আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة أربع وأربعين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৯৬৫


হয়েছে ৷ আমাদের শায়খ তার আত্-তাহযীব গ্রন্থেআমরের জীবনী বিশদভাবে উল্লেখ করেছেন ৷
আর আমরা তার সারাংশ আমাদের গ্রন্থ আত্-তাকমীলে উল্লেখ করেছি ৷ আর এখানে আমরা তার

অংশবিশেষ উল্লেখ করলাম যাতে তার দ্বারা কেউ ঘেকােগ্রস্ত না হয় ৷ আল্লাহ্পাক সর্বাধিক
জানেন ৷

১ ৪৩ হিজরীর সুচনা

এবছর খলীফা মানসুর দায়লামীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযানে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করেন ৷ কেননা,
তারা বহু মুসলমানকে হত্যা করে ৷ এসময় তিনি কুফা ও বসরাবাসীকে নির্দেশ দেন তাদের মধ্য
থেকে যুদ্ধে সক্ষম দশ হাজারের অধিক যোদ্ধা সংগ্রহ করে নিয়মিত সেনাদলের সাথে
দায়লামীদের বিরুদ্ধে ষুদ্ধাভিয্ড়ানে শরীক হতে ৷ বিশাল ও বিপুল সংখ্যক যোদ্ধা স্বত;স্ফুর্তভাবে
তাতে সাড়া প্রদান করে ৷ এবছর কুফা ও তার অধীনস্ত অঞ্চলের গভর্নর ঈসা ইবন মুসা হজ্জ
পরিচালনা করেন ৷ এছাড়া এবছর হাজ্জাজ আস-সাওয়াফ, দীর্ঘকায় হুমায়দ ইবন করা এবং
সুলায়মড়ান ইবন তিরিখৃখান আত্-তায়মীর মৃত্যু হয় ৷ আর পুর্বের বছরের আলোচনায় আমরা তা
উল্লেখ করেছি ৷ এক মতানুযায়ী আমর ইবন উবায়দ এবং বিশুদ্ধ মতানুযায়ী লায়ছ ইবন আবু

সুলায়মও এবছর ইনতিকাল করেন ৷ এছাড়া ইয়া ইেয়া ইবন সাঈদ অড়াল-আনসারীও এবছর
ইনতিকাল করেন ৷

১৪৪ হিজরীর সুচনা

এ বছরও মুহাম্মাদ ইবন আবুল আব্বাস সাফফাহ-এর চাচা মড়ানসুরের নির্দেশে দায়লামীদের
ভুখখোভিমুখে অগ্রসর হন ৷ এ সময় তার সাথে কুফা, বসরা, ওয়াসিত, মুছেল ও জাযীরার
সৈন্যবাহিনী ছিল ৷ এছাড়া এবছর মানসুরের ছেলে মুহাম্মাদ আল-মাহদী খুরাসান থেকে তার

পিতার সাক্ষাতে আগমন করেন এবং তার চাচাতো বোন রাইতা ১ বিনৃত সাফ্ফাহ্র সাথে পরিণয়
সুত্রে আবদ্ধ হওয়ার পর নির্জন বাস করেন ৷ এবছর হজ্জ পরিচালনা করেন আবু জাফর মানসুর ৷
এসময় তিনি খাযিম ইবন খুযায়মাকে হিরার প্রশাসক এবং ফৌজের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করেন ৷
এছাড়া পবিত্র মদীনায় গভর্নর পদ থােক মুহাম্মাদ ইবন খালিদ আল-কাসরীকে অপসারণ করে

রাবাহ ইবন উছমান আলমুযানী ২ আল-মড়াদানীকে নিয়োগ করেন ৷ একশ চুয়াল্লিশ হিজরীর হঙ্গুজ্জর
সময় লোকজন খলীফা আবু জাফর মানসুরকে পবিত্র মক্কার পথের মধ্যস্থলে এসে অভ্যর্থনা
জানায় ৷ এসময় যারা তাকে অভ্যর্থনা জানায় তাদের মাঝে আবদুল্লাহ্ ইবন হাসান ইবন হাসান
ইবন আলী ইবন আবু তালিবও ছিলেন ৷ মানসুর তাকে তার সাথে একটি দস্তরখানে বসান ৷
তারপর তার সাথে মাত্রাতিরিক্ত মনোযোগের সাথে কথা বলতে শুরু করেন ৷ এমনকি এ কারণে
তার মধ্যাহ্নভােজনে সামান্য খাওয়া হয় ৷ এসময় মানসুর আবদুল্লাহ ইবন হাসানকে তার উভয়
ছেলে ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তারা সকলের সাথে আমার কাছে
আসেনি ? তখন আবদুল্লাহ্ কসম করে বলেন, যে তিনি আদৌ জানেন না তারা কোথায় রয়েছেন ৷
অবশ্য তিনি সত্যই বলেছিলেন, আর খলীফা মানসুরের এ প্রশ্নের কারণ ছিল, মারওয়ানের



১ ইবনুল আহীর (৫ খ : ৫১৩ পৃ,) আত্-তাবারী (৯ খ : ১৮০ পৃ) রায়তা ৷
২ আত্-তাবারী ও ইবনুল আহীরে রয়েছে ৷ আল-মুররী ৷


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ أَرْبَعٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَةٍ] فِيهَا سَارَ مُحَمَّدٌ ابْنُ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ عَنْ أَمْرِ عَمِّهِ الْمَنْصُورِ إِلَى بِلَادِ الدَّيْلَمِ، وَمَعَهُ الْجُيُوشُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَالْبَصْرَةِ وَوَاسِطَ وَالْمَوْصِلِ وَالْجَزِيرَةِ. وَفِيهَا قَدِمَ مُحَمَّدٌ الْمَهْدِيُّ ابْنُ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ عَلَى أَبِيهِ مِنْ بِلَادِ خُرَاسَانَ، وَدَخَلَ بِابْنَةِ عَمِّهِ رَيْطَةَ بِنْتِ السَّفَّاحِ بِالْحِيرَةِ. وَفِيهَا حَجَّ بِالنَّاسِ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ، وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْمِيرَةِ وَالْعَسْكَرِ خَازِمَ بْنَ خُزَيْمَةَ، وَوَلَّى رِيَاحَ بْنَ عُثْمَانَ الْمَرِّيَّ الْمَدِينَةَ، وَعَزَلَ عَنْهَا مُحَمَّدَ بْنَ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ. وَتَلَقَّى النَّاسُ أَبَا جَعْفَرٍ الْمَنْصُورَ فِي أَثْنَاءِ طَرِيقِ مَكَّةَ فِي حَجِّهِ سَنَةَ أَرْبَعِينَ، فَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ تَلَقَّاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَأَجْلَسَهُ الْمَنْصُورُ مَعَهُ عَلَى السِّمَاطِ، ثُمَّ جَعَلَ يُحَادِثُهُ، وَأَقْبَلَ عَلَيْهِ إِقْبَالًا زَائِدًا بِحَيْثُ اشْتَغَلَ بِذَلِكَ عَنْ عَامَّةِ غَدَائِهِ، وَسَأَلَهُ عَنِ ابْنَيْهِ; إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدٍ: لِمَ لَا جَاءَانِي مَعَ النَّاسِ؟ فَحَلَفَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ أَنَّهُ لَا يَدْرِي أَيْنَ صَارَا مِنْ أَرْضِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৬৬


খিলাফতের শেষের দিকে একদল হিজাযবাসী মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের খিলন্ফতের
অনুকুলে বায়আত গ্রহণ করে এবং মারওয়ানের বায়আত প্রত্যাহার করে ৷ আর যারা তার অনুকুলে
বায়আত করেছিল আবু জাফর মানসুর ছিলেন তাদের অন্যতম ৷ আর এটা ছিল মুসলমানদের
শাসন কর্তৃতৃ আব্বাসীয়দের হাতে স্থানান্তরিত হওয়ার পুর্বে ৷ এরপর আবু জাফর মানসুর যখন

খলীফা হন তখন মুহাম্মাদ ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন হাসান এবং তার ভইি ইব্রাহীম ভীষণ শঙ্কিত হয়ে
পড়েন ৷

খলীফা মানসুর ধারণা করেন অবশ্যই এরা দু’জন তার বিদ্রোহ করবেন ৷ যেমন, তারা
মারওয়ানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উদ্যত হয়েছিলেন ৷ আর মানসুরের এ ধারণা যখন বদ্ধমুল
হয় তখন এরা দু’জন দুরবর্তী কোন ভুখণ্ডে পলায়নের উদ্দেশ্যে ইয়ামানে উপনীত হন ৷ তারপর
তারা ভারতবর্ষে গমন করেন এবং সেখানে আত্মগােপন করেন ৷ তখন হাসান ইবন যায়দ তাদের
আত্মগোপন স্থান সম্পর্কে খলীফাকে অবহিত করলে তারা অন্য একস্থানে পলায়ন করেন ৷ এরপর
পুনরায় হাসান ইবন যায়দ তাদের সন্ধান লাভ করে খলীফাকে তাদের সন্ধান দেয় ৷ এভাবে
আরেকবার এর পুনরাবৃত্তি হয় ৷ আর সে মড়ানসুরের কাছে তাদের শত্রুতায় উঠে পড়ে লাগে ৷
আশ্চর্যের বিষয় হল, যে ছিল তাদেরই অনুসারী ৷ খলীফা মানসুর এদের দুজনকে ধরার জন্য
যথাসাধ্য চেষ্টা করেন ৷ কিত্তু তিনি তাতে ব্যর্থ হন ৷ এরপর তিনি যখন তাদের পিতাকে তাদের
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন ৷ তখন তিনি শপথ করে বলেন, তারা যে কোথায় গিয়ে পৌছেছে তিনি
তা জানেন না ৷ এরপর মানসুর আবদুল্লাহ ইবন হাসানকে তার উভয় ছেলের সন্ধান প্রদানের জন্য
পীড়াপীড়ি করলে তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে বলেন, আল্লাহর কসম ! তারা যদি আমার পায়ের নীচেও
আত্মগােপন করে থাকে তাহলেও আমি আপনাকে তাদের সন্ধান দিব না ৷ তখন মানসুর ক্রুদ্ধ হয়ে
তাকে কয়েদ করার নির্দেশ দেন এবং তার নির্দোশ আবদুল্লাহ ইবন হাসানের সকল ক্রীতদাস ও
ধনষ্সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হয় ৷ এরপর তিনি তিন বছর জেলথানায় কাটান ৷ এসময়
পরামর্শদাতারা মড়ানসুরকে পরামর্শ দেয় হাসানীদের সকলকে বন্দী করে রাখার জন্য ৷ তখন তিনি
তাদেরকে বন্দী করেন এবং ইব্রাহীম ও ঘুহাম্মাদের সন্ধানে তৎপর হন ৷

এই বিরুপ ও প্রতিকুল পরিবেশেও তারা (দু’ভইি) প্রায় বছরই হভ্রুজ্জ শরীক হতেন এবং হজ্জ
মৌসুমের অধিকাংশ সময় পবিত্র মদীনায় আত্মগোপন করে থাকতেন ৷ তা সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে
কৃটনামীকারীরা তাদের উপস্থিতি অনুভব করত না ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র ৷ এদিকে খলীফা
মানসুর একজনকে পবিত্র মদীনায় গভর্নর নিয়োগ এবং অন্যজনকে অপসারণ করতে থাকেন এবং
তাকে উৎসাহ দিতে থাকেন অর্থসম্পদ ব্যায়ে হলেও তাদের সন্ধান করে তাদেরকে বন্দী করতে
কিন্তু তাদের দৃজনের ব্যাপারে আল্লাহর ইচ্ছার তাকদীর তাকে ব্যর্থ ও অক্ষয় করে রাখে ৷ আবুল
অড়াসাকির থালিদ ইবন হাস্সান নামক খলীফা যানসুরের জনৈক আমীর গোপনে ইবরাহীম ও
মুহাম্মাদের সাথে হাত মেলায় ৷ এরপর কোন এক হজ্জ মৌসুমে সাফা-মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানে
তারা খলীফা মানসুরকে হত্যা করার সংকল্প করেন ৷ কিন্তু এরুপ পবিত্র ও মর্যাদাপুর্ণ তুখণ্ডে
একাজ করতেআবদৃল্লাহ্ ইবন হাসান তাদেরকে নিষেধ করেন ৷ এদিকে খলীফা মানসুর বিষয়টি
অবগত হন এবং ঐ আমীরের গোপন আতাতের কথা জানতে পারেন ৷ তখন তিনি শাস্তি দিতে
শুরু করলে সে তাকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে ৷ তখন মানসুর তাকে প্রশ্ন করেন,


اللَّهِ. وَصَدَقَ فِي ذَلِكَ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ كَانَ قَدْ بَايَعَهُ جَمَاعَةٌ مِنْ أَهْلِ الْحِجَازِ فِي أَوَاخِرِ دَوْلَةِ مَرْوَانَ الْحِمَارِ بِالْخِلَافَةِ، وَخَلَعَ مَرْوَانَ، وَكَانَ فِي جُمْلَةِ مَنْ بَايَعَهُ عَلَى ذَلِكَ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ، وَذَلِكَ قَبْلَ تَحْوِيلِ الدَّوْلَةِ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ، فَلَمَّا صَارَتِ الْخِلَافَةُ إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ خَافَ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ وَأَخُوهُ إِبْرَاهِيمُ مِنْهُ خَوْفًا شَدِيدًا; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ تَوَهَّمَ مِنْهُمَا أَنْ يَخْرُجَا عَلَيْهِ، وَالَّذِي خَافَ مِنْهُ وَقَعَ فِيهِ، وَلَمَّا خَافَاهُ ذَهَبَا مِنْهُ هَرَبًا فِي الْبِلَادِ الشَّاسِعَةِ، فَصَارَا إِلَى الْيَمَنِ، ثُمَّ سَارَا إِلَى الْهِنْدِ، ثُمَّ تَحَوَّلَا إِلَى الْمَدِينَةِ فَاخْتَفَيَا بِهَا، فَدَلَّ عَلَى مَكَانِهِمَا الْحَسَنُ بْنُ زَيْدٍ، فَهَرَبَا إِلَى مَوْضِعٍ آخَرَ، فَاسْتَدَلَّ عَلَيْهِ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدٍ، فَدَلَّ عَلَيْهِمَا ثُمَّ كَذَلِكَ، وَانْتَصَبَ أَلْبًا عَلَيْهِمَا عِنْدَ الْمَنْصُورِ، وَالْعَجَبُ أَنَّهُ مِنْ أَتْبَاعِهِمَا، وَاجْتَهَدَ الْمَنْصُورُ بِكُلِّ طَرِيقٍ عَلَى تَحْصِيلِهِمَا، فَلَمْ يَتَّفِقْ لَهُ ذَلِكَ إِلَى الْآنِ، فَلَمَّا سَأَلَ أَبَاهُمَا عَنْهُمَا حَلَفَ أَنَّهُ لَا يَدْرِي أَيْنَ صَارَا إِلَيْهِ مِنَ الْبِلَادِ ثُمَّ أَلَحَّ الْمَنْصُورُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فِي طَلَبِ وَلَدَيْهِ، فَغَضِبَ عَبْدُ اللَّهِ مِنْ ذَلِكَ، وَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْ كَانَا تَحْتَ قَدَمَيَّ مَا دَلَلْتُكَ عَلَيْهِمَا. فَغَضِبَ الْمَنْصُورُ، وَأَمَرَ بِسَجْنِهِ وَأَمَرَ بِبَيْعِ رَقِيقِهِ وَأَمْوَالِهِ، وَلَبِثَ فِي السِّجْنِ ثَلَاثَ سِنِينَ، وَأَشَارُوا عَلَى الْمَنْصُورِ بِحَبْسِ بَنِي حَسَنٍ عَنْ آخِرِهِمْ فَحَبَسَهُمْ، وَجَدَّ فِي طَلَبِ إِبْرَاهِيمَ وَمُحَمَّدٍ جَدًّا، هَذَا وَهُمَا يَحْضُرَانِ الْحَجَّ فِي غَالِبِ السِّنِينَ، وَيَكْمُنَانِ فِي الْمَدِينَةِ فِي غَالِبِ الْأَوْقَاتِ، وَلَا يَشْعُرُ بِهِمَا مَنْ يَنِمُّ عَلَيْهِمَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَالْمَنْصُورُ يَعْزِلُ نَائِبًا عَنِ الْمَدِينَةِ وَيُوَلِّي عَلَيْهَا غَيْرَهُ، وَيُحَرِّضُهُ عَلَى إِمْسَاكِهِمَا وَالْفَحْصِ عَنْهُمَا، وَبِذْلِ الْأَمْوَالِ فِي طَلَبِهِمَا، وَتُعْجِزُهُ الْمَقَادِيرُ فِي ذَلِكَ لِمَا يُرِيدُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ.
পৃষ্ঠা - ৭৯৬৭
وَقَدْ وَاطَأَهُمَا عَلَى أَمْرِهِمَا أَمِيرٌ مِنْ أُمَرَاءِ الْمَنْصُورِ يُقَالُ لَهُ: أَبُو الْعَسَاكِرِ خَالِدُ بْنُ حَسَّانَ. فَعَزَمُوا فِي بَعْضِ الْحَجَّاتِ عَلَى الْفَتْكِ بِأَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَنَهَاهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ لِشَرَفِ الْبُقْعَةِ. وَقَدِ اطَّلَعَ الْمَنْصُورُ عَلَى ذَلِكَ، وَعَلِمَ بِمَا مَالَأَهُمَا ذَلِكَ الْأَمِيرُ، فَعَذَّبَهُ حَتَّى أَقَرَّ بِمَا كَانُوا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ مِنَ الْفَتْكِ بِهِ. فَقَالَ: وَمَا الَّذِي صَرَفَكُمْ عَنْ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ نَهَانَا عَنْ ذَلِكَ. فَأَمَرَ بِهِ الْخَلِيفَةُ فَغُيِّبَ فِي الْأَرْضِ، فَلَمْ يَظْهَرْ حَتَّى الْآنَ. وَقَدِ اسْتَشَارَ الْمَنْصُورُ مَنْ يَعْلَمُ مِنْ أُمَرَائِهِ وَوُزَرَائِهِ مِنْ ذَوِي الرَّأْيِ فِي أَمْرِ ابْنَيْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، وَبَعَثَ الْجَوَاسِيسَ وَالْقُصَّادَ إِلَيْهِمَا، فَلَمْ يَقَعْ لَهُمَا عَلَى خَبَرٍ، وَلَا ظَهَرَ لَهُمَا عَلَى عَيْنٍ وَلَا أَثَرٍ، وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ. وَقَدْ جَاءَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ إِلَى أُمِّهِ فَقَالَ: يَا أُمَّهْ، إِنِّي قَدْ شَقَقْتُ عَلَى أَبِي وَعُمُومَتِي، وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَضَعَ يَدِي فِي أَيْدِي هَؤُلَاءِ لِأُرِيحَ أَهْلِي. فَذَهَبَتْ أُمُّهُ إِلَيْهِمْ إِلَى السِّجْنِ، فَعَرَضَتْ عَلَيْهِمْ مَا قَالَ ابْنُهَا، فَقَالُوا: لَا، بَلْ نَصْبِرُ عَلَى أَمْرِهِ، فَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَفْتَحَ عَلَى يَدَيْهِ خَيْرًا، وَنَحْنُ نَصْبِرُ، وَفَرَجُنَا بِيَدِ اللَّهِ. وَتَمَالَئُوا كُلُّهُمْ عَلَى ذَلِكَ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ نُقِلُوا مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَى حَبْسٍ بِالْعِرَاقِ وَفِي أَرْجُلِهِمُ الْقُيُودُ، وَفِي أَعْنَاقِهِمُ الْأَغْلَالُ. وَكَانَ ابْتِدَاءُ تَقْيِيدِهِمْ مِنَ الرَّبَذَةِ بِأَمْرِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، وَقَدْ أَشْخَصَ مَعَهُمْ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْعُثْمَانِيَّ، وَكَانَ أَخَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ لِأُمِّهِ، وَكَانَتِ ابْنَتُهُ تَحْتَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَقَدْ حَمَلَتْ قَرِيبًا، فَاسْتَحْضَرَهُ الْخَلِيفَةُ، فَقَالَ لَهُ: قَدْ حَلَفْتَ بِالْعَتَاقِ وَالطَّلَاقِ إِنَّكَ لَمْ تَغُشَّنِي، وَهَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৬৮


কিভু তােমাদেরকে তা থেকে নিবৃত্ত করল কিসে ? তখন সে বলে, আবদুল্লাহ ইবন হাসান
আমাদেরকে তা করতে নিষেধ করেছেন ৷ তখন মানসুরের নিদেশে তাকে অজ্ঞা ত স্থানে নিয়ে

যাওয়া হয় ৷ তারপর আর তার কোন সন্ধান পাওয়া যা ৷য়নি১ ৷ এসময় খলীফ৷ ৷মানসুরত তার বিচক্ষণ
আমীর-উমারা ও ওযীরদের মধ্যে য ৷রা বিষয়টি জানত তাদের কাছে আবদুল্লাহ ইবনাস হাস ৷নের উভয়
ছেলের ব্যাপারে পরামর্শ চান এবং বিভিন্ন অঞ্চলে গুপ্তচর ও অনুসন্ধানকারী প্রেরণ করেন ৷ কিন্তু
তাদের দৃ’জনের কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি এবং তাদের কোন অস্তিৎ কিৎব৷ চিহ্ন সম্পর্কেও জানা
যায়নি ৷ মহান আল্লাহ তার বিষয়ে পুর্ণ কর্তৃত্বান ৷ এসময় মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান
তার মায়ের কাছে এসে প্রশ্ন করেন, হে আম্ম৷ ! আমি আমার পিতা ও চাচাগণের জীবনের ব্যাপারে
শঙ্কিত ৷ স্বজনদের স্বস্তি ফিরিয়ে অন ৷র জন্য আমি এদের হাতে (বায়আতে র) হাত রাখার সিদ্ধান্ত
নিয়েছি ৷ তখন তার আম্ম৷ জেলখানায় যান এবং তার পিতা ও চাচাগণের সামনে তার ছেলের
ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন ৷ তখন তারা সকলে বলেন, না, না, তা হয় না ৷ এতে কোন মর্যাদা
নেই ৷ বরং আমরা তার সমর্থনে বা অনুকুলে ধৈর্যধারণ করব ৷ হয়তব৷ আল্লাহ তার হাতে
আমাদের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে ৷ আমরা ধের্যধারণ করব, আমাদের মুক্তি বা
সংকটাবসান আল্লাহর হাতে, যদি তিনি তা ইচ্ছা করেন তাহলে আমাদের স কট দুর করবেন ৷

আর যদি না চান তাহলে করবেন না ৷ তারা সকলে এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন ৷ আল্লাহ
তাদের সকলকে রহম করুন ৷

এবছরই হাসান পরিবারের সদস্যদের পবিত্র মদীনা ৷র কারাগার থেকে ইরাকের কারাগারে
স্থানান্তরিত করা হয় ৷ এসময় তাদের পায়ে শৃঙখল এবং গলা য় বেড়ি ছিল ৷ত তাদের বন্দীত্বের সুচনা
ছিল রাবৃয৷ থেকে আবু জাফর মানসুরের নির্দেশে ৷ এই হাসানীদের সাথে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ
আল-উছমানীকে দেশাস্তরিত করা হয় ৷ তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের বৈপিত্রেয় ভাই ৷
আর তার কন্যা ছিল ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের শ্রী ৷ এ সময় তিনি কয়েকমড়াসের
অন্তঃসত্ত্ব৷ ছিলেন ৷ তখন খলীফ৷ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ্কে উপস্থিত করে বলেন, তুমি আমাকে
ঘোক৷ দাওনি এই কথা ৷র উপর ভিত্তি করে আমি আমার সকল দাস আযাদ হওয়ার এবং সকল শ্রী
তালাক হওয়ার শপথ করেছি ৷ এই যে তোমার কন্যা অন্তঃসত্ত্ব৷ ৷ সে যদি তার স্বামীর ঔরসে
পর্ভার্তী হয়ে থাকে সে সম্পর্কে তুমি ভাল জান ৷ আর যদি এর অন্যথা হয়ে থাকে তাহলে তুমি

দাম্যুছ ৷২ তখন উছমানী তাকে এমন কোন জবাব দেন যা তাকে ক্রুদ্ধ করে ৷ তখন মানসুরের
নিদেশে তার অধিকাং শ শরীর অনাবৃত করা হলে দেখা যায় তার শরীর স্বচ্ছ রুপার ন্যায় শুভ্র ৷
এরপর তাকে চাবুকের একশ পঞ্চা ৷শটি আঘাত করা হয় ৷ এর মধ্যে তিরিশটি তার মাথায় যার

একটি তার চোখে লাপায় সে গুরুতরভাবে আহত হয় ৷ এরপর তিনি তাকে জেলখানায় ফিরিয়ে
দেন ৷ আর এ সময় প্ৰহারজনিত নীলাভতা ৷র কারণে তিনি যেন কৃষ্ণকায় দাসে পরিণত হন ৷ত তা

চামড়ার উপর রক্ত জমাট বেধে যায় ৷ তখন তাকেত ৷র ৷বৈপিত্রেয় ভাই আবদুল্লাহ ইবন৷ হ ৷সানের
পাশে বসান হয় ৷ তখন তিনি পান করার জন্য পা ৷নি চান ৷ কিন্তু কেউ তাকে পান করাতে সাহস



১ আত্-তাবারী (৯ খ : ১৯১ পৃ ) ইবনুল আহীর (৫ খ : ৫১৮ পৃ)-এ রয়েছে মানসুর তা কে আয়ত্তে পাননি ৷
তিনি মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদের সাথে গিয়ে মিলিত হন ৷
২ শ্রী, কন্যা প্রভৃতিজনের ব্যাপারে আত্মসম্রমশুন্য ৷


ابْنَتُكَ حَامِلٌ! فَإِنْ كَانَ مِنْ زَوْجِهَا فَقَدْ حَنِثْتَ، وَإِنْ كَانَ مِنْ غَيْرِهِ فَأَنْتَ دَيُّوثٌ. فَأَجَابَهُ الْعُثْمَانِيُّ بِجَوَابٍ أَحْفَظَهُ بِهِ، فَأَمَرَ بِهِ فَجُرِّدَتْ عَنْهُ ثِيَابُهُ، فَإِذَا جِسْمُهُ كَأَنَّهُ الْفِضَّةُ النَّقِيَّةُ، ثُمَّ ضُرِبَ بَيْنَ يَدَيِ الْخَلِيفَةِ مِائَةً وَخَمْسِينَ سَوْطًا، مِنْهَا ثَلَاثُونَ فَوْقَ رَأْسِهِ، أَصَابَ أَحَدُّهَا عَيْنَهُ فَسَالَتْ، ثُمَّ رَدَّهُ إِلَى السِّجْنِ وَقَدْ بَقِيَ كَأَنَّهُ عَبْدٌ أَسْوَدُ مِنْ زُرْقَةِ الضَّرْبِ، وَتَرَاكُمِ الدِّمَاءِ فَوْقَ جِلْدِهِ، فَأُجْلِسَ إِلَى جَانِبِ أَخِيهِ لِأُمِّهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنٍ، فَاسْتَسْقَى فَمَا جَسَرَ أَحَدٌ أَنْ يَسْقِيَهُ حَتَّى سَقَاهُ خُرَاسَانِيٌّ مِنْ جُمْلَةِ الْجَلَاوِزَةِ الْمُوَكَّلِينَ بِهِمْ، ثُمَّ رَكِبَ الْخَلِيفَةُ فِي هَوْدَجِهِ، وَأَرْكَبُوا أُولَئِكَ فِي مُحَامِلَ ضَيِّقَةٍ، وَعَلَيْهِمُ الْقُيُودُ وَالْأَغْلَالُ فَاجْتَازَ بِهِمُ الْمَنْصُورُ وَهُوَ فِي هَوْدَجِهِ، فَنَادَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ: وَاللَّهِ يَا أَبَا جَعْفَرٍ مَا هَكَذَا صَنَعْنَا بِأَسْرَاكُمْ يَوْمَ بَدْرٍ. فَأَخْسَأَهُ الْمَنْصُورُ، وَتَفَلَ عَلَيْهِ، وَنَفَرَ عَنْهُمْ. وَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى الْعِرَاقِ حُبِسُوا بِالْهَاشِمِيَّةِ، وَكَانَ فِيهِمْ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَسَنٍ، وَكَانَ جَمِيلًا يَذْهَبُ النَّاسُ لِيَنْظُرُوا إِلَيْهِ مِنْ حُسْنِهِ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: الدِّيبَاجُ الْأَصْفَرُ. فَأَحْضَرَهُ الْمَنْصُورُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَقَالَ لَهُ: أَمَا وَاللَّهِ لِأَقْتُلُنَّكَ قِتْلَةً مَا قُتِلَهَا أَحَدٌ. ثُمَّ أَلْقَاهُ بَيْنَ أُسْطُوَانَتَيْنِ، وَسَدَّ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ. وَقَدْ هَلَكَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ فِي السِّجْنِ حَتَّى فُرِجَ عَنْهُمْ فِيمَا بَعْدُ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ. فَكَانَ فِيمَنْ هَلَكَ فِي السِّجْنِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ، وَقَدْ قِيلَ وَهُوَ الْأَظْهَرُ: إِنَّهُ قُتِلَ صَبْرًا. وَأَخُوهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَسَنٍ، وَقَلَّ مَنْ خَرَجَ مِنْهُمْ مِنَ الْحَبْسِ، وَقَدْ كَانُوا فِي سِجْنٍ لَا يَسْمَعُونَ فِيهِ التَّأْذِينَ، وَلَا يَعْرِفُونَ وَقْتَ الصَّلَاةِ إِلَّا بِالتِّلَاوَةِ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৭৯৬৯


করেনি ৷ অবশেষে তাদের দারি হ্প্রাপ্ত জনৈক খুরাসানী সিপাহী৩৷ শত্তক পানি পান করায় ৷ এরপর
খলীফ৷ মানসুর তার হাওদায় আরোহণ করেন এবং তাদেরকে পায়ে শৃগ্রল ও গলায় বেড়ি
পরিহিত অবস্থায় সংকীর্ণ হাওদায় আরোহণ করান ৷ তখন তার সুপ্ৰশস্ত হাওদায় আরোহণ করে
তাদেরকে অতিক্রম করেন ৷ এসময় আবদুল্লাহ ইবন হাসান তাকে আহ্বান করে বলেন, আল্লাহর
কসম ! হে আবুজা’ফর বদরের দিন তোমাদের বন্দীদের সাথে তো আমরা এরুপ আচরণ করিনি ৷
তখন একথা মানসুরের কাছে অপদস্থুকর ও অসহনীয় মনে হওয়ায় তিনি তাদের থেকে সরে
পড়েন ৷ এরা যখন ইরাক পৌছেন তখন এদেরকে হাশিমিয়ব্রুাতে বন্দী করা হয় ৷ এই বন্দীদের
মাঝে মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসান ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন সুদর্শন যুবা
পুরুষ ৷ লোকেরা তার রুপ ও সৌন্দর্য দেখার জন্য আ৩ ৷তাকে বলা হত হলুদ রেশম ৷ খলীফা
মানসুর তাকে তার সামনে উপস্থিত করে বলেন, তামাকে আমি এমন নির্মমভ৷ ৷বে হত্যা করব
যেমনভাবে আর কাউকে হত্যা করিনি ৷ এরপর তিনি তাকে দুই স্তস্তের মাঝে ফেলে উপর থেকে

চাপা দিয়ে হত্যা করেন ৷ মানসুরের উপর৩ ৷র উপযুক্ত শান্তি ও অভিশাপ নেমে আসুক ৷ এদের
অনেকে জেলখানায় ইনতিকাল করেন ৷ অবশেষে খলীফ৷ মানসুরের মৃত্যুর পর তাদেরএ

ৎকটের অবসান হয় ৷ যেমনটি আমরা অচিরেই উল্লেখ করব ৷ জেলখানায় যারা ইনতিকাল
করেন তাদের অন্যতম হলেন আবদুল্লাহ ইবন হাসান ইবন আলী ইবন আবু৩ তালিব ৷ তবে এও
বর্ণিত আছে আর সেটাই আ ধক গ্রহণ যোগ্য ৷ তাকে এবং তার ভাই ইবরাহীম ইবন হাসান ও
অন্যান্যদের ঠাণ্ড ণ্ডামাথায় হত্যা করা হয় ৷ তাদের অল্পসংখ্যকই জেলখানা থেকে নিষ্কৃতি পেতে
সক্ষম হন ৷ মানসুর তাদেরকে এমন জেলখানায় বন্দী করেন যেখান থেকে তারা আযানের
আওয়ায শুনতে পেত না এবং৩ তিলাওয়াভৈ৩ র মাধ্যম ব্যভীত নামাযের সময় বুঝতে প৷ ৷রতেন না ৷
এরপর খুরাসানবাসী মুহাম্ম ৷দ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হাসানের ব্যাপারে সুপ৷ ৷রিশ করে লোক পাঠ৷ ৷য় ৷
তখন মানসুরের নির্দোশ তাকে হত্যা করা হয় এবং খুরাসানবাসীর কাছে তার মাথা পাঠিয়ে দেওয়া
হয় ৷ আল্লাহ তাকে উত্তম বিনিময় না দিন এবং মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ উছমানীকে রহম করুন ৷

তার পুর্ণ পরিচয় হল মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উছমান ইবন আফ্ফান
আল-উমাবী আবু আবদুল্লাহ আ ল মাদ৷ ৷নী ৷৩ ৩ার মুখমওলের সৌন্দর্যের কারণে তাকে আদদীবাজ’ ১

বলা হত ৷ তার আন্ম৷ হলেন ফ৷ ৷তিম৷ বিনৃত হুসা ৷ইন ইবন আলী ৷ তিনি তার পিতা ৷ও মাতা থেকে
এবং খারিজ৷ ৷ইবন যায়দ,৩ ৩াউস, আবুঘৃ যিনাদ, যুহবী, নাফি ও অন্যান্যদের থেকে হাদীস বংনাি
করেছেন ৷ আর একদল তার থেকে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম নাসাঈ ও ইবন ন্থিব্বান
তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন ৷ তিনি আবদুল্লাহ ইবন হ্াসানের বৈপিত্রেয় ভাই ছিলেন ৷ তার
কন্যা রুকাইয়্যা ছিলেন তার ভ ৷তিজ৷ ইবরাহীম ইবন আবদুল্লাহ্র ত্রী ৷ ইনি ছিলেন অনিন্দব্ল সুন্দরী ৷

তার কারণেই আবু জাফর মানসুর৩ তাকে এবছর হত্যা করেন ৷ আর তিনি ছিলেন অত্যন্ত
মহানুভব বদ৷ ন্য ও প্রশংসা ভাজন ব্যক্তি ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার বলেন, তার প্রশ×সায় সুলায়মান
ইবন আব্বাস সা’দী আমাকে আবু ওযর৷ সাদীর এই কবিতা আবৃত্তি করে শুনিয়েছেন-




১ অর্থাৎ রেশম ৷ তার মুখমণ্ডলের কােমলতা, মসৃণত৷ ও কমনীয়তার কারণে তাকে এ নামে ডাকা হত ৷


بَعَثَ أَهْلُ خُرَاسَانَ يَشْفَعُونَ فِي مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْعُثْمَانِيِّ، فَأَمَرَ بِهِ، فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، وَأَرْسَلَ بِرَأْسِهِ إِلَى أَهْلِ خُرَاسَانَ. وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ الْأُمَوِيُّ، أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَدَنِيُّ الْمَعْرُوفُ بِالدِّيبَاجِ، لِحُسْنِ وَجْهِهِ، وَأُمُّهُ فَاطِمَةُ بِنْتُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، رَوَى الْحَدِيثَ عَنْ أَبِيهِ وَأُمِّهِ وَخَارِجَةَ بْنِ زَيْدٍ وَطَاوُسٍ وَأَبِي الزِّنَادِ وَالزُّهْرِيِّ وَنَافِعٍ وَغَيْرِهِمْ، وَحَدَّثَ عَنْهُ جَمَاعَةٌ، وَوَثَّقَهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ حِبَّانَ، وَكَانَ أَخَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنٍ لِأُمِّهِ، وَكَانَتِ ابْنَتُهُ رُقَيَّةُ زَوْجَةَ ابْنِ أَخِيهِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَبِسَبَبِهَا قَتَلَهُ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ. وَكَانَ كَرِيمًا جَوَادًا مُمَدَّحًا. قَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: أَنْشَدَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ عَيَّاشٍ السَّعْدِيُّ لِأَبِي وَجْزَةَ السَّعْدِيِّ يَمْدَحُهُ: وَجَدْنَا الْمَحْضَ الَابْيَضَ مِنْ قُرَيْشٍ ... فَتًى بَيْنَ الْخَلِيفَةِ وَالرَّسُولِ أَتَاكَ الْمَجْدُ مِنْ هَنَّا وَهَنَّا ... وَكُنْتَ لَهُ بِمُعْتَلَجِ السُّيُولِ
পৃষ্ঠা - ৭৯৭০
فَمَا لِلْمَجْدِ دُونَكَ مِنْ مَبِيتٍ وَمَا لِلْمَجْدِ دُونَكَ مِنْ مَقِيلِ ... وَلَا مُمْضًى وَرَاءَكَ تَبْتَغِيهِ وَمَا هُوَ قَابِلٌ بِكَ مِنْ بَدِيلِ