُوا بِهِ إِلَى الْجَنَّةِ. وَعَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ قَالَ: أَقَمْتُ بِالشَّامِ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ سَنَةً لَمْ أَجِئْ لِجِهَادٍ وَلَا رِبَاطٍ، إِنَّمَا جِئْتُ لِأَشْبَعَ مِنْ خُبْزِ الْحَلَالِ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ: الْحُزْنُ حُزْنَانِ; حُزْنٌ لَكَ وَحُزْنٌ عَلَيْكَ; فَحُزْنُكَ عَلَى الْآخِرَةِ وَخَيْرِهَا لَكَ، وَحُزْنُكَ عَلَى الدُّنْيَا وَزِينَتِهَا عَلَيْكَ. وَقَالَ: الزُّهْدُ ثَلَاثَةٌ، وَاجِبٌ، وَمُسْتَحَبٌّ، وَزُهْدُ سَلَامَةٍ، فَالزُّهْدُ فِي الْحَرَامِ وَاجِبٌ، وَالزُّهْدُ عَنِ الشَّهَوَاتِ الْحَلَالِ مُسْتَحَبٌّ، وَالزُّهْدُ عَنِ الشُّبَهَاتِ سَلَامَةٌ. وَكَانَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ يَمْنَعُونَ أَنْفُسَهُمُ الْحَمَّامَ وَالْمَاءَ الْبَارِدَ وَالْحِذَاءَ، وَلَا يَجْعَلُونَ فِي مِلْحِهِمْ أَبْزَارًا. وَكَانَ إِذَا جَلَسَ عَلَى سُفْرَةٍ فِيهَا طَعَامٌ طَيِّبٌ رَمَى بِطَيِّبِهَا إِلَى أَصْحَابِهِ، وَأَكَلَ
পৃষ্ঠা - ৮১১৭

সাল ৷ত আদায় করলেন ৷ পরে দেখা গেল যে, তার পাশেই বহু দীনার পড়ে রয়েছে ৷ তখন তিনি
তার ৷সাথীকে বললেন, এগুলো থেকে একটি দীনারত তুলে নাও ৷ তিনি তখন একটি দীনার নিলেন
এবং তা দ্বারা তাদের জন্য যারা ৷র খরিদ করে নিয়ে আসলেন ৷ ঐতিহা সিকপণ উল্লেখ করেন,ত তিনি
কর্ম সম্পাদনকা ৷রীর ন্যায় কাজ করতেন ৷ এরপর বাজারে যেতেন এবং তিন, মাখন, কোন কোন
সময় ভুনা পােশ্ ত জুযবান নামক এক প্রকার মিষ্টি এবং খিচুড়ি কিনে আনতেন ৷ এরপর এটা
তিনিত তর ৷সাথীদের থেতে দিতে তন ৷ তিনি সিয়াম পালন করতে ন ৷ যখন ইফতার করতেন ত্রুটিপুর্ণ
খাবার থেতেন এবং নিজেকে সুস্বাদু খাবার থেকে বঞ্চিত রাখতেন ৷ এভাবে তিনি লোকজনের
সাথে সখ্যতা স্থাপনের জন্য প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য এবং তাদের সাথে বন্ধুতৃ রক্ষার
জন্য নেক আচরণ করতেন ৷
একদিন ইবরাহীম ইবন আদহাম (র) আওয৷ ৷ঈর যেহমান হলেন ৷ তখন ইবরাহীম খাওয়ার
ত্রুটি করলেন ৷ আওযাঈ বললেন, এ ব্যাপারে তমি ত্রুটি করলে কেন ? তিনি বললেন কেননা
তুমি খাবারে ত্রুটি করেছ ৷ এরপর ইবরাহীম (র) বহুল পরিমাণ খাবার তৈরি করেন এবং
আওযাঈকে দাওয়াত করেন ৷ আওযাঈ বললেন, তোমার কি আশংকা হচ্ছে না যে এটা ; ৷ , ৷
বা সীমালং ঘন ? তিনি বললেন, না’ সীমা ত্ঘন হচ্ছে আল্লাহর নাফরমানীর ক্ষেত্রে ৷ তবে কোন
ব্যক্তি যদি ত ৷র ৷ভাইদের জন্য খরচ করেত তাহলে এটা দীনের অম্ভভুক্ত ৷
ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেন, তিনি একবার বিশ দীনারের বিনিময়ে ফসল কর্তনের কাজ
করেন ৷ একদিন তিনি ওত তার একজন সাথী একজন নাপিতে র কাছে গিয়ে বললেন যাতে সে
তাদের মাথা মুণ্ডন করে এবং সিংগার সাহায্যে দুষিত তরক্ত নির্গত করে চিকিৎসা করে ৷ সে যেন
তাদেরকে নিয়ে একটু বিরক্তবােধ করে ৷ তাই তাদের থেকে অমনোযোগী হয়ে অন্যের প্রতি
মনােযোগী হবার চেষ্টা করে ৷ এতে ইবরাহীমের সাথী কষ্টবাে ধ করেন ৷ এরপর নাপিত তাদের
প্রতি মুখ ঘুরিয়ে বলল, এখানে আপনারা কী চান ? ইবরাহীম (র) বললেন, আমি চাই যে, তুমি
আমার মাথা মুণ্ডন করবে এবং আমাকে সিংপার৷ দ্ব ৷র৷ দুষিত রক্ত বের করে সুচিকিৎসা করবে ৷ সে
তাই করল তাতে ইবরাহীম (র)৩ ৷ তবে বিশ দীন৷ ৷ব প্রদান করেন এবং বলেন, আ ৷মি চাই তুমি যেন
এরপর কোন ফকীরকে অবজ্ঞা না কর ৷ মাদা ইবন ঈসা (র) বলেন, ইবরাহীম (র) সিয়াম ও
সালাত পালনের মাধ্যমে তার সাথীদের চেয়ে অগ্রগামী হননি বরং সত্যবাদিতা ও দানশীলতার
মাধ্যমে তিনিাদের চেয়ে অগ্রগামী হন ৷
ইবরাহীম (র) বলতেন, “ক্ষতিকারক সিংহ থেকে যেরুপ তোমরা পালিয়ে যাও সেরুপ মানুষ
থেকেও তোমরা পা ৷লিয়ে রেড়াও ৷ জুমআ র সালাত ও মুসৃলিম জামাআত থেকে পিছু হটে থাকবে
না ৷ যখন তিনিতার সাথীদের ক ৷রে৷ সাথে ভ্রমণ করতে তেন তখন তিনি তাকে হ দীস শুনড়াতেন ৷
আর যখন তিনি কো ৷ন মজলিসে উপস্থিত হতে ন তখন হাযিরানে মজলিসের মাথায় যেন পাখি বসে
থাকত ৷ তারা তার ভয়েও শ্রদ্ধায় এত নীরবতা বজায় রাখতেন ৷ অনেক সময়ও তিনিও সুফিয়ান
আস সাওরী শীতের রাতে ভোর পর্যন্ত আলোচনায় মগ্ন থাকতেন ৷ আস-সাওরী (র) ইবরাহীম
(র) এর সাথে কথা বলতে স৩র১৩৷ ৩ারলথন করতেন ৷ একদিন তিনি এক ব্যক্তিকে দেখলেন,
তখন বলা হল যে, ইনিই তোমার মামার হত্যাক৷ ৷রী ৷ খনত ইবরাহীম (ব ) তার কাছে এগিয়ে
গেলেন , তাকে সালাম করেন এবং তাকে উপটোকন প্রদান করেন ৷ তিনি বললেন, আমি জানতে




هُوَ الْخَبْزَ وَالزَّيْتُونَ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ: قِلَّةُ الْحِرْصِ وَالطَّمَعُ تُوَرِّثُ الصِّدْقَ وَالْوَرَعَ، وَكَثْرَةُ الْحِرْصِ وَالطَّمَعِ تُوَرِّثُ الْغَمَّ وَالْجَزَعَ. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: هَذِهِ جُبَّةٌ أُحِبُّ أَنْ تَقْبَلَهَا مِنِّي. فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ غَنِيًّا قَبِلْتُهَا، وَإِنْ كُنْتَ فَقِيرًا لَمْ أَقْبَلْهَا. قَالَ: أَنَا غَنِيٌّ. قَالَ: كَمْ عِنْدَكَ؟ قَالَ: أَلْفَانِ. قَالَ: تَوَدُّ أَنْ تَكُونَ أَرْبَعَةَ آلَافٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَأَنْتَ فَقِيرٌ لَا أَقْبَلُهَا. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: لَوْ تَزَوَّجْتَ؟! فَقَالَ: لَوْ أَمْكَنَنِي أَنْ أُطَلِّقَ نَفْسِي لَطَلَّقْتُهَا. وَمَكَثَ بِمَكَّةَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا لَا شَيْءَ مَعَهُ، فَلَمْ يَكُنْ لَهُ زَادٌ سِوَى الرَّمْلِ بِالْمَاءِ. وَصَلَّى بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ خَمْسَ عَشْرَةَ صَلَاةً. وَأَكَلَ يَوْمًا عَلَى حَافَّةِ الشَّرِيعَةِ كُسَيْرَاتٍ مَبْلُولَةً، وَضَعَهَا بَيْنَ يَدَيْهِ أَبُو يُوسُفَ الْغَسُولِيُّ، ثُمَّ قَامَ فَشَرِبَ مِنَ الشَّرِيعَةِ، ثُمَّ جَاءَ فَاسْتَلْقَى عَلَى قَفَاهُ، وَقَالَ: يَا أَبَا يُوسُفَ، لَوْ عَلِمَ الْمُلُوكُ وَأَبْنَاءُ الْمُلُوكِ مَا نَحْنُ فِيهِ مِنَ النَّعِيمِ لَجَالَدُونَا بِالسُّيُوفِ أَيَّامَ الْحَيَاةِ عَلَى مَا نَحْنُ فِيهِ مِنْ لَذِيذِ الْعَيْشِ. فَقَالَ أَبُو يُوسُفَ: طَلَبَ الْقَوْمُ الرَّاحَةَ
পৃষ্ঠা - ৮১১৮
وَالنَّعِيمَ فَأَخْطَئُوا الطَّرِيقَ الْمُسْتَقِيمَ. فَتَبَسَّمَ إِبْرَاهِيمُ وَقَالَ: مِنْ أَيْنَ لَكَ هَذَا الْكَلَامُ؟ وَبَيْنَمَا هُوَ يَوْمًا بِالْمِصِّيصَةِ فِي جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِذْ جَاءَهُ رَاكِبٌ فَقَالَ: أَيُّكُمْ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ؟ فَأُرْشِدَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: يَا سَيِّدِي، أَنَا غُلَامُكَ، وَإِنَّ أَبَاكَ قَدْ مَاتَ وَتَرَكَ مَالًا هُوَ عِنْدَ الْقَاضِي، وَقَدْ جِئْتُكَ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ لِتُنْفِقَهَا عَلَيْكَ إِلَى بَلْخَ، وَفَرَسٍ وَبَغْلَةٍ. فَسَكَتَ إِبْرَاهِيمُ طَوِيلًا، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: إِنْ كُنْتَ صَادِقًا فَالدَّرَاهِمُ وَالْفَرَسُ وَالْبَغْلَةُ لَكَ، وَلَا تُخْبِرْ بِهِ أَحَدًا. وَيُقَالُ إِنَّهُ ذَهَبَ بَعْدَ ذَلِكَ إِلَى بَلْخَ، وَأَخَذَ الْمَالَ مِنَ الْحَاكِمِ، وَجَعَلَهُ كُلَّهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. وَكَانَ مَعَهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ، فَمَكَثُوا شَهْرَيْنِ لَمْ يَحْصُلْ لَهُمْ شَيْءٌ يَأْكُلُونَهُ، فَقَالَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: ادْخُلْ إِلَى هَذِهِ الْغَيْضَةِ. وَكَانَ ذَلِكَ فِي يَوْمٍ شَاتٍ. قَالَ: فَدَخَلْتُ فَوَجَدْتُ شَجَرَةً عَلَيْهَا خَوْخٌ كَثِيرٌ، فَمَلَأْتُ مِنْهُ جِرَابِي، ثُمَّ خَرَجْتُ، فَقَالَ: مَا مَعَكَ؟ فَقُلْتُ: خَوْخٌ. فَقَالَ: يَا ضَعِيفَ الْيَقِينِ، لَوْ صَبَرْتَ لَوَجَدْتَ رُطَبًا جَنِيًّا، كَمَا رُزِقَتْ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ. وَشَكَا إِلَيْهِ بَعْضُ أَصْحَابِهِ الْجُوعَ، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَإِذَا حَوْلَهُ دَنَانِيرُ كَثِيرَةٌ، فَقَالَ لِصَاحِبِهِ: خُذْ مِنْهَا دِينَارًا. فَأَخَذَهُ وَاشْتَرَى لَهُمْ بِهِ طَعَامًا. وَذَكَرُوا أَنَّهُ كَانَ يَعْمَلُ بِالْفَاعِلِ، ثُمَّ يَذْهَبُ فَيَشْتَرِي الْخَبْزَ الْأَبْيَضَ وَالزُّبْدَ، وَتَارَةً الشِّوَاءَ وَالْجُوذَابَاتِ، وَالْخَبِيصَ فَيُطْعِمُهُ أَصْحَابَهُ وَهُوَ صَائِمٌ، فَإِذَا أَفْطَرَ
পৃষ্ঠা - ৮১১৯


পেয়েছি যে, কো ন ৷ব্যক্তি ইয়াকীন বা বিশ্বাসের স্তরে পৌছতে প ৷রৈ না যতক্ষণ না তার শত্রু তাকে
নিরাপদ মনে করে ৷ এক ব্যক্তি তাকে বললেন, তোমার সৌভ ৷গ্য যে তোমার বয়স ইবাদতে
শেষ করেছ এবং দুনিয়া ও শ্রী পরিত্যাগ করেছ ৷ তখন তিনি বললেন, তোমার কি পরিবার
পরিজন আছে ৷ তিনি বললেন, হয় ৷ তখন তিনি বললেন, কোন ব্যক্তির পরিবার পরিজনের
কোন সময় উপৰাস থাকা ৷র ভয় ভীতি, কয়েক বছরের ইবাদংত র চেয়ে উত্তম ৷ একবার আওযাঈ
(র) ইব্রাহীম (র) কে বৈরুতে দেখতে পেলেন তখন তার গর্দানে ছিল লাকড়ির বোঝা ৷ তিনি
বললেন, হে আবু ইসহাক ! নিশ্চয়ই আপনার সাথে যে সব ভাই রযেছেন৩ তারাই এ বোঝাটি
নিতে যথেষ্ট ৷ ইব্রাহীম (র) তখন তাকে বললেন, আপনি চুপ থাকুন, হে আবুআমর ! আমি
জানতে পেয়েছি যে, যদি কো ন ব্যক্তি হালাল রুজী অম্বেষণে কষ্টকর অবস্থানে দিনাতিপাত করে
তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায় ৷ একবার ইব্রাহীম ইবন আদহাম (র) বায়তুল মুকাদ্দাস
থেকে রওনা হলেন ৷ পথিমধ্যে কয়েকজন টহলদার অস্ত্র ধারীর সাথে তার সাক্ষাৎ হয় ৷ অস্ত্রধ৷ ৷রীরা
জিজ্ঞাসা করল, তুমি কি গোলামঃ তিনি বললেন, ইা’ তারা বলল, “তমি কি পালিয়ে যাচ্ছ ?৩ তিনি
বললেন, “হীা’ ৷ তখন তারা তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করে ৷ বায়তুল ঘুক ৷দ্দাসের
বাসিন্দাদের কাছে এ সংবাদটি পৌছার পর তারা তাদের অভিযোগ নিয়ে কারাগারের নায়িবের
কাছে হাযির হন ৷ত তারা বললেন, ইব্রাহীম ইবন আদহাম (র) কে কেন বন্দী করেছেন ৷ তিনি
বললেন, আমি তাকে বন্দী করিনি ৷ তারা বললেন, অবশ্যই করেছেন ৷ তিনি এখন আপনার
কারাগারে আছেন ৷ তিনি তাকে তলব করলেন ৷ উপস্থিত হবার পর তাকে জিজ্ঞ৷ ৷সা করলেন,
তোমাকে কেন বন্দী করা হয়েছিল ? তিনি বললেন, অস্ত্র ধ ৷রীদেরকে জিজ্ঞাসা করুন ৷ অস্ত্রধা ৷রীরা
বলেছিল তমি কি গোলাম ? আমি বলেছিলাম, হ্যা এবং আমি তা ৷ল্লাহ্র বান্দ৷ বা গোলাম ৷ তারপর
তারা বলেছিল, তুমি কি পলায়নরত ম্ব আমি বলেছিলাম, হয় ৷ আমি যে গুনাহ থেকে পলায়ণরত
এক বান্দা বা গোলাম ৷ এরপর তিনি তাকে ছেড়ে দেন ৷

ঐতিহাসিকগণ আরো উল্লেখ করেন ৷ একদিন তিনি তার বন্ধুদের সাথে পথ চলছিলেন ৷
এমন সময় রাস্তায় একটি সিংহ দেখা গেল ৷ ইব্রাহীম ইবন আদহাম (র) এটার দিকে এগিয়ে
গেলেন এবং বললেন, হে সিংহ ! যদি৫ তামাকে আমাদের সম্পর্কে কিছু হুকুম দেয় হয়ে থাকে
তাহলে তোমাকে যা হুকুম দেয়৷ হয়েছে তা তুমি করে না ও, নচেৎ যেভাবে এসেছ সেভ৷ বে ফিরে
চলে যাও ৷ ঐতিহাসিকগণ বলেন, তখন হিংস্র-প্রাণীটি লেজ নাড়তে নাড়তে চলে গেল ৷
(ইব্রাহীম ইবন আদহামের বন্ধুরা বলেন ৪) এরপর ইব্রাহীম (র) আমাদের কাছে আগমন
করলেন এবং বললেন, তোমরা বল, “হে আল্লাহ ! আমাদের প্রতি আপনার এরুপ দৃষ্টি রাখুন যা
কখনও ঘুমায় না , তোমার এমন সাহায্যে আমাদেরকে সাহায্য কর যা সাধারণত আশা করা হয় না,
তোমার কুদরতের মাধ্যমে আমাদের উপর রহম কর ৷ আমরা যেন ধ্বংস হয়ে না যাই ৷ তুমিই
আমাদের ভরসা হে আল্লাহ ! হে আল্লাহ ! হে আল্লাহ !
খালফ ইবন তামীম বলেন, আমি এ দৃ’আটি শোনার পর থেকে আজ পর্যন্ত পড়ে যাচ্ছি
আমাকে চোর বা অন্য কিছু ক্ষতি করতে পারেনি ৷
উপরোক্ত বর্ণনাটি অন্যান্য পন্থায়ও বর্ণনা করা হয়েছে ৷ এটাও বর্ণিত রয়েছে যে, একদিন
রাতে তিনি সালাত আদায় করছিলেন, তার কাছে তিনটি সিংহ আগমন করল ৷ এগুলোর একটি


يَأْكُلُ مِنْ رَدِيءِ الطَّعَامِ، وَيَحْرِمُ نَفْسَهُ الْمَطْعَمَ الطَّيِّبَ لِيُؤْثِرَ بِهِ النَّاسَ; تَأْلِيفًا لَهُمْ وَتَحَبُّبًا وَتَوَدُّدًا إِلَيْهِمْ. وَأَضَافَ الْأَوْزَاعِيُّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ أَدْهَمَ، فَقَصَّرَ إِبْرَاهِيمُ فِي الْأَكْلِ، فَقَالَ: مَا لَكَ قَصَّرْتَ؟ فَقَالَ: لِأَنَّكَ قَصَّرْتَ فِي الطَّعَامِ. ثُمَّ عَمِلَ إِبْرَاهِيمُ طَعَامًا كَثِيرًا، وَدَعَا الْأَوْزَاعِيَّ، فَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: أَمَا تَخَافُ أَنْ يَكُونَ سَرَفًا؟ فَقَالَ: لَا، إِنَّمَا السَّرَفُ مَا كَانَ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ، فَأَمَّا مَا أَنْفَقَهُ الرَّجُلُ عَلَى إِخْوَانِهِ، فَهُوَ مِنَ الدِّينِ. وَذُكِرَ أَنَّهُ حَصَدَ مَرَّةً بِعِشْرِينَ دِينَارًا، فَجَلَسَ مَرَّةً عِنْدَ حَجَّامٍ هُوَ وَصَاحِبٌ لَهُ لِيَحْلِقَ رُءُوسَهُمْ وَيَحْجِمَهُمْ، فَكَأَنَّهُ تَبَرَّمَ بِهِمْ، وَاشْتَغَلَ عَنْهُمْ بِغَيْرِهِمْ، فَتَأَذَّى صَاحِبُهُ مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِمُ الْحَجَّامُ فَقَالَ: مَاذَا تُرِيدُونَ؟ قَالَ إِبْرَاهِيمُ: أُرِيدُ أَنْ تَحْلِقَ رَأْسِي وَتَحْجِمَنِي. فَفَعَلَ ذَلِكَ، فَأَعْطَاهُ إِبْرَاهِيمُ تِلْكَ الْعِشْرِينَ دِينَارًا، وَقَالَ: أَرَدْتُ أَنْ لَا تُحَقِّرَ بَعْدَهَا فَقِيرًا أَبَدًا. وَقَالَ مَضَاءُ بْنُ عِيسَى: مَا فَاقَ إِبْرَاهِيمُ أَصْحَابَهُ بِصَوْمٍ وَلَا صَلَاةٍ، وَلَكِنْ بِالصَّدَقَةِ وَالسَّخَاءِ. وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ يَقُولُ: فِرُّوا مِنَ النَّاسِ كَفِرَارِكُمْ مِنَ الْأَسَدِ الضَّارِي، وَلَا تَخَلَّفُوا عَنِ الْجُمْعَةِ وَالْجَمَاعَةِ.
পৃষ্ঠা - ৮১২০


প্রথম এগিয়ে আসল, তার কাপড়ের ঘ্রাণ নিল ৷ এরপর চলে গেল এবং তার নিকর্টেই নতজানু
হয়ে বসে রইল ৷ দ্বিতীয়টি এসে অনুরুপ করল এবং তৃভীয়টি এসেও অনুরুপ করল ৷ অন্যদিকে
ইব্রাহীম সালাতে মনােবিষ্ট ছিলেন ৷ রাতের শেষে ইব্রাহীম (র) এগুলোকে বললেন, যদি
তােমাদেরকে কোন কিছুর জন্য হকুম দেয়া হয়ে থাকে তাহলে এগিয়ে এস , অন্যথায় চলে যাও ৷
তখন সেগুলো চলে গেল ৷ একদিন তিনি মক্কার একটি পাহাড়ে চড়লেন ৷ তার সাথে ছিলেন
একদল লোক ৷ তিনি তাদেরকে বললেন, যদি আল্লাহর ওলীদের মধ্য থেকে কোন ওলী কোন
একটি পাহাড়কে বলেন, হোল যাও, তখন তা হোল যায় ৷ তার পায়ের নীচে পাহাড়টি নড়ে উঠল ,
তখন এটাকে তিনি পা দিয়ে আঘাত করলেন এবং বললেন স্থির হয়ে যাও ৷ আমিতে৷ শুধু আমার
সাথীদের জন্য উদাহরণ বর্ণনা করছি ৷ আর পাহাড়টি ছিল জাবালে আবুকুবায়স ৷

একবার তিনি একটি নৌযানে আরোহণ করেন ৷ নৌযানের আরােহীদেরকে চতুর্দি ক থেকে
ঢেউ ঘিরে ফেলে ৷ ইব্রাহীম (র) চাদর ঘুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েন অথচ নৌযানের অন্য যাত্রীরা
চীৎকার শুরু করে দিল এবং উইচ্চ:স্বরে দু’আ দুরুদ পড়তে লাগল ৷ তারা র্তাকে জানাল এবং
বলল, তুমি কি দেখ না যে আমরা কিরু প মুসীবতে রয়েছি ? তিনি বললেন, এটা কোন মুসীবতই
নয় ৷ মুসীবত হল মানুষের কাছে নিজের প্রয়োজন পুরণের জন্য দরখাস্ত করা ৷ এরপর তিনি
বললেন, “ হে আল্লাহ ! তুমিতো আমাদের কাছে তোমার শক্তি প্রদর্শন করেছ ৷ সুতরাং এখন
আমাদেরকে তোমার ক্ষমা প্রদর্শন কর ৷” তখন সাগরটি যেন একটি যায়তৃনের তেলের বড় পাত্রে
পরিণত হল ৷ একবার নৌযানের মালিক নৌযানে চড়ার জন্য তার কাছে তাড়া বার ত দুই দীনার
দাবী করল এবং এটার জন্য জেদ ধরল ৷ ইব্রাহীম (র) তখন তাকে বললেন, আমার সাথে চলুন,
আমি আপনাকে আপনার দুই দীনার প্রদান করব ৷ তাকে নিয়ে তিনি সাগরের একটি দ্বীপে আগমন
করেন ৷ এরপর ইব্রাহীম (র) ওয়ু করে দু’রাকাআত সালাত আদায় করেন ও দু’অ৷ করেন ৷ তখন
দেখা গেল, তার চারপাশে দীনারে ভর্তি হয়ে রয়েছে ৷ তিনি তাকে বললেন, তোমার প্রাপ্য নিয়ে
নাও, অতিরিক্ত গ্রহণ করো না এবং কারো কাছে এ ঘটনাটি প্রকাশও করো না ৷

হুযায়ফাতুল মারআশী (র) বলেন, একদিন আমি ও ইব্রাহীম (র) কুফার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত
মসজিদে আশ্রয় নিলাম ৷ এখানে আমরা কয়েকদিন অতিবাহিত করলাম কিন্তু এ কয়েক দিন
আমরা কিছুই খেতে পেলাম না ৷ তখন তিনি আমাকে বললেন, মনে হয় যেন তুমি ক্ষুধার্ত ৷ আমি
বললাম, হী৷ ৷ তিনি একটি কাগজের টুকরা হাতে নিলেন এবং এর মধ্যে লিখলেন :

ষ্শ্ শ্ষ্ শ্ষ্ষ্শ্ শ্শ্ন! ংশ্ শ্ষ্া! ৰুশ্০ ×ণ্শ্ : : দুা১,বুণ্ শ্ ষ্
ক্লষ্শ্ : ’


ণ্ষ্



শ্র্যশ্ ণ্শ্ণ্ষ্ শ্ ণ্ণ্ ৰ্টষ্ ণ্ শ্র্দশ্ ; শ্শ্ষ্ষ্ ণ্শ্

াপ্রুা

এে
ণ্ষ্ষ্ষ্ শ্ং ষ্ শ্শ্ শ্ষ্ষ্ ’ শ্ষ্ষ্শ্শ্ ষ্শ্ : :;

অর্থাৎ “পরম করুণড়াময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহ্র নামে ৷ প্রতিটি অবস্থায় তৃমিই লক্ষ্য বস্তু,


وَكَانَ إِذَا سَافَرَ مَعَ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِهِ يَخْدِمُهُ إِبْرَاهِيمُ، وَكَانَ إِذَا حَضَرَ فِي مَجْلِسٍ فَكَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ; هَيْبَةً لَهُ وَإِجْلَالًا. وَرُبَّمَا تَسَامَرَ هُوَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ فِي اللَّيْلَةِ التَّامَّةِ إِلَى الصَّبَاحِ، وَكَانَ الثَّوْرِيُّ يَتَحَرَّزُ مَعَهُ فِي الْكَلَامِ. وَرَأَى رَجُلًا، فَقِيلَ لَهُ: هَذَا قَاتِلُ خَالِكَ. فَذَهَبَ إِلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِ وَأَهْدَى لَهُ، وَقَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ الرَّجُلَ لَا يَبْلُغُ دَرَجَةَ الْيَقِينِ حَتَّى يَأْمَنَهُ عَدُوُّهُ. وَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: طُوبَى لَكَ; أَفْنَيْتَ عُمْرَكَ فِي الْعِبَادَةِ، وَتَرَكْتَ الدُّنْيَا وَالزَّوْجَاتِ. فَقَالَ: أَلَكَ عِيَالٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: لَرَوْعَةُ الرَّجُلِ بِعِيَالِهِ - يَعْنِي فِي بَعْضِ الْأَحْيَانِ مِنَ الْفَاقَةِ - أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ كَذَا وَكَذَا سَنَةً. وَرَآهُ الْأَوْزَاعِيُّ بِبَيْرُوتَ وَعَلَى عُنُقِهِ حِزْمَةُ حَطَبٍ فَقَالَ: يَا أَبَا إِسْحَاقَ، إِنَّ إِخْوَانَكَ يَكْفُونَكَ هَذَا. فَقَالَ لَهُ: اسْكُتْ يَا أَبَا عَمْرٍو، فَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّهُ إِذَا وَقَفَ الرَّجُلُ مَوْقِفَ مَذَلَّةٍ فِي طَلَبِ الْحَلَالِ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ. وَخَرَجَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَمَرَّ بِطَبَرِيَّةَ، فَأَخَذَتْهُ الْمَسْلَحَةُ فِي الطَّرِيقِ فَقَالُوا: أَنْتَ عَبْدٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالُوا: آبِقٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَسَجَنُوهُ. فَبَلَغَ أَهْلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ خَبَرُهُ، فَجَاءُوا بِرُمَّتِهِمْ إِلَى نَائِبِ طَبَرِيَةَ فَقَالُوا: عَلَامَ
পৃষ্ঠা - ৮১২১


প্রতিটি অর্থে তুমিই কেন্দ্র বস্তু ৷ আমি আল্লাহর প্রশং সাকারী, আমি স্মরণকারী, আমি শোকর
পােযার ৷ আমি ক্ষুধার্ত, আমি নিরস্ত্র সিপাহী, আমি বস্ত্রহীন ৷ এগুলো হল ছয়ট৷ ৷ আমি তার
অর্ধেকের যিম্মাদ৷ ৷র ৷ হে আ ৷ল্লাহ্ ! তুমি বাকী অর্ধেকের যিম্মাদার হয়ে যাও ৷ আমার দ্বারা তু
ব্যতীত অন্যের প্রশং সা, অগ্নি অন্বেষণ করেত তা প্রজ্বলিত করার ন্যায় ৷ এরুপ যদি কোন সময় হয়
তাহলে তু তোমার বান্দাকে জাহান্ন৷ মে প্রবেশ করিয়ে প্রতিদান দাও ৷ ”

এরপর তিনি আমাকে বললেন, এ কাগজের টুকরাটা নিয়ে বের হয়ে যাও কিন্তু মহাপবিত্র
আল্লাহ তাআল৷ ব্যতীত অন্য কারো সাথে সম্পর্ক স্থাপন করবে না ৷ প্রথম যে ল্যেকটির সাথে
সাক্ষাৎ হয়ে তাকে এ কাগজের টুকরাটি প্রদান করবে ৷ আমি বের হলাম , দেখলাম একটি লোক
খচ্চরে সওয়ার হয়ে এদিকে আসৃছেন ৷ তাকে আমি পত্রটি দিলাম ৷ তিনি যখন এটা পাঠ করলেন,
তখন কাদলেন এবং আমাকে ছয়শত দীনার প্রদান করলেন ও চলে গেলেন ৷ খচ্চবে সওয়ার
ব্যক্তিটি সম্বন্ধে আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম যে, এ ব্যক্তিটি একজন খৃক্টান ৷
এরপর আমি ইবরাহীম (র)-এর নিকট আসলাম এবং তাকে যাবতীয় সংবাদ প্রদান করলাম ৷
তিনি বললেন, এখন কেউ আসবে এবং সালাম দেবে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ব্যক্তি আগমন
করেন, ইবরাহীম (র)-এর মাথার উপর ঝুকে পড়েন এবং সালাম করেন ৷ ইবরাহীম (র)
বলছিলেন, আমাদের প্রকৃত মনযিল সামনে এবং আমাদের মৃত্যুর পর আমাদের অনন্ত হায়াতের
শুরু ৷ এরপর কেউ যাবে জান্নাতে এবং কেউ যাবে জাহান্নামে ৷ তোমার কি চোখের সামনে
প্রতীয়মান হচ্ছে না তে তামার রুহ হরণের জন্য নিয়োজিত মৃত্যুর ফেরেশত৷ ও তার
সাহায্যকারীদের উপস্থিতি ? লক্ষ্য কর তখন কিভা ৷বে সং ঘটিত হবে তোমার বিয য়টি ৷ কবরে
অবস্থান গ্রহণের ভয়াল পরিস্থিতি ও মুনকার ৷ব-নাকীরের জিজ্ঞাসাবাদ কি ব ৷ন্দার জন্য প্রতীয়মান হয়
না ? লক্ষ্য কর তখন কি ভা ৷বে স ঘটিত হবে তোমার বিষয়টি? কিয়ামতের ভয় ভীতি দুষ্ট্ৰখ-কষ্ট,
আল্লাহ্র কাছে উপস্থিতি ও হিসাবের মুকাবিল৷ ই৩ ৷৷দির প্রতিচ্ছবি কি বান্দ ৷র চোখের সামনে
ভেসে উঠে না ? লক্ষ্য কর তখন কিভ৷ ৷বে সংঘটিত হবেতে তোমার বিষয়টি ? এরপর তিনি একটি
বিরাট চীৎক৷ ৷র দিলেন ও (বহুশ হয়ে গেলেন ৷ হুশ হওয়ার পর তবে কোন একজন সাথীর দিকে
নযর করে দেখেন যে, সে হাসছে ৷ তখন তিনি তাকে বললেন, যা হবে না তার প্রতি লোড করো
না; যা হবে তা তুলে যেয়ে৷ না ৷ তাকে বলা হল, কেমন করে এরুপ হবে হে আবুইসহাক ? তখন
তিনি বললেন, বেচে থাকার লোড করে৷ না অথচ মৃত্যু তোমাকে ভাকছে ৷ যে মরে যাবে যে
কেমন করে হাসে, যে জানে না কোথায় তাকে নিয়ে যাওয়া হবে, জান্নাতে না জাহান্নাদুম তাকে
নিয়ে যাওয়া হবে ? তুমি এ কথা ৷ভুলে যেয়াে না, মৃত্যু তোমার কাছে সকালেও ন্ত্রস্যে ৩পারে
কিৎব৷ বিকালেও আসতে পারে ৷ এরপর তিনি বললেন, উহ্ উহ্ এবং তিনি যে হুশ হয়ে পড়লেনঃ ৷
তিনি বলতেন, আমাদের মতো লোকদের কাছে আমাদের অভাব-অনটনের অভিযোগ করার
অধিকার নেই ৷ আবার আমাদের প্রতিপালকের কাছে অভাব-অনটনের দুরীভুত করার কথা ও
প্রহণীয় পদ্ধতিতে তা ৷রয করছি না ৷ এরপর তিনি বলতেন সর্বনাশ ঐ বান্দার জন্য যে দুনিয়াকে
ভালবাসল কিন্তু তার মনীবের কোষাগাবে যা রয়েছে৩ তা তুলে (গল ৷ তিনি আরো বলরু৩ ন, যদি
তুমি রাতে থাক নিদ্রি৩ , দিনে থাক হয়রান পেরেশান এবং গুনাহর মধ্যে সব সময় নিমজ্জিত
তাহলে তুমি ঐ সত্তাকে কেমন করে সন্তুষ্ট করতে পারবে যিনি তোমার যাবতীয় ব্যাপারে সজাগ ৷


سَجَنْتَ إِبْرَاهِيمَ بْنَ أَدْهَمَ؟ قَالَ: مَا سَجَنْتُهُ. قَالُوا: بَلَى، هُوَ فِي سِجْنِكَ. فَاسْتَحْضَرَهُ، فَقَالَ: عَلَامَ حُبِسْتَ؟ فَقَالَ: سَلِ الْمَسْلَحَةَ، قَالُوا: أَنْتَ عَبْدٌ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، وَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ. قَالُوا: وَأَنْتَ آبِقٌ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، وَأَنَا عَبْدٌ آبِقٌ مِنْ ذُنُوبِي. فَخَلَّى سَبِيلَهُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ مَرَّ مَعَ رُفْقَةٍ، فَإِذَا الْأَسَدُ عَلَى الطَّرِيقِ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ فَقَالَ لَهُ: يَا قَسْوَرَةُ، إِنْ كُنْتَ أُمِرْتَ فِينَا بِشَيْءٍ فَامْضِ لِمَا أُمِرْتَ بِهِ، وَإِلَّا فَعَوْدَكَ عَلَى بَدْئِكَ. قَالُوا: فَوَلَّى السَّبُعُ ذَاهِبًا يَضْرِبُ بِذَنَبِهِ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا إِبْرَاهِيمُ فَقَالَ: قُولُوا: اللَّهُمَّ احْرُسْنَا بِعَيْنِكَ الَّتِي لَا تَنَامُ، وَاكْنُفْنَا بِرُكْنِكَ الَّذِي لَا يُرَامُ، وَارْحَمْنَا بِقُدْرَتِكَ عَلَيْنَا، وَلَا نَهْلِكُ وَأَنْتَ رَجَاؤُنَا، يَا اللَّهُ، يَا اللَّهُ، يَا اللَّهُ. قَالَ خَلَفُ بْنُ تَمِيمٍ: فَمَا زِلْتُ أَقُولُهَا مُنْذُ سَمِعْتُهَا فَمَا عَرَضَ لِي لِصٌّ وَلَا غَيْرُهُ. وَقَدْ رُوِيَ لِهَذَا شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ. وَرُوِيَ أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَجَاءَهُ أُسْدٌ ثَلَاثَةٌ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَحَدُهُمْ، فَشَمَّ ثِيَابَهُ، ثُمَّ ذَهَبَ، فَرَبَضَ قَرِيبًا مِنْهُ، وَجَاءَ الثَّانِي فَفَعَلَ مِثْلَ كَذَلِكَ، وَجَاءَ الثَّالِثُ فَفَعَلَ كَذَلِكَ، وَاسْتَمَرَّ إِبْرَاهِيمُ فِي صِلَاتِهِ، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ السَّحَرِ قَالَ لَهُمْ: إِنْ كُنْتُمْ أُمِرْتُمْ بِشَيْءٍ فَهَلُمَّ، وَإِلَّا فَانْصَرِفُوا. فَانْصَرَفُوا. وَصَعِدَ مَرَّةً جَبَلًا بِمَكَّةَ وَمَعَهُ جَمَاعَةٌ، فَقَالَ لَهُمْ: لَوْ أَنَّ وَلِيًّا مِنْ أَوْلِيَاءِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৮১২২
قَالَ لِجَبَلٍ: زُلْ. لَزَالَ. فَتَحَرَّكَ الْجَبَلُ تَحْتَهُ، فَرَكَلَهُ بِرِجْلِهِ وَقَالَ: اسْكُنْ، فَإِنَّمَا ضَرَبْتُكَ مَثَلًا لِأَصْحَابِي. وَفِي رِوَايَةٍ: وَكَانَ الْجَبَلُ أَبَا قُبَيْسٍ. وَرَكِبَ مَرَّةً سَفِينَةً، فَأَخَذَهُمُ الْمَوْجُ ذَاتَ يَوْمٍ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ، فَلَفَّ إِبْرَاهِيمُ رَأْسَهُ بِكِسَائِهِ، وَاضْطَجَعَ، وَعَجَّ أَصْحَابُ السَّفِينَةِ بِالضَّجِيجِ، وَأَيْقَظُوهُ، وَقَالُوا: أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ؟ فَقَالَ: لَيْسَ هَذِهِ شِدَّةً، إِنَّمَا الشِّدَّةُ الْحَاجَةُ إِلَى النَّاسِ. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَرَيْتَنَا قُدْرَتَكَ فَأَرِنَا عَفْوَكَ. فَصَارَ الْبَحْرُ كَأَنَّهُ قَدَحُ زَيْتٍ. وَكَانَ قَدْ طَالَبَهُ صَاحِبُ السَّفِينَةِ بِأُجْرَةِ حَمْلِهِ دِينَارَيْنِ، وَأَلَحَّ عَلَيْهِ، فَخَرَجَ مَعَهُ مَرَّةً إِلَى جَزِيرَةٍ فِي الْبَحْرِ، فَقَالَ: أَيْنَ الدِّينَارَانِ. فَتَوَضَّأَ إِبْرَاهِيمُ، وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَدَعَا، فَإِذَا مَا حَوْلَهُ قَدْ مُلِئَ دَنَانِيرَ، فَقَالَ لَهُ خُذْ حَقَّكَ، وَلَا تَزِدْ، وَلَا تَذْكُرْ هَذَا لِأَحَدٍ. وَعَنْ حُذَيْفَةَ الْمَرْعَشِيِّ قَالَ: أَوَيْتُ أَنَا وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ إِلَى مَسْجِدٍ خَرَابٍ بِالْكُوفَةِ، وَكَانَ قَدْ مَضَى عَلَيْنَا أَيَّامٌ لَمْ نَأْكُلْ فِيهَا شَيْئًا، فَقَالَ لِي: كَأَنَّكَ جَائِعٌ. قُلْتُ: نَعَمْ. فَأَخَذَ رُقْعَةً فَكَتَبَ فِيهَا: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، أَنْتَ الْمَقْصُودُ إِلَيْهِ بِكُلِّ حَالٍ، الْمُشَارُ إِلَيْهِ بِكُلِّ مَعْنًى: أَنَا حَامِدٌ أَنَا شَاكِرٌ أَنَا ذَاكِرٌ ... أَنَا جَائِعٌ أَنَا نَائِعٌ أَنَا عَارِي
পৃষ্ঠা - ৮১২৩

তার কোন এক সাথী তাকে বৈরুভ্রু৩ র মসজিদে দেখতে পান ৷ তিনি তখন ক দছিলেন এবং
মাথায় হাত দিয়ে আঘাত করছিলেন ৷ তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কেন কাদছেন ?
তখন তিনি বললেন, আমি ঐ দিনটিকে স্মরণ করছি যেদিন অন্তর ও চোখসমুহ বিপর্যস্ত হয়ে
পড়বে ৷ তিনি আরো বললেন নিশ্চয়ই তুমি যখন গভীরতাবে তাওবার আয়নায় নযর করবে তখন
তোমার কাছে গুনাহর কদর্য দৃশাটি প্রকাশ পেয়ে যাবে ৷

তিনি আস-সাওরী (র)এর কাছে লিখেন : কোন ব্যক্তি যদি তার কাজ্যিত বস্তুটি চিনতে
পারে তাহলে সে যা দান করবে তা তার জন্য সহজ হয়ে যাবে ৷ যে ব্যক্তি নিজেরনয়নকে যথেচ্ছা
নযর করতে ছেড়ে দেবে তারদ ঘ্রখ বেড়ে যাবো যে তার নেক আশা ছেড়ে দেয় তার আমল
খারপ হয়ে যায় ৷ যে তার জিহ্বা বা তাষ ছেড়ে দিল সে যেন তার নিজেকে হত্যা করলা কোন

শ্াসকা র্তাকে জিজ্ঞাসা সাকরলেন তোমার জীবিকা কোথা থেকে আসে ? তখন তিনি নীচে

উল্লেখিত কবিতাটি আবৃত্তি করেন :

অর্থাৎ আমাদের দীনটাকে ঢুকরা ট্রুকরা করে তামাদের দুনিয়াটাকে আমরা তালি দেইা

অথচ আমাদের দুনিয়া টা বাকী থাকবে না (চিরন্থায়ী হবে না) আর আমরা যা ৩ গুলি দিচ্ছি তাও বা কী
থা বে না’ ’নিম্ন বর্ণিত পঙক্তিগুলো দিয়ো প্রা য় সময় তিনি উদাাহরং পেশ করতেনং :

)

াট্টা
অর্থাৎ “যেহেতু দুনিয়া৩ তার অকল্যাণগুলোর মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে, শিাওর কান্না কোন এক
সময় থেমে যাবে ৷ অন্যথায় আর কোন মন্দ বস্তুটি কি তাকে কাদাত্তে পারে ? দুনিয়ার মন্দগুলাের
মধ্যে কোন অনুগ্রহ ও প্ৰশান্তি নেই ৷ যখন কোন বান্দা দুনিয়ার চাকচিকা দেখতে পায় তখন

তাকোগত জানায় যেন সে ভবিষ্যতে যে সব দুং খ-দুর্দশারসাম্মুথী ন হবে এখনই তা দেখছে
বং শুনছে (এগুলো সহ্য করা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ৷ )” তিনি আরো ৰুলরু৩ ন :

ণ্ ’ প্ ) :

াঠুট্রুচু;

ংণ্ট্রি এেএইএ ’ ৷“,ঠুাস্থু,
৷ হু ট্রু,ঠু ১হ্বএ
অর্থাৎ “পাপকে দেখেছি তাতে অন্তর মরে যায়, পাপের বিরতিহীন৩া অওরক্লে অপমানি৩ ও
লাঞ্ছিত করো৩ তাই পাপ বর্জন অন্স রর জন্য নবজীবন লাভ ৷ নফসের অবাধ্যতা তোমার আত্মার



ামোঃ (হৈ তোা &fl- : :০াা

هِيَ سِتَّةٌ وَأَنَا الضَّمِينُ لِنِصْفِهَا فَكُنِ الضَّمِينَ لِنِصْفِهَا يَا بَارِي ... مَدْحِي لِغَيْرِكَ وَهْجُ نَارٍ خُضْتُهَا فَأَجِرْ عُبَيْدَكَ مِنْ دُخُولِ النَّارِ ثُمَّ قَالَ لِي: اخْرُجْ وَلَا تُعَلِّقْ قَلْبَكَ بِغَيْرِ اللَّهِ، وَادْفَعْ هَذِهِ الرُّقْعَةَ لِأَوَّلِ رَجُلٍ تَلْقَاهُ. فَخَرَجْتُ فَإِذَا رَجُلٌ عَلَى بَغْلَةٍ، فَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِ، فَلَمَّا قَرَأَهَا بَكَى، وَدَفَعَ إِلَيَّ سِتَّمِائَةِ دِينَارٍ وَانْصَرَفْتُ فَسَأَلْتُ رَجُلًا: مَنْ هَذَا الَّذِي عَلَى الْبَغْلَةِ؟ فَقَالَ: هُوَ رَجُلٌ نَصْرَانِيٌّ. فَجِئْتُ إِبْرَاهِيمَ، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: الْآنَ يَجِيءُ فَيُسْلِمُ. فَمَا كَانَ غَيْرَ قَرِيبٍ حَتَّى جَاءَ، فَأَكَبَّ عَلَى رَأْسِ إِبْرَاهِيمَ، وَأَسْلَمَ. وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ يَقُولُ: دَارُنَا أَمَامَنَا، وَحَيَاتُنَا بَعْدَ وَفَاتِنَا، فَإِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ، وَإِمَّا إِلَى النَّارِ. وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ يَقُولُ: مَثِّلْ لِبَصَرِ قَلْبِكَ حُضُورَ مَلَكِ الْمَوْتِ وَأَعْوَانِهِ لَقَبْضِ رُوحِكَ، وَانْظُرْ كَيْفَ تَكُونُ، وَمَثِّلْ لَهُ هَوْلَ الْمَطْلَعِ وَمُسَاءَلَةَ مُنْكَرٍ وَنَكِيرٍ، وَانْظُرْ كَيْفَ تَكُونُ، وَمَثِّلْ لَهُ الْقِيَامَةَ وَأَهْوَالَهَا وَأَفْزَاعَهَا وَالْعَرْضَ وَالْحِسَابَ، وَانْظُرْ كَيْفَ تَكُونُ. ثُمَّ صَرَخَ صَرْخَةً خَرَّ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ. وَنَظَرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ يَضْحَكُ فَقَالَ لَهُ: لَا تَطْمَعْ فِيمَا لَا يَكُونُ، وَلَا تَيْأَسْ مِمَّا يَكُونُ. فَقِيلَ لَهُ: كَيْفَ هَذَا يَا أَبَا إِسْحَاقَ؟ فَقَالَ: لَا تَطْمَعْ فِي الْبَقَاءِ وَالْمَوْتُ يَطْلُبُكَ، فَكَيْفَ يَضْحَكُ مَنْ يَمُوتُ وَلَا يَدْرِي أَيْنَ يَذْهَبُ; إِلَى
পৃষ্ঠা - ৮১২৪


জন্য মঙ্গল ৷ দেশে র দুষ্ট শাসকবর্গ, জ্ঞ ৷নপাপীর৷ এবং তথাকথিত সংসারত্০ ত্যাগীরা দীনকে বিপর্যস্ত
করে ৷ তার (কাজকর্মে) নিজেদেরকে বিক্রি করেছে কিন্তু তাতে তাদের মুনাফা (নওয়াব)
হয়নি ৷ আর বিক্রির কালে৩ ৷র৷ চড়৷ মুল৷ ও পায়নি ৷৩ তাই সম্প্রদায়ের লোকেরা তথা জনসাধরণ

মৃত দেহের দ্ভুপে বিচরর্ণ ও বসবাস করতে বাধ্য হয় যে মৃত দেহের দুর্গন্ধ বুদ্ধিমানের কাছে
অপ্রকাশ্য নয় ৷ ”

তিনি আরো বলেন ষ্ক তোমার লালিত পরহেযগারী তখনই পরিপুর্ণতা লাভ করবে যখন
তোমার অম্ভরে সমস্ত সৃষ্টিকুল একইরুপ মর্যাদা পাবে ৷ আর তুমি তোমার পাপের কথা স্মরণ
করবে ও তাদের (অপরের) দোষ বর্ণনা থেকে বিরত থাকবে ৷৩ তাই মহান প্ৰতিপালকের সন্তুষ্টি
লাভের লক্ষে বিনম্র চিত্তে তোমার সুন্দর সুন্দর কথা বলা উচিত ৷তােমার পাপের পরিণতির কথা
চিন্তা কর এবং তে তামার প্ৰতিপালকের দিকে তুমি প্রত্যাবর্তন কর, তাতে তোমার অম্ভরে
পরহেযপারীর বীজ অৎকু তহবে ৷ আর তোমার প্ৰতিপালক ব্যতীত সকলের থেকে লোড
লালস৷ ত্যাগ কর ৷ তিনিরি আরো বলেন৪ এটা মহ্ব্বতে তর চিহ্ন নয় যে, তুমি এমন বস্তুকে পসন্দ
করবে যা তোমার বন্ধুর কাছে অপসন্দনীয় , আমাদের প্রভু দুনিয়াকে খারাপ বলছেন, আর আমরা
তার প্রশংসা করছি ৷ তিনি দুনিয়াকে অপসন্দ করেন আর আমরা তা পসন্দ করছি ৷ তিনি দুনিয়াকে
অপসন্দ করেন আর আমরা তা পসন্দ করি ৷ আমরা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্ত বলে প্রকাশ করি অথচ
আমরা তাকে অগ্রাধিকা ৷র দেই এবং তার অন্বেষণে আমরা হই অতিশয় উৎসহী; তিনি দুনিয়া ৷টা
ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা তোমাদের কাছে অং পীক৷ ৷র করেছেন অথচ তোমরা ৷কেত সুরক্ষিত দুর্গ
বলে মনে করছ ৷ তিনি৩ তা অন্বেষণ করতে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন অথচ তোমরা তা
অন্বেষণ করছ , দুনিয়ার ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করার ব্যাপারেও তিনি তোমাদেরকে ভয়-ভীতি প্ৰদশ্নি
করেছেন অথচ তোমরা তা কুক্ষিগত ৩করছ; দুনিয়ার ঘোকাব ৷জির আহ্বানকারীরা তোমাদেরকে এ
ধোকাবাজির প্ৰতি ৩আহ্বান করেছে ৷ আর তোমরা এগুলোর ঘোষকের আহ্বানে অতি ৩দ্রুত সা ৷ড়া
দিচ্ছ; দুনিয়া তার পােভনীয় বস্তুগলোর মাধ্যমে তোমাদেরকে প্রভাবিত করেছে ও তার
আশা-আকাহ্মোগুলোকে তোমাদের কাছে ব্যক্ত করেছে, তোমরা বিনম্র চিত্তে এ বাসনা-
আকাক্ষোগুলোর প্ৰতি আনুগ৩ তা প্রকাশ করেছ, দুনিয়ার সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের মধ্যে তোমরা
গড়াগড়ি করছ , দুনিয়ার আরাম-আয়েশে তোমরা বিভো ৷র রয়েছ , দুনিয়ার লোভনীয় বন্তুগুলোর
উপভোগে মত্ত রয়েছ ; এগুলোর কিছু যাওয়ার জন্য নিজেদেরকে কলুষিত করছ ; লোভ-লালসার
বিরোধীদেরকে মুল উৎপাটন করছ ; লোভনীয় বস্তুসমুহের থনিতে (লাভের কােদাল দ্বারা মাটি
খনন করছ ৷

একদিন এক ব্যক্তি তার কাছে স্বীয় সভান-সম্ভতির আধিক্যের অভিযোগ পেশ করে ৷ তখন
তিনি বলেন,৩ তাদের মধ্য থেকে এমন ব্যক্তিকে আমার নিকট প্রেরণ কর যার বিযিকের ব্যবস্থা
করা অ ৷ল্লাহ্র দা ৷য়িত্বে নয় ৷ খনত ল্যেকটি চুপ করে গেল ৷

তিনি আরো বলেন, একদিন আমি কোন এক পাহাড়ে গমন করলে একটি পাথর দেখতে
পেলাম যার মধ্যে আ ৷রৰীতে লিখা ছিল ষ্

০ ষ্ ; শ্ £

’ ষ্ ষ্ ,
৮ব্লে


جَنَّةٍ أَمْ إِلَى نَارٍ؟! وَلَا تَيْأَسْ مِمَّا يَكُونُ، الْمَوْتُ يَأْتِيكَ صَبَاحًا أَوْ مَسَاءً. ثُمَّ قَالَ: أَوَّهْ أَوَّهْ. ثُمَّ خَرَّ مَغْشِيًّا عَلَيْهِ. وَكَانَ يَقُولُ: مَا لَنَا نَشْكُو فَقْرَنَا إِلَى مِثْلِنَا، وَلَا نَسْأَلُ كَشْفَهُ مِنْ رَبِّنَا. ثُمَّ يَقُولُ: ثَكِلَتْ عَبْدًا أَمُّهُ أَحَبَّ الدُّنْيَا، وَنَسِيَ مَا فِي خَزَائِنِ مَوْلَاهُ. وَقَالَ: إِذَا كُنْتَ بِاللَّيْلِ نَائِمًا، وَبِالنَّهَارِ هَائِمًا، وَبِالْمَعَاصِي دَائِمًا، فَكَيْفَ يَرْضَى مَنْ هُوَ بِأَمْرِكَ قَائِمًا. وَرَآهُ بَعْضُ أَصْحَابِهِ بِمَسْجِدِ بَيْرُوتَ وَهُوَ يَبْكِي، وَيَضْرِبُ بِيَدَيْهِ عَلَى رَأْسِهِ، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكَ؟ فَقَالَ ذَكَرْتُ يَوْمًا تَنْقَلِبُ فِيهِ الْقُلُوبُ وَالْأَبْصَارُ. وَقَالَ: إِنَّكَ كُلَّمَا أَمْعَنْتَ النَّظَرَ فِي مِرْآةِ التَّوْبَةِ بَانَ لَكَ قُبْحُ شَيْنِ الْمَعْصِيَةِ. وَكَتَبَ إِلَى الثَّوْرِيِّ: مَنْ عَرَفَ مَا يَطْلُبُ هَانَ عَلَيْهِ مَا يَبْذُلُ، وَمَنْ أَطْلَقَ بَصَرَهُ طَالَ أَسَفُهُ، وَمَنْ أَطْلَقَ أَمَلَهُ سَاءَ عَمَلُهُ، وَمَنْ أَطْلَقَ لِسَانَهُ قَتَلَ نَفْسَهُ. وَسَأَلَهُ بَعْضُ الْوُلَاةِ: مِنْ أَيْنَ مَعِيشَتُكَ؟ فَأَنْشَأَ يَقُولُ: نُرَقِّعُ دُنْيَانَا بِتَمْزِيقِ دِينِنَا ... فَلَا دِينُنَا يَبْقَى وَلَا مَا نُرَقِّعُ وَكَانَ كَثِيرًا مَا يَتَمَثَّلُ بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ:
পৃষ্ঠা - ৮১২৫


র্দু,ৰু;ৰুা; ,া;গুরু

অর্থাৎ “প্রতিটি জীবিত বস্তু যদিও প্রাণে বেচে আছে তবুও সে সুখস্বাচ্ছন্দাময় জীবনের
প্রত্যাশা করে ৷ সুতরাং বর্তমানে কাজ কর ও কঠোর পরিশ্রম কর হে হতভাগা ! মৃত্যুকে ভয়
কর ৷

ইব্রাহীম ইবন আদহাম (র) বলেন, আমি সেখা ৷নে দ৷ ড়িয়ে তা পড়ছিলাম এবং কাদছিলাম ৷
হঠাৎ দেখি একজন কেশধ ৷ধারী, ধুলাবা ৷লিতে পরিপুর্ণ পশ মের তৈরি লম্বা জামা পরিহিত এক ব্যক্তি
উপস্থিত, সালাম করলেন এবং বললেন, তুমি কেন র্কাদছ ? আমি বললাম, এটা পড়ে আমি
র্কাদছি ৷ তিনি তখন আমার হাত ধরলেন এবং কিছুদুর অগ্রসর হলেন ৷ সেখানে দেখলাম,
মিহরাবের ন্যায় একটি বিরাট পাথর ৷ তিনি আমাকে বললেন, এ লেখাগুলো পড় , ক্রন্দন কর এবং

এ ক্রন্দনে কৃপণতা করো না ৷ এ কথা বলে তিনি দভো তালেন এবং সালাত আদায় করতে লাপলেন ৷
পাথরের উপরাংশে আ রবী ভাষায় স্পষ্ট নকশা ছিল০ :

খু

অর্থাৎ “পদমর্যাদা অম্বেষণ করো না এবং তোমার বপ্রভুর কাছে তোমার পদমর্যাদা লোপ পেয়ে
যাবে (একদিন) ৷ সুতরাং তোমার পদমর্যাদার ব্যাপারে আপােসকারী হয়ে যাও ৷

শ্ন্বৰুথরটির এক পাশে স্পষ্ট আরবীতে আরো একটি নকশা ছিল :

স্ঠুট্রু;৷ ৷ হ্র,ন্নু র্চুটুছুপু১ ওৰু৷ এর্মুচট্রুা৷ট্রু ;ক্রো ১ ;,:; ণ্ ৷ পু,;
অর্থ ৎ যে ব্যক্তি তাকদীরের উপর অবিচলিত থাকে না সে অত্যন্ত ক্ষতিকর দুশ্চিন্তার
মুখোমুখি হবে (একদিন) ৷
পাথরটির বাম পার্ষে আরবীতে অন্য একটি স্পষ্ট নকশা ছিল :


অর্থাৎ “পরহেযপারী কতই না সৌন্দর্যময় এবং পালি-গালাজ কতই না কুৎসিত ! প্রতিটি প্রাণী

তার অর্জিত কাজ সম্পর্কে দা ৷য়িতু শীল এবং অ আল্লাহর কাছে রয়েছে তার প্রতিদান ৷” ন্
মিহ্রাবের নীচে যমীনের কয়েকগজ উপরে লিখিত ছিল :

অর্থাৎ “সফলকাম ও সম্পদের অধিকারী হওয়া কর্তব্য সাধন ও অল্লোহ্ভীতির মধ্যে নিহিত ৷ ”
তিনি আ ড়ারো বলেন :

যখন আমি এটা পড়ে শেষ করলাম নয়র করে দেখি সে লোকটি সেখানে আর নেই, জানি না
তিনি কি চলে পেলেন, না আমার থেকে আড়াল হলেন ৷

তিনি আরো বলেন ং “কিয়ামরু৩ র দিন দড়াড়িপাল্লায় ঐ আমলটি হয়ে সবচেয়ে তা ৷রী যা
আমলকারীদের শরীরের উপর অন্যান্য আমলের চেয়ে বেশী তা ৷রী ৷ যে ব্যক্তি কোন একটি কাজ

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১০ম খণ্ড)--৩২


لِمَا تُوعِدُ الدُّنْيَا بِهِ مِنْ شُرُورِهَا ... يَكُونُ بُكَاءُ الطِّفْلِ سَاعَةَ يُوضَعُ وَإِلَّا فَمَا يُبْكِيهِ مِنْهَا وَإِنَّهَا ... لَأَرْوَحُ مِمَّا كَانَ فِيهِ وَأَوْسَعُ إِذَا أَبْصَرَ الدُّنْيَا اسْتَهَلَّ كَأَنَّمَا ... يَرَى مَا سَيَلْقَى مِنْ أَذَاهَا وَيَسْمَعُ وَكَانَ يَتَمَثَّلُ أَيْضًا بِهَذِهِ الْأَبْيَاتِ: رَأَيْتُ الذُّنُوبَ تُمِيتُ الْقُلُوبَ ... وَيُتْبِعُهَا الذَّلَ إِدْمَانُهَا وَتَرْكُ الذُّنُوبِ حَيَاةُ الْقُلُو ... بِ وَالْخَيْرُ لِلنَّفْسِ عِصْيَانُهَا وَمَا أَهْلَكَ الدِّينَ إِلَّا الْمُلُوكُ ... وَأَحْبَارُ سُوءٍ وَرُهْبَانُهَا وَبَاعُوا النُّفُوسَ فَلَمْ يَرْبَحُوا ... وَلَمْ يَغْلُ بِالْبَيْعِ أَثْمَانُهَا لَقَدْ وَقَعَ الْقَوْمِ فِي جِيفَةٍ ... تَبِينُ لِذِي اللُّبِ أَنْتَانُهَا وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ: إِنَّمَا يَتِمُّ الْوَرَعُ بِتَسْوِيَةِ كُلِّ الْخَلْقِ فِي قَلْبِكَ، وَالِاشْتِغَالِ عَنْ عُيُوبِهِمْ بِذَنْبِكَ، وَعَلَيْكَ بِاللَّفْظِ الْجَمِيلِ مِنْ قَلْبٍ ذَلِيلٍ لِرَبٍّ جَلِيلٍ، فَكِّرْ فِي ذَنْبِكَ، وَتُبْ إِلَى رَبِّكَ يَثْبُتُ الْوَرَعُ فِي قَلْبِكَ، وَاقْطَعِ الطَّمَعَ إِلَّا مِنْ رَبِّكَ. وَقَالَ أَيْضًا: لَيْسَ مِنْ أَعْلَامِ الْحُبِّ أَنْ تُحِبَّ مَا يُبْغِضُهُ حَبِيبُكَ، ذَمَّ مَوْلَانَا
পৃষ্ঠা - ৮১২৬
الدُّنْيَا فَمَدَحْنَاهَا، وَأَبْغَضَهَا فَأَحْبَبْنَاهَا، وَزَهَّدَنَا فِيهَا فَآثَرْنَاهَا، وَرَغَّبَنَا فِي طَلَبِهَا، وَوَعَدَكُمْ خَرَابَ الدُّنْيَا فَحَصَّنْتُمُوهَا، وَنَهَاكُمْ عَنْ طَلَبِهَا فَطَلَبْتُمُوهَا، وَأَنْذَرَكُمُ الْكُنُوزَ فَكَنَزْتُمُوهَا، دَعَتْكُمْ إِلَى هَذِهِ الْغَرَّارَةِ دَوَاعِيهَا، فَأَجَبْتُمْ مُسْرِعِينَ مُنَادِيَهَا، خَدَعَتْكُمْ بِغُرُورِهَا، وَمَنَّتْكُمْ فَأَقْرَرْتُمْ خَاضِعِينَ لِأَمَانِيِّهَا، تَتَمَرَّغُونَ فِي زَهَرَاتِهَا، وَتَتَنَعَّمُونَ فِي لَذَّاتِهَا، وَتَتَقَلَّبُونَ فِي شَهَوَاتِهَا، وَتَتَلَوَّثُونَ بِتَبِعَاتِهَا، تَنْبُشُونَ بِمَخَالِبِ الْحِرْصِ عَنْ خَزَائِنِهَا، وَتَحْفِرُونَ بِمَعَاوِلِ الطَّمَعِ فِي مَعَادِنِهَا. وَشَكَى رَجُلٌ إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ كَثْرَةَ الْعِيَالِ فَقَالَ: ابْعَثْ إِلَيَّ مِنْهُمْ مَنْ لَا رِزْقُهُ عَلَى اللَّهِ. فَسَكَتَ الرَّجُلُ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ: مَرَرْتُ فِي بَعْضِ جِبَالِ الشَّامِ فَإِذَا بِحَجَرٍ مَكْتُوبٍ عَلَيْهِ بِالْعَرَبِيَّةِ: كُلُّ حَيٍّ وَإِنْ بَقِيَ ... فَمِنَ الْعُمْرِ يَسْتَقِي فَاعَمَلِ الْيَوْمَ وَاجْتَهِدْ ... وَاحْذَرِ الْمَوْتَ يَا شَقِي فَبَيْنَا أَنَا وَاقِفٌ أَقْرَأُ وَأَبْكِي، إِذَا بِرَجُلٍ أَشْعَثَ أَغْبَرَ عَلَيْهِ مِدْرَعَةٌ مِنْ شَعْرٍ، فَسَلَّمَ وَقَالَ: مِمَّ تَبْكِي؟ فَقُلْتُ: مِنْ هَذَا. فَأَخَذَ بِيَدِي وَمَضَى غَيْرَ بَعِيدٍ، فَإِذَا صَخْرَةٌ عَظِيمَةٌ مِثْلُ الْمِحْرَابِ فَقَالَ: اقْرَأْ وَابْكِ، وَلَا تُقَصِّرْ. وَقَامَ هُوَ يُصَلِّي فَإِذَا فِي أَعْلَاهُ نَقْشٌ بَيِّنٌ عَرَبِيٌّ:
পৃষ্ঠা - ৮১২৭


পবিপুর্ণ৩৷ বে সম্পাদন করে সে ত র পরিপুর্ণ মজুরী পায় ৷ আর যে ব্যক্তি মোটেই আ মল করল না
যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে কম বেশী আমলবিহীন অবস্থা য় আখিরাতে চলে যাবে ৷”

তিনি আরো বলেন০ : “যে শাসক ন্যায়পরায়ণ হতে পারেন না তিনি ও চোর একই পর্যায়ের
ব্যক্তি, যে আলিম পরহেযপার হতে পারেন না তিনি ও নেকড়ে একই স্তরের এবং যে ব্যক্তি
আল্লাহ ব্যতীত অন্যের খিদমত করে সে এবং কুকুর একই পর্যায়ভুক্ত ৷

তিনি আরো বলেন : “যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদতে আল্লাহর জন্য লাঞ্ছিত হন তার উচিত নয়
যে, তিনি তার ক্ষুধার্ত অবস্থায় আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে লাঞ্ছিত হন ৷ তাহলে এটা কেমন

করে ঐ ব্যক্তির জন্য সম্ভব হবে যিনি আল্লাহর নিআমতে অবগাহন করছেন এবং এটাও ৷ বজন্য
যথেষ্ট ৷”

তিনি আরো বলেন : “আমাদের কথায় এরাব (যের , যবর ও পেশ ) দিয়েছি তাই আমরা ভুল
করিনি ৷ আর আমরা আমাদের আমলে ভুল করেছি, ইরাব দেয়ার সুযোগ পাইনি ৷” তিনি আরো
বলেন : “যখন আমরা কোন যুবককে মজলিসে বিনা কারণে কথাবার্তা বলতে (দখতাম তখন
আমরা তার কল্যাণ থেকে নিরাশ হয়ে পড়তাম ৷” তিনি আরো বলেন ও “উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ !
মানুষ থেকে এক পাশে সরে র্দাড়াও কিন্তু জুম্আ ও জামাআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না ৷”

হাফিয আবু বকর আলখাতীব (র) বলেন, কাযী আবু মুহাম্মাদ আল-হসােন ইবন হাসান ইবন
মুহাম্মদ ইবন যামীন আল-ইসতারাবাদী বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “আবদুল্লাহ ইবন ঘু০ ; ৷ ন্মদ
আলহুমায়দী আশ-শীরাযী (র) বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, কাযী আহমদ ইবন খারযাদ
আল-আহওয়াযী বলেন, আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন আলী ইবন মুহাম্মদ আল-কাসরী ৷ তিনি
বলেন, আমাকে হাদীস বংনাি করেছেন০ : আহমদ ইবন য়ুহানদ হালবী তিনি বলেনং আ ৷মি সারী
সাক্তীকে বলতে শুনেছি৪ আমি বিশর ইবন আল-হ ৷রছ৷ আল হাফী (র) কে বলতে শুনেছিং
ইব্রাহীম ইবন আদহাম (র) বলেন , একদিন আ ৷মি এক সংসার ত্যাগী সন্না৷সীর কাছে দাড়ালাম ৷
তিনি আমার দিকে ডীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তা কালেন ৷ তখন আমি তাকে বললাম, আপনি অামাকে কিছু
নসীহত করুন ৷ তিনি তখন বলতে লাগলেন :



এে’এ এন্ৰুস্ বুঠুহ্র চ্;ছু তাংণ্শ্রা ;)’; ১ছু
াটুঠুৰু,া



অর্থাৎ “মানুষ থেকে পৃথক থাক, দুশমনের প্রতি সন্নক্লত্ত্বসী হও ৷ যুগ আমাকে ছায়া দিয়েছে,
বহু আশ্চর্য বস্তু আমাকে প্রদর্শন করেছে ৷ মানুষকে যেরুপ চাও বদল করে নাও ৷ তাদেরকে ৷বচ্ছু
সদৃশ পাবে ৷”

বিশৃর (র) বলেন, আমি ইবরাহীম (র) কে বললাম এটাও তোমার জন্য ছিল সন্নব্রড়াসীর
নসীহত ৷ ইিত তুমি আমাকে কিছু নসীহত কর ৷ তখন বলতে লাগলেন০ ং



لَا تَبْتَغِي جَاهًا وَجَاهُكَ سَاقِطٌ ... عِنْدَ الْمَلِيكِ وَكُنْ لِجَاهِكَ مُصْلِحًا وَفِي الْجَانِبِ الْآخَرِ نَقْشٌ بَيِّنٌ عَرَبِيٌّ: مَنْ لَمْ يَثِقْ بِالْقَضَاءِ وَالْقَدَرِ ... لَاقَى هُمُومًا كَثِيرَةَ الضَّرَرْ وَفِي الْجَانِبِ الْأَيْسَرِ مِنْهُ نَقْشُ بَيِّنٌ عَرَبِيٌّ: مَا أَزْيَنَ التُّقَى ، وَمَا أَقْبَحَ الْخَنَا ، وَكُلٌّ مَأْخُوذٌ بِمَا جَنَى ، وَعِنْدَ اللَّهِ الْجَزَا. وَفِي أَسْفَلِ الْمِحْرَابِ فَوْقَ الْأَرْضِ بِذِرَاعٍ أَوْ أَكْثَرَ: إِنَّمَا الْفَوْزُ وَالْغِنَى ... فِي تُقَى اللَّهِ وَالْعَمَلْ قَالَ: فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنَ الْقِرَاءَةِ الْتَفَتُّ فَإِذَا لَيْسَ الرَّجُلُ هُنَاكَ، فَمَا أَدْرِي انْصَرَفَ أَوْ حُجِبَ عَنِّي؟ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ: أَثْقَلُ الْأَعْمَالِ فِي الْمِيزَانِ أَثْقَلُهَا عَلَى الْأَبْدَانِ، وَمَنْ وَفَّى الْعَمَلَ وُفِّيَ لَهُ الْأَجْرُ، وَمَنْ لَمْ يَعْمَلْ رَحَلَ مِنَ الدُّنْيَا إِلَى الْآخِرَةِ بِلَا قَلِيلٍ وَلَا كَثِيرٍ. وَقَالَ أَيْضًا: كُلُّ سُلْطَانٍ لَا يَكُونُ عَادِلًا فَهُوَ وَاللِّصُّ بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ، وَكُلُّ عَالَمٍ لَا يَكُونُ وَرِعًا فَهُوَ وَالذِّئْبُ بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ، وَكُلُّ مَنْ خَدَمَ سِوَى اللَّهِ فَهُوَ وَالْكَلْبُ بِمَنْزِلَةٍ وَاحِدَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৮১২৮


া ;ৰু,,দ্বুা; ৷,,গ্লু,’৷ পু-,হ্র, ব্লু১৷ ৷ ;,, ৷; ; ৷ পু,,,া,পু,পু<,
া,১াধ্রু, ৷দ্বুণ্,’;শু;ৰু ৰু৷ ৷ ,,ব্ল ;ণ্;াপ্ ৷;ৰুা৷, ১া৷, , ৷,;ৰু৷ ৷ ১;ওৰু ১১১

অর্থাৎ “ভাইদের থেকে একা হয়ে পড় ৷ কোন বন্ধুর খোজ করো না, কাউকে বন্ধু করো না
:কান সাথীর খোজ করো না ৷ আদম বং শর কার্যত সামিরী হয়ে যাও ৷ যতদুর তোমার পকে সম্ভব
এক দিকে সরে অবস্থান কর ৷ কেননা সমাজের প্রেম-প্রীতি, ভ্রাতৃতু ও ভাইয়ের৷ ৰিনষ্ট হয়ে
গিয়েছে ৷ এখন তুমি শুধু দেখছ প্রতারক বন্ধু ও মিথ্যাবাদী ৷ তখন আমি বললাম, যদি এটাকে
দৃশ্চিন্তা বলে আখ্যায়িত না করা হত এবং আমার অবস্থাকে তুমি অপসন্দ না করতে তাহলে আমি
বলতাম যে, তুমি সন্নব্রাসী হয়ে গেছ ৷”

সারী (র) বললেন “তখন আমি বিশর (র) বুক বললাম, এটারু তা ছিল তোমার জন্য
ইবরাহীম (র)-এর প্রদত্ত নসীহত ৷ তুমি এখন আমাকে কিছু নসীহত কর ৷ তিনি বললেন,
“তোমার উচিত অপরিচিত থাকা ও ঘরে বসে থাকা ৷” তখন আমি বললাম , আল-হাসান (র)
থেকে আমি জানতে পেয়েছি, তিনি বলেছেন, যদি রাতের আগমন না ঘটত এবং ভাইদের সাথে
মুলাকাত না হত তাহলে আমি কখন মৃত্যুবরণ করব তার কোন চিন্তাই করতাম না ৷ তিনি আরো
বলতে লাগলেন :

;


;, ৷


অর্থাৎ “হে মানুষ ৷ যে ভাইদের সাক্ষাতে খুশি হও তাকে তুমি ছেড়ে দাও , তাহলে তু
শয়তানের ঘোকা থেকে বেচে যাবে ৷ কিয়ামতও তার স্মরণ থেকে জনগণের অন্তবসর্মুহ চিম্ভামুক্ত
হয়েছে ৷ দুনিয়াদারর৷ লোভ-লালসায় ও ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷ তুমি যাদেরকে
দেখছ তাদের মজলিসপ্ ও তাদের কথাবার্তা সম্মানক্ষুগ্ন করতে ও তন্ত সমুহের মৃত্যু ঘটাতে
নিয়োজিত হয়ে পড়েছে ৷”

আল-হালাবী (র) বলেন, আমি সারীকে বললাম ৷ এটাতেম্ব ছিল বিশর (রন্)-এর নসীহত ৷
তুমি আমাকে কিছু নসীহত কর ৷ তিনি বললেন, তোমার উচিত মুল্যহীন হয়ে যাওয়া ৷ আমি
তাকে বললাম, এটা আমি পসন্দ করি ৷ তখন তিনি বলতে লাগলেন :




وَقَالَ أَيْضًا: أَعْرَبْنَا فِي الْمَقَالِ حَتَّى لَمْ نَلْحَنْ، وَلَحَنَّا فِي الْفِعَالِ حَتَّى لَمْ نُعْرِبُ. وَقَالَ: كُنَّا إِذَا رَأَيْنَا الشَّابَّ يَتَكَلَّمُ فِي الْمَجْلِسِ أَيِسْنَا مِنْ خَيْرِهِ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لِأَصْحَابِهِ: جَانِبُوا النَّاسَ، وَلَا تَنْقَطِعُوا عَنْ جُمْعَةٍ وَلَا جَمَاعَةٍ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ: أَخْبَرَنَا الْقَاضِي أَبُو مُحَمَّدٍ الْحَسَنُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ رَامِينَ الْإِسْتَرَابَاذِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحُمَيْدِيُّ الشِّيرَازِيُّ، أَنْبَأَنَا الْقَاضِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُرَّزَادَ الْأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْقَصْرِيُّ، حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَلَبِيُّ، سَمِعْتُ سَرِيًّا السَّقَطِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ بِشْرَ بْنَ الْحَارِثِ الْحَافِي يَقُولُ: قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ: وَقَفْتُ عَلَى رَاهِبٍ فِي جَبَلِ لُبْنَانَ، فَأَشْرَفَ عَلَيَّ فَقُلْتُ لَهُ: عِظْنِي. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: خُذْ عَنِ النَّاسِ جَانِبًا ... كَيْ يَعُدُّوكَ رَاهِبًا إِنَّ دَهْرًا أَظَلَّنِي ... قَدْ أَرَانِي الْعَجَائِبَا
পৃষ্ঠা - ৮১২৯


অর্থাৎ “হে মানুষ ! যে নিজের ধ ৷রণায় মুল্যহীন হতে ইচ্ছা করে ৷ যদি তা সত্যই হয়ে থাকে
তাহলে তুমি কয়েকটি কাজের জন্যে তৈরি হয়ে যাও ৷ হে ভাই ! মজলিস ও পর্যালোচনার সভা
ত্যাগ করতে হবে, সালাত আদায়ের জন্য বের হওয়াকে চিন্তার মধ্যে রাখতে হবে ৷ বরং তুমি এ

পৃথিবীতে এমনভাবে বেচে থাকবে যেন তুমি এরুপ মৃত যে প্রতিবেশীরাও তোমার সাথে
সাক্ষাতের আশা করতে পারে না ৷

আলী ইবন মুহাম্মাদ আ ল-ক৷ ৷সরী (র) বলেন, আমি হ লাবী (র) কে বললাম, এটাভ্রু৩ ৷ ছিল
তে ৷মার জন্য সারীর নসীহত ৷ এখন আমাকে এটা নসীহত করুন ৷ তিনি বললেন, “হে আমার
ভাই ! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হল যা দৃনিয়ায় অবস্থানকারী পরহেয়পারের কলব
থেকে আল্লাহর দিকে আরোহণ করে ৷ সুতরাং দুনিয়ার পরহেযগার হও তাহলে আল্লাহ তোমাকে
ভালবাসবেন ৷” এরপর তিনি বলতে লাগলেন :

ঞক্রো এ্যাএে



অর্থাৎ “তুমি এমন এক জগঃ৩ ব বাসিন্দা যেখানে লোকেরা শত্রুর বিপদে খুশী হয় ৷ সুতরাং
তুমি এখান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রস্তুতি ৩গ্রহণ কর ৷ দুনিয়াটাকে এমন মনে কর যেদিন পৃথিবীটা
তোমার আশা আকাক্ষে ক্ষোপুর্ণ করা থেকে নিশ্চুপ হয়ে যাবে ৷ আর তোমার মৃ৩ র দিন যখঃ ন দুানয়া
নিশ্চুপ হয়ে যাবে সেদিন তুমি ঈদুল ফিতর উদয৷ ৷পন করবে ৷”

ইবন খারযাদ (র) বলেন, আমি আলী (র)-কে বললাম , এটাও ছিল তোমার জন্য আল-
হালাবী (র)-এর নসীহত ৷ এখন তুমি আমাকে একটু নসীহত কর ৷ তখন তিনি আমাকে বললেন,
তুমি সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের উপর প্রত্যয় ন্থাপন কর ৷
তোমার অন্তর থােক পার্থিব জিনিস পত্রের মহব্বত বের করে দাও, তাতে তোমার গোপন রহস্য
তোমার সামনে প্রকাশ হয়ে পড়বে ৷ তোমার সম্পর্কে আলোচনা সকলের কাছে স্থান পাবে ৷
এরপর তিনি আমার উদ্দেশ্যে নিম্নের পঙক্তিগুলাে আবৃত্তি করলেন :

§ ৩ এ




শ্


অর্থাৎ “৫৩ামার জীবনের সময়টুকু কয়েকটি শ্বাস-নিশ্বাসের সমষ্টি ৷ যখনই এগুলো থেকে
কোন একটি চলে যায় তখনই যেন এর দ্বার বা একটি অংশ হাস পেয়ে যায় ৷ এমতাবস্থায় মি
সকাল বেলা ৷ট৷ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় অতিবাহিত কর এবং অনুরুপ বিকাল বেল ৷টাও অতিবাহিত
কর ৷ প্রতিটি মুহুর্তে যে সত্তা তোমাকে বীচিয়ে রাখছেন তিনিই তোমাকে মৃত্যু দান করবেন ৷ যে
বস্তুটি তোমার ঠা ট্টাও তামাশা বৃদ্ধি করে তা নিয়ে রাগাম্বিত অবস্থায় বসবাস করতে তিনি তোমাকে
বা বা করছেন ৷ ”

ধ্

قَلِّبِ النَّاسَ كَيْفَ شِئْ ... تَ تَجِدْهُمْ عَقَارِبًا قَالَ بِشْرٌ: فَقُلْتُ لِإِبْرَاهِيمَ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ الرَّاهِبِ لَكَ، فَعِظْنِي أَنْتَ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: تَوَحَّشْ مِنَ الْإِخْوَانِ لَا تَبْغِ مُؤْنِسًا ... وَلَا تَتَّخِذْ خِلًّا وَلَا تَبْغِ صَاحِبًا وَكُنْ سَامِرِيَّ الْفِعْلِ مِنْ نَسْلِ آدَمِ ... وَكُنْ أَوْحَدِيًّا مَا قَدَرْتَ مُجَانِبَا فَقَدْ فَسَدَ الْإِخْوَانُ وَالْحُبُّ وْالْإِخَا ... فَلَسْتَ تَرَى إِلَّا مَذُوقًا وَكَاذِبَا فَقُلْتُ وَلَوْلَا أَنْ يُقَالَ مُدَهْدَهٌ ... وَتُنْكَرُ حَالَاتِي لَقَدْ صِرْتُ رَاهِبًا قَالَ سَرِيٌّ: فَقُلْتُ لِبِشْرٍ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ إِبْرَاهِيمَ لَكَ، فَعِظْنِي أَنْتَ. فَقَالَ: عَلَيْكَ بِلُزُومِ بَيْتِكِ. فَقُلْتُ: بَلَغَنِي عَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ قَالَ: لَوْلَا اللَّيْلُ وَمُلَاقَاةُ الْإِخْوَانِ مَا كُنْتُ أُبَالِي مَتَى مُتُّ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: يَا مَنْ يُسَرُّ بِرُؤْيَةِ الْإِخْوَانِ ... مَهْلًا أَمِنْتَ مَكَائِدَ الشَّيْطَانِ خَلَتِ الْقُلُوبُ مِنَ الْمَعَادِ وَذِكْرِهِ ... وَتَشَاغَلُوا بِالْحِرْصِ وَالْخُسْرَانِ صَارَتْ مَجَالِسُ مَنْ تَرَى وَحَدِيثُهُمْ ... فِي هَتْكِ مَسْتُورٍ وَخَلْقِ قُرَانِ قَالَ الْحَلَبِيُّ: فَقُلْتُ لِسَرِيٍّ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ بِشْرٍ لَكَ، فَعِظْنِي أَنْتَ. فَقَالَ: عَلَيْكَ بِالْإِخْمَالِ. فَقُلْتُ: إِنِّي أُحِبُّ ذَاكَ فَأَنْشَأَ يَقُولُ: يَا مَنْ يُرِيدُ بِزَعْمِهِ إِخْمَالَا ... إِنْ كَانَ حَقًا فَاسْتَعِدَّ خِصَالَا تَرْكُ الْمَجَالِسِ وَالتَّذَاكُرِ يَا أَخِي ... وَاجْعَلْ خُرُوجَكَ لِلصَّلَاةِ خَيَالَا
পৃষ্ঠা - ৮১৩০
بَلْ كُنْ بِهَا حَيًّا كَأَنَّكَ مَيَّتٌ لَا يَرْتَجِي مِنْهُ الْقَرِيبُ وِصَالَا قَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْقَصْرِيُّ: قُلْتُ لِلْحَلَبِيِّ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ سَرِيٍّ لَكَ، فَعِظْنِي أَنْتَ. فَقَالَ: يَا أَخِي، أَحَبُّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ مَا أُصْدِرَ إِلَيْهِ مِنْ قَلْبٍ زَاهِدٍ فِي الدُّنْيَا، فَازْهَدْ فِي الدُّنْيَا يُحِبَّكَ اللَّهُ. ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ: أَنْتَ فِيِ دَارِ شَتَاتٍ ... فَتَأَهَّبْ لِشَتَاتِكَ وَاجْعَلِ الدُّنْيَا كَيَوْمٍ ... صُمْتَهُ عَنْ شَهَوَاتِكَ وَاجْعَلِ الْفِطْرَ إِذَا مَا ... صُمْتَهُ يَوْمَ وَفَاتِكَ قَالَ ابْنُ خُرَّزَادَ: فَقُلْتُ لِعَلِيٍّ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ الْحَلَبِيِّ لَكَ، فَعِظْنِي أَنْتَ. فَقَالَ لِي: احْفَظْ وَقْتَكَ وَاسْخُ بِنَفْسِكَ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَانْزِعْ قِيمَةَ الْأَشْيَاءِ عَنْ قَلْبِكَ يَصْفُ لَكَ بِذَلِكَ سِرُّكَ، وَيَزْكُ بِهِ ذِكْرُكَ. ثُمَّ أَنْشَدَنِي: حَيَاتُكَ أَنْفَاسٌ تُعَدُّ فَكُلَّمَا ... مَضَى نَفَسٌ مِنْهَا انْتُقِصْتَ بِهِ جُزْءًا فَتُصْبحُ فِي نَقْصٍ وَتُمْسِي بِمِثْلِهِ ... وَمَا لَكَ مَعْقُولٌ تُحِسُّ بِهِ رُزْءًا يُمِيتُكَ مَا يُحْيِيكَ فِي كُلِّ سَاعَةٍ ... وَيَحْدُوكَ حَادٍ مَا يُرِيدُ بِكَ الْهُزْءَا قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ: قُلْتُ لِأَحْمَدَ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ عَلِيٍّ لَكَ، فَعِظْنِي. فَقَالَ: يَا أَخِي، عَلَيْكَ بِلُزُومِ الطَّاعَةِ، وَإِيَّاكَ أَنْ تَبْرَحَ بَابَ الْقَنَاعَةِ، وَأَصْلِحْ مَثْوَاكَ، وَلَا تُؤْثِرْ هَوَاكَ، وَلَا تَبِعْ آخِرَتَكَ بِدُنْيَاكَ، وَاشْتَغِلْ بِمَا يَعْنِيكَ بِتَرْكِ مَا لَا يَعْنِيكَ. ثُمَّ أَنْشَدَنِي: نَدِمْتُ عَلَى مَا كَانَ مِنِّي نَدَامَةً ... وَمَنْ يَتْبَعْ مَا تَشْتَهِي النَّفْسُ يَنْدَمِ
পৃষ্ঠা - ৮১৩১

আবু মুহাম্মদ বলেন, আমি আহমদ (র)-কে বললাম , এটাতাে ছিল তোমার জন্য আলী
(র)-এর নসীহত ৷ তুমি আমাকে কিছু নসীহত কর ৷ তখন তিনি বললেন, হে আমার ভাই !
তোমার উচিত ইবাদতে লেগে থাকা ৷ কানাআত বা অল্পে তুষ্টি থেকে পৃথক হওয়াকে বর্জন করা ৷
আখিরাতের তোমার নিজের ঠিকান টা বিন্যাস কর, স্বীয় প্রবৃত্তিকে অগ্ৰাধিক৷ ৷র প্রদান করবে না
এবং দুনিয়ার পরিবর্তে আখিরাত তকে বিক্রি করবে না ৷ যা তােমা র কোন উপকারে আসবে না তা

বর্জন করার মাধ্যমে যা তোমার উপক৷ ৷রে আসবে তা গ্রহণ কর ৷ এরপর তিনি আমাকে লক্ষ্য
করে কবিতা আবৃত্তি করেন ং

এংএ’এছুছুএ মোঃ
অর্থাৎ “আমার দ্বারা যা কিছু ঘটে গেছে তার জন্য আমি আ ৷ম্ভরিকতারে লজ্জিত ৷ যে ব্যক্তি
নফসের চাহিদার অনুসরণ করেত তাকে লজ্জিত হতে হয় ৷ তোমার সাথীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে
পড়েছে এ ভেবে যে তারা তোমার মৃত্যুর পর নিরা ৷পত্তা ৷সুদৃঢ় পাবে না ৷ অচিরেই তোমরা এমন
এক ন্যায়পরায়ণ প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে যিনি কো ন দিনওন্ কারো উপর ষুলুম করেন ’

না ৷ যে তার দুনিয়া সম্বন্ধে প্ৰতারিত, তার জন্য কোন ধমক প্রদানকারী নেই ৷ কেননা তোমরা
জেনে রেখো যদি চলার পথে কারো পা ফসকে যায় তাহলে তাকে লজ্জিত হতে হয় ৷”

ইবন যামীন (র) বলেন, আমি আবু মুহাম্মদ (র)-কে বললাম, এটাতাে ছিল তোমার জন্য
আহমদ (র) এর নসীহত ৷ তুমি আমাকে কিছু নসীহত কর ৷ আবু মুহাম্মাদ (র ) বললেন, জেনে
রেখো, আল্লাহ তাআলা তোমার প্রতি ৩রহম করুন ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ তা আল ৷ তার বান্দাদের এমন
পর্যায়ে অবতীর্ণ করেন যেখানে তাদের অন্তরসমুহ দুঃখ দুর্দশ্ ৷৷র কারণে অ ধ :পনিত হয়েছে ৷ এখন
তুমি লক্ষ্য রেখো৫ তামার অন্তর কোন পর্যায়ে পৌছবে ৷ আরো জেনে রেখো আল্লাহ্ তাআলা
বান্দাদের অন্তরে এতদুর নিকটবর্তী হয়ে যান যত দুর ভৈনকট্য তারা তার থেকে অর্জন করেছে ৷
তারাও আবার তার এতদুর নৈকট্য হাসিল করে যতটুকু তিনি তাদেরকে তা ওফীক দেন ৷ এখন
তুমি তোমার অন্তরের ভৈনকটোর প্রতি ৩লক্ষ্য কর ৷ এরপর তিনি আমার উদ্দেশ্যে কবিতা আবৃত্তি
করেনং :

এ এ এ ’ ং ’ ’

এএান্ এএে


শ্

অর্থাৎ “মানুষের অম্ভরগুলো পর্দড়ার ভিতরে অবতারিত ৷ আর রুহ্গুলো সেখানেই মিশে
অবস্থান করছে ৷ মানুষের কল্যাণ আল্লাহ্র ভৈনকটোর পদমর্ষাদায় বিচরণ করছে ৷ মহাসম্মানী
একতৃবাদে বিশ্বাসী সদস্যদের মাঝে তা পালাক্রমে পরিবর্তিত হচ্ছে ৷ ভৈনকটোর চতৃরে তাদের
জন্য রয়েছে শুধুমাত্র তার দয়ায় খরচ করার উপকরণ যা মহা সম্ম৷ ৷নী আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন ৷ ”


فَخَافُوا لِكَيْمَا تَأْمَنُوا بَعْدَ مَوْتِكُمْ سَتَلْقَوْنَ رَبًّا عَادِلًا لَيْسَ يَظْلِمْ ... فَلَيْسَ لِمَغْرُورٍ بِدُنْيَاهُ زَاجِرٌ سَيَنْدَمُ إِنْ زَلَّتْ بِهِ النَّعْلُ فَاعْلَمْ قَالَ الْقَاضِي أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ رَامِينَ فَقُلْتُ لِأَبِي مُحَمَّدٍ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ أَحْمَدَ لَكَ، فَعِظْنِي أَنْتَ. فَقَالَ: اعْلَمْ، رَحِمَكَ اللَّهُ، أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ، يُنْزِلُ الْعَبِيدَ حَيْثُ نَزَلَتْ قُلُوبُهُمْ بِهُمُومِهَا، فَانْظُرْ أَيْنَ أَنْزَلَتْ قَلْبَكَ، وَاعْلَمْ أَنَّهُ تُقَرَّبُ الْقُلُوبُ عَلَى حَسَبِ مَا قَرُبَ إِلَيْهَا، فَانْظُرْ مَنِ الْقَرِيبُ مِنْ قَلْبِكَ. وَأَنْشَدَنِي: قُلُوبُ رِجَالٍ فِي الْحِجَابِ نُزُولُ ... وَأَرْوَاحُهُمْ فِيمَا هُنَاكَ حُلُولُ بِرَوْحِ نَعِيمِ الْأُنْسِ فِي عِزِّ قُرْبِهِ ... بِإِفْرَادِ تَوْحِيدِ الْمَلِيكَ تَحُولُ لَهُمْ بِفِنَاءِ الْقُرْبِ مِنْ مَحْضِ بِرِّهِ ... عَوَائِدُ بَذْلٍ خَطْبُهُنَّ جَلِيلُ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ: فَقُلْتُ لِلْقَاضِي أَبِي مُحَمَّدِ بْنِ رَامِينَ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ الْحُمَيْدِيِّ لَكَ، فَعِظْنِي. فَقَالَ: اتَّقِ اللَّهَ، وَثِقْ بِهِ وَلَا تَتَّهِمْهُ; فَإِنَّ اخْتِيَارَهُ لَكَ خَيْرٌ مِنَ اخْتِيَارِكَ لِنَفْسِكَ. وَأَنْشَدَنِي: اتَّخِذِ اللَّهَ صَاحِبًا ... وَذَرِ النَّاسَ جَانِبًا جَرِّبِ النَّاسَ كَيْفَ شِئْ ... تَ تَجِدْهُمُ عَقَارِبًا قَالَ أَبُو الْفَرَجِ غَيْثٌ الصُّورِيُّ: فَقُلْتُ لِلْخَطِيبِ الْبَغْدَادِيِّ: هَذِهِ مَوْعِظَةُ ابْنِ رَامِينَ لَكَ، فَعِظْنِي أَنْتَ. فَقَالَ: احْذَرْ نَفْسَكَ الَّتِي هِيَ أَعْدَى أَعْدَائِكَ أَنْ تُتَابِعَهَا عَلَى هَوَاهَا، فَذَاكَ أَعْضَلُ دَائِكَ، وَاسْتَشْعِرِ الْخَوْفَ مِنَ اللَّهِ بِخِلَافِهَا،
পৃষ্ঠা - ৮১৩২

আল খাভীব (র) বলেন ৷ এরপর ইবন যামীন (র) কে আমি বাংলায়, এটা৫ৎ ক্ক৷ ছিল তোমার
জন্য অ ন্ হুমায়দী (র) এর নসীহত ৷৩ তুমি আমাকে কিছু নসীহত কর ৷ তিনি তখন আমাকে
বললেন, আল্লাহ্কে ভয় কর, ভীর প্ৰতি আস্থা রেখো, তার প্ৰতি অপবাদ আরোপ করো না ৷
কেননা তোমার জন্য তার ইখতিয়ার , তোমার নফসের জন্য তোমার ইখতিয়ার থেকে ৫শ্রয়ঃ এবং
তিনি আমার উদ্দেশ্যে কবিতা আবৃত্তি করলেন :

দ্ব শ্ ব্লু ষ্ fl শ্ শ্ন্প্ ,ন্ণ্




অর্থাৎ “আল্লাহ্কে বন্ধুরুপে গ্রহণ কর, ৫লাকজনকে এক পাশে রেখে দাও, যেভাবে ইচ্ছা
মানুষকে পরীক্ষা ৷করে নাও, তাদেরকে তুমি বিচ্ছুসদৃশ ৷পাবে ৷”

আবুল ফ রাজ গায়ছুস সুরী বলেন, তখন আ ৷মি আ ল খাভীব (র) কে বাংলায়, এটা ৷তরু ৷ ছিল
৫ত আমার জন্য ইবন যামীন (র) এর একটি নসীহত ৷ তুমি আমাকে কিছু নসীহত কর ৷ তিনি
বললেন,৩ তোমার নফস সম্বন্ধে সতর্ক থাক ৷ কেননা এটা তোমার দুশমনদের মধ্যে বড়
দুশমন ৷ যদি তুমি নফসের আশা আকাক্ষে৷ র অনুসরণ কর তখন এটা হবে তোমার জন্য অত্যন্ত
ক্ষতিকর রোগ ৷ নফসের বিরুদ্ধে অ ৷ল্লাহ্ তা অ লা৷র প্ৰতি ভয়-ভীতিকে স্বাগত জানাও ৷ নফসের
তথাকথিত গুণগুলোকে কলবে বারবার স্মরণ করবে ৷ কেননা এটা মন্দ ও অশ্লীলত৷ গ্রহণে বার
বার নির্দেশ করে ৷ যে নফসের অনুগত হয় তাকে নফস ধ্বং স ও মুসীব৫তর ঘাটে পৌছি৫য় ৫দয় ৷
তুমি প্রতিটি কাজে সত্যের উপর নির্ভর কর ৷ত তুমি ৫খয়াল থুশীর অনুসরণ করে৷ নাত তাহলে এটা
তোমাকে আল্লাহ্র রাস্তা থেকে বিচুাত তকরে ৫দবে ৷ যে নিজ কামনা-বাসনার বিরুদ্ধাচ ৷চরণ করে
আল্লাহ তার যিম্ম৷ নিয়েছেন যে, তিনি চিরস্থায়ী জান্নাতকে তার ঠিকানা ও বিশ্রামাগার করবেন ৷
এরপর তিনিত তর ৷নিজের উদ্দেশ্যে কবিতা ৷আবৃত্তি করেন :

০ ’ :



অর্থাৎ “তুমি যদি তোমার দুনিয়া ও আখিরা৫তর কাজে প্রকৃত ৩হিদায়াত লাভ করতে চাও
তাহলে নফসের কামনা বাসন৷ র বিরোধিতা কর ৷ কেননা কামনা ই যাবতীয় বিপর্যয়ের মুল ৷

ইবন আসাকির (র) বলেন, এ তথ্যটি সংরক্ষিত রয়েছে যে, ইবরাহীম ইবন আদহাম (র)
একশ বাষট্টি হিজবীতে ইনতিকাল করেন ৷ অন্য একজন বলেন, একষট্টি হিজবীতে ৷ আবার কেউ
কেউ বলেন, ৫তষট্টি হিজবীতে তিনি ইনতিকাল করেন ৷ ইবন আসাকিরের অভিমতঢিই বিশুদ্ধ ৷
আল্লাহ অধিক পরিজ্ঞাত

ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেন যে, রোম সাগরের দ্বীপগুলাে থেকে একটি দ্বীপে তিনি
ইনতিকাল করেন ৷ তিনি ছিলেন সীমান্ত প্রহরী ৷ যে রাতে তিনি ইনতিকাল করেন প্রায় বিশ বার
তার৷ দা স্ত হয়েছিল ৷ তিনি প্ৰতিবারেই ওয়ুনবায়ন করছিলেন ৷ত তার ছিল ৫প৫ট অসুখ ৷ যখন তার
মৃত্যু যন্ত্রণ৷ শুরু হয় তখন তিনি বলেন, আমার জন্য ধনুকে ছিল৷ লাগাও ৷৩ তার৷ (উপত


وَكَرِّرْ عَلَى قَلْبِكَ ذِكْرَ نُعُوتِهَا وَأَوْصَافِهَا، فَإِنَّهَا الْأَمَّارَةُ بِالسُّوءِ وَالْفَحْشَاءِ، وَالْمُورِدَةُ مَنْ أَطَاعَهَا مَوَارِدَ الْعَطَبِ وَالْبَلَاءِ، وَاعْمِدْ فِي جَمِيعِ أُمُورِكَ إِلَى تَحَرِّي الصِّدْقِ، وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ، وَقَدْ ضَمِنَ اللَّهُ لِمَنْ خَالَفَ هَوَاهُ أَنْ يَجْعَلَ دَارَ الْخُلْدِ قَرَارَهُ وَمَأْوَاهُ. ثُمَّ أَنْشَدَ لِنَفْسِهِ: إِنْ كُنْتَ تَبْغِي الرَّشَادَ مَحْضًا ... فِي أَمْرِ دُنْيَاكَ وَالْمَعَادِ فَخَالِفِ النَّفْسَ فِي هَوَاهَا ... إِنَّ الْهَوَى جَامِعُ الْفَسَادِ قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: الْمَحْفُوظُ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ بْنَ أَدْهَمَ تُوُفِّيَ سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: سَنَةَ إِحْدَى. وَقِيلَ: سَنَةَ ثَلَاثٍ. وَالصَّحِيحُ مَا قَالَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، كَمَا ذَكَرْنَا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُ تُوُفِّيَ بِجَزِيرَةٍ مِنْ جَزَائِرِ بَحْرِ الرُّومِ وَهُوَ مُرَابِطٌ، وَأَنَّهُ ذَهَبَ إِلَى الْخَلَاءِ لَيْلَةَ وَفَاتِهِ نَحْوًا مِنْ عِشْرِينَ مَرَّةً، وَكُلُّ مَرَّةٍ يُجَدِّدُ الْوُضُوءَ بَعْدَهَا، فَلَمَّا غَشِيَهُ الْمَوْتُ قَالَ: أَوْتِرُوا لِي قَوْسِي. وَقَبَضَ عَلَى الْقَوْسِ، وَمَاتَ وَهُوَ كَذَلِكَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَأَكْرَمَ مَثْوَاهُ. وَقَدْ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ ابْنُ الْأَعْرَابِيِّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ الصَّائِغُ قَالَ: سَمِعْتُ الشَّافِعِيَّ يَقُولُ: سَمِعَتْ السِّرِيَّ بْنَ حَيَّانَ يَقُولُ - وَكَانَ سُفْيَانُ مُعْجَبًا بِهِ -:
পৃষ্ঠা - ৮১৩৩

সদস্যবর্গ) ছিলা লাপাল ৷ তিনি তা মযবুত করে ধরলেন ৷ এরপর তিনি মারা যান এবং তা
এমনভাবে মযবুত করে ধরেছিলেন মনে হয় যেন, দুশমনের দিকে তীর নিক্ষেপ করার ইচ্ছা

পোষণ করে রয়েছেন ৷ আল্লাহ তার উপর রহম করুন এবং তার কবরকে মর্যাদাবান ও সম্মানিত
করুন ৷

আবু সাঈদ ইবন আ ল-আরাবী (র) বলেন, মুহা ম্মদ ইবন আলী ইবন ইয়াযীদ আস সাইগ
(র) আমাকে হা ৷দীস বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, “আমি ইমাম শাফিঈ (র) কে বলতে শুনেছি :
সুফিয়ান (র) অবাক হয়ে বলতেন :

া; ;া , ৷ ৷ ;,ব্লু প্রু,ব্র;৷ ৷ এই ছুার্দুাছু পুা১; ণ্া, ৷পু,;এে ৷;১১৷ ৷ ণ্হুধ্ব্লুহ্রা১া
শ্ণ্শ্ষ্০ ! ণ্ শ্০শ্ ষ্শ্ষ্ষ্ শ্ ণ্ষ্ শ্০ষ্০ শ্
া£ট্রুট্রু<াট্রু ষ্;,; ৷ গ্লোষ্৷ ৷ ৷প্রু১ এ ৷ ১ ৷ট্রু হট্রু৷ টুা৷ঠুশু প্লুস্পে ৷ ৷ৰু৷ ষ্টু£; এে
অর্থাৎ “দুনিয়া তাদেরকে ক্ষুধার্ত রেখেছে, তাই তারা ৩ ত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে ৷ অনুরুপ-
ভাবে পরহেযপার ব্যক্তি সবসময় আরাম-আয়েশের জীবন যাপন থেকে বিরত থাকছেন ৷ তাদের
মধ্যে রয়েছেন তাঈ’ গোত্রের সদস্য দ উদ মিসআর, ওহায়ব, আল আরীব ইবন আদহাম,
সৎকর্ম ও জ্ঞানের অভিভ৷ ৷বক ইবন স ঈদ সত্য ও নেতৃত্বে র প্ৰভীক হযরত উমর ফারুকের
উত্তরাধিক৷ রীদের মধ্যে তোমার জন্য যথেষ্ট ছিলেন ফুযায়ল তার পুত্র সমেত এবং ইউসুফ যদি
তাকে আত্মসমর্পণের জন্য অনুরোধ করা না হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মম্ভব্য০ ং তারাই আমার
সাথী ও ভালবাসার পাত্র, মহান মালিক তাদের উপর সাল৷ ত ও সালাম পেশ করছেন ৷ পরহেযপার
ব্যক্তিকে তীরের ভীক্ষ্ণ অগ্রভাগ কো ন ক্ষতি করতে ৩পারে না ৷ পরহেযপার ব্যক্তি সর্বদা ৷ই সকলের
চেয়ে অধিক সম্মানিত ও মর্যাদাবান বলে বিবেচিত ৩হয়ে থাকেন ৷ পরহেযগারী সব সময়ই যুবকের
জন্য একটি সঞ্জীবনী হিসেবে গণ্য ৷ আর পরহেযগারী মান মর্যাদাকে আরো সুন্দর করে দেয় ৷”

ইমাম বুখ৷ ৷রী (র) আদ৷ ব অধ্যায়ে ইবরাহীম ইবন আদহাম (র) থেকে হা ৷দীস বংনাি করেন ৷
ইমাম তিরমিযী (র)৩ তার হিসেবে বর্ণনা করেন ৷৩ তা ছিল

# স্ ) ৷

; ণ্ড্রপু ৷ এো; ৰুএ ৷ অধ্যায়ে ৷ মহা পবিত্র অ ৷ল্লাহ্ তা জানা সম্যক অবগত ৷

এ বছর আবু সুলায়মান দাউদ ইবন নাসীর আ৩ ৩াঈ আ স কুফী আল-ফাকীহ আয-যাহিদ
(র) ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ তিনি আবুহানীফ৷ (র) থেকে ফিকাহ্শ ৷ন্ত্র অধ্যয়ন করেন ৷ সুফিয়ান ইবন
উয়ায়ন৷ (র) বলেন, এরপর দা ৷উদ ফিক্হ্ শ্যাস্ত্রর পর্যালোচনা ছেড়ে দেন, ইবাদতে মশগুল হন
এবং তার কি৩ ৷বাদি মাটিতে পুতে ফেলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র) বলেন, দাউদ


أَجَاعَتْهُمُ الدُّنْيَا فَجَاعُوا وَلَمْ يَزَلْ ... كَذَلِكَ ذُو التَّقْوَى عَنِ الْعَيْشِ مُلْجَمًا أَخُو طَيِّئٍ دَاوُدُ مِنْهِمُ وَمِسْعَرٌ ... وَمِنْهُمْ وُهَيْبٌ وَالْغَرِيبُ ابْنُ أَدْهَمَا وَفِي ابْنِ سَعِيدٍ قُدْوَةَ الْبِرِّ وَالنُّهَى ... وَفِي الْوَارِثِ الْفَارُوقِ صِدْقًا مُقَدَّمًا وَحَسْبُكَ مِنْهُمْ بِالْفُضَيْلِ مَعَ ابْنِهِ ... وَيُوسُفُ إِنْ لَمْ يَأْلُ أَنْ يَتَسَلَّمَا أُولَئِكَ أَصْحَابِي، وَأَهْلُ مَوَدَّتِي ... فَصَلَّى عَلَيْهِمْ ذُو الْجَلَالِ وَسَلِّمَا فَمَا ضَرَّ ذَا التَّقْوَى نِصَالُ أَسِنَّةٍ ... وَمَا زَالَ ذُو التَّقْوَى أَعَزَّ وَأَكْرَمَا وَمَا زَالَتِ التَّقْوَى تُرِيكَ عَلَى الْفَتَى ... إِذَا مَحَّضَ التَّقْوَى مِنَ الْعِزِّ مِيسَمَا وَرَوَى الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ " الْأَدَبِ " عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ أَدْهَمَ، وَأَخْرَجَ لَهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ " حَدِيثًا مُعَلَّقًا فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ. وَأَمَّا دَاوُدُ الطَّائِيُّ فَهُوَ دَاوُدُ بْنُ نُصَيْرٍ الطَّائِيُّ، أَبُو سُلَيْمَانَ الْكُوفِيُّ الْفَقِيهُ الزَّاهِدُ، أَخَذَ الْفِقْهَ عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: ثُمَّ تَرَكَ طَلَبَ الْفِقْهِ، وَأَقْبَلَ عَلَى الْعِبَادَةِ، وَدَفَنَ كُتُبَهُ.
পৃষ্ঠা - ৮১৩৪
قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ: وَهَلِ الْأَمْرُ إِلَّا مَا كَانَ عَلَيْهِ دَاوُدُ الطَّائِيُّ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: كَانَ ثِقَةً. وَقَالَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: تَرَكَ الْفِقْهَ، وَأَقْبَلَ عَلَى الْعِبَادَةِ حَتَّى مَاتَ، وَقَدْ قَدِمَ عَلَى الْمَهْدِيِّ بَغْدَادَ ثُمَّ عَادَ إِلَى الْكُوفَةِ. مَاتَ فِي سَنَةِ سِتِّينَ وَمِائَةٍ. وَقِيلَ: فِي سَنَةِ خَمْسٍ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرَ شَيْخُنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الذَّهَبِيُّ فِي " تَارِيخِهِ " أَنَّهُ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، أَعْنِي سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.