আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ثم دخلت سنة ست وعشرين ومائة

পৃষ্ঠা - ৭৭৮৪


খলীফ৷ ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদকে ৷ ওয়ালীদ নির্দো৷ দিয়েছিল ইয়াহ্ইয়াকে ছেড়ে দিতে এবং তার
সাথীদের সাথে মিলিত হবার সুযোগ দিতে ৷ খলীফার নির্দেশ পেয়ে নাসর ইবন সাইয়ার
ইয়াহ্ইয়াকে ছেড়ে দেয় এবং সাথে বহু মুল্যবান সাজ সরঞ্জাম দিয়ে৩ তাকে দামেদুস্কর উদ্দেশ্যে
পাঠিয়ে দেয় ৷ কিন্তু কিছু দুর অতিক্রম করার পর নাসর ইবন স ইযাব বিশ্বাসঘাতকতা করে
ইয়াহ্ইয়৷ ও তার সাথীদেরদুক হত্যা করার জন্যে একদল সৈন্য প্রেরণ করে ৷ এই দলে প্রায়
১ : : : : (দশ হাজার) সৈন্য ছিল ৷৩ তারা ইয়৷ হইয়া ও৩ তার অনুসারীদের উপর আক্রমণ চালায় ৷
ইয়াহ্ইয়া পাল্টা আক্রমণ চালান এবং সরকা ৷রী বাহিনীকে পর্বৃদস্ত ও পরাজিত করে দেন ৷ তারা
ছিলেন মাত্র ৭০ জন ৷৩ তারা সরকারী বাহিনীর সেনাপতিদুক হত্যা করেন এবং প্রচুর ধন-সষ্পদ
ছিনিয়ে নেন ৷ এরপর সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় সেনা ইউনিট পাঠানো হয় ৷৩ তারা ইয়াহ্ইয়৷ ও
তা তার অনুসারীদেরকে পরাজিত করে এবং ইয়াহইয়ার মাথা কেটে নেয় ৷ এ যাত্রায় সরকারী বাহিনী
ইয়াহ্ইয়৷ ৷র সকল সাথীকে হত্যা করে ৷ আল্লাহ্৩ তাদের প্ৰতি দয়া করুন ৷

১ ২৬ হিজরী সন

এই হিজরী সনে ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ ইবন আবদুল মালিক নিহত হয় ৷ বস্তুত তার বংশ
পরিচয় হল ওয়া ৷লীদ ইবন ইয়৷ যীদ ইবন আবদুল ম৷ ৷লিক ইবন৷ ম ৷রওয়ান ইবন হাকাম আ বু আব্বাস
উমাভী দামেন্ধী ৷ তার চাচা হিশাদুমর মৃ৩ ৷র পর ওই বছরই তার খলীফ৷ ৷হবার পক্ষে বায়আত
গ্রহণ করা হয় ৷ তার পিতা ইয়াযীদের নির্দেশ৩ ৷ই ছিল ৷ এই বিষয়টি আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ
করেছি ৷ তার মাতা হলো হাজ্জাজের মাতা, মুহাম্মাদ ইবন ইউসুফ ছাক কাফীর কন্যা, ৯ : হিজরী
সনে তার জন্ম হয় ৷ কেউ বলেছেন ৯২ হিজরী সনে ৷ আর কেউ বলেছেন ৮৭ হিজরী
১২৬ হিজরী সনের জুমাদাল ৷ল-উখৃরা মাসের দুইদিন অবশিষ্ট থাকতে বৃহস্পতিবার সে নিহত হয় ৷
তার হত্যাকাণ্ডে জনসাধারণের মধ্যে চরম ৰিশৃৎখলতা ও অরাজকতা সৃষ্টি হয় ৷ তবুও কথা হল

তার পাপাচাবিতা ও নষ্টামির ফলশ্রুতিতে ৩সে নিহত হয়েছে ৷ কেউ বদুন্ ন্ধেছন৩ তার ধর্মচ্যুতির ফলে

তাকে হত্যা করা হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আবুমুগীরা উমর ইবন খাত্তাব (বা) হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন ,
নবী পত্নী উম্মু সালম৷ (রা) এব ভাইয়ের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নিয়েছিল ৷ তারা তার নাম
রেখেছিল ওয়ালীদ ৷ এ সংবাদ শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন ;;

) ষ্

— :;াপ্রু৷ ৷ <৷ ট্রুএেট্রু এশুঠু ণ্গ্রা৷ ৷ ১১া১ হৃ১ র্টু,ব্লুটুহ্রঢ় ণ্র্ন্তঞাপ্রুইব্ৰ্বাৰুন্ন্ধ্ন্ ,, প্রুন্ন্ঠুর্দুণ্

ন্ :াপ্রুটুট্র৷ টু,ঠুছু ঠুব্র ;গ্লু ম্বুই১া৷ ণ্;এ্ৰু৷ ৷ট্টা ;;:: ণ্ৰুপু

“ তোমরা তো তোমাদের ফিরআওনের নামে তার নাম রেখেছ, অবশইি এই উম্মদুতর মধ্যে

একজন লোকের জন্ম হবে তার নাম হবে ওয়ালীদ ৷ ফিরআওন তার সম্প্রদায়ের মধ্যে যে পরিমাণ

বিপর্যয় ও অশান্তি সৃষ্টি করেছিল এই লোক এই উম্মদুতর মধ্যে তার চেয়ে অধিক বিশৃৎখলা ও
বিপর্যয় সৃষ্টি করবে ৷”

হাফিয ইবন আসাকির বলেন, ওয়ালীদ ইবন মুসলিম, মাকাল ইবন যিয়াদ মুহাম্মদ ইবন

কাহীর এবং বিশ্ব ইবন বকর প্রমুখ এই হাদীস আওযাঈ হতে বংনাি করেছেন ৷ কিন্তু তারা


[ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ سِتٍّ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا كَانَ مَقْتَلُ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهَذِهِ تَرْجَمَتُهُ: هُوَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَبُو الْعَبَّاسِ الْأُمَوِيُّ الدِّمَشْقِيُّ بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ عَمِّهِ هِشَامٍ فِي السَّنَةِ الْخَالِيَةِ بِعَهْدٍ مِنْ أَبِيهِ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَأَمُّهُ أُمُّ الْحَجَّاجِ بِنْتُ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيِّ وَكَانَ مَوْلِدُهُ سَنَةَ تِسْعِينَ، وَقِيلَ: سَنَةَ ثِنْتَيْنِ وَتِسْعِينَ. وَقِيلَ: سَنَةَ سَبْعٍ وَثَمَانِينَ. وَقَتْلُ يَوْمَ الْخَمِيسَ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ سَنَةَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، وَوَقَعَتْ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ بَيْنَ النَّاسِ بِسَبَبِ قَتْلِهِ وَهُوَ خَلِيفَةٌ ; لِفِسْقِهِ، وَقِيلَ: وَزَنْدَقَتِهِ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنِي الْأَوْزَاعِيُّ وَغَيْرُهُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: وُلِدَ لِأَخِي أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُلَامٌ، فَسَمَّوْهُ الْوَلِيدَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سَمَّيْتُمُوهُ بِأَسْمَاءِ فَرَاعِنَتِكُمْ، لَيَكُونَنَّ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْوَلِيدُ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৮৫
لَهَوَ شَرٌّ عَلَى هَذِهِ الْأُمَّةِ مِنْ فِرْعَوْنَ لِقَوْمِهِ» . قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَقَدْ رَوَاهُ الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، وَهِقْلُ بْنُ زِيَادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، فَلَمْ يَذْكُرُوا عُمَرَ فِي إِسْنَادِهِ، وَأَرْسَلُوهُ، وَلَمْ يَذْكُرِ ابْنُ كَثِيرٍ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ. ثُمَّ سَاقَ طُرُقَهُ هَذِهِ كُلَّهَا بِأَسَانِيدِهَا وَأَلْفَاظِهَا. وَحَكَى عَنِ الْبَيْهَقِيِّ أَنَّهُ قَالَ: هُوَ مُرْسَلٌ حَسَنٌ. ثُمَّ سَاقَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّهَا قَالَتْ: «دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدِي غُلَامٌ مِنْ آلِ الْمُغِيرَةِ اسْمُهُ الْوَلِيدُ فَقَالَ: " مَنْ هَذَا يَا أُمَّ سَلَمَةَ؟ " قَالَتْ: هَذَا الْوَلِيدُ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَقَدِ اتَّخَذْتُمُ الْوَلِيدَ حَنَانًا، غَيِّرُوا اسْمَهُ ; فَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ فِرْعَوْنٌ يُقَالُ لَهُ: الْوَلِيدُ» ". وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৭৭৮৬


বর্ণনাকারী হিসেবে হযরত উমর (রা)-এর নাম উল্লেখ না করে মুরসাল পদ্ধতিতে এটি বর্ণনা
করেছেন ৷ ইবন কাহীর তার সনদে সাঈদ ইবন ঘুসায়িবের কথাও উল্লেখ করেননি ৷ এরপর তিনি
এইসব সনদ উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি ইমাম বায়হাকী (র) হতে বর্ণনা ৷করেন যে, তিনি বলেন এটি
এক উত্তম ঘুরস৷ ল হাদীস ৷ এরপর তিনি মুহাম্মদ যায়নাব বিনৃত উম্মু সালামা (বা) হতে ৩বর্ণনা
করেন উম্মু সালাম৷ (বা) বলেন একদিন বাসুলুল্লাহ্ (সা) ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ তখন আমার
নিকট মুগীর৷ পরিবারের একটি ছেলে সন্তান ছিল ৷৩ তার নাম ছিল ওয়ালীদ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স )
বলেন,, হে উম্মু সালাম৷ ৷ সে কো উম্মু স ৷লাম৷ (রা) বলেন, যে ওয়ালীদ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (স ) বলেন :

’ ’ ষ্

ষ্টুছুটুহু৷ ¢;

;এঠুট্রু৷ ৷ ব্লু ট্রুা৷ছুট্রু
“তোমরা তে৷ ওয়ালীদ নামটাকে “ভাল নাম” রুপে গ্রহণ করেছ ৷ তোমরা তার নাম

পরিবর্তন করে দাও ৷ ক বেশ এই উম্মাত র মধ্যে একজন ফিরআওনের জন্ম হবে তার নাম হবে
ওয়ালীদ ৷ ”

ইবন আসাকীর বর্ণনা করেছেন, আবদুহুৰুাহ্ ইবন মুহাম্মদ আবুউবায়দৃ ইবন জাররাহ সুত্রে যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন €

০ (শ্এশ্ এ ট্রশ্ : ঢ় ষ্এষ্শ্’ শ্ শ্শ্ষ্
এই বিষয়টি ইনসাফ পুর্ণরুপে চলতে থাকবে যতক্ষণ না বনু উমাইয়া গোত্রের এক ব্যক্তি
সেটিকে ক্ষত বিক্ষত করে ও দুযিত করে তোলে ৷

ওয়ালীদের হত্যাকাণ্ড ও পতন

ওয়ালীদ ছিল একজন প্রকাশ্য ব্যভিচ৷ রী পাপাসক্তও সীমালংঘনকারী মন্দ লোক ৷ আল্লাহর
নিষিদ্ধ বিষয়ণ্ডলােকে সে অবজ্ঞা করত ৷ নিজের নাফরমানী ও অপরাধের জন্যে তার মধ্যে কোন
অনুশোচনা ও লজ্জাবােধ ছিল না ৷ কেউ কেউ তাকে ধর্মতা৷গীমুরতাদ হবার অপবাদও দিয়েছে ৷
আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷ তবে বাহ্যত যা জানা যায় তা হল যে ছিল একজন নাফরমান, অবাধ্য ,
কাব্যপ্রেমী, বেহায়া নির্লজ্জ্ব ও পাপ-পিয়াসী ৷ সে পাপ কর্মে কা ৷উকে লজ্জা করে না ৷ খিলাফতের
পদে আসীন হবার পুর্বেও সে যেমন ছিল পরেও তে মন ছিল ৷ বর্ণিত আছে যে তাকে হত্যার যারা
সক্রিয় অংশ ৷নিয়েছিল তার আপন ভাই সুলায়মান তাদের দলে ছিল ৷ সুলায়মান বলেন যে, আমি
সাক্ষ্য দিচ্ছি সে মদখোর মদ্যপা, নির্লজ্জ পাপাচারী ৷ সে আমাকেও পাপাচারিতার পথে নিতে
চেয়েছিল ৷

মুআফী ইবন যাকারিয়া বর্ণনা করেছেন ইবন দা ৷রীদ আতাবাকৃ হতে ৩বর্ণিত যে, জনৈক খৃক্টান
পরম৷ সুন্দরী মহিলার উপর খলীফ৷ ওয়ালীদের নজর পড়ে ৷ মহিলাটির নাম ছিল সুফর৷ ৷ সে
রমণীটিকে ভালবেসে ফেলে ৷ তাকে নিজের প্রতি লালায়িত ও আকৃষ্ট করার জন্যে ওয়ালীদ
ভালবাসার প্ৰস্তাবসহ এক লোককে সুফরার নিবল্ট পাঠায় ৷ সুফর৷ ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ৷
ৰিরহে ওয়ালীদ হা-হুতাশ ও পাগলামী শুরু করে ৷ তবুও সে রাবী হয়নি ৷ একদিন ঈদ উপলক্ষে


غَالِبٍ الْأَنْطَاكِيُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي دَاوُدَ، ثَنَا صَدَقَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ الْغَازِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ قَائِمًا بِالْقِسْطِ حَتَّى يَثْلَمَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ» . [صِفَةُ مَقْتَلِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَزَوَالِ دَوْلَتِهِ] صِفَةُ مَقْتَلِهِ وَزَوَالِ دَوْلَتِهِ كَانَ هَذَا الرَّجُلُ مُجَاهِرًا بِالْفَوَاحِشِ مُصِرًّا عَلَيْهَا، مُنْتَهِكًا مَحَارِمَ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، لَا يَتَحَاشَى مِنْ مَعْصِيَةٍ، وَرُبَّمَا اتَّهَمَهُ بَعْضُهُمْ بِالزَّنْدَقَةِ وَالِانْحِلَالِ مِنَ الدِّينِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. لَكِنَّ الَّذِي يَظْهَرُ أَنَّهُ كَانَ عَاصِيًا شَاعِرًا مَاجِنًا مُتَعَاطِيًا لِلْمَعَاصِي، لَا يَتَحَاشَى بِهَا مَنْ أَحَدٍ وَلَا يَسْتَحِي مَنْ أَحَدٍ قَبْلَ أَنْ يَلِيَ الْخِلَافَةَ وَبَعْدَ أَنْ وَلِيَ. وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ أَخَاهُ سُلَيْمَانَ كَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَنْ سَعَى فِي قَتْلِهِ، قَالَ: أَشْهَدُ - بُعْدًا لَهُ - أَنَّهُ كَانَ شَرُوبًا لِلْخَمْرِ مَاجِنًا فَاسِقًا، وَلَقَدْ أَرَادَنِي عَلَى نَفَسِي الْفَاسِقُ. وَحَكَى الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا، عَنِ ابْنِ دُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي حَاتِمٍ، عَنِ الْعُتْبِيِّ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৭৭৮৭


তার থেকে ইরাকে অবস্থিত তার ধন সম্পদ করায়ও করে নেয় ৷ কথিত আছে যে, ইউসুফ ইবন
উমর যখন খলীফ৷ ওয়ালীদের নিকট এসেছিল তখন খালিদ ইবন আবদুল্লাহ তার থেকে পাচ
কো টি দিরহামে ইরাকে কিছু সম্পত্তি কিনে নিয়েছিল ৷ এ যাত্রায় খালিদকে ইউসুফের নিকট প্রেরণ
করা হয়েছিল যাতে সে ওই সম্পত্তি তার থেকে দখলমুক্ত করে নিতে পারে ৷ সেখানে ইউসুফ
ইবন উমর তার উপর সীমাহীন নির্যাতন চালায় ৷ যাতে তিনি ক্রয়কৃত ইরাকের সম্পদগুলাের
মালিকা ৷ন৷ ছেড়ে দেন ৷ সে অনবরত তাকে নির্যাত তন করছিল, এক পর্যায়ে তিনি নিহত হন ৷ এই

ঘটনায় ইয়ামানের জনসাধারং৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যায় এবং ওয়ালীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ
করে ৷

যুবায়র ইবন বিকার বলেছেন যে, মুসআব ইবন আবদুল্লাহ বলেছেন যে, আমি আমার পিতা
থেকে ওনেছি তিনি বলছিলেন, আ ৷মি খলীফ৷ মাহ্দীর নিকট বসা ছিলাম ৷ সেখ৷ ৷নে ওয়ালীদ ইবন
ইয়াযীদ প্ৰসৎ গে আলোচনা হচ্ছিল ৷ একজন উঠে বলল, সে তো যিনদীক বা যর্মত্যা ৷গী ছিল ৷
তখন মাহ্দী বললেন, কোন যিনদীক বা না ৷স্তিক ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ ত ৷র ৷৷খলাফত দেন না

আহমদ ইবন উমায়র বলেছেন যে, আবদুর রহমান আযহারী ইবন ওয়ালীদ হতে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেছেন, আমি উম্মু দারদা (র) থেকে শুনেছি-তিনি বলছিলেন , সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থানে
যখন মঘৃলুম অবস্থায় কােনঃ যুবক উমাইয়৷ শাসক নিহত হবে তখন থেকে ওই জনপদে আনুগত্য
ও অনুসরণের ওরংতৃহীন শুরু হয়ে ৷ দেশে অন্যায়ভাবে থুন-রাহাযানী ও নরহত্যা বেড়ে যাবে ৷

ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদেৱ হত্যাকাণ্ড

ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদের প্রেমাসক্তি, স্বেচ্ছাচারিতা, পাপাচাবিত ৷, ধর্মহীনত৷ এবং নামাযের
প্ৰতি তঅবহেল৷ ইত্যাদি বিষয়ে ইতিপুর্বে আমরা কিছুটা আলোকপাত করেছি৷ খিলাফত লাভের
পুর্বে যেমন এসব দুশ্চরিত্রত ৷র মধ্যে ছিল ৷ খিলাফহুত তর পদে আসীন হবার পরও সে ওইসব
অপকটে মও ছিল ৷ বরৎ থিলাফত লাভের পর তার লাম্পট্য, বিলাসিতা, আমােদ-কুর্তি,
বেলেল্লোপনা, নির্লজ্জতা, মদ্যপান, শিক৷ ৷র করা ও পাপিষ্ঠ লোকদের সাহচর্য লাত আরো বেড়ে
যায় ৷ ৷খলাফত লাভ তার সত্যদ্রোহিতাও পােমরাহীকে আরো ৷উস্কে দিয়েছিল ৷ এতে দেশের
আঘীর-উম৷ রা৷, সেনাবাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া সৃাম্র হয় ৷ তারা প্রচণ্ড ঘৃণা
পোষণ করতে থাকে খলীফ৷ ৷র প্ৰতি ৷ত তার সবচেয়ে নিবৃণ্ষ্ট পদক্ষেপ ছি তার চাচা হিশাম এবং
ওয়া ৷লীদের ছেলেদের প্রতি অমানুষিক অত্যাচার ও নির্য৷ ৷তন ৷ সাথে সাথে ইয়ামানী লোকদের প্ৰতি
তার অন্যায় আচরণ ৷ এই ছিল তার ধ্বংসের অন্যতম প্রধান কারণ ৷ বস্তুত খুরাসান সেনাবাহিনীর
অধিকাৎশ লোক ছিল ইয়ামানের নাগরিক ৷

খালিদ ইবন কাসারীকে বন্দী করে ইউসুফ ইবন উমরের নিকট পাঠানোর পর সে খালিদের
উপর এমন অত্যাচার করে যে, এক পর্যায়ে তার মৃত্যু ঘটে ৷ ইউসুফ ইবন উমর তখন ইরাকের
উপ-প্রশাসক ছিল ৷ এই ঘটনায় ইয়ামানী নাগরিকগণ খলীফার প্ৰতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার
এই কাজকে অপসন্দ করে ৷ খালিদের হত্যাকাণ্ড তাদেরকে ব্যথাতুর করে তোলে ৷

ইবন জারীর বর্ণনা করেছেন যে, ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ তার চাচাত ভাই সুলায়মান ইবন
হিশামকে একশত চাবুকাঘাত করে, তার চুল ও দাড়ি কেটে ন্যাড়া করে দেয় এবং তাকে ওমান


الْوَلِيدَ بْنَ يَزِيدَ نَظَرَ إِلَى نَصْرَانِيَّةٍ مِنْ حِسَانِ نِسَاءِ النَّصَارَى اسْمُهَا سَفْرَى فَأَحَبَّهَا، فَبَعَثَ إِلَيْهَا يُرَاوِدُهَا عَنْ نَفْسِهَا، فَأَبَتْ عَلَيْهِ، فَأَلَحَّ عَلَيْهَا، وَعَشِقَهَا، فَلَمْ تُطَاوِعْهُ، فَاتَّفَقَ اجْتِمَاعُ النَّصَارَى فِي بَعْضِ كَنَائِسِهِمْ لِعِيدٍ لَهُمْ، فَذَهَبَ الْوَلِيدُ إِلَى بُسْتَانٍ هُنَاكَ، فَتَنَكَّرَ وَأَظْهَرَ أَنَّهُ مُصَابٌ، فَخَرَجَ النِّسَاءُ مِنَ الْكَنِيسَةِ إِلَى الْبُسْتَانِ، فَرَأَيْنَهُ فَأَحْدَقْنَ بِهِ، فَجَعَلَ يُكَلِّمُ سَفْرَى وَيُمَازِحُهَا وَتُضَاحِكُهُ وَلَا تَعْرِفُهُ، حَتَّى اشْتَفَى مِنَ النَّظَرِ إِلَيْهَا، فَلَمَّا انْصَرَفَتْ قِيلَ لَهَا: وَيْحَكِ! أَتَدْرِينَ مَنْ هَذَا الرَّجُلُ؟ فَقَالَتْ: لَا. فَقِيلَ لَهَا: هُوَ الْوَلِيدُ. فَلَمَّا تَحَقَّقَتْ ذَلِكَ حَنَّتْ عَلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ، وَكَانَتْ عَلَيْهِ أَحْرَصَ مِنْهُ عَلَيْهَا. فَقَالَ الْوَلِيدُ فِي ذَلِكَ: أَضْحَى فُؤَادُكَ يَا وَلِيدُ عَمِيدَا ... صَبًّا قَدِيمًا للْحِسَانِ صَيُودَا مِنْ حَبِّ وَاضِحَةِ الْعَوَارِضِ طِفْلَةٍ ... بَرَزَتْ لَنَا نَحْوَ الْكَنِيسَةِ عِيدَا مَا زِلْتُ أَرْمُقُهَا بِعَيْنَيْ وَامِقٍ ... حَتَّى بَصُرْتُ بِهَا تُقَبِّلُ عُودَا عُودَ الصَّلِيبِ فَوَيْحُ نَفْسِيَ مَنْ رَأَى ... مِنْكُمْ صَلِيبًا مِثْلَهُ مَعْبُودَا فَسَأَلْتُ رَبِّيَ أَنْ أَكُونَ مَكَانَهُ ... وَأَكُونَ فِي لَهَبِ الْجَحِيمِ وَقُودَا وَقَالَ فِيهَا أَيْضًا لَمَّا ظَهَرَ أَمْرُهُ، وَعَلِمَ بِحَالِهِ النَّاسُ، وَقِيلَ: إِنَّ هَذَا وَقَعَ قَبْلَ أَنْ يَلِيَ الْخِلَافَةَ: أَلَّا حَبَّذَا سَفْرَى وَإِنْ قِيلَ إِنَّنِي ... كَلِفْتُ بِنَصْرَانِيَّةٍ تَشْرَبُ الْخَمْرَا
পৃষ্ঠা - ৭৭৮৮


“আমি তোমাদের ক আল্লাহর আশ্রয়ে ন্যস্ত করছি পর্বত সম ফিতনা-ফাসাদ হতে ৷ যা একবার
বেড়ে উঠবে তারপর থেমে যাবে ৷”

ার্টু:ণ্;টুাট্রু ;,ঠুর্দুএ ৷
“তোমাদের রাজনীতির নেতিবাচকতায় জগত এখন ভীত শ্রদ্ধ ৷ কাজেই, তোমরা দীনের
স্তম্ভগুলােকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বর্তমান অবস্থান থেকে ফিরে আ স ৷”

া!শ্শ্ : ণ্শ্ ৷ # শ্ # শ্’ণ্ ন্ ৷!শ্’াশ্ ন্ষ্ শ্শ্র্চাশ্ ৷’শ্
া,রু;;এ ঞা ৷ প্রুা; ১া

“মানুষরুপী নেকড়ের মুখে নিজেদেরকে গোশৃত রুপে উপস্থাপন করো না ৷ কারণ, কোন

সবুজ-সজীব বৃক্ষরাজিতে মাছি ও মশা অবতরণ করলে তার পত্র-পল্লব খেয়ে সব উজা ৷ড় করে
থাকে ৷

৷ এ ণ্ শ্ ৷ ) # : ) ’ : ! ৷ ৷


“নিজেদের হাতে নিজেদের পেট চিরে দিও না ৷ কারণ, তাহলে খনত কোন হার আফসােস
ও অন্থিরতা কোন কাজে আসবে না ৷ ”

ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের ক্ষমতা যখন মোটামুটি মজবুত হল এবং যারা তার হাতে বায়আত
করার তারা বায়আত করল, তখন তিনি দামেষ্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন ৷ ওয়ালীদের
অনুপস্থিতিতে তিনি রাজধানী দামেষ্কে প্রবেশ করলেন ৷ সেখানে রাতের বেলা অধিকাংশ নাগরিক
তার হাতে বায়আত করে ৷ তিনি এ সংবাদ পেলেন যে, মায্যাহ এর নাগরিকগণ তাদের
বয়োজেষ্ঠে ব্যক্তি মুআবিয়৷ ইবন মুসাদ এর হাতে ৩বায়আত করে নিয়েছে ৷ এটি অবগত হয়ে
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ তার কতক সাথী নিয়ে সেদিকে যাত্রা করলেন ৷ পথে তারা এক কঠিন
ৰিপদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত রাতের বেলা তারা মাঘৃযাহ এসে পৌছলেন এবং
মুআবিয়া ইবন মুসাদের বাড়ীতে উপস্থিত হলেন ৷ ইয়াযীদ সরাসরি কথা বললেন মুআবিয়ার
সাথে ৷ সে ইয়াযীদের হাতে বায়আত করল ৷ ওই রাতেই একটি কাল পাধার পিঠে চড়ে নদীর
তীর ধরে ইয়াযীদ দামেস্কে ফিরে আসেন ৷ র্তার সাথিগণ এবার শপথ করল যে, অস্ত্রসজ্জিত না
হয়ে তিনি দামেষ্কে প্রবেশ করতে পারবেন না ৷ তিনি অস্ত্রসজ্জিত হলেন এবং রাজধানী দামেষ্কে
প্রবেশ করলেন ৷

খলীফ৷ ওয়ালীদ তার অনুপস্থিতিতে আবদুল মা ৷লিক ইবন মুহাম্মদ ইবন হাজ্জা জ ইবন ইউসুফ
ছাকাফীকে তার স্থলাভিষিক্ত ও৩ ৷রপ্রাপ্ত খলীফ৷ নিয়োগ করে গিয়েছিল ৷ খনত পুলিশ প্রধান ছিল
আবুল আস কা ৷হীর ইবন অ ৷বদুল্লাহ্ সুলামী ৷
এদিকে জুমুআব রাতে মাগরিবের পর ইয়াযীদের সহযোগী ও সাথিগণ ফারাদীস প্রবেশ
দ্বারের নিকট সমবেত হয় ৷ ইশার আযানের পর তারা মসজিদে প্রবেশ করে ৷ মসজিদে যখন শুধু
তারাই অবস্থান করছিল তখন ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদকে মসজিদে আমার জন্যে সংবাদ পাঠানো
হয় ৷ ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ মসজিদ চতুরে আসেন ৷ তিনি আল মাকসুরাহ্ দরজা দিয়ে প্রবেশ
করতে চাইলেন ৷ একজন সেবক এসে ওই দরজা খুলে দিল ৷ বস্তুত তারা সকাল মসজিদে


يَهُونُ عَلَيَّ أَنْ نَظَلَّ نَهَارَنَا ... إِلَى اللَّيْلِ لَا أُولَى نُصَلِّي وَلَا عَصْرَا قَالَ الْقَاضِي أَبُو الْفَرَجِ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ الْمَعْرُوفُ بِابْنِ طَرَارٍ النَّهْرَوَانِيُّ ثُمَّ الْبَغْدَادِيُّ بَعْدَ إِيرَادِهِ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ: لِلْوَلِيدِ فِي هَذَا النَّحْوِ مِنَ الْخَلَاعَةِ وَالْمُجُونِ وَسَخَافَةِ الدِّينِ مَا يَطُولُ ذِكْرُهُ، وَقَدْ نَاقَضْنَاهُ فِي أَشْيَاءَ مِنْ مَنْظُومِ شِعْرِهِ الْمُتَضَمِّنِ رَكِيكَ ضَلَالِهِ وَكُفْرِهِ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ أَنَّ الْوَلِيدَ سَمِعَ بِخِمَّارٍ صَلْفٍ بِالْحِيرَةِ، فَقَصَدَهُ حَتَّى شَرِبَ مِنْهُ ثَلَاثَةَ أَرْطَالٍ مِنَ الْخَمْرِ وَهُوَ رَاكِبٌ عَلَى فَرَسِهِ، وَمَعَهُ اثْنَانِ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَمَرَ لِلْخَمَّارِ بِخَمْسِمِائَةِ دِينَارٍ. وَقَالَ الْقَاضِي أَبُو الْفَرَجِ: أَخْبَارُ الْوَلِيدِ كَثِيرَةٌ قَدْ جَمَعَهَا الْأَخْبَارِيِّونَ مَجْمُوعَةً وَمُفْرَدَةً، وَقَدْ جَمَعْتُ شَيْئًا مِنْ سِيَرِهِ وَآثَارِهِ، وَمِنْ شِعْرِهِ الَّذِي ضَمَّنَهُ مَا فَجَرَ بِهِ مِنْ خُرْقِهِ وَسَفَاهَتِهِ، وَحُمْقِهِ وَهَزَلِهِ، وَمُجُونِهِ وَسَخَافَةِ دِينِهِ، وَمَا صَرَّحَ بِهِ مِنَ الْإِلْحَادِ فِي الْقُرْآنِ الْعَزِيزِ، وَالْكَفْرِ بِمَنْ أَنْزَلَهُ وَأُنْزِلَ عَلَيْهِ، وَقَدْ عَارَضْتُ شِعْرَهُ السَّخِيفَ بِشِعْرٍ حَصِيفٍ، وَبَاطِلَهُ بِحَقٍّ نَبِيهٍ شَرِيفٍ، وَتَوَخَّيْتُ رِضَاءَ اللَّهِ، عَزَّ
পৃষ্ঠা - ৭৭৮৯


হাজ্জাজকে তা র নিকট নিয়ে আমার জন্যে এবং৩ তাকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্যে ৷ শাসক আবদুল
মালিক ইবন মুহাম্মদ তখন আ ত্মরক্ষ৷ ৷র্থে এক সংরক্ষিত দুর্পে আশ্রয় নিয়েছিল ৷

খলীফার প্রেরিত সেনাদলে ওই দুর্পে পৌছে এবং সেখানে দুটো থলি খুজে পায় ৷ প্ৰতেব্রক
থলিতে ছিল ৩০,০০০ দীনার বা স্বর্ণমুদ্র৷ ৷

ফিরতি পথে মাঘৃযাহ্ পৌছার পর ইবন মুসাদের সাথিগণ বলল, চলুন, এই মান নিন ৷ এটি

নিয়ে পালিয়ে যাই ৷ ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের সাহচর্য অপেক্ষা স্বর্ণমুদ্র৷ বা টাকার এই থলি অনেক
অনেক গুণ ভাল ৷

ইবন মুসাদ বললেন, না, তা হয় না ৷ “আমিই প্রথম বিশ্বাসঘাতকত৷ করেছি” আরবদের
মুখে এই কর্টুক্তি ও তিরস্কার শুনতে আমি প্রস্তুত নই ৷ ওই মালামাল এসে তারা নব নিযুক্ত খলীফা
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের নিকট হস্তান্তর করে ৷ ইয়াযীদ ওই সম্পদ দ্বারা প্রায় দুই হাজার সৈন্য
বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী সেনাদল গঠন করে ৷ অবিলম্বে তিনি তীর ভাই আবদুল আযীয় ইবন
ওয়ালীদের নেতৃত্বে ওই সেনাদল পাঠালেন ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদকে ধরে আমার জন্যে ৷ এদিকে
বরখাস্তকৃত খলীফ৷ ওয়ালীদের একজন ক্রীতদাস ও অনুপামী ব্যক্তি ওই রাতেই দ্রুত অশ্ব চালিয়ে
ওয়৷ ৷লীদের নিকট পৌছে এবং রাজধা ৷নী৷ দা মেস্কের পরিস্থিতি ও নব নিযুক্ত খলীফা ইয়াযীদ সম্পর্কে
তাকে অবহিত করে ৷ কিন্তু ওয়ালীদ তার কথা বিশ্বাস করেনি ৷ বরং তাকে ৷পট্যানায় নির্দেশ
দিয়েছে ৷ এরপর অনররত ৷ তবে নিকট খবর পৌছতে থাকে এই বিষয়ে ৷ ৷রত কোন কো ন সাথী
তাকে পরামর্শ দিয়েছিল ওই বাসস্থান ছেড়ে হিমস নগরীতে আশ্রয় নেওয়ার জন্যে ৷ হিমস নগরী
ছিল একটি সুরক্ষিত স্থান ৷

আবরাশ স৷ ৷ঈদ ইবন ওয়া ৷লীদ কা ৷লবী বলেছিল যে, আপনি গোপনে আমার সম্প্রদায়ের নিকট
চলে আসুন ৷ কিন্তু ওয়ালীদ এসব প্রস্তাবের কােনটিই গ্রহণ ৷করেনি ৷ সে৩ ৷র প্রায় দুইশত
অশ্বারোহী সাথী নিয়ে ইয়াযীদের সৈন্যদের মুকাবিলার জন্যে যাত্রা করে ৷ পথিমধ্যে ছাকলাহ”
নামক স্থানে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয় ৷ ওয়ালীদ নিজে নৃমান ইবন বাসীরের নির্মিত দুর্গ “বুখারা
দুর্পে” আশ্রয় নেয় ৷

এদিকে নবনিযুক্ত খলীফাইয়াযীদের ভাই৷ অ ৷ব্বাস ইবন ওয়া ৷লীদের প্রতিনিধি ওয়ালীদের নিকট
ৎবাদ দেয় যে , আব্বাস তার সাহায্যে আসছেন ৷ মুলত আব্বাস ছিল আ পনত ৷ই ইয়াযীদের
বিপক্ষে ওয়ালীদের পক্ষে সাহায্যকারী ৷ ক্ষমতাচ্যুত ৩থলীফা ৷ওয়ালীদ তা ৷র আসন পেতে দেওয়ার
নির্দেশ দিল ৷ সে ওই আসনে বসল এবং বিক্ষুব্ধচিত্তে বলল, আমি সিংহের উপর আক্রমণ করি ,
বিষাক্ত অজগরের গ ৷ল৷ টিপে ধ্রি আ র ওই কতগুলো মানুষ আমার উপর আত্রন্মণকররে ?
আবদুল আযীয় ইবন ওয়ালীদত ৷র সাথী সেনাদল সহকারে ওয়ালীদের কাছাকাছি এসে
পৌছে ৷ ২০০০ সৈন্যের মধ্যে মাত্র অ টশ৩ সৈন্যত ৷র সাথে আসতে পেয়েছিল ৷ এখানে বসে
আব্বাসের সেনাবাহিনী এবং আবদুল আযীয়ের সেনা বা৷হিনীর মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়, তাতে
আব্বাসের লোকদের একটি বিরাট অংশ নিতে হয় ৷ ওদের কর্তিত মাথা ওয়ালীদের নিকট
পাঠানো হয় ৷ আব্বাস এসেছিল আপন ভ্রাত ৷ ইয়াযীদের বিপক্ষে ক্ষমতাচ্যুত খলীফ৷ ওয়ালীদের
সাহায্যার্থে ৷ আবদুল আযীয় লোক প ঠিয়েছিল আব্বাসকে ধরে আমার জন্যে ৷ তারপর তাকে


وَجَلَّ، وَاسْتِيجَابَ مَغْفِرَتِهِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْخٍ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: أَرَادَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْحَجَّ، وَقَالَ: أَشْرَبُ فَوْقَ ظَهْرِ الْكَعْبَةِ. فَهَمَّ قَوْمٌ أَنْ يَفْتِكُوا بِهِ إِذَا خَرَجَ، فَجَاءُوا إِلَى خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ فَسَأَلُوهُ أَنْ يَكُونَ مَعَهُمْ فَأَبَى، فَقَالُوا لَهُ: فَاكْتُمْ عَلَيْنَا. فَقَالَ: أَمَّا هَذَا فَنَعَمْ. فَجَاءَ إِلَى الْوَلِيدِ فَقَالَ لَهُ: لَا تَخْرُجْ، فَإِنِّي أَخَافُ عَلَيْكَ. فَقَالَ: وَمَنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ تَخَافُهُمْ عَلَيَّ؟ قَالَ: لَا أُخْبِرُكَ بِهِمْ. قَالَ: إِنْ لَمْ تُخْبِرْنِي بِهِمْ بَعَثْتُ بِكَ إِلَى يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ. قَالَ: وَإِنْ بَعَثْتَ بِي إِلَى يُوسُفَ. فَبَعَثَهُ إِلَى يُوسُفَ فَعَذَّبَهُ حَتَّى قَتَلَهُ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ أَنَّهُ لَمَّا امْتَنَعَ أَنْ يُعْلِمَهُ بِهِمْ سَجَنَهُ، ثُمَّ سَلَّمَهُ إِلَى يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ يَسْتَخْلِصُ مِنْهُ أَمْوَالَ الْعِرَاقِ فَقَتَلَهُ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ يُوسُفَ لَمَّا وَفَدَ إِلَى الْوَلِيدِ اشْتَرَى مِنْهُ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ بِخَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفٍ يُخَلِّصُهَا مِنْهُ، فَمَا زَالَ يُعَاقِبُهُ، وَيَسْتَخْلِصُ مِنْهُ حَتَّى قَتَلَهُ، فَغَضِبَ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ قَتْلِهِ، وَخَرَجُوا عَلَى الْوَلِيدِ. وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ: حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ:
পৃষ্ঠা - ৭৭৯০


বিশর ইবন মুকবিল বলল, হে আমিরুল মু’মিনীন ! পাপিষ্ঠ ওয়ালীদের নিহত হবার সুসংবাদ গ্রহণ
করুন ৷ সংবাদ শুনে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে তিনি সিজদাবনত হন ৷ সংশ্লিষ্ট
সৈন্যগণ খলীফা ইয়াযীদের নিকট ফিরে আসে ৷ বায়আতের প্রতিক্রিয়া সর্বপ্রথম ইয়াযীদ ইবন
আম্বাসা সাকসাকীই খলীফা ইয়াযীদের হাতে হাত রাখেন ৷ ইয়াযীদ নিজের হাত টেনে নেন এবং
বলেন, হে আল্লাহ ! আমার এই থিলাফত প্রাপ্তি যদি আপনার সন্তোষ সংশ্লিষ্ট হয় তাহলে এই
কাজে আপনি আমাকে সাহায্য করবেন ৷ যারা ক্ষমতাচ্যুত খলীফ৷ ওয়ালীদের কর্তিত মাথা
এনেছিল তিনি তাদেরকে এক লক্ষ দিরহাম পুরস্কার দিয়েছিলেন ৷ তারা মাথা নিয়ে ইয়াযীদের
দরবারে উপস্থিত হয়েছিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ৷ কেউ বলেছেন বুধবারে ৷ এটি ছিল ১২৬
হিজরী সনের জুমাদাল উখরা মাসের দুই দিন বাকী থাকা দিনের ঘটনা ৷

ওই কর্তিত মাথা একটি বর্শার মাথায় পেথে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরানোর নির্দোণ দেন
খলীফা ৷ কিন্তু তাকে বলা হল যে, এভাবে আচরণ করা হয় খারিজিদের ক্ষেত্রে ৷ কিন্তু খলীফা
বললেন, আল্লাহর কসম ! আমি ওই মাথা লাঠির মাথায় স্থাপন করবই ৷ তারপর বর্শার মাথায় ওই
কর্তিত মাথা পেথে শহরে শহরে ঘুরানাে হয় ৷ তারপর এক মাসের জন্যে ওই মাথা এক ব্যক্তির
তত্ত্বড়াবধানে রাখা হয় ৷ এরপর ওই মাথা তার ভাই সুলায়মান ইবন ওয়ড়ালীদের নিকট হস্তান্তর করা
হয় ৷ তার সাথে সম্পর্কচ্যুতির ইঙ্গিত দিয়ে তার ভাই সুলায়মান বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুই
ছিলি মদ্যপ, লম্পট এবং পাপিষ্ঠ ৷ সে আমাকেও ওই পাপের পথে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেছে ৷
আমি তো তার ভাই ৷ বস্তুত ওয়ালীদ যে কোন পাপের কাজ অনায়াসে করে ফেলত ৷ কেউ কেউ
বলেছেন যে, দামেষ্কের জামে মসজিদের মাঠ সংলগ্ন পুর্ব প্রাচীরে তার মাথা ঝুলিয়ে রাখা
হয়েছিল ৷ উমাইয়া শাসনের পতনকাল পর্যন্ত তার মাথা ওখানে ঝুলন্ত ছিল ৷ কেউ কেউ বলেছেন,
সেটি তার ঝুলানাে মাথা নয় বরং সেটি ছিল তার রক্তের চিহ্ন ৷ ওয়ালীদ যখন নিহত হয় তখন
তার বয়স হয়েছিল ৩৬ বছর ৷ কেউ বলেছেন ৩৮ বছর ৷ কেউ বলেছেন ৩১ বছর ৷ কেউ
বলেছেন ৩২ ৷ কেউ বলেছেন ৩৫ ৷ আবার কেউ বলেছেন ৪৬ বছর ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত অনুসারে
তার শাসনকাল ছিল এক বছর ছয়মাস ৷ কেউ বলেছেন এক বছর তিন মাস ৷

ইবন জারীর বলেছেন যে, উমাইয়া শাসক ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ ছিল একজন শক্তিমান
শাসক ৷ তার পায়ের আঙ্গুলগুলো ছিল লম্বা লম্বা ৷ তার জন্যে মাটিতে লোহার খুটি পুতে রাখা হত
এবং একটি রশি দ্বারা ওই খুটি তার পায়ের সাথে বেধে দেওয়া হত ৷ এরপর সে ঘোড়ার দেহ
স্পর্শ না করে লাফ দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ত ৷ তার লাফ দেওয়ার সাথে সাথে প্রচণ্ড টানে ওই
লোহার খুটি মাটি থেকে উপড়ে এসে পড়ত ৷

ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের শাসন
পরিচালনা
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের উপাধি ছিল “আল্-নাকিছ বা হ্রাসকারী” পুর্ববর্তী খলীফা
জনসাধারণের জন্য বাদ্রীয় ভাতার যতটুকু বৃদ্ধি করেছিল ইয়াযীদ খলীফা হবার পর তা ছাটাই ও
হ্রাস করে দেন ৷ তাই তার উপধি হয় আল-নাকিছ বাহ্রাসকারী ৷ ওয়ালীদ দশ দিরহাম বৃদ্ধি
করেছিল ইয়াযীদ তা কমিয়ে দিয়েছিলেন এবং হিশামের শাসনামলে যে পরিমাণ ছিল তাতে


كُنْتُ عِنْدَ الْمَهْدِيِّ فَذُكِرَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ فَقَالَ رَجُلٌ فِي الْمَجْلِسِ: كَانَ زِنْدِيقًا. فَقَالَ الْمَهْدِيُّ: خِلَافَةُ اللَّهِ عِنْدَهُ أَجَلُّ مِنْ أَنْ يَجْعَلَهَا فِي زِنْدِيقٍ. وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ عُمَيْرِ بْنِ جَوْصَاءَ الدِّمَشْقِيُّ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَسَنِ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، ثَنَا حُصَيْنُ بْنُ الْوَلِيدِ عَنِ الْأَزْهَرِيِّ بْنِ الْوَلِيدِ قَالَ: سَمِعْتُ أُمَّ الدَّرْدَاءِ تَقُولُ: إِذَا قُتِلَ الْخَلِيفَةُ الشَّابُّ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بَيْنَ الشَّامِ وَالْعِرَاقِ مَظْلُومًا، لَمْ تَزَلْ طَاعَةٌ مُسْتَخَفًّا بِهَا، وَدَمٌ مَسْفُوكًا عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ بِغَيْرِ حَقٍّ. قَالَ الْإِمَامُ أَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ الطَّبَرِيُّ: [ذِكْرُ قَتْلِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَكَيْفَ قُتِلَ] ذِكْرُ قَتْلِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: النَّاقِصُ. لِلْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ وَكَيْفَ قُتِلَ قَدْ ذَكَرْنَا بَعْضَ أَمْرِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ وَخَلَاعَتِهِ وَمَجَانَتِهِ، وَمَا ذُكِرَ عَنْهُ مِنْ تَهَاوُنِهِ وَاسْتِخْفَافِهِ بِأَمْرِ دِينِهِ قَبْلَ خِلَافَتِهِ، وَلَمَّا وَلِيَ الْخِلَافَةَ وَأَفْضَتْ إِلَيْهِ لَمْ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯১


নামিয়ে এসেছিলেন ৷ কথিত আছে যে, সর্বপ্রথম মারওয়ান তাকে এই নিন্দাসুচক উপাধি প্রদান
করে ৷ খলীফা ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হবার পর ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ
আনুষ্ঠানিকভাবে খিলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ৷ সেটি ছিল এই হিজরী সনের অর্থাৎ ১২৬ হিজরী
সনের জুমাদাল-উখৃরা নামের দুই দিন অবশিষ্ট থাকার দিন জুমুআবার ৷ খিলাফতের দায়িতৃ
গ্রহণের পুর্বেও ইয়াযীদের মধ্যে সততা ও পরহিযগারী ছিল ৷

খিলাফতের পদে অধিষ্ঠিত হবার পর সর্বপ্রথম তিনি যে কাজ করেছিলেন তা হল সৈনিকদের
ভাতা কমিয়ে দেওয়া ৷ ওয়ালীদের আমলে ভাতার যে পরিমাণ বর্ধিত করা হয়েছিল অর্থাৎ বার্ষিক
দশ দিরহাম ইয়াযীদ তা কমিয়ে দেন ৷ এজনো তিনি নাকিছ বড়াহ্রাসকারী নামে পরিচিত হন ৷
উদাহরণরুপে বলা হয় যে, মারওয়ান বংশীয় খলীফাদের মধ্যে মুখ কাটা ও ভাতাহ্রাসকারী এই
দুইজন হল সর্বাধিক ন্যায়পরায়ণ খলীফা ৷ অর্থাৎ উমার ইবন আবদুল আযীয এবং আলোচ্য
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ এই দুজন শ্রেষ্ঠতম ন্যায়পরায়ণ উমাইয়া খলীফা ৷

ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের খিলাফতকাল দীর্ঘ হয়নি ৷ এই বছরের শেষ দিকে তিনি মারা যান ৷
তার শাসনকালে চারিদিকে ৰিশৃৎখলা সৃষ্টি হয় ৷ ফিত্না-ফাসাদ দেখা দেয় এবং উমাইয়্যাদের
মধ্যে পরস্পর মতবিরোধে জড়িয়ে পড়ে ৷ ফলে একপর্যায়ে সুলায়মান ইবন হিশাম নিজেকে
খলীফারুপে ঘোষণা করেন ৷ ওয়ালীদের শাসনামলে তিনি ওমড়ানে বন্দী জীবন কাঠিয়েছিলেন ৷
ইয়াযীদের শাসনামলে তিনি বন্দী দশা হতে মুক্তি পান এবং ওমানের ধনসম্পদের উপর নিজের
কর্তৃতু ঘোষণা করেন ৷ তিনি দামেষ্কে আগমন করেন এবং ওয়ালীদের প্ৰতি লানত বর্ষণ, তার
দৃর্নাম এবং তাকে কুফরীর অপরাধে অভিযুক্ত করেন ৷ ইয়াযীদ তাকে সম্মান দেখালেন এবং
ওয়ালীদের দখল থেকে উদ্ধার করা তার ধন-সস্পদ তাকে ফিরিয়ে দিলেন ৷ ইয়াযীদ সুলায়মানের
এক বোনকে বিয়ে করেন ৷ ওই মেয়ের নাম উম্মু হিশাম বিনত হিশাম ৷ হিমসের জনসা ধারণ
তাদের অঞ্চলে অবস্থিত আব্বাস ইবন ওয়ালীদের ঘরবাড়ি সব ভেঙ্গে ফেলে এবং তার
পরিবার-পরিজন ও ছেলেদেরকে বন্দী করে রাখে ৷ আব্বাস হিমস হতে পালিয়ে দামেষ্কে
ইয়াযীদের নিকট চলে আসে ৷

এদিকে হিমসের জনসাধারণ সাবেক খলীফা ওয়ালীদের হত্যাকাণ্ডের প্ৰতিশোধ গ্রহণের দাবী
তোলে ৷ তারা শহরের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ওয়ালীদের মৃত্যু রেদনায় কান্নাকাটি
আহজােরি ও বিলাপ জুড়ে দেয় ৷ স্থানীয় সৈন্যদের সাথে তারা লিখিত প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ হয় ওয়ালীদ
হত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্যে ৷ সৈন্যদের একটি বড় অংশ তাদের আহ্বানে সাড়া দেয় এই শর্তে
যে, তারা জয়ী হলে ওয়ালীদের নির্ধারিত উত্তরাধিকারী হাকাম ইবন ওয়ালীদকে খিলড়াফতের পদে
আসীন করবে ৷ অভিযান সফল হলে তারা হিমসের বর্তমান শাসক মারওয়ান ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানকে বরখাস্ত করে তাকে এবং তার ছেলেকে হত্যা করবে ৷ তারপর
মুআবিয়া ইবন ইয়াযীদ ইবন হুসায়নকে হিমসের শাসনকর্তারুপে গ্রহণ করবে ৷

তাদের পরিকল্পনার সংবাদ খলীফা ইয়াযীদের নিকট পৌছে যায় ৷ ইয়াকুব ইবন হানীর
মাধ্যমে তিনি ওদের নিকট একটি পত্র পাঠান ৷ পত্রের বিষয়বস্তু ছিল এই যে , খলীফা
তােমাদেরকে পরামর্শভিত্তিক কাজ পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছেন ৷ আমর ইবন কায়স বলল,
তবে আমরা খলীফা হিসেবে পুর্ব থেকে নির্ধারিত হাকাম ইবন ওয়ালীদকে গ্রহ ণ করব ৷ একথা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ :ম খণ্ড)-৫


يَزْدَدْ فِي الَّذِي كَانَ فِيهِ مِنَ اللَّهْوِ وَاللَّذَّةِ وَالرُّكُوبِ إِلَى الصَّيْدِ وَشُرْبِ الْمُسْكِرِ وَمُنَادَمَةِ الْفُسَّاقِ، إِلَّا تَمَادِيًا وَجِدًّا، فَثَقُلَ ذَلِكَ مِنْ أَمْرِهِ عَلَى رَعِيَّتِهِ وَجُنْدِهِ، وَكَرِهُوهُ كَرَاهَةً شَدِيدَةً، وَكَانَ مِنْ أَعْظَمِ مَا جَنَى عَلَى نَفْسِهِ حَتَّى أَوْرَثَهُ ذَلِكَ هَلَاكَهُ، إِفْسَادُهُ عَلَى نَفْسِهِ بَنِي عَمَّيْهِ هِشَامٍ، وَالْوَلِيدِ مَعَ إِفْسَادِهِ الْيَمَانِيَةَ وَهُمْ عُظْمُ جُنْدِ خُرَاسَانَ ; وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا قَتَلَ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ وَسَلَّمَهُ إِلَى غَرِيمِهِ يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ الَّذِي هُوَ نَائِبُ الْعِرَاقِ إِذْ ذَاكَ، فَلَمْ يَزَلْ يُعَاقِبُهُ حَتَّى هَلَكَ، انْقَلَبُوا عَلَيْهِ وَتَنَكَّرُوا لَهُ، وَسَاءَهُمْ قَتْلُهُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ فِي تَرْجَمَتِهِ. ثُمَّ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ بِسَنَدِهِ، أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ يَزِيدَ ضَرَبَ ابْنَ عَمِّهِ سُلَيْمَانَ بْنَ هِشَامٍ مِائَةَ سَوْطٍ، وَحَلَّقَ رَأْسَهُ وَلِحْيَتَهُ، وَغَرَّبَهُ إِلَى عَمَّانَ، فَحَبَسَهُ بِهَا، فَلَمْ يَزَلْ هُنَاكَ حَتَّى قُتِلَ الْوَلِيدُ وَأَخَذَ جَارِيَةً كَانَتْ لِآلِ عَمِّهِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، فَكَلَّمَهُ فِيهَا عُمَرُ بْنُ الْوَلِيدِ فَقَالَ: لَا أَرُدُّهَا. فَقَالَ: إِذَنْ تَكْثُرَ الصَّوَاهِلُ حَوْلَ عَسْكَرِكَ. وَحَبَسَ الْأَفْقَمَ يَزِيدَ بْنَ هِشَامٍ وَبَايَعَ لِوَلَدَيْهِ الْحَكَمِ وَعُثْمَانَ وَكَانَا دُونَ الْبُلُوغِ، فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ أَيْضًا، وَنَصَحُوهُ فَلَمْ يَنْتَصِحْ، وَنَهَوْهُ فَلَمْ يَرْتَدِعْ وَلَمْ يَقْبَلْ. قَالَ الْمَدَائِنِيُّ فِي رِوَايَتِهِ: ثَقُلَ ذَلِكَ عَلَى النَّاسِ، وَرَمَاهُ بَنُو هِشَامٍ وَبَنُو
পৃষ্ঠা - ৭৭৯২


শুনে পত্রবাহক ইয়াকুব আমরের র্দড়াড়ি চেপে ধরে এবং বলে যে, ধিক তোমার জন্যে, তুমি যাকে
খলীফা বানানোর প্রস্তাব করেছ সে এতই অযােপ্য যে, সে যদি তোমার তত্ত্বাবধানে থাকা ইয়াতীম
হত তখন ওর সম্পদ ওকে হস্তান্তর করা তোমার জন্যে জাইয হত না, তাহলে তুমি সমগ্র
জনসাধারণের দায়িত্ব কী করে তার হাতে ন্যস্ত করবে ?

এ ঘটনার পর হিম্সের জনগণ সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে সরকারী প্রতিনিধি ও
দুতদেরকে তাড়িয়ে দেয় এবংহিম্স রাজ্য হতে বের করে দেয় ৷ ওদেরই একজন আবু মুহাম্মদ
ছুফয়ানী বলল, আমি নিজে যদি দামেষ্কে যাই, তবে ওদের দুইজন ল্যেকও আমার বক্তব্যের
বিরোধিতা করবে না ৷ ফলে আবু মুহাম্মদ ছুফয়ানীর নেতৃচব্ষ্ একদল হিমসবাসী দামেস্কের
উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ তাদের আমীর নিযুক্ত হয় আবু মুহাম্মদ সুফয়ানী ৷

এদিকে ওদেরকে মুকাবিলা করার জন্যে খলীফা ইয়াযীদ সৃলায়মান ইবন হিশামের নেতৃতু
একটি বড় সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ অনুরুপ একটি দল প্রেরণ করেন আবদুল আযীয ইবন
ওয়ালীদের নেতৃত্বে ৷ এই দলে সৈন্য সংখ্যা ছিল ৩০০০ ৷ এদেরকে ছানিয়দ্বাতুল ইকারে অবস্থান
নিতে বলা হয় ৷ হিশাম ইবন মুসাদ মাযীর নেতৃত্বে ১৫০০ সৈন্যের অপর একটি দল পাঠানো হয়
সুলামিয়্যা পার্বত্য পথে অবস্থান নেওয়ার জন্যে ৷

হিম্সের জনগণ সুলায়মড়ান ইবন হিশড়াম ও তার বাহিনীকে বামে রেখে এগিয়ে যায় ৷ তাদের
গতিবিধি জানতে পেরে সুলায়মান ওদের খোজে অগ্রসর হয় এবং সুলায়মানিয়ব্রড়া অঞ্চলে গিয়ে
ওদের নগােল পায় ৷ তারা যায়ভুন বাগানকে ডানে পার্বত্য অঞ্চলকে বামে এবং হাইয়াতকে
পেছনে রেখে এগিয়ে গেল ৷ ফলে শুধু একদিক দিয়েই ওদের উপর আক্রমণের সুযোগ ছিল ৷
ওখানে উভয় পক্ষ তুমুল যুদ্ধ হয় ৷ উভয় পক্ষে নিহত হয় বহু লোক ৷ এক পর্যায়ে নিজের
সেনাদলসহ আবদুল আযীয ইবন ওয়ালীদ এগিয়ে এসে যুগপৎ আক্রমণ চালান হিমৃস বাহিনীর
উপর ৷ আক্রমণ সামলাতে না পেরে হিমস বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ৷ তারা পাহাড়ের চুড়ায় উঠে
যায় ৷ পরাজয় বরণ করে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পালিয়ে যায় ৷ সরকারী বাহিনী ওদেরকে তাড়া করে ৷
ওদের কতককে হত্যা করে ৷ কতককে বন্দী করে ৷ এরপর ঘোষণা করে যে, খলীফা ইয়াযীদের
হাতে বায়আত করলে যুদ্ধ বিরতি চলবে ৷ হিম্সের বহু লোক বন্দী হয়েছিল ৷ আবু মুহাম্মদ
সুফয়ানী এবং ইয়াযীদ ইবন খালিদ ইবন মুআবিয়া ছিল তাদের অন্যতম ৷

এরপর সুলায়মান এবং আবদুল আষীয তাদের সেনাদল ও হড্রান্ত্র লোকদেরকে সাথে নিয়ে
আমরা গমন করেন ৷ হিম্সের অভিজাত লোকজন এবং আত্মসমর্পণকড়ারী লোকদেরকেও তারা
সাথে নিয়েছিলেন ৷ বস্তুত এই যুদ্ধে তিনশত হিম্সবাসী মারা যায় ৷ তারা সবাইকে নিয়ে খলীফা
ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের নিকট গমন করে ৷ খলীফা তাদেরকে সাদরে বরণ করেন ৷ ক্ষমাপ্রাথী ও
লজ্জিত হিমসবাসীদেরকে তিনি ক্ষমা করে দেন ৷ তাদের রম্ভীয় ভাতা চালু করে দেন ৷ ওরা তার
প্রতি সভুষ্ট হয় এবং খলীফার আনুগত্য মেনে নিয়ে দামেস্কে তার নিকট বসবাস করতে থাকে ৷

এই হিজরী সনে ফিলিস্তিনের নাগরিকগণ সুলায়মান ইবন আবদুল মালিকের ছেলে ইয়াযীদের
খলীফারুপে গ্রহণ করে এবং তার হাতে বায়আত করে ৷ ওখানে বনু সুলায়মান তথা সুলায়মান
পরিবারের কিছু জমি-জমা ও ধন-সস্পদ ছিল ৷ ওই জমি-জমা ও ধন-সস্পদের আয় উপার্জন তারা
স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ৰিলিয়ে দিত ৷ এজন্যে ফিলিন্তিনীরা তাদেরকে তালরাসত ৷ খলীফা


الْوَلِيدِ بِالْكَفْرِ وَغَشِيَانِ أُمَّهَاتِ أَوْلَادِ أَبِيهِ، وَقَالُوا: قَدِ اتَّخَذَ مِائَةَ جَامِعَةٍ، عَلَى كُلِّ جَامِعَةٍ اسْمُ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ لِيَقْتُلَهُ بِهَا، وَرَمَوْهُ بِالزَّنْدَقَةِ، وَكَانَ أَشَدَّهُمْ فِيهِ قَوْلًا يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَكَانَ النَّاسُ إِلَى قَوْلِهِ أَمْيَلُ ; لِأَنَّهُ أَظْهَرَ النُّسُكَ وَالتَّوَاضُعَ، وَجَعَلَ يَقُولُ: مَا يَسَعُنَا الرِّضَا بِالْوَلِيدِ. حَتَّى حَمَلَ النَّاسَ عَلَى الْفَتْكِ بِهِ. قَالُوا: وَانْتُدِبَ لِلْقِيَامِ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ قُضَاعَةَ وَالْيَمَانِيَةِ وَخَلْقٌ مِنْ أَعْيَانِ الْأُمَرَاءِ وَآلِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَآلِ هِشَامِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، وَكَانَ الْقَائِمَ بِأَعْبَاءِ ذَلِكَ كُلِّهِ وَالدَّاعِيَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَهُوَ مِنْ سَادَاتِ بَنِي أُمَيَّةَ وَكَانَ يُنْسَبُ إِلَى الصَّلَاحِ وَالدِّينِ وَالْوَرَعِ، فَبَايَعَهُ النَّاسُ عَلَى ذَلِكَ، وَقَدْ نَهَاهُ عَنْ ذَلِكَ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ فَلْمْ يَقْبَلُ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْلَا أَنِّي أَخَافُ عَلَيْكَ الْوَلِيدَ لَقَيَّدْتُكَ وَأَرْسَلْتُكَ إِلَيْهِ. وَاتَّفَقَ خُرُوجُ النَّاسِ مِنْ دِمَشْقَ مِنْ وَبَاءٍ وَقَعَ بِهَا، فَكَانَ مِمَّنْ خَرَجَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ نَحْوَ الْمِائَتَيْنِ، إِلَى نَاحِيَةِ مَشَارِفِ دِمَشْقَ، فَانْتَظَمَ لِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ أَمْرُهُ، وَجَعَلَ أَخُوهُ الْعَبَّاسُ يَنْهَاهُ عَنْ ذَلِكَ أَشَدَّ النَّهْيِ، فَلَا يَقْبَلُ، فَقَالَ الْعَبَّاسُ فِي ذَلِكَ:
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৩

ইবন ইয়াষীদ নিহত হবার পর ওই অঞ্চলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সাঈদ ইবন রওহ ইবন যমরগ
স্থানীয জনগ ণকে খলীফরহ্পে ইয়াষীদ ইবন সুলয়মন ইবন আবদুল মালিকের হতে বয়আত
গ্রহণের আহ্বান জনয় ৷ তারা তার ডাকে সারা দেয় এবং সুলয়মানকে খলীফা রুপে গ্রহণ করে ৷

জর্দনের জনগণ এই বিষয়টি অবগত হয় ৷ তারা তখন মুহাম্মদ ইবন আবদুল মালিক ইবন
মরওয়নের হাতে বয়আত করে তাকে খলীফা মনোনীত করে ৷ এসব সংবাদ কোন্দ্র খলীফা
ইয়াযীদের নিকট পৌছে তিনি দমেস্কের লোকজন এবং সেখানে উপস্থিত হিমসের, অধিবাসীদের
সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনী সুলয়মান ইবন ইিশামের নেতৃত্বে জর্দ ন ও ফিলিস্তিনের উদ্দেশ্যে
প্রেরণ করেন ওই বাহিনী জর্দন এসে পৌছলে তারা (কশ্ৰীয় বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে
এবং কেরুন্দ্রর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে অনুরুপতা বে ফিলিস্তিনীরাও (কদ্রীয় খলীফা র প্ৰতি
আনুগত্য প্রকাশ করে ৷

খলীফা ইয়াষীদ তর ভ ই ইররহীম ইবন ওয়লীদকে বামল্লাহ এবং তা সংলগ্ন অঞ্চলের
প্রশাসক নিয়োগ করেন ৷ তারপর সে সব অঞ্চলে শ্ ন্তি ও ন্থিতিশীলত ফিরে আসে ৷ অমীরুল
মু মিনীন খলীফা ইয়াষীদ ইবন ওয়া লীদ দামেস্কে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে একটি গুরুহু পুর্ণ ৩ ষণ
দেন ৷ তিনি মহান অ ল্লাহ্র প্রশংসা করার পর বললেন ং

হে লোক সকল ! আমি গৌরব প্রদর্শনের জন্যে, অহংকার করা জন্যে এবং পার্থিব
লো লালস র বশরর্তী হয়ে খলীফর পদে বসেনি কিংবা রাজতৃ করার খরেশ নিয়েওত
করিনি ৷ আমি নিজেকে খুব উপযুক্তও মনে করি না আমি বরং নিজের প্রতি অন্যায়ই করেছি ৷
আমার প্রতিপলক যদি আমাকে দয়া না করেন তাহলে আ মি ধ্বংস-ই হয়ে যাব তবে মহান
আল্লাহ, তর রাসুল এবং তার দীনের প্রতি অবমননয় বিক্ষুব্ধ হয়ে আমি এ পথে নেমেছি ৷ আমি
মহান আল্লাহর প্রতি, তার কিত বের প্রতি এবং নবী মুহাম্মদ (সা) এর সুন্নবুত তর প্রতি
আহ্বানকরীরুপে এ পথে প বাড়িয়েছি ৷ আমি ঠিক সেই পরিস্থিতিতে এ কাজে নেমেছি যখন
দীনের নিদর্শনগুলো ধ্বংস হয়ে যচ্ছিল, তকওয়বানদের জ্যেতি নির্বাসিত হয়ে যচ্ছিল এবং
প্রত্যেক নিষিদ্ধ কর্যকে সিদ্ধ জ্ঞনকরী স্বৈরড়াচারী ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছিল ৷ যখন সকল বিদৃআত
বাস্তবায়নকরী দোর্দণ্ড প্রতপে তার মনস্কামনা পুর্ণ করে যাচ্ছিল ৷ যখন ওই স্বৈরাচরীর অম্ভরে
মহান আল্লাহর কিতাব কুরআন মজীদের প্রতি সত্যায়ন ছিল না এবং যে বিচার দিবসের প্রতি
বিশ্বাসী ছিল না বস্তুত বংশীয় দৃষ্টিকোণ হতে যে আমার চচত ভ ই ছিল ৷ মন-মর্যদায় সে
আমার সমকক্ষ ছিল ও তার এই অবনতিশীল অবস্থা দেখে আমি তার ব্যা পারে মহান আল্লাহর
নিকট ইসতিখ রা করেছি, কল্যাণের পথ কামনা করেছি এবং মহান আল্লাহর নিকট দু আ করেছি
যে, তিনি যেন আমাকে আমার প্রতি ছেড়ে না দেন ৷ আমার সুহৃদ যারা আমি এ কাজে
সহযোগিতা রজন্যে তাদেরকে আহ্বান জ নিয়েছি ৷ যারা সাড ড় দেওয়ার তরস ড়াদিয়েছে ৷ আ মি
এ বিষয়ে যথাসা ধ্য চেষ্টা করেছি অবশেষে ওই পপিষ্ঠের প পচ রিত হতে মহান আল্লাহ তা
বন্দদেরকে এবং এই শহর ও জনপদকে রক্ষা করেছেন এসব হয়েছে মহান আল্লাহর শক্তি ও
ক্ষমতার ৷ আমার ক্ষমতায় নয় ৷

হে লোক সকল ! আপনারা আমার প্রতি কড়া নজর রাখবেন আমি যেন ব্যক্তিগত স্ব র্থে
একটি পাথরের উপর একটি পাথর ন রাখি একটি ইটের উপর একটি ইট ন রাখি আমি কোন ষ্


إِنِّي أُعِيذُكُمُ بِاللَّهِ مِنْ فِتَنٍ ... مِثْلِ الْجِبَالِ تَسَامَى ثُمَّ تَنْدَفِعُ إِنَّ الْبَرِيَّةَ قَدْ مَلَّتْ سِيَاسَتَكُمْ ... فَاسْتَمْسِكُوا بِعَمُودِ الدِّينِ وَارْتَدِعُوا لَا تُلْحِمُنَّ ذِئَابَ النَّاسِ أَنْفُسَكُمْ ... إِنَّ الذِّئَابَ إِذَا مَا أُلْحِمَتْ رَتَعُوا لَا تَبْقُرُنَّ بِأَيْدِيكُمْ بُطُونَكُمُ ... فَثَمَّ لَا حَسْرَةٌ تُغْنِي وَلَا جَزَعُ فَلَمَّا اسْتَوْسَقَ لِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ أَمْرُهُ، وَبَايَعَهُ مَنْ بَايَعَهُ مِنَ النَّاسِ، قَصَدَ دِمَشْقَ فَدَخَلَهَا فِي غَيْبَةِ الْوَلِيدِ فَبَايَعَهُ أَكْثَرُ أَهْلِهَا فِي اللَّيْلِ، وَبَلَغَهُ أَنَّ أَهْلَ الْمِزَّةِ قَدْ بَايَعُوا كَبِيرَهُمْ مُعَاوِيَةَ بْنَ مَصَادٍ فَمَضَى إِلَيْهِ يَزِيدُ مَاشِيًا فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَأَصَابَهُمْ فِي الطَّرِيقِ مَطَرٌ شَدِيدٌ، فَأَتَوْهُ فَطَرَقُوا بَابَهُ لَيْلًا، ثُمَّ دَخَلُوا، فَكَلَّمَهُ يَزِيدُ فِي ذَلِكَ، فَبَايَعَهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ مَصَادٍ ثُمَّ رَجَعَ يَزِيدُ مِنْ لَيْلَتِهِ إِلَى دِمَشْقَ عَلَى طَرِيقِ الْقَنَاةِ وَهُوَ عَلَى حِمَارٍ أَسْوَدَ، فَحَلَفَ أَصْحَابُهُ أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ دِمَشْقَ إِلَّا فِي السِّلَاحِ، فَلَبِسَ سِلَاحًا مِنْ تَحْتِ ثِيَابِهِ فَدَخَلَهَا، وَكَانَ الْوَلِيدُ قَدِ اسْتَنَابَ عَلَى دِمَشْقَ فِي غَيْبَتِهِ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَجَّاجِ بْنِ يُوسُفَ الثَّقَفِيَّ وَقَدْ خَرَجَ مِنْهَا أَيْضًا مِنَ الْوَبَاءِ فَهُوَ مُقِيمٌ بِقَطَنَا وَاسْتَخْلَفَ ابْنَهُ عَلَى دِمَشْقَ، وَعَلَى شُرْطَتِهَا أَبُو الْعَاجِ كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ السُّلَمِيُّ، فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ اجْتَمَعَ أَصْحَابُ يَزِيدَ بَيْنَ الْعِشَائَيْنِ عِنْدَ بَابِ الْفَرَادِيسِ فَلَمَّا أُذِّنَ لِعَشَاءِ الْآخِرَةِ دَخَلُوا الْمَسْجِدَ، فَلَمَّا لَمْ يَبْقَ فِي الْمَسْجِدِ غَيْرُهُمْ بَعَثُوا إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৪


নদ-নদী ইজারা না দিই ৷ ব্যক্তিগত ধন-সম্পদ বৃদ্ধি না করি এবং রম্ভীয় সম্পদ স্বীয় স্তী-সন্তানকে
না দিই ৷ সংশ্লিষ্ট জনপদের অধিবাসীদের প্রয়োজন পুরণ এবং ওই জনপদের অভাবমোচনঃ ব্যতীত
অন্য শহরে যেন সম্পদ স্থানান্তর না করি ৷ ওই জনপদের প্রয়োজন পুর্ণ হবার পর কিছু উদ্বুত্ত
থাকলে সেটি নিকটরর্তীঅভাবপ্রস্ত জনপদে স্থানান্তরিত করব বটে ৷ আমি আপনাদের মনােবেদনা
সৃষ্টি করব না যে, আপনারা এবং আপনাদের পরিবার-পরিজন কষ্ট পাবে ৷ আপনাদের জন্যে আমি
আমার দরজা বন্ধ করে দিব না যে, সরল লোকেরা দুর্বল লোকদেরকে খেয়ে ফেলবে ৷ আপনাদের
করদাতাদেব উপর আমি এমন কর ধার্য করব না যাতে তাদেরকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়
এবং যাযাবর জীবন যাপন করতে হয় ৷ আমি প্রতি বছর আপনাদেরকে রম্ভীয় ভাতা প্রদান করব
এবং প্রতি মাসের খাদ্য প্রদান করব ৷ ফলে মুসলমান জনগােষ্ঠির জীবন হবে স্বচ্ছল ও
স্বাচ্ছন্দাময় ৷ তখন তাদের উচুনীচু সবার জীবন মান সমান হয়ে যাবে ৷

আমি যা বলেছি আমি যদি তা পুরণ করি তাহলে আপনারা আমার কথা মানবেন ৷ নির্দেশ
পালন করবেন এবং আমার সহযোগিতা করবেন ৷ আর যদি আমি তা না করি তাহলে আপনারা
আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবেন কিংবা আমাকে সংশোধন করতে পারবেন ৷ আমি যদি
সংশোধিত হই তাওবা করি আপনা রা৷ আমার তাওবা গ্রহণ করবেন ৷ আর আপনারা যদি এমন
কোন সৎ ও দীনদার মানুষ খুজে পান, যে আপনাদেরকে আমার ন্যায় সেবা প্রদান করবে আর
আপনারা যদি তার হাতে বায়আত করতে চান তবে তাও পারেন সেক্ষেত্রে আমি সর্বপ্রথম ওই
ব্যক্তির হাতে বায়আত করব এবং৩ ৷ তার আনুগত্যে প্রবেশ করব ৷

হে লোক সকল ! মহান আল্লাহর নাফরমা নী ও অবাধ হয়ে কোন মানুষের আনুগত্য করা
যাবে না ৷ মুলত একমাত্র আল্লাহ্রই আনুগত্য করতে হবে ৷ কেউ মহান আল্লাহর অ নুগত৷ করলে
আপনারা ততক্ষণ তার আনুগত্য করবেন ৷ সে যদি মহান আল্লাহর নাফরমানী করে কিংবা অন্যকে
মহান আল্লাহর নাফরমানীর দিকে আহ্বান করে তাহলে সে ব্যক্তির আনুগত্য করা যাবে না ৷ তার
নির্দেশ মানা যাবে না ৷ বরং তাকে হত্যা ও অপমানিত করা হবে ৷ আমি এই বক্তব্য প্রদান করছি
এবং আমার ও আপনাদের জন্যে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ৷

এই হিজরী সনে খলীফ৷ ইযাযীদ ইবন ওয়ালীদ ইরাকের শাসনকর্তার পদ থেকে ইউসুফ
ইবন উমরকে বরখাস্ত করেন ৷ কারণ, ইয়ামানী জনগণের প্রতি তার অ৩ আচার ও বিশ্বের প্রকাশ
পেয়েছিল ৷ মুলত ইয়ামানী জনগণ ছিল যা লিদ ইবন আবদৃল্লাহ্র সম্প্রদায় ৷ ওয়া ৷লীদ ইবন ইযাযীদ
নিহত হওয়া পর্যন্ত ওরা খালিদ ইবন আবদৃল্লাহ্র অনুগামী ছিল ৷ ইউসুফ ইবন উমর অধিকাংশ
ইয়ামানী সােকজনকে বন্দী করে রেখেছিল এবং কেদ্রীয় সেনাবাহিনী যাতে ইরাক প্রবেশ করতে
না পারে সেজন্য পার্বত্য পথে সশস্ত্র প্রহরার ব্যবস্থা করেছিল ৷ ফলে আমীরুল মু’মিনীন খলীফা
ইযাযীদ তাকে বরখাস্ত করেন এবং তদন্থলে মানসুর ইবন জামহুরকে সিন্ধু সিজিস্তান ও
থুরাসানসহ ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন ৷ মানসুর ছিল একজন রুক্ষ মেজাজের গ্রাম্য
লোক ৷ গায়লানী কাদরিয়্যা মতবাদের অনুসারী ছিল সে ৷ তবে পাপাচারী খলীফ৷ ওয়ালীদ ইবন
ইয়াযীদের হত্যাকাণ্ডেত ৷র ৷সক্রিয় ভুমিকা ৷ছিল ৷ এজন্যে ক্ষমতাসীন খলীফ৷ ইয়াযীদের নিকট তার
একটি গুরুহু পুর্ণ অবস্থান ছিল ৷ কথিত আছে যে, ওয়া ৷লীদের হত্যাকাণ্ডের ঝামেলা শেষ হবার পর
মানসুর দ্রুত ইরাক গমন করে এবং নবনিযুক্ত খলীফ৷ ইয়াযীদের পক্ষে সেখানে আম-জনতার


فَجَاءَهُمْ، فَقَصَدُوا بَابَ الْمَقْصُورَةِ فَفَتَحَ لَهُمْ خَادِمٌ، فَدَخَلُوا فَوَجَدُوا أَبَا الْعَاجِ وَهُوَ سَكْرَانُ، فَأَخَذُوهُ وَأَخَذُوا خُزَّانَ بَيْتِ الْمَالِ، وَتَسَلَّمُوا الْحَوَاصِلَ، وَتَقْوَوْا بِالْأَسْلِحَةِ، وَأَمَرَ يَزِيدُ بِإِغْلَاقِ أَبْوَابِ الْبَلَدِ، وَأَنْ لَا يَفْتَحَ إِلَّا لِمَنْ يَعْرِفُ، فَلَمَّا أَصْبَحَ النَّاسُ قَدِمَ أَهْلُ الْحَوَاضِرِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ، فَدَخَلُوا مِنْ سَائِرِ أَبْوَابِ الْبَلَدِ، كُلُّ أَهْلِ مَحِلَّةٍ مِنَ الْبَابِ الَّذِي يَلِيهِمْ، فَكَثُرَتِ الْجُيُوشُ حَوْلَ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ فِي نُصْرَتِهِ، وَكُلُّهُمْ قَدْ بَايَعَهُ بِالْخِلَافَةِ. وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ فِي ذَلِكَ: فَجَاءَتْهُمْ أَنْصَارُهُمْ حِينَ أَصْبَحُوا ... سَكَاسِكُهَا أَهْلُ الْبُيوُتِ الصَّنَادِدِ وَكَلْبٌ فَجَاءُوهُمْ بِخَيْلٍ وَعِدَّةٍ ... مِنَ الْبِيضِ وَالْأَبْدَانِ ثُمَّ السَّوَاعِدِ فَأَكْرِمْ بِهَا أَحْيَاءَ أَنْصَارِ سُنَّةٍ ... هُمْ مَنَعُوا حُرْمَاتِهَا كُلَّ جَاحِدِ وَجَاءَتْهُمْ شَعْبَانُ وَالْأَزْدُ شُرَّعًا ... وَعَبْسٌ وَلَخْمٌ بَيْنَ حَامٍ وَذَائِدِ وَغَسَّانُ وَالْحَيَّانِ قَيْسٌ وَتَغْلِبٌ ... وَأَحْجَمَ عَنْهَا كُلُّ وَانٍ وَزَاهِدِ فَمَا أَصْبَحُوا إِلَّا وَهُمْ أَهْلُ مُلْكِهَا ... قَدِ اسْتَوْثَقُوا مِنْ كُلِّ عَاتٍ وَمَارِدِ وَبَعَثَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ مَصَادٍ فِي مِائَتَيْ فَارِسٍ إِلَى قَطَنَا لِيَأْتُوهُ بِعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَجَّاجِ نَائِبِ دِمَشْقَ، وَلَهُ الْأَمَانُ، وَكَانَ قَدْ تَحَصَّنَ فِي قَصْرٍ هُنَاكَ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ، فَوَجَدُوا عِنْدَهُ خُرْجَيْنِ ; فِي كُلٍّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا ثَلَاثُونَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَلَمَّا مَرُّوا بِالْمِزَّةِ قَالَ أَصْحَابُ ابْنِ مَصَادٍ:
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৫


আনুগত্য গ্রহণ করে এবং সেখানে সরকারী কর্মচারী ও জনসাধারণের মধ্যে রাদ্রীয় শান্তি ও
স্থিতিশীলত৷ প্রতিষ্ঠা করে ৷ এরপর রামাদান মাসের শে ষের দিকে যে দ মেস্কে ফিরে আসে ৷ আর
এই কর্ম তৎপরতা র ফলশ্রুতিতে থলীফ৷ ইয়াষীদ তাকে ইরাকের গভর্নর পদে নিয়োগ দেন ৷
মহান আল্ল ল্লাহ্ ভাল জা নেন ৷

এদিকে ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত ৩শাসক ইউসুফ ইবন উমর ইরাক হতে ৩পালিয়ে৷ বা ল্কা অঞ্চলে
চলে যায় ৷ খলীফ৷ ইয়৷ যীদ ইবন ওয়া ৷লীদ লোক পা ৷ঠিয়েত৷ তাকে খলীফার দরবারে উপস্থিত করেন ৷
খলীফ৷ ৷র সম্মুখে উপস্থিত হবার পর খলীফাত তার ৷দাড়ি চেপে ধরেন ৷ ইউসুফের দাড়ি ছিল অনেক
লম্বা ৷ কোন কোন সময় এই দাড়িত ৷র ৷নাভির নীচ পর্যন্ত প্ৰলম্বিত হত ৷ দৈহিক আকারে সে ছিল
£বটে ও খাটো ৷ খলীফ৷ তাকে ভীষণ ধমক দেন , তিরস্কার করেন এবং কারাগারে নিক্ষেপ করেন
এবং তার নিকট রাষ্ট্র ও জনগণের পাওন৷ উসুল করার নির্দেশ দেন ৷

নবনিযুক্ত শাসনকর্তা মানসুর ইরাক পৌছে সেখানকার জনগণকে ক্ষমতাচ্যুত খলীফা
ওয়ালীদের হত্যাকণ্ডের বিবরণ সম্বলিত ক্ষমতাসীন খলীফার চিঠি পাঠ করে শুনান এবং এও
উল্লেখ করেন যে মহান আল্লাহর নাফরমানীর কারণে আল্লাহ্ত তাকে প্রচণ্ড শাস্তি দিয়েছেন ৷ পত্রে
এও উল্লেখ ছিল যে, মানসুরের রীরতৃ ও যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শিতার প্রেক্ষিতে খলীফ৷ তাকে
ইরাকের শাসনকর্তা নিয়োগ করেছেন ৷ ফলে ইরাক, সিন্ধু এবং সিজিস্তানের জনগণ খলীফা
ইয়াযীদের পক্ষে বায়আত প্রদান করে ৷

খুরা সানের৷ ৷৷সনকর্তা নাসর ইবন সাইয়ার নবনিযুক্ত শাসক মানসুর ইবন জামহ্ররের আনুগত্য
করতে অস্বীকৃতি জানায় ৷ এই নাসর পুর্ববর্তী খলীফ৷ ওয়ালীদকে প্রচুর উপহার-উপচৌকন প্রদান
করেছিল ৷ এভাবেই সে শাসনকর্তা পদে বহাল থাকে ৷

এই হিজরী সনে মারওয়ান আল-হিমার ক্ষমতাচ্যুত খলীফ৷ ওয়ালীদের ভাই ইয়াযীদের নিকট
একটি পত্র লিখে পাঠিয়ে দেয় ৷ তাতে সে তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের প্ৰতিশোধ গ্রহন্বণ উস্কানি
দেয় ৷ তখন মারওয়ান ছিল আযারবায়জান ও আর্মেনিয়ার শাসনকর্তা ৷

পরবভীক্কিত খলীফ৷ ইয়াযীদ ইরাকের শাসনকর্তার পদ থেকে মানসুর ইবন জামহুরকে
অপসারণ করেন ৷ ওই পদে নিয়োগ দেন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন আবদুল আযীযকে ৷ খলীফা

তাকে বলেন যে, ইরাকের জনগণ ওে তামার বাবাকে খুবইত ৷লবাসত ত ই তাে ৷মাকে সেখানকার
শাসনকর্তা নিয়োগ করলাম ৷ এই ঘটনা ঘটেছিল শাওয়াল মাসে ৷ ইরাকে অবস্থিত সিরীয়
সেনাপতিদের নিকট তিনি এই নিয়ােগের বিষয়টি জানিয়ে দেন এবং তাকে সহযোগিতার পরামর্শ
দেন ৷ মানসুর ইবন জামহ্রর ক্ষমতা না ছাড়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকার কারণে তিনি এই নির্দেশ
দেন ৷ কিন্তু ম৷ নসুর ইবন জা মহ্রর খলীফার নির্দেশ মেনে নেয় এবং নবনিযুক্ত শাসনকর্তা ৷আহ্বদুল্প
ইবন উমর ইবন আবদুল আযীযের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে ৷ খলীফা খুরাসানের শাসনকর্তা
নাসর ইবন স৷ ৷ইয়ারকে স্বাধীনতা ৷বে ৷৷াসনক ৷র্য চ৷ ৷লিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ এদিকে কিরমানী
নামের একলোক নাসরের বিরুদ্ধে মাথা চাড়া দিয়ে উঠে ৷ সে আবু আলী জাদী ইবন আলী ইবন
শাবীব মুগনী ৷ কিরমান প্রদেশে জন্ম হওয়ায় সে কিরমানী নামে পরিচিত ৷ অনেক লোক তার
সমর্থনকারী ছিল ৷ প্রায় ১৫০০ অনুসারী নিয়ে সে জুমুআতে হাযির হত ৷ শাসনকর্তা নাসর ইবন
সাইয়ড়ারকে সালাম দিত ৷ কিন্তু তার নিকট বসত না ৷ তার আচরণে শাসনকর্তা নাসর ও তার


خُذْ هَذَا الْمَالَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ مِنْ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ، لَا تُحَدِّثُ الْعَرَبُ أَنِّي أَوَّلُ مَنْ خَانَ. ثُمَّ أَتَوْا بِهِ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ فَاسْتَخْدَمَ مِنْ ذَلِكَ الْمَالِ جُنْدًا لِلْقِتَالِ قَرِيبًا مِنْ أَلْفَيْ فَارِسٍ، وَبَعَثَ بِهِمْ مَعَ أَخِيهِ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ خَلْفَ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ لِيَأْتُوا بِهِ، وَرَكِبَ بَعْضُ مَوَالِي الْوَلِيدِ فَرَسًا سَابِقًا، فَسَاقَ بِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَوْلَاهُ مِنَ اللَّيْلِ وَقَدْ نَفَقَ الْفَرَسُ، فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ فَلَمْ يُصَدِّقْهُ، وَأَمَرَ بِضَرْبِهِ، ثُمَّ تَوَاتَرَتْ عَلَيْهِ الْأَخْبَارُ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ بَعْضُ أَصْحَابِهِ أَنْ يَتَحَوَّلَ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَاكَ إِلَى حِمْصَ، فَإِنَّهَا حَصِينَةٌ، وَقَالَ الْأَبْرَشُ سَعِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ الْكَلْبِيُّ: انْزِلْ عَلَى قَوْمِي بِتَدْمُرَ. فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، بَلْ رَكِبَ بِمَنْ مَعَهُ وَهُوَ فِي مِائَتَيْ فَارِسٍ، وَقَصَدَهُ أَصْحَابُ يَزِيدَ فَالْتَقَوْا بِثِقَلِهِ فِي أَثْنَاءِ الطَّرِيقِ فَأَخَذُوهُ، وَجَاءَ الْوَلِيدُ فَنَزَلَ حِصْنَ الْبَخْرَاءِ الَّذِي كَانَ لِلنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَجَاءَهُ رَسُولُ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ: إِنِّي آتِيكَ. وَكَانَ مِنْ أَنْصَارِهِ، فَأَمَرَ الْوَلِيدُ بِإِبْرَازِ سَرِيرِهِ، فَجَلَسَ عَلَيْهِ وَقَالَ: أَعَلَيَّ يَتَوَثَّبُ الرِّجَالُ، وَأَنَا أَثِبُ عَلَى الْأَسَدِ، وَأَتَخَصَّرُ الْأَفَاعِيَ؟! وَقَدِمَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْوَلِيدِ بِمَنْ مَعَهُ، وَإِنَّمَا كَانَ قَدْ خَلَصَ مَعَهُ مِنَ الْأَلْفَيْ فَارِسٍ ثَمَانِمِائَةِ فَارِسٍ، فَتَصَافُّوا فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِ الْعَبَّاسِ جَمَاعَةٌ، حُمِلَتْ رُءُوسُهُمْ إِلَى الْوَلِيدِ، وَقَدْ كَانَ جَاءَ الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ لِنَصْرِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَخُوهُ عَبْدُ الْعَزِيزِ فَجِيءَ بِهِ إِلَيْهِ قَهْرًا حَتَّى بَايَعَ لِأَخِيهِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَاجْتَمَعُوا
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৬


পরিষদরর্গ মহা চিন্তায় পড়ে অনেক ভাবনা-চিন্তার পর তারা তাকে বন্দী করে রাখার সিদ্ধান্ত
নেয় ৷ প্রায় এক মাস তাকে কারাগারে রাখা হয় ৷ এরপর তাকে মুক্তি দেওয়া হয় ৷ তখন বহুলোক
তার নিকট একত্র হয় এবং তার সাথে যাত্রা করে তাদেরকে প্রতিরোধ করার জন্যে শাসনকর্তা

নসর সেনাবাহিনী প্রেরণ করে উভয় পক্ষে যুদ্ধ শেষে সরকারী বাহিনী বিদ্রোহী বাহিনীকে
পরাজিত ও হত্যা করে ৷

এদিকে বহুলােক শ্সনক৩ নসরের প্রতি ধী৩ তশ্রদ্ধ হয়ে উঠে ৷ তার রত নেতৃত্বের প্রতি
অসস্তুষ্ট হয়ে পড়ে তার দেওয়া রম্ভীয়ভ তা বৃদ্ধির জন্যে তার চাপ সৃষ্টি করে ৷ সে মিম্বরে
অবস্থান করার সময় তারা তাকে পাল-মন্দ করে ৷ সলম ইবন আহওযয জনসাধারণের এই
কথাবার্তা শাসক নসর ইবন সইয়া রের নিকট পৌছে দেয় ও তার মসজিদে খুতব দেওয়ার সময়
বহু লোকের একটি বিরাট দল মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় ৷ অনেক লোক ত কে তা গ করে
এই পরিস্থিতিতে নসর ইবন সইয়র বলল, আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছি
এবং গুটিয়ে নিয়েছি ৷ আবার ওটিয়ে নিয়েছি ছড়িয়ে দিয়েছি ৷ আমার মনে হয় তোমাদের মধ্যে
দশজনও দীনদর ও ঈমনদর নেই সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ৷ আল্লাহর কসম ! যদি
তোমাদের মাঝে দুই তরবরি পল্ট পল্টি আঘাত করে ওে তমর নিজেদের মধ্যে দ্বন্দু-সৎ ঘতে
লিপ্ত হও তাহলে তোমাদের নিরীহ ব্যক্তি পরিবার পরিজন ও ধন-সম্পদ ছেড়ে চলে যাবে ৷ এই
সকল ফিতন-ফসদ যে দেখবে ন ৷ এরপর যে করি নবিপার কবিতা পংক্তি আবৃত্তি করল :

৪ :

(;

“তোমাদের দুর্ভে গ যদি ৫৩ যাদের উপর প্রাধান্য লাভ করে তবে তোমদেরকে সৎ শাধন
কর বার জন্যে তোমাদের সৌভ গ্যবান করার জন্যে আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যার ’

হরিছ ইবন আবদুল্লাহ ইবন হশরজ ইবন ওয়রদ ইবন ঘুগীর আল জদ বলেছেন :

াচুদ্বু;ট্রুা

“আমি নক্ষত্ররজির দিকে তাকিয়ে ৩কিয়ে রাত কটিয়েছি ৷ যতক্ষণ প্রথম উদিত নক্ষত্রগুলাে
আমার দিকে এগিয়ে এসেছিল ৷”

;

ন্ “আমি বিফ্লি রজনী যাপন করেছি ফিতন-ফসদের কারণে ৷ যেই ফিতন পণহরে ছড়িয়ে
পড়েছে সর্বত্র নমযী মনুযগুলোও তার মধ্যে শামিল হয়ে গিয়েছে ৷ ”

ত্যুঃাটু১
“যারা খুরাসনে আছে, যারা ইরাকে আছে এবং যারা সিরিয়তে আছে সবাই এই ফিতনর
জলে আটক পড়েছে কেউই রেহই পয়নি ”



عَلَى حَرْبِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَلَمَّا رَأَى النَّاسُ اجْتِمَاعَهُمْ فَرُّوا مِنَ الْوَلِيدِ إِلَيْهِمْ، وَبَقِيَ الْوَلِيدُ فِي ذُلٍّ وَقُلٍّ مِنَ النَّاسِ، فَلَجَأَ إِلَى الْحِصْنِ فَجَاءُوا إِلَيْهِ، وَأَحَاطُوا بِهِ مِنْ كُلِّ جَانِبٍ يُحَاصِرُونَهُ، فَدَنَا الْوَلِيدُ مِنْ بَابِ الْحِصْنِ فَنَادَى: لِيُكَلِّمْنِي رَجُلٌ شَرِيفٌ. فَكَلَّمَهُ يَزِيدُ بْنُ عَنْبَسَةَ السَّكْسَكِيُّ، فَقَالَ الْوَلِيدُ: أَلَمْ أَرْفَعِ الْمُؤَنَ عَنْكُمْ؟ أَلَمْ أُعْطِ فُقَرَاءَكُمْ؟ أَلَمْ أَخْدِمْ زَمَنَاكُمْ؟ فَقَالَ لَهُ يَزِيدُ: إِنَّمَا نَنْقِمُ عَلَيْكَ انْتِهَاكَ الْمَحَارِمِ، وَشُرْبَ الْخُمُورِ، وَنِكَاحَ أُمَّهَاتِ أَوْلَادِ أَبِيكَ، وَاسْتِخْفَافَكَ بِأَمْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ. فَقَالَ: حَسْبُكَ يَا أَخَا السَّكَاسِكِ، فَلَعَمْرِي لَقَدْ أَكْثَرْتَ وَأَغْرَقْتَ، وَإِنَّ فِيمَا أَحَلَّ اللَّهُ لِي لَسِعَةً عَمَّا ذَكَرْتَ. ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَئِنْ قَتَلْتُمُونِي لَا يُرْتَقُ فَتْقُكُمْ، وَلَا يُلِمَّ شَعَثُكُمْ، وَلَا تَجْتَمِعُ كَلِمَتُكُمْ. وَرَجَعَ إِلَى الدَّارِ، فَجَلَسَ وَوَضَعَ بَيْنَ يَدَيْهِ مُصْحَفًا، فَنَشَرَهُ وَأَقْبَلَ يَقْرَأُ فِيهِ، وَقَالَ: يَوْمٌ كَيَوْمِ عُثْمَانَ. وَاسْتَسْلَمَ وَتَسَوَّرَ عَلَيْهِ أُولَئِكَ الْحَائِطَ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ نَزَلَ إِلَيْهِ يَزِيدُ بْنُ عَنْبَسَةَ فَتَقَدَّمَ إِلَيْهِ وَإِلَى جَانِبِهِ سَيْفُهُ فَقَالَ: نَحِّهِ عَنْكَ. فَقَالَ الْوَلِيدُ: لَوْ أَرَدْتَ الْقِتَالَ بِهِ لَكَانَ غَيْرَ هَذَا. فَأَخَذَ بِيَدِهِ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يَحْبِسَهُ حَتَّى يَبْعَثَ بِهِ إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ فَبَادَرَهُ عَلَيْهِ عَشَرَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ، فَأَقْبَلُوا عَلَى الْوَلِيدِ يَضْرِبُونَهُ عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ بِالسُّيُوفِ حَتَّى قَتَلُوهُ، ثُمَّ جَرُّوهُ بِرِجْلِهِ لِيُخْرِجُوهُ، فَصَاحَتِ النِّسْوَةُ، فَتَرَكُوهُ، وَاحْتَزَّ أَبُو عِلَاقَةَ الْقُضَاعِيُّ رَأْسَهُ، وَخَاطُوا مَا كَانَ جُرِحَ فِي وَجْهِهِ بِعَقَبٍ، وَبَعَثُوا بِهِ إِلَى يَزِيدَ مَعَ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৭

“মুর্থ লােক৩ তার মুর্থতা ৷নিয়ে কাজ করছে ৷ আর এইক্ষেত্রে বুদ্ধিমান ও শিক্ষিত ৩ল্যেক মুর্থের
সমপর্যায়ে নেমে গিয়েছে ৷”


“এই ফিতনার ক ৷রণে এখন লোকজন গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত ৷৩ তাদের বিবেক-বুদ্ধি ও
জ্ঞান-বিবেচনা সব বিলুপ্ত প্রায় ৷”

র্চুষ্ঠুপ্াঠু’ ৷ট্রুা১ৰুাৰুার্টু৷ ৷ঠু
“লোকজন এখন এমন বিপদে পতিত হয়েছে যে, এই কষ্টের প্রতিক্রিয়ায পর্ভবভী মহিলাদের
গর্ভপাতের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ৷”


এষ্শ্ষ্ধ্হুএ

“তাদের সকাল হয় অস্পষ্টতার অন্ধত্বে অনিশ্চয়৩ ৷য় ৷ বিপদাপদ অপেক্ষা করতে থাকে
তাদের জন্যে ৷”

াছুদু;াট্রুগ্ ৰুা
“জনসাধারণ তাদের পরিণাম-পরিণতির কথা চিন্তা করছে না ৷ উপরন্তু এমন সব কথাবার্তা
চলছে যেগুলোর মর্য ও অর্থ উপলব্ধিযোগ্য নয় ৷”

াহ্ন্দ্বুন্াট্রু;ন্থ ৷হুঠুছু> ৷ ; ৷ ট্রুব্লু)ছু
“তাদের কথাবার্তা এখন কুমারী মেয়ের পােঙ্গানি কিৎবা গর্ভরতীর চীৎকারের ন্যায় মনে
হচ্ছে ৷ যে পর্ভবত্তীর বাচ্চা ৷প্রসব করানোর জন্যে আয়োজন প্রস্তুত ৷”

খুশ্ (; ষ্ :

“এমতাবস্থায় যে আমাদের মধ্যে এসেছে যে এসেছে বিপদ৷ ৷পদে পরিপুর্ণ মুখমওল নিয়ে’ ৷

এই হিজরী সনে খলীফা ইয়াযীদ ইবন ওয়া ৷লীদ৩ তার উত্তরাধিকারী খলীফারুপে তার ভাই
ইবরাহীম ইবন ওয়ালীদের নাম ঘোষণা করেন এবং সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যদের
থেকে তার জন্যে বায়আত গ্রহণ করেন ৷ ইবরাহীমের পরবর্তী খলীফারুপে তিনি আবদুল আযীয
ইবন৷ হাজ্জ ন্ জ্জাজ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ানের নাম ঘোষণা করেন ৷ পরবর্তী খলীফা ৷দের
মনোনয়নের তিনি উদ্যোগী হয়েছিলেন এজন্যে যে, তখন তিনি কঠিন মৃ৩ শয্যায় শায়িত
ছিলেন ৷ এটি ওই বছরের যুলহাজ্জা মাসের ঘটনা ৷ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৩াৱ পরামর্শক,
মদ্রীবর্গ ও উপদেষ্টাগ ৷৷ণ তাকে পরবর্তী খলীফা মনোনয়নে উদ্বুদ্ধ করে ৷

এই হিজরী সনে ১২৬ হিজবী সনে খলীফা ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ হিজাজের শাসনকর্তার পদ
থেকে ইউসুফ ইবন মুহাম্মদকে অপসারণ করেন এবং ওই পদে আবদুল আযীয ইবন উমর ইবন
আবদুল আযীযকে নিয়োগ দেন এবং তাকে যুল-কাদা মাসের শেষের দিকে হিজাজ প্রেরণ
করেন ৷ এই হিজরী সনে মারওয়ান আল হিমার খলীফা ইয়াযীদের বিরোধিতার কথা প্রকাশ করে


عَشَرَةِ نَفَرٍ، مِنْهُمْ مَنْصُورُ بْنُ جُمْهُورٍ، وَرَوْحُ بْنُ مُقْبِلٍ، وَبِشْرٌ مَوْلَى كِنَانَةَ مِنْ بَنِي كَلْبٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُلَقَّبُ بِوَجْهِ الْفَلْسِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ بَشَّرُوهُ بِقَتْلِ الْوَلِيدِ وَسَلَّمُوا عَلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، فَأَطْلَقَ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنَ الْعَشْرَةِ عَشَرَةَ آلَافٍ، وَقَالَ لَهُ رَوْحُ بْنُ مُقْبِلٍ: أَبْشِرْ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بِقَتْلِ الْوَلِيدِ الْفَاسِقِ. فَسَجَدَ شُكْرًا لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَرَجَعَتِ الْجُيُوشُ إِلَى يَزِيدَ فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ أَخَذَ يَدَهُ لِلْمُبَايَعَةِ يَزِيدُ بْنُ عَنْبَسَةَ السَّكْسَكِيُّ فَانْتَزَعَ يَدَهُ مِنْ يَدِهِ، وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كَانَ هَذَا رِضًا لَكَ فَأَعِنِّي عَلَيْهِ. وَكَانَ قَدْ جَعَلَ لِمَنْ جَاءَهُ بِرَأْسِ الْوَلِيدِ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، فَلَمَّا جِيءَ بِهِ، وَكَانَ ذَلِكَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، وَقِيلَ: يَوْمَ الْأَرْبِعَاءَ. لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ، سَنَةَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ، فَأَمَرَ يَزِيدُ بِنَصْبِ رَأْسِهِ عَلَى رُمْحٍ، وَأَنْ يُطَافَ بِهِ فِي الْبَلَدِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّمَا يُنْصَبُ رَأْسُ الْخَارِجِيِّ. فَقَالَ: وَاللَّهِ لَأَنْصِبَنَّهُ. فَشَهَرَهُ فِي الْبَلَدِ عَلَى رُمْحٍ، ثُمَّ أَوْدَعَهُ عِنْدَ رَجُلٍ شَهْرًا، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ إِلَى أَخِيهِ سُلَيْمَانَ بْنِ يَزِيدَ، فَقَالَ أَخُوهُ: بُعْدًا لَهُ، أَشْهَدُ أَنَّكَ كُنْتَ شَرُوبًا لِلْخَمْرِ مَاجِنًا فَاسِقًا، وَلَقَدْ أَرَادَنِي عَلَى نَفَسِي الْفَاسِقِ. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ رَأْسَهُ لَمْ يَزَلْ مُعَلِّقًا بِحَائِطِ جَامِعِ دِمَشْقَ الشَّرْقِيِّ مِمَّا يَلِي الصَّحْنَ، حَتَّى انْقَضَتْ دَوْلَةُ بَنِي أُمَيَّةَ. وَقِيلَ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ أَثَرَ دَمِهِ. وَكَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৮
سِتًّا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَمَانِيًا وَثَلَاثِينَ. وَقِيلَ: إِحْدَى - وَقِيلَ: ثِنْتَانِ. وَقِيلَ: خَمْسٌ. وَقِيلَ: سِتٌّ - وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. وَمُدَّةُ وِلَايَتِهِ سَنَةٌ وَسِتَّةُ أَشْهُرٍ عَلَى الْأَشْهَرِ. وَقِيلَ: وَثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: كَانَ شَدِيدَ الْبَطْشِ، طَوِيلَ أَصَابِعِ الرِّجْلَيْنِ، كَانَتْ تُضْرَبُ لَهُ سِكَّةُ الْحَدِيدِ فِي الْأَرْضِ، وَيُرْبَطُ فِيهَا خَيْطٌ إِلَى رِجْلِهِ، ثُمَّ يَثِبُ عَلَى الْفَرَسِ، فَيَرْكَبُهَا، وَلَا يَمَسُّ الْفَرَسَ، فَتَنْقَلِعُ تِلْكَ السِّكَّةُ مِنَ الْأَرْضِ مَعَ وَثْبَتِهِ.
পৃষ্ঠা - ৭৭৯৯



এবং পরবর্তী খলীফ৷ ওয়ালীদের হত্যাকাণ্ডের শাস্তি দাবী করে আর্মেনিয়া শহর থেকে বেরিয়ে
যায় ৷ অবশ্য হাররান নামক স্থানে সে খলীফার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এবং বায়আত করে ৷

এই হিজরী সনে ইব্রাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) আবু
হাশিম বাকর ইবন মাহানকে খুরাসান প্রেরণ করেন ৷ খুরাসানের মার্ভ নামক স্থানে গিয়ে সে স্থানীয়
জনগণের সাথে মিলিত হয় ৷ সমাবেশে সে তার প্রতি এবং জনগণের প্রতি লেখা ইমাম ইব্রাহীম
ইবন মুহাম্মদ-এর চিঠিখানা পাঠ করে শুনান ৷ তারা সকলে তা মেনে নেয় ৷ তাদের নিকট যা
মালপত্র ছিল তারা আবু হাশিমের মারফত সেগুলো পাঠিয়ে দেয় ৷

যুলকাদ৷ মাসের শেষদিকে কারো মতে যুলহাজ্জা মাসের শেষ দিকে কারো মতে দশই

যুলহাজ্জা এবং কারো মতে কুরবানীর দিনগুলোর পর আমীরুল মু’মিনীন ইয়াযীদ মৃত্যুমুখে
পতিত হয় ৷

ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান

তিনি ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান ইবন হাকাম ইবন আবুআস
ইবন উম ৷ইয়া ইবন আবৃদ শামস ইবন আবদ মানাক ইবন ক ৷সী আবু খালিদ উমাভী ৷ আমীরুল
মু মিনীন ৷ খলীফ৷ ৷৷ সর্বপ্রথম মাযাহ্ গ্রামে তার খিলাফতের পক্ষে বায়আত গ্রহণ করা হয় ৷ মাযাহ
হল দামেস্কের একটি জনপদ ৷ এরপর তিনি দা মেস্কে প্রবেশ করেন এবং দামেস্ক জয় করেন ৷
এরপর তার চাচাত ভাই এবং তৎকালীন খলীফ৷ ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদকে হত্যার জন্যে সৈন্য
পাঠান ৷ ওরা তাকে হত্যা করে ৷ এই হিজরী সনের অর্থাৎ ১২৬ হিজরী সনের জামাদাল উখরা
মাসের শে ষ ৷দিকে তিনি সঠিকভ৷ ৷বে খিলাফতের পদে আসীন হন ৷৩ তার ৷উপাধি ছিল হ্রাসক৷ ৷রী” ৷
পুর্ববর্তী খলীফ৷ ওয়ালীদ জনগণের রত্রীয় ভাতায় যে অংশ বৃদ্ধি করেছিল তিনি তা হ্রাস করে
দিয়েছিলেন বলে তার উপাধি হয়েছিল হ্রাসকারী” ৷ কথিত আছে যে, মারওয়ান আল হিমার
তাকে এই নামে আখ্যায়িত করেছিল ৷ সে তাকে “নাকিস ইবন ইয়াদ” বলে ডাকত ৷ ইয়াযীদের

যা ছিল শাহ্ফিরান্দ বিনৃত ফীরোজ ইবন ইয়াযদাজাবৃদ ইবন কিসরা ৷ ইবন জারীর এভাবে নিজের
পরিচয় দিতেন :

১ব্লিা১
“আমি পারস্য সম্রাট কিসরার বং শধর ৷ আমার পিতৃপুরুষ মারওয়ান ৷ আমার দাদা রোম
সম্রাট৷ কা য়স৷ র আর আমার নাম ৷তুর্কী সম্রাট থাক কান ৷” তিনি এ পরিচয় দিলেন এই সুত্রে যে, তার

নানা ফীরোজ ৷৩ তার নানী হলেন কায়সারের কন্যা ৷৩ তার মা তুর্কী সম্রাট খাকানের কন্যা
শীরাবিয়্যাহ্ ৷

মুসলিম সেনাপতি কুতায়বা ইবন মুসলিম এক যুদ্ধে শীরাবিয়্যাহ এবং৩ তার বোনকে বন্দী
করেছিল ৷ সেই ওই দুইজনকে পাঠিয়ে দিয়েছিল প্রধান সেনাপতি হাজ্জাজের নিকট ৷ এক বোনকে
নিজের জন্যে রেখে হাজ্জাজ আলোচ্য শীরাবিয়্যাহকে পাঠিয়ে দিয়েছিল ওয়ালীদের নিকট ৷
ওয়ালীদের ঘরে শীরাবিয়্যাহ-এর গর্ভে জন্ম হয় খলীফ৷ ইয়াযীদের ৷ যিনি আ ল নাকিস বাহ্রাসকারী
নামে পরিচিত ৷ অন্য বোনটি হাজ্জ ৷জের অধীনে ইরাকে বসবাসরত ছিল ৷


[خِلَافَةُ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ] وَهُوَ الْمُلَقَّبُ بِالنَّاقِصِ ; لِنَقْصِهِ النَّاسَ الزِّيَادَةَ الَّتِي كَانَ زَادَهُمُ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ فِي أَعْطِيَاتِهِمْ، وَهِيَ عَشَرَةٌ عَشَرَةٌ، وَرَدِّهِ إِيَّاهُمْ إِلَى مَا كَانُوا عَلَيْهِ فِي زَمَنِ هِشَامٍ. وَيُقَالُ: إِنَّ أَوَّلَ مَنْ لَقَّبَهُ بِذَلِكَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ. بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ بَعْدَ مَقْتَلِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ، وَذَلِكَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ - أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ - وَكَانَ فِيهِ صَلَاحٌ وَوَرَعٌ قَبْلَ ذَلِكَ، فَأَوَّلُ مَا عَمِلَ انْتِقَاصُهُ مِنْ أَرْزَاقِ الْجُنْدِ مَا كَانَ الْوَلِيدُ زَادَهُمْ، وَذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ عَشْرَةٌ عَشْرَةٌ، فَسُمِّيَ النَّاقِصَ لِذَلِكَ. وَيُقَالُ فِي الْمَثَلِ: الْأَشَجُّ وَالنَّاقِصُ أَعْدَلَا بَنِي مَرْوَانَ. يَعْنِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهَذَا. وَلَكِنْ لَمْ تَطُلْ أَيَّامُهُ، فَإِنَّهُ تُوُفِّيَ مِنْ آخِرِ هَذِهِ السَّنَةِ، وَاضْطَرَبَتْ عَلَيْهِ الْأُمُورُ، وَانْتَشَرَتِ الْفِتَنُ، وَاخْتَلَفَتْ كَلِمَةُ بَنِي مَرْوَانَ فَنَهَضَ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ، وَكَانَ مُعْتَقَلًا فِي سِجْنِ الْوَلِيدِ بِعَمَّانَ، فَاسْتَحْوَذَ عَلَى أَمْوَالِهَا وَحَوَاصِلِهَا، وَأَقْبَلَ إِلَى دِمَشْقَ، فَجَعَلَ يَلْعَنُ الْوَلِيدَ وَيَعِيبُهُ وَيَرْمِيهِ بِالْكُفْرِ، فَأَكْرَمَهُ يَزِيدُ وَرَدَّ عَلَيْهِ أَمْوَالَهُ الَّتِي كَانَ أَخَذَهَا مِنْهُ الْوَلِيدُ وَتَزَوَّجَ يَزِيدُ أُخْتَ سُلَيْمَانَ وَهِيَ أُمُّ هِشَامٍ بِنْتُ هِشَامٍ
পৃষ্ঠা - ৭৮০০
وَنَهَضَ أَهْلُ حِمْصَ إِلَى دَارِ الْعَبَّاسِ بْنِ الْوَلِيدِ الَّتِي عِنْدَهُمْ فَهَدَمُوهَا، وَحَبَسُوا أَهْلَهُ وَبَنِيهِ، وَهَرَبَ هُوَ مِنْ حِمْصَ، فَلَحِقَ بِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ إِلَى دِمَشْقَ، وَأَظْهَرَ أَهْلُ حِمْصَ الْأَخْذَ بِدَمِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ، وَأَغْلَقُوا أَبْوَابَ الْبَلَدِ، وَأَقَامُوا النَّوَائِحَ وَالْبَوَاكِيَ عَلَى الْوَلِيدِ وَكَاتَبُوا الْأَجْنَادَ فِي طَلَبِ ثَأْرِ الْوَلِيدِ فَأَجَابَهُمْ إِلَى ذَلِكَ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْهُمْ، عَلَى أَنْ يَكُونَ الْحَكَمُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنُ يَزِيدَ الَّذِي أَخَذَ لَهُ الْعَهْدَ هُوَ الْخَلِيفَةُ، وَخَلَعُوا نَائِبَهُمْ، وَهُوَ مَرْوَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ ثُمَّ قَتَلُوهُ وَقَتَلُوا ابْنَهُ، وَأَمَّرُوا عَلَيْهِمْ مُعَاوِيَةَ بْنَ يَزِيدَ بْنِ حُصَيْنٍ فَلَمَّا انْتَهَى خَبَرُهُمْ إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ كَتَبَ إِلَيْهِمْ كِتَابًا مَعَ يَعْقُوبَ بْنِ هَانِئٍ، وَمَضْمُونُ الْكِتَابِ أَنَّهُ يَدْعُو إِلَى أَنْ يَكُونَ الْأَمْرُ شُورَى، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ: فَإِذَا كَانَ الْأَمْرُ كَذَلِكَ فَقَدْ رَضِينَا بِوَلِيِّ عَهْدِنَا الْحَكَمِ بْنِ الْوَلِيدِ. فَأَخَذَ يَعْقُوبُ بِلِحْيَتِهِ وَقَالَ: وَيْحَكَ! لَوْ كَانَ هَذَا الَّذِي تَدْعُو إِلَيْهِ يَتِيمًا تَحْتَ حَجْرِكَ لَمْ يَحِلَّ لَكَ أَنْ تَدْفَعَ إِلَيْهِ مَالَهُ، فَكَيْفَ أَمْرُ الْأُمَّةِ. فَوَثَبَ أَهْلُ حِمْصَ عَلَى رُسُلِ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ فَطَرَدُوهُمْ عَنْهُمْ، وَأَخْرَجُوهُمْ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَقَالَ لَهُمْ أَبُو مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيُّ: لَوْ قَدْ قَدِمْتُ دِمَشْقَ لَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيَّ مِنْهُمُ اثْنَانِ. فَرَكِبُوا مَعَهُ، وَسَارُوا نَحْوَ دِمَشْقَ، وَقَدْ أَمَّرُوا عَلَيْهِمُ السُّفْيَانِيَّ فَتَلَقَّاهُمْ سُلَيْمَانُ بْنُ هِشَامٍ فِي جَيْشٍ كَثِيفٍ قَدْ جَهَّزَهُمْ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَجَهَّزَ أَيْضًا عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ الْحَجَّاجِ فِي ثَلَاثَةِ آلَافٍ يَكُونُونَ عِنْدَ ثَنِيَّةِ الْعُقَابِ، وَجَهَّزَ هِشَامَ بْنَ مَصَادٍ الْمِزِّيَّ فِي أَلْفٍ وَخَمْسِمِائَةٍ لِيِكُونُوا عَلَى عَقَبَةِ السُّلَمِيَّةِ فَمَرَّ أَهْلُ حِمْصَ، وَتَرَكُوا جَيْشَ سُلَيْمَانَ بْنِ هِشَامٍ ذَاتَ الْيَسَارِ
পৃষ্ঠা - ৭৮০১
وَعَدَّوْهُ، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ سُلَيْمَانُ سَاقَ فِي طَلَبِهِمْ، فَلَحِقَهُمْ عِنْدَ السُّلَيْمَانِيَّةِ فَجَعَلُوا الزَّيْتُونَ عَنْ أَيْمَانِهِمْ وَالْجَبَلَ عَنْ شَمَائِلِهِمْ وَالْجِبَابَ مِنْ خَلْفِهِمْ، وَلَمْ يَبْقَ مَخْلَصٌ إِلَيْهِمْ إِلَّا مِنْ جِهَةٍ وَاحِدَةٍ، فَاقْتَتَلُوا هُنَالِكَ فِي قَيَّالَةِ الْحَرِّ قِتَالًا شَدِيدًا، فَقُتِلَ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ، فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ جَاءَ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْحَجَّاجِ بِمَنْ مَعَهُ، فَحَمَلَ عَلَى أَهْلِ حِمْصَ فَاخْتَرَقَ جَيْشَهُمْ، حَتَّى رَكِبَ التَّلَّ الَّذِي فِي وَسَطِهِمْ، وَكَانَتِ الْهَزِيمَةُ، فَتَفَرَّقُوا وَاتَّبَعَهُمُ النَّاسُ، ثُمَّ تَنَادَوْا بِالْكَفِّ عَنْهُمْ عَلَى أَنْ يُبَايِعُوا لِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَأَسَرُوا مِنْهُمْ جَمَاعَةً، مِنْهُمْ أَبُو مُحَمَّدٍ السُّفْيَانِيُّ، وَيَزِيدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ ثُمَّ ارْتَحَلَ سُلَيْمَانُ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ فَنَزَلَا عَذْرَاءَ وَمَعَهُمُ الْجُيُوشُ وَأَشْرَافُ النَّاسِ، وَأَشْرَافُ أَهْلِ حِمْصَ مِنَ الْأُسَارَى، وَمَنِ اسْتَجَابَ مِنْ غَيْرِ أَسْرٍ، بَعْدَ مَا قُتِلَ مِنْهُمْ ثَلَاثُمِائَةِ نَفْسٍ، فَدَخَلُوا بِهِمْ عَلَى يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ فَأَقْبَلَ عَلَيْهِمْ، وَأَحْسَنَ إِلَيْهِمْ، وَصَفَحَ عَنْهُمْ، وَأَطْلَقَ الْأَعْطِيَاتِ لَهُمْ، لَا سِيَّمَا لِأَشْرَافِهِمْ، وَوَلَّى عَلَيْهِمُ الَّذِي اخْتَارُوهُ، وَهُوَ مُعَاوِيَةُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ الْحُصَيْنِ وَطَابَتْ عَلَيْهِ أَنْفُسُهُمْ، وَأَقَامُوا عِنْدَهُ بِدِمَشْقَ سَامِعِينَ لَهُ مُطِيعِينَ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ بَايَعَ أَهْلُ فِلَسْطِينَ يَزِيدَ بْنَ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَذَلِكَ أَنَّ بَنِي سُلَيْمَانَ كَانَتْ لَهُمْ أَمْلَاكٌ هُنَاكَ، وَكَانُوا ينْزِلُونَهَا، وَكَانَ
পৃষ্ঠা - ৭৮০২


ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদের জন্ম হয়েছিল ৯০ হিজরী সনে ৷ কেউ বলেছেন ৯৬ হিজরী সনে ৷
ইমাম আওযাঈ “বায়উস-সালাম” অর্থাৎ “মুল্য নগদ-মান বাকী” বিষয়ক হাদীসটি ইয়াযীদ হতে
বর্ণনা করেছেন ৷ এই হিজরী সনে অর্থাৎ ১২৬ হিজরী কোন প্রেক্ষাপটে তিনি খিলাফতের পদে
আসীন হলেন তা আমরা ইতিপুর্বে উল্লেখ করেছি ৷ তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ , দীনদার , কল্যাণ-
পন্থী, সৎ এবং মন্দবিদ্বেষ, সতা৷ম্বেষী শাসক ছিলেন ৷ এই হিজরী সনে ঈদুল ফিতরের নামাযে
গিয়েছিলেন তিনি সশস্ত্র সৈন্যের প্ৰহরায় ৷ খোলা তরবারি হাতে অশ্বারোহী দুই সারি সৈন্যের মাঝে
অবস্থান নিয়ে তিনি ঈদগাহে গিয়েছিলেন এবং এ অবস্থায় ঈদপাহ হতে ফিরে এসেছিলেন নীল
প্রাসাদে ৷ তিনি একজন নেককার ও পুণ্যৰান মানুষ ছিলেন ৷ প্রবাদ বাক্য হিসেবে বলা হয় যে,
আশাজ্জ এবং আল নাকিস এ দুইজন ছিলেন মারওয়ান বংশের শ্রেষ্ঠ ন্যায়বান শাসক ৷ অর্থাৎ উমর
ইবন আবদুল আযীয এবং এই ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ দুইজন ছিলেন অন্যতম ন্যায়পরায়ণ শাসক ৷

আবু বকর ইবন আবুদ দুনয়া বলেছেন যে, ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ আল মারুঘী বর্ণনা
করেছেন, আবু উছমান লায়হী হতে ৷ তিনি বলেছেন যে, খলীফ৷ ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ
আল-নাকিস উমাইয়৷ গোত্রের লোকদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, “হে উমাইয়া গোত্রের
লোকসকল তোমরা গান বাদ্য পরিহার কর ৷ কারণ গান বাদ্যে জড়িত হলে লজ্জা কমে যায়,
কু প্রবৃত্তি বেড়ে যায় এবং মনুষ্যতৃ নষ্ট হয় ৷ এটি মদের সমকক্ষ ৷ নেশাগ্রস্থ লোক যা করে
পায়কও তা করে ৷ যদি একান্তই তা করতে চাও তবে মহিলাদেরকে তা হতে দুরে রাখবে ৷

কারণ, মহিলাগণ যিন৷ ব্যভিচারের দিকে আকৃষ্ট করে ৷

ইবন আবুহাকাম বর্ণনা করেছেন শাফিঈ (র) হতে তবে, ইয়াযীদ ইবন ওয়ালীদ আ ল নাকিস
যখন থিলাফতে তর পদে আসীন হয় তখন সে জনসাধারণকে কাদরিয়৷ মতবাদের দিকে আহ্বান
জানায় ৷ তাদেরকে ওই মতাদর্শ অনুসরণে ৷উৎসাহিত করে এবং গায়লানকে কাছে টেনে নেয় ৷
ইবন আসাকির এই তথ্য উল্লেখ করেছেন ৷ প্রসংগত তিনি মন্তব্য করেছেন যে, খলীফা
গায়লানকে কাছে টেনে নিয়েছে অর্থাৎ গায়লানের অনুসারীদেরকে কাছে টেনে নিয়েছে ৷ কারণ
কাদরিয়৷ মতবাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি গায়লানকে ইতিপুর্বে খলীফা হিশাম ইবন আবদুল মালিক
হত্যা করেছিলেন ৷

মুহাম্মদ ইবন মুবারক বলেছেন, ইয়াযীদ ইবন ৷ওয়ালীদের অন্তিম কথা ছিল হায় দুঃখ! হয়ে
দুর্ভাগ্য ! ইয়াযীদের সীল মােহরে অৎকিত ছিল“ এ৷ ঞ্জো৷ মর্যাদা আল্লাহর জন্যে ৷ ” প্লেগ
রোগে আক্রান্ত হয়ে নীল প্রাসাদে তার মৃত্যু হয় ৷ ছুসদিন ছিল ষুলহাজ্জ৷ মাসের সাত তারিখ
শানিব ৷র ৷ কেউ বলেছেন সেদিন ছিল ঈদুল আযহার দিবস ৷ কেউ বলেছেন, ঈদুল আযহার কয়েক
দিন পরে৩ তার মৃত্যু হয় ৷ কেউ বলেছেন যুলহাজ্জ জ্জামাসের দশ দিন অবশিষ্ট থাকতে তার মৃত্যু
হয় ৷ কেউ বলেছেন, যুলহাজ্জা মাসের শে ষের দিকে আবার কারো মতে যুলকাদ৷ মাসের শেষের
দিকে তিনি মারা যান ৷ অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর ৷
কেউ বলেছেন ৩০ বছর ৷ কেউ কেউ মম্ভব্যও করেছেন মহান আল্লাহ ভাল জানেন ৷ প্রসিদ্ধ
অভিমত এই যে, তিনি মাত্র ছয়মাস শাসনকার্য পরিচালনা করেন ৷ কেউ বলেছেন পাচ মাস
কয়েকদিন মাত্র ৷ তার ভাই ইব্রাহীম ইবন ওয়ালীদ তার জা ৷নাযায় ইমামতি ৩করেছেন ৷ তার
ইনতিক৷ ৷লের পর ইবরাহীমই খলীফ৷ ৷হবা র জন্যে মনোনীত ছিল ৷

আল-বিদায়া ওয়ৰুন ৰিহায়ত্ত্ব (১০ম খগুা)৷াপ্প্ন্থাঃব্রা৷৪া-০ওোড়া

أَهْلُ فِلَسْطِينَ يُحِبُّونَ مُجَاوَرَتَهُمْ، فَلَمَّا قُتِلَ الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ كَتَبَ سَعِيدُ بْنُ رَوْحِ بْنِ زِنْبَاعٍ - وَكَانَ رَئِيسَ تِلْكَ النَّاحِيَةِ - إِلَى - يَزِيدَ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ يَدْعُوهُ إِلَى الْمُبَايَعَةِ لَهُ، فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ، فَلَمَّا بَلَغَ أَهْلَ الْأُرْدُنِّ خَبَرُهُمْ بَايَعُوا أَيْضًا مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ وَأَمَّرُوهُ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا انْتَهَى خَبَرُهُمْ إِلَى يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ، بَعَثَ إِلَيْهِمُ الْجُيُوشَ مَعَ سُلَيْمَانَ بْنِ هِشَامٍ فِي الدَّمَاشِقَةِ وَأَهْلِ حِمْصَ الَّذِينَ كَانُوا مَعَ السُّفْيَانِيِّ فَصَالَحَهُمْ أَهْلُ الْأُرْدُنِّ أَوَّلًا وَرَجَعُوا إِلَى الطَّاعَةِ، وَكَذَلِكَ أَهْلُ فِلَسْطِينَ وَكَتَبَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ وِلَايَةَ الْإِمْرَةِ بِالرَّمَلَةِ وَتِلْكَ النَّوَاحِي لِأَخِيهِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْوَلِيدِ وَاسْتَقَرَّتِ الْمَمَالِكُ هُنَالِكَ، وَقَدْ خَطَبَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ النَّاسَ بِدِمَشْقَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ، أَيُّهَا النَّاسُ، أَنَا وَاللَّهِ مَا خَرَجْتُ أَشَرًا وَلَا بَطَرًا، وَلَا حِرْصًا عَلَى الدُّنْيَا، وَلَا رَغْبَةً فِي الْمِلْكِ، وَمَا بِي إِطْرَاءُ نَفْسِي، إِنِّي لَظَلُومٌ لِنَفْسِي إِنْ لَمْ يَرْحَمْنِي رَبِّي، وَلَكِنِّي خَرَجْتُ غَضَبًا لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِدِينِهِ، وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ وَكِتَابِهِ وَسُنَّةِ نَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمَّا هُدِمَتْ مَعَالِمُ الدِّينِ، وَأُطْفِئَ نُورُ أَهْلِ التَّقْوَى، وَظَهَرَ الْجَبَّارُ الْعَنِيدُ، الْمُسْتَحِلُّ لِكُلِّ حُرْمَةٍ، وَالرَّاكِبُ كُلَّ بِدْعَةٍ، مَعَ أَنَّهُ وَاللَّهِ مَا كَانَ يُصَدِّقُ بِالْكِتَابِ، وَلَا يُؤْمِنُ بِيَوْمِ الْحِسَابِ، وَإِنَّهُ لَابْنُ عَمِّي فِي النَّسَبِ، وَكُفْئِي فِي الْحَسَبِ، فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ اسْتَخَرْتُ اللَّهَ فِي أَمْرِهِ، وَسَأَلْتُهُ أَنْ لَا يَكِلَنِي إِلَى نَفْسِي، وَدَعَوْتُ إِلَى ذَلِكَ مَنْ أَجَابَنِي مِنْ أَهْلِ وِلَايَتِي، وَسَعَيْتُ فِيهِ حَتَّى أَرَاحَ اللَّهُ مِنْهُ الْعِبَادَ وَالْبِلَادَ، بِحَوَلِ اللَّهِ وَقُوَّتِهِ، لَا بِحَوْلِي وَقُوَّتِي، أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ لَكُمْ
পৃষ্ঠা - ৭৮০৩
عَلَيَّ أَنْ لَا أَضَعَ حَجَرًا عَلَى حَجَرٍ، وَلَا لَبِنَةً عَلَى لَبِنَةٍ، وَلَا أَكْرِي نَهْرًا، وَلَا أُكَثِّرُ مَالًا، وَلَا أُعْطِيَهُ زَوْجَةً وَلَا وَلَدًا، وَلَا أَنْقُلُ مَالًا مِنْ بَلَدٍ إِلَى بَلَدٍ حَتَّى أَسُدَّ ثَغْرَ ذَلِكَ الْبَلَدِ، وَخَصَاصَةَ أَهْلِهِ بِمَا يُعِينُهُمْ، فَإِنْ فَضَلَ فَضْلٌ نَقَلْتُهُ إِلَى الْبَلَدِ الَّذِي يَلِيهِ مِمَّنْ هُوَ أَحْوَجُ إِلَيْهِ، وَلَا أُجَمِّرَكُمْ فِي ثُغُورِكُمْ فَأَفْتِنَكُمْ وَأَفْتِنَ أَهْلِيكُمْ، وَلَا أُغْلِقُ بَابِي دُونَكُمْ فَيَأْكُلَ قَوِيُّكُمْ ضَعِيفَكُمْ، وَلَا أَحْمِلَ عَلَى أَهْلِ جِزْيَتِكُمْ مَا يُجْلِيهِمْ عَنْ بِلَادِهِمْ وَيَقْطَعُ نَسْلَهُمْ، وَإِنَّ لَكُمْ عِنْدِي أَعْطِيَاتِكُمْ فِي كُلِّ سَنَةٍ، وَأَرْزَاقَكُمْ فِي كُلِّ شَهْرٍ، حَتَّى تَسْتَدِرَّ الْمَعِيشَةُ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، فَيَكُونُ أَقْصَاهُمْ كَأَدْنَاهُمْ، فَإِنْ أَنَا وَفَّيْتُ لَكُمْ بِمَا قُلْتُ، فَعَلَيْكُمُ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ وَحُسْنُ الْمُؤَازَرَةِ، وَإِنْ أَنَا لَمْ أَفِ لَكُمْ، فَلَكُمْ أَنْ تَخْلَعُونِي إِلَّا أَنْ تَسْتَتِيبُونِي، فَإِنْ تُبْتُ قَبِلْتُمْ مِنِّي، وَإِنْ عَلِمْتُمْ أَحَدًا مَنْ أَهْلِ الصَّلَاحِ يُعْطِيكُمْ مِنْ نَفْسِهِ مِثْلَ مَا أَعْطَيْتُكُمْ، فَأَرَدْتُمْ أَنْ تُبَايِعُوهُ، فَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُبَايِعُهُ وَيَدْخُلُ فِي طَاعَتِهِ، أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّهُ لَا طَاعَةَ لِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ، إِنَّمَا الطَّاعَةُ طَاعَةُ اللَّهِ، فَمَنْ أَطَاعَ اللَّهَ فَأَطِيعُوهُ بِطَاعَةِ اللَّهِ مَا أَطَاعَ، فَإِذَا عَصَى فَدَعَا إِلَى مَعْصِيَتِهِ فَهُوَ أَهْلٌ أَنْ يُعْصَى وَيُقْتَلَ، أَقُولُ قَوْلِي هَذَا، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِي وَلَكُمْ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ عَزَلَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ يُوسُفَ بْنَ عُمَرَ عَنْ إِمْرَةِ الْعِرَاقِ لَمَّا ظَهَرَ مِنْهُ مِنَ الْحَنَقِ عَلَى الْيَمَانِيَةِ، وَهُمْ قَوْمُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيِّ حِينَ قُتِلَ
পৃষ্ঠা - ৭৮০৪
الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ وَكَانَ قَدْ سَجَنَ غَالِبَ مَنْ بِبِلَادِهِ مِنْهُمْ، وَجَعَلَ الْأَرْصَادَ عَلَى الثُّغُورِ ; خَوْفًا مِنْ جُنْدِ الْخَلِيفَةِ، فَعَزَلَهُ عَنْهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ وَوَلَّى عَلَيْهَا مَنْصُورَ بْنَ جُمْهُورٍ مَعَ بِلَادِ السِّنْدِ وَسِجِسْتَانَ وَخُرَاسَانَ وَقَدْ كَانَ مَنْصُورُ بْنُ جُمْهُورٍ أَعْرَابِيًّا جِلْفًا، وَكَانَ يُزَنُّ بِمَذْهَبِ الْغَيْلَانِيَّةِ الْقَدَرِيَّةِ وَلَكِنْ كَانَتْ لَهُ آثَارٌ حَسَنَةٌ، وَغِنَاءٌ كَثِيرٌ فِي مَقْتَلِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَحَظِيَ بِذَلِكَ عِنْدَ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمَّا فَرَغَ النَّاسُ مِنْ مَقْتَلِ الْوَلِيدِ ذَهَبَ مِنْ فَوْرِهِ إِلَى الْعِرَاقِ فَأَخَذَ الْبَيْعَةَ مِنْ أَهْلِهَا لِيَزِيدَ وَقَرَّرَ بِالْأَقَالِيمِ نُوَّابًا وَعُمَّالًا، وَكَرَّ رَاجِعًا فِي أَوَاخِرِ رَمَضَانَ ; فَلِذَلِكَ وَلَّاهُ الْخَلِيفَةُ مَا وَلَّاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا يُوسُفُ بْنُ عُمَرَ فَإِنَّهُ فَرَّ مِنَ الْعِرَاقِ فَلَحِقَ بِبِلَادِ الْبَلْقَاءِ فَبَعَثَ إِلَيْهِ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدُ فَأَحْضَرُوهُ إِلَيْهِ، فَلَمَّا وَقَفَ بَيْنَ يَدَيْهِ أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ - وَكَانَ كَبِيرَ اللِّحْيَةِ جِدًّا، رُبَّمَا كَانَتْ تُجَاوِزُ سَرَّتْهُ، وَكَانَ قَصِيرَ الْقَامَةِ - فَوَبَّخَهُ وَأَنَّبَهُ، ثُمَّ سَجَنَهُ، وَأَمَرَ بِاسْتِخْلَاصِ الْحُقُوقِ مِنْهُ، وَلَمَّا انْتَهَى مَنْصُورُ بْنُ جُمْهُورٍ إِلَى الْعِرَاقِ قَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ إِلَيْهِمْ فِي كَيْفِيَّةِ مَقْتَلِ الْوَلِيدِ وَأَنَّ اللَّهَ أَخَذَهُ أَخْذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ، وَأَنَّهُ قَدْ وَلَّى عَلَيْهِمْ مَنْصُورَ بْنَ جُمْهُورٍ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ شَجَاعَتِهِ وَمَعْرِفَتِهِ بِالْحَرْبِ، فَبَايَعَ أَهْلُ الْعِرَاقِ لِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَكَذَلِكَ أَهْلُ السِّنْدِ وَسِجِسْتَانَ. وَأَمَّا نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ نَائِبُ خُرَاسَانَ فَإِنَّهُ امْتَنَعَ مِنَ السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِمَنْصُورِ بْنِ جُمْهُورٍ وَأَبَى أَنْ يَنْقَادَ لِأَوَامِرِهِ، وَقَدْ كَانَ جَهَّزَ هَدَايَا كَثِيرَةً لِلْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَاسْتَمَرَّتْ لَهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৮০৫
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ كَتَبَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُلَقَّبُ بِالْحِمَارِ كِتَابًا إِلَى الْغَمْرِ بْنِ يَزِيدَ أَخِي الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ، يَحُثُّهُ عَلَى الْقِيَامِ بِطَلَبِ دَمِ أَخِيهِ الْوَلِيدِ وَكَانَ مَرْوَانُ يَوْمَئِذٍ أَمِيرًا عَلَى أَذْرَبِيجَانَ وَإِرْمِينِيَّةَ. ثُمَّ إِنَّ يَزِيدَ بْنَ الْوَلِيدِ عَزَلَ مَنْصُورَ بْنَ جُمْهُورٍ عَنْ وِلَايَةِ الْعِرَاقِ وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَقَالَ لَهُ: إِنَّ أَهْلَ الْعِرَاقِ يُحِبُّونَ أَبَاكَ فَقَدْ وَلَّيْتُكَهَا. وَذَلِكَ فِي شَوَّالٍ مِنْهَا، وَكَتَبَ لَهُ إِلَى أُمَرَاءِ الشَّامِ الَّذِينَ بِالْعِرَاقِ يُوصِيهِمْ بِهِ ; خَشْيَةَ أَنْ يَمْتَنِعَ مَنْصُورُ بْنُ جُمْهُورٍ مِنْ تَسْلِيمِ الْبِلَادِ إِلَيْهِ، فَسَلَّمَ إِلَيْهِ، وَسَمِعَ وَأَطَاعَ. وَكَتَبَ الْخَلِيفَةُ إِلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ بِوِلَايَةِ خُرَاسَانَ مُسْتَقِلًّا بِهَا، فَخَرَجَ عَلَيْهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: الْكَرْمَانِيُّ. لِأَنَّهُ وُلِدَ بِكَرْمَانَ وَهُوَ أَبُو عَلِيٍّ جَدِيعُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ شَبِيبٍ الْمَعْنِيُّ وَاتَّبَعَهُ خَلْقٌ كَثِيرٌ بِحَيْثُ إِنَّهُ كَانَ يَشْهَدُ الْجُمُعَةَ فِي نَحْوٍ مِنْ أَلْفٍ وَخَمْسِمِائَةٍ، وَكَانَ يُسَلِّمُ عَلَى نَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ وَلَا يَجْلِسُ عِنْدَهُ، فَتَحَيَّرَ نَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ وَأُمَرَاؤُهُ فِيمَا يَصْنَعُ بِهِ، فَاتَّفَقَ رَأْيُهُمْ بَعْدَ جَهْدٍ عَلَى سَجْنِهِ، فَسُجِنَ قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ، ثُمَّ أَطْلَقَهُ، فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ نَاسٌ كَثِيرٌ، وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَرَكِبُوا مَعَهُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ نَصْرٌ مَنْ قَاتَلَهُمْ وَقَهَرَهُمْ وَكَسَرَهُمْ. وَاسْتَخَفَّ جَمَاعَاتٌ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ بِنَصْرِ بْنِ سَيَّارٍ وَتَلَاشَوْا أَمْرَهُ وَحُرْمَتَهُ، وَأَلَحُّوا عَلَيْهِ فِي أَعْطِيَاتِهِمْ، وَأَسْمَعُوهُ غَلِيظَ مَا يَكْرَهُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ بِسِفَارَةِ سَلْمِ بْنِ أَحْوَزَ أَدَّى ذَلِكَ إِلَيْهِ، وَخَرَجَتِ الْبَاعَةُ مِنَ الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ وَهُوَ يَخْطُبُ، وَانْفَضَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ عَنْهُ، فَقَالَ لَهُمْ نَصْرٌ فِيمَا قَالَ: وَاللَّهِ لَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৭৮০৬


সাঈদ ইবন কাহীর ইবন উযায়র বলেছেন যে, জাবিয়াহ ও সাগীর যল্টকদ্বয়ের মাঝে র্তাকে
দাফন করা হয় ৷ কেউ বলেছেন, আল-ফারাদীস ফটকে র্তাকে দাফন করা হয়েছে ৷ তার শরীরের
রং ছিল খাকী রং ৷ হালকা-পাতলা সুন্দর দেহ ও ফর্সা ঘুখমণ্ডল ছিল তার ৷

আলী ইবন মুহাম্মদ মাদীনী বলেছেন, খলীফা ইয়াষীদ ছিলেন খাকী বর্ণের দীর্ঘকায় ছোট্ট মাথা
বিশিষ্ট মানুষ ৷ তার চেহারায় দাগ ছিল ৷ তিনি ছিলেন সুদর্শন ৷ মুখ কিছুটা প্রশস্ত ৷ অবশ্য খুব বেশী
নয় ৷

এই হিজরী সনে হরুজ্জ নেতৃতৃ দিয়েছিল হিজাজের শাসনকর্তা আবদুল আযীয ইবন উমর
ইবন আবদুল আযীয ৷ তখন ইরাকে শাসনকর্তা ছিল তার ভাই আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ইবন আবদুল
আযীয ৷ থুরাসানের শাসনকর্তা পদে নাসর ইবন সাইয়ার ৷ আল্লাহ্ ভাল জানেন ৷


نَشَرْتُكُمْ وَطَوَيْتُكُمْ، وَطَوَيْتُكُمْ وَنَشَرْتُكُمْ، فَمَا عِنْدِي مِنْكُمْ عَشَرَةٌ عَلَى دِينٍ، فَاتَّقُوا اللَّهَ، فَوَاللَّهِ لَئِنِ اخْتَلَفَ فِيكُمْ سَيْفَانِ لَيَتَمَنَّيْنَّ الرَّجُلُ مِنْكُمْ أَنْ يَنْخَلِعَ مِنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَلَمْ يَكُنْ رَآهَا. ثُمَّ تَمَثَّلَ بِقَوْلِ النَّابِغَةِ: فَإِنْ يَغْلِبْ شَقَاؤُكُمُ عَلَيْكُمْ ... فَإِنِّي فِي صَلَاحِكُمُ سَعَيْتُ وَقَالَ الْحَارِثُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَشْرَجِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ الْوَرْدِ الْجَعْدِيُّ: أَبِيتُ أَرْعَى النُّجُومَ مُرْتِفِقًا ... إِذَا اسْتَقَلَّتْ تَجْرِي أَوَائِلُهَا مِنْ فِتْنَةٍ أَصْبَحَتْ مُجَلِّلَةً ... قَدْ عَمَّ أَهْلَ الصَّلَاةِ شَامِلُهَا مَنْ بِخُرَاسَانَ وَالْعِرَاقِ وَمَنْ ... بِالشَّامِ كُلٌّ شَجَاهُ شَاغِلُهَا فَالنَّاسُ مِنْهَا فِي لَوْنٍ مُظْلِمَةٍ ... دَهْمَاءَ مُلْتَجَّةٍ غَيَاطِلُهَا يُمْسِي السَّفِيهُ الَّذِي يُعَنَّفُ بِالْ ... جَهْلِ سَوَاءً فِيهَا وَعَاقِلُهَا وَالنَّاسُ فِي كُرْبَةٍ يَكَادُ لَهَا ... تَنْبِذُ أَوْلَادَهَا حَوَامِلُهَا يَغْدُونَ مِنْهَا فِي ظِلِّ مُبْهَمَةٍ ... عَمْيَاءَ تَغْتَالُهُمْ غَوَائِلُهَا لَا يَنْظُرُ النَّاسُ مِنْ عَوَاقِبِهَا ... إِلَّا الَّتِي لَا يَبِينُ قَائِلُهَا كَرَغْوَةِ الْبَكْرِ أَوْ كَصَيْحَةِ حُبْ ... لَى طَرَقَتْ حَوْلَهَا قَوابِلُهَا فَجَاءَ فِينَا يَزْرِي بِوِجْهَتِهِ ... فِيهَا خُطُوبٌ جَمٌّ زَلْازِلُهَا
পৃষ্ঠা - ৭৮০৭
وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ أَخَذَ الْخَلِيفَةُ الْبَيْعَةَ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَغَيْرِهِمْ بِوِلَايَةِ الْعَهْدِ مِنْ بَعْدِهِ لِأَخِيهِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ ثُمَّ مِنْ بَعْدِ إِبْرَاهِيمَ، لِعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الْحَجَّاجِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، وَذَلِكَ بِسَبَبِ مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ مِنْهَا، وَقَدْ حَرَّضَهُ عَلَى ذَلِكَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَالْأَكَابِرِ وَالْوُزَرَاءِ. وَفِيهَا عَزَلَ يَزِيدُ عَنْ إِمْرَةِ الْحِجَازِ يُوسُفَ بْنَ مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيَّ وَوَلَّى عَلَيْهَا عَبْدَ الْعَزِيزِ بْنَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، فَقَدِمَهَا فِي أَوَاخِرِ ذِي الْقِعْدَةِ مِنْهَا. وَفِيهَا أَظْهَرَ مَرْوَانُ الْحِمَارُ الْخِلَافَ لِيَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ وَخَرَجَ مِنْ بِلَادِ إِرْمِينِيَّةَ يُظْهِرُ أَنَّهُ يَطْلُبُ بِدَمِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى حَرَّانَ أَظْهَرَ الْمُوَافَقَةَ، وَبَايَعَ لِأَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ. وَفِيهَا أَرْسَلَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَبَا هَاشِمٍ بُكَيْرَ بْنَ مَاهَانَ إِلَى أَرْضِ خُرَاسَانَ، فَاجْتَمَعَ بِجَمَاعَةٍ مِنْ أَهْلِ خُرَاسَانَ بِمَرْوَ، فَقَرَأَ عَلَيْهِمْ كِتَابَ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْإِمَامِ إِلَيْهِمْ وَوَصِيَّتَهُ، فَتَلَقَّوْا ذَلِكَ بِالْقَبُولِ، وَأَرْسَلُوا مَعَهُ مَا كَانَ عِنْدَهُمْ مِنَ النَّفَقَاتِ. وَفِي سَلْخِ ذِي الْقِعْدَةِ، وَقِيلَ: فِي سَلْخِ ذِي الْحِجَّةِ. وَقِيلَ: لِعَشَرٍ مَضَيْنَ مِنْهُ. وَقِيلَ: بَعْدَ الْأَضْحَى مِنْهَا. كَانَتْ وَفَاةُ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ يَزِيدَ بْنِ الْوَلِيدِ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَهَذِهِ تَرْجَمَتُهُ: هُوَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ بْنِ أَبِي الْعَاصِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قَصِيِّ، أَبُو خَالِدٍ الْأُمَوِيُّ، أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ
পৃষ্ঠা - ৭৮০৮
بُويِعَ لَهُ بِالْخِلَافَةِ أَوَّلَ مَا بُويِعَ بِهَا فِي قَرْيَةٍ الْمِزَّةِ ثُمَّ دَخَلَ دِمَشْقَ فَغَلَبَ عَلَيْهَا، ثُمَّ أَرْسَلَ الْجُيُوشَ إِلَى ابْنِ عَمِّهِ الْوَلِيدِ بْنِ يَزِيدَ فَقَتَلَهُ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى الْخِلَافَةِ فِي أَوَاخِرَ جُمَادَى الْآخِرَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَكَانَ يُلَقَّبُ بِالنَّاقِصِ ; لِنَقْصِهِ النَّاسَ الْعَشَرَاتِ الَّتِي زَادَهُمْ إِيَّاهَا الْوَلِيدُ بْنُ يَزِيدَ، وَقِيلَ: إِنَّمَا سَمَّاهُ بِذَلِكَ مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُلَقَّبُ بِالْحِمَارِ. فَكَانَ يَقُولُ: النَّاقِصُ بْنُ الْوَلِيدِ. وَأَمُّهُ شَاهْفَرِنْدَ بِنْتُ فَيْرُوزَ بْنِ كِسْرَى كِسْرَوِيَّةٌ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَأُمُّهُ شَاهْ آفْرِيْدَ بِنْتُ فَيْرُوزَ بْنِ يَزْدَجِرْدَ بْنِ شَهْرِيَارَ بْنِ كِسْرَى. وَهُوَ الْقَائِلُ: أَنَا ابْنُ كِسْرَى وَأَبِي مَرْوَانُ ... وَقَيْصَرُ جَدِّي وَجَدُّ خَاقَانَ وَإِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ لِأَنَّ جَدَّهُ فَيْرُوزُ وَأُمُّ أُمِّهِ بِنْتُ قَيْصَرَ وَأُمُّ شِيرَوَيْهِ هِيَ بِنْتُ خَاقَانَ مَلِكُ التُّرْكِ وَكَانَتْ قَدْ سَبَاهَا قُتَيْبَةُ بْنُ مُسْلِمٍ هِيَ وَأُخْتًا لَهَا، فَبَعَثَهُمَا إِلَى الْحَجَّاجِ فَأَرْسَلَ بِهَذِهِ إِلَى الْوَلِيدِ وَاسْتَبْقَى عِنْدَهُ الْأُخْرَى. فَوَلَدَتْ هَذِهِ لِلْوَلِيدِ يَزِيدَ النَّاقِصَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ فِي سَنَةِ تِسْعِينَ، وَقِيلَ: فِي سَنَةِ سِتٍّ وَتِسْعِينَ. وَقَدْ رَوَى عَنْهُ الْأَوْزَاعِيُّ مَسْأَلَةً فِي السَّلَمِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا كَيْفِيَّةَ وِلَايَتِهِ فِيمَا سَلَفَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَأَنَّهُ كَانَ عَادِلًا دَيِّنًا، مُحِبًّا لِلْخَيْرِ، مُبْغِضًا لِلشَّرِّ، قَاصِدًا لِلْحَقِّ. وَقَدْ خَرَجَ يَوْمَ عِيدِ الْفِطْرِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ إِلَى صَلَاةِ الْعِيدِ بَيْنَ صَفَّيْنِ مِنَ الْخَيَّالَةِ، وَالسُّيُوفُ مُسَلَّةٌ عَنْ يَمِينِهِ وَشِمَالِهِ، وَرَجَعَ مِنَ الْمُصَلَّى إِلَى الْخَضْرَاءِ
পৃষ্ঠা - ৭৮০৯
كَذَلِكَ، وَكَانَ رَجُلًا صَالِحًا، يُقَالُ فِي الْمَثَلِ: الْأَشَجُّ وَالنَّاقِصُ أَعْدَلَا بَنِي مَرْوَانَ. وَالْمُرَادُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهَذَا. وَقَدْ قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ اللَّيْثِيِّ قَالَ: قَالَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ النَّاقِصُ: يَا بَنِي أُمَيَّةَ إِيَّاكُمْ وَالْغِنَاءَ، فَإِنَّهُ يُنْقِصُ الْحَيَاءَ، وَيَزِيدُ فِي الشَّهْوَةِ، وَيَهْدِمُ الْمُرُوءَةَ، وَإِنَّهُ لَيَنُوبُ عَنِ الْخَمْرِ، وَيَفْعَلَ مَا يَفْعَلُ الْمُسْكِرُ، فَإِنْ كُنْتُمْ لَا بُدَّ فَاعِلِينَ فَجَنِّبُوهُ النِّسَاءَ فَإِنَّ الْغِنَاءَ دَاعِيَةُ الزِّنَى. وَقَالَ ابْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ عَنِ الشَّافِعِيِّ: لَمَّا وَلِيَ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ الَّذِي يُقَالُ لَهُ: النَّاقِصُ. دَعَا النَّاسَ إِلَى الْقَدَرِ، وَحَمَلَهُمْ عَلَيْهِ، وَقَرَّبَ غَيْلَانَ. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَلَعَلَّهُ قَرَّبَ أَصْحَابَ غَيْلَانَ لِأَنَّ غَيْلَانَ قَتَلَهُ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ: آخِرُ مَا تَكَلَّمَ بِهِ يَزِيدُ بْنُ الْوَلِيدِ النَّاقِصُ: وَاحَسْرَتَاهُ! وَاأَسَفَاهُ. وَكَانَ نَقْشُ خَاتَمِهِ: الْعَظَمَةُ لِلَّهِ. وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِالْخَضْرَاءِ مِنْ طَاعُونٍ أَصَابَهُ، وَذَلِكَ يَوْمَ السَّبْتِ لِسَبْعٍ مَضَيْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، وَقِيلَ: فِي مُسْتَهَلِّهِ. وَقِيلَ: يَوْمَ الْأَضْحَى مِنْهُ. وَقِيلَ: بَعْدَهُ بِأَيَّامٍ. وَقِيلَ: لِعَشْرٍ بَقَيْنَ مِنْهُ. وَقِيلَ: فِي سَلْخِهِ. وَقِيلَ: فِي سَلْخِ ذِي الْقِعْدَةِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ. وَأَكْثَرُ مَا قِيلَ فِي عُمْرِهِ سِتٌّ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَلَاثُونَ سَنَةً. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَتْ مُدَّةُ وِلَايَتِهِ سِتَّةَ أَشْهُرٍ عَلَى الْأَشْهَرِ. وَقِيلَ: خَمْسَةُ أَشْهُرٍ وَأَيَّامٌ.
পৃষ্ঠা - ৭৮১০

১২৬ হিজরী সনে র্যারা ইনতিকাল করেন

খালিদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন ইয়াষীদ

তিনি হলেন খালিদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন ইয়াষীদ ইবন আসাদ ইবন কুরয ইবন আমির ইবন
আবকারী, আবু হায়ছাম আল বাজালী আল-কাসরী আল-দামেন্ধী ৷ তিনি খলীফ৷ ওয়ালীদের
শাসন ৷মলে পবিত্র মক্কা ও হিজা জ অঞ্চলের শাসনকর্তা ছিলেন ৷ খঃলীফ৷ ৷াসুল য়মানের শাসনামলেও
ওই পদে বহাল ছিলেন ৷৩ তারপর খলীফ৷ হিশামের শাসনামলে তিনি ইরাকের শ্া৷সনকর্তা পদে
নিয়োজিত ছিলেন পাচ বছর ৷ ইবন আসাকির বলেছেন যে, দামেস্কের আল-কায যয চতৃরে ছিলত
কর্যস্থান ৷ পরবত্মীত এটি দার আল শরীফ আল ইয়াযিদী নামে পরিচিত হয় ৷৩ তাওম৷ ফণ্টকের
অভ্যন্তরের গোসলখা না৷টি তারই নামে পরিচিত ৷ তিনি তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা
হতে বংনাি করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাকে বলেছিলেন, “হে আসাদ তুমি কি জান্নাতকে
তালবাস ?” সে বলল, হ্যা তাতো ত ৷৷লব ৷সিই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তুমি নিজের জন্য
যা ণ্যান্দ কর অন্য মুসলমানদের জন্যও তা তালবাসবে ৷ এই হাদীস আবুইয়া লা বংনি৷ করেছেন ৷
উসমান ইবন অ ৷বু শায়ব৷ আবু হাকাম হতে বর্ণিত যে, তিনি তাকে মিম্বরে বলে তা বলতে
ওনেছেন ৷ ইসমাঈ ল ইবন আওসাত ,াইসম ঈল ইবন আবু খালিদ, হাবীব ইবন আবুহাবীব এবং
হামীদ আল তাবীল প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এটাও বর্ণিত আছে যে
তিনি তা দাদ৷ র সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে ৩একটি হাদীস বণ্নি৷ করেছিলেন এই বিষয়ে যে, রোগ
দ্বারা পাপ ও গুনাহের কাফফারা ও ক্ষমা অর্জিত হয় ৷

খালিদ ইবন অ বঘুল্ল হ এর মতে ৷ ছিলেন খৃক্টান মহিলা ৷ যাদের মাতা খৃক্টা ন এবং নিজেরা
সস্তুান্ত রাক্তি তা দের ৩া৷লফায় আবু বকর ইবন আইয়াশ খালিদের ন ম উল্লেখ করেছেন ৷ মাদাইনী
বলেছেন যে, সর্বপ্রথম খালিদের মধ্যে নেতৃত্বের পরিচয় পাওয়া যায় য ঘটন য তা হল একদিন
তার ঘোড়ার পায়ের নীচে পড়ে একটি গ্রি ও পিষ্ট হয়ে যায় ৷৩ তাৎক্ষণিক তিনিগ্রি ৷ওটিকে কোলে
তুলে নেন এবং উপস্থিত জনতার নিকট সাক্ষ্য দিয়ে বলেন যে, এই শিও আমার সাথী শিও ৷
শিওর মৃত্যু হলে তিনি নিজে তার দিয়াত বা রক্ত পণ পরিশোধ করবেন ৷

খলীফা ওয়ালীদ ৷কেত হিজাজের শ্া৷সনকত ৷ নিয়োগ করেছিলেন ৷ ৮৯ হিজরী সন হতে
ওয়ালীদের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন ৷ পরবর্তী খলীফ৷ নিযুক্ত হন সুলায়মান ৷
সুলায়মানের শাসনামলেও খালিদ হিজাজের শাসনকর্তা পদে বহাল ছিলেন ৷ ১০৬ হিজরী সনে
খলীফ৷ হিশ ম তাকে ইরাকের শানসকর্তা পদে নিয়োগ দেন ৷ ১ ২০ হিজরী সন পর্যন্ত তিনি ওই
পদে বহাল ছিলেন ৷ এরপর তিনি নবনিযুক্ত শাসনক৩ ৷ ইউসুফ ইবন উমরের ৷নকট ইরাকের
শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করেন ৷ পরবর্তীতে ইউসুফ ইবন উমরতার ৷উপর ৷নর্যাতন চালায় এবং তার
ধন-সম্পদ সব বাজেয়াপ্ত করে ৷ তখন থেকে ১ ২৬ ইিার ৷ সভৈ র মুহাবৃরাম মাস পর্যন্ত তিনি




وَصَلَّى عَلَيْهِ أَخُوهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْوَلِيدِ وَهُوَ وَلِيُّ عَهْدِهِ مِنْ بَعْدِهِ، رَحِمَهُ اللَّهُ. وَذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُفَيْرٍ أَنَّهُ دُفِنَ بَيْنَ بَابِ الْجَابِيَةِ وَبَابِ الصَّغِيرِ وَقِيلَ: إِنَّهُ دُفِنَ بِبَابِ الْفَرَادِيسِ. وَكَانَ أَسْمَرَ نَحِيفًا، حَسَنَ الْجِسْمِ، حَسَنَ الْوَجْهِ. وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَدَائِنِيُّ: كَانَ يَزِيدُ أَسْمَرَ طَوِيلًا، صَغِيرَ الرَّأْسِ، بِوَجْهِهِ خَالٌ، وَكَانَ جَمِيلًا، فِي فَمِهِ بَعْضُ السِّعَةِ، وَلَيْسَ بِالْمُفْرِطِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ نَائِبُ الْحِجَازِ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ نَائِبُ الْعِرَاقِ وَنَصْرُ بْنُ سَيَّارٍ عَلَى نِيَابَةِ خُرَاسَانَ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. [وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ مِنَ الْأَعْيَانِ] خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ أَسَدِ بْنِ كُرْزِ بْنِ عَامِرِ بْنِ عَبْقَرِيٍّ، أَبُو الْهَيْثَمِ الْبَجَلِيُّ الْقَسْرِيُّ الدَّمَشْقِيُّ أَمِيرُ مَكَّةَ وَالْحِجَازِ لِلْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ ثُمَّ لِأَخِيهِ سُلَيْمَانَ، وَأَمِيرُ الْعِرَاقَيْنِ لِأَخِيهِمَا هِشَامٍ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً. قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: كَانَتْ دَارُهُ بِدِمَشْقَ فِي مُرَبَّعَةِ الْقَزِّ وَتُعْرَفُ الْيَوْمَ بِدَارِ الشَّرِيفِ الزَّيْدِيِّ وَإِلَيْهِ يُنْسَبُ الْحَمَّامُ الَّذِي دَاخِلُ بَابِ تَوْمَاءَ.
পৃষ্ঠা - ৭৮১১


দামেস্কে অবস্থান করেছিলেন ৷ এরপর খলীফা ওয়ালীদ তাকে ইউসুফ ইবন উমরের নিকট প্রেরণ
করে ৷ সে তার নিকট হতে পড়াচ কোটি দিরহাম ছিনিয়ে নেয় ৷ শাসনকর্তা ইউসুফ ইবন উমরের
অমানৃষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এক পর্যায়ে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ৷ ইউসুফ ইবন
উমর প্রথমে তীর পায়ের নালা দুইটা ভেঙ্গে ফেলে ৷ তারপর উরু দুইটা ভেঙ্গে দেয় ৷ তার বুকের
ইড়াড় গুড়িয়ে দেয় ৷ এক পর্যায়ে তিনি মারা যান ৷ এত অত্যাচার সত্বেও তিনি কোন কথা রলেননি
এবং কোন আহ্-উহ্ শব্দ করেননি ৷ মহান আল্লাহ তার প্ৰতি দয়া করুন ৷

লায়হী তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদিন থালিদ কাস্বী ভাষণ দিচ্ছিলেন ৷
ভাষণের মাঝে তার মুখে জড়তা এসে গিয়েছিল ৷ তিনি বললেন, হে লোক সকল ! এই বক্তৃতা
কখনো অনায়াসে চলে আসে আবার কখনো বাধাপ্রাপ্ত হয় ৷ অনায়াসে যখন বক্তৃতা বের হয় তখন
বাকযস্তের সকল অংশ নিয়ম মাফিক সক্রিয় থাকে ৷ আর যখন তাতে জড়তা আসে তখন মনের
তার প্রকাশে বাধা সৃষ্টি হয় ৷ আপনারা যা পসন্দ করেন অবিলম্বে সে অবস্থা আমাদের নিকট ফিরে
আসবে ৷ আর আপনারা যা কামনা করেন আমরা যে পর্যায়ে ফিরে যাব ৷

আসমাঈ ও আরোও অনেকে বলেছেন, খালিদ কাস্রী একদিন “ ওয়াসিত” নামক স্থানে
ভাষণ দিলেন ৷ ভাষণে তিনি বললেন, “হে লোক সকল ! সম্মানজনক কাজের প্ৰতি তোমরা আগ্রহী
হও ৷ যুদ্ধলব্ধ মালামাল অর্জনে দ্রুত এগিয়ে যাও, দান-খয়রাতের বিনিময়ে সুনাম ক্রয় করে নাও ৷
কাউকে অযথা অবকাশ দিয়ে দুর্নড়াম অর্জন করো না ৷ যে সৎকর্ম এখনও সম্পন্ন করনি সেটিকে
নিজের সঞ্চয় হিসেবে গণ্য করো না ৷ তোমাদের কারো প্ৰতি যদি অন্য কারো অনুগ্রহ ও অবদান
থাকে আর প্রথম পক্ষ ওই অনুগ্নহের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে তবে মহান আল্লাহ অনুগ্রহকারীকে
উত্তম প্রতিদান ও বিনিময় দান করবেন ৷ জেনে রাখ যে, তোমার প্ৰতি মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও
মুখাপেক্ষিতা নিআমতস্বরুপ ৷ কাজেই, তাতে বিরক্ত হয়াে না ৷ সেটি তাহলে সমালোচনার
পরিণত হয়ে ৷ কারণ, উত্তম সেটি যেটি পুরস্কার ও সুনাম আনয়ন করে ৷ দানশীলতাকে যদি
তোমরা চোখে দেখতে তাহলে সেটিকে দেখতে একজন সুন্দর ও রুপবান পুরুযরুপে যে তাকে
দেখলেই মানুষ আনন্দিত হয় ৷ আর কার্পণ্যকে তোমরা যদি চোখে দেখতে তাহলে তাকে
দেখতে একজন কদাকার বিশ্ৰী মানৃষরুপে ৷ যাকে দেখে দৃষ্টি নীচে নেমে আসে আর অম্ভরে ঘৃণা
জন্যে ৷ যে দান করে সে নেতা হবে ৷ যে কার্পণ্য করবে সে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে ৷ শ্রেষ্ঠ
সম্মানী ব্যক্তি সেই দানের সময় যে প্ৰতিদড়ান আশা করে না এবং প্রতিশোধের শক্তি থাকা সত্বেও
যে ক্ষমা করে দেয় ৷ উত্তম ব্যক্তি সে দ্বিতীয় পক্ষ থেকে আত্মীয়তা ছিন্ন করলেও সে স্বতঃপ্রবৃত্ত
হয়ে ওই আত্মীয়তা বজায় রাখে ৷ যার ক্ষেত ভাল নয় তার ফসল ভাল হবে না ৷ বৃক্ষের মুলের
অনুপাতে ভাল-পালা বড় হয় এবং কাণ্ড অনুপাতে সেটি উচু হয় ৷

উমর ইবন হড়ায়ছাম হতে আছমাঈ উদ্ধৃত করেছেন যে, এক আরব যেদুঈন এসে উপস্থিত
হয় খালিদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন ইয়াযীদের নিকট ৷ খালিদের প্ৰশংসায় সে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি
করে :

স্পের্দু ’ ১র্দুএর্ন্ত টু>ই’ এছুএ’
“হে কুবৃয আল-খড়ায়রের সন্তান ও আমি বড় আশা নিয়ে আপনার নিকট এসেছি ৷ যাতে


رَوَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: «يَا أَسَدُ، أَتُحِبُّ الْجَنَّةَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: " فَأَحِبَّ لِلْمُسْلِمِينَ مَا تُحِبَّ لِنَفْسِكَ» رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ هُشَيْمٍ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي الْحَكَمِ أَنَّهُ سَمِعَهُ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ ذَلِكَ. وَمِمَّنْ رَوَى عَنْهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَوْسَطَ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، وَحَبِيبُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، وَحُمَيْدٌ الطَّوِيلُ. وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ رَوَى عَنْ جِدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَكْفِيرِ الْمَرَضِ الذُّنُوبَ. وَكَانَتْ أَمُّهُ نَصْرَانِيَّةً، وَذَكَرَهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ فِي الْأَشْرَافِ، مِمَّنْ أَمُّهُ نَصْرَانِيَّةٌ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: أَوَّلُ مَا عُرِفَ مِنْ رِيَاسَتِهِ أَنَّهُ أَوَطَأَ صَبِيًّا بِدِمَشْقَ بِفَرَسِهِ، فَحَمَلَهُ فَأَشْهَدَ طَائِفَةً مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ هُوَ صَاحِبُهُ، فَإِنْ مَاتَ فَعَلَيْهِ دِيَتُهُ. وَقَدِ اسْتَنَابَهُ الْوَلِيدُ عَلَى الْحِجَازِ سَنَةَ تِسْعٍ وَثَمَانِينَ إِلَى أَنْ تُوُفِّيَ، ثُمَّ اسْتَنَابَهُ سُلَيْمَانُ عَلَيْهَا، وَفِي سَنَةِ سِتٍّ وَمِائَةٍ اسْتَنَابَهُ هِشَامٌ عَلَى الْعِرَاقِ إِلَى سَنَةِ عِشْرِينَ وَمِائَةٍ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৭৮১২
আমার দুর্বল ও হতদরিদৃ অবস্থার কথা আপনি অবগত হতে পারেন ৷”
৷ ,দ্বুা

“আমি এসেছি সন্তুান্ত, ধৈর্যশীল, দানবীর ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির নিকট ৷ যিনি মুল অংশ ও
শাখ৷ অংশ উভয় দিক হতে মহান অ ৷ল্লাহ্র সৃষ্টিজগতের অন্যতম সস্তুান্ত ব্যক্তি ৷ ”

৷ ৷ট্রু ৷

৩ান্যান্য মানুষ যখন তাদের কর্ম সম্পাদনে কমতি ও ত্রুটি করে তখন আপনি দংহ্ ৷য়মান হয়ে
যান এবং কোন ক্ষেত্রেই আর তখন অপুর্ণ ও কমতি থাকে না ৷”

’ fl ’ ষ্ শ্ fl


“ওহে আপনি তো দানের ক্ষেত্রে অতল মহাসমুদ্র, যার ঢেউয়ের মধ্যে মান্ ণুষ ডুবে যায় ৷

কেউ যদি আপনার নিকট কো ন দা ন খয়রাত চায়, তবে ওই সমুদ্র আরো উত্তাল ও৩ তরঙ্গ ৰিক্ষুব্ধ
হয়ে উঠে ৷ ”




“আমি সকল পর্যায়ে আবদুল্লাহ্র ছেলেকে যাচাই করে দেখেছি ৷ আমি তাকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও
সর্বাধিকমর্যাদ ৷৷বান পেয়েছি ৷”

ষ্ ’ ৷


“দা-ন খয়রাত ও সৎকর্মের ফলশ্রুতিতে যদি কেউ দুনিয়াতে চিরস্থায়ী ও অমর হত তবে
আপনি হতে তন সেই অমর ও চিরস্থায়ী ব্যক্তি ৷”

০ × ৷ শ্ষ্ fl


“কার্জেহ, আপনার নিকট আমার যা প্রত্যাশা তা হতে আমাকে বঞ্চিত করবেন না ৷ তাহলে
কিন্তু বঞ্চনার বেদনায় আমার চেহারা কালো ও ফ্যাকাশে হয়ে যাবে ৷”

উমর ইবন হায়ছাম বলেন যে, খালিদ এই পংক্তিগুলাে মুখস্থু করে রাখেন ৷ লোকজন
খালিদের নিকট সমবেত হবার পর বেদুঈন লোকটি কবিতা আবৃত্তির জন্যে দাড়৷ য় ৷ কিন্তু তার
আগে খালিদ নিজে ওই কবিতা ৷আবৃত্তি শুরু করেন এবং বলেন, ওহে শায়খ , আ ৷মি তে৷ আপনার
আগে এই কবিতা রচনা করেছি ৷ এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বেদৃঈন শায়খ সমাবেশ ছেড়ে চলে
যেতে শুরু করে ৷ তার প্রন্থানকালীন মন্তব্য শোনার জন্য খালিদ একজন গোয়েন্দা পাঠান ৷ সে
শুনতে পেল যে, বেদুঈন শায়খ নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করছে


স্বেট্ট খুা
“আমি তীর নিকট যা আশ ৷ ৷করেছিলাম এবং সেটি লাভ করার জন্যে আমি যে শ্রম ও কষ্ট
করেছি তার সবই মহা ন তা ৷ল্লাহ্র পথে ফী সাবিলিল্লাহ্ ৷”


سَلَّمَهُ إِلَى يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ الَّذِي وَلَّاهُ مَكَانَهُ، فَعَاقَبَهُ وَأَخَذَ مِنْهُ أَمْوَالًا جَزِيلَةً ثُمَّ أَطْلَقَهُ، فَأَقَامَ بِدِمَشْقَ إِلَى الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، فَسَلَّمَهُ الْوَلِيدُ إِلَى يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ لِيَسْتَخْلِصَ مِنْهُ خَمْسِينَ أَلْفَ أَلْفٍ، فَمَاتَ تَحْتَ الْعُقُوبَةِ الْبَلِيغَةِ ; كَسَرَ قَدَمَيْهِ، ثُمَّ سَاقَيْهِ، ثُمَّ فَخِذَيْهِ، ثُمَّ صَدْرَهُ، فَمَاتَ وَلَمْ يَتَكَلَّمْ كَلِمَةً وَاحِدَةً، وَلَا تَأْوَّهَ حَتَّى خَرَجَتْ رُوحُهُ، رَحِمَهُ اللَّهُ. قَالَ الْعُتْبِيُّ عَنْ أَبِيهِ: خَطَبَ خَالِدٌ الْقَسْرِيُّ يَوْمًا، فَارْتَجَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ هَذَا الْكَلَامَ يَجِيءُ أَحْيَانًا، وَيَعْزُبُ أَحْيَانًا، فَيَتَسَبَّبُ عِنْدَ مَجِيئِهِ سَبَبُهُ، وَيَتَعَذَّرُ عِنْدَ عُزُوبِهِ مَطْلَبُهُ، وَقَدْ يُرَدُّ إِلَى السَّلِيطِ بَيَانُهُ، وَيُنِيبُ إِلَى الْحَصْرِ كَلَامُهُ، وَسَيَعُودُ إِلَيْنَا مَا تُحِبُّونَ، وَنَعُودُ لَكُمْ كَمَا تُرِيدُونَ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ وَغَيْرُهُ: خَطَبَ خَالِدٌ الْقَسْرِيُّ يَوْمًا بِوَاسِطَ فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، تَنَافَسُوا فِي الْمَكَارِمِ، وَسَارِعُوا إِلَى الْمَغَانِمِ، وَاشْتَرُوا الْحَمْدَ بِالْجُودِ، وَلَا تَكْتَسِبُوا بِالْمَطْلِ ذَمًّا، وَلَا تَعْتَدُّوا بِمَعْرُوفٍ لَمْ تُعَجِّلُوهُ، وَمَهْمَا يَكُنْ لِأَحَدٍ مِنْكُمْ نِعْمَةٌ عِنْدَ أَحَدٍ لَمْ يَبْلُغْ شُكْرَهَا، فَاللَّهُ أَحْسَنُ لَهُ جَزَاءً، وَأَجْزَلُ عَطَاءً، وَاعْلَمُوا أَنَّ حَوَائِجَ النَّاسِ إِلَيْكُمْ نِعَمٌ فَلَا تَمَلُّوهَا فَتُحَوَّلَ نِقَمًا، فَإِنَّ أَفْضَلَ الْمَالِ مَا أَكْسَبَ أَجْرًا وَأَوْرَثَ ذِكْرًا، وَلَوْ رَأَيْتُمُ الْمَعْرُوفَ لَرَأَيْتُمُوهُ رَجُلًا حَسَنًا جَمِيلًا يَسُرُّ النَّاظِرِينَ، وَيَفُوقُ الْعَالَمِينَ، وَلَوْ رَأَيْتُمُ الْبُخْلَ لَرَأَيْتُمُوهُ رَجُلًا مُشَوَّهًا قَبِيحًا تَنْفِرُ مِنْهُ الْقُلُوبُ، وَتُغَضُّ دُونَهُ الْأَبْصَارُ، إِنَّهُ مَنْ جَادَ سَادَ، وَمَنْ بَخِلَ ذَلَّ، وَأَكْرَمُ النَّاسِ مَنْ أَعْطَى مَنْ لَا يَرْجُوهُ، وَمَنْ عَفَا عَنْ قُدْرَةٍ، وَأَوْصَلُ النَّاسِ مَنْ وَصَلَ مَنْ قَطَعَهُ،
পৃষ্ঠা - ৭৮১৩
وَمَنْ لَمْ يَطِبْ حَرْثُهُ لَمْ يَزْكُ نَبْتُهُ، وَالْفُرُوعُ عِنْدَ مَغَارِسِهَا تَنْمُو، وَبِأُصُولِهَا تَسْمُو. وَرَوَى الْأَصْمَعِيُّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْهَيْثَمِ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَدِمَ عَلَى خَالِدٍ فَأَنْشَدَهُ قَصِيدَةً امْتَدَحَهُ بِهَا يَقُولُ فِيهَا: إِلَيْكَ ابْنَ كُرْزِ الْخَيْرِ أَقْبَلْتُ رَاغِبًا ... لِتَجَبُرَ مِنِّي مَا وَهَى وَتَبَدَّدَا إِلَى الْمَاجِدِ الْبُهْلُولِ ذِي الْحِلْمِ وَالنَّدَى ... وَأَكْرَمِ خَلْقِ اللَّهِ فَرْعًا وَمَحْتِدَا إِذَا مَا أُنَاسٌ قَصَّرُوا بِفِعَالِهِمْ ... نَهَضَتْ فَلَمْ تُلْفَى هُنَالِكَ مُقْعَدَا فَيَالَكَ بَحْرًا يَغْمُرُ النَّاسَ مَوْجُهُ ... إِذَا يُسْأَلُ الْمَعْرُوفَ جَاشَ وَأَزْبَدَا بَلَوْتُ ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ فِي كُلِّ مَوْطِنٍ ... فَأَلْفَيْتُ خَيْرَ النَّاسِ نَفْسًا وَأَمْجَدَا فَلَوْ كَانَ فِي الدُّنْيَا مِنَ النَّاسِ خَالِدٌ ... لِجُودٍ بِمَعْرُوفٍ لَكُنْتُ مُخَلَّدًا فَلَا تَحْرِمَنِّي مِنْكَ مَا قَدْ رَجَوْتُهُ ... فَيُصْبِحَ وَجْهِي كَالِحَ اللَّوْنِ أَرْبَدَا قَالَ: فَحَفِظَهَا خَالِدٌ فَلَمَّا اجْتَمَعَ النَّاسُ عِنْدَ خَالِدٍ قَامَ الْأَعْرَابِيُّ يَنْشُدُهَا، فَابْتَدَرَهُ إِلَيْهَا خَالِدٌ فَأَنْشَدَهَا قَبْلَهُ، وَقَالَ: أَيُّهَا الشَّيْخُ، إِنَّ هَذَا شِعْرٌ قَدْ سَبَقْنَاكَ إِلَيْهِ. فَنَهَضَ الشَّيْخُ، فَوَلَّى ذَاهِبًا، فَأَتْبَعَهُ خَالِدٌ مَنْ يَسْمَعُ مَا يَقُولُ، فَإِذَا هُوَ يُنْشِدُ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ: أَلَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مَا كُنْتُ أَرْتَجِي ... لَدَيْهِ وَمَا لَاقَيْتُ مِنْ نَكَدِ الْجُهْدِ دَخَلْتُ عَلَى بَحْرٍ يَجُودُ بِمَالِهِ ... وَيُعْطِي كَثِيرَ الْمَالِ فِي طَلَبِ الْحَمْدِ فَخَالَفَنِي الْجَدُّ الْمَشُومُ لِشِقْوَتِي ... وَقَارَبَنِي نَحْسِي وَفَارَقَنِي سَعْدِي فَلَوْ كَانَ لِي رِزْقٌ لَدَيْهِ لَنِلْتُهُ ... وَلَكِنَّهُ أَمْرٌ مِنَ الْوَاحِدِ الْفَرْدِ فَرَدَّهُ إِلَى خَالِدٍ وَأَعْلَمَهُ بِمَا كَانَ يَقُولُ، فَأَمَرَ لَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৮১৪


;পুছুএ্ ৷ ,ন্ছু ণ্ডা; ঠুদ্বুহ্রঢ়

“আমি তো এসেছিলাম এক সমুদ্রের নিকট ৷ যে সমুদ্র ধন-সম্পদ দান করে ৷ যে সমুদ্র
ৎসা অর্জনের জন্যে প্রচুর ধনরত্ম দান করে ৷”
পুর্চুশ্ম্পে ৷ শুাএএ এে
“কিন্তু আমার মন্দ কপা ৷লের প্রেক্ষিতে আমার দুর্তাগ্য আমার জন্যে বৈরী পরিস্থিতি তৈরি করে
দিয়েছে ৷ দৃর্ভাপ্য আমার কাছে এসেছে আমার সৌভাগ্য আমাকে ছেড়ে গিয়েছে ৷”

শ্ষ্ :শ্০ শ্ (০ ন্ শ্ ৷ন্শ্ :শ্শ্ণ্ : : ণ্ শ্০শ্শ্
;ন্া,৷৷ ;,এো;,ৰুঠুৰুাছুঞ, ছুট্রুাএ ৰুৰুএৰু;গ্লু, প্লু ;,াহ্র,াব্র

৩বে তার নিকট যদি আমার রিঘৃক্ ও জীবিকা থেকে থাকে, তা আমি পাবই ৷ কিন্তু সেটি
তো মুলত একক স্রষ্টা মহা ন অ ল্লাহব নির্দোশ৷ বা স্তব৷ ৷য়িত হবে ৷ ”

তারপর গোয়েন্দা ল্যেকটি ওইশ্ ৷৷য়খকে ফিরিয়ে নিয়ে এল এবং তার বক্তব্য খালিদকে
জান৷ ল ৷ খ৷ ৷লিদ তাকে দশ হাজার দিরহাম পুরস্ক৷ র প্রদানের নির্দেশ দিলেন ৷

আছমাঈ বলেছেন, জনৈক আরব বেদুঈনতা ৷র ঝুলিটি আটায় ভরে দেবার জন্যে খালিদের
নিকট আবেদন করল ৷ খালিদ ওই ঝুলিটি দিরহাম বা রৌপ্য-মুদ্রায় ভরে দেবার নির্দেশ দিলেন ৷
দরবার হতে বের হবার পর কেউ একজন ওই বেদুঈনকে বলল , “তোমার সাথে (কম ন আ৷প্রণ
করেছেন খালিদ ? জবাবে সে বলল, আমি যা পসন্দ করি তা তার নিকট ঢেয়েছিলাম, কিভু তিনি
যা পসন্দ করেন আমাকে তা প্রদান করলেন ৷ ”



কেউ একজন বলেছেন যে, একদিন খালিদ ভ্রমণে বের হলেন ৷ তার সাথে সাক্ষাত হয়ে যায়
এক আরব বেদুঈনের ৷ সে খালিদকে অনুবাে ধ করল তাকে মেরে ফেলার জন্যে ৷ খা লিদ
বললেন, কেন ? তুমি কি তা ৷কাতি ৩করেছ ?৩ তুমি বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছ ? সে
জবাবে বলল, ন৷ , না, তার কিছুই আমি করিনি ৷ খালিদ বললেন, তবে মরতে চাচ্ছ কোন দুঃখে ?
সে বলল, অভাবে ও ক্ষুধার জ্বালায় ৷ খালিদ বললেন, তোমার কি কি দরকার তা বল ৷ সে বলল
আমার ৩০ হ জ র ৷দিরহাম দরকার ৷ খালিদ তা মঞ্জুর করলেন এবং বললেন আজ আমি যা মুনাফা
অর্জন করেছি কেউ তা পারেনি ৷ আমি ধরে নিয়েছিলাম যে, ওই বেদুঈন এক লক্ষ দিরহাম চাইবে
এবৎঅ আমি তাকে তা দিব ৷ এখন যে চেয়েছে ৩০ হাজার দিরহাম ৷ আমার যেচে গেল ৭০ হাজার

দিরহাম ৷ এটি আমার লাভ ৷ কাজেই, চল ঘরে ফিরে যাই ৷ ওকে ৩০ হাজার দিরহাম প্রদানের
নির্দেশ দিলেন ৷

খালিদ যখন দরবারে বলতেন তখন ধনসম্পদ ও দিরহাম-দীনার তার সম্মুখে রাখতেন এবং
বলতেন এই মালামাল আমার নিকট আমানত ৷ এটি দিয়ে দেওয়া জরুরী ৷

একবার রাবিঅ৷ নামী তার এক দাসীর ৩০ হাজার দিরহাম মুল্যের একটি আৎটি হারিয়ে
গিয়েছিল ৷ সেটি পড়ে গিয়েছিল বাড়ীর ড্রেনে (নালায়) ৷ সে খ লিদকে অনুরোধ করেছিল এমন
একজন লোক দিতে যে নালা থেকে ওই আৎটি তুলে দািব ৷ খালিদ বললেন, ওই ময়লার নালায়
পড়ে যাওয়া আৎটি পরিধান অপেক্ষা তোমার হাত আমার নিকট অধিক মর্যাদার ৷ এই নাও ওই


وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: سَأَلَ أَعْرَابِيٌّ خَالِدًا الْقَسْرِيَّ أَنْ يَمْلَأَ لَهُ جِرَابَهُ دَقِيقًا، فَأَمَرَ بِمَلْئِهِ لَهُ دَرَاهِمَ، فَقِيلَ لِلْأَعْرَابِيِّ حِينَ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ: مَا فَعَلَ مَعَكَ؟ فَقَالَ: سَأَلْتُهُ مَا أَشْتَهِي، فَأَمَرَ لِي بِمَا يَشْتَهِي هُوَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَيْنَمَا خَالِدٌ يَسِيرُ فِي مَوْكِبِهِ إِذْ تَلَقَّاهُ أَعْرَابِيٌّ، فَسَأَلَهُ أَنْ يَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَقَالَ: وَيْحَكَ! وَلِمَ؟ أَقَطَعْتَ السَّبِيلَ؟ أَأَخْرَجْتَ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ؟ فَكُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ: لَا. قَالَ: فَلِمَ؟ قَالَ: مِنَ الْفَقْرِ وَالْحَاجَةِ. فَقَالَ: سَلْ حَاجَتَكَ. فَقَالَ: ثَلَاثِينَ أَلْفًا. فَقَالَ خَالِدٌ: مَا رَبِحَ أَحَدٌ مِثَلَ مَا رَبِحْتُ الْيَوْمَ ; إِنِّي وَضَعْتُ فِي نَفْسِي أَنْ يَسْأَلَنِي مِائَةَ أَلْفٍ، فَسَأَلَ ثَلَاثِينَ، فَرَبِحْتُ سَبْعِينَ أَلْفًا، ارْجِعُوا بِنَا الْيَوْمَ. وَأَمَرَ لَهُ بِثَلَاثِينَ أَلْفًا. وَكَانَ إِذَا جَلَسَ تُوضَعُ الْأَمْوَالُ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَيَقُولُ: إِنَّ هَذِهِ الْأَمْوَالَ وَدَائِعُ لَا بُدَّ مِنْ تَفْرِقَتِهَا. وَسَقَطَ خَاتَمٌ لِجَارِيَتِهِ رَائِقَةَ يُسَاوِي ثَلَاثِينَ أَلْفًا، فِي بَالُوعَةِ الدَّارِ، فَسَأَلَتْهُ أَنْ يُؤْتَى بِمَنْ يَسْتَخْرِجُهُ، فَقَالَ: إِنَّ يَدَكِ أَكْرَمُ عَلَيَّ مِنْ أَنْ تَلْبَسَهُ بَعْدَمَا صَارَ إِلَى هَذَا الْمَوْضِعِ الْقَذِرِ. وَأَمَرَ لَهَا بِخَمْسَةِ آلَافِ دِينَارٍ بَدَلَهُ، وَقَدْ كَانَ لِرَائِقَةَ هَذِهِ مِنَ الْحُلِيِّ شَيْءٌ عَظِيمٌ، مِنْ جُمْلَةِ ذَلِكَ يَاقُوتَةٌ وَجَوْهَرَةٌ، كُلُّ وَاحِدَةٍ بِثَلَاثَةٍ وَسَبْعِينَ أَلْفِ دِينَارٍ.
পৃষ্ঠা - ৭৮১৫


অ ৷ৎটির বদলে অন্য একটি আং টি কেনার জন্যে পাচ হাজার দীনার (স্বর্ণঘুদ্রা) নিয়ে যাও ৷ রাবিআ
নামের এই দ ৷সীর নিকট ছিল মহামুল্যবান গহনা ও অলংকারের সঞ্চয় ৷ তন্মধ্যে ছিল ইয়া ৷কুত ও
হীরক খণ্ড ৷ বা ব ৷প্ৰত্যেকটির মুল ৭৩ হাজার দীন৷ ৷র বা স্বর্ণহুড্রা ৷

ইমাম বুখ৷ ৷রী (র)৩ ৷ তবে “মানুষের কর্ম” গ্রন্থে এবং ইবন আবু হাতিম “আল-সুন্নড়াহ্ কিভাবে
এবং সুন্নাত সম্পর্কে গ্রন্থ সং কলনক৷ রী অন্যান্যগণ উদ্ধৃত করেছেন যে, খালিদ ইবন আবদুল্লাহ
কাসরী এক ঈদুল আযহায় জনগণের উদ্দেশ্যে একটি খুতবা প্রদান করেছিলেন ৷ তিনি বলেছিলেন,
হে লোক সকল ! আপনারা কুরবানী করুন মহান আল্লাহ আপনাদের কুরবানী কবুল করবেন ৷ তবে
আমি এইবার জাদ ইবন দিরহামকে কুরবানী দিব-হত্যা করব ৷ কারণ, ও হতভাগা দাবী করে যে,
আল্লাহ তাআল৷ হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে বন্ধুরুপে গ্রহণ করেননি এবং তিনি হযরত মুসা
(আ) এর সাথে কথা বলেননি ৷ হতভাগা জাদ যা বলে মহান আল্লাহ তা হতে বহু উধের্ব ৷ এরপর
খালিদ মিম্বর থেকে নেমে মিম্বরের সম্মুখেই জাদকে যবাহ করে ফেললেন ৷

অবশ্য অন্যরা বলেছেন যে, জাদ ইবন দিরহাম ছিল সিরিয়ার অধিবাসী ৷ সে মারওয়ান
আল-হিমার”-এর শিক্ষক ছিল ৷ এজন্যে মারওয়ানকে মারওয়ান আল-জাদী বলা হয় ৷ ওই জাদ
ছিল জাহ্মিয়৷ সম্প্রদায়ের নেতা জরহম ইবন সাফওয়ানের গুরু ও শায়খ ৷ ওই সম্প্রদায়ের
লোকেরা বিশ্বাস করে যে, মহান আল্লাহ স্বছুাপ৩ ৷ত ৩াবে সর্বস্থানে উপস্থিত ৷ ৰ্স্তুশ্শুন্ তারা যা বলে
মহান আল্লাহ তা হতে বহু উধের্ধ ৷ জাদ ইবন দিরহাম এই মাযহাব ও মতবাদ পেয়েছিল তা কোন
ইবন সামআন নামের এক লোক হতে ৷ আবান এই মাযহাব পেয়েছিল লাবীদ ইবন আসমের
ভাগ্নে তালুত হতে ৷ তালুত পেয়েছিল তার মামা লাবীদ ইবন আ সাম ইয়াহুদী হতে ৷ এই
লাবীদ ই চিরুনী, চুল ও খেজুরের থােসার মধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে যাদু করেছিল এবং
ঘু-আরওয়ান নামক কুপের মধ্যে ওই পাথর চাপা দিয়ে রেখেছিল ৷ যাদুর প্রতিক্রিয়ায় ওই কুপের
পানি যেহেদীর রং বিশিষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ এই বিষয়ে সহীহ্ বুখারী, সহীহ্ মুসলিম ও অন্যান্য
হাদীসগ্রন্থে হাদীস বর্ণিত রয়েছে ৷ কোন কোন হাদীসে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে যাদু করার
প্রেক্ষিতে মহান আল্লাহ সুরা ফালাক ও সুরা নাস নাযিল করেছেন ৷

আবু বকর ইবন আবু খায়ছাম৷ বলেছেন যে , মুহাম্মদ ইবন ইয়াযীদ রিফাঈ বলেছেন আমি আবু
বকর ইবন আইয়াশকে বলতে শুনেছি, তিনি বলছিলেন, মুপীর৷ ও তার সাথীদেরকে যখন বন্দী
করে খালিদের নিকট উপস্থিত করা হয়, তখন আমি খালিদকে দেখেছিলাম ৷ মসজিদে তীর জন্যে
একটি চৌকি সাজানো হয়েছিল ৷ তিনি সেখানে বলেছিলেন ৷ এরপর এক ব্যক্তিকে হত্যার নির্দেশ
দিলেন৩ ৷৩ ৷কে হত্যা করা হল ৷ এরপর মুগীরাকে বললেন, এবার তুমি ওকে জীবিত কর ৷ মুগীরা
দাবী করত যে, সে মৃতকে জীবিত করতে পারে ৷ মুগীরা বলল, আল্লাহ্ আপনার ভাল করুন আমি
তো মৃতকে জীবিত করতে পারি না ৷ থালিদ বললেন, তুমি হয়৩ ওকে জা৷ব৩ কবরে নঙুব৷ ৷আমি
তোমাকে মেরে ফেলব ৷ সে বলল, আল্লাহর কসম ! আমি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম নই ৷
এরপর তিনি একটি বাশে আগুন জ্বালাতে বললেন ৷ তাতে আগুন জালানাে হল ৷ এরপর তিনি
মুপীবাকে বললেন, এবার যাও ওই বাশঢি গলায় জড়িয়ে ধর ৷ যে তাতে অস্বীকৃতি জানায়
ইতিমধ্যে তারই এক অনুসারী এগিয়ে যায় এবং বীশটি গলায় জড়িয়ে ধরে ৷ আবু বকর (র)
বলেন যে, অমি স্পষ্ট দেখেছি যে, ল্যেকটিকে আগুন খেয়ে ফেলছে ৷ সে তখন তজ্জী অঙ্গুলি




وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ " أَفْعَالِ الْعِبَادِ " وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي كِتَابِ " السُّنَّةِ "، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِمَّنْ صَنَّفَ فِي كُتُبِ السُّنَّةِ، أَنَّ خَالِدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْقَسْرِيَّ خَطَبَ النَّاسَ فِي عِيدِ أَضْحًى، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، ضَحُّوا تَقَبَّلَ اللَّهُ ضَحَايَاكُمْ، فَإِنِّي مُضَحٍّ بِالْجَعْدِ بْنِ دِرْهَمٍ إِنَّهُ زَعَمَ أَنَّ اللَّهَ لَمْ يَتَّخِذْ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا، وَلَمْ يُكَلِّمْ مُوسَى تَكْلِيمًا، تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُ الْجَعْدُ بْنُ دِرْهَمٍ عُلُوًّا كَبِيرًا. ثُمَّ نَزَلَ فَذَبَحَهُ فِي أَصْلِ الْمِنْبَرِ. قَالَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ: كَانَ الْجَعْدُ بْنُ دِرْهَمٍ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، وَهُوَ مُؤَدِّبُ مَرْوَانَ الْحِمَارِ، وَلِهَذَا يُقَالُ لَهُ: مَرْوَانُ الْجَعْدِيُّ. نِسْبَةً إِلَيْهِ، وَهُوَ شَيْخُ الْجَهْمِ بْنِ صَفْوَانَ الَّذِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ الطَّائِفَةُ الْجَهْمِيَّةُ الَّذِينَ يَقُولُونَ: إِنَّ اللَّهَ فِي كُلِّ مَكَانٍ بِذَاتِهِ. تَعَالَى اللَّهُ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوًّا كَبِيرًا. وَكَانَ الْجَعْدُ بْنُ دِرْهَمٍ قَدْ تَلَقَّى هَذَا الْمَذْهَبَ الْخَبِيثَ عَنْ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: بَيَانُ بْنُ سِمْعَانَ. وَأَخَذَهُ بَيَانٌ، عَنْ طَالُوتَ ابْنِ أُخْتِ لَبِيدِ بْنِ أَعْصَمَ عَنْ خَالِهِ لَبِيدِ بْنِ أَعْصَمَ الْيَهُودِيِّ الَّذِي سَحَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مُشْطٍ وَمُشَاطَةٍ، وَجُفِّ طَلْعَةِ ذَكَرٍ تَرَكَهُ تَحْتَ رَاعُوفَةٍ بِبِئْرِ ذِي أَرْوَانَ الَّتِي كَانَ مَاؤُهَا نُقَاعَةَ الْحِنَّاءِ. وَقَدْ ثَبَتَ الْحَدِيثُ بِذَلِكَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا. وَجَاءَ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ بِسَبَبِ
পৃষ্ঠা - ৭৮১৬


রাইশারা করছিল ৷ তখন মুগীরাকে খালিদ বললেন, আল্লাহর কসম ! নেতৃত্বের জন্যে ওই
লোক তোমার চেয়ে অধিক যোগ্য! এরপর তিন মুপীরাকে এবং৩ তার সাথীদেরকে হত্যা
করলেন ৷

মাদাইনী বলেছেন, কুফাতে নুবুওয়াত দাবী করেছিল এমন এক লোককে খালিদের নিকট
নিয়ে আসা হল ৷ ওই লোককে বল! হল তোমার নুবুওয়াতের চিহ্ন কি ? সে বলল, আমার প্রতি
কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং তা হল :

এরপর থালিদ তাকে শুলিতে চড়ানাের নির্দেশ দিলেন ৷ শুলিতে থাকা অবস্থায় সে বলছিল :
মাবরাদ বলেছেন, এক যুবককে পাওয়! গেল ভিন্ন এক গোত্রের অন্দর মহলে ৷৩ তার বিরুদ্ধে
চুরির অভিযোগ দিয়ে তাকে খ!লিদের নিকট উপস্থিত করা হল খালিদ তাকে ঘটনা সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করলেন , সে অপর ধ স্বীকা র করল ৷ (মুলত সে চে র ছিল না, প্রেমিক! !র সাথে সাক্ষাত

করতে গিয়েছিল) ৷ তারপর তার হাত কর্তনের নির্দেশ দেওয়া হল ৷ ওই মুহুর্তে জনৈক সুন্দরী
মহিলা বেরিয়ে এসে নিম্নের পংক্তিমালা আবৃত্তি করল :

ষ্া৷ ষ্ ং ’ # শ্শ্ শ্ণ্ংশ্ শ্শ্ শ্া৷শ্ণ্শ্ণ্ শ্শ্
“ওহে খালিদ ! আপনি আল্লাহর কলম, পায়ে হে!চট খেলেন, একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন ৷
মুলত পিরীতির পাগল প্রেমিককে আমরা চোর হিসেবে গণ্য করি না ৷”

“সে তো এমন এক অপরাধের কথা স্বীকার করেছে যে অপরাধ সে করেনি ৷ তবে

প্রেমিকাকে অপমানিত করার চেয়ে সে নািজং হাত কর্তনকে ভালো মনে করেছে ৷ ”

মহিলার কবিতা শুনে খালিদ মহিলার পিতাকে ডেকে পাঠালেন ৷ ওই যুবকের সাথে যেয়েটির
বিয়ে দিয়ে দিলেন এবং যুবকের পক্ষ হতে দেন মােহরস্বরুপ তিনি নিজে দশ হাজার দিরহড়াম
আদা য় করে দিলেন ৷

আছমাঈ বলেছেন, জনৈক আরব বেদুঈন খালিদের নিকট উপস্থিত হয়েছিল ৷ সে বলল,
দুইটা পংক্তিতে আমি আপনার প্রশংসা ব্যক্ত করেছি ! আমাকে দশ হাজার দিরহাম আর একটি
খাদিম না দিলে আমি ওই পংক্তি আবৃত্তি করব না ৷ খালিদ বললেন, ই!!, তা তুমি পাবে ৷ তখন সে
আবৃত্তি করল :


“আপনি “হী!” বলাংক অনিবার্য করে দিয়েছেন ৷ আপনি হ্যা বলতে বলতে এখন হয়ে
গিয়েছেন যে, আপনি কোন বিষয়ে যেন কােনদিন “হী!” ব্যতীত অন্য কিছু বলেননি ৷ ”

# শ্!শ্শ্ন্ন্শ্াষ্শ্ শ্শ্প্শ্ষ্শ্শ্

০০ তো

ذَلِكَ سُورَتَيِ " الْمُعَوِّذَتَيْنِ ". وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرِّفَاعِيُّ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَيَّاشٍ قَالَ: رَأَيْتُ خَالِدًا الْقَسْرِيَّ حِينَ أُتِيَ بِالْمُغِيرَةِ وَأَصْحَابِهِ، وَقَدْ وُضِعَ لَهُ سَرِيرٌ فِي الْمَسْجِدِ، فَجَلَسَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَمَرَ بِرَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَضُرِبَتْ عُنُقُهُ، ثُمَّ قَالَ لِلْمُغِيرَةِ بْنِ سَعِيدٍ: أَحْيِهِ! - وَكَانَ الْمُغِيرَةُ يَزْعُمُ أَنَّهُ يُحْيِي الْمَوْتَى، فَقَالَ: وَاللَّهِ، أَصْلَحَكَ اللَّهُ، مَا أُحْيِي الْمَوْتَى. قَالَ: لَتُحْيِيَنَّهُ أَوْ لَأَضْرِبَنَّ عُنُقَكَ. قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَقْدِرُ عَلَى ذَلِكَ. ثُمَّ أَمَرَ بِطُنِّ قَصَبٍ، فَأَضْرَمُوا فِيهِ نَارًا، ثُمَّ قَالَ لِلْمُغِيرَةِ: اعْتَنِقْهُ. فَأَبَى، فَعَدَا رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ الْمُغِيرَةِ فَاعْتَنَقَهُ، قَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَرَأَيْتُ النَّارَ تَأْكُلُهُ وَهُوَ يُشِيرُ بِالسَّبَّابَةِ. قَالَ خَالِدٌ: هَذَا وَاللَّهِ أَحَقُّ بِالرِّئَاسَةِ مِنْكَ. ثُمَّ قَتَلَهُ وَقَتَلَ أَصْحَابَهُ. وَقَالَ الْمَدَائِنِيُّ: أُتِيَ خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بِرَجُلٍ تَنَبَّأَ بِالْكُوفَةِ فَقِيلَ لَهُ: مَا عَلَامَةُ نُبُوَّتِكَ؟ قَالَ: قَدْ أُنْزِلَ عَلَيَّ قُرْآنٌ. قِيلَ: مَا هُوَ؟ قَالَ: إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْجَمَاهِرْ، فَصْلِ لِرَبِّكَ وَلَا تُجَاهِرْ. وَلَا تُطِعْ كُلَّ كَافِرٍ وَفَاجِرْ. فَأَمَرَ بِهِ، فَصُلِبَ، فَقَالَ وَهُوَ يُصْلَبُ: إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْعَمُودْ، فَصَلِّ لِرَبِّكَ عَلَى عُودْ، فَأَنَا ضَامِنٌ لَكَ أَنْ لَا تَعُودْ. وَقَالَ الْمُبَرِّدُ: أُتِيَ خَالِدٌ بِشَابٍّ قَدْ وُجِدَ فِي دَارِ قَوْمٍ، وَادُّعِيَ عَلَيْهِ السَّرَقُ،
পৃষ্ঠা - ৭৮১৭
فَسَأَلَهُ فَاعْتَرَفَ، فَأَمَرَ بِقَطْعِ يَدِهِ، فَتَقَدَّمَتْ فَتَاةٌ حَسْنَاءُ، فَقَالَتْ: أَخَالِدٌ قَدْ أَوَطَأْتَ وَاللَّهِ عُشْوَةً ... وَمَا الْعَاشِقُ الْمِسْكِينُ فِينَا بِسَارِقِ أَقَرَّ بِمَا لَمْ يَجْنِهِ غَيْرَ أَنَّهُ ... رَأَى الْقَطْعَ أُولَى مِنْ فَضِيحَةِ عَاشِقِ فَأَمَرَ خَالِدٌ بِإِحْضَارِ أَبِيهَا، فَزَوَّجَهَا مِنْ ذَلِكَ الْفَتَى، وَأَمْهَرَهَا عَنْهُ عَشَرَةَ آلَافِ دِرْهَمٍ. وَقَالَ الْأَصْمَعِيُّ: دَخَلَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى خَالِدٍ فَقَالَ: إِنِّي قَدِ امْتَدَحْتُكَ بِبَيْتَيْنِ، وَلَسْتُ أَنْشُدُهُمَا إِلَّا بِعَشَرَةِ آلَافٍ وَخَادِمٍ. فَقَالَ: قُلْ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: لَزِمْتَ نَعَمْ حَتَّى كَأَنَّكَ لَمْ تَكُنْ ... سَمِعْتَ مِنَ الْأَشْيَاءِ شَيْئًا سِوَى نَعَمْ وَأَنْكَرْتَ لَا حَتَّى كَأَنَّكَ لَمْ تَكُنْ ... سَمِعْتَ بِهَا فِي سَالِفِ الدَّهْرِ وَالْأُمَمْ قَالَ: فَأَمَرَ لَهُ بِعَشَرَةِ آلَافِ دِرْهَمٍ وَخَادِمٍ يَحْمِلُهَا. قَالَ: وَدَخَلَ عَلَيْهِ أَعْرَابِيٌّ، فَقَالَ لَهُ: سَلْ حَاجَتَكَ. فَقَالَ لَهُ: مِائَةُ أَلْفٍ. فَقَالَ: أَكْثَرْتَ، حُطَّ مِنْهَا. فَقَالَ: أَضَعُ مِنْهَا تِسْعِينَ أَلْفًا. قَالَ: فَتَعْجَّبَ مِنْهُ خَالِدٌ فَقَالَ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، سَأَلْتُكَ عَلَى قَدْرِكَ، وَوَضَعْتُ عَلَى قَدْرِي. فَقَالَ لَهُ: لَنْ تَغْلِبَنِي. وَأَمَرَ لَهُ بِمِائَةِ أَلْفٍ. قَالَ: وَدَخَلَ عَلَيْهِ أَعْرَابِيٌّ، فَقَالَ: إِنِّي قَدْ قُلْتُ فِيكَ شِعْرًا، وَأَنَا أَسْتَصْغِرُهُ
পৃষ্ঠা - ৭৮১৮

“আপনিওে ৷ “ ৷” বলাটা ছেড়ে দিয়েছেন ৷ আপনি এমন হয়ে গিয়েছেন যেন যুগ যুগাম্ভরে,
জন্ম-জন্মা ন্তরে আপনি কা ৷উকে “না” বলতে শুনেন নি ৷ ”

বর্ণনাকারী বলেন, তারপর খালিদ তাকে দশহাজার দিরহাম এবং একটি খাদেম প্রদান
করেন ৷ যে থাদিম ওই দিরহাম বহন করে নিয়ে যায় ৷

আছমাঈ আরো বলেছেন যে, এক আরব বেদুঈনখালিদের নিকট প্রবেশ করে ৷ খালিদ
বলেন, তোমার কী প্রয়োজন তা জানাও ৷ বেদুঈন বলল, এক লক্ষ দিরহাম প্রয়োজন আমার ৷
খালিদ বললেন খুব বেশী হয়ে গেল যে, কিছুটা কমাও ৷ সে বলল, ৯০ হাজার কমিয়ে দিলাম ৷
তার কাণ্ড দেখে খালিদ অবাক হলেন ৷ বেদুঈন বলল, আপনার ব্যক্তিতৃ ও অবস্থান অনুযায়ী৷ আ
প্রথমে আপনার নিকট বড় মাপের সাহায্য চেয়েছিলাম ৷ পরে আমার অবস্থা অনযায়ী৩ তা কমিয়ে
দিয়েছি ৷ খালিদ বললেন,৩ তুমি আমাকে পরাস্ত করতে পারবে না কখনো ৷ তাকে পুরো এক লক্ষ
দিরহাম দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করলেন ৷

আছমাঈ বলেন, এক আরব রেদুঈন৷ খালিদের দরবারে উপস্থিত হয় ৷ সে বলল, আমি
আপনার সম্মানে একটি কবিতা রচনা করেছি ৷ কিন্তু আপনার মান-মর্যাদার বর্ণনায় সেটিকে আ ৷মি
নগন্য মনে করছি ৷ খ৷ লিদ বললেন,৩ মিতু ওই কবিতা আবৃত্তি কর ৷ সে বলতে লাগলং :

মোঃ
“আপনি আমাকে দা ন ৷করছিলেন ৷ দিতে দিতে আপনি আমার সকল প্রয়োজন ও অভাব পুরণ
করে দিয়েছেন ৷ আপনি আমাকে এমন পরিমাণ দিয়েছেন যে, আমি মনে করেছিলাম আপনি
আমার সাথে তামাশা করছেন ৷



“বস্তুত আপনি নিজে দা ৷নশীল ৷ আপনার পিতা দানশীল, আপনার ভাই দানশীল , আপনার মিত্র
দানশীল ৷ দানশীলত৷ আপনাকে কখনো ছেড়ে যায় না ৷”

খালিদ বললেন, এবার তোমার চাহিদার কথা জানাও ৷ যে বলল, আমার তো এখন ৫০,০০০
দীনার ঋণ আছে ৷ খালিদ বললেন, সেটি তোমাকে দেওয়ার জন্যে এবং মোট সেটির দ্বিগুণ
দেওয়ার জন্যে আমি নির্দেশ দিলাম ৷ তারপর এক লক্ষ দীনার বা স্বর্ণড্রো তাকে দেওয়া হল ৷

আবু তাইয়িব মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াইহ্য়৷ ওসাঈ বলেছেন, এক আরব রেদুঈন
খালিদ কাসৃরীর দরবারে উপস্থিত হয়ে নিম্নের কবিতা আবৃত্তি করল :

াট্রুন্থঠু১া
“আপনিতোআপ নার সদর দরজায় “হীা” লিখে রেখেছেন ৷ ওই লেখা ই তো ৷লােকজনকে
মুখের নেকাব খুলে হাসি মুখে বড় আশা নিয়ে আপনার দরবারে আসতে আহ্বান জানায় ৷”

“আর আপনি ৷“না”-কে বলে দিয়েছেন যে, তুষি অন্যের দরজায় স্থান করে নাও ৷ কারণ,

আল-ৰিদায়া ওৰুহ্বান নিহার৷ (১০ম্ থাঃ)প্-ংা


فِيكَ. فَقَالَ: قُلْ. فَأَنْشَأَ يَقُولُ: تَعَرَّضْتَ لِي بِالْجُودِ حَتَّى نَعَشْتَنِي ... وَأَعْطَيْتَنِي حَتَّى ظَنَنْتُكَ تَلْعَبُ فَأَنْتَ النَّدَى وَابْنُ النَّدَى وَأَخُو النَّدَى ... حَلِيفُ النَّدَى مَا للنَّدَى عَنْكَ مَذْهَبُ فَقَالَ: سَلْ حَاجَتَكَ. قَالَ: عَلَيَّ خَمْسُونَ أَلْفًا دَيْنًا. فَقَالَ: قَدْ أَمَرْتُ لَكَ بِهَا، وَشَفَعْتُهَا لَكَ. فَأَعْطَاهُ مِائَةَ أَلْفٍ. قَالَ أَبُو الطِّيبِ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَحْيَى ابْنِ الْوَشَّاءِ: دَخَلَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى خَالِدٍ الْقَسْرِيِّ فَأَنْشَدَهُ: كَتَبْتَ نَعَمْ بِبَابِكَ فَهِيَ تَدْعُو ... إِلَيْكَ النَّاسَ مُسْفِرَةَ النِّقَابِ وَقُلْتَ لِلَا عَلَيْكِ بِبَابِ غَيْرِي ... فَإِنَّكِ لَنْ تُرَيْ أَبَدًا بِبَابِي قَالَ: فَأَعْطَاهُ عَلَى كُلِّ بَيْتٍ خَمْسِينَ أَلْفًا. وَقَدْ قَالَ فِيهِ ابْنُ مَعِينٍ: كَانَ رَجُلُ سُوءٍ يَقَعُ فِي عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ الْأَصْمَعِيُّ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ خَالِدًا حَفَرَ بِئْرًا بِمَكَّةَ ادَّعَى فَضْلَهَا عَلَى زَمْزَمَ. وَلَهُ فِي رِوَايَةٍ عَنْهُ تَفْضِيلُ الْخَلِيفَةِ عَلَى الرَّسُولِ. وَهَذَا كُفْرٌ إِلَّا أَنْ يُرِيدَ بِكَلَامِهِ غَيْرَ مَا يَبْدُو مِنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ وَلَعَلَّ هَذَا لَا يَصِحُّ عَنْهُ، وَقَدْ رَأَيْتُ صَاحِبَ " الْعِقْدِ " سَبَّ بِهِ،
পৃষ্ঠা - ৭৮১৯


কো ন ৷সময়েই তােমাকে আমার দরজায় দেখা যাবে ন ৷” বর্ণনাক ৷রী বলেন, কবিতা শুনে খালিদ
কাসবী৩ তাকে প্রতি ৩ল৷ ৷ইনের জন্যে ৫০ হাজার দিরহা ৷ম প্রদ৷ ৷ন করেন ৷

খালিদ কাসরী সম্পর্ক ইবন মঈন বলেছেন যে, সে ছিল একজন মন্দ লোক ৷ হযরত আলী
(ব)-এব দুর্নাম গেয়ে যেড়াত ৷ সে আছম৷ তার পিতা হতে বংনাি করেছেন যে খালিদ পবিত্র
মক্কায় একটি কুপ খনন করেছিল এবং সেটি যথাযথ কুপের চেয়ে অধিক সম্মানয়োগ্য বলে দাবী
করেছিল ৷৩ তার সম্পর্কে এমন কথাও প্রচলিত ৩রয়েছে যে, সে খলীফাকে রাসুলের উপর মর্যাদা
প্রদান করত ৷ এটিতাে স্পষ্ট কুফরী ৷ অবশ্য উপরোক্ত মন্তব্য দ্বারা সে যদি বাহ্যিক অর্থ না নিয়ে
অন্য কো ন ৷অর্থ বুঝিয়ে থাকে তা স্বতন্ত্র ৷ মহান আল্ল৷ হ্ ভাল জানেন ৷
অবশ্ ৷ ৷স্পষ্টত যা জানা যায় তা এই যে, খ ৷লিদ এমন মন্তব্য করেছেন৩ তা বলে যা প্রচলিতত
ঠিক নয় ৷ তিনি এমন কথা বলতে পারেন না ৷ কারণ,৩ তিনি সর্বদা ৷বিদআত ও পােমর৷ হী দুরীকরণে
তৎপর ছিলেন ৷ এই সুত্রে তিনি জাদ ইবন দিরহাম ও অন্যান্য পাপাচারী লোকদেরকে হত্যা
করেছেন ৷ “আল-আক্দ” কিতাবের রচয়িতা খালিদ সম্পর্কে কিছু অসত্য মন্তব্য করেছেন ৷
কারণ, “আক্দ কিতাবের রচয়িতারর্ম নিজের মধ্যে নবী পরিবার সম্পর্ক কতক সীমালঙ্ঘনমুলক
ধারণা ও বিশ্বাস ছিল ৷ সে কখনো কখনো এমন সব কথা বলত যার অর্থ কেউ বুঝত না ৷
আমাদের শায়খ আল্লাম৷ যাহাবী ওই ব্যক্তি স্পষ্ট প্রতারিত হয়েছেন ৷ তাই তিনি তার স্মরণ শক্তি ও
অন্যান্য কর্মের প্রশংসা করেছেন ৷

ইবন জারীর ইবন আসাকির ও অন্যান্যরা উল্লেখ করেছেন যে, ওয়ালীদ ইবন ইয়াযীদ তব
শাসনামলে সিদ্ধ৷ ৷ন্ত নিয়ে ছিল যে, সে হরুজ্জ যাবে এবং সেখানে কা ব৷ গৃহের ছাদে উঠে মদপান
করবে ৷ একদল নেতৃস্থানীয় ও শাসক পর্যায়ের লোক তা জানতে পারে ৷ তার এই ধৃষ্টতা ও
ধর্মদ্রো তার প্রেক্ষিতে তারা তাকে খুন করে অন্য ক উকে খলীফা ৷র পদে বসানাের ব্যাপারে
একমত হয় ৷ খালিদ এই গোপন সংবাদ জানতে পেরে ওয়ালীদকে সে বিষয়ে সতর্ক করে দেয় ৷
ওয়ালীদ ওই নেতাদের নাম জান নতে চায় খালিদের নিকট ৷ খ ৷লিদ নাম প্রকাশে ৷অম্বীকৃতি জানায় ৷
ওয়ালীদ এজন্যে৩ তাকে কঠিন শাস্তি প্রদান করে ৷ এরপর তাকে ইউসুফ ইবন উমরের নিকট
পাঠিয়ে দেয় ৷ ইউসুফ তার উপর অকথ্য নির্যাতন৷ চ ৷লায় ৷ অবশেষে করুণ ও দুঃখজনকভ৷ বে তার
মৃত্যু হয় ৷ এই বছরের অর্থাৎ ১২৬ হিজরী সনের মুহাবৃরাম নামে তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে
আল ওয়াকিয়্যাত গ্রন্থে ইবন খাল্লিকা ৷ন তার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি বলেছেন যে, খ ৷লিদের
ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে সন্দেহ ছিল ৷ নিওেজ ল ঈমান তার মধ্যে ছিল না বলে অভিযোগ
রয়েছে ৷ সে ত ৷র ৷নিজের ঘরের মধ্যে তার মায়ের জন্যে একটি গির্জা বা ৷নিয়েছিল ৷ এ নিয়ে কোন
কো ন করি নিন্দা ৷সুচক কবিতা লিখেছে ৷ “আল আইয়ান” গ্রন্থের লেখক বলেছেন যে, খালিদের
পুর্বপুরুষ ইয়াহুদী ছিল ৷ শাক্ক ও সাভীহের সাথে৩ার ঘনিষ্ঠ৩ ৷ ছিল ৷ ক যী ইবন থাল্লিকান
বলেছেন যে, ৷৷ক ও না ৷তীহ্, ত ৷রা দুইজন ছিল পরস্পর খ৷ লাত তাই ৷ তাদের প্রত্যেকেই ছয়শত
বছর করে আযু পেয়েছিল ৷ দুইজনের জন্ম হয়েছিল একই দিনে ৷ যেদিন জ্যোতিষী৩ারীকা বিনত
হয় এর মৃত্যু হয় সেদিন এদের দুইজনের জন্ম হয় ৷ ওদের দুইজনের মুখে নিজের থু থু ছিটিয়ে
দিয়ে সে বলেছিল এরা জ্যোতিষ শাস্তে আমার প্রতিনিধিত্ব করবে ৷ এরপর সেদিনই তারীকা
মৃত্যুবরণ করে ৷


وَيُقَرِّرُهُ عَنْهُ ; لِأَنَّ صَاحِبَ الْعِقْدِ كَانَ فِيهِ تَشَيُّعٌ شَنِيعٌ، وَرُبَّمَا لَا يَفْهَمُهُ كُلُّ أَحَدٍ، وَقَدِ اغْتَرَّ بِهِ شَيْخُنَا الذَّهَبِيُّ فَمَدَحَهُ بِالْحِفْظِ وَغَيْرِهِ، وَلَمْ يَفْهَمْ تَشَيُّعَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ عَسَاكِرَ وَغَيْرُهُمَا أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ يَزِيدَ كَانَ قَدْ عَزَمَ عَلَى الْحَجِّ فِي إِمَارَتِهِ، وَمِنْ نِيَّتِهِ أَنْ يَشْرَبَ الْخَمْرَ عَلَى ظَهْرِ الْكَعْبَةِ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ جَمَاعَةً مِنَ الْأُمَرَاءِ اجْتَمَعُوا عَلَى قَتْلِهِ وَتَوْلِيَةِ غَيْرِهِ مِنَ الْجَمَاعَةِ، فَحَذَّرَ خَالِدٌ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مِنْهُمْ، فَسَأَلَهُ أَنْ يُسَمِّيَهُمْ، فَأَبَى عَلَيْهِ، فَعَاقَبَهُ عِقَابًا شَدِيدًا، ثُمَّ بَعَثَ بِهِ إِلَى يُوسُفَ بْنِ عُمَرَ فَعَاقَبَهُ حَتَّى مَاتَ شَرَّ قِتْلَةٍ وَأَسْوَأَهَا، وَذَلِكَ فِي مُحَرَمٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، أَعْنِي سَنَةَ سِتٍّ وَعِشْرِينَ وَمِائَةٍ. وَذَكَرَهُ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ فِي " الْوَفَيَاتِ " وَقَالَ: كَانَ يُتَّهَمُ فِي دِينِهِ، وَقَدْ بَنَى لِأُمِّهِ كَنِيسَةً فِي دَارِهِ فَنَالَ مِنْهُ بَعْضُ الشُّعَرَاءِ. وَقَالَ صَاحِبُ " الْأَعْيَانِ ": كَانَ فِي نَسَبِهِ يَهُودٌ، فَانْتَمَوْا إِلَى الْعَرَبِ، وَكَانَ يَقْرُبُ مِنْ شِقٍّ، وَسَطِيحٍ. قَالَ الْقَاضِي ابْنُ خَلِّكَانَ: وَقَدْ كَانَا ابْنَيْ خَالَةٍ، وَعَاشَ كُلٌّ مِنْهُمَا سِتَّمِائَةٍ، وَوُلِدَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَذَلِكَ يَوْمَ مَاتَتْ طَرِيفَةُ بِنْتُ الْخَيْرِ بَعْدَمَا تَفَلَتْ فِي فَمِ
পৃষ্ঠা - ৭৮২০
كُلٍّ مِنْهُمَا، وَقَالَتْ: إِنَّهُ سَيَقُومُ مَقَامِي فِي الْكَهَانَةِ. ثُمَّ مَاتَتْ مِنْ يَوْمِهَا. وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِي هَذِهِ السَّنَةِ جَبَلَةُ بْنُ سُحَيْمٍ، وَدَرَّاجٌ أَبُو السَّمْحِ، وَسَعِيدُ بْنُ مَسْرُوقٍ فِي قَوْلٍ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَبِيبٍ الْمُحَارِبِيُّ قَاضِي دِمَشْقَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ قَاسِمٍ شَيْخُ مَالِكٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي يَزِيدَ، وَعَمْرُو بْنُ دِينَارٍ. وَقَدْ ذَكَرْنَا تَرَاجِمَهُمْ فِي كِتَابِ " التَّكْمِيلِ ".