আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة خمس وأربعين ومائة

خروج إبراهيم بن عبد الله بن حسن

পৃষ্ঠা - ৭৯৭৯


দছুতৃ আমার ৷ কিন্তু হাসান ইবন মুআবিয়৷ অপেক্ষা করতে সম্মত হয় না ৷ সে শপথ করে বলে
সে প্ণ্ষিত্র মক্কায়ই রাত্রিযাপন করবে ৷ অন্যথায় লড়াই করে মরে যাবে ৷ সে তখন সাররীর কাছে
এই বলে দুত পাঠায়, হারাম এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে এস যাতে সেখানে রক্তপাত না হয় ৷ কিন্তু সে
বের হয় না ৷ তখন হাসান ইবন মুআবিয়ার বাহিনী তাদের দিকে অগ্রসর হয় এবং তাদের
মুবুখদ্বমুাখ হয়ে সাবিবদ্ধভাবে অবস্থান গ্রহণ করে ৷ এরপর তারা তাদের প্ৰতিপক্ষের বিরুদ্ধে
একযোগে আক্রমণ করে এবং তাদেরকে পরাজিত করে ৷ এসময় তারা তাদের সাতজনকে হত্যা
করে এবং পবিত্র মক্কায় প্রবেশ করে ৷ পরদিন সকালে হাসান ইবন মুআবিয়৷ লোকদের উদ্দেশ্যে
ৰুৎৰা প্রদান করে এবং তাদেরকে আবু জাফরের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে এবং তাদেরকে
ম হস্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবনাহাসান অ৷ ৷ল-মাহদীর বায়আ৩ রুত র দিকে আহ্বান করে ৷

ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের বিদ্রোহ

এই এবইি সময়ে ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান বসরায় আত্মপ্রকাশ করেন ৷ ডাকদুত
তব্ তাই মুহাম্মদের কাছে রাত্রিকালে এসে উপস্থিত হয়, তখন তার কাছে দুতের সাক্ষাতের
র্লো চাওয়া হয় ৷ এসময় তিনি মারওয়ানের গৃহে’ অবস্থানরত ছিলেন ৷ তার দরজায় যখন
ঠক্ঠক করা হয়, তখন তিনি বলেন, আয় আল্লাহ্ ! হে রহমান, কল্যাণ নিয়ে আগত আগত্তুক
ব,ড়াউত আমি রাত ও দিনের সকল আগত্তুকের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি ৷ তারপর
তিনি বের হয়ে যান এবং তার সমর্থকদের নিজভাই সম্পর্কে অবহিত করেন ৷ তখন তারা একে
ন্ন্হুবাদরুপে গ্রহণ করে অত্যন্ত খুশী হয় ৷ তিনি এসময় ফজর ও মাপবিবের নামায়ের পর
:-কৰুদর রলরুতন তোমরা তোমাদের বসরাবাসী ভাইদের জন্য দৃঅ৷ কর এবং পবিত্র মক্কায়
ভ্রবন্থষ্মরত হুসাইন ইবন মুআবিয়ার জন্য দুঅ৷ কর এবং তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে বিজয়
হন: কর ৷
আর এই বিদ্রোহের বিরুদ্ধে খলীফা মানসুর যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা হল, তিনি দশ
হজব নির্বাচিত বীর অশ্বারোহীর নেতৃত্ব প্রদান করে ঈস৷ ইবন মুসাকে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্র
ই ব্ৰুপুদ্ধ প্রেরণ করেন ৷ এদের অন্যতম হল, মুহাম্মাদ ইবন আবুল আব্বাস আসশ্সাফ্ফাহ জাফর
বন্ হানযালা আল-বুহরানী, হুমায়দ ইবন ক হ তাব৷ ৷ এই হুমায়দের কাছেই খলীফা মানসুর
ৰু ষ্ন্ষ্দ ইবন আবদুল্লাহ্র ব্যাপারে পরামর্শ চান ৷ সে বলে, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার
ও স্থতজন মাওলাদের মধ্য থেকে যাদেরকে ইচ্ছা ডেকে নিন, তা ৷রপর তাদেরকে ওয়াদিউল
কুরত প্রেরণ করুন ৷ তারা তাদেরকে শামের থোরাক ও রসদ থেকে বঞ্চিত রাখবে ৷ তাহলে
সে এবং ৷ তবে সঙ্গীরা ক্ষুধায় মৃত্যুমুখে পতিত হবে ৷ কেননা, যে এমন এক শ ৷হরে অবস্থান করছে
যে < অর্থবল, লোকবল এবং যুদ্ধের বাহন ও অস্ত্র শস্ত্র কিছু নেই ৷ একথা বলে সে খলীফার
সামনে কুছায়য়ির ইবন হাসীনকে পেশ করে ৷ আর মানসুর ঈস৷ ইবন মুসাকে ৰিদ৷ য়াকালে বলেন,
হে তন্ৰু আমি তোমাকে আমার এই নির্দেশ দিচ্ছি যদি তুমি ঐ ব্যক্তিকে আয়ত্তে পাও তাহলে
তেদ্র তরর৷ ৷বি যাচাই করে৷ ৷ আর লোকদের মাঝে নিরাপত্তার ঘোষণা প্রদান করে৷ ৷ অ৷ র ৷যদি
সে তগােপন করে তাহলে তাদেরকে ত ৷র ৷যামিন জ ৷নাবে যতক্ষণ না তারা তাকে তোমার কাছে
উপ্ স্থত করে ৷ কেননা, তা ৷র গমনস্থুল সম্পর্কে তারাই অধিক অবগত ৷ এছাড় ডাখলীফ৷ মানসুর
এসময় তার সাথে পবিত্র মদীনাবাসী নেতৃস্থানীয় কুরায়শ ৷ও আনসারগণের বরাবর একাধিক পত্র


تَسْتَعِينُ بِهِ عَلَى اسْتِخْدَامِ الرِّجَالِ؟ وَلَزِمَ مَنْزِلَهُ، فَلَمْ يَخْرُجْ حَتَّى قُتِلَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ. وَبَعَثَ مُحَمَّدٌ الْحَسَنَ بْنِ مُعَاوِيَةَ فِي سَبْعِينَ رَجُلًا وَنَحْوًا مِنْ عَشَرَةِ فَوَارِسَ وَاسْتَنَابَهُ عَلَى مَكَّةَ إِنْ هُوَ دَخَلَهَا، فَسَارُوا إِلَيْهَا، فَلَمَّا بَلَغَ أَهْلَهَا قُدُومُهُمْ خَرَجُوا إِلَيْهِمْ فِي أُلُوفٍ مِنَ الْمُقَاتِلَةِ، فَقَالَ لَهُمُ الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ: عَلَامَ تُقَاتِلُونَ وَقَدْ مَاتَ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ؟ فَقَالَ السَّرِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ زَعِيمُ أَهْلِ مَكَّةَ: إِنَّ بُرُدَهُ جَاءَتْنَا مِنْ أَرْبَعِ لَيَالٍ، وَقَدْ أَرْسَلْتُ إِلَيْهِ، فَأَنَا أَنْتَظِرُ جَوَابَهُ إِلَى أَرْبَعٍ، فَإِنْ كَانَ مَا تَقُولُونَ حَقًّا سَلَّمْتُكُمُ الْبَلَدَ، وَعَلَيَّ مُؤْنَةُ رِجَالِكُمْ وَخَيْلِكُمْ. فَامْتَنَعَ الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ مِنَ الِانْتِظَارِ وَأَبَى إِلَّا الْمُنَاجَزَةَ، وَحَلَفَ لَا يَبِيتُ اللَّيْلَةَ إِلَّا بِمَكَّةَ إِلَّا أَنْ يَمُوتَ. وَأَرْسَلَ إِلَى السَّرِيِّ أَنِ ابْرُزْ مِنَ الْحَرَمِ إِلَى الْحِلِّ حَتَّى لَا تُرَاقَ الدِّمَاءُ فِي الْحَرَمِ. فَلَمْ يَخْرُجْ، فَتَقَدَّمُوا إِلَيْهِمْ فَصَافُّوهُمْ، فَحَمَلَ عَلَيْهِمُ الْحَسَنُ وَأَصْحَابُهُ حَمْلَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَهَزَمُوهُمْ وَقَتَلُوا مِنْهُمْ نَحْوَ سَبْعَةٍ، وَدَخَلُوا مَكَّةَ، فَلَمَّا أَصْبَحُوا خَطَبَ الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ النَّاسَ، وَعَزَّاهُمْ فِي أَبِي جَعْفَرٍ، وَدَعَا لِمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ الْمُلَقَّبِ بِالْمَهْدِيِّ. [خُرُوجُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ] وَظَهَرَ بِالْبَصْرَةِ أَيْضًا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَجَاءَ الْبَرِيدُ إِلَى أَخِيهِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮০


লিখে পাঠান যাতে তিনি তাদেরকে তার আনুগত্যে প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানান এবং তিনি
ঈসাকে নির্দেশ প্রদান করেন, পত্রগুলো তাদের কাছে গোপনে পৌছে দিতে ৷ এরপর ঈসা ইবন
মুসা যখন পবিত্র মদীনায় নিকটবর্তী হন, তখন তিনি জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে পত্রগুলো প্রেরণ
করেন ৷ কিন্তু মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের প্রহরীরা তাকে ধরে ফেলে এবং তার সাথে
সেই পত্রগুলাে পায় ৷ তখন তারা সেই পত্রগুলো মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্র হাতে দেয় ৷ এরপর
তিনি এদের একটি দলকে উপস্থিত করে শাস্তি প্রদান করেন ৷ বেদম প্রহায় করেন তিনি তাদেরকে
ভারী শৃগ্রলে আবদ্ধ করে জেলখানায় বন্দী করে রাখেন ৷ তারপর মুহাম্মাদ তার সঙ্গীদের পরামর্শ
চান ঈসা ইবন মুসা অগ্রসর হয়ে তাদেরকে অবরোধ করা পর্যন্ত তারা কি পবিত্র মদীনাতেই
অবস্থান করবেন, নাকি তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে অগ্রসর হয়ে ইরাকরাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই
করবেন ৷ তখন তাদের কেউ পরামর্শ দেয় পবিত্র মদীনায় অবস্থানের পক্ষে কেউ বা পরামর্শ দেয়
অগ্রসর হয়ে আক্রমণের ৷ পরিশেষে পবিত্র মদীনায় অবস্থানের ব্যাপারে সকলের ঐকমত্য
প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ কেননা, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ (সা) পবিত্র মদীনা ছেড়ে বেরিয়ে আসার
অনুতপ্ত হয়েছিলেন ৷ এরপর সকলে একমত হন পবিত্র মদীনায় চারপাশে পরিখা খননের ব্যাপারে
যেমনটি করেছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) আহযাব যুদ্ধের দিন ৷ তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ এসকল
পরামর্শে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং আল্লাহর রাসুলের অনুকরণে নিজ হাতে সকলে সাথে পরিখা
খননে অংশ নেন ৷ এসময় তাদের সামনে রাসুলুল্লাহ (সা) এর খননকৃত পরিখার একটি কাচা ইট
বেরিয়ে আসে ৷ তখন সকলে তাতে খুশ্যিত আল্লাহ আকরার বলে উঠে এবং মুহাম্মাদকে বিজয়ের
সুসংবাদ প্রদান করে ৷ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ এসময় উপস্থিত ছিলেন ৷ তার পরনে ছিল একটি
সাদা আলখেল্লা যার মধ্যস্থুল ফিতা দিয়ে বাধা ৷ তিনি ছিলেন বিশালদেহী ঈষৎ বাদামী বর্ণের লালাভ
ফর্সা এবং বিশাল মস্তকের অধিকারী ৷ ঈসা ইবন মুসা যখন আওয়াসে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং
পবিত্র মদীনায় নিকটবর্তী হন তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ মিম্বরে আরোহর্ণ করে লোকদের
উদ্দেশ্যে খুৎবা প্রদান করেন এবং তাদেরকে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করেন ৷ আর তাদের সংখ্যা ছিল প্রায়
একলক্ষ এসময় তিনি তাদেরকে যা বলেন তার মাঝে একথাও বলে বলেন, তোমরা আমরা
রায়আত থেকে দায়মুক্ত ৷ তোমাদের মধ্যে যে তাতে বহাল থাকতে চায় যে তাতে বহাল থাকবে,
আর যে তা বর্জন করতে চায় যে তা বর্জন করবে ৷ তার একথা শোনার পর শ্রোতাদের অনেকে
অথবা তাদের অধিকাংশ তাকে ত্যাগ করে চলে যায় এবং অতি অল্পসংখ্যক লোকই তার সাথে
অবশিষ্ট থাকে ৷ অধিকাংশ পবিত্র মদীনাবাসী তাদের স্বজন-পরিজন নিয়ে পবিত্র মদীনা থেকে
বেরিয়ে যান যেন তাদেরকে সেখানে লড়াই প্রত্যক্ষ করতে না হয় ৷ এসময় তারা বিভিন্ন পাহাড়ের
পাদদেশে ও চুড়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ এসময় মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ তাদেরকে পবিত্র মদীনা
আগে নিবৃত্ত করার জন্য আবুল লায়ছকে পাঠান ৷ কিন্তু তার পক্ষে তাদের অধিকাৎশকে নিবৃত্ত
করা সম্ভব হয়নি ৷ আর তাদের পবিত্র মদীনা ত্যাগ অব্যাহত থাকে ৷ তখন মুহাম্মাদ এক ব্যক্তিকে
বলেন, তুমি কি একটি তরবড়ারি ও বর্শা নিয়ে যারা পবিত্র মদীনা ত্যাগ করেছে তাদেরকে ফিরিয়ে
আনতে পারবে না ৷ তখন যে ব্যক্তি উত্তর দেয়, হী৷ পারব ৷ যদি আপনি আমাকে এমন একটি বর্শা
দেন যা দ্বারা আমি তাদেরকে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা অবস্থায় আঘাত করতে পারি এবং এমন
একটি তরবড়ারি দেন যা দ্বারা তাদেরকে পাহাড়ের চুড়ায় আশ্রয় নেওয়া অবস্থায় আঘাত করতে


مُحَمَّدٍ بِذَلِكَ، فَانْتَهَى إِلَيْهِ لَيْلًا، فَاسْتُؤْذِنَ لَهُ عَلَيْهِ وَهُوَ بِدَارِ مَرْوَانَ، فَطَرَقَ بَابَهَا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ طَوَارِقِ اللَّيْلِ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ. ثُمَّ خَرَجَ فَأَخْبَرَهُ عَنْ أَخِيهِ بِذَلِكَ، فَاسْتَبْشَرَ جِدًّا، وَفَرِحَ كَثِيرًا، وَكَانَ يَقُولُ لِلنَّاسِ بَعْدَ صَلَاتَيِ الصُّبْحِ وَالْمَغْرِبِ: ادْعُوا اللَّهَ لِإِخْوَانِكُمْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ وَلِلْحَسَنِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بِمَكَّةَ، وَاسْتَنْصِرُوهُ عَلَى أَعْدَائِكُمْ. وَأَمَّا أَبُو جَعْفَرٍ، فَإِنَّهُ جَهَّزَ الْجُيُوشَ إِلَى مُحَمَّدٍ صُحْبَةَ عِيسَى بْنِ مُوسَى أَرْبَعَةَ آلَافِ فَارِسٍ مِنَ الشُّجْعَانِ الْمُنْتَخَبِينَ، مِنْهُمْ; مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ، وَحُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، وَجَعْفَرُ بْنُ حَنْظَلَةَ الْبَهْرَانِيُّ، وَكَانَ الْمَنْصُورُ قَدِ اسْتَشَارَهُ فِيهِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، ادْعُ مَنْ شِئْتَ مِمَّنْ تَثِقُ بِهِ مِنْ مَوَالِيكَ، فَيَنْزِلُ وَادِيَ الْقُرَى فَيَمْنَعُهُ مِيرَةَ الشَّامِ، فَيَمُوتُ هُوَ وَمَنْ مَعَهُ جُوعًا، فَإِنَّهُ بِبَلَدٍ لَيْسَ فِيهِ مَالٌ وَلَا رِجَالٌ وَلَا كُرَاعٌ وَلَا سِلَاحٌ. وَقَدَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ كُثَيِّرَ بْنَ الْحُصَيْنِ الْعَبْدِيَّ، وَقَدْ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ لِعِيسَى بْنِ مُوسَى حِينَ وَدَّعَهُ: يَا عِيسَى، إِنِّي أَبْعَثُكَ إِلَى مَا بَيْنَ جَنْبَيَّ هَذَيْنِ، فَإِنْ ظَفِرْتَ بِالرَّجُلِ، فَشِمْ سَيْفَكَ، وَنَادِ فِي النَّاسِ بِالْأَمَانِ، وَإِنْ تَغَيَّبَ فَضَمِّنْهُمْ إِيَّاهُ حَتَّى يَأْتُوكَ بِهِ، فَإِنَّهُمْ أَعْلَمُ بِمَذَاهِبِهِ. وَكَتَبَ مَعَهُ كِتَابًا إِلَى رُؤَسَاءِ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ يَدْفَعُهَا إِلَيْهِمْ خُفْيَةً، يَدْعُوهُمْ إِلَى الرُّجُوعِ إِلَى الطَّاعَةِ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮১
عِيسَى بْنُ مُوسَى مِنَ الْمَدِينَةِ بَعَثَهَا مَعَ رَجُلٍ، فَأَخَذَهُ حَرَسُ مُحَمَّدٍ فَوَجَدُوا مَعَهُ تِلْكَ الْكُتُبَ، فَدَفَعُوهَا إِلَى مُحَمَّدٍ فَاسْتَحْضَرَ جَمَاعَةً مِنْ أُولَئِكَ، فَعَاقَبَهُمْ ضَرْبًا شَدِيدًا، وَقُيُودًا ثِقَالًا، وَأَوْدَعَهُمُ السِّجْنَ، ثُمَّ إِنَّ مُحَمَّدًا اسْتَشَارَ أَصْحَابَهُ فِي الْمُقَامِ بِالْمَدِينَةِ حَتَّى يَأْتِيَ عِيسَى بْنُ مُوسَى، فَيُحَاصِرَهُمْ بِهَا، أَوْ أَنْ يَخْرُجَ بِمَنْ مَعَهُ فَيُقَاتِلَ أَهْلَ الْعِرَاقِ، فَمِنْهُمْ مَنْ أَشَارَ بِهَذَا، وَمِنْهُمْ مَنْ أَشَارَ بِذَاكَ، ثُمَّ اتَّفَقَ الرَّأْيُ عَلَى الْمُقَامِ بِالْمَدِينَةِ - لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَأَسَّفَ يَوْمَ أُحُدٍ عَلَى الْخُرُوجِ مِنْهَا - وَعَلَى حَفْرِ خَنْدَقٍ حَوْلَ الْمَدِينَةِ، كَمَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ، فَأَجَابَ إِلَى ذَلِكَ كُلِّهِ، وَحَفَرَ مَعَ النَّاسِ فِي الْخَنْدَقِ بِيَدِهِ اقْتِدَاءً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ ظَهَرَ لَهُمْ لَبِنَةٌ مِنَ الْخَنْدَقِ الَّذِي كَانَ حَفَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَفَرِحُوا بِذَلِكَ وَاسْتَبْشَرُوا وَكَبَّرُوا وَبَشَّرُوهُ بِالنَّصْرِ. وَكَانَ مُحَمَّدٌ حَاضِرًا عَلَيْهِ قَبَاءٌ أَبْيَضُ، وَفِي وَسَطِهِ مِنْطَقَةٌ، وَكَانَ شَكِلًا ضَخْمًا، أَسْمَرَ عَظِيمَ الْهَامَةِ. وَلَمَّا نَزَلَ عِيسَى بْنُ مُوسَى الْأَعْوَصُ، وَاقْتَرَبَ مِنَ الْمَدِينَةِ، صَعِدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ الْمِنْبَرَ، فَخَطَبَ النَّاسَ، وَحَثَّهُمْ عَلَى الْجِهَادِ وَنَدَبَهُمْ إِلَيْهِ - وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ مِائَةِ أَلْفٍ - فَقَالَ لَهُمْ فِي جُمْلَةِ مَا قَالَ: إِنِّي جَعَلْتُكُمْ فِي حِلٍّ مِنْ بَيْعَتِي، فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُقِيمَ عَلَيْهَا فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَتْرُكَهَا فَلْيَفْعَلْ. فَتَسَلَّلَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ أَوْ أَكْثَرُهُمْ، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا شِرْذِمَةٌ مِنَ النَّاسِ، وَخَرَجَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮২


পারি ৷ একথা শুনে মুহাম্মাদ নির্বাক হয়ে যান ৷ তারপর আমাকে বলেন, দুর্ভাগ্য তোমার ৷ শামবাসী
ইরাকবাসী এবং খুরাসানবাসী আমার আনুগত্য বুমবুন নিবুয় কাল পাগড়ি খুলে সাদা পাগড়ি পরিধান
করেছে ৷ তখন তিনি বলেন, দুনিয়া যযদি শুভ্রমাখবুনর ন্যায় হয় তাহলে তা আমার কী কাজে
আসবে ৷ আর এই যে ঈসা ইবন মুসা আওয়াসে অবতরণ করেছে ৷ এরপর ঈসা ইবন মুসা তার
বাহিনী নিবুয় অগ্রসর হয়ে পবিত্র মদীনা র উপকবুণ্ঠ এক মইিল দুবুর শিবির স্থাপন করে ৷ তখন তার
পখপ্ৰদর্থাং সমরবিদ ইবনুল আসম তাবুক বলে আমি আশক্ষো করছি আপনারা যখন তাদেরকে
পরাজিত করবেন, তখন অশ্ব৷ ৷রােহী দলতাদের নাগাল পাওয়া র পুর্বেই৩ ৷ ৷র৷ তা ৷দের বুসনাছাউনিবুত
ফিরে যেতে সক্ষম হবুব ৷ এরপর সে ঈসা ইবন মুসাবুক নিবুয় পবিত্র মদীনার চার মাইল দুবুর
অবস্থিত সুলায়মান ইবন আব্দুল মালিকের সিকায়া আল-জারাবুফ গমন কবুর ৷ আর এটা ছিল
এবছবুরর রমযান মাসের বার তারিখ শনিবার সকালে ৷ আর এসময় সে এই অবস্থাবুনর কারণ
উল্লেখ কবুর বলে, পদাতিক যোদ্ধ৷ পলায়নকাবুল দুই বা তিন মাইবুলর অধিক দুরতু অতিক্রম
করার পুর্বে অশ্বারােহীদল তাদের নাগাল পেয়ে যায় ৷

এদিকে ঈসা ইবন মুসা পাচশ অশ্বারোহীকে পৃথক করে প্রেরণ করেন এবৎত তারা এবুস পবিত্র
মক্কার পথে বায়আতৃৱ রিযওয়াবুনর বৃক্ষের নিকট অবতরণ করে ৷ এসময় তিনি তা ৷দেরবুক বলেন,
এই ব্যক্তি যদি পলায়ন করতে চায় তাহবুল সে পবিত্র মক্কাবুতই আশ্রয় গ্রহণ করবুব ৷ কাজেই,
তোমরা তাকে সে পথ থেকে বাধা দিবুব ৷ এরপর ঈসা ইবন মুসা, মুহাম্মাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন
হাসানের কাছে দুত পাঠান তাবুক আমীরুল মু’মিনীন মানসুরের আনুগত্যের আহ্বান জা ৷নিবুয় ৷
তিনি তাবুক দুত মা রফত জানান যে তার এই আহ্বাবুন সাড়৷ ৷দিলে খলীফ৷ ৷তাকে এবং তার স্বজন
পরিজন সকলকে পুর্ণ নিরাপত্তা প্রদান করবেন ৷ কিন্তু এর জবাবে মুহাম্মাদ দুতকে বলেন, দুত
হত্যা না করার রীতি যদি না থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করতাম ৷ এরপর
মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্ ঈসা ইবন মুসা র কাছে এই মর্মে বাত ৷ প্রেরণ করেন, আমি তোমাকে
কিতা ৷বুল্লাহ্ ও সৃন্নাহ্র দিকে আহ্বান করছি ৷ কাজেই, তুমি সতর্ক হও, আ ৷মি যদি তোমাকে হত্যা
করিত তাহবুল তুমি হবুব নিকৃষ্টতম নিহত ৷ আর তুমি যদি আমাকে হত্যা কর তাহবুল তুমি হবুব
আল্লাহ ও রাসুলের দিকের আহ্বায়ককে হত্যাকারী ৷ এরপর তিনদিন পর্যন্ত তাদের উভয়ের মাঝে
দুত বিনিময় চলতে থাকে এবং তারা একে অপরবুক নিজের প্রতি ৩আহ্বান করতে থাকেন ৷ আর
এই ঈসা ইবন মুসা এই তিন দিনের প্রতিদিন সালা’ পাহাড়ের ৰ্বাকে দাড়িয়ে ঘোষণা করেন, হে
পবিত্র মদীনাবাসী তোমাদের রক্তপাত আমাদের জন্য নিষিদ্ধ৷ হ বাম ৷ কা ৷জেই যে আমাদের কাছে
এবুস আমার ঝাণ্ডাতলে আশ্রয় নিবুব সে নিরাপদ ৷ বুত আমাদের মধ্যে যে পবিত্র মদীনা থেবুক
বেরিয়ে যাবে সেও নিরাপদ ৷ যেতার নিজগৃহে অবস্থান করবুব বুসও নিরাপদ ৷ যে তার অস্ত্র
সমর্পণ কারবুব সেও নিরাপদ ৷ তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের কো ন ইচ্ছা নেই ৷ আমরা
শুধু মুহা ৷ম্মাদবুক চইি ৷ তাকে আমরা খলীফার কাছে নিয়ে যাব ৷ তখন (উপস্থিত) মদীনাবা সীত ৷ তাবুক
গালমন্দ করতে শুরু কবুর , তার মাবুয়র সম্পর্কে কটুক্তি করবুত থাকে এবং কদর্য কথা বলবুত
থাবুক এবং তাবুক বিশ্ৰীভাবুব সম্বোধন করতে থাবুক ৷ এসময় তারা তাবুক বলে, ইনি হবুলন
আল্লাহর রাসুলে দৌহিত্র, আমাদের সাথে রয়েছেন, আর আমরাও তার সাথে রবুয়ছি ৷ আমরা তার
পক্ষে লড়াই করব ৷

ন্সাল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (১০ম খণ্ড) ২১


بِأَهْلِيهِمْ مِنْهَا لِئَلَّا يَشْهَدُوا الْقِتَالَ بِهَا، فَنَزَلُوا الْأَعْرَاضَ وَرُءُوسَ الْجِبَالِ، وَقَدْ بَعَثَ مُحَمَّدٌ أَبَا الْقَلَمَّسِ لِيَرُدَّهُمْ عَنِ الْخُرُوجِ، فَلَمْ يُمْكِنْهُ ذَلِكَ فِي أَكْثَرِهِمْ، وَاسْتَمَرُّوا ذَاهِبِينَ. وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدٌ لِرَجُلٍ: أَتَأْخُذُ سَيْفًا وَرُمْحًا وَتَرُدُّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ خَرَجُوا مِنَ الْمَدِينَةِ؟ فَقَالَ: نَعَمْ، إِنْ أَعْطَيْتَنِي رُمْحًا أَطْعَنُهُمْ بِهِ وَهُمْ بِالْأَعْرَاضِ، وَسَيْفًا أَضْرِبُهُمْ بِهِ وَهُمْ فِي رُءُوسِ الْجِبَالِ فَعَلْتُ. فَسَكَتَ مُحَمَّدٌ، ثُمَّ قَالَ: وَيْحَكَ! إِنَّ أَهْلَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ وَخُرَاسَانَ قَدْ بَيَّضُوا - يَعْنِي لَبِسُوا الْبَيَاضَ - مُوَافَقَةً لِي وَخَلَعُوا السَّوَادَ. فَقَالَ: وَمَا يَنْفَعُنِي أَنْ لَوْ بَقِيَتِ الدُّنْيَا زُبْدَةً بَيْضَاءَ وَأَنَا فِي مِثْلِ صُوفَةِ الدَّوَاةِ، وَهَذَا عِيسَى بْنُ مُوسَى نَازِلٌ بِالْأَعْوَصِ؟ ! ثُمَّ جَاءَ عِيسَى بْنُ مُوسَى، فَنَزَلَ بِجَيْشِهِ قَرِيبًا مِنَ الْمَدِينَةِ، عَلَى مِيلٍ مِنْهَا، فَقَالَ لَهُ دَلِيلُهُ ابْنُ الْأَصَمِّ: إِنِّي أَخْشَى إِذَا كَشَفْتُمُوهُمْ أَنْ يَرْجِعُوا إِلَى مُعَسْكَرِهِمْ سَرِيعًا قَبْلَ أَنْ تُدْرِكَهُمُ الْخَيْلُ. ثُمَّ ارْتَحَلَ بِهِ فَأَنْزَلَهُ الْجَرْفَ عَلَى سِقَايَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَلَى أَرْبَعَةِ أَمْيَالٍ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَذَلِكَ يَوْمَ السَّبْتِ لِصُبْحِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَالَ: إِنَّ الرَّاجِلَ إِذَا هَرَبَ لَا يَقْدِرُ عَلَى الْهَرْوَلَةِ أَكْثَرَ مِنْ مِيلَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ، فَتُدْرِكُهُ الْخَيْلُ. وَأَرْسَلَ عِيسَى بْنُ مُوسَى خَمْسَمِائَةِ فَارِسٍ فَنَزَلُوا عِنْدَ الشَّجَرَةِ فِي طَرِيقِ مَكَّةَ، وَقَالَ لَهُمْ: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ إِنْ هَرَبَ فَلَيْسَ لَهُ مَلْجَأٌ إِلَّا مَكَّةَ فَاقْتُلُوهُ وَحُولُوا
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৩

১৬২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া

তারপর যখন তৃতীয় দিন হয়, তখন ঈসা ইবন মুসা এমন অস্ত্র-শ্ ৷স্ত্র সজ্জিত অশ্বারোহী ও
পদ৷ ৷তিক সৈন্য নিয়ে তাদের সামনে উপস্থিত হন যে, পুর্বে এমনটি কেউ দােখনি ৷ তখন তিনি
মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে মুহাম্মাদ আযীরুল মু ’মিনীন আমাকে নির্দেশ
দিয়েছেন তোমাকে তার আনুগত্যের দিকে আহ্বান করার পুর্বে৫ত তোমার বিরুদ্ধে লড়াই না
করতে ৷ যদি তুমি তা করত তাহলে তিনি তোমাকে নিরাপত্তা দিবেন, তোমার ঋণ ৷সমুহ পরিশোধ
করবেন, তোমাকে ধন-সম্পত্তি ও তুসম্পত্তি দান করবেন ৷ আর যদি তুমি অম্বীকা ৷র কর তাহলে
আমি তোমার বিরুদ্ধে লড়াই করব ৷ কেননা, ইতিমধ্যে আমি তোমাকে একাধিকবার তার
আনুগত্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি ৷ তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ তাকে ডেকে বলেন,
তোমাদের জন্য আমাদের কাছে লড়াই ছাড়া এর কোন জবাব নেই ৷ তখন উভয় দলের মাঝে
যুদ্ধের সুচনা হয় ৷ ঈস৷ ইবন মুসার সৈন্য সংখ্যা ছিল চার হাজারের অধিক, এদের অগ্রবর্তী
বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল হুমায়দ ইবন কাহতাবা দক্ষিণ বাহুর নেতৃত্বে ছিল মুহাম্মাদ ইবন সাফ্ফাহ,
উত্তর বাহু বা বামপাশ্বেরি নেতৃত্বে ছিল দাউদ ইবন কাররার, আর পশ্চাদতাগের নেতৃত্বে ছিল
হায়ছাম ইবন শু’ বা ৷৩ তাদের ছিল অভুতপুর্ব সমরসজ্জা ৷ ঈস৷ ইবন মুসা তার সহযোদ্ধাদের সকল
ক্ষেত্রে বিভক্ত করে বিনম্ভে করেন ৷ আর মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহর যােদ্ধাদের সং খ্যা ছিল বদর
যোদ্ধাদের কয়েকগুণ ৷ এরপর উভয় বাহিনী প্রচণ্ড সংঘষে লিপ্ত হয় ৷ এসময় মুহ ম্মা৷দ তার বাহন

থেকে নেমে যুদ্ধে অগ্রসর হন ৷ বর্ণিত আছে৩ তিনি একাই ঈস৷ ইবন মুসা র বাহিনীর সতরজন বীর
যোদ্ধাকে হত্যা করেন ৷ এদিকে ইরাকী ফৌজ তাদেরকে ঘিরে ফেলে এবং মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের একদল যোদ্ধাকে হত্যা করে ৷ তারা এদের খননকৃত পরিখ৷ অতিক্রম
করে আক্রমণ করে যাতে এরা কয়েকটি প্রবেশ দ্বারও নির্ধারণ করেছিল ৷ বর্ণিত আছে ইরাকীরা
তাদের উটের হাওদ৷ দিয়ে পরিখার গ্র্ত পুর্ণকার সে স্থান অতিক্রম করে ৷ অবশ্য এও হতে পারে
যে তারা একন্থানে এরুপ এবং অন্যস্থানে সেরুপ করেছিল ৷ আল্লাহই অধিক জানেন ৷

এভাবে যুদ্ধ চলতে থাকে এমনকি আসরের নামায পড়া হয় ৷ এরপর মুহাম্মাদ ও তার
সহযোদ্ধারা যখন আসরের নামায পড়েন, তখন তারা সালা’ পাহাড়ের উপত্যাকার প্রবাহস্থুলে
অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ এসময় তিনি তার তরবারির খাপ ভেঙ্গে ফেলেন এবং তার ঘোড়াকে হত্যা
করেন ৷ আর তার অনুকরণে তার সহ্য়ােদ্ধারাণ্ড তা করে এবং নিজেদেরকে লড়াইয়ের জন্য
ধৈর্যশীল করে তোলেন ৷ এরপর প্রচণ্ড ও চুড়ান্ত লড়াই শুরু হয় এবং ইরাকী ফৌজ বিজয় লাভ
করে ৷ তখন তারা সালা’ পাহাড়ের চুড়ায় কাল ঝাও৷ ৷াউত্তে ৷লন করে ৷ এরপর ত ৷র৷ পবিত্র মঙ্গীন
নিকটবর্তী হয় এবং সেখানে প্রবেশ করে মসজিদে নববীর উপর কা ল ঝাও ৷উত্তোলন করে

মুহা স্ম ৷ দেব সহযােদ্ধারা যখন এই অবস্থা প্রত্যক্ষ করে, তখন তা ৷রা ঘোষণা করে পবিত্র মদীন
আমাদের হাতছাড়৷ হয়েছে এবং পলায়ন করে ৷ আর মুহাম্মাদ সামান্য সং খ্যক সহযােদ্ধ৷ নিঃয়
লড়তে থাকেন ৷ এরপর তিনি সম্পুর্ণ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন ৷ এসময় তার হা তে ছিল একটি ধ ৰ্বা
ও মসৃণ তরবারি যা দিয়ে তিনি তার দিকে অগ্রসরমান প্রত্যেককে আঘাত করেছিলেন ৷ যেই তার
সামনে দীড়ায় তাকেই তিনি চিররুিদায় শায়িত করে দেন ৷ এভাবে তিনি বেশ কয়েকজন ইরর্ধ্বন্নী
বীরকে হত্যা করেন ৷ বর্ণিত আছে এদিন তার হাতে ছিল যুলফিকার ১ ৷ এরপর ক্রমান্বয়ে তার

১ হযরত আলী ইবন আবুতালিবের তরবারির নাম ৷




بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا. ثُمَّ أَرْسَلَ عِيسَى إِلَى مُحَمَّدٍ يَدْعُوهُ إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالرُّجُوعِ إِلَى الْمُبَايَعَةِ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ; فَإِنَّهُ قَدْ أَعْطَاهُ الْأَمَانَ لَهُ وَلِأَهْلِ بَيْتِهِ إِنْ هُوَ أَجَابَ إِلَى ذَلِكَ. فَقَالَ مُحَمَّدٌ لِلرَّسُولِ: لَوْلَا أَنَّ الرُّسُلَ لَا تُقْتَلُ لَقَتَلْتُكَ. ثُمَّ بَعَثَ إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى يَقُولُ لَهُ: إِنِّي أَدْعُوكَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاحْذَرْ أَنْ تَمْتَنِعَ فَأَقْتُلَكَ فَتَكُونَ شَرَّ قَتِيلٍ، أَوْ تَقْتُلَنِي فَتَكُونَ قَدْ قَتَلْتَ مَنْ دَعَاكَ إِلَى كِتَابِ اللَّهِ وَسُنَّةِ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ جَعَلَتِ الرُّسُلُ تَتَرَدَّدُ بَيْنَهُمَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، يَدْعُوهُ فِيهَا عِيسَى بْنُ مُوسَى إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَالرُّجُوعِ إِلَى الْجَمَاعَةِ، وَجَعَلَ عِيسَى يَقِفُ فِي كُلِّ يَوْمٍ مِنْ هَذِهِ الْأَيَّامِ الثَّلَاثَةِ عَلَى الثَّنِيَّةِ عِنْدَ سَلْعٍ فَيُنَادِي: يَا أَهْلَ الْمَدِينَةِ، إِنَّ دِمَاءَنَا عَلَيْنَا حَرَامٌ، فَمَنْ جَاءَ فَوَقَفَ تَحْتَ رَايَتِنَا فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ مَسْجِدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ دَخَلَ دَارَهُ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ خَرَجَ مِنَ الْمَدِينَةِ فَهُوَ آمِنٌ، وَمَنْ أَلْقَى سِلَاحَهُ فَهُوَ آمِنٌ، فَلَيْسَ لَنَا فِي قِتَالِكُمْ أَرَبٌ، وَإِنَّمَا نُرِيدُ مُحَمَّدًا وَحْدَهُ لِنَذْهَبَ بِهِ إِلَى الْخَلِيفَةِ. فَجَعَلُوا يَسُبُّونَهُ وَيَنَالُونَ مِنْ أُمِّهِ، وَيَتَكَلَّمُونَ مَعَهُ بِكَلَامٍ شَنِيعٍ، وَيُخَاطِبُونَهُ مُخَاطَبَةً فَظِيعَةً، وَقَالُوا: هَذَا ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَنَا وَنَحْنُ مَعَهُ، وَنُقَاتِلُ دُونَهُ. فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ أَتَاهُمْ فِي خَيْلٍ وَرِجَالٍ وَسِلَاحٍ وَرِمَاحٍ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا، فَنَادَاهُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ أَمَرَنِي أَنْ لَا أُقَاتِلَكَ حَتَّى أَدْعُوَكَ إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، فَإِنْ فَعَلْتَ أَمَّنَكَ، وَقَضَى دَيْنَكَ، وَأَعْطَاكَ أَمْوَالًا وَأَرَاضِيَ، وَإِنْ أَبَيْتَ قَاتَلْتُكَ، فَقَدْ دَعَوْتُكَ غَيْرَ مَرَّةٍ. فَنَادَاهُ مُحَمَّدٌ: إِنَّهُ لَيْسَ لَكُمْ عِنْدِي إِلَّا الْقِتَالُ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৪
فَنَشِبَتِ الْحَرْبُ حِينَئِذٍ بَيْنَهُمْ، وَكَانَ جَيْشُ عِيسَى بْنِ مُوسَى فَوْقَ الْأَرْبَعَةِ آلَافٍ، عَلَى الْمُقَدِّمَةِ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، وَعَلَى مَيْمَنَتِهِ مُحَمَّدٌ ابْنُ السَّفَّاحِ، وَعَلَى الْمَيْسَرَةِ دَاوُدُ بْنُ كَرَّازٍ، وَعَلَى السَّاقَةِ الْهَيْثَمُ بْنُ شُعْبَةَ، وَمَعَهُمْ عُدَدٌ لَمْ يُرَ مِثْلُهَا، وَفَرَّقَ عِيسَى أَصْحَابَهُ، فِي كُلِّ قُطْرٍ طَائِفَةً، وَكَانَ مُحَمَّدٌ وَأَصْحَابُهُ عَلَى عِدَّةِ أَهْلِ بَدْرِ وَاقْتَتَلَ الْفَرِيقَانِ قِتَالًا شَدِيدًا جِدًّا، وَتَرَجَّلَ مُحَمَّدٌ إِلَى الْأَرْضِ فَيُقَالُ: إِنَّهُ قَتَلَ بِيَدِهِ مِنْ أُولَئِكَ سَبْعِينَ رَجُلًا، وَأَحَاطَ بِهِمْ أَهْلُ الْعِرَاقِ، فَقَتَلُوا طَائِفَةً مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَاقْتَحَمُوا عَلَيْهِمُ الْخَنْدَقَ الَّذِي كَانُوا حَفَرُوهُ، وَعَمِلُوا أَبْوَابًا عَلَى قَدْرِهِ، وَقِيلَ: إِنَّهُمْ رَدَمُوهُ بِحَدَائِجِ الْإِبِلِ حَتَّى أَمْكَنَهُمْ أَنْ يَجُوزُوهُ، وَقَدْ يَكُونُ هَذَا فِي مَوْضِعٍ مِنْهُ، وَهَذَا فِي مَوْضِعٍ آخَرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَمْ يَزَلِ الْقِتَالُ نَاشِبًا بَيْنَهُمْ مِنْ بُكْرَةِ النَّهَارِ حَتَّى صُلِّيَتِ الْعَصْرُ، فَلَمَّا صَلَّى مُحَمَّدٌ الْعَصْرَ نَزَلَ إِلَى مَسِيلِ الْوَادِي بِسَلْعٍ، فَكَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ، وَعَقَرَ فَرَسَهُ، وَفَعَلَ أَصْحَابُهُ مِثْلَهُ، وَصَبَّرُوا أَنْفُسَهُمْ لِلْقِتَالِ وَحَمِيَتِ الْحَرْبُ حِينَئِذٍ جِدًّا، فَاسْتَظْهَرَ أَهْلُ الْعِرَاقِ، وَرَفَعُوا رَايَةً سَوْدَاءَ فَوْقَ سَلْعٍ، ثُمَّ دَنَوْا إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَخَلُوهَا وَنَصَبُوا رَايَةً سَوْدَاءَ فَوْقَ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ تَنَادَوْا: دُخِلَتِ الْمَدِينَةُ. وَهَرَبُوا وَبَقِيَ مُحَمَّدٌ فِي شِرْذِمَةٍ قَلِيلَةٍ جِدًّا. ثُمَّ بَقِيَ وَحْدَهُ وَفِي يَدِهِ سَيْفٌ صَلْتٌ يَضْرِبُ بِهِ مَنْ تَقَدَّمَ
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৫


বিরুদ্ধে সমবেত যােদ্ধার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৷ তখন এক ব্যক্তি অগ্রসর হয়ে তার ডানদিকের
কানপট্টির নীচে তরবারি দিয়ে আঘাত করে, তখন তিনি ন্হীটু থেড়ে বসে পড়েন এবং আত্মরক্ষা
করা অবস্থায় বলতে থাকেন, তোমাদের দুর্ভাগ্য ! তোমাদের আঘাতে তোমাদের নবী দৌহিত্র
আজ ক্ষতবিক্ষত ৷ আর এসময় হুমায়দ ইবন কাহতাবা অন্যদেরকে তাকে হত্যা করতে নিষেধ
করে ৷ তখন সকলে পিছিয়ে আসে ৷ এই ফাকে হুমায়দ নিজে অগ্রসর হয়ে তরবারির আঘাতে
তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে এরপর তা নিয়ে এসে ঈসা ইবন মুসার সামনে উপস্থিত করে ৷ আর
ইতিপুর্বে হুমায়দ শপথ করেছিল যে তাকে দেখামাত্র সে তাকে হত্যা করবে ৷ ঘটনাক্রমে আহত
অবন্থায়ই সে তার সাক্ষাৎ পায় ৷ যদি সে অক্ষত অবস্থায় তার সাক্ষাত পেত তাহলে হুমায়দ কিংবা
অন্য কারও পক্ষেও তাকে হত্যা করা সম্ভব হত না ৷

মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় আহজারুয যায়ত নামক
স্থানে একশ পয়তাল্লিশ হিজরীর রমযান মাসের চৌদ্দ তারিখ রবিবার ৷ ঈসা ইবন মুসার সামনে
যখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের মাথা রাখা হয়, তখন তিনি তার সহচরদের বলেন,
তার ব্যাপারে তোমরা কী বল ৷ কয়েক ব্যক্তি তার সম্পর্কে মানহানিমুলক কথা বলে ৷ এক ব্যক্তি
বলে, আল্লাহর কসম ! তোমরা মিথ্যা বলেছ, তিনি তো পরহেযগার ও ইবাদতগুযার ছিলেন, তবে
তিনি আমীরুল মু’মিনীনের বিরোধিতা করে মুসলমানদের ঐক্য নষ্ট করেছেন, তাই আমরা তাকে
হত্যা করেছি ৷ তারা সকলে নির্বাক হয়ে যায় ৷ আর তার তরবারি যুলফিকার আব্বাসীয়দের হস্তগত
হয় এবং তারা বংশ পরম্পরায় তার উত্তরাধিকারী হতে থাকে এমনকি তাদের কেউ একজনতা
পরখ করে দেখে, যে তা দ্বারা একটি কুকুরকে আঘাত করে তখন তা কর্তিত হয় ৷ ইবন জারীর
ও অন্যান্যরা তা উল্লেখ করেছেন, এই অভিযানের বর্ণনা প্রসঙ্গে খলীফা মানসুরের কাছে এ সংবাদ
পৌছে যে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করেন ৷ তিনি
বলেন, এটা হতে পারে না ৷ কেননা, আমরা আহলে বায়ত পলায়ন করি না ৷

ইবন জারীর বর্ণনা করেছেন আবদুল্লাহ ইবন রাশিদ সুত্রে আবুল হাজ্জাজ থেকে ৷ তিনি বলেন,
(একবার) আমি খলীফা মানসুরের শিয়রে দীড়িয়ে ছিলাম আর তিনি আমাকে মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের বিদ্রোহ সম্পর্কে প্রশ্ন করছেন ৷ এমন সময় তার কাছে সংবাদ পৌছে যে
ঈসা ইবন মুসা পরাস্ত হয়েছেন ৷ এসময় মানসুর হেলান দিয়ে বলেছিলেন একথা শুনে তিনি সেজাে
হয়ে বলেন এবং তার হাতের ছড়ি বা দণ্ড দিয়ে তার জায়নামায়ে আঘাত করে বলেন, এটা কখনও
হতে পারে না ৷

এদিকে ঈসা ইবন মুসা কাসিম ইবন হাসানকে সুসংবাদ বাহকরুপে এবং ইবন আবুল
কিরামকে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের মস্তকবহনকারীরুগে খলীফা মানসুরের কাছে
পাঠান ৷ এরপর তার নির্দোশ মুহাম্মাদের অবশিষ্ট দেহ জান্নাতৃল বাকীতে দাফন করা হয় ৷ আর
তার সাথে নিহতদের পবিত্র মদীনায় উপকণ্ঠে তিনদিন শুলবিদ্ধ করে রাখা হয় ৷ তিনদিন পর
সেগুলি সালা’ পাহাড়ের পাদদেশে ইয়াহদীদের সমাধিন্থলে ফেলে রাখা হয় ৷ তারপর সেখান
থেকে সেখানকার এক পরিথায় স্থানান্তরিত করা হয় ৷ ঈসা ইবন মুসা হাসানী পরিবারের সকল
অর্থ-সষ্পদ করায়ত্ত করলে খলীফা মানসুর তার জন্য তাকে অনুমোদন করেন ৷ বর্ণিত আছে, তিনি
পরবর্তীতে তাদেরকে তা ফিরিয়ে দেন ৷ ইবন জারীর তা বংনাি করেছেন ৷ এসময় পবিত্র

ধ্ শ্

إِلَيْهِ، فَلَا يَقُومُ لَهُ شَيْءٌ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ فِي يَدِهِ يَوْمَئِذٍ ذُو الْفَقَارِ. ثُمَّ تَكَاثَرَ عَلَيْهِ النَّاسُ، فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ رَجُلٌ، فَضَرَبَهُ بِسَيْفِهِ تَحْتَ شَحْمَةِ أُذُنِهِ الْيُمْنَى فَسَقَطَ مُحَمَّدٌ لِرُكْبَتَيْهِ، وَجَعَلَ يَحْمِي نَفْسَهُ، وَيَقُولُ: وَيْحَكُمُ ابْنُ نَبِيِّكُمْ مَجْرُوحٌ مَظْلُومٌ. وَجَعَلَ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ يَقُولُ: وَيْحَكُمْ دَعُوهُ لَا تَقْتُلُوهُ. فَأَحْجَمَ عَنْهُ النَّاسُ، وَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ حُمَيْدُ بْنُ قَحْطَبَةَ، فَاحْتَزَّ رَأْسَهُ، وَذَهَبَ بِهِ إِلَى عِيسَى بْنِ مُوسَى، فَوَضَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَكَانَ حُمَيْدٌ قَدْ حَلَفَ أَنْ يَقْتُلَهُ مَتَى رَآهُ، فَمَا أَدْرَكَهُ إِلَّا كَذَلِكَ. وَكَانَ مَقْتَلُ مُحَمَّدٍ عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ، لِأَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ سَنَةَ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ، وَقَدْ قَالَ عِيسَى بْنُ مُوسَى لِأَصْحَابِهِ حِينَ وُضِعَ رَأْسُهُ بَيْنَ يَدَيْهِ: مَا تَقُولُونَ فِيهِ؟ فَنَالَ مِنْهُ أَقْوَامٌ وَتَكَلَّمُوا فِيهِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ: كَذَبْتُمْ وَاللَّهِ، لَقَدْ كَانَ صَوَّامًا قَوَّامًا، وَلَكِنَّهُ خَالَفَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَشَقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ، فَقَتَلْنَاهُ عَلَى ذَلِكَ. فَسَكَتُوا حِينَئِذٍ. وَأَمَّا سَيْفُهُ ذُو الْفَقَارِ فَإِنَّهُ صَارَ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ يَتَوَارَثُونَهُ بَيْنَهُمْ حَتَّى جَرَّبَهُ بَعْضُهُمْ، فَضَرَبَ بِهِ كَلْبًا، فَانْقَطَعَ السَّيْفُ. ذَكَرَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَغَيْرُهُ. وَقَدْ بَلَغَ الْمَنْصُورَ فِي غُبُونِ هَذَا الْأَمْرِ أَنَّ مُحَمَّدًا فَرَّ مِنَ الْحَرْبِ، فَقَالَ: لَا، إِنَّا أَهْلُ بَيْتٍ لَا نَفِرُّ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৬


মদীনাবাসীকে নিরাপত্তার ঘোষণা শোনান হয়, ফলে লোকজন (স্বাভাবিক জীবনে ফিরে) সকালে
(ক্রয় বিক্রয়েয় উদ্দেশ্যে) বাজারে সমবেত হয় ৷ আর মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ যেদিন নিহত হন,
৫এসদিন বৃষ্টির কারণে ঈসা ইবন মুসা৩ায় ৷ফৌজ নিয়ে অপেক্ষাকৃত উচুস্থা ন জারাফে গমন করেন
বংজারাফ থেকে মসজিদে আসা-যাওয়৷ করতে থাকেন ৷ এসময়৩ তিনি য়মযান মাসেয় উনিশ
তারিখ পর্যন্ত পবিত্র মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর তিনি পবিত্র মক্কাভিমুখে বের হন ৷ সেখানে
তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্য় পক্ষ থােক হাসান ইবন মুআবিয়৷ নিহত হবার পুর্বে মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ তাকে তার কাছে আগমনের জন্য পত্র লিখেন ৷ এরপর সে যখন পবিত্র মক্কাতিমুখে
বের হয়ে কিছু পথ অতিক্রম করে তখন তার কাছে মুহাম্মাদেয় নিহত হওয়ার সংবাদ পৌছে ৷ সে
তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহয় ভইি ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র কাছে বসরায় পলায়ন করে ৷ যিনি
বসরায় বিদ্রোহ করেছিলেন ৷ এরপর এবছর তিনিও নিহত হন যেমন আমরা শীঘ্রই উল্লেখ করব ৷

খলীফা৷ মা নসুরের কাছে যখন মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্ল৷ হ ৷ইবনাস হাস ৷নেয় মাথ৷ উপস্থিত করা হয়,

তিনি নির্দেশ প্রদান করেন, ফলে একটি সাদা তশতরীতে রেখে তাকে প্রদক্ষিণ করানো হয় ৷
এরপর তাকে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রদক্ষিণ করানো হয় ৷ এরপর খলীফ৷ ৷মানসুর মুহাম্মাদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন হাসানের সাথে বিদ্রোহকারী সস্রাম্ভ ও নেতৃস্থানীয় পবিত্র মদীনাবাসীদের ডেকে
পাঠান ৷ এসময় তিনি তাদের কতককে হত্যা করেন, কতককে নির্দয়ভাবে প্রহায় করেন ৷ আর
কতককে ক্ষমা করেন ৷ এদিকে ঈসা ইবন মুসা যখন পবিত্র মক্কাভিমুখে রওনা হন, তখন তিনি
কাহীয় ইবন হাসীনকে পবিত্র মদীনায় প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ মাসখানেক দ ৷য়িতু পালনের পর
খলীফা৷ ম৷ নসুর আবদুল্লাহ ইবন রাবীআকে তার গভর্নর নিয়োগ করে পাঠানত ৷৩ ৷র নেতৃত্বাধীন
সৈন্যরা এসে পবিত্র মদীনায় ভৈনরাজ্য সৃষ্টি করে ৷৩ তারা পণ্যদ্রব্য কিনে তার মুল্য পরিশোধ করত
না, তাদের কাছে মুল্য চাওয়া হলে তারা পাওনাদায়কে প্রহার করত এবং হত্যার ভয় দেখাত ৷ এ
অবস্থায় হঠাৎ একদিন কৃষ্ণাঙ্গদেয় একটি দল তাদের বিরুদ্ধে সমবেত হয়েত তাদের শিক্ষা ৷য় কুক
দেয় ৷ তখন এই সৎকেতে পবিত্র মদীনাবাসী সকল কৃষ্ণাঙ্গ একত্রিত হয়ে কাহীর ইবন হাসীন ও
তার সৈন্যদের উপর একযোগে আক্রমণ করে যখন তারা জুমুআ র উদ্দেশ্যে রওনা হয় ৷ আ য় এই
আক্রমণ সংঘটিত হয় এ বছরের যুলহাজ্জ জ্জামাসের তেইশ তারিখ, কা রও মতে এবছরের শ ৷৷ওয়াল

মাসের পচিশ৩ ৷রিখ ৷ এই আক্রমণে কৃষ্ণাঙ্গর৷ ক্ষুদ্রকায় বর্শা ইত্যাদি৷ দ্ব ৷র৷ বহু সং খ্যক সৈন্যকে
হত্যা করে আ য় আমীর আবদুল্লাহ ইবন রাবীআ জুমুআ র ৷নামায ছেড়ে পলায়ন করে ৷ আর এসময়
কৃষ্ণাঙ্গদেয় নেতা ছিল, ওয়াহীক, ইয়াকাল, রুমাকা, হুদায়স, উনকুদ, মিসআয় ও আবুনৃনার ৷
এরপর আবদুল্লাহ ইবন রাবীআ তার নিয়মিত যােদ্ধাবাহিনী নিয়ে বের হয় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের
মুখোমুখি হয় ৷ কিন্তু এবারও তারা তাকে পরাজিত করে এবং বাকী পর্যন্ত তার পশ্চাদবন করে
তখন সে তাদেরকে লক্ষ্য করে তার পরিধেয় মুল্যবান চাদর নিক্ষেপ করে তাদেরকে হস্তগত
করার জন্য ব্যস্ত করে ফলে সে নিজে এবং তার সহযোদ্ধারা রক্ষা পায় ৷ ঐসময় সে গিয়ে পবিত্র
মদীনা থেকে দুই দিনের দুরত্বে বাতন নাখল নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ এদিকে কৃষ্ণাঙ্গয়া
সমুদ্রপথে আমদানীকৃত মারওয়ান গৃহে রক্ষিত খলীফ৷ মানসুরেব খাদ্যভাণ্ডারেয় সন্ধান পেয়ে তা
লুণ্ঠন করে ৷ এছাড়া তারা পবিত্র মদীনায় অবস্থানরত সৈনিকদেয় জন্য বরাদ্দকৃত আট৷ ও ময়দা ও
অন্যান্য দ্রব্য লুট করে এবং তা অতি সস্তা মুলে বিক্রি করে ৷ এরপর খলীফ৷ মানসুরেব কাছে যখন


وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَاشِدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو الْحَجَّاجِ قَالَ: إِنِّي لَقَائِمٌ عَلَى رَأْسِ الْمَنْصُورِ، وَهُوَ مُسَائِلِي عَنْ مَخْرَجِ مُحَمَّدٍ، إِذْ بَلَغَهُ أَنَّ عِيسَى قَدْ هُزِمَ - وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ - فَضَرَبَ بِقَضِيبٍ مَعَهُ مُصَلَّاهُ وَقَالَ: كَلَّا، فَأَيْنَ لَعِبُ صِبْيَانِنَا بِهَا عَلَى الْمَنَابِرِ وَمَشُورَةُ النِّسَاءِ؟ مَا أَنَى لِذَلِكَ بَعْدُ! وَبَعَثَ عِيسَى بِالْبِشَارَةِ إِلَى الْمَنْصُورِ مَعَ الْقَاسِمِ بْنِ الْحَسَنِ، وَبِالرَّأْسِ مَعَ ابْنِ أَبِي الْكِرَامِ، ثُمَّ أَذِنَ فِي دَفْنِ جُثَّةِ مُحَمَّدٍ فَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ، وَأَمَرَ بِأَصْحَابِهِ الَّذِينَ قُتِلُوا مَعَهُ فَصُلِبُوا صَفَّيْنِ ظَاهِرَ الْمَدِينَةِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، ثُمَّ طُرِحُوا عَلَى مَقْبَرَةِ الْيَهُودِ عِنْدَ سَلْعٍ، ثُمَّ نُقِلُوا إِلَى خَنْدَقٍ هُنَاكَ، وَأَخَذَ أَمْوَالَ بَنِي حَسَنٍ كُلَّهَا، فَسَوَّغَهَا لَهُ الْمَنْصُورُ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ رَدَّهَا بَعْدَ ذَلِكَ إِلَيْهِمْ. حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَنُودِيَ فِي أَهْلِ الْمَدِينَةِ بِالْأَمَانِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ فِي أَسْوَاقِهِمْ، وَتَرَفَّعَ عِيسَى بْنُ مُوسَى إِلَى الْجَرْفِ مِنْ مَطَرٍ أَصَابَ النَّاسَ يَوْمَ قَتْلِ مُحَمَّدٍ، وَجَعَلَ يَنْتَابُ الْمَسْجِدَ مِنَ الْجَرْفِ، وَأَقَامَ بِالْمَدِينَةِ إِلَى الْيَوْمِ التَّاسِعَ عَشَرَ مِنْ رَمَضَانَ، ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا قَاصِدًا مَكَّةَ، وَكَانَ بِهَا الْحَسَنُ بْنُ مُعَاوِيَةَ مِنْ جِهَةِ مُحَمَّدٍ، وَكَانَ قَدْ كَتَبَ إِلَيْهِ لِيَقْدَمَ عَلَيْهِ، فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ مَكَّةَ وَكَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ، تَلَقَّتْهُ الْأَخْبَارُ بِقَتْلِ مُحَمَّدٍ، فَاسْتَمَرَّ فَارًّا إِلَى الْبَصْرَةِ إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، الَّذِي كَانَ قَدْ خَرَجَ بِهَا، ثُمَّ قُتِلَ بَعْدَ أَخِيهِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৮৭
وَلَمَّا جِيءَ الْمَنْصُورُ بِرَأْسِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ فَوُضِعَ بَيْنَ يَدَيْهِ، أَمَرَ فَطِيفَ بِهِ فِي طَبَقٍ أَبْيَضَ، ثُمَّ طِيفَ بِهِ فِي الْأَقَالِيمِ بَعْدَ ذَلِكَ. ثُمَّ شَرَعَ الْمَنْصُورُ فِي اسْتِدْعَاءِ مَنْ خَرَجَ مَعَ مُحَمَّدٍ مِنْ أَشْرَافِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَتَلَهُ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَضْرِبُهُ ضَرْبًا مُبَرِّحًا، وَمِنْهُمْ مَنْ يَعْفُو عَنْهُ. وَلَمَّا تَوَجَّهَ عِيسَى بْنُ مُوسَى إِلَى مَكَّةَ اسْتَنَابَ عَلَى الْمَدِينَةِ كُثَيِّرَ بْنَ حُصَيْنٍ، فَاسْتَمَرَّ شَهْرًا حَتَّى بَعَثَ الْمَنْصُورُ عَلَى نِيَابَتِهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الرَّبِيعِ فَعَاثَ جُنْدُهُ فِي الْمَدِينَةِ فَسَادًا، وَاشْتَرَوْا مِنَ النَّاسِ أَشْيَاءَ لَا يُعْطُونَهُمْ ثَمَنَهَا، وَإِنْ طُولِبُوا بِذَلِكَ ضَرَبُوا الْمُطَالِبَ، وَخَوَّفُوهُ بِالْقَتْلِ، فَثَارَ عَلَيْهِمْ طَائِفَةٌ مِنَ السُّودَانِ; وَاجْتَمَعُوا وَنَفَخُوا فِي بُوقٍ لَهُمْ، فَاجْتَمَعَ عَلَى صَوْتِهِ كُلُّ أَسْوَدٍ فِي الْمَدِينَةِ وَحَمَلُوا عَلَيْهِمْ حَمْلَةً وَاحِدَةً وَهُمْ ذَاهِبُونَ إِلَى الْجُمْعَةِ، لِسَبْعٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - وَقِيلَ: لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ شَوَّالٍ مِنْهَا - فَقَتَلُوا مِنْهُمْ طَائِفَةً كَثِيرَةً وَهَرَبَ نَائِبُ الْمَدِينَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرَّبِيعِ، وَتَرَكَ صَلَاةَ الْجُمْعَةِ، وَكَانَ رُؤَسَاءُ السُّودَانِ; وَثِيقٌ، وَيَعْقِلُ، وَرُمْقَةُ، وَحَدْيَا، وَعُنْقُودٌ، وَمِسْعَرٌ وَأَبُو قَيْسٍ، وَأَبُو النَّارِ، فَرَكِبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الرَّبِيعِ فِي جُنُودِهِ وَالْتَقَى مَعَ السُّودَانِ فَهَزَمُوهُ، وَمَضَى فَلَحِقُوهُ بِالْبَقِيعِ، فَأَلْقَى لَهُمْ دَرَاهِمَ شَغَلَهُمْ بِهَا، حَتَّى نَجَا بِنَفْسِهِ وَمَنِ اتَّبَعَهُ، فَلَحِقَ بِبَطْنِ نَخْلٍ عَلَى لَيْلَتَيْنِ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَوَقَعَ السُّودَانُ عَلَى طَعَامٍ لِلْمَنْصُورِ كَانَ