আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وخمسين ومائة

الأحداث التي وقعت فيها

بناء الرافقة المدينة المشهورة

পৃষ্ঠা - ৮০৫১


তিনি বলেন, “একশ চুয়ান্ন হিজরীর পর তোমাদের কারো একটি কুকুর ছান৷ পােষা, ৷হু ন্ধ্ৰ
সন্তানকে লালন-পালন করার চেয়ে উত্তম ৷” এ বর্ণনাটি অত্যন্ত বত্তনীিয়, তার সনদের মধ্যে
মতভেদ রয়েছে ৷ ইবনুল আসাকির এটাকে খায়ছাম৷ ইবন সুলায়মান থেকে পরিপুর্ণ পন্থায় উল্লেখ
করেন্সে ন ৷ তিনি মুহাম্মাদ ইবন আওফ আল-হিমসী থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আবার আবুল
মুপীরা আবদুল্লাহ ইবন আস-সামাত থেকে বর্ণনা করেন এবং তিনি স লিহ্ থেকেও বর্ণনা করেন ৷
এ আবদুল্লাহ্ ইবন আস-সাম৷ তকে আমি চিনি না ৷ আমাদের উস্তাদ অল ৷ল-হাফিয আয়-যাহাবী তার
কিতাব ;, ৷ ১ এ উল্লেখ করেন যে , সালিহ ইবন আলী থেকে যে হাদীসটি বর্ণনা করা হয়েছে
তা মাওয়ু অর্থাৎ ভিত্তিহীন ৷

১৫৫ হিজরীর আগমন

এ বছরই ইয়াষীদ ইবন হাতিম আফ্রিকার শহরগুলােতে প্রবেশ করেন ৷ শুরুতে তিনি হাতে
গোনা কয়েকটি শহর জয় করেন এবং এগুলোতে যারা খারির্জীদের দ্বারা প্রভাবাম্বিত হয়েছিল
তাদের হত্যা করা হয় এবং তাদের আমীরদেরকেও হত্যা করা হয় ৷ আর তাদের বর্ষীয়ানদেরকে
বন্দী করা হয় এবং তাদের সম্মানিত ব্যক্তিবর্পকে লাঞ্ছিত করা হয় ৷ এসব শহরের বাসিন্দা ৷দের
নিরাপত্তা ভয়ে এবং সমান অসম্মানে পরিবর্তিত হয় ৷ তাদের যেসব আমীর নিহত হয় তাদের
দুজন খারিজী আমীর হল আবুহাতিম ও আবু উব্বাদ এরপর যব ন শহরগুলাের কার্যপ্রণালীর
বিধিপ্বিধানঃ সুদৃঢ় রুপ ধারণ করল তখন তিনি আল-কায়রাওয়হ্ন এর শহরগুলােতে প্রবেশ করেন
এগুলোকে সুশৃৎখল করেন৷ এগুলোর বাসিন্দাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন তাদের
কার্যপ্রণালীর সুদৃঢ় রুপ প্রদান করেন এবং যাবতীয় অসুবিধা দুরীভুত করেন ৷ আল্লাহ সম্যক
অবগত ৷

প্রসিদ্ধ শহর আর-রাফিক৷ এর নির্মাণ

এ বছর খলীফা মানসুর বাগদাদ নির্মাণ কাঠাম্যেতে আর-রাফিকা শহর নির্মাণের ফরমান জারি
করেন ৷ সেখানে শহরের চতৃর্দিকে প্রাচীর নির্মাণ করতে এবং শহরের চতৃর্দিকে প্রয়োজনীয় পরিখা
খনন করার নির্দেশ দেন ৷ এ ব্যাপারে বাসিন্দাদের থেকে কর আদায় করা হয় ৷ সচ্ছল বাসিন্দাদের
থেকে মাথা পিছু পাচ দিরহাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, পরে এটাকে চল্লিশ দিরহামে উন্নীত করা ন্
হয় ৷ এ সম্পর্কে তাদের একজন কবি বলেন :

৷ )

ম্নোক্ষোন্

অর্থাৎ : আমার সম্প্রদায়ের জন্য অবাক হতে হয় ৷ আমরা আমাদের আমীরুল ঘু’মিনীনকে
খুমুসের অংশ আমাদের মাঝে বণ্টন করতে দেখছি না বরং তিনি আমাদের থেকে চল্লিশ দিরহাম
আদায় করা বাধ্যতামুলক করেছেন ৷

এ বহ্ব ইয়াষীদ ইবন উমর আস-সালামী গ্রীষ্মকালীন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন ৷ জিযিয়া আদায়
করার শর্তে রোমের শাসক মানসুরের সাথে সন্ধি করার প্রস্তাব পেশ করেন ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ( ১০ম খণ্ড)শ্-২৬


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ خَمْسٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا دَخَلَ يَزِيدُ بْنُ حَاتِمٍ بِلَادَ إِفْرِيقِيَّةَ، فَافْتَتَحَهَا عَوْدًا عَلَى بَدْءٍ، وَقَتَلَ مَنْ كَانَ تَغَلَّبَ عَلَيْهَا مِنَ الْخَوَارِجِ، وَقَتَلَ أُمَرَاءَهُمْ، وَأَصْغَرَ كُبَرَاءَهُمْ، وَأَذَلَّ أَشْرَافَهُمْ، وَأَرْغَمَ آنَافَهُمْ، وَبَدَّدَ آلَافَهُمْ، وَاسْتَبْدَلَ أَهْلُ الْبِلَادِ هُنَاكَ بِالْخَوْفِ سَلَامَةً، وَبِالْإِهَانَةِ كَرَامَةً، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ قَتَلَ مِنْ أُمَرَائِهِمْ أَبُو حَاتِمٍ وَأَبُو عَبَّادٍ الْخَارِجِيَّانِ. ثُمَّ لَمَّا اسْتَقَامَتْ لَهُ وَبِهِ الْأُمُورُ فِي الْبُلْدَانِ دَخَلَ بَعْدَ ذَلِكَ بِلَادَ الْقَيْرَوَانِ، فَمَهَّدَهَا وَأَطَّدَهَا، وَأَقَرَّ أَهْلَهَا، وَقَرَّرَ أُمُورَهَا، وَأَزَالَ مَحْذُورَهَا. [بِنَاءُ الرَّافِقَةِ الْمَدِينَةِ الْمَشْهُورَةِ] وَفِيهَا أَمَرَ الْمَنْصُورُ وَلَدَهُ الْمَهْدِيَّ بِبِنَاءِ الرَّافِقَةِ عَلَى مِنْوَالِ بِنَاءِ بَغْدَادَ، فَفَعَلَ ذَلِكَ هَذِهِ السَّنَةَ الْمُبَارَكَةَ. وَفِيهَا أَمَرَ الْمَنْصُورُ بِبِنَاءِ سُورٍ، وَعَمَلِ خَنْدَقٍ حَوْلَ الْكُوفَةِ، وَأَخَذَ مَا غَرِمَ عَلَى ذَلِكَ مِنْ أَمْوَالِ أَهْلِهَا; مِنْ كُلِّ إِنْسَانٍ مِنْ ذَوِي الْيَسَارِ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا. وَكَانَ قَدْ فَرَضَهَا أَوَّلًا خَمْسَةَ دَرَاهِمَ، وَجُبِيَتْ أَرْبَعِينَ أَرْبَعِينَ، فَقَالَ فِي ذَلِكَ بَعْضُهُمْ:
পৃষ্ঠা - ৮০৫২
يَا لَقَوْمِي مَا لَقِينَا ... مِنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَا قَسَمَ الْخَمْسَةَ فِينَا ... وَجَبَانَا الْأَرْبَعِينَا وَفِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ يَزِيدُ بْنُ أَسَدٍ السُّلَمِيُّ. وَفِيهَا طَلَبَ مَلِكُ الرُّومِ الصُّلْحَ مِنْ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ عَلَى أَنْ يَحْمِلَ إِلَى الْمَنْصُورِ الْجِزْيَةَ. وَفِيهَا عَزَلَ الْمَنْصُورُ أَخَاهُ الْعَبَّاسَ بْنَ مُحَمَّدٍ عَنِ الْجَزِيرَةِ، وَغَرَّمَهُ أَمْوَالًا كَثِيرَةً. وَفِيهَا عَزَلَ مُحَمَّدَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ إِمْرَةِ الْكُوفَةِ، فَقِيلَ: لِأُمُورٍ بَلَغَتْهُ عَنْهُ فِي تَعَاطِي مُنْكِرَاتٍ وَأُمُورٍ لَا تَلِيقُ بِالْعُمَّالِ. وَقِيلَ: لِقَتْلِهِ عَبْدَ الْكَرِيمِ بْنَ أَبِي الْعَوْجَاءِ. وَقَدْ كَانَ ابْنُ أَبِي الْعَوْجَاءِ هَذَا زِنْدِيقًا، يُقَالُ: إِنَّهُ لَمَّا أَمَرَ بِضَرْبِ عُنُقِهِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِوَضْعِ أَرْبَعَةِ آلَافِ حَدِيثٍ يُحِلُّ فِيهَا الْحَرَامَ، وَيُحَرِّمُ فِيهَا الْحَلَالَ، وَيُصَوِّمُ النَّاسَ فِي يَوْمِ الْفِطْرِ، وَيُفَطِّرُهُمْ فِي أَيَّامِ الصِّيَامِ، فَأَرَادَ الْمَنْصُورُ أَنْ يَجْعَلَ قَتْلَهُ لَهُ ذَنْبًا، فَعَزَلَهُ بِهِ، وَأَرَادَ أَنْ يُقِيدَهُ مِنْهُ، فَقَالَ لَهُ عِيسَى بْنُ عَلِيٍّ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَا تَعْزِلْهُ بِهَذَا، فَإِنَّهُ إِنَّمَا قَتَلَهُ عَلَى الزَّنْدَقَةِ، وَمَتَّى عَزَلْتَهُ بِهَذَا شَكَرَتْهُ الْعَامَّةُ وَذَمُّوكَ. فَتَرَكَهُ حِينًا، ثُمَّ عَزَلَهُ عَنِ الْكُوفَةِ بَعْدَ ذَلِكَ، وَوَلَّى عَلَيْهَا عَمْرَو بْنَ زُهَيْرٍ. وَفِيهَا عَزَلَ الْمَنْصُورُ عَنِ الْمَدِينَةِ الْحَسَنَ بْنَ زَيْدٍ، وَوَلَّى عَلَيْهَا عَمَّهُ عَبْدَ الصَّمَدِ بْنَ عَلِيٍّ، وَجَعَلَ مَعَهُ فُلَيْحَ بْنَ سُلَيْمَانَ مُشْرِفًا عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৮০৫৩


এ বছর মানসুর তার ভাই আলআব্বাস ইবন মুহাম্মাদকে ইরাকের শ্া৷সনকার্য থেকে বরখাস্ত
করেন এবং বহু সম্পদ তার থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করেন ৷ এ বছর মানসুর মুহাম্মদ ইবন
সুলা য়মান ইবন আলীকে কুফার শাসনকর্তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন ৷ কেউ কেউ বলেন, এমন
কতগুলো খারাপ কাজ তার থেকে সংঘটিত হওয়ার সংবাদ মানসুরের কাছে পৌছেছিল যেগুলো
কর্মচারীদের পক্ষ থেকে সংঘটিত হওয়া সমীচীন নয় ৷ কেউ কেউ বলেন, তার কারণ হল যে
মুহাম্মাদ ইবন আবুল আওজা কে হত্যা করেছিল ৷ আর এই ইবন আবুল আওজা ছিল ধর্মাদ্রাহী বা
নাস্তিক ৷ কথিত আছে যে, যখন তার গর্দান উড়িয়ে দেয়ার হুকুম দেয়া হয় তখন সে স্বীকার
করেছিল যে সে চার হাজার হাদীস রচনা করেছে ৷ এগুলোর মাধ্যমে সে হালালকে হারাম এবং
হারামকে হালাল বলে বর্ণনা করেছে ৷ ঈদুল ফিতরের দিন লোকজনকে সিয়াম পালন করতে
বলেছে এবং সিয়াম পালনের দিনগুলােতে লোকজনকে সিয়াম পালন না করতে বাধ্য করেছে ৷
তখন মানসুর তার হত্যাকে তার গুনাহের কাজ গণ্য করে তাকে বরখাস্ত করার ও তাকে

কারাগারে প্রেরণ করার ইচ্ছা করেন ৷ কিন্তু ঈসা ইবন মুসাত ৷কে বলল, হে আমীরুল মু ’মিনীন !
আপনি তাকে এজন্য বরখাস্ত করবেন না কিৎব৷ তাকে হত্যাও করবেন না ৷ কারণ সে তো

নাস্তিকতা ৷র জন্য ইবন আবুল আওজা কে হত্যা করেছে ৷ যখন আপনি৩ ৷কে ইবন আবুল আওজার
হত্যার কারণে অপস৷ ৷রিত করবেন জনসাধারণ তা ৷র প্রতি ৩কৃতজ্ঞত৷ জ্ঞাপন করবেএবং আপনার
বদনাম করবে ৷ তখন মানসুর তার থেকে কিছুদিনের জন্য ক্ষাস্ত রইলেন ৷ এরপর তাকে বরখাস্ত
করেন এবং কুফার তার জায়গায় আমর ইবন যুহায়রকে শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷

এ বছর মানসুর মদীনা থেকে আল-হাসান ইবন যায়দকে বরখাস্ত করেন এবং৩ শু৷ ৷র পরিবর্তে

তার চাচা আবদুস সামাদ ইবন আ ৷লীকে তার সাথে সহযোগী নিয়োগ করেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন
ইবরাহীম ইবন মুহাম্মাদকে মক্কার শাসনভার অর্পণ করেন ৷ আল-শয়ছাম ইবন মুআবিয়াকে
বসরার, মুহাম্মাদ ইবন সাঈদকে ফ্লিরের, ইয়াযীদ ইবন হাতিমকে আফ্রিকার শাসনভার অর্পণ
করেন ৷ এ বছর সাফওয়ান ইবন আমর দামেশকী এবং উছমান ইবন আবুল আতিকা দামেশকী
ইনতিকাল করেন ৷ উছমড়ান ইবন আত৷ এবং মিসআর ইবন মিকদামও এ বছর ইনতিকাল
করেন ৷

হাম্মাদ আর-রাবীআ

তার পুর্ণ নাম ছিল হাম্মাদ ইবন আবু লায়ল৷ মায়সারা ইবন আলণ্ষ্মুবারক ইবন উবায়দ
আদ-দায়লামী অ৷ ল-কুফী ৷ কেউ কেউ মায়সারা এর পরিবর্তে সাবুর বলেন৷ তিনি ছিলেন বুকায়র
ইবন যায়দ আল খায়ল তায়ীর আযাদকৃত দাস ৷ আরবের যুদ্ধ কািহ, ইতিহাস, আরবী কবিতা ও
ভাষাবিদদের অন্যতম ছিলেন তিনি ৷ তিনিই সুদীর্ঘ ও প্রসিদ্ধ সাবঅ৷ মুঅ ৷ল্লাক৷ কবিতার সংকলক
ছিলেন ৷ তিনি আরবের বহু কবিতা ৷র বর্ণনাকারী ছিলেন ৷ আমীরুল মু’মিনীন আল-ওয়ালীদ ইবন
ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক এ ব্যাপারে তাকে পরীক্ষা করেন ৷ তখন তার কাছে তিনি নুকতা
বিহীন অক্ষর সম্বলিত ২৯টি দীর্ঘ কবিতা আবৃত্তি করেন ৷ প্রতিটি দীর্ঘ কবিতা ছিল প্রায় একশ
পঙক্তি বিশিষ্ট ৷ তিনি বলেন, আরব কবিদের কেউ যদি তা ৷র কাছে এমন সব কবিতা আবৃত্তি করতে
পারে যা অন্যের পক্ষে মুখস্থ করা সম্ভব নয় তখনই তাকে করি বলে গণ্য করা যায় ৷ হান্মাদ এ

ধরনের করি হওয়ায় খলীফাতা তাকে এক লক্ষ দিরহ্াম প্রদান করেন ৷


وَعَلَى إِمْرَةِ مَكَّةَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَعَلَى الْكُوفَةِ عَمْرُو بْنُ زُهَيْرٍ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ الْهَيْثَمُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، وَعَلَى مِصْرَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلَى إِفْرِيقِيَّةَ يَزِيدُ بْنُ حَاتِمٍ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاتِكَةِ الدِّمَشْقِيَّانِ، وَعُثْمَانُ بْنُ عَطَاءٍ، وَمِسْعَرُ بْنُ كِدَامٍ. وَحَمَّادٌ الرَّاوِيَةُ ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي لَيْلَى مَيْسَرَةُ - وَيُقَالُ: سَابُورُ - بْنِ الْمُبَارَكِ بْنِ عُبَيْدٍ الدَّيْلِمِيُّ الْكُوفِيُّ، مَوْلَى مُكْنِفِ بْنِ زَيْدِ الْخَيْلِ الطَّائِيِّ، كَانَ مِنْ أَعْلَمِ النَّاسِ بِأَيَّامِ الْعَرَبِ وَأَخْبَارِهَا وَأَشْعَارِهَا وَلُغَاتِهَا، وَهُوَ الَّذِي جَمَعَ السَّبْعَ الْمُعَلَّقَاتِ الطِّوَالَ، وَإِنَّمَا سُمِّي الرَّاوِيَةَ; لِكَثْرَةِ رِوَايَتِهِ الشِّعْرَ عَنِ الْعَرَبِ، اخْتَبَرَهُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فَأَنْشَدَهُمْ تِسْعًا وَعِشْرِينَ قَصِيدَةً عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ، كُلُّ قَصِيدَةٍ نَحْوٌ مَنْ مِائَةِ بَيْتٍ، وَزَعَمَ أَنَّهُ لَا يُسَمَّى شَاعِرٌ مِنْ شُعَرَاءِ الْعَرَبِ إِلَّا أَنْشَدَ لَهُ مَا لَا
পৃষ্ঠা - ৮০৫৪
يَحْفَظُهُ غَيْرُهُ، فَأَطْلَقَ لَهُ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ. وَذَكَرَ أَبُو مُحَمَّدٍ الْحَرِيرِيُّ فِي كِتَابِهِ " دُرَّةِ الْغَوَّاصِ "، أَنَّ هِشَامَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ اسْتَدْعَاهُ مِنَ الْعِرَاقِ مِنْ نَائِبِهِ يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ إِذَا هُوَ فِي دَارٍ قَوْرَاءَ مُرَخَّمَةٍ بِالرُّخَامِ وَالذَّهَبِ، وَإِذَا عِنْدَهُ جَارِيَتَانِ حَسْنَاوَانِ جِدًّا، فَاسْتَنْشَدَهُ شَيْئًا فَأَنْشَدَهُ، فَقَالَ لَهُ: سَلْ حَاجَتَكَ. فَقَالَ: كَائِنَةً مَا كَانَتْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: وَمَا هِيَ؟ قَالَ: تُطْلِقُ لِي إِحْدَى هَاتَيْنِ الْجَارِيَتَيْنِ. فَقَالَ: هُمَا لَكَ وَمَا عَلَيْهِمَا. وَأَخْلَاهُ فِي بَعْضِ دَارِهِ، وَأَطْلَقَ لَهُ أَلْفَ دِرْهَمٍ. هَذَا مُلَخَّصُ الْحِكَايَةِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا الْخَلِيفَةَ إِنَّمَا هُوَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ، فَإِنَّهُ ذُكِرَ أَنَّهُ شَرِبَ مَعَهُ، وَهِشَامٌ لَمْ يَكُنْ يَشْرَبُ، وَلَمْ يَكُنْ نَائِبَهُ عَلَى الْعِرَاقِ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ، وَإِنَّمَا كَانَ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ، وَبَعْدَهُ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ. وَكَانَتْ وَفَاةُ حَمَّادٍ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَنْ سِتِّينَ سَنَةً. قَالَ ابْنُ خِلِّكَانَ وَقِيلَ: إِنَّهُ أَدْرَكَ أَوَّلَ خِلَافَةِ الْمَهْدِيِّ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا قُتِلَ حَمَّادُ عَجْرَدٍ عَلَى الزَّنْدَقَةِ، وَهُوَ حَمَّادُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ كُلَيْبٍ الْكُوفِيُّ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ وَاسِطِيٌّ. مَوْلَى بَنِي سُوَاءَةَ، وَكَانَ شَاعِرًا مَاجِنًا ظَرِيفًا خَلِيعًا، لَكِنَّهُ كَانَ مُتَّهَمًا عَلَى الْإِسْلَامِ، وَقَدْ أَدْرَكَ الدَّوْلَتَيْنِ الْأُمَوِيَّةَ
পৃষ্ঠা - ৮০৫৫
وَالْعَبَّاسِيَّةَ، وَلَكِنَّهُ مَا اشْتُهِرَ إِلَّا فِي أَيَّامِ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَكَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ بَشَّارِ بْنِ بُرْدٍ مُهَاجَاةٌ كَثِيرَةٌ، وَلَمَّا قُتِلَ بِشَّارٌ عَلَى الزَّنْدَقَةِ أَيْضًا، دُفِنَ مَعَهُ فِي قَبْرِهِ، وَقِيلَ: إِنَّ حَمَّادَ عَجْرَدٍ مَاتَ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ إِحْدَى وَسِتِّينَ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.