আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة تسع وعشرين ومائة

مقتل الكرماني

مقتل الكرماني

পৃষ্ঠা - ৭৮৪৫

আল-বিদায়া ওয়া নায়ানিহ ৬৯

ইতিমধ্যে তার সৈন্য সং থ্যা বহু বৃদ্ধি পেল ৷ তিনি একটি প্রতিষ্ঠিত সরকারের ন্যায় প্রতিরক্ষা,
পুলিশ, পররাষ্ট্র ও স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দায়ি ছুশীল নিয়োগ করলেন ৷ নেতৃস্থানীয়
ব্যক্তিত্ব কাসিম ইবন মুজাশিাকে বিচারক পদে নিযুক্ত করলেন ৷ কাসিম আবু মুসলিমসহ
অন্যান্যদেরকে নিয়ে জামাআত কায়েম ও ইমামতি ৩করতেন ৷ মাঝে মাঝে তিনি ওযায-নসীহত
করতেন ৷ তাতে আব্বাসীদের প্ৰশ ৎসা ও সুনাম এবং উমা ইয়াদের সমালোচনাও দৃর্নাম করতেন ৷

এরপর আবু মুসলিম বালীন নামে এক সালে এসে শিবির স্থাপন করলেন ৷ জায়গাটি কিছুটা
নিম্নাঞ্চল ছিল বটে ৷ নাসর ইবন স ইযাব তাদের পানি প্রবাহ বন্ধ করে দেয় কিনা এই সন্দেহ
ছিল ৷ তারা এখানে আসেন এই ইিজরী সনের যুল্হাজ্জামাসের ছয়ত তারিখে ৷ কাযী কাসিম ইবন
যুজাশি যথাসময়ে দশই যুলুহাজ্জা ঈদুল আযহা র নামায পড়ালেন ৷ নাসর ইবন সাইয়ার বিশাল
সেনা বহর নিয়ে আবু মুসলিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে অগ্রসর হল ৷ সে সংশ্লিষ্ট শহরগুলোতে
তার প্রতিনধিকে দায়িত্ব দিয়ে নিজে যুদ্ধে এসেছিল ৷ উভয় পক্ষে যুদ্ধ হল ৷ পরবর্তী ইিজরী সনে
তা আলোচিত হবে ৷

ইবনুল কিরমানীর হত্যাকাণ্ড

নাসর ইবন সাইয়ার এবং ইবনুল কিরমানীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল ৷ ইবনুল কিরমানী হল
জাদী ইবন আলী কিরমানী ৷ যুদ্ধে উভয় পক্ষে বহু লোক হতাহত হয় ৷ আবু মুসলিম খুরাসানী
উভয় দলের নিকট লিখিত প্রস্তাব পাঠান তারা নিজের দলে শামিল হবার জন্যে ৷ তিনি নাসরকে
লিখেছেন ইবনৃল কিবমানীকে ও লিখেছেন ৷ তিনি এও লিখেছেন যে ইমাম ইব্রাহীম আমাকে
লিখেছেন তোমাদের কল্যাণ সাধনের জন্যে ৷ আমি তোমাদের ব্যাপারে তার নির্দেশ লঙ্ঘন করতে
পারব না ৷ তিনি অন্যান্য রাজেওে চিঠি লিখেছেন আব্বাসীদের সমর্থনে এগিয়ে আমার জন্যে ৷
ফলে বহু লোক তার ডাকে সাড়া দেয় এবং তার নিকট সমবেত হয় ৷

এবার আবু মুসলিম এগিয়ে গেলেন ৷ নাসরের নিরাপত্তা পরিখা এবং ইবনুল কিরমানীর
নিরাপত্তা পরিখার মাঝখানে অবস্থান নিলেন ৷ ফলে উভয় পক্ষ তার উপস্থিতিতে ভয় পেয়ে গেল ৷

নাসর ইবন সাইয়ার ঘটনার বিবরণ দিয়ে মারওয়ানের নিকট লিখল যে, আবু মুসলিম রণাঙ্গনে
উপস্থিত হয়েছে প্রচুর অনুসারী ও ভক্ত সহকারে ৷ সে ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদের প্রতি বায়আত
করার জন্যে জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছে ৷ চিঠিতে সে এও লিখেছে যে ঘ্র

শ্


“আমি ছ ইষেব মধ্যে জ্বলম্ভ কয়লা র ঝলকানি দেখতে পাচ্ছি ৷ এটি নিশ্চিত যে, এক সময়
একটি অগ্নি শিাথায় পরিণত ৩হয়ে জ্বলে উঠবে ৷

ণ্১াদ্বুট্রুা ৷ার্চু১টুাটু ড্রু হ্ন্টু’ন্৷ ৷ ৰুহুাঠু ষ্ব্লু১; ,;াৰুাৰু ংাব্লু ট্রুাদ্বুা দু,(প্
“কারণ কাঠের সংম্পর্শ পেলে আগুন জ্বলে উঠবেই ৷ আর যুদ্ধের প্রাথমিক কাজ তো
আলাপ-আলোচনাই বটে ৷”

মোঃ


بِقَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: آلِينُ. وَكَانَ فِي مَكَانٍ مُنْخَفِضٍ، فَخَشِيَ أَنْ يَقْطَعَ عَنْهُ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ الْمَاءَ، وَذَلِكَ فِي سَادِسِ ذِي الْحِجَّةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَصَلَّى بِهِمْ يَوْمَ النَّحْرِ الْقَاضِي الْقَاسِمُ بْنُ مُجَاشِعٍ، وَصَارَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ فِي جَحَافِلَ قَاصِدًا قِتَالَ أَبِي مُسْلِمٍ وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْبِلَادِ نُوَّابًا، فَكَانَ مِنَ الْأَمْرِ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [مَقْتَلُ الْكَرْمَانِيِّ] وَنَشِبَتِ الْحَرْبُ بَيْنَ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ وَبَيْنَ الْكَرْمَانِيِّ وَهُوَ جَدِيعُ بْنُ عَلِيٍّ الْكَرْمَانِيُّ فَقُتِلَ بَيْنَهُمَا مِنَ الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَجَعَلَ أَبُو مُسْلِمٍ يُكَاتِبُ كُلًّا مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ، وَيَسْتَمِيلُهُمْ إِلَيْهِ، يَكْتُبُ إِلَى نَصْرٍ وَإِلَى الْكَرْمَانِيِّ: إِنَّ الْإِمَامَ قَدْ أَوْصَانِي بِكُمْ خَيْرًا، وَلَسْتُ أَعْدُو رَأْيَهُ فِيكُمْ. وَكَتَبَ إِلَى الْكُوَرِ يَدْعُو إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ فَاسْتَجَابَ لَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌ غَفِيرٌ، وَأَقْبَلَ أَبُو مُسْلِمٍ فَنَزَلَ بَيْنَ خَنْدَقِ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ وَخَنْدَقِ جُدَيْعٍ الْكَرْمَانِيِّ، فَهَابَهُ الْفَرِيقَانِ جَمِيعًا. وَكَتَبَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ إِلَى الْخَلِيفَةِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ الْمُلَقَّبِ بِالْحِمَارِ يُعْلِمُهُ بِأَمْرِ أَبِي مُسْلِمٍ وَكَثْرَةِ مَنْ مَعَهُ، وَأَنَّهُ يَدْعُو إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ وَكَتَبَ فِي كِتَابِهِ:
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৬
“বিম্ময়ের সাথে আ মি বলছি যে, হয়ে আমি যদি জানতে প র ওাম উমা ইয়পণ এখন কি সজাগ

আছে না তারা ঘুমিয়ে আছে ?”

জবাবে ম ৷রওয়ান লিখে যে, উপস্থিত ব্যক্তি যা দেখতে পায় অনুপস্থিত ব্যক্তি তা দেখতে পায়
না ৷ নাসর বলে , আপনার সহযোগী আমি নাসর বলছি যে, এখন আমার কো ন সাহা ৷যাকারী নেই ৷

কেউ কেউ নাসরের কবিতা নিম্নরুপ বলে বর্ণনা করেছেন :
ণ্াট্রুপু৯ ভ্রুৰু৷ প্রু,া
“আমি তো ছাইয়ের ন্তুর্পের মধ্যে আগুনের ঝলক দেখছি ৷ অবিলম্বে সেটি লেলিহান শিখা
হয়ে জ্বলে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে ৷”

ণ্১াহ্রাৰুা,!প্রুশ্া৷ এা, ট্রু,দ্বু১ন্ষ্াা৷ন্ এোশু£১

“কারণ, কাঠে সংস্প স্পর্শে আগুন জ্বলে উঠে ৷ আর যুদ্ধের প্রাথমিক স্তর তাে কথা বার্তা ও
আলাপ-আলোচনা ৷”

#

ণ্চুএিওঠা ষ্শ্রিা

“জাতির ৰিবেকবা ন ও সচেতন লোকেরা যদি এই আ গুন নিভিয়ে না দেয়, তাহলে মানব দেহ
মানব-মস্তক হবে তার জ্বালানী ও ইন্ধন ৷”

ৰ্টশ্শ্ ষ্শ্)ন্ধ্রশ্ষ্শ্রুণ্ শ্ণ্শ্ প্শ্ শ্ :শ্ র্চশ্স্ শ্ শ্০; ×

“আমি বিস্মিত হয়ে বলছি যে, হয়ে আমি যদি জানতে পারতাম উমাইয়াপণ এখনও ঘুমিয়ে
আছে না কি তারা জাগ্রত হয়েছে ৷”

“ওরা যদি এই সংকটময় মুহুতে ৩ও ঘুমিয়ে থাকে তবে তাদেরকে বলুন যে, তোমরা সকলে
ঘুম ভেঙ্গে উঠ,৷ দাড ৷ও, প্রস্তুত হও, প্রস্তুত হবার সময় এসে পড়েছে” ৷

ইবন খাল্লিকান বলেছেন, এটি তো সেই কবিতা ৷র ন্যায় ঘুহা ম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হুসান ৷নই
এবং ইব্রাহীম ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন হুসাইন সাফ্ফাব ভাই মানসুরের বিরুদ্ধে বিদ্রো ৷হ করার পর
জনৈক কুফ৷ ৷বাসী আ ৷লী বংশীয় ব্যক্তি বা আবৃত্তি করেছিল ৷ সে বলেছিল :

াছু প্রু,া
“আমি ৫৩ তা দেখছি ভুমিতে আগুন প্রজ্বলিত ৩হচ্ছে ৷ সেটি চা ৷রিদিকে শিখা ছড়িয়ে জ্বলছে ৷”
গ্লুভ্রু ; ন্৫ন্ণ্ণ্ ;,ন্গু১ ;;;াশ্, ভ্রুাঞন্ এে ৷ন্’; ১১১১ ১১ ন্

“আব্বাসীগণ ওই আগুন সম্পর্কে উদাসীন হয়ে শুয়ে রয়েছে তারা তৃপ্ত পরিতৃপ্ত ও প্রশান্ত
মনে ঘুমিয়ে আছে ৷”


أَرَى بَيْنَ الرَّمَادِ وَمِيضَ جَمْرٍ ... فَأَحْرِ بِأَنْ يَكُونَ لَهُ ضِرَامُ فَإِنَّ النَّارَ بِالْعُودَيْنِ تُذْكَى ... وَإِنَّ الْحَرْبَ مَبْدَؤُهَا الْكَلَامُ فَقُلْتُ مِنَ التَّعَجُّبِ لَيْتَ شِعْرِي ... أَأَيْقَاظٌ أُمَيَّةُ أَمْ نِيَامُ فَكَتَبَ إِلَيْهِ مَرْوَانُ: الشَّاهِدُ يَرَى مَا لَا يَرَى الْغَائِبُ. فَقَالَ نَصْرٌ: إِنَّ صَاحِبَكُمْ قَدْ أَعْلَمَكُمْ أَنْ لَا نُصْرَةَ عِنْدَهُ. وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهَا بِلَفْظٍ آخَرَ: أَرَى خَلَلَ الرَّمَادِ وَمِيضَ نَارٍ ... فَيُوشِكُ أَنْ يَكُونَ لَهَا ضِرَامُ فَإِنَّ النَّارَ بِالزِّنْدَيْنِ تُورَى ... وَإِنَّ الْحَرْبَ أَوَّلُهَا كَلَامُ لِئَنْ لَمْ يُطْفِهَا عُقَلَاءُ قَوْمٍ ... يَكُونُ وُقُودُهَا جُثُثٌ وَهَامُ أَقُولُ مِنَ التَّعَجُّبِ لَيْتَ شِعْرِي ... أَأَيْقَاظٌ أُمَيَّةُ أَمْ نِيَامُ فَإِنْ كَانُوا لِحِينِهِمُ نِيَامًا ... فَقُلْ قُومُوا فَقَدْ حَانَ الْقِيامُ قَالَ ابْنُ خَلِّكَانَ: وَهَذَا كَمَا قَالَ بَعْضُ عَلَوِيَّةِ الْكُوفَةِ حِينَ خَرَجَ مُحَمَّدٌ، وَإِبْرَاهِيمُ ابْنَا عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ عَلَى الْمَنْصُورِ أَخِي السَّفَّاحِ: أَرَى نَارًا تَشُبُّ عَلَى بِقَاعٍ ... لَهَا فِي كُلِّ نَاحِيَةٍ شُعَاعُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৭


আল-বিদায়া ওয়াননিহায়া ৭১

এো

“ আব্বাসী নেতৃবর্গ এখন ঘুমিয়ে আছে যেমন ঘুমিয়েছিল ইতিপুর্বে উমাইয়াপণ ৷ এরপর
তারা জেগে উঠে প্রতিরোধ করতে ৩চেয়েছে কিন্তু তখন ওই প্রতিবাে ধ কোন কাজে আসেনি ৷”

নাসর ইবন সা ইয়া র এই সংকটে ইরাকের প্রশাসক ইয়াযীদ ইবন উমর ইবন হুবয়রা র নিকট
সাহায্য চেয়ে পত্র লিখেছিল ৷ নাসর লিখেছিল যে ং


“ইয়াযীদকে জানিয়ে দাও, বস্তুত সত্য কথা হল সর্বোত্তম কথা ৷ আর আমি বিশ্লেষণ করে
দেখেছি যে, মিথ্যাচারে কোন কল্যাণ নেই ৷


“া ৩াকে জানিয়ো দা ও যে, খুরাসানে আামি একটি ডিম দেখেছি ৷ ওই ডিম ফুটে যদিা বাচ্চা বের
হয় তবে বিস্ময়কর ও প্রলয়ৎকরী কাণ্ড ঘটিয়ে দিবে” ৷


“সেটি এখন দুই বছর বয়সের বাচ্চা, কিন্তু অনেক বড় হয়ে গিয়েছে ৷ এখনো উড়তে শুরু
করেনি ৷ সেটির গায়ে এখন ছোট (ছ ট পা লক গজিয়েছে ৷


“ ওগুলো যদি উড়তে শুরু করে এবং ওগুলােকে বাধা দেওয়ার কোন ব্যন্থা গ্রহণ না করা হয়
তাহলে সেগুলো যুদ্ধের দাউদাউ লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে দিবে ৷ ”

এই প্রেক্ষাপটে নাসরের পাঠানো চিঠিটি ইবন হুবায়রা খলীফা মারওয়ানের নিকট পাঠিয়ে
দেয় ৷ এই চিঠি যখন মারওয়ানের নিকট পৌছে তখন মারওয়ানের লোকেরা অন্য একটি চিঠিসহ
একজন পত্র বাহককে আটক করে ৷৩ তার নিকট ইমাম ইবরাহীমের পক্ষ হতে আবু মুসলিম
খুরাসানীকে লেখাএকটি পত্র ছিল ৷ ওই পত্রে ইমাম ইবরাহীম আবুমুসলিমের গৃহীত পদক্ষেপের
জন্যে তাকে মন্দ বলেছেন এবং নাসর ইবন সাইয়ার ও ইবনুল কিরমানী দুইজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
চালানোর নির্দেশ দেন ৷ উপরন্তু এই নির্দেপও দেন যে, ভাল আরবী জানা কোন লোককে যেন
সেখানে জীবিত ছেড়ে দেওয়া না হয় ৷

এই পত্র হস্তান্তর হবার পর হাবৃরানে অবস্থানকারী খলীফা মারওয়ান দামেস্কের শাসনকর্তা
ওয়ালীদ ইবন মুআবিয়া ইবন আবদুল মালিককে লিখিত নির্দেশ দেয়, সে যেন হামীমা গমন করে ৷
ইমাম ইবরাহীম তখন হামীমাতে অবস্থান করছিলেন ৷ মারওয়ান নির্দেশ দিল যে , ওয়ালীদ যেন
হামীমা গিয়ে ইবরাহীমকে গ্রেফতার করে এবং তাকে মারওয়ানের নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ ওয়ালীদ
তার অধীনস্থ বালকানের প্রশাসককে প্রেরণ করে গম্ভব্যন্থলে ৷ সে হামীমা নগরীর মসজিদে যায় ৷
ইবরাহীমকে সে ওখানে উপবিষ্ট দেখতে পড়ায় ৷ যে তাকে গ্রেফতার করে এবং দামেস্কে পাঠিয়ে
দেয় ৷ দামেস্কের প্রশাসক ওয়ালীদ ইবন মুআবিয়া তাকে তৎক্ষণাৎ খলীফা মারওয়ানের নিকট


وَقَدْ رَقَدَتْ بَنُو الْعَبَّاسِ عَنْهَا ... وَبَاتَتْ وَهِيَ آمِنَةٌ رِتَاعُ كَمَا رَقَدَتْ أُمَيَّةُ ثُمَّ هَبَّتْ ... تُدَافِعُ حِينِ لَا يُغْنِي الدِّفَاعُ وَكَتَبَ نَصْرٌ إِلَى نَائِبِ الْعِرَاقِ يَزِيدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ يَسْتَمِدُّهُ، كَتَبَ إِلَيْهِ: أَبْلِغٍ يَزِيدَ وَخَيْرُ الْقَوْلِ أَصْدَقُهُ ... وَقَدْ تَبَيِّنْتُ أَنْ لَا خَيْرَ فِي الْكَذِبِ بِأَنْ خُرَاسَانُ أَرْضٌ قَدْ رَأَيْتُ بِهَا ... بَيْضًا لَوِ افْرَخَ قَدْ حُدِّثْتَ بِالْعَجَبِ فِرَاخُ عَامَيْنِ إِلَّا أَنَّهَا كَبُرَتْ ... لَمَّا يَطِرْنَ وَقَدْ سُرْبِلْنَ بِالزَّغَبِ فَإِنْ يَطِرْنَ وَلَمْ يُحْتَلْ لَهُنَّ بِهَا ... يُلْهِبْنَ نِيَرَانَ حَرْبٍ أَيَّمَا لَهَبِ فَبَعَثَ ابْنُ هُبَيْرَةَ بِكِتَابِ نَصْرٍ إِلَى مَرْوَانَ وَاتَّفَقَ فِي وُصُولِهِ إِلَيْهِ أَنْ وَجَدُوا رَسُولًا مِنْ جِهَةِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ وَمَعَهُ كِتَابٌ مِنْهُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ وَهُوَ يَشْتُمُهُ وَيَسُبُّهُ وَيَأْمُرُهُ أَنْ يُنَاهِضَ نَصْرَ بْنَ سَيَّارٍ وَالْكَرْمَانِيَّ، وَلَا يَتْرُكُ هُنَاكَ مَنْ يُحْسِنُ الْكَلَامَ بِالْعَرَبِيَّةِ. فَعِنْدَ ذَلِكَ بَعَثَ مَرْوَانُ وَهُوَ مُقِيمٌ بِحَرَّانَ إِلَى نَائِبِهِ بِدِمَشْقَ وَهُوَ الْوَلِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، يَأْمُرُهُ أَنْ يُرْسَلَ كِتَابًا إِلَى نَائِبِهِ بِالْبَلْقَاءِ وَيَأْمُرُهُ فِيهِ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى الْحُمَيْمَةِ الْبَلْدَةِ الَّتِي فِيهَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُلَقَّبُ بِالْإِمَامِ، فَيُقَيِّدُهُ وَيُرْسِلُهُ إِلَيْهِ، فَبَعَثَ نَائِبُ دِمَشْقَ إِلَى نَائِبِ الْبَلْقَاءِ، فَذَهَبَ إِلَى مَسْجِدِ الْبَلْدَةِ، فَوَجَدَ إِبْرَاهِيمَ بْنَ مُحَمَّدٍ جَالِسًا فِيهِ، فَقَيَّدَهُ وَأَرْسَلَ بِهِ إِلَى دِمَشْقَ، فَبَعَثَهُ نَائِبُ دِمَشْقَ مِنْ فَوْرِهِ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، فَأَمَرَ بِهِ فَسُجِنَ، وَكَانَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৮

পাঠিয়ে দেয় ৷ মারওয়ানের নির্দেশ তাকে বন্দী করে রাখা হয় এবং এক পর্যায়ে বন্দী অবস্থায়
ইমাম ইবরাহীমকে হত্যা করা হয় ৷

নাসর এবং ইবনুল কিরমানীর মধ্যে যুদ্ধ চলছিল ৷ আবুমুসলিম থুরাসানী উভয় দলের মাঝে
অবস্থান নিলেন ৷ ইবনুল কিরমানী আবুমুসলিমকে লিখে জন নি যে, আমি আপনার পক্ষে আ ৷ছি ৷
বস্তুতঃ ইবনৃল কিরমানী আবু মুসলিমের পক্ষ অবলম্বন করল ৷ সংবাদ পেয়ে নাসর লিখল ইবনুল
কিরমানীকে যে, ধিক , তোমার জন্যে প্ৰতারিত হয়াে না ৷ আবু মুসলিমের উদ্দেশ্য তো তোমাকে
এবং তোমার সাথীদেরকে হত্যা করা ৷ তুমি অবিলম্বে আমার নিকট চলে আস, আমি আর তুমি
পরস্পর আপােষ মীমাংসা করে নিই ৷

ইবনুল কিরমানী তার শিবিরে প্রবেশ করল ৷ তারপর একশত আরােহীসহ উন্মুক্ত প্রাম্ভরে
বেরিয়ে এল ৷ সে নাসরকে লিখল যে, আমি আমরা দুইজনে আপােষ মীমাংসা করি এবং
সমঝোতা চুক্তি সম্পাদন করি ৷ ইবনুল কিরমানীর সরলতার সুযোগ কাজে লাগান নাসর ইবন
সাইয়ার ৷ যে বিশ্বাসঘাতকতা করল ৷ বিশাল সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে সে বাপিরে পড়ল ইবনুল
কিরমানীর মুষ্টিমেয় অশ্বারােহীর উপর ৷৩ তারা ইবনুল কিবমানী ও তার অনুসারী বহুলোককে হত্যা
করল ৷ ইবনুল কিরমানী যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিহত হয় ৷ নাসরের এক সৈন্য ইবনুল কিরমা বীর কােমরে
আঘাত করে ৷ সে অশ্ব থেকে মাটিতে পড়ে যায় ৷ নাসর তাকে শুলবিদ্ধ করার নির্দেশ দেয় ৷
তাকে এবং তার সাথী অনেক লোককে শুলিতে চড় ৷নাে হয় ৷

ইবনুল কিরমানীর ছেলে৩ তার পিতার কতক অনুসারী নিয়ে আবু মুসলিম থুরাসানীর সাথে
মিলিত হয় ৷ ফলে তারা সকলে মিলে নাসর ইবন সা ইায়ারের বিরুদ্ধে এক জোট হয় ৷

ইবন জারীর বলেছেন, এই হিজরী সনে আবদুল্লাহ ইবন মুআবিয়৷ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
জাফর পারস্য ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলাে দখল করে নেয়, একই সাথে যে হালওয়ান, কৃমিস,
ইস্পাহান ও রায় প্রদেশগুলােও জয় করে ৷ অবশ্য এগুলো জয় করতে তার অনেক যুদ্ধ করতে
হয়েছে ৷ এরপর আমির ইবন দাব্বারা ইস্তাখার নগরীতে আবদুল্লাহ্র মুখোমুখি হয় ৷ ইবন দাব্বারা
যুদ্ধে তাকে পরাজিত করে এবং তার চল্লিশ হাজার সৈন্য বন্দী করে ৷ তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ
ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-ও ছিলেন ৷ ইবন মুআবিয়ার পক্ষ অবলম্বন করাতে
ইবন দাব্বারা আবদুল্লাহ ইবন আলীকে কটু কথা বলেন ৷ তিনি বলেন যে, কেন আপনি ইবন
মুআবিয়ার সাথে এলেন অথচ আপনি জা নেন যে, এই ইবন মুআবিয়৷ ৷কেদ্রীয় খলীফা মার ওয়ানের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে ? জবাবে আবদুল্লাহ ইবন আলী বললেন যে, আমি৩ ৷র নিকট
সন্ধিবদ্ধ ৷ ওই দা য়ের বাধ্য-বাধকতায় আমাকে তার সাথে আসতে ৩হযেছে ৷ ইতিমধ্যে হারব ইবন
কুতন দাড়িয়ে বলল, ইবন আলীকে আমাদের হাতে দিয়ে দিন, তিনি আমাদের ভাপ্লে সম্পর্কিত
আত্মীয় ৷ ফলে ইবন আলীকে তাদের হাতে সমর্পণ করা হল ৷ ইবন দাব্বারা বলল, আমি কোন
কৃরায়শী লোকের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারব ন৷ ৷

এরপর ইবন দাব্বারা ইবন আলীর নিকট ইবন মুআবিয়৷ সম্পর্ক জানতে চাইল ৷ ইবন আলী
জানালেন যে, ইবন ঘুআবিয়৷ একজন মন্দ লোক এবং সে নিজে এবং তার অনৃসারীরা
সমকামিতার দােষে দুষ্ট ৷ শত্রু পক্ষের বন্দী একশত যুবককে উপস্থিত করা হল ৷ ওদের পরনে
ছিল রঙিন ও চাক্যচিক্যময় পোশাক ৷ ওদেরকে সমকামিতায় ব্যবহার করা হত ৷ ইবন দাব্বারা


أَمْرِهِ مَا سَيَأْتِي فِي السَّنَةِ الْآتِيَةِ. وَأَمَّا أَبُو مُسْلِمٍ فَإِنَّهُ لَمَّا تَوَسَّطَ بَيْنَ جَيْشِ نَصْرٍ، وَالْكَرْمَانِيِّ كَاتَبَ الْكَرْمَانِيَّ: إِنِّي مَعَكَ. فَمَالَ إِلَيْهِ، فَكَتَبَ إِلَيْهِ نَصْرٌ: وَيْحَكَ! لَا تَغْتَرَّ، فَإِنَّهُ إِنَّمَا يُرِيدُ قَتْلَكَ وَقَتْلَ أَصْحَابِكَ مَعَكَ، فَهَلُمَّ حَتَّى نَكْتُبَ كِتَابًا بَيْنَنَا بِالْمُوَادَعَةِ. فَدَخَلَ الْكَرْمَانِيُّ دَارَهُ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الرَّحْبَةِ فِي مِائَةِ فَارِسٍ وَبَعَثَ إِلَى نَصْرٍ أَنْ هَلُمَّ حَتَّى نَتَكَاتَبَ، فَأَبْصَرَ نَصْرٌ غِرَّةً مِنَ الْكَرْمَانِيِّ فَنَهَضَ إِلَيْهِ فِي خَلْقٍ كَثِيرٍ، فَحَمَلُوا عَلَيْهِمْ فَقَتَلُوا مِنْهُمْ جَمَاعَةً، وَقُتِلَ الْكَرْمَانِيُّ فِي الْمَعْرَكَةِ، طَعَنَهُ رَجُلٌ فِي خَاصِرَتِهِ، فَخْرَّ عَنْ دَابَّتِهِ، ثُمَّ أَمَرَ نَصْرٌ بِصَلْبِهِ، فَصُلِبَ وَصُلِبَ مَعَهُ سَمَكَةٌ، وَانْضَافَ وَلَدُهُ إِلَى أَبِي مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيِّ وَمَعَهُ طَوَائِفُ مِنَ النَّاسِ مِنْ أَصْحَابِ أَبِيهِ، فَصَارُوا كَتِفًا وَاحِدَةً عَلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ تَغَلَّبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَلَى فَارِسَ وَكُوَرِهَا، وَعَلَى حُلْوَانَ وَقُومِسَ وَأَصْبَهَانَ وَالرَّيِّ بَعْدَ حُرُوبٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا وَبَسْطُهَا، ثُمَّ الْتَقَى عَامِرُ بْنُ ضُبَارَةَ مَعَهُ بِإْصْطَخْرَ فَهَزَمَهُ ابْنُ ضُبَارَةَ وَأَسَرَ مِنْ أَصْحَابِهِ أَرْبَعِينَ أَلْفًا فَكَانَ مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَنَسَبَهُ ابْنُ ضُبَارَةَ، وَقَالَ لَهُ: مَا جَاءَ بِكَ مَعَ ابْنِ مُعَاوِيَةَ وَقَدْ عَلِمْتَ خِلَافَهُ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مَرْوَانَ؟ فَقَالَ: كَانَ عَلَيَّ دَيْنٌ فَأَتَيْتُهُ. فَقَامَ إِلَيْهِ حَرْبُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৪৯


এবার আবদুল্লাহ ইবন আলীকে সরকারী লোকের সাথে ইবন হুবায়রার নিকট প্রেরণ করল যাতে
ইবন মুআবিয়৷ সম্পর্কিত এই সকল সংবাদ তার নিজস্ব মুখে ইবন হুবায়রাকে অবগত করেন ৷
অবশ্য এই আবদুল্লাহ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা ) এর হাতে মহান আল্লাহ
উমাইয়া৷ শা সনের পত তন নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন ৷ ওদের কেউ তা জানত না ৷

ইবন জারীর বলেন, এই বছর হ৫জ্জ্বর মওসুমে আবু হামযা খারিজী মাথাচাড়া দিয়ে উঠে ৷ ৫স
মাওয়ানের আনুগত্য প্রত্যাখ্যান এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ৷ পবিত্র মক্কা, মদীনা ও
তায়েফের শাসনকর্তা আবদুল ওয়াহিদ ইবন সুলায়মান ইবন আবদুল মালিক তার সাথে ধৈর্যসুলভ
ব্যবহার করেন এবং পবিত্র মক্কা প্রত্যাবর্তন দিবস পর্যন্ত শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করার বিষয়ে
আপােষ মীমাংসা করেন ৷ আরাফাত ময়দানে তারা আম জনতা হতে আলাদা হয়ে ওয়াকুফ বা
অবস্থান গ্রহণ করে ৷ এরপর তারা আলাদাভাবে আরাফাত ত্যাগ করে পবিত্র মক্কাপ্রতব্রারর্তনের
প্রথম দিনে আবদুল ওয়াহিদ পবিত্র মক্কা এসে আবার দ্রুত পবিত্র মক্কা ৫ছ৫ড় চ৫চ্ন যায় ৷ ফলে
খারিজীরা কোন যুদ্ধ বিপ্রহ৷ ছাং; ডাই পবিত্র মক্কা প্রবেশ করে ৷ এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে জনৈক কবি
নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করেন০ ং

শ্৷ ষ্ষ্ব্লুষ্ষ্ ষ্ষ্ ষ্)শ্ষ্০শ্ৰুব্লুশ্শ্ ষ্ ষ্ ষ্শ্

“হাজীগণ দলে দলে যিয়৷ ৷রত ৩করেছে ৷ কিন্তু মহা ন অ ৷ল্লাহ্র দীনের দিক নির্দোন্তোর উন্টোটাই
করেছে ৷ আর আবদুল ওয়াহিদ ৫স৫ ৫তা পালিয়ে গিয়েছে” ৷


“সে তো হারাম শরীফ , হিল্ল এলাকা এবং তার প্রশাসনিক ক্ষমতা সব ছেড়ে দিয়ে পলায়ন
করেছে ৷ যেমন পলায়নপর উট উচু নীচু ভুমিতে হাতড়িয়ে পড়ে হোচট খায় ৷”

শ্

এএা;,া৷ প্রু;প্রু ণ্ত্তম্া১১
“বন্তুত আন্দোলনে সংগ্রামে এবং যুদ্ধে যদি তার পিতার ঘাম ঝরে পড়ত তাহলে তার
সমর্থক ৫যাদ্ধাদের ঘামে যুদ্ধস্থুল৩ ভিজে ৫৩ ত ৷”

আবদুল ওয়াহিদ পবিত্র মদীনা ফিরে গিয়ে খাবিজীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনার
প্রস্তুতি আরম্ভ করে ৷ এজন্যে সে প্রচুর সম্পদ ব্যয় করে এবং সৈন্যদের ৫বতনতাতা বৃদ্ধি করে
দেয় ৷ সে দ্রুত ওই ৫সনাদল পাঠিয়ে ৫দয় ৷ এ সময়ে ইরাকের শাসনকর্তা ছিল ইয়াযীদ ইবন
হুবায়র৷ ৷ থুরাসানের শাসনকর্তা নাসর ইবন সাইয়ার ৷ অবশ্য নাসরের বিরুদ্ধে আবু মুসলিম
থুরাসানী প্রচুর সৈন্য সমাবেশ করে ৫রখেছিল ৷

১২৯ হিজরী’ সনে নেতৃস্থানীয় যাদের মৃত্যু হয়
এই হিজরী সনে নেতৃস্থানীয় য়৷ দের মৃত্যু হয় তাদের অন্যতম হলেন আবুনাসর স৷ ৷,লিম আ ৷লী
ইবন যায়দ ইবন জ ৷দআন ও ইয়াহ্ইয়৷ ইবন আবু কাহীর ৷ আৎ তাকমীল গ্রন্থে আমরা তাদের
জীবনী উল্লেখ করেছি ৷

ন্ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (১ :ম থমোঃমোঃ-ফৌ ব্লুহুঞ্জো০জ্যো

قَطَنِ بْنِ وَهْبٍ الْكِنَانِيُّ فَاسْتَوْهَبَهُ مِنْهُ، وَقَالَ: هُوَ ابْنُ أُخْتِنَا. فَوَهَبَهُ لَهُ، وَقَالَ: مَا كُنْتُ لِأَقْدِمَ عَلَى رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ. ثُمَّ اسْتَعْلَمَ ابْنُ ضُبَارَةَ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَخْبَارِ ابْنِ مُعَاوِيَةَ فَذَمَّهُ، وَرَمَاهُ هُوَ وَأَصْحَابَهُ بِاللِّوَاطِ، وَجِيءَ مِنَ الْأُسَارَى بِمِائَةِ غُلَامٍ عَلَيْهِمُ الثِّيَابُ الْمُصَبَّغَةُ، فَحَمَلَ ابْنُ ضُبَارَةَ، عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَلِيٍّ عَلَى الْبَرِيدِ إِلَى ابْنِ هُبَيْرَةَ لِيُخْبِرِهُ بِذَلِكَ، فَبَعَثَهُ ابْنُ هُبَيْرَةَ إِلَى مَرْوَانَ فِي أَجْنَادِ أَهْلِ الشَّامِ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا أَخْبَرَهُ ابْنُ ضُبَارَةَ عَنِ ابْنِ مُعَاوِيَةَ. وَقَدْ كَتَبَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنَّ زَوَالَ مُلْكِ مَرْوَانَ يَكُونُ عَلَى يَدِ هَذَا الرَّجُلِ، وَلَا يَشْعُرُ وَاحِدٌ مِنْهُمْ بِذَلِكَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَافَى الْمَوْسِمَ أَبُو حَمْزَةَ الْخَارِجِيُّ فَأَظْهَرَ التَّحَكُّمَ وَالْمُخَالَفَةَ لِمَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَرْوَانَ وَالتَّبَرُّؤَ مِنْهُ، فَرَاسَلَهُمْ عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ أَمِيرُ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ، وَإِلَيْهِ أَمْرُ الْحَجِيجِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، ثُمَّ صَالَحَهُمْ عَلَى الْأَمَانِ إِلَى يَوْمِ النَّفْرِ، فَوَقَفُوا عَلَى حَجْرَةٍ مِنَ النَّاسِ بِعَرَفَاتٍ ثُمَّ تَحَيَّزُوا عَنْهُمْ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلِ تَعَجَّلَ عَبْدُ الْوَاحِدِ وَتَرَكَ مَكَّةَ فَدَخَلَهَا الْخَارِجِيُّ بِغَيْرِ قِتَالٍ، فَقَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ: زَارَ الْحَجِيجَ عِصَابَةٌ قَدْ خَالَفُوا ... دِينَ الْإِلَهِ فَفَرَّ عَبْدُ الْوَاحِدِ تَرَكَ الْحَلَائِلَ وَالِإْمَارَةَ هَارِبًا ... وَمَضَى يُخَبِّطُ كَالْبَعِيرِ الشَّارِدِ لَوْ كَانَ وَالِدُهُ تَنَصَّلَ عِرْقَهُ ... لَصَفَتْ مَشَارِبُهُ بِعِرْقِ الْوَالِدِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৫০
وَلَمَّا رَجَعَ عَبْدُ الْوَاحِدِ إِلَى الْمَدِينَةِ شَرَعَ فِي تَجْهِيزِ السَّرَايَا إِلَى الْخَارِجِيِّ وَبَذَلَ النَّفَقَاتِ، وَزَادَ فِي أَعْطِيَةِ الْأَجْنَادِ، وَسَيَّرَهُمْ إِلَيْهِ سَرِيعًا. وَكَانَ إِمْرَةُ الْعِرَاقِ إِلَى يَزِيدَ بْنِ عُمَرَ بْنِ هُبَيْرَةَ وَإِمْرَةُ خُرَاسَانَ إِلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ، وَكَانَ قَدِ اسْتَحْوَذَ عَلَى بَعْضِ بِلَادِهِ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ: سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ فِي قَوْلٍ وَيَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ. وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي كِتَابِ " التَّكْمِيلِ ". وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.