আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وثلاثين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৯০৮

ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন তাদের অন্যতম হলেন আবু হারুন আল-আবদী, উমারা ইবন জুওয়ায়ন
এবং ইয়াযীদ ইবন ইয়াযীদ ইবন জাবির আদৃ-দামেশকী ৷ মহান আল্লাহ অধিক জানেন ৷

১৩৫ হিজরীর সুচনা

এবছরই বলখ অঞ্চলের নদী পশ্চাদবর্তী এলাকা থেকে যিয়াদ ইবন সালিহ আবু মুসলিমের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ৷ আল্লাহ্ তাকে বিড্রোহীদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন ৷ ফলে তিনি তাদের
ঐক্যকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেন এবং ঐ অঞ্চলে তার শাসন কর্তৃত্ব সুপ্ৰতিষ্ঠিত হয় ৷ এবছর হজ্জ
পরিচালনা করেন বসরার গভর্নর সুলায়মান ইবন আলী ৷ আর বিভিন্ন অঞ্চলের গভর্নর তারাই বহাল
ছিলেন যাদের আলোচনা পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷ আর এ বছর যে সকল বিশিষ্টজন ইনতিকাল
করেন তাদের অন্যতম হলেন ইয়াযীদ ইবন গিনান , আবু আকীল যুহরা ইবন মা’বদ এবং আতা
আল-খুরাসানী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ ৷

১৩৬ হিজরীর সুচনা

এবছরই আবু মুসলিম খুরাসান থেকে সাফ্ফাহ্ এর সাক্ষাতে আগমন করেন ৷ এসময় তিনি
খলীফার সাক্ষাতে আগমনের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে পত্র প্রেরণ করেন ৷ খলীফা পত্র যােপে
তাকে পড়াচশ সৈন্যসহ আগমন করার নির্দেশ দেন ৷ তিনি খলীফার কাছে লিখে পাঠান, আমি তো
সৈন্যদের বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি, আমার আশঙ্কা এই সংখ্যা পড়াচশর চেয়ে কম হতে পারে ৷
এ পত্রের জবাবে সাফ্ফাহ্ তাকে এক হাজার সৈন্য নিয়ে আগমনের নির্দেশ প্রদান করেন আর তিনি
আট হাজার সৈন্য নিয়ে আগমন করেন ৷ এদেরকে তিনি পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত করেন এবং
তার সাথে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও উপহার উপচৌকন নিয়ে আসেন ৷ তিনি যখন খলীফার
দরবারে পৌছেন তখন তার সাথে এক হাজার সৈন্যই ছিল ৷ এসময় সেনাপতি ও
আমীর-উমারাগণ বহুদুর গিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান ৷ এরপর তিনি যখন সাফ্ফাহ্ এর সাক্ষাতে
প্রবেশ করেন তখন সাফ্ফাহ্ তার প্রতি সম্মান ও সমাদর প্রদর্শন করে তাকে তার নিকট সান্নিধ্যে
উপবেশন করান ৷ এসময় প্রতিদিন তিনি খলীফার দরবারে আসতেন ৷ খলীফার কাছে তিনি হজ্জ
করার অনুমতি চাইলে তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করে বলেন, যদি না আমি আমার ভাই আবু
জাফরের জন্য হজ্জ পরিচালনা নির্ধারিত করে দিতাম তাহলে তোমাকে (এ বছর) হভৈজ্জর আমীর
নিয়োগ করতাম ৷ উল্লেখ যে আবুজাফর ও আবুমুসলিমের সম্পর্ক ভাল ছিল না ৷ আবু জাফর
তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতেন ৷ আর এর কারণ ছিল তিনি যখন সাফ্ফাহ্ এবং তারপর
মানসুরের অনুকুলে বায়আত গ্রহণের জন্য নিশাপুরে তার কাছে আগমন করেন তখন তিনি তার
অভড়াবনীয় সম্মান ও প্রভড়াব-প্রতিপত্তি লক্ষ্য করেন ৷ এ কারণে তিনি তার যে বিষয়ে হতবুদ্ধি হয়ে
পড়েন ৷ ফলে তিনি মানসুরকে তার প্রতি বিদ্বেষী করে তোলেন এবং সাফ্ফাহকে পরামর্শ দেন
তাকে হত্যা করতে ৷ তখন সাফ্ফাহ্ তাকে বিষয়টি গোপন রাখার পরামর্শ দেন ৷ এরপর আবু
মুসলিম যখন তার কাছে আগমন করেন তখনও তিনি সাফ্ফাহ্কে পরামর্শ দেন তাকে হত্যা
করতে এবং তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দেন ৷ এসময় সাফ্ফাহ্ তাকে বলেন, আপনি তো জানেন
যে আমাদের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সেবক ৷ আবু জাফর বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন তা তো
আমাদের শাসন কর্তৃত্বের কারণে ৷ আল্লাহর কসম ! তার পরিবর্তে , আপনি যদি কোন


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا قَدِمَ أَبُو مُسْلِمٍ مِنْ خُرَاسَانَ عَلَى السَّفَّاحِ بِالْعِرَاقِ وَذَلِكَ بَعْدَ اسْتِئْذَانِهِ الْخَلِيفَةَ فِي الْقُدُومِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنْ يَقْدَمَ فِي خَمْسِمِائَةٍ مِنَ الْجُنْدِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ: إِنِّي قَدْ وَتَرْتُ النَّاسَ، وَإِنِّي أَخْشَى مِنْ قِلَّةِ الْخَمْسِمِائَةِ. فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَنِ اقْدَمْ فِي أَلْفٍ. فَقَدِمَ فِي ثَمَانِيَةِ آلَافٍ فَرَّقَهُمْ، وَأَخَذَ مَعَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالتُّحَفِ وَالْهَدَايَا شَيْئًا كَثِيرًا، وَلَمَّا قَدِمَ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ سِوَى أَلْفٍ مِنَ الْجُنْدِ، فَتَلْقَّاهُ الْقُوَّادُ الْكُبَرَاءُ إِلَى ظَاهِرِ الْبَلَدِ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى السَّفَّاحِ أَكْرَمَهُ وَعَظَّمَهُ وَاحْتَرَمَهُ وَأَنْزَلَهُ قَرِيبًا مِنْهُ، وَكَانَ يَأْتِي إِلَى الْخِدْمَةِ كُلَّ يَوْمٍ، وَاسْتَأْذَنَ الْخَلِيفَةَ فِي الْحَجِّ، فَأَذِنَ لَهُ، وَقَالَ: لَوْلَا أَنِّي كُنْتُ عَيَّنْتُ إِمْرَةَ الْحَجِّ لِأَبِي جَعْفَرٍ لَأَمَّرْتُكَ. وَكَانَ مَا بَيْنَ أَبِي جَعْفَرٍ وَأَبِي مُسْلِمٍ خَرَابًا، وَذَلِكَ لِمَا رَأَى مِنَ الْجَفْوَةِ مِنْهُ حِينَ قَدِمَ عَلَيْهِ نَيْسَابُورَ فِي الْبَيْعَةِ لِلسَّفَّاحِ وَلِلْمَنْصُورِ مِنْ بَعْدِهِ، فَحَقَدَ عَلَيْهِ أَبُو جَعْفَرٍ، وَأَشَارَ عَلَى السَّفَّاحِ بِقَتْلِهِ، وَحِينَ قَدِمَ حَرَّضَهُ عَلَى قَتْلِهِ أَيْضًا، فَقَالَ لَهُ السَّفَّاحُ: قَدْ عَلِمْتَ بَلَاءَهُ مَعَنَا وَخِدْمَتَهُ لَنَا. فَقَالَ لَهُ أَبُو جَعْفَرٍ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّمَا ذَلِكَ بِدَوْلَتِنَا، وَاللَّهِ لَوْ أَرْسَلْتَ سِنَّوْرًا لَسَمِعُوا لَهُ وَأَطَاعُوا، وَإِنَّكَ إِنْ لَمْ تَتَغَدَّ بِهِ تَعَشَّى بِكَ هُوَ. فَقَالَ لَهُ: كَيْفَ السَّبِيلُ إِلَى ذَلِكَ؟ قَالَ: إِذَا دَخَلَ عَلَيْكَ فَحَادَثْتَهُ جِئْتُ أَنَا مِنْ وَرَائِهِ فَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ. قَالَ: فَكَيْفَ بِمَنْ مَعَهُ؟ قَالَ: هُمْ أَذَلُّ وَأَقَلُّ. فَأَذِنَ لَهُ فِي قَتْلِهِ، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৭৯০৯

বিড়ালকেও পাঠান তাহলেও লোকজন তাকে মান্য করবে ৷ আজ যদি আপনি তাকে অপসারণ না
করেন তাহলে আপামীকাল সেই আপনাকে অপসারণ করবে ৷ তখন সাফফাহ তাকে প্রশ্ন করেন,
তা কিভাবে সম্ভব ? আবু জা ৷ফর বলেন, যে যখন আপনার সাক্ষাতে প্রবেশ করবে তখন আপনি

তার সাথে আলোচনা করতে থাকবেন ৷ এরপর আমি তার পিছন দিক থেকে এসে তাকে তরবারি
দিয়ে হ৩ তা৷ করব ৷ তখন তিনি প্রশ্ন করেন, তখন তার সঙ্গীদের কিভা ৷বে সামলানাে হবে ? তিনি
বললেন, তারা তো স্বল্প সংখ্যক ও অসহায় ৷ তখন সাফফাহ তাকে আবু ঘুসলিমকে হত্যার
অনুমতি দেন ৷ এরপর আবু মুসলিম তখন সাফ্ফাহ্-এর সাক্ষাতে প্রবেশ করেন ৷ তিনিত
ভাইকে তা ৷র হত্যার ব্যাপারে অনুমতি প্রদানের ব্যাপারে অনুতপ্ত হন এবং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে
তার একা ভ খাদিমকে এই বলেতার কাছে পাঠান যে, আপনার ও তার মাঝে যে সিদ্ধ৷ ৷স্ত চুড়ান্ত
হয়েছিল, তিনি তার জন্য অনুতপ্ত ৷ কা ৷জেই আপনি তা করবেন না ৷ খাদিম যখন তার কাছে আসে
তখন সে দেখতে পায় তিনি তরবারি নিয়ে আবু মুসলিমকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন ৷
এসময় সে যখন তাকে এ বিষয়ে নিষেধ করে তখন তিনি ভীষণ ক্রুদ্ধ হন ৷

এবছরই আবু জাফর ত ৷র ৷তাই সাফ্ফাহ্-এর পক্ষে হজ্জ পরিচ৷ ৷লন৷ করেন ৷ এসময় খলীফার

অনুমতি ও নির্দেশ ৷প্রাপ্ত হয়ে আবু মুসলিম খুরা সা৷নীওতার সাথে হিজ৷ ৷য অভিমুখে রওনা হন ৷ হজ্জ
সমাপন করে তারা উভয়ে যখন ফেরার পথে যাতে ইরাক্’ নামক স্থানে অবস্থানরত তখন আবু
জা ফরের কাছে তার ভাই সাফ্ফাহ্ষ্এর মৃত্যু সংবাদ পৌছে ৷ উল্লেখ্য, এসময় তিনি আবু
মুসলিমের চেয়ে কয়েক ক্রোশ ৷এগিয়ে ছিলেন তিনি আবু মুসলিমকে লিখে পাঠান, এক গুরুতর
ব্যাপার স ঘটিত হয়েছে ৷ কা ৷,জেই তমি যত দ্রুত পড়ার আমার সাথে এসে মিলিত হও ৷ এরপর
আবু মুসলিম যখন সংবাদটি জানতে পারেন তখন তিনি দ্রুত তাকে অনুসরণ করে কুফায় এসে

তার সাথে মিলিত ৩হন ৷ এরপর স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই খলীফ৷ মানসুরের অনুকুলে বায়আত
গৃহীত হয় ৷ যেমন অচিরেই তার বিশদ ও বিস্তা ত বিবরণ আসছে ৷ আল্লাহ্ তাআলা সর্বাধিক
জানেন ৷

প্রথম আব্বাসীয় খলীফ৷ আবুল আব্বাস সাফফাহ-এর জীবন চরিত

তিনি হলেন আমীরুল মু’মিনীন আবদুল্লাহ আসৃ-সাফ্ফাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন ইমাম ইবন
আলী আস-সাজ্জাদ ইবন আবদুল্লাহ আল-হারর ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব আল-কুরাশী
আল-হাশিমী ৷ তাকে আল-মুরতাযা এবং আল কাসিমও বলা হয় ৷ তার মা হলেন রায়ত৷ মতাম্ভরে
রাবিতা বিনৃত উবায়দুল্লাহ্ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুদ দার আল-হারিহী ৷ সাফ্ফাহ এর জন্মস্থান
হল শাম দেশের বলক৷ অঞ্চলের শারাহ ভুখণ্ডের হামীম৷ নামক স্থানে ৷ তিনি সেখানেই
লালিত পালিত হন ৷ অবশেষে মারওয়ান যখন তার ভাই ইমাম ইবরাহীমকে গ্রহণ করেন তখন
তারা সকলে কুফায় স্থানান্তরিত হন ৷ তার ভাই নিহত হওয়ার পর মারওয়ানের জীবদ্দশায় বারই
রবীউল আ ৷ওয়াল শুক্রবার কুফায় তার অনুকুলে বায়আত গৃহীত হয় যেমন ইতিপুর্বে বিগত
হয়ে শুছ ৷ সাফফাহ একশ ছত্রিশ হিজরীর যুলহাজ্জা ৷মাসের এপার কি×ব৷ (তর তারিখশ্ ৷৷নিব ৷র গুটি

বসন্তে আক্রান্ত হয়ে আনবার নামক স্থানে ইনতিক৷ ৷ল করেন ৷ এ সময় তার বয়স ছিলতে
কি×ব৷ বত্রিশ কিংবা একত্রিশ বছর ৷ আবার একা ৷ধিক জনের মতে আ ৷টাশ বছর ৷ত তার খিলাফছুম্পে ৩
ালাছিল চার বছর নয় মাস ৷ তিনি ছিলেন ফর্স৷ সুদশ্নি ও দীর্ঘদেহী ৷ উন্নত ন৷ সিাকা, কোকড়ানো

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড) ১৫


دَخَلَ أَبُو مُسْلِمٍ عَلَى السَّفَّاحِ نَدِمَ عَلَى مَا كَانَ أَذِنَ لِأَخِيهِ فِيهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ الْخَادِمُ يَقُولُ لَهُ: إِنَّ ذَاكَ الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ قَدْ نَدِمَ عَلَيْهِ، فَلَا تَفْعَلْهُ. فَلَمَّا جَاءَهُ الْخَادِمُ وَجَدَهُ مُحْتَبِيًا بِالسَّيْفِ، مُتَهَيِّئًا لِمَا يُرِيدُ مِنْ قَتْلِ أَبِي مُسْلِمٍ فَلَمَّا نَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ غَضِبَ أَبُو جَعْفَرٍ غَضَبًا شَدِيدًا. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ حَجَّ بِالنَّاسِ أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ عَنْ وِلَايَةِ أَخِيهِ السَّفَّاحِ وَسَارَ مَعَهُ إِلَى الْحِجَازِ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ عَنْ أَمْرِ الْخَلِيفَةِ وَإِذْنِهِ لَهُ فِي الْحَجِّ فِي هَذَا الْعَامِ، فَلَمَّا رَجَعَا مِنَ الْحَجِّ فَكَانَا «بِذَاتِ عِرْقٍ» جَاءَ الْخَبَرُ إِلَى أَبِي جَعْفَرٍ - وَكَانَ يَسِيرُ قَبْلَ أَبِي مُسْلِمٍ بِمَرْحَلَةٍ - بِمَوْتِ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ فَكَتَبَ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ أَنْ قَدْ حَدَثَ أَمْرٌ، فَالْعَجَلَ الْعَجَلَ. فَلَمَّا اسْتَعْلَمَ أَبُو مُسْلِمٍ الْخَبَرَ عَجَّلَ السَّيْرَ وَرَاءَهُ، فَلَحِقَهُ إِلَى الْكُوفَةِ فَكَانَتْ بَيْعَةُ الْمَنْصُورِ عَلَى مَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ قَرِيبًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [تَرْجَمَةُ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ] وَهَذِهِ تَرْجَمَةُ أَبِي الْعَبَّاسِ السَّفَّاحِ وَذِكْرُ وَفَاتِهِ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ السَّفَّاحُ - وَيُقَالُ لَهُ: الْمُرْتَضَى. وَ: الْقَائِمُ أَيْضًا - ابْنُ مُحَمَّدٍ الْإِمَامِ بْنِ عَلِيٍّ السَّجَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْحَبْرِ بْنِ الْعَبَّاسِ ذِي الرَّأْيِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ شَيْبَةِ الْحَمْدِ بْنِ هَاشِمٍ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ، أَبُو الْعَبَّاسِ الْقُرَشِيُّ الْهَاشِمِيُّ
পৃষ্ঠা - ৭৯১০


চুল, সুন্দর দাড়ি ও সুন্দর মুখমওলের অধিকারী এবং বিওদ্ধভ ৷,ষী বিচক্ষণ ও উপস্থিত বৃদ্ধির
অধিকারী ৷

সাফ্ফাহ-এর দায়িত্ব গ্রহণের প্রথমদিকে আবদুল্লাহ ইবন হাসান ইবন হাসান ইবন আলী তার
সাক্ষাতে প্রবেশ করেন, এসময় তার হাতে ছিল কুরআন আর সাফ্ফাহ-এর কাছে ছিলেন বনু
হাশিমের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ৷ আবদুল্লাহ্৩ তাকে বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন ! আমাদেরকে
আমাদের ঐ প্রাপ্য হক প্রদান করুন যা আল্লাহ্ আমাদের জন্য এই কুরআনে নির্ধা ৷রণ করেছেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, উপস্থিত সকলেই এই ভেবে শঙ্কিত হল হয়ত সাফ্ফাহ্ তার বিরুদ্ধে ত্রিত
কোন শান্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কিংবা তার কথার কোন জবাব দিবেন তখন তা তার জন্য
এবং তাদের সকলের জন্য নিন্দনীয় হয়ে থাকবে ৷ কিন্তু , সাফ্ফা-হ শান্ত ও নির্লিপ্তভাবে তাকে
বললেন, তোমার পিতামহ আলী (বা) নিঃসন্দেহে আমার চেয়ে উত্তম ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন ৷
তিনি যখন এই খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন তিনি তোমার পিতামহদ্বয় হাসান-হুসাইনকে
যতটুকু প্রদান করেন আমি তো তোমাকে তার চেয়ে বেশী প্রদান করেছি, অথচ তারা তোমার
চেয়ে উত্তম ছিলেন ৷ এরপর আমি (৩ মেয়ে পক্ষ থেকে এই আচরণ প্রত্যাশা করিনি ৷ বর্ণনাকা রী
বলেন, তখন আবদুল্লাহ ইবন৷ হাসান নিরুত্তর হয়ে গেলেন এবং উপস্থিত লোকেরা সাফ্ফাহ্ এর
উত্তরের দ্রুততা, অভিনবতু এবং বিচক্ষণতা ৷য় অভিভুত হলেন ৷

ইমাম আহমাদত তার মুসনাদে বর্ণনা করেন উছমান ইবন আবু শায়বা সুত্রে আবু সা ৷ঈদ খুদরী
(বা) থেকে ৷ তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন ং

ষ্ ×

“কালের শেষ প্রান্তে এবং ফিতনা ৷র উদ্ভবকালে সাফ্ফ৷ হ্ নামক এক ব্যক্তির আবির্ভাব হবে,
সে হাত তার অর্থ বিলাবে” ৷

এরুপভ৷ ৷বেই যাইদা এবং আবুমুআবিয়া আ ’মাশ থেকে এ হাদীছ রিওয়ায়াত ৩করেছেন ৷ এই
হাদীসের সনদে আতিয়্যা আওফী রয়েছেন যার গ্রহণযোগ্যত তার ব্যাপারে হাদীসবেত্তা গণাবিরুপ
মন্তব্য করেছেন ৷ আর এই হাদীস দ্বারা এই সাফ্ফাহ-এ এর উদ্দেশ্য কি নাত ৩াও ৷নিশ্চিত নয় ৷ মহান

ট্রুাভীয় অর্থ সম্পন্ন বহু হাদীস ও আ ছর উল্লেখ করেছি ৷ যুবায়র ইবন বাক্কার বর্ণনা করেন
মুহাম্মাদ ইবন সালামা ইবন মুহাম্মাদ ইবন হিশাম সুত্রে সাফ্ফাহ এর পিতা মুহাম্মাদ ইবন আলী
ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস থেকে ৷ তিনি বণেন, একবার আমি ৬মর ইবন অ ৷ <৷ ধুণ আযীযের
সাক্ষাতে প্রবেশ করলাম এসময় তার কাছে জনৈক খৃন্টান ছিল, তখন উমর তাকে প্রশ্ন করলেন,
সুলায়মানের পরে কাকে তোমরা খলীফ৷ ৷রুপে (তো মাদের ধারণায়) পাও ৷ সে বলল, আপনি তখন
উমর ইবন আবদুল আযীযত তার প্রতি মনােযোগী হয়ে বললেন, আমাকে আরও কিছু বর্ণনা কর ৷
সে বলল, এরপর অপর একজন ৷ এভা বে সে বনুউমায়্যার খলীফাদের উব,ণ্ প খ স্পোয করে বলল,



দেখতে পেয়ে আমার খ৷ দিমকে বললাম, আমি আশা ৷পর্যত্ত তাকে আটকে রাখতে ৷ এরপর আমি


أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ وَأُمُّهُ رَيْطَةُ - وَيُقَالُ: رَائِطَةُ - بِنْتُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمَدَانِ بْنِ الدَّيَّانِ الْحَارِثِيِّ، كَانَ مَوْلِدُ السَّفَّاحِ بِالْحُمَيْمَةِ مِنْ أَرْضِ الشَّرَاةِ مِنْ أَرْضِ الْبَلْقَاءِ بِالشَّامِ وَنَشَأَ بِهَا حَتَّى طُلِبَ أَخُوهُ إِبْرَاهِيمُ، فَقَتَلَهُ مَرْوَانُ الْحِمَارُ بِحَرَّانَ، فَانْتَقَلُوا إِلَى الْكُوفَةِ، وَبُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ مَقْتَلِ أَخِيهِ فِي حَيَاةِ مَرْوَانَ يَوْمِ الْجُمُعَةِ الثَّانِيَ عَشَرَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَيُقَالُ: فِي جُمَادَى سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَتُوفِّيَ بِالْجُدَرِيِّ بِالْأَنْبَارِ يَوْمَ الْأَحَدِ الْحَادِي عَشَرَ - وَقِيلَ: الثَّالِثَ عَشَرَ - مِنْ ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ. وَكَانَ عُمْرُهُ ثَلَاثًا - وَقِيلَ: ثِنْتَيْنِ. وَقِيلَ: إِحْدَى - وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَمَانِيًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. قَالَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ أَرْبَعُ سِنِينَ وَتِسْعَةُ أَشْهُرٍ. وَكَانَ أَبْيَضَ جَمِيلًا طَوِيلًا، أَقْنَى الْأَنْفِ، جَعْدَ الشَّعْرِ، حَسَنَ اللِّحْيَةِ، حَسَنَ الْوَجْهِ، فَصِيحَ الْكَلَامِ، حَسَنَ الرَّأْيِ، جَيِّدَ الْبَدِيهَةِ، دَخَلَ عَلَيْهِ فِي أَوَّلِ وِلَايَتِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَمَعَهُ مُصْحَفٌ وَعِنْدَ السَّفَّاحِ وُجُوهُ بَنِي هَاشِمٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ وَغَيْرِهِمْ، فَقَالَ لَهُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، أَعْطِنَا حَقَّنَا الَّذِي
পৃষ্ঠা - ৭৯১১
جَعَلَهُ اللَّهُ لَنَا فِي هَذَا الْمُصْحَفِ. قَالَ: فَأَشْفَقَ الْحَاضِرُونَ أَنْ يُعَجِّلَ السَّفَّاحُ بِشَيْءٍ أَوْ يَعْيَا بِجَوَابِهِ، فَيَبْقَى ذَلِكَ سُبَّةً عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ، فَأَقْبَلَ السَّفَّاحُ عَلَيْهِ غَيْرَ مُغْضَبٍ وَلَا مُنْزَعِجٍ، فَقَالَ: إِنَّ جَدَّكَ عَلِيًّا وَكَانَ خَيْرًا مِنِّي وَأَعْدَلَ، وَلِيَ هَذَا الْأَمْرَ، فَأَعْطَى جَدَّيْكَ الْحَسَنَ، وَالْحُسَيْنَ - وَكَانَا خَيْرًا مِنْكَ - شَيْئًا قَدْ أَعْطَيْتُكَهُ وَزِدْتُكَ عَلَيْهِ، فَمَا كَانَ هَذَا جَزَائِي مِنْكَ. قَالَ: فَمَا رَدَّ عَلَيْهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَنٍ جَوَابًا، وَتَعَجَّبَ النَّاسُ مِنْ سُرْعَةِ جَوَابِهِ وَحِدَّتِهِ وَجَوْدَتِهِ عَلَى الْبَدِيهَةِ. وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ ذِكْرُهُ - رَحِمَهُ اللَّهُ - فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عَطِيَّةَ الْعَوْفِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَخْرُجُ عِنْدَ انْقِطَاعٍ مِنَ الزَّمَانِ، وَظُهُورٍ مِنَ الْفِتَنِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: السَّفَّاحُ. فَيَكُونُ إِعْطَاؤُهُ الْمَالَ حَثْيًا» . وَكَذَا رَوَاهُ زَائِدَةُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي إِسْنَادِهِ عَطِيَّةُ الْعَوْفِيُّ وَقَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ. وَفِي كَوْنِ الْمُرَادِ بِهَذَا الْمَذْكُورِ السَّفَّاحَ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا، فِيمَا تَقَدَّمَ عِنْدَ زَوَالِ دَوْلَةِ بَنِي أُمَيَّةَ أَخْبَارًا وَآثَارًا فِي مِثْلِ هَذَا الْمَعْنَى. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ هِشَامٍ
পৃষ্ঠা - ৭৯১২


বাড়ি গিয়ে তাকে বনুউমায়্যার খলীফ৷ দের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, সে তখন একজন একজন
করে তাদের উল্লেখ করল ৷ত তবে সে মারওয়ান ইবন মুহাম্মাদকে এড়িয়ে গেল ৷ এসময় আমি
বললাম, এরপর কে ? সে বলল, এরপর ইবনুল হারিছিয়্যা আর সে তোমার ঔরসজাত ছেলে ৷
মুহাম্মদ ইবন আলী বলেন, আমার ছেলে ইবনুল হারিছিয়্যা তখন মাতৃপর্ভে ৷ বর্ণনাকারী বলেন,
একবার মদীনায় এক প্রতিনিধিদল সাফ্ফাহ্-এর সাক্ষাতে আগমন করল, সাক্ষাতকালে তারা
সকলে তার হস্তচুম্বনে ব্যস্ত হয়ে গেল ৷ কিভু, ইমরান ইবন ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ মুতীআ
আল-আদবীত৷ ৷র হস্তচুম্বন করলেন না ৷ত তিনি শুধুত তাকে আমীরুল ঘু ’মিনীন সম্বোধন করলেন এবং
বললেন, আল্লাহর কসম ! হে আমীরুল ঘু ’মিনীন ! আপনার হস্ত চুম্বন যদি আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি
করত এবং আপনার প্রতি আমার নৈকট্য বৃদ্ধি করত ৩তাহলে এ বিষয়ে কেউই আমার চেয়ে
অগ্রগামী হতে পা রত না ৷ আর যে কাজে কোন নওয়াব নেই আমার তাতে কোন প্রয়োজন নেই ৷
এমনকি তা করে আমাদের গোনাহ্গার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ একথা বলে তিনি বলে গেলেন ৷
বর্ণনাকারী বলেন, আল্লাহর কসম ! তার এই আচরণ সাফ্ফাহ্-এর কাছে তার মর্যাদা ও গ্রহণ-
যোগ্যতা সামান্য ও হ্রাস করল না ৷ বরং তিনি তাকে পসন্দ করলেন এবং তার দান অন্যদের
তুলনায় বৃদ্ধি করে দিলেন ৷ কাযী মুআফী ইবন যাকারিয়্যা উল্লেখ করেছেন যে সাফ্ফাহ্ রাত্রিকালে
মারওয়ানের ফৌজে নিন্নে৷ ৷ক্ত প্ ৷ঙ্ক্তিদ্বয় আবৃত্তি করে শোনানাের জন্য এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেনঃ



৷ ১,ট্রু ৷টু; ;কু ৷ টুাট্রু ণ্হ্রহ্রাট্রুপ্ঠু ভ্রুা৷ ৷ ,প্,৷ ;, ৷ শ্রোষ্ , ৷

“হে মারওয়ান পরিবার ! আল্লাহ্ তোমাদেরকে ধ্বংস করবেন এবং তোমাদের নিরাপত্তা ও

নির্ভয়কে ভয় ও বিতাড়নে পরিবর্তন করবেন ৷”
রুব্লু৷ ৷ ;,হু; ১া

“আল্লাহ্ তোমাদের বংশের কাউকে জীবিত না রাখুন এবং তোমাদেরকে বিতাড়িত করে
বিপদসঙ্কুল ভুখণ্ডে পৌছে দিন ৷”

খতীব বাগদাদী বর্ণনা করেছেন যে, একদিন সাফ্ফাহ্ আয়নায় তাকালেন উল্লেখ্য যে ছিলেন
অত্যন্ত সুদর্শন ৷ এরপর বললেন, হে আল্লাহ ৷ আমি সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের ন্যায় বলব
না আমিই যুবক খলীফা’ ৷ আমি বরং বলব হে আল্পাহ্ আমাকে আপনার আনৃপত্যে সুন্থতা ও দীর্ঘ
জীবন দান করুন ৷ তার কথা পুর্ণ হতে না হতেই তিনি একজন খলীফাকে অন্য একজনকে
বলতে শুনলেন, আমার ও তোমার মাঝে দুই মাস পাচ দিনের মেয়াদ রইল ৷ তখন সাফ্ফাহ্ তার
কথাকে অশুভ গণ্য করে বললেন, আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট ৷ আল্লাহ ব্যতীত কারও কোন
শক্তি নেই, তার উপরই ভরসা করলাম এবং তারই সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷ এঘটনার দুইমাস
পাচদিন পর তিনি ইনতিকা ৷ল করেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন মালিক আ ল খুয৷ ৷ঈ উল্লেখ
করেছেন যে, খলীফা ৷হারুন আর-রশীদত ৷র ছেলেকে নির্দেশ দেন ইসহাক ইবন ঈস৷ ইবন৷ আ
থেকে ঐ ঘটনা শুনতে যা তিনি সাফ্ফ৷ হ্-এর ব্যাপারে তার পিতা থেকে রিওয়ায়৷ ৷ত করেছেন ৷
তখন তিনি রশীদ ছেলেকে তার পিতা ঈস৷ থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার তিনি আরাফার দিন
সকালে সাফ্ফাহ্-এর সাক্ষাতে প্রবেশ করে তাকে রোযাদ৷ র অবস্থায় পান ৷ তখন তিনি তাকে
এদিন তার সাথে আলাপচ৷ ৷রিতায় অতিবাহিত করে তার কাছে ইফ তার করা র ৷নির্দেশ ৷দেন ৷ ঈসা


، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنِي دَاوُدُ بْنُ عِيسَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ - وَهُوَ وَالِدُ السَّفَّاحِ - قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنَ النَّصَارَى، فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: مَنْ تَجِدُونَ الْخَلِيفَةَ بَعْدَ سُلَيْمَانَ؟ قَالَ لَهُ النَّصْرَانِيُّ: أَنْتَ. قَالَ: فَأَقْبَلَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَلَيَّ، فَقَالَ: وَهِيَ فِي ثِيَابِكَ يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ: فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ جَعَلْتُ ذَلِكَ النَّصْرَانِيَّ فِي بَالِي، فَرَأَيْتُهُ يَوْمًا، فَأَمَرْتُ غُلَامِي أَنْ يَحْبِسَهُ عَلَيَّ، وَذَهَبْتُ بِهِ إِلَى مَنْزِلِي، فَسَأَلْتُهُ عَمَّا يَكُونُ بَعْدُ فِي خُلَفَاءِ بَنِي أُمَيَّةَ فَذَكَرَهُمْ وَاحِدًا وَاحِدًا، وَتَجَاوَزَ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ، قُلْتُ: ثُمَّ مَنْ؟ قَالَ: ثُمَّ ابْنُكَ ابْنُ الْحَارِثِيَّةِ. قَالَ: وَكَانَ إِذْ ذَاكَ حَمْلًا. وَوَفَدَ عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ فَبَادَرُوا إِلَى تَقْبِيلِ يَدِهِ، وَتَرَكَ ذَلِكَ عِمْرَانُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُطِيعٍ الْعَدَوِيُّ وَإِنَّمَا حَيَّاهُ بِالْخِلَافَةِ، وَهَنَّأَهُ بِهَا فَقَطْ. وَقَالَ: وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، لَوْ كَانَتْ تَزِيدُكَ رِفْعَةً وَتَزِيدُنِي وَسِيلَةً إِلَيْكَ، مَا سَبَقَنِي إِلَيْهَا أَحَدٌ مِنْ هَؤُلَاءِ، وَإِنِّي لَغَنِيٌّ عَمَّا لَا أَجْرَ فِيهِ. ثُمَّ جَلَسَ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا نَقَصَهُ ذَلِكَ مِنْ حَظِّ أَصْحَابِهِ. وَذَكَرَ الْقَاضِي الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا أَنَّ السَّفَّاحَ بَعَثَ رَجُلًا يُنَادِي بِهَذَيْنِ الْبَيْتَيْنِ فِي عَسْكَرِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ لَيْلًا، ثُمَّ رَجَعَ، وَهُمَا هَذَانِ:
পৃষ্ঠা - ৭৯১৩


বলেন, তখন আমি তার সাথে তা ৷৷লাপচ ৷বিতায় রত হই ৷ এমনকি তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন,
৩ খন আ মি উঠে দ৷ ৷ড়িয়ে তাকে বলি, আ ৷মি ব ৷ড়িণ্ডে গিয়ে বিশ্রাম করে আর র ফিরে আসর ৷ আমি
গিয়ে সামান্য ঘুমিয়েতার গৃহে ফিরে এসে দেখি তা র গৃহদ্বা রে জনৈক সুসংবাদক বাহক উপস্থিত
হয়েছে সিন্ধু বিজয়ের সংবাদ এবং সিন্ধুবাসীর খলীফা ৷র অনুকুলে বায়আ ত গ্রহণ এবং সব বিষয়
তার গভর্নরদের কাছে ন্যস্ত করার সুসংবাদ নিয়ে ৷ ঈস৷ বলেন, তখন আমি আল্লাহর প্রশংসা
করলাম ৷ যিনি আমাকে এই সুসংবাদ নিয়ে তার সাক্ষাতে প্রবেভৈশব তাওফীক দান করলেন ৷
এরপর আমি গৃহাভ্যম্ভরে প্রবেশ করে দেখলাম সেখানে আফ্রিকা বিজয়ের সুসংবাদ নিয়ে
আরেকজন সুসংবাদবাহক উপস্থিত ৷ তখন আমি আল্লাহর প্রশংসা করে তার সাক্ষাতে প্রবেশ
করলাম এবং তাকে এই সুসংবাদ শোনালাম ৷ এসময় তিনি উয়ুর পর তার দাড়ি আচড়াচ্ছিলেন ৷
এমন সময়ে তার হাত থেকে চিরুণী পড়ে গেল ৷ তিনি লেখেন, আল্লাহ পবিত্র ! তিনি ব্যতীত সব
কিছু ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে ৷ আল্লাহর কসম ৷ তুমি তো আমার কাছে আমার মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা
করেছ ৷ আমাকে ইমাম ইব্রাহীম বর্ণনা করেছেন, আবু হিশাম থেকে তিনি আবদুল্লাহ ইবন
মুহাম্মাদ ইবন আলী ইবন আবুতা তালিব থেকে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উদ্ধৃতিতে৩ তিনি বলেছেন যে,
আমার এই শহরে আমার কাছে ইে প্রতিনিধি আসবে, একটি হল সিন্ধুর প্রতিনিধি আর অপরটি
হল আফ্রিকার প্রতিনিধি এরা সেখানকার অধিবাসীদের আমার অনুকুলে বায়আত ও আনুগত্যের
সুসংবাদ নিয়ে আসবে ৷ এরপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পুর্বেই আমি মরে যাবো ৷ তিনি
বললেন, আর সেই দুই প্রতিনিধি আমার কাছে পৌছে গেছে ৷ হে চাচাজান ! আল্লাহ আপনাকে
আপনার তা তিাজার মৃত্যুতে আপনাকে বিরাট প্রতিদান দা ন করুন ৷ আমি তখন বললাম, হে
আমীরুল মু ’মিনীন, আল্লাহ চানওে ৷কখনােই এমন হবে না ৷ তিনি বললেন, অবশ ৷৷ই আল্লাহ চান
তো এমন হবে ৷ দুনিয়া যদি আমার কাছে প্রিয় হয়ে থাকে তাহলে আখিরাত তো আমার কাছে
প্রিয়তর এবং আমার প্রতিপালকের সাক্ষাত আমার জন্য কল্যাণকর ৷ আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে
রিওয়ায়ারুত র বিশুদ্ধতা আমার কাছে তার চেয়ে প্রিয় ৷ আল্লাহর কসম ! আমাকে মিথ্যা বলা হয়নি
এবং আমি নিজেও মিথ্যা বলিনি ৷ এরপর তিনি উঠে গৃহাভ্যম্ভরে প্রবেশ করলেন এবং আমাকে
বসে থাকা ৷র নির্দেশ দিলেন ৷ এরপর মুআবৃযিন যখন তাকে যুহরের নামায়ের সময় হওয়ার কথা
জানাতে আসল, তখন তার খাদিম বের হয়ে আমাকে জানাল ৷ তার পক্ষ থেকে নামায পড়াতে,
একইভাবে আসর, মাগরিব ও ইশার নামায হল এবং সেখানেই রাত্রি যাপন করলাম ৷ এরপর
যখন রাতের শেষ প্রহর হল তখন খাদিম আমার কাছে তার একটি পত্র নিয়ে আসল ৷ যে পত্রে
তিনি আমাকে তার পক্ষ থেকে ফজর ও ঈদের নামায পড়ার নির্দো৷ দিয়েছেন তারপর তার গৃহে
ফিরে আসা র নির্দেশ দিয়েছেন ৷ আরত ৷র এই পত্রে তিনি বলেন, হে চাচাজ জান আমার মৃত্যু হলে
এই ফবমা ন লোকদেরকে ৫শ্ ৷৷নানাে এবং তাতে যার নাম বিদ্যমান রয়েছে তার অনুকুলে তাদের
বায়আত করার পুর্বে তাদেরকে আপনি আমার মৃত্যু সম্পর্কে জানাবেন না ৷ ঈস৷ বলেন,
লোকদেরকে নামায পড়িয়ে আমিত ৷র কা ছে ফিরে অ ৷সলাম ৷ তার কোন সমস্যা ছিল না ৷ এরপর
দিনের শেষভাগে আমি তার সাক্ষাতে প্রবেশ করলাম, তখনও তিনি পুর্বরৎ সুস্থ ৷ তবে তার
মুখমণ্ডলে দু’টি ছোট দানা বের হয়েছিল, এরপর যে দুটি বড় হল এবং এরপর তার সারা
মুখমণ্ডলে সাদা সাদা ছোট দানা বের প্ হল ৷ কেউ কেউ বলেন, তা ছিল গুটি বসন্ত ৷ এরপর দ্বিতীয়


يَا آلَ مَرْوَانَ إِنَّ اللَّهَ مُهْلِكُكُمْ ... وَمُبْدِلٌ أَمْنَكُمْ خَوْفًا وَتَشْرِيدَا لَا عَمَّرَ اللَّهُ مِنْ أَنْسَالِكُمْ أَحَدًا ... وَبَثَّكُمْ فِي بِلَادِ الْخَوْفِ تَطْرِيدَا وَرَوَى الْخَطِيبُ الْبَغْدَادِيُّ أَنَّ السَّفَّاحَ نَظَرَ يَوْمًا فِي الْمِرْآةِ - وَكَانَ مِنْ أَجْمَلِ النَّاسِ وَجْهًا - فَقَالَ: اللَّهُمَّ لَا أَقُولُ كَمَا قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ: أَنَا الْخَلِيفَةُ الشَّابُّ. وَلَكِنِّي أَقُولُ: اللَّهُمَّ عَمِّرْنِي طَوِيلًا فِي طَاعَتِكَ مُمَتَّعًا بِالْعَافِيَةِ. فَمَا اسْتَتَمَّ كَلَامَهُ حَتَّى سَمِعَ غُلَامًا يَقُولُ لِآخَرَ: الْأَجَلُ بَيْنِي وَبَيْنَكَ شَهْرَانِ وَخَمْسَةُ أَيَّامٍ. فَتَطَيَّرَ مِنْ كَلَامِهِ، وَقَالَ: حَسْبِيَ اللَّهُ، لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، عَلَيْهِ تَوَكُّلِي، وَبِهِ أَسْتَعِينُ. فَمَاتَ بَعْدَ شَهْرَيْنِ وَخَمْسَةُ أَيَّامٍ. وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الْخُزَاعِيُّ أَنَّ الرَّشِيدَ أَمَرَ ابْنَهُ أَنْ يَسْمَعَ مِنْ إِسْحَاقَ بْنِ عِيسَى بْنِ عَلِيٍّ مَا يَرْوِيهِ عَنْ أَبِيهِ فِي قِصَّةِ السَّفَّاحِ، فَأَخْبَرَهُ عَنْ أَبِيهِ عِيسَى أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى السَّفَّاحِ يَوْمَ عَرَفَةَ بُكْرَةً فَوَجَدَهُ صَائِمًا، فَأَمَرَهُ أَنْ يُحَادِثَهُ فِي يَوْمِهِ هَذَا، ثُمَّ يَخْتِمُ ذَلِكَ بِفِطْرِهِ عِنْدَهُ. قَالَ: فَحَادَثْتُهُ حَتَّى أَخَذَهُ النَّوْمُ، فَقُمْتُ عَنْهُ، وَقُلْتُ: أُقِيلَ فِي مَنْزِلِي، ثُمَّ أَجِيءُ بَعْدَ ذَلِكَ. فَذَهَبْتُ فَنِمْتُ قَلِيلًا ثُمَّ قُمْتُ، فَأَقْبَلْتُ إِلَى دَارِهِ، فَإِذَا عَلَى بَابِهِ بَشِيرٌ مِنْ أَهْلِ السِّنْدِ بِبَيْعَتِهِمْ لِلْخَلِيفَةِ وَتَسْلِيمِ الْأُمُورِ إِلَى نُوَّابِهِ. قَالَ: فَحَمِدْتُ اللَّهَ تَعَالَى الَّذِي وَفَّقَنِي
পৃষ্ঠা - ৭৯১৪
لِأَنْ أَجِيئَهُ بِبِشَارَةٍ، ثُمَّ دَخَلْتُ الدَّارَ، فَإِذَا آخَرُ مَعَهُ الْبِشَارَةُ بِفَتْحِ إِفْرِيقِيَّةَ فَحَمِدْتُ اللَّهَ أَيْضًا، وَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَبَشَّرْتُهُ بِذَلِكَ وَهُوَ يُسَرِّحُ لِحْيَتَهُ بَعْدَ الْوُضُوءِ، فَسَقَطَ الْمُشْطُ مِنْ يَدِهِ، ثُمَّ قَالَ: سُبْحَانَ اللَّهِ! كُلُّ شَيْءٍ بَائِدٌ سِوَاهُ، نَعَيْتَ وَاللَّهِ نَفْسِي ; حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ الْإِمَامُ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيَّ فِي مَدِينَتِي هَذِهِ وَافِدَانِ ; وَافِدُ السِّنْدِ، وَالْآخَرُ وَافْدُ إِفْرِيقِيَّةَ بِسَمْعِهِمْ وَطَاعَتِهِمْ وَبَيْعَتِهِمْ، فَلَا يَمْضِي بَعْدَ ذَلِكَ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ حَتَّى أَمُوتَ. قَالَ: وَقَدْ أَتَانِي الْوَافِدَانِ، فَأَعْظَمَ اللَّهُ أَجَرَكَ يَا عَمِّ فِي ابْنِ أَخِيكَ. فَقُلْتُ: كَلَّا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ. قَالَ: بَلَى إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَئِنْ كَانَتِ الدُّنْيَا حَبِيبَةً إِلَيَّ، فَصِحَّةُ الرِّوَايَةِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْهَا، وَاللَّهِ مَا كَذَبْتُ وَلَا كُذِبْتُ. ثُمَّ نَهَضَ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ، وَأَمَرَنِي بِالْجُلُوسِ، فَلَمَّا جَاءَ الْمُؤَذِّنُ يُعْلِمُهُ بِوَقْتِ الظُّهْرِ خَرَجَ الْخَادِمُ يَأْمُرُنِي أَنْ أُصَلِّيَ عَنْهُ، وَكَذَلِكَ الْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ، كُلُّ ذَلِكَ يَخْرُجُ الْخَادِمُ فَيَأْمُرُنِي أَنْ أُصَلِّيَ عَنْهُ، وَبِتُّ هُنَاكَ، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ السَّحَرِ خَرَجَ الْخَادِمُ بِكِتَابٍ مَعَهُ يَأْمُرُنِي أَنْ أُصَلِّيَ عَنْهُ الْعِيدَ، ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى دَارِهِ، وَفِيهِ يَقُولُ: يَا عَمِّ، إِذَا مِتُّ فَلَا تُعْلِمِ النَّاسَ بِمَوْتِي حَتَّى تَقْرَأَ عَلَيْهِمْ هَذَا الْكِتَابَ فَيُبَايِعُوا لِمَنْ فِيهِ. قَالَ: فَصَلَّيْتُ بِالنَّاسِ، ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَيْهِ فَإِذَا لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ مِمَّا أُنْكِرُهُ، ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَيْهِ مِنْ آخِرِ النَّهَارِ، فَإِذَا هُوَ عَلَى حَالِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ خَرَجَتْ فِي وَجْهِهِ حَبَّتَانِ صَغِيرَتَانِ، ثُمَّ كَثُرَتَا، ثُمَّ صَارَ فِي وَجْهِهِ حَبٌّ صِغَارٌ بِيضٌ - يُقَالُ: إِنَّهُ جُدَرِيٌّ - ثُمَّ بَكَّرْتُ
পৃষ্ঠা - ৭৯১৫


দিন প্ৰত্যুষে আমি তার কাছে পেলাম ৷ তখন দেখলাম তিনি প্ৰলাপ বকছেন এবং আমাকে কিৎবা
অন্যদেরকে আর চিনতে পারছেন না ৷ এরপর আমি যখন সন্ধ্যায় তার কাছে আসলাম তখন
দেখলাম তার শরীর পুর্ণ মশ কের ন্যায় ফুলে উঠেছে ৷ তিনি আয়্যামু৩ ৩তাশরীকের ৩ভীয় দিন
অর্থাৎ তে রই যুলহজ্জ জ্জাইনতিকা ৷ল করেন ৷ তার মৃত্যুর পর তার ওসীয়ত মুতাবিক আমি তাকে
আবৃত করলাম ৷ এরপর লোকদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গিয়ে তাদের সমাবেশে তার লিখিত
ফরমান পাঠ করলাম ৷ ত ৷র ৩ ৷ষ্য ছিল আমীরুল মু মিনীন আবদুল্লাহ্র পক্ষে থেকে মুসলমানদের
কর্তৃহ্াধিকারী ও সাধারণ জনগণের প্ৰতি তোমাদের উপর আল্লাহ্র শান্তি বর্ণিত হোক ৷ পর কথা
হল তোমাদের আমীরুল মুমিনীন তার ওফাতের পর তার ভাইকে খলীফা মনোনীত করেছেন ৷
কাজেই, তোমরা তার আনুগত্য করো ৷ আর তার পরবর্তী খলীফা ৷রুপে তিনি ঈসা ইবন মুসাকে
মনোনীত ৩করেছেন যদি সে থাকে ৷ বর্ণনাকা রী বলেন, এসময় ল্যেকেরা তার যদি সে থাকে’ —
একথার মর্মোদ্ধারে মতভেদ করেছে ৷ কারও মতে এর অর্থ যদি তিনি এর উপযুক্ত হয়ে থাকেন ৷
অন্যদের মতে এর অর্থ যদি তিনি জীবিত থা ৷কেন ৷ এই দ্বিতীয় অর্থটিই সঠিক ৷ খতীব এবং ইবন
আসাকির বিশদভাবে তা আলোচনা করেছেন ৷ আর এটা তার সারসং ক্ষেপ ৷ তাতে মারকু
হাদীসখানিও বিদ্যমান ৷ আর তা অতি ৩মুনকার’ বা প্ৰ৩া৷খ্যানযোগ্য ৷ ইবন আসাকির উল্লেখ
করেছেন যে, চিকিৎসক যখন তার সাক্ষাতে প্রবেশ করে তার হাত ধরল, তখন তিনি আবৃত্তি
করতে লাগলেন-

া,শু৷ ৷ ঞা :স্র ৷ পু;;া

০ ’


“ আপনি স্থিরতার পর শরীরের দুর্বল৩ তা ও অক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য করুন তা আপনাকে
অব্যাহত করবে তার এই প্রকাশ মৃত্যুর পুর্ব লক্ষণ ৷”

তখন চিকিৎসক বললেন, আপনি তো ভাল’ ৷ তিনি আবৃত্তি করলেন,


শ্শ্শ্শ্শ্শ্


“তিনি আমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন যে আ ৷মি তার দৃষ্টিতে তা ল’ অথচ আমার মাঝে রয়েছে
সুপ্ত ব্যা৷ ধ ৷ আমি নিশ্চিত যে আমি আর যাবে না, আর বিশ্বাস সুস্পষ্ট হলে সংশয়ের কোন
অবকাশ ৷নেই’ ৷

জনৈক আলিম বলেন, সাফ্ফাহ্-এর সর্বশেষ কথা ছিল রাজতু ও সার্ব্যভীমতু চিরঞ্জীব ও
চিরস্থায়ী আল্লাহর যিনি পরম বাদশা এবং পরম পরাক্রমশালী ৷ তার আহুটি নকশা ছিল আল্লাহ্ তার
বান্দার ১ ভরসা ৷ একশ ছত্রিশ হিজরীর যুলহাজ্জা মাসের তের তারিখ রবিবার গুটি বসন্তের আক্রান্ত
হয়ে প্রাচীন আনবারে তার মৃত্যু হয় ৷ এসময়৩ তার বয়স ছিল তেত্রিশ ৷বছর ৷ আর প্রসিদ্ধতম
মতা ৷নুযায়ী তার খিলাফতক৷ ৷ল ছিল, চা র বছর নয় মাস ৷৩ তার চাচা ঈসা ইবন আলী তার জানাযার

১ এ স্থলে আরবীতে এ৷ ৷ ;ৰু; তাই আল্লাহ্র বন্দে৷ দ্বারা উদ্দেশ্য তিনি নিজেই ৷




إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي مِنْ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ فَإِذَا هُوَ قَدْ هَجَرَ وَذَهَبَتْ عَنْهُ مَعْرِفَتِي وَمَعْرِفَةُ غَيْرِي، فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ بِالْعَشِيِّ، فَإِذَا هُوَ قَدِ انْتَفَخَ حَتَّى صَارَ مِثْلَ الْزِّقِّ، وَتُوُفِّيَ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مِنْ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، فَسَجَّيْتُهُ كَمَا أَمَرَنِي، وَخَرَجْتُ إِلَى النَّاسِ، فَقَرَأْتُ عَلَيْهِمُ الْكِتَابَ، فَإِذَا فِيهِ: مِنْ عَبْدِ اللَّهِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، إِلَى الرَّسُولِ وَالْأَوْلِيَاءِ وَجَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ: سَلَامٌ عَلَيْكُمْ، أَمَّا بَعْدُ، فَقَدْ قَلَّدَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ الْخِلَافَةَ عَلَيْكُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ أَخَاهُ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَأَطِيعُوا، وَقَدْ قَلَّدَ الْخِلَافَةَ مِنْ بَعْدِ عَبْدِ اللَّهِ عِيسَى بْنَ مُوسَى إِنْ كَانَ. قَالَ: فَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِي قَوْلِهِ: إِنْ كَانَ. قِيلَ: إِنْ كَانَ أَهْلًا لَهَا. وَقَالَ آخَرُونَ: إِنْ كَانَ حَيًّا. وَهَذَا الْقَوْلُ الثَّانِي هُوَ الصَّوَابُ. ذَكَرَهُ الْخَطِيبُ وَابْنُ عَسَاكِرَ مُطَوَّلًا، وَهَذَا مُلَخَّصٌ مِنْهُ، وَفِيهِ ذِكْرُ الْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ، وَهُوَ مُنْكَرٌ جِدًّا. وَذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ الطَّبِيبَ لَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ أَخَذَ بِيَدِهِ، فَأَنْشَأَ السَّفَّاحُ يَقُولُ عِنْدَ ذَلِكَ: انْظُرْ إِلَى ضَعْفِ الْحَرَا ... كِ وُذُلِّهِ بِيَدِ السُّكُونْ يُنْبِئْكَ أَنَّ بَيَانَهُ ... هَذَا مُقَدِّمَةُ الْمَنُونْ فَقَالَ لَهُ الطَّبِيبُ: أَنْتَ صَالِحٌ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: يُبَشِّرُنِي بِأَنِّي ذُو صَلَاحٍ ... يَبِينُ لَهُ وَبِي دَاءٌ دَفِينُ لَقَدْ أَيْقَنْتُ أَنِّي غَيْرُ بِاقٍ ... وَلَا شَكٌّ إِذَا وَضَحَ الْيَقِينُ
পৃষ্ঠা - ৭৯১৬
قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ: كَانَ آخِرُ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَبُو الْعَبَّاسِ السَّفَّاحُ حِينَ حَضَرَهُ الْمَوْتُ: الْمُلْكُ لِلَّهِ الْحَيِّ الْقَيُّومِ، مَلِكِ الْمُلُوكِ، وَجَبَّارِ الْجَبَابِرَةِ. وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: اللَّهُ ثِقَةُ عَبْدِ اللَّهِ. وَكَانَ مَوْتُهُ بِالْجُدَرِيِّ فِي يَوْمِ الْأَحَدِ الثَّالِثَ عَشَرَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، سَنَةَ سِتٍّ وَثَلَاثِينَ وَمِائَةٍ بِالْأَنْبَارِ الْعَتِيقَةِ، عَنْ ثَلَاثٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَكَانَتْ خِلَافَتُهُ أَرْبَعَ سِنِينَ وَتِسْعَةَ أَشْهُرٍ عَلَى أَشْهَرِ الْأَقْوَالِ. وَصَلَّى عَلَيْهِ عَمُّهُ عِيسَى بْنُ عَلِيٍّ وَدُفِنَ فِي قَصْرِ الْإِمَارَةِ مِنَ الْأَنْبَارِ، وَتَرَكَ تِسْعَ جِبَابٍ وَأَرْبَعَةَ أَقْمِصَةٍ وَخَمْسَ سَرَاوِيلَاتٍ وَأَرْبَعَ طَيَالِسَةٍ وَثَلَاثَةَ مَطَارِفِ خَزٍّ. وَقَدْ تَرْجَمَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ فَذَكَرَ بَعْضَ مَا أَوْرَدْنَاهُ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: الْخَلِيفَةُ السَّفَّاحُ كَمَا تَقَدَّمَ وَأَشْعَثُ بْنُ سَوَّارٍ، وَجَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَحُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَرَبِيعَةُ الرَّأْيِ،
পৃষ্ঠা - ৭৯১৭

১১৮ আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া

নামায পড়ান ৷ তিনি সমাহিত হন আনবারের কাসরুল ইমারা নামক সমাধিতে ৷ তার পরিত্যক্ত
পবিধেয়ের মধ্যে উল্লেখযো গ্য হল নয়টি জুব্বা, চারটি কামীস (জামা) পাচঢি পাজা মা, চারটি অাবা
(আলখেল্লা জাভীয় পরিধেয়) এবং তিনটি পশমী চাদর ইবন আসাকির তার জীবনী উল্লেখ
করেছেন এবং আমরা যা কিছু বনাি করলামতার অংশ বিশেষ তিনিও উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ
সর্বাধিক জানেন ৷

এ বছরই যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তি ইনতিকাল করেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সাফ্ফাহ,
যেমন বিগত হয়েছে ৷ এছাড়া আশআছু ইবন সাওওয়ার , জাফর ইবন আবু রাবীআ, হুসাইন ইবন
আবদুর রহমান, রাবীআ আররাঈ , যায়দ ইবন আসলাম , আবদুল মালিক ইবন উমায়র , আবদুল্লাহ
ইবন আবু জাফর, আতা ইবনুস স ইাব এদের অন্তর্ভুক্ত ৷ আমরা আত্-তাকমীল গ্রন্থে তাদের
জীবনী উল্লেখ করেছি ৷ সমস্ত প্রশং সা আল্লাহর ৷

আবু জা ফর মানসুরের থিলাফত

া ৩ার পুর্ণ নাম আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ ইবন আালী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস ৷ ইতিপুর্বে
বিগত হয়েছে যে সাফ্ফাহ যখন মারা যান তখন তিনি হিজায়ে ছিলেন ৷ সাফ্ফাহ-এর মৃত্যু সং বাদ
যযখন তার কাছে পৌছে খনত তিনি হজ্জ থেকে ফেরার পথে যাতে ইরাক নামক স্থানে ছিলেন ৷
এসময় তার সাথে আবু মুসলিম থুরাসানী ছিলেন ৷ ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তিনি দ্রুত অগ্রসর
হন ৷ ভাইয়ের মৃত্যুতে আবু মুসলিম তাকে সান্তুনা প্রদান করেন ৷ তখন মানসুর কেদে ফেললে
আবু মুসলিম তাকে বলেন, আপনি কাদছেন অথচ আপনার কাধে খিলাফরুত তর দায়িত্ব অর্পিত
হয়েছে প্অ আল্লাহ চা ন তো আমিইা আ পনার পক্ষে এ দায়িত্ব পালন করব ৷ খনত তিনি দুশ্চিম্ভামুক্ত
হন ৷ এসময় তিনি যিয়াদ ইবন উবায়দুল্লাহকে নির্দেশ দেন পবিত্র মক্কা র গত র্নররুপে ফিরে যেতে ৷
ইতিপুর্বে সাফ্ফাহ তাক সে দায়িৎ থেকে অপসারণে করেত তার পরিবর্তে অ ব্বাস ইবন আবদুল্লাহ
ইবন মা’ বদ ইবন আব্বাসকে নিয়োগ করেন ৷ এ বছর অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য সকল
গভর্নরা-াপদে বহাল ছিলেন ৷ আর ইতিপুর্বে আবদুল্লাহ ইবন আলী তার ভাতিজা সাফ্ফাহ-এর
কাছে আনবারে আগমন করেন ৷ তিনি তাকে সাইফার প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ পরবর্তীতে তিনি
বিশাল বাহিনী নিয়ে রোম দেশ অভিমুখে রওনা হন ৷ পথিমধ্যে তার কাছে সাফ্ফা হ-এর মৃত্যু

ৎবাদ পৌছলে তিনিা হাররানে ফিরেত তারানিজের বায়আতের প্রতি ৩আহ্বান জানান ৷ এসময়৩ তিনি
দাবী করেন যে সাফ্ফাহ্ যখন তাকে শামে প্রেরণ করেন তখন তিনি তার সাথে অঙ্গীকার
করেছিলেন যে তিনিই হরেনত তার পরবর্তী খলীফা ৷ তখন তার চতষ্পাভ্রুর্শ্ব বিশাল বাহিনী সমেবেত
হয় ৷ আর তার বিষয়ে এ সম্পর্কিত আলোচনা আমরা পরবর্তী বছরের ঘটনাসমুহের মাঝে
ইনশাআল্লাহ উল্লেখ করব ৷

০০াা

وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي جَعْفَرٍ، وَعَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي كِتَابِنَا " التَّكْمِيلِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [خِلَافَةُ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ] قَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ السَّفَّاحَ مَاتَ وَأَخُوهُ أَبُو جَعْفَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ بِالْحِجَازِ، فَأَخَذَ الْبَيْعَةَ لَهُ بِالْعِرَاقِ عَمُّهُ عِيسَى بْنُ عَلِيٍّ، وَبَلَغَهُ خَبَرُ مَوْتِ أَخِيهِ السَّفَّاحِ وَهُوَ رَاجِعٌ بِذَاتِ عِرْقٍ فَعَجَّلَ السَّيْرَ، وَكَانَ مَعَهُ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ، فَبَايَعَهُ أَبُو مُسْلِمٍ فِي الطَّرِيقِ وَعَزَّاهُ فِي أَخِيهِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ السَّفَّاحِ، فَبَكَى أَبُو جَعْفَرٍ الْمَنْصُورُ عِنْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ لَهُ أَبُو مُسْلِمٍ: أَتَبْكِي وَقَدْ جَاءَتْكَ الْخِلَافَةُ؟! فَأَنَا أَكْفِيكَهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ. فَسُرِّيَ عَنِ الْمَنْصُورِ، وَأَمَرَ زِيَادَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৭৯১৮
أَنْ يَرْجِعَ إِلَى مَكَّةَ وَالِيًا عَلَيْهَا، وَكَانَ السَّفَّاحُ قَدْ عَزَلَهُ عَنْهَا بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَأَقَرَّ بَقِيَّةَ النُّوَّابِ عَلَى أَعْمَالِهِمْ حَتَّى انْسَلَخَتْ هَذِهِ السَّنَةُ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيٍّ قَدِمَ عَلَى السَّفَّاحِ الْأَنْبَارَ، فَأَمَّرَهُ عَلَى الصَّائِفَةِ، فَرَكِبَ فِي جُيُوشٍ عَظِيمَةٍ إِلَى بِلَادِ الرُّومِ، فَلَمَّا كَانَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ بَلَغَهُ مَوْتُ السَّفَّاحِ، فَكَرَّ رَاجِعًا إِلَى حَرَّانَ وَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، وَزَعَمَ أَنَّ السَّفَّاحَ كَانَ عَهِدَ إِلَيْهِ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الشَّامِ أَنْ يَكُونَ وَلِيَّ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ، فَالْتَفَّتْ عَلَيْهِ جُيُوشٌ عَظِيمَةٌ، وَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.