আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ثلاث وخمسين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮০৪২


১৫৩ হিজরীর আগমন

এ বছর মানসুর তার লেখক আবু আইয়ুব মুরিয়ানীর উপর রাগান্বিত হয়ে তাকে কারাগারে
নিক্ষেপ করেন, তার ভাই খালিদকেকারাগাংর নিক্ষেপ করেন এবং তার ভাইয়ের চার পুত্র যথা
সাঈদ, মাসউদ, মিখলাদ ও মুহান্মাদকেও কারাগারে নিক্ষেপ করেন ৷ আর তাদের থেকে প্রচুর
অর্থ-সম্পদ দাবী করেন ৷ এটার কারণ ইবন আসাকির , আবু জাফর মানসুরের জীবনীতে নিম্নরু প
উল্লেখ করেন ৷ তিনি তার যৌবনকালে মাওসিলে আগমন করেন ৷ তিনি ছিলেন ফকীর ৷ তার
কিৎবা তার সাথে কোন কিছুই ছিল না ৷ কোন মাঝির কাছে পায়ে থেটে কিছু সম্পদ অর্জন
করেন ৷ এ সম্পদ দ্বারা তিনি একটি মহিলাকে বিয়ে করেন ৷ এরপর তিনি তাকে ওয়াদা ও আশা
দিতে থাকেন যে, তিনি এমন এক ঘরের সন্তান যাদের কাছে দেশের শাসন ক্ষমতা অতি
তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে ৷ তারপর ঘটনাক্রমে সে তার দ্বারা গর্ভব্র্তী হয়ে যায় ৷ অন্যদিকে বনু
উমাইয়া তাকে খোজ করতে লাগল ৷ তখন তিনি এ মহিলা থেকে পালিয়ে যান এবং তাকে
গর্ভাতী রেখে যান ৷ যাওয়ার সময় তার কাছে একটি পত্র রেখে যান যার মধ্যে লেখা ছিল তার
বংশ ধারার একটি বিবরণ ৷ আর তা হল : আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন আবদৃল্লাহ্
ইবন আব্বাস ৷ আর তাকে হুকুম দিলেন যখনই তার জন্য সুযোগ হবে তখনই সে যেন তার
কাছে চলে আসে ৷ যদি সে কোন পুত্র সন্তান জন্ম দেয় তাহলে যেন তার নাম রাখে জাফর ৷
এরপর মহিলাটি একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিল এবং তার নাম রাখল জাফর ৷ ছেলে সন্তানটি বড়
হতে লাগল তখন সে লেখা শিক্ষা করল এবং আরবী ভাষা ও সাহিত্য সাগ্নহে শিক্ষা করল ৷ আর
অত্যন্ত সতর্কতা সহকারে তাতে পাণ্ডিত্য অর্জন করল ৷ তারপর বনু আব্বাসের অনুকুলে দেশের
শাসনক্ষমতা প্রত্যাবর্তন করে৷ তখন সে সড়াফ্ফাহ সম্বন্ধে প্রশ্ন করে এবং জানতে পারে যে সে
তার স্বামী নয় ৷ তারপর মানসুর খলীফা হন ৷ সন্তানটি বাগদাদে আগমন করে এবং পত্র
লেখকদের সাথে মেলামেশা করে ৷ মড়ানসুরের সরকারী হিসাব পত্র সংস্থার প্রধান আবু আইয়ুব
মুরিয়ানী তাকে পসন্দ করলেন এবং অন্যের থেকে তাকে অপ্রাধিকার দিলেন ৷ ঘটনাক্রমে একদিন
তিনি ও তরুণটি খলীফার সামনে উপস্থিত ছিলেন ৷ খলীফা তাকে নিরীক্ষণ করছিলেন ৷ এরপর
একদিন খলীফা একজন লেখককে ডেকে আনার জন্য তার সেবককে পাঠান ৷ সেবকটি ঐ
যুবকটিকে নিয়ে খলীফার দরবারে হাযির হল ৷ যুবকটি খলীফার সামনে একটি পত্র লিখছিল আর
খলীফা তার দিকে নযর করছিলেন এবং গভীরভাবে চিন্তা করছিলেন ৷ এরপর তিনি তার নাম
জিজ্ঞাসা করলেন ৷ যুবকটি সংবাদ দিল যে তার নাম জাফর ৷ খলীফা জিজ্ঞাসা করলেন, কার
ছেলে ? যুবকটি চুপ করে রইল ৷ খলীফা বললেন, তোমার কী হয়েছে, কথা বলছ না কেন ?
যুবকটি বলল, হে আমীরুল ঘুমিনীন আমার সংবাদ হল এরুপ এরুপ ৷ খলীফার চেহারা বিবর্ণ
হয়ে গেল ৷ এরপর তিনি তার মাতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন ৷ যুবকটি তাকে বিস্তারিত সংবাদ
প্রদান করল ৷ খলীফাও মাওসিল শহর সম্বন্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন করলেন এবং যুবকটির কাছে বিভিন্ন
তথ্য বর্ণনা করলেন ৷ যুবকটি অবাক হয়ে গেল ৷ তারপর খলীফা বসা থেকে উঠে তার কাছে
গেলেন এবং তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন ৷ আর বললেন, তুমি আমার পুত্র ৷ এরপর তিনি তাকে
একটি মুল্যবান হার, প্রচুর সম্পদ ও একটি পত্র দিয়ে তার মাতার কাছে প্রেরণ করলেন এবং তার
মাতাকে পুত্র ও তার প্রকৃত ঘটনা সম্বন্ধে অবহিত করলেন ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثَلَاثٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا غَضِبَ الْمَنْصُورُ عَلَى كَاتِبِهِ أَبِي أَيُّوبَ الْمُورِيَانِيِّ وَسَجَنَهُ، وَسَجَنَ أَخَاهُ خَالِدًا وَبَنِي أَخِيهِ الْأَرْبَعَةَ; سَعِيدًا وَمَسْعُودًا وَمَخْلَدًا وَمُحَمَّدًا، وَطَالَبَهُمْ بِالْأَمْوَالِ الْكَثِيرَةِ. وَكَانَ سَبَبُ ذَلِكَ مَا ذَكَرَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، وَهُوَ أَنَّهُ كَانَ فِي زَمَنِ شَبِيبَتِهِ قَدْ وَرَدَ الْمَوْصِلَ وَهُوَ فَقِيرٌ لَا شَيْءَ لَهُ، وَلَا مَعَهُ، فَأَجَّرَ نَفْسَهُ مِنْ بَعْضِ الْمَلَّاحِينَ حَتَّى اكْتَسَبَ شَيْئًا تَزَوَّجَ بِهِ امْرَأَةً، ثُمَّ جَعَلَ يَعِدُهَا وَيُمَنِّيهَا أَنَّهُ مِنْ بَيْتٍ سَيَصِيرُ إِلَيْهِمُ الْمْلُكُ سَرِيعًا، فَاتَّفَقَ حَبَلُهَا مِنْهُ، ثُمَّ تَطَلَّبَهُ بَنُو أُمَيَّةَ، فَهَرَبَ عَنْهَا، وَتَرَكَهَا حَامِلًا، وَوَضَعَ عِنْدَهَا رُقْعَةً فِيهَا نَسَبُهُ; أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَأَمَرَهَا إِذَا بَلَغَهَا أَمْرُهُ أَنْ تَأْتِيَهُ، وَإِذَا وَلَدَتْ غُلَامًا أَنْ تُسَمِّيَهُ جَعْفَرًا، فَوَلَدَتْ غُلَامًا فَسَمَّتْهُ جَعْفَرًا، وَنَشَأَ الْغُلَامُ فَتَعَلَّمَ الْكِتَابَةَ، وَغَوَى الْعَرَبِيَّةَ وَالْأَدَبَ، وَأَتْقَنَ ذَلِكَ إِتْقَانًا جَيِّدًا، ثُمَّ آلَ الْأَمْرُ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ، فَسَأَلَتْ عَنِ السِّفَاحِ، فَإِذَا هُوَ لَيْسَ صَاحِبَهَا، ثُمَّ قَامَ الْمَنْصُورُ، وَسَافَرَ الْوَلَدُ إِلَى بَغْدَادَ فَاخْتَلَطَ بِكُتَّابِ الرَّسَائِلِ، فَأُعْجِبَ بِهِ أَبُو أَيُّوبَ الْمُورِيَانِيِّ صَاحِبُ دِيوَانِ الْإِنْشَاءِ لِلْمَنْصُورِ، وَحَظِيَ عِنْدَهُ وَقَدَّمَهُ عَلَى غَيْرِهِ، فَاتَّفَقَ حُضُورُهُ مَعَهُ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلِيفَةِ، فَجَعَلَ الْخَلِيفَةُ يُلَاحِظُهُ، ثُمَّ بَعَثَ يَوْمًا الْخَادِمَ لِيَأْتِيَهُ
পৃষ্ঠা - ৮০৪৩
بِكَاتِبٍ، فَدَخَلَ وَمَعَهُ ذَلِكَ الْغُلَامُ، فَكَتَبَ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلِيفَةِ كِتَابًا، وَجَعَلَ الْخَلِيفَةُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ وَيَتَأَمَّلُهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَنِ اسْمِهِ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ جَعْفَرٌ، فَقَالَ: ابْنُ مَنْ؟ فَسَكَتَ الْغُلَامُ، فَقَالَ: مَا لَكَ لَا تَتَكَلَّمُ؟ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ مِنْ خَبَرِي كَيْتَ وَكَيْتَ، فَتَغَيَّرَ وَجْهُ الْخَلِيفَةِ، ثُمَّ سَأَلَهُ عَنْ أُمِّهِ فَأَخْبَرَهُ، وَسَأَلَهُ عَنْ أَحْوَالِ بَلَدِ الْمَوْصِلِ، فَجَعَلَ يُخْبِرُهُ وَالْغُلَامُ يَتَعَجَّبُ، ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ الْخَلِيفَةُ، فَاحْتَضَنَهُ وَقَالَ: أَنْتَ ابْنِي. ثُمَّ بَعَثَهُ بِعِقْدٍ ثَمِينٍ وَمَالٍ جَزِيلٍ وَكِتَابٍ إِلَى أُمِّهِ يُعْلِمُهَا بِحَقِيقَةِ حَالِ الزَّوْجِ. وَخَرَجَ الْغُلَامُ وَمَعَهُ ذَلِكَ مِنْ بَابِ سِرِّ الْخَلِيفَةِ، فَأَحْرَزَ ذَلِكَ، ثُمَّ جَاءَ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ، فَقَالَ: مَا أَبْطَأَ بِكَ عِنْدَ الْخَلِيفَةِ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ اسْتَكْتَبَنِي فِي رَسَائِلَ كَثِيرَةٍ. ثُمَّ تَقَاوَلَا، ثُمَّ فَارَقَهُ الْغُلَامُ مُغْضَبًا، وَنَهَضَ مِنْ فَوْرِهِ، فَاسْتَأْجَرَ إِلَى الْمَوْصِلِ لِيُعْلِمَ أُمَّهُ، وَيَحْمِلَهَا وَأَهْلَهَا إِلَى بَغْدَادَ إِلَى مَكَانٍ مِنْهَا أَمَرَ بِهِ الْخَلِيفَةُ. فَسَارَ مَرَاحِلَ، ثُمَّ سَأَلَ عَنْهُ أَبُو أَيُّوبَ، فَقِيلَ: سَافَرَ. فَظَنَّ أَبُو أَيُّوبَ أَنَّ هَذَا قَدْ أَفْشَى شَيْئًا مِنْ أَسْرَارِهِ إِلَى الْخَلِيفَةِ وَفَرَّ مِنْهُ، فَبَعَثَ فِي طَلَبِهِ رَسُولًا وَقَالَ: حَيْثُ وَجَدْتَهُ فَرُدَّهُ عَلَيَّ. فَسَارَ الرَّسُولُ فِي طَلَبِهِ، فَوَجَدَهُ فِي بَعْضِ الْمَنَازِلِ، فَخَنَقَهُ وَأَلْقَاهُ فِي بِئْرٍ، وَأَخَذَ مَا كَانَ مَعَهُ، فَرَجَعَ بِهِ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ، فَلَمَّا وَقَفَ أَبُو أَيُّوبَ عَلَى الْكِتَابِ أُسْقِطَ فِي يَدِهِ، وَنَدِمَ عَلَى بَعْثِهِ خَلْفَهُ، وَانْتَظَرَ الْخَلِيفَةُ عَوْدَ وَلَدِهِ إِلَيْهِ وَاسْتَبْطَأَهُ، فَبَعَثَ مَنْ كَشَفَ خَبَرَهُ، فَإِذَا رَسُولُ أَبِي أَيُّوبَ قَدْ لَحِقَهُ وَقَتَلَهُ، فَحِينَئِذٍ اسْتَحْضَرَ أَبَا أَيُّوبَ، وَأَلْزَمَهُ بِأَمْوَالٍ عَظِيمَةٍ، وَمَا زَالَ تَحْتَ الْعُقُوبَةِ حَتَّى اسْتَصْفَى جَمِيعَ أَمْوَالِهِ وَحَوَاصِلِهِ، ثُمَّ قَتَلَهُ، وَقَالَ: هَذَا قَتَلَ حَبِيبِي. وَكَانَ الْمَنْصُورُ كُلَّمَا ذَكَرَ وَلَدَهُ حَزِنَ عَلَيْهِ حُزْنًا شَدِيدًا.
পৃষ্ঠা - ৮০৪৪

যুবকটি খলীফার এ গোপন তথ্য নিয়ে বের হয়ে গেল এবং তা নিজের কাছে সংরক্ষণ
করল ৷ তারপর সে আবু আইয়ুবের কাছে গমন করল ৷ আবু আইয়ুব বললেন, তুমি খলীফাব র
কাছে এত দেরী করলে কেন ? তখন যুবকটি বলল,“তিনি আমার দ্বারা অনেকগুলো পত্র
লিখিয়েছেন ৷ এরপর দৃজনে আলাপ-আলোচনা করেন ৷ যুবকটি রাগাষিত হয়ে তার থেকে
পৃথক হয় এবং অতি ৩দ্রুত চলে যায় ৷ তার মাতাকে সবকিছু জানাবার জন্য এবং তাকেও তার
পরিবারকে স্বীয় পিতা খলীফ৷ ৷র কাছে বাগদাদে নিয়ে আস সার জন্য সে মাওসিলের দিকে রওনা হয় ৷
সে কয়েক মনযিল পথ অতিক্রম করল ৷ এরপর আবু অ ইায়ুব তার সম্পকে জিজ্ঞা ৷স৷ করে জানতে
পারেন যে, সে সফরে বেরিয়ে পড়েছে ৷ এতে আবু আইয়ুব সন্দেহ করতে লাগলেন যে যুবকটি
হয়ত তার কিছু গোপন কথা খলীফার কাছে ফাস করে দিয়েছে ৷ত তাই সে৩ তার থেকে পালিয়ে
যাচ্ছে ৷ তাই তিনি তার থােজে একজন দুত প্রেরণ করলেন এবং বললেন, তাকে তুমি যেখানেই
পারে আমার কাছে ফেরত নিয়ে আসবে ৷ দুত তটি তার খোজে বের হয়ে পড়ল এবং তাকে কোন
একটি মনযিলে পেয়ে গেল ৷ তখন সে যুবকটিকে শ্বাসরুদ্ধ করল এবং৩ তাকে একটি ক্যুপ
ফেলে দিল ৷ আর তার সাথে যা কিছু ছিল তা নিয়ে সে আবুঅ ৷ইয়ুবের কাছে প্রত্যাবর্তন করল ৷
আবু আইয়ুব ঘটনা সম্বন্ধে অবগত হয়ে যুবকটির পেছনে দুত প্রেরণের জন্য অত্যন্ত লজ্জিত
হলেন ৷ অন্যদিকে খলীফ৷ তার সন্তানের তার কাছে ফেরত আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ৷
অনেক দেরী হয়ে গেল এবং৩ তার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, আবু আইযুবের দুত তার সাথে
সাক্ষাৎ করে তাকে হত্যা করেছে ৷ তখন তিনি অ ইয়ুবকে তলব করলেন এবং তাকে প্রচুর
ৎকের অর্থ জরিমানা করলেন ৷ এরপর তিনি তাকে আরো শাস্তি দিতে লাপলেন ৷ এমনকি তিনি
তার সমস্ত ধন-দৌলত কেড়ে নিলেন ও তাকে হত্যা করলেন ৷ আর বলতে লাগলেন, এ আমার
প্রিয়জনকে হত্যা করেছে ৷ এরপর থেকে মানসুর যখনই তার পুত্রের কথা স্মরণ করতেন অত্যন্ত
বিমর্য হয়ে পড়তেন ৷
এ বছর সাফারীয়৷ ও অন্যান্য জায়গার খড়ারিজীরা আফ্রিকান শহরণ্ডলােয়ুত ণ্ রু ৷হণ্ ঘোষণা
করে ৷ তাদের মধ্য থেকে তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার একত্র হয় ৷ তার৷ অশ্বায়ােহী ও পদাতিক
বাহিনীতে বিভক্ত ছিল ৷ তাদের নেতা ছিল আবুহাতিম আল-আনমাতী এবং আবু উঃব্বাদ ৷ আবু
কুররাহ সাফারী চল্লিশ হাজার সৈন্য নিয়ে তাদের সাথে সংযুক্ত হয় ৷ তাদের সম্মিলিত বাহিনী
আফ্রিকার নায়িরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে , তার সৈন্য সামন্তকে পরাজিত করে এবং র্তাকেও হত্যা
করে ৷ ইর নাম হল উমর ইবন উছমান ইবন আবু সুফরা ৷ যিনি পুর্বে সিন্ধুর নায়িব ছিলেন ৷
র্তাকেএ খা৷ রজীরা হত্যা করে ৷ খারিজীরা দেশে মারাত্মক ৷ বশৃৎখল৷ সৃষ্টি করে ৷৩ তারা মহিলা ও
শিংত্তদেরও হতা৷ করে ৷

এ বছর মানসুর জনগণের জন্য লম্বা কালো টুপি পরা বাধ্যতামুলক বলে ঘোষণা করেন ৷
টুপির মাথা এত লম্বা ছিল যে জনগণ ত৷ উপরের দিকে উঠিয়ে রাখা র জন্য ছড়ি ব্যবহার করতে
বাধ্য হত ৷ করি আবু দ ৷লাম৷ এ সম্পর্কে বলেন ং

শ্

প্রুৰু;াঠুব্লুাদ্ভু


وَفِيهَا خَرَجَتِ الْخَوَارِجُ مِنَ الصُّفْرِيَّةِ وَغَيْرِهِمْ بِبِلَادِ إِفْرِيقِيَّةَ، فَاجْتَمَعَ مِنْهُمْ ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفٍ وَخَمْسُونَ أَلْفًا، مَا بَيْنَ فَارِسٍ وَرَاجِلٍ، وَعَلَيْهِمْ أَبُو حَاتِمٍ الْإِبَاضِيُّ، وَأَبُو عَادٍ، وَانْضَمَّ إِلَيْهِمْ أَبُو قُرَّةَ الصُّفْرِيُّ فِي أَرْبَعِينَ أَلْفًا، فَقَاتَلُوا نَائِبَ إِفْرِيقِيَّةَ، فَهَزَمُوا جَيْشَهُ وَقَتَلُوهُ، وَهُوَ عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ عُثْمَانَ ابْنِ أَبِي صُفْرَةَ الَّذِي كَانَ نَائِبَ السِّنْدِ فَعَزَلَهُ الْمَنْصُورُ عَنْهَا بِسَبَبِ مُبَايَعَتِهِ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَوَلَّاهُ هَذِهِ الْبِلَادَ فَقَتَلَتْهُ الْخَوَارِجُ، رَحِمَهُ اللَّهُ، وَأَكْثَرَتِ الْخَوَارِجُ الْفَسَادَ فِي الْبِلَادِ، وَقَتَلُوا الْحَرِيمَ وَالْأَوْلَادَ، وَآذَوْا عَامَّةَ الْعِبَادِ. وَفِيهَا أَلْزَمَ الْمَنْصُورُ النَّاسَ بِلَبْسِ قَلَانِسَ سُودٍ طِوَالٍ جِدًّا، حَتَّى كَانُوا يَسْتَعِينُونَ عَلَى رَفْعِهَا مِنْ دَاخِلِهَا بِالْقَصَبِ، فَقَالَ أَبُو دُلَامَةَ الشَّاعِرُ فِي ذَلِكَ: وَكُنَّا نُرَجِّي مِنْ إِمَامٍ زِيَادَةً ... فَزَادَ الْإِمَامُ الْمُصْطَفَى فِي الْقَلَانِسِ تَرَاهَا عَلَى هَامِ الرِّجَالِ كَأَنَّهَا ... دِنَانُ يَهُودٍ جُلِّلَتْ بِالْبَرَانِسِ وَفِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ مَعْيُوفُ بْنُ يَحْيَى الْحُجُورِيُّ، فَأَسَرَ خَلْقًا كَثِيرًا مِنَ الرُّومِ مَا يُنَيِّفُ عَلَى سِتَّةِ آلَافِ أَسِيرٍ، وَغَنِمَ أَمْوَالًا جَزِيلَةً. وَحَجَّ بِالنَّاسِ الْمَهْدِيُّ ابْنُ الْمَنْصُورِ. وَكَانَ عَلَى نِيَابَةِ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى الْمَدِينَةِ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدٍ،، وَعَلَى الْكُوفَةِ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، وَعَلَى الْبَصْرَةِ يَزِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَعَلَى مِصْرَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ.
পৃষ্ঠা - ৮০৪৫
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ مَنْصُورٍ كَانَ وَلَّاهُ الْمَنْصُورُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ الْيَمَنَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ أَبَانُ بْنُ صَمْعَةَ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ اللَّيْثِيُّ، وَثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ الْحِمْصِيُّ، وَالْحُسْنُ بْنُ عُمَارَةَ، وَفِطْرُ بْنُ خَلِيفَةَ، وَمَعْمَرٌ، وَهِشَامُ بْنُ الْغَازِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.