আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وأربعين ومائة

فصل في ذكر محاسن بغداد وما روي فيها عن الأئمة النقاد

فصل في ذكر محاسن بغداد وما روي فيها عن الأئمة النقاد

পৃষ্ঠা - ৮০১৬

বাগদাদ নগরীর ভাল-মন্দ বিষয়ে বিগ্রিষ্টিজনদের অভিমত

ইউনুস ইবন আবদুল আ’লা আস-সাদাফী বলেন (একবার) আমাকে ইমাম শাফিঈ (র) প্রশ্ন
করেন তুমি কি বাগদাদ দেখেছ ? আমি বলি না ৷ তখন তিনি মন্তব্য করেন, তাহলে তো তুমি
দুনিয়াশ্ই দেখনি ৷ ইমাম শাফিঈ আরও বলেন, যে শহরেই আমি গমন করেছি তাকে প্রবাস ও
বিভুইরুপে গণ্য করেছি, শুধুমাত্র বাগদাদ এর ব্যতিক্রম ৷ আমি যখন সেখানে প্রবেশ করেছি তখন

তাকে আপন-নিবাসরুপে গণ্য করেছি ৷ জনৈক ব্যক্তি ১ বলেন, সমগ্র দুনিয়ার রাজধানী হল
বাগদাদ ৷ ইবন আলিয়ব্র৷ বলেন, হাদীসশাস্ত্র চর্চায় আমি ৰাগদাদবাসীর চেয়ে বুদ্ধিমান ও ধীরন্থির
কাউকে দেখিনি ৷ ইবন মুজাহিদ বলেন, আমি আবু আমর ইবনুল আলাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা
করি , আল্লাহ আপনার সাথে কী আচরণ করেছেন ? তিনি বলেন, এ প্রশ্ন বাদ দাও ৷ আহলে সুন্নাত
ও জামাআতের মতাদর্শী হয়ে যে ব্যক্তি বাগদাদে অবস্থান করবে এবং সেই বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুমুখে
পতিত হবে সে এক জান্নাত থেকে অন্য জান্নড়াতে স্থানান্তরিত হতে থাকবে ৷ আবু বকর ইবন
আয়্যাশ বলেন, ইসলাম তো বাপদাদে, আর তা হল প্রতিভাবান ও গুণীদের ফীদ, তারা সেখানে
আটকা পড়ে ৷ যে তা দেখেনি সে যেন দুনিয়াই দেখেনি ৷ আবু মুআরিয়া বলেন, বাগদাদ হল
দুনিয়া-আখিরাতের নিবাস ৷ জনৈক ব্যক্তি বলেন, ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যোর প্রকাশ হল
বাপদাদের জুর্মুআর দিন, পবিত্র মক্কায় তারাবীর নামায এবং তুরসুল শহরের ঈদের দিন ৷ খতীব
বলেন, প্মাদীনাতুস্ সালামে (বাগ্যাদে) যে ব্যক্তি জুমু৩া৷র দিন (জুমু৩৷ ৷ র নামাযে) শরীক হবে,
আল্লাহ তাআলা তার অম্ভরে ইসলামের মহত্ত্ব সৃষ্টি করবেন ৷ কেননা, আমাদের শায়খরা বলতেন,
বাপদাদের জুর্মুআর দিন অন্য শহরের ঈদের দিন ৷ জনৈক শায়খ বলেন, আমি নিয়মিতভাবে
জামে মানসুরে জুমুআর নামায পড়তাম ৷ একবার কোন কাজের কারণে আমি অন্য মসজিদে
জুমুআ পড়ি ৷ এরপর আমি স্বপ্নে দেখি জনৈক কথক বলেছে’ণ্হ্ তুমি জামে মদীনায় (জামে
মানসুরের অপর নাম) জুর্মুআ তরক করেছ ৷ অথচ সেখানে সত্তরজন আল্লাহর ওলী জুমুআ পড়ে
থাকেন ৷ আরেকজন বলেন, এরপর আমি বাগদাদ থেকে স্থানান্তরিত হতে মনস্থু রি এরপর
আমি স্বপ্নে দেখি যেন এক কথক বলছেন, তুমি কি এমন শহর ছেড়ে যেতে চাও যেখানে

হাজার আল্লাহর ওলী রয়েছেন ৷ জনৈক শায়খ তার স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি দেখতে
পাই, যেন দু’জন ফেরেশতা বাপদাদে আগমন করেন ৷ তখন তাদের একজন তার সঙ্গীকে বলে,
এই শহরকে উল্টে ধ্বংস করে দাও ৷ কেননা, তার ব্যাপারে আল্লাহর শাস্তি বিধান অপরিহার্য হয়ে
গেছে ৷ তখন অপরজন বলে কিভাবে আমি এই শহরকে উন্টে ধ্বংস করব, যেখানে প্ৰতি রাতে
পড়াচ হাজার খতম কুরআন তিলাওয়াত করা হয় ৷ আবুমুসহির বলেন, সাঈদ ইবন আবদুল আষীয
ইবন সুলায়মান ইবন মুসা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির ইল্ম যদি হিজাযী হয়





১ এটা হল আবু ইসহাক আল-যাজ্বজাজের মত্তব্য বাগদাদ হল দুনিয়ার একমাত্র নগর বা শহর আর এছাড়া সব
গ্রাম ও পল্লী ৷


طَرِيقِ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَمِنْ طَرِيقِ عُمَرَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ مَرْفُوعًا بِنَحْوِهِ، وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَمِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيِّ ابْنِ أَبِي طَالِبٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَثَوْبَانَ وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَفِي بَعْضِهَا ذِكْرُ السُّفْيَانِيِّ وَأَنَّهُ يُخَرِّبُهَا، وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُ شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ، وَقَدْ أَوْرَدَهَا الْخَطِيبُ بِأَسَانِيدِهَا وَأَلْفَاظِهَا، وَفِي كُلٍّ مِنْهَا نَكَارَةٌ، وَأَقْرَبُ مَا فِي ذَلِكَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَقَدْ جَاءَ فِي آثَارٍ عَنْ كُتُبٍ مُتَقَدِّمَةٍ أَنَّ بَانِيَهَا يُقَالُ لَهُ: مِقْلَاصٌ وَذُو الدَّوَانِيقِ. وَقَدْ كَانَ الْمَنْصُورُ يُلَقَّبُ بِمِقْلَاصٍ فِي صِغَرِهِ، وَلَمَّا وَلِيَ لُقِّبَ بِذِي الدَّوَانِيقِ; لِبُخْلِهِ. [فَصْلٌ فِي ذِكْرِ مَحَاسِنِ بَغْدَادَ وَمَا رُوِيَ فِيهَا عَنِ الْأَئِمَّةِ النُّقَّادِ] قَالَ يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الصَّدَفِيُّ الْمِصْرِيُّ: قَالَ لِي الشَّافِعِيُّ: هَلْ رَأَيْتَ بَغْدَادَ؟ قُلْتُ: لَا. فَقَالَ: لَمْ تَرَ الدُّنْيَا.
পৃষ্ঠা - ৮০১৭


আর স্বভাব ইরাকী (বাগদাদী) হয় এবং নামায শামী হয় তাহলে সে সিদ্ধি লাভ করেছে ৷ একবার
(খলীফ৷ পত্নী) যুবায়দ৷ করি মানসুর নামিরীকে বলেন, আমাকে এমন কয়েকটি কবিতা পঙ্ক্তি
শোনাও যা দ্বারা তুমি বাগদাদকে আমার কাছে প্রিয় করবে ৷ আর আমি কিভু বাগদাদের তুলনায়
রাফিকা শহৱবেইি শ্রেষ্ঠ গণ্য করে থাকি ৷ তখন সে আবৃত্তি করে-


বাগদাদ শহরে কত উত্তম বিদ্যা ও শাত্রের চর্চা রয়েছে, রয়েছে দীন দুনিয়ার কত
আলােকবর্ডিংম ৷ ”

“পুষ্পকাননের পরশ নিয়ে যেখানে যখন স্লিগ্ধ সমীরণ প্রবা ত হয় তখন তা মুমুর্ষ রোগীকে
প্রাণবত্ত করে তোলে ৷

সাঈদ বলেন, তখন যুবায়দা ত কে দৃ’হাজা র দীনার দান করেন ৷ খতীর বলেন, আ ৷মি ভাণ্ডার
রক্ষক তাহির ইবন মুযাফ্ফা র ইবন তাহিরের কিভাবে তার নিজের হস্তাক্ষরে লেখা নিম্নোক্ত
কবিতা পঙ্ক্তিগুলি পড়েছি-
“আল্লাহ তাআলা কারখ, খালদ ও জিসরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত বাগদাদের এক
মহল্লাকে প্রভাত বারি দ্বারা সিঞ্চিত করুন ৷”

ষ্

“ত৷ হল৩ তিলোত্তমা নগরী যা তার অধিবাসীদের জন্য এমন সব বৈশিষ্ট্য দ্বারা অনন্য হয়ে
আছে যা অন্য কোন নগরীর অধিবাসীদের যেই ৷

“সেখানে রয়েছে চমৎকার ও স্বাস্থ্যকর কোমল বায়ু, রয়েছে শরাবের চেয়ে সুস্বাদু বা সুপেয়
পানি ৷ ”


وَعَنِ الشَّافِعِيِّ قَالَ: مَا دَخَلْتُ بَلَدًا قَطُّ إِلَّا عَدَدْتُهُ سَفَرًا، إِلَّا بَغْدَادَ فَإِنِّي حِينَ دَخَلْتُهَا عَدَدْتُهَا وَطَنًا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: الدُّنْيَا بَادِيَةٌ، وَبَغْدَادُ حَاضِرَتُهَا. وَقَالَ ابْنُ عُلَيَّةَ: مَا رَأَيْتُ أَعْقَلَ فِي طَلَبِ الْحَدِيثِ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ وَلَا أَحْسَنَ رَغْبَةً. وَقَالَ ابْنُ مُجَاهِدٍ: رَأَيْتُ أَبَا عَمْرٍو ابْنَ الْعَلَاءِ فِي النَّوْمِ فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ لِي: دَعْنِي مِنْ هَذَا، مَنْ أَقَامَ بِبَغْدَادَ عَلَى السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَمَاتَ، نُقِلَ مِنْ جَنَّةٍ إِلَى جَنَّةٍ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ: الْإِسْلَامُ بِبَغْدَادَ، وَإِنَّهَا لَصَيَّادَةٌ تَصِيدُ الرِّجَالَ، وَمَنْ لَمْ يَرَهَا لَمْ يَرَ الدُّنْيَا. وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ: بَغْدَادُ دَارُ دُنْيَا وَآخِرَةٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: مِنْ مَحَاسِنِ الْإِسْلَامِ يَوْمُ الْجُمْعَةِ بِبَغْدَادَ، وَصَلَاةُ التَّرَاوِيحِ بِمَكَّةَ، وَيَوْمُ الْعِيدِ بِطَرَسُوسَ.
পৃষ্ঠা - ৮০১৮
قَالَ الْخَطِيبُ: مَنْ شَهِدَ الْجُمْعَةَ بِمَدِينَةِ السَّلَامِ عَظَّمَ اللَّهُ فِي قَلْبِهِ مَحَلَّ الْإِسْلَامِ; لِأَنَّ مَشَايِخَنَا كَانُوا يَقُولُونَ: يَوْمُ الْجُمْعَةِ بِبَغْدَادَ كَيَوْمِ الْعِيدِ فِي غَيْرِهَا مِنَ الْبِلَادِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كُنْتُ أُوَاظِبُ عَلَى الْجُمْعَةِ بِجَامِعِ الْمَنْصُورِ، فَعَرَضَ لِي شُغْلٌ فَصَلَّيْتُ فِي غَيْرِهِ، فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ قَائِلًا يَقُولُ لِي: تَرَكْتَ الصَّلَاةَ بِالْجَامِعِ وَإِنَّهُ لَيُصَلِّي بِالْجَامِعِ كُلَّ جُمْعَةٍ سَبْعُونَ وَلِيًّا؟! وَقَالَ آخَرُ: أَرَدْتُ الِانْتِقَالَ مِنْ بَغْدَادَ إِلَى غَيْرِهَا، فَرَأَيْتُ كَأَنَّ قَائِلًا يَقُولُ لِي فِي الْمَنَامِ: أَتَنْتَقِلُ مِنْ بَلَدٍ فِيهِ عَشَرَةُ آلَافِ وَلِيٍّ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؟! وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَأَيْتُ كَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَتَيَا بَغْدَادَ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: اقْلِبْ بِهَا فَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَيْهَا. فَقَالَ الْآخَرُ: كَيْفَ أَقْلِبُ بِبَلَدٍ خُتِمَ فِيهِ الْقُرْآنُ اللَّيْلَةَ خَمْسَةَ آلَافِ خَتْمَةٍ؟! وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى قَالَ: إِذَا كَانَ عِلْمُ الرَّجُلِ حِجَازِيًّا، وَخُلُقُهُ عِرَاقِيًّا، وَطَاعَتُهُ شَامِيَّةً فَقَدْ كَمُلَ.
পৃষ্ঠা - ৮০১৯

বাগদাদের সৌন্দর্যরাজি ও ত্রুঢিসমুহ এবং এ সম্বন্ধে
ইমামদের উক্তিসমুহ

ইউনুস ইবন আবদুল আ’লা আস-সাদাফী (র) বলেন, আমাকে ইমাম শাফিঈ (র) বলেন,
“তুমি কি বাগদাদ দেখেছ ?” আমি বললাম না ৷ তখন তিনি বললেন, “তাহলে তুমি দুনিয়াই
দেখনি ৷” ইমাম শাফিঈ (র) আরো বললেন, “আমি যে কোন শহরে কখনও ভ্রমণ করেছি, গণনা
করেছি কয়েকবার সেখানে সফর করেছি কিন্তু বাগদাদের কথা আলাদা ; যতবারই আমি বাগদাদে
গমন করেছি এটাকে নিজের জন্মভুমি বলে মনে করেছি ৷ ” উলামায়ে কিরামের কেউ কেউ
বলেন, সমগ্র পৃথিবীটাগ্ৰামাঞ্চল হিসেবে গণ্য আর বাগদাদ শহর এলাকা হিসেবে গণ্য ৷ ’

ইবন উলাইয়া (র) বলেন, “হাদীস অস্বেষণের ক্ষেত্রে বাগদাদবাসীদের থেকে বেশী সচেতন
আমি আর কাউকে দেখিনি এবং তাদের থেকে বেশী সুখ-স্বাচ্ছন্দেব্র জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত
আর কাউকে দেখিনি ৷ ইবন মুজাহিদ (র) বলেন, আমি আবু আমর ইবন আল-আলা (র) কে
স্বপ্নে দেখলাম, আমি তাকে বললাম , আপনার সাথে আল্লাহ তাআলা কিরুপ ব্যবহার করেছেন ?
তিনি আমাকে বললেন, আমাকে এ ব্যাপারে আর জিজ্ঞাসা কর না, জেনে রেথো, যে ব্যক্তি
বাগদাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উপর কায়েম থেকে মৃত্যুবরণ করে তাকে এক
জান্নাত থেকে অন্য জান্নাতে বিনোদনের জন্য স্থানান্তর করা হয় ৷ আবু বকর ইবন আইয়াশ (র)
বলেন, বাগদাদে রয়েছে ইসলাম, এটা নিশ্চয়ই শিকারেরও স্থান ৷” লোকেরা শিকার করে থাকে
তথায় ৷ যে বাগদাদ দেখেনি সে যেন দুনিয়াটা দেখেনি ৷ ’ আবু মুআবিয়া (র) বলেন, বাগদাদ
দুনিয়া ও আখিরাতের ঘর ৷’ আলিমগণের কেউ কেউ বলেন, বাগদাদ জুমুআর দিনে, মক্কায়
তারাবীহের সালাতে এবং তারমুস শহরে ঈদের দিনে ইসলামের সৌন্দর্য অবলােকন করা যায় ৷
আল-খভীব (র) বলেন, যে ব্যক্তি মদীনাতৃস সালামে জুমুআর দিনে সালাতে হাযির হন আল্লাহ
তাআলা তীর অন্তরে ইসলামের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে দেন ৷ কেননা আমাদের উস্তাদগণ বাগদাদের
জুমুআর দিনকে অন্যান্য শহরের ঈদের দিনের ন্যায় গণ্য করতেন ৷ তাদের একজন বলেন, আমি

ঞা৷ ৷ ৰু ৷ এ সর্বদা জুমুআর সালাত আদায় করতাম ৷ একদিন আমার কোন একটি কাজ
থাকার দরুন আমি অন্য মসজিদে সালাত আদায় করলাম ৷ এরপর আমি স্বপ্নে দেখলাম, কোন
এক ব্যক্তি আমাকে বলছেন, তুমি য়ু এ ৷ ৰু ৷ জুমুআর সালাত বর্জন করেছ অথচ সেখানে
প্রতি জুমুআয় সত্তরজন ওলী সালাত আদায় করে থাকেন ৷ অন্য একজন বলেন, আমি বাগদাদ
থেকে বদলীর ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম ৷ তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন এক ব্যক্তি বলছেন,
তুমি কি এমন একটি শহর থেকে বদলী হতে ইচ্ছা করছ যেখানে দশ হাজার ওলী রয়েছেন ?
ন্ র্তাদের অন্য একজন বলেন, আমি একদিন দু’জন ফিরিশতাকে দেখলাম, তারা দু’জন বাগদাদে
আগমন করেন ৷ একজন তার সাথীকে বলেন, এ শহরটিকে উলটে দেব ৷ কেননা এ সম্বন্ধে
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড) ২৪


وَقَالَتْ زُبَيْدَةُ لِمَنْصُورٍ النَّمَرِيِّ: قُلْ شِعْرًا تُحَبِّبُ فِيهِ بَغْدَادَ إِلَى الرَّشِيدِ، فَقَدِ اخْتَارَ سُكْنَى الرَّافِقَةِ. فَقَالَ: مَاذَا بِبَغْدَادَ مِنْ طِيبِ الْأَفَانِينِ ... وَمِنْ مَنَازِلَ لِلدُّنْيَا وَلِلدِّينِ تُحْيِي الرِّيَاحُ بِهَا الْمَرْضَى إِذَا نَسَمَتْ ... وَجَوَّشَتْ بَيْنَ أَغْصَانِ الرَّيَاحِينِ قَالَ: فَأَعْطَتْهُ أَلْفَيْ دِينَارٍ. وَقَالَ الْخَطِيبُ: وَقَرَأْتُ فِي كِتَابِ طَاهِرِ بْنِ مُظَفَّرِ بْنِ طَاهِرٍ الْخَازِنِ بِخَطِّهِ مِنْ شِعْرِهِ: سَقَى اللَّهُ صَوْبَ الْغَادِيَاتِ مَحَلَّةً ... بِبَغْدَادَ بَيْنَ الْكَرْخِ فَالْخُلْدِ فَالْجِسْرِ هِيَ الْبَلْدَةُ الْحَسْنَاءُ خُصَّتْ لِأَهْلِهَا ... بِأَشْيَاءَ لَمْ يُجْمَعْنَ مُذْ كُنَّ فِي مِصْرِ هَوَاءٌ رَقِيقٌ فِي اعْتِدَالٍ وَصِحَّةٍ ... وَمَاءٌ لَهُ طَعْمٌ أَلَذُّ مِنَ الْخَمْرِ وَدِجْلَتُهَا شَطَّانِ قَدْ نُظِمَا لَنَا ... بِتَاجٍ إِلَى تَاجٍ وَقَصْرٍ إِلَى قَصْرِ ثَرَاهَا كَمِسْكٍ وَالْمِيَاهُ كَفِضَّةٍ ... وَحَصْبَاؤُهَا مِثْلُ الْيَوَاقِيتِ وَالدُّرِّ وَقَدْ أَوْرَدَ الْخَطِيبُ فِي هَذَا أَشْعَارًا كَثِيرَةً، وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ. وَقَدْ كَانَ الْفَرَاغُ مِنْ بِنَاءِ بَغْدَادَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ
পৃষ্ঠা - ৮০২০


হুকুম জারি করা হয়েছে ৷ অন্যজন বলেন, কেমন করে এমন একটি শহরকে উলটে দেয়া হবে,
যেখানে প্রতি রাতে পাচ হাজারবার কুরআন খতম করা হয় ?

সাঈদ ইবন আবদুল আযীয ইবন সুলায়মান ইবন মুসা (র) থেকে আবু মিসৃহার (র) বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, যে ব্যক্তির বিদ্যা শিক্ষা হল হিজাযে, তার চরিত্র হল ইরাকীর ন্যায় এবং
সালাত হল সিরিয়াবাসীর ন্যায়, সে পরিপুপতা লাভ করেছে ৷ মনসুর আন-নামিরীকে যুবায়দা (রা)
বলেন, আমার কাছে এমন একটি কবিতা বল যার দ্বারা আমার কাছে বাগদাদের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি
পায় ৷ আর তার শোভাীকৃত ও সমাদৃত হয় ৷ তখন তিনি বলেন :



অর্থাৎ “বাগদা দের শ্বোভাময় ষ্াছপা লা কতইা ন মনােমুগ্ধকর ! আ র৩ তার মিনারাগুলো দুনিয়া
ও আখিরাতে র কতই না সুন্দর আলোকবর্তিকা ! সেখানে মৃদুমন্দ বা৩াস যখন পুদিনা গাছের
ডালগুলাে দিয়ে বয়ে যায় খনত অসুস্থ ব্যক্তিগণ নবব্জীবনা লা ত করে ৷ ’াবর্ণনাক রী বলেন, যুবায়দা
(র) তখন কবিকে দুই হাজার দীনার উপচৌকন প্ৰদা ন করেন ৷
আ-ল খভীব (র) বলেন, আমিওা ণ্ডাররক্ষক তাহির ইবন মুযাফ্ফা র ইবন তাহির এর কিতাবে
তার লিখিত নিম্নবর্ণিত পঙক্তিতলো আবৃত্তি করলামং :

fl # ষ্


হুপুএ্ ৷;,
অর্থাৎ “সকাল ণ্বলার বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ তাআলা এমন একটি মহল্লাকে সিক্ত করুন যা
বাগদাদের কারখ, খুলদ ও জাসর নামী সুরম অট্টালিকাগুলোর মধ্যে অবস্থিত ৷ এটা একটি
সৌন্দর্যময় শহর যার বাসিন্দাদের ভোগ বিলাসের জন্য এমন বস্তুসমুহ ব্যিশযভাবে সজ্জিত রাখা
হয়েছে যা অন্য কোন শহরে সংগৃহীত হওয়া দৃরুহ ব্যাপার ৷ যেখানোস্থ্য রক্ষার উপযোগী স্লিগ্ধ
আবহাওয়া বিরাজ করছে সেখানকার জলবায়ু মদ থেকেও বেশী সুাদৃ ৷ বাগদাদের দাজলা নদীর
দুই পাড় যেন আমাদের জন্য মুকুটকে মুকুটের সাথে এবং অট্টালিকাকে অট্টালিকার সাথে পেথে

দিয়েছে ৷ হে পর্যটক ! বাগদাদকে তুমি দেখবে মিশ্ ক আম্বরের ন্যায়, যাব প নি রৌগ্যের ন্যায়
এবং পাথরগুলো চুণি ও মুক্তার ন্যায় ৷”

আল খভীব (র) এ সম্পর্কে বহু কবিতা রচনা করেছেন ৷ আমরা যা উল্লেখ করেছি আপাতত
তা যথেষ্ট বলে অনুণ্ডু ত ৷ একশাছেচল্লিশ হিজরী সনে বাগদা দের নির্মাণাকাজ সমাপ্ত হয় ৷ কেউ
কেউ বলেন, একশ আটচল্লিশ হিজরীতে শেষ হয় ৷ পরিখা খনন ও দেয়ালের কাজসমুহ একশ


وَمِائَةٍ - وَقِيلَ: فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَأَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: إِنَّ سُورَهَا وَخَنْدَقَهَا كَمُلَا فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَلَمْ يَزَلِ الْمَنْصُورُ يَزِيدُ فِيهَا، وَيَتَأَنَّقُ فِي بِنَائِهَا حَتَّى كَانَ آخَرَ مَا بَنَى فِيهَا قَصْرُ الْخُلْدِ، فَعِنْدَ كَمَالِهِ تُوُفِّيَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ الْمَنْصُورُ سَلْمَ بْنَ قُتَيْبَةَ عَنِ الْبَصْرَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا مُحَمَّدَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَتَبَ إِلَى سَلْمٍ يَأْمُرُهُ بِهَدْمِ بُيُوتِ الَّذِينَ بَايَعُوا إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، فَتَوَانَى فِي ذَلِكَ فَعَزَلَهُ، وَبَعَثَ ابْنَ عَمِّهِ مُحَمَّدَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ فَعَاثَ فِيهَا فَسَادًا، وَهَدَمَ دُورًا كَثِيرَةً، وَعَزَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الرَّبِيعِ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا جَعْفَرَ بْنَ سُلَيْمَانَ، وَعَزَلَ عَنْ مَكَّةَ السَّرِيَّ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَوَلَّاهَا عَبْدَ الصَّمَدِ بْنَ عَلِيٍّ. قَالَ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ. قَالَ: وَفِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ جَعْفَرُ بْنُ حَنْظَلَةَ الْبَهْرَانِيُّ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ السَّائِبِ
পৃষ্ঠা - ৮০২১
الْكَلْبِيُّ، وَهُشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، وَيَزِيدُ ابْنُ أَبِي عُبَيْدٍ فِي قَوْلٍ.