আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة إحدى وستين ومائة

ثم دخلت سنة إحدى وستين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮১০৪


০০

২৩৪ ,

কাউকে দেখিনি এবং অস-সওরী (র) থেকে অধিক হদীচসর সংরক্ষংকারী অন্য কাউকে
পাইনি ৷ মুসলিম ইবন ইবরহীম বলেন, “যখনই আমি কোন সলতের সময়শু বর ওখানে
প্রবেশ করতম, দেখতম তিনি সলতে মশগুল রয়েছেন ৷ তিনি ছিলেন ফকীহদের পিতা ও
মাতা ৷” ন নুদর ইবন শুময়ল (র) বলেন, “আমি তার থেকে মিসকীনদের প্ৰতি অধিক
যেহেরবন অন্য কাউকে দেখিনি ৷ যখন তিনি কোন মিসকীনকে দেখতে ন তখন সে দৃষ্টির বাইরে
ন য়ওয় পর্যন্ত তিনি তার দকে তাকিয়ে থাকতেন অন একজন বলে ন “আমি তার থেকে
অধিক ইবদতকারী অন্য কাউকে আর দেখতে পাইনি ৷ তিনি অ দু: হ্র ইবদতে এতই বিভাের
ছিলেন যে, তার চামড়া হ্ড়ের সাথে দুলপে গিয়েছিল ৷” ইয়াহইয় অল কত্তান (র) বলেনঃ,
মিসকীরুনর জন্য এত অধিক দয়া লুও ত্কােমল হৃদয় আমি অন্য কাউকে দেখিনি ৷ মিসকীন তর
ঘরে প্রবেশ করত আর তিনি তাকে যতদুর সম্ভব দান করতেন ৷ মুহাম্মদ ইবন স দ অন্যরা বলেন,
তিনি বসরয় ৭৮ বছর বয়সে একশ ষাট হিজরীর প্রথম দিকে ইনতিক ল করেন ৷

১৬১ হিজরীর আগমন
এ বছর ছুমম ইবন ওয়লীদ গ্রীষ্মকলী ৷ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ৷ তিনি দবিক নমক
জায়গায় অবতরণ করেন £রমীয়র ন্ তর বিকদ্ধে উত্তেজিত হয়ে উঠল ৷৩ তাই মুসলমনগণ
সেখানে প্রবেশ করতে সম হলেন ন ৷

এ বছরই অ্যাংমাহ্দী পানির, কুপ্ খনন করার হুকুন দেন ৷ মক্কার রাস্তায় কল কবখঃনছ
ও দলনকেঠা তৈরির নির্দেশ দেন এ বাপরে ইয়ক চীন ইবন মুস : ক ণাপ্ ৷ ক নিযুক্ত করেন
একশ একা তর হিজরী পর্যন্ত দশ বছর যাবৎ নিমা ণ কজ চলতে হন যে ৷ এতে হিজায়ের র স্তাগুলো
ইরাকের বস্তাগুলে থেকে অধিক সুগম, অরমদয়ক ও বণ্াপ্দ রতয় দ ৷র চ্ ৷ত হয় ৷ এ বছরই
অল-মহদী পশ্চিম ও কিবলর দিক দিয়ে বসরর জমি মসজিদের সম্প্রসারণ করেন ৷ এ বছরই
তিনি রাজ্যের ভিন্ন অঞ্চলে পর লিখে জানান যে, দেশের কোন জমঅতের মসজিদে যেন
মিহরাব না রাখা হয় ৷ আর প্ৰত তঢি মিম্বরকে রসুলুল্লাহ্ (স) এর মসজিদের মম্বরের পরিম৷ ণ ছোট
করা হয় ৷ রজের সব গুলো শহরে এরুপ করা হল ৷ এ বছর অল-মহদীর ওযীর অবু
উবয়দুল্লাহ্র মর্যদপ্রুহ্স পায় ৷ কেননা, মহদীর কাছে ওযীরের বিশ্বসঘর্ধ্বতকত প্রকাশ পেয়ে যায় ৷
সুতরাং মহদী তর কাছে এমন লোককে টেনে নেন যীর মর্যাদা তর কাছে স্বীকৃত ৷ যীদেরকে
৩ ব কাছে টেনে যেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ইসমঈল ইবন উলয় ৷ এরপর তিনি তকে
দুরে সরিয়ে দেন, আরো অধিক দুরে সরিয়ে দেন ৷ এমনকি সরে তকে সেনানিবাস থেকে বের
করে দেন ৷ স্

এ বছরই বিচার বিভাগের দয়িত, পান অফীয় হবৃন ইয়াযীদ অল-ইযদী ৷ তিনি এবত্ইবন
অলছা অর-রুসফ এ অবস্থিত মহদীর সেনানিবাসে কযীর দয়িতু পালন করতেন ৷ এ বছরই
এক ব্যক্তি খুরসনের মরভের গ্রমসমুহ থেকে কোন একটি গ্রামে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ তার
নাম ছিল অ ল-মুকন্ন ৷ সে পুনর্জন্মে বিশ্বাস করত ৷ এ বপরে তার অনুসারী ছিল অনেক লোক ৷
মহদী তার কাছে তার কয়েকজন অমীরকে প্রেরণ করেন এবং বিরাট একটি সৈনদলও প্রেরণ
করেন ৷ অমীরদের মধ্যে খুরসনের অমীর মুঅয ইবন মুসলিম ছিলেন অন্যতম তাদের
সম্বন্ধে যথাস্থানে বর্ণনা পেশ করা ’হবে ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ ثُمَامَةُ بْنُ الْوَلِيدِ، فَنَزَلَ دَابِقَ، وَجَاشَتِ الرُّومُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يَتَمَكَّنِ الْمُسْلِمُونَ مِنَ الدُّخُولِ إِلَيْهَا بِسَبَبِ ذَلِكَ. وَفِيهَا أَمَرَ الْمَهْدِيُّ بِحَفْرِ الرَّكَايَا وَعَمَلِ الْمَصَانِعِ وَبِنَاءِ الْقُصُورِ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، وَوَلَّى عَلَى ذَلِكَ يَقْطِينَ بْنَ مُوسَى، فَلَمْ يَزَلْ يَعْمَلُ فِي ذَلِكَ إِلَى سَنَةِ إِحْدَى وَسَبْعِينَ وَمِائَةٍ، حَتَّى صَارَتْ طَرِيقُ الْحِجَازِ مِنْ أَرْفَقِ الطُّرُقَاتِ وَآمَنِهَا وَأَطْيَبِهَا. وَفِيهَا وَسَّعَ الْمَهْدِيُّ جَامِعَ الْبَصْرَةِ مِنْ قِبْلَتِهِ وَغَرْبِهِ. وَفِيهَا كَتَبَ إِلَى الْآفَاقِ أَنْ لَا تَبْقَى مَقْصُورَةٌ فِي مَسْجِدِ جَمَاعَةٍ، وَأَنْ تُقَصَّرَ الْمَنَابِرُ إِلَى مِقْدَارِ مَا كَانَ مِنْبَرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَفُعِلَ ذَلِكَ فِي الْمَدَائِنِ كُلِّهَا. وَفِيهَا اتَّضَعَتْ مَنْزِلَةُ أَبِي عُبَيْدِ اللَّهِ وَزِيرِ الْمَهْدِيِّ عِنْدَهُ، وَظَهَرَتْ عِنْدَهُ خِيَانَتُهُ، فَضَمَّ إِلَيْهِ الْمَهْدِيُّ مَنْ يُشْرِفُ عَلَيْهِ، فَكَانَ مِمَّنْ ضُمَّ إِلَيْهِ إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، ثُمَّ أَبْعَدَهُ وَأَقْصَاهُ وَأَخْرَجَهُ مِنْ مُعَسْكَرِهِ. وَفِيهَا وَلِيَ الْقَضَاءَ عَافِيَةُ بْنُ يَزِيدَ الْأَزْدِيُّ، فَكَانَ يَحْكُمُ هُوَ وَابْنُ عُلَاثَةَ فِي عَسْكَرِ الْمَهْدِيِّ بِالرُّصَافَةِ.
পৃষ্ঠা - ৮১০৫


এ বছরই মুসা আল-হাদী ইবন আল-মাহদী লোকজনকে নিয়ে হজ্জ করেন ৷ এ বছর ইা৷রা
ইনতিকাল করেন : ইসরাঈল ইবন ইউনুস ইবন ইসহাক আস-সাবীঈ, যায়িদ৷ ইবন কুদামা ও
সুফিয়ান ইবন সাঈদ ইবন মাসরুক আছ-ছাওরী ৷ তিনি ছিলেন ইসলামের ইমাম ও
ইবাদ দতকাবীদের অন্যতম ৷ তার উস্তাদ ছিলেন আ বু আবদুল্লাহ আল-কুফী ৷ তিনি একাধিক তাবিঈ
থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷৩ তার থেকেও বহু ইমাম ও অন্যান্য ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ শু ,বা
আবু আমিন, সুফিয়ান ইবন উয়৷ ইন৷ ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মুঈন ও অন্যান্য এক ৷ধক ব্যক্তি বলেন :
তিনি ছিলেন আমীরুল মুমিনীন ফিল হাদীস (এপ্রুট্রু ; ৷ ১ ট্রুট্রু ১ৰুটুৰুট্রু৷ ৷ ,ং গ্রা ৷ ) অর্থ ৎ হাদীস
শাস্তে মু মিনদের আমীর ৷ ইবনুল মুবারক (র) বলেন, আমি হাজার হাজার শায়থ ও শত শত
শায়খ থেকে হাদীস লিপিবদ্ধ করোছ ৷ আর তিনি হলেন৩ তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ৷ আইয়ুব বলেন
আমি কোন কুফাবাসীকের্ত ৷র থেকে শ্রেষ্ঠ দেখিনি ৷ ইউনুস ইবন উবায়দ বলেন, তার থেকে শ্রেষ্ঠ
আমি কা ৷উকে দেখিনি ৷ শু বা (র) বলেন,৩ তিনি পরহেযপারী জ্ঞ ৷নে জনগণের সর্দার ছিলেন ৷ তিনি
আরো বলেন, আহলে ম যাহাব৩ তিনজন ং হযরত আবদুল্লাহ ইবন অ ৷ব্বাস বা ) তা তার যুগের; ইমাম
আশ শা বী (র) ও তার যুগের এবং ইমাম সুফিয়ান ছাওরী (র)৩ তার যুগের ৷ ইমাম আ ৷হমাদ (র)
বলেন, “আমার অন্তর তার থেকে কেউ অপ্রাধিকার পায় না ৷” এরপর৩ তিনি বলেন, তুমি কি
জান ইমাম কে প্ ইমাম হলেন, সুফিয়ান আস-সাওরী (র) ৷ আবদুর বাষ্যাক বলেন, আমি
সুফিয়ান আস-সাওরীকে বলতে শুনেছি : আমি কখনও আমার অম্ভরে এমন জিনিসকে স্থান
দেইনিঃ যা অকে প্রতারণা করতে পারে ৷ তাই আমি অবশ্যই যে বস্ত্র বয়নবারী গান পাচ্ছে তার

াশদিয়ে গমন করার সময় কান বন্ধ রাখব এ ভয়ে যে সে য৷ বলেছে৩ তা যেন আমি হিফ্য করে
না পফোন্ন ৷ তিনি আরো বলেন, “ যে দশ হাজার দীনার সম্পর্কে আল্লাহ তা আল৷ আমার কাছে
হিসাব নিবেন যা দুনিয়াতে রেখে যাব তা আমার কাছে এ কথা থেকে অধিক প্রিয় যে আমার
প্রয়োজনের কথা আমি জনগণের কাছে পেশ করব ৷”

মুহাম্মদ ইবন সাদ বলেন, ঐতিহাসিকগণ একমত যে, তিনি একশ একষট্টি হিজরীতে
বসরায় ইনতিকাল করেন ৷ তখন তার বয়স ছিল চৌষট্টি বছর ৷ কোন একজন আলিম তাকে স্বপ্নে
দেখেন যে, তিনি জান্নাতে ৩একটি খেজুর গাছ থেকে অন্য একটি খেজুর গাছে উড়ে রেড় ৷রু ন্
এবং একটি গাছ থেকে অন্য একটি গাছে উড়ে যেড় ৷চ্ছেন ৷ আ র৩ তিনি পড়ছিলে ন :

ৰুাট্রু;ঠু দ্র হু,১ : ৷ ট্রু,১ ’ার্দুপ্রুঠু :ড্রু১ ন্,১টুর্বু৷ র্চুট্রুঠুট্রুাঠু ’াং;ঠু ৷ঠুড্রু১১ট্রুণ্১ র্দুৰু১ক্ট্র ৷ ণ্ঢুা৷ ৷ ’া১ ং ’ ংা৷

“অর্থাৎ তারা প্রবেশ করে বলছে, প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ৩পুর্ণ
করেছেন এবং আমাদেরকে অধিকারী করেছেন এ ভুমির , আমরা জান্নাতে যেথায় ইচ্ছা বসবাস
করব ৷’ সদাচারীদের পুরস্কার কত উত্তম ! (সুরা যুমার : ৭৪) ৷” তিনি আরো বলেন, যখন কোন

ব্যক্তি ঢাল তৈরির পানে দ্রুত মনোযােগী সে জ্ঞানের দিক থেকে বহু পেছনে পড়ে যায় ৷ এ বছর
যার৷ ইনতিকাল করেন তাদের অন্যতম হলেন ৷


وَفِيهَا خَرَجَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْمُقَنَّعُ. بِخُرَاسَانَ فِي قَرْيَةٍ مِنْ قُرَى مَرْوَ، وَكَانَ يَقُولُ بِالتَّنَاسُخِ، وَاتَّبَعَهُ عَلَى ضَلَالَتِهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، فَجَهَّزَ لَهُ الْمَهْدِيُّ عِدَّةً مِنْ أُمَرَائِهِ، وَأَنْفَذَ إِلَيْهِ جُيُوشًا كَثِيرَةً، مِنْهُمْ مُعَاذُ بْنُ مُسْلِمٍ أَمِيرُ خُرَاسَانَ، فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ وَأَمْرِهِمْ مَا سَنَذْكُرُهُ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مُوسَى الْهَادِي ابْنُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، وَهُوَ وَلِيُّ عَهْدِ أَبِيهِ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَفِيهَا تُوُفِّيَ إِسْرَائِيلُ بْنُ يُونُسَ ابْنُ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ، وَزَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ، وَسُفْيَانُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ الثَّوْرِيُّ، أَحَدُ أَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ وَعُبَّادِهِ وَالْمُقْتَدَى بِهِمْ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْكُوفِيُّ، رَوَى عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَرَوَى عَنْهُ خَلْقٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ وَغَيْرِهِمْ. قَالَ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَأَبُو عَاصِمٍ وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ: هُوَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي الْحَدِيثِ. وَقَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ: كَتَبْتُ عَنْ أَلْفٍ وَمِائَةِ شَيْخٍ، هُوَ أَفْضَلُهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৮১০৬
وَقَالَ أَيُّوبُ: مَا رَأَيْتُ كُوفِيًّا أُفَضِّلُهُ عَلَيْهِ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ: مَا رَأَيْتُ أَفْضَلَ مِنْهُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ: مَا رَأَيْتُ أَفْقَهَ مِنَ الثَّوْرِيِّ. وَقَالَ شُعْبَةُ: سَادَ فِي النَّاسِ بِالْوَرَعِ وَالْعِلْمِ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: أَصْحَابُ الْحَدِيثِ ثَلَاثَةٌ; ابْنُ عَبَّاسٍ فِي زَمَانِهِ، وَالشَّعْبِيُّ فِي زَمَانِهِ، وَالثَّوْرِيُّ فِي زَمَانِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: لَا يَتَقَدَّمُهُ فِي قَلْبِي أَحَدٌ. ثُمَّ قَالَ: أَتَدْرِي مَنِ الْإِمَامُ؟ الْإِمَامُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: سَمِعْتُ الثَّوْرِيَّ يَقُولُ: مَا اسْتَوْدَعْتُ قَلْبِي شَيْئًا قَطُّ فَخَانَنِي. وَقَالَ الثَّوْرِيُّ: لَأَنْ أَتْرُكَ عَشَرَةَ آلَافِ دِينَارٍ يُحَاسِبُنِي اللَّهُ عَلَيْهَا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَحْتَاجَ إِلَى النَّاسِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَجْمَعُوا أَنَّهُ تُوُفِّيَ بِالْبَصْرَةِ، سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৮১০৭

আবু দালামা

তিনি হলেন যায়দ ইবন জুন ভী ড় কবি ৷ তিনি ছিলেন একজন বুদ্ধিমান করি ৷ মুলতত তিনি
কুফাৱ বাসিন্দা ছিলেন ৷ তবে তিনি পরে বাণদাদে বসবাস করেন ৷ তিনি খলীফা মানসুরের
প্রিয়ভাজন ছিলেন ৷ কেননা তিনি তাকে হাসাতেন, তার সামনে কবিতা আবৃত্তি করতেন ও তীর
প্রশংসা করতেন ৷ একদিন তিনি মানসুরের ত্রীর জ ৷নাযায় হাযির হন ৷ তিনি ছিলেন মানসুরের
চাচাত বোন ৷ তাকে বলা হত হিমাদা বিনত ঈস৷ ৷ মানসুরত তার জন্য চিম্ভাগ্রস্ত ছিলেন ৷ যখন
র্তার৷ সকলে তার কবরের উপর মাটি বরাবর করলেন আর আবু দালামাও সেখানে উপস্থিত
ছিলেন, মানসুর তাকে বললেন, হায়, হে আবুদালাম৷ ! আজকের জন্য তুমি কী তৈরি রেখেছ ৷
তিনি বললেন, আমীরুল মু’মিনীনের চাচাভাে বোন ৷ তখন মানসুর হেসে হেসে চিৎ হয়ে
পড়লেন ৷ তারপর বললেন, হায় ! তুমি আমাদেরকে লাঞ্ছিত করলে ৷ একদিন তিনি মাহদীকে

সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় অভ্যর্থনা জানাবার জন্য মাহদীর কাছে প্রবেশ করেন এবং কবিতা
আবৃত্তি করেন :

শ্শ্প্!শ্ষ্শ্ ষ্ শ্ষ্ শ্ শ্ষ্ষ্শ্ষ্ ষ্ণ্শ্শ্০
)ষ্শ্

স্পো

অর্থাৎ “আমিন্ণ্ পথ করেছি, যদি আপনাকে আমি ইরাকের গ্রামগুলােতে ধন সস্পদসহ
নিরা ৷পদে প্রত্যাবর্তন করতে ৫দখিত তাহলে আপনি অবশ্যই নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রতি
দৃরুদ প্রেরণ করবেন এবং আপনি অবশ্যই দিরহাম দিয়ে আমার কােল ভরে দেবেন ৷” মাহদী
বললেন, প্রথমটির ব্যাপারে আমি হী৷ বলছি ; আমরা সকলে নবী মুহাম্মাদ (সা ) এর প্ৰতি দৃরুদ
প্রেরণ করব কিন্তু দ্বিতীয়টির ব্যাপারে আমি বলছি না’ ৷ তখন আবু দালাম৷ বললেন, হে আমীরুল
মু’মিনীন ! এ দুটো এমন ধরনের বাক্য যেগুলোকে আলাদা করা যায় না ৷ (কাজেই দৃ’টোর
ব্যাপারে হী৷ হতে হবে ৷) তখন মাহদী দিরহাম দিয়ে তার কোল ভরে দিলেন ৷ এরপর খলীফা
কবিকে বললেন, উঠে পড় ৷ তিনি বললেন, এতে আমার জামা ছিড়ে যাবে ৷ তখন এগুলোকে
আমি আমার জামা থেকে থলিতে ভরে নিলাম ৷ কবি এগুলো নিয়ে উঠে পড়লেন এবং এগুলো
বহন করতে করতে চলে গেলেন ৷

তীর থেকে ইবন খাল্লিকান উল্লেখ করেন যে, একদিন তার পুত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন
একজন চিকিৎসক তাকে ঔষধপত্র দিলেন ৷ যখন সে সুস্থ হয়ে যায় আবু দাল ৷ম৷ চিকিৎসককে
বললেন, তোমাকে আমরা যে পরিমাণ সম্পদ প্রদান করব তা এখন আমাদের কাছে নেই ৷ সুতরাং
তুমি আমাদের কাছে ঙুয সম্পদ পারে তার জন্য তু অমুক ইয়াহ্রদীর বিরুদ্ধে একটি মুকাদ্দামা
দায়ের কর ৷ আর আমরা এ পরিমাণ অর্থের জন্য কাযীর দরবারে সাক্ষ্য দেব ৷ বর্ণনাকাবী বলেন,
তখন চিকিৎসক কুফাৱ কাযী মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবু লায়ল৷ মতাম্ভরে ইবন
শাবরামার দরবারে আগমন করেন এবং ইয়াহুদীর বিরুদ্ধে মুকাদ্দামা দায়ের করেন ৷ ইয়াহুদী
অস্বীকার করল তখন তার বিরুদ্ধে আবু দালাম৷ ও তার পুত্র সাক্ষ্য দিলেন ৷ কাযী তাদের সাক্ষ্য
রদ করতে পারলেন না বরংঅ অত্ম৷ সংশাধনের ব্যাপারে ভয় করতে লাগলেন ৷ সুতরাং মুকাদ্দামা
দায়েরকারী চিকিৎসককে তিনি নিক্ট্রজর কাছ থেকে প্রার্থিত সম্পদ দিয়ে দিলেন এবং ইয়াহ্রদীকে


وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ مَاتَ أَرْبَعًا وَسِتِّينَ سَنَةً. وَرَآهُ بَعْضُهُمْ فِي الْمَنَامِ يَطِيرُ فِي الْجَنَّةِ مِنْ نَخْلَةٍ إِلَى نَخْلَةٍ، وَهُوَ يَقْرَأُ: {الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي صَدَقَنَا وَعْدَهُ وَأَوْرَثَنَا الْأَرْضَ نَتَبَوَّأُ مِنَ الْجَنَّةِ حَيْثُ نَشَاءُ فَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ} [الزمر: 74] . أَبُو دُلَامَةَ زَنْدُ بْنُ الْجَوْنِ، الشَّاعِرُ الْمَاجِنُ، أَحَدُ الظُّرَفَاءِ، أَصْلُهُ مِنَ الْكُوفَةِ، وَأَقَامَ بِبَغْدَادَ، وَحَظِيَ عِنْدَ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ; لِأَنَّهُ كَانَ يُضْحِكُهُ، وَيُنْشِدُهُ وَيَمْدَحُهُ; حَضَرَ يَوْمًا جِنَازَةَ امْرَأَةِ الْمَنْصُورِ وَابْنَةِ عَمِّهِ حَمَّادَةَ بِنْتِ عِيسَى، وَكَانَ الْمَنْصُورُ قَدْ وَجِدَ عَلَيْهَا، فَلَمَّا شَهِدَ الْقَبْرَ نَظَرَ إِلَيْهِ الْمَنْصُورُ ثُمَّ قَالَ لِأَبِي دُلَامَةَ: وَيْحَكَ يَا أَبَا دُلَامَةَ! مَا أَعْدَدْتَ لِهَذَا؟ فَقَالَ: ابْنَةَ عَمِّ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. فَضَحِكَ الْمَنْصُورُ حَتَّى اسْتَلْقَى، ثُمَّ قَالَ: وَيْحَكَ! فَضَحْتَنَا بَيْنَ النَّاسِ. وَدَخَلَ يَوْمًا عَلَى الْمَهْدِيِّ يُهَنِّئُهُ بِقُدُومِهِ مِنْ سَفَرِهِ وَأَنْشَدَهُ: إِنِّي حَلَفْتُ لَئِنْ رَأَيْتُكُ سَالِمًا ... بِقُرَى الْعِرَاقِ وَأَنْتَ ذُو وَفْرِ لَتُصَلِّيَنَّ عَلَى النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ ... وَلَتَمْلَأَنَّ دَرَاهِمًا حِجْرِي فَقَالَ الْمَهْدِيُّ: أَمَّا الْأَوَّلُ فَنَعَمْ، وَأَمَّا الثَّانِي فَلَا. فَقَالَ: هُمَا كَلِمَتَانِ فَلَا يُفَرَّقُ بَيْنَهُمَا. فَمَلَأَ حِجْرَهُ دَرَاهِمَ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: قُمْ. فَقَالَ: إِذًا يَنْخَرِقُ قَمِيصِي. فَأُفْرِغَتْ فِي أَكْيَاسِهَا، ثُمَّ قَامَ وَأَخَذَهَا.
পৃষ্ঠা - ৮১০৮
وَذَكَرَ عَنْهُ ابْنُ خَلِّكَانَ أَنَّهُ مَرِضَ ابْنُهُ فَدَاوَاهُ طَبِيبٌ، فَلَمَّا عُوفِيَ قَالَ لَهُ: لَيْسَ عِنْدَنَا مَا نُعْطِيكَ، وَلَكِنِ ادَّعِ عَلَى فُلَانٍ الْيَهُودِيِّ بِمَبْلَغِ مَا تَسْتَحِقُّهُ; حَتَّى أَشْهَدَ أَنَا وَوَلَدِي عَلَيْهِ. فَادَّعَى عَلَيْهِ عِنْدَ قَاضِي الْكُوفَةِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى - وَقِيلَ: ابْنُ شُبْرُمَةَ - فَأَنْكَرَ الْيَهُودِيُّ، فَشَهِدَ عَلَيْهِ أَبُو دُلَامَةَ وَابْنُهُ، فَلَمْ يَسْتَطِعِ الْقَاضِي أَنْ يَرُدَّ شَهَادَتَهُمَا، وَخَافَ مِنْ طَلَبِ التَّزْكِيَةِ، فَأَعْطَى الْمُدَّعِي الْمَالَ مِنْ عِنْدِهِ، وَأَطْلَقَ الْيَهُودِيَّ، وَجَمَعَ الْقَاضِي بَيْنَ الْمَصَالِحِ. تُوُفِّيَ أَبُو دُلَامَةَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَقِيلَ: إِنَّهُ أَدْرَكَ خِلَافَةَ الرَّشِيدِ سَنَةَ سَبْعِينَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.