আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام

ذكر فضائل موسى عليه السلام وشمائله وصفاته ووفاته

পৃষ্ঠা - ৭২৪

মুসা (আ)-এর ফযীলত স্বভাব গুণাবলী ও ওফাত

আল্লাহ্ত ৷অ ৷ল৷ ইরশাদ করেনং :

৷ আ ,দ্বু১ ৷ ,


“স্মরণ কর, এই কিভাবে উল্লেখিত মুসার কথা, যে ছিল বিশুদ্ধচিও এবং সে ছিল রাসুল,
নবী ৷ তাকে আমি আহবান করেছিলাম তুর পর্বতে র দক্ষিণ দিক থেকে এবং আমি অম্ভরঙ্গ
আলাপে তাকে নিকটবর্তী করেছিলাম ৷ আমি নিজ অনুগ্রহেত তাকে দিলাম তার তা ই হারুনকে
নবীরুপে ৷ (সুরা মারয়ামং ৫১ ৫৩)

আল্লাহ্ তাআলা অন্য আয়াতে ইরশ ৷৷দ করেন :
^ন্১াহ্র র্বৃ; ,; ,ট্রি৷ ৷ প্লু০ মোঃ ৷ ষ্ ৷ ৷দ্বুৰুঝু ৷রুর্বৃ(াত্রে

আল্লাহ্ তা আলা বলেন, হে মুসা ৷ আমি তোমাকে আমার রিসালাত ও বাক্যালাপ দ্বারা

মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠতৃ দিয়েছি ৷ (সুরা আরাফ৪ ১৪৪)
সহীহ বুখারী ও ঘৃসলিমেব বরাতে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলেন০ ং
আমাকে তোমরা মুসা (আ) এর উপর গ্রেষ্ঠতৃ প্রদান করবে না ৷ কেননা, কিয়ামণ্ডে র দিন যখন
মানব জাতি সৎজ্ঞাহীন হয়ে পড়বে, তখন আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে সংজ্ঞা ৷ফিরে পারে৷ ৷ তখন
আমি মুসা (আ) কে আল্পাহ্ তাআলার আরশের একটি স্তম্ভ ধরে রয়েছে দেখতে পাব ৷ আমি
জানি না, তিনি কি অচে৩ ন হয়েছিলেন? অত ৩ঘ্রপর আমার পুর্বে৩ তিনি চেতনা ফিরে পেলেন
নাকি ভুরে অচেতন হওয়ার প্রতিদানে তিনি আদৌ অচে৩ নই হননি ৷ একথা আমরা পুর্বে উল্লেখ
করেছি যে, এ ধরনের উক্তি ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর বিনম্রত ৷ ও বিনয়ের প্রকাশ স্বরুপ ৷

কেননা, তিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী, তিনি ছিলেন দুনিয়া ও আখিরাঃত নিং সন্দেহে আদম
সন্তানের সর্দার ৷ এর বিপরীত হওয়ার কোন অবকাশ নেই ৷

াল্লাহ ত ৷আলা ইবশাদ করেন ং
¢
মোঃক্ট্রস্এ ক্রো




[ذِكْرُ فَضَائِلِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ وَشَمَائِلِهِ وَصِفَاتِهِ وَوَفَاتِهِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ مُوسَى إِنَّهُ كَانَ مُخْلَصًا وَكَانَ رَسُولًا نَبِيًّا - وَنَادَيْنَاهُ مِنْ جَانِبِ الطُّورِ الْأَيْمَنِ وَقَرَّبْنَاهُ نَجِيًّا - وَوَهَبْنَا لَهُ مِنْ رَحْمَتِنَا أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا} [مريم: 51 - 53] [مَرْيَمَ: 51 - 53] . وَقَالَ تَعَالَى: {قَالَ يَا مُوسَى إِنِّي اصْطَفَيْتُكَ عَلَى النَّاسِ بِرِسَالَاتِي وَبِكَلَامِي} [الأعراف: 144] . وَتَقَدَّمَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: «لَا تُفَضِّلُونِي عَلَى مُوسَى، فَإِنَّ النَّاسَ يُصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ، فَأَجِدُ مُوسَى بَاطِشًا بِقَائِمَةِ الْعَرْشِ، فَلَا أَدْرِي أَصُعِقُ فَأَفَاقَ قَبْلِي، أَمْ جُوزِيَ بِصَعْقَةِ الطُّورِ.» وَقَدَّمْنَا أَنَّ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَابِ الْهَضْمِ وَالتَّوَاضُعِ، وَإِلَّا فَهُوَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ، عَلَيْهِ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ، وَسَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ قَطْعًا جَزْمًا لَا يَحْتَمِلُ النَّقِيضَ. وَقَالَ تَعَالَى: {إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَوْحَيْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ} [النساء: 163] إِلَى أَنْ قَالَ: {وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنَاهُمْ عَلَيْكَ مِنْ قَبْلُ وَرُسُلًا لَمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَ وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا} [النساء: 164] [النِّسَاءِ: 163، 164] .
পৃষ্ঠা - ৭২৫


“আমি তো তে তামার কাছে ওহী প্রেরণ করেছি, যেমন নুহ ও তার পরবর্তী নবীদের কাছে
প্রেরণ করেছিলাম, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহড়াক, ইয়াকুব ও তার বং শধরগণ ঈসা, আইয়ুব,
ইউনুস, হারুন ও সুলায়মান এর নিকটও ওহী প্রেরণ করেছিলাম এবং দাউদকে যাবুর
দিয়েছিলাম ৷ অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি যাদের কথা পুর্বে আমিণ্ তামাকে বলেছি এবং অনেক
রাসুল, যাদের কথা তোমাকে বলিনি এবং মুসার সাথে আল্লাহ্ সাক্ষাত বাক্যালাপ করেছিলেন ৷
(সুরা নিসা : ১৬৩ ১৬৪)

আল্লাহ তাআলা আরও ইরশাদ করেন :

৷ ৷ ৷
তাস্ট্র

“হে মুমিনগণ! মুসাকে যারা ক্লেশ দিয়েছে, তোমরা তাদের মত হয়ো না ৷ ওরা ৷যা রটনা
করেছিল, আল্লাহ তা থেকে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করেন এবং আল্লাহর নিকট সে মর্যাদাবান ৷
(সুরা আহযাব : ৬৯)

ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ (সা)
ইরশাদ করেন; মুসা (আ) ছিলেন এক লজ্জাশীল ও পদা রক্ষাকারী ব্যক্তি ৷ শালীনতার কারণে
তার দেহের কোন অং শই দেখা যেতাে না ৷৩ তাই বনী ইসরাঈলের কিছু সংখ্যক লোক তাকে
অপবাদ দিল ও বলতে লাগল, কোন রোগের কারণে তিনি নিজের পায়ের চামড়া কাউকে
দেখতে দেন না ৷ তিনি শ্বেত রোগ কিৎবা একশিরা অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত রয়েছেন ৷

আল্পাহ্ তা আলা তাকে সে সব দোষ থেকে মুক্ত বলে প্রতিপন্ন করতে ইচ্ছে করলেন ৷ একদিন
মুসা (আ) এক নির্জন স্থানে গোসল করছিলেন ও পাথরের উপর কাপড় রেখেছিলেন ৷ যখন
তিনি গোসল সেরে কাপড় পরার জন্যে কাপড় ধরতে গেলেন, অমনি পাথর কাপড় নিয়ে
দৌড়াতে লাগল ৷ মুসা (আ) হাতে লাঠি ধারণ করলেন ও পাথরের পেছনে ছুটলেন এবং বলতে
লাগলেন, হে পাথর! আমার কাপড়, হে পাথর! আমার কাপড় ৷ এমনিভাবে তিনি দৌড়াতে
দৌড়াতে বনী ইসরাঈলের গণ্যমান্য লোকদের সামনে হাযির হয়ে গেলেন ৷ তখন তারা র্তাকে
ৰিবস্ত্র অবস্থায় দেখে নিল যে, আল্পাহ্ তাআলা র্তাকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন ৷ এভাবে
আল্লাহ্ তাআলা তাদের অপবাদ থেকে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করেন ৷ পাথরটি থেমে গেল, মুসা
(আ) আপন কাপড় তুলে নিয়ে পরে নিলেন আর পাথরকে তিনি লাঠি দিয়ে আঘাত করতে

লাগলেন ৷ তিনটি, চারটি কিৎবা পাচটি অাঘাতের কার ণে পাথরের উপর অৎশ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে

গিয়েছিল ৷ এই তথ্যের প্রতি ইৎগিত করা হয়েছে নিম্নের আয়া তেং :

)
াপ্ <া৷ ৷ : ৷ দ্বুহুএ দ্বু,গ্লুক্ট্র ৷ ট্রুএ্ ৷ এেএাও ৷ণ্র্চু১ষ্ট্রওএখু ১া৷পুরুপুার্চু, র্দু১র্দু ৷ র্চুষ্ট্রুৰ্টঙু ,

’ ৷টুপু

হে মুমিনগণ! তে তামরা ওদের মত হয়ো না, যারা মুসাকে কেশ দিয়েছিল ৷ ওরা যা রটনা
করেছিল, আল্লাহ্ তা থেকে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করেন এবংঅাল্পাহ্র নিকট সে মযদািবান ৷
(সুরা আহযাব : ৬৯)


وَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ آذَوْا مُوسَى فَبَرَّأَهُ اللَّهُ مِمَّا قَالُوا وَكَانَ عِنْدَ اللَّهِ وَجِيهًا} [الأحزاب: 69] . قَالَ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنِ الْحَسَنِ، وَمُحَمَّدٍ، وَخِلَاسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مُوسَى كَانَ رَجُلًا حَيِيًّا سِتِّيرًا، لَا يَرَى جِلْدَهُ شَيْءٌ; اسْتِحْيَاءً مِنْهُ، فَآذَاهُ مَنْ آذَاهُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَقَالُوا: مَا يَسْتَتِرُ هَذَا التَّسَتُّرَ إِلَّا مِنْ عَيْبٍ بِجِلْدِهِ; إِمَّا بَرَصٌ وَإِمَّا أُدْرَةٌ وَإِمَّا آفَةٌ وَإِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، أَرَادَ أَنْ يُبَرِّئَهُ مِمَّا قَالُوا لِمُوسَى، فَخَلَا يَوْمًا وَحْدَهُ فَوَضَعَ ثِيَابَهُ عَلَى الْحَجْرِ، ثُمَّ اغْتَسَلَ، فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى ثِيَابِهِ لِيَأْخُذَهَا، وَإِنَّ الْحَجَرَ عَدَا بِثَوْبِهِ، فَأَخَذَ مُوسَى عَصَاهُ وَطَلَبَ الْحَجَرَ فَجَعَلَ يَقُولُ: ثَوْبِي حَجَرُ، ثَوْبِي حَجَرُ. حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَلَأٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَرَأَوْهُ عُرْيَانًا، أَحْسَنَ مَا خَلْقَ اللَّهُ وَبَرَّأَهُ مِمَّا يَقُولُونَ، وَقَامَ الْحَجَرُ فَأَخَذَ ثَوْبَهُ فَلَبِسَهُ وَطَفِقَ بِالْحَجَرِ ضَرْبًا بِعَصَاهُ، فَوَاللَّهِ إِنَّ بِالْحَجَرِ لَنَدَبًا مِنْ أَثَرِ ضَرْبِهِ ثَلَاثًا أَوْ أَرْبَعًا، أَوْ خَمْسًا» قَالَ: فَذَلِكَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ آذَوْا مُوسَى فَبَرَّأَهُ اللَّهُ مِمَّا قَالُوا وَكَانَ عِنْدَ اللَّهِ وَجِيهًا} [الأحزاب: 69] وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، وَهَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ بِهِ، وَهُوَ فِي
পৃষ্ঠা - ৭২৬


ইমাম আহমদ (র), ইমাম বুথারী (ব) ও মুসলিম (র) বিভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ প্রাচীন কালের আলিমগণের কেউ কেউ বলেন, মুসা (অ্যা-এর মাহাথ্যের একটি
ছিল-তিনি আল্লাহ তাআলড়ার সমীপে আপন ভাই-এর ব্যাপারে সুপারিশ করেছিলেন এবং
তাকে তার সাহায্যকারী হিসেবে পাওয়ার জন্যে দরখাস্ত করেছিলেন ৷ আল্লাহ তড়াআলা তার
দরখাস্ত কবুল করেছিলেন এবং তার ভাইকে নবীও করে দিয়েছিলেন ৷ যেমন আল্লাহ তড়াআলা
ইরশাদ করেন : র্শ্বপুির্বৃ এেদ্বুর্দুণ্ গুর্মো ;fi;§ ট্রু,ন্প্লু র্দুর্দুথ্রেদ্বুঠু

আমি নিজ অৰুগ্নহে তাকে দিলাম তার ভাই হারুনকে নবীরুপে ! (সুরা মারয়াম : ৫৩)

ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে বর্ণনা“ করেন, তিনি বলেন, একদিন
রাসুল (সা) কিছু সম্পদ সাহাবীদের মধ্যে বণ্টন করেন ৷ তখন এক ব্যক্তি বলল, এই বণ্টনের
দ্বারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির দিকে লক্ষ্য রাখা হয়নি ৷ বর্ণনাকড়ারী বলেন, তখন আমি
রাসুলুল্লাহ (না)-এর দরবারে এসে র্তাকে তা জানালাম ৷ তখন আমি তার ঢেহারায় ৫ক্রাধের
ভাব লক্ষ্য করলাম ৷ তখন তিনি ইরশাদ করেন, মুসা (আ) এর উপর আল্লাহ তা আলার রহমত
বর্ষিত হোক ৷ তাকে এর চাইতেও বেশি ক্লেশ দেয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ
করেছিলেন ৷ ইমাম মুসলিম (ব)-ও অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র)-ও আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ তার সাহাবীগণকে সম্বোধন করে বলেন, তোমাদের মধ্য হতে কেউ যেন কারোর
দোষ সম্বন্ধে আমাকে অবহিত না করে ৷ কেননা আমি চাই, যেন তোমাদের মধ্যে পরিষ্কার মন
নিয়ে চলাফেরা করি ৷ অর্থাৎ আমার মনে যেন তোমাদের কারো ব্যাপারে বিরুপ ধারণা না
থাকে ৷ বর্ণনাকারী বর্ণনা করেন, ইতিমধ্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে কিছু সম্পদ এসে
পৌছল ৷ তখন তিনি এগুলো বিতরণ করলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন, আমি দুই
ব্যক্তির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম , তখন একজন অন্যজনকে বলছিল, আল্লাহর শপথ, এই বিরতণে
মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর সভুষ্টি কিৎবা আখিরাত কামনা করেন নি ৷ তখন আমি সেখানে র্দাড়ালাম
ও তাদের কথোপকথন শুনলাম ৷ এরপর আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আগমন করলাম এবং
বললাম, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি বলেছেন যে, আমার সাহাবীদের মধ্য হতে কেউ যেন
আমার কাছে কারোর দুর্ণাম না করে ৷ কিন্তু আমি অমুক ও অমুকের কাছ দিয়ে অতিক্রম
করছিলাম আর তারা এরুপ এরুপ বলছিল ৷ এতে রাসুলুল্লাহ (না)-এর চেহারা রক্তিম হয়ে
গেল ৷ তিনি এতে খুবই দুঃখ গেলেন এবং বললেন, “এসব বাদ দাও, মুসা (আ)-কে এর
চাইতেও অধিক দুঃখ-কষ্ট দেয়া হয়েছিল ৷ তবুও তিনি ধৈর্যধারণ করেছিলেন ৷”

আবু দাউদ ও তিরমিযী (ব) ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ সহীহ বুখারী ও সহীহ
মুসলিমের মিরাজের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসা (আ ) এর কবরের পাশ
দিয়ে অতিক্রম কালে দেখেন, তিনি তার কবরে সালাত আদায় করছেন ৷

সহীহায়নের অন্য হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, মিরাজের রাতে ষষ্ঠ আসমানে রাসুলুল্লাহ
(সা) মুসা (আ)-এব সাথে সাক্ষাত করেন ৷ জিবরাঈল (আ) বললেন, ইনিই মুসা, একে সালাম
করুন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, আমি তাকে সালাম করলাম ৷ উত্তরে তিনি বললেন, পুণ্যবান


" الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْهُ بِهِ وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ الْعُقَيْلِيِّ عَنْهُ. قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: كَانَ مِنْ وَجَاهَتِهِ أَنَّهُ شَفَعَ فِي أَخِيهِ عِنْدَ اللَّهِ، وَطَلَبَ مِنْهُ أَنْ يَكُونَ مَعَهُ وَزِيرًا، فَأَجَابَهُ اللَّهُ إِلَى سُؤَالِهِ، وَأَعْطَاهُ طَلِبَتَهُ، وَجَعَلَهُ نَبِيًّا; كَمَا قَالَ: {وَوَهَبْنَا لَهُ مِنْ رَحْمَتِنَا أَخَاهُ هَارُونَ نَبِيًّا} [مريم: 53] ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، سَأَلْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ قَالَ: «قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسْمًا، فَقَالَ رَجُلٌ: إِنَّ هَذِهِ لَقِسْمَةٌ مَا أُرِيدَ بِهَا وَجْهُ اللَّهِ. فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَغَضِبَ حَتَّى رَأَيْتُ الْغَضَبَ فِي وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ يَرْحَمُ اللَّهُ مُوسَى، قَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ» وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ بِهِ.، وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَجَّاجٍ، سَمِعْتُ إِسْرَائِيلَ بْنَ يُونُسَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هَاشِمٍ مَوْلًى لِهَمْدَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَبِي زَائِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: «لَا يُبَلِّغْنِي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ شَيْئًا،
পৃষ্ঠা - ৭২৭


নবী ও পুণ্যবান ভাইকে স্বাগতম ৷ ’ রাসুল (সা) বলেন, যখন আমি তাকে অতিক্রম করি তখন
তিনি র্কাদতে লাগলেন ৷ তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, “আপনি র্কাদছেন কেন? তিনি বললেন,
“আমার পরে একজন যুবককে নবী হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে, যার বেহেশতে প্রবেশকারী
উম্মতের সংখ্যা আমার উস্মতের চাইতে বেশি হবে ৷” পক্ষান্তরে ইব্রাহীম (আ) সপ্তম আসমানে
অবস্থান করছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনায় ইবরড়াহীম (আ) ষষ্ঠ আসমানে
এবং ঈসা (আ) সপ্তম আসমাংন অবস্থান করছিলেন বলে উল্লেখ রয়েছে ৷ কিন্তু পুর্বোক্ত বর্ণনা
বিশুদ্ধতর ৷প্

বিশিষ্ট মুহাদ্দিসগণের মতে, মুসা (আ) ষষ্ঠ আসমান এবং ইব্রাহীম (আ) সপ্তম আসমানে

বায়তুল মামুরের প্রতি পিঠ দিয়ে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন ৷ বায়তুল মামুরে প্রতিদিন সত্তর
হাজার ফেরেশতা যিয়ারত করেন এবং তারা আর কোনদিন সেখানে আসেন না ৷ তবে এ
ব্যাপারে সমস্ত বর্ণনাকায়ীই একমত যে, আল্লাহ্ তাআলা যখন মুহাম্মদ (সা) ও তার উম্মতের
প্রতি দিনে-রাতে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুসা (আ )-এর পাশ
দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ মুসা (আ) বললেন, আপনি আপনার প্ৰতিপালকের কাছে ফেরত যান এবং
তার কাছে আবেদন করুন, যেন তিনি আপনার উম্মতের জন্যে তা লাঘব করে দেন ৷ কেননা,
আমি আপনার পুর্বে বনী ইসরাঈলের আচরণে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি ৷ অথচ আপনার
উষ্মত চোখ, কান ও অন্তরের দিক থেকে বনী ইসরাঈল থেকে দৃর্বলতর ৷

মুসা (আ)-এর পরামর্শে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আল্লাহ্ তাআলার দরবারে গিয়ে প্রতিবার হ্রাস
করাতে করাতে শেষ পর্যন্ত পাচ ওয়াক্তে পৌছলেন ৷ এবার আল্লাহ্ তাআলা বললেন, এই নাও
পাচ ওয়াক্ত কিন্তু সওয়াবের দিক থেকে তা হবে পঞ্চাশ ওযাক্তের সমান ৷ আল্লাহ তাআলা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসা (আ) উভয়কে আমাদের পক্ষ থেকে উত্তম প্ৰতিদান দিন ৷
ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদিন
রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের কাছে তাশরীফ আনেন এবং বলেন, “আমার সম্মুখে সকল উম্মতকে
পেশ করা হয় ৷ তখন আমি একটি বিরাট দল দেখতে পেলাম যা দিগন্ত জুড়ে রয়েছে ৷ ঘোষণা
করা হল যে, এই হচ্ছে মুসা (আ) ও তার উম্মত ৷ ইমাম বুখারী (র) সংক্ষিপ্ত আকারে এবং
ইমাম আহমদ (র) বিস্তারিতডাবে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “একদিন হুসায়ন ইবন
আবদুর রহমান সাঈদ ইবন জুবায়র (বা) এর কাছে উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি বললেন, তোমাদের
মধ্যে কে ঐ তারকাটি দেখেছ, যা গত রাতে বিধ্বস্ত হয়েছে?” হুসায়ন (বা) বলেন, আমি
দেখেছি ৷ এরপর তিনি আবার বলেন, আমি নামায়ে ছিলাম না ৷ কেননা আমাকে কিছু যা সাপ
ৎশন করেছিল ৷ তিনি বললেন, তখন তুমি কী করলে? তখন আমি বললাম , আমি ঝাড়-কুক
করাই ৷ তিনি বললেন, তৃমি কেন তা করতে গেলে?’ তখন আমি বললাম , বুরাইদাহ্
আসলামী (র) থেকে বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে ৷ তিনি বলেন, ঝাড়-কুক করা হয় অন্যের কুদৃষ্টি
অথবা দত্শন থেকে রক্ষা পাবার জন্যে ৷

সাঈদ ইবন জুবায়র বলেন : শ্রুত হাদীসের উপর যিনি হুবহু আমল করে থাকেন, তিনি
উত্তম কাজই করে থাকেন ৷ অতঃপর তিনি বলেন : আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা ) রাসুলুল্পাহ


فَإِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَخْرُجَ إِلَيْكُمْ; وَأَنَا سَلِيمُ الصَّدْرِ» قَالَ: وَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَالٌ فَقَسَمَهُ، قَالَ: فَمَرَرْتُ بِرَجُلَيْنِ وَأَحَدُهُمَا يَقُولُ لِصَاحِبِهِ: وَاللَّهِ مَا أَرَادَ مُحَمَّدٌ بِقِسْمَتِهِ وَجْهَ اللَّهِ، وَلَا الدَّارَ الْآخِرَةَ، فَثَبَتُّ حَتَّى سَمِعْتُ مَا قَالَا. ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ قُلْتَ لَنَا: «لَا يُبَلِّغْنِي أَحَدٌ عَنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِي شَيْئًا،» وَإِنِّي مَرَرْتُ بِفُلَانٍ وَفُلَانٍ وَهُمَا يَقُولَانِ كَذَا وَكَذَا، فَاحْمَرَّ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَشَقَّ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «دَعْنَا مِنْكَ، فَقَدْ أُوذِيَ مُوسَى أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَصَبَرَ» وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي هَاشِمٍ بِهِ، وَفِي رِوَايَةٍ لِلتِّرْمِذِيِّ، وَلِأَبِي دَاوُدَ، مِنْ طَرِيقِ الْحُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنِ الْوَلِيدِ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحِ " فِي أَحَادِيثِ الْإِسْرَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِمُوسَى، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَنَسٍ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ رِوَايَةِ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ مَرَّ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ، بِمُوسَى فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ، فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: هَذَا مُوسَى فَسَلِّمْ عَلَيْهِ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৭২৮
«فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ. فَقَالَ: مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ، وَالْأَخِ الصَّالِحِ. فَلَمَّا تَجَاوَزْتُ بَكَى; قِيلَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: أَبْكِي لِأَنَّ غُلَامًا بُعِثَ بَعْدِي يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِهِ أَكْثَرُ مِمَّا يَدْخُلُهَا مِنْ أُمَّتِي» وَذَكَرَ إِبْرَاهِيمُ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ. وَهَذَا هُوَ الْمَحْفُوظُ، وَمَا وَقَعَ فِي حَدِيثِ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسٍ، مِنْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ فِي السَّادِسَةِ، وَمُوسَى فِي السَّابِعَةِ، بِتَفْضِيلِ كَلَامِ اللَّهِ فَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ، أَنَّ الَّذِي عَلَيْهِ الْجَادَّةُ، أَنَّ مُوسَى فِي السَّادِسَةِ، وَإِبْرَاهِيمَ فِي السَّابِعَةِ، وَأَنَّهُ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ الَّذِي يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ، ثُمَّ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ. وَاتَّفَقَتِ الرِّوَايَاتُ كُلُّهَا عَلَى أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَمَّا فَرَضَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأُمَّتِهِ، خَمْسِينَ صَلَاةً فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ، فَمَرَّ بِمُوسَى، قَالَ: " ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ لِأُمَّتِكَ، فَإِنِّي قَدْ عَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ قَبْلَكَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ، وَإِنَّ أُمَّتَكَ أَضْعَفُ أَسْمَاعًا، وَأَبْصَارًا، وَأَفْئِدَةً " فَلَمْ يَزَلْ يَتَرَدَّدُ بَيْنَ مُوسَى وَبَيْنَ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَيُخَفِّفُ عَنْهُ فِي كُلِّ مَرَّةٍ، حَتَّى صَارَتْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ. وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: هِيَ خَمْسٌ، وَهِيَ خَمْسُونَ أَيْ; بِالْمُضَاعَفَةِ فَجَزَى اللَّهُ عَنَّا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرًا، وَجَزَى اللَّهُ عَنَّا مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، خَيْرًا. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا، فَقَالَ: «عُرِضْتَ عَلَيَّ الْأُمَمُ، وَرَأَيْتُ سَوَادًا كَثِيرًا سَدَّ الْأُفُقَ،
পৃষ্ঠা - ৭২৯


(সা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইরশাদ করেছেন : ”সকল উম্মতকে আমার সামনে পেশ
করা হলে আমি কোন নবীকে দেখলাম, তার সাথে একটি ক্ষুদ্র দল রয়েছে, আবার কোন
নবীকে দেখলাম তার সাথে কেবল একজন কি দুইজন ৷ আবার এমন নবীকেও দেখলাম যার
সাথে একজন লোকও নেই ৷ অতঃপর আমার কাছে একটি বিরাট জামাতকে উপস্থিত করা
হলো ৷ আমি বললাম , এরাই বুঝি আমার উন্মত ৷ তখন বলা হল, এ হচ্ছে মুসা (আ) ও তার
সম্প্রদায় ৷ আমাকে বলা হল, এবার দিগন্ত রেখার দিকে তাকান ৷ দেখতে পেলাম, একটি
বিশাল দল ৷ অতঃপর বলা হল, এদিকে একটু লক্ষ্য করুন ৷ দেখলাম, এ দিকেও একটি
বিশাল দল ৷ তখন বলা হল, এরাই হচ্ছে আপনার উম্মত ৷ তাদের সাথে রয়েছে এমন সত্তর
হাজার ব্যক্তি যারা বিনাহিসাবে এবং শান্তি ভোগ ব্যতীতই জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷“

অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) উঠে র্দাড়ালেন এবং ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ তখন সকলে এ
ব্যাপারে চিভা-ভাবনা করতে লাগলেন ৷ তখন তারা বলাবলি করতে লাগলেন , এরা কারা হতে
পারে, যারা বিনা হিসাবে ও আমার ভোগ ব্যতীতই জান্নড়াতে প্রবেশ করবেন? কেউ কেউ
বললেন, সম্ভবত তারা হচ্ছেন নবী করীম (না)-এর সাহাবীগণ ৷ আবার কেউ কেউ বললেন
সম্ভবত তারা হচ্ছেন ঐ সব ব্যক্তি র্ষড়ারা ইসলামের যুগে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং আল্লাহ
তাআলার সাথে কখনো কাউকে শরীক করেন নি ৷ এ ধরনের অনেক কিছুই র্তারা উল্লেখ
করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) অতঃপর তাদের দিকে বেরিয়ে আসলেন এবং বললেন, তোমরা
কাদের ব্যাপারে বলাবলি করছ? তখন তারা তাদের কথোপকথন সম্বন্ধে তাকে অবহিত
করলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “তারা হচ্ছে ঐ সব ব্যক্তি র্যারা কপটত৷ করে না,
যারা ঝাড়কুকের আশ্রয় নেয় না ৷ র্ষারা অশুভ নিয়ে কু-সংস্কারের আশ্রয় নেয় না এবং তারা
তাদের প্রতিপালকের প্রতি ভরসা রাখে ৷

এই হাদীস শুনে উক্কাশা ইবন মুহড়ায়সিন আল আসাদী (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্া
আমি তাদের একজন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, হীা, তুমি তাদের একজন ৷ অতঃপর অন্য এক
ব্যক্তি দীড়িয় বললেন, হে আল্লাহ্র রাসুল ! আমিও তাদের একজন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
উক্কাশা এ ব্যাপারে তোমার চাইতে অগ্রগামী হয়ে গেছে ৷ এই হাদীসটি বিভিন্ন সুত্রে বিভিন্ন
গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ৷ আমরাও কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা বর্ণনাকালে আবার এটার উল্লেখ
করব ৷ আল্লাহ তাআলা মুসা (আ) সম্পর্কে কুরআনের বহু জায়গায় উল্লেখ করেছেন ও তার
প্রশংসা করেছেন এবং তার কালামে মজীদে মুসা (আ)-এব কাহিনী কোথাও বিস্তারিত আবার
কোথাও সংক্ষিপ্ত আকারে বহুবার উল্লেখ করেছেন ৷ কুরআনের বহু স্থানে মুহাম্মদ (সা ) ও তার
প্রতি প্রেরিত কিতাবের পাশাপাশি মুসা (আ) ও তার প্রতি প্রদত্ত কিতাব তাওরাত সম্বন্ধে উল্লেখ
করেছেন ৷ যেমন সুরা বাকারায় রয়েছে :


(

ৰু)মোঃশ্ন ন্র্দ্র১ ন্গ্লুট্রগ্র ও র্দ্রাদ্বুদ্বু ;এে ৷ £ঠুহ্র ধ্পু ঞ ৷ ৷ ;;
অর্খাৎ যখন আল্লাহ্র পক্ষ হতে তাদের নিকট রাসুল আসল, যে তাদের নিকট যা রয়েছে

তার সমর্থক, তখন যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের একদল আল্লাহ্র কিতাবটিকে
পশ্চাতে নিক্ষেপ করল, যেন তারা জানে না ৷ (সুরা বাকারা : ১০১)

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৮৮-


فَقِيلَ: هَذَا مُوسَى فِي قَوْمِهِ» هَكَذَا رَوَى الْبُخَارِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ هَاهُنَا مُخْتَصَرًا. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مُطَوَّلًا فَقَالَ: حَدَّثَنَا سُرَيْجٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: أَيُّكُمْ رَأَى الْكَوْكَبَ الَّذِي انْقَضَّ الْبَارِحَةَ؟ قُلْتُ: أَنَا. ثُمَّ قُلْتُ: أَمَا إِنِّي لَمْ أَكُنْ فِي صَلَاةٍ وَلَكِنْ لُدِغْتُ. قَالَ: وَكَيْفَ فَعَلْتَ؟ قُلْتُ: اسْتَرْقَيْتُ. قَالَ: وَمَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ؟ قَالَ: قُلْتُ حَدِيثٌ حَدَّثَنَاهُ الشَّعْبِيُّ، عَنْ بُرَيْدَةَ الْأَسْلَمِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: «لَا رُقْيَةَ إِلَّا مِنْ عَيْنٍ، أَوْ حُمَةٍ،» فَقَالَ سَعِيدٌ - يَعْنِي ابْنَ جُبَيْرٍ -: قَدْ أَحْسَنَ مَنِ انْتَهَى إِلَى مَا سَمِعَ. ثُمَّ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «عُرِضَتْ عَلَيَّ الْأُمَمُ، فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ وَمَعَهُ الرَّهْطَ، وَالنَّبِيَّ مَعَهُ الرَّجُلَ، وَالرَّجُلَيْنِ، وَالنَّبِيَّ وَلَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ; إِذْ رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقُلْتُ: هَذِهِ أُمَّتِي. فَقِيلَ: هَذَا مُوسَى وَقَوْمُهُ، وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الْأُفُقِ. فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ، ثُمَّ قِيلَ: انْظُرْ إِلَى هَذَا الْجَانِبِ. فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ: هَذِهِ أُمَتُّكَ وَمَعَهُمْ سَبْعُونَ أَلْفًا، يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ ثُمَّ نَهَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ فَخَاضَ الْقَوْمُ فِي ذَلِكَ فَقَالُوا: مَنْ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلَا عَذَابٍ؟ فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَعَلَّهُمُ الَّذِينَ صَحِبُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَعَلَّهُمُ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الْإِسْلَامِ، وَلَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا قَطُّ. وَذَكَرُوا أَشْيَاءَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ مَا هَذَا الَّذِي كُنْتُمْ تَخُوضُونَ فِيهِ؟ فَأَخْبَرُوهُ بِمَقَالَتِهِمْ، فَقَالَ: هُمُ الَّذِينَ لَا يَكْتَوُونَ، وَلَا يَسْتَرْقُونَ وَلَا يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ، فَقَامَ عُكَاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ الْأَسَدِيُّ، فَقَالَ: أَنَا مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: أَنْتَ مِنْهُمْ، ثُمَّ قَامَ آخَرُ فَقَالَ: أَنَا مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: سَبَقَكَ بِهَا عُكَاشَةُ.» وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ طُرُقٌ كَثِيرَةٌ جِدًّا، وَهُوَ فِي الصِّحَاحِ وَالْحِسَانِ، وَغَيْرِهَا، وَسَنُورِدُهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى فِي بَابِ صِفَةِ الْجَنَّةِ، عِنْدَ ذِكْرِ أَحْوَالِ الْقِيَامَةِ وَأَهْوَالِهَا. وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فِي الْقُرْآنِ كَثِيرًا، وَأَثْنَى عَلَيْهِ، وَأَوْرَدَ قِصَّتَهُ فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ مِرَارًا، وَكَرَّرَهَا كَثِيرًا، مُطَوَّلَةً، وَمَبْسُوطَةً، وَمُخْتَصَرَةً، وَأَثْنَى عَلَيْهِ بَلِيغًا. وَكَثِيرًا مَا يَقْرِنُهُ اللَّهُ، وَيَذْكُرُهُ، وَيَذْكُرُ كِتَابَهُ مَعَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكِتَابِهِ كَمَا قَالَ فِي سُورَةِ " الْبَقَرَةِ ": {وَلَمَّا جَاءَهُمْ رَسُولٌ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ مُصَدِّقٌ لِمَا مَعَهُمْ نَبَذَ فَرِيقٌ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ كِتَابَ اللَّهِ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ كَأَنَّهُمْ لَا يَعْلَمُونَ} [البقرة: 101] . وَقَالَ تَعَالَى: {الم - اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ - نَزَّلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنْزَلَ التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ - مِنْ قَبْلُ هُدًى لِلنَّاسِ وَأَنْزَلَ الْفُرْقَانَ إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ وَاللَّهُ عَزِيزٌ ذُو انْتِقَامٍ} [آل عمران: 1 - 4] [آلِ عِمْرَانَ: 1 - 4] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْأَنْعَامِ ": {وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَ قَدْرِهِ إِذْ قَالُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى بَشَرٍ مِنْ شَيْءٍ قُلْ مَنْ أَنْزَلَ الْكِتَابَ الَّذِي جَاءَ بِهِ مُوسَى نُورًا وَهُدًى لِلنَّاسِ تَجْعَلُونَهُ قَرَاطِيسَ تُبْدُونَهَا وَتُخْفُونَ كَثِيرًا وَعُلِّمْتُمْ مَا لَمْ تَعْلَمُوا أَنْتُمْ وَلَا آبَاؤُكُمْ قُلِ اللَّهُ ثُمَّ ذَرْهُمْ فِي خَوْضِهِمْ يَلْعَبُونَ - وَهَذَا كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنْذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَالَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ يُؤْمِنُونَ بِهِ وَهُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ} [الأنعام: 91 - 92] [الْأَنْعَامِ: 91، 92] .
পৃষ্ঠা - ৭৩০


অন্যত্র আল্লাহ্ ত৷ আল৷ বলেনং :

ণ্
র্চু;হ্রপুা এেষ্কৃা৷এ;াহ্রব্রঠু; ণ্^ষ্ ৷ক্ট্র’এোদ্বু,গু খাে ৷র্মুা’র্দুা৷স্থু ম্রা

ষ্ৰ্ ^ ৰ্

অর্থাৎ-আসিফ লাম মীম, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ :নট্ ৷ তিনি চিরঞ্জীব ও
সর্বসত্তার ধারক ৷ তিনি সত্যসহ ৫৩ ৷মার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যা তার পুর্বের
কি তারের সমর্থক ৷ আর তিনি অবতীর্ণ করেছিলেন ত ৷ওরাত ও ইঞ্জীল ইতিপুর্বে; মানব জাতির
সৎপথ প্রদর্শনের জন্য আর তিনি ফুরকানও অবতীর্ণ করেছেন ৷ যারা আল্লাহ্র নিদর্শনকে
প্রত্যাখ্যান করে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে ৷ আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী দণ্ডদাতা ৷
(সুরা আল ইমরান ১ ৪)

সুরায়ে আনযামে আল্লাহ্ তা অ ৷লা ইরশাদ করেনং :

,াস্হু,চুঠুস্কৃৰু এো;ণ্া৷াধ্ান্৷ ৷ঠুাএেটুাশুখু;ওঙুট্রুৰুা৷া৷টুটুহ্রদ্বুর্নে


দু প্ষ্

তারা আল্লাহ্ তাআলার যথার্থ মর্যাদা উপলব্ধি করেনি; যখন তারা বলে, আল্লাহ মানুষের
নিকট কিছুই নাযিল করেন নি ৷ বল, কে নাযিল করেছেন মুসার আনীত কিতাব যা মানুষের
জন্য আলো ও পথনির্দেশ ছিল তা তোমরা বিভিন্ন পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ করে কিছু প্রকাশ কর ও যার
অনেকাৎশ গোপন রাখ এবং যা তোমাদের পিতৃ পুরুষগণ ও তোমরা জানতে না তাও শিক্ষা
দেয়৷ হয়েছিল? বল, আল্লাহ্ই; তারপর তাদেরকে নিরর্থক আলোচনারুপ খেলায় মগ্ন হতে
দাও ৷ আমি এ কল্যাণময় কি৩ ৷ব নাযিল করেছি, যা এর পুর্বেকার কিতারের সমর্থক এবং যা
দ্বারা তুমি মক্কা ও এর চতুর্পার্গের লোকদেরকে সতর্ক কর, যারা আ ৷তখিরাত্তু বিশ্বাস করে তারা
ত বিশ্বাস করে এবং তারা তাদের সালাতের হেফাজত করে ৷ (সুরা আনআম : ৯ ১ ৯২)
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাওবাতের প্রশংসা করেছেন ৷ অতঃপর কুরআনুল করীমের
ততোধিক প্রশংসা করেছেন ৷


فَأَثْنَى تَعَالَى عَلَى التَّوْرَاةِ، ثُمَّ مَدَحَ الْقُرْآنَ الْعَظِيمَ مَدْحًا عَظِيمًا، وَقَالَ تَعَالَى فِي آخِرِهَا: {ثُمَّ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ تَمَامًا عَلَى الَّذِي أَحْسَنَ وَتَفْصِيلًا لِكُلِ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لَعَلَّهُمْ بِلِقَاءِ رَبِّهِمْ يُؤْمِنُونَ - وَهَذَا كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ فَاتَّبِعُوهُ وَاتَّقُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ} [الأنعام: 154 - 155] [الْأَنْعَامِ: 154، 155] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْمَائِدَةِ ": {إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَكَانُوا عَلَيْهِ شُهَدَاءَ فَلَا تَخْشَوُا النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلَا تَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ} [المائدة: 44] . إِلَى أَنْ قَالَ: {وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الْإِنْجِيلِ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِ وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ - وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ الْكِتَابِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِ} [المائدة: 47 - 48] [الْمَائِدَةِ: 47، 48] . الْآيَةَ. فَجُعِلَ الْقُرْآنُ حَاكِمًا عَلَى سَائِرِ الْكُتُبِ غَيْرِهِ، وَجَعَلَهُ مُصَدِّقًا لَهَا، وَمُبَيِّنًا مَا وَقَعَ فِيهَا مِنَ التَّحْرِيفِ وَالتَّبْدِيلِ، فَإِنَّ أَهْلَ الْكِتَابِ اسْتُحْفِظُوا عَلَى مَا بِأَيْدِيهِمْ مِنَ الْكُتُبِ، فَلَمْ يَقْدِرُوا عَلَى حِفْظِهَا، وَلَا عَلَى ضَبْطِهَا وَصَوْنِهَا، فَلِهَذَا دَخَلَهَا مَا دَخَلَهَا مِنْ تَغْيِيرِهِمْ وَتَبْدِيلِهِمْ; لِسُوءِ فُهُومِهِمْ، وَقُصُورِهِمْ فِي عُلُومِهِمْ، وَرَدَاءَةِ قُصُودِهِمْ، وَخِيَانَتِهِمْ لِمَعْبُودِهِمْ، عَلَيْهِمْ لِعَائِنُ اللَّهِ الْمُتَتَابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَلِهَذَا يُوجَدُ فِي كُتُبِهِمْ مِنَ الْخَطَأِ الْبَيِّنِ عَلَى اللَّهِ وَعَلَى رُسُلِهِ، مَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوصَفُ، وَمَا لَا
পৃষ্ঠা - ৭৩১


এরপর আল্লাহ্ তাআলা অন্যত্র ইরশাদ করেনং :




তারপর আমি মুসাকে দিয়েছিলাম কিতাব যা সৎকর্মপরায়ণের জন্য সম্পুর্ণ, যা সমস্ত কিছুর
বিশদ বিবরণ, পথ নির্দেশ এবং দয়াস্বরুপ, যাতে তারা তাদের প্রতিপালকেব সাক্ষাত সম্বন্ধে
বিশ্বাস করে ৷ এই কিতাব আমি নাযিল করেছি যা কল্যাণময় ৷ সুতরৎ এটার অনুসরণ কর এবং
সাবধান হও, হয়তো তোমাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা হবে ৷ (সুরা ৷আন আম : ১ ৫ : ১ ৫ ৫ )

আল্লাহ্ তা অ ৷লা সুরা ৷মায়িদায় ইরশাদ করেন ং


এর্দুশ্’
’ ;প্রু;ব্লুা;
, ;,া ৮১ন্,১া৷ ;াএ ণ্ব্লু;;;, ;;গ্থ্রে ৷ $ এ্যাএা;এে ণ্এ ৷ ব্লুা,^; ৮১ শু;; ণ্৷ ;,;,
? ষ্
;,দ্বুন্ম্বু;;খ্রি ৷ ন্;শু এ;;,া; ৷ fl; ; ৷
,; ৷


নিশ্চয়ই আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম; তাতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো; নবীগণ যারা
আল্লাহর অনুগত ছিল তারা ইহুদীদেব সে অনুসারে বিধান দিত, আরো বিধান দিত রাব্বানীগ ৷ণ
এবং বিদ্বানগণ, কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতা তারের রক্ষক করা হয়েছিল এবং তারা ছিল তার
সাক্ষী ৷ সুতরাং মানুষকে ভয় করবে না , ৷আমড়াকেই ভয় করবে এবং আমার আয়াতসমুহ তুচ্ছ
মুল্যে বিক্রি করবে না ৷ আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিধান দেয় না তারাই
কাফির ৷

ইনজীল অনুসড়ারীগণ যেন আল্লাহ্ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন, সে অনুসারে বিধান দেয় ৷

আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন সে অনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই ফা ৷সিক ৷ আমি তোমার

প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করেছি এর পুর্বে অবতীর্ণ কি৩ ৷বের সমর্থক ও স ×রক্ষক রুপে ৷
(সুরা ৷মায়িদাং : ৪৪, ৪৭ ও ৪৮)

উপরোক্ত আঘাতের মাধ্যমে আল্পাহ্ আ আলা কুরআনুল কবীমকে অন্যান্য কিতাবের
ব্যাপারে চুড়ান্ত ফয়সালাকাবী, এগুলোর সমর্থক অন্যান্য কিভাবে যা কিছু বিকৃতি ও পরিবর্তন
করা হয়েছে তার প্ৰক৷ শকারীরুপে গণ্য করেছেন ৷ কি৩ ৷বীদেরকে তাদের কিতাবসমুহের রক্ষক


يُوجَدُ مِثْلُهُ وَلَا يُعْرَفُ. وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْأَنْبِيَاءِ ": {وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى وَهَارُونَ الْفُرْقَانَ وَضِيَاءً وَذِكْرًا لِلْمُتَّقِينَ - الَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَيْبِ وَهُمْ مِنَ السَّاعَةِ مُشْفِقُونَ - وَهَذَا ذِكْرٌ مُبَارَكٌ أَنْزَلْنَاهُ أَفَأَنْتُمْ لَهُ مُنْكِرُونَ} [الأنبياء: 48 - 50] [الْأَنْبِيَاءِ: 48 - 50] . وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْقَصَصِ ": {فَلَمَّا جَاءَهُمُ الْحَقُّ مِنْ عِنْدِنَا قَالُوا لَوْلَا أُوتِيَ مِثْلَ مَا أُوتِيَ مُوسَى أَوَلَمْ يَكْفُرُوا بِمَا أُوتِيَ مُوسَى مِنْ قَبْلُ قَالُوا سِحْرَانِ تَظَاهَرَا وَقَالُوا إِنَّا بِكُلٍّ كَافِرُونَ - قُلْ فَأْتُوا بِكِتَابٍ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ هُوَ أَهْدَى مِنْهُمَا أَتَّبِعْهُ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ} [القصص: 48 - 49] [الْقَصَصِ: 48، 49] . فَأَثْنَى اللَّهُ عَلَى الْكِتَابَيْنِ، وَعَلَى الرَّسُولَيْنِ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَقَالَتِ الْجِنُّ لِقَوْمِهِمْ: {إِنَّا سَمِعْنَا كِتَابًا أُنْزِلَ مِنْ بَعْدِ مُوسَى مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيْهِ} [الأحقاف: 30] . وَقَالَ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ لَمَّا قَصَّ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَبَرَ مَا رَأَى مِنْ أَوَّلِ الْوَحْيِ، وَتَلَا عَلَيْهِ: {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ - خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ - اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ - الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ - عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ} [العلق: 1 - 5] [الْعَلَقِ: 1 - 5] . قَالَ سُبُّوحٌ سُبُّوحٌ، هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَى مُوسَى بْنِ عِمْرَانَ. وَبِالْجُمْلَةِ فَشَرِيعَةُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَانَتْ عَظِيمَةً، وَأُمَّتُهُ كَانَتْ أُمَّةً كَثِيرَةً، وَوُجِدَ فِيهَا أَنْبِيَاءُ، وَعُلَمَاءُ، وَعُبَّادٌ، وَزُهَّادٌ، وَأَلِبَّاءُ، وَمُلُوكٌ، وَأُمَرَاءُ، وَسَادَاتٌ، وَكُبَرَاءُ، لَكِنَّهُمْ كَانُوا فَبَادُوا وَتَبَدَّلُوا، كَمَا بُدِّلَتْ شَرِيعَتُهُمْ، وَمُسِخُوا قِرَدَةً وَخَنَازِيرَ، ثُمَّ نُسِخَتْ بَعْدَ كُلِّ حِسَابٍ مِلَّتُهُمْ، وَجَرَتْ عَلَيْهِمْ خُطُوبٌ وَأُمُورٌ يَطُولُ ذِكْرُهَا، وَلَكِنْ سَنُورِدُ مَا فِيهِ مَقْنَعٌ لِمَنْ أَرَادَ أَنْ يَبْلُغَهُ خَبَرُهَا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.