আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ستين ومائة من الهجرة

পৃষ্ঠা - ৮০৯৭


হাতিমকে কুফার আমীর পদে বহাল রাখেন ৷ তিনি মাহদীর কাছে পত্র লিখে জানান যে, ঈসা ইবন
মুসা মানুষের সাথে বছরে মাত্র দুমাস জুমুআ ও সালাতের জামাআতে হাযির হন ৷ আবার যখন
সালাংত আসেন তখন মসজিদের দরজার ভিতরে চতুষ্পদ জন্তু নিয়ে প্রবেশ করেন ৷ মানুষ
যেখানে সালাত আদায় করেন তার জভুটি সেখানে মলত্যাগ করে ৷ তখন মাহদী পত্রের উত্তরে
তাকে জানান গলির মাথায় যেন একটি লাকড়ি দিয়ে পথরোধক তৈরি করা হয় যাতে মানুষ সেখান
থেকে মসজিদে হেটে আসতে বাধ্য হয় ৷ যখন ঈসা ইবন মুসা এ ব্যাপারে অবগতি হলেন তখন
তিনি জুমুআর দিনের পুর্বেই আলন্ঘুখতার ইবন আবু উবায়দার বাড়িটি তার ওয়ারিছদের থেকে
ক্রয় করে নেন ৷ আর বাড়িটি ছিল মসজিদ সংলগ্ন ৷ তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার এ বাড়িতে আসতেন
জুমআর দিন গাধায় সওয়ার হয়ে মসজিদের দরজা পর্যন্ত আগমন করতেন এবং সেখানে অবতরণ
করতেন ৷ লেড়াকজনের সাথে সালাতে হড়াযির হতেন ৷ আর সমস্ত পরিবার পরিজন নিয়ে
সামগ্রিকভাবে তিনি কুফার বসবাস করতেন ৷ এরপর মাহদী তার উপর জেদ ধ রলেন তিনি যেন
খিলাফত থেকে সরে দীড়ান ৷ আর যদি তিনি সরে না দাড়ান তাকে শান্তি দেয়ার হুমকি দেয়া হয় ৷
যদি সরে দীড়ান তাহলে তাকে পুরস্কৃত করার ওয়াদা দেয়া হয় ৷ এ আহ্বানে তিনি সাড়া দেন ৷
মাহদী তাকে কয়েক খণ্ড বড় জমি এবং এক কোটি দিরহড়াম দান করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, দুই
কোটি দিরহাম দান করেন ৷ মাহদী তারপরে তার দুই পুত্র মুসা আল-হন্বদী এরপর হারুনুর রশীদের
জন্য বায়আত গ্রহণ করেন ৷ অচিরেই এর বর্ণনা আসবে ৷

মাহদীর মামা ইয়াযীদ ইবন মানসুর লোকজনকে নিয়ে হজ্জব্রত পালন করেন ৷ তিনি ছিলেন
ইয়ামানের নায়িব ৷ তাকে হজ্জ মওসুমের জন্য শাসক নিযুক্ত করা হয় এবং তার প্ৰতি গণআপত্তি
বৃদ্ধির জন্য তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয় ৷ অধিকাংশ শহরের নায়িবদেরকে মাহদী বরখাস্ত করেন ৷
তবে নিম্নবর্ণিত শহরগুলোর শাসক বহাল থাকেন ৷ যেমন, আফ্রিকাতে ইয়াযাদী ইবন হড়াতিম,
মিসরের আবু যামরা মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান, খুরাসানে আবুআওন, সিন্ধুতে বুসতাম ইবন আমর
আহওয়ায ও পারস্যের আম্মারা ইবন হামযা, ইয়ামড়ানে রাজা ইবন রাজা, ইমামার বিশর ইবন আল
মুনযির, ইরাকে আল ফযল ইবন সালিহ, মদীনায় উবায়দুল্লাহ্ ইবন সাফওয়ান আল-জামহী, মক্কা
ও তাইফে ইব্রাহীম ইবন ইয়াহ্ইয়া, কুফার সাধারণ বিভাগের জন্য ইসহাক ইবন আস সাবাহ
আল-কিন্দী, কর আদায়ের জন্য সাবিত ইবন মুসা, বিচার বিভাগের জন্য গুরায়ক ইবন আবদুল্লাহ
আন-নাখঈ বসরার সাধারণ বিভাগের জন্য আম্মারা ইবন হামযা , সালাত আদায়ের জন্য আবদুল
মালিক ইবন আইউব ইবন যুবইয়ান আন-নুমায়রী ও বিচার বিভাগের জন্য উরন্নেদুল্লাহ্ ইবন
আল-হাসান আল-আমবারী ৷

এ বছর র্যারা ইনতিকাল করেন : আবদুল আযীয ইবন আবুরাওয়াদ, ইকরামা ইবন আমার ,
মালিক ইবন মুগােল , মুহাম্মাদ ইবন আবদুর রহমান ইবন আবুযীব আল-মাদানী ৷ তিনি ছিলেন
ফিকাহ্ শাস্তে মালিক ইবন আনাস (র)-এর সমকক্ষ ৷ তিনি কতিপয় বিষয়ে মালিক (র)-এর
বিরোধিতা করেন ৷ কিছু সংখ্যক হাদীসের কারণে এ বিষয়গুলােকে প্রত্যাখ্যান করেন অথচ

এগুলোকে এবং অন্যান্য মাসআলাকে ইমাম মালিক (র) মদীনাবাসীদের ইজমা বলে গণ্য
করেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتِّينَ وَمِائَةٍ مِنَ الْهِجْرَةِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا خَرَجَ رَجُلٌ بِخُرَاسَانَ عَلَى الْمَهْدِيِّ مُنْكِرًا عَلَيْهِ أَحْوَالَهُ وَسِيرَتَهُ، يُقَالُ لَهُ: يُوسُفُ الْبَرْمُ. وَالْتَفَّ عَلَيْهِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَتَفَاقَمَ أَمْرُهُ وَعَظُمَ الْخَطْبُ بِهِ، فَتَوَجَّهَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ مَزْيَدٍ، فَلَقِيَهُ فَاقْتَتَلَا حَتَّى تَنَازَلَا وَتَعَانَقَا، فَأَسَرَ يَزِيدُ بْنُ مَزْيَدٍ يُوسُفَ هَذَا، وَأَسَرَ جَمَاعَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَبَعَثَهُ وَبَعَثَهُمْ إِلَى الْمَهْدِيِّ، فَأُدْخِلُوا عَلَيْهِ وَقَدْ حُمِلُوا عَلَى جِمَالٍ، مُحَوَّلَةً وُجُوهُهُمْ إِلَى نَاحِيَةِ أَذْنَابِ الْإِبِلِ، فَأَمَرَ الْخَلِيفَةُ هَرْثَمَةَ بْنَ أَعْيَنَ أَنْ يَقْطَعَ يَدَيْ يُوسُفَ وَرِجْلَيْهِ، ثُمَّ تُضْرَبَ عُنُقُهُ وَأَعْنَاقُ مَنْ مَعَهُ، وَصَلَبَهُمْ عَلَى جِسْرِ دِجْلَةَ الْأَكْبَرِ مِمَّا يَلِي عَسْكَرَ الْمَهْدِيَّ، وَأَطْفَأَ اللَّهُ نَائِرَتَهُمْ، وَكَفَى شَرَّهُمْ. [ذِكْرُ الْبَيْعَةِ لِمُوسَى الْهَادِي وَهَارُونَ الرَّشِيدِ] كَانَ الْخَلِيفَةُ الْمَهْدِيُّ قَدْ أَلَحَّ عَلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى فِي أَنْ يَخْلَعَ نَفْسَهُ عَنْ وِلَايَةِ الْعَهْدِ، وَهُوَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ يَمْتَنِعُ، وَهُوَ مُقِيمٌ بِالْكُوفَةِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْمَهْدِيُّ
পৃষ্ঠা - ৮০৯৮
أَحَدَ الْقُوَّادِ الْكِبَارِ، وَهُوَ أَبُو هُرَيْرَةَ مُحَمَّدُ بْنُ فَرُّوخَ فِي أَلْفٍ مِنْ أَصْحَابِهِ لِإِحْضَارِهِ إِلَيْهِ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَسْتَصْحِبُوا مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ طَبْلًا، فَإِذَا وَاجَهُوا الْكُوفَةَ عِنْدَ إِضَاءَةِ الْفَجْرِ ضَرَبَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ بِطَبْلِهِ، فَفَعَلُوا ذَلِكَ، فَارْتَجَّتِ الْكُوفَةُ، وَخَافَ عِيسَى بْنُ مُوسَى، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ دَعَوْهُ إِلَى حَضْرَةِ الْخَلِيفَةِ، فَأَظْهَرَ التَّشَكِّي، فَلَمْ يَقْبَلُوا، وَأَخَذُوهُ مَعَهُمْ، فَدَخَلُوا بَغْدَادَ فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنَ الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ وُجُوهُ بَنِي هَاشِمٍ وَالْقُضَاةُ وَالْأَعْيَانُ، وَسَأَلُوهُ فِي ذَلِكَ وَهُوَ يَمْتَنِعُ، ثُمَّ لَمْ يَزَلِ النَّاسُ بِهِ بِالرَّغْبَةِ وَالرَّهْبَةِ حَتَّى أَجَابَ فِي يَوْمِ الْأَرْبِعَاءِ لِأَرْبَعٍ بَقِينَ مِنَ الْمُحَرَّمِ بَعْدَ الْعَصْرِ يَوْمَئِذٍ. وَبُويِعَ لِوَلَدَيْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ; مُوسَى وَهَارُونَ الرَّشِيدِ صَبِيحَةَ يَوْمِ الْخَمِيسِ لِثَلَاثٍ بَقِينَ مِنَ الْمُحَرَّمِ، فَجَلَسَ الْمَهْدِيُّ فِي قُبَّةٍ عَظِيمَةٍ فِي إِيوَانِ الْخِلَافَةِ، وَدَخَلَ الْأُمَرَاءُ فَبَايَعُوا، ثُمَّ نَهَضَ الْمَهْدِيُّ فَصَعِدَ الْمِنْبَرَ وَجَلَسَ ابْنُهُ مُوسَى الْهَادِي تَحْتَهُ، وَقَامَ عِيسَى بْنُ مُوسَى عَلَى أَوَّلِ دَرَجَةٍ مِنْهُ، وَخَطَبَ الْمَهْدِيُّ، فَأَعْلَمَهُمْ بِمَا وَقَعَ مِنْ خَلْعِ عِيسَى بْنِ مُوسَى نَفْسَهُ، وَأَنَّهُ قَدْ حَلَّلَ النَّاسَ مِنَ الْأَيْمَانِ الَّتِي لَهُ فِي أَعْنَاقِهِمْ، وَجَعَلَ ذَلِكَ إِلَى مُوسَى الْهَادِي، فَصَدَّقَ عِيسَى بْنُ مُوسَى ذَلِكَ، وَبَايَعَ الْمَهْدِيَّ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ نَهَضَ النَّاسُ فَبَايَعُوا الْخَلِيفَةَ عَلَى حَسَبِ مَرَاتِبِهِمْ وَأَسْنَانِهِمْ، وَكَتَبَ عَلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى مَكْتُوبًا مُؤَكَّدًا بِالْأَيْمَانِ الْبَالِغَةِ مِنَ الطَّلَاقِ وَالْعَتَاقِ، وَأَشْهَدَ عَلَيْهِ جَمَاعَةَ الْأُمَرَاءِ وَالْوُزَرَاءِ وَأَعْيَانِ بَنِي هَاشِمٍ وَغَيْرِهِمْ. وَفِيهَا وَصَلَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شِهَابٍ الْمِسْمَعِيُّ مَدِينَةَ بَارْبَدَ مِنَ الْهِنْدِ فِي جَحْفَلٍ
পৃষ্ঠা - ৮০৯৯
كَثِيرٍ مَعَهُ، فَحَاصَرُوهَا وَنَصَبُوا عَلَيْهَا الْمَجَانِيقَ، وَرَمَوْهَا بِالنِّفْطِ، فَأَحْرَقُوا مِنْهَا طَائِفَةً، وَهَلَكَ بَشَرٌ كَثِيرٌ مِنْ أَهْلِهَا، وَفَتَحُوهَا عَنْوَةً وَأَرَادُوا الِانْصِرَافَ فَلَمْ يُمْكِنْهُمْ ذَلِكَ; لِاغْتِلَامِ الْبَحْرِ، فَأَقَامُوا هُنَالِكَ، فَأَصَابَهُمْ دَاءٌ فِي أَفْوَاهِهِمْ يُقَالُ لَهُ: حُمَامُ قُرٍّ. فَمَاتَ مِنْهُمْ أَلْفُ نَفْسٍ، مِنْهُمُ الرَّبِيعُ بْنُ صُبَيْحٍ، فَلَمَّا أَمْكَنَهُمُ الْمَسِيرُ رَكِبُوا فِي الْبَحْرِ، فَهَاجَتْ عَلَيْهِمْ رِيحٌ، فَغَرِقَ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ أَيْضًا، وَوَصَلَ بَقِيَّتُهُمْ إِلَى الْبَصْرَةِ وَمَعَهُمْ سَبْيٌّ كَثِيرٌ، فِيهِمْ بِنْتُ مَلِكِهِمْ. وَفِيهَا حَكَمَ الْمَهْدِيُّ بِإِلْحَاقِ نَسَبِ وَلَدِ أَبِي بَكْرَةَ الثَّقَفِيِّ إِلَى وَلَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَطَعَ نَسَبَهُمْ مِنْ ثَقِيفٍ، وَكَتَبَ بِذَلِكَ كِتَابًا إِلَى وَالِي الْبَصْرَةِ، وَقَطَعَ نَسَبَهُ مِنْ زِيَادٍ وَمِنْ نَسَبِ نَافِعٍ، فَفِي ذَلِكَ يَقُولُ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ، وَهُوَ خَالِدٌ النَّجَّارُ: إِنَّ زِيَادًا وَنَافِعًا وَأَبَا بَكْرَةَ ... عِنْدِي مِنْ أَعْجَبِ الْعَجَبِ ذَا قُرَشِيٌّ كَمَا يَقُولُ وَذَا ... مَوْلًى وَهَذَا بِزَعْمِهِ عَرَبِيٌّ فَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ نَائِبَ الْبَصْرَةِ لَمْ يُنَفِّذْ ذَلِكَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ بِالنَّاسِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْمَهْدِيُّ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى بَغْدَادَ ابْنَهُ مُوسَى الْهَادِي، وَاسْتَصْحَبَ مَعَهُ ابْنَهُ هَارُونَ الرَّشِيدَ وَخَلْقًا مِنَ الْأُمَرَاءِ، مِنْهُمْ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ عَلَى مَنْزِلَتِهِ وَمَكَانَتِهِ، وَكَانَ الْحَسَنُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَدْ هَرَبَ مِنَ الْخَادِمِ، فَلَحِقَ بِأَرْضِ الْحِجَازِ، فَاسْتَأْمَنَ لَهُ يَعْقُوبُ بْنُ دَاوُدَ، فَأَحْسَنَ الْمَهْدِيُّ
পৃষ্ঠা - ৮১০০
صِلَتَهُ، وَأَجْزَلَ جَائِزَتَهُ، وَفَرَّقَ الْمَهْدِيُّ فِي أَهْلِ مَكَّةَ مَالًا عَظِيمًا جِدًّا، وَكَانَ قَدْ قَدِمَ مَعَهُ بِثَلَاثِينَ أَلْفَ أَلْفِ دِرْهَمٍ وَمِائَةِ أَلْفِ ثَوْبٍ، وَجَاءَ مِنْ مِصْرَ ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَمِنَ الْيَمَنِ مِائَتَا أَلْفِ دِينَارٍ، فَأَعْطَاهَا كُلَّهَا فِي أَهْلِ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ. وَشَكَتِ الْحَجَبَةُ إِلَى الْمَهْدِيِّ أَنَّهُمْ يَخَافُونَ عَلَى الْكَعْبَةِ أَنْ تَنْهَدِمَ مِنْ كَثْرَةِ مَا عَلَيْهَا مِنَ الْكَسَاوِي، فَأَمَرَ بِتَجْرِيدِهَا مِنَ الْكُسْوَةِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى كَسَاوِي هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَجَدَهَا مِنْ دِيبَاجٍ ثَخِينٍ جِدًّا، وَبَقِيَّةُ كَسَاوِي الْخُلَفَاءِ قَبْلَهُ وَبَعْدَهُ مِنْ عَمَلِ أَهْلِ الْيَمَنِ، فَلَمَّا جَرَّدَهَا طَلَاهَا بِالْخَلُوقِ، وَكَسَاهَا كُسْوَةً حَسَنَةً جِدًّا، وَيُقَالُ: إِنَّهُ اسْتَفْتَى مَالِكًا فِي إِعَادَةِ الْكَعْبَةِ إِلَى مَا كَانَ بَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ مِنْ مَوْضِعِهَا عَلَى الْوَجْهِ الَّذِي كَانَ يَوَدُّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ مَالِكٌ: دَعْهَا عَلَى حَالِهَا; فَإِنِّي أَخْشَى أَنْ يَتَّخِذَهَا الْمُلُوكُ مَلْعَبَةً. فَتَرَكَهَا كَمَا كَانَتْ. وَحَمَلَ لَهُ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ نَائِبُ الْبَصْرَةِ الثَّلْجَ إِلَى مَكَّةَ، فَكَانَ أَوَّلَ خَلِيفَةٍ حُمِلَ لَهُ الثَّلْجُ إِلَيْهَا. وَلَمَّا دَخَلَ الْمَدِينَةَ النَّبَوِيَّةَ وَسَّعَ الْمَسْجِدَ النَّبَوِيِّ، وَكَانَ فِيهِ مَقْصُورَةٌ، فَأَزَالَهَا. وَأَرَادَ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الْمِنْبَرِ مَا كَانَ زَادَهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، فَقَالَ لَهُ مَالِكٌ: إِنَّهُ يَخْشَى أَنْ يَنْكَسِرَ الْخَشَبُ الْعَتِيقُ إِذَا زُعْزِعَ. فَتَرَكَهُ فَلَمْ يَتَعَرَّضْ لَهُ. وَتَزَوَّجَ مِنَ الْمَدِينَةِ رُقَيَّةَ بِنْتَ عَمْرٍو الْعُثْمَانِيَّةَ، وَانْتَخَبَ مِنْ أَهْلِهَا مِنَ الْأَنْصَارِ خَمْسَمِائَةٍ مِنْ أَعْيَانِهَا لِيَكُونُوا حَوْلَهُ حَرَسًا بِالْعِرَاقِ وَأَنْصَارًا لَهُ، وَأَجْرَى عَلَيْهِمْ أَرْزَاقًا غَيْرَ أُعْطِيَاتِهِمْ، وَأَقْطَعَهُمْ أَقْطَاعًا مَعْرُوفَةً بِهِمْ.
পৃষ্ঠা - ৮১০১


১৬০ হিজরীর আগমন

এ বছর খুরাসানে এক ব্যক্তি আল-মাহদীর আচরণ, চরিত্র, দান খয়রাত ও নীতির বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ তার নাম ইউসুফ আল-বারাম ৷ বহুলোক তার সাথে যোগ দেয় ৷ বিষয়টি
অত্যন্ত প্রকট আকার ধারণ করে এবং তাকে নিয়ে বিরাট বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় ৷ ইয়াষীদ
ইবন মাষীদ তাকে দমনের জন্য রওনা হন ৷ তার সাথে ঘুকাবিলা হয় ৷ দুজনের মধ্যে ভীষণ যুদ্ধ
হয় ৷ শেষ পর্যন্ত দু’জনই সওয়ারী থেকে নেমে পড়েন এবং কেলােকুলি করেন ৷ তখন ইয়াষীদ
ইবনমাযীদ ইউসুফকে বন্দী করেন এবং তার সাথীদের একটি বিরাট দলকেও বন্দী করেন ৷ তিনি
তাদেরকে আল-মাহদীর কাছে প্রেরণ করেন ৷ তাদেরকে তার কাছে প্রবেশ করানো হয় ৷
তাদেরকে উটের উপর বহন করা হয় তাদের চেহারা উটের লেজের দিকে ঘুরানাে ছিল ৷ খলীফা
হারছামাকে নির্দেশ দিলেন যেন প্রথমে ইউসুফের হাত দু’টো কেটে ফেলা হয় পরে পা দু’টো
কেটে ফেলা হয়৷ এরপর তার গর্দান কেটে ফেলা হয় ৷ আর তার সাথে যারা ছিল তাদেরকে
হত্যা করা হয় ৷ তারপর তাদেরকে আল-মাহদীর সেনা নিৰাসের সংলগ্ন দজলা নদীর বড় পুলের
উপর শুলে চড়ানাে হয় ৷ এভাবে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতিপত্তি স্তিমিত করে দেন এবং তাদের
দৃষ্কর্ম থেকে রক্ষা করেন ৷

মুসা আল-হাদীর জন্য ৰায়আত গ্রহণ

আমরা পুর্বে উল্লেখ করেছি মাহদী ঈসা ইবন মুসার উপর জেদ ধরেন যে, তিনি খিলাফত
থেকে নিজে যেন সরে পড়েন ৷ কিন্তু তিনি খলীফার নির্দেশ মান করা থেকে বিরত রইলেন ৷
তিনি কুফায় বসবাস করছিলেন ৷ মাহদী তখন তার কাছে একজন বড় সেনাপতিকে এক হাজার
সাথীসহ প্রেরণ করেন ৷ তার নাম ছিল আবুহুরায়রা মুহাম্মাদ ইবন ফাররুখ ৷ তিনি সেনাপতিকে
নির্দেশ দিলেন যেন তাকে খলীফার কাছে উপস্থিত করা হয় ৷ সৈন্যদের প্রত্যেককে হুকুম দেয়া
হয়েছিল যেন তারা প্রত্যেকে নিজের সাথে একটি ঢোল বহন করে ৷ যখন তারা ফজর উদয়ের
সময় কুফায় পৌছবে তখন যেন তাদের প্রত্যেকে ঢোল বাজাতে থাকে ৷ তারা অনুরুপ করল ;
তাতে সময় কুফা শহর কেপে উঠল এবং ঈসা ইবন মুসা ও ভীত হয়ে পড়লেন ৷ যখন তারা তার
কাছে পৌছল তখন তারা তাকে খলীফার কাছে উপস্থিত হবার জন্য আহ্বান জানায় কিন্তু তিনি
নিজকে অসুস্থ বলে প্রকাশ করেন ৷ তারা তার একথা গ্রহণ করল না বরং তারা তাকে ধরে তাদের
সাথে নিয়ে গেল এবং এবছরের তেসরা মুহররম বৃহস্পতিবার দিন তাকে নিয়ে তারা খলীফার
কাছে প্রবেশ করে ৷ বনুহাশিমের বহু গণ্যমড়ান্য ব্যক্তি ও কাষীগণ উপস্থিত হয়ে তাকে এ ব্যাপারে
অনুরোধ করতে লাণলেন কিন্তু তিনি তাদের অনুরোধ মান্য করা থেকে বিরত থাকেন ৷ এরপর
লোকজন তাকে ভয়-ভীতি ও উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রদান করতে লাপলেন ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি
মুহার্রমের চার তারিখ শুক্রবার দিন আসরের পর সম্মতি জ্ঞাপন করেন ৷ মাহদীর দৃই পুত্র মুসা ও
হারুনৃর রশীদের জন্য ঘুহবৃরমের ২৭ তারিখ বৃহস্পতিবার দিন সকালে খিলাফতের বায়আত গ্রহণ
করা হয় ৷ মাহদী রাজ প্রাসাদের একটি বড় গোল আকৃতির ঘরে উপবিষ্ট হলেন ৷ আমীরগণ ঘরে
প্রবেশ করেন এবং বায়আত গ্রহণ করেন ৷ এরপর খলীফা র্দাড়ালেন এবং মিম্বরে আংরাহণ
করলেন ৷ তার পুত্র মুসা আল-হাদী তার নীচে বললেন ৷ ঈসা ইবন মুসা প্রথম সিড়িতে দীড়ালেন ৷


[وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] ِ: الرَّبِيعُ بْنُ صُبَيْحٍ، وَسُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ، أَحَدُ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ، وَشُعْبَةُ بْنُ الْحَجَّاجِ بْنِ الْوَرْدِ الْعَتَكِيُّ الْأَزْدِيُّ أَبُو بِسِطَامٍ الْوَاسِطِيُّ، ثُمَّ انْتَقَلَ إِلَى الْبَصْرَةِ. رَأَى شُعْبَةُ الْحَسَنَ، وَابْنَ سِيرِينَ، وَرَوَى عَنْ أُمَمٍ مِنَ التَّابِعِينَ، وَحَدَّثَ عَنْهُ خَلْقٌ مِنْ مَشَايِخِهِ وَأَقْرَانِهِ وَأَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ، وَهُوَ شَيْخُ الْمُحَدِّثِينَ الْمُلَقَّبُ فِيهِمْ بِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ. قَالَهُ الثَّوْرِيُّ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: هُوَ إِمَامُ الْمُتَّقِينَ. وَكَانَ فِي غَايَةِ الْوَرَعِ وَالزُّهْدِ وَالتَّقَشُّفِ وَالْحِفْظِ وَحُسْنِ الطَّرِيقَةِ. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: لَوْلَاهُ مَا عُرِفَ الْحَدِيثُ بِالْعِرَاقِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: كَانَ أُمَّةً وَحْدَهُ فِي هَذَا الشَّأْنِ، وَلَمْ يَكُنْ فِي زَمَانِهِ مِثْلُهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: كَانَ ثِقَةً مَأْمُونًا حُجَّةً، صَاحِبَ حَدِيثٍ.
পৃষ্ঠা - ৮১০২


আল-মাহদী খুতবা দেন এবং জনগণকে ঈসা ইবন মুসার খিলাফত থেকে সরে র্দাড়ানাের

ব্যাপারটি সম্পর্কে অবহিত করেন ৷ আর তিনি তাদেরকে একথাও জানান যে, তাদের গর্দানে

খিলাফন্বত তর ব্যাপারে অঙ্গীকারের যে দায়-দায়িতু ছিল তা থেকে তিনি তাদেরকে মুক্ত করে তা
তিনি মুসা আল-হ৷ ৷দীর কা ছে অর্পণ করেছেন ৷ ঈস৷ ইবন মুসা তাকে সত্য বলেছেন বলে ঘোষণা

করেন এবং এ মর্মে তিনি মাহদীর হাতে বায়আত করেন ৷ তারপর লোকজন র্দাড়ালেন এবং

তারাও তাদের পদ মর্যাদা ও বয়স অনুযায়ী বায়আত প্রকাশে অংশ গ্রহণ করেন ৷ তালাক ও আযাদ

করার ন্যায় পরিপুর্ণ একটি চুক্তিনাম৷ ঈস৷ ইবন মুসা কর্তৃক লিখিয়ে নেয়া হল ৷ আমীরপণ,

উযীরপণ, বনু হাশিম ও অন্যান্য গোত্রের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ চুক্তি নামায় সাক্ষী হিসেবে গণ্য

হন ৷ তারপর খলীফা তাকে আমাদের পুর্বে উল্লিখিত সম্পদ প্রদান করেন ৷

এ বছর একটি বিরাট সৈন্যদল নিয়ে আবদুল মালিক ইবন শিহাব আল-মাসমাঈ হিন্দুস্তানের
বারবাদ শহরে প্রবেশ করেন ৷ তারা শহরটি ঘেরাও করেন এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেন ৷ তারা
ফোসকা উৎপাদক পদার্থ নিক্ষেপ করেন ও একদল সৈন্যকে পুড়িয়ে দেন ৷ অধিবাসীদের বহুলােক

ত্স হয়ে যায় ৷ এভাবে তারা শহরটিকে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জয় করে নেন ৷ তারা ফেরত
চলে আসতে ইচ্ছা পোষণ করেন কিন্তু সমুদ্র উত্তাল থাকায় তাদের জন্য তা সম্ভব হল না ৷ তাই
তারা সেখানে কিছু দিন অবস্থান করলেন ৷ এরপর তাদের মুখে এক প্রকার রোগ দেখা দেয়
এটাকে বলা হয় ’,’; ;££; (ঠাণ্ডা মৃত্যু) তাতে তাদের এক হাজার লোক মৃত্যুমুখে পতিত হয় ৷
তাদের মধ্যে একজন হলেন আর-রাবী ইবন সাবীহ ৷ যখন তাদের পক্ষে ভ্রমণ শুরু করা সম্ভব হল
তখন তারা সাগরের নৌযানে আরোহণ করেন ৷ তাদের নিয়ে বাতাস প্রচণ্ড বেগে বয়ে গেল;
তাতে তাদের একদল ও ডুবে মারা যায় ৷ আর তাদের বাকী লোকজন বসরায় পৌছেন ৷ তাদের
সাথে ছিল অনেক বন্দী ৷ তাদের মধ্যে তাদের বাদশাহের কন্যা ছিলেন অন্যতম ৷ এ বছর মাহদী
আবুবাকারা আস-ছাকাফীর সম্ভানদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওয়ালার সাথে সংযুক্ত করার ও
ছাকাফ থেকে বংশধারা ছিন্ন করার নির্দো৷ দেন ৷ আর এ সম্পর্কে বসরার প্রশাসকের কাছে একটি
পত্রও লিখেন ৷ তিনি যিয়াদ ও নাফির বংশধারা থেকে তার বংশধারা ছিন্ন করেন ৷ এ সম্পর্কে কবি
খালিদ আন-নাজ্জার বলেন :

া;৷;ড্রু টু; ৷
(;


অর্থাৎ নিশ্চয়ই যিয়াদ, না ফি ও আবু বাকারা আমার কাছে অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় সত্তার অধিকারী
বলে প্রতীয়মান হয় ৷ তিনি কুরায়শ ব শের সদস্য যেমন তিনি দা ৷বী করছেন ৷ তিনি গো ৷লামের
মালিক এবং তিনি স্বীয়মতে একজন আরবী ভাষী ৷

ইবন জাবীর আবার উল্লেখ করেছেন যে, বসরার নায়িব এ নির্দেশটি বাস্তবায়ন করেননি ৷

এ বছর আল-মাহদী লোকজনকে নিয়ে হজ্জ আদায় করেন এবং বাপদাদে তার পুত্র মুসা
আল-হাদীকে প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন ৷ত তার পুত্র হারুনুর রশীদ ও কয়েকজন আমীরকে তার সফর
সংগী করেন ৷ তাদের মধ্য হতে ইয়াকুব ইবন দাউদকে তার বাড়িঘর ও আসবাবপত্রের


وَقَالَ وَكِيعٌ: إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ يَرْفَعَ اللَّهُ لِشُعْبَةَ فِي الْجَنَّةِ دَرَجَاتٍ بِذَبِّهِ عَنْ حَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ صَالِحُ بْنُ مُحَمَّدٍ جَزَرَةُ: كَانَ شُعْبَةُ أَوَّلَ مَنْ تَكَلَّمَ فِي الرِّجَالِ، وَتَبِعَهُ يَحْيَى الْقَطَّانُ، ثُمَّ أَحْمَدُ وَابْنُ مَعِينٍ. وَقَالَ ابْنُ مَهْدِيٍّ: مَا رَأَيْتُ أَعْقَلَ مِنْ مَالِكٍ، وَلَا أَشَدَّ تَقَشُّفًا مِنْ شُعْبَةَ، وَلَا أَنْصَحَ لِلْأُمَّةِ مِنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، وَلَا أَحْفَظَ لِلْحَدِيثِ مِنَ الثَّوْرِيِّ. وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ: مَا دَخَلْتُ عَلَى شُعْبَةَ فِي وَقْتِ صَلَاةٍ إِلَّا وَرَأَيْتُهُ يُصَلِّي، وَكَانَ أَبَا الْفُقَرَاءِ وَأُمَّهُمْ. وَقَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ: مَا رَأَيْتُ أَرْحَمَ بِمِسْكِينٍ مِنْهُ، كَانَ إِذَا رَأَى مِسْكِينًا لَا يَزَالُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ حَتَّى يَغِيبَ عَنْهُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: مَا رَأَيْتُ أَعْبَدَ مِنْهُ; لَقَدْ عَبَدَ اللَّهَ حَتَّى لَصِقَ جِلْدُهُ بِعَظْمِهِ. وَقَالَ يَحْيَى الْقَطَّانُ: مَا رَأَيْتُ أَرَقَّ لِلْمِسْكِينِ مِنْهُ، كَانَ يُدْخِلُ الْمِسْكِينَ مَنْزِلَهُ فَيُعْطِيهِ مَا أَمْكَنَهُ.
পৃষ্ঠা - ৮১০৩


এবং তার পরের ও পুর্বের খলীফাদের বস্ত্রওলাে রেখে দেয়ার হুকুম দেন ৷ তারপর যখন তিনি
কা ব৷ শরীফকে খালি করেন তখন তাকে সুগন্ধি দ্বারা বার্নিন্ণ্৷ করান এবং অত্যন্ত সুন্দর বস্ত্র দ্বারা
গিলাফ পরান ৷ কথিত আছে যে, তিনি আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রা) এর যুগের নির্মাণ কাজের
ন্যায় কাব৷ শরীফকে পুনরায় নির্মাণ করার জন্য ইমাম মালিক (র)-থেকে ফাতওয়৷ তলব
করেছিলেন কিন্তু ইমাম মালিক (র ) তখন তাকে বলেন, কাবাকে তার অবস্থায় ছেড়ে দাও ৷
কেননা আমার আশংকা হচ্ছে যে, বাদশাহ্রা এটাকে খেলার বন্তুদুত পরিণত করবে ৷ তখন তিনি
কাব৷ শরীফকে তার অবস্থায় ছেড়ে দেন ৷

বসরার নায়িব মুহাম্মাদ ইবন সুলায়মান খলীফার জন্য মক্কায় বরফ বহন করে নিয়ে আসেন ৷
আর তিনিই ছিলেন প্রথম খলীফা যার জন্য মক্কায় বরফ বহন করে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷ যখন
তিনি মদীনায় প্রবেশ করেন তখন তিনি মসজিদে নববীকে প্রশস্ত করেন ৷ আর মসজিদে ছিল
মিহরাব ৷ তিনি তা অপসরণ করেন এবং মুআ ৷বিয়৷ ইবন আবুসুফিয়ান (র) এর সময় যা অতিরিক্ত
নির্ম৷ ৷ণ করা হয়েছিল তা মিন্বর থেকে হ্রাস করার ইচ্ছা ৷করেন ৷ তখন তাকে ইমাম ম লিক (র)
বলেন, পরিবর্তনের সময় সম্মানিত ঘরের লাকড়ি ভেঙ্গে যাবার আশংকা রয়েছে ৷ তখন তিনি তা
ছেড়ে দেন ৷ তিনি মদীনায় রুক৷ ৷ইয়৷ বিন ত আ মর অল্যেউছমানীয়াকে বিয়ে করেন ৷ আর তার
পরিবার-পরিজন থেকে পাচশজন ব্যত্তি কে ইরাকে তার পাহাব বাদার ও সাহায্যকারী হিসেবে নির্বাচন
করেন ৷ তাদের জন্য এককালীন দান ব্যতীত নিয়মিত খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেন এবং
তাদেরকে তা ৷দের সুপরিচিত জমি জমা দান করেন ৷

এ বছর আর রাব৷ ইবন সাবীহ ও ইমাম যুহরীর অন্যতম সাথী সুফিয়ান ইবন হুসায়ন
ইনতিকাল করেন ৷ আবু বৃসতাম শু বা ইবন আল হ জ্জাজ ইবন অ ৷ল-ওয়ারদ আল-আতকী আল
ইযাদী আল ওয়াসির্তী বসরায় স্থানান্তরিত হন ৷ শুব৷ আল-হাসান ও ইবন সীরীনকে দেখেছেন এবং
তাবিঈদের একটি দল থেকে হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তীর থেকে বহু উস্তাদ ও সমকালীন ব্যক্তি এবং
ইসলামের ইমাম হাদীস বর্ণনা করেন ৷ আস-সাওবী (র) বলেন, “তিনি ছিলেন ব্লু চু
১ ট্ট শু! ! (শায়থুল মুহাদ্দিসীন) এবং তাদের মধ্যে তার উপাধি ছিল আমীরুল মু’মিনীন ৷
ইয়াহ্ইয়৷ ইবন মুঈন (র) বলেন, তিনি৷ ছিলেন ইমামুল মুত্তাকীন ৷ তিনি ছিলেন উচু স্তরের
পরহিযপার , সাবধানী , কঠোর আত্মসংযমী সতর্ক ও উত্তম নীতিবান ৷

ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, তিনি না হলে ইরাকে হাদীসশাস্তে প্রসিদ্ধি লাভ করত না”া
ইমাম আহমদ (র) বলেন এ ব্যাপারেও তিনি একাই ছিলেন একটি জা৩ ৷তি, তার যামানায় তার মত
অন্য কেউ ছিল না” ৷ মুহাম্মদ ইবন সা দ বলেন, “তিনি ছিলেন একজন বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য,
হুজ্জত ও মুহাদ্দি স ৷ ” ওয়াকী বলেন, ন্ “আমি আশা রাখি রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর হাদীসকে বিকৃতি
থেকে প্ৰতি রাধ করার জন্য আল্লাহ্ তা আ জান্নাতে তার মর্যাদা বুলন্দ করে দেবেন ৷ সালিহ
ইবন মুহাম্মাদ ইবন হ-রযা বলে ন, ও বা ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি হাদীসের বর্পনাকাবীদের সম্বন্ধে
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন ৷ এরপর ইয়াভুহহ্া৷ আল-কাত্তান এর অনুসরণ করেন ৷ তারপর
আহমদ এবং এর পরে ইবন মুঈন এ ব্যাপারে পারদর্শিত৷ অর্জন করেন ৷ ইবন মাহদী বলেন,
আমি মালিক (র) থেকে বেশী বুদ্ধিমান আর কাউকে পাইনি, শুব৷ (র) থেকে বেশী আত্মসংযমী
অন্য কাউকে পাইনি, ইসলামী উম্মাহর জন্য ইবন মুবারক (র ) থেকে অধিক হিতৈষী আমি অন্য

আল-ৰিদায়া ওৰ্য়ান নিহড়ায়দ্ব (১০ম থুমোঃজ্জব্র ণ্হ্ছুন্-£াঘু£া৷া৷

قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُهُ: مَاتَ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سِتِّينَ وَمِائَةٍ بِالْبَصْرَةِ عَنْ ثَمَانٍ وَسَبْعِينَ سَنَةً.