আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وعشرين ومائة

ذكر قتل يزيد بن الوليد وكيف قتل

পৃষ্ঠা - ৭৭৯০


বিশর ইবন মুকবিল বলল, হে আমিরুল মু’মিনীন ! পাপিষ্ঠ ওয়ালীদের নিহত হবার সুসংবাদ গ্রহণ
করুন ৷ সংবাদ শুনে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে তিনি সিজদাবনত হন ৷ সংশ্লিষ্ট
সৈন্যগণ খলীফা ইয়াযীদের নিকট ফিরে আসে ৷ বায়আতের প্রতিক্রিয়া সর্বপ্রথম ইয়াযীদ ইবন
আম্বাসা সাকসাকীই খলীফা ইয়াযীদের হাতে হাত রাখেন ৷ ইয়াযীদ নিজের হাত টেনে নেন এবং
বলেন, হে আল্লাহ ! আমার এই থিলাফত প্রাপ্তি যদি আপনার সন্তোষ সংশ্লিষ্ট হয় তাহলে এই
কাজে আপনি আমাকে সাহায্য করবেন ৷ যারা ক্ষমতাচ্যুত খলীফ৷ ওয়ালীদের কর্তিত মাথা
এনেছিল তিনি তাদেরকে এক লক্ষ দিরহাম পুরস্কার দিয়েছিলেন ৷ তারা মাথা নিয়ে ইয়াযীদের
দরবারে উপস্থিত হয়েছিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৷ কেউ বলেছেন বুধবারে ৷ এটি ছিল ১২৬
হিজরী সনের জুমাদাল উখরা মাসের দুই দিন বাকী থাকা দিনের ঘটনা ৷

ওই কর্তিত মাথা একটি বর্শার মাথায় পেথে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরানোর নির্দোণ দেন
খলীফা ৷ কিন্তু তাকে বলা হল যে, এভাবে আচরণ করা হয় খারিজিদের ক্ষেত্রে ৷ কিন্তু খলীফা
বললেন, আল্লাহর কসম ! আমি ওই মাথা লাঠির মাথায় স্থাপন করবই ৷ তারপর বর্শার মাথায় ওই
কর্তিত মাথা পেথে শহরে শহরে ঘুরানাে হয় ৷ তারপর এক মাসের জন্যে ওই মাথা এক ব্যক্তির
তত্ত্বড়াবধানে রাখা হয় ৷ এরপর ওই মাথা তার ভাই সুলায়মান ইবন ওয়ড়ালীদের নিকট হস্তান্তর করা
হয় ৷ তার সাথে সম্পর্কচ্যুতির ইঙ্গিত দিয়ে তার ভাই সুলায়মান বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুই
ছিলি মদ্যপ, লম্পট এবং পাপিষ্ঠ ৷ সে আমাকেও ওই পাপের পথে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে ৷
আমি তো তার ভাই ৷ বস্তুত ওয়ালীদ যে কোন পাপের কাজ অনায়াসে করে ফেলত ৷ কেউ কেউ
বলেছেন যে, দামেষ্কের জামে মসজিদের মাঠ সংলগ্ন পুর্ব প্রাচীরে তার মাথা ঝুলিয়ে রাখা
হয়েছিল ৷ উমাইয়া শাসনের পতনকাল পর্যন্ত তার মাথা ওখানে ঝুলন্ত ছিল ৷ কেউ কেউ বলেছেন,
সেটি তার ঝুলানাে মাথা নয় বরং সেটি ছিল তার রক্তের চিহ্ন ৷ ওয়ালীদ যখন নিহত হয় তখন
তার বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর ৷ কেউ বলেছেন ৩৮ বছর ৷ কেউ বলেছেন ৩১ বছর ৷ কেউ
বলেছেন ৩২ ৷ কেউ বলেছেন ৩৫ ৷ আবার কেউ বলেছেন ৪৬ বছর ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত অনুসারে
তার শাসনকাল ছিল এক বছর ছয়মাস ৷ কেউ বলেছেন এক বছর তিন মাস ৷

ইবন জারীর বলেছেন যে, উমাইয়া শাসক ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ ছিল একজন শক্তিমান
শাসক ৷ তার পায়ের আঙ্গুলগুলো ছিল লম্বা লম্বা ৷ তার জন্যে মাটিতে লোহার খুটি পুতে রাখা হত
এবং একটি রশি দ্বারা ওই খুটি তার পায়ের সাথে বেধে দেওয়া হত ৷ এরপর সে ঘোড়ার দেহ
স্পর্শ না করে লাফ দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ত ৷ তার লাফ দেওয়ার সাথে সাথে প্রচণ্ড টানে ওই
লোহার খুটি মাটি থেকে উপড়ে এসে পড়ত ৷

ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের শাসন
পরিচালনা
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের উপাধি ছিল “আল্-নাকিছ বা হ্রাসকারী” পুর্ববর্তী খলীফা
জনসাধারণের জন্য বাদ্রীয় ভাতার যতটুকু বৃদ্ধি করেছিল ইয়াযীদ খলীফা হবার পর তা ছাটাই ও
হ্রাস করে দেন ৷ তাই তার উপধি হয় আল-নাকিছ বাহ্রাসকারী ৷ ওয়ালীদ দশ দিরহাম বৃদ্ধি
করেছিল ইয়াযীদ তা কমিয়ে দিয়েছিলেন এবং হিশামের শাসনামলে যে পরিমাণ ছিল তাতে


كُنْتُ عِنْدَ الْمَهْدِيِّ فَذُكِرَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ فَقَالَ رَجُلٌ فِي الْمَجْلِسِ: كَانَ زِنْدِيقًا. فَقَالَ الْمَهْدِيُّ: خِلَافَةُ اللَّهِ عِنْدَهُ أَجَلُّ مِنْ أَنْ يَجْعَلَهَا فِي زِنْدِيقٍ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ جَوْصَاءَ الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَسَنِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا حُصَيْنُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنِ الْأَزْهَرِيِّ بْنِ الْوَلِيدِ قَالَ: سَمِعْتُ أُمَّ الدَّرْدَاءِ تَقُولُ: إِذَا قُتِلَ الْخَلِيفَةُ الشَّابُّ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ مَظْلُومًا، لَمْ تَزَلْ طَاعَةٌ مُسْتَخَفًّا بِهَا، وَدَمٌ مَسْفُوكًا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ بِغَيْرِ حَقٍّ. قَالَ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ: [ذِكْرُ قَتْلِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَكَيْفَ قُتِلَ] ذِكْرُ قَتْلِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: النَّاقِصُ. لِلْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ وَكَيْفَ قُتِلَ قَدْ ذَكَرْنَا بَعْضَ أَمْرِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ وَخَلَاعَتِهِ وَمَجَانَتِهِ، وَمَا ذُكِرَ عَنْهُ مِنْ تَهَاوُنِهِ وَاسْتِخْفَافِهِ بِأَمْرِ دِينِهِ قَبْلَ خِلَافَتِهِ، وَلَمَّا وَلِيَ الْخِلَافَةَ وَأَفْضَتْ إِلَيْهِ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯১


নামিয়ে এসেছিলেন ৷ কথিত আছে যে, সর্বপ্রথম মারওয়ান তাকে এই নিন্দাসুচক উপাধি প্রদান
করে ৷ খলীফা ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবার পর ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ
আনুষ্ঠানিকভাবে খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ সেটি ছিল এই হিজরী সনের অর্থাৎ ১২৬ হিজরী
সনের জুমাদাল-উখৃরা নামের দুই দিন অবশিষ্ট থাকার দিন জুমুআবার ৷ খিলাফতের দায়িতৃ
গ্রহণের পুর্বেও ইয়াযীদের মধ্যে সততা ও পরহিযগারী ছিল ৷

খিলাফতের পদে অধিষ্ঠিত হবার পর সর্বপ্রথম তিনি যে কাজ করেছিলেন তা হল সৈনিকদের
ভাতা কমিয়ে দেওয়া ৷ ওয়ালীদের আমলে ভাতার যে পরিমাণ বর্ধিত করা হয়েছিল অর্থাৎ বার্ষিক
দশ দিরহাম ইয়াযীদ তা কমিয়ে দেন ৷ এজনো তিনি নাকিছ বড়াহ্রাসকারী নামে পরিচিত হন ৷
উদাহরণরুপে বলা হয় যে, মারওয়ান বংশীয় খলীফাদের মধ্যে মুখ কাটা ও ভাতাহ্রাসকারী এই
দুইজন হল সর্বাধিক ন্যায়পরায়ণ খলীফা ৷ অর্থাৎ উমার ইবন আবদুল আযীয এবং আলোচ্য
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ এই দুজন শ্রেষ্ঠতম ন্যায়পরায়ণ উমাইয়া খলীফা ৷

ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের খিলাফতকাল দীর্ঘ হয়নি ৷ এই বছরের শেষ দিকে তিনি মারা যান ৷
তার শাসনকালে চারিদিকে ৰিশৃৎখলা সৃষ্টি হয় ৷ ফিত্না-ফাসাদ দেখা দেয় এবং উমাইয়্যাদের
মধ্যে পরস্পর মতবিরোধে জড়িয়ে পড়ে ৷ ফলে একপর্যায়ে সুলায়মান ইবন হিশাম নিজেকে
খলীফারুপে ঘোষণা করেন ৷ ওয়ালীদের শাসনামলে তিনি ওমড়ানে বন্দী জীবন কাঠিয়েছিলেন ৷
ইয়াযীদের শাসনামলে তিনি বন্দী দশা হতে মুক্তি পান এবং ওমানের ধনসম্পদের উপর নিজের
কর্তৃতু ঘোষণা করেন ৷ তিনি দামেষ্কে আগমন করেন এবং ওয়ালীদের প্ৰতি লানত বর্ষণ, তার
দৃর্নাম এবং তাকে কুফরীর অপরাধে অভিযুক্ত করেন ৷ ইয়াযীদ তাকে সম্মান দেখালেন এবং
ওয়ালীদের দখল থেকে উদ্ধার করা তার ধন-সস্পদ তাকে ফিরিয়ে দিলেন ৷ ইয়াযীদ সুলায়মানের
এক বোনকে বিয়ে করেন ৷ ওই মেয়ের নাম উম্মু হিশাম বিনত হিশাম ৷ হিমসের জনসা ধারণ
তাদের অঞ্চলে অবস্থিত আব্বাস ইবন ওয়ালীদের ঘরবাড়ি সব ভেঙ্গে ফেলে এবং তার
পরিবার-পরিজন ও ছেলেদেরকে বন্দী করে রাখে ৷ আব্বাস হিমস হতে পালিয়ে দামেষ্কে
ইয়াযীদের নিকট চলে আসে ৷

এদিকে হিমসের জনসাধারণ সাবেক খলীফা ওয়ালীদের হত্যাকাণ্ডের প্ৰতিশোধ গ্রহণের দাবী
তোলে ৷ তারা শহরের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ওয়ালীদের মৃত্যু রেদনায় কান্নাকাটি
আহজােরি ও বিলাপ জুড়ে দেয় ৷ স্থানীয় সৈন্যদের সাথে তারা লিখিত প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হয় ওয়ালীদ
হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্যে ৷ সৈন্যদের একটি বড় অংশ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয় এই শর্তে
যে, তারা জয়ী হলে ওয়ালীদের নির্ধারিত উত্তরাধিকারী হাকাম ইবন ওয়ালীদকে খিলড়াফতের পদে
আসীন করবে ৷ অভিযান সফল হলে তারা হিমসের বর্তমান শাসক মারওয়ান ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানকে বরখাস্ত করে তাকে এবং তার ছেলেকে হত্যা করবে ৷ তারপর
মুআবিয়া ইবন ইয়াযীদ ইবন হুসায়নকে হিমসের শাসনকর্তারুপে গ্রহণ করবে ৷

তাদের পরিকল্পনার সংবাদ খলীফা ইয়াযীদের নিকট পৌছে যায় ৷ ইয়াকুব ইবন হানীর
মাধ্যমে তিনি ওদের নিকট একটি পত্র পাঠান ৷ পত্রের বিষয়বস্তু ছিল এই যে , খলীফা
তােমাদেরকে পরামর্শভিত্তিক কাজ পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছেন ৷ আমর ইবন কায়স বলল,
তবে আমরা খলীফা হিসেবে পুর্ব থেকে নির্ধারিত হাকাম ইবন ওয়ালীদকে গ্রহ ণ করব ৷ একথা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড)-৫


يَزْدَدْ فِي الَّذِي كَانَ فِيهِ مِنَ اللَّهْوِ وَاللَّذَّةِ وَالرُّكُوبِ إِلَى الصَّيْدِ وَشُرْبِ الْمُسْكِرِ وَمُنَادَمَةِ الْفُسَّاقِ، إِلَّا تَمَادِيًا وَجِدًّا، فَثَقُلَ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى رَعِيَّتِهِ وَجُنْدِهِ، وَكَرِهُوهُ كَرَاهَةً شَدِيدَةً، وَكَانَ مِنْ أَعْظَمِ مَا جَنَى عَلَى نَفْسِهِ حَتَّى أَوْرَثَهُ ذَلِكَ هَلَاكَهُ، إِفْسَادُهُ عَلَى نَفْسِهِ بَنِي عَمَّيْهِ هِشَامٍ، وَالْوَلِيدِ مَعَ إِفْسَادِهِ الْيَمَانِيَةَ وَهُمْ عُظْمُ جُنْدِ خُرَاسَانَ ; وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا قَتَلَ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ وَسَلَّمَهُ إِلَى غَرِيمِهِ يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ الَّذِي هُوَ نَائِبُ الْعِرَاقِ إِذْ ذَاكَ، فَلَمْ يَزَلْ يُعَاقِبُهُ حَتَّى هَلَكَ، انْقَلَبُوا عَلَيْهِ وَتَنَكَّرُوا لَهُ، وَسَاءَهُمْ قَتْلُهُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ فِي تَرْجَمَتِهِ. ثُمَّ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ بِسَنَدِهِ، أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ يَزِيدَ ضَرَبَ ابْنَ عَمِّهِ سُلَيْمَانَ بْنَ هِشَامٍ مِائَةَ سَوْطٍ، وَحَلَّقَ رَأْسَهُ وَلِحْيَتَهُ، وَغَرَّبَهُ إِلَى عَمَّانَ، فَحَبَسَهُ بِهَا، فَلَمْ يَزَلْ هُنَاكَ حَتَّى قُتِلَ الْوَلِيدُ وَأَخَذَ جَارِيَةً كَانَتْ لِآلِ عَمِّهِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَكَلَّمَهُ فِيهَا عُمَرُ بْنُ الْوَلِيدِ فَقَالَ: لَا أَرُدُّهَا. فَقَالَ: إِذَنْ تَكْثُرَ الصَّوَاهِلُ حَوْلَ عَسْكَرِكَ. وَحَبَسَ الْأَفْقَمَ يَزِيدَ بْنَ هِشَامٍ وَبَايَعَ لِوَلَدَيْهِ الْحَكَمِ وَعُثْمَانَ وَكَانَا دُونَ الْبُلُوغِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ أَيْضًا، وَنَصَحُوهُ فَلَمْ يَنْتَصِحْ، وَنَهَوْهُ فَلَمْ يَرْتَدِعْ وَلَمْ يَقْبَلْ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ فِي رِوَايَتِهِ: ثَقُلَ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ، وَرَمَاهُ بَنُو هِشَامٍ وَبَنُو
পৃষ্ঠা - ৭৭৯২


শুনে পত্রবাহক ইয়াকুব আমরের র্দড়াড়ি চেপে ধরে এবং বলে যে, ধিক তোমার জন্যে, তুমি যাকে
খলীফা বানানোর প্রস্তাব করেছ সে এতই অযােপ্য যে, সে যদি তোমার তত্ত্বাবধানে থাকা ইয়াতীম
হত তখন ওর সম্পদ ওকে হস্তান্তর করা তোমার জন্যে জাইয হত না, তাহলে তুমি সমগ্র
জনসাধারণের দায়িত্ব কী করে তার হাতে ন্যস্ত করবে ?

এ ঘটনার পর হিম্সের জনগণ সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে সরকারী প্রতিনিধি ও
দুতদেরকে তাড়িয়ে দেয় এবংহিম্স রাজ্য হতে বের করে দেয় ৷ ওদেরই একজন আবু মুহাম্মদ
ছুফয়ানী বলল, আমি নিজে যদি দামেষ্কে যাই, তবে ওদের দুইজন ল্যেকও আমার বক্তব্যের
বিরোধিতা করবে না ৷ ফলে আবু মুহাম্মদ ছুফয়ানীর নেতৃচব্ষ্ একদল হিমসবাসী দামেস্কের
উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ তাদের আমীর নিযুক্ত হয় আবু মুহাম্মদ সুফয়ানী ৷

এদিকে ওদেরকে মুকাবিলা করার জন্যে খলীফা ইয়াযীদ সৃলায়মান ইবন হিশামের নেতৃতু
একটি বড় সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ অনুরুপ একটি দল প্রেরণ করেন আবদুল আযীয ইবন
ওয়ালীদের নেতৃত্বে ৷ এই দলে সৈন্য সংখ্যা ছিল ৩০০০ ৷ এদেরকে ছানিয়দ্বাতুল ইকারে অবস্থান
নিতে বলা হয় ৷ হিশাম ইবন মুসাদ মাযীর নেতৃত্বে ১৫০০ সৈন্যের অপর একটি দল পাঠানো হয়
সুলামিয়্যা পার্বত্য পথে অবস্থান নেওয়ার জন্যে ৷

হিম্সের জনগণ সুলায়মড়ান ইবন হিশড়াম ও তার বাহিনীকে বামে রেখে এগিয়ে যায় ৷ তাদের
গতিবিধি জানতে পেরে সুলায়মান ওদের খোজে অগ্রসর হয় এবং সুলায়মানিয়ব্রড়া অঞ্চলে গিয়ে
ওদের নগােল পায় ৷ তারা যায়ভুন বাগানকে ডানে পার্বত্য অঞ্চলকে বামে এবং হাইয়াতকে
পেছনে রেখে এগিয়ে গেল ৷ ফলে শুধু একদিক দিয়েই ওদের উপর আক্রমণের সুযোগ ছিল ৷
ওখানে উভয় পক্ষ তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ উভয় পক্ষে নিহত হয় বহু লোক ৷ এক পর্যায়ে নিজের
সেনাদলসহ আবদুল আযীয ইবন ওয়ালীদ এগিয়ে এসে যুগপৎ আক্রমণ চালান হিমৃস বাহিনীর
উপর ৷ আক্রমণ সামলাতে না পেরে হিমস বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷ তারা পাহাড়ের চুড়ায় উঠে
যায় ৷ পরাজয় বরণ করে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পালিয়ে যায় ৷ সরকারী বাহিনী ওদেরকে তাড়া করে ৷
ওদের কতককে হত্যা করে ৷ কতককে বন্দী করে ৷ এরপর ঘোষণা করে যে, খলীফা ইয়াযীদের
হাতে বায়আত করলে যুদ্ধ বিরতি চলবে ৷ হিম্সের বহু লোক বন্দী হয়েছিল ৷ আবু মুহাম্মদ
সুফয়ানী এবং ইয়াযীদ ইবন খালিদ ইবন মুআবিয়া ছিল তাদের অন্যতম ৷

এরপর সুলায়মান এবং আবদুল আষীয তাদের সেনাদল ও হড্রান্ত্র লোকদেরকে সাথে নিয়ে
আমরা গমন করেন ৷ হিম্সের অভিজাত লোকজন এবং আত্মসমর্পণকড়ারী লোকদেরকেও তারা
সাথে নিয়েছিলেন ৷ বস্তুত এই যুদ্ধে তিনশত হিম্সবাসী মারা যায় ৷ তারা সবাইকে নিয়ে খলীফা
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের নিকট গমন করে ৷ খলীফা তাদেরকে সাদরে বরণ করেন ৷ ক্ষমাপ্রাথী ও
লজ্জিত হিমসবাসীদেরকে তিনি ক্ষমা করে দেন ৷ তাদের রম্ভীয় ভাতা চালু করে দেন ৷ ওরা তার
প্রতি সভুষ্ট হয় এবং খলীফার আনুগত্য মেনে নিয়ে দামেস্কে তার নিকট বসবাস করতে থাকে ৷

এই হিজরী সনে ফিলিস্তিনের নাগরিকগণ সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের ছেলে ইয়াযীদের
খলীফারুপে গ্রহণ করে এবং তার হাতে বায়আত করে ৷ ওখানে বনু সুলায়মান তথা সুলায়মান
পরিবারের কিছু জমি-জমা ও ধন-সস্পদ ছিল ৷ ওই জমি-জমা ও ধন-সস্পদের আয় উপার্জন তারা
স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ৰিলিয়ে দিত ৷ এজন্যে ফিলিন্তিনীরা তাদেরকে তালরাসত ৷ খলীফা


الْوَلِيدِ بِالْكَفْرِ وَغَشِيَانِ أُمَّهَاتِ أَوْلَادِ أَبِيهِ، وَقَالُوا: قَدِ اتَّخَذَ مِائَةَ جَامِعَةٍ، عَلَى كُلِّ جَامِعَةٍ اسْمُ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ لِيَقْتُلَهُ بِهَا، وَرَمَوْهُ بِالزَّنْدَقَةِ، وَكَانَ أَشَدَّهُمْ فِيهِ قَوْلًا يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَكَانَ النَّاسُ إِلَى قَوْلِهِ أَمْيَلُ ; لِأَنَّهُ أَظْهَرَ النُّسُكَ وَالتَّوَاضُعَ، وَجَعَلَ يَقُولُ: مَا يَسَعُنَا الرِّضَا بِالْوَلِيدِ. حَتَّى حَمَلَ النَّاسَ عَلَى الْفَتْكِ بِهِ. قَالُوا: وَانْتُدِبَ لِلْقِيَامِ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ قُضَاعَةَ وَالْيَمَانِيَةِ وَخَلْقٌ مِنْ أَعْيَانِ الْأُمَرَاءِ وَآلِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَآلِ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَكَانَ الْقَائِمَ بِأَعْبَاءِ ذَلِكَ كُلِّهِ وَالدَّاعِيَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ مِنْ سَادَاتِ بَنِي أُمَيَّةَ وَكَانَ يُنْسَبُ إِلَى الصَّلَاحِ وَالدِّينِ وَالْوَرَعِ، فَبَايَعَهُ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ، وَقَدْ نَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ فَلْمْ يَقْبَلُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْلَا أَنِّي أَخَافُ عَلَيْكَ الْوَلِيدَ لَقَيَّدْتُكَ وَأَرْسَلْتُكَ إِلَيْهِ. وَاتَّفَقَ خُرُوجُ النَّاسِ مِنْ دِمَشْقَ مِنْ وَبَاءٍ وَقَعَ بِهَا، فَكَانَ مِمَّنْ خَرَجَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ نَحْوَ الْمِائَتَيْنِ، إِلَى نَاحِيَةِ مَشَارِفِ دِمَشْقَ، فَانْتَظَمَ لِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ أَمْرُهُ، وَجَعَلَ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ يَنْهَاهُ عَنْ ذَلِكَ أَشَدَّ النَّهْيِ، فَلَا يَقْبَلُ، فَقَالَ الْعَبَّاسُ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৩

ইবন ইয়াষীদ নিহত হবার পর ওই অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সাঈদ ইবন রওহ ইবন যমরগ
স্থানীয জনগ ণকে খলীফরহ্পে ইয়াষীদ ইবন সুলয়মন ইবন আবদুল মালিকের হতে বয়আত
গ্রহণের আহ্বান জনয় ৷ তারা তার ডাকে সারা দেয় এবং সুলয়মানকে খলীফা রুপে গ্রহণ করে ৷

জর্দনের জনগণ এই বিষয়টি অবগত হয় ৷ তারা তখন মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক ইবন
মরওয়নের হাতে বয়আত করে তাকে খলীফা মনোনীত করে ৷ এসব সংবাদ কোন্দ্র খলীফা
ইয়াযীদের নিকট পৌছে তিনি দমেস্কের লোকজন এবং সেখানে উপস্থিত হিমসের, অধিবাসীদের
সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনী সুলয়মান ইবন ইিশামের নেতৃত্বে জর্দ ন ও ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে
প্রেরণ করেন ওই বাহিনী জর্দন এসে পৌছলে তারা (কশ্ৰীয় বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে
এবং কেরুন্দ্রর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে অনুরুপতা বে ফিলিস্তিনীরাও (কদ্রীয় খলীফা র প্ৰতি
আনুগত্য প্রকাশ করে ৷

খলীফা ইয়াষীদ তর ভ ই ইররহীম ইবন ওয়লীদকে বামল্লাহ এবং তা সংলগ্ন অঞ্চলের
প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷ তারপর সে সব অঞ্চলে শ্ ন্তি ও ন্থিতিশীলত ফিরে আসে ৷ অমীরুল
মু মিনীন খলীফা ইয়াষীদ ইবন ওয়া লীদ দামেস্কে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে একটি গুরুহু পুর্ণ ৩ ষণ
দেন ৷ তিনি মহান অ ল্লাহ্র প্রশংসা করার পর বললেন ং

হে লোক সকল ! আমি গৌরব প্রদর্শনের জন্যে, অহংকার করা জন্যে এবং পার্থিব
লো লালস র বশরর্তী হয়ে খলীফর পদে বসেনি কিংবা রাজতৃ করার খরেশ নিয়েওত
করিনি ৷ আমি নিজেকে খুব উপযুক্তও মনে করি না আমি বরং নিজের প্রতি অন্যায়ই করেছি ৷
আমার প্রতিপলক যদি আমাকে দয়া না করেন তাহলে আ মি ধ্বংস-ই হয়ে যাব তবে মহান
আল্লাহ, তর রাসুল এবং তার দীনের প্রতি অবমননয় বিক্ষুব্ধ হয়ে আমি এ পথে নেমেছি ৷ আমি
মহান আল্লাহর প্রতি, তার কিত বের প্রতি এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর সুন্নবুত তর প্রতি
আহ্বানকরীরুপে এ পথে প বাড়িয়েছি ৷ আমি ঠিক সেই পরিস্থিতিতে এ কাজে নেমেছি যখন
দীনের নিদর্শনগুলো ধ্বংস হয়ে যচ্ছিল, তকওয়বানদের জ্যেতি নির্বাসিত হয়ে যচ্ছিল এবং
প্রত্যেক নিষিদ্ধ কর্যকে সিদ্ধ জ্ঞনকরী স্বৈরড়াচারী ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছিল ৷ যখন সকল বিদৃআত
বাস্তবায়নকরী দোর্দণ্ড প্রতপে তার মনস্কামনা পুর্ণ করে যাচ্ছিল ৷ যখন ওই স্বৈরাচরীর অম্ভরে
মহান আল্লাহর কিতাব কুরআন মজীদের প্রতি সত্যায়ন ছিল না এবং যে বিচার দিবসের প্রতি
বিশ্বাসী ছিল না বস্তুত বংশীয় দৃষ্টিকোণ হতে যে আমার চচত ভ ই ছিল ৷ মন-মর্যদায় সে
আমার সমকক্ষ ছিল ও তার এই অবনতিশীল অবস্থা দেখে আমি তার ব্যা পারে মহান আল্লাহর
নিকট ইসতিখ রা করেছি, কল্যাণের পথ কামনা করেছি এবং মহান আল্লাহর নিকট দু আ করেছি
যে, তিনি যেন আমাকে আমার প্রতি ছেড়ে না দেন ৷ আমার সুহৃদ যারা আমি এ কাজে
সহযোগিতা রজন্যে তাদেরকে আহ্বান জ নিয়েছি ৷ যারা সাড ড় দেওয়ার তরস ড়াদিয়েছে ৷ আ মি
এ বিষয়ে যথাসা ধ্য চেষ্টা করেছি অবশেষে ওই পপিষ্ঠের প পচ রিত হতে মহান আল্লাহ তা
বন্দদেরকে এবং এই শহর ও জনপদকে রক্ষা করেছেন এসব হয়েছে মহান আল্লাহর শক্তি ও
ক্ষমতার ৷ আমার ক্ষমতায় নয় ৷

হে লোক সকল ! আপনারা আমার প্রতি কড়া নজর রাখবেন আমি যেন ব্যক্তিগত স্ব র্থে
একটি পাথরের উপর একটি পাথর ন রাখি একটি ইটের উপর একটি ইট ন রাখি আমি কোন ষ্


إِنِّي أُعِيذُكُمُ بِاللَّهِ مِنْ فِتَنٍ ... مِثْلِ الْجِبَالِ تَسَامَى ثُمَّ تَنْدَفِعُ إِنَّ الْبَرِيَّةَ قَدْ مَلَّتْ سِيَاسَتَكُمْ ... فَاسْتَمْسِكُوا بِعَمُودِ الدِّينِ وَارْتَدِعُوا لَا تُلْحِمُنَّ ذِئَابَ النَّاسِ أَنْفُسَكُمْ ... إِنَّ الذِّئَابَ إِذَا مَا أُلْحِمَتْ رَتَعُوا لَا تَبْقُرُنَّ بِأَيْدِيكُمْ بُطُونَكُمُ ... فَثَمَّ لَا حَسْرَةٌ تُغْنِي وَلَا جَزَعُ فَلَمَّا اسْتَوْسَقَ لِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ أَمْرُهُ، وَبَايَعَهُ مَنْ بَايَعَهُ مِنَ النَّاسِ، قَصَدَ دِمَشْقَ فَدَخَلَهَا فِي غَيْبَةِ الْوَلِيدِ فَبَايَعَهُ أَكْثَرُ أَهْلِهَا فِي اللَّيْلِ، وَبَلَغَهُ أَنَّ أَهْلَ الْمِزَّةِ قَدْ بَايَعُوا كَبِيرَهُمْ مُعَاوِيَةَ بْنَ مَصَادٍ فَمَضَى إِلَيْهِ يَزِيدُ مَاشِيًا فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَأَصَابَهُمْ فِي الطَّرِيقِ مَطَرٌ شَدِيدٌ، فَأَتَوْهُ فَطَرَقُوا بَابَهُ لَيْلًا، ثُمَّ دَخَلُوا، فَكَلَّمَهُ يَزِيدُ فِي ذَلِكَ، فَبَايَعَهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ مَصَادٍ ثُمَّ رَجَعَ يَزِيدُ مِنْ لَيْلَتِهِ إِلَى دِمَشْقَ عَلَى طَرِيقِ الْقَنَاةِ وَهُوَ عَلَى حِمَارٍ أَسْوَدَ، فَحَلَفَ أَصْحَابُهُ أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ دِمَشْقَ إِلَّا فِي السِّلَاحِ، فَلَبِسَ سِلَاحًا مِنْ تَحْتِ ثِيَابِهِ فَدَخَلَهَا، وَكَانَ الْوَلِيدُ قَدِ اسْتَنَابَ عَلَى دِمَشْقَ فِي غَيْبَتِهِ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيَّ وَقَدْ خَرَجَ مِنْهَا أَيْضًا مِنَ الْوَبَاءِ فَهُوَ مُقِيمٌ بِقَطَنَا وَاسْتَخْلَفَ ابْنَهُ عَلَى دِمَشْقَ، وَعَلَى شُرْطَتِهَا أَبُو الْعَاجِ كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السُّلَمِيُّ، فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ اجْتَمَعَ أَصْحَابُ يَزِيدَ بَيْنَ الْعِشَائَيْنِ عِنْدَ بَابِ الْفَرَادِيسِ فَلَمَّا أُذِّنَ لِعَشَاءِ الْآخِرَةِ دَخَلُوا الْمَسْجِدَ، فَلَمَّا لَمْ يَبْقَ فِي الْمَسْجِدِ غَيْرُهُمْ بَعَثُوا إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৪


নদ-নদী ইজারা না দিই ৷ ব্যক্তিগত ধন-সম্পদ বৃদ্ধি না করি এবং রম্ভীয় সম্পদ স্বীয় স্তী-সন্তানকে
না দিই ৷ সংশ্লিষ্ট জনপদের অধিবাসীদের প্রয়োজন পুরণ এবং ওই জনপদের অভাবমোচনঃ ব্যতীত
অন্য শহরে যেন সম্পদ স্থানান্তর না করি ৷ ওই জনপদের প্রয়োজন পুর্ণ হবার পর কিছু উদ্বুত্ত
থাকলে সেটি নিকটরর্তীঅভাবপ্রস্ত জনপদে স্থানান্তরিত করব বটে ৷ আমি আপনাদের মনােবেদনা
সৃষ্টি করব না যে, আপনারা এবং আপনাদের পরিবার-পরিজন কষ্ট পাবে ৷ আপনাদের জন্যে আমি
আমার দরজা বন্ধ করে দিব না যে, সরল লোকেরা দুর্বল লোকদেরকে খেয়ে ফেলবে ৷ আপনাদের
করদাতাদেব উপর আমি এমন কর ধার্য করব না যাতে তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়
এবং যাযাবর জীবন যাপন করতে হয় ৷ আমি প্রতি বছর আপনাদেরকে রম্ভীয় ভাতা প্রদান করব
এবং প্রতি মাসের খাদ্য প্রদান করব ৷ ফলে মুসলমান জনগােষ্ঠির জীবন হবে স্বচ্ছল ও
স্বাচ্ছন্দাময় ৷ তখন তাদের উচুনীচু সবার জীবন মান সমান হয়ে যাবে ৷

আমি যা বলেছি আমি যদি তা পুরণ করি তাহলে আপনারা আমার কথা মানবেন ৷ নির্দেশ
পালন করবেন এবং আমার সহযোগিতা করবেন ৷ আর যদি আমি তা না করি তাহলে আপনারা
আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবেন কিংবা আমাকে সংশোধন করতে পারবেন ৷ আমি যদি
সংশোধিত হই তাওবা করি আপনা রা৷ আমার তাওবা গ্রহণ করবেন ৷ আর আপনারা যদি এমন
কোন সৎ ও দীনদার মানুষ খুজে পান, যে আপনাদেরকে আমার ন্যায় সেবা প্রদান করবে আর
আপনারা যদি তার হাতে বায়আত করতে চান তবে তাও পারেন সেক্ষেত্রে আমি সর্বপ্রথম ওই
ব্যক্তির হাতে বায়আত করব এবং৩ ৷ তার আনুগত্যে প্রবেশ করব ৷

হে লোক সকল ! মহান আল্লাহর নাফরমা নী ও অবাধ হয়ে কোন মানুষের আনুগত্য করা
যাবে না ৷ মুলত একমাত্র আল্লাহ্রই আনুগত্য করতে হবে ৷ কেউ মহান আল্লাহর অ নুগত৷ করলে
আপনারা ততক্ষণ তার আনুগত্য করবেন ৷ সে যদি মহান আল্লাহর নাফরমানী করে কিংবা অন্যকে
মহান আল্লাহর নাফরমানীর দিকে আহ্বান করে তাহলে সে ব্যক্তির আনুগত্য করা যাবে না ৷ তার
নির্দেশ মানা যাবে না ৷ বরং তাকে হত্যা ও অপমানিত করা হবে ৷ আমি এই বক্তব্য প্রদান করছি
এবং আমার ও আপনাদের জন্যে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷

এই হিজরী সনে খলীফ৷ ইযাযীদ ইবন ওয়ালীদ ইরাকের শাসনকর্তার পদ থেকে ইউসুফ
ইবন উমরকে বরখাস্ত করেন ৷ কারণ, ইয়ামানী জনগণের প্রতি তার অ৩ আচার ও বিশ্বের প্রকাশ
পেয়েছিল ৷ মুলত ইয়ামানী জনগণ ছিল যা লিদ ইবন আবদৃল্লাহ্র সম্প্রদায় ৷ ওয়া ৷লীদ ইবন ইযাযীদ
নিহত হওয়া পর্যন্ত ওরা খালিদ ইবন আবদৃল্লাহ্র অনুগামী ছিল ৷ ইউসুফ ইবন উমর অধিকাংশ
ইয়ামানী সােকজনকে বন্দী করে রেখেছিল এবং কেদ্রীয় সেনাবাহিনী যাতে ইরাক প্রবেশ করতে
না পারে সেজন্য পার্বত্য পথে সশস্ত্র প্রহরার ব্যবস্থা করেছিল ৷ ফলে আমীরুল মু’মিনীন খলীফা
ইযাযীদ তাকে বরখাস্ত করেন এবং তদন্থলে মানসুর ইবন জামহুরকে সিন্ধু সিজিস্তান ও
থুরাসানসহ ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ মানসুর ছিল একজন রুক্ষ মেজাজের গ্রাম্য
লোক ৷ গায়লানী কাদরিয়্যা মতবাদের অনুসারী ছিল সে ৷ তবে পাপাচারী খলীফ৷ ওয়ালীদ ইবন
ইয়াযীদের হত্যাকাণ্ডেত ৷র ৷সক্রিয় ভুমিকা ৷ছিল ৷ এজন্যে ক্ষমতাসীন খলীফ৷ ইয়াযীদের নিকট তার
একটি গুরুহু পুর্ণ অবস্থান ছিল ৷ কথিত আছে যে, ওয়া ৷লীদের হত্যাকাণ্ডের ঝামেলা শেষ হবার পর
মানসুর দ্রুত ইরাক গমন করে এবং নবনিযুক্ত খলীফ৷ ইয়াযীদের পক্ষে সেখানে আম-জনতার


فَجَاءَهُمْ، فَقَصَدُوا بَابَ الْمَقْصُورَةِ فَفَتَحَ لَهُمْ خَادِمٌ، فَدَخَلُوا فَوَجَدُوا أَبَا الْعَاجِ وَهُوَ سَكْرَانُ، فَأَخَذُوهُ وَأَخَذُوا خُزَّانَ بَيْتِ الْمَالِ، وَتَسَلَّمُوا الْحَوَاصِلَ، وَتَقْوَوْا بِالْأَسْلِحَةِ، وَأَمَرَ يَزِيدُ بِإِغْلَاقِ أَبْوَابِ الْبَلَدِ، وَأَنْ لَا يَفْتَحَ إِلَّا لِمَنْ يَعْرِفُ، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ قَدِمَ أَهْلُ الْحَوَاضِرِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَدَخَلُوا مِنْ سَائِرِ أَبْوَابِ الْبَلَدِ، كُلُّ أَهْلِ مَحِلَّةٍ مِنَ الْبَابِ الَّذِي يَلِيهِمْ، فَكَثُرَتِ الْجُيُوشُ حَوْلَ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي نُصْرَتِهِ، وَكُلُّهُمْ قَدْ بَايَعَهُ بِالْخِلَافَةِ. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ: فَجَاءَتْهُمْ أَنْصَارُهُمْ حِينَ أَصْبَحُوا ... سَكَاسِكُهَا أَهْلُ الْبُيوُتِ الصَّنَادِدِ وَكَلْبٌ فَجَاءُوهُمْ بِخَيْلٍ وَعِدَّةٍ ... مِنَ الْبِيضِ وَالْأَبْدَانِ ثُمَّ السَّوَاعِدِ فَأَكْرِمْ بِهَا أَحْيَاءَ أَنْصَارِ سُنَّةٍ ... هُمْ مَنَعُوا حُرْمَاتِهَا كُلَّ جَاحِدِ وَجَاءَتْهُمْ شَعْبَانُ وَالْأَزْدُ شُرَّعًا ... وَعَبْسٌ وَلَخْمٌ بَيْنَ حَامٍ وَذَائِدِ وَغَسَّانُ وَالْحَيَّانِ قَيْسٌ وَتَغْلِبٌ ... وَأَحْجَمَ عَنْهَا كُلُّ وَانٍ وَزَاهِدِ فَمَا أَصْبَحُوا إِلَّا وَهُمْ أَهْلُ مُلْكِهَا ... قَدِ اسْتَوْثَقُوا مِنْ كُلِّ عَاتٍ وَمَارِدِ وَبَعَثَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَصَادٍ فِي مِائَتَيْ فَارِسٍ إِلَى قَطَنَا لِيَأْتُوهُ بِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَجَّاجِ نَائِبِ دِمَشْقَ، وَلَهُ الْأَمَانُ، وَكَانَ قَدْ تَحَصَّنَ فِي قَصْرٍ هُنَاكَ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَوَجَدُوا عِنْدَهُ خُرْجَيْنِ ; فِي كُلٍّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا ثَلَاثُونَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمَّا مَرُّوا بِالْمِزَّةِ قَالَ أَصْحَابُ ابْنِ مَصَادٍ:
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৫


আনুগত্য গ্রহণ করে এবং সেখানে সরকারী কর্মচারী ও জনসাধারণের মধ্যে রাদ্রীয় শান্তি ও
স্থিতিশীলত৷ প্রতিষ্ঠা করে ৷ এরপর রামাদান মাসের শে ষের দিকে যে দ মেস্কে ফিরে আসে ৷ আর
এই কর্ম তৎপরতা র ফলশ্রুতিতে থলীফ৷ ইয়াষীদ তাকে ইরাকের গভর্নর পদে নিয়োগ দেন ৷
মহান আল্ল ল্লাহ্ ভাল জা নেন ৷

এদিকে ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত ৩শাসক ইউসুফ ইবন উমর ইরাক হতে ৩পালিয়ে৷ বা ল্কা অঞ্চলে
চলে যায় ৷ খলীফ৷ ইয়৷ যীদ ইবন ওয়া ৷লীদ লোক পা ৷ঠিয়েত৷ তাকে খলীফার দরবারে উপস্থিত করেন ৷
খলীফ৷ ৷র সম্মুখে উপস্থিত হবার পর খলীফাত তার ৷দাড়ি চেপে ধরেন ৷ ইউসুফের দাড়ি ছিল অনেক
লম্বা ৷ কোন কোন সময় এই দাড়িত ৷র ৷নাভির নীচ পর্যন্ত প্ৰলম্বিত হত ৷ দৈহিক আকারে সে ছিল
£বটে ও খাটো ৷ খলীফ৷ তাকে ভীষণ ধমক দেন , তিরস্কার করেন এবং কারাগারে নিক্ষেপ করেন
এবং তার নিকট রাষ্ট্র ও জনগণের পাওন৷ উসুল করার নির্দেশ দেন ৷

নবনিযুক্ত শাসনকর্তা মানসুর ইরাক পৌছে সেখানকার জনগণকে ক্ষমতাচ্যুত খলীফা
ওয়ালীদের হত্যাকণ্ডের বিবরণ সম্বলিত ক্ষমতাসীন খলীফার চিঠি পাঠ করে শুনান এবং এও
উল্লেখ করেন যে মহান আল্লাহর নাফরমানীর কারণে আল্লাহ্ত তাকে প্রচণ্ড শাস্তি দিয়েছেন ৷ পত্রে
এও উল্লেখ ছিল যে, মানসুরের রীরতৃ ও যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শিতার প্রেক্ষিতে খলীফ৷ তাকে
ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগ করেছেন ৷ ফলে ইরাক, সিন্ধু এবং সিজিস্তানের জনগণ খলীফা
ইয়াযীদের পক্ষে বায়আত প্রদান করে ৷

খুরা সানের৷ ৷৷সনকর্তা নাসর ইবন সাইয়ার নবনিযুক্ত শাসক মানসুর ইবন জামহ্ররের আনুগত্য
করতে অস্বীকৃতি জানায় ৷ এই নাসর পুর্ববর্তী খলীফ৷ ওয়ালীদকে প্রচুর উপহার-উপচৌকন প্রদান
করেছিল ৷ এভাবেই সে শাসনকর্তা পদে বহাল থাকে ৷

এই হিজরী সনে মারওয়ান আল-হিমার ক্ষমতাচ্যুত খলীফ৷ ওয়ালীদের ভাই ইয়াযীদের নিকট
একটি পত্র লিখে পাঠিয়ে দেয় ৷ তাতে সে তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের প্ৰতিশোধ গ্রহন্বণ উস্কানি
দেয় ৷ তখন মারওয়ান ছিল আযারবায়জান ও আর্মেনিয়ার শাসনকর্তা ৷

পরবভীক্কিত খলীফ৷ ইয়াযীদ ইরাকের শাসনকর্তার পদ থেকে মানসুর ইবন জামহুরকে
অপসারণ করেন ৷ ওই পদে নিয়োগ দেন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আবদুল আযীযকে ৷ খলীফা

তাকে বলেন যে, ইরাকের জনগণ ওে তামার বাবাকে খুবইত ৷লবাসত ত ই তাে ৷মাকে সেখানকার
শাসনকর্তা নিয়োগ করলাম ৷ এই ঘটনা ঘটেছিল শাওয়াল মাসে ৷ ইরাকে অবস্থিত সিরীয়
সেনাপতিদের নিকট তিনি এই নিয়ােগের বিষয়টি জানিয়ে দেন এবং তাকে সহযোগিতার পরামর্শ
দেন ৷ মানসুর ইবন জামহ্রর ক্ষমতা না ছাড়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকার কারণে তিনি এই নির্দেশ
দেন ৷ কিন্তু ম৷ নসুর ইবন জা মহ্রর খলীফার নির্দেশ মেনে নেয় এবং নবনিযুক্ত শাসনকর্তা ৷আহ্বদুল্প
ইবন উমর ইবন আবদুল আযীযের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে ৷ খলীফা খুরাসানের শাসনকর্তা
নাসর ইবন স৷ ৷ইয়ারকে স্বাধীনতা ৷বে ৷৷াসনক ৷র্য চ৷ ৷লিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ এদিকে কিরমানী
নামের একলোক নাসরের বিরুদ্ধে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে ৷ সে আবু আলী জাদী ইবন আলী ইবন
শাবীব মুগনী ৷ কিরমান প্রদেশে জন্ম হওয়ায় সে কিরমানী নামে পরিচিত ৷ অনেক লোক তার
সমর্থনকারী ছিল ৷ প্রায় ১৫০০ অনুসারী নিয়ে সে জুমুআতে হাযির হত ৷ শাসনকর্তা নাসর ইবন
সাইয়ড়ারকে সালাম দিত ৷ কিন্তু তার নিকট বসত না ৷ তার আচরণে শাসনকর্তা নাসর ও তার


خُذْ هَذَا الْمَالَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ مِنْ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ، لَا تُحَدِّثُ الْعَرَبُ أَنِّي أَوَّلُ مَنْ خَانَ. ثُمَّ أَتَوْا بِهِ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ فَاسْتَخْدَمَ مِنْ ذَلِكَ الْمَالِ جُنْدًا لِلْقِتَالِ قَرِيبًا مِنْ أَلْفَيْ فَارِسٍ، وَبَعَثَ بِهِمْ مَعَ أَخِيهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ خَلْفَ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ لِيَأْتُوا بِهِ، وَرَكِبَ بَعْضُ مَوَالِي الْوَلِيدِ فَرَسًا سَابِقًا، فَسَاقَ بِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَوْلَاهُ مِنَ اللَّيْلِ وَقَدْ نَفَقَ الْفَرَسُ، فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ فَلَمْ يُصَدِّقْهُ، وَأَمَرَ بِضَرْبِهِ، ثُمَّ تَوَاتَرَتْ عَلَيْهِ الْأَخْبَارُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بَعْضُ أَصْحَابِهِ أَنْ يَتَحَوَّلَ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَاكَ إِلَى حِمْصَ، فَإِنَّهَا حَصِينَةٌ، وَقَالَ الْأَبْرَشُ سَعِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْكَلْبِيُّ: انْزِلْ عَلَى قَوْمِي بِتَدْمُرَ. فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، بَلْ رَكِبَ بِمَنْ مَعَهُ وَهُوَ فِي مِائَتَيْ فَارِسٍ، وَقَصَدَهُ أَصْحَابُ يَزِيدَ فَالْتَقَوْا بِثِقَلِهِ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ فَأَخَذُوهُ، وَجَاءَ الْوَلِيدُ فَنَزَلَ حِصْنَ الْبَخْرَاءِ الَّذِي كَانَ لِلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَجَاءَهُ رَسُولُ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ: إِنِّي آتِيكَ. وَكَانَ مِنْ أَنْصَارِهِ، فَأَمَرَ الْوَلِيدُ بِإِبْرَازِ سَرِيرِهِ، فَجَلَسَ عَلَيْهِ وَقَالَ: أَعَلَيَّ يَتَوَثَّبُ الرِّجَالُ، وَأَنَا أَثِبُ عَلَى الْأَسَدِ، وَأَتَخَصَّرُ الْأَفَاعِيَ؟! وَقَدِمَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْوَلِيدِ بِمَنْ مَعَهُ، وَإِنَّمَا كَانَ قَدْ خَلَصَ مَعَهُ مِنَ الْأَلْفَيْ فَارِسٍ ثَمَانِمِائَةِ فَارِسٍ، فَتَصَافُّوا فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ الْعَبَّاسِ جَمَاعَةٌ، حُمِلَتْ رُءُوسُهُمْ إِلَى الْوَلِيدِ، وَقَدْ كَانَ جَاءَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ لِنَصْرِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَخُوهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ فَجِيءَ بِهِ إِلَيْهِ قَهْرًا حَتَّى بَايَعَ لِأَخِيهِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَاجْتَمَعُوا
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৬


পরিষদরর্গ মহা চিন্তায় পড়ে অনেক ভাবনা-চিন্তার পর তারা তাকে বন্দী করে রাখার সিদ্ধান্ত
নেয় ৷ প্রায় এক মাস তাকে কারাগারে রাখা হয় ৷ এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হয় ৷ তখন বহুলোক
তার নিকট একত্র হয় এবং তার সাথে যাত্রা করে তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্যে শাসনকর্তা

নসর সেনাবাহিনী প্রেরণ করে উভয় পক্ষে যুদ্ধ শেষে সরকারী বাহিনী বিদ্রোহী বাহিনীকে
পরাজিত ও হত্যা করে ৷

এদিকে বহুলােক শ্সনক৩ নসরের প্রতি ধী৩ তশ্রদ্ধ হয়ে উঠে ৷ তার রত নেতৃত্বের প্রতি
অসস্তুষ্ট হয়ে পড়ে তার দেওয়া রম্ভীয়ভ তা বৃদ্ধির জন্যে তার চাপ সৃষ্টি করে ৷ সে মিম্বরে
অবস্থান করার সময় তারা তাকে পাল-মন্দ করে ৷ সলম ইবন আহওযয জনসাধারণের এই
কথাবার্তা শাসক নসর ইবন সইয়া রের নিকট পৌছে দেয় ও তার মসজিদে খুতব দেওয়ার সময়
বহু লোকের একটি বিরাট দল মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় ৷ অনেক লোক ত কে তা গ করে
এই পরিস্থিতিতে নসর ইবন সইয়র বলল, আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছি
এবং গুটিয়ে নিয়েছি ৷ আবার ওটিয়ে নিয়েছি ছড়িয়ে দিয়েছি ৷ আমার মনে হয় তোমাদের মধ্যে
দশজনও দীনদর ও ঈমনদর নেই সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ৷ আল্লাহর কসম ! যদি
তোমাদের মাঝে দুই তরবরি পল্ট পল্টি আঘাত করে ওে তমর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দু-সৎ ঘতে
লিপ্ত হও তাহলে তোমাদের নিরীহ ব্যক্তি পরিবার পরিজন ও ধন-সম্পদ ছেড়ে চলে যাবে ৷ এই
সকল ফিতন-ফসদ যে দেখবে ন ৷ এরপর যে করি নবিপার কবিতা পংক্তি আবৃত্তি করল :

৪ :

(;

“তোমাদের দুর্ভে গ যদি ৫৩ যাদের উপর প্রাধান্য লাভ করে তবে তোমদেরকে সৎ শাধন
কর বার জন্যে তোমাদের সৌভ গ্যবান করার জন্যে আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যার ’

হরিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হশরজ ইবন ওয়রদ ইবন ঘুগীর আল জদ বলেছেন :

াচুদ্বু;ট্রুা

“আমি নক্ষত্ররজির দিকে তাকিয়ে ৩কিয়ে রাত কটিয়েছি ৷ যতক্ষণ প্রথম উদিত নক্ষত্রগুলাে
আমার দিকে এগিয়ে এসেছিল ৷”

;

ন্ “আমি বিফ্লি রজনী যাপন করেছি ফিতন-ফসদের কারণে ৷ যেই ফিতন পণহরে ছড়িয়ে
পড়েছে সর্বত্র নমযী মনুযগুলোও তার মধ্যে শামিল হয়ে গিয়েছে ৷ ”

ত্যুঃাটু১
“যারা খুরাসনে আছে, যারা ইরাকে আছে এবং যারা সিরিয়তে আছে সবাই এই ফিতনর
জলে আটক পড়েছে কেউই রেহই পয়নি ”



عَلَى حَرْبِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَلَمَّا رَأَى النَّاسُ اجْتِمَاعَهُمْ فَرُّوا مِنَ الْوَلِيدِ إِلَيْهِمْ، وَبَقِيَ الْوَلِيدُ فِي ذُلٍّ وَقُلٍّ مِنَ النَّاسِ، فَلَجَأَ إِلَى الْحِصْنِ فَجَاءُوا إِلَيْهِ، وَأَحَاطُوا بِهِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ يُحَاصِرُونَهُ، فَدَنَا الْوَلِيدُ مِنْ بَابِ الْحِصْنِ فَنَادَى: لِيُكَلِّمْنِي رَجُلٌ شَرِيفٌ. فَكَلَّمَهُ يَزِيدُ بْنُ عَنْبَسَةَ السَّكْسَكِيُّ، فَقَالَ الْوَلِيدُ: أَلَمْ أَرْفَعِ الْمُؤَنَ عَنْكُمْ؟ أَلَمْ أُعْطِ فُقَرَاءَكُمْ؟ أَلَمْ أَخْدِمْ زَمَنَاكُمْ؟ فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: إِنَّمَا نَنْقِمُ عَلَيْكَ انْتِهَاكَ الْمَحَارِمِ، وَشُرْبَ الْخُمُورِ، وَنِكَاحَ أُمَّهَاتِ أَوْلَادِ أَبِيكَ، وَاسْتِخْفَافَكَ بِأَمْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَقَالَ: حَسْبُكَ يَا أَخَا السَّكَاسِكِ، فَلَعَمْرِي لَقَدْ أَكْثَرْتَ وَأَغْرَقْتَ، وَإِنَّ فِيمَا أَحَلَّ اللَّهُ لِي لَسِعَةً عَمَّا ذَكَرْتَ. ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُونِي لَا يُرْتَقُ فَتْقُكُمْ، وَلَا يُلِمَّ شَعَثُكُمْ، وَلَا تَجْتَمِعُ كَلِمَتُكُمْ. وَرَجَعَ إِلَى الدَّارِ، فَجَلَسَ وَوَضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ مُصْحَفًا، فَنَشَرَهُ وَأَقْبَلَ يَقْرَأُ فِيهِ، وَقَالَ: يَوْمٌ كَيَوْمِ عُثْمَانَ. وَاسْتَسْلَمَ وَتَسَوَّرَ عَلَيْهِ أُولَئِكَ الْحَائِطَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ نَزَلَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ عَنْبَسَةَ فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ وَإِلَى جَانِبِهِ سَيْفُهُ فَقَالَ: نَحِّهِ عَنْكَ. فَقَالَ الْوَلِيدُ: لَوْ أَرَدْتَ الْقِتَالَ بِهِ لَكَانَ غَيْرَ هَذَا. فَأَخَذَ بِيَدِهِ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَحْبِسَهُ حَتَّى يَبْعَثَ بِهِ إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ فَبَادَرَهُ عَلَيْهِ عَشَرَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، فَأَقْبَلُوا عَلَى الْوَلِيدِ يَضْرِبُونَهُ عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ بِالسُّيُوفِ حَتَّى قَتَلُوهُ، ثُمَّ جَرُّوهُ بِرِجْلِهِ لِيُخْرِجُوهُ، فَصَاحَتِ النِّسْوَةُ، فَتَرَكُوهُ، وَاحْتَزَّ أَبُو عِلَاقَةَ الْقُضَاعِيُّ رَأْسَهُ، وَخَاطُوا مَا كَانَ جُرِحَ فِي وَجْهِهِ بِعَقَبٍ، وَبَعَثُوا بِهِ إِلَى يَزِيدَ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৭

“মুর্থ লােক৩ তার মুর্থতা ৷নিয়ে কাজ করছে ৷ আর এইক্ষেত্রে বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত ৩ল্যেক মুর্থের
সমপর্যায়ে নেমে গিয়েছে ৷”


“এই ফিতনার ক ৷রণে এখন লোকজন গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত ৷৩ তাদের বিবেক-বুদ্ধি ও
জ্ঞান-বিবেচনা সব বিলুপ্ত প্রায় ৷”

র্চুষ্ঠুপ্াঠু’ ৷ট্রুা১ৰুাৰুার্টু৷ ৷ঠু
“লোকজন এখন এমন বিপদে পতিত হয়েছে যে, এই কষ্টের প্রতিক্রিয়ায পর্ভবভী মহিলাদের
গর্ভপাতের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ৷”


এষ্শ্ষ্ধ্হুএ

“তাদের সকাল হয় অস্পষ্টতার অন্ধত্বে অনিশ্চয়৩ ৷য় ৷ বিপদাপদ অপেক্ষা করতে থাকে
তাদের জন্যে ৷”

াছুদু;াট্রুগ্ ৰুা
“জনসাধারণ তাদের পরিণাম-পরিণতির কথা চিন্তা করছে না ৷ উপরন্তু এমন সব কথাবার্তা
চলছে যেগুলোর মর্য ও অর্থ উপলব্ধিযোগ্য নয় ৷”

াহ্ন্দ্বুন্াট্রু;ন্থ ৷হুঠুছু> ৷ ; ৷ ট্রুব্লু)ছু
“তাদের কথাবার্তা এখন কুমারী মেয়ের পােঙ্গানি কিৎবা গর্ভরতীর চীৎকারের ন্যায় মনে
হচ্ছে ৷ যে পর্ভবত্তীর বাচ্চা ৷প্রসব করানোর জন্যে আয়োজন প্রস্তুত ৷”

খুশ্ (; ষ্ :

“এমতাবস্থায় যে আমাদের মধ্যে এসেছে যে এসেছে বিপদ৷ ৷পদে পরিপুর্ণ মুখমওল নিয়ে’ ৷

এই হিজরী সনে খলীফা ইয়াযীদ ইবন ওয়া ৷লীদ৩ তার উত্তরাধিকারী খলীফারুপে তার ভাই
ইবরাহীম ইবন ওয়ালীদের নাম ঘোষণা করেন এবং সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যদের
থেকে তার জন্যে বায়আত গ্রহণ করেন ৷ ইবরাহীমের পরবর্তী খলীফারুপে তিনি আবদুল আযীয
ইবন৷ হাজ্জ ন্ জ্জাজ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নাম ঘোষণা করেন ৷ পরবর্তী খলীফা ৷দের
মনোনয়নের তিনি উদ্যোগী হয়েছিলেন এজন্যে যে, তখন তিনি কঠিন মৃ৩ শয্যায় শায়িত
ছিলেন ৷ এটি ওই বছরের যুলহাজ্জা মাসের ঘটনা ৷ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৩াৱ পরামর্শক,
মদ্রীবর্গ ও উপদেষ্টাগ ৷৷ণ তাকে পরবর্তী খলীফা মনোনয়নে উদ্বুদ্ধ করে ৷

এই হিজরী সনে ১২৬ হিজবী সনে খলীফা ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ হিজাজের শাসনকর্তার পদ
থেকে ইউসুফ ইবন মুহাম্মদকে অপসারণ করেন এবং ওই পদে আবদুল আযীয ইবন উমর ইবন
আবদুল আযীযকে নিয়োগ দেন এবং তাকে যুল-কাদা মাসের শেষের দিকে হিজাজ প্রেরণ
করেন ৷ এই হিজরী সনে মারওয়ান আল হিমার খলীফা ইয়াযীদের বিরোধিতার কথা প্রকাশ করে


عَشَرَةِ نَفَرٍ، مِنْهُمْ مَنْصُورُ بْنُ جُمْهُورٍ، وَرَوْحُ بْنُ مُقْبِلٍ، وَبِشْرٌ مَوْلَى كِنَانَةَ مِنْ بَنِي كَلْبٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُلَقَّبُ بِوَجْهِ الْفَلْسِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ بَشَّرُوهُ بِقَتْلِ الْوَلِيدِ وَسَلَّمُوا عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، فَأَطْلَقَ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْعَشْرَةِ عَشَرَةَ آلَافٍ، وَقَالَ لَهُ رَوْحُ بْنُ مُقْبِلٍ: أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِقَتْلِ الْوَلِيدِ الْفَاسِقِ. فَسَجَدَ شُكْرًا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَرَجَعَتِ الْجُيُوشُ إِلَى يَزِيدَ فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ أَخَذَ يَدَهُ لِلْمُبَايَعَةِ يَزِيدُ بْنُ عَنْبَسَةَ السَّكْسَكِيُّ فَانْتَزَعَ يَدَهُ مِنْ يَدِهِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ هَذَا رِضًا لَكَ فَأَعِنِّي عَلَيْهِ. وَكَانَ قَدْ جَعَلَ لِمَنْ جَاءَهُ بِرَأْسِ الْوَلِيدِ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَلَمَّا جِيءَ بِهِ، وَكَانَ ذَلِكَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، وَقِيلَ: يَوْمَ الْأَرْبِعَاءَ. لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ، سَنَةَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، فَأَمَرَ يَزِيدُ بِنَصْبِ رَأْسِهِ عَلَى رُمْحٍ، وَأَنْ يُطَافَ بِهِ فِي الْبَلَدِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّمَا يُنْصَبُ رَأْسُ الْخَارِجِيِّ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَنْصِبَنَّهُ. فَشَهَرَهُ فِي الْبَلَدِ عَلَى رُمْحٍ، ثُمَّ أَوْدَعَهُ عِنْدَ رَجُلٍ شَهْرًا، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ إِلَى أَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ يَزِيدَ، فَقَالَ أَخُوهُ: بُعْدًا لَهُ، أَشْهَدُ أَنَّكَ كُنْتَ شَرُوبًا لِلْخَمْرِ مَاجِنًا فَاسِقًا، وَلَقَدْ أَرَادَنِي عَلَى نَفَسِي الْفَاسِقِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ رَأْسَهُ لَمْ يَزَلْ مُعَلِّقًا بِحَائِطِ جَامِعِ دِمَشْقَ الشَّرْقِيِّ مِمَّا يَلِي الصَّحْنَ، حَتَّى انْقَضَتْ دَوْلَةُ بَنِي أُمَيَّةَ. وَقِيلَ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ أَثَرَ دَمِهِ. وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৮
سِتًّا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَمَانِيًا وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: إِحْدَى - وَقِيلَ: ثِنْتَانِ. وَقِيلَ: خَمْسٌ. وَقِيلَ: سِتٌّ - وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. وَمُدَّةُ وِلَايَتِهِ سَنَةٌ وَسِتَّةُ أَشْهُرٍ عَلَى الْأَشْهَرِ. وَقِيلَ: وَثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: كَانَ شَدِيدَ الْبَطْشِ، طَوِيلَ أَصَابِعِ الرِّجْلَيْنِ، كَانَتْ تُضْرَبُ لَهُ سِكَّةُ الْحَدِيدِ فِي الْأَرْضِ، وَيُرْبَطُ فِيهَا خَيْطٌ إِلَى رِجْلِهِ، ثُمَّ يَثِبُ عَلَى الْفَرَسِ، فَيَرْكَبُهَا، وَلَا يَمَسُّ الْفَرَسَ، فَتَنْقَلِعُ تِلْكَ السِّكَّةُ مِنَ الْأَرْضِ مَعَ وَثْبَتِهِ.