আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وأربعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৮০০৩

আকণ্ঠ পান করেছি বক্তৃতাপানীয়, কিন্তু তার জন্য কোন চিম্ভা-ভাবনা সুন্থির করিনি ৷ ফলে প্রথমে
তা তলিয়ে গেছে তারপর উথলে উঠেছে ৷

ইবনুল মুকাফ্ফার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বসরার নায়িব সুফিয়ান ইবন মুআবিয়া ইবন
ইয়াযীদ ইবন মুহাল্লাব ইবন আবু সুফরার হাতে ৷ আর এই নায়িব তাকে হেয় জ্ঞান করত এবং
তার মাকে, গালমন্দ করত ৷ সে তাকে ইবনুল মুআল্লিম বা শিক্ষক তনয়’ সম্বোধন করত ৷
ইবনুল মুকাফ্ফ৷ ছিল বিশাল নাকের অধিকারী সে যখন তার সড়াক্ষাতে প্রবেশ করত তখন তার
নাকের প্রতি কটাক্ষ করে বলত, তোমাদের দৃ’জনকে সালাম ৷ একবার সে সুফিয়ান ইবন
মুআবিয়াকে বলে, আমি কখনও আমার চুপ থাকার কারণে অনুশোচনাবােধ করিনি ৷ তখন সে
বলে, তুমি সত্য বলেছ ৷ তোমার জন্য চুপ থাকাই কথা বলার চেয়ে শ্রেয় ৷ এরপর ঘটনাক্রমে
খলীফা মানসুর ইবনুল মুকাফ্ফার প্রতি ক্রুদ্ধ হন ৷ তিনি তার নায়িব এই সুফিয়ান ইবন
মুআবিয়াকে তাকে হত্যা করার জন্য লিখেন ৷ তখন সুফিয়ান তাকে পাকড়াও করে তার জন্য
উনুনে উত্তপ্ত করে এরপর তাকে টুকরা টুকরা করে সেই (জ্বলন্ত) উনুনে নিক্ষেপ করে ৷ এমনকি
তাকে পুড়িয়ে ভস্ম করে ৷ একবার সে তার অঙ্গপ্রতাঙ্গর দিকে লক্ষ্য করে কিভাবে তা কাটা হয় ৷
তারপর কিভাবে তা জানানো হয় ৷ অবশ্য তার হত্যাকাণ্ডের অন্য রকম বিবরণও আছে ৷ ইবন
খাল্লিকান বলেন , কারও কারও মতে তার ইবনুল মুকাফ্ফা নামকরণের কারণ, সে কিফা’ বিক্রি
করত ৷ আর তা হল থেজুর পাতার হাতলৰিহীন টুকরি বা ঝুড়ি ৷ তবে সঠিক হল যে ইবনুল
মুকাফ্ফা, আবু দারাওয়াহি হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ তাকে কর আদায়ের দায়িতৃ প্রদান করে ৷ যে তা
থেকে কিছু আত্মসাৎ করলে হাজ্জাজ তাকে শাস্তি প্রদান করে ৷ ফলে তার উভয় হাত অসাড় হয়ে
যায় ৷ আল্লাহ্ই সর্বাধিক জানেন ৷

এবছরই তাতৃরী এবং থুয্রীগণ বাবুল আরওয়াবে বিদ্রোহ করে ৷ এসময় তারা আর্মেনিয়ায় বহু

ত্খ্যক মুসলমানকে হত্যা করে ৷ আর এবছর হজ্জ পরিচালনা করেন পবিত্র মদীনায় গভর্নর

আবদুল্লাহ্ইবন রাবীআ আল-হারিহী ৷ এছাড়া এবছর কুফার গভর্নর ছিলেন ঈসা ইবন মুসা , বসরার
গভর্নর মুসলিম ইবন কৃতায়বা এবং মিসরের গভর্নর ইয়াযীদ ইবন হাতিম ৷

১ ৪৬ হিজরীর সুচনা

এবছরই মদীনাতৃসৃ সালাম বা “শান্তিময় নগরী” বাগদাদের নির্মাণ সম্পন্ন হয় এবং খলীফা
মানসুর এবছরের সফর মাস থেকে যেখানে বসবাস শুরু করেন ৷ আর ইতিপুর্বে তিনি কুফার
সীমান্তবর্তীহাশিমিয়্যা উপশহরে অবস্থান করতেন ৷ তিনি এ শহরেই নির্মাণ কাজ শুরু করেন ৷

অবশ্য কারও কারও মতে একশ চুয়াল্লিশ হিজরীতে ৷ আল্লাহ্ই অধিক জানেন ৷

আর যে কারণে খলীফ৷ মানসুর এই শহর নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হন ৷ তা হল যে রাওয়ানদিগণ যখন
কুফায় তার উপর আক্রমণ করে এবং আল্লাহ্ তাকে তাদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেন তখন
তাদের সমর্থকদের অংশবিশেষ রক্ষা পড়ায় ৷ ফলে, তিনি তার সৈন্যদের ব্যাপারে এদের থেকে
আক্রমণের আশঙ্কাবােধ করেন ৷ তখন তিনি তাদের জন্য একটি সুরক্ষিত শহর নির্মাণের স্থান
নির্বাচনের উদ্দেশ্যে কুফা থেকে বের হন ৷ এরপর বিভিন্ন স্থান ঘুরে আল-জড়াযিরায় গিয়ে
পৌছেন ৷ আর এই সময়ে তিনি বর্তমানে যে স্থানে বাগদাদ শহর অবস্থিত তার চেয়ে উপযুক্ত


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا تَكَامَلَ بِنَاءُ مَدِينَةِ السَّلَامِ بَغْدَادَ، وَسَكَنَهَا الْمَنْصُورُ بَانِيهَا فِي صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ مُقِيمًا قَبْلَ ذَلِكَ بِالْهَاشِمِيَّةِ الْمُتَاخِمَةِ لِلْكُوفَةِ، وَكَانَ قَدْ شَرَعَ فِي بِنَائِهَا فِي السَّنَةِ الْخَارِجَةِ، وَقِيلَ: فِي سَنَةِ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانَ السَّبَبَ الْبَاعِثَ لَهُ عَلَى بِنَائِهَا أَنَّ الرَّاوِنْدِيَّةَ لَمَّا وَثَبُوا عَلَيْهِ بِالْكُوفَةِ، وَوَقَى اللَّهُ شَرَّهُمْ، فَقَهَرَهُمْ وَقَتَلَهُمْ، كَمَا تَقَدَّمَ، بَقِيَتْ مِنْهُمْ بَقِيَّةٌ، فَخَشِيَ عَلَى جُنْدِهِ مِنْهُمْ، فَخَرَجَ مِنَ الْكُوفَةِ يَرْتَادُ لَهُمْ مَوْضِعًا لِبِنَاءِ مَدِينَةٍ، فَسَارَ فِي الْأَرْضِ حَتَّى بَلَغَ الْجَزِيرَةَ، فَلَمْ يَرَ مَوْضِعًا أَحْسَنَ لِوَضْعِ الْمَدِينَةِ مِنْ مَوْضِعِ بَغْدَادَ الَّذِي هِيَ فِيهِ الْآنَ، وَذَلِكَ بِأَنَّهُ مَوْضِعٌ يُغْدَى إِلَيْهِ وَيُرَاحُ بِخَيِّرَاتِ مَا حَوْلَهُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ، وَهُوَ مُحَصَّنٌ بِدِجْلَةَ وَالْفُرَاتِ، لَا يَقْدِرُ أَحَدٌ أَنْ يَتَوَصَّلَ إِلَى مَوْضِعِ الْخَلِيفَةِ إِلَّا عَلَى جِسْرٍ، وَقَدْ بَاتَ بِهِ الْمَنْصُورُ قَبْلَ بِنَائِهِ، فَرَأَى الرِّيَاحَ لَيْلًا وَنَهَارًا، وَطِيبَ الْهَوَاءِ فِي تِلْكَ الْمَحَلَّةِ، وَقَدْ كَانَ مَوْضِعُهَا قُرًى وَدُيُورَةً لِعُبَّادِ النَّصَارَى وَغَيْرِهِمْ - ذَكَرَ ذَلِكَ مُفَصَّلًا بِأَسْمَائِهِ وَتَعْدَادِهِ أَبُو جَعْفَرٍ ابْنُ جَرِيرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ - فَحِينَئِذٍ أَمَرَ الْمَنْصُورُ بِاخْتِطَاطِهَا، فَرَسَمُوهَا لَهُ بِالرَّمَادِ، فَمَشَى فِي طُرُقِهَا وَمَسَالِكِهَا، فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ، ثُمَّ سَلَّمَ كُلَّ رُبْعٍ مِنْهَا لِأَمِيرٍ يَقُومُ
পৃষ্ঠা - ৮০০৪


কোন স্থান দেখতে পাননি ৷ এর কারণ, তা হল এমন স্থান যেখানে সকাল সন্ধ্যায় জল ও স্থল
পথে তার চতুষ্পার্শ্ব থেকে প্রয়োজনীয় উপায়-উপকরণ ও পণ্যসম্ভার আমদানী করা সম্ভব ৷ আর তা
এদিক এবং সেদিক থেকে দজলা ও ফোরাত নদী দ্বারা প্রাকৃতিকতাবে সুরক্ষিত ৷ পুল পার না হয়ে
কেউ খলীফার প্রাসাদ পর্যন্ত পৌছতে পারবে না ৷ এ শহর নির্মাণ শুরু করার পুর্বে খলীফ৷ মানসুর
সেখানে কয়েক রাত্রি যাপন করেন ৷ তখন তিনি দেখতে পান সেখানে দিন-রড়াত্রি সবসময়

(ধুলিমুক্ত) নির্মল ও মৃদৃমন্দ বায়ু প্রবাহিত হয় ৷ এছাড়া তিনি এই ভুখণ্ডের মনােরম ভুপ্রকৃতি ও
আবহাওয়া প্রত্যক্ষ করেন ৷

(ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেন) , বর্তমান রাপদাদ শহরের স্থানে খৃক্টান যাজক ও অন্যান্যদের
একাধিক জনপদ এবং উপাসনালয় ছিল ৷ ঐতিহাসিক আবুজাফর ইবন জারীর সেগুলি নাম ও
ৎথ্যাসহ বিশ ৷দতাবে উল্লেখ করেছেন এসময় মানসুর তার নকশা প্রণয়নের নির্দেশ দেন ৷
নকশাবিদগণ ছাইয়ের সাহায্যে তাকে তার মডেল যা নিয়ে দেখান ৷ খনত তার পরিকল্পিত পথ ও
সড়ক তাকে মুগ্ধ করে ৷ এরপর খলীফ৷ মানসুর পরিকল্পিত শহরের এক-চতুর্থাং শ নির্মাণের জন্য
একেকজন আমীরকে তত্ত্ব ৷বধায়ক নিয়াে ৷গ করেন ৷ এছাড় ডাতিনি এর নির্মাণ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ
থেকে হাজার হাজার কুশলী কারিগর, নির্মাণশিল্পী, নগর পরিকল্পনা বিদ ও প্রকৌশলীদের উপস্থিত
করেন ৷ এরপর তিনি বিসমি৩ল্লাহতা ওয়াল ল-হামদুলিল্লাহ্ বলে তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে বলেন,
আর শুভপরিণাম আহুা৷হ্ভীরুদের জন্য ৷ এরপর তিনি নির্মাণকম্বীৰিদয় উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা
আল্লাহর বরকত ও কল্যাণ প্রত্যাশী হয়ে নির্মাণ শুরু কর ৷ তিনি তাদেরকে গোলাকার নগর প্রাচীর
পরিবেষ্টিত করে এ শহরে নির্মাণের নির্দেশ দেন যার প্র৷ ৷চীরের পুরুতু৩ তিত্তিমুলে পঞ্চাশ গজ এবং
শীর্ষদেশে বিশ ৷জ ৷ আর তিনি এই শহরের জন্য বহিঃপ্রাচীরে আ ৷টটি এবং অতঃপ্রাচীরে আ ৷টটি
প্রবেশ দ্বার নির্মাণ করেন, যার প্রত্যেকটি অন্যটির সামন৷ ৷-সামনি নয় ৷ বরং প্রত্যেকটি তার
সৎলগ্নটির সাথে তির্যক বা কোণাকুণিভাবে অবস্থিত ৷ একারণেই রাপদাদকে তার প্রবেশদ্বার-
সমুহের তির্যকতার কারণে তির্যক রাপদাদ’ বলা হয় ৷ কারও কারও মতে বাগদাদের এ
নামকরণের কারণ হল দজল৷ নদীর সেখানে এতো বেকে যাওয়া এছাড়া তিনি দারুল খিলাফত
বা খলীফার বাসবভন, নগরের ঠিক মধ্যন্থলে নির্মাণ করেন যাতে নপরবাসী সকলেই তা থেকে
সমান দুরত্বে থাকে ৷ আর এই প্রাসাদের পাশেই জামে মসজিদ নির্মাণের নকশা প্রণয়ন করেন ৷
ড়াএই মসজিদের কিবল৷ নির্ধারণ করেন হাজ্জ ৷জ ইবন৷ তা ৷রতাআ ৷ ইবন জারীর বলেন, বর্ণিত
আছছে এই মসজিদের বিকলায় বিচ্যুতি ৩রয়েছে এখানে মুসল্লীকে বাবুল বসরা বা বসরা দ্বারের
দিকে কাত হয়ে তির্যকভাবে দাড়িয়ে নামায পড়তে হয় ৷ তিনি উল্লেখ করেছেন যে রাসসাফার
মসজিদের কিবল৷ এই মসজিদের কিবলার চেয়ে নিখুত ৷ কেননা, তা দারুলট্রু-খিলাফাত নির্মাণের
পুর্বেই নির্মিত হয়েছে ৷ আর জামে রাগদাদ’ নির্মিত হয় দারুলু-খিলাফতের সাথে সমান্তরাল
করে ফলে এ কারণে তার কিবলার বিচ্যুতি ঘটে ৷ সুলায়মান ইবন মুজালিদ সুত্রে ইবন জারীর
উল্লেখ করেছেন যে খলীফ৷ মানসুর এসময় ইমাম আবুহানীফা নৃ’মান ইবন ছাবিতকে রাগদাদের
কাযী নিয়োগ করতে চান ৷ কিন্তু, তিনি তাতে ৩অস্বীকৃতি জা ৷নিয়ে বিরত থাকেন ৷ তখন মানসুর
শপথ করেন যে অবশ ৷ব্রই আ বুহানীফা৩৷ র পক্ষে কাযীর দায়িত্ব পালন করবেন আর আবুহানীফা


عَلَى بِنَائِهِ، وَأَحْضَرَ مِنْ كُلِّ الْبِلَادِ فُعَّالًا وَصُنَّاعًا وَمُهَنْدِسِينَ، فَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ أُلُوفٌ مِنْهُمْ، ثُمَّ كَانَ هُوَ أَوَّلَ مَنْ وَضَعَ لَبِنَةً فِيهَا بِيَدِهِ، وَقَالَ: بِسْمِ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَالْأَرْضُ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ، وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ. ثُمَّ قَالَ: ابْنُوا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ. وَأَمَرَ بِبِنَائِهَا مُدَوَّرَةً، سُمْكُ سُورِهَا مِنْ أَسْفَلِهِ خَمْسُونَ ذِرَاعًا، وَمِنْ أَعْلَاهُ عِشْرُونَ ذِرَاعًا، وَجَعَلَ لَهَا ثَمَانِيَةَ أَبْوَابٍ فِي السُّورِ الْبَرَانِيِّ، وَمِثْلَهَا فِي الْجَوَّانِيِّ، وَلَيْسَ كُلُّ وَاحِدٍ تُجَاهَ الْآخَرِ، وَلَكِنِ أَزْوَرُ عَنِ الَّذِي يُقَابِلُهُ، وَلِهَذَا سُمِّيَتْ بَغْدَادُ الزَّوْرَاءَ، وَقِيلَ: سُمِّيَتْ بِذَلِكَ لِازْوِرَارِهَا بِسَبَبِ انْحِرَافِ دِجْلَةَ عِنْدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَبَنَى قَصْرَ الْإِمَارَةِ فِي وَسَطِ الْبَلَدِ لِيَكُونَ النَّاسُ مِنْهُ عَلَى حَدٍّ سَوَاءٍ، وَاخْتَطَّ الْمَسْجِدَ الْجَامِعَ إِلَى جَانِبِ الْقَصْرِ، وَكَانَ الَّذِي وَضَعَ قِبْلَتَهُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَيُقَالُ: إِنَّ فِي قِبْلَتِهِ انْحِرَافًا يَحْتَاجُ الْمُصَلِّي فِيهِ أَنْ يَنْحَرِفَ إِلَى نَاحِيَةِ بَابِ الْبَصْرَةِ. وَذَكَرَ أَنَّ مَسْجِدَ الرُّصَافَةِ أَقْرَبُ إِلَى الصَّوَابِ مِنْهُ; لِأَنَّهُ بُنِيَ قَبْلَ الْقَصْرِ، وَجَامِعُ الْمَدِينَةِ بُنِيَ عَلَى الْقَصْرِ. فَاخْتَلَّتْ قُبْلَتُهُ بِسَبَبِ ذَلِكَ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مَجَالِدٍ، أَنَّ الْمَنْصُورَ أَرَادَ أَبَا حَنِيفَةَ النُّعْمَانَ بْنَ ثَابِتٍ عَلَى الْقَضَاءِ فَامْتَنَعَ، فَحَلَفَ الْمَنْصُورُ أَنْ يَتَوَلَّى لَهُ، وَحَلَفَ أَبُو حَنِيفَةَ أَنْ لَا يَفْعَلَ، فَوَلَّاهُ الْقِيَامَ بِأَمْرِ الْمَدِينَةِ وَضَرْبِ اللَّبِنَ وَعَدِّهِ، وَأَخْذِ الرِّجَالِ بِالْعَمَلِ، فَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ الْمُتَوَلِّيَ لِذَلِكَ، حَتَّى فَرَغَ مِنَ اسْتِتْمَامِ حَائِطِ الْمَدِينَةِ مِمَّا
পৃষ্ঠা - ৮০০৫


শপথ করেন যে, তিনি তার হয়ে কাযীর দায়িত্ব পালন করবেন না ৷ এরপর মানসুর তাকে শহর
নির্মাণে ইট প্রন্তুতকরণ এবং নির্মাণকর্মীদের কাজ তত্ত্বাবধানের দায়িতু অর্পণ করেন ৷ তখন তিনি
এ দায়িতৃ পালন করেন ৷ এমনকি নির্মাণকস্বীরাি নগরীর পরিখ৷ সংলগ্ন প্রাচীর নির্মাণ সম্পন্ন করে ৷
আর তার নির্মাণ সম্পন্ন হয় একশ চুয়াল্লিশ হিজরীতে ৷ ইবন জারীর বলেন, আর হড়ায়ছাম ইবন
আদীর সুত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, খলীফা মানসুর ইমাম আবু হানীফাকে কাযী নিয়ােগের প্রস্তাব ’
দেন ৷ কিন্তু তিনি অস্বীকৃতি জানান ৷ তখন মানসুর শপথ করেন, আবু হড়ানীফ৷ তার পক্ষে কোন
দায়িতৃ পালন না করা পর্যন্ত তিনি তার থেকে নিবৃত্ত হবেন না ৷ আবুহানীফার কাছে যখন এ সংবাদ
পৌছে তখন তিনি একটি বীশখণ্ড এনে র্কাচা ইট গণনা করেন যাতে করে তা দ্বারা মানসুরের
শপথ পুর্ণ হয় ৷ এরপর ইমাম আবু হানীফা বাগদাদে ইনতিকাল করেন ৷ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ
করেছেন, থালিদ ইবন বারমাকই খলীফা মানসুরকে বাগদাদ শহর নির্মাণের পরামর্শ প্রদান করেন
এবং তিনিই এর নির্মাণকালে নির্মাণকর্ষীদের উৎসাহ প্রদান করতেন ৷ আর এসময় খলীফা মানসুর
দারুল খিলাফত বাগদাদে অবস্থিত হওয়ায় আল-কাদারুল আবইয়ায’ বা শুভ্র শ্বেত প্রাসাদকে
মাদায়িন থেকে বাগদাদে স্থানান্তরের ব্যাপারে তার আমীর-উমারাদের সাথে পরামর্শ করেন ৷ তখন
তারা বলেন, আপনি তা করবেন না ৷ কেননা, এটা পৃথিবীর এক অন্যতম নিদর্শন ৷ এখানে
আমীরুল মু’মিনীন আলী ইবন আবু তালিবের জায়নামায বিদ্যমান ৷ কিন্তু তিনি তাদের সাথে
একমত হননি এবং সেখান থেকে বহু কিছু স্থানান্তরিত করেন ৷ কিন্তু পরবর্তীতে তা বহনে
ব্যয়ভাংরর সংস্থান না হওয়ায় তিনি তা বর্জন করেন ৷ এছাড়া তিনি ওয়াসিত এর প্ৰসাদের
(মুল্যবান) দরজাসমুহ বাগদাদে দারুল খিলাফতে স্থানান্তরিত করেন ৷ আর ইতিপুর্বে হাজ্জাজ
ইবন ইউসুফ সেখানকার এক শহর ১ থেকে তার প্রস্তরসমুহ স্থানান্তরিত করেন যা নির্মাণ করেন
সুলায়মান ইবন দাউদ আলী ইবন সালাম ৷ আর এই দরজাসমুহ (হযরত সুলায়মানের অনুগত)
জিনরা নির্মাণ করেছিল ৷ আর এর প্রস্তর খণ্ডসমুহ ছিল অতি বিশাল আকৃতির ৷ বাগদাদে নির্মিত
দারুল খিলাফত থেকে বাজারের গােরগোল ও কােলাহল শোনা যেত ৷ এমনকি সেখান থেকে
বিক্রেতাদের হাকডাক এবং বাজারের হৈ চৈ সব শোনা যেত ৷ রোম থেকে আগত পত্রবাহক
জনৈক খৃক্টান পাদ্রী এ বিষয়টির সমালোচনা করে ৷ তখন খলীফা মানসুর বাজারসমুহ সে স্থান
থেকে অন্য এক স্থানে ২ স্থানান্তরের নির্দেশ দেন ৷ এছাড়া তিনি সড়কসমুহ চল্লিশ গজ প্রশস্ত
করার নির্দেশ দেন ৷ এসময় যারা এই চল্লিশ গজের পরিধিতে কিছু নির্মাণ করেছিল তা ভেঙ্গে
ফেলা হয় ৷

ইবন জারীর বলেন, ঈসা ইবন মানসুরের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে য়ে, তিনি বলেন,
খলীফা মানসুরের ধনভাণ্ডারে আমি একথা লিখিত পেয়েছি যে, তিনি বাগদাদ শহর তার জামে
মসজিদ, স্বর্ণ প্রাসাদ, বাজাসমুহ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে আটচল্লিশ লক্ষ তিরাশি হাজার দিরহাম



১ এটা হল যানদাওয়ারদ্ শহর ৷

২ ইবনুল আহীর বলেন, (৫ খ ৪ ৫৭৪ পৃ ) এও বলা হয় তিনি বাজারসমুহ সরিয়ে দেন ৷ কেননা, আগন্তুকেরা
সেখানে আগমন করে এবং রাত্রিযাপন করে, আর এদের মাঝে কোন গুপ্তচরও থাকতে পারে, থাকতে পারে
কোন স্পর্শকাতর তথ্য সন্ধানী অথবা কেউ রাত্রিকালে নগর দ্বার খুলে দিতে পারে ৷ আত্-তাবারী (৯ খ :
২৩২ পৃ) ৷


يَلِي الْخَنْدَقَ، وَكَانَ اسْتِتْمَامُهُ فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَذُكِرَ عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ عَدِيٍّ أَنَّ الْمَنْصُورَ عَرَضَ عَلَى أَبِي حَنِيفَةَ الْقَضَاءَ وَالْمَظَالِمَ فَامْتَنَعَ، فَحَلَفَ أَنْ لَا يُقْلِعَ عَنْهُ حَتَّى يَعْمَلَ، فَأُخْبِرَ بِذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ، فَدَعَا بِقَصَبَةٍ، فَعَدَّ اللَّبِنَ لِيُبِرَّ بِذَلِكَ يَمِينَ أَبِي جَعْفَرٍ، وَمَاتَ أَبُو حَنِيفَةَ بِبَغْدَادَ. وَذَكَرَ أَنَّ خَالِدَ بْنَ بَرْمَكَ هُوَ الَّذِي أَشَارَ عَلَى الْمَنْصُورِ بِبِنَائِهَا، وَأَنَّهُ كَانَ مُسْتَحِثًّا فِيهَا، وَقَدْ شَاوَرَ الْمَنْصُورُ الْأُمَرَاءَ فِي نَقْلِ الْقَصْرِ الْأَبْيَضِ مِنَ الْمَدَائِنِ إِلَى بَغْدَادَ لِأَجْلِ قَصْرِ الْإِمَارَةِ بِهَا، فَقَالَ: لَا تَفْعَلْ فَإِنَّهُ آيَةٌ فِي الْعَالَمِ، وَفِيهِ مُصَلَّى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَخَالَفَهُ وَنَقَلَ مِنْهُ شَيْئًا كَثِيرًا، فَلَمْ يَفِ مَا تَحَصَّلَ مِنْهُ بِأُجْرَةِ مَا يُصْرَفُ فِي حَمْلِهِ، فَتَرَكَهُ، وَنَقَلَ أَبْوَابَ وَاسِطَ إِلَى أَبْوَابِ بَغْدَادَ، وَقَدْ كَانَ الْحَجَّاجُ نَقَلَهَا مِنْ مَدِينَةٍ هُنَاكَ كَانَتْ مِنْ بِنَاءِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ، وَكَانَتِ الْجِنُّ قَدْ عَمِلَتْ تِلْكَ الْأَبْوَابَ. وَقَدْ كَانَتِ الْأَسْوَاقُ قَرِيبًا مِنْ قَصْرِ الْإِمَارَةِ، فَكَانَتْ أَصْوَاتُ الْبَاعَةِ وَهَوْشَاتُ الْأَسْوَاقِ تُسْمَعُ مِنْهُ، فَعَابَ ذَلِكَ بَعْضُ بَطَارِقَةِ النَّصَارَى مِمَّنْ قَدِمَ فِي بَعْضِ الرَّسَائِلِ مِنَ الرُّومِ، فَأَمَرَ الْمَنْصُورُ بِنَقْلِ الْأَسْوَاقِ مِنْ هُنَاكَ إِلَى مَوْضِعٍ آخَرَ، وَأَمَرَ
পৃষ্ঠা - ৮০০৬
بِتَوْسِعَةِ الطُّرُقَاتِ أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا، وَمَنْ بَنَى فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ هُدِمَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَذُكِرَ عَنْ عِيسَى ابْنِ الْمَنْصُورِ أَنَّهُ قَالَ: وَجَدْتُ فِي خَزَائِنِ الْمَنْصُورِ فِي الْكُتُبِ أَنَّهُ أَنْفَقَ عَلَى مَدِينَةِ السَّلَامِ وَمَسْجِدِهَا الْجَامِعِ وَقَصْرِ الذَّهَبِ بِهَا وَالْأَسْوَاقِ وَالْفُصْلَانِ وَالْخَنَادِقِ وَقِبَابِهَا وَأَبْوَابِهَا أَرْبَعَةَ آلَافِ أَلْفٍ وَثَمَانِمِائَةٍ وَثَلَاثَةٍ وَثَلَاثِينَ دِرْهَمًا، وَكَانَ أُجْرَةُ الْأُسْتَاذِ مِنَ الْبَنَّائِينَ فِيهَا كُلَّ يَوْمٍ قِيرَاطَ فِضَّةٍ، وَأُجْرَةُ الصَّانِعِ مِنَ الْحَبَّتَيْنِ إِلَى الثَّلَاثِ. قَالَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: وَقَدْ رَأَيْتُ ذَلِكَ فِي بَعْضِ الْكُتُبِ. وَحَكَى عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ قَالَ: أَنْفَقَ عَلَيْهَا ثَمَانِيَةَ عَشَرَ أَلْفَ أَلْفٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّ الْمَنْصُورَ نَاقَصَ أَحَدَ الْمُهَنْدِسِينَ الَّذِي بَنَى لَهُ بَيْتًا حَسَنًا فِي قَصْرِ الْإِمَارَةِ، فَنَقَصَهُ دِرْهَمًا عَمَّا سَاوَمَهُ، وَأَنَّهُ حَاسَبَ بَعْضَ الْمُسْتَحَثِّينَ عَلَى الَّذِي كَانَ عِنْدَهُ، فَفَضَلَ عِنْدَهُ خَمْسَةَ عَشَرَ دِرْهَمًا، فَحَبَسَهُ حَتَّى أَحْضَرَهَا. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ فِي " تَارِيخِ بَغْدَادَ ": وَبَنَاهَا مُدَوَّرَةً،
পৃষ্ঠা - ৮০০৭


ব্যয় করেন ৷ আর এর প্রধান নির্মাণকর্মীদের দৈনিক মজুরী ছিল এক কীরাত রৌপ্য ৷ আর
কারিগরের মজুবী ছিল ইে থেকে তিন হড়াবৃবা রৌপ্য ৷ খতীব বাগদাদী বলেন, কোন এক গ্রন্থে
আমি তা প্রত্যক্ষ করেছি ৷ কোন কোন ঐতিহাসিক থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, খলীফা
মানসুর এইশ ৷হর নির্মাণে এক কো ৷টি আ ৷শি লক্ষ দিরহাম ব্যয় করেন ৷ অ ৷ল্লাইে অধিক জা নেন ৷

ইবন জারীর উল্লেখ করেছেন খলীফা মানসুর দারুল খিলাফতে তার জন্য একটি সুন্দর গৃহ

নির্মাণ কারী জনৈক১ নির্মাণ প্রকৌশলীকে দরদামকৃত মজুরীর চেয়ে এক দিরহাম কম প্রদান করেন

এবং তিনি জনৈক মজুরী প্রদানকারী৩ ত্ত্বতাবধায়কের কাছে প্রদত্ত অর্থের হিসাব করে তার কাছে
পনের দিরহাম উদ্বুত্ত পান, তখন তিনি তাকে আ টিকে রাখলে সে বাধ্য হয়ে৩ তা উপস্থিত করে ৷
আর খলীফা মানসুর বেশ ব্যয়কুণ্ঠ ছিলেন, খতীব বলেন,৩ তিনি বাগদা দ শহর গোলাকৃতি করে
নির্মাণ করেন, আর (সে সময়) দুনিয়াতে আর কোন গোলাকার শহর বা নগরীর অস্তিত্ব ছিল না ৷
গণকজ্যোতিষী নীবখত কর্তৃক নির্ধারিত শুভ সময়ে তিনি এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ৷ এছাড়া
জনৈক জ্যোতিষী থেকে বর্ণিত আছে সে বলে, খলীফা মানসুর বাগদাদ নগরী নির্মাণ সম্পন্ন করে
আমাকে বলেন, তুমি এ শহরের জ্যোতিষ শা ৷ত্রীয় অবস্থা ৷নিরীক্ষণ কর, তখন আমি তারকা ও
রাশিসমুহের অবস্থান নিরীক্ষণ করে তাকে তার দীর্ঘস্থায়ীত্বে র কথা, বসতির আধিক্যের কথা,
পার্থিব ঐশ্বর্যেরতা তার প্রতি ধাবিত হওয়ার কথা এবং তার ধন জনের প্রতিমা ৷নুষের প্রয়োজনীয়তার
কথা তাকে অবহিত করি ৷ বর্ণন ৷কারী বলেন,৩ তারপর আমি তাকে বলি, হে আমীরুল মু ’মিনীন !
আপনাকে আমি এই সুসৎবাদ দিচ্ছি যে এ নগরীতে (থাকা অবস্থায়) কোন খলীফা কখনও
মৃত্যুমুখে পতিত হবেন না ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি তাকে মৃদ্যু হাসতে দেখি ৷ এরপর
তিনি বলেন, প্রশং সা আল্লাহর তা হল আল্লাহ্র অনুগ্রহ৩ তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন ৷ আর
আল্লাহ হলেন মহা-অনুগ্রহের অধিকারী ৷ জনৈক করি কবিতা আবৃত্তি করেন, তার একটি
পঙ্ক্তি হল :

০ শ্শ্
শ্ শ্শ্ শ্ শ্

“তার রব এই ফায়সালা করেছেন যে সেখানে কোন খলীফার মৃত্যু হবে না, আর তার সৃষ্টির
ব্যাপারে তিনি যা ইচ্ছা তাই ফায়সালা করে থাকেন ৷ ”

আর খতীব রাগদা ৷দী তাকে এই ভুলের উপর স্থির রেখেছেন, কোন কিছু দ্বারা ’ রন্ কবুরন্ন্নি
বরং তিনি তার জ্ঞান অবনতি ৩সভ্রুত্ত্বও তাকে সমর্থন করেছেন ৷ তিনি বলেন জনৈক বডি দাবী
করেন খলীফা হারুনুর রশীদের ছেলে আমীন (বাগদা দের) দারাবুল অনৃবর নামক স্থানে নিহত
হয়েছেন ৷ এরপর আমি কাযী আবুল কাসিম আলী ইবন হাসান আৎ ত;ণ্ন্নু কে তা অবহিত করি ৷
তিনি বলেন, আমীন আসলে শহরের সীমানায় নিহত হননি ৷ তিনি চিত্তবিনেদনের উদ্দেশ্যে দজলা
নদীতে নৌবিহারে যান ৷ তখন দজলার ম ধ্যন্থলে ধৃত হন এবং সেখানেই নিহত হন ৷ ঐতিহাসিক
সুলী ও অন্যান্যরা তা উল্লেখ করেছেন ৷

বাগদ দাদ ৷৷নিব সী জনৈক৷ শ্ ৷৷য়খের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, তিনি বলেন, বাগদাদ শহরের



১ এই ব্যক্তি হল খালিদ ইবন সাল্ত ৷ খলীফা মানসুর তাকে বাগদাদ শহর নির্মাণকালে এর এক-চতুর্থাংশের ব্যয়
নির্বাহের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়েছিলেন ৷


وَلَا يُعْرَفُ فِي أَقْطَارِ الدُّنْيَا كُلِّهَا مَدِينَةٌ مُدَوَّرَةٌ سِوَاهَا، وَوَضَعَ أَسَاسَهَا فِي وَقْتٍ اخْتَارَهُ لَهُ نُوبَخْتُ الْمُنَجِّمُ. ثُمَّ رَوَى عَنْ بَعْضِ الْمُنَجِّمِينَ قَالَ: قَالَ لِي الْمَنْصُورُ لَمَّا فَرَغَ مِنْ بِنَاءِ بَغْدَادَ: خُذِ الطَّالِعَ. فَنَظَرْتُ فِي طَالِعِهَا، وَكَانَ الْمُشْتَرِي فِي الْقَوْسِ، فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا تَدُلُّ عَلَيْهِ النُّجُومُ مِنْ طُولِ زَمَانِهَا، وَكَثْرَةِ عِمَارَتِهَا وَانْصِبَابِ الدُّنْيَا إِلَيْهَا، وَفَقْرِ النَّاسِ إِلَى مَا فِيهَا. قَالَ: ثُمَّ قُلْتُ لَهُ: وَأُبَشِّرُكُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِبِشَارَةٍ أُخْرَى; وَهِيَ أَنَّهُ لَا يَمُوتُ فِيهَا أَحَدٌ مِنَ الْخُلَفَاءِ أَبَدًا. قَالَ: فَرَأَيْتُهُ يَبْتَسِمُ ثُمَّ قَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ، ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ، وَاللَّهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيمِ. وَذَكَرَ عَنْ بَعْضِ الشُّعَرَاءِ أَنَّهُ قَالَ فِي ذَلِكَ شِعْرًا مِنْهُ: قَضَى رَبُّهَا أَنْ لَا يَمُوتَ خَلِيفَةٌ ... بِهَا إِنَّهُ مَا شَاءَ فِي خَلْقِهِ يَقْضِي وَقَدْ قَرَّرَهُ عَلَى هَذَا الْخَطَأِ الْخَطِيبُ، وَسَلَّمَ ذَلِكَ وَلَمْ يَنْقُضْهُ بِشَيْءٍ، مَعَ اطِّلَاعِهِ وَمَعْرِفَتِهِ. قَالَ: وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ الْأَمِينَ قُتِلَ بِدَرْبِ الْأَنْبَارِ مِنْهَا، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلْقَاضِي أَبِي الْقَاسِمِ عَلِيِّ بْنِ الْمُحْسِنِ التَّنُوخِيِّ فَقَالَ: مُحَمَّدٌ الْأَمِينُ أَيْضًا لَمْ يُقْتَلْ بِالْمَدِينَةِ، وَإِنَّمَا قَدْ نَزَلَ فِي سَفِينَةٍ إِلَى دِجْلَةَ لِيَتَنَزَّهَ، فَقُبِضَ عَلَيْهِ فِي وَسَطِ
পৃষ্ঠা - ৮০০৮


আয়তন একশ তিবিশ জারীব’ ৷ আর তা হল দৈর্যো দুই মাইল এবং প্রস্থে দুই মাইল অর্থাৎ চার
বর্গমাইল ৷ ইমাম আহমাদ বলেন, বাগদাদ শহরের সীমা ৷ন্ত হল, সারাত থেকে বাবুত্-তিবৃন
পর্যন্ত ৷ খতীব বাগদ৷ দী বলেন, বাগদাদ শহরের প্রত্যেক দৃই প্রবেশ দ্বা রের মাঝের ব্যবধান হল
এক মা ৷ইল ৷ অবশ্য এর চেয়ে কমও বর্ণনা করা হয় ৷ দারুলু র্বখলাফারুত তর বর্ণনা প্রসঙ্গে খভীব
বাগদাদী বলেন, এ প্রাসাদের সবুজ গ ৷ম্বুজের উচ্চতা ছিল আশি হাত (চল্লিশ গজ) , তার শীর্ষদেশে
ছিল সদা ঘুর্ণায়মান অশ্বপৃষ্ঠে উপবিষ্ট বর্শাধারী এক অশ্বারােহী ৷ যখন কোন দিক্াভিমুখী ঘুরে তা
ন্থির থাকত, তখন খলীফা বুঝতে পারতেন যে দিকে কোন গুরুতর ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ৷
এরপর অতি অল্প সময়ের মাঝে খলীফার কাছে তার সংবাদ পৌছে যেত ৷ ১ আর এই গম্বুজের
অবস্থান ছিল বিচ৷ ৷র ভবনের সম্মুখভাগের একটি সভা স্কুলের বরাবর ৷ আর এ সভা স্থুলের দৈর্ঘ্য ছিল
তিরিশ হাত এবং প্রস্থ ছিল বিশ হাত ৷ ৩২৯ হিজরীর জুমাদা ল উখর৷ মাসের সাত তারিখ মঙ্গলবার
রাত্রে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের কা র বণে এই গম্বুজ ভেঙ্গে পড়ে ৷

খতীব বাগদাদী (তৎকালীন বাগদাদের ক্রয়-বিক্রয় প্রসঙ্গে) বলেন, খলীফ৷ মানসুরের
খিলাফতকালে ছাণ্াল-ভেড়ার বিত্রুয়মুল্য ছিল এক দিরহাম আর নর উটের বিক্রয়মুল্য ছিল চার
দানীক’ ৷ এছাড়া ছাগল ভেড়ার গোশতেব ষাট বিতল ছিল এক দিরহাম ৷ আর গরুর গোশতের
নব্বই বি৩ ল ছিল এক দিরহাম ৷ ষাট বি৩ ল থেজুরের মুল্যও ছিল এক দিরহাম ৷ অন্যান্য দ্রব্যের
মধ্যে সােল (১৬) বিতল তেল ছিল এক দিরহাম ৷ তদুেপ এক দিরহামেব বিনিময়ে পাওয়া যেত
আট বিতল ঘী, আর মধু পাওয়া যেত দশ বিতল ৷

জানমালের নিরাপত্তা এবং দ্ৰব্যমুল্য সন্তা হওয়ার কারণে বাগদাদের অধিবাসীদের সং থ্যা বৃদ্ধি

পায় এবং তার বাজা ৷র ও বিপণন কেন্দ্রসমুহে লোক সমাগম বৃদ্ধি পায় ৷ এমনকি ভিড়ের৷ ক রেখে

তার বাজার ঘাটে পথ অতিক্রম করা মুশকিল হত ৷ এসময় জনৈক আমীর বাজার থেকে ফিরে

বলেন, আল্লাহর কসম ! (এইণ্ডে ৷ সেদিনও) আমি এসকল স্থানে ছোটাছুটিকারী খবগােশ
তাড়িয়েছি ৷ ২

খতীব বাগদাদী উল্লেখ করেছেন, একদিন খলীফা মানসুর৩ তার প্রাসাদে বসে ছিলেন ৷ এমন
সময়৩ তিনি ভীষণ গােরগােল শুনতে পেলেন, এরপর আরেকবার তারপর আরেকবার ৷ তখন তিনি
তার দ্বাররক্ষী রাবীআকে বললেন, এ কিসের গােরগােল ৷ সে খোজ নিয়ে জানতে পারল , একটি
গরু কসাইয়ের হাত ছুটে পালিয়ে বাজারে ঢুকে পড়েছে ৷ তখন রোমক এক ব্যক্তি (যে তখন
ত ছিল) বলল, হে আমীরুল মুমিনীন! নিঃসন্দেহে আপনার নির্মিত এ ভবন অনন্য
অতৃলনীয় ৷ তবে তাতে তিনটি খুত বিদ্যমান ৷ প্রথমত তা পানি থেকে দুরে, দ্বিতীয়ত তা
বাজারের নিকটে, আর তৃভীয়ত তার আশে পাশে কোন সবুজের ছোয়া (উদ্যান) নেই ৷ আর



১ ঘ্রসন্দোহ এই বর্ণনা অবাস্তব এবং ডাহ৷ মিথ্যা ৷ এটা মুলত মিসরীয় যাদুকরদের এবং বালীনাসের তন্ত্রমগ্রেব
কথা ৷ ইসলামে এজাতীয় আজওবি বিশ্বাসের কোন স্থান নেই ৷ আর যদি তা সঠিক হত তাহলে তো
সবসময় কোন না কোন খাবিজীর বিদ্রোহ করা অপরিহার্য হত ৷ কেননা, সে তো সব সময়ই কোন না কোন
দিকাভিমুখী হত ৷

২ অর্থাৎ কিছুকাল পুর্বেও এসকল স্থান অনাবাদ ও বিরান ছিল ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১০ম খণ্ড)- ২৩


دِجْلَةَ، وَقُتِلَ هُنَاكَ، وَذَكَرَ ذَلِكَ الصُّولِيُّ وَغَيْرُهُ. وَذَكَرَ عَنْ بَعْضِ مَشَايِخِ بَغْدَادَ أَنَّهُ قَالَ: اتِّسَاعُ بَغْدَادَ مِائَةٌ وَثَلَاثُونَ جَرِيبًا، وَذَلِكَ يَعْدِلُ مِيلَيْنِ فِي مِيلَيْنِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: بَغْدَادُ مِنَ الصَّرَاةِ إِلَى بَابِ التِّبْنِ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّ بَيْنَ كُلِّ بَابَيْنِ مِنْ أَبْوَابِهَا الثَّمَانِيَةِ مِيلًا، وَقِيلَ: أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ صِفَةَ قَصْرِ الْإِمَارَةِ، وَأَنَّ فِيهِ الْقُبَّةَ الْخَضْرَاءَ طُولُهَا ثَمَانُونَ ذِرَاعًا، عَلَى رَأْسِهَا تِمْثَالُ فَرَسٍ عَلَيْهِ فَارِسٌ فِي يَدِهِ رُمْحٌ يَدُورُ بِهِ، فَإِلَى أَيِّ جِهَةٍ اسْتَقْبَلَهَا وَاسْتَمَرَّ مُسْتَقْبِلَهَا، عُلِمَ أَنَّ فِي تِلْكَ الْجِهَةِ قَدْ وَقَعَ حَدَثٌ، فَيَنْظُرُ فِي أَمْرِهِ الْخَلِيفَةُ. وَهَذِهِ الْقُبَّةُ عَلَى مَجْلِسٍ فِي صَدْرِ إِيوَانِ الْمَحْكَمَةِ، وَطُولُهُ ثَلَاثُونَ ذِرَاعًا، وَعَرْضُهُ عِشْرُونَ ذِرَاعًا، وَقَدْ سَقَطَتْ هَذِهِ الْقُبَّةُ فِي لَيْلَةِ بَرْدٍ وَمَطَرٍ وَرَعْدٍ وَبَرْقٍ، لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ لِسَبْعٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ، سَنَةَ تِسْعٍ وَعِشْرِينَ وَثَلَاثِمِائَةٍ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّهُ كَانَ يُبَاعُ فِي أَيَّامِ الْمَنْصُورِ بِبَغْدَادَ الْكَبْشُ بِدِرْهَمْ، وَالْحَمَلُ بِأَرْبَعَةِ دَوَانِقَ، وَيُنَادَى عَلَى لَحْمِ الْغَنَمِ كُلُّ سِتِّينَ رِطْلًا بِدِرْهَمٍ، وَلَحْمُ الْبَقَرِ كُلُّ تِسْعِينَ رِطْلًا بِدِرْهَمٍ، وَالتَّمْرُ كُلُّ سِتِّينَ رِطْلًا بِدِرْهَمٍ، وَالزَّيْتُ كُلُّ
পৃষ্ঠা - ৮০০৯


মানুষের চোখে সবুজ অংশ বিদ্যমান, তা সবুজকে ভালবাসে ১ ৷ খলীফা মানসুর তার মাথা
উঠালেন না ৷ এরপর তিনি এ অবস্থা পরিবর্ত্যনর নির্দেশ দিলেন ৷ সেই প্রাসাদে পানি সরবরাহের
সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা করা হল, তার চতুর্দিকে সবুজ শ্যামল উদ্যান নির্মিত হল, আর বাজারসমুহ
সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে কারখৃ অঞ্চলে নেওয়া হল ৷

ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান বলেন, একশ ৫ছচল্লিশ হিজরীতে বাগদাদ নগরীর নির্মাণ সম্পন্ন হয় ৷
আর একশ সাতান্ন হিজরীতে সেখানকার বাজারসমুহ সরিয়ে নেওয়া হয় ৷ এসময় খঃলীফ৷ মানসুর
বাজারসমুহ প্রশস্তকরণের নির্দেশ দেন ৷ আর এ দৃ’মাস পর তিনি তার আল-খুলদ নামক প্রাসাদ
নির্মাণ শুরু করেন যা নির্মাণ সম্পৃন্ন হয় একশ আটান্ন হিজরীতে ৷

আর এসকল বিষয়ের দায়িত্ব তিনি ওয়াঘৃযাহ নামক এক ব্যক্তির কাছে ন্যস্ত করেন ৷ আর
সর্বসাধারণের জন্য একটি স্বতন্ত্র জামে মসজিদ নির্মাণ করেন, যাতে তারা জামে মানসুরে প্রবেশ
না করে ৷ আর বাপদাদের দারুল-খিলাফত এরপর হাসান ইবন সাহলের অধিকারে আসে ৷ আর
তারপর তা স্থানান্তরিত হয় মামুনের ন্তী বুরানের মালিকানায় ৷ পরবর্তীতে খলীফ৷ মুতাযিদ কারও
কারও মতে আল-মুতা ৷মিদ তার কাছে এই প্রাসাদ দাবী করেন ৷ তখন তিনি তাকে তা দান
করেন ৷ তারপর তিনি সেখা ন থেকে স্থানান্তরিত হওয়া র জন্য কয়েক দিনের অবকাশ চাইলে তিনি
তাকে অবকাশ প্রদান করেন ৷ তিনি এসময়ে তার মেরামত, সংস্কার , চুনক৷ ম ও সজ্জিতকরণ শুরু
করেন ৷ তিনি সেখানে বিভিন্ন প্রকার ফরাশ ও পালিচ৷ বিছান এবং তাতে মুল্যবান পর্দা টানান ৷
এছাড়া সেখানে রাজ প্রাসাদের উপযুক্ত গোলাম র্বীদী জড়ো করেন এবং৩ তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার
মুল্যবান পােশাক-পরিচ্ছদে সজ্জিত করেন ৷ এছাড়া তিনি এর ভাণ্ডা রসমুহে বিভিন্ন প্রকার
উন্নতমানের খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেন এবং এই প্রাসাদের একটি কক্ষে বিভিন্ন প্রকার ধনরত্ন
সঞ্চিত করেন ৷ এরপর বুরান এসব কক্ষের চাবিসমুহ মুতাযিদের কাছে প্রেরণ করেন ৷ এরপর
মুতাষিদ যখন সেখানে প্রবেশ করেন, তখন সেখানে বুরান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সবকিছু প্রত্যক্ষ
করে অভিভুত ও বিস্মিত হন ৷ তিনিই প্রথম খলীফ৷ যিনি সেখানে বসবাস শুরু করেন এছাড়া তিনি
এর চতুর্দিকে প্রাচীরের বেষ্টনী প্রদান করেন ৷ এসকল তথ্য খতীব বাগদাদী উল্লেখ করেছেন ৷

আর আত্তাজ’ নামক প্রাসাদটি নির্মাণ করেন খলীফ৷ আল-মুকতাফী দজল৷ নদীর পাড়ে ৷
তার চতুষ্পার্শে ছিল গম্বুজ, সভাস্থুল, ময়দান, ঝাড়বাতি এবং পশুশালা ৷ এছাড়া খতীব, দারুশ
শাজারা’ নামক প্রাসাদ ভবনের বংনাি দিয়েছেন যা খলীফ৷ মুকতাদির বিল্লাহ্র খিলাফতকহ্বলে ছিন্ৰু ;
এ প্রাসাদের বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি সেখানকার বিছানা, শয্যা, পর্দা, নওকরচাকর দাসন্ঙ্গী এবং



১ এ সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবন ঘুতায বলেন-
ণ্ট্রু,ঠু; ওে ৰুট্রুঠু
“এমন এক দেখে তা অবস্থিত যেখানে রয়েছে কুপসমুহ যার উপায় রয়েছে তন্ন্ন্ন মশকগুচ্ছ ৷ ”
“শীতশ্রীবুষ্ম ত ৷র অভ্যম্ভরভাপ থাকে ঘনধুয়াচ্ছন্ন আর তার পানি থাকে অত্যুষ্ণ ৷”

“ঐ শাহী প্রাসাদের দৃর্ভ ৷গ্য যার উপর দিয়ে মৃদৃপ্রভাত সমীরণ ৷প্রবাহত হলেই ত৷ ৷সেশকের ঘ্র৷ ৷ণ ছড়িয়ে নেয় ৷”


سِتَّةَ عَشَرَ رِطْلًا بِدِرْهَمٍ، وَالسَّمْنُ كُلُّ ثَمَانِيَةِ أَرْطَالٍ بِدِرْهَمٍ، وَالْعَسَلُ كُلُّ عَشَرَةِ أَرْطَالٍ بِدِرْهَمٍ. وَلِهَذَا الْأَمْنِ وَالرُّخْصِ كَثُرَ سَاكِنُوهَا، وَعَظُمَ أَهْلُوهَا، حَتَّى كَانَ الْمَارُّ فِيهَا لَا يَكَادُ يَجْتَازُ فِي الْأَسْوَاقِ; لِكَثْرَةِ أَهْلِهَا. قَالَ بَعْضُ الْأُمَرَاءِ وَقَدْ رَجَعَ مِنَ السُّوقِ: طَالَمَا طَرَدْتُ خَلْفَ الْأَرَانِبِ فِي هَذَا الْمَكَانِ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ، أَنَّ الْمَنْصُورَ جَلَسَ يَوْمًا فِي قَصْرِ الْإِمَارَةِ وَعِنْدَهُ بَعْضُ رُسُلِ الرُّومِ، فَسَمِعَ ضَجَّةً عَظِيمَةً، ثُمَّ أُخْرَى، ثُمَّ أُخْرَى، فَقَالَ لِلرَّبِيعِ الْحَاجِبِ: مَا هَذَا؟ فَكَشَفَ فَإِذَا بَقَرَةٌ قَدْ نَفَرَتْ مِنْ جَازِرِهَا هَارِبَةً فِي الْأَسْوَاقِ، فَقَالَ الرُّومِيُّ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّكَ بَنَيْتَ بِنَاءً لَمْ يَبْنِهِ أَحَدٌ قَبْلَكَ، وَفِيهِ ثَلَاثَةُ عُيُوبِ; بُعْدُهُ مِنَ الْمَاءِ، وَقُرْبُ الْأَسْوَاقِ مِنْهُ، وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ خُضْرَةٌ، وَالْعَيْنُ خَضِرَةٌ تُحِبُّ الْخُضْرَةَ. فَلَمْ يَرْفَعْ بِهَا الْمَنْصُورُ رَأْسًا، ثُمَّ أَمَرَ بِتَغْيِيرِ ذَلِكَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَسَاقَ إِلَيْهِ الْمَاءَ، وَبَنَى عِنْدَهُ الْبَسَاتِينَ، وَحَوَّلَ الْأَسْوَاقَ مِنْ ثَمَّ إِلَى الْكَرْخِ. قَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: كَمُلَ بِنَاءُ بَغْدَادَ فِي سَنَةِ سِتِّ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ، وَفِي سَنَةِ سَبْعٍ وَخَمْسِينَ حَوْلَ الْأَسْوَاقِ إِلَى بَابِ الْكَرْخِ وَبَابِ الشَّعِيرِ وَبَابِ الْمُحَوَّلِ،
পৃষ্ঠা - ৮০১০
وَأَمَرَ بِتَوْسِعَةِ الْأَسْوَاقِ أَرْبَعِينَ ذِرَاعًا. وَبَعْدَ شَهْرٍ مِنْ ذَلِكَ شَرَعَ فِي بِنَاءِ قَصْرِهِ الْمُسَمَّى بِالْخُلْدِ، فَكَمُلَ سَنَةَ ثَمَانٍ وَخَمْسِينَ وَمِائَةٍ، كَمَا سَيَأْتِي، وَجَعَلَ أَمْرَ ذَلِكَ إِلَى رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: الْوَضَّاحُ، فَبَنَى قَصْرَ الْوَضَّاحِ، وَبَنِي لِلْعَامَّةِ جَامِعًا لِصَلَاةِ الْجُمْعَةِ; لَا يَدْخُلُونَ إِلَى جَامِعِ مَدِينَةِ الْمَنْصُورِ. فَأَمَّا دَارُ الْخِلَافَةِ الَّتِي كَانَتْ بِبَغْدَادَ فَإِنَّهَا كَانَتْ أَوَّلًا لِلْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ، فَانْتَقَلَتْ مِنْ بَعْدِهِ إِلَى ابْنَتِهِ بَوَرَانَ الَّتِي كَانَ تَزَوَّجَهَا الْمَأْمُونُ، فَطَلَبَهَا مِنْهَا الْمُعْتَضِدُ - وَقِيلَ: الْمُعْتَمِدُ - فَأَنْعَمَتْ لَهُ بِهَا، وَاسْتَنْظَرَتْهُ أَيَّامًا حَتَّى تَنْتَقِلَ مِنْهَا، ثُمَّ شَرَعَتْ فِي تَرْمِيمِهَا وَتَبْيِيضِهَا وَتَحْسِينِهَا، ثُمَّ فَرَشَتْهَا بِأَنْوَاعِ الْفُرُشِ، وَعَلَّقَتْ فِيهَا أَنْوَاعَ السُّتُورِ، وَأَرْصَدَتْ فِيهَا مَا يَنْبَغِي لِلْخَلِيفَةِ مِنَ الْجَوَارِي وَالْخَدَمِ، بِأَنْوَاعِ الْمَلَابِسِ، وَجَعَلَتْ فِي الْخَزَائِنِ مَا يَنْبَغِي مِنْ أَنْوَاعِ الْأَطْعِمَةِ وَالْمَآكِلِ، ثُمَّ بَعَثَتْ بِمَفَاتِيحِهَا إِلَيْهِ، فَلَمَّا دَخَلَهَا وَجَدَ فِيهَا مَا أَرْصَدَتْهُ بِهَا، فَهَالَهُ ذَلِكَ وَاسْتَعْظَمَهُ جِدًّا، فَكَانَ أَوَّلَ خَلِيفَةٍ سَكَنَهَا، وَبَنَى عَلَيْهَا سُورًا. ذَكَرَهُ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ. وَأَمَّا التَّاجُ فَبَنَاهُ الْمُكْتَفِي عَلَى دِجْلَةَ، وَحَوْلَهُ الْقِبَابُ وَالْمَجَالِسُ وَالْمَيْدَانُ وَالثُّرَيَّا وَحَيْرُ الْوُحُوشِ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ صِفَةَ دَارِ الشَّجَرَةِ الَّتِي كَانَتْ فِي زَمَنِ الْمُقْتَدِرِ
পৃষ্ঠা - ৮০১১


তো-সৌন্দর্য ও জাকজামকের বর্ণনা দিয়েছেন ৷৩ তিনি উল্লেখ করেছেন যে সেখানে এগার হাজার
থােজা (সেবক) এবং সাতশ দ্বাররক্ষী ছিল ৷ আর দাস-দাসীর সংখ্যা ছিল হাজা র হাজার ৷ আর
এসব কিছুর বিশ দ বিবরণ তাদের খিলাফতকালের বর্ণনায় আসছে ৷ যা ক্ষণন্থায়ীাপ্নের ন্যায়
অতিবা হিত হয়েছে, তিনশ হিজরীর পরবর্তীকালে ৷ এছাড় ড়াখভীব, শাখরামে অবস্থিত দারুল মুলক
প্রাসাদের কথাও উল্লেখ করেছেন, আরও উল্লেখ করেছেন জামে মসজিদসমুহের কথা এবং
বাগদাদ শহরের তৎকালীন নদ-নদী এবং সেতু ও পুলসমুহের কথা এবং খলীফা মানসুরের
খিলাফাতকালে সেখানে কী কী ছিল এবং তার সময়কাল পর্যন্ত তিনি কী কী নতুন নির্মাণ করেন ৷
এ প্রসঙ্গে তিনি (খভীব) দজলা নদীর উপর নির্মিত বাগদাদ শহরের সেতু বা পুল সম্পর্কে জনৈক
কবির কবিতা আবৃত্তি করেন :


ণ্ট্টড্রুা

“যে দিন সেখানে আমাদের বসবাসের অধিকার অকম্মাৎ ছিনিয়ে নেওয়া হল দজলা চতুরের
এক অনন্য সমাবেশ-”

ষ্াব্রদ্বুন্

দজলা যেন এক শ্বেতশুভ্র চাদর আর তার মাঝের পুলটি যেন তাতে কৃষ্ণ কারুকার্য ৷
আরেকজন আবৃত্তি করেছেন০

৷ ’ #

গু১পু)এ

“সু সুদৃঢ় ভিত্তি ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য নিয়ে গড়ে উঠা দজলা পৃষ্ঠের পুল কতইনা উত্তম ৷”


ষ্ষ্টুট্রুহ্রকু ৷ ’¢,,;’
“গোটা ইরাকের জন্য তা শোভাসৌন্দর্য এবং বিনোদন উপকরণ আর বিরহা কা তর ব্যক্তির
জন্য সান্তুনার উৎস ৷”

,দ্বু,ট্রুন্,ট্রু
“যদি তুমি ভীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকে পর্যবেক্ষণ কর তাহলে দেখতে পারে তা যেন শুভ্র রেশমী
কাপড়ে অঙ্কিত সুগন্ধি ছএ বাৰু ব্লেখা৷ ”

ষ্ ’ : (


ঐতিহাসিক সুলী বলেন, আহমাদ ইবন আবুতা ৩াহির কিতাব বাগদাদ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন
উভয়দিক থেকে বাপদাদের দৈর্ঘ্য (আয়৩ ন)৩ তিপ্পান্ন হাজা র জ বীর আর পুর্ব পার্থের দৈর্ঘ্য হল
ছাব্বিশ হাজার সাতশ পঞ্চাশ জারীব ৷ তার হাম্মাম খানার স ×খ্যা ছিল ষাটা হাজার আ র প্রত্যেক
হাম্মাম খানায় ন্যুনতম পাচজন দায়িতৃবান ছিল হ ম্মামী বা তার মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, ঝাড়ুদার বা
আবর্জনা পরিষ্কারক, জ্বা লানী সরবরাহকারী এবংপ পানি সরবরাহকারী ৷ এছাড়াপ্রত্যেক হান্মামখানরা
বিপরীতে পাচটি মসজিদ ছিল ৷ কাজেই বাগদাদ শহরের সর্বমোাট মসজিদের সংখ্যা ছিল তিন


بِاللَّهِ، وَمَا فِيهَا مِنَ الْفُرُشِ وَالسُّتُورِ وَالْخَدَمِ وَالْمَمَالِيكِ، وَالْحِشْمَةِ الْبَاذِخَةِ، وَأَنَّهُ كَانَ بِهَا أَحَدَ عَشَرَ أَلْفَ طَوَاشِيٍّ، وَسَبْعُمِائَةِ حَاجِبٍ، وَأَمَّا الْمَمَالِيكُ فَأُلُوفٌ لَا يُحْصَوْنَ كَثْرَةً، وَسَيَأْتِي ذِكْرُ ذَلِكَ مُفَصَّلًا فِي مَوْضِعِهِ بَعْدَ سَنَةِ ثَلَاثِمِائَةٍ. وَذَكَرَ الْخَطِيبُ دَارَ الْمُلْكِ الَّتِي بِالْمُخَرَّمِ، وَذَكَرَ الْجَوَامِعَ الَّتِي تُقَامُ فِيهَا الْجُمُعَاتُ، وَذَكَرَ الْأَنْهَارَ وَالْجُسُورَ الَّتِي بِهَا، وَمَا كَانَ فِي ذَلِكَ فِي زَمَنِ الْمَنْصُورِ، وَمَا أُحْدِثَ بَعْدَهُ إِلَى زَمَانِهِ. وَأَنْشَدَ لِبَعْضِ الشُّعَرَاءِ فِي جُسُورِ بَغْدَادَ الَّتِي عَلَى دِجْلَةَ: يَوْمٌ سَرَقْنَا الْعَيْشَ فِيهِ خِلْسَةً ... فِي مَجْلِسٍ بِفِنَاءِ دِجْلَةَ مُفْرَدِ رَقَّ الْهَوَاءُ بِرِقَّةٍ قُدَّامَهُ ... فَغَدَوْتُ رِقًّا لِلزَّمَانِ الْمُسْعِدِ فَكَأَنَّ دِجْلَةَ طَيْلَسَانٌ أَبْيَضُ ... وَالْجِسْرُ فِيهَا كَالطِّرَازِ الْأَسْوَدِ وَقَالَ آخَرُ: أَيَا حَبَّذَا جِسْرٌ عَلَى مَتْنِ دِجْلَةٍ ... بِإِتْقَانِ تَأْسِيسٍ وَحُسْنٍ وَرَوْنَقِ جَمَالٌ وَحَسَنٌ لِلْعِرَاقِ وَنُزْهَةٌ ... وَسَلْوَةُ مَنْ أَضْنَاهُ فَرْطُ التَّشَوُّقِ
পৃষ্ঠা - ৮০১২


লক্ষ ৷ আর প্রত্যেক মসজিদে ন্যুনতম পাচ ব্যক্তি ছিল, ইমাম-মুআয্যিন-খাদিম ও দু’জন মুসল্লী ৷
এরপর এসবহ্রাস পড়ায় এবং পরবভীকািলে সব চিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এমনকি শেষ পর্যন্ত অবস্থা এমন
দাড়ায় যেন তা বাহ্যিক অবয়ব এবং আভ্যন্তরীণ কাঠামো উভয় অর্থেই বিরান ৷ এর বিস্তারিত
বিবরণ যখাস্থানে আসছে ৷

হাফিয আবু বকর আল-বাগদাদী বলেন, তৎকালীন দুনিয়ার গুরুত্ব বিবেচনায়, জাক-
জমকতায়, জ্ঞানী-গুণীর আধিক্যে, নাগরিক শ্রেণী পার্থক্যে, আয়তনের ব্যাপ্তি ও বিশালতায়,
বাড়িঘর , পথঘাট , মসজিদ-মাদরাসা, হাম্মামখানা ও সরাইখানার আধিক্যে এবং বায়ুর নির্মলতা,
পানির সুমিষ্টতা, ছায়ার স্লিগ্ধতা, শীতগ্রীত্তষ্মর ভ ৷রসাম্যতা, এবং হেমন্ত ও বসন্তের স্বাস্থ্য
উপয়োগ্ পিতা ৷য় বাগদাদ ছিল অনন্য ও অতৃলনীয় ৷ খলীফ৷ আ ৷ব-রশীদের খিলাফতক৷ লেই সবচেয়ে
জনবহুল ও সমৃদ্ধ নগরী ছিল ৷ এরপর হা ৷ফিয আবুবকর তার নিজের সময়কাল পর্যন্ত বাগদ৷ দের
শ্রীহানি ও অধ৪পত তনের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ আল বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, এসময়ের পর
থেকে আমাদের কাল পর্যন্ত ব ৷গদাদ নগরীর এই অ ধপতন ও শ্রীহানি অব্যাহত রয়েছে ৷ বিশে ৷ষত
তােলাই ইবন চেঙ্গিস খানের ছেলে হালাকু খানের সময়ে যে বাগদাদের নিদর্শনাদি নিশ্চিহ্ন করে
দেয় খলীফ৷ ও আলিম-উলামাদের হত্যা করে বাড়িঘর বিরান করে রাজপ্রাসাদসমুহ ধ্বংস করে
এবং বাগদাদের সাধারণ বিশেষ সকল অধিবাসীকে নির্বিচারে হত্যা করে , ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করে ,
নারী-শিশুদের অপহরণ করে ৷ এভাবে সে বহু সকাল-সন্ধ্যড়াকে দুঃখ ভারাক্রান্ত এবং বেদনাবিধুর
করে রাখে এবং বাগদাদ নগরীকে মানব বসতির বিপর্যয়ের দৃষ্টান্ত, শিক্ষা গ্রহণকারী জ্ঞানীর জন্য
শিক্ষা এবং প্রত্যেক সুন্থবাে ধ ও বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তির জন্য উপদেশরুপে উপন্থাপিত করে ৷ যার
ফলশ্রুতিতে সেখানকার কুরআন তিলাওয়ড়াতের স্থুলবর্তী হয়ে সুর-সঙ্গীত ও কবিত ৷ আবৃত্তি,
হাদীসে নববীর দরসের ন্থলবর্তী হয় গ্রীক দর্শন, ইলমুল কালাম এবং কা ৷রামাডীয় অপব্যাখ্যার
দরস, আলিম-উলামাগণের ন্থলবর্তী হয় দার্শনিক ও চিকিৎসকপণ আব্বাসীয় খলীফার ন্থলবর্তী হয়
দুষ্ট ও জঘন্য শাসক, নেতৃতৃ ও বিচক্ষণতার ন্থলবর্তী হয় ইতরত৷ ও নির্বুদ্ধিতা, জ্ঞানার্থীদের
স্থলবর্তী হয় অনাচ৷ ৷রী ও লম্পটরা, প্রকৃত ধর্য জ্ঞা ৷নের স্থুলবর্তী হয় ফিক৷ ৷হ্শ৷ স্ত্র এবং হাদীস ও স্বপ্ন
ব্যাখ্যা শাদ্রের স্থুলবর্তী হয় বিভিন্ন ছৰুন্দ রচিত কাব্য ও কবিত ৷ ৷ আর এছিল তাদেরই আপন
কৃতকর্মের “আর তোমার প্রতিপালক৩ ৷ ৷ব বান্দা ৷দের প্রতি

কোনরুপ অবিচ৷ ৷র করেন না (সুরা হামীম আস-সাজদা০ ং : ৬) ৷’
আর বর্তমানকালে সেখানে বিদ্যমান অনুভুত ও অনুভুত৷ ণ্ ৷র্হিত বিষয়াদি এবং ভাঙ্গ সেবনের
ব্যাপকতার কারণে সেখান থেকে স্থানান্তরিত হওয়া এবং সে স্থান ত্যাগ করে শামদেশে গমন
করা উত্তম ও গ্রেয়তর ৷ কেননা, আল্লাহ তাআল৷ শামবাসীদের তত্ত্বাবধানের দায়িতু গ্রহণ
করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন :
৷ ’ৰুপু,ব্লু; ১া
;, ৷ ৷
ততদিন কিয়ামত স ঘটিত ৩হবে না, যতদিন ইরাকবাসীদের উত্তম লোকেরা শামদেশে


تَرَاهُ إِذَا مَا جِئْتَهُ مُتَأَمِّلًا كَسَطْرِ عَبِيرٍ خُطَّ فِي وَسْطِ مُهْرَقِ ... أَوِ الْعَاجُ فِيهِ الْآبِنُوسُ مُرَقَّشٌ مِثَالُ فَيُولٍ تَحْتَهَا أَرْضُ زِئْبَقِ وَذَكَرَ الصُّولِيُّ قَالَ: ذَكَرَ أَحْمَدُ ابْنُ أَبِي طَاهِرٍ فِي كِتَابِ " بَغْدَادَ " أَنَّ ذَرْعَ بَغْدَادَ مِنَ الْجَانِبَيْنِ ثَلَاثَةٌ وَخَمْسُونَ أَلْفَ جَرِيبٍ وَسَبْعُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ جَرِيبًا، وَأَنَّ الْجَانِبَ الشَّرْقِيَّ سِتَّةٌ وَعِشْرُونَ أَلْفَ جَرِيبٍ وَسَبْعُمِائَةٍ وَخَمْسُونَ جَرِيبًا، وَأَنَّ عَدَدَ حَمَّامَاتِهَا سِتُّونَ أَلْفَ حَمَّامٍ، وَأَقَلُّ مَا فِي كُلِّ حَمَّامٍ مِنْهَا خَمْسَةُ نَفَرٍ حَمَّامِيٌّ وَقَيِّمٌ وَزَبَّالٌ وَوَقَّادٌ وَسَقَّاءٌ، وَأَنَّ بِإِزَاءِ كُلِّ حَمَّامٍ خَمْسَةَ مَسَاجِدَ، فَذَلِكَ ثَلَاثُمِائَةِ أَلْفِ مَسْجِدٍ، وَأَقَلُّ مَا يَكُونُ فِي كُلِّ مَسْجِدٍ خَمْسَةُ أَنْفُسٍ. يَعْنِي إِمَامًا وَقِيَمًا وَمُؤَذِّنًا وَمَأْمُومَيْنِ. ثُمَّ تَنَاقَصَتْ بَعْدَ ذَلِكَ، ثُمَّ دُثِرَتْ بَعْدَ ذَلِكَ حَتَّى صَارَتْ كَأَنَّهَا خَرِبَةٌ; صُورَةً وَمَعْنًى. عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ: لَمْ يَكُنْ لِبَغْدَادَ فِي الدُّنْيَا نَظِيرٌ فِي جَلَالَةِ قَدْرِهَا، وَفَخَامَةِ أَمْرِهَا، وَكَثْرَةِ عُلَمَائِهَا وَأَعْلَامِهَا، وَتَمَيُّزِ خَوَاصِّهَا وَعَوَامِّهَا، وَعِظَمِ أَقْطَارِهَا، وَسِعَةِ أَطْرَارِهَا، وَكَثْرَةِ دُورِهَا وَمَنَازِلِهَا، وَدُرُوبِهَا وَشَوَارِعِهَا، وَمَحَالِّهَا وَأَسْوَاقِهَا، وَسِكَكِهَا وَأَزِقَّتِهَا، وَمَسَاجِدِهَا، وَحَمَّامَاتِهَا، وَخَانَاتِهَا، وَطِيبِ هَوَائِهَا، وَعُذُوبَةِ مَائِهَا، وَبَرْدِ ظِلَالِهَا وَأَفْيَائِهَا،
পৃষ্ঠা - ৮০১৩
وَاعْتِدَالِ صَيْفِهَا وَشِتَائِهَا، وَصِحَّةِ رَبِيعِهَا وَخَرِيفِهَا، وَأَكْثَرُ مَا كَانَتْ عِمَارَةً وَأَهْلًا فِي أَيَّامِ الرَّشِيدِ. ثُمَّ ذَكَرَ تَنَاقُصَ أَحْوَالِهَا بَعْدَ ذَلِكَ، وَهَلُمَّ جَرَّا إِلَى زَمَانِهِ. قُلْتُ: وَكَذَا مِنْ بَعْدِهِ إِلَى زَمَانِنَا هَذَا، وَلَا سِيَّمَا فِي أَيَّامِ هُولَاكُو بْنُ تَوْلَى بْنِ جِنْكِزْ خَانَ التُّرْكِيِّ الَّذِي وَضَعَ مَعَالِمَهَا، وَقَتَلَ خَلِيفَتَهَا وَعَالِمَهَا، وَخَرَّبَ دُورَهَا، وَهَدَمَ قُصُورَهَا، وَأَبَادَ الْخَوَاصَّ وَالْعَوَامَّ مِنْ أَهْلِهَا فِي ذَلِكَ الْعَامِ، وَأَخَذَ الْأَمْوَالَ وَالْحَوَاصِلَ، وَنَهَبَ الذَّرَارِيَّ وَالْأَصَائِلَ، وَأَوْرَثَ بِهَا حُزْنًا يُعَدَّدُ بِهِ فِي الْبَكَرَاتِ وَالْأَصَائِلِ، وَصَيَّرَهَا مُثْلَةً فِي الْأَقَالِيمِ، وَعِبْرَةً لِكُلِّ مُعْتَبِرٍ عَلِيمٍ، وَتَذْكِرَةً لِكُلِّ ذِي عَقْلٍ مُسْتَقِيمٍ، وَبُدِّلَتْ بَعْدَ تِلَاوَةِ الْقُرْآنِ، بِالنَّغَمَاتِ وَالْأَلْحَانِ، وَإِنْشَادِ الْأَشْعَارِ وَكَانَ وَكَانَ، وَبَعْدَ سَمَاعِ الْأَحَادِيثِ النَّبَوِيَّةِ، بِدَرْسِ الْفَلْسَفَةِ الْيُونَانِيَّةِ، وَالْمَنَاهِجِ الْكَلَامِيَّةِ، وَالتَّأْوِيلَاتِ الْقُرْمَطِيَّةِ، وَبَعْدَ الْعُلَمَاءِ بِالْحُكَمَاءِ، وَبَعْدَ الْخَلِيفَةِ الْعَبَّاسِيِّ، بَشَرِّ الْوُلَاةِ مِنَ الْأَنَاسِيِّ، وَبَعْدَ الرِّيَاسَةِ وَالنَّبَاهَةِ، بِالْخَسَاسَةِ وَالسَّفَاهَةِ، وَبَعْدَ الْعُبَّادِ بِالْأَنْكَادِ، وَبَعْدَ الطَّلَبَةِ الْمُشْتَغِلِينَ، بِالظَّلَمَةِ وَالْعَيَّارِينَ، وَبَعْدَ الِاشْتِغَالِ بِفُنُونِ الْعِلْمِ مِنَ التَّفْسِيرِ وَالْفِقْهِ وَالْحَدِيثِ وَتَعْبِيرِ الرُّؤْيَا، بِالزَّجَلِ وَالْمُوَشَّحِ وَدُوبِيتَ وَمَوَالِيَا، وَمَا أَصَابَهُمْ ذَلِكَ إِلَّا بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ، وَمَا رَبُّكَ بِظَلَّامٍ لِلْعَبِيدِ. وَالتَّحَوُّلُ مِنْهَا فِي هَذِهِ الْأَزْمَانِ - لِكَثْرَةِ مَا فِيهَا مِنَ الْمُنْكَرَاتِ الْحِسِّيَّةِ وَالْمَعْنَوِيَّةِ - وَالِانْتِقَالُ عَنْهَا إِلَى بِلَادِ الشَّامِ الَّذِي تَكَفَّلَ اللَّهُ بِأَهْلِهِ، أَفْضَلُ وَأَكْمَلُ وَأَجْمَلُ.
পৃষ্ঠা - ৮০১৪


স্থানান্তরিত হবে এবং শামের নিকৃষ্ট অধিবাসীরা ইরাকে স্থানান্তরিত হবে ৷ ১

বাগদাদ নগরী সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস ও আছার

বাগদাদ শব্দটি আরবীতে মোট চারভাবে উচ্চারিত হয়ে থাকে ১ বাগদাদ ২ বাগদাঘৃ২ ৩
বাগদান : মাগদান ৷ মুলত এটি অনারবী শব্দ ৷ কারও কারও মতে শব্দটি ব্লু ঠু ও টু ৷ৰু৷ শব্দদ্বয়ের

সম্মিলিতরুপ ৷ আর ( ব্লুণ্ ৰু) হল উদ্যান বা বাগান আর ৷ ৷ ৷ (দাদ) হল জনৈক ব্যক্তির নাম ৷ কারও
কারও মতে বাগ হল এক প্রতিমা আবার কারও মতে শয়তানের নাম আর দাদ হল দান ৷ কাজেই
বাগদাদ শব্দের অর্থ দীড়ায় প্রতিমার বা দেবতার দান, এ কারণেই (সম্ভবত) আবদুল্লাহ ইবনুল
মুবারক , আসমাঈ ও অন্যান্য আলিমগণ এর বাগদাদ নামকরণ অপসন্দ করেছেন ৷ তাকে
মড়াদীনাতৃসৃ-সালাম বা শান্তি নগরী নামকরণ করা হয়েছে ৷ তার নির্মাতা আবু জাফর মানসুর এ
শহরের জন্য এই নামটিই নির্বাচন করেন ৷ কেননা, দজলা অববাহিকাকে ইতিপুর্বে শাস্তির
উপত্যকা বলা হত ৷ আর কারও কারও কাছে এর নাম আবৃযাওরা অর্থাৎ তির্যক শহর ৷

এছাড়া খভীব বাগদাদী অভিযুক্ত রাবী আমার ইবন সায়ফের সুত্রে বর্ণনা করে বলেন, আমি
আসিম আলু আহওয়ালকে সুফিয়ান ছাওরীর সুত্রে জারীর ইবন আবদৃল্লাহ্ থেকে বর্ণনা করতে
শুনেছি ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেছেন :

ণ্

’ শ্ শ্ শ্াশ্ !!শ্ন্ শ্ ৷শ্শ্শ্ ৷ শ্শ্ দ্বু ণ্৷ শ্ষ্শ্(গ্লুশ্০ শ্
ষ্দ্বু হুঠুৰুাট্রুষ্কৃ ৷স্থুন্,ঙ্ট্রুৰুদুদ্ভু ষ্১ঠুৰুা৷
৷ শ্লো১,১া ৷
জেলা এবং দাজীল এবং কাতারবাল ও সারাতএর মধ্যবর্তী ভুখণ্ডে এক শহর নির্মিত হবে
যেখানে পৃথিবীর সব ধনভাণ্ডার একত্রিত করা হবে ৷ এর শাসকরা হবে স্বেচ্ছাচারী ৷ আর লৌহ
পােরক যত দ্রুত নরম মাটিতে প্রবেশ করে তার চেয়ে দ্রুততর সময়ে তা অস্তিতুহীন বা
ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে ৷ খতীব বলেন, এছাড়া আমার ইবন সত্ত্বয়ফের ভাই সুফিয়ান ছাওরীর ভাগিনা সায়ফ
তা রিওয়ায়াত করেছেন আসিম আল-আহওয়াল থেকে ৷ আল-বিদায়ার গ্রন্থকার বলেন, এরা
উভয়ে দুর্বল অভিযুক্ত ও মিথ্যাশ্রয়ী রাবী ৷ আর মুহাম্মাদ ইবন ইয়ামানী দুর্বল, আবুশিহাব হুনাভী
দুর্বল ৷ তিনি তা রিওয়ায়াত করেছেন সুফিয়ান ছাওরীর সুত্রে আসিম থেকে একাধিক সনদে এরপর
সবগুলির সনদ বর্ণনা করেছেন ৷ এছাড়া তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ইয়াহ্ইয়া ইবন মঈন সুত্রে
জারীর ইবন আবদুল্লাহ থেকে নবী করীম (সা) এর উদ্ধৃত্যিত ৷ ইমাম আহমাদ এবং ইয়াহ্ইয়া

বলেন, এই হাদীসের কোন ভিত্তি নেই ৷ আর আহমাদ আরও বলেন, কোন নির্ভরযোগ্য মানুষ’ তা
রিওয়ায়াত করেনি ৷ খতীব তার সবকটি সুত্রকেই দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন এবং আমার ইবন সায়ফ



১ ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে এটি রিওয়ায়াত করেছেন (৫ খ : ২৪৯ পৃ) ৷

২ বসরী ভাষাবিদগণ অবশ্য বাগদাবৃ শব্দটি অনুমোদন করেন না ৷ তাদের যুক্তি হল আরবী ভাষায় এমন কোন
শব্দের অস্তিত্ব নেই যাতে এরপর রয়েছে ৷ করেও কারও মতে শব্দটির সাতটি রুপতেদ বিদ্যমান (১)
বাগদাদ (২) বাগদান (৩) মাগদাদ (৪) মাগদান (৫) বাগদায্ (৬) মাগযাঘৃ (৭) বাগদায়ন ৷


وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " مَسْنَدِهِ " عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ أَنَّهُ قَالَ: لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَحَوَّلَ خِيَارُ أَهْلِ الْعِرَاقِ إِلَى الشَّامِ، وَشِرَارُ أَهْلِ الشَّامِ إِلَى الْعِرَاقِ. [ذِكْرُ مَا وَرَدَ فِي ذِكْرِ مَدِينَةِ بَغْدَادَ مِنَ الْآثَارِ وَالتَّنْبِيهُ عَلَى ضَعْفِ مَا رُوِيَ فِيهَا مِنَ الْأَخْبَارِ] فِيهَا أَرْبَعُ لُغَاتٍ، بَغْدَادُ وَبَغْدَاذُ بِإِهْمَالِ الذَّالِ الثَّانِيَةِ وَإِعْجَامِهَا، وَبَغْدَانُ بِالنُّونِ آخِرَهُ، وَبِالْمِيمِ مَعَ ذَلِكَ أَوَّلًا مَغْدَانُ، وَهِيَ كَلِمَةٌ أَعْجَمِيَّةٌ، قِيلَ: إِنَّهَا مُرَكَّبَةٌ مِنْ بَغْ وَدَاذَ، فَقِيلَ: بَغْ بُسْتَانٌ، وَدَاذُ اسْمُ رَجُلٍ. وَقِيلَ: بَغِ اسْمُ صَنَمٍ - وَقِيلَ: شَيْطَانٌ - وَدَاذُ: عَطِيَّةٌ. أَيْ عَطِيَّةُ الصَّنَمِ، وَلِهَذَا كَرِهَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ وَالْأَصْمَعِيُّ وَغَيْرُهُمَا تَسْمِيَتَهَا بَغْدَاذَ، وَإِنَّمَا يُقَالُ لَهَا: مَدِينَةُ السَّلَامِ. وَكَذَا سَمَّاهَا بَانِيهَا أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ; لِأَنَّ دِجْلَةَ كَانَ يُقَالُ لَهَا: وَادِي السَّلَامِ. وَمِنْهُمْ مَنْ يُسَمِّيهَا الزَّوْرَاءَ، وَهُوَ لَقَبٌ لَهَا. فَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ - وَهُوَ مُتَّهَمٌ - قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৮০১৫


ছাওরী থেকে ৷ তিনি আবু উবায়দা হুমায়দ আত্তাবীল থেকে তিনি আনাস ইবন মালিক থেকে-
এই সুত্রটিও বিশুদ্ধ নয় ৷ এছাড়া তিনি উমর ইবন ইয়াহ্ইয়া সুত্রে সুফিয়ান থেকে তিনি কায়স
ইবন মুসলিম থেকে তিনি বিয্ঈ থেকে তিনি হুযায়ফা (বা) থেকে মারকুরুপে অনুরুপ হাদীস
বর্ণনা করেছেন ৷ কিন্তু তা বিশুদ্ধ নয় ৷ এছাড়া হযরত আলী, ইবন মাসউদ, ছাওবান ও ইবন
আব্বাস (রা) থেকে একাধিক সনদে হাদীসটি তিনি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ যার কোন সনদে তিনি
সুফিয়ানী উল্লেখ করেছেন “অ আর ৷তিনি তাকে বিরাগ করবেন” কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন সনদে বর্ণিত এই
হাদীসসমুহের কে ৷নটিরই সনদ বা বর্ণনাসুত্র বিশুদ্ধ নয় ৷ এই হাদীসগুলোকে তার সনদসহ্ খতীব
উল্লেখ করেছেন ৷ আর এগুলোর প্রতিটিতেই অগ্রহণযাে গ্য৩ ৷ (ও আপত্তিকর ভাষ্য) বিদ্যমান ৷
এগুলোর মধ্যে কা ব আহবার থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতঢিই কিছুটা বাস্তব সম্মত ৷ প্রাচীন
ধর্মগ্রন্থসমুহের বরাতে একা ৷ধিক বর্ণনায় এসেছে যে এই শহরের নির্মাতাকে কৃপণতার কারণে
মিকলা স১ এবং যুদৃদাওয়া ৷নীক বলা হবে ৷



১ মিকলাস’ জনৈক তস্করের নাম , প্রবাদবাক্যে যার নাম ব্যবহৃত হত ৷ শৈশবে আবু জাফর মানসুর এক বৃদ্ধার
বুননকৃত কাপড় সরিয়ে ফেলেন, যে তার সেরা করত ৷ এরপর তার কয়েকজন সমবয়সীর জন্য খরচ করার
উদ্দেশ্যে তিনি তা বিক্রি করে ফেলেন ৷ বৃদ্ধা যখন তার এই অপকর্ম সম্পর্কে অবহিত হল, তখন সে তার নাম
রাখল মিকলাস’ ৷ শৈশবে তার এই উপাধি বিশেষভাবে প্রসিদ্ধি লাভ করে, তারপর তা দুর হয়ে যায় ৷


سَمِعْتُ عَاصِمًا الْأَحْوَلَ يُحَدِّثُ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تُبْنَى مَدِينَةٌ بَيْنَ دِجْلَةَ وَدُجَيْلٍ وَقُطْرَبُّلَ وَالصَّرَاةِ; تُجْبَى إِلَيْهَا خَزَائِنُ الْأَرْضِ وَجَبَابِرَتُهَا، لَهِيَ أَسْرَعُ ذَهَابًا فِي الْأَرْضِ مِنَ الْوَتِدِ الْحَدِيدِ فِي الْأَرْضِ الرَّخْوَةِ» . قَالَ الْخَطِيبُ: وَقَدْ رَوَاهُ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ سَيْفُ بْنُ مُحَمَّدٍ ابْنُ أُخْتِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَهُوَ أَخُو عَمَّارِ بْنِ مُحَمَّدٍ - قُلْتُ: وَكِلَاهُمَا ضَعِيفٌ مُتَّهَمٌ يُرْمَى بِالْكَذِبِ - وَمُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ الْيَمَامِيُّ - وَهُوَ ضَعِيفٌ أَيْضًا - وَأَبُو شِهَابٍ الْحِنَّاطُ، وَرَوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ عَاصِمٍ. ثُمَّ أَسْنَدَ ذَلِكَ كُلَّهُ. وَأَوْرَدَ مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ، عَنْ يَحْيَى ابْنِ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ جَرِيرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَهُ. وَقَدْ قَالَ أَحْمَدُ وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: لَيْسَ لِهَذَا الْحَدِيثِ أَصْلٌ. وَقَالَ أَحْمَدُ: مَا حَدَّثَ بِهِ إِنْسَانٌ ثِقَةٌ. وَقَدْ عَلَّلَهُ الْخَطِيبُ مِنْ جَمِيعِ طُرُقِهِ، وَسَاقَهُ أَيْضًا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৮০১৬

বাগদাদ নগরীর ভাল-মন্দ বিষয়ে বিগ্রিষ্টিজনদের অভিমত

ইউনুস ইবন আবদুল আ’লা আস-সাদাফী বলেন (একবার) আমাকে ইমাম শাফিঈ (র) প্রশ্ন
করেন তুমি কি বাগদাদ দেখেছ ? আমি বলি না ৷ তখন তিনি মন্তব্য করেন, তাহলে তো তুমি
দুনিয়াশ্ই দেখনি ৷ ইমাম শাফিঈ আরও বলেন, যে শহরেই আমি গমন করেছি তাকে প্রবাস ও
বিভুইরুপে গণ্য করেছি, শুধুমাত্র বাগদাদ এর ব্যতিক্রম ৷ আমি যখন সেখানে প্রবেশ করেছি তখন

তাকে আপন-নিবাসরুপে গণ্য করেছি ৷ জনৈক ব্যক্তি ১ বলেন, সমগ্র দুনিয়ার রাজধানী হল
বাগদাদ ৷ ইবন আলিয়ব্র৷ বলেন, হাদীসশাস্ত্র চর্চায় আমি ৰাগদাদবাসীর চেয়ে বুদ্ধিমান ও ধীরন্থির
কাউকে দেখিনি ৷ ইবন মুজাহিদ বলেন, আমি আবু আমর ইবনুল আলাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞাসা
করি , আল্লাহ আপনার সাথে কী আচরণ করেছেন ? তিনি বলেন, এ প্রশ্ন বাদ দাও ৷ আহলে সুন্নাত
ও জামাআতের মতাদর্শী হয়ে যে ব্যক্তি বাগদাদে অবস্থান করবে এবং সেই বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুমুখে
পতিত হবে সে এক জান্নাত থেকে অন্য জান্নড়াতে স্থানান্তরিত হতে থাকবে ৷ আবু বকর ইবন
আয়্যাশ বলেন, ইসলাম তো বাপদাদে, আর তা হল প্রতিভাবান ও গুণীদের ফীদ, তারা সেখানে
আটকা পড়ে ৷ যে তা দেখেনি সে যেন দুনিয়াই দেখেনি ৷ আবু মুআরিয়া বলেন, বাগদাদ হল
দুনিয়া-আখিরাতের নিবাস ৷ জনৈক ব্যক্তি বলেন, ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যোর প্রকাশ হল
বাপদাদের জুর্মুআর দিন, পবিত্র মক্কায় তারাবীর নামায এবং তুরসুল শহরের ঈদের দিন ৷ খতীব
বলেন, প্মাদীনাতুস্ সালামে (বাগ্যাদে) যে ব্যক্তি জুমু৩া৷র দিন (জুমু৩৷ ৷ র নামাযে) শরীক হবে,
আল্লাহ তাআলা তার অম্ভরে ইসলামের মহত্ত্ব সৃষ্টি করবেন ৷ কেননা, আমাদের শায়খরা বলতেন,
বাপদাদের জুর্মুআর দিন অন্য শহরের ঈদের দিন ৷ জনৈক শায়খ বলেন, আমি নিয়মিতভাবে
জামে মানসুরে জুমুআর নামায পড়তাম ৷ একবার কোন কাজের কারণে আমি অন্য মসজিদে
জুমুআ পড়ি ৷ এরপর আমি স্বপ্নে দেখি জনৈক কথক বলেছে’ণ্হ্ তুমি জামে মদীনায় (জামে
মানসুরের অপর নাম) জুর্মুআ তরক করেছ ৷ অথচ সেখানে সত্তরজন আল্লাহর ওলী জুমুআ পড়ে
থাকেন ৷ আরেকজন বলেন, এরপর আমি বাগদাদ থেকে স্থানান্তরিত হতে মনস্থু রি এরপর
আমি স্বপ্নে দেখি যেন এক কথক বলছেন, তুমি কি এমন শহর ছেড়ে যেতে চাও যেখানে

হাজার আল্লাহর ওলী রয়েছেন ৷ জনৈক শায়খ তার স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি দেখতে
পাই, যেন দু’জন ফেরেশতা বাপদাদে আগমন করেন ৷ তখন তাদের একজন তার সঙ্গীকে বলে,
এই শহরকে উল্টে ধ্বংস করে দাও ৷ কেননা, তার ব্যাপারে আল্লাহর শাস্তি বিধান অপরিহার্য হয়ে
গেছে ৷ তখন অপরজন বলে কিভাবে আমি এই শহরকে উন্টে ধ্বংস করব, যেখানে প্ৰতি রাতে
পড়াচ হাজার খতম কুরআন তিলাওয়াত করা হয় ৷ আবুমুসহির বলেন, সাঈদ ইবন আবদুল আষীয
ইবন সুলায়মান ইবন মুসা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির ইল্ম যদি হিজাযী হয়





১ এটা হল আবু ইসহাক আল-যাজ্বজাজের মত্তব্য বাগদাদ হল দুনিয়ার একমাত্র নগর বা শহর আর এছাড়া সব
গ্রাম ও পল্লী ৷


طَرِيقِ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَمِنْ طَرِيقِ عُمَرَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ مَرْفُوعًا بِنَحْوِهِ، وَلَا يَصِحُّ أَيْضًا. وَمِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيِّ ابْنِ أَبِي طَالِبٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَثَوْبَانَ وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَفِي بَعْضِهَا ذِكْرُ السُّفْيَانِيِّ وَأَنَّهُ يُخَرِّبُهَا، وَلَا يَصِحُّ إِسْنَادُ شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْأَحَادِيثِ، وَقَدْ أَوْرَدَهَا الْخَطِيبُ بِأَسَانِيدِهَا وَأَلْفَاظِهَا، وَفِي كُلٍّ مِنْهَا نَكَارَةٌ، وَأَقْرَبُ مَا فِي ذَلِكَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، وَقَدْ جَاءَ فِي آثَارٍ عَنْ كُتُبٍ مُتَقَدِّمَةٍ أَنَّ بَانِيَهَا يُقَالُ لَهُ: مِقْلَاصٌ وَذُو الدَّوَانِيقِ. وَقَدْ كَانَ الْمَنْصُورُ يُلَقَّبُ بِمِقْلَاصٍ فِي صِغَرِهِ، وَلَمَّا وَلِيَ لُقِّبَ بِذِي الدَّوَانِيقِ; لِبُخْلِهِ. [فَصْلٌ فِي ذِكْرِ مَحَاسِنِ بَغْدَادَ وَمَا رُوِيَ فِيهَا عَنِ الْأَئِمَّةِ النُّقَّادِ] قَالَ يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى الصَّدَفِيُّ الْمِصْرِيُّ: قَالَ لِي الشَّافِعِيُّ: هَلْ رَأَيْتَ بَغْدَادَ؟ قُلْتُ: لَا. فَقَالَ: لَمْ تَرَ الدُّنْيَا.
পৃষ্ঠা - ৮০১৭


আর স্বভাব ইরাকী (বাগদাদী) হয় এবং নামায শামী হয় তাহলে সে সিদ্ধি লাভ করেছে ৷ একবার
(খলীফ৷ পত্নী) যুবায়দ৷ করি মানসুর নামিরীকে বলেন, আমাকে এমন কয়েকটি কবিতা পঙ্ক্তি
শোনাও যা দ্বারা তুমি বাগদাদকে আমার কাছে প্রিয় করবে ৷ আর আমি কিভু বাগদাদের তুলনায়
রাফিকা শহৱবেইি শ্রেষ্ঠ গণ্য করে থাকি ৷ তখন সে আবৃত্তি করে-


বাগদাদ শহরে কত উত্তম বিদ্যা ও শাত্রের চর্চা রয়েছে, রয়েছে দীন দুনিয়ার কত
আলােকবর্ডিংম ৷ ”

“পুষ্পকাননের পরশ নিয়ে যেখানে যখন স্লিগ্ধ সমীরণ প্রবা ত হয় তখন তা মুমুর্ষ রোগীকে
প্রাণবত্ত করে তোলে ৷

সাঈদ বলেন, তখন যুবায়দা ত কে দৃ’হাজা র দীনার দান করেন ৷ খতীর বলেন, আ ৷মি ভাণ্ডার
রক্ষক তাহির ইবন মুযাফ্ফা র ইবন তাহিরের কিভাবে তার নিজের হস্তাক্ষরে লেখা নিম্নোক্ত
কবিতা পঙ্ক্তিগুলি পড়েছি-
“আল্লাহ তাআলা কারখ, খালদ ও জিসরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত বাগদাদের এক
মহল্লাকে প্রভাত বারি দ্বারা সিঞ্চিত করুন ৷”

ষ্

“ত৷ হল৩ তিলোত্তমা নগরী যা তার অধিবাসীদের জন্য এমন সব বৈশিষ্ট্য দ্বারা অনন্য হয়ে
আছে যা অন্য কোন নগরীর অধিবাসীদের যেই ৷

“সেখানে রয়েছে চমৎকার ও স্বাস্থ্যকর কোমল বায়ু, রয়েছে শরাবের চেয়ে সুস্বাদু বা সুপেয়
পানি ৷ ”


وَعَنِ الشَّافِعِيِّ قَالَ: مَا دَخَلْتُ بَلَدًا قَطُّ إِلَّا عَدَدْتُهُ سَفَرًا، إِلَّا بَغْدَادَ فَإِنِّي حِينَ دَخَلْتُهَا عَدَدْتُهَا وَطَنًا. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: الدُّنْيَا بَادِيَةٌ، وَبَغْدَادُ حَاضِرَتُهَا. وَقَالَ ابْنُ عُلَيَّةَ: مَا رَأَيْتُ أَعْقَلَ فِي طَلَبِ الْحَدِيثِ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ وَلَا أَحْسَنَ رَغْبَةً. وَقَالَ ابْنُ مُجَاهِدٍ: رَأَيْتُ أَبَا عَمْرٍو ابْنَ الْعَلَاءِ فِي النَّوْمِ فَقُلْتُ: مَا فَعَلَ اللَّهُ بِكَ؟ فَقَالَ لِي: دَعْنِي مِنْ هَذَا، مَنْ أَقَامَ بِبَغْدَادَ عَلَى السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَمَاتَ، نُقِلَ مِنْ جَنَّةٍ إِلَى جَنَّةٍ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ: الْإِسْلَامُ بِبَغْدَادَ، وَإِنَّهَا لَصَيَّادَةٌ تَصِيدُ الرِّجَالَ، وَمَنْ لَمْ يَرَهَا لَمْ يَرَ الدُّنْيَا. وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ: بَغْدَادُ دَارُ دُنْيَا وَآخِرَةٍ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: مِنْ مَحَاسِنِ الْإِسْلَامِ يَوْمُ الْجُمْعَةِ بِبَغْدَادَ، وَصَلَاةُ التَّرَاوِيحِ بِمَكَّةَ، وَيَوْمُ الْعِيدِ بِطَرَسُوسَ.
পৃষ্ঠা - ৮০১৮
قَالَ الْخَطِيبُ: مَنْ شَهِدَ الْجُمْعَةَ بِمَدِينَةِ السَّلَامِ عَظَّمَ اللَّهُ فِي قَلْبِهِ مَحَلَّ الْإِسْلَامِ; لِأَنَّ مَشَايِخَنَا كَانُوا يَقُولُونَ: يَوْمُ الْجُمْعَةِ بِبَغْدَادَ كَيَوْمِ الْعِيدِ فِي غَيْرِهَا مِنَ الْبِلَادِ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كُنْتُ أُوَاظِبُ عَلَى الْجُمْعَةِ بِجَامِعِ الْمَنْصُورِ، فَعَرَضَ لِي شُغْلٌ فَصَلَّيْتُ فِي غَيْرِهِ، فَرَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ كَأَنَّ قَائِلًا يَقُولُ لِي: تَرَكْتَ الصَّلَاةَ بِالْجَامِعِ وَإِنَّهُ لَيُصَلِّي بِالْجَامِعِ كُلَّ جُمْعَةٍ سَبْعُونَ وَلِيًّا؟! وَقَالَ آخَرُ: أَرَدْتُ الِانْتِقَالَ مِنْ بَغْدَادَ إِلَى غَيْرِهَا، فَرَأَيْتُ كَأَنَّ قَائِلًا يَقُولُ لِي فِي الْمَنَامِ: أَتَنْتَقِلُ مِنْ بَلَدٍ فِيهِ عَشَرَةُ آلَافِ وَلِيٍّ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؟! وَقَالَ بَعْضُهُمْ: رَأَيْتُ كَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَتَيَا بَغْدَادَ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: اقْلِبْ بِهَا فَقَدْ حَقَّ الْقَوْلُ عَلَيْهَا. فَقَالَ الْآخَرُ: كَيْفَ أَقْلِبُ بِبَلَدٍ خُتِمَ فِيهِ الْقُرْآنُ اللَّيْلَةَ خَمْسَةَ آلَافِ خَتْمَةٍ؟! وَقَالَ أَبُو مُسْهِرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى قَالَ: إِذَا كَانَ عِلْمُ الرَّجُلِ حِجَازِيًّا، وَخُلُقُهُ عِرَاقِيًّا، وَطَاعَتُهُ شَامِيَّةً فَقَدْ كَمُلَ.
পৃষ্ঠা - ৮০১৯

বাগদাদের সৌন্দর্যরাজি ও ত্রুঢিসমুহ এবং এ সম্বন্ধে
ইমামদের উক্তিসমুহ

ইউনুস ইবন আবদুল আ’লা আস-সাদাফী (র) বলেন, আমাকে ইমাম শাফিঈ (র) বলেন,
“তুমি কি বাগদাদ দেখেছ ?” আমি বললাম না ৷ তখন তিনি বললেন, “তাহলে তুমি দুনিয়াই
দেখনি ৷” ইমাম শাফিঈ (র) আরো বললেন, “আমি যে কোন শহরে কখনও ভ্রমণ করেছি, গণনা
করেছি কয়েকবার সেখানে সফর করেছি কিন্তু বাগদাদের কথা আলাদা ; যতবারই আমি বাগদাদে
গমন করেছি এটাকে নিজের জন্মভুমি বলে মনে করেছি ৷ ” উলামায়ে কিরামের কেউ কেউ
বলেন, সমগ্র পৃথিবীটাগ্ৰামাঞ্চল হিসেবে গণ্য আর বাগদাদ শহর এলাকা হিসেবে গণ্য ৷ ’

ইবন উলাইয়া (র) বলেন, “হাদীস অস্বেষণের ক্ষেত্রে বাগদাদবাসীদের থেকে বেশী সচেতন
আমি আর কাউকে দেখিনি এবং তাদের থেকে বেশী সুখ-স্বাচ্ছন্দেব্র জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত
আর কাউকে দেখিনি ৷ ইবন মুজাহিদ (র) বলেন, আমি আবু আমর ইবন আল-আলা (র) কে
স্বপ্নে দেখলাম, আমি তাকে বললাম , আপনার সাথে আল্লাহ তাআলা কিরুপ ব্যবহার করেছেন ?
তিনি আমাকে বললেন, আমাকে এ ব্যাপারে আর জিজ্ঞাসা কর না, জেনে রেথো, যে ব্যক্তি
বাগদাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উপর কায়েম থেকে মৃত্যুবরণ করে তাকে এক
জান্নাত থেকে অন্য জান্নাতে বিনোদনের জন্য স্থানান্তর করা হয় ৷ আবু বকর ইবন আইয়াশ (র)
বলেন, বাগদাদে রয়েছে ইসলাম, এটা নিশ্চয়ই শিকারেরও স্থান ৷” লোকেরা শিকার করে থাকে
তথায় ৷ যে বাগদাদ দেখেনি সে যেন দুনিয়াটা দেখেনি ৷ ’ আবু মুআবিয়া (র) বলেন, বাগদাদ
দুনিয়া ও আখিরাতের ঘর ৷’ আলিমগণের কেউ কেউ বলেন, বাগদাদ জুমুআর দিনে, মক্কায়
তারাবীহের সালাতে এবং তারমুস শহরে ঈদের দিনে ইসলামের সৌন্দর্য অবলােকন করা যায় ৷
আল-খভীব (র) বলেন, যে ব্যক্তি মদীনাতৃস সালামে জুমুআর দিনে সালাতে হাযির হন আল্লাহ
তাআলা তীর অন্তরে ইসলামের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে দেন ৷ কেননা আমাদের উস্তাদগণ বাগদাদের
জুমুআর দিনকে অন্যান্য শহরের ঈদের দিনের ন্যায় গণ্য করতেন ৷ তাদের একজন বলেন, আমি

ঞা৷ ৷ ৰু ৷ এ সর্বদা জুমুআর সালাত আদায় করতাম ৷ একদিন আমার কোন একটি কাজ
থাকার দরুন আমি অন্য মসজিদে সালাত আদায় করলাম ৷ এরপর আমি স্বপ্নে দেখলাম, কোন
এক ব্যক্তি আমাকে বলছেন, তুমি য়ু এ ৷ ৰু ৷ জুমুআর সালাত বর্জন করেছ অথচ সেখানে
প্রতি জুমুআয় সত্তরজন ওলী সালাত আদায় করে থাকেন ৷ অন্য একজন বলেন, আমি বাগদাদ
থেকে বদলীর ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম ৷ তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম, যেন এক ব্যক্তি বলছেন,
তুমি কি এমন একটি শহর থেকে বদলী হতে ইচ্ছা করছ যেখানে দশ হাজার ওলী রয়েছেন ?
ন্ র্তাদের অন্য একজন বলেন, আমি একদিন দু’জন ফিরিশতাকে দেখলাম, তারা দু’জন বাগদাদে
আগমন করেন ৷ একজন তার সাথীকে বলেন, এ শহরটিকে উলটে দেব ৷ কেননা এ সম্বন্ধে
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড) ২৪


وَقَالَتْ زُبَيْدَةُ لِمَنْصُورٍ النَّمَرِيِّ: قُلْ شِعْرًا تُحَبِّبُ فِيهِ بَغْدَادَ إِلَى الرَّشِيدِ، فَقَدِ اخْتَارَ سُكْنَى الرَّافِقَةِ. فَقَالَ: مَاذَا بِبَغْدَادَ مِنْ طِيبِ الْأَفَانِينِ ... وَمِنْ مَنَازِلَ لِلدُّنْيَا وَلِلدِّينِ تُحْيِي الرِّيَاحُ بِهَا الْمَرْضَى إِذَا نَسَمَتْ ... وَجَوَّشَتْ بَيْنَ أَغْصَانِ الرَّيَاحِينِ قَالَ: فَأَعْطَتْهُ أَلْفَيْ دِينَارٍ. وَقَالَ الْخَطِيبُ: وَقَرَأْتُ فِي كِتَابِ طَاهِرِ بْنِ مُظَفَّرِ بْنِ طَاهِرٍ الْخَازِنِ بِخَطِّهِ مِنْ شِعْرِهِ: سَقَى اللَّهُ صَوْبَ الْغَادِيَاتِ مَحَلَّةً ... بِبَغْدَادَ بَيْنَ الْكَرْخِ فَالْخُلْدِ فَالْجِسْرِ هِيَ الْبَلْدَةُ الْحَسْنَاءُ خُصَّتْ لِأَهْلِهَا ... بِأَشْيَاءَ لَمْ يُجْمَعْنَ مُذْ كُنَّ فِي مِصْرِ هَوَاءٌ رَقِيقٌ فِي اعْتِدَالٍ وَصِحَّةٍ ... وَمَاءٌ لَهُ طَعْمٌ أَلَذُّ مِنَ الْخَمْرِ وَدِجْلَتُهَا شَطَّانِ قَدْ نُظِمَا لَنَا ... بِتَاجٍ إِلَى تَاجٍ وَقَصْرٍ إِلَى قَصْرِ ثَرَاهَا كَمِسْكٍ وَالْمِيَاهُ كَفِضَّةٍ ... وَحَصْبَاؤُهَا مِثْلُ الْيَوَاقِيتِ وَالدُّرِّ وَقَدْ أَوْرَدَ الْخَطِيبُ فِي هَذَا أَشْعَارًا كَثِيرَةً، وَفِيمَا ذَكَرْنَا كِفَايَةٌ. وَقَدْ كَانَ الْفَرَاغُ مِنْ بِنَاءِ بَغْدَادَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَأَرْبَعِينَ
পৃষ্ঠা - ৮০২০


হুকুম জারি করা হয়েছে ৷ অন্যজন বলেন, কেমন করে এমন একটি শহরকে উলটে দেয়া হবে,
যেখানে প্রতি রাতে পাচ হাজারবার কুরআন খতম করা হয় ?

সাঈদ ইবন আবদুল আযীয ইবন সুলায়মান ইবন মুসা (র) থেকে আবু মিসৃহার (র) বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, যে ব্যক্তির বিদ্যা শিক্ষা হল হিজাযে, তার চরিত্র হল ইরাকীর ন্যায় এবং
সালাত হল সিরিয়াবাসীর ন্যায়, সে পরিপুপতা লাভ করেছে ৷ মনসুর আন-নামিরীকে যুবায়দা (রা)
বলেন, আমার কাছে এমন একটি কবিতা বল যার দ্বারা আমার কাছে বাগদাদের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি
পায় ৷ আর তার শোভাীকৃত ও সমাদৃত হয় ৷ তখন তিনি বলেন :



অর্থাৎ “বাগদা দের শ্বোভাময় ষ্াছপা লা কতইা ন মনােমুগ্ধকর ! আ র৩ তার মিনারাগুলো দুনিয়া
ও আখিরাতে র কতই না সুন্দর আলোকবর্তিকা ! সেখানে মৃদুমন্দ বা৩াস যখন পুদিনা গাছের
ডালগুলাে দিয়ে বয়ে যায় খনত অসুস্থ ব্যক্তিগণ নবব্জীবনা লা ত করে ৷ ’াবর্ণনাক রী বলেন, যুবায়দা
(র) তখন কবিকে দুই হাজার দীনার উপচৌকন প্ৰদা ন করেন ৷
আ-ল খভীব (র) বলেন, আমিওা ণ্ডাররক্ষক তাহির ইবন মুযাফ্ফা র ইবন তাহির এর কিতাবে
তার লিখিত নিম্নবর্ণিত পঙক্তিতলো আবৃত্তি করলামং :

fl # ষ্


হুপুএ্ ৷;,
অর্থাৎ “সকাল ণ্বলার বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ তাআলা এমন একটি মহল্লাকে সিক্ত করুন যা
বাগদাদের কারখ, খুলদ ও জাসর নামী সুরম অট্টালিকাগুলোর মধ্যে অবস্থিত ৷ এটা একটি
সৌন্দর্যময় শহর যার বাসিন্দাদের ভোগ বিলাসের জন্য এমন বস্তুসমুহ ব্যিশযভাবে সজ্জিত রাখা
হয়েছে যা অন্য কোন শহরে সংগৃহীত হওয়া দৃরুহ ব্যাপার ৷ যেখানোস্থ্য রক্ষার উপযোগী স্লিগ্ধ
আবহাওয়া বিরাজ করছে সেখানকার জলবায়ু মদ থেকেও বেশী সুাদৃ ৷ বাগদাদের দাজলা নদীর
দুই পাড় যেন আমাদের জন্য মুকুটকে মুকুটের সাথে এবং অট্টালিকাকে অট্টালিকার সাথে পেথে

দিয়েছে ৷ হে পর্যটক ! বাগদাদকে তুমি দেখবে মিশ্ ক আম্বরের ন্যায়, যাব প নি রৌগ্যের ন্যায়
এবং পাথরগুলো চুণি ও মুক্তার ন্যায় ৷”

আল খভীব (র) এ সম্পর্কে বহু কবিতা রচনা করেছেন ৷ আমরা যা উল্লেখ করেছি আপাতত
তা যথেষ্ট বলে অনুণ্ডু ত ৷ একশাছেচল্লিশ হিজরী সনে বাগদা দের নির্মাণাকাজ সমাপ্ত হয় ৷ কেউ
কেউ বলেন, একশ আটচল্লিশ হিজরীতে শেষ হয় ৷ পরিখা খনন ও দেয়ালের কাজসমুহ একশ


وَمِائَةٍ - وَقِيلَ: فِي سَنَةِ ثَمَانٍ وَأَرْبَعِينَ. وَقِيلَ: إِنَّ سُورَهَا وَخَنْدَقَهَا كَمُلَا فِي سَنَةِ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ. وَلَمْ يَزَلِ الْمَنْصُورُ يَزِيدُ فِيهَا، وَيَتَأَنَّقُ فِي بِنَائِهَا حَتَّى كَانَ آخَرَ مَا بَنَى فِيهَا قَصْرُ الْخُلْدِ، فَعِنْدَ كَمَالِهِ تُوُفِّيَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ الْمَنْصُورُ سَلْمَ بْنَ قُتَيْبَةَ عَنِ الْبَصْرَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا مُحَمَّدَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ كَتَبَ إِلَى سَلْمٍ يَأْمُرُهُ بِهَدْمِ بُيُوتِ الَّذِينَ بَايَعُوا إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، فَتَوَانَى فِي ذَلِكَ فَعَزَلَهُ، وَبَعَثَ ابْنَ عَمِّهِ مُحَمَّدَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَلِيٍّ فَعَاثَ فِيهَا فَسَادًا، وَهَدَمَ دُورًا كَثِيرَةً، وَعَزَلَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الرَّبِيعِ عَنْ إِمْرَةِ الْمَدِينَةِ، وَوَلَّى عَلَيْهَا جَعْفَرَ بْنَ سُلَيْمَانَ، وَعَزَلَ عَنْ مَكَّةَ السَّرِيَّ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَوَلَّاهَا عَبْدَ الصَّمَدِ بْنَ عَلِيٍّ. قَالَ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ. قَالَهُ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ. قَالَ: وَفِيهَا غَزَا الصَّائِفَةَ مِنْ بِلَادِ الرُّومِ جَعْفَرُ بْنُ حَنْظَلَةَ الْبَهْرَانِيُّ. وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: أَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ السَّائِبِ
পৃষ্ঠা - ৮০২১
الْكَلْبِيُّ، وَهُشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، وَيَزِيدُ ابْنُ أَبِي عُبَيْدٍ فِي قَوْلٍ.