আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وخمسين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮০৫৮


এখানে মারা যান ৷ তিনি ছিলেন তীর দাসীর কোলে ৷ মানসুর তার সালাতে জানাযা পড়ান এবং
তাকে বনু হাশি ৷মেব কবরস্থানে দাফন করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, তার উপর নৃশংসভাবে নিহত
আমর ইবন শ৷ ৷দ্দাদের অভিশাপ লেগেছিল ৷৩ তাই মানুষের উচিত যুলুম থেকে বিরত থাকা৷

মানসুরের ভাই আ ল-আব্বাস ইবন মুহাম্মাদ লোকজনকে নিয়ে এ বছর হজ্জ আদায় করেন ৷
অন্যান্য শহরের কর্মচারীবৃন্দ নিজ নিজ পদে বহাল ছিলেন ৷ পারস্য আহওয়ায ও দজলার পরগনা-
সমুহের শ ৷৷সক ছিলেন৷ আম্ম ৷রা ইবন হামযা, ৷কিরমান ও সিন্ধুর শাসক ছিলেন হিশাম ইবন আমর ৷
এক বর্ণনা ৷নুযায়ী এ বছরই হাময৷ আয যাইয়াত নৃতু ৷মুখে পতিত হন ৷৩ তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ কারী ও
গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্পের অন্যতম ৷ কিরাআংত দীর্ঘ মদের প্রবর্তনকারী বলে৩ তিনি পরিচিত ছিলেন ৷
এ কারণে কোন কোন ইমাম তার সমালোচনা করেন ৷৩ তাকে প্রবর্তক বলে অস্বীকার করেন ৷
সাঈদ ইবন আরুব৷ এ বছরে ইনতিকাল করেন ৷ এক বর্ণনা ঘুতাবিক তিনিই প্রথম সৃনান
(হাদীছসমুহ) সংগ্রহ করেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন শাওযাব, আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনৃউম
আফ্রির্কী এবং উমর ইবন যরও এ বছর ইনতিকাল করেন ৷
১৫ ৭ হিজরীর প্রারম্ন
এ বছর মানসুর দুনিয়ার চিরস্থায়ী হওয়ার (তার নাম চিরস্থায়ী করার) শুভলক্ষণ হিসেবে
বাগদাদে তার অ ৷লখুলদ নামী সুরম্য অট্টানিকা নির্মাণ করেন ৷ কিন্তু তার সমাপ্তির সাথে সাথে
তীর জীবনেরও অবসান ঘটে এবং তীর পরে অট্টালিকাটিও ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ৷ এ অট্টালিক৷ তৈরির
উদ্যোক্তা ছিলেন আবান ইবন সাদাকা এবং মানসুরের আযাদকৃত গোলাম আর রাবী ৷ যে ছিল তার
দারোয়ান ৷ এ বছর মানসুর বাজারগুলোকে রাজ ভবনের আশপাশ থেকে বাবুল কারখে ( ’ন্ৰু
ব্লু,বু ৷ ) এ স্থানান্তরিত করেন ৷ এর কারণ পুর্বে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ আর এ বছরই রাস্তা-ঘাটেৱ
এশস্ততাৱ জন্য হুকুম জারি করা হয় ৷ বাবুস সাঈর ( স্পো ৷ ’ন্ ৷পু ) এর কাছে পুল নির্মাণেরও
আদেশ জারি করা হয় ৷ এ বছর মানসুর সেনাবাহিনীর প্যারেড বা আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের
ব্যবস্থা করেন ৷ সৈন্যগণ অবস্ত্রসস্তে সুসজ্জিত হয় এবং তিনি নিজেও ৷রী অস্ত্রসস্ত্র পরিধ৷ ৷ন করেন ৷
আর এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল দাজলা নদীর৷ পা ড়ে ৷ এ বছরই সিন্ধু থেকে হিশ ৷ম ইবন আমরকে
বরখাস্ত করা হয় এবং তথায় সাঈদ ইবন আল খালীলকে নিয়োগ দেয়া হয় ৷ এ বছর ইয়াযীদ ইবন
উসায়দ আস-সালামী গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধ পরিচালনা করেন ৷ তিনি রোমের শহরগুলােতে ঢুকে পড়েন
এবং আল-বাত্তালের আযাদকৃত গোলাম সিনানকে মুকাদ্দিমাতুল জায়শ ( স্পে ৷ ড্রুাওৰু)
হিসেবে সর্বাগ্রে প্রেরণ করেন ৷ তিনি বহু দুর্গ জয় করেন ও বহু লোককে বন্দী করেন এবং প্রচুর
গনীমত অর্জন করেন ৷ এ বছর ইবরাহীম ইবন ইয়াহইয়৷ ইবন মুহ৷ ৷ম্মাদ ইবন আলী লোকজনকে
নিয়ে হজ্জ আদায় করেন ৷ বিভিন্ন শহরের কর্মচ ৷রীবৃন্দ৩ ৷দের পুর্ববর্তী পদে বহাল ছিলেন ৷ এ বছর
যা৷ ইনতিক৷ ৷ল করেন তারা হলেনং : আল-হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ এবং সম্মানিত ইমাম, যুগের
আল্লামা আবু আমর আবদুর রহমান ইবন আমর আল-আওযাঈ ৷ যিনি ছিলেন সিরিয়াবাসীদের
ফর্কীহ্ ও ইমাম ৷ দামেশকবাসী ও তার আশপাশের শহরওলাের বাসিন্দাগণ প্রায় দৃ’শ বিশ বছর
যাবৎ তীর মাযহাবের অনুসরণ করেছেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سَبْعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا بَنَى الْمَنْصُورُ قَصْرَهُ الْمُسَمَّى بِالْخُلْدِ فِي بَغْدَادَ، وَكَانَ الْمُسْتَحِثَّ فِي عِمَارَتِهِ أَبَانُ بْنُ صَدَقَةَ، وَالرَّبِيعُ مَوْلَى الْمَنْصُورِ. وَفِيهَا حَوَّلَ الْمَنْصُورُ الْأَسْوَاقَ مِنْ قُرْبِ دَارِ الْإِمَارَةِ إِلَى بَابِ الْكَرْخِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِيمَا تَقَدَّمَ سَبَبَ ذَلِكَ. وَفِيهَا أَمَرَ بِتَوْسِعَةِ الطُّرُقَاتِ. وَفِيهَا أَمَرَ بِعَمَلِ جِسْرٍ عِنْدَ بَابِ الشَّعِيرِ. وَفِيهَا اسْتَعْرَضَ الْمَنْصُورُ جُنْدَهُ وَهُمْ مُلْبَسُونَ السِّلَاحَ، وَهُوَ أَيْضًا لَابِسٌ سِلَاحًا عَظِيمًا، وَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَ دِجْلَةَ. وَفِيهَا عَزَلَ عَنِ السِّنْدِ هِشَامَ بْنَ عَمْرٍو، وَوَلَّى عَلَيْهَا مَعْبَدَ بْنَ الْخَلِيلِ. وَفِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ يَزِيدُ بْنُ أَسِيدٍ السُّلَمِيُّ، فَأَوْغَلَ فِي بِلَادِ الرُّومِ، وَبَعَثَ سِنَانًا مَوْلَى الْبَطَّالِ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَفَتَحَ بَعْضَ الْحُصُونِ وَسَبَى وَغَنِمَ.
পৃষ্ঠা - ৮০৫৯


আল-আওযাঈ (র)-এর জীবনী থেকে কিছু কথা

তার নাম ছিল আবু আমর আবদুর রহমান ইবন আমর ইবন মুহাম্মাদ আল-আওযাঈ ৷
আল-আওযা হিময়ার বংশের একটি শাখার নাম ৷ তিনি তাদের মধ্যে ছিলেন একজন ৷ এরুপ
বলেছেন মুহাম্মাদ ইবন সাদ ৷ অন্যরা বলেন, তিনি তাদের মধ্যে ছিলেন না ; তিনি বরং
আল-আওয৷ মহল্লায় উপনীত হয়েছিলেন, আর এটা ছিল বাবুল কারাদীস ( এঠু ন্ষ্ট্রুদ্বু ৷াপু )
এর বাইরে দামেশকের গ্রামগুলোর মধ্যে একটি গ্রাম ৷ তিনি ছিলেন ইয়ণহইরা ইবন আমর
আশ-শায়বানীর চাচাতাে ভাই ৷ আবু যুরআ বলেন, আসলে তিনি ছিলেন সিন্ধুর কয়েদীদের
অন্যতম ৷ এরপরে তিনি আল-আওযায় উপনীত হন এবং তার দিকে সম্পর্কযুক্ত হয়ে
আল-আওযাঈ হিসেবে পরিচিত হন ৷ অন্য একজন বলেন, তিনি বালাবাক শহরে জন্মগ্রহণ করেন
এবং আল বিকায় ইয়াতীম হিসেবে মায়ের কোলে লালিত-পালিত হন ৷ তার মাতা তাকে নিয়ে
এক শহর থেকে অন্য শহরে ন্থান৷ ৷ন্তবিত হন ৷ আর তিনি নিজে নিজে আদর আখলাক শিখেন ৷
তাই রাজা বাদশা, খলীফা, উযীর, ব্যবসায়ী ও অন্যদের ছেলেমেয়েদের মধ্যেত তার চেয়ে অধিক
বুদ্ধিমান, পরহিযপার, শিক্ষিত, বাথী, সম্মানিত ও ধৈর্যশীল আর কেউ ছিল না ৷ যখন তিনি কোন
কথা বলতেন, তার সহযাত্রীদের মধ্যে যারা তা শুনতেন তারাত পর কথার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েত তা
লিখে নেয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন ৷ এগুলোর প্রকাশ না ও গ্রন্থনা র ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব
আরোপ করতেন ৷ একবার তিনি ইমামার উদ্দেশ্যে প্রেরিত সৈন্য দলে কিৎবা প্রতিনিধি দলে
তা৷লিক ৷ভুক্ত হয়েছিলেন ৷ ইয়াহ্ইয়া ইবন আবুকাসীর থেকে হাদীস শুনেছেন ৷৩ তারই৷ ক ৷ছেত তিনি
থাকতে লাপলেন ৷ তখন তিনি তাকে রসরায় ভ্রমণ করার পথ নির্দেশনা দান করেন যাতে তিনি
আল-হাসান ও ইবন সীরীন থেকে হাদীস শুনতে পাবেন ৷ তিনি তথায় যান কিন্তু তথায় গিয়ে
দেখতে পান যে দৃমাস পুর্বে উস্তাদ আল-হাসান ইনতিকাল করেছেন ৷ আর ইবন সীরীনকে অসুস্থ
পেলেন ৷ তিনি তীর বার বার সেবা শুশ্রাষ৷ করেন ৷ তার অসুস্থতা ক্রমশশু ৷ং বৃদ্ধি পেয়ে তিনি
ইনতিকা ৷ল করেন ৷ আল-আওযাঈ তার থেকে কিছুই শুনতে পাননি ৷ এরপর তিনি ভ্রমণ করতে
লাগলেন এবং দামেশ কে বাবুল কা ৷রা দীস ( ষ্ট্রু৷ ৷ ,৷ ৷ ৷ ) এর বাইরে আল-আওয৷ নামক
মহল্লায় উপনীত হন ৷ ’

তিনি তার যুগের নিজ শহর ও অন্যসর জায়গার রাসিন্দাদের মুকাবিলায় ফিকাহ, হাদীস,
মাপাযী (আল্লাহর পথে জিহাদকা বিগণের গুণ ণরিমা ও ক্রিয়া-কর্ম সম্পর্কিত বিবরণ) ও অন্যান্য
ইসলামী জ্ঞানে নেতৃত্ব দান করেন ৷ তিনি তাবিঈ ও অন্যদের একটি বিরাট দলকে পেয়েছেন ৷
আর তার থেকে নেতৃস্থা ৷নীয় মুসলমানদের বিভিন্ন দল হাদীস বর্ণনা ৷করেন ৷ যেমন মালিক ইবন
আবাস, আস-সাওরী ও আয-যুহরী ৷ তিনি ছিলেন তাদের উস্তাদদের অন্তর্ভুক্ত ৷ একা ৷ধিক ইমাম
তার প্রশং সা করেছেন ৷ মুসলমানগণ তার সত্যরাদিতা, বিশ্বাসযােগ্যত৷ ও নেতৃত্বে ঐকমত্য
পোষণ করতেন ৷ মালিক (র) বলেন, আল-আওযাঈ (র) ছিলেন এমন এক ইমাম যার অনুকরণ
ও অনুসরণ করা যায় ৷ সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ ও অন্যরা বলেন, আওযাঈ ছিলেন নিজের যামানার


وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ. وَنُوَّابُ الْبِلَادِ فِيهَا هُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي الَّتِي قَبْلَهَا. وَفِيهَا تُوُفِّيَ الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، وَالْإِمَامُ أَبُو عَمْرٍو عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ، فَقِيهُ أَهْلِ الشَّامِ، وَقَدْ بَقِيَ أَهْلُ الشَّامِ وَمَا حَوْلَهَا مِنَ الْبِلَادِ عَلَى مَذْهَبِهِ نَحْوًا مِنْ مِائَتَيْ سَنَةٍ. [وَهَذَا ذِكْرُ شَيْءٍ مِنْ تَرْجَمَةِ الْأَوْزَاعِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ] هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرِو بْنِ يَحْمَدَ أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ. وَالْأَوْزَاعُ بَطْنٌ مِنْ حِمْيَرَ، وَهُوَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، قَالَهُ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: لَمْ يَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، وَإِنَّمَا نَزَلَ فِي مَحَلَّةِ الْأَوْزَاعِ، وَكَانَتْ قَرْيَةً خَارِجَ بَابِ
পৃষ্ঠা - ৮০৬০

ইমাম ৷ ’ একবার তিনি হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ তিনি মক্কায় প্রবেশ করেন আর সুফিয়ান আস-
সাওরী তার উটের লাগাম ধরেছিলেন এবং মালিক ইবন আনাস (র)৩ তা পরিচ৷ ৷লন৷ করছিলেন ৷
আস-সাওরী উঃচ্চ: স্বরে বলছিলেন উস্তাদের জন্য জায়গা ছেড়ে দাও; উস্তাদের জন্য জায়গা ছেড়ে
দাও ৷ এরপর তারা দু’জন তাকে কা বার কাছে বসালেন, তারা তার সামনে বললেন এবং তার
থেকে জ্ঞান অর্জন করতে লাগলেন ৷ একবার মালিক (র) ও আওযা ঈ (র) মদীনা শরীফে যুহরের
সময় আলোচনা শুরু করেন ৷ আসরেব সালাত আদায় করা পর্যন্ত তারা আলোচনা করছিলেন ৷
এরপর আসর থেকে শুরু করে যা ৷গরিব পর্যন্ত আলোচনা করছিলেন ৷ আ ল আওযাঈ (র) মালিক
(র) কে মা ৷গাযীতে অভিভুত করেন এবং মালিক (র) আওযাঈ (র) কে ফিকাহে অতিভুত করেন
কিৎবা ফিকা ৷হের কিয়দাৎশে অভিভুত করেন ৷ একবার আল আওযা ৷ঈ (র) ও আস-সা ওরী (র)
আল খায়ফের মসজিদে রুকু তে হাত উঠানাে এবং রুকু থেকে উঠার সময় হাত তউঠানাের
মাসঅ৷ ৷লায় মুনাযারা করেন ৷ হাত উঠ ৷নাের পক্ষে আল-আওযা ৷ঈ (ব) ইমাম যুহরী (র) এর বর্ণনা
দিয়ে দলীল পেশ করেন ৷ ইমাম যুহরী (র) সালিম (র) থেকে এবং সালিম (র) তার পিতা থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু থেকে মাথা
উঠানাের সময় দু হাত তউঠাতেন ৷” আস-সাওরী (র) এটার বিরুদ্ধে ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদ
(র) এর হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন ৷ তখন আল-আওযাঈ (ব) একটু রাগান্বিত হন এবং
বলেন, যুহরী (র)এর হাদীসের ঘুকাবিলায় ইয়াযীদ ইবন আবু যিয়াদের হাদীসকে পেশ করছ
অথচ সে দুর্বল ব্যক্তি ? আস-সাওরী (র)-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায় ৷ আল-আওযাঈ (র) বলেন,
আমি যা বলেছি তাতে তোমার কি খারাপ লেগেছে ? তিনি বললেন, হী৷ ৷ তখন তিনি বললেন,
চল আমরা রুকনের কাছে যাই এবং কে সতবােদী তা যাচাই করার জন্য একে অপরের প্রতি
অভিসম্পাত করি ৷ আস-সাওরী (র) নিশুচ্প হয়ে গেলেন ৷

হিকল ইবন যিয়াদ বলেন, আলআওযাঈ (র) সত্তর হাজার মাসআলায় ফাতওয়৷ প্রদান
করেন ৷ এ সম্পর্কে তিনি আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং সংবাদ পরিবেশন করেছেন ৷
আবু যুরঅ৷ (র) বলেন, তার থেকে ষাট হাজার মাসআল৷ বর্ণিত রয়েছে ৷ এ দু’জন ব্যতীত
অন্যরাও বলেন, আল-আওযাঈ (র) একশ তের হিজরী থেকে ফাতওয়৷ দেয়৷ শুরু করেন ৷ তখন
তীর বয়স ছিল মাত্র পচিৰু৷ বছর ৷ তারপর তিনি মৃত্যু অবধি ফাতওয়৷ প্রদান করতে থাকেন ৷ আর
তার আকল বুদ্ধি ছিল সঠিক ৷

ইয়াহ্ইয়৷ আল-কাত্তান (র) মালিক (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমার কাছে
একদিন আল আওযাঈ (র) আস-সাওরী (র) ও আবু হানীফ৷ (র) একত্র হন ৷ আমি বললাম,
আপনি তাদের মধ্যে কাকে অগাধিকার প্রদান করেন ৷ তিনি বললেন, আল আওযাঈ (র) কে ৷
মুহাম্মাদ ইবন আজলান (র) বলেন, আমি আ ৷ল-আওযাঈ (র) থেকে মুসলমানদের জন্য অধিক
উপদেশ প্রদানকারী আর কাউকে দেখিনি ৷ অন্য একজন বলল, ইমাম আল-আওযাঈ (র)-কে
কখনও অট্টহাসি অবস্থায় দেখা যায়নি ৷ তিনি যখন জনসমক্ষে ওয়াজ করতেন, মজলিসের
প্রত্যেবেইি নিজ চোখে কিৎবা অম্ভরে কা দরু৩ ভন কিন্তু তাকে কোন দিন মজলিসে কাদতে দেখা
যায়নি৩ ৷ তবে যখন একাকী হতেন এমন কান্না কা দতেন যে যে কেউ৩ ৷ব প্রতি দয়া দেখাতে বাধ্য


الْفَرَادِيسِ مِنْ دِمَشْقَ، وَهُوَ ابْنُ عَمِّ يَحْيَى بْنِ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيِّ. قَالَ أَبُو زُرْعَةَ: وَأَصْلُهُ مِنْ سِبَاءِ السِّنْدِ فَنَزَلَ الْأَوْزَاعَ، فَغَلَبَ عَلَيْهِ النِّسْبَةُ إِلَيْهَا. وَقَالَ غَيْرُهُ: وُلِدَ بِبَعْلَبَكَّ، وَنَشَأَ بِالْبِقَاعِ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أُمِّهِ، وَكَانَتْ تَنْتَقِلُ بِهِ مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ، وَتَأَدَّبَ بِنَفْسِهِ، فَلَمْ يَكُنْ فِي أَبْنَاءِ الْمُلُوكِ وَالْوُزَرَاءِ أَعْقَلُ مِنْهُ، وَلَا أَوْرَعُ، وَلَا أَعْلَمُ، وَلَا أَفْصَحُ، وَلَا أَوْقَرُ، وَلَا أَحْلُمُ، وَلَا أَكْثَرُ صَمْتًا مِنْهُ، وَمَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ إِلَّا كَانَ الْمُتَعَيَّنَ عَلَى مَنْ يُجَالِسُهُ أَنْ يَكْتُبَهَا; مِنْ حُسْنِهَا، وَكَانَ يُعَانِي الرَّسَائِلَ وَالْكِتَابَةَ. وَقَدِ اكْتُتِبَ فِي بَعْثٍ إِلَى الْيَمَامَةِ، فَسَمِعَ الْحَدِيثَ مِنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، وَانْقَطَعَ إِلَيْهِ، فَأَرْشَدَهُ إِلَى الرِّحْلَةِ إِلَى الْبَصْرَةِ لِيَسْمَعَ مِنَ الْحَسَنِ وَابْنِ سِيرِينَ، فَسَارَ إِلَيْهَا فَوَجَدَ الْحَسَنَ قَدْ تُوُفِّيَ مِنْ شَهْرَيْنِ، وَوَجَدَ ابْنَ سِيرِينَ مَرِيضًا، فَجَعَلَ يَتَرَدَّدُ لِعِيَادَتِهِ، فَقَوِيَ الْمَرَضُ بِهِ، وَمَاتَ وَلَمْ يَسْمَعْ مِنْهُ الْأَوْزَاعِيُّ شَيْئًا، وَجَاءَ فَنَزَلَ دِمَشْقَ بِمَحَلَّةِ الْأَوْزَاعِ خَارِجَ بَابِ الْفَرَادِيسِ، وَسَادَ أَهْلَهَا فِي زَمَانِهِ وَسَائِرَ الْبِلَادِ فِي الْفِقْهِ وَالْحَدِيثِ وَالْمَغَازِي وَعُلُومِ الْإِسْلَامِ. وَقَدْ أَدْرَكَ خَلْقًا مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَاتٌ مِنْ سَادَاتِ الْمُسْلِمِينَ، كَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، وَالثَّوْرِيِّ، وَالزُّهْرِيِّ وَهُوَ مِنْ شُيُوخِهِ. وَأَثْنَى عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَأَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى عَدَالَتِهِ وَإِمَامَتِهِ; قَالَ
পৃষ্ঠা - ৮০৬১
مَالِكٌ: كَانَ الْأَوْزَاعِيُّ إِمَامًا يُقْتَدَى بِهِ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ وَغَيْرُهُ: كَانَ إِمَامَ أَهْلِ زَمَانِهِ. وَقَدْ حَجَّ مَرَّةً، فَدَخَلَ مَكَّةَ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ آخِذٌ بِزِمَامِ جَمَلِهِ، وَمَالِكٌ يَسُوقُ بِهِ، وَالثَّوْرِيُّ يَقُولُ: افْسَحُوا لِلشَّيْخِ. وَقَدْ تَذَاكَرَ مَالِكٌ وَالْأَوْزَاعِيُّ بِالْمَدِينَةِ مِنَ الظُّهْرِ حَتَّى صَلَّيَا الْعَصْرَ، وَمِنَ الْعَصْرِ حَتَّى صَلَّيَا الْمَغْرِبَ، فَغَمَرَهُ الْأَوْزَاعِيُّ فِي الْمَغَازِي، وَغَمَرَهُ مَالِكٌ فِي الْفِقْهِ. وَتَنَاظَرَ هُوَ وَالثَّوْرِيُّ فِي مَسْجِدِ الْخَيْفِ فِي مَسْأَلَةِ رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ، فَاحْتَجَّ الْأَوْزَاعِيُّ بِمَا رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ،» وَاحْتَجَّ الثَّوْرِيُّ عَلَى ذَلِكَ بِحَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، فَغَضِبَ الْأَوْزَاعِيُّ وَقَالَ: أَتُعَارِضُ حَدِيثَ الزُّهْرِيِّ بِحَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ وَهُوَ رَجُلٌ ضَعِيفٌ؟! فَاحْمَارَّ وَجْهُ الثَّوْرِيِّ، فَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: لَعَلَّكَ كَرِهْتَ مَا قُلْتُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَقُمْ بِنَا حَتَّى نَلْتَعِنَ عِنْدَ الرُّكْنِ أَيُّنَا عَلَى الْحَقِّ. فَسَكَتَ الثَّوْرِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৮০৬২

হতেন ৷ ইয়াহইয়া ইবন মুঈন (র) বলেন, বর্তমানে আলিম হলেন চারজন : আস-সাওরী (র) ,
আবুহানীফা (র) , মালিক (র) , ও আল-আওযাঈ (র) ছিলেন নির্ভরযোগ্য সর্বজন গ্রাহ্য এবং যা
গােনতেন তার অনুসরণকারী ৷ আলিমগণ বলেন, আল-আওযাঈ (র) কথাবার্তায় ভুল করতেন
না ৷ তার লিখিত কিতানগুলো মানসুরের কাছে পেশ করা হলে তিনি এগুলোর প্রতি নযর দিতেন ৷
এগুলোর ব্যাপারে চিন্তা করতেন ৷ কিতড়াবের বিশুদ্ধতা ও বাক্য গঠনের নিপুণতা দেখে তিনি
অবাক হয়ে যেতেন ৷ খলীফা মানসুর একদিন বললেন, আমি তার কিতাবটি সুলায়মান ইবন
মুজালিদের কাছে পেশ করেছি ৷ এর প্রেক্ষিতে সর্বদা আলআওযাঈ (র)-এর প্রতি আমাদের
উদার আচরণ করা উচিত ৷ যারা আল-আওযাঈ (র) সম্বন্ধে জানে না বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের প্রতি
যােগাংযাগ করার সময় আল-আওযাঈ (র)-এর লেখা থেকে সাহায্য (নয়৷ উচিত ৷ তখন
সুলায়মান বললেন, আল্লাহর শপথ ! হে আমীরুল মু’মিনীন ! দুনিয়ার কেউ তীর ন্যায় বাক্যগঠন
করতে সক্ষম নয় কিংবা র্তার ন্যায় কিছুটা ও গঠন করতে সক্ষম নয় ৷ আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিম
বলেন, আল-আওযাঈ (র) যখন ফজরের সালাত আদায় করতেন সুর্যোদয় পর্যন্ত বসে বসে
আল্লাহর যিকির করতেন এবং এ অভ্যাস তিনি তার পুর্ববর্তীদের থেকে গ্রহণ করেছিলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আস-সাওরী ও তার সাথীগণ ফিকাহ্ ও হাদীস সম্বন্ধে আলোচনায় মগ্ন
হয়ে পড়তেন ৷ আল-আওযাঈ (র) বলেন, একদিন আমি আল্লাহ তাআলাকে স্বপ্নে দেখলামা
তিনি বললেন, তৃমিই এমন ব্যক্তি যে, তুমি সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ থেকে রাবণ
কর ? উত্তরে আমি বললাম, হে বব ! তোমার যেহেরবানীতে তা আমি করছি ৷ এরপর আমি
বললাম, হে আমার বব ! আমাকে ইসলামের উপর মৃত্যু দিও ৷ আল্লাহ তাআলা বললেন,
সুন্নাতের উপরেও ৷

মুহাম্মাদ ইবন শুআয়ব ইবন শাবুর (র) বলেন, দামেশকের জামি মসজিদে এক বুযুর্গ ব্যক্তি
আমাকে বললেন, “আমি অমুক দিন মৃত্যুমুখে পতিত হব ৷ ” উক্ত দিন আমি তাকে দেখলাম,
তিনি জামি মসজিদের আঙ্গিনায় ঘোরাঘুরি করছেন ৷ আমাকে দেখে তিনি বললেন, মৃতদের
খাটের কাছে গমন কর, এটার দিকে তোমার বাড়ার পুর্বে এটাকে আমার জন্য তোমার কাছে
সংরক্ষণ কর ৷ এরপর আমি বললাম , আপনি কী বলছেন ? তিনি বললেন, এটা হল তা যা আমি
তোমাকে বলেছি ৷ আর নিঃসন্দেহে আমি দেখেছি যেন এক ব্যক্তি বলছে; অমুক আমার
সম-পর্যায়ের , অমুক এরুপ ৷ উছমান ইবন আল আতিকা কতইনা ভাল মানুষ ! আবু আমর
আলআওযাঈ যারা ভু-পৃষ্ঠে বিচরণ করছে তাদের চেয়ে উত্তম এবং তুমি অমুক দিন অমুক সময়
মৃত্যুবরণ করলে ৷ মুহাম্মাদ ইবন শুআয়ব বলেন, যুহরের সময় না আসাতেই তিনি ইনতিকাল
করেন ৷ আমরা যুহরের পর তার সালাতে জানাযা আদায় করলাম ও তাকে বহনকারী খাটটিকে
কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হলো ৷ এ ঘটনাটি ইবন আসাকির উল্লেখ করেছেন ৷

আল-আওযাঈ (র) বেশী বেশী ইবাদত করতেন ও উত্তমরুপে সালাত আদায় করতেন ৷ তিনি
ছিলেন পরহিযপার , ইবাদতগুযার এবং অধিক মৌনতা অবলম্বনকারী ৷ তিনি বলতেন , যে ব্যক্তি
রাতের সালাতে দীর্ঘক্ষণ দণ্ডায়মান থাকবেন আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দীর্ঘক্ষণ

হয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন :


وَقَالَ هِقْلُ بْنُ زِيَادٍ: أَفْتَى الْأَوْزَاعِيُّ فِي سَبْعِينَ أَلْفَ مَسْأَلَةٍ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: رُوِيَ عَنْهُ سِتُّونَ أَلْفَ مَسْأَلَةٍ. وَقَالَ غَيْرُهُمَا: أَفْتَى فِي سَنَةٍ ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَمِائَةٍ، وَعُمْرُهُ إِذْ ذَاكَ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً، ثُمَّ لَمْ يَزَلْ يُفْتِي حَتَّى مَاتَ. وَقَالَ يَحْيَى الْقَطَّانُ عَنْ مَالِكٍ: اجْتَمَعَ عِنْدِي الْأَوْزَاعِيُّ، وَالثَّوْرِيُّ، وَأَبُو حَنِيفَةَ. فَقُلْتُ: أَيُّهُمْ أَرْجَحُ؟ قَالَ: الْأَوْزَاعِيُّ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَجْلَانَ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَنْصَحَ لِلْمُسْلِمِينَ مِنَ الْأَوْزَاعِيِّ. وَقَالَ غَيْرُهُ: مَا رُئِيَ الْأَوْزَاعِيُّ ضَاحِكًا مُقَهْقِهًا قَطُّ، وَلَقَدْ كَانَ يَعِظُ النَّاسَ فَلَا يَبْقَى أَحَدٌ فِي مَجْلِسِهِ إِلَّا بَكَى بِعَيْنِهِ أَوْ بِقَلْبِهِ، وَمَا رَأَيْنَاهُ يَبْكِي فِي مَجْلِسِهِ قَطُّ. وَقَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: الْعُلَمَاءُ أَرْبَعَةٌ; الثَّوْرِيُّ، وَأَبُو حَنِيفَةَ، وَمَالُكٌ، وَالْأَوْزَاعِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৮০৬৩
وَالْأَوْزَاعِيُّ ثِقَةٌ، وَلَيْسَ هُوَ فِي الزُّهْرِيِّ بِذَاكَ. أَخَذَ كِتَابَ الزُّبَيْدِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَمَا أَقَلَّ مَا رَوَاهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: كَانَ ثِقَةً مُتَّبِعًا لِمَا سَمِعَ. قَالُوا: وَكَانَ الْأَوْزَاعِيُّ لَا يَلْحَنُ فِي كَلَامِهِ، وَكَانَتْ كُتُبُهُ تَرِدُ عَلَى الْمَنْصُورِ، فَيَنْظُرُ فِيهَا وَيَتَأَمَّلُهَا، وَيَتَعَجَّبُ مِنْ فَصَاحَتِهَا وَحَلَاوَتِهَا، فَقَالَ يَوْمًا لِأَحْظَى كُتَّابِهِ عِنْدَهُ وَهُوَ سُلَيْمَانُ بْنُ مُجَالِدٍ: يَنْبَغِي أَنْ تُجِيبَ الْأَوْزَاعِيَّ عَنْ كُتُبِهِ. فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا يَقْدِرُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ عَلَى ذَلِكَ، وَإِنَّا لَنَسْتَعِينُ بِكَلَامِهِ فِيمَا نُكَاتِبُ بِهِ أَهْلَ الْآفَاقِ مِمَّنْ لَا يَعْرِفُ كَلَامَ الْأَوْزَاعِيِّ. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: كَانَ الْأَوْزَاعِيُّ إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ جَلَسَ يَذْكُرُ اللَّهَ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَيَأْثُرُ عَنِ السَّلَفِ ذَلِكَ. قَالَ: ثُمَّ يَقُومُونَ فَيَتَذَاكَرُونَ فِي الْفِقْهِ وَالْحَدِيثِ. وَعَنِ الْأَوْزَاعِيِّ أَنَّهُ قَالَ: رَأَيْتُ رَبَّ الْعِزَّةِ فِي الْمَنَامِ، فَقَالَ: أَنْتَ الَّذِي تَأْمُرُ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَى عَنِ الْمُنْكَرِ؟ فَقُلْتُ: بِفَضْلِكَ يَا رَبِّ. قُلْتُ: يَا رَبِّ أَمِتْنِي عَلَى الْإِسْلَامِ. فَقَالَ: وَعَلَى السُّنَّةِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورَ: قَالَ لِي شَيْخٌ بِجَامِعِ دِمَشْقَ: أَنَا مَيِّتٌ
পৃষ্ঠা - ৮০৬৪


ৰু-ৰু;₹এেষ্ ৷ণ্হু^এ
এি
“অর্থাৎ,৷ র৷ তে র কিয়দাৎশে তা ৷র প্রতি সিজদা বনত হও (সালাত আদা য় কর) এবৎর ৷তের দীর্ঘ
সময় তবে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর ৷ তারা (কাফিররা) ভ ৷লবাসে পার্থিব জীবনকে এবং
তারা পরবর্তী কঠিন দিনকে উপেক্ষা করে চলে (সুরা ইনসান : ২৬-২ ৭) ৷ ”

আল-ওয়ালীদ ইবন মুসলিম (র) বলেন, ইবাদতগুযারীতে আল-আওযাঈ (র) থেকে অধিক
সচেষ্ট আমি আর কাউকে দেখিনি ৷ অন্য একজন মনীষী বলেন, আল-আওযাঈ (র) একবার হজ্জ
করেন কিভৃ তিনি সওয়৷ ৷রীতে নিঃদ্র৷ য৷ ৷ননি ৷ত তিনি৷ স ৷লাতে রাত কাটাতেন ৷ যখন তন্দ্র৷ এসে যেত
পালানে হেলান দিতে তন ৷ আর অতিরিক্ত অনুনয় বিনয়ের কারণে মনে হত যেন তিনি অন্ধ ৷
একদিন একজন মহিলা৷ আ ল-আওয৷ ৷ঈ (র) এর ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন ও দেখেন, যে চাটাইয়ে
তিনি (আওযাঈ) সালাত আদায় করেন তা ভিজ৷ ৷ মহিলাটি তাকে বললেন, সম্ভবত শিশুটি এখানে
প্রস্রাব করেছে ৷ আল-আওযাঈ (র)-এর শ্রী বললেন, এটা তার স্বামীর অশ্রুর চিহ্ন যা সিজদায়
ক্রন্দনের কারণে হয়ে থাকে ৷ প্রতিদিনই তার এরুপ অবস্থা হত ৷

আল-আওযাঈ (র) বলেন, তোমাকে পুর্ববর্তী আলিমগণের অনুসরণ করতে হবে যদিও
জনগণ তা ছেড়ে দেয় ৷ তোমাকে জনগণের কল্পকাহিনী থেকে বিরত থাকতে হয়ে যদিও তারা
এটাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও সুসজ্জিত করে দেখার ৷ কেননা বিষয়টি যখন সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে তখন
যেন তুমি তা থেকে সহজ-সরল পথে অবস্থান করতে পার ৷ তিনি আরো বলেন, পুর্ববর্তী পদ্ধতির
উপর সুদৃঢ় থাক, দওায়মান হও যেখানে যেখানে সমাজের লোক দণ্ডায়মান হয় (অহংকার করবে
না) বল যা তারা বলে, বিরত থাক যা থেকে তারা বিরত থাকে, তাদের যা যোগ্য করেছে
তােমাকেও তা অবশ্যই যোগ্য করবে ৷ তিনি বলেন, প্রকৃত জ্ঞান হল যা মুহাম্মাদ (সা) এর
সাহাবীদের থেকে এস্যেছ ৷ আর যাত তাদের থেকে আসেনি তা জ্ঞ৷ ৷নই নয় ৷ তিনি আরো বলতেন,
শুধু মু’মিঃনর অতরে হযরত উছমান (বা) ও হযরত আলী (বা) এর মহব্বত একত্র হয় ৷ যখন
আল্লাহ্ তাআল৷ কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে অমঙ্গলের ইচ্ছা করেন তাদের মধ্যে কলহ বিবাদের
দরজা খুলে দেন এবং তাদের থেকে জ্ঞান ও আমলের দরজা বন্ধ করে দেন ৷

আলিমগণ বলেন, জনগণের মধ্যে আল-আওযাঈ (র) ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও দানশীল ৷
তার জন্য বায়তুল সালে (সরক৷ ৷রী ণ্কাষাগারে) অংশ ছিল ৷ বনু উম ৷ইয়া ৷র খলীফাগণ তার জন্য
অংশ নির্ধারণ করেছিলেন ৷ বনু উমাইয়ার আত্মীয়-স্বজনও তাকে অং শ দিতেন ৷ বনু আব্বাসের
খলীফারাও তাকে বায়তুল মালের অ ৎশ দিতেন যার মুল্যমান ছিল প্রায় সত্তর হাজার দীন৷ ৷র ৷ তিনি
তা থেকে কিছুই নিজের জন্য রাখেননি ৷ কোন সরকারী সম্পত্তি বা অন্যান্য জিনিস নিজের জন্য
দখল করেননি ৷ যেদিন তিনি ইনতিকা ৷ল করেন তার কাছে ছিল৷ না এ সাত টি দীনার যা ছিল তার
দাফন করার আনুষ৷ ৷ঙ্গিক খরচ ৷ত তিনি তার সমস্ত সম্পদ আল্লাহ্র রাস্ত ৷য় ৷ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে
বিতরণ করে দিতেন ৷
সাফ্ফার চাচা আবদুল্লাহ্ ইবন আলী সিরিয়া থেকে বনু উমাইয়াকে বিতাড়িত করেন এবং
তাদের রাজত্ব তার হাতে ধ্বং সপ্রাপ্ত হয়ে যায় ৷৩ তিনি যখন দামেশকে প্রবেশ করেন আলআওযাঈ


فِي يَوْمِ كَذَا وَكَذَا. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ الْيَوْمُ رَأَيْتُهُ فِي صَحْنِ الْجَامِعِ يَتَفَلَّى، فَقَالَ لِي: اذْهَبْ إِلَى سَرِيرِ الْمَوْتَى فَأَحْرِزْهُ لِي عِنْدَكَ قَبْلَ أَنْ تُسْبَقَ إِلَيْهِ. فَقُلْتُ: مَا تَقُولُ؟! فَقَالَ: هُوَ مَا أَقُولُ لَكَ; إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ قَائِلًا يَقُولُ: فَلَانٌ قَدَرِيٌّ، وَفُلَانٌ كَذَا، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ نِعْمَ الرَّجُلُ، وَأَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ خَيْرُ مِنْ يَمْشِي عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ، وَأَنْتَ مَيِّتٌ فِي يَوْمِ كَذَا وَكَذَا. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ: فَمَا جَاءَ الظُّهْرُ حَتَّى مَاتَ، وَصُلِّيَ عَلَيْهِ بَعْدَهَا، وَأُخْرِجَتْ جِنَازَتُهُ. رَوَاهَا ابْنُ عَسَاكِرَ. وَكَانَ الْأَوْزَاعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ كَثِيرَ الْعِبَادَةِ، حَسَنَ الصَّلَاةِ، وَكَانَ يَقُولُ: مَنْ أَطَالَ الْقِيَامَ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ هَوَّنَ اللَّهُ عَلَيْهِ طُولَ الْقِيَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَكَأَنَّهُ أَخَذَ ذَلِكَ مِنَ الْقُرْآنِ، وَهُوَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَمِنَ اللَّيْلِ فَاسْجُدْ لَهُ وَسَبِّحْهُ لَيْلًا طَوِيلًا إِنَّ هَؤُلَاءِ يُحِبُّونَ الْعَاجِلَةَ وَيَذَرُونَ وَرَاءَهُمْ يَوْمًا ثَقِيلًا} [الإنسان: 26] [الْإِنْسَانِ: 26، 27] . وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشَدَّ اجْتِهَادًا مِنَ الْأَوْزَاعِيِّ فِي الْعِبَادَةِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: حَجَّ فَمَا نَامَ عَلَى الرَّاحِلَةِ، إِنَّمَا هُوَ فِي صَلَاةٍ، فَإِذَا نَعَسَ اسْتَنَدَ إِلَى الْقَتْبِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ مِنْ شِدَّةِ الْخُشُوعِ كَأَنَّهُ أَعْمَى. وَدَخَلَتِ امْرَأَةٌ عَلَى امْرَأَةِ الْأَوْزَاعِيِّ، فَرَأَتِ الْحَصِيرَ الَّذِي يُصَلِّي عَلَيْهِ مَبْلُولًا،
পৃষ্ঠা - ৮০৬৫
فَقَالَتْ لَهَا: لَعَلَّ الصَّبِيَّ بَالَ هَاهُنَا. فَقَالَتْ: لَا، هَذَا مِنْ أَثَرِ دُمُوعِ الشَّيْخِ فِي سُجُودِهِ، وَهَكَذَا يُصْبِحُ كُلَّ يَوْمٍ. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: عَلَيْكَ بِآثَارِ مَنْ سَلَفَ وَإِنْ رَفَضَكَ النَّاسُ، وَإِيَّاكَ وَرَأْيَ الرِّجَالِ وَإِنْ زَخْرَفُوهُ بِالْقَوْلِ; فَإِنَّ الْأَمْرَ يَنْجَلِي وَأَنْتَ مِنْهُ عَلَى طَرِيقٍ مُسْتَقِيمٍ. وَقَالَ أَيْضًا: اصْبِرْ عَلَى السُّنَّةِ، وَقِفْ حَيْثُ وَقَفَ الْقَوْمُ، وَقُلْ مَا قَالُوا، وَكُفَّ عَمَّا كَفُّوا، وَلْيَسَعْكَ مَا وَسِعَهُمْ. وَكَانَ يَقُولُ: الْعِلْمُ مَا جَاءَ عَنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ، وَمَا لَمْ يَجِئْ عَنْهُمْ فَلَيْسَ بِعِلْمٍ. وَكَانَ يَقُولُ: لَا يَجْتَمِعُ حُبُّ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ إِلَّا فِي قَلْبٍ مُؤْمِنٍ. وَإِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِقَوْمٍ شَرًّا فَتَحَ عَلَيْهِمْ بَابَ الْجَدَلِ وَسَدَّ عَنْهُمْ بَابَ الْعَمَلِ. قَالُوا: وَقَدْ كَانَ مِنْ أَكْرَمِ النَّاسِ وَأَسْخَاهُمْ، وَكَانَ لَهُ فِي بَيْتِ الْمَالِ عَلَى الْخُلَفَاءِ إِقْطَاعٌ، فَصَارَ إِلَيْهِ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ، وَبَنِي الْعَبَّاسِ نَحْوٌ مَنْ سَبْعِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمْ يَقْتَنِ مِنْهَا شَيْئًا، وَلَا تَرَكَ يَوْمَ مَاتَ سِوَى سَبْعَةِ دَنَانِيرَ، كَانَ يُنْفِقُهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَفِي الْفُقَرَاءِ.
পৃষ্ঠা - ৮০৬৬


(র) কে তলব করেন ৷ আল-আওমাঈ (র) তার থেকে তিনদিন অনুপস্থিত ছিলেন ৷ এরপর তিনি
তার সামনে হাযির হন ৷ আল-আওমাঈ (র) বলেন, যখন আমি তার কাছে প্রবেশ করলাম তখন
তাকে একটি চৌকির উপর উপবিষ্ট দেখলাম ৷ তার হাতে ছিল একটি ছড়ি ৷ তার ডানে ও বামে
ছিল কৃষ্ণ বর্ণের দারােয়ান ৷ তাদের সাথে ছিল খোলা তরবারি ও লোহার গদা ৷ আমি তাকে সালাম
করলাম ৷ তিনি সালামের কোন উত্তর দিলেন না ৷ তার হাতের ছড়িটি দিয়ে মাটিতে ঘেড়াচা
দিলেন ৷ এরপর বললেন, হে আওমাঈ ! শহর ও শহরবাসীদের থেকে এসব যালিমদের প্রতিপত্তি
ধ্বংস করার জন্য আমরা যা কিছু করলাম এ সম্বন্ধে আপনি কী বলেন ? এটা কি জিহাদ না সীমান্ত
রক্ষার প্রচেষ্টা ? আল-আওযাঈ (র) বলেন, তখন আমি বললাম, হে আমীর ! আমি ইয়াহ্ইয়া ইবন
সাঈদ আল-আনসারী (র) থেকে গুনেছি ৷ তিনি বলতেন , আমি মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম
আত-তায়মী (র)কে বলতে শুনেছি : আমি আলকামা ইবন আবু ওয়াক্কাস (র)-কে বলতে
গুনেছি, আমি উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) কে বলতে শুনেছি ? নিশ্চয়ই আমল নিয়তের উপরই
নির্ত্য৷ করে ৷ প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য রয়েছে তাই যা সে নিয়ত করেছে ৷ সুতরাং যার হিজরত
আল্লাহ ও তার রাসুল (সা) এর জন্য নিবেদিত তার হিজরত আল্লাহ্ ও তার রাসুল (না)-এর জন্য
গণ্য ৷ যার হিজরত হবে দুনিয়া অর্জন করার জন্য কিংবা কোন মহিলাকে বিয়ে করার জন্য তার
হিজরত হবে তারই নিয়তে যার নিয়তে সে হিজরত করেছে ৷

আল-আওযাঈ (র) বলেন, এরপর তিনি পুর্বের চেয়ে অধিক জোরে ছড়ি দিয়ে মাটিতে ঘেড়াচা
দিলেন ৷ আর তার পাশে যারা তরবারি হাতে নিয়ে বসেছিল তাদেরকে তরবারি সুদৃঢ়ভাবে ধরতে
বললেন ৷ তারপর বললেন, ঢ়হ আলশ্আওযাঈ (র) ! আপনি বনুউমাইয়ার রক্তপাতের ব্যাপারে কী
বলেন ? তখন আমি বললাম , রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেন, তিনটি কারণ ব্যতীত কোন মুসলিম ব্যক্তির
রক্তপাত হালাল নয় জানের পরিবর্তে জান, বিবাহিত ব্যভিচারী, দীনের প্ৰত্যাখ্যানকারী ও মুসলিম
জামাআত বর্জাকারী ৷ তিনি আরো জোরে ছড়ি দিয়ে মাটিতে খোচা দিলেন এবং বললেন, তাদের
সম্পদ সম্বন্ধে আপনি কী বলেন ? তখন আমি বললাম, তাদের হাতে থাকাকালীন যদি এগুলো
তাদের জন্য হারাম হয়ে থাকে তাহলে এগুলো আপনার জন্যও হারাম ৷ আর যদি তাদের জন্য
হালাল হয়ে থাকে তাহলে এগুলো আপনার জন্য শরীআতের নিয়ম ব্যতীত হালাল নয় ৷ পুর্বের
চেয়ে বেশী জোরে তিনি মাটিতে ঘেড়াচা দিলেন ৷ এরপর বললেন, আমরা কি আপনাকে কাযী
নিয়োগ করব ? তখন আমি বললাম, আপনার পুর্বপুরুষগণ এ ব্যাপারে আমাকে কোন প্রকার কষ্ট
দেননি ৷ আর আমি চাই, যেভাবে তারা আমার প্রতি ইহসান করে কাজটি শুরু করেছেন তা পুর্ণতা
লাভ করুক ৷ তিনি বললেন, মনে হয় যেন আপনি বিরত থাকতে চান ৷ তখন আমি বললাম,
আমার দায়িত্বে রয়েছে কতগুলো পােষ্য ৷ তাদের খাদ্য ও বরের জন্য তারা আমার উপর
নির্ভরশীল ৷ আমার কারণে তাদের অন্তর অস্থির রয়েছে ৷ আল-আওযাঈ (র) বলেন, আমি
অপেক্ষা করছিলাম কোন সময় যে আমার মাথটি৷ আমার সামনে নীচে পড়ে যায় ৷ এরপর আমীর
আমাকে চলে যাবার নির্দেশ দিলেন ৷ আমি যখন বের হয়ে আসলাম তখন দেখি আমার পেছন
আমীর আপনাকে বলছেন : এগুলো খরচ কর ৷ আল-আওযাঈ (র) বলেন, তারপর এগুলো আমি
সাদাকা করে দিলাম ৷ তবে এগুলো আমি ভয়ের কারণে গ্রহণ করেছিলাম ৷ আল-আওযাঈ (র) ,

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ( ১ :ম খণ্ড)-২৭


وَلَمَّا دَخَلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ دِمَشْقَ، وَسُلِبَ الْمُلْكُ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ تَطَلَّبَ الْأَوْزَاعِيَّ، فَتَغَيَّبَ عَنْهُ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ أُحْضِرَ بَيْنَ يَدَيْهِ. قَالَ: دَخَلْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ عَلَى سَرِيرٍ وَفِي يَدِهِ خَيْزُرَانَةٌ، وَالْمُسَوِّدَةُ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ، مَعَهُمُ السُّيُوفُ مُصْلَتَةٌ وَالْعُمُدُ الْحَدِيدُ، فَسَلَّمْتُ فَلَمْ يَرُدَّ، وَنَكَتَ بِتِلْكَ الْخَيْزُرَانَةِ الَّتِي فِي يَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَوْزَاعِيُّ، مَا تَرَى فِيمَا صَنَعْنَا مِنْ إِزَالَةِ أَيْدِي أُولَئِكَ الظَّلَمَةِ أَرِبَاطٌ هُوَ؟ قَالَ: فَقُلْتُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِىَّ يَقُولُ: سَمِعْتُ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ» . قَالَ: فَنَكَتَ بِالْخَيْزُرَانَةِ أَشَدَّ مِمَّا كَانَ يَنْكُتُ، وَجَعَلَ مَنْ حَوْلَهُ يَعَضُّونَ أَيْدِيَهُمْ، ثُمَّ قَالَ: يَا أَوِزَاعِيُّ، مَا تَقُولُ فِي دِمَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ؟ فَقُلْتُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ; النَّفْسُ بِالنَّفْسِ، وَالثَّيِّبُ الزَّانِي، وَالتَّارِكُ لِدِينِهِ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ» . فَنَكَتَ أَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ: مَا تَقُولُ فِي أَمْوَالِهِمْ؟ فَقُلْتُ: إِنْ كَانَتْ فِي أَيْدِيهِمْ حَرَامًا فَهِيَ حَرَامٌ عَلَيْكَ أَيْضًا، وَإِنْ كَانَتْ لَهُمْ حَلَالًا فَلَا تَحِلُّ لَكَ إِلَّا بِطَرِيقٍ شَرْعِيٍّ. فَنَكَتَ أَشَدَّ مِمَّا كَانَ يَنْكُتُ قَبْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ قَالَ: أَلَا نُوَلِّيكَ الْقَضَاءَ؟ فَقُلْتُ: إِنَّ أَسْلَافَكَ لَمْ يَكُونُوا
পৃষ্ঠা - ৮০৬৭

বলেন, উক্ত তিন দিন আমি সিয়ামপালন করছিলাম ৷ কথিত আছে যে, আমীরের কাছে যখন এ
সংবাদ পৌছল তখন তিনি তীর কাছে ইফতারী প্রেরণ করেন যেন তিনি তার কাছে ইফতার
করেন ৷ কিন্তু তিনি তীর কাছে ইফতার করতে অসম্মতি প্রকাশ করেন ৷

ঐতিহাসিকগণ বলেন , এরপর আল-আওযাঈ (র ) দামেশক থেকে রওনা হন ও
পরিবার-পরিজন নিয়ে বৈরুতে উপনীত হন ৷ আল-আওযাঈ (র) বলেন, বৈরুতে আমি একবার
অবাক হয়ে গিয়েছিলড়াম ৷ আমি বৈরুতের কবরস্থান হয়ে যাচ্ছিলাম ৷ কবরন্থানে আমি একজন
কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাকে দেখতে পেলাম ৷ তখন আমি তাকে বললাম , ওহে ! এখানে বসতি কোথায় ?
মহিলাটি বলল, যদি আপনি বসতি দেখতে চান তাহলে এটা এ বলে সে কবরের দিকে ইংগিত
করল ৷ আর যদি আপনি ধ্বংস ন্তুপ দেখতে চান তাহলে এটা আপনার সামনে সে শহরের দিকে
ইংগিত করল ৷ এরপর আমি সেখানে বসবাস করার জন্য স্থির সিদ্ধান্ত নিলাম ৷

মুহাম্মাদ ইবন কাসীর (র) বলেন, আমি আল-আওয়াঈ (র) কে বলতে শুনলাম : একদিন
আমি মাঠে বের হলড়াম ৷ সেখানে দেখতে পেলাম, তামা ইত্যাদি ধাতু তৈরি পাত্রের বার্নিণকারী
একটি লোককে এবং অন্য একটি লোককে দেখতে ফেলাম যে সে প্রথম ব্যক্তির গ্রেপীতুক্ত এক
ব্যক্তির উপর আরোহণ করে রয়েছে ৷ তার উপর রয়েছে লোহার হাতিয়ার ৷ যখনই সে হাত দ্বারা
কোন দিকে ইশারা করে তার হাতের সাথে ঐ লোকটাও ঐদিকে ঝুকে বলতে থাকে ও
রুএেষ্ র্দ্রপ্লে ঙ্ ণ্রুএেণ্ ভ্রুৰু ৷চুপু ; শু০র্দুরুএেণ্ শুরু ৰুএে শুএ রুএেণ্ ৰু চ্এত্রৈ
অর্থাৎ দুনিয়াটা অসার , অসার, অসার দুনিয়ার যা কিছু রয়েছে তাও অসার , অসার , অসার ৷ ’
আল-আওয়াঈ (র) বলেন, আমাদের নিকট এমন এক ব্যক্তি ছিল যে জুমআর দিন শিকারে
বের হত ৷ সে জুমআর সালাংতর জন্য অপেক্ষা করত না ৷ একদিন সে তার খচ্চরসহ্ ধসে
গেল ৷ শুধু খচ্চরের দু’টি কান বাকী বয়ে পেল ৷ একদিন আল-আওযাঈ (র) বৈরুতের মসজিদের
দরজা দিয়ে বের হন ৷ সেখানে ছিল একটি দোকান যার মধ্যে এক ব্যক্তি নাতিফ নামী এক প্রকার
হালুয়া বিক্রি করত ৷ তার পাশেই এক ব্যক্তি পিয়াজ বিক্রি করত ৷ সে বলছিল, আসুন, আসুন,
পিয়াজ নিন যা মধু থেকে অধিক মিষ্ট কিৎবা বলত , নাতিফ থেকে অধিক মিষ্ট পিয়াজ খরিদ
করুন ৷ আল-আওযাঈ (র) বলেন, সুবহানাল্লাহ্ ! সে কি মনে করে যে, তার জন্য মিথ্যা বলা
মুবাহ ? প্রকৃতপক্ষে সে দোকানদারটি মিথ্যা বলাকে দুষণীয় মনে করত না ৷
আল-ওয়াকিদী বলেন , আল-আওযাঈ (র) বলেছেন, আজকের দিনের পুর্বেআমরা হাসতাম
ও থেলতড়াম কিন্তু যখন আমরা ইমাম হয়ে গেলাম, আমাদের অনুসরণ জনগণ করতে লাগল
তখন আর আমরা আমাদের জন্য এটা সযীচীন মনে করছি না ৷ আমাদের নিজেদেরকে নিজেরাই
সংরক্ষণ করা উচিত ৷ আল-আওযাঈ (র) তীর এক ভাইয়ের কাছে লিখেন : এরপর আল্লাহর
ৎসা ও রাসুল (না)-এর প্রতি দরুদ প্রেরণের পর সমাচার এ যে, তুমি চতুর্দিক থেকে শত্রুমিত্র
দ্বারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে ৷ আর প্রতিটি দিন ও রাত্রে তোমার কাছে রয়েছে আল্লাহর
নিআমতের প্রাচুর্য সুতরাং তুমি আল্পাহকে ভয় কর এবং আল্লাহর সামনে দণ্ডায়মান হওয়ার বিষয়টি
নিয়েও কিন্তু কর ৷ আর এটাই হবে তোমার সাথে আল্লাহর সর্বশেষ প্রতিশ্রুতি ৷ ওয়াস সালাম ৷
ইবন আবুদ দুনিয়া (র) বলেন : মুহাম্মদ ইবন ইদরীস আমার কাছে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি


يَشُقُّونَ عَلَيَّ فِي ذَلِكَ، وَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ يَتِمَّ مَا ابْتَدَءُونِي بِهِ مِنَ الْإِحْسَانِ. فَقَالَ: كَأَنَّكَ تُحِبُّ الِانْصِرَافَ؟ فَقُلْتُ: إِنَّ وَرَائِي حُرَمًا، وَهُمْ مُحْتَاجُونَ إِلَى الْقِيَامِ عَلَيْهِمْ وَسَتْرِهِمْ. قَالَ: وَانْتَظَرْتُ رَأْسِي أَنْ يَسْقُطَ بَيْنَ يَدَيَّ، فَأَمَرَنِي بِالِانْصِرَافِ، فَلَمَّا خَرَجْتُ إِذَا رَسُولُهُ مِنْ وَرَائِي، وَإِذَا مَعَهُ مِائَتَا دِينَارٍ، فَقَالَ: يَقُولُ لَكَ الْأَمِيرُ: أَنْفِقْ هَذِهِ. قَالَ: فَتَصَدَّقْتُ بِهَا. وَكَانَ فِي تِلْكَ الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ صَائِمًا طَاوِيًا، فَيُقَالُ: إِنَّ الْأَمِيرَ لَمَّا بَلَغَهُ ذَلِكَ عَرَضَ عَلَيْهِ الْإِفْطَارَ عِنْدَهُ، فَأَبَى أَنْ يُفْطِرَ عِنْدَهُ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالُوا: ثُمَّ رَحَلَ الْأَوْزَاعِيُّ مِنْ دِمَشْقَ، فَنَزَلَ بَيْرُوتَ مُرَابِطًا بِأَهْلِهِ وَأَوْلَادِهِ. قَالَ: وَأَعْجَبَنِي فِيهَا أَنِّي مَرَرْتُ بِقُبُورِهَا، فَإِذَا امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ، فَقُلْتُ لَهَا: أَيْنَ الْعِمَارَةُ يَا هَنْتَاهُ؟ فَقَالَتْ: إِنْ أَرَدْتَ الْعِمَارَةَ فَهِيَ هَذِهِ، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ الْخَرَابَ فَأَمَامَكَ. وَأَشَارَتْ إِلَى الْبَلَدِ، فَعَزَمْتُ عَلَى الْإِقَامَةِ بِهَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ: سَمِعْتُ الْأَوْزَاعِيَّ يَقُولُ: خَرَجْتُ يَوْمًا إِلَى الصَّحْرَاءِ، فَإِذَا رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ فِي السَّمَاءِ، وَإِذَا شَخْصٌ رَاكِبٌ عَلَى جَرَادَةٍ مِنْهَا وَعَلَيْهِ سِلَاحُ الْحَدِيدِ، وَكُلَّمَا قَالَ بِيَدِهِ هَكَذَا مَالَ الْجَرَادُ مَعَ يَدِهِ وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৮০৬৮
يَقُولُ: الدُّنْيَا بَاطِلٌ بَاطِلٌ بَاطِلٌ مَا فِيهَا، الدُّنْيَا بَاطِلٌ بَاطِلٌ بَاطِلٌ مَا فِيهَا، الدُّنْيَا بَاطِلٌ بَاطِلٌ بَاطِلٌ مَا فِيهَا. وَقَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: كَانَ عِنْدَنَا رَجُلٌ يَخْرُجُ يَوْمَ الْجُمْعَةِ إِلَى الصَّيْدِ وَلَا يَنْتَظِرُ الْجُمْعَةَ، فَخُسِفَ بِبَغْلَتِهِ، فَلَمْ يَبْقَ مِنْهَا إِلَّا أُذُنُهَا. وَخَرَجَ الْأَوْزَاعِيُّ يَوْمًا مِنْ بَابِ مَسْجِدِ بَيْرُوتَ، وَهُنَاكَ دُكَّانٌ فِيهِ نَاطِفٌ، وَإِلَى جَانِبِهِ رَجُلٌ يَبِيعُ الْبَصَلَ وَهُوَ يَقُولُ: يَا أَحْلَى مِنَ النَّاطِفِ. فَقَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! مَا يَرَى هَذَا بِالْكَذِبِ بَأْسًا؟ . وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ: كُنَّا قَبْلَ الْيَوْمِ نَضْحَكُ وَنَلْعَبُ، أَمَّا إِذْ صِرْنَا أَئِمَّةً يُقْتَدَى بِنَا فَيَنْبَغِي أَنْ نَتَحَفَّطَ. وَكَتَبَ إِلَى أَخٍ لَهُ: أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ أُحِيطَ بِكَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، وَإِنَّهُ يُسَارُ بِكَ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَاحْذَرِ اللَّهَ وَالْقِيَامَ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَأَنْ يَكُونَ آخِرَ عَهْدِكَ بِهِ، وَالسَّلَامُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ كَاتِبَ
পৃষ্ঠা - ৮০৬৯


বলেন, আল-লায়ছ (ব)-এর লেখক আবু সালিহ (র) আল-হিকল ইবন যিয়াদ (র) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি আ ল-আওয৷ ৷ঈ (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি একদিন ওয়ায করেন ৷ তার ওয়ায়ে
তিনি বলেনং হে মানব জা ৷তি ঐসব পরিমিত নিআমতে র মাধ্যমে নিজেদেরকে শক্তিশালী কর
যেগুলোর মধ্যে অবন্থ ন করে আল্লাহ তা আলার প্রজ্বলিত আগুন থেকে তোমরা দুরে থাকতে
পারবে যা তোমাদের অন্তরকে গ্রাস করবে ৷ তোমরা দুনিয়ার যেহমানখানায় কম সময়ের জন্য
অবস্থান করছ, অল্প কিছু দিনের মধ্যে তোমরা তা ত্যাগ করে চলে যাবে ; তোমরা বিগত প্রজন্মের
স্থলাভিষিক্ত যার৷ তোমাদের পুর্বে দুনিয়ার সৌন্দর্য ও মনােযুগ্ধকর বস্তুসমুহ ভোগ করেছে ৷ তারা
ছিল৫ তামাদের চেয়ে বেশী বয়স্ক, দীর্ঘতর দেহের অধিকারী, বৃদ্ধি বিবেচনায় তোমাদের চেয়ে
অধিক পরিপক্ক এবং ধন-সম্পদ ও জনবলে তোমাদের চেয়ে বেশী প্রাচুর্যের অধিকারী ৷ তারা
পাহাড় পর্বত বিদীর্ণ করেছিল, উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল এবং তারা বিভিন্ন
দেশে বীর বিক্রমে সগর্বে স্তম্ভের ন্যায় দেহ নিয়ে ভ্রমণ করেছিল ৷ কালচক্র কম সময়ের মধ্যে
তাদের স্মৃতি তবিজড়িত চিহ্নগুলাে মুছে ফেলে দেয়, তাদের ঘরবাড়িগুলােকে ধ্বং ×সন্তুপে পরিণত
করে দেয়,ত তাদের সুনাম ও সুখ্যাতি ৩বিস্মৃত করে দেয়, তুমি এক তাদের কা ৷উকে এখন দেখতে
পাও ? অথবা তাদের ক্ষীণতম শব্দও শুনতে পাও ? তারা আশা আকাহ্মে ৷র খেলায় মত ছিল
ভয় ভীতি বলতে তাদের কিছুই ছিল না,ত তাদের মৃত্যু দিনক্ষণ সম্বন্ধেত রতা৷ ছিল ভ্রক্ষেপহীন, তারা
ছিল সলজ্জ্ব সম্প্রদায় হিসেবে প্রত্যাবর্তন করতে অস্বীকারকারী ৷ এরপর রাতের বেলায় তাদের
আঙ্গিনায় আল্লাহর যে গযব অবতীর্ণ হয়েছিল সে সম্বন্ধে তোমরা অবগত হলে (কুরআনের
মাধ্যমে), তাদের অনেকেই তাদের নিজ গৃহের ধ্বৎসস্তুপে অধ ংমুখে পতিত অবস্থায় পড়ে থাকল,
পেছনে যারা বাকী রয়েছেত তারা আল্লাহ্র নিআমতকে অবলােকন করছে এবং আল্লাহর প্রদত্ত
শাস্তির চিহ্নগুলোর প্রতি ও তাদের পুর্বে ধ্ব ৎসপ্রাপ্তদের থেকে আল্লাহর নিআমত কিভাবে বিলুপ্ত
হয়ে গিয়েছিলত৷ার প্রতিতার৷ দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে ৷ আল্লাহ্র শপথ তারা ধ্বং ×সপ্রাপ্ত জনমানব শুন্য
ঘরগুলোর দিকেতাকিয়ে আছে,৩ তারা মনে করছে যে, পুর্ববর্তীদের মান-মর্যাদ৷ ছিল প্রচুর, আল্লাহ
প্রদত্ত নিআমত ছিল উল্লেখযোগ্য, এসব নিআমতের প্রতি তাদের অন্তর ছিল নিমগ্ন, তাদের দৃষ্টি
ছিল নিবদ্ধ, যারা মর্মন্তুদ আযাবকে ভয় করে তাদের জন্য ছিল এটা নিদর্শন এবং যারা ভয় করে
তাদের জন্য ছিল নসীহত ৷ তোমরা তাদের পরে সংক্ষিপ্ত আয়ু নিয়ে সৎকীর্ণ দুনিয়ায় এসেছ ৷
তোমরা এমন এক যুগে পদাবনি করেছ যার উত্তম অংশ চলে গেছে, সুখ স্বাচ্ছন্দাময় জীবন
যাপনের অবসান ঘটেছে, যার কল্যাণ ও উৎকর্ষ বিদায় নিয়েছে ৷ এখন দেখা দিয়েছে মন্দের
আধিক্য ও নােৎরামির প্ৰতি অনুরাগ, অশ্রু বর্ষণকারীর আত নাদ, অত্যধিক রক্তপাতের শাস্তি,
কাউকে বেকা য়দ৷ জনক অবস্থায় ফেলা, উপর্বুপরি ভুমিকম্প হওয়া, পরবর্তীদের হীনমন্যত৷ তাদের
কারণেই জলেস্থলে বিপর্যয় প্রকাশ পেয়েছে ৷ জনগণ শহরগুলােকে সং ×কুচিত করছে, দ্রব্যমুল্য
বৃদ্ধি করছে এবং লজ্জা ও মারাত্মক ত্রুটির শিকা ৷র হচ্ছে ত রা ৷ শ্রোতামণ্ডলী ! তোমরা এমন
লোকের ন্যায় হবে না যাকে উচ্চ ৷ভিলাষ ধৌ কা দিয়েছে এবং যাকে দীর্ঘ হায়৷ ত প্রতারণা করেছে ৷
যাকে নিয়ে আশা আকাভক্ষা থেল৷ করছে ৷ আমরা আল্লাহর কাছে প্রা ৷র্থ্যা৷ করি-অ আল্লাহ্ আমাদের ও
তোমাদেরকে এমন লোকদের অম্ভর্ভক্ত করেন যাদেরকে সৎপথে ডাক ৷ কহলে তারা ঞ৩ সাড়া দেয়
ব৫ৎকান গর্হিত কা জ থেকে নিষেধ করা হলেত তারা তা থেকে বিরত থাকে ৷ আর তারা তাদের
ঠিকানা বুঝতে পারে তাই তারা এটাতে নিজেদেরকে ব্যবহা র ৷উপযােগী করে তোলে ৷


اللَّيْثِ يَذْكُرُ عَنِ الْهِقْلِ بْنِ زِيَادٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، أَنَّهُ وَعَظَ فَقَالَ فِي مَوْعِظَتِهِ: أَيُّهَا النَّاسُ، تَقَوَّوْا بِهَذِهِ النِّعَمِ الَّتِي أَصْبَحْتُمْ فِيهَا عَلَى الْهَرَبِ مِنْ نَارِ اللَّهِ الْمُوقَدَةِ، الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ، فَإِنَّكُمْ فِي دَارٍ الثَّوَاءُ فِيهَا قَلِيلٌ، وَأَنْتُمْ فِيهَا مُرَحَّلُونَ، خَلَائِفُ بَعْدَ الْقُرُونِ الَّتِي اسْتَقْبَلُوا مِنَ الدُّنْيَا أُنُفَهَا وَزَهْرَتَهَا، فَهُمْ كَانُوا أَطْوَلَ مِنْكُمْ أَعْمَارًا وَأَمَدَّ أَجْسَامًا، وَأَعْظَمَ آثَارًا، فَخَدَّدُوا الْجِبَالَ وَجَابُوا الصُّخُورَ، وَنَقَّبُوا فِي الْبِلَادِ، مُؤَيَّدِينَ بِبَطْشٍ شَدِيدٍ، وَأَجْسَادٍ كَالْعِمَادِ، فَمَا لَبِثَتِ الْأَيَّامُ وَاللَّيَالِي أَنْ طَوَتْ مُدَّتَهُمْ وَعَفَتْ آثَارَهُمْ، وَأَخْرَبَتْ مَنَازِلَهُمْ، وَأَنْسَتْ ذِكْرَهُمْ، فَمَا تُحِسُّ مِنْهُمْ مِنْ أَحَدٍ وَلَا تَسْمَعُ لَهُمْ رِكْزًا، كَانُوا بِلَهْوِ الْأَمَلِ آمِنِينَ، وَلِمِيقَاتِ يَوْمٍ غَافِلِينَ، أَوْ لِصَبَاحِ قَوْمٍ نَادِمِينَ، ثُمَّ إِنَّكُمْ قَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِي نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ بَيَانًا مِنْ عُقُوبَةِ اللَّهِ، فَأَصْبَحَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ فِي دِيَارِهِمْ جَاثِمِينَ، وَأَصْبَحَ الْبَاقُونَ يَنْظُرُونَ فِي آثَارِ نِقَمِهِ، وَزَوَالِ نِعَمِهِ، وَمَسَاكِنَ خَاوِيَةٍ، وَفِيهَا آيَةٌ لِلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ، وَعِبْرَةٌ لِمَنْ يَخْشَى، وَأَصْبَحْتُمْ مِنْ بَعْدِهِمْ فِي أَجَلٍ مَنْقُوصٍ، وَدُنْيَا مَقْبُوضَةٍ، فِي زَمَانٍ قَدْ وَلَّى عَفْوُهُ، وَذَهَبَ رَخَاؤُهُ، فَلَمْ يَبْقَ مِنْهُ إِلَّا حُمَةُ شَرٍّ، وَصُبَابَةُ كَدَرٍ، وَأَهَاوِيلُ غِيَرٍ، وَعُقُوبَاتُ عِبَرٍ، وَإِرْسَالُ فِتَنٍ، وَتَتَابُعُ زَلَازِلَ، وَرُذَالَةُ خَلْفٍ، بِهِمْ ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ، فَلَا تَكُونُوا أَشْبَاهًا لِمَنْ
পৃষ্ঠা - ৮০৭০
خَدَعَهُ الْأَمَلُ، وَغَرَّهُ طُولُ الْأَجَلِ، وَتَبَلَّغَ بِالْأَمَانِي، نَسْأَلُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنَا وَإِيَّاكُمْ مِمَّنْ وَعَى نُذُرَهُ وَانْتَهَى، وَعَقَلَ مَثْوَاهُ فَمَهَدَ لِنَفْسِهِ. وَقَدِ اجْتَمَعَ الْأَوْزَاعِيُّ بِالْمَنْصُورِ حِينَ دَخَلَ الشَّامَ وَوَعَظَهُ، وَأَحَبَّهُ الْمَنْصُورُ وَعَظَّمَهُ، وَلَمَّا أَرَادَ الِانْصِرَافَ اسْتَأْذَنَهُ فِي أَنْ لَا يَلْبَسَ السَّوَادَ فَأَذِنَ لَهُ، فَلَمَّا خَرَجَ قَالَ الْمَنْصُورُ لِلرَّبِيعِ الْحَاجِبِ: الْحَقْهُ فَسَلْهُ لِمَ كَرِهَ لُبْسَ السَّوَادِ؟ وَلَا تُخْبِرْهُ أَنِّي قُلْتُ لَكَ. فَسَأَلَهُ الرَّبِيعُ فَقَالَ: لِأَنِّي لَمْ أَرَ مُحْرِمًا أَحْرَمَ فِيهِ، وَلَا مَيِّتًا كُفِّنَ فِيهِ، وَلَا عَرُوسًا جُلِيَتْ فِيهِ، فَلِهَذَا أَكْرَهُهُ. وَقَدْ كَانَ الْأَوْزَاعِيُّ فِي الشَّامِ مُعَظَّمًا مُكَرَّمًا، أَمْرُهُ أَعَزُّ عِنْدَهُمْ مِنْ أَمْرِ السُّلْطَانِ، وَهَمَّ بِهِ بَعْضُ الْوُلَاةِ، فَقَالَ لَهُ أَصْحَابُهُ: دَعْهُ عَنْكَ فَوَاللَّهِ لَوْ أَمَرَ الشَّامِيِّينَ أَنْ يَقْتُلُوكَ لَقَتَلُوكَ. وَلَمَّا مَاتَ جَلَسَ عِنْدَ قَبْرِهِ بَعْضُ الْوُلَاةِ فَقَالَ: رَحِمَكَ اللَّهُ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ كُنْتُ أَخَافُ مِنْكَ أَكْثَرَ مِمَّا أَخَافُ مِنَ الَّذِي وَلَّانِي. وَقَدْ قَالَ أَبُو مُسْهِرٍ: مَا مَاتَ الْأَوْزَاعِيُّ حَتَّى جَلَسَ وَحْدَهُ، وَسَمِعَ شَتْمَهُ بِأُذُنِهِ. وَقَالَ أَبُو خَيْثَمَةَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّنَافِسِيُّ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا
পৃষ্ঠা - ৮০৭১

আল-আওযাঈ (র) যখন সিরিয়ার প্রবেশ করেন তখন তিনি মানসুরের সাথে একত্র হন এবং
তাকে নসীহত করেন ৷ মানসুর ভীকে পসন্দ করেন এবং তার প্ৰতি সম্মান প্রদর্শন করেন ৷ যখন
তিনি তার সম্মুখ থেকে চলে যাবার ইচ্ছা করেন তখন তিনি মানসুরের কাছে কালো কাপড়
পরিধান না করার অনুমতি প্রার্থনা করেন এবং তিনি তখন তাকে অনুমতি দেন ৷ যখন
আল-আওযাঈ (র) বের হয়ে চলে গেলেন, ম্মানসুর তার দারােয়ান রাবীকে বললেন, তুমি যাও
এবং তাকে জিজ্ঞাসা কর তিনি কালো কাপড় পরিধান করাটড়াকে খারাপ জানেন কেন ? তবে তাকে
জানতে দেবে না যে আমি তোমাকে একথা বলেছি ৷ রাবী তাকে জিজ্ঞাসা করল তখন তিনি
বললেন, “কেননা আমি আজ পর্যন্ত হরুজ্জ্বর কোন মুহরিমকে এ রংয়ের কাপড়ে ইহরাম রাধতে
দেখিনি, কোন মৃত ব্যক্তিকে এ রংয়ের কাপড়ে কাফন দিতে দেখিনি ৷ কোন কনেকে এরুপ
কাপড়ে সজ্জিত করতে দেখিনি ৷ এ জন্যই আমি এরুপ কাপড়ে পরিধান করা অপসন্দ করি ৷ ”
সিরিয়াবাসীদের কাছে আওযাঈ (র) ছিলেন সম্মানিত ও মর্যাদাবান ৷ তিনি যা আদেশ করতেন তারা
তাদের বাদশাহর হুকুম থেকেও তার বেশী সম্মান দিতেন ৷ কোন এক সময় কোন এক বড় লোক
তার সাথে দুর্ব্যবহার করার মনন্থ করেছিলেন ৷ তখন তার সাথীরা তাকে বললেন, তোমার
ব্যাপারে তাকে জড়িত করবে না ৷ আল্লাহ্র শপথ ! তিনি যদি তোমাকে হত্যা করার জন্য
সিরিয়াবাসীদের নির্দেশ দেন তাহলে তারা অবশ্যই তোমাকে হত্যা করবে ৷ যখন তিনি ইনতিকাল
করেন তখন কোন এক আমীর তার কবরের উপর বলেন এবং বলেন, আল্লাহ আপনাকে রহম
করুন ৷ আল্লাহ্র শপথ! আমি আপনাকে এমন ব্যক্তি থেকেও বেশী ভয় করতাম যিনি আমাকে
আমীর পদে নিয়োগ দিয়েছেন অর্থাৎ মানসুর ৷ ইবন আবুল ইশরীন (র) বলেন, আল-আওযাঈ (র)
ইনতিকাল করেননি যতক্ষণ না তিনি একাকী বসে নিজ কানে তার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা পালি
শুনেছেন ৷

আবু বকর ইবন আল-আওযাঈ (র) বলেন, মুহাম্মাদ ইবন উবায়দ আত-তানাফসী (র) বলেন,
আমি আস-সাওরী (র)-এর কাছে বসে ছিলাম এমন সময় তার কাছে এক ব্যক্তি আগমন
করলেন এবং বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন পশ্চিম দিক থেকে সুগন্ধি আসছে ৷ তিনি
বললেন, যদি তুমি তোমার স্বপ্নে সতবােদী হও তাহলে জেনে রেখো যে, আল-আওযাঈ (র)
ইনতিকাল করেছেন ৷ তারপর আস-সাওরী (র)এর সাথী-সঙ্গীরা এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেন
এবং ঐদিনই আওযাঈ (র) ইনতিকাল করেছেন বলে সংবাদ পৌছল ৷ আবু মিসহার (র) বলেন,
আমাদের কাছে তথ্য পৌছেছে যে, তার মৃত্যুর কারণ হল একদিন তার ত্রী তাকে ভিতরে রেখে
গোসলখানার দরজা বন্ধ করে দেন ৷ এরপর তিনি সেখানে ইনতিকাল করেন ৷ তিনি তা ইচ্ছাকৃত
করেন ৷ তখন সাঈদ ইবন আবদুল আযীয (র) তাকে একটি গোলাম আযাদ করার নির্দেশ দেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, মৃত্যুকালে তিনি কোন স্বর্ণরোপ্য, জমি কিংবা আসবাবপত্র রেখে যড়াননি ৷ তার
দান থেকে অতিরিক্ত মাত্র ৮৬ দিরহাম রেখে যান ৷ তিনি একবার নৌবাহিনীতে নিজের নাম
তালিকাভুক্ত করেন ৷ অন্যরা বলেন, গোসলখানার দরজা যিনি বন্ধ করেছিলেন তিনি হলেন গোসল
থানার মালিক ৷ তিনি গোসলখড়ানা বন্ধ করে অন্য কাজে চলে গিয়েছিলেন ৷ এরপর তিনি ফিরে
এসে গোসলখড়ানা থােলেন এবং তাকে মৃত দেখতে পান ৷ তিনি তার ডান হাত পালে নীচে রেখে
কিবলার দিকে মুখ করেছিলেন ৷ তার উপর আল্লাহ্ রহম করুন ৷


عِنْدَ الثَّوْرِيِّ، فَجَاءَهُ رَجُلٌ، فَقَالَ: رَأَيْتُ كَأَنَّ رَيْحَانَةً مِنَ الْمَغْرِبِ قُلِعَتْ. قَالَ: إِنْ صَدَقَتْ رُؤْيَاكَ فَقَدْ مَاتَ الْأَوْزَاعِيُّ. فَكَتَبُوا ذَلِكَ، فَجَاءَ مَوْتُ الْأَوْزَاعِيِّ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ أَوْ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ. وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ: بَلَغَنَا أَنَّ سَبَبَ مَوْتِ الْأَوْزَاعِيِّ أَنَّ امْرَأَتَهُ أَغْلَقَتْ عَلَيْهِ بَابَ حَمَّامٍ، فَمَاتَ فِيهِ، وَلَمْ تَكُنْ عَامِدَةً لِذَلِكَ، فَأَمَرَهَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بِعِتْقِ رَقَبَةٍ. قَالَ: وَمَا خَلَّفَ ذَهَبًا وَلَا فِضَّةً وَلَا عَقَارًا وَلَا مَتَاعًا، إِلَّا سِتَّةَ دَنَانِيرَ فَضَلَتْ مِنْ عَطَائِهِ. وَكَانَ قَدِ اكْتُتِبَ فِي دِيوَانِ السَّاحِلِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ الَّذِي أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَ الْحَمَّامِ صَاحِبُ الْحَمَّامِ، وَذَهَبَ إِلَى حَاجَةٍ، ثُمَّ جَاءَ فَفَتَحَ الْحَمَّامَ، فَوَجَدَهُ مَيِّتًا قَدْ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى تَحْتَ خَدِّهِ وَهُوَ مُسْتَقْبِلٌ الْقِبْلَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قُلْتُ: لَا خِلَافَ أَنَّهُ مَاتَ بِبَيْرُوتَ مُرَابِطًا، وَاخْتَلَفُوا فِي سَنَةِ وَفَاتِهِ; فَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ عَنْ سَلَمَةَ قَالَ: قَالَ أَحْمَدُ: قَالَ يَحْيَى: رَأَيْتُ الْأَوْزَاعِيَّ، وَتُوُفِّيَ سَنَةَ خَمْسِينَ وَمِائَةٍ. وَقَالَ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ: سَنَةَ سِتٍّ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৮০৭২
وَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الْبَيْرُوتِيُّ: أَخْبَرَنِي أَبِي قَالَ: تُوُفِّيَ يَوْمَ الْأَحَدِ، أَوَّلَ النَّهَارِ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ صَفَرٍ، سَنَةَ سَبْعٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ. وَهُوَ الَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ، وَهُوَ الصَّحِيحُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي مُسْهِرٍ، وَهِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، وَالْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ - فِي أَصَحِّ الرِّوَايَاتِ عَنْهُ - وَيَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، وَدُحَيْمٍ، وَخَلِيفَةَ بْنِ خَيَّاطٍ، وَأَبِي عُبَيْدٍ، وَسَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَغَيْرِ وَاحِدٍ. قَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ: وَلَمْ يَبْلُغْ سَبْعِينَ سَنَةً. قُلْتُ: وَقَالَ غَيْرُهُ: جَاوَزَ السَّبْعِينَ. وَالصَّحِيحُ تِسْعٌ وَسِتُّونَ سَنَةً; لِأَنَّهُ كَانَ مِيلَادُهُ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَثَمَانِينَ عَلَى الصَّحِيحِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ وُلِدَ سَنَةَ ثَلَاثٍ وَتِسْعِينَ، وَهَذَا ضَعِيفٌ. وَقَدْ رَآهُ بَعْضُهُمْ فِي الْمَنَامِ، فَقَالَ لَهُ: دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ يُقَرِّبُنِي إِلَى اللَّهِ. فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ فِي الْجَنَّةِ دَرَجَةً أَعْلَى مِنْ دَرَجَةِ الْعُلَمَاءِ، ثُمَّ الْمَحْزُونِينَ.