আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر قصتي الخضر وإلياس عليهما السلام

পৃষ্ঠা - ৭৫৭

খিযির (আ) ও ইলিয়াস (আ)-এর ঘটনা

খিযির (আ) সম্পর্কে পুর্বে বংনাি করা হয়েছে যে, তার নিকট থেকে ইলমে লড়াদৃন্নী অর্জন করার জন্যে মুসা (আ) তার কাছে গমন করেছিলেন ৷ আল্লাহ তাআলা তাদের দৃ’জনের ঘটনা তার পবিত্র গ্রন্থের সুরা কাহাফে বংনাি করেছেন ৷ উল্লেখিত ঘটনা সম্পর্কে তাফসীরে বিস্তারিত বংনাি রয়েছে ৷ আমরা সেখানে ঐ হাদীসঢিরও উল্লেখ করেছি যাতে খিযির (আ)-এর নাম স্পষ্ট উল্লেখিত হয়েছে ৷ আর যিনি তার কাছে গমন করেছিলেন, তিনি ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী মুসা (আ) ইবন ইমরান, র্যার প্রতি তাওরাত অবতীর্ণ হয়েছিল ৷

খিযির (আ)-এর নাম, বংশ পরিচয়, নবুওত ও অদ্যাবধি জীবিত থাকা সম্পর্কে উলামড়ায়ে কিরামের মধ্যে মতভেদ রয়েছে ৷ তার কিছু বর্ণনা নিম্নে পেশ করা হল:

হাফিজ ইবন আসাকির (র) বলেন, কথিত আছে যে, খিযির (আ) আদম (আ)-এর
ঔরসজ্যত সন্তান ৷

তিনি দারা কুতনীর বরাতে-ইবন আব্বাস (রা) থেকে বংনাি করেন, যে, খিযির (আ) আদম (আ)-এর ঔরসজাত সন্তান ৷ দাজ্জালকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার সময় পর্যন্ত তাকে আয়ু দান করা হয়েছে ৷ এই হাদীসটি মুনকাতে এবং গরীব পর্যায়ের ৷

আবু হাতিম (র) বলেন, আমার উস্তাদ আবু উবায়দাহ প্রমুখ বলেছেন, আদম সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘতম আয়ুর অধিকারী হচ্ছেন খিযির (আ) আর তার নাম হচ্ছে খড়াযরুন ৷ তিনি ছিলেন আদম (আ) এর পুত্র কাবীল এর সন্তান ৷ তিনি আরো বলেন, ইবন ইসহাক (র) উল্লেখ করেছেন, যখন আদম (আ)-এর মৃত্যুর সময় হল, তখন তিনি তার সন্তানদেরকে জানালেন যে, একটি প্নড়াবন আসন্ন ৷ তিনি তাদেরকে ওসীয়ত করলেন, তারা যেন তার মৃতদেহ তাদের সাথে নৌযানে উঠিয়ে নেয় এবং তার নির্দেশিত স্থানে তাকে দাফন করে ৷ যখন প্রাবন সংঘটিত হল, তখন তারা তার লাশ তাদের সাথে উঠিয়ে নিলেন আর যখন তারা অবতরণ করলেন, তখন নুহ (আ) তার পুত্রদের নির্দেশ দিলেন, যেন তারা তাকে তার ওসীয়ত মত নির্দিষ্ট স্থানে দাফন করেন ৷ তখন তারা বলতে লাগলেন, পৃথিবী এখনও বসবড়াসযোগ্য হয়ে উঠেনি ৷ এখনো তা নিভৃত নির্জ্য৷ ৷ তখন নুহ (আ) তাদেরকে দাফনের কাজে উৎসাহিত করলেন ৷ তিনি বললেন, আদম (আ)-এর দাফনের দায়িতু যিনি নেবেন, তাকে দীর্ঘায়ু করার জন্যে আদম (আ) আল্লাহর দরবারে দৃআ করেছিলেন ৷ ঐ সময় তারা দাফনের নির্দেশিত স্থানে যেতে ভীতিবােধ্ করলেন ৷ ফলে আদম (আ)-এর দেহ তাদের কাছেই রয়ে গেল ৷ শেষ পর্যন্ত খিযির (আ) আদম (আ)-এর দাফনের দায়িত্ব পালন করেন ৷ এবং আল্লাহ তাআলাও তার প্রতিশ্রুতি পুর্ণ করেন ৷ তাই আল্লাহ্ তাআলা যত দিন চান, খিযির (আ) ততদিন জীবিত থাকবেন ৷


[ذِكْرُ قِصَّتَيِ الْخَضِرِ وَإِلْيَاسَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ] [قِصَّةُ الْخَضِرِ] أَمَّا الْخَضِرُ، فَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، رَحَلَ إِلَيْهِ فِي طَلَبِ مَا عِنْدَهُ مِنَ الْعِلْمِ اللَّدُنِّيِّ، وَقَصَّ اللَّهُ مِنْ خَبَرِهِمَا فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ فِي سُورَةِ " الْكَهْفِ "، وَذَكَرْنَا فِي تَفْسِيرِ ذَلِكَ هُنَالِكَ، وَأَوْرَدْنَا هُنَا ذِكْرَ الْحَدِيثِ الْمُصَرِّحِ بِذِكْرِ الْخَضِرِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّ الَّذِي رَحَلَ إِلَيْهِ هُوَ مُوسَى بْنُ عِمْرَانَ، نَبِيُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ التَّوْرَاةُ. وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي الْخَضِرِ; فِي اسْمِهِ، وَنَسَبِهِ، وَنُبُوَّتِهِ، وَحَيَاتِهِ إِلَى الْآنَ، عَلَى أَقْوَالٍ سَأَذْكُرُهَا لَكَ هَاهُنَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ. قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: يُقَالُ: إِنَّهُ الْخَضِرُ بْنُ آدَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لِصُلْبِهِ. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ الدَّارَقُطْنِيِّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَتْحِ الْقَلَانِسِيُّ، حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ التَّرْقُفِيُّ، حَدَّثَنَا رَوَّادُ بْنُ الْجَرَّاحِ، حَدَّثَنَا مُقَاتِلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ الضَّحَّاكِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: الْخَضِرُ ابْنُ آدَمَ لِصُلْبِهِ، وَنُسِئَ لَهُ فِي أَجَلِهِ حَتَّى يُكَذِّبَ الدَّجَّالَ. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ وَغَرِيبٌ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ سَهْلُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عُثْمَانَ السِّجِسْتَانِيُّ: سَمِعْتُ مَشْيَخَتَنَا; مِنْهُمْ، أَبُو عُبَيْدَةَ وَغَيْرُهُ،
পৃষ্ঠা - ৭৫৮


ইবনে কুতায়বা তার মাআরিফ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, খিযির (আ) এর নাম বালিয়া ৷
কেউ কেউ বলেন, তার নাম ঈলীয়া ইবন মালকান, ইবন ফড়ালিগ ইবন আমির, ইবন
শা,লিখ ইবন আর-ফাখশায, ইবন সাম, ইবন নুহ (আ) ৷

ইসমাঈল ইবন আবুউয়ায়েস (র) বলেন, আমাদের জানা মতে খিযির (আ ) এর নাম
হচ্ছে মামার ইবন মালিক ইবন অ ৷বদৃল্লাহ ইবন নসর ইবন লাযিদ ৷

আবার কেউ কেউ বলেন, খিযির (আ) এর নাম হচ্ছে খাযিরুন ইবন আমীয়াঈল, ইবন
ইয়াফিয ইবন ঈস, ইবন ইসহাক, ইবন ইব্রাহীম খলীল (আ) ৷ কেউ কেউ বলেন, তার নাম

আরমীয়া ইবন খালকীয়৷ ৷ আল্লাহ তাঅ ৷লাই অধিক পবিজ্ঞা ত ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন মুসা (আ)-এর সমসাময়িক মিসরের সম্রাট ফিরআউনের
পুত্র ৷ এটা অত্যন্ত দুর্বল অভিমত ৷

ইবনুল জাওযী (র) বলেন, উপরোক্ত অডিমতটি মুহ ম্মদ ইবন আইয়ুব, ইবন লড়াহীয়৷ থেকে
বর্ণনা করেন ৷ আর তারা দু জনই হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে দুর্বল ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনি হচ্ছেন ইবন মালিক ও ইলিয়াস (আ)-এর ভাই ৷ এটা সুদ্দী
(র)-এর অভিমত ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনি যুলকারনায়নের অ্যাবর্তী বাহিনীর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনি ছিলেন এমন এক ঘুমিন বান্দার পুত্র, যিনি ইব্রাহীম খলীল
(আ)-এর প্রতি ঈমান আনয়ন করেছিলেন এবং তার সাথে হিজরতও করেছিলেন ৷

কেউ কেউ বলেন, তিনি বাশ৩ ৷সিব ইবন লাহরড়াসিরের যুগে নবী ছিলেন ৷

ইবন জারীর তাবারী (র) বলেন, শুদ্ধমত হল যে, তিনি ছিলেন আফবীদুন ইবন
আসফীয়ড়ান-এর যুগের প্রথম দিকের লোক এবং তিনি মুসা (আ)-এর যুগ পেয়েছিলেন ৷
হাফিজ ইবন আসাকির (র) সাঈদ ইবনুল মুসায়িব (রা) থেকে বর্ণনা করেন-তিনি বলেন,
খিযির (আ)-এর মা ছিলেন রোম দেশীয় এবং পিতা ছিলেন পারস্য দেশীয় ৷

এরুপ বর্ণনাও পাওয়া যায়-যাতে বোঝা যায় যে, তিনি ছিলেন ফিরআউনের যুগে বনী
ইসরাঈলের অন্তর্ভুক্ত ৷

আবু-যুরআ (র) ওপ্রু ;ও৷ খ্১া৷ এ উবাই ইবন কাব (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী
করীম (সা) মিরাজের রাতে সুগন্ধি অনুভব করেন ৷ তখন তিনি বলেন, হে জিবরাঈল ৷ এই
সুগন্ধি কিসের? জবাবে জিবরাঈল (আ) বললেন, এটা ফিরআউন কন্যার চুল বিন্যাসকড়ারিণী
মহিলা, তার কন্যা ও৩ ৷র ৷স্বামীর কবরের সুগন্ধি ৷ আর এই স্যুান্ধির সুচনা হয়েছিল নিম্নরুগ :

খিযির (আ) ছিলেন বনী ইসরাঈলের সম্মানিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তার রাস্তায় ছিল এক
ধর্মযাজকের ইবাদতখানা ৷ তিনি খিযির (আ)-এর সন্ধান পান এবং তাকে সত্যধর্ম ইসলামের

শিক্ষা দেন ৷ খিযির (আ) যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হন তখন তা ৷র পিতা তাকে বিবাহ দেন ৷ তখন খিযির
(আ) তার শ্ৰীকে ইসলাম শিক্ষা দেন এবং৩ তার থেকে প্রতিশ্রুতি নেন যে, তিনি তা কারো কাছে


قَالُوا: إِنَّ أَطْوَلَ بَنِي آدَمَ عُمْرًا الْخَضِرُ، وَاسْمَهُ: خَضْرُونُ بْنُ قَابِيلَ بْنِ آدَمَ. قَالَ: وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ آدَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ، أَخْبَرَ بَنِيهِ أَنَّ الطُّوفَانَ سَيَقَعُ بِالنَّاسِ، وَأَوْصَاهُمْ إِذَا كَانَ ذَلِكَ أَنْ يَحْمِلُوا جَسَدَهُ مَعَهُمْ فِي السَّفِينَةِ، وَأَنْ يَدْفِنُوهُ فِي مَكَانٍ عَيَّنَهُ لَهُمْ. فَلَمَّا كَانَ الطُّوفَانُ، حَمَلُوهُ مَعَهُمْ، فَلَمَّا هَبَطُوا إِلَى الْأَرْضِ، أَمَرَ نُوحٌ بَنِيهِ أَنْ يَذْهَبُوا بِبَدَنِهِ فَيَدْفِنُوهُ حَيْثُ أَوْصَى، فَقَالُوا: إِنَّ الْأَرْضَ لَيْسَ بِهَا أَنِيسٌ، وَعَلَيْهَا وَحْشَةٌ، فَحَرَّضَهُمْ، وَحَثَّهُمْ عَلَى ذَلِكَ. وَقَالَ: إِنَّ آدَمَ دَعَا لِمَنْ يَلِي دَفْنَهُ بِطُولِ الْعُمْرِ، فَهَابُوا الْمَسِيرَ إِلَى ذَلِكَ الْمَوْضِعِ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ، فَلَمْ يَزَلْ جَسَدُهُ عِنْدَهُمْ، حَتَّى كَانَ الْخَضِرُ هُوَ الَّذِي تَوَلَّى دَفْنَهُ، وَأَنْجَزَ اللَّهُ مَا وَعَدَهُ، فَهُوَ يَحْيَى إِلَى مَا شَاءَ اللَّهُ لَهُ أَنَّ يَحْيَى. وَذَكَرَ ابْنُ قُتَيْبَةَ فِي " الْمَعَارِفِ "، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، أَنَّ اسْمَ الْخَضِرِ بَلْيَا. وَيُقَالُ: إِيلِيَا بْنُ مَلْكَانَ بْنِ فَالَغَ بْنِ عَابَرَ بْنِ شَالَخَ بْنِ أَرْفَخْشَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقَالَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ: اسْمُ الْخَضِرِ فِيمَا بَلَغْنَا - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - الْمُعَمَّرُ بْنُ مَالِكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَصْرِ بْنِ الْأَزْدِ. وَقَالَ غَيْرُهُ: هُوَ خَضْرُونُ بْنُ عَمْيَايِيلَ بْنِ الْيَفْزِ بْنِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَيُقَالُ: هُوَ أَرَمَيَا بْنُ حَلْقِيَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ ابْنَ فِرْعَوْنَ صَاحِبِ مُوسَى، مَلِكِ مِصْرَ. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. قَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ: رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، وَهُمَا ضَعِيفَانِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ ابْنُ مَالِكٍ، وَهُوَ أَخُو إِلْيَاسَ. قَالَهُ السُّدِّيُّ كَمَا سَيَأْتِي.
পৃষ্ঠা - ৭৫৯


ব্যক্ত করবেন না ৷ থিযির (আ) যেহেতু শ্রী সংসর্গে যেতেন না, তাই তিনি তাঃক তালাক দেন ৷

তারপর তার পিতা তাকে অন্য এক মহিলার সাথে বিবাহ দেন ৷ তিনি তাকেও ইসলাম শিক্ষা
দেন এবং তার থেকেও প্রআিতি নেন যে , তিনি কারো কাছে তা ব্যক্ত করবেন না ৷ অতঃপর
তিনি র্তাকেও তালাক দেন ৷ তাদের একজন তা প্রকাশ না করলেও অপরজন প্রকাশ করে দিল ৷
তাই তিনি পলায়ন করলেন এবং সাগরের একটি দ্বীপে আশ্রয় গ্রহণ করলেন ৷ সেখানে দু’জন
কাঠুরিয়া তাকে দেখতে পায় ৷ তাদের মধ্য হতে একজন তার কথা গোপন রাখল কিত্তু অন্যজন
প্রকাশ করে দিন ৷ সে বলল, আমি ইযর্কীল অর্থাৎ খিযির (আ)-কে দেখেছি ৷ তাকে বলা হল,
তুমি ইযর্কীশকে দেখেছ, তবে তোমার সাথে আর কে দেখেছে? সে বলল, আমার সাথে
অমুকও দেখেছে ৷ তাকে প্রশ্ন করা হল , তখন যে এ সংবাদটি গোপন করল ৷ আর তাদের ধর্মে
এ রীতি ছিল, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলত তাকে হত্যা করা হত, তাই তাকে হত্যা করা হল ৷
ঘটনাচক্রে ইতিপুর্বে গোপনকারী ব্যক্তিটি পুর্বোক্ত গোপনকাব্রিণী মহিলাকে বিয়ে করেছিল ৷
বর্ণনাকায়ী বলেন, একদিন মহিলাটি ফিরআউনের কন্যার চুল তাড়াচড়াচ্ছিল , এমনি সময় তার
হাত থেকে চিরুনিটি পড়ে যায়, তখন সে বলে উঠল-ফিরআউন ধ্বংস হোক ৷ কন্যা তার
পিতাকে এ সংবাদটি দিল ৷ ঐ মহিলাটির স্বামী ও দুইটি পুত্র ছিল ৷ ফিরআউন তাদের কাছে
দুত পাঠাল এবং মহিলা ও তার স্বামীকে তাদের ধর্ম ত্যাগ করতে প্ৰরোচিত করল কিন্তু তারা
তাতে অস্বীকৃতি জানান ৷ তখন সে বলল, “আমি তোমাদের দু’জনকে হত্যা করব ৷ র্তারা
বললেন, যদি তুমি আমাদেরকে হত্যাই কর তাহলে আমাদেরকে এক কবরে দাফন করলে তবে
এটা হবে আমাদের প্রতি তোমার অনুগ্রহ ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এর চেয়ে অধিক সুগন্ধি আর
কখনও পাওয়া যায়নি ৷ মহিলাটি জান্নাতের অধিকারী হন ৷ আর এই মহিলাটিই ছিল
ফিরআউনের কন্যার সেবিকা, যার ঘটনা পুর্বেই বর্ণিত হয়েছে ৷

খিষির (আ)-এর ব্যাপারে চিরুনির ঘটনাটি সংক্রান্ত উক্তি সম্ভবত উবাই ইবন কা’ব (রা)
কিংবা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর ৷ আল্পাহই সম্যক জ্ঞাত ৷

কেউ কেউ বলেন, খিযির (আ)-এর উপনাম ছিল আবুল আব্বাস ৷ তবে খিযির তার উপাধি
ছিল এটাই অধিক গ্রহণযোগ্য ৷

ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (না)-এর বরাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
খিযির (আ)-কে খিযির বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এজন্য যে, একদিন তিনি একটি সাদা
চামড়ার উপর বলেছিলেন ৷ অকন্মাৎ দেখা গেল তার পেছন থেকে সাদা চামড়াটি সবুজ আকার
ধারণ করে কেপে উঠল ৷

অনুরুপডাবে আবদুর রাজ্জাক (র) বর্ণনা করেন ৷ অতঃপর তিনি বলেন, হাদীস শরীফে
উল্লেখিত ;এে১ শব্দটির অর্থ হচ্ছে সাদা শুকনো মাস এবং এরুপই অন্য জিনিস যেমন শুকনো
তুষ ৷

খাত্তাবী (র) বলেন, আবুউমব (র) বলেছেন :,,; এর অর্থ হচ্ছে শুভ্র রংয়ের ভুমি যার
উপর কোন ঘাস জন্মেনি ৷


وَقِيلَ إِنَّهُ كَانَ عَلَى مُقَدِّمَةِ ذِي الْقَرْنَيْنِ. وَقِيلَ: كَانَ ابْنَ بَعْضِ مَنْ آمَنَ بِإِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ وَهَاجَرَ مَعَهُ. وَقِيلَ: كَانَ نَبِيًّا فِي زَمَنِ بَشْتَاسَبَ بْنِ لَهْرَاسَبَ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَانَ مُتَقَدِّمًا فِي زَمَنِ أَفْرِيدُونَ ابْنِ أَثْفِيَانَ حَتَّى أَدْرَكَهُ مُوسَى، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ: الْخَضِرُ أُمُّهُ رُومِيَّةٌ وَأَبُوهُ فَارِسِيٌّ. وَقَدْ وَرَدَ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ كَانَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي زَمَانِ فِرْعَوْنَ أَيْضًا. قَالَ أَبُو زُرْعَةَ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ ": حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ عَنْ، مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ لَيْلُهُ أُسَرِيَ بِهِ وَجَدَ رَائِحَةً طَيِّبَةً، فَقَالَ: «يَا جِبْرِيلُ مَا هَذِهِ الرَّائِحَةُ الطَّيِّبَةُ؟ قَالَ: هَذِهِ رِيحُ قَبْرِ الْمَاشِطَةِ، وَابْنَيْهَا، وَزَوْجِهَا» وَقَالَ: وَكَانَ بَدْءُ ذَلِكَ أَنَّ الْخَضِرَ كَانَ مِنْ أَشْرَافِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَكَانَ مَمَرُّهُ بِرَاهِبٍ فِي صَوْمَعَتِهِ فَتَطَّلَعَ عَلَيْهِ الرَّاهِبُ، فَعَلَّمَهُ الْإِسْلَامَ، فَلَمَّا بَلَغَ الْخَضِرُ زَوَّجَهُ أَبُوهُ امْرَأَةً، فَعَلَّمَهَا الْإِسْلَامَ وَأَخَذَ عَلَيْهَا أَنْ لَا تُعْلِمَ أَحَدًا، وَكَانَ لَا يَقْرَبُ النِّسَاءَ، ثُمَّ طَلَّقَهَا، ثُمَّ زَوَّجَهُ أَبُوهُ بِأُخْرَى فَعَلَّمَهَا الْإِسْلَامَ، وَأَخَذَ عَلَيْهَا أَنْ لَا تُعْلِمَ أَحَدًا، ثُمَّ طَلَّقَهَا، فَكَتَمَتْ إِحْدَاهُمَا،
পৃষ্ঠা - ৭৬০
وَأَفْشَتْ عَلَيْهِ الْأُخْرَى، فَانْطَلَقَ هَارِبًا حَتَّى أَتَى جَزِيرَةً فِي الْبَحْرِ، فَأَقْبَلَ رَجُلَانِ يَحْتَطِبَانِ فَرَأَيَاهُ، فَكَتَمَ أَحَدُهُمَا، وَأَفْشَى عَلَيْهِ الْآخَرُ، قَالَ: قَدْ رَأَيْتُ الْخَضِرَ. فَقِيلَ وَمَنْ رَآهُ مَعَكَ؟ قَالَ: فُلَانٌ. فَسُئِلَ فَكَتَمَ، وَكَانَ مِنْ دِينِهِمْ أَنَّهُ مَنْ كَذَبَ قُتِلَ فَقُتِلَ وَكَانَ قَدْ تَزَوَّجَ الْكَاتِمُ الْمَرْأَةَ الْكَاتِمَةَ، قَالَ: فَبَيْنَمَا هِيَ تُمَشِّطُ بِنْتَ فِرْعَوْنَ، إِذْ سَقَطَ الْمُشْطُ مِنْ يَدِهَا، فَقَالَتْ: تَعِسَ فِرْعَوْنُ. فَأَخْبَرَتْ أَبَاهَا، وَكَانَ لِلْمَرْأَةِ ابْنَانِ، وَزَوْجٌ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ فَرَاوَدَ الْمَرْأَةَ وَزَوْجَهَا أَنْ يَرْجِعَا عَنْ دِينِهِمَا، فَأَبَيَا فَقَالَ: إِنِّي قَاتِلُكُمَا. فَقَالَا: إِحْسَانٌ مِنْكَ إِلَيْنَا إِنْ أَنْتَ قَتَلَتْنَا أَنْ تَجْعَلَنَا فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ. فَجَعَلَهُمَا فِي قَبْرٍ وَاحِدٍ فَقَالَ: وَمَا وَجَدْتُ رِيحًا أَطْيَبَ مِنْهُمَا، وَقَدْ دَخَلَتِ الْجَنَّةَ وَقَدْ تَقَدَّمَتْ قِصَّةُ مَائِلَةَ بِنْتِ فِرْعَوْنَ، وَهَذَا الْمُشْطُ فِي أَمْرِ الْخَضِرِ قَدْ يَكُونُ مُدْرَجًا مِنْ كَلَامِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، أَوْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: كُنْيَتُهُ أَبُو الْعَبَّاسِ. وَالْأَشْبَهُ - وَاللَّهُ أَعْلَمُ - أَنَّ الْخَضِرَ لَقَبٌ غَلَبَ عَلَيْهِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَصْبَهَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّمَا سُمِّيَ الْخَضِرُ لِأَنَّهُ جَلَسَ عَلَى فَرْوَةٍ بَيْضَاءَ، فَإِذَا هِيَ تَهْتَزُّ مِنْ خَلْفِهِ خَضْرَاءُ» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ بِهِ. ثُمَّ قَالَ عَبْدُ
পৃষ্ঠা - ৭৬১


কেউ কেউ বলেন, এটা ছিল সাদা তুষ; রুপক অর্থে ফারওয়৷ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ৷ এ
অর্থেই বলা হয়ে থাকে ষ্’৷ , ৷ ম্ভএেদ্বু এটার অর্থ হচ্ছে, চুলসহ মাথার চামড়া ৷ যেমন আরবী
করি রাঈ বলেন,

(১ৰুহ্ন
মোঃ
অর্থাৎ তুমি আমাদের ঘরের পাশে কাফ্রীটিকে আনন্দিত দেখবে, তখন যেদিন সে
খাবার পায় ৷ কাফ্রীটির কোকড়া চুলও খুশীতে আন্দোলিত-তার দুটোও হচ্ছে এমন দেখতে
পাবে, মনে হয় যেন তার মাথার চামড়ার বীজ বপন করা হয়েছে আর মাথার দুই পাশে মরিচ
ধরে রয়েছে ৷

খাত্তাবী (র) বলেন, “খিযির (আ)-কে তার সৌন্দর্য ও চেহারার উজ্জ্বলতার জন্যে খিযির
নামে অভিহিত করা হয়েছে ৷” এ বর্ণনাটি বৃখারী শরীফের বর্ণনার পরিপন্থী নয়৷ আবার বর্ণিত
কারণের যে ণ্কানটিরৰু প্রয়োজনীয়তা অনুভুত বিধায় বুখারী শরীফের উল্লেখিত তথ্যটি অধিকতর
গ্রহণীয় ৷ তাই অন্য কোন ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই ৷

হাফিজ ইবন আসাকির (র) ও ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, খিযির (আ) কে খিযির বলা হয়ে থাকে এ জন্যে
যে তিনি একবার সাদা চামড়ার ওপর সালাত আদায় করেন ৷ অকম্মাৎ চামডাটি সবুজ বর্ণ
ধারণ করে নড়ে উঠে ৷ হাদীসের উপরোক্ত সুত্রটিত্বে কোন এক পর্যায়ে একজন বর্ণনাকারী
রয়েছেন ৷

মুজা ৷হিদ (র) বলেন, তবে খিযির (আ) বলা হত এজন্যে যে, তিনি যখন কোথাও সালাত

আরো বলেন, মুসা (আ) ও ইউশ৷ (আ) যখন পদাঙ্ক অনুকরণ করে পশ্চাতে অগ্রসর হচ্ছিলেন,
তখন র্তারা সমুদ্রের মাঝে একটি ফরাশের উপর গোয়া অবস্থায় খিযির (আ)-কে দেখতে
পেলেন ৷ তিনি কাপড়ের দুই প্রান্ত মাথা ও দুই পায়ের নিচে মুড়ে রেখেছিলেন ৷ মুসা (আ)
র্তাকে সালাম করলেন ৷ তখন তিনি মুখ থেকে কাপড় সরালেন ও সালামের উত্তর দিলেন এবং
বললেন, এ জায়গায় সালাম কােথেকে এল? আপনি কে? মুসা (আ) বললেন, আমি মুসা ৷ ’
তিনি বললেন, আপনি কি বনী ইসরাঈলের মুসা?’ তিনি বললেন, জ্বি হ্যা ৷ অতঃপর যা
ঘটেছিল অ ৷ল্লাহ্ ত ৷আলা কুরআন শরীফে তা বর্ণনা করেছেন ৷
এ কাহিনীর বর্ণনা ধারা থেকে খিযির (আ) যে নবী ছিলেন তার কিছুটা ইঙ্গিত মিলে ৷

প্রথমত আল্লাহর বাণী:


এেৰু


অতঃপর তারা সাক্ষাৎ পেল আমার বান্দাদের মধ্যে এমন একজনের, যাকে আমি আমার

নিকট হতে অনুগ্রহ দান করেছিলাম ও আমার নিকট হতে শিক্ষা দিয়েছিলাম এক বিশেষ জ্ঞান ৷
(সুরা কাহাফ : ৬৫)


الرَّزَّاقِ: الْفَرْوَةُ; الْحَشِيشُ الْأَبْيَضُ وَمَا أَشْبَهَهُ، يَعْنِي الْهَشِيمَ الْيَابِسَ. وَقَالَ الْخَطَّابِيُّ: وَقَالَ أَبُو عُمَرَ: الْفَرْوَةُ; الْأَرْضُ الْبَيْضَاءُ، الَّتِي لَا نَبَاتَ فِيهَا، وَقَالَ غَيْرُهُ: هُوَ الْهَشِيمُ الْيَابِسُ، شَبَّهَهُ بِالْفَرْوَةِ، وَمِنْهُ قِيلُ فَرْوَةُ الرَّأْسِ، وَهِيَ جِلْدَتُهُ بِمَا عَلَيْهَا مِنَ الشَّعْرِ كَمَا قَالَ الرَّاعِي: وَلَقَدْ تَرَى الْحَبَشِيَّ حَوْلَ بُيُوتِنَا ... جَذِلًا إِذَا مَا نَالَ يَوْمًا مَأْكَلًا جَعْدًا أَسَكَّ كَأَنَّ فَرْوَةَ رَأْسِهِ ... بُذِرَتْ فَأَنْبَتَ جَانِبَاهُ فُلْفُلًا وَقَالَ الْخَطَّابِيُّ: إِنَّمَا سُمِّيَ الْخَضِرُ خَضِرًا; لِحُسْنِهِ وَإِشْرَاقِ وَجْهِهِ. قُلْتُ: هَذَا لَا يُنَافِي مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ "، فَإِنْ كَانَ وَلَا بُدَّ مِنَ التَّعْلِيلِ بِأَحَدِهِمَا، فَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " أَوْلَى وَأَقْوَى، بَلْ لَا يَلْتَفِتُ إِلَى مَا عَدَاهُ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي إِسْمَاعِيلَ بْنِ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ الْأَيْلِيِّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو جَزِيٍّ، وَهَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّمَا سُمِّيَ الْخَضِرُ خَضِرًا; لِأَنَّهُ صَلَّى عَلَى فَرْوَةٍ بَيْضَاءَ، فَاهْتَزَّتْ خَضْرَاءَ» وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ قَبِيصَةُ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৭৬২

দ্বিতীয়ত কুরআনে উল্লেখিত মুসা (আ) এর উক্তি ৷ ইরশাদ করেনঃ


(আরবী)


মুসা তাকে বলল, “সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা থেকে আমাকে শিক্ষা দেবেন এ শর্তে আমি আপনার অনুসরণ করব কি?” সে বলল, “আপনি কিছুতেই আমার সঙ্গে ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারবেন না ৷ যে বিষয় আপনার অবগতিতে জ্ঞানায়ত্ত নেই, সে বিষয়ে আপনি ধৈর্যধারণ করবেন কেমন করে?” মুসা বলল, “আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পারেন এবং আপনার কোন আদেশ আমি অমান্য করব না ৷ ” সে বলল, “আচ্ছা আপনি যদি আমার অনুসরণ করবেনই তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যতক্ষণ না আমি সে সম্বন্ধে আপনাকে কিছু বলি ৷” (সুরা কাহাফ ং ৬৬ ৭০ )

যদি তিনি ওলী হতে ন ও নবী না হতেন তাহলে মুসা (আ)ও র্তাকে লক্ষ্য করে এরুপ
বলতেন না ৷ আর তিনিও এরুপ জবাব দিতেন না ৷ বরং মুসা (আ) র্তার সঙ্গ লাভের আবেদন করেছিলেন যাতে তিনি তার কাছ থেকে এমন কিছু ইলম শিখতে পাবেন, যা আল্লাহ তাআলা র্তাকেই বিশেষভাবে দান করেছিলেন ৷ তিনি নবী না হলে তিনি মাসুম বা নিম্পাপ হতেন না ৷

মহান নবী, সম্মানিত রাসুল ও নিম্পাপ সত্তা মুসা (আ) ৷ নিষ্পাপ হওয়া জরুরী নয় এমন একজন ওলীর কাছ থেকে শিক্ষা লাভের জন্য এত আঃল্কহী হতেন না ৷ আবার মুসা (আ)ও যুগ যুগ ধরে র্তাকে খুজে তার কাছে পৌছার ইচ্ছে পোষণ করতেন না ৷ কেউ কেউ বলেন, এখানে উল্লেখিত দ্বুন্ শব্দের অর্থ হচ্ছে আশি বছর ৷ ’ অতঃপর মুসা (আ) যখন তার সাথে মিলিত হলেন, তখন তিনি বিনয় ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করলেন এবং তার কাছ থেকে উপকৃত হবার মানসেই র্তাকে অনুসরণ করেন ৷

এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি মুসা (আ) এর মতই একজন নবী ছিলেন, র্যার কাছে তারই মত ওহী প্রেরিত হত, আর তাকে আল্লাহ তা আলা এমন সব লাদুন্নী ইলম ও নবুওতের গোপনীয় তথ্যাদি দান করেছিলেন, যে সম্বন্ধে বনী ইসরাঈলের মুসা (আ)-কে অবহিত করেননি ৷ রুম্মানী (র) খিযির (আ)-এর নবুওতের অনুকুলে এ দলীলটি পেশ করেছেন ৷

তৃভীয়ত, খিযির (আ) কিশোরটিকে হত্যা করলেন ৷ আর এটা মহান আল্লাহর ওহী ব্যতীত হতে পারে না ৷ এটিই তার নবুওতের রীতিমত একটি দলীল এবং তার নিস্পাপ হবার প্রকৃষ্ট প্রমাণ ৷ কেননা, ওলীর পক্ষে ইলহামের মাধ্যমে আদিষ্ট হয়ে প্রাণ বধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ বৈধ নয় ৷ ইলহামের দ্বারা নিম্পাপ হবার বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় না, বরং এখানে তুল-ভ্রান্তির আশংকা সর্বজন স্বীকৃত ৷ কিশোরটি প্রাপ্ত বয়স্ক হলে কাফির হবে, তার প্রতি গভীর


مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ إِنَّمَا سُمِّيَ الْخَضِرُ; لِأَنَّهُ كَانَ إِذَا صَلَّى اخْضَرَّ مَا حَوْلَهُ. وَتَقَدَّمَ أَنَّ مُوسَى، وَيُوشَعَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، لَمَّا رَجَعَا يَقُصَّانِ الْأَثَرَ، وَجَدَاهُ عَلَى طِنْفِسَةٍ خَضْرَاءَ عَلَى كَبِدِ الْبَحْرِ، وَهُوَ مُسَجًّى بِثَوْبٍ، قَدْ جُعِلَ طَرَفَاهُ مِنْ تَحْتِ رَأْسِهِ وَقَدَمَيْهِ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ، فَرَدَّ وَقَالَ: أَنَّى بِأَرْضِكِ السَّلَامُ! مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا مُوسَى. قَالَ: مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمَا مَا قَصَّهُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ عَنْهُمَا. وَقَدْ دَلَّ سِيَاقُ الْقِصَّةِ عَلَى نُبُوَّتِهِ مِنْ وُجُوهٍ; أَحَدُهَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {فَوَجَدَا عَبْدًا مِنْ عِبَادِنَا آتَيْنَاهُ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا وَعَلَّمْنَاهُ مِنْ لَدُنَّا عِلْمًا} [الكهف: 65] . الثَّانِي، قَوْلُ مُوسَى لَهُ: {هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا قَالَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَى مَا لَمْ تُحِطْ بِهِ خُبْرًا قَالَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا وَلَا أَعْصِي لَكَ أَمْرًا قَالَ فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلَا تَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا} [الكهف: 66] [الْكَهْفِ: 66 - 70] . فَلَوْ كَانَ وَلِيًّا وَلَيْسَ بِنَبِيٍّ، لَمْ يُخَاطِبْهُ مُوسَى بِهَذِهِ الْمُخَاطَبَةِ، وَلَمْ يَرُدَّ عَلَى مُوسَى هَذَا الرَّدَّ، بَلْ مُوسَى إِنَّمَا سَأَلَ صُحْبَتَهُ لِيَنَالَ مَا عِنْدَهُ مِنَ الْعِلْمِ، الَّذِي اخْتَصَّهُ اللَّهُ بِهِ دُونَهُ، فَلَوْ كَانَ غَيْرَ نَبِيٍّ لَمْ يَكُنْ مَعْصُومًا، وَلَمْ تَكُنْ لِمُوسَى - وَهُوَ نَبِيٌّ عَظِيمٌ، وَرَسُولٌ كَرِيمٌ، وَاجِبُ الْعِصْمَةِ - كَبِيرُ رَغْبَةٍ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৭৬৩
عَظِيمُ طَلِبَةٍ فِي عِلْمِ وَلِيٍّ غَيْرِ وَاجِبِ الْعِصْمَةِ، وَلَمَّا عَزَمَ عَلَى الذَّهَابِ إِلَيْهِ، وَالتَّفْتِيشِ عَلَيْهِ، وَلَوْ أَنَّهُ يَمْضِي حُقُبًا مِنَ الزَّمَانِ، قِيلَ: ثَمَانِينَ سَنَةً. ثُمَّ لَمَّا اجْتَمَعَ بِهِ تَوَاضَعَ لَهُ، وَعَظَّمَهُ، وَاتَّبَعَهُ فِي صُورَةِ مُسْتَفِيدٍ مِنْهُ، دَلَّ عَلَى أَنَّهُ نَبِيٌّ مِثْلُهُ يُوحَى إِلَيْهِ كَمَا يُوحَى إِلَيْهِ، وَقَدْ خُصَّ مِنَ الْعُلُومِ اللَّدُنِّيَّةِ، وَالْأَسْرَارِ النَّبَوِيَّةِ، بِمَا لَمْ يُطْلِعِ اللَّهُ عَلَيْهِ مُوسَى، الْكَلِيمَ، نَبِيَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ الْكَرِيمَ، وَقَدِ احْتَجَّ بِهَذَا الْمَسْلَكِ بِعَيْنِهِ الرُّمَّانِيُّ، عَلَى نُبُوَّةِ الْخَضِرِ، عَلَيْهِ السَّلَامُ. الثَّالِثُ، أَنَّ الْخَضِرَ أَقْدَمَ عَلَى قَتْلِ ذَلِكَ الْغُلَامِ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِلْوَحْيِ إِلَيْهِ مِنَ الْمَلِكِ الْعَلَّامِ. وَهَذَا دَلِيلٌ مُسْتَقِلٌّ عَلَى نُبُوَّتِهِ، وَبُرْهَانٌ ظَاهِرٌ عَلَى عِصْمَتِهِ; لِأَنَّ الْوَلِيَّ لَا يَجُوزُ لَهُ الْإِقْدَامُ عَلَى قَتْلِ النُّفُوسِ بِمُجَرَّدِ مَا يُلْقَى فِي خَلَدِهِ، لِأَنَّ خَاطِرَهُ لَيْسَ بِوَاجِبِ الْعِصْمَةِ; إِذْ يَجُوزُ عَلَيْهِ الْخَطَأُ بِالِاتِّفَاقِ. وَلَمَّا أَقْدَمَ الْخَضِرُ عَلَى قَتْلِ ذَلِكَ الْغُلَامِ، الَّذِي لَمْ يَبْلُغِ الْحُلُمَ، عِلْمًا مِنْهُ بِأَنَّهُ إِذَا بَلَغَ يَكْفُرُ، وَيَحْمِلُ أَبَوَيْهِ عَنِ الْكُفْرِ; لِشِدَّةِ مَحَبَّتِهِمَا لَهُ، فَيُتَابِعَانِهِ عَلَيْهِ، فَفِي قَتْلِهِ مَصْلَحَةٌ عَظِيمَةٌ تَرْبُو عَلَى بَقَاءِ مُهْجَتِهِ; صِيَانَةً لِأَبَوَيْهِ عَنِ الْوُقُوعِ فِي الْكُفْرِ وَعُقُوبَتِهِ، دَلَّ ذَلِكَ عَلَى نُبُوَّتِهِ، وَأَنَّهُ مُؤَيَّدٌ مِنَ اللَّهِ بِعِصْمَتِهِ. وَقَدْ رَأَيْتُ الشَّيْخَ أَبَا الْفَرَجِ ابْنَ الْجَوْزِيِّ طَرَقَ هَذَا الْمَسْلَكَ بِعَيْنِهِ فِي الِاحْتِجَاجِ عَلَى نُبُوَّةِ الْخَضِرِ وَصَحَّحَهُ. وَحَكَى الِاحْتِجَاجَ عَلَيْهِ الرُّمَّانِيُّ أَيْضًا. الرَّابِعُ، أَنَّهُ لَمَّا فَسَّرَ الْخَضِرُ تَأْوِيلَ تِلْكَ الْأَفَاعِيلِ لِمُوسَى، وَوَضَّحَ لَهُ عَنْ حَقِيقَةِ أَمْرِهِ، وَجَلَّى، قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ: {رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ وَمَا فَعَلْتُهُ عَنْ أَمْرِي} [الكهف: 82] يَعْنِي: مَا فَعَلَتْهُ مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِي، بَلْ أُمِرْتُ بِهِ، وَأُوحِيَ إِلَيَّ فِيهِ، فَدَلَّتْ هَذِهِ الْوُجُوهُ عَلَى نُبُوَّتِهِ. وَلَا يُنَافِي ذَلِكَ حُصُولَ وِلَايَتِهِ، بَلْ وَلَا رِسَالَتَهُ، كَمَا قَالَ آخَرُونَ. وَأَمَّا كَوْنُهُ مَلَكًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَغَرِيبٌ جِدًّا. وَإِذَا ثَبَتَتْ نُبُوَّتُهُ كَمَا ذَكَرْنَاهُ، لَمْ يَبْقَ لِمَنْ قَالَ بِوِلَايَتِهِ - وَإِنَّ الْوَلِيَّ قَدْ يَطَّلِعُ عَلَى
পৃষ্ঠা - ৭৬৪


মহব্বতের দরুন তার পিতামাতা তার অনুকরণে ৷পথভ্রষ্ট হবেন ইত্যাদি তথ্য অবগত হয়ে
অপ্রাপ্ত বয়সের কিশোরটিকে খিযির (আ) হত্যা করার পদক্ষেপ নেয়ড়ায় বোঝা যায় যে, এ
হত্যাকাণ্ডে বিরাট কল্যাণ ৷নিইিত ছিল ৷ আর তা হচ্ছে তার পিতার ঐতিহ্যবাহী বংশ রক্ষা এবং
কুফরী ও তার শাস্তি থেকে তাকে রক্ষার ব্যবস্থা করা ৷ এটাই তার নবুওতের প্রমাণা

অধিকত্তু এতে বোঝা যায় যে, তিনি তার নিম্পাপ হওয়ার কারণে আল্লাহর সাহায্যপুষ্ট ৷
শায়খ আবুল ফারাজ ইবন জাওযী (র) তার মতবাদের পক্ষে খিযির (আ)-এর নবুওত প্রমাণের
জন্যে এই দলীলটি পেশ করতেন ৷ আর রুম্মানী (র)ও এটাকে তার দলীল রুপে পেশ
করেছেন ৷

চতুর্থত, খিযির (আ) যখন তার কর্মকাণ্ডের রহস্য মুসা (আ) এর কাছে ব্যাখ্যা করলেন
এবং মুসা (আ)-এর কাছে তার তাৎপর্য সুস্পষ্ট হলো তারপর খিযির (আ) মন্তব্য করেন ং

ধ্^;পট্রু৷ £,é মোঃ ৷পু১ এট্রুক্ট্র ”;’এিগ্লুর্চু

অর্থাৎ “আমি যা কিছু করেছি আমার নিজের ইচ্ছে মত করিনি বরং আমি এরুপ করতে

আদিষ্ট হয়েছিলাম ৷ আমার কাছে ওহী প্রেরণ করা হয়েছিল ৷

এসব কারণ দ্বারা খিযির (আ) যে নবী ছিলেন তা প্রমাণিত হয় ৷ত তবে এটা তার ওলী হওয়া
বা রাসুল হওয়ার পরিপন্থী নয়, যেমন অন্যরা বলেছেন ৷ তার ফেরেশতা হওয়ার সম্ভাবনা
অত্যন্ত ক্ষীণ ৷ উপরোক্ত বর্ণনায় তার নবী হওয়ার ব্যাপারটা প্রমাণিত হবার পর তিনি ওলী
হওয়ার সপক্ষে কোন নির্জ্যযােগ্য প্রমাণ থাকে না ৷ যদিও কোন কোন সময় আল্লাহর ওলীপণ
এমনসব তথ্য অবগত হন, যেগুলো সম্বন্ধে প্রকাশ্য শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্যে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ
অবহিত থাকেন না ৷

খিযির (আ) এর আজ পর্যন্ত বেচে থাকার ব্যাপারে মত বিরোধ রয়েছে ৷ তবে জমহুর
উলামার মত ,তিনি এখনও জীবিত রয়েছেন ৷ কেউ কেউ বলেন, নুহ (আ) এর বংশধরগণ
প্লাবন শেষে জাহাজ থেকে অবতরণ করার পর আদম (আ)-এর লাশকে নির্ধারিত জায়গায়
যেহেতু তিনিই দাফন করেছিলেন, যেহেতু তিনি দীর্ঘ হায়াতের ব্যাপারে পিতা আদম (আ ) এর
দুআ পেয়েছিলেন ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, তিনি আবে হায়াত পান করেছিলেন, তাই তিনি
এখনও জীবিত রয়েছেন ৷

তথ্য বিশারদগণ ৷বিভিন্ন তথ্য পেশ করেছেন এবং এগুলোর মাধ্যমে খিযির (আ) এর আজ

পর্যন্ত জীবিত থাকার প্রমাণ পেশ করেছেন ৷ য়থান্থানে আমরা এ সম্বন্ধে আলোচনা করব ৷
খিযির (আ) মুসা (আ) কে বলেছিলেনং :

এখানেই আপনার এবং আমার সম্পর্কের ইতি ৷ যে বিষয়ে আপনি ধৈর্যধারণ ৷করতে
পারেননি, আমি তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করছি ৷ (সুরা কাহাফ : ৭৮)

এ সম্পর্কে অনেক মুনকাতে বা বিচ্ছিন্ন সুত্রের হাদীস বর্ণিত রয়েছে ৷


حَقِيقَةِ الْأُمُورِ دُونَ أَرْبَابِ الشَّرْعِ الظَّاهِرِ - مُسْتَنَدٌ يَسْتَنِدُونَ إِلَيْهِ، وَلَا مُعْتَمَدٌ يَعْتَمِدُونَ عَلَيْهِ. وَأَمَّا الْخِلَافُ فِي وُجُودِهِ إِلَى زَمَانِنَا هَذَا، فَالْجُمْهُورُ عَلَى أَنَّهُ بَاقٍ إِلَى الْيَوْمِ، قِيلَ: لِأَنَّهُ دَفَنَ آدَمَ بَعْدَ خُرُوجِهِمْ مِنَ الطُّوفَانِ، فَنَالَتْهُ دَعْوَةُ أَبِيهِ آدَمَ بِطُولِ الْحَيَاةِ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ شَرِبَ مِنْ عَيْنِ الْحَيَاةِ فَحَيِيَ. وَذَكَرُوا أَخْبَارًا اسْتَشْهَدُوا بِهَا عَلَى بَقَائِهِ إِلَى الْآنَ، وَسَنُورِدُهَا مَعَ غَيْرِهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ. وَهَذِهِ وَصِيَّتُهُ لِمُوسَى حِينَ {قَالَ هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنِكَ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا} [الكهف: 78] . رُوِيَ فِي ذَلِكَ آثَارٌ مُنْقَطِعَةٌ كَثِيرَةٌ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنِي أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْمَلْطِيُّ، قَالَ: لَمَّا أَرَادَ مُوسَى أَنْ يُفَارِقَ الْخَضِرَ، قَالَ لَهُ مُوسَى: أَوْصِنِي. قَالَ: كُنْ نَفَّاعًا وَلَا تَكُنْ ضَرَّارًا، كُنْ بَشَّاشًا وَلَا تَكُنْ غَضْبَانَ، ارْجِعْ عَنِ اللَّجَاجَةِ، وَلَا تَمْشِ فِي غَيْرِ حَاجَةٍ. وَفِي رِوَايَةٍ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى زِيَادَةُ: وَلَا تَضْحَكْ إِلَّا مِنْ عَجَبٍ. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ قَالَ الْخَضِرُ: يَا مُوسَى، إِنَّ النَّاسَ مُعَذَّبُونَ فِي الدُّنْيَا عَلَى قَدْرِ هُمُومِهِمْ بِهَا. وَقَالَ بِشْرُ بْنُ الْحَارِثِ الْحَافِي: قَالَ مُوسَى لِلْخَضِرِ: أَوْصِنِي. فَقَالَ: يَسَّرَ اللَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৬৫


রায়হাকী (র) আবু আবদুল্লাহ মুলাতী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মুসা (আ)
যখন খিযির (আ) থেকে বিদায় নিতে চাইলেন, তখন তিনি তাকে বললেন, “আমাকে ওসীয়ত
করুন!’ খিযির (আ) বললেন, “মানুষের জন্য কল্যাণকারী হবেন, অকল্যাণকারী হবেন না,
হাসিমুখে থাকবেন, ক্রুদ্ধ হবেন না ৷ একগুয়েমি করবেন না, প্রয়োজন ব্যতিরেকে ভ্রমণ করবেন
না ৷” অন্য এক সুত্রে অতিরিক্ত রয়েছে অদ্ভুত কিছু না
দেখলে হাসবেন না ৷ ’

ওহাব ইবন মুনাব্বিহ (র) বলেন, খিযির (আ) বলেছিলেন, “হে মুসা দুনিয়া সম্বন্ধে
মানুষের নিমগ্নতা অনুযায়ীই তাদেরকে দুনিয়ার শাস্তি প্রদান করা হয়ে থাকে ৷” বিশর ইবন
হারিস আল হাফী (র) বলেন : মুসা (আ) খিযির (আ)-কে বলেছিলেন, “আমাকে উপদেশ
দিন ৷ তখন তিনি বলেছিলেন, আল্লাহ তাআলা আপনার জন্যে তার আনুগতাকে সহজ করে
দিন!” এ সম্পর্কে একটি মারকু হাদীস ইবন আসাকির (র) থেকে যাকারিয়া ইবন ইয়াহইয়া
আল ওকাদ সুত্রে বর্ণিত রয়েছে ৷ তবে এ যাকারিয়া একজন চরম মিথ্যাবাদী, সে বলে উমর
(রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন, “আমার ভাই মুসা (আ) বলেছিলেন, হে আমার
প্রতিপালক! এ কথা বলে তিনি আল্লাহর বাণী স্মরণ করেন, অতঃপর তার কাছে থিযির (আ)
আসলেন, তিনি ছিলেন একজন যুবক ৷ সুরভিতদেহী, ধবধবে সাদা কাপড় পরিহিত ও
কাপড়কে টেনে ধরে রয়েছেন ৷ তিনি মুসা (আ)-কে বললেন, আপনার প্রতি আল্লাহর শান্তি ও
রহমত বর্ধিত হোক, হে মুসা ইবন ইমরান! আপনার প্রতিপালক আপনার কাছে সালাম প্রেরণ
করেছেন ৷” মুসা (আ) বললেন, “তিনি নিজেই সালাম (শান্তি) , তার কাছেই সালাম, সমস্ত
প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, যিনি সারা জগতের প্রতিপালক , বীর যাবতীয় অনুগ্রহের হিসাব করা
সম্ভব নয় এবং তার সাহায্য ব্যতীত তার যাবতীয় নিয়ামতের গােকরগুজায়ীও সম্ভব নয় ৷

এরপর মুসা (আ) বললেন, আমি আপনার কাছে কিছু উপদেশ চাই যেন আল্লাহ তাআলা
আপনার পরে আমাকে এগুলোর দ্বারা উপকৃত করেন ৷ খিযির (আ) বললেন, “হে জ্ঞান
অম্বেষী, জেনে রাখুন, বক্তা শ্রোতা থেকে কম ভর্বৃসনার পাত্র, তাই আপনি যখন কারো সাথে
কথা বলবেন, তাদেরকে বিরক্ত করবেন না ৷ আরো জেনে রাখুন, আপনার অম্ভরটি একটি
পাত্রের ন্যায় ৷ তাই আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কি দিয়ে আপনি তা পরিপুর্ণ করছেন ! দুনিয়া
থেকে সামান্য গ্রহণ করুন, বাকিটা আপনার পেছনে ফেলে রাখুন ৷ কেননা, দুনিয়া আপনার
জন্যে বসবাসের জায়গা নয় ৷ এটি শাস্তি পাবার জায়পাও নয় ৷ দৃনিয়াকে বান্দাদের জন্য স্বল্প
পরিমাণ বলেই আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং পরকালের জন্য পাথেয় সংগ্রহের স্থান বলেই মনে
করতে হবে ৷ ধৈর্যধারণ করবেন, তাহলে পাপ থেকে বীচতে পারবেন ৷ হে মুসা (আ) জ্ঞান
অম্বেষন কর, যদি তুমি জ্ঞান লাভ করতে চাও কেননা, জ্ঞান যে অনেষণ করে , সেই তা লাভ
করতে পারে ৷ জ্ঞান অনেষণের জন্যে অতিরিক্ত বকবক করবেন না ৷ কারণ, তাতে আলিমগণ
বিরক্ত হন ও বোকামি প্রকাশ পায় ৷ তবে আপনাকে মধ্যমপন্থী হতে হবে ৷ কেননা, এটা
আল্লাহ্ প্রদত্ত তাওফীক ও সত্যপথ লাভের উপায় ৷ মুর্থদের মুর্থত৷ থেকে বিরত থাকুন!
বোকাদের ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করুন ৷ কেননা, এটাই বুদ্ধিমানের কাজ ও এটাতেই উলামায়ে


عَلَيْكَ طَاعَتَهُ. وَقَدْ وَرَدَ فِي ذَلِكَ حَدِيثٌ مَرْفُوعٌ، رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى الْوَقَارِ، إِلَّا أَنَّهُ مِنَ الْكَذَّابِينَ الْكِبَارِ. قَالَ: قُرِئَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ، وَأَنَا أَسْمَعُ، قَالَ الثَّوْرِيُّ: قَالَ مُجَالِدٌ: قَالَ أَبُو الْوَدَّاكِ: قَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ: قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَالَ أَخِي مُوسَى: يَا رَبِّ. ذَكَرَ كَلِمَةً، فَأَتَاهُ الْخَضِرُ، وَهُوَ فَتًى طَيِّبُ الرِّيحِ، حَسَنُ بَيَاضِ الثِّيَابِ، مُشَمِّرُهَا، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ يَا مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ، إِنَّ رَبَّكَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ. قَالَ مُوسَى: هُوَ السَّلَامُ، وَإِلَيْهِ السَّلَامُ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، الَّذِي لَا أُحْصِي نِعَمَهُ، وَلَا أَقْدِرُ عَلَى أَدَاءِ شُكْرِهِ إِلَّا بِمَعُونَتِهِ، ثُمَّ قَالَ مُوسَى: أُرِيدُ أَنْ تُوصِيَنِي بِوَصِيَّةٍ، يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهَا بَعْدَكَ. فَقَالَ الْخُضَرُ: يَا طَالِبَ الْعِلْمِ إِنَّ الْقَائِلَ أَقَلُّ مَلَالَةً مِنَ الْمُسْتَمِعِ، فَلَا تُمِلَّ جُلَسَاءَكَ إِذَا حَدَّثَتْهُمْ، وَاعْلَمْ أَنَّ قَلْبَكَ وِعَاءٌ فَانْظُرْ مَاذَا تَحْشُو بِهِ وِعَاءَكَ؟ وَاعْزِفْ عَنِ الدُّنْيَا وَأَنْبِذْهَا وَرَاءَكَ، فَإِنَّهَا لَيْسَتْ لَكَ بِدَارٍ، وَلَا لَكَ فِيهَا مَحَلُّ قَرَارٍ. وَإِنَّمَا جُعِلَتْ بُلْغَةً لِلْعِبَادِ، وَالتَّزَوُّدِ مِنْهَا لِيَوْمِ الْمَعَادِ. وَرُضْ نَفْسَكَ عَلَى الصَّبْرِ، تَخْلُصْ مِنَ الْإِثْمِ، يَا مُوسَى تَفَرَّغْ لِلْعِلْمِ إِنْ كُنْتَ تُرِيدُهُ، فَإِنَّمَا الْعِلْمُ لِمَنْ تَفَرَّغَ لَهُ، وَلَا تَكُنْ مِكْثَارًا بِالْمَنْطِقِ مِهْدَارًا; فَإِنَّ كَثْرَةَ الْمَنْطِقِ تَشِينُ
পৃষ্ঠা - ৭৬৬
الْعُلَمَاءَ، وَتُبْدِي مَسَاوِئَ السُّخَفَاءِ، وَلَكِنْ عَلَيْكَ بِالِاقْتِصَادِ، فَإِنَّ ذَلِكَ مِنَ التَّوْفِيقِ وَالسَّدَادِ، وَأَعْرِضْ عَنِ الْجُهَّالِ وَبَاطِلِهِمْ، وَاحْلُمْ عَنِ السُّفَهَاءِ، فَإِنَّ ذَلِكَ فِعْلُ الْحُكَمَاءِ، وَزَيْنُ الْعُلَمَاءِ، إِذَا شَتَمَكَ الْجَاهِلُ فَاسْكُتْ عَنْهُ حِلْمًا، وَجَانِبْهُ حَزْمًا; فَإِنَّ مَا بَقِيَ مِنْ جَهْلِهِ عَلَيْكَ، وَسَبِّهِ إِيَّاكَ أَكْثَرُ وَأَعْظَمُ. يَا ابْنَ عِمْرَانَ، وَلَا تَرَ أَنَّكَ أُوتِيتَ مِنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا; فَإِنَّ الِانْدِلَاثَ وَالتَّعَسُّفَ، مِنَ الِاقْتِحَامِ وَالتَّكَلُّفِ، يَا ابْنَ عِمْرَانَ لَا تَفْتَحَنَّ بَابًا لَا تَدْرِي مَا غَلْقُهُ، وَلَا تُغْلِقَنَّ بَابًا لَا تَدْرِي مَا فَتْحُهُ. يَا ابْنَ عِمْرَانَ مَنْ لَا تَنْتَهِي مِنَ الدُّنْيَا نَهْمَتُهُ، وَلَا تَنْقَضِي مِنْهَا رَغْبَتُهُ، كَيْفَ يَكُونُ عَابِدًا؟! وَمَنْ يُحَقِّرُ حَالَهُ وَيَتَّهِمُ اللَّهَ فِيمَا قَضَى لَهُ، كَيْفَ يَكُونُ زَاهِدًا؟! هَلْ يَكُفُّ عَنِ الشَّهَوَاتِ مَنْ غَلَبَ عَلَيْهِ هَوَاهُ، أَوْ يَنْفَعُهُ طَلَبُ الْعِلْمِ وَالْجَهْلُ قَدْ حَوَاهُ; لِأَنَّ سَعْيَهُ إِلَى آخِرَتِهِ، وَهُوَ مُقْبِلٌ عَلَى دُنْيَاهُ؟! يَا مُوسَى تَعَلَّمْ مَا تَعَلَّمْتَ لِتَعْمَلَ بِهِ، وَلَا تَعَلَّمْهُ لِتُحَدِّثَ بِهِ، فَيَكُونَ عَلَيْكَ بَوَارُهُ وَلِغَيْرِكَ نُورُهُ. يَا مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ، اجْعَلِ الزُّهْدَ وَالتَّقْوَى لِبَاسَكَ، وَالْعِلْمَ وَالذِّكْرَ كَلَامَكَ، وَاسْتَكْثِرْ مِنَ الْحَسَنَاتِ، فَإِنَّكَ مُصِيبٌ السَّيِّئَاتِ، وَزَعْزِعْ بِالْخَوْفِ قَلْبَكَ، فَإِنَّ ذَلِكَ يُرْضِي رَبَّكَ، وَاعْمَلْ خَيْرًا فَإِنَّكَ لَا بُدَّ عَامِلٌ سُوءًا. قَدْ وُعِظْتَ إِنْ حَفِظْتَ قَالَ: فَتَوَلَّى الْخَضِرُ، وَبَقِيَ مُوسَى مَحْزُونًا مَكْرُوبًا يَبْكِي» . لَا يَصِحُّ هَذَا الْحَدِيثُ، وَأَظُنُّهُ مِنْ صَنْعَةِ زَكَرِيَّا بْنِ يَحْيَى الْوَقَارِ
পৃষ্ঠা - ৭৬৭


কিরামের সৌন্দর্য নিহিত ৷ যদি কোন মুর্থ লোক আপনাকে পাল দেয়, ?ধর্যধারণ করে চুপ
থাকবেন ও সতর্কতার সাথে তাকে পরিহার করবেন ৷ কেননা, তার বোকামি আপনারই অধিক
ক্ষতি করবে ও আপনাকে আরও অধিক তিরস্কৃত করবে ৷

“হে ইমরানের পুত্র ! আপনি কি অনুভব করেন না যে আপনাকে অতি অল্প জ্ঞানই দেয়া
হয়েছে ৷ কোন কিছুতে অযথাই জড়িয়ে পড়বেন না এবং বিপথপামী হবেন না ৷ হে ইমরানের
পুত্র ! আপনি এমন কোন বন্ধ দরজা খুলবেন না, যেটা কিসে বন্ধ করেছে তা আপনার জানা
নেই ৷ অনুরুপ এমন কোন খোলা দরজা বন্ধ করবেন না যা কািস উন্মুক্ত করেছে তা আপনার
জানা নেই ৷ হে ইমরানের পুত্র ! যে ব্যক্তির দুনিয়ার প্রতি লোভের শেষ :নই, দুনিয়ার প্রতি তার
আকর্ষণের অস্ত নেই এবং যে ব্যক্তি নিজেকে হীন বোধ করে এবং তার ভাগ্যের ব্যাপারে আল্লাহ্
তাআলাকে ণ্দাষারোপ করে সে কেমন করে সংসারাসক্তিমুক্ত হতে পারবে? প্ৰবৃত্তি যার উপর
প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে, তাকে কি কড়ামনা-বাসনা থেকে বিরত রাখা যায়? কিৎবা মুর্থতা
যাকে গ্রাস করে ফেলেছে, জ্ঞান অম্বেষণ কি তার কোন উপকার সাধন করতে পারে? না, পারে
না ৷ কেননা, তার অভীষ্ট আখিরাত হলেও সে তো শুধু দুনিয়ার প্রতিই আকৃষ্ট ৷

“হে মুসা ! যা শিখবেন তা কার্যে পরিণত করার জন্য শিখবেন ৷ কোন কিছু দিয়ে শুধু গল্প
করার জন্যই তা শিখবেন না ৷ যদি এরুপ করেন, তাহলে এটা ধ্বংসের কারণ হবে আপনার
জন্যে অথচ তা অন্যের জানা আলীেকবর্তিকা হবে ৷ হে মুসা ইবন ইমরান ৷ সংসার থেকে
মােহমুক্তি ও তাকওয়াকে আপনার পোশাকরুপে গ্রহণ করুন ৷ আর ইলম ও যিকিরকে নিজের
বুলিতে পরিণত করুন! বেশি বেশি করে লেক আমল করবেন; কেননা, অচিরেই আপনি মন্দ
কাজের শিকার হতে পারেন ৷ আল্লাহর ভয়ে নিজের অম্ভরকে কম্পমান রাখুন, কেননা তা
আপনার প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করবে ৷ সৎ কাজ করুন, কেননা, মন্দ কাজ করা অবশ্যম্ভাবী ৷
আমার এসব নসীহত আপনার কাজে আসবে, যদি আপনি তা স্মরণ রাখেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, অতঃপর খিযির (আ) চলে গেলেন এবং মুসা (আ) দুঃখ-ভারাক্রাম্ভ মনে কান্নকােটি
করতে লাগলেন ৷

উপরোক্ত বর্ণনাটি শুদ্ধ নয় ৷ সম্ভবত এটা যাকারিয়া ইবন ইয়াহয়া আল ওক্কাদ আল মিসরীর
মনগড়া বর্ণনা ৷ একাধিক হাদীস বিশারদ তাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেছেন ৷ তবে বিস্ময়ের
ব্যাপার হচ্ছে যে, হাফিজ ইবন আসাকির (র) তার ব্যাপারে নিচুপ ৷

হাফিজ আবু নুয়ায়ম আল ইসফাহানী (র) আবু উমামাহ (বা) হতে বষ্নাি করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাহাবিগণকে লক্ষ্য করে একদিন বললেন, আমি কি তোমাদের
কাছে খিযির (আ) সম্বন্ধে কিছু বলবো? তারা বললেন, জী হী৷ ৷ হে আল্লাহর রাসুল ! রাসুলুল্লাহ
(সা) বললেন, একদিন খিযির (আ) বনী ইসরাঈলের একটি বাজারে হীটছিলেন ৷ এমন সময়
একজন মুকড়াতাব১ ক্রীতদাস তাকে ণ্দখল এবং বলল, “আমাকে কিছু সাদকা দিন, আল্লাহ



১ মুকাতাব হচ্ছে ঐ দাস যে তার মালিককে নির্দিষ্ট পরিমাণ মুক্তিপণ পরিশোধের শর্তসাপেক্ষে স্বাধীনতা লাভের
প্রজ্যিতি পেয়েছে ৷


الْمِصْرِيِّ، كَذَّبَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَالْعَجَبُ أَنَّ الْحَافِظَ ابْنَ عَسَاكِرَ سَكَتَ عَنْهُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَيُّوبَ الطَّبَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْعَلَاءِ الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ عِمْرَانَ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: «أَلَّا أُحَدِّثُكُمْ عَنِ الْخَضِرِ؟ قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: بَيْنَمَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ يَمْشِي فِي سُوقِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَبْصَرَهُ رَجُلٌ مَكَاتَبٌ، فَقَالَ: تَصَدَّقْ عَلَيَّ بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ. فَقَالَ الْخَضِرُ: آمَنْتُ بِاللَّهِ، مَا شَاءَ اللَّهُ مِنْ أَمْرٍ يَكُونُ، مَا عِنْدِي مِنْ شَيْءٍ أُعْطِيكَهُ. فَقَالَ الْمِسْكِينُ: أَسْأَلُكَ بِوَجْهِ اللَّهِ لَمَا تَصَدَّقْتَ عَلَيَّ، فَإِنِّي نَظَرْتُ السِّيمَاءَ فِي وَجْهِكَ، وَرَجَوْتُ الْبَرَكَةَ عِنْدَكَ. فَقَالَ الْخَضِرُ: آمَنْتُ بِاللَّهِ، مَا عِنْدِي مِنْ شَيْءٍ أُعْطِيكَهُ، إِلَّا أَنْ تَأْخُذَنِي فَتَبِيعَنِي. فَقَالَ الْمِسْكِينُ: وَهَلْ يَسْتَقِيمُ هَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ، الْحَقَّ أَقُولُ لَكَ، لَقَدْ سَأَلْتَنِي بِأَمْرٍ عَظِيمٍ، أَمَا إِنِّي لَا أُخَيِّبُكَ بِوَجْهِ رَبِّي بِعْنِي. قَالَ: فَقَدَّمَهُ إِلَى السُّوقِ فَبَاعَهُ بِأَرْبَعِمِائَةِ دِرْهَمٍ، فَمَكَثَ عِنْدَ الْمُشْتَرِي زَمَانًا لَا يَسْتَعْمِلُهُ فِي شَيْءٍ; فَقَالَ لَهُ: إِنَّكَ إِنَّمَا ابْتَعْتَنِي الْتِمَاسَ خَيْرٍ عِنْدِي، فَأَوْصِنِي بِعَمَلٍ. قَالَ: أَكْرَهُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ، إِنَّكَ شَيْخٌ كَبِيرٌ ضَعِيفٌ. قَالَ: لَيْسَ تَشُقُّ عَلَيَّ. قَالَ: فَانْقُلْ هَذِهِ الْحِجَارَةَ. وَكَانَ لَا يَنْقُلُهَا دُونَ سِتَّةِ نَفَرٍ فِي يَوْمٍ، فَخَرَجَ الرَّجُلُ لِبَعْضِ حَاجَتِهِ، ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ نَقَلَ
পৃষ্ঠা - ৭৬৮


তাআলা আপনাকে বরকত দান করবেন ৷” খিযির (আ) বললেন, আমি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী
একজন বান্দা আল্লাহ তাআলা যা ইচ্ছা করেন, তাই হয়ে যাক ৷ আমার কাছে তোমাকে দান
করার মত কিছু নেই ৷

মিসকিন ব্যক্তিটি বলল, আমি আল্লাহর নামে আপনার কাছে যাঞ্চা করছি যে, আমাকে
কিছু সড়াদকা দিন ৷

আমি আপনার চেহারায় আসমানী আলামত লক্ষ্য করেছি এবং আপনার কাছে বরকত
কামনা করছি ৷ খিযির (আ) বললেন, আল্লাহ তাআলার প্রতি ঈমান রেখে অর্থাৎ শপথ করে
বলছি, আমার কাছে তোমাকে দেবার মত কিছুই নেই ৷ তবে তুমি আমাকে নিয়ে বিক্রি করে
দিতে পড়ার ৷ মিসকিন লোকটি বলল, এটা ঠিক আছে তো? তিনি বললেন, হ্যা, এটা আমি
তোমাকে সত্যিই বলছি ৷ তুমি আমার কাছে একটি বড় যাঞ্চা করেছ ৷ তবে আমি আমার
প্রতিপালকের সত্তুষ্টির জন্য তোমাকে নিরড়াশ করব না ৷ তুমি আমাকে বিক্রি করে দাও ৷ ’
বর্ণনাকারী বলেন, যে তাকে বাজারে উঠাল এবং চারশ’ দিরহামের বিনিময়ে তাকে বিক্রি করে
দিল ৷ তিনি ক্রেতড়ার কাছে বেশ কিছুদিন অবস্থান করলেন ৷ কিন্তু ক্রেতা তাকে কোন কাজে
নিয়োজিত করলেন না ৷ খিযির (আ) ক্রেতাকে বললেন, আসা থেকে কিছু না কিছু উপকার
পাবার জন্য আপনি আমাকে ক্রয় করেছেন, তাই আপনি আমাকে কিছু করতে দিন! ক্রেতা
বললেন, আপনাকে কষ্ট দিতে আমি পছন্দ করি না ৷ কেননা, আপনি একজন অতি বৃদ্ধ দুর্বল
লোক ৷ ’ খিযির (আ) বললেন, আমার কোন কষ্ট হবে না ৷ ’ ক্রেতা বললেন, তাহলে আপনি এ
পাথরগুলােকে সরিয়ে দিন ৷ ’ প্রকৃতপক্ষে একদিনে ছয়জনের কম লোক এগুলোকে সরাতে
পারতো না ৷ ক্রেতা লোকটি তার কোন কাজে বের হয়ে পড়লেন ও পরে ফিরে আসলেন ৷
অথচ এক ঘন্টার মধ্যে পাথরগুলো সরানোর কাজ সমাপ্ত হয়েছিল ৷ ক্রেতা বললেন, বেশ
করেছেন! চমৎকার করেছেন ৷ আপনি যা পারবেন না বলে আমি ধারণা করেছিলাম তা আপনি
করতে সমর্থ হয়েছেন ৷ ’

অতঃপর লোকটির সফরের প্রয়োজন দেখা দিল ৷ তিনি খিযির (আ)-কে বললেন, আমি
আপনাকে আমানতদার বলে মনে করি ৷ তাই আপনি আমার পরিবারের দায়িতু সুষ্ঠুভাবে পালন
করুন! তিনি বললেন, তাহলে আমাকে কি করতে হবে বলে দিন!’ ক্রেতা লোকটি বললেন,
আমি আপনাকে কষ্ট দেয়াটা পছন্দ করি না ৷ তিনি বললেন, না আমার কোন কষ্ট হবে না ৷
তখন তিনি বললেন, আমি ফিরে আসা পর্যন্ত আপনি আমার ঘরের জন্য ইট তৈরি করবেন ৷ ’
লোকটি তার ভ্রমণে বের হয়ে পড়ল ও কিছুদিন পর ফেরত আসল এবং তার প্রাসাদ তৈরি
দেখতে পেল ৷ তখন তিনি ভীকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে আপনাকে জিজ্ঞাসা
করছি, আপনি কে? এবং আপনার ব্যাপারটি কী?’ তিনি বললেন, আপনি আল্লাহর শপথ দিয়ে
আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন ৷ আর আল্লাহর নামে যাঞ্চাই আমাকে দাসে পরিণত করেছে ৷ আমি
আপনাকে বলে দিচ্ছি, আমি কে ৷ আমিই খিযির যার কথা আপনি শুনে আসছেন; আমার
কাছে একজন মিসকিন ব্যক্তি সাদকা চেয়েছিল ৷ আমার কাছে তাকে দেবার মত কিছুই ছিল
না ৷ সে আল্লাহর সালে ও আল্লাহর সন্তুষ্টির দােহাই দিয়ে আমার কাছে পুনরায় কিছু চাইল ৷


الْحِجَارَةَ فِي سَاعَةٍ. فَقَالَ: أَحْسَنْتَ وَأَجْمَلْتَ، وَأَطَقْتَ مَا لَمْ أَرَكَ تُطِيقُهُ. ثُمَّ عُرِضَ لِلرَّجُلِ سَفَرٌ فَقَالَ: إِنِّي أَحْسَبُكَ أَمِينًا فاخْلُفْنِي فِي أَهْلِي خِلَافَةً حَسَنَةً. قَالَ: فَأَوْصِنِي بِعَمَلٍ. قَالَ: إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أَشُقَّ عَلَيْكَ. قَالَ: لَيْسَ تَشُقُّ عَلَيَّ. قَالَ: فَاضْرِبْ مِنَ اللَّبِنِ لِبَيْتِي حَتَّى أَقْدَمَ عَلَيْكَ. فَمَضَى الرَّجُلُ لِسَفَرِهِ فَرَجَعَ وَقَدْ شَيَّدَ بِنَاءَهُ. فَقَالَ: أَسْأَلُكَ بِوَجْهِ اللَّهِ مَا سَبِيلُكَ وَمَا أَمْرُكَ؟ فَقَالَ: سَأَلْتَنِي بِوَجْهِ اللَّهِ، وَالسُّؤَالُ بِوَجْهِ اللَّهِ أَوْقَعَنِي فِي الْعُبُودِيَّةِ، سَأُخْبِرُكَ مَنْ أَنَا، أَنَا الْخَضِرُ الَّذِي سَمِعْتَ بِهِ، سَأَلَنِي مِسْكِينٌ صَدَقَةً، فَلَمْ يَكُنْ عِنْدِي شَيْءٌ أُعْطِيهِ، فَسَأَلَنِي بِوَجْهِ اللَّهِ فَأَمْكَنْتُهُ مِنْ رَقَبَتِي، فَبَاعَنِي، وَأُخْبِرُكَ أَنَّهُ مَنْ سُئِلَ بِوَجْهِ اللَّهِ، فَرَدَّ سَائِلَهُ وَهُوَ يَقْدِرُ، وَقَفَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ; جِلْدُهُ لَا لَحْمَ لَهُ وَلَا عَظْمَ يَتَقَعْقَعُ. فَقَالَ الرَّجُلُ: آمَنْتُ بِاللَّهِ، شَقَقْتُ عَلَيْكَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ وَلَمْ أَعْلَمْ. فَقَالَ: لَا بَأْسَ أَحْسَنْتَ وَأَبْقَيْتَ. فَقَالَ الرَّجُلُ: بِأَبِي وَأُمِّي يَا نَبِيَّ اللَّهِ، احْكُمْ فِي أَهْلِي وَمَالِي بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ، أَوْ أُخَيِّرُكَ فَأُخَلِّي سَبِيلَكَ. فَقَالَ: أُحِبُّ أَنْ تُخَلِّيَ سَبِيلِي فَأَعْبُدُ رَبِّي. فَخَلَّى سَبِيلَهُ، فَقَالَ الْخَضِرُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَوْقَعَنِي فِي الْعُبُودِيَّةِ ثُمَّ نَجَّانِي مِنْهَا» وَهَذَا حَدِيثٌ رَفْعُهُ خَطَأٌ، وَالْأَشْبَهُ أَنْ يَكُونَ مَوْقُوفًا، وَفِي رِجَالِهِ مَنْ لَا يُعْرَفُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ، فِي كِتَابِهِ " عُجَالَةِ الْمُنْتَظِرِ فِي شَرْحِ حَالِ الْخَضِرِ " مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْوَهَّابِ بْنِ الضَّحَّاكِ، وَهُوَ مَتْرُوكٌ عَنْ بَقِيَّةَ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৭৬৯
رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِإِسْنَادِهِ إِلَى السُّدِّيُّ، أَنَّ الْخَضِرَ وَإِلْيَاسَ كَانَا أَخَوَيْنِ، وَكَانَ أَبُوهُمَا مَلِكًا، فَقَالَ إِلْيَاسُ لِأَبِيهِ: إِنَّ أَخِي الْخَضِرَ لَا رَغْبَةَ لَهُ فِي الْمُلْكِ، فَلَوْ أَنَّكَ زَوَّجْتَهُ; لَعَلَّهُ يَجِيءُ مِنْهُ وَلَدٌ يَكُونُ الْمُلْكُ لَهُ. فَزَوَّجَهُ أَبُوهُ بِامْرَأَةٍ حَسْنَاءَ بِكْرٍ، فَقَالَ لَهَا الْخَضِرُ: إِنَّهُ لَا حَاجَةَ لِي فِي النِّسَاءِ، فَإِنْ شِئْتِ أَطْلَقْتُ سَرَاحَكِ، وَإِنْ شِئْتِ أَقَمْتِ مَعِي تَعْبُدِينَ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، وَتَكْتُمِينَ عَلَى سِرِّي. فَقَالَتْ: نَعَمْ. وَأَقَامَتْ مَعَهُ سَنَةً، فَلَمَّا مَضَتِ السَّنَةُ، دَعَاهَا الْمَلِكُ فَقَالَ: إِنَّكِ شَابَّةٌ وَابْنِي شَابٌّ، فَأَيْنَ الْوَلَدُ؟ فَقَالَتْ: إِنَّمَا الْوَلَدُ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ، إِنْ شَاءَ كَانَ، وَإِنْ لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ. فَأَمَرَهُ أَبُوهُ فَطَلَّقَهَا وَزَوَّجَهُ أُخْرَى ثَيِّبًا قَدْ وُلِدَ لَهَا، فَلَمَّا زُفَّتْ إِلَيْهِ قَالَ لَهَا كَمَا قَالَ لِلَّتِي قَبْلَهَا، فَأَجَابَتْ إِلَى الْإِقَامَةِ عِنْدَهُ، فَلَمَّا مَضَتِ السَّنَةُ، سَأَلَهَا الْمَلِكُ عَنِ الْوَلَدِ، فَقَالَتْ: إِنَّ ابْنَكَ لَا حَاجَةَ لَهُ فِي النِّسَاءِ. فَتَطَلَّبَهُ أَبُوهُ فَهَرَبَ، فَأَرْسَلَ وَرَاءَهُ، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَيْهِ، فَيُقَالُ إِنَّهُ قَتَلَ الْمَرْأَةَ الثَّانِيَةَ، لِكَوْنِهَا أَفْشَتْ سِرَّهُ فَهَرَبَ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ، وَأَطْلَقَ سَرَاحَ الْأُخْرَى، فَأَقَامَتْ تَعْبُدُ اللَّهَ فِي بَعْضِ نَوَاحِي تِلْكَ الْمَدِينَةِ، فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ يَوْمًا، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: بِسْمِ اللَّهِ. فَقَالَتْ لَهُ: أَنَّى لَكَ هَذَا الِاسْمُ؟ فَقَالَ: إِنِّي مِنْ أَصْحَابِ الْخَضِرِ. فَتَزَوَّجَتْهُ، فَوَلَدَتْ لَهُ أَوْلَادًا، ثُمَّ صَارَ مِنْ أَمْرِهَا أَنْ صَارَتْ مَاشِطَةَ بِنْتِ فِرْعَوْنَ، فَبَيْنَمَا هِيَ يَوْمًا تُمَشِّطُهَا; إِذْ وَقَعَ الْمُشْطُ مِنْ يَدِهَا، فَقَالَتْ: بِسْمِ اللَّهِ. فَقَالَتِ ابْنَةُ فِرْعَوْنَ: أَبِي؟ فَقَالَتْ: لَا، رَبِّي وَرَبُّكِ وَرَبُّ أَبِيكِ اللَّهُ. فَأَعْلَمَتْ أَبَاهَا، فَأَمَرَ بِبَقَرَةٍ مِنْ نُحَاسٍ، فَأُحْمِيَتْ، ثُمَّ أُمِرَ بِهَا، فَأُلْقِيَتْ فِيهِ، فَلَمَّا عَايَنَتْ
পৃষ্ঠা - ৭৭০


অগত্যা আমি নিজেকেই তার হাতে তুলে দিলাম ৷ তখন সে আমাকে বিক্রি করে দেয় ৷ আমি
একটি তথ্য আপনার কাছে বলছি, আর তা হচ্ছে আল্লাহ তাআলার সভুষ্টির দোহাই দিয়ে
যদি কেউ কারো কাছে কিছু যাঞ্চা করে আর যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্বেও তা না দেয় , তাহলে
সে কিয়ামতের দিন তার শরীরে মাংসবিহীন চামড়া নিয়ে দণ্ডায়মান হবে এবং চলার সময়
মটমট শব্দকারী কোন হড়েও তার শরীরে থাকবে না ৷ ক্রেতা ল্যেকটি বলল, হে আল্লাহর
নবী ! আমি আল্লাহ তাআলার প্রতি সুদৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং না চিনে আমি আপনাকে
কষ্ট দিয়েছি ৷ ’ তখন তিনি বললেন, তাতে কোন কিছু আসে-যায় না, বরং ন্মি ভালই করেছ ও
নিজকে সংযত রেখেই ৷ ’ লোকটি বলল, হে আল্লাহর নবী ! আপনার প্রতি আমার পিতা-মাতা
কুরবান হোক! আপনি আমার পরিবার ও সম্পদ সম্পর্কে আল্লাহ তা আলার নির্দেশিত হুকুম
অনুযায়ী নির্দেশ করপ্স, যাতে আমি আপনাকে মুক্ত করে দিতে পারি ৷ তিনি বললেন, আমি
চাই, ব্মি আমাকে যুক্ত করে দাও যাতে আমি আমার প্রতিপালকের ইবাদত করতে পারি ৷
অতঃপর ণ্লাকঢি খিযির (আ)-কে মুক্ত করে দিলেন ৷ তখন খিযির (আ) বললেন চ সমস্ত
ৎসা আল্লড়াহ্ তাআলার মিনি আমাকে দাসত্বে নিপতিত করেছিলেন এবং পরে তা থেকে
মুক্তি দিয়েছেন ৷ এ হড়াদীসঢিকে মারফু বলা ঠিক নয় সম্ভবত এটা মওকুফ পর্যায়ের ৷
বংনািকারীদের মধ্যে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও রয়েছেন ৷ আল্লাহ্ তাআলাই সমধিক জ্ঞাত ৷
ইবনুল জাওষী (র) তার কিতাব দ্দৌ ৷
আবদুল ওহ্হাব ইবন ষাহ্হড়াক (র ) এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ কিন্তু এ ব্যক্তিটি গ্রহণযোগ্য নয় ৷
হাফিজ ইবন আসাকির (র) সুদ্দী (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, খিযির ও ইলিয়াস (আ)
ছিলেন দুই সহােদর ভইি ৷ তাদের পিতা একজন বাদশাহ ছিলেন ৷ একদিন ইলিয়াস (আ ) তার
পিতাকে বললেন, আমার ভাই খিযির-এর রাজত্বের প্রতি কোন অগ্নেহ নেই, যদি আপনি তাকে
বিয়ে দেন তাহলে হয়ত তার কোন সন্তান জন্ম নিতে পারে , যে হবে রাজ্যের কর্ণধার ৷ অতঃপর
তার পিতা একটি সুন্দরী কুমারী যুবত্তীর সাথে তার বিয়ে দিলেন ৷ খিযির (আ) মহিলাকে
বললেন, “আমার কোন মহিলার প্রয়োজন নেই, তুমি চাইলে আমি তোমাকে বন্ধনমুক্ত করে
দিতে পারি ৷ আর যদি চাও তাহলে ব্যি আমার সাথে থাকতেও পড়ার ৷ আল্লাহ্ তাআলার
ইবাদত করবে ও আমার রহস্যাদি গোপন রাখবে ৷ ” মহিলা তাতে সম্মত হলেন ৷ এভাবে তিনি
তার সাথে এক বছর অবস্থান করলেন ৷ এক বছর পর বাদশাহ মহিলাটিকে ডেকে পাঠালেন
এবং বললেন, “তুমি যুবভী এবং আমার ছেলেও যুবক, তোমাদের সন্তান কোথায়?” মহিলা
বললেন, “সন্তান তো আল্লাহর তরফ থেকে হয়ে থাকে ৷ তিনি যদি চান সন্তান হয়, আর না
চইিলে হয় না ৷ তখন পিতা পুএৰে নির্দেশ দিলেন এবং প্রুত্র মহিলাকে তালাক দিলেন ৷ পিতা
তাকে আবার অন্য একটি ষ্ভোনবতী স্বামীহীনা মহিলার সাথে বিয়ে দিলেন ৷ মহিলা বাসর ঘরে
এলে খিযির (আ) পুর্বের মহিলাকে যা বলেছিলেন তড়াকেও তাই বললেন ৷ তখন মহিলা তার
সাথে থাকাকেই বেছে নিলেন ৷ যখন এক বছর গত হল; বাদশাহ মহিলাকে সন্তান সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করলেন ৷ মহিলা উজ্ঞর বললেন, “আপনার ছেলে, মেয়েদের কোন প্রয়োজনবােধ
করেন না ৷ ” তার পিতা তখন তাকে ডাকলেন, জ্যি তিনি পলায়ন করলেন ৷ তাকে ধরে আনার
জন্য লোক পাঠানো হয়, বিক্ষ্ম তারা তাকে ধরে আনতে সমর্থ হলো না ৷


ذَلِكَ، تَقَاعَسَتْ أَنْ تَقَعَ فِيهَا، فَقَالَ لَهَا ابْنٌ مَعَهَا صَغِيرٌ: يَا أُمَّهْ، اصْبِرِي فَإِنَّكِ عَلَى الْحَقِّ. فَأَلْقَتْ نَفْسَهَا فِي النَّارِ، فَمَاتَتْ رَحِمَهَا اللَّهُ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ الْأَعْمَى نُفَيْعٍ، وَهُوَ كَذَّابٌ وَضَّاعٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، وَمِنْ طَرِيقِ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَهُوَ كَذَّابٌ أَيْضًا، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «أَنَّ الْخَضِرَ جَاءَ لَيْلَةً فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلَامَهُ وَهُوَ يَدْعُو وَيَقُولُ: اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى مَا يُنَجِّينِي مِمَّا خَوَّفْتَنِي، وَارْزُقْنِي شَوْقَ الصَّالِحِينَ إِلَى مَا شَوَّقَتْهُمْ إِلَيْهِ. فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ، وَقَالَ لَهُ: قُلْ لَهُ: إِنَّ اللَّهَ فَضَّلَكَ عَلَى الْأَنْبِيَاءِ، كَمَا فَضَّلَ شَهْرَ رَمَضَانَ عَلَى سَائِرِ الشُّهُورِ، وَفَضَّلَ أُمَّتَكَ عَلَى الْأُمَمِ، كَمَا فَضَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ عَلَى غَيْرِهِ» . الْحَدِيثَ، وَهُوَ مَكْذُوبٌ، لَا يَصِحُّ سَنَدًا وَلَا مَتْنًا; كَيْفَ لَا يَتَمَثَّلُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَجِيءُ بِنَفْسِهِ مُسَلِّمًا وَمُتَعَلِّمًا، وَهُمْ يَذْكُرُونَ فِي حِكَايَاتِهِمْ وَمَا يُسْنِدُونَهُ عَنْ بَعْضِ مَشَايِخِهِمْ، أَنَّ الْخَضِرَ يَأْتِي إِلَيْهِمْ وَيُسَلِّمُ عَلَيْهِمْ، وَيَعْرِفُ أَسْمَاءَهُمْ وَمَنَازِلَهُمْ وَمَحَالَّهُمْ، وَهُوَ مَعَ هَذَا لَا يَعْرِفُ مُوسَى بْنَ عِمْرَانَ، كَلِيمَ اللَّهِ، الَّذِي اصْطَفَاهُ اللَّهُ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ عَلَى مَنْ سِوَاهُ، حَتَّى يَتَعَرَّفَ إِلَيْهِ بِأَنَّهُ مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ. وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْمُنَادَى بَعْدَ إِيرَادِهِ حَدِيثَ أَنَسٍ هَذَا: وَأَهْلُ الْحَدِيثِ مُتَّفِقُونَ عَلَى أَنَّهُ حَدِيثٌ مُنْكَرُ الْإِسْنَادِ، سَقِيمُ الْمَتْنِ، يَتَبَيَّنُ فِيهِ أَثَرُ الصَّنْعَةِ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ
পৃষ্ঠা - ৭৭১


কথিত আছে যে, তিনি দ্বিতীয় মহিলাটিকে হত্যা করেছিলেন, কেননা সে তার রহস্য ফীস
করে দিয়েছিল ৷ এ কারণেই তিনি অতঃপর পলায়ন করেন ও দ্বিতীয় মহিলাকে তিনি নিজ থেকে
এভাবে মুক্ত করলেন ৷

পুর্বের মহিলা শহরের কোন এক পাশে নির্জন জায়গায় থেকে আল্লাহ্ তাআলার ইবাদত
করছিলেন ৷ এমনি সময় একদিন এক লোক মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ মহিলা পুরুষটিকে
বিসমিল্লাহ পড়তে শুনলেন ৷ মহিলা পুরুষকে বললেন, “তোমার কাছে এ নামটি কেমন করে
আসল?” অর্খাৎ তুমি কোথা থেকে এ নামটি শিখলে? তিনি বললেন, আমি খিযির (আ)-এর
একজন শিষ্য ৷ তখন মহিলা তাকে বিয়ে করলেন ও তার ঔবসে সন্তান ধারণ করলেন ৷
অতঃপর ঐ মহিলাই ফিরআউনের কন্যার চুল বিন্যাসকারিণী রুপে নিযুক্ত হন ৷ একদিন মহিলা
ফিরআউনের কন্যার মাথার চুল আচড়াছিলেন, এমন সময় তার হাত থেকে চিরুনিটি পড়ে
যায় ৷ চিরুনিটি উঠাবার সময় মহিলা বললেন, বিসমিল্পাহ অর্থাৎ আল্লাহর নামে উঠাচ্ছি ৷
ফিরআউন কন্যা বলল : “আমার পিতার নামে বল ৷ ” মহিলা বললেন, “না বরং এমন আল্লাহর
নামে উঠৰে যিনি আমার, তোমার ও তোমার পিতার প্রতিপালক ৷ ” মেয়েটি তার পিতাকে এ
ব্যাপারটি সম্পর্কে জানাল ৷ ফিরআউন তখন একটি গর্ভে তামা ভর্তি করে তা উত্তপ্ত করতে
নির্দেশ দিল ৷ এরপর তার নির্দেশে গর্ভের মধ্যে মহিলাটিকে নিক্ষেপ করা হল ৷ মহিলা যখন তা
দেখতে পেলেন, তখন তিনি যাতে এ গর্ভে পড়ে না যান এজন্যে পিছিয়ে আসলেন ৷ তখন তার
একটি ছোট ছেলে যে তার সাথে স্থিল বলল, হে আম্মাজান৷ তুমি ধৈর্য ধর কেননা তুমি
সত্যের উপর রয়েছ ৷’ তখন তিনি আগুনে ঝাপ দিলেন এবং প্রাণ ত্যাগ করলেন ৷ (আল্লাহ্
তাআলা তার প্রতি রহমত নাযিল করুন!)
ইবন আসাকির (র) আবু দাউদ আল-আমা নাফী থেকে বংনাি করেন ৷ আর সে ছিল
একজন চরম মিথুকে ও জাল হাদীস রচয়িতা ৷ সে আনাস ইবন মালিক (রা ) সুত্রে এবং কাসীর
ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন আউফ থেকে আর সেও ছিল আরেকজন চরম মিথুক ৷ সে
তার পিতামহের বরাতে বর্ণনা করে যে, খিযির (আ) একরাতে রাসুলুল্লাহ (না)-এর নিকট
আসলেন এবং রড়াসুলুল্লাহ (না)-কে দৃআ করতে শুনলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বলছিলেন,
“হে আল্লাহ! আমাকে ভয়ডীতি থেকে রক্ষাকারী বন্তুসমুহ অর্জনে সাহায্য কর ! আর তোমার
নেককার বন্দোদের আগ্রহের ন্যায় তাদের আগ্রহের বডুসমুহের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি করে
দাও ৷” রাসুলুল্লাহ (না) তার কাছে আনাস ইবন মালিক (রা)-কে পাঠালেন ৷ আনাস (রা)
তাকে সালাম দিলেন ৷ তখন তিনি সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা ) কে
বলে দিও : অর্থাৎ-“আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে সকল নবীর তুলনায় এমন মর্যাদা দিয়েছেন,
যেমন সব মাসের তুলনায় রমযান মড়াসকে মর্যাদা দান করেছেন ৷ আবার আপনার উম্মতকে
সকল উম্মতের তুলনায় এমন মর্যাদা দিয়েছেন যেমনি জুমআর দিনকে অনাদিনসমুহের তুলনায়
মর্যাদা দিয়েছেন ৷”

উপরোক্ত বর্ণনাটি মিথ্যা, তার সুত্র বা মতন কােনটাই শুদ্ধ নয় ৷ এটা কেমন করে হতে
পারে যে, তিনি রাসুলুল্পাহ (না)-এর সামনে আত্মপ্রকাশ করবেন না অথচ তিনি স্বয়ং একজন
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম মোঃ ৯২


الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ، قَائِلًا: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ بَالَوَيْهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرِ بْنِ مَطَرٍ، حَدَّثَنَا كَامِلُ بْنُ طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَحْدَقَ بِهِ أَصْحَابُهُ، فَبَكَوْا حَوْلَهُ، وَاجْتَمَعُوا، فَدَخَلَ رَجُلٌ أَشْهَبُ اللِّحْيَةِ، جَسِيمٌ، صَبِيحٌ، فَتَخَطَّى رِقَابَهُمْ، فَبَكَى ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّ فِي اللَّهِ عَزَاءً مِنْ كُلِّ مُصِيبَةٍ، وَعِوَضًا مَنْ كُلِّ فَائِتٍ، وَخَلَفًا مَنْ كُلِّ هَالِكٍ، فَإِلَى اللَّهِ فَأَنِيبُوا، وَإِلَيْهِ فَارْغَبُوا، وَنَظَرَهُ إِلَيْكُمْ فِي الْبَلَاءِ فَانْظُرُوا، فَإِنَّ الْمُصَابَ مَنْ لَمْ يُجْبَرْ. وَانْصَرَفَ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: تَعْرِفُونَ الرَّجُلَ؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، وَعَلِيٌّ: نَعَمْ، هَذَا أَخُو رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، الْخَضِرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، عَنْ كَامِلِ بْنِ طَلْحَةَ بِهِ، وَفِي مَتْنِهِ مُخَالَفَةٌ لِسِيَاقِ الْبَيْهَقِيِّ، ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: عَبَّادُ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ ضَعِيفٌ، وَهَذَا مُنْكَرٌ بِمَرَّةٍ. قُلْتُ: عَبَّادُ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ هَذَا، هُوَ ابْنِ مَعْمَرٍ الْبَصْرِيِّ، رَوَى عَنْ أَنَسٍ نُسْخَةً. قَالَ ابْنُ حِبَّانَ وَالْعُقَيْلِيُّ: أَكْثَرُهَا مَوْضُوعٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمٍ: ضَعِيفُ الْحَدِيثِ جِدًّا مُنْكَرُهُ.
পৃষ্ঠা - ৭৭২


অনুগত ও একজন শিক্ষার্থী হিসেবে এসেছিলেন? মিথ্যা হাদীস রচয়িতারাও সাধারণত তাদের
কিসসা-কাহিনীতে খিযির (আ)-এর উল্লেখ করে থাকে ৷ তাদের কেউ কেউ আবার এরুপও দাবি
করে যে, খিযির (আ) তাদের কাছে আসেন, তাদেরকে সালাম করেন, তাদের নাম-ধাম ঠিকানা
তিনি জানেন ৷ এতদসত্বেও তিনি মুসা ইবন ইমরান (আ)-কে চেনেননি, অথচ আল্লাহ্ তাআলড়া
মুসা (আ)-কে উক্ত যমানায় শ্রেষ্ঠ মানুষ ও আল্লাহ্র নবী হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন ৷ তিনি
তাকে ডিজ্ঞোসা করেন, আপনি কি বনী ইসরাঈলের মুসা?

হাফিজ আবুহুসাইন ইবনুল মুনাদী (র) আনাস (রা)-এর বর্ণিত এই হাদীসটি উদ্ধৃত করার
পর বলেন, হাদীস বিশারদণণ একমত যে, এ হাদীসঢির সুত্র মুনকার পর্যায়ের, তার মতনে
ত্রুটি আছে ৷ এর মধ্যে জালিয়াতির লক্ষণ সুস্পষ্ট ৷

হাফিজ আবু বকর বড়ায়হড়াকী আনড়াস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
যখন রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেন তার সাহাবীগণ তার চতুষ্পড়ার্পে বসে গেলেন ও বোদন
করতে লাগলেন ৷ তারা সকলে একত্রিত হলেন ৷ এমন সময় একজন আধাপাকা শ্মশ্রুধাবী
উজ্জ্বল স্বাহ্যবান এক ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করলেন ও সকলকে ডিঙ্গিয়ে তার নিকটবর্তী হলেন
এবং কান্নাকাটি করলেন ৷ অতঃপর সাহাবায়ে কিরামের প্রতি তাকালেন ও বললেন : “প্রতিটি
মুসীবত হতেই আল্লাহ তাআলার কাছে সাভ্না রয়েছে ৷ প্রতিটি ক্ষতিরই ক্ষতিপুরণ রয়েছে
এবং প্রতিটি নশ্বর বন্তুর স্থলবর্তী রয়েছে ৷ সুতরাং আল্লাহর প্রতি সকলে প্রত্যাবর্তন করুন ৷
তারই দিকে মনােযােগী হোন! তিনি আপনাদেরকে মুসীবতের মাধ্যমে পরীক্ষা করছেন ৷ তাই
আপনারা ধৈর্যধারণ করুন! ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নেই যার ক্ষতি পুরণ হবার নয় ৷ এ কথা বলে তিনি
চলে গেলেন ৷” সাহাবীগণের একজন অনজেনকে বলতে লাগলেন, তোমরা কি এই ব্যক্তিকে
চেন? আবু বকর (রা) ও আলী (রা) বললেন : “হ্যা , রাসুলুল্লাহ (না)-এর জ্ঞাতি ভাই খিযির
(আ) ৷”

উপরোক্ত হাদীসটি আবু বকর ইবন আবুদ দুনিয়াও বর্ণনা করেছেন ৷ তবে হাদীসের মুল
পাঠে বায়হাকীর বর্ণনার সাথে কিছুটা গরমিল রয়েছে ৷ বায়হাকী (র) বলেন, “এ হাদীসের সুত্রে
উল্লেখিত ইবাদ ইবন আবদুস সামাদ ছিলেন দুর্বল ৷ কোন কোন সময় তাকে হাদীস শাদ্রে
মুনকার বা প্রভ্যাখ্যাত বলে গণ্য করা হয় ৷ আনাস (বা) হতে অন্য একটি বর্ণনা রয়েছে যার
অধিকাৎশই জাল বলে ইবন হিব্বান ও উকায়লী (র) মনে করেন ৷ ইমাম বৃখারী (র) এটাকে
মুনকারুল হাদীস বলেছেন ৷ আবু হাতিম (র) বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্বল ও মুনকার হাদীস ৷
ইবন আদী (র) বলেন, আলী (রা)-এর ফযীলত সম্বন্ধে বর্ণিত হাদীসগুলোর অধিকাৎশই দুর্বল
ও শিয়াদের অতিরঞ্জিত বর্ণনা ৷

ইমাম শাফিঈ (র) র্তার মুসনাদে আলী ইবন হুসাইন (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন ইনতিকাল করেন ও শোকবাণী আসতে থাকে , তখন উপ ত
সাহাবীগণ এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেন, তিনি বলেছেন, প্রতিটি মুসীবত থেকেই আল্পাহ্
তাআলার পক্ষ থেকে সান্তুনা রয়েছে, প্রতিটি নশ্বর বন্তুর ন্থলবর্তী রয়েছে প্রতিটি ক্ষতিরই
ক্ষতিপুরণ রয়েছে ৷ সুতরাং আল্লাহ্ তাআলার প্রতি ভরসা করুন ও তার কাছেই প্রত্যাশা


وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ عَامَّةُ مَا يَرْوِيهِ فِي فَضَائِلِ عَلِيٍّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، غَالٍ فِي التَّشَيُّعِ. وَقَالَ الشَّافِعِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": أَخْبَرَنَا الْقَاسِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، قَالَ: لَمَّا تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَاءَ التَّعْزِيَةُ، سَمِعُوا قَائِلًا يَقُولُ: إِنَّ فِي اللَّهِ عَزَاءً مَنْ كُلِّ مُصِيبَةٍ، وَخَلَفًا مَنْ كُلِّ هَالِكٍ، وَدَرْكًا مَنْ كُلِّ فَائِتٍ، فَبِاللَّهِ فَثِقُوا، وَإِيَّاهُ فَارْجُوا، فَإِنَّ الْمُصَابَ مَنْ حُرِمَ الثَّوَابَ. قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ أَتُدْرُونَ مَنْ هَذَا؟ هَذَا الْخَضِرُ. شَيْخُ الشَّافِعِيِّ الْقَاسِمُ الْعُمَرِيُّ مَتْرُوكٌ. قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: يَكْذِبُ. زَادَ أَحْمَدُ: وَيَضَعُ الْحَدِيثَ. ثُمَّ هُوَ مُرْسَلٌ، وَمَثَلُهُ لَا يُعْتَمَدُ عَلَيْهِ هَاهُنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ ضَعِيفٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ. وَلَا يَصِحُّ. وَقَدْ رَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ بَيْنَمَا هُوَ يُصَلِّي عَلَى جَنَازَةٍ; إِذْ سَمِعَ هَاتِفًا وَهُوَ يَقُولُ: لَا تَسْبِقْنَا يَرْحَمُكَ اللَّهُ. فَانْتَظَرَهُ حَتَّى لَحِقَ بِالصَّفِّ، فَذَكَرَ دُعَاءَهُ لِلْمَيِّتِ; إِنْ تُعَذِّبْهُ فَكَثِيرًا عَصَاكَ، وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُ فَفَقِيرٌ إِلَى رَحْمَتِكَ. وَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৭৭৩
دُفِنَ قَالَ: طُوبَى لَكَ يَا صَاحِبَ الْقَبْرِ، إِنْ لَمْ تَكُنْ عَرِيفًا، أَوْ جَابِيًا، أَوْ خَازِنًا، أَوْ كَاتِبًا، أَوْ شُرْطِيًّا. فَقَالَ عُمَرُ: خُذُوا الرَّجُلَ نَسْأَلْهُ عَنْ صَلَاتِهِ وَكَلَامِهِ عَمَّنْ هُوَ. قَالَ: فَتَوَارَى عَنْهُمْ، فَنَظَرُوا فَإِذَا أَثَرُ قَدَمِهِ ذِرَاعٌ. فَقَالَ عُمَرُ: هَذَا وَاللَّهِ الْخَضِرُ الَّذِي حَدَّثَنَا عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا الْأَثَرُ فِيهِ مُبْهَمٌ، وَفِيهِ انْقِطَاعٌ، وَلَا يَصِحُّ مَثَلُهُ. وَرَوَى الْحَافِظَ ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُحَرَّرِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْأَصَمِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: دَخَلْتُ الطَّوَافَ فِي بَعْضِ اللَّيْلِ، فَإِذَا أَنَا بِرَجُلٍ مُتَعَلِّقٍ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا مَنْ لَا يَمْنَعُهُ سَمْعٌ عَنْ سَمْعٍ، وَيَا مَنْ لَا تُغْلِطُهُ الْمَسَائِلُ، وَيَا مَنْ لَا يُبْرِمُهُ إِلْحَاحُ الْمُلِحِّينَ، وَلَا مَسْأَلَةُ السَّائِلِينَ، ارْزُقْنِي بَرْدَ عَفْوِكَ، وَحَلَاوَةَ رَحْمَتِكَ. قَالَ: فَقُلْتُ: أَعِدْ عَلَيَّ مَا قُلْتَ. فَقَالَ لِي: أَوَسَمِعْتَهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. فَقَالَ لِي: وَالَّذِي نَفْسُ الْخَضِرِ بِيَدِهِ - قَالَ: وَكَانَ هُوَ الْخَضِرَ - لَا يَقُولُهَا عَبْدٌ خَلْفَ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ; إِلَّا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ، وَوَرَقِ الشَّجَرِ، وَعَدَدِ النُّجُومِ; لَغَفَرَهَا اللَّهُ لَهُ. وَهَذَا ضَعِيفٌ مِنْ جِهَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُحَرَّرِ; فَإِنَّهُ مَتْرُوكُ الْحَدِيثِ، وَيَزِيدُ بْنُ الْأَصَمِّ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيًّا. وَمِثْلُ هَذَا لَا يَصِحُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو
পৃষ্ঠা - ৭৭৪


করুন ৷ আর প্রকৃত মুসীবতগ্নস্ত ব্যক্তি তিনিই, যিনি সওয়াব থেকে বঞ্চিত হন ৷ আলী ইবন
হুসাইন (র) বলেন, তােমরা কি জান, তিনি কে ছিলেন? তিনি ছিলেন খিযির (আ) ৷ ’

উক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী কাসিম আমরী প্রত্যাখ্যাত ৷ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র)
ইয়াহয়া ইবন মাঈন (র) তাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেন যে, সে হাদীস
জাল করতো ৷ অধিকত্তু হাদীসটি মুরসাল হওয়ার কারণে এরুপ গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপারে তা
গ্রহণযোগ্য নয় ৷ আল্লাহ্ তাআলাই সম্যক জ্ঞাত ৷ উপরোক্ত হাদীসটি অন্য একটি দুর্বল সুত্রে
আলী (বা) থেকে বর্ণিত , কিন্তু তা শুদ্ধ নয় ৷

আবদুল্লাহ ইবন ওহাব (র) মুহাম্মদ ইবন মুনকাদির (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদিন
উমর ইবন খাত্তাব (বা) একটি জানাযড়ার নামায আদায় করছিলেন, এমন সময় তিনি একজন
অদৃশ্য ব্যক্তির আওয়ায় শুনলেন, “আপনার প্রতি আল্লাহ্ তাআলা রহমত করুন ৷ আমাদেরকে
ছেড়ে জানায৷ পড়বেন না ৷” উমর (বা) তার জন্য অপেক্ষা করলেন ৷ তিনি নামায়ে যোগদান
করলেন এবং মৃত ব্যক্তির জন্য এরুপ দু’আ করলেন

অর্থাৎ হে আল্লাহ৷ আপনি যদি ৷তকে শাস্তি দেন ৩ অ্যাংল অনেক ক্ষেত্রেই যে আপনার

অবাধ্যত৷ করেছে ৷ আর আপনি যদি তাকে মাফ করে দেন তাহলে সে তো আপনার রহমতেরই
মুখাপেক্ষী ৷” মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর ঐ ব্যক্তি বললেন :

ৰু;৬
এেণ্ ,;; , ৷
অর্থাৎ হে কবরের বাসিন্দা ! তোমার জন্য সুসংবাদ, যদি নাম মি তত্ত্বাবধানকারী, কর
উত্তলকারী, খাজাথধী, কােষাধ্যক্ষ, কিত্বা কোতয়াল হয়ে থাক ৷
তখন উমর (রা) বলেন, চল, আমরা তাকে তার দুআ ও তার উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি
যে, তিনি কে? বর্ণনাকারী বলেন, এমন সময় তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন ৷ তারা লক্ষ্য করে
দেখলেন যে, তার পায়ের চিহ্ন এক হাত দীর্ঘ ৷ তখন উমর (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ ! ইনিই
খিযির (আ), হার সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে অবহিত করেছিলেন ৷

উপরোক্ত বর্ণনাটিতে একজন রাবী অজ্ঞাত পরিচয় ৷ এ বর্ণনার সুত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা
পায়নি ৷ এরুপ বর্ণনা শুদ্ধ বলে বিবেচিত হয় না ৷

হাফিজ ইবন আসাকির (র) আলী (রা ) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন একদিন রাতের
বেলায় আমি তাওয়াফ করছিলাম ৷ হঠাৎ এক লোককে আমি কা বা শরীফের পিলাফ ধরে
থাকতে দেখলাম ৷ তখন তিনি বলছিলেনং :

ওধ্ষ্)১ধ্ষ্


إِسْمَاعِيلَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ مَحْفُوظِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، قَالَ: بَيْنَمَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ، إِذَا هُوَ بَرْجَلٌ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ، وَهُوَ يَقُولُ: يَا مَنْ لَا يَشْغَلُهُ سَمْعٌ عَنْ سَمْعٍ، وَيَا مَنْ لَا يُغْلِطُهُ السَّائِلُونَ، وَيَا مَنْ لَا يَتَبَرَّمُ بِإِلْحَاحِ الْمُلِحِّينَ، أَذِقْنِي بَرْدَ عَفْوِكَ، وَحَلَاوَةَ رَحْمَتِكَ. قَالَ: فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، أَعِدْ دُعَاءَكَ هَذَا. قَالَ: وَقَدْ سَمِعْتَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَادْعُ بِهِ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ، فَوَالَّذِي نَفْسُ الْخَضِرِ بِيَدِهِ، لَوْ كَانَتْ عَلَيْكَ مِنَ الذُّنُوبِ عَدَدُ نُجُومِ السَّمَاءِ وَمَطَرِهَا، وَحَصْبَاءِ الْأَرْضِ وَتُرَابِهَا، لَغَفَرَ لَكَ أَسْرَعَ مِنْ طَرْفَةِ عَيْنٍ. وَهَذَا أَيْضًا مُنْقَطِعٌ وَفِي إِسْنَادِهِ مَنْ لَا يُعْرَفُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ أَوْرَدَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا إِسْنَادٌ مَجْهُولٌ مُنْقَطِعٌ، وَلَيْسَ فِيهِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الرَّجُلَ الْخَضِرُ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ الْحُصَيْنِ، أَنْبَأَنَا أَبُو طَالِبٍ مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْمُزَكِّي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ زَيْدٍ، أَمَلَّهُ عَلَيْنَا بِعَبَّادَانَ، أَنْبَأَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ رَزِينٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৭৭৫


অর্থাৎ হে মহান সত্তা! যার বাণী শুনতে কেউ বিরক্ত বোধ করে না, যাঞা যীকে ব্বিত
করে না, পুনঃ পুনঃ কাকুতি মিনতিকারীর মিনত্যিত এবং যাঞাকারীদের প্রার্থনড়ায় যিনি বিরক্ত
হন না, আপনার ক্ষমার শীতলতা দিয়ে আমার প্রাণ জুড়ান! এবং আপনার রহমতের স্বাদ
আস্বাদন করান ৷

আলী (রা) বলেন, আমি বললাম, আপনি যা বলছিলেন তা আমার জন্য পুনরায় বলুন ৷ ’
তিনি বললেন, আমি যা বলেছি তুমি কি তা শুনে ফেলেছ?’ বললড়াম , শুনেছি ৷ তখন তিনি
আবার বললেন, ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে খিযিরের প্রাণ ন্যস্ত ৷ আলী (রা) বলেন, “ইনিই
হচ্ছেন খিযির (আ) ৷” যে ব্যক্তি দৃআটি প্রতি ফরয সালাতের পর পড়বে তার গুনাহরাশি
আল্লাহ্ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন, যদিও তার গুনাহরাশি সাগরের কেনা, গাছের পাতা ও
তারকার সংখ্যার মত হয়তবুও আল্লাহ্ তাআলা তা মাফ করে দেবেন ৷

এ হাদীসটি যঈফ পর্যায়ের ৷ কেননা, এর একজন বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবন মুহরিযের-
বর্ণনা গ্রহণযেগ্যে নয় ৷ আবার অন্য একজন বর্ণনাকারী ইয়াযীদ ইবন আসাম, আলী (রা)-এর
সাক্ষাৎ পাননি ৷ এ ধরনের বর্ণনা শুদ্ধ বলে বিবেচিত হয় না ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷

আবু ইসমাইল তিরমিযী (র)ও এ হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ তবে এর ণ্শবাংশের বক্তব্যটুকু
এরুপ : “এমন সত্তার শপথ যার হাতে খিযিরের জান ও প্রাণ ন্যস্ত, যদি তোমার পাপরাশির
পরিমাণ আকাশের তারকা, বৃষ্টি, ভুমণ্ডলের কংকররাশি ও ধুলিকণার সংখ্যার সমানও হয় তবুও
আল্লাহ তাআলা চোখের পলকের চাইতে দ্রত তা মাফ করে দেবেন ৷

এই হাদীসটিও মুনকড়াতে’ বা সুএ বিচ্ছিন্ন ৷ এই হাদীসের সুত্রে অজ্ঞাত পরিচয় লোকও
রয়েছে ৷

ইবনুল জাওযী (র) ও আবু বকর ইবন আবীদ দুনিয়া (র)-এর মাধ্যমে অনুরুপ হাদীস
বর্ণনা করেন ৷ পরে তিনি মন্তব্য করেন, এ হাদীসের সুত্র অপরিচিত ও এ হাদীসে ধারাবাহিকতা
রক্ষিত হয়নি ৷ আর এটাতে ব্যক্তিটি যে খিযির (আ) ছিলেন, তাও প্রমাণিত হয় না ৷ ইবন
আসাকির (র) ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে মড়ারফু রুপে বর্ণনা করেন যে, খিযির (আ) ও
ইলিয়াস (আ) প্রতি বছর হব্লুজ্জ্বর মৌসুমে পরস্পর সাক্ষাত করতেন ৷ একে অন্যের মাথা মুণ্ডন
করতেন ও নিম্ন বর্ণিত বাক্যগুলো উচ্চারণ করে একে অন্যের থেকে বিদায় গ্রহণ করতেন :

১া
@;


অর্থাৎ আল্লাহর সালে শুরু করছি মাশাঅড়াল্লাহ ৷ আল্লাহ ছাড়া কেউ কল্যাণ দেয়
না মাশাআল্লাহ ৷ আল্লাহ ছাড়া কেউ অকল্যাণ দুর করে না-মশোআল্লাহ ৷ প্রতিটি নিয়ামত
তার থেকেই এসে থাকে-মাশাআল্লাহ ৷ আল্লাহ্ তাআলা প্রদত্ত ছাড়া অন্য কারো নিজস্ব শক্তি,
সামর্থ্য নেই ৷


ابْنِ عَبَّاسٍ - قَالَ: وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا مَرْفُوعًا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: «يَلْتَقِي الْخَضِرُ وَإِلْيَاسُ كُلَّ عَامٍ فِي الْمَوْسِمِ، فَيَحْلِقُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا رَأْسَ صَاحِبِهِ، وَيَتَفَرَّقَانِ عَنْ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ: بِسْمِ اللَّهِ مَا شَاءَ اللَّهُ، لَا يَسُوقُ الْخَيْرَ إِلَّا اللَّهُ، مَا شَاءَ اللَّهُ، لَا يَصْرِفُ الشَّرَّ إِلَّا اللَّهُ، مَا شَاءَ اللَّهُ، مَا كَانَ مِنْ نِعْمَةٍ فَمِنَ اللَّهِ، مَا شَاءَ اللَّهُ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ قَالَ: وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَنَّ قَالَهُنَّ حِينَ يُصْبِحُ وَحِينَ يُمْسِي ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، آمَنَهُ اللَّهُ مِنَ الْغَرَقِ، وَالْحَرْقِ، وَالسَّرَقِ. قَالَ: وَأَحْسَبُهُ قَالَ: وَمِنَ الشَّيْطَانِ، وَالسُّلْطَانِ، وَالْحَيَّةِ، وَالْعَقْرَبِ» . قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ فِي " الْأَفْرَادِ ": هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ لَمْ يُحَدِّثْ بِهِ غَيْرُ هَذَا الشَّيْخِ عَنْهُ. يَعْنِي الْحَسَنَ بْنَ رَزِينٍ هَذَا. وَقَدْ رَوَى عَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ أَيْضًا، وَمَعَ هَذَا قَالَ فِيهِ الْحَافِظُ أَبُو أَحْمَدَ ابْنُ عَدِيٍّ: لَيْسَ بِالْمَعْرُوفِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو جَعْفَرٍ الْعُقَيْلِيُّ: مَجْهُولٌ، وَحَدِيثُهُ غَيْرُ مَحْفُوظٍ. وَقَالَ أَبُو الْحُسَيْنِ ابْنُ الْمُنَادِي: هُوَ حَدِيثٌ وَاهٍ، بِالْحَسَنِ بْنِ رَزِينٍ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ نَحْوَهُ مِنْ طَرِيقِ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ الْجَهْضَمِيِّ، وَهُوَ كَذَّابٌ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ الْمَقْدِسِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ زِيَادٍ
পৃষ্ঠা - ৭৭৬
الْقُشَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ مَرْفُوعًا، قَالَ: «يَجْتَمِعُ كُلَّ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَاتٍ جِبْرِيلُ، وَمِيكَائِيلُ، وَإِسْرَافِيلُ، وَالْخَضِرُ» . وَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا مَوْضُوعًا تَرَكْنَا إِيرَادَهُ قَصْدًا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، مِنْ طَرِيقِ هِشَامِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ يَحْيَى الْخُشَنِيِّ، عَنِ ابْنِ أَبِي رَوَّادٍ، قَالَ: إِلْيَاسُ وَالْخَضِرُ يَصُومَانِ شَهْرَ رَمَضَانَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَيَحُجَّانِ فِي كُلِّ سَنَةٍ، وَيَشْرَبَانِ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ شَرْبَةً وَاحِدَةً تَكْفِيهُمَا إِلَى مِثْلِهَا مِنْ قَابِلٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، بَانِيَ جَامِعِ دِمَشْقَ، أَحَبَّ أَنْ يَتَعَبَّدَ لَيْلَةً فِي الْمَسْجِدِ فَأَمَرَ الْقَوَمَةَ أَنْ يُخْلُوهُ لَهُ، فَفَعَلُوا، فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ، جَاءَ مِنْ بَابِ السَّاعَاتِ، فَدَخَلَ الْجَامِعَ، فَإِذَا رَجُلٌ قَائِمٌ يُصَلِّي فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ بَابِ الْخَضْرَاءِ، فَقَالَ لِلْقَوَمَةِ: أَلَمْ آمُرْكُمْ أَنْ تُخْلُوهُ؟ فَقَالُوا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، هَذَا الْخَضِرُ يَجِيءُ كُلَّ لَيْلَةٍ يُصَلِّي هَاهُنَا. وَقَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ أَيْضًا: أَنْبَأَنَا أَبُو الْقَاسِمِ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَحْمَدَ، أَنْبَأَنَا أَبُو
পৃষ্ঠা - ৭৭৭


বংনািকারী বলেন, ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল উক্ত দৃআটি
তিন তিন বার পড়বে তাকে আল্লাহ তাআলা ডুবে মরা থেকে, পুড়ে মরা থেকে ও চুরির ক্ষতি
থেকে নিরাপদ রাখবেন ৷” বর্ণনাকারী বলেন, আমার যতদুর মনে হয়, ইবন আব্বাস (বা)
আরো বলেছেন, শয়তান, অত্যাচারী বাদশাহ, সাপ ও বিচ্ছুর অনিষ্ট থেকে নিরাপদ রাখবেন ৷ ’

ইমাম দারা কুতনী (র) বলেন, এ হাদীসটি গবীব পর্যায়ের ৷ হাদীসটি বর্ণনায় একমাত্র
আল হাসান ইবন যরাইক (র) নামক একজন অপরিচিত রাবী রয়েছেন ৷

ইবন আসাকির (র) মিথ্যা হাদীস রচয়িতা আলী ইবন হাসান জাহাদমী-এর মাধ্যমে আলী
ইবন আবুতালিব (রা) থেকে একটি মারকু হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তার প্রারম্ভিকা হচ্ছে তিনি
বলেন, প্রতি বছর আরফার দিন আরাফাতের ময়দানে জিবরাঈল , মিকাঈল , ইস্রাফিল ও খিযির
(আ) একত্রিত হন ৷ এটি একটি সুদীর্ঘ জাল হাদীস ৷ এটি আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে এখানে উদ্ধৃত
করছি না ৷

ইবন আসাকির (র) হিশাম ইবন খালিদ সুত্রে অন্য একটি হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তাতে বলা
হয়েছে, ইলিয়াস ও খিযির (আ) দু’জনই বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রতি বছর রমযানের সিয়াম পালন
করেন ও বড়ায়তুল্লাহ্য় হজ্জ করেন এবং যমযম কুয়া থেকে একবার পানি পান করেন যা সারা
বছরের জন্যে যথেষ্ট হিসেবে গণ্য ৷

ইবন আসাকির (র) আরো বর্ণনা করেন, ওলীদ ইবন আবদুল মালিক ইবন মারওয়ান যিনি
দামেশকের জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা একবার সে মসজিদে রাতে ইবাদত করার অতিপ্রায়
প্রকাশ করেন, তিনি মসজিদ কর্তৃপক্ষকে মসজিদটি খালি রাখার নির্দেশ দেন ৷ র্তারা তা
করলেন, যখন রাত শুরু হল তিনি বাবুস আসসাআত’ নামক দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ
করলেন ও এক ব্যক্তিকে বাবুল খাদর৷ ও তার মধ্যবর্তী স্থানে সালাতরত দেখতে পান ৷ খলীফা
মসজিদ কর্তৃপক্ষকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি কি তােমাদেরকে মসজিদ খালি করে দিতে
বলিনি? তারা বললেন, হে আমিরুল মুমিনীন ! ইনি খিযির (আ), প্রতিরাতে তিনি এখানে এসে
সালাত আদায় করে থাকেন ৷

ইবন আসাকির (র) রাবাহ ইবন উবায়দ৷ (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন
আমি একটি লোককে দেখলাম উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর হাতে ভর দিয়ে তার আগে
আগে চলছে ৷ তখন আমি মনে মনে বললাম, এ লোকটি পাদুকাবিহীন ৷ অথচ উমরের কত
অম্ভরঙ্গ! বর্ণনাকারী বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (র) সালাত শেষে ফিরে আসলেন, তখন
আমি তীকে জিজ্ঞেস করলাম এই মাত্র যে লোকটি আপনার হাতে ভর দিয়ে চলছিলেন তিনি
কে? তিনি বললেন, তুমি কি তাকে দেখেছ হে রাবাহ?’ আমি বললাম, জী হ্যা’ ৷ তিনি
বললেন, “ তোমাকে তো আমি একজন পুণ্যৰান লোক বলেই আমি ৷ তিনি হচ্ছেন আমার ভাই ,

খিযির (আ) ৷ তিনি আমাকে সুসংরাদ দিলেন যে, আমি অচিরেই শাসনকর্তা হয় এবং ন্যায়
বিচার করব ৷ ”

শায়খ আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী (র) এ হাদীসের সুত্রে উল্লেখিত রড়ামলীকে উলামায়ে
কিরামের নিকট সমালোচিত ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছেন ৷ এ বর্ণনার অন্যান্য রাবী সম্পর্কেও
বিরুপ সমালোচনা রয়েছে ৷


بَكْرِ ابْنُ الطَّبَرِيِّ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ - هُوَ ابْنُ سُفْيَانَ - الْفَسَوِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ، عَنِ السَّرِيِّ بْنِ يَحْيَى، عَنْ رِيَاحِ بْنِ عَبِيدَةَ، قَالَ: رَأَيْتُ رَجُلًا يُمَاشِي عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ مُعْتَمَدًا عَلَى يَدَيْهِ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ جَافٍ. قَالَ: فَلَمَّا انْصَرَفَ مِنَ الصَّلَاةِ، قُلْتُ: مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ مُعْتَمِدًا عَلَى يَدِكَ آنِفًا؟ قَالَ: وَهَلْ رَأَيْتَهُ يَا رِيَاحُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: مَا أَحْسَبُكَ إِلَّا رَجُلًا صَالِحًا. ذَاكَ أَخِي الْخَضِرُ، بَشَّرَنِي أَنِّي سَأَلِي وَأَعْدِلُ. قَالَ الشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ: الرَّمْلِيُّ مَجْرُوحٌ عِنْدَ الْعُلَمَاءِ. وَقَدْ قَدَحَ أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْمُنَادِي فِي ضَمْرَةَ، وَالسَّرِيِّ، وَرِيَاحٍ. ثُمَّ أَوْرَدَ مِنْ طُرُقٍ أُخْرَى، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّهُ اجْتَمَعَ بِالْخَضِرِ. وَضَعَّفَهَا كُلَّهَا. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَيْضًا، أَنَّهُ اجْتَمَعَ بِإِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، وَبِسُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَجَمَاعَةٍ يَطُولُ ذِكْرُهُمْ. وَهَذِهِ الرِّوَايَاتُ وَالْحِكَايَاتُ، هِيَ عُمْدَةُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى حَيَاتِهِ إِلَى الْيَوْمِ. وَكُلٌّ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمَرْفُوعَةِ ضَعِيفَةٌ جِدًّا، لَا يَقُومُ بِمِثْلِهَا حُجَّةٌ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৭৮


ইবন আসাকির (র) অন্যান্য সুত্রেও উমর ইবন আবদুল আযীয (র) ও খিযির (আ)-এর
মিলিত হওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন ৷ এ ধরনের সকল বর্ণনাকেই তিনি অনিতরিযোগ্য বলে
আখ্যায়িত করেছেন ৷

ইবন আসাকির (র) উমর ইবন আবদুল আযীয (র), ইবরাহীম আত-তায়মী, সুফইয়ান
ইবন উয়ইিনা (র) এবং আরো অনেকের সাথে খিযির (আ) মিলিত হয়েছিলেন বলে বর্ণনা
করেছেন ৷

যারা বিশ্বাস করেন যে, খিযির (আ) আজও বেচে আছেন ৷ এসব রিওয়ায়তই তাদের এরুপ
বিশ্বাসের ভিত্তি ৷ এ প্রসঙ্গে মারফু বলে কথিত যে সব বর্ণনা রয়েছে সেগুলো অত্যন্ত দুর্বল ৷ এ
ধরনের হাদীস বা বর্ণনা দ্বারা ধর্ম ও ঘটনার ব্যাপারে দলীল পেশ করা যায় না ৷ বড়জাের
এগুলোকে কোন সাহাবীর উক্তি বলা যেতে পারে , আর সাহাবীকে তো মাসুম বলা যায় না ৷ ’>

আবদুর রাজ্জাক (র) আবু সাঈদ খুদরী (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) একদিন দাজ্জাল সম্পর্কে একটি দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, দাজ্জাল আবির্ভুত
হবে, কিস্তু মদীনার রাস্তায় প্রবেশ করা তার জন্যে নিষিদ্ধ ৷ রাস্তার মাথায় আসলে মদীনায়
একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি তার দিকে অগ্রসর হয়ে বলবেন আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি দাজ্জাল যার
সম্বন্ধে রড়াসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে বলে গিয়েছেন ৷ দাজ্জাল বলবে তোমরা কি বল? যদি
আমি এ লোকটিকে হত্যা কবি ও পরে জীবিত করি, তোমরা কি আমার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ
করবে? তারা বলবে, না ৷ দাজ্জাল লোকটিকে হত্যা করবে, পুনরায় জীবিত করবে ৷ যখন ঐ
ব্যক্তি জীবিত হবেন, তখন তিনি বলবেন, আল্লাহ তাআলার শপথ ! তোমার সম্বন্ধে এখন
আমার অন্তর্বৃষ্টি র্তীক্ষ্ণতর হল ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, দাজ্জাল দ্বিতীয়বার তাকে হত্যা করতে উদ্যত
হবে, কিন্তু যে তা করতে পারবে না ৷ বর্ণনাকারী মামার (র) বলেন, আমার কাছে এরুপ
বর্ণনাও পৌছেছে যে, ঐ মুমিন বান্দার গলা ভাষায় পরিণত করা হবে ৷ ’ আবার এরুপ বর্ণনাও
পৌছেছে, যে ব্যক্তিকে দাজ্জাল একবার হত্যা করবে এবং পুনরায় জীবিত করবে-তিনি হচ্ছেন
খিযির (আ) ৷
উপরোক্ত হাদীসটি বুখারী শরীফ ও মুসলিম শয়ীফে রয়েছে ৷ কোন কোন হাদীসের মুল
পাঠ নিম্নরুপ রয়েছে ৷ অর্থাৎ দাজ্জাল একজন
ভরা যৌবনের অধিকারী যুবককে নিয়ে আসবে এবং তাকে হত্যা করবে ৷ হাদীছে উল্লেখিত মুল
পাঠ মুখ থেকে
বর্ণনাকারী শুনেছেন বলে বোঝা যায় না বরং এটা বহুল প্রচলিত ৰিবরণও হতে পারে ৷ যা বহু
ৎখ্যক লোক এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায় শুনেছেন ৷ শায়খ আবুল ফারাজ ইবনুল জাওযী (র)
তার কিতাব স্পো শ্রো১; এ সম্পর্কে মারকু রুপে বর্ণিত হাদীসগুলােকে জাল বলে
আখ্যায়িত করেছেন ৷ আর সাহারা, তড়াবেয়ীন ও তড়াবে-তাবেয়ীন থেকে যে সব বর্ণনা এসেছে
এগুলোর সুত্রসমুহ দুর্বল এবং বর্ণনাকারীদের পরিচয়বিহীন বলে তিনি আখ্যায়িত করেছেন ৷
তীর এ সমালোচনা চমৎকার ৷



১ সাহাবীগণ মাসুম না হলেও র্তাদের দোষ চর্চা বা নিন্দাবাদ জায়েয় নয় ৷


الدِّينِ. وَالْحِكَايَاتُ لَا يَخْلُو أَكْثَرُهَا عَنْ ضَعْفٍ فِي الْإِسْنَادِ، وَقُصَارَاهَا أَنَّهَا صَحِيحَةٌ إِلَى مَنْ لَيْسَ بِمَعْصُومٍ; مِنْ صَحَابِيٍّ أَوْ غَيْرِهِ; لِأَنَّهُ يَجُوزُ عَلَيْهِ الْخَطَأُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا طَوِيلًا عَنِ الدَّجَّالِ، فَقَالَ فِيمَا يُحَدِّثُنَا: «يَأْتِي الدَّجَّالُ، وَهُوَ مُحَرَّمٌ عَلَيْهِ أَنْ يَدْخُلَ نِقَابَ الْمَدِينَةِ، فَيَخْرُجُ إِلَيْهِ يَوْمَئِذٍ رَجُلٌ، هُوَ خَيْرُ النَّاسِ، أَوْ مِنْ خَيْرِهِمْ، فَيَقُولُ: أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ الدَّجَّالُ الَّذِي حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَدِيثِهِ. فَيَقُولُ الدَّجَّالُ: أَرَأَيْتُمْ إِنْ قَتَلْتُ هَذَا ثُمَّ أَحْيَيْتُهُ، أَتَشُكُّونَ فِي الْأَمْرِ؟ فَيَقُولُونَ: لَا. فَيَقْتُلُهُ ثُمَّ يُحْيِيهِ، فَيَقُولُ حِينَ يُحْيَى: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ أَشَدَّ بَصِيرَةً فِيكَ مِنِّي الْآنَ قَالَ فَيُرِيدُ قَتْلَهُ الثَّانِيَةَ فَلَا يُسَلَّطُ عَلَيْهِ» قَالَ مَعْمَرٌ: بَلَغَنِي أَنَّهُ يَجْعَلُ عَلَى حَلْقِهِ صَفِيحَةً مِنْ نُحَاسٍ، وَبَلَغَنِي أَنَّهُ الْخَضِرُ الَّذِي يَقْتُلُهُ الدَّجَّالُ، ثُمَّ يُحْيِيهِ. وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سُفْيَانَ، الْفَقِيهُ الرَّاوِي عَنْ مُسْلِمٍ: الصَّحِيحُ أَنْ يُقَالَ: إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ الْخَضِرُ. وَقَوْلُ مَعْمَرٍ وَغَيْرِهِ: بَلَغَنِي. لَيْسَ فِيهِ حُجَّةٌ وَقَدْ وَرَدَ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ الْحَدِيثِ: فَيَأْتِي بِشَابٍّ مُمْتَلِئٍ شَبَابًا فَيَقْتُلُهُ وَقَوْلُهُ: " الَّذِي حَدَّثَنَا عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ". لَا يَقْتَضِي الْمُشَافَهَةَ،
পৃষ্ঠা - ৭৭৯
بَلْ يَكْفِي التَّوَاتُرُ. وَقَدْ تَصَدَّى الشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ ابْنُ الْجَوْزِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ: " عُجَالَةُ الْمُنْتَظَرِ، فِي شَرْحِ حَالَةِ الْخَضِرِ " لِلْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي ذَلِكَ مِنَ الْمَرْفُوعَاتِ، فَبَيَّنَ أَنَّهَا مَوْضُوعَاتٌ، وَمِنَ الْآثَارِ عَنِ الصَّحَابَةِ وَالتَّابِعِينِ وَمَنْ بَعْدَهُمْ، فَبَيَّنَ ضَعْفَ أَسَانِيدِهَا بِبَيَانِ أَحْوَالِهَا، وَجَهَالَةِ رِجَالِهَا، وَقَدْ أَجَادَ فِي ذَلِكَ وَأَحْسَنَ الِانْتِقَادَ. وَأَمَّا الَّذِينَ ذَهَبُوا إِلَى أَنَّهُ قَدْ مَاتَ، وَمِنْهُمُ الْبُخَارِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ الْحَرْبِيُّ، وَأَبُو الْحُسَيْنِ ابْنُ الْمُنَادِي، وَالشَّيْخُ أَبُو الْفَرَجِ بْنُ الْجَوْزِيِّ، وَقَدِ انْتَصَرَ لِذَلِكَ وَأَلَّفَ فِيهِ كِتَابًا سَمَّاهُ: " عُجَالَةَ الْمُنْتَظَرِ فِي شَرْحِ حَالَةِ الْخَضِرِ " فَيَحْتَجُّ لَهُمْ بِأَشْيَاءَ كَثِيرَةٍ; مِنْهَا، قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ} [الأنبياء: 34] . فَالْخَضِرُ، إِنْ كَانَ بَشَرًا، فَقَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْعُمُومِ لَا مَحَالَةَ، وَلَا يَجُوزُ تَخْصِيصُهُ مِنْهُ إِلَّا بِدَلِيلٍ صَحِيحٍ، وَالْأَصْلُ عَدَمُهُ حَتَّى يَثْبُتَ، وَلَمْ يُذْكَرْ مَا فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى التَّخْصِيصِ عَنْ مَعْصُومٍ يَجِبُ قَبُولُهُ. وَمِنْهَا أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ: {وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُمْ مِنْ كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ قَالَ ءأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُوا أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوا وَأَنَا مَعَكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ} [آل عمران: 81] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلَّا أُخِذَ عَلَيْهِ الْمِيثَاقُ: لَئِنْ بُعِثَ
পৃষ্ঠা - ৭৮০


খিযির (আ) ইনতিকাল করেছেন বলে যারা অভিমত পেশ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন,
ইমাম বুখারী (র), ইবরাহীম আল হারবী (র), আবুল হুসায়ন ইবনুল মুনাদী (র ), ইবনুল
জাওযী (র) ৷ ইবনুল জাওষী এ ব্যাপারে অধিকতর ভুমিকা নিয়েছেন ৷ এ সম্পর্কে তিনি
স্পো একটি কিতাব লিখেছেন ৷ এতে বিভিন্ন
প্রকারের দলীল রয়েছে ৷ সে দলীলসমুহের একটি হল আল্লাহর বাণী৪ র্ধ্ব প্র মোঃ (র্দ্র
প্রে ৷ াণ্ড্র^গ্লু ন্ ১হুঅর্থাৎ আমি তোমার পুর্বেও কোন মানুষকে অনম্ভ জীবন দান করিনি ৷
(সুরা আন্বিয়৷ ং ৩৪)

সুতরাং খিযির (আ) মানুষ হয়ে থাকলে তিনিও অবশ্যই এই সাধারণ নিয়মের অন্তর্ভুক্ত
হবেন ৷ আর বিশুদ্ধ দলীল ব্যতীত তাকে ব্যতিক্রম বলে গণ করা যাবে না ৷ সাধারণ নিয়ম
হচ্ছে ব্যতিক্রম না থাকা-যত ক্ষণ না নবী করীম (সা) থেকে তার সপক্ষে কোন দলীল পাওয়া
যায় ৷ খিযির (আ)-এর ক্ষেত্রে এরুপ কোন ব্যতিক্রমের প্রমাণ পাওয়া যায় না ৷

দ্বিতীয় দলীল হচ্ছে, আল্লাহ তাঅ৷ ৷লার বাণী৪

র্ধগ্র

স্মরণ কর যখন আল্লাহ নবীদের অংপীকার নিয়েছিলেন, তােমাদেরকে কিতাব ও হিকমত
যা কিছু দিয়েছি তারপর তোমাদের কাছে যা রয়েছে তার সমর্থক রুপে যখন একজন রাসুল
আসবে, তখন তোমরা অবশ্যই তার প্রতি ঈমান আনবে এবং তাকে সাহায্য করবে ৷’ তিনি
বললেন, তােমরা কি স্বীকার করলে? এবং এ সম্পর্কে আমার অঙ্গীকার কি তোমরা গ্রহণ
করলে?’ তারা বলল, আমরা স্বীকার করলাম ৷’ তিনি বললেন, তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং
আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম ৷ ’ (সুরা আল ইমরান : ৮১)
ইবন আব্বাস (বা) এ আঘাতের তাফসীর প্রসঙ্গে বলেন, আল্লাহ্ তা আল৷ তার প্রেরিত
প্রত্যেক নবী থেকে এ মমে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, যদি মুহাম্মদ (সা) কে তার আমলে পাঠানো
হয় এবং তিনি জীবিত থাকেন,ত তাহলে তিনি মুহাম্মদ (সা)-এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবেন ও
তাকে সর্বতোতাবে সাহায্য সহায়তা করবেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা প্রতোক নবীকে হুকুম
দিয়েছিলেন তিনি যেন তার উম্মত থেকে এ মমে অঙ্গীকার নেন যে, যদি তাদের জীবিত অবস্থায়
তাদের কাছে মুহাম্মদ (না)-কে প্রেরণ করা হয় তাহলে তারা তার প্রতি:বিশ্বাস স্থাপন করবে ও
তাকে সর্বতােভাবে সাহায্য করবে ৷ সুতরাং খিযির (আ) যদি নবী কিৰুৎবা ওলী হয়ে থাকেন
তাহলে তার ক্ষেত্রেও এই অঙ্গীকার প্রযোজ্য ৷ তিনি যদি রাসুলুল্লাহ (সা) এর যুগে জীবিত
থাকতেন তাহলে তার জীবনের অধিকাৎশ সময়েই তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে হাযির
থাকতেন, রাসুলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতেন এবং রাসুল
(না)-কে তিনি সাহায্য করতেন ৷ যাতে কোন শত্রু রাসুলুল্লাহ (না)-এর ক্ষতি করতে না পারে ৷
আর তিনি যদি ওলী হয়ে থাকেন,তাহলে আবু বকর সিদ্দিক (রা) ছিলেন তার থেকে বেশি
মর্যাদাবান ৷ আর যদি নবী হয়ে থাকেন তাহলে মুসা (আ) )ছিলেন তার থেকে বেশি মর্যাদাবান ৷


مُحَمَّدٌ، وَهُوَ حَيٌّ، لِيُؤْمِنَنَّ بِهِ وَلِيَنْصُرُنَّهُ. وَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ عَلَى أُمَّتِهِ الْمِيثَاقَ: لَئِنْ بُعِثَ مُحَمَّدٌ وَهْمُ أَحْيَاءٌ; لِيُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلِيَنْصُرُنَّهُ. ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ عَنْهُ. فَالْخَضِرُ إِنْ كَانَ نَبِيًّا أَوْ وَلِيًّا فَقَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْمِيثَاقِ، فَلَوْ كَانَ حَيًّا فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لَكَانَ أَشْرَفُ أَحْوَالِهِ أَنْ يَكُونَ بَيْنَ يَدَيْهِ، يُؤْمِنُ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَيَنْصُرُهُ أَنْ يَصِلَ أَحَدٌ مِنَ الْأَعْدَاءِ إِلَيْهِ; لِأَنَّهُ إِنْ كَانَ وَلِيًّا; فَالصَّدِيقُ أَفْضَلُ مِنْهُ، وَإِنْ كَانَ نَبِيًّا; فَمُوسَى أَفْضَلُ مِنْهُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْ أَنَّ مُوسَى كَانَ حَيًّا مَا وَسِعَهُ إِلَّا أَنْ يَتَّبِعَنِي» وَهَذَا الَّذِي يُقْطَعُ بِهِ وَيَعْلَمُ مِنَ الدِّينِ عِلْمَ الضَّرُورَةِ، وَقَدْ دَلَّتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الْآيَةُ الْكَرِيمَةُ; أَنَّ الْأَنْبِيَاءَ كُلَّهُمْ لَوْ فُرِضَ أَنَّهُمْ أَحْيَاءٌ مُكَلَّفُونَ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَكَانُوا كُلُّهُمْ أَتْبَاعًا لَهُ، وَتَحْتَ أَوَامِرِهِ، وَفِي عُمُومِ شَرْعِهِ، كَمَا أَنَّهُ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ لَمَّا اجْتَمَعَ مَعَهُمْ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ، رُفِعَ فَوْقَهُمْ كُلِّهِمْ، وَلَمَّا هَبَطُوا مَعَهُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَحَانَتِ الصَّلَاةُ; أَمَرَهُ جِبْرِيلُ عَنْ أَمْرِ اللَّهِ أَنْ يَؤُمَّهُمْ، فَصَلَّى بِهِمْ فِي مَحَلِّ وِلَايَتِهِمْ، وَدَارِ إِقَامَتِهِمْ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ الْإِمَامُ الْأَعْظَمُ، وَالرَّسُولُ الْخَاتَمُ الْمُبَجَّلُ الْمُقَدَّمُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. فَإِذَا عُلِمَ هَذَا - وَهُوَ مَعْلُومٌ عِنْدَ كُلِّ مُؤْمِنٍ - عُلِمَ أَنَّهُ لَوْ كَانَ الْخَضِرُ
পৃষ্ঠা - ৭৮১


ইমাম আহমদ (র) তার মুসনাদে জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বংনাি করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে পবিত্র সত্তার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ, যদি
মুসা(আ) আমার যমানায় বেচে থাকতেন তাহলে আমার অনুসরণ ব্যতীত তার কোন উপায়
থাকত না ৷ এ ব্যাপারটি সন্দেহাতীতডাবে সত্য, এবং ধর্মের একটি মৌলিক বিষয় যা
দিবালোকের মত সুস্পষ্ট এবং এর জন্য কোন দলীল-প্রমড়াণের প্রয়োজন হয় না ৷ উপরোক্ত
আয়াতটিও তার সমর্থন করে ৷ যদি নবীগণ রাসুলুল্লাহ (সা)-এর যমানায় জীবিত থাকতেন,
তাহলে তারা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর অনুসারী হতেন এবং তার আদেশন্নিষেধের আওতাধীন
থাকতেন ৷ যেমন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মিরাজের রাতে যখন সকল নবীর সাথে মিলিত হলেন,
তাকে তাদের সকলের উপরে মর্যাদা দান করা হয়, আর যখন তারা তার সাথে বায়তুল
মুকাদ্দাসে অবতরণ করেন ও সালাতের ওয়াক্ত হয় আল্লাহ্ তাআলার আদেশে আদিষ্ট হয়ে
জিবরাঈল (আ) রাসুলুল্লাহ (সা)-কে তাদের সকলের ইমামতি করতে বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা)
তাদের অবস্থান স্থল কর্তৃত্বের এলাকায় তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করেন ৷ এর দ্বারা
প্রতীয়মান হয় যে, রাসুলুল্লাহ (সা) শ্রেষ্ঠ ইমাম ও মহড়াসম্মানিত আখেরী রাসুল ৷

যখন জানা গেল আর প্রত্যেক মুমিন বড়ান্দার নিকটই তা সুবিদিত যে, যদি খিযির (আ)
জীবিত থাকতেন তাহলে তিনি মুহাম্মদ (না)-এর উম্মত ও তার শরীয়তের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত
হতেন ৷ এছাড়া তার গত্যস্তর থাকত না ৷ ধরুন, ঈসা (আ)-এর কথা ৷ তিনি যখন শেষ যমানায়
অবতরণ করবেন, তখন তিনি মহড়ানবীর পবিত্র শরীয়ত মুতাবিক ফয়সালা করবেন ৷ তিনি এই
শরীয়তের বহির্ভুত কোন কাজ করবেন না এবং এর বিরোধিতড়াও করবেন না ৷ অথচ তিনি
পড়াচজন শ্রেষ্ঠ ( ণ্১পু ! এ- এ ! ) পয়গাম্বরের অন্যতম এবং তিনি বনী ইসরাঈলের শেষ নবী ৷
এটা জানা কথা যে, কোন সহীহ কিংবা সভােষজনক হাসান’ পর্যায়ের বংনাি পাওয়া যায় না,
যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, খিযির (আ) কোন একদিনও রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে মিলিত
হয়েছিলেন এবং তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে কোন একটি যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেননি ৷
বদরের যুদ্ধের কথা ধরুন, সত্যবাদী ও সত্যায়িত রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আল্লাহ্ তাআলার
কাছে দৃআ করছিলেন, তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছিলেন এবং কাফিরদের মুকাবিলায় বিজয়
প্রার্থনা করছিলেন, তখন তিনি বলছিলেন, এই ছোট দলটি যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে
পৃথিবীতে আর তোমার ইরাদত হবে না ৷ ঐ ছোট দলটিতে ছিলেন সেদিন মুসলমানদের ও

ফেরেশতাদের নেতৃবর্প, এমনকি জিবরাঈল (আ)ও তথায় উপস্থিত ছিলেন ৷ যেমন হাসসড়ান
ইবন ছাবিত (বা) তার কাসীদার একটি লাইনে-যাকে আরবের শ্রেষ্ঠ গৌরবপড়াথা বলে
আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে বলেন :

অর্থাৎ বদরের সাবীর পাহাড়ে আমাদের পতাকাতলে জিবরাঈল (আ) ও মুহাম্মদ (স)
কাফিরদের প্রতিহত করছিলেন ৷
যদি খিযির (আ) জীবিত থাকতেন তাহলে তার এই পতাকাতলে থেকে যুদ্ধ করাটাই হত
তার মহান মর্যাদা ও সর্বশ্রেষ্ঠ ষুদ্ধাভিযান ৷


حَيًّا، لَكَانَ مِنْ جُمْلَةِ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِمَّنْ يَقْتَدِي بِشَرْعِهِ، لَا يَسَعُهُ إِلَّا ذَلِكَ. هَذَا عِيسَى بْنُ مَرْيَمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِذَا نَزَلَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ، يَحْكُمُ بِهَذِهِ الشَّرِيعَةِ الْمُطَهَّرَةِ، لَا يَخْرُجُ مِنْهَا، وَلَا يَحِيدُ عَنْهَا، وَهُوَ أَحَدُ أُولِي الْعَزْمِ الْخَمْسَةِ الْمُرْسَلِينَ، وَخَاتَمُ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ. وَالْمَعْلُومُ أَنَّ الْخَضِرَ، لَمْ يُنْقَلْ بِسَنَدٍ صَحِيحٍ وَلَا حَسَنٍ تَسْكُنُ النَّفْسُ إِلَيْهِ، أَنَّهُ اجْتَمَعَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ، وَلَمْ يَشْهَدْ مَعَهُ قِتَالًا فِي مَشْهَدٍ مِنَ الْمَشَاهِدِ، وَهَذَا يَوْمُ بَدْرٍ، يَقُولُ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ، فِيمَا دَعَا بِهِ لِرَبِّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَاسْتَنْصَرَهُ، وَاسْتَفْتَحَهُ، عَلَى مَنْ كَفَرَهُ: «اللَّهُمَّ إِنَّ تُهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةَ، لَا تُعْبَدُ بَعْدَهَا فِي الْأَرْضِ،» وَتِلْكَ الْعِصَابَةُ كَانَ تَحْتَهَا سَادَةُ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ، وَسَادَةُ الْمَلَائِكَةِ، حَتَّى جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا قَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ، فِي بَيْتٍ يُقَالُ: إِنَّهُ أَفْخَرُ بَيْتٍ قَالَتْهُ الْعَرَبُ: وَبِبِئْرِ بَدْرٍ إِذْ يَرُدُّ وُجُوهَهُمْ ... جِبْرِيلُ تَحْتَ لِوَائِنَا وَمُحَمَّدُ فَلَوْ كَانَ الْخَضِرُ حَيًّا لَكَانَ وُقُوفُهُ تَحْتَ هَذِهِ الرَّايَةِ أَشْرَفَ مَقَامَاتِهِ، وَأَعْظَمَ غَزَوَاتِهِ. قَالَ الْقَاضِي أَبُو يَعْلَى مُحَمَّدُ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ الْفَرَّاءِ الْحَنْبَلِيُّ: سُئِلَ بَعْضُ
পৃষ্ঠা - ৭৮২
أَصْحَابِنَا عَنِ الْخَضِرِ: هَلْ مَاتَ؟ فَقَالَ: نَعَمْ. قَالَ: وَبَلَغَنِي مِثْلُ هَذَا عَنْ أَبِي طَاهِرِ بْنِ الْغُبَارِيِّ قَالَ: وَكَانَ يَحْتَجُّ بِأَنَّهُ لَوْ كَانَ حَيًّا، لَجَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. نَقَلَهُ ابْنُ الْجَوْزِيِّ فِي " الْعُجَالَةِ ". فَإِنْ قِيلَ: فَهَلَّا يُقَالُ: إِنَّهُ كَانَ حَاضِرًا فِي هَذِهِ الْمَوَاطِنِ كُلِّهَا، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ أَحَدٌ يَرَاهُ. فَالْجَوَابُ أَنَّ الْأَصْلَ عَدَمُ هَذَا الِاحْتِمَالِ الْبَعِيدِ الَّذِي يَلْزَمُ مِنْهُ تَخْصِيصُ الْعُمُومَاتِ بِمُجَرَّدِ التَّوَهُّمَاتِ، ثُمَّ مَا الْحَامِلُ لَهُ عَلَى هَذَا الِاخْتِفَاءِ؟ وَظُهُورُهُ أَعْظَمُ لِأَجْرِهِ، وَأَعْلَى فِي مَرْتَبَتِهِ، وَأَظْهَرُ لِمُعْجِزَتِهِ. ثُمَّ لَوْ كَانَ بَاقِيًا بَعْدَهُ، لَكَانَ تَبْلِيغُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَحَادِيثَ النَّبَوِيَّةَ، وَالْآيَاتِ الْقُرْآنِيَّةَ، وَإِنْكَارُهُ لِمَا وَقَعَ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْمَكْذُوبَةِ، وَالرِّوَايَاتِ الْمَقْلُوبَةِ، وَالْآرَاءِ الْبِدْعِيَّةِ، وَالْأَهْوَاءِ الْعَصَبِيَّةِ، وَقِتَالُهُ مَعَ الْمُسْلِمِينَ فِي غَزَوَاتِهِمْ، وَشُهُودُهُ جُمُعَهُمْ وَجَمَاعَاتِهِمْ، وَنَفْعُهُ إِيَّاهُمْ، وَدَفْعُهُ الضَّرَرَ عَنْهُمْ مِمَّنْ سِوَاهُمْ، وَتَسْدِيدُهُ الْعُلَمَاءَ وَالْحُكَّامَ، وَتَقْرِيرُهُ الْأَدِلَّةَ وَالْأَحْكَامَ، أَفْضَلَ مِمَّ يُقَالُ عَنْهُ مِنْ كُنُونِهِ فِي الْأَمْصَارِ، وَجَوْبِهِ الْفَيَافِيَ وَالْأَقْطَارَ، وَاجْتِمَاعِهِ بِعُبَّادٍ لَا يُعْرَفُ أَحْوَالُ كَثِيرٍ مِنْهُمْ، وَجَعْلِهِ لَهُمْ كَالنَّقِيبِ الْمُتَرْجِمِ عَنْهُمْ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرْنَاهُ لَا يَتَوَقَّفُ أَحَدٌ فِيهِ بَعْدَ التَّفَهُّمِ، وَاللَّهُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ. وَمِنْ ذَلِكَ مَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى لَيْلَةً الْعِشَاءَ، ثُمَّ
পৃষ্ঠা - ৭৮৩


কাজী আবু ইয়ালা মুহাম্মদ ইবনু ছসাইন হাম্বলী (র ) বলেন, আমাদের জনৈক আলিমকে
খিযির (আ) সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, তিনি কি ইস্তিকাল করেছেন? ’ তিনি বললেন, ইব্রুড়া ৷
তিনি আরও বলেন, অনুরুপ বংনাি আবু তাহের ইবনুল গুবারী (র) সুত্রেও আমাদের কাছে
পৌছেছে ৷ তিনি এভাবে যুক্তি দেখাতেন যে, যদি খিযির (আ) জীবিত থাকতেন তাহলে তিনি
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দরবারে অবশ্যই আগমন করতেন ৷ এ তথ্যটি ইবনুল জাওযী (র) তার
আল-উজালা’ গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন ৷

কোন ব্যক্তি যদি এরুপ বলেন যে, তিনি যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু কেউ
তাকে দেথেনি ৷ তা হলে তার উত্তর হবে যে, এরুপ সম্ভব নয়, এটা সুদুর পরাহত ৷ কেননা,
এতে শুধু ধারণার বশবর্তী হয়ে সাধারণ নিয়ম-কানুনকে বাদ দিয়ে বিষয়টিকে বিশেষভাবে
বিচার করতে হয় ৷ অতঃপর একথাটিও বিবেচ্য যে, রহস্যাবৃত হবার চেয়ে এতেই তার মর্যাদা
ও মুজিযা বেশি প্রকাশ পেতে৷ ৷ পুনরায় যদি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পরে র্তাকে জীবিত ধরা হয়
তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ইনতিকালের পর হড়াদীসসমুহ ও কুরআনুল করীমের
আয়াতসমুহের প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব র্তার উপর বর্তাতাে ৷ উপরন্তু মিথ্যা হাদীস বিকৃত
রিওয়ায়েতের বিরুদ্ধাচরণ, বিভিন্ন বাতিল মতবাদের খণ্ডন, মুসলিম জড়ামাতের সাথে যুদ্ধে
অংশগ্রহণ, জুমআ ও জামায়াতে উপস্থিত হওয়া, তাদের উপকার সাধন করা এবং তাদের প্রতি
অপরের ক্ষতিসাধনকে প্রতিহত করা, উলামায়ে কিরড়ামকে সৎপথে পরিচালিত করা ও অত্যাচারী
শাসকদের সঠিক পথে চলতে বাধ্য করা এবং ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা ইত্যাদি
কর্তব্য পালন, বিভিন্ন শহরে, বলুন-জঙ্গলে তার কথিত আত্মগােপন করে থাকা, এমন লোকদের
সাথে বসবাস করা যাদের অধিকাং শর অবস্থা অজানা এবং তাদের তত্ত্বাবধান করা অপেক্ষা
বহুগুণে এেয় ৷ এ আলোচনার পর এ বিষয়ে আর সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে না ৷ আল্লাহ
তাআলা যাকে চান তাকে সৎপথ প্রদর্শন করেন ৷

সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে এবং অন্যান্য কিতাবেও আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে
বর্ণিত রয়েছে যে, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এশার নামায আদায় করলেন এবং সাহাবীপণকে
লক্ষ্য করে বললেন, আজকের রাতে তোমরা কি একটা কথা চিন্তা করেছ যে , আজকের দিনে
যারা পৃথিবীতে জীবিত রয়েছে, একশ’ বছর পর তাদের কেউই পৃথিবীর বুকে বেচে থাকবে না ৷
বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) বলেন, একথা শুনে লোকজন ভীত হয়ে পড়লেন ৷ অথচ
রাসুলুল্লাহ্ (না) তার যুগের সমাপ্তির কথাই বৃঝাচ্ছিলেন ৷ ইমাম আহমদ (র)ও সামান্য শাব্দিক
পার্থক্যসহ অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (না) তার ইনতিকালের একমাস কিংবা কিছুদিন পুর্বে বলেছেন : তোমাদের মধ্যে
যারা এখন জীবিত, একশ’ বছরের মাথায় তাদের কেউই জীবিত থাকবে না ৷

অন্য এক সুত্রে ইমাম আহমদ (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি

বলেন, রাসুল (সা) ইনতিকালের একমাস পুর্বে বলেন, তারা আমাকে কিয়ামত সম্বন্ধে প্রশ্ন
করেছে, অথচ এ সম্বন্ধে শুধু অড়াল্লাহ্ তাআলাই জানেন ৷ আল্লাহর শপথ, আজকাল পৃথিবীতে

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম থাঃ)প্প্৯মোঃশুন্^া০চ্০

قَالَ: «أَرَأَيْتُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ، فَإِنَّهُ إِلَى مِائَةٍ سَنَةٍ، لَا يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ الْيَوْمَ أَحَدٌ - وَفِي رِوَايَةٍ: - عَيْنٌ تَطْرِفُ» قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَوَهِلَ النَّاسُ فِي مَقَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَذِهِ، وَإِنَّمَا أَرَادَ انْخِرَامَ قَرْنِهِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ الْعِشَاءَ فِي آخِرِ حَيَاتِهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ فَقَالَ: «أَرَأَيْتُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ، فَإِنَّ عَلَى رَأْسِ مِائَةِ سَنَةٍ لَا يَبْقَى مِمَّنْ عَلَى ظَهْرِ الْأَرْضِ أَحَدٌ» وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ مَوْتِهِ بِقَلِيلٍ أَوْ بِشَهْرٍ: «مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ - أَوْ: مَا مِنْكُمْ مِنْ نَفْسٍ الْيَوْمَ مَنْفُوسَةٍ - يَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ حَيَّةٌ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِشَهْرٍ: «يَسْأَلُونَنِي عَنِ السَّاعَةِ، وَإِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللَّهِ، أُقْسِمُ بِاللَّهِ مَا عَلَى الْأَرْضِ نَفْسٌ مَنْفُوسَةٌ الْيَوْمَ،
পৃষ্ঠা - ৭৮৪


যারা রয়েছে তাদের কেউই একশ’ বছর অতিক্রম করবে না ৷ ইমাম মুসলিম (র ) ও তিরমিযী
(র) অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

ইবনুল জাওযী (র) বলেন, উপরোক্ত বিশুদ্ধ হাদীসগুলাে খিযির শ্(আ)-এর বেচে থাকার
দাবিকে নাকচ করে দেয় ৷ অন্যন্যা উলামা বলেন, খিযির (আ) যদি রড়াসৃলুল্লড়াহ (সা) এর যুগ না
পেয়ে থাকেন, যেমন দৃঢ় দলীল দ্বারা বোঝা যায় তাতে কোন সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে না আর
যদি তিনি তার যুগ পেয়ে থাকেন তাহলে এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে তিনি একশ’ বছর
পর আর জীবিত ছিলেন না ৷ সুতরাং এখন আর তিনি বেচে নেই; ৷ কেননা তার ক্ষেত্রেও
সাধারণ নীতি প্রযোজ্য ৷ যতক্ষণ না, ব্যতিক্রমের অকাট্য দলীল পাওয়া যায় ৷ আল্লাহ
তাআলাই সম্যক জ্ঞাত ৷ হাফিজ আবুল কাসিম সুহায়লী তীর কিতাব ণ্১;শ্ন ৷ , ষ্ন্ধো ৷
-এ ইমাম বুখারী (র) আবু বকর ইবনৃল আরাবী (র) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি নবী কবীম
(না)-এর যুগ পেয়েছেন, কিন্তু এরপর তিনি উপরোক্ত হাদীসের মর্ম অনুসারে ইনতিকাল করে
গিয়েছেন ৷ খিযির (আ) রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর যুগ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন বলে ইমাম বৃখারী যে
মন্তব্য করেছেন, এতথ্যটিতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷ সুহায়লী (র) খিযির (আ )-এর ঐ
পর্যন্ত বেচে থাকার বিষয়ে অগ্ৰাধিকার দিয়েছেন এবং এটাই অধিকাত্শের মত বলে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি আরো বলেন, তীর রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে সাক্ষাৎ করা এবং রাসুলুল্লাহ
(না)-এর ইনতিকালের পর নবী পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা জ্ঞাপনের বিষয়টি বিশুদ্ধ
হাদীসসমুহে বর্ণিত রয়েছে ৷ অতঃপর তিনি আমাদের পুর্বে বর্ণিত দুর্বল হাদীসগুলাে উপস্থাপন
করেন কিন্তু এগুলোর সুত্র উল্লেখ করেননি ৷ আল্লাহ তাআলাই সম্যক অবগত ৷


يَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ أَبِي نَضْرَةَ، وَأَبِي الزُّبَيْرِ، كُلٌّ مِنْهُمَا عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا عَلَى الْأَرْضِ مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ يَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ» وَهَذَا أَيْضًا عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ. قَالَ ابْنُ الْجَوْزِيِّ: فَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ الصِّحَاحُ تَقْطَعُ دَابِرَ دَعْوَى حَيَاةِ الْخَضِرِ. قَالُوا: فَالْخَضِرُ إِنْ لَمْ يَكُنْ قَدْ أَدْرَكَ زَمَانَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا هُوَ الْمَظْنُونُ الَّذِي يَتَرَقَّى فِي الْقُوَّةِ إِلَى الْقَطْعِ فَلَا إِشْكَالَ. وَإِنْ كَانَ قَدْ أَدْرَكَ زَمَانَهُ، فَهَذَا الْحَدِيثُ يَقْتَضِي أَنَّهُ لَمْ يَعِشْ بَعْدَهُ مِائَةَ سَنَةٍ، فَيَكُونُ الْآنَ مَفْقُودًا لَا مَوْجُودًا; لِأَنَّهُ دَاخِلٌ فِي هَذَا الْعُمُومِ، وَالْأَصْلُ عَدَمُ الْمُخَصَّصِ لَهُ، حَتَّى يَثْبُتَ بِدَلِيلٍ صَحِيحٍ يَجِبُ قَبُولُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ حَكَى الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ فِي كِتَابِهِ: " التَّعْرِيفُ وَالْإِعْلَامُ " عَنِ الْبُخَارِيِّ وَشَيْخِهِ أَبِي بَكْرِ ابْنِ الْعَرَبِيِّ، أَنَّهُ أَدْرَكَ حَيَاةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنْ مَاتَ بَعْدَهُ; لِهَذَا الْحَدِيثِ. وَفِي كَوْنِ الْبُخَارِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، يَقُولُ بِهَذَا، وَأَنَّهُ بَقِيَ إِلَى زَمَانِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَظَرٌ. وَرَجَّحَ السُّهَيْلِيُّ بَقَاءَهُ، وَحَكَاهُ عَنِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৫
الْأَكْثَرِينَ; قَالَ: وَأَمَّا اجْتِمَاعُهُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَتَعْزِيَتُهُ لِأَهْلِ الْبَيْتِ، بَعْدَهُ فَمَرْوِيٌّ مِنْ طُرُقٍ صِحَاحٍ. ثُمَّ ذَكَرَ مَا تَقَدَّمَ مِمَّا ضَعَّفْنَاهُ، وَلَمْ يُورِدْ أَسَانِيدَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৬
[قِصَّةُ إِلْيَاسَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] أَمَّا إِلْيَاسُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى، بَعْدَ قِصَّةِ مُوسَى وَهَارُونَ مِنْ سُورَةِ " الصَّافَّاتِ ": {وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَلَا تَتَّقُونَ أَتَدْعُونَ بَعْلًا وَتَذَرُونَ أَحْسَنَ الْخَالِقِينَ اللَّهَ رَبَّكُمْ وَرَبَّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ إِلَّا عِبَادَ اللَّهِ الْمُخْلَصِينَ وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ سَلَامٌ عَلَى إِلَ يَاسِينَ إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ} [الصافات: 123] فَكَذَّبُوهُ وَخَالَفُوهُ، وَأَرَادُوا قَتْلَهُ، فَيُقَالُ: إِنَّهُ هَرَبَ مِنْهُمْ، وَاخْتَفَى عَنْهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৭৮৭
قَالَ أَبُو يَعْقُوبَ الْأَذْرَعِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، قَالَ: وَسَمِعْتُ مَنْ يَذْكُرُ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ، أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ إِلْيَاسَ اخْتَبَأَ مَنْ مَلِكِ قَوْمِهِ، فِي الْغَارِ الَّذِي تَحْتَ الدَّمِ، عَشْرَ سِنِينَ، حَتَّى أَهْلَكَ اللَّهُ الْمَلِكَ، وَوَلَّى غَيْرَهُ، فَأَتَاهُ إِلْيَاسُ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ الْإِسْلَامَ، فَأَسْلَمَ، وَأَسْلَمَ مِنْ قَوْمِهِ خَلْقٌ عَظِيمٌ، غَيْرَ عَشَرَةِ آلَافٍ مِنْهُمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَقُتِلُوا عَنْ آخِرِهِمْ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي الدُّنْيَا حَدَّثَنِي أَبُو مُحَمَّدٍ الْقَاسِمُ بْنُ هَاشِمٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ بَعْضِ مَشْيَخَةِ دِمَشْقَ، قَالَ: أَقَامَ إِلْيَاسُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، هَارِبًا مِنْ قَوْمِهِ، فِي كَهْفِ جَبَلٍ، عِشْرِينَ لَيْلَةً، أَوْ قَالَ: أَرْبَعِينَ لَيْلَةً، تَأْتِيهِ الْغِرْبَانُ بِرِزْقِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، كَاتِبُ الْوَاقِدِيِّ: أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَوَّلُ نَبِيٍّ بُعِثَ إِدْرِيسُ، ثُمَّ نُوحٌ، ثُمَّ إِبْرَاهِيمُ، ثُمَّ إِسْمَاعِيلُ وَإِسْحَاقُ، ثُمَّ يَعْقُوبُ، ثُمَّ يُوسُفُ، ثُمَّ لُوطٌ، ثُمَّ هُودٌ، ثُمَّ صَالِحٌ، ثُمَّ شُعَيْبٌ، ثُمَّ مُوسَى وَهَارُونُ، ابْنَا عِمْرَانَ، ثُمَّ إِلْيَاسُ بْنُ تَسْبِي بْنِ الْعَازِرِ بْنِ هَارُونَ بْنِ عِمْرَانَ بْنِ قَاهَثَ بْنِ لَاوِي بْنِ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. هَكَذَا قَالَ، وَفِي هَذَا التَّرْتِيبِ نَظَرٌ. وَقَالَ مَكْحُولٌ عَنْ كَعْبٍ:
পৃষ্ঠা - ৭৮৮
أَرْبَعَةُ أَنْبِيَاءَ أَحْيَاءٌ، اثْنَانِ فِي الْأَرْضِ: إِلْيَاسُ وَالْخَضِرُ، وَاثْنَانِ فِي السَّمَاءِ: إِدْرِيسُ وَعِيسَى. وَقَدْ قَدَّمْنَا قَوْلَ مَنْ ذَكَرَ أَنَّ إِلْيَاسَ وَالْخَضِرَ يَجْتَمِعَانِ فِي كُلِّ عَامٍ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ بِبَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَأَنَّهُمَا يَحُجَّانِ كُلَّ سَنَةٍ، وَيَشْرَبَانِ مِنْ زَمْزَمَ شَرْبَةً تَكْفِيهُمَا إِلَى مِثْلِهَا مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ. وَأَوْرَدْنَا الْحَدِيثَ الَّذِي فِيهِ أَنَّهُمَا يَجْتَمِعَانِ بِعَرَفَاتٍ كُلَّ سَنَةٍ، وَبَيَّنَّا أَنَّهُ لَمْ يَصِحَّ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ، وَأَنَّ الَّذِي يَقُومُ عَلَيْهِ الدَّلِيلُ: أَنَّ الْخَضِرَ مَاتَ، وَكَذَلِكَ إِلْيَاسُ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. وَمَا ذَكَرَهُ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، وَغَيْرُهُ; أَنَّهُ لَمَّا دَعَا رَبَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، أَنْ يَقْبِضَهُ إِلَيْهِ لَمَّا كذَّبُوهُ، وَآذَوْهُ، فَجَاءَتْهُ دَابَّةٌ لَوْنُهَا لَوْنُ النَّارِ فَرَكِبَهَا، وَجَعَلَ اللَّهُ لَهُ رِيشًا، وَأَلْبَسَهُ النُّورَ، وَقَطَعَ عَنْهُ لَذَّةَ الْمَطْعَمِ وَالْمَشْرَبِ، وَصَارَ مَلَكِيًّا بَشَرِيًّا، سَمَاوِيًّا أَرْضِيًّا، وَأَوْصَى إِلَى الْيَسَعِ بْنِ أَخْطُوبَ، فَفِي هَذَا نَظَرٌ، وَهُوَ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، الَّتِي لَا تُصَدَّقُ وَلَا تُكَذَّبُ، بَلِ الظَّاهِرُ أَنَّ صِحَّتَهَا بَعِيدَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو الْعَبَّاسِ أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْمَعْدَانِيُّ بِبُخَارَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَحْمُودٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَانُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৭৮৯
الْبَرْقِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ يَزِيدَ الْبَلَوِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا، فَإِذَا رَجُلٌ فِي الْوَادِي يَقُولُ: اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنْ أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَرْحُومَةِ، الْمَغْفُورَةِ، الْمُثَابِ لَهَا. قَالَ: فَأَشْرَفْتُ عَلَى الْوَادِي، فَإِذَا رَجُلٌ طُولُهُ أَكْثَرُ مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ ذِرَاعٍ، فَقَالَ لِي: مَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، خَادِمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَأَيْنَ هُوَ؟ قُلْتُ: هُوَ ذَا يَسْمَعُ كَلَامَكَ. قَالَ: فَأْتِهِ فَأَقْرِئْهُ السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: أَخُوكَ إِلْيَاسُ يُقْرِئُكَ السَّلَامَ. قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَتْهُ فَجَاءَ حَتَّى لَقِيَهُ، فَعَانَقَهُ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَعَدَا يَتَحَدَّثَانِ، فَقَالَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي مَا آكُلُ فِي سَنَةٍ إِلَّا يَوْمًا، وَهَذَا يَوْمُ فِطْرِي، فَآكُلُ أَنَا وَأَنْتَ. قَالَ: فَنَزَلَتْ عَلَيْهِمَا مَائِدَةٌ مِنَ السَّمَاءِ عَلَيْهَا خُبْزٌ، وَحُوتٌ، وَكَرَفْسٌ، فَأَكَلَا وَأَطْعَمَانِي، وَصَلَّيْنَا الْعَصْرَ، ثُمَّ وَدَّعَهُ، وَرَأَيْتُهُ مَرَّ فِي السَّحَابِ نَحْوَ السَّمَاءِ» . فَقَدْ كَفَانَا الْبَيْهَقِيُّ أَمْرَهُ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفٌ بِمَرَّةٍ. وَالْعَجَبُ أَنَّ الْحَاكِمَ أَبَا عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيَّ أَخْرَجَهُ فِي " مُسْتَدْرِكِهِ عَلَى الصَّحِيحَيْنِ "، وَهَذَا مِمَّا يُسْتَدْرَكُ بِهِ عَلَى " الْمُسْتَدْرَكِ "، فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مَوْضُوعٌ، مُخَالِفٌ لِلْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ، مِنْ وُجُوهٍ. وَمَعْنَاهُ لَا يَصِحُّ أَيْضًا، فَقَدْ تَقَدَّمَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ طُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا فِي السَّمَاءِ» إِلَى أَنْ قَالَ: «ثُمَّ لَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ، حَتَّى الْآنَ» وَفِيهِ أَنَّهُ لَمْ يَأْتِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى كَانَ هُوَ الَّذِي ذَهَبَ إِلَيْهِ. وَهَذَا لَا يَصِحُّ; لِأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৭৯০
كَانَ أَحَقَّ بِالسَّعْي إِلَى بَيْنِ يَدَيْ خَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ. وَفِيهِ أَنَّهُ يَأْكُلُ فِي السَّنَةِ مَرَّةً، وَقَدْ تَقَدَّمَ عَنْ وَهْبٍ أَنَّهُ سَلَبَهُ اللَّهُ لَذَّةَ الْمَطْعَمِ وَالْمَشْرَبِ، وَفِيمَا تَقَدَّمَ عَنْ بَعْضِهِمْ أَنَّهُ يَشْرَبُ مِنْ زَمْزَمَ كُلَّ سَنَةٍ شَرْبَةً تَكْفِيهِ إِلَى مِثْلِهَا مِنَ الْحَوْلِ الْآخَرِ. وَهَذِهِ أَشْيَاءُ مُتَعَارِضَةٌ، وَكُلُّهَا بَاطِلَةٌ لَا يَصِحُّ شَيْءٌ مِنْهَا. وَقَدْ سَاقَ ابْنُ عَسَاكِرَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، وَاعْتَرَفَ بِضَعْفِهَا وَهَذَا عَجَبٌ مِنْهُ، كَيْفَ تَكَلَّمَ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ أَوْرَدَهُ مِنْ طَرِيقِ خَيْرِ بْنِ عَرَفَةَ، عَنْ هَانِئِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ بَقِيَّةَ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الْأَسْقَعِ، فَذَكَرَ نَحْوَ هَذَا مُطَوَّلًا، وَفِيهِ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، وَأَنَّهُ بَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، وَحُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، قَالَا: فَإِذَا هُوَ أَعْلَى جِسْمًا مِنَّا بِذِرَاعَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ، وَاعْتَذَرَ بِعَدَمِ قُدُومِهِ لِئَلَّا تَنْفِرَ الْإِبِلُ. وَفِيهِ أَنَّهُ لَمَّا اجْتَمَعَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكَلَا مِنْ طَعَامِ الْجَنَّةِ، وَقَالَ: إِنَّ لِي فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَكْلَةً، وَفِي الْمَائِدَةِ خُبْزٌ، وَرُمَّانٌ، وَعِنَبٌ، وَمَوْزٌ، وَرُطَبٌ، وَبَقْلٌ، مَا عَدَّا الْكُرَّاثَ. وَفِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهُ عَنِ الْخَضِرِ، فَقَالَ: عَهْدِي بِهِ عَامَ أَوَّلَ، وَقَالَ لِي: إِنَّكَ سَتَلْقَاهُ قَبْلِي فَأَقْرِئْهُ مِنِّي السَّلَامَ. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْخَضِرَ وَإِلْيَاسَ، بِتَقْدِيرِ وَجُودِهِمَا وَصِحَّةِ هَذَا الْحَدِيثِ، لَمْ يَجْتَمِعَا
পৃষ্ঠা - ৭৯১
بِهِ إِلَى سَنَةِ تِسْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ، وَهَذَا لَا يَسُوغُ شَرْعًا، وَهَذَا مَوْضُوعٌ أَيْضًا. وَقَدْ أَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ طُرُقًا فِي مَنِ اجْتَمَعَ بِإِلْيَاسَ مِنَ الْعُبَّادِ، وَكُلُّهَا لَا يُفْرَحُ بِهَا; لِضَعْفِ إِسْنَادِهَا أَوْ لِجَهَالَةِ الْمُسْنَدِ إِلَيْهِ فِيهَا. وَمِنْ أَحْسَنِهَا مَا قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ: كُنَّا مَعَ مُصْعَبِ بْنِ الزُّبَيْرِ بِسَوَادِ الْكُوفَةِ، فَدَخَلْتُ حَائِطًا أُصَلِّي فِيهِ رَكْعَتَيْنِ، فَافْتَتَحْتُ {حم تَنْزِيلُ الْكِتَابِ مِنَ اللَّهِ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ غَافِرِ الذَّنْبِ وَقَابِلِ التَّوْبِ شَدِيدِ الْعِقَابِ ذِي الطَّوْلِ} [غافر: 1] فَقُلْ: يَا غَافِرَ الذَّنْبِ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي. وَإِذَا قُلْتَ: قَابِلِ التَّوْبِ فَقُلْ: يَا قَابِلَ التَّوْبِ تَقَبَّلْ تَوْبَتِي. وَإِذَا قُلْتَ: {شَدِيدِ الْعِقَابِ} [غافر: 3] فَقُلْ: يَا شَدِيدَ الْعِقَابِ لَا تُعَاقِبْنِي. وَإِذَا قُلْتَ: {ذِي الطَّوْلِ} [غافر: 3] فَقُلْ: يَا ذَا الطَّوْلِ تَطَوَّلْ عَلَيَّ بِرَحْمَةٍ. فَالْتَفَتُّ فَإِذَا لَا أَحَدَ، وَخَرَجْتُ فَسَأَلْتُ: مَرَّ بِكُمْ رَجُلٌ عَلَى بَغْلَةٍ شَهْبَاءَ، عَلَيْهِ مُقَطِّعَاتٌ يَمَنِيَّةٌ؟ فَقَالُوا: مَا مَرَّ بِنَا أَحَدٌ. فَكَانُوا لَا يَرَوْنَ إِلَّا أَنَّهُ إِلْيَاسُ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَكَذَّبُوهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُونَ} [الصافات: 127] أَيْ; لِلْعَذَابِ; إِمَّا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، وَإِمَّا فِي الْآخِرَةِ، وَالْأَوَّلُ أَظْهَرُ عَلَى مَا ذَكَرَهُ الْمُفَسِّرُونَ وَالْمُؤَرِّخُونَ. وَقَوْلُهُ: {إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ} [الصافات: 60] أَيْ; إِلَّا مَنْ آمَنُ مِنْهُمْ، وَقَوْلُهُ: {وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ} [الصافات: 78] أَيْ; أَبْقَيْنَا بَعْدَهُ ذِكْرًا حَسَنًا لَهُ فِي
পৃষ্ঠা - ৭৯২
الْعَالَمِينَ فَلَا يُذْكَرُ إِلَّا بِخَيْرٍ، وَلِهَذَا قَالَ: {سَلَامٌ عَلَى إِلْ يَاسِينَ} [الصافات: 130] أَيْ; سَلَامٌ عَلَى إِلْيَاسَ. وَالْعَرَبُ تُلْحِقُ النُّونَ فِي أَسْمَاءٍ كَثِيرَةٍ، وَتُبَدِّلُهَا مِنْ غَيْرِهَا، كَمَا قَالُوا: إِسْمَاعِيلُ وَإِسْمَاعِينُ، وَإِسْرَائِيلُ وإِسْرَائِينُ، وَإِلْيَاسُ وَإِلْيَاسِينُ. وَمَنْ قَرَأَ (سَلَامٌ عَلَى آلِ يَاسِينَ) أَيْ; عَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، وَقَرَأَ ابْنُ مَسْعُودٍ وَغَيْرُهُ: (سَلَامٌ عَلَى إِدْرَاسِينَ) . وَنُقِلَ عَنْهُ مِنْ طَرِيقِ إِسْحَاقَ عَنْ عُبَيْدَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ قَالَ: إِلْيَاسُ هُوَ إِدْرِيسُ. وَإِلَيْهِ ذَهَبَ الضَّحَّاكُ بْنُ مُزَاحِمٍ، وَحَكَاهُ قَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ غَيْرُهُ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.