আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة سبع وعشرين ومائة

ذكر دخول مروان الحمار دمشق فيها وولايته الخلافة وعزله إبراهيم بن الوليد عنها

ذكر دخول مروان الحمار دمشق فيها وولايته الخلافة وعزله إبراهيم بن الوليد عنها

পৃষ্ঠা - ৭৮২৩

সে একটি গোপন দল পাঠায় যারা ইবন হিশামের বাহিনীর পেছন হতে অতর্কিতে ৩তাদের উপর
আক্রমণ করবে ৷ তাহলে তাদের সফলতা আসবে ৷ পরিকল্পনা মুতাবিক ওই দল সরকারী ব৷ ৷হিনীর
পেছন হতে তাকবীর ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে আগে আর অন্যরা সামনের দিক হতে আক্রমণ
চালায় ৷ ফলে সরকারী বাহিনীর অধিনায়ক সুলায়মান ও তার বাহিনীর পরাজয় ঘটে ৷ তখন
হিমসের সৈন্যরা বহুলোককে হত্যা করে ৷ সেদিন তারা ১৭ থেকে ১৮ হাজার দামেস্কবাসীকে
হত্যা করে এবং সমান সং খ্যক বন্দী করে ৷ মারওয়ান৩ তাদের নিকট হতে ওয়ালীদের দুই ছেলের
হাকাম ও উছমারুনর পক্ষে বায়আত গ্রহণ করে ৷ এরপর সে দুইজন ছা তা অন্য সব৷ ইিরেহৃ ছেড়ে
দেয় ৷ যে দুইজনকে ছাড়েনি তারা হল ইয়াযীদ ইবন ইকার কালবী এবং ওয়ালীদ ইবন মুসাদ
কালবী ৷ সে তাদেরকে তার সম্মুখে রেখে বেদম প্ৰহার করে এবং কারাগারে নিক্ষেপ করে ৷

কারাগারেই তাদের দৃইজনের মৃত্যু হয় ৷ এই দুইজন সরাসরি সাবেক খলীফা ৷ওয়৷ ৷লীদকে হত্যা
করার সাথে জড়িত ছিল ৷

সরকা ৷রী সেনা ধ্যক্ষ সুলায়মান অবশিষ্ট সৈন্যসহ৷ দা মেস্কের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায় ৷ ভোর হতে
হতে তারা দামেষ্ক গিয়ে পৌছে এবং থলীফ৷ ইব্রাহীম ইবন ওয়ালীদকে ঘট ন৷ জানায় ৷ এই
পরিস্থিতিতে কী করা যায় সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ পরামর্শ সভায় মিলিত
হয় ৷ তাদের মধ্যে আবদুল আযীয ইবন হাজ্জাজ, ইয়াযীদ ইবন খালিদ ইবন আবদুল্লাহ কাসৃরী,
আবু ইলাক৷ সাকসাকী আসবাগ ইবন যুওয়ালাতুল-কালবী ও তাদের সম পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ছিল ৷
তারা সকলে সিদ্ধান্ত নিল যে, খলীফ৷ ওয়ালীদের কারাবন্দী দুই ছেলে হাকাম এবং উছমানকে
মেরে ফেলতে হবে ৷ তা না হলে ওরা শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করবে এবং তাদের প্ৰতি বিদ্বেষ
পােষণক ৷রী ও তাদের পিতা ৷র হত্যাকা ৷রী সকলকে৩ তারা ৷হত্যা করবে ৷

তারা ইয়াযীদ ইবন খালিদ কাসরীকে পাঠায় ওদের দৃইজনকে জেলখানায় হত্যা করার জন্যে ৷
সে জেলখানায় গিয়ে পৌছে ৷ সেখানে হাকাম ও উছমান দুইজনই বন্দী অবস্থায় ছিল ৷ তখন তারা
দুইজনেই সাবালক ৷ কেউ বলেছেন যে, ওদের একজনের তখন একটি সন্তান জন্মগ্রহণ
করেছিল ৷ ইয়াযীদ ইবন খালিদ ঠাণ্ডাম ৷থায় পরিকল্পি৩ ৩াবে ওদের দুইজনকে খুন করে মাথা
কাটিয়ে এবং সে বন্দী অবস্থায় ইউসুফ ইবন উমরকেও হত্যা করে ৷ (উল্লেখ্য যে, ইউসুফ ইবন
উমর ইরাকের প্রশাসক থাকার সময় ইয়াযীদের পিতা খালিদ কাসরীকে নির্যমভাবে হত্যা
করেছিল ৷) ওই কারাগারে আবু মুহাম্মদ সুফয়ানীও বন্দী ছিল ৷ সুযোগ বুঝে যে মুল কক্ষ হতে
পালিয়ে জেলখানার ভেতরে অন্য একটি কক্ষে ঢুকে যায় এবং দৃঢ়তাবে দরজা বন্ধ করে দেয় ৷
সরকা ৷বী লোকজন ৩াকে ঘিরে রাখে কিন্তু সে বের হয় না ৷ অবশেষে তারা ওই দরজায় আগুন
লাগিয়ে দেয় ৷ ইতিমধ্যে পলায়নরত সৈনিকদের ধাওয়া করতে করতে মারওয়ান দামেস্কের

নিকটবর্তী হয়ে যায় ৷ জেলখানার লোকজন তারপর সেদিকে মনোযোগ দেয় এবং জেলখান৷ হতে
বেরিয়ে যায় ৷

মারওয়ান আল-হিমারের দামেস্কে প্রবেশ ও খিলাফত লাভ

মর্বরওয়ান তার সাথী সৈন্যদেরকে নিয়ে আইনুল জারর হতে দামেস্কের দিকে অগ্রসর হয় ৷
দামেষ্ক অধিবাসিগণ গতদিন তার হাতে পরাজিত হয়েছিল ৷ মাবওয়ান দামেস্কের কাছাকাছি এসে


[ذِكْرُ دُخُولِ مَرْوَانَ الْحِمَارِ دِمَشْقَ فِيهَا وَوِلَايَتِهِ الْخِلَافَةَ وَعَزْلِهِ إِبْرَاهِيمَ بْنَ الْوَلِيدِ عَنْهَا] لَمَّا أَقْبَلَ مَرْوَانُ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ مِنْ عَيْنِ الْجَرِّ وَاقْتَرَبَ مِنْ دِمَشْقَ وَقَدِ انْهَزَمَ أَهْلُهَا بَيْنَ يَدَيْهِ بِالْأَمْسِ، هَرَبَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْوَلِيدِ وَعَمَدَ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ إِلَى بَيْتِ الْمَالِ، فَفَتَحَهُ وَأَنْفَقَ مَا فِيهِ عَلَى أَصْحَابِهِ وَمَنِ اتَّبَعَهُ مِنَ الْجُيُوشِ، وَثَارَ مَوَالِي الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ إِلَى دَارِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْحَجَّاجِ فَقَتَلُوهُ فِيهَا وَانْتَهَبُوهَا، وَنَبَشُوا قَبْرَ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَصَلَبُوهُ عَلَى بَابِ الْجَابِيَةِ وَدَخَلَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ دِمَشْقَ فَنَزَلَ فِي أَعَالِيهَا، وَأُتِيَ بِالْغُلَامَيْنِ الْحَكَمِ، وَعُثْمَانَ مَقْتُولَيْنِ، وَكَذَلِكَ يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ فَأَمَرَ بِهِمْ فَدُفِنُوا، وَأُتِيَ بِأَبِي مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيِّ وَهُوَ فِي كُبُولِهِ، فَسَلَّمَ عَلَى مَرْوَانَ بِالْخِلَافَةِ، فَقَالَ مَرْوَانُ: مَهْ! فَقَالَ: إِنَّ هَذَيْنِ الْغُلَامَيْنِ جَعَلَاهَا لَكَ مِنْ بَعْدِهِمَا. ثُمَّ أَنْشَدَهُ قَصِيدَةً قَالَهَا الْحَكَمُ فِي السِّجْنِ، وَهِيَ طَوِيلَةٌ، فَمِنْهَا قَوْلُهُ: أَلَا مَنْ مُبْلِغٌ مَرْوَانَ عَنِّي ... وَعَمِّي الْغَمْرَ طَالَ بِهِ حَنِينَا بِأَنِّي قَدْ ظُلِمْتُ وَصَارَ قَوْمِي ... عَلَى قَتْلِ الْوَلِيدِ مُشَايِعِينَا فَإِنْ أَهْلَكْ أَنَا وَوَلِيُّ عَهْدِي ... فَمَرْوَانٌ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَا ثُمَّ قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيُّ لِمَرْوَانَ: ابْسُطْ يَدَكَ. فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَايَعَهُ بِالْخِلَافَةِ
পৃষ্ঠা - ৭৮২৪


পৌছলে ক্ষমতাসীন খলীফ৷ ইব্রাহীম ইবন ওয়৷ ৷ালীদ দ মেস্ক ছেড়ে পলায়ন করে ৷ প্ৰধা ৷ন সেনাপতি
সুলায়মান ইবন হিশাম সরকারী কোষ ৷গারের তাল৷ খুলে বায়তুল সালে রক্ষিত সকল মালামাল
তার সাথী-সঙ্গী ও অন্যান্য সৈনিকদের মধ্যে বিলিয়ে দেয় ৷ বিদ্রোহী সৈন্যে থাকা নিহত খলীফা
ওয়ালীদের ক্রীতদাসগণ দ্রুত আবদুল আষীয ইবন হাজ্জাজের বাড়ি গিয়ে পৌছে ৷ তার৷ তাকে
হত্যা করে এবং ওই বাড়িতে লুটতবাজ চালায় ৷ তারা খলীফ৷ ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের কবর খুড়ে
তার মরদেহ বের করে আগে এবং সেটিকে জাবিয়ার সদর দরজায় শুলিতে চড়ায় ৷ মারওয়ান
ইবন মুহাম্মদ আল-হিমার দামেস্কে প্রবেশ করে ৷ সে দামেস্কে উচু অঞ্চলে অবস্থান নেয় ৷

ওয়ড়ালীদের দুইপুত্র হাকাম ও উছমানকে তার নিকট আনা হয় ৷ তারা তখন প্রাণহীন নিথর
মরদেহ ৷ নিহত ইউসুফ ইবন উমরকেও সেখানে আনা হয় ৷ তার৷ ইউসুফ ইবন উমরকে দাফন
করে ৷ আবুণ্মুহাম্মদ সুফয়ানীকে জেলখানা হতে উদ্ধার করে সেখানে আনা হয় ৷ তার হাতে
তখনো হাতকড়া ৷ সে মারওয়ানকে খলীফ৷ সম্বোধন করে সালাম জানায় ৷ মারওয়ান বলল,
থামথাম ৷ আবুমুহাম্মদ বলল, ওই দুই বালক তাদের অবর্তমানে আপনাকে খলীফার দায়িত্ব গ্রহণ
করার কথা বলে গিয়েছে ৷ এরপর সুফয়ানী একটি কবিতা আবৃত্তি করে ৷ কবিতাটি জেলখ৷ ৷না নবসে
হাকাম ইবন ওয়া ৷লীদ রচনা করেছিল ৷ এটি একটি দীর্ঘ কবি৩৷ ৷৩ ৷র কিছুটা নিম্নে দেওয়া হল :

ৰুা৷
“এমন কেউ আছে কি যে আম৷ ৷র পক্ষ হতে মারওয়ানকে একটি বার্তা পৌছিয়ে দিবে ? এখন
হিংসা-বিদ্বেয় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ৷ শত্রুতা সর্বজনে বিন্তুত হয়েছে ৷ ”

“আমি এখন মযলুম ও নির্যাতিত হয়ে রয়েছি ৷ আমার পিতা ওয়ালীদের হত্যাক ণ্ডেব পর
আমার সম্প্রদায়ের লোকজন সকলে আমার ন্যায় নির্যাতনের শিকা ৷র হয়েছে ৷”

০ ! ৷ এ fl


“আমি যদি৷ ম রা৷ যা ৷ই এবং আমার পরবর্তী খলীফ ৷রুপে ঘো ৷ষিত আমার ভাই ৩ যদি মারা যায়
তাহলে মা ৷রওয়ান-ই হবে আমীরুল যু’মিনীন খলীফ৷ ৷ ’

এরপর আবু মুহাম্মদ সুফয়ানী মারওয়ানকে বলে, “আপনার হাত প্রসারিত করুন, আমরা
খলীফ৷ জ্ঞানে আপনার হাতে বায়আত করব ৷ মারওয়ান হাত প্রসারিত করে ৷ সর্বপ্রথম আবু

হুসায়ন ইবন নুমাইব ৷ এরপর দামেষ্ক ও হিমসের অধিবাসী নেতৃন্থাৰীয় সিরীয় লোকজন
মারওয়ানের হাত বায়আত করে ৷ এরপর মারওয়ান তাদেরকে বলল, আপনারা নিজ নিজ অঞ্চলের
জন্যে নিজেদের পসন্দমত প্রশাসকের নাম প্রস্তাব করুন ৷ আমি ওদেরকে আপনাদের
প্রশাসকরুপে নিয়োগ দিব ৷ প্রত্যেক এলাকার জনগণ নিজেদের পসন্দমত প্রশাসকের নাম প্রস্তাব
করে ৷ মারওয়ান ওদেরকে নিয়োগ দেন ৷ দামেষ্কে প্রশাসক নিযুক্ত হয় যামিল ইবন আমর
আল-জদ্ববরানী ৷ হিমসে আবদুল্লাহ ইবন সাজারাহ আল-কিনৃদী ৷ জর্দানে ওয়ালীদ ইবন মুআবিয়া


مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ حُصَيْنِ بْنِ نُمَيْرٍ ثُمَّ بَايَعَهُ رُءُوسُ أَهْلِ الشَّامِ مِنْ أَهْلِ دِمَشْقَ وَحِمْصَ وَغَيْرِهِمْ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ مَرْوَانُ: اخْتَارُوا أُمَرَاءَ نُوَلِّيهِمْ عَلَيْكُمْ. فَاخْتَارَ أَهْلُ كُلِّ بَلَدٍ أَمِيرًا، فَوَلَّاهُ عَلَيْهِمْ، فَعَلَى دِمَشْقَ زَامَلُ بْنُ عَمْرٍو الْحُبْرَانِيُّ وَعَلَى حِمْصَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَجَرَةَ الْكِنْدِيُّ وَعَلَى الْأُرْدُنِّ الْوَلِيدُ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ مَرْوَانَ، وَعَلَى فَلَسْطِينَ ثَابِتُ بْنُ نُعَيْمٍ الْجُذَامِيُّ. وَلَمَّا اسْتَوْسَقَ الشَّامُ لِمَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ رَجَعَ إِلَى حَرَّانَ، وَعِنْدَ ذَلِكَ طَلَبَ مِنْهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْوَلِيدِ الَّذِي كَانَ خَلِيفَةً وَابْنُ عَمِّهِ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ الْأَمَانَ، فَآمَنَهُمَا، وَقَدِمَ عَلَيْهِ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ فِي أَهْلِ تَدْمُرَ فَبَايَعُوهُ. ثُمَّ لَمَّا اسْتَقَرَّ مَرْوَانُ بِحَرَّانَ أَقَامَ فِيهَا ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ، فَانْتَقَضَ عَلَيْهِ مَا كَانَ انْبَرَمَ لَهُ مِنْ مُبَايَعَةِ أَهْلِ الشَّامِ، فَنَقَضَ أَهْلُ حِمْصَ وَغَيْرُهُمْ، فَأَرْسَلَ إِلَى حِمْصَ جَيْشًا، فَوَافَوْهُمْ لَيْلَةَ عِيدِ الْفِطْرِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقَدِمَ مَرْوَانُ إِلَيْهَا بَعْدَ الْفِطْرِ بِيَوْمَيْنِ، فَنَازَلَهَا مَرْوَانُ فِي جُنُودٍ كَثِيرَةٍ، وَمَعَهُ يَوْمَئِذٍ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْوَلِيدِ الْمَخْلُوعُ وَسُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ وَهُمَا عِنْدَهُ مُكَرَّمَانِ خِصِّيصَانِ لَا يَجْلِسُ إِلَّا بِهِمَا وَقْتَ الْغَدَاءِ وَالْعَشَاءِ، فَلَمَّا حَاصَرَ حِمْصَ نَادَوْهُ: إِنَّا عَلَى طَاعَتِكَ. فَقَالَ: افْتَحُوا بَابَ الْبَلَدِ. فَفَتَحُوهُ، ثُمَّ كَانَ مِنْهُمْ بَعْضُ الْقِتَالِ، فَقَتَلَ مِنْهُمْ نَحْوَ الْخَمْسِمِائَةٍ أَوِ السِّتِّمِائَةِ. فَأَمَرَ بِهِمْ فَصُلِبُوا حَوْلَ الْبَلَدِ، وَأَمَرَ بِهَدْمِ بَعْضِ سُورِهَا. وَأَمَّا أَهْلُ دِمَشْقَ فَإِنَّ أَهْلَ الْغُوطَةِ حَاصَرُوا أَمِيرَهُمْ زَامَلَ بْنَ عَمْرٍو وَوَلَّوْا
পৃষ্ঠা - ৭৮২৫


ইবন মারওয়ান ৷ ফিলিস্তিনে ছাবিত ইবন নাঈম জুযামী ৷ সিরিয়া পরিপুর্ণভাবে মারওয়ানের অনুগত
হবার পর তিনি হাররানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৷ এই পর্যায়ে ক্ষমতাচ্যুত খলীফা ইররাহীম ইবন
ওয়ালীদ এবং তার চাচাত ভইি ও প্রধান সেনাপতি সুলায়মান ইবন হিশাম খলীফা মারওয়ানের
নিকট আত্মসমর্পণ করে নিরাপত্তার আবেদন জানায় ৷ খলীফা তাদের আবেদন মঞ্জুর করে
নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন ৷ সুলায়মান ইবন হিশাম তিদমুরের জনগণকে খলীফার নিকট নিয়ে
আসে ৷ তারা মারওয়ানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ৷

হাররানের স্থিতিশীলতা অর্জনের পর মারওয়ান তিনমাস সেখানে অবস্থান করেন ৷ ইতিমধ্যে
সিরিয়ার তার প্রতি আনুগত্য ভেঙ্গে যায় ৷ তারা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠে ৷ হিম্স এবং
অন্যান্য অঞ্চলের জনসাধারণ বায়আত ও অঙ্গীকার ভঙ্গ করে ৷ খলীফা ওদেরকে শায়েস্তা করার
জন্যে একদল সৈন্য প্রেরণ করেন ৷ ঈদুল ফিতরের রাতে সরকারী সৈন্য হিমস গিয়ে পৌছে ৷
খলীফা মারওয়ান সেখানে পৌছেন ঈদের দৃ’দিন পর ৷ তার সাথে ছিল সৈন্যদের একটি বিরাট
দল ৷ ক্ষমতাচ্যুত খলীফা ইব্রাহীম ইবন ওয়ালীদ এবং সেনাপতি সুলায়মান ইবন হিশাম খলীফার
সাথে ছিল ৷ তারা দুইজন এ সময়ে মারওয়ানের খুব ঘনিষ্ঠত৷ অর্জন করে ৷ তাদের ছাড়া খলীফা
দুইবেলা খাবারে বসতেন না ৷ সরকারী বাহিনী হিমসের জনগণকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ৷
তারা ডাক দিয়ে বলে যে, আমরা এখন খলীফার প্ৰতি আনুগত্য প্রদর্শনে রড়াযী আছি ৷ খলীফা
বললেন, তাহলে শহরের যল্টক খুলে দাও ৷ তারা ফটক খুলে দিল ৷ এরপর কিছুটা সংঘর্ষ হয় ৷
তাতে হিম্স বাহিনীর প্রায় পীচ-ছয়শত লোক মারা যায় ৷ খলীফার নির্দেশে ওদেরকে শহরের
চারিদিকে শুলিতে চড়িয়ে রাখা হয় ৷ খলীফা নির্দেশ দেন শহরের কতক নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙ্গে
ফেলতে ৷ ফলে কতক প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা হয় ৷

ওদিকে দামেস্কের পাওতাহ্ জনপদের ন্অধিবাসিগণ সরকারী প্রশাসক যামিল ইবন আমরকে
অবরুদ্ধ করে ইয়াযীদ ইবন খালিদ কাসরীকে তাদের প্রশাসক মনোনীত করে ৷ ইয়াযীদ সেখানে
প্রশাসকরুপে কাজ শুরু করে ৷ ওই বিদ্রোহ দমনের জন্যে খলীফা মারওয়ান হিমস হতে দশহাজার
সৈন্য প্রেরণ করে ৷ ওরা দামেস্ক নগরীর কাছাকাছি এসে পৌছলে ইয়াযীদ ইবন খালিদের নেতৃত্বে
গাওতাহবাসী ওদের গতিরোধ্ করে ৷ উভয় পক্ষে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় ৷ সরকারী বাহিনী বিদ্রোহী
বাহিনীকে পরাজিত করে এবং মাবৃযাহ্ ও অন্যান্য গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ ইয়াযীদ ইবন খালিদ
কাসরী এবং আবুইলাকা কালবী মড়ায্যাহ এর লাখব গোত্রের জনৈক ব্যক্তির নিকট আশ্রয় গ্রহণ
করেছিল ৷ কিন্তু ওই লোক যামিল ইবন আমরকে ওদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দেয় ৷ যামিল
এসে তাদের দৃইজনকে হত্যা করে এবং তাদের মস্তক দুইটা পাঠিয়ে দেয় হিমসে অবস্থানরত
খলীফা মারওয়ানের নিকট ৷

ফিলিস্তিনীদেরকে সাথে নিয়ে ছাবিত ইবন নাঈম খলীফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ৷ তারা
তাবারিয়্যা নগরীতে এসে সেটি অবরোধ করে ৷ তাদের বিদ্রোহ দমনের জন্যে খলীফা মারওয়ান
একদল সৈন্য পাঠান ৷ তারা বিদ্রোহী বাহিনীকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং শত্রুসৈন্যের
হত্যা করা বৈধ করে দেয় ৷ বিদ্রোহী নেতা ছাবিত ইবন নাঈম পালিয়ে ফিলিস্তিন চলে যায় ৷ আমর
আবু ওয়ারাদ তাকে ধাওয়া করে ৷ তার বাহিনী পুনরায় পরাজিত এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷
ছাব্যিতর তিনপুত্র সরকারী বাহিনীর হাতে বন্দী হয় ৷ আমীর আবু ওয়ারাদ ওদেরকে খলীফা


عَلَيْهِمْ يَزِيدَ بْنَ خَالِدٍ الْقَسْرِيَّ وَثَبَتَ فِي الْمَدِينَةِ نَائِبَهَا، فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ مَرْوَانُ مِنْ حِمْصَ عَسْكَرًا نَحْوًا مِنْ عَشَرَةِ آلَافٍ، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا مِنْ دِمَشْقَ خَرَجَ النَّائِبُ فِيمَنْ مَعَهُ، وَالْتَقَوْا هُمْ وَالْعَسْكَرُ بِأَهْلِ الْغُوطَةِ فَهَزَمُوهُمْ وَحَرَّقُوا الْمِزَّةَ وَقُرًى أُخْرَى مَعَهَا، وَاسْتَجَارَ يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الْقَسْرِيُّ، وَأَبُو عِلَاقَةَ الْكَلْبِيُّ بِرَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْمِزَّةِ مِنْ لَخْمٍ فَدَلَّ عَلَيْهِمْ زَامَلُ بْنُ عَمْرٍو فَأُتِيَ بِهِمَا، فَقَتَلَهُمَا وَبَعَثَ بِرَأْسَيْهِمَا إِلَى أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ مَرْوَانَ وَهُوَ بِحِمْصَ. وَخَرَجَ ثَابِتُ بْنُ نُعَيْمٍ فِي أَهْلِ فِلَسْطِينَ عَلَى الْخَلِيفَةِ، وَأَتَوْا طَبَرِيَّةَ فَحَاصَرُوهَا، فَبَعَثَ الْخَلِيفَةُ إِلَيْهِمْ جَيْشًا، فَأَجْلَوْهُمْ عَنْهَا وَاسْتَبَاحُوا عَسْكَرَهُمْ، وَفَرَّ ثَابِتُ بْنُ نُعَيْمٍ هَارِبًا إِلَى فِلَسْطِينَ فَأَتْبَعَهُ الْأَمِيرُ أَبُو الْوَرْدِ فَهَزَمَهُ ثَانِيَةً، وَتَفَرَّقَ عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَأَسَرَ أَبُو الْوَرْدِ ثَلَاثَةً مِنْ أَوْلَادِهِ، فَبَعَثَ بِهِمْ إِلَى الْخَلِيفَةِ وَهُمْ جَرْحَى، فَأَمَرَ بِمُدَاوَاتِهِمْ، ثُمَّ كَتَبَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ إِلَى نَائِبِ فِلَسْطِينَ وَهُوَ الرُّمَاحِسُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْكِنَانِيُّ يَأْمُرُهُ بِطَلَبِ ثَابِتِ بْنِ نُعَيْمٍ حَيْثُ كَانَ، فَمَا زَالَ يَتَلَطَّفُ بِهِ حَتَّى أَخَذَهُ أَسِيرًا، وَذَلِكَ بَعْدَ شَهْرَيْنِ، فَبَعَثَهُ إِلَى الْخَلِيفَةِ، فَأَمَرَ بِقَطْعِ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ، وَكَذَلِكَ جَمَاعَةٌ كَانُوا مَعَهُ، وَبَعَثَ بِهِمْ إِلَى دِمَشْقَ، فَأُقِيمُوا عَلَى بَابِ مَسْجِدِهَا ; لِأَنَّ أَهْلَ دِمَشْقَ كَانُوا قَدْ أَرَجَفُوا بِأَنَّ ثَابِتَ بْنَ نُعَيْمٍ ذَهَبَ إِلَى دِيَارِ مِصْرَ فَتَغَلَّبَ عَلَيْهَا، وَقَتَلَ نَائِبَ مَرْوَانَ فِيهَا، فَأَرْسَلَ بِهِ إِلَيْهِمْ مَقْطُوعَ الْيَدَيْنِ وَالرِّجْلَيْنِ ; لِيَعْرِفُوا بُطْلَانَ مَا كَانُوا بِهِ أَرَجَفُوا. وَأَقَامَ الْخَلِيفَةُ مَرْوَانُ بِدِيرِ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، مُدَّةً حَتَّى بَايَعَ لِابْنَيْهِ عُبَيْدِ اللَّهِ ثُمَّ عَبْدِ اللَّهِ وَزَوَّجَهُمَا ابْنَتَيْ هِشَامٍ وَهُمَا أُمُّ هِشَامٍ وَعَائِشَةُ وَكَانَ مَجْمَعًا حَافِلًا، وَعَقْدًا هَائِلًا، وَبَيْعَةً عَامَّةً، وَلَكِنْ لَمْ تَكُنْ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ تَامَّةً، وَقَدِمَ الْخَلِيفَةُ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭৮২৬
دِمَشْقَ وَأَمَرَ بِثَابِتٍ وَأَصْحَابِهِ بَعْدَ مَا كَانُوا قُطِعُوا أَنْ يُصْلَبُوا عَلَى أَبْوَابِ الْبَلَدِ، وَلَمْ يَسْتَبْقِ مِنْهُمْ أَحَدًا إِلَّا وَاحِدًا، وَهُوَ عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ الْكَلْبِيُّ وَكَانَ عِنْدَهُ - فِيمَا زَعَمَ - عِلْمٌ بِوَدَائِعَ كَانَ ثَابِتُ بْنُ نُعَيْمٍ أَوْدَعَهَا عِنْدَ أَقْوَامٍ. وَاسْتَوْسَقَ أَمْرُ الشَّامِ لِمَرْوَانَ مَا عَدَا تَدْمُرَ فَسَارَ مِنْ دِمَشْقَ فَنَزَلَ الْقَسْطَلَ مِنْ أَرْضِ حِمْصَ وَبَلَغَهُ أَنَّ أَهْلَ تَدْمُرَ قَدْ عَوَّرُوا مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ مِنَ الْمِيَاهِ، فَاشْتَدَّ غَضَبُهُ عَلَيْهِمْ، وَمَعَهُ جَحَافِلُ مِنَ الْجُيُوشِ، فَتَكَلَّمَ الْأَبْرَشُ بْنُ الْوَلِيدِ - وَكَانُوا قَوْمَهُ - وَسَأَلَ مِنْهُ أَنْ يُرْسِلَ إِلَيْهِمْ أَوَّلًا لِيُعْذِرَ إِلَيْهِمْ، فَبَعَثَ عَمْرَو بْنَ الْوَلِيدِ أَخَا الْأَبْرَشِ فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِمْ لَمْ يَلْتَفِتُوا إِلَيْهِ، وَلَا سَمِعُوا لَهُ قَوْلًا، فَرَجَعَ، فَهَمَّ الْخَلِيفَةُ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِمُ الْجُنُودَ، فَسَأَلَهُ الْأَبْرَشُ أَنْ يَذْهَبَ إِلَيْهِمْ بِنَفْسِهِ، فَأَرْسَلَهُ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَيْهِمُ الْأَبْرَشُ كَلَّمَهُمْ وَاسْتَمَالَهُمْ إِلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، فَأَجَابَهُ أَكْثَرُهُمْ، وَامْتَنَعَ بَعْضُهُمْ، فَكَتَبَ إِلَى الْخَلِيفَةِ يُعْلِمْهُ بِمَا وَقَعَ، فَأَمَرَهُ الْخَلِيفَةُ أَنْ يَهْدِمَ بَعْضَ سُورِهَا، وَأَنْ يُقْبِلَ بِمَنْ أَطَاعَهُ مِنْهُمْ إِلَيْهِ، فَفَعَلَ، فَلَمَّا حَضَرُوا عِنْدَهُ سَارَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْجُنُودِ نَحْوَ الرُّصَافَةِ عَلَى طَرِيقِ الْبَرِّيَّةِ، وَمَعَهُ مِنَ الرُّءُوسِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْوَلِيدِ الْمَخْلُوعُ وَسُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ وَجَمَاعَةٌ مِنْ وَلَدِ الْوَلِيدِ، وَيَزِيدَ، وَسُلَيْمَانَ فَأَقَامَ بِالرُّصَافَةِ أَيَّامًا، ثُمَّ شَخَصَ إِلَى الرَّقَّةِ فَاسْتَأْذَنَهُ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ أَنْ يُقِيمَ هُنَاكَ أَيَّامًا ; لِيَسْتَرِيحَ وَيُجِمَّ ظَهْرَهُ، فَأَذِنَ لَهُ، وَانْحَدَرَ مَرْوَانُ فَنَزَلَ عِنْدَ وَاسِطَ عَلَى شَطِّ الْفُرَاتِ فَأَقَامَ ثَلَاثًا، ثُمَّ مَضَى إِلَى قَرْقِيسِيَا وَابْنُ هُبَيْرَةَ بِهَا ; لِيَبْعَثَهُ إِلَى الْعِرَاقِ لِمُحَارَبَةِ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ الشَّيْبَانِيِّ الْخَارِجِيِّ الْحَرُورِيِّ وَاشْتَغَلَ مَرْوَانُ بِهَذَا الْأَمْرِ.
পৃষ্ঠা - ৭৮২৭

মারওয়ানের নিকট পাঠিয়ে দেয় ৷ তারা ছিল আহত ৷ খলীফা ওদের সুচিকিৎসার নির্দেশ দেন ৷
এরপর খলীফ৷ ফিলিন্তিনী উপপ্ৰধান প্রশাসক রামাহিস ইবন আবদুল আযীযকে নির্দেশ দেন বিদ্রোহী
নেতা ছাবিতকে খুজে বের করার জন্যে ৷ ছাবিত বারবার পালিয়ে বেড়াতে থাকে ৷ এক পর্যায়ে সে
ধরা পড়ে যায় ৷ সে ধরা পড়ে বিদ্রোহ ঘোষণা র প্রায় দুইমাস পর ৷ স্থানীয় প্রশাসক তাকে খলীফার
নিকট পাঠিয়ে দেয় তার হাত পা দুইটা কেটে ফেলে দিয়ে ৷ তার সাথী কতক বিদ্রোহীকে ও
গ্রেফতার করে হাত পা কেটে খলীফার নিকট পাঠানো হয় ৷ তাদেরকে দামেষ্কের মসজিদের
দরজায় রাখা হয় ৷ কারণ দামেষ্কে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, বিদ্রোহী নেতা ছাবিত সরকারী সৈন্যদের
চোখে ধুলা দিয়ে মিসর চলে যায় এবং সেখানে মারওয়ানের নিযুক্ত প্রশাসককে হত্যা করে নিজে
ক্ষমতা গ্রহণ করে ৷ উক্ত গুজব আমার এই কথা প্রমাণ করার জন্যে তাদেরকে হাত-পা কেটে
পাঠানো হয় দামেস্ক অধিবাসীদের নিকট ৷

খলীফ৷ মারওয়ান বেশ কিছুদিন দিয়ারে আইয়ুব তথা হযরত আইয়ুব (আ) এর ওই অঞ্চলে
অবস্থান করেন ৷ সেখানে তিনি তার পরবর্তী খলীফ৷ হিসেবে স্বীয়পুএ আবদুল্লাহ এবং তারপরে
অন্যপুত্র আবদুল্লাহ-এর পক্ষে বায়আত গ্রহণ করেন এবং সেখানে তিনি তার দুইপুত্রকে ইিশামের
দুইকন্যা র সাথে বিয়ে দেন ৷ কন্যা দৃইটার নাম ছিল উম্মু হিশাম এবং আয়শা ৷ বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল
জমজমাট ও প্রাণবম্ভ এবং তাদের পক্ষে বায়আত গ্রহণও ছিল স্বতঃস্ফুর্ত ও সার্বজনীন ৷ কিন্তু
মুলত তা পরিপুর্ণ ছিল৷ না৷

তারপর খলীফ৷ দামেষ্কে ফিরে এলেন ৷ ছ বি৩ ও তার সহযােপীদের হাত পা কাটার পর

এবার তাদেরকে শহরের ফন্টকসমুহে নিয়ে শুলিতে চড় ৷বার নির্দেশ দিলেন ৷ একম ৷ এ আমর ইবন
হারিছ কা ৷লবী৷ ছ৷ ড়৷ কা ৷উকে জীবিত রাখা ৷হয়নি,৩ তাকে রাচিয়ে রাখা ৷হয়েছিল এজন্যে যে, ছাবিত
ইবন নাঈম তার ধন-সস্পদ কার কার নিকট পচ্ছিত রেখেছিল তা আমর ইবনস্ ৷বিছের জ না
ছিল ৷ ওই সব ধন সম্পদ উদ্ধারের জনেফ্তে ৷কে রাচিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ এই সময়ে৩ তিদমুরড় ছাড়
সিরিয়ার সমগ্র অঞ্চলে খলীফ৷ ৷র ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয় ৷৩ তার সমর্থনে স্থিতিশীলতা ফিরে আসে ৷

এবার তিনি দামেস্ক ছেড়ে হিমসের কা ৷শতাল অঞ্চলের দিকে যাত্রা করেন ৷ ইতিমধ্যে তিনি
ৎবাদ পান যে, তিদমুরের অধিবাসিগণ একটি প্ৰবাহমান জলাধারের পানি বন্ধ করে সব পানি
নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে দিয়েছে ৷ তাতে তিনি আরো ক্ষেপে উঠেন ওদের প্ৰতি ৷ তার সাথে
তখন সেনাবাহিনীর একটি বিশাল রহর ছিল ৷ তিদমুরের অধিবাসিগণ ছিল আবরাশের স্বজাতি ৷ সে
প্রথমেই সেন৷ অভিযান না চালিয়ে একজন মধ্যস্থতাকারী প্রেরণের জন্যে খলীফার প্রতি অনুরোধ
জানায় ৷ খলীফ৷ ৷আবরাভ্রু ৷র ভ ই আমর ইবন ওয়ালীদকে আপােষ করার জন্যে ওদের নিকট
পাঠান ৷ আমর ওদের নিকট আসে ৷ ওরা তার কোন কথা গােনেনি ৷ কোন প্রভাব মানেনি ৷ আমর
ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে ৷ খলীফা তাদের উপর সেনা আএন্মণ পরিচালনা ৷র প্রস্তুতি নিতে থাকেন ৷
আবরাশ বলল, তবে এবার আমি নিজে গিয়ে দেখি ৷ খলীফা তাকে পাঠালেন ৷ আবরাশ সেখানে
গেল ৷ ওদের সাথে কথাবার্তা বলল ৷ ওদেরকে খলীফা ৷র অনুগত করার জন্যে বুঝাল ৷ তাদের
অধিকাৎশ ৷লোক তার প্রস্তাবে রাযী হল ৷ কতক লোক ৩৷ মানল না ৷ পরিস্থিতি লিখে জানাল
খলীফাকে ৷ খলীফ৷ তাকে নির্দেশ দিলেন ওখানকার কতক নিরাপত্তা ৷প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলতে এবং
খলীফার প্ৰতি আনুগত্য প্ৰর্দশনকারী লোকদের সাথে নিয়ে ফিরে আসতে ৷ আবরাশ তাই করল ৷


وَأَقْبَلَ عَشَرَةُ آلَافِ فَارِسٍ مِمَّنْ كَانَ مَرْوَانُ قَدْ بَعَثَهُمْ فِي بَعْضِ السَّرَايَا، فَاجْتَازُوا بِالرُّصَافَةِ وَفِيهَا سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ الَّذِي كَانَ اسْتَأْذَنَ الْخَلِيفَةَ فِي الْمُقَامِ هُنَاكَ لِلرَّاحَةِ، فَدَعَوْهُ إِلَى الْبَيْعَةِ لَهُ وَخَلْعِ مَرْوَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ وَمُحَارَبَتِهِ، فَاسْتَزَلَّهُ الشَّيْطَانُ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَخَلَعَ مَرْوَانَ وَسَارَ بِالْجُيُوشِ إِلَى قِنَّسْرِينَ، وَكَاتَبَ أَهْلَ الشَّامِ، فَانْفَضُّوا إِلَيْهِ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، وَكَتَبَ سُلَيْمَانُ إِلَى ابْنِ هُبَيْرَةَ الَّذِي جَهَّزَهُ مَرْوَانُ لِقِتَالِ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ الْخَارِجِيِّ يَأْمُرُهُ بِالْمَسِيرِ إِلَيْهِ، فَالْتَفَّ عَلَيْهِ نَحْوٌ مَنْ سَبْعِينَ أَلْفًا، وَبَعَثَ مَرْوَانُ إِلَيْهِمْ عِيسَى بْنَ مُسْلِمٍ فِي نَحْوٍ مِنْ سَبْعِينَ أَلْفًا أَيْضًا، فَالْتَقَوْا بِأَرْضِ قِنَّسْرِينَ، فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، وَجَاءَ مَرْوَانُ وَالنَّاسُ فِي الْحَرْبِ، فَقَاتَلَهُمْ أَشَدَّ الْقِتَالِ فَهَزَمَهُمْ، وَقَتَلَ يَوْمَئِذٍ إِبْرَاهِيمَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ هِشَامٍ وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِهِ، وَقَتَلَ مِنْهُمْ نَيِّفًا عَلَى ثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَذَهَبَ سُلَيْمَانُ مَفْلُولًا، فَأَتَى حِمْصَ، فَالْتَفَّ عَلَيْهِ مَنِ انْهَزَمَ مَنْ جَيْشِهِ، فَعَسْكَرَ بِهِمْ فِيهَا، وَبَنَى مَا كَانَ مَرْوَانُ هَدَمَ مِنْ سُورِهَا، فَجَاءَهُمْ مَرْوَانُ فَحَاصَرَهُمْ بِهَا، وَنَصَبَ عَلَيْهِمْ نَيِّفًا وَثَمَانِينَ مَنْجَنِيقًا، فَمَكَثَ كَذَلِكَ ثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ يَرْمِيهِمْ لَيْلًا وَنَهَارًا، وَيَخْرُجُونَ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَيُقَاتِلُونَ، ثُمَّ يَرْجِعُونَ. هَذَا وَقَدْ ذَهَبَ سُلَيْمَانُ وَطَائِفَةٌ مِنَ الْجَيْشِ مَعَهُ إِلَى تَدْمُرَ وَقَدِ اعْتَرَضُوا جَيْشَ مَرْوَانَ فِي الطَّرِيقِ، وَهَمُّوا بِالْفَتْكِ بِهِ وَأَنْ يُبَيِّتُوهُ فَلَمْ يُمْكِنْهُمْ ذَلِكَ، وَتَهَيَّأَ لَهُمْ مَرْوَانُ فَقَاتَلَهُمْ، فَقَتَلُوا مِنْ جَيْشِهِ قَرِيبًا مِنْ سِتَّةِ آلَافٍ وَهُمْ تِسْعُمِائَةٍ، وَانْصَرَفُوا إِلَى تَدْمُرَ وَلَزِمَ مَرْوَانُ
পৃষ্ঠা - ৭৮২৮


ওরা ফিরে আসার পর খলীফা মড়ারওয়ান তার সাথে থাকা সৈন্য সামম্ভ নিয়ে স্থুলপথে রুসাফা
অভিমুখে যাত্রা করলেন ৷ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্পের মধ্যে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত খলীফা ইবরাহীম ইবন
ওযালীদ , সুলায়মান ইবন হিশাম এবং ওয়ালীদ-ইয়াযীদ ও সুলায়মান বংশধরদের একটি দল তীর
সাথে ছিল ৷ তিনি রুসাফা পৌছেন এবং সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করেন ৷ এরপর সমতল
ভুমির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ৷ সুলায়মান ইবন হিশড়াম কিছুদিন এখানে অবস্থান করে বিশ্রাম
গ্রহণের জন্যে খলীফার অনুমতি প্রার্থনা করে ৷ খলীফা তাকে অনুমতি দেন ৷ মারওয়ান অগ্রসর
হলেন সমতল অঞ্চলের দিকে ৷ তিনি ফোরাত নদীর তীরে আল ওযাসিত শহরে গিয়ে অবস্থান
নেন ৷ সেখানে তিনদিন থাকার পর তিনি যাত্রা শুরু করেন কিরকিসিয়্যাহ-এর উদ্দেশ্যে ৷
কিরকিসে প্রশাসকরুপে দায়িত্ব পালন করছিল তখন ইবন হুবায়রা ৷ ইবন হুবায়রাকে খারিজী
বিদ্রোহী দাহ্হাক ইবন কায়সের বিরুদ্ধে অভিযানে প্রেরণের জন্যে খলীফা সেখানে গমন
করলেন ৷ খারিজী বিদ্রোহী দাহ্হাক ইবন কায়স শায়বানী হারুরীর বিরুদ্ধে সেনা অভিযান
পরিচালনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন খলীফা মারওয়ান ৷ ইতিমধ্যে বিভিন্ন অভিযানে প্রেরিত প্রায়
১০,০০০ (দশ হাজার) অশ্বারোহী সৈন্য অভিযান শেষে খলীফার সাথে যোগ দেওয়ার জন্যে

অগ্রসর হয় ৷ তারা রুসাফা এসে পৌছে ৷ খলীফার অনুমতি নিয়ে সুলায়মান সেখানে বিশ্রাম
নিচ্ছিল ৷

প্রতাবের্ত্যকােরী অশ্বারোহী সেনাদল সৃলায়মানকে খিলাফতের দায়িতৃ গ্রহণের অনুরোধ
জানায় ৷ তারা মারওয়ানকে অপসারণের প্রস্তাব দেয় ৷ শয়তান সুলায়মানের পদস্থালন ঘটায় ৷
সুলায়মান বিভ্রান্ত হয় ৷ সে ওদের প্রস্তাব গ্রহণ করে ৷ সে মারওযানকে খলীফার পদ হতে
বরখাস্তের ঘোষণা দেয় ৷ ওই সেনাদলকে নিয়ে সে কিন্নিসরীনের দিকে অগ্রসর হয় ৷
সিরিয়াবাসীদের সাথে সে চুক্তিবদ্ধ হয় ৷ তারা তার সাথে যোগ দেয় ৷ দাহ্হাক ইবন কায়স
খাবিজীকে দমন করার জন্যে খলীফা মারওয়ান কিরকিসিয়্যাহ এর প্রশাসক ইবন হুবায়রাকে
পাঠিয়েছিল ৷ বিদ্রোহী খলীফা সুলায়মান ঙুই ইবন হুবায়রাকে তার নিকট চলে আসার নির্দেশ দিয়ে
পত্র পাঠায় ৷ ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ (সত্তর) হাজার সৈনিক সুলায়মড়ানের সমর্থনে সমবেত হয় ৷
সংবাদ পেয়ে খলীফা মারওয়নিতাদেরকে দমন করার জন্যে ঈসা ইবন ঘুসলিমের নেতৃত্বে প্রায়
৭০ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী প্রেরণ করেন ৷ কিন্নিসরীনে এসে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয় ৷
প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় উভয় দলের মধ্যে, ৷ ইতিমধ্যে মারওযান এবং তার সমর্থক সাধারণ জনগণ এসে
যুদ্ধে যোগ দেয় ৷ প্রচণ্ড আক্রমণ চালায় সরকারী বাহিনী ৷ তারা বিদ্রোহী বাহিনীকে পরাজিত করে ৷
যুদ্ধে সুলায়মান ইবন হিশামের বড় ছেলে ইব্রাহীম ইবন সুলায়মান নিহত হয় এবং তাদের আরো
ত্রিশ হাজারের অধিক সৈন্য নিহত হয় ৷ সুলায়মান পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় ৷ সে এসে উঠে
হিমসের নগরীতে ৷ পালিয়ে যাওয়া সৈনিকগগ সেখানে এসে তার সাথে যোগ দেয় ৷ একটি নতুন
সেনাদল গঠন করে সে ওদেরকে নিয়ে ৷ মারওয়ান ইতিপুর্বে হিমসের যে নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙ্গে
ফেলেছিল যে তা পুনঃনির্মাণ করে ৷

ওদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনা করে মারওয়ান ৷ তিনি হিমসে তাদেরকে অবরোধ
করে রাখেন ৷ ৮ :টিরও অধিক কামান স্থাপন করে নিরাপত্তা প্রাচীরের রাহিরে ৷ এভাবে আটমাস
অতিবাহিত হয় সরকারী বাহিনী রাতে দিনে সমানে কামানের গােলা নিক্ষেপ করতে থাকে ৷


مُحَاصَرَةَ حِمْصَ كَمَالَ عَشَرَةِ أَشْهُرٍ، فَلَمَّا تَتَابَعَ عَلَيْهِمُ الْبَلَاءُ، وَلَزِمَهُمُ الذُّلُّ، سَأَلُوهُ أَنْ يُؤَمِّنَهُمْ، فَأَبَى إِلَّا أَنْ يَنْزِلُوا عَلَى حُكْمِهِ، ثُمَّ سَأَلُوهُ الْأَمَانَ عَلَى أَنْ يُمَكِّنُوهُ مِنْ سَعِيدِ بْنِ هِشَامٍ وَابْنَيْهِ مَرْوَانَ، وَعُثْمَانَ وَمِنَ السَّكْسَكِيِّ الَّذِي كَانَ مَعَهُ عَلَى جَيْشِهِ، وَمِنْ حَبَشِيٍّ كَانَ يَشْتُمُهُ وَيَفْتَرِي عَلَيْهِ، فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ، فَأَمَّنَهُمْ وَقَتَلَ أُولَئِكَ. ثُمَّ سَارَ إِلَى الضَّحَّاكِ الْخَارِجِيِّ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ نَائِبُ الْعِرَاقِ قَدْ صَالَحَ الضَّحَّاكَ الْخَارِجِيَّ عَلَى مَا بِيَدِهِ مِنَ الْكُوفَةِ وَأَعْمَالِهَا، وَجَاءَتْ خُيُولُ مَرْوَانَ قَاصِدَةً إِلَى الْكُوفَةِ فَتَلَقَّاهُمْ نَائِبُهَا مِنْ جِهَةِ الضَّحَّاكِ، مِلْحَانُ الشَّيْبَانِيُّ فَقَاتَلَهُمْ فَقُتِلَ مِلْحَانُ فَاسْتَنَابَ الضَّحَّاكُ عَلَيْهَا الْمُثَنَّى بْنَ عِمْرَانَ مِنْ بَنِي عَائِذَةَ وَسَارَ الضَّحَّاكُ فِي ذِي الْقِعْدَةِ إِلَى الْمَوْصِلِ، وَسَارَ ابْنُ هُبَيْرَةَ إِلَى الْكُوفَةِ، فَانْتَزَعَهَا مِنْ أَيْدِي الْخَوَارِجِ وَأَرْسَلَ الضَّحَّاكُ جَيْشًا إِلَى الْكُوفَةِ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ الشَّيْبَانِيُّ وَكَانَ سَبَبُ خُرُوجِهِ أَنَّ رَجُلًا يُقَالُ لَهُ: سَعِيدُ بْنُ بَهْدَلٍ - وَكَانَ خَارِجِيًّا - اغْتَنَمَ غَفْلَةَ النَّاسِ وَاشْتِغَالَهُمْ بِمَقْتَلِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ، فَثَارَ فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْخَوَارِجِ بِالْعِرَاقِ وَالْتَفَّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةُ آلَافٍ - وَلَمْ تَجْتَمِعْ قَبْلَهُ لِخَارِجِيٍّ - فَقَصَدَتْهُمُ الْجُيُوشُ، فَاقْتَتَلُوا مَعَهُمْ، فَتَارَةً يَكْسِرُونَ، وَتَارَةً يُكْسَرُونَ، ثُمَّ مَاتَ سَعِيدُ بْنُ بَهْدَلٍ فِي طَاعُونٍ أَصَابَهُ،
পৃষ্ঠা - ৭৮২৯


বিদ্রোহিপণ প্রতিদিন দুর্গ হতে বের হয়ে প্রতিরোধ আক্রমণ চালাতে থাকে এবং পুনরায় দুর্গে
আশ্রয় নেয় ৷

এক পর্যায়ে সুলায়মান ও তার অনুগত একদল সৈন্য তিদমুর গমন করে ৷ মারওয়ানের
সৈন্যরা তাদের গনিবাে ধ করে ৷ তারা তাকে হত্যা এবং তার কাংফলা লুট করার চেষ্টা করে ৷
কিন্তু তাতে সক্ষম হয়নি ৷ মারওয়ান ওদের বিরুদ্ধে পুর্ণ প্রস্তুতি নেন এবং জোর আ ক্রমণ চালান ৷
কিন্তু ৯০০ সদস্যের সুলায়মান বাহিনী প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে সরকারী বাহিনীর প্রায় ছয় হাজার
সৈন্য হত্যা করে ৷ তারপর তারা তিদমুর অভিমুখে যেতে থাকে ৷ খলীফ৷ মারওয়ান হিম্স
অবরোধ অব্যাহত রাখেন ৷ পুর্ণ দশ মধ্যে এই অবরোধ চলে ৷ ইতিমধ্যে হিমসের অধিবাসিগণ
চরম দুংখ-কষ্টে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে ৷৩ তারা খলীফ৷ ৷র নিকট অ ৷ত্াসম পণের বিনিময়ে নিরাপত্তা কামনা
করে ৷ খলীফ৷ এই শ্য৩ নির৷ ৷পত্তা প্রদানে রায়ী হন যে, তারা তার নির্দেশ পালন করবে ৷ এরপর
তারা এই শণ্ডে নিরাপত্তা কামনা করে যে, ত ৷রা সা ৷ঈদ ইবন হিশা ৷৷মকেত তার দুই ছেলে মারওয়ান ও
উছমানকে বন্দী সাকসাকী লোকটিকে এবং মারওয়ান সম্পর্কে মিথ্যা আরোপকারী ও তাকে
গাল-মন্দক৷ ৷রী হাবশী লোকটিকে তার হাতে তুলে দিয়ে ৷ খলীফ৷ তাদের এই প্রস্তা ৷ব গ্রহণ করেন
এবং তাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেন ৷ তিনি উপরোল্লোখিত লোকণ্ডলে কে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত
করেন ৷

খলীফ৷ এবার দাহ্হাকের বিদ্রোহ দমনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ ক্ষম৩ ৷সীন ইরাকী
প্রশাসক আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আবদুল আযীয ইতিমধ্যে দ ৷হ্হাক খারিজীর সাথে একটি
আপোয মীমাত্স৷ চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন ৷ চুক্তি হয়েছিল এই শর্ভে যে, দাহ্হাক খারিজী কুফা
ও তৎসহ্লগ্ন যতটুকু অঞ্চলে কতৃতৃ প্রতিষ্ঠা করেছে৩ ততটুকুতে সে শাসন পরিচালনা করবে ৷
অতিরিক্ত স্থান দখলের চেষ্টা করবে না ৷

ইতিমধ্যে মারওয়ানের অশ্ব৷ ৷রোহী যোদ্ধাগণ কুফ৷ নগরীর কাছাকাছি এসে পৌছে ৷ দাহ্হাকের
নিযুক্ত কুফার বপ্রশাসক মালহান শায়বানী৩ ৷দের গতিরোধ করে ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় সেখানে ৷ মালহান
নিহত হয় ৷ দাহ্হাক তখন মুছান্ন৷ :া৷ইবন ইমরানকে কুফার শাসনকর্তা ৷নিয়োপ করে ৷ যুলক৷ দ৷ মাসে
দাহ্হাক নিজে মুসেলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ ইবন হুবায়র৷ কুফ৷ এসে সেটিকে খাবিজীদের
দখল হতে মুক্ত করে ৷ দাহ্হাক নতুন একদল সৈন্য প্রেরণ করে কুফাতে ৷ কিন্তু সেখানে তারা
কিছুই করতে পারেনি ৷

এই হিজরী সনে দাহ্হাক ইবন কায়স শায়বানী কেশ্রীয় খলীফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা
করে ৷ তার বিদ্রোহের পটভুমি এই ছিল যে, সাঈদ ইবন বাহদাল নামে এক খারিজী লোক জন-
সাধারণের অসচেতনতাকে মােক্ষম সময়রুপে গ্রহণ করে ৷ খলীফ৷ ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদের
হত্যাকাণ্ডের পর জনগণ যখন আত্মকলহে লিপ্ত এবং ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপারে অসতর্ক তখন সাঈদ
খারিজী তার অপতৎপরতা শুরু করে ৷ তার অনুসারী একটি দল নি ৷য়ে সে ইরাকে আন্দো ৷লন শুরু
করে ৷ প্রায় চার হাজার লোক তার সমর্থনে সমবেত ৩হয় ৷ ইতিপুর্বে কোন খাবিজী নেতার সমর্থনে
এত লোক আসেনি ৷ সরকারী সৈন্যবহর খারিজীদের বিরুদ্ধে অগ্র সর হয় ৷ মুখোমুখি হয় উভয়
পক্ষ ৷ প্রচণ্ড যুদ্ধ চলতে থাকে দুই পক্ষের মধ্যে ৷ কখনো এরা চ৷ প সৃষ্টি করছে কখনো ওরা ৷
কখনো এই পক্ষ প্রাধান্য বিস্তার করছে, কখনো ওই পক্ষ ৷ এই মধ্যে গ্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে

আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া (১ :ম খণ্ড)-৮


وَاسْتَخْلَفَ عَلَى الْخَوَارِجِ مِنْ بَعْدِهِ الضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ هَذَا، فَالْتَفَّ أَصْحَابُهُ عَلَيْهِ، وَالْتَقَى هُوَ وَجَيْشٌ كَثِيرٌ، فَغَلَبَتِ الْخَوَارِجُ وَقَتَلُوا خَلْقًا كَثِيرًا، مِنْهُمْ عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَخُو أَمِيرِ الْعِرَاقِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَرَثَاهُ بِأَشْعَارٍ. ثُمَّ قَصَدَ الضَّحَّاكُ بِطَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ مَرْوَانَ، فَاجْتَازَ بِالْكُوفَةِ، فَنَهَضَ إِلَيْهِ أَهْلُهَا، فَكَسَرَهُمْ وَدَخَلَ الْكُوفَةَ، فَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، وَاسْتَنَابَ بِهَا رَجُلًا اسْمُهُ حَسَّانُ ثُمَّ اسْتَنَابَ مِلْحَانَ الشَّيْبَانِيَّ فِي شَعْبَانَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَسَارَ هُوَ فِي طَلَبِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ نَائِبِ الْعِرَاقِ فَالْتَقَوْا، فَجَرَتْ بَيْنَهُمْ حُرُوبٌ كَثِيرَةٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا وَتَفْصِيلُهَا. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ اجْتَمَعَتْ جَمَاعَةٌ مِنَ الدُّعَاةِ إِلَى بَنِي الْعَبَّاسِ عِنْدَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْإِمَامِ وَمَعَهُمْ أَبُو مُسْلِمٍ الْخُرَاسَانِيُّ، فَدَفَعُوا إِلَيْهِ نَفَقَاتٍ كَثِيرَةً، وَأَعْطَوْهُ خُمْسَ أَمْوَالِهِمْ، وَلَمْ يَنْتَظِمْ لَهُمْ أَمْرٌ فِي هَذِهِ السَّنَةِ لِكَثْرَةِ الشُّرُورِ الْمُنْتَشِرَةِ، وَالْفِتَنِ الْوَاقِعَةِ بَيْنَ النَّاسِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ بِالْكُوفَةِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَدَعَا إِلَى نَفْسِهِ، فَحَارَبَهُ أَمِيرُ الْعِرَاقِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَجَرَتْ بَيْنَهُمَا حُرُوبٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا، ثُمَّ أَجْلَاهُ عَنْهَا، فَلَحِقَ بِالْجِبَالِ، فَتَغَلَّبَ عَلَيْهَا. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ الْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ الَّذِي كَانَ لَحِقَ بِبِلَادِ التُّرْكِ وَمَالَأَهُمْ عَلَى الْمُسْلِمِينَ، فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْهِ بِالْهِدَايَةِ، وَوَفَّقَهُ حَتَّى خَرَجَ إِلَى بِلَادِ الْإِسْلَامِ، وَكَانَ ذَلِكَ عَنْ دُعَاءِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى الْإِسْلَامِ، فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، وَخَرَجَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৭৮৩০
خُرَاسَانَ فَأَكْرَمَهُ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ نَائِبُهَا، وَفَرِحَ الْمُسْلِمُونَ بِذَلِكَ وَجَاءُوا لِتَهْنِئَتِهِ، ثُمَّ وَقَعَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ خُصُومَةٌ، وَاسْتَمَرَّ الْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ عَلَى الدَّعْوَةِ إِلَى الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ وَطَاعَةِ الْإِمَامِ، وَعِنْدَهُ بَعْضُ الْمُنَاوَأَةِ لِنَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ، وَأَبُو مَعْشَرٍ: وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَمِيرُ الْحِجَازِ وَمَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ وَالطَّائِفِ. وَأَمِيرُ الْعِرَاقِ النَّضْرُ بْنُ سَعِيدٍ الْحَرَشِيُّ وَقَدْ خَرَجَ عَلَيْهِ الضَّحَّاكُ الْحَرُورِيُّ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ. وَأَمِيرُ خُرَاسَانَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ، وَقَدْ خَرَجَ عَلَيْهِ الْكَرْمَانِيُّ، وَالْحَارِثُ بْنُ سُرَيْجٍ. وَمِمَّنْ تُوفِّي فِي هَذِهِ السَّنَةِ بُكَيْرُ بْنُ الْأَشَجِّ، وَسَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، وَعَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ مَالِكٍ الْجَزَرِيُّ، وَعُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، وَمَالِكُ
পৃষ্ঠা - ৭৮৩১

থারিজীদের প্রধান নেতা সাঈদ ইবন বাহদান মারা যায় ৷ এরপর দাহ্হাক ইবনকায়স নেতৃত্বে
আসে ৷ খঃারিজিগণ দাহহাকের পাশে সমবেত হয় ৷ তারা প্রচণ্ড আক্রমণ চালায় সরকারী বাহিনীর
উপ ৷ ৷ এই যাত্রায় তারা জয়ী হয় ৷ সরকারী বাহিনীর বহু লোককে খারিজীরা হত্যা করে ৷
নিহতদের মধ্যে ইরাকের প্রশাসক আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আবদুল আযীযের তা ই আসিম ইবন

উমর ইবন আবদুল আযীয়ও ছিল ৷ এ প্রসংগে কয়েক পংক্তির মাধ্যমে তার জন্যে শোক প্রকাশ
করা হয় ৷

এরপর খারিজী নেতা দাহ্হাক তার সাথীদেরকে নিয়ে সরাসরি থলীফ৷ মারওয়ানের বিরুদ্ধে
যুদ্ধ করার জন্যে অগ্রসর হয় ৷ সে কুফ৷ গমন করে ৷ কুফার জনগণ তাদেরকে প্রতিরোধ করে ৷
কিভৃ দাহ্হাক বাহিনী ওই প্রতিরোধ ভেঙ্গে কুফ৷ নগরীতে প্রবেশ করে এবং সেখানে কর্তৃতু
প্রতিষ্ঠা করে ৷ সে হাসসান নামে এক ব্যক্তিকে কুফায়ত তার পক্ষে প্রশাসক নিয়োগ ৷করে ৷ এরপর
এই বছরই শা রান মানে মালহাম শায়বানীকে সে ওই পদে নিয়োগ ৷দেয় ৷ সে নিজে ইরাকের
প্রশাসক আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আবদুল আযীষের খোজে অ্যাসর হয় ৷ এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ
মুখোমুখি হয় ৷ উভয় দলে যুদ্ধ হয় ৷ সেটি উল্লেখ করতে গেলে বিবরণ অনেক বেশী হয়ে ৷
এই হিজরী সনে অর্থাৎ ১২৭ হিজরী সনে কতক লোক আব্বাসী খিলাফত প্রতিষ্ঠার
আন্দোলনে ও আহ্বানে একমত হয় ৷ এই সুত্রে৩ তারা আব্বাসী ইমাম ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদের
নিকট উপস্থিত হয় ৷ আ বুষুসলিম খুরাসানী তাদের সাথে ছিল ৷ আন্দোলনের প্রভৃতির জন্যে তারা
ইমাম ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদকে প্রচুর অর্থ কড়ি প্রদান করে ৷ নিজেদের ধন সম্পদের ১৫ অংশ
তারা ইমামের হাতে ৩তুলে দেয় ৷ কিন্তু চারিদিকে একের পর এক ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃডঃালার
কারণে ৷এই বছর তারা সুশৃগ্রল আন্দোল লন গড়ে তুলতে পারেনি ৷

এই হিজরী সনে কুফাতে মুআৰিয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন জা ফর ইবন আ বু৩ তালিব বিদ্রোহ
ঘোষণা করেন ৷ তিনি ল্যে কজনকে তার নিজের প্রতি ৩আনুগতা প্রকাশ এবং ইরাকের শাসনকর্তা
আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আবদুল আযীযের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আহ্বান জান৷ ন ৷ ফণে তাদের
দুইজনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় ৷ শেষ পর্যন্ত মুআবিয়৷ ইবন আবদুল্লাহ জয়ী হন ৷ আবদুল্লাহ ইবন
উমার ইবন আবদুল আযীয পরাজিত হয়ে পাহাড়ী অঞ্চলে নির্বাসিত হন ৷ ওই অঞ্চলে মুআবিয়া
ইবন আবদুল্লাহ ইবন জাফর ইবন আবুতালিবের কর্তৃতৃ প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
এই হিজরী সনে হারিছ ইবন সুরায়জ বিদ্রোহ ঘোষণা করে কেদ্রীয় থলীফায় বিরুদ্ধে ৷ সে
তুরস্কে পালিয়ে যায় ৷ ওদের সাথে মিলিত হয় এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভুর্কীদেরকে সাহায্য
করে ৷ শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ তার প্রতি ৩অনুছাহ করেন ৷ সে হিদায়াতের পথে ফিরে আসে ৷ সে
সিরিয়ার প্রতাবত ন করে ৷ এর মুলে ছিল তার প্রতি খলীফ৷ ইয়াযীদের উদাও আহ্বান ৷ তিনি
হারিছ ইবন সুরায়জকে ইসল৷ ৷মে ফিরে আমার এবং তার পরিবারের সাথে মিলিত হবার আহ্বান
জানিয়েছিলেন ৷ এরপর বস্তুত সে ইসলামে প্রত্যাবর্তন করে এবং সিরিয়াতে ফিরে আসে ৷ এরপর
সে থুরাসান গমন করে ৷ খুরাসানের শাসনকর্তা নাস্র ইবন সাইয়ার তার সাথে সম্মানজনক
আচরণ করে ৷ এরপর হতে হারিছ ইবন সুরায়জ জনসাধারণকে কিতাব ও সুন্নাহ্র প্রতি এবং
খলীফার আনুগত্যের প্রতি আহ্বান জানাতে থাকে ৷ অবশ্য শাসনকর্তা নাসরের সাথে তার কিছুটা
মনােমালিন্য ও বিরোধ ছিল বটে ৷




بْنُ دِينَارٍ، وَوَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، وَأَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ.