আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة موسى الكليم عليه الصلاة والسلام

فصل فيما كان من أمر بني إسرائيل بعد هلاك فرعون

পৃষ্ঠা - ৬৩৩

ফিরআউনের ধ্বংস্যেত্তর যুগে রনী ইসরাঈলের অবস্থা

আল্লাহ তা জানার বাণী প্


এ১,১৷ ৷

৷ ঢুপ্ন্,র্চুঙুপুট্রুঠু

%;$ ;’$§ fl&; দ্বুর্চুা৷ন্র্টুপু র্চুহ্র ঞ ৷ “ ’ “ এ;;াপু,পুপু“রুদ্বুর্ভু-াট্রুএাপুও ণ্ট্রুর্দু ৰুঢ়টুর্ধা


ষ্এ ৷ ৷


সুতরাং আমি তাদেরকে শান্তি দিয়েছি এবং তাদেরকে অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত করেছি ৷
কারণ তারা আমার নিদনিকে অস্বীকার করত এবং এ সম্বন্ধে তারা ছিল গাফিল ৷ যে
সম্প্রদায়কে দুর্বল গণ্য করা হত তাদেরকে আমি আমার কল্যাণপ্রাপ্ত রাজ্যের পুর্ব ও পশ্চিমের
অধিকারী করি; এবং বনী ইসরাঈল সম্বন্ধে তোমার প্রতিপালকের শুভবাণী সত্যে পরিণত হল ৷
যেহেতু তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল, আর ফিরআউন ও তার সম্প্রদায়ের শিল্প এবং যে সব প্রাসাদ
তারা নির্মাণ করেছিল তা ধ্বংস করেছি ৷ আর আমি বনী ইসরাঈলকে সমুদ্র পড়ার করিয়ে দেই;
তারপর তারা প্ৰতিমাপুজায় রত এক সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হয় ৷ তারা বলল, হে মুসা !
তাদের দেবতার মত আমাদের জন্যও একটি দেবতা গড়ে দাও; যে বলল, তোমরা তো এক
মুর্থ সম্প্রদায় ৷ এসব লোক যাতে লিপ্ত রয়েছে তা তো বিধ্বস্ত হবে এবং তারা বা করছে তাও
অমুলক ৷ সে আবারো বলল, আল্পাহ্ ব্যতীত তোমাদের জন্য আমি কি অন্য ইলাহ্ খুজব অথচ
তিনি তােমাদেরকে বিশ্বজগতের উপর শ্রেষ্ঠতু দিয়েছেন? স্মরণ কর, আমি তােমাদেরকে
ফিরআউনের অনুসারীদের হাত হতে উদ্ধার করেছি, যারা তােমাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দিত ৷


[فَصْلٌ فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ هَلَاكِ فِرْعَوْنَ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَانْتَقَمْنَا مِنْهُمْ فَأَغْرَقْنَاهُمْ فِي الْيَمِّ بِأَنَّهُمْ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا عَنْهَا غَافِلِينَ - وَأَوْرَثْنَا الْقَوْمَ الَّذِينَ كَانُوا يُسْتَضْعَفُونَ مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ الْحُسْنَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ بِمَا صَبَرُوا وَدَمَّرْنَا مَا كَانَ يَصْنَعُ فِرْعَوْنُ وَقَوْمُهُ وَمَا كَانُوا يَعْرِشُونَ - وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ فَأَتَوْا عَلَى قَوْمٍ يَعْكُفُونَ عَلَى أَصْنَامٍ لَهُمْ قَالُوا يَا مُوسَى اجْعَلْ لَنَا إِلَهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ - إِنَّ هَؤُلَاءِ مُتَبَّرٌ مَا هُمْ فِيهِ وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ - قَالَ أَغَيْرَ اللَّهِ أَبْغِيكُمْ إِلَهًا وَهُوَ فَضَّلَكُمْ عَلَى الْعَالَمِينَ - وَإِذْ أَنْجَيْنَاكُمْ مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ يَسُومُونَكُمْ سُوءَ الْعَذَابِ يُقَتِّلُونَ أَبْنَاءَكُمْ وَيَسْتَحْيُونَ نِسَاءَكُمْ وَفِي ذَلِكُمْ بَلَاءٌ مِنْ رَبِّكُمْ عَظِيمٌ} [الأعراف: 136 - 141] [الْأَعْرَافِ: 136 - 141] . يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ مِنْ أَمْرِ فِرْعَوْنَ وَجُنُودِهِ، فِي غَرَقِهِمْ، وَكَيْفَ سَلَبَهُمْ عِزَّهُمْ، وَمَالَهُمْ، وَأَنْفُسَهُمْ، وَأَوْرَثَ بَنِي إِسْرَائِيلَ جَمِيعَ أَمْوَالِهِمْ وَأَمْلَاكِهِمْ، كَمَا قَالَ: {كَذَلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا بَنِي إِسْرَائِيلَ} [الشعراء: 59] . وَقَالَ: {وَنُرِيدُ أَنْ نَمُنَّ عَلَى الَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا فِي الْأَرْضِ وَنَجْعَلَهُمْ أَئِمَّةً وَنَجْعَلَهُمُ الْوَارِثِينَ} [القصص: 5] .
পৃষ্ঠা - ৬৩৪


তারা তোমাদের পুত্র সন্তানকে হত্যা করত এবং তোমাদের নারীদেরকে জীবিতব ৷খত; এতে
ছিল তোমাদের প্রতিপালকের এক মহাপরীক্ষা ৷ (সুরা ৷আ রাফং : ১৩৬ ১৪১)

উপরোক্ত আয়াতে আল্পাহ্ তাআলা বর্ণনা দিচ্ছেন যে, কিভাবে তিনি ফিরআউন ও তার
সেনাবাহিনীকে ডুবিয়ে যেরেছিলেন এবং কিভাবে তাদের ইজ্জতসম্মান ভুলুষ্ঠিত করেছিলেন ৷
আর তাদের মাল-সম্পদ আল্লাহ্ তাআলা কেমনভাবে ধ্বংস করে বনী ইসরাঈলকে তাদের
সমস্ত ধন-সস্পদের উত্তরাধিকারী করে দিয়েছিলেন ৷

যেমন আল্লাহ্ তা জানা বলেনহ’০ ৰুা ৷ প্রুন্ ^০ ৷১ান্ত্রঠুট্রু,র্দুদ্ভু এা;হু “এরুপই
ঘটেছিল এবং বনী ইসরাঈলকে করেছিলাম এ সষুদয়ের মেঅধিক্যরী ৷” (সুরা শুআরা : ৫৯)

র্শ্বপেঅনুরুপভাবে আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেনং :

,

আমি ইচ্ছে করেছিলাম, সে দেশে যাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল, তাদের প্রতি অনুগ্রহ
করতে; তাদেরকে নেতৃত্ব দান করতে ও উত্তরাধিকারী করতে ৷ (সুরা কাসাস : ৫)

আবার অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনৰু, ং
ণ্া
াব্লুএার্চু

র্ভুছোা
,ৰুদ্বু পুদ্বু০
যে সম্প্রদায়কে দুর্বল গণ্য করা হত তাদেরকে আমি আমার কল্যাণ প্রাপ্ত রাংজ্যর পুর্বও
পশ্চিমের উত্তরাধিকারী করি এবং বনী ইসরাঈল সম্বন্ধে তে তামার প্রতিপ৷ ৷লকের শুভ বাণী সাত্য
পরিণত হল, যেহেতু তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল আর ফিরআউন ও তার সম্প্রদায়ের শিল্প এবং
যে সব প্রাসাদ তারা নির্মাণ করেছিল তা ধ্বংস করেছি ৷ (সুরা আরাফ : ১৩৭ )
আল্লাহ্ তাআলা ফিরআউন ও তার গোষ্ঠীর সকলকে ধ্বংস করে দিলেন ৷ দুনিয়ায়
বিরাজমান তাদের মহা সম্মান ঐতিহ্য তিনি বিনষ্ট করে দিলেন ৷ তাদের রাজা , আমীর-উমারা ও
সৈন্য-সামত্ত ধ্বংস হয়ে গেল ৷ মিসর দেশে সাধারণ প্রজাবর্গ ব্যতীত আর কেউ অবশিষ্ট রইল
না ৷ ইবন আবদুল হাকাম মিসরের ইতিহাস’ গ্রন্থে লিখেছেন, ঐদিন থেকে মিসয়ের শ্রী
লোকেরা পুরুষদের উপর প্রাধান্য লাভ করেছিল, কেননা আমীর-উমারাদের ত্রীরা তাদের চেয়ে
নিম্ন শ্রেণীর সাধারণ লোকদেরকে বিয়ে করতে হয়েছিল ৷ তাই তাদের স্বামীদের উপর স্বভাবতই
তাদের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠি হয় ৷ এ প্রথা মিসরে আজ পর্যন্ত চলে আসছে ৷

কিতাবীদের মতে, রনী ইসরাঈলকে যে মাসে মিসর ত্যাগের নির্দেশ ৷দেয়৷ ৷হয়েছিল, সে
মাসকেই আল্লাহ তা আলা তাদের বছরের প্রথম মাস বলে নির্ধারণ করে দেন ৷ তাদেরকে হুকুম
দেওয়া হয় যে, তাদের প্রতিটি পরিবার যেন একটি মেষশাবক যবেহ করে ৷ যদি প্রতিটি
পরিবার একটি করে যেষশাবক সংগ্রহ করতে না পারে তাহলে পড়শীর সাথে অংশীদার হয়ে তা


وَقَالَ هَاهُنَا: {وَأَوْرَثْنَا الْقَوْمَ الَّذِينَ كَانُوا يُسْتَضْعَفُونَ مَشَارِقَ الْأَرْضِ وَمَغَارِبَهَا الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ الْحُسْنَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ بِمَا صَبَرُوا وَدَمَّرْنَا مَا كَانَ يَصْنَعُ فِرْعَوْنُ وَقَوْمُهُ وَمَا كَانُوا يَعْرِشُونَ} [الأعراف: 137] أَيْ: أَهْلَكَ ذَلِكَ جَمِيعَهُ، وَسَلَبَهُمْ عِزَّهُمُ الْعَزِيزَ الْعَرِيضَ فِي الدُّنْيَا، وَهَلَكَ الْمَلِكُ وَحَاشِيَتُهُ، وَأُمَرَاؤُهُ، وَجُنُودُهُ، وَلَمْ يَبْقَ بِبَلَدِ مِصْرَ سِوَى الْعَامَّةِ وَالرَّعَايَا. فَذَكَرَ ابْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ، فِي " تَارِيخِ مِصْرَ "، أَنَّهُ مِنْ ذَلِكَ الزَّمَانِ تَسَلَّطَ نِسَاءُ مِصْرَ عَلَى رِجَالِهَا; بِسَبَبِ أَنَّ نِسَاءَ الْأُمَرَاءِ وَالْكُبَرَاءِ تَزَوَّجْنَ بِمَنْ دُونَهُنَّ مِنَ الْعَامَّةِ فَكَانَتْ لَهُنَّ السَّطْوَةُ عَلَيْهِمْ وَاسْتَمَرَّتْ هَذِهِ سُنَّةَ نِسَاءِ مِصْرَ إِلَى يَوْمِكَ هَذَا. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَّا أُمِرُوا بِالْخُرُوجِ مِنْ مِصْرَ، جَعَلَ اللَّهُ ذَلِكَ الشَّهْرَ أَوَّلَ سَنَتِهِمْ، وَأُمِرُوا أَنْ يَذْبَحَ كُلُّ أَهْلِ بَيْتٍ حَمَلًا مِنَ الْغَنَمِ، فَإِنْ كَانُوا لَا يَحْتَاجُونَ إِلَى حَمَلٍ، فَلْيَشْتَرِكِ الْجَارُ وَجَارُهُ فِيهِ، فَإِذَا ذَبَحُوهُ فَلْيَنْضَحُوا مِنْ دَمِهِ عَلَى أَعْتَابِ أَبْوَابِهِمْ; لِيَكُونَ عَلَّامَةً لَهُمْ عَلَى بُيُوتِهِمْ، وَلَا يَأْكُلُونَهُ مَطْبُوخًا، وَلَكِنْ مَشْوِيًّا بِرَأْسِهِ، وَأَكَارِعِهِ، وَبَطْنِهِ، وَلَا يُبْقُوا مِنْهُ شَيْئًا، وَلَا يَكْسِرُوا لَهُ عَظْمًا، وَلَا يُخْرِجُوا مِنْهُ شَيْئًا إِلَى خَارِجِ بُيُوتِهِمْ، وَلْيَكُنْ خُبْزُهُمْ فَطِيرًا سَبْعَةَ أَيَّامٍ ابْتِدَاؤُهَا مِنَ الرَّابِعَ عَشَرَ مِنَ الشَّهْرِ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَتِهِمْ، وَكَانَ ذَلِكَ فِي فَصْلِ الرَّبِيعِ، فَإِذَا أَكَلُوا، فَلْتَكُنْ أَوْسَاطُهُمْ مَشْدُودَةً، وَخِفَافُهُمْ فِي أَرْجُلِهِمْ، وَعِصِيُّهُمْ فِي أَيْدِيهِمْ، وَلْيَأْكُلُوا بِسُرْعَةٍ قِيَامًا، وَمَهْمَا فَضَلَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৬৩৫


করবে ৷ যবেহ করার পর মেষশাবকের রক্ত তাদের ঘরের দরজার চৌকাটে ছিটিয়ে দিতে হবে,
যাতে তাদের ঘরগুলো চিহ্নিত হয়ে থাকে ৷ তারা এটাকে রান্না করে যেতে পারবে না ৷ তবে
ইা, মেষশাবকের মাথা, পায়া ও পেট ভুনা করে যেতে পারবে ৷ তারা মেষশাবকের কিছুই
অবশিষ্ট রাখবে না এবং ঘরের বাইরেও ফেলতে পারবে না, তারা সাতদিন রুটি দিয়ে নাশৃতা
করবে ৷ সাত দিনের শুরু হবে তাদের বছরের প্রথম মাসের ১৪ তারিখ হতে ৷ আর এটা ছিল
বসম্ভকাল ৷ যখন তারা থানা খাবে তাদের কােমর কােমরবন্দ দ্বারা বাধা থাকবে, পায়ে মুজা
থাকবে, হাতে লাঠি থাকবে, দাড়িয়ে দাড়িয়ে দ্রুত খাবে, রাতের বেলায় খাবারের পর কিছু
খাবার বাকি থাকলে তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে; এটাই তাদের ও পরবতীদৈর জন্যে
ঈদ বা পর্বের দিন রুপে নির্ধারণ করে দেওয়া হয় ৷ এই নিয়ম যতদিন বলবৎ ছিল তাওরাতের
বিধান ততদিন পর্যন্ত বলবৎ ছিল ৷ তাওরাতের বিধান যখন বাতিল হয়ে যায়, তখন এরুপ
নিয়মও রহিত হয়ে যায় ৷ আর পরবর্তীতে এরুপ নিয়ম প্রকৃত পক্ষে রহিত হয়ে গিয়েছিল ৷

কিতাবীরা আরো বলে থাকেন, ফিরআউনের ধ্বংসের পুর্ব রাতে আল্লাহ্ তাআলা
কিবতীদের সকল নবজাতক গ্রিণ্ডে ও নবজাতক প্রার্ণীকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন, যাতে তারা
বনী ইসরাঈলের পিছু যাওয়া থেকে বিরত থাকে ৷ দুপুরের সময় বনী ইসরাঈল বের হয়ে
পড়ল ৷ মিসরের অধিবাসিগণ তখন তাদের নবজাতক সন্তান ও পশুপালের গােকে অভিভুত
ছিল ৷ এমন কোন পরিবার ছিল না, যারা এরুপ গােকে শোকাহত ছিল না ৷ অন্যদিকে মুসা
(আ)-এর প্রতি ওহীর মাধ্যমে নির্দেশ আমার সাথে সাথে বনী ইসরাঈলরা অতি দ্রুত ঘর থেকে
বের হয়ে পড়ল ৷ এমনকি তারা নিজেদের আটার খামিরও তৈরি করে সারেনি, তাদের
পাথেয়াদি চাদরে জড়িয়ে এগুলো কাধে ঝুলিয়ে নিল ৷ তারা মিসরবাসীদের নিকট থেকে বিপুল
পরিমাণ স্বর্ণালংকড়ার ধারস্বরুপ নিয়েছিল ৷ তারা যখন মিসর থেকে বের হয়, তখন শ্ৰীলোক
ব্যতীত তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লাখ, তাদের সাথে ছিল তাদের পশুপাল ৷ আর তাদের
মিসরে অবস্থানের মেয়াদ ছিল চারশ ত্রিশ বছর ৷ এটা তাদের কিতাবের কথা ৷ ঐ বছরটিকে
তারা নিকৃতির বছর (ব্লুরু৷ ! হ) আর তাদের ঐ ঈদকে নিষ্কৃতির ঈদ’ বলে অভিহিত
করে ৷ তাদের আরো দুটি ঈদ ছিল-ঈদৃল ফাতির ও ঈদুল হামল ৷ ঈদুল হড়ামল ছিল বছরের
প্রথম দিন ৷ এই তিন ঈদ তাদের কাছে খুবই গুরুতুপুর্ণ ছিল এবং তাদের কিভাবে এগুলোর
উল্লেখ ছিল ৷
তারা যখন মিসর থেকে বের হয়ে পড়ল তখন তারা তাদের সাথে দিয়েছিল ইউসুফ
(আ)-এর কফিন এবং তার সুফ নদীর রাস্তা ধরে চলছিল ৷ তার দিনের বেলায় ভ্রমণ করত;
মেঘ তাদের সামনে সামনে ভ্রমণ করত ৷ মেঘের মধ্যে ছিল নুরের স্তম্ভ এবং রাতে তাদের
সামনে ছিল আগুনের স্তম্ভ ৷ এ পথ ধরে তরো সমুদ্রের উপকুলে গিয়ে উপস্থিত হল ৷ সেখানে
তারা পৌছতে না পৌছতেই ফিরআউন ও তার মিসরীয় সৈন্যদল তাদের নিকটে পৌছে গেল ৷
বনী ইসরাঈলরা তখন সমুদ্রের কিনারায় অবতরণ করেছিল ৷ তাদের অনেকেই শঙ্কিত হয়ে
পড়ল ৷ এমনকি তাদের কেউ কেউ বলতে লাগল, এরুপ প্রান্তয়ে এসে মৃত্যুবরণ করার চেয়ে
মিসরের হীনতম জীবন যাপনই বরং উত্তম ছিল ৷ তাদের উদ্দেশে মুসা (আ) বললেন, ভয়
করো না’ ৷ কেননা, ফিরআউন ও তার সেনাবাহিনী এর পর আর তাদের শহরে ফিরে যেতে


عَشَائِهِمْ، فَمَا بَقِيَ إِلَى الْغَدِ فَلْيَحْرِقُوهُ بِالنَّارِ، وَشَرَعَ لَهُمْ هَذَا عِيدًا لِأَعْقَابِهِمْ، مَا دَامَتِ التَّوْرَاةُ مَعْمُولًا بِهَا، فَإِذَا نُسِخَتْ بَطَلَ شَرْعُهَا، وَقَدْ وَقَعَ. قَالُوا: وَقَتَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ أَبْكَارَ الْقِبْطِ، وَأَبْكَارَ دَوَابِّهِمْ، لِيَشْتَغِلُوا عَنْهُمْ وَخَرَجَ بَنُو إِسْرَائِيلَ حِينَ انْتَصَفَ النَّهَارُ، وَأَهَّلُ مِصْرَ فِي مَنَاحَةٍ عَظِيمَةٍ، عَلَى أَبْكَارِ أَوْلَادِهِمْ، وَأَبْكَارِ أَمْوَالِهِمْ، لَيْسَ مِنْ بَيْتٍ إِلَّا وَفِيهِ عَوِيلٌ. وَحِينَ جَاءَ الْوَحْيُ إِلَى مُوسَى، خَرَجُوا مُسْرِعِينَ، فَحَمَلُوا الْعَجِينَ قَبْلَ اخْتِمَارِهِ، وَحَمَلُوا الْأَزْوَادَ فِي الْأَرْدِيَةِ، وَأَلْقَوْهَا عَلَى عَوَاتِقِهِمْ، وَكَانُوا قَدِ اسْتَعَارُوا مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حُلِيًّا كَثِيرًا، فَخَرَجُوا وَهُمْ سِتُّمِائَةِ أَلْفِ رَجُلٍ، سِوَى الذَّرَّارِيِّ، بِمَا مَعَهُمْ مِنَ الْأَنْعَامِ، وَكَانَتْ مُدَّةُ مُقَامِهِمْ بِمِصْرَ أَرْبَعَمِائَةِ سَنَةٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً. هَذَا نَصُّ كِتَابِهِمْ. وَهَذِهِ السَّنَةُ عِنْدَهُمْ تُسَمَّى سَنَةَ الْفَسْخِ وَهَذَا الْعِيدُ عِيدُ الْفَسْخِ، وَلَهُمْ عِيدُ الْفَطِيرِ وَعِيدُ الْحَمَلِ، وَهُوَ أَوَّلُ السَّنَةِ. وَهَذِهِ الْأَعْيَادُ الثَّلَاثَةُ آكَدُ أَعْيَادِهِمْ، مَنْصُوصٌ عَلَيْهَا فِي كِتَابِهِمْ. وَلَمَّا خَرَجُوا مِنْ مِصْرَ أَخْرَجُوا مَعَهُمْ تَابُوتَ يُوسُفَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَخَرَجُوا عَلَى طَرِيقِ بَحْرِ سُوفَ. وَكَانُوا فِي النَّهَارِ يَسِيرُونَ وَالسَّحَابُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ يَسِيرُ أَمَامَهُمْ، فِيهِ عَامُودُ نُورٍ، وَبِاللَّيْلِ أَمَامَهُمْ عَامُودُ نَارٍ، فَانْتَهَى بِهِمُ الطَّرِيقُ إِلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ، فَنَزَلُوا هُنَالِكَ، وَأَدْرَكَهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُ مِنَ الْمِصْرِيِّينَ، وَهُمْ هُنَاكَ حُلُولٌ عَلَى شَاطِئِ الْيَمِّ، فَقَلِقَ كَثِيرٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، حَتَّى قَالَ قَائِلُهُمْ: كَانَ بَقَاؤُنَا بِمِصْرَ أَحَبَّ إِلَيْنَا مِنَ الْمَوْتِ بِهَذِهِ الْبَرِّيَّةِ. وَقَالَ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لِمَنْ قَالَ هَذِهِ الْمَقَالَةَ: لَا
পৃষ্ঠা - ৬৩৬


পারবে না ৷ কিতাবীরা আরও বলেন, আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে নির্দেশ দিলেন তিনি যেন
সমুদ্রে নিজ লাঠি দ্বারা আঘাত করে সমুদ্র বিভক্ত করে দেন-যাতে তারা সমুদ্রে প্রবেশ করে ও
শুকনো পথ পড়ায় ৷ দুই দিকে পানি সরে গিয়ে দুই পাহাড়ের আকার ধারণ করল; আর মাঝখানে
শুকনো পথ বেরিয়ে আসে ৷ কেননা, আল্লাহ তাআলা তখন গরম দক্ষিণা বায়ু প্রবাহিত করে
দেন ৷ তখন বনী ইসরাঈলরা সমুদ্র পার হয়ে গেল ৷ আর ফিরআউন তার সেনাবাহিনীসহ বনী
ইসরাঈলকে অনুসরণ করল ৷ যখন সে সমুদ্রের মধ্যভাগে পৌছল, তখন আল্পাহ্ তাআলা মুসা
(আ)-কে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন তার লাঠি দ্বারা সমুদ্রকে আঘাত করেন ৷ ফলে পানি পুর্বের
আকার ধারণ করল ৷ তবে কিতাবীদের মতে, এ ঘটনাটি ঘটেছিল রাতের বেলায় এবং সমুদ্র
তাদের উপর ন্থির হয়েছিল সকাল বেলায় ৷ এটা তাদের বোঝার ভুল এবং এটা অনুবাদ
বিভ্রার্টের কারণে হয়েছে ৷ আল্লাহ্ তড়াআলাই অধিকতর জ্ঞড়াত ৷ তারা আরো বলেন, যখন
আল্লাহ্ তাআলা ফিরআউন ও তার সেনাবাহিনীকে ডুবিয়ে মারলেন, তখন মুসা (আ) ও বনী
ইসরাঈল প্রতিপালকের উদ্দেশে নিম্নরুপ তাসবীহ পাঠ করলেন :

অর্থাৎ-সেই জোতির্ময় প্রতিপালকের তাসবীহ পাঠ করছি, যিনি সেনাবাহিনীকে পর্বুদস্ত
করেছেন এবং অশ্বারোহীদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করেছেন, যিনি উত্তম প্ৰতিরােধকারী ও
ৎসিত ৷ এটা ছিল একটি দীর্ঘ তাসবীহ ৷ তারা আরো বলেন, হড়ারুনের বোন নাবীয়াহ
মারয়াম নিজ হাতে একটি দফ১ ধারণ করেছিলেন এবং অন্যান্য ন্তীলোক তার অনুসরণ

করেছিল, সকলেই দফ ও তবলা নিয়ে পথে বের হলো, মারয়াম তাদের জন্যে সুর করে
গাইছিলেন :

“পরাক্রমণড়ালী পবিত্র সেই প্ৰতিপালক যিনি ঘোড়া ও ঘোড়সওয়ারদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ
করে প্রতিহত করেছেন ৷” এরুপ বর্ণনা তাদের কিভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে ৷

এরুপ বর্ণনা সম্ভবত, মুহাম্মদ ইবন কাব আল কুৱাযী (র) থেকে নেয়া হয়েছে, যিনি
কুরআনের আয়াত র্চু,ট্রুদ্বুণ্ঠে ;হুই fl এর ব্যাখ্যার বলতেন যে, ইমরানের কন্যা মারয়াম , ঈসা

(আ)-এর মা হচ্ছেন মুসা (আ) ও হারুন (আ)-এর বোন ৷ তার বর্ণনাটি যে অমুলক , তাফসীরে
তা আমরা বর্ণনা করেছি ৷ এটা একটা অসম্ভব ব্যাপার ৷ কেননা, কেউ এরুপ মত পোষণ
করেননি বরং প্রত্যেক তাফসীরকার এটার বিরোধিতা করেছেন ৷ যদি ধরে নেয়া হয় যে, এরুপ
হতে পারে তাহলে তার ব্যাখ্যা হবে এরুপ : মুসা (আ) ও হারুন (আ) এর কোন মারয়াম বিনৃত
ইমরান এবং ঈসা (আ)-এর মা মারয়াম বিনৃত ইমরানের মধ্যে নাম, পিতার নাম ও ভাইয়ের
নামের মধ্যে মিল রয়েছে ৷ যেমন একদা মুগীরা ইবন শুবা (বা) সাহাবীকে নাজরানের
অধিবাসীরা (,;fl$ ণ্;£ ৰু আয়াতাৎশের তাফসীর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিল ৷ তিনি জানতেন



১ দফ্ এমন একটি বাদ্যযন্ত্র যায় এক দিকে চামড়া লাগানো থাকে


تَخْشَوْا فَإِنَّ فِرْعَوْنَ وَجُنُودَهُ لَا يَرْجِعُونَ إِلَى بَلَدِهِمْ بَعْدَ هَذَا. قَالُوا: وَأَمَرَ اللَّهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، أَنْ يَضْرِبَ الْبَحْرَ بِعَصَاهُ، وَأَنْ يَقْسِمَهُ; لِيَدْخُلَ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِي الْبَحْرِ وَالْيَبَسِ. وَصَارَ الْمَاءُ مِنْ هَاهُنَا وَهَاهُنَا كَالْجَبَلَيْنِ وَصَارَ وَسَطُهُ يَبَسًا; لِأَنَّ اللَّهَ سَلَّطَ عَلَيْهِ رِيحَ الْجَنُوبِ وَالسَّمُومِ، فَجَازَ بَنُو إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ، وَأَتْبَعُهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُ، فَلَمَّا تَوَسَّطُوهُ، أَمَرَ اللَّهُ مُوسَى فَضَرَبَ الْبَحْرَ بِعَصَاهُ، فَرَجَعَ الْمَاءُ كَمَا كَانَ عَلَيْهِمْ. لَكِنَّ عِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ، أَنَّ هَذَا كَانَ فِي اللَّيْلِ، وَأَنَّ الْبَحْرَ ارْتَطَمَ عَلَيْهِمْ عِنْدَ الصُّبْحِ، وَهَذَا مِنْ غَلَطِهِمْ، وَعَدَمِ فَهْمِهِمْ فِي تَعْرِيبِهِمْ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالُوا: وَلَمَّا أَغْرَقَ اللَّهُ فِرْعَوْنَ وَجُنُودَهُ، حِينَئِذٍ سَبَّحَ مُوسَى وَبَنُو إِسْرَائِيلَ بِهَذَا التَّسْبِيحِ لِلرَّبِّ، وَقَالُوا: نُسَبِّحُ الرَّبَّ الْبَهِيَّ الَّذِي قَهَرَ الْجُنُودَ، وَنَبَذَ فُرْسَانَهَا فِي الْبَحْرِ الْمَنِيعِ الْمَحْمُودِ. وَهُوَ تَسْبِيحٌ طَوِيلٌ. قَالُوا: وَأَخَذَتْ مَرْيَمُ النَّبِيَّةُ، أُخْتُ هَارُونَ دُفًّا بِيَدِهَا، وَخَرَجَ النِّسَاءُ فِي أَثَرِهَا، كُلُّهُنَّ بِدُفُوفٍ وَطُبُولٍ، وَجَعَلَتْ مَرْيَمُ تُرَتِّلُ لَهُنَّ وَتَقُولُ: سُبْحَانَ الرَّبِّ الْقَهَّارِ، الَّذِي قَهَرَ الْخُيُولَ وَرُكْبَانَهَا، إِلْقَاءً فِي الْبَحْرِ. هَكَذَا رَأَيْتُهُ فِي كِتَابِهِمْ. وَلَعَلَّ هَذَا هُوَ مِنَ الَّذِي حَمَلَ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ عَلَى زَعْمِهِ أَنَّ مَرْيَمَ بِنْتَ عِمْرَانَ، أُمَّ عِيسَى، هِيَ أُخْتُ هَارُونَ وَمُوسَى، مَعَ قَوْلِهِ: {يَا أُخْتَ هَارُونَ} [مريم: 28] وَقَدْ بَيَّنَّا غَلَطَهُ فِي ذَلِكَ، وَأَنَّ هَذَا لَا يُمْكِنُ أَنْ يُقَالَ، وَلَمْ يُتَابِعْهُ أَحَدٌ عَلَيْهِ، بَلْ كُلُّ وَاحِدٍ خَالَفَهُ فِيهِ، وَلَوْ قُدِّرَ أَنَّ هَذَا مَحْفُوظٌ، فَهَذِهِ مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، أُخْتُ مُوسَى وَهَارُونَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَأُمُّ عِيسَى عَلَيْهَا السَّلَامُ، وَافَقَتْهَا فِي
পৃষ্ঠা - ৬৩৭


না তাদেরকে কি বলবেন ৷ তাই তিনি রাসুল (না)-কে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করলেন, জবাবে
রাসুলুল্লাহ (সা) র্তাকে বললেন, তুমি কি জান না তারা আম্বিয়ায়েকিরামের নামের সাথে মিল
রেখে নামকরণ করতেন? ইমাম মুসলিম (র) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

মারয়ড়ামকে তারা মাবিয়াহ বলত, যেমন রাজার পরিবারের শ্ৰীকে রানী বলা হয়ে থাকে ৷
আমীরের শ্ৰীকে অড়ামীরাহ বলা হয়ে থাকে, যদিও তাদের বাদশাহী কিংবা প্রশাসনে কোন হাত
নেই ৷ নবী পরিবারের সদস্যা হিসাবে র্তাকে মাবিয়াহ বলা হয়েছে ৷ এটি রুপকভাবে বলা
হয়েছে ৷ সত্যি সত্যি তিনি নবী ছিলেন না এবং তার কাছে আল্লাহ তআলার ওহী আসত না ৷
আর মহা খুশির দিন ঈদে তার দফ বাজানো হচ্ছে এ কথার প্রমাণ যে, ঈদে দফ বাজানো
আমাদের পুর্বে তাদের শরীয়তেও বৈধ ছিল ৷ এমনকি এটা আমাদের শ্ারীয়তেও মেয়েদের জন্য
ঈদের দিনে বৈধ ৷ এ প্রসঙ্গে নিম্নে বর্ণিত হাদীসটি প্রণিধানযােগ্য ৷ মিনার দিনসমুহে তথা
কুরবানীর ঈদের সময়ে দুটি বালিকা আয়েশা সিদ্দীকা (বা)এর কাছে দফ বাজাচ্ছিল এবং
রাসুলুল্পাহ (সা) তাদের দিকে পিঠ দিয়ে শুয়ে ছিলেন, হুবুরের চেহারা ছিল দেয়ালের দিকে ৷
যখন আবু বকর (রা) ঘরে ঢুকলেন তখন তাদেরকে ধমক দািলন এবং বললেন, রাসুলুল্পাহ
(সা)এর ঘরে শয়তানের বাদ্যযন্ত্র? রাসুলুল্লাহ (না) বললেন, হে আবু বকর ! তাদেরকে এটা
করতে দাও ৷ কেননা, প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যেই রয়েছে উৎসবের দিন এবং এটা আমাদের
উৎসবের দিন ৷ অনুরুপভাবে বিয়ে-শাদীর মজলিসে এবং প্রবাসীকে সংবর্ধনা জানানোর ক্ষেত্রে
একটি বিশেষ ধরনের দফ বাজানো জায়েয আছে-ষ্যা সংশ্লিষ্ট গ্রস্থাদিতে বর্ণিত রয়েছে ৷

কিতাবিগণ আরো বলেন যে, বনী ইসরাঈলরা যখন সমুদ্র অতিক্রম করল এবং সিরিয়ার
উদ্দেশে যাত্রা করল তখন তারা একটি স্থানে তিনদিন অবস্থান করে ৷ সেখানে পানি ছিল না ৷
তাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক লোক এ নিয়ে নানারুপ সমালোচনা করে ৷ তখন তারা লবণাক্ত
বিস্বাদ পানি খুজে পেল, যা পান করার উপযোগী ছিল না ৷ তখন আল্লাহ্ তাআল লামুসা
(আ) কে নির্দেশ দিলে তিনি একটি কাঠের টুকরো পানির উপর রেখে দিলেন ৷ তখন তা মিঠা
পানিতে পরিণত হল এবং পানকারীদের জন্যে উপাদেয় হয়ে গেল ৷ তখন আল্লাহ তা অ ৷লা মুসা
(আ) কে ফরজ, সুন্নাত ইত্যাদি শিক্ষা দান করলেন এবং প্রচুর নসীহত প্রদান করলেন ৷

মহাপরাক্রমশালী ও আপন কিতাবের রক্ষণাবেক্ষণকারী আল্লাহ্ তাআলা তার কালামে

ইরশাদকরেন


()টুর্দুর্মু১ণ্এে ( ট্রুএ৷ প্ৰা ৰুৰু;৷ ৷ ণ্প্রু;,৷ ৷র্দুশুহ্র ঠো ৷ এোপুহ্র৷ ,ন্পুষ্ ৷াঠুএে ট্টছুৰ্বা

“আর আমি বনী ইসরাঈলকে সমুদ্র পার করিয়ে দেই ৷৩ তারপর তারা প্রতিমা পুজায় রত
এক সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হয় ৷ তারা বলল, হে মুসা! তাদের দেবতার মত আমাদের
জন্যেও একটি দেবতা গড়ে দাও ৷ সে বলল, তোমরা তো এক মুর্থ সম্প্রদায়; এসব লোক যাতে
লিপ্ত রয়েছে তাতে৷ বিধ্বস্ত হয়ে এবং তারা বা করেছে তাও অমুলক ৷ (৭ আরাফ :
১৩৮ ১৩৯ )


الِاسْمِ، وَاسْمِ الْأَبِ، وَاسْمِ الْأَخِ; لِأَنَّهُمْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِلْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ لَمَّا سَأَلَهُ أَهْلُ نَجْرَانَ، عَنْ قَوْلِهِ: {يَا أُخْتَ هَارُونَ} [مريم: 28] فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ لَهُمْ، حَتَّى سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: «أَمَا عَلِمْتَ أَنَّهُمْ كَانُوا يُسَمَّوْنَ بِأَسْمَاءِ أَنْبِيَائِهِمْ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَقَوْلُهُمْ: النَّبِيَّةُ. كَمَا يُقَالُ لِلْمَرْأَةِ مِنْ بَيْتِ الْمَلِكِ: مَلِكَةٌ. وَمِنْ بَيْتِ الْإِمْرَةِ: أَمِيرَةٌ. وَإِنْ لَمْ تَكُنْ مُبَاشِرَةً شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، فَكَذَا هَذِهِ اسْتِعَارَةٌ لَهَا، لَا أَنَّهَا نَبِيَّةٌ حَقِيقَةً يُوحَى إِلَيْهَا. وَضَرْبُهَا بِالدُّفِّ فِي مِثْلِ هَذَا الْيَوْمِ - الَّذِي هُوَ أَعْظَمُ الْأَعْيَادِ عِنْدَهُمْ - دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ شَرْعُ مَنْ قَبْلَنَا ضَرْبَ الدُّفِّ فِي الْعِيدِ. وَهَذَا مَشْرُوعٌ لَنَا أَيْضًا فِي حَقِّ النِّسَاءِ; لِحَدِيثِ الْجَارِيَتَيْنِ اللَّتَيْنِ كَانَتَا عِنْدَ عَائِشَةَ تَضْرِبَانِ بِالدُّفِّ فِي أَيَّامِ مِنًى، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُضْطَجِعٌ، مُوَلٍّ ظَهْرَهُ إِلَيْهِمْ، وَوَجْهُهُ إِلَى الْحَائِطِ، فَلَمَّا دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ زَجَرَهُنَّ، وَقَالَ: أَبِمَزْمُورِ الشَّيْطَانِ فِي بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: «دَعْهُنَّ يَا أَبَا بَكْرٍ، فَإِنَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيدًا، وَهَذَا عِيدُنَا» وَهَكَذَا يُشْرَعُ عِنْدَنَا فِي الْأَعْرَاسِ، وَلِقُدُومِ الْغُيَّابِ، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي مَوْضِعِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرُوا أَنَّهُمْ لَمَّا جَاوَزُوا الْبَحْرَ، وَذَهَبُوا قَاصِدِينَ إِلَى بِلَادِ الشَّامِ، مَكَثُوا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، لَا يَجِدُونَ مَاءً، فَتَكَلَّمَ مَنْ تَكَلَّمَ مِنْهُمْ بِسَبَبِ ذَلِكَ، فَوَجَدُوا مَاءً زُعَاقًا أُجَاجًا، لَمْ يَسْتَطِيعُوا شُرْبَهُ، فَأَمَرَ اللَّهُ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَأَخَذَ خَشَبَةً فَوَضَعَهَا فِيهِ، فَحَلَا وَسَاغَ شُرْبُهُ، وَعَلَّمَهُ الرَّبُّ هُنَالِكَ فَرَائِضَ وَسُنَنًا، وَوَصَّاهُ وَصَايَا كَثِيرَةً. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ، الْمُهَيْمِنِ عَلَى مَا
পৃষ্ঠা - ৬৩৮


তারা এরুপ মুর্থতা ও পথভ্রষ্টতার কথা মুসা (আ)-এর কাছে আরব করছিল অথচ তারা
আল্লাহ্ তাআলার নিদর্শনাদি ও কৃদৱত প্রত্যক্ষ করছিল যা প্রমাণ করে যে, মহাসম্মানিত ও
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ তাআলার রাসুল যা কিছু নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তা যথার্থ ৷ তারা
এমন একটি সম্প্রদায়ের নিকট উপস্থিত হলো, যারা মুর্তি পুজায় রত ছিল ৷ কেউ কেউ বলেন,
এই মুর্তিগুলো ছিল গরুর আকৃতির ৷ তারা তাদেরকে প্রশ্ন করেছিল যে কেন তারা ব্এগুলোর
পুজা করে? তখনও বা বলেজ্যি যে, এগুলো তাদের উপকার ও অপকার সাধন করে থাকে
এবং প্রয়োজনে তাদের কাচইে উপজীবিকা চাওয়া হয় ৷ বনী ইসরাঈলের কিছু মুর্থ লোক তাদের
কথায় বিশ্বাস করল ৷ তখন এই মুর্থরা তাদের নবী মুসা (আ)-এর কাছে আরব করল যে, তিনি
যেন তাদের জন্যেও দেব-দেবী গড়ে দেন যেমন ঐসব লোকের দেব-দের্বী রয়েছে ৷

মুসা (আ) তাদেরকে প্রতিউত্তরেরললেন, প্রতিমা পুজাকাৰিপণ নির্বোধ এবং তারা
হিদারাঃঙ্ঘ পথে পরিচালিত নয় ৷ আর এসব লোক যাতে লিপ্ত রয়েছে তা তো বিধ্বস্ত হবে এবং
তারা যা করেছে তাও অমুলক ৷ তারপর মুসা (আ) তার সম্প্রদায়কে আল্লাহ্ তাআলার
নিয়ামতরাজি এবং সমকালীন বিশ্বের জাতিসমুহের মধ্যে তাদেরকে জ্ঞানে, শরীয়তের এবং
তাদের মধ্য থেকে রাসুল প্রেরাণর মাধ্যমে গ্রেষ্ঠতু দানের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন ৷ তিনি
তাদেরকে আরো স্মরণ করিয়ে দেন যে, মহাশজ্যি অধিকারী ফিরআউনের কবল থেকে আল্লাহ্
তাআলা তাদেরকে উদ্ধার করেছেন এবং ফিরাউনকেতাদের সম্মুখেই ধ্বংস করে দিয়েছেন ৷
তাছাড়া ফিরআউন ও তার ঘনিষ্ঠ অনুচরগণ যেসব সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা নিজেদের জন্যে
সঞ্চিত ও সংরক্ষিত করে রেখেছিল ও সুরম্য প্রাসাদ গড়েছিল, আল্পাহ্ তাআলা তাদেরকে সে
সবের উত্তরাধিকারী করেছেন ৷ তিনি তাদের কাছে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন যে, এক
লা-শরীফ আল্পাহ্ তাআলা ব্যতীত অন্য কেউ ইবাদতের যোগ নয় ৷ কেননা তিনিই সৃষ্টিকর্তা,
রিযিকদাতা ও মহাপরাক্রমশালী ৷ তবে বনী ইসরাঈলের সকলেই তাদের জন্যে দেব-দেবী গড়ে
দেবার দরখাস্ত করেনি বরং কিছু সংখ্যক সুর্য ও নির্বোধ্ লোক এরুপ করেছিল ৷ তাই
আয়াতাৎশ০ বা সম্প্রদায় বলতে তাদের সকল
লোককে নয়, কিছু সং ৎখদ্রকবুবৰ্বা বুঝানো হয়েছে ৷ যেমন সুরায়ে কাহাফের আয়াতে আল্লাহ

তা আলা ইরশাদ করেন :

?
এ্যাশুএ ণ্

’(;§:£ ন্হ্রপু র্মুার্মু^শু :-;fi ৷ র্চুব্লুপুষ্ট্রশু, র্দুপু ও র্দুদ্বু ¢§’“’ হ্রমোঃ এে র্চু ষ্টুঝুট্রু;ও;
অর্থাৎ-“সেদিন তাদের সকলকে আমি একত্রকরণ এবং তাদের কাউকেও অব্যাহতি দেব
না এবং তাদেরকে তোমার প্রতিপালকের নিকট উপস্থিত করা হবে সারিবদ্ধডাবে এবং বলা
হবে, তােমাদেরকে প্রথমবার যেভাবে সৃষ্টি করেছিলাম সেভাবেই তোমরা আমার নিকট উপস্থিত
হবেই অথচ তোমরা মনে করতে যে, তোমাদের জন্য প্রতিশ্রুত ক্ষণে আমি তােমাদেয়কে

উপস্থিত করব না ৷” (সুরা কড়াহড়াফ : ৪ ৭ : ৮)
উক্ত আয়াতে বর্ণিত অথচ তোমরা মনে করতে দ্বারা তাদের সকলকে বুঝানো হয়নি বরং
কতক সং খ্যককে বুঝানো হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র)এ প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন যে, আবু ওয়াকিদ


عَدَاهُ مِنَ الْكُتُبِ: {وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ فَأَتَوْا عَلَى قَوْمٍ يَعْكُفُونَ عَلَى أَصْنَامٍ لَهُمْ قَالُوا يَا مُوسَى اجْعَلْ لَنَا إِلَهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ - إِنَّ هَؤُلَاءِ مُتَبَّرٌ مَا هُمْ فِيهِ وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الأعراف: 138 - 139] قَالُوا هَذَا الْجَهْلَ وَالضَّلَالَ، وَقَدْ عَايَنُوا مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ، مَا دَلَّهُمْ عَلَى صِدْقِ مَا جَاءَهُمْ بِهِ رَسُولُ ذِي الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ، وَذَلِكَ أَنَّهُمْ مَرُّوا عَلَى قَوْمٍ يَعْبُدُونَ أَصْنَامًا، قِيلَ: كَانَتْ عَلَى صُوَرِ الْبَقَرِ. فَكَأَنَّهُمْ سَأَلُوهُمْ: لِمَ يَعْبُدُونَهَا، فَزَعَمُوا لَهُمْ أَنَّهَا تَنْفَعُهُمْ وَتَضُرُّهُمْ، وَيَسْتَرْزِقُونَ بِهَا عِنْدَ الضَّرُورَاتِ، فَكَأَنَّ بَعْضَ الْجُهَّالِ مِنْهُمْ صَدَّقُوهُمْ فِي ذَلِكَ، فَسَأَلُوا نَبِيَّهُمُ الْكَلِيمَ الْكَرِيمَ الْعَظِيمَ، أَنْ يَجْعَلَ لَهُمْ آلِهَةً كَمَا لِأُولَئِكَ آلِهَةٌ، فَقَالَ لَهُمْ مُبَيِّنًا لَهُمْ أَنَّهُمْ لَا يَعْقِلُونَ وَلَا يَهْتَدُونَ: {إِنَّ هَؤُلَاءِ مُتَبَّرٌ مَا هُمْ فِيهِ وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الأعراف: 139] . ثُمَّ ذَكَّرَهُمْ نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْهِمْ، فِي تَفْضِيلِهِ إِيَّاهُمْ عَلَى عَالِمِي زَمَانِهِمْ بِالْعِلْمِ، وَالشَّرْعِ، وَالرَّسُولِ الَّذِي بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ، وَمَا أَحْسَنَ بِهِ إِلَيْهِمْ، وَمَا امْتَنَّ بِهِ عَلَيْهِمْ، مِنْ إِنْجَائِهِمْ مِنْ قَبْضَةِ فِرْعَوْنَ الْجَبَّارِ الْعَنِيدِ، وَإِهْلَاكِهِ إِيَّاهُ وَهُمْ يَنْظُرُونَ، وَتَوْرِيثِهِ إِيَّاهُمْ مَا كَانَ فِرْعَوْنُ وَمَلَؤُهُ يَجْمَعُونَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ وَالسَّعَادَةِ، وَمَا كَانُوا يَعْرِشُونَ، وَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُ لَا تَصْلُحُ الْعِبَادَةُ إِلَّا لِلَّهِ وَحْدَهُ، لَا شَرِيكَ لَهُ; لِأَنَّهُ الْخَالِقُ الرَّازِقُ الْقَهَّارُ، وَلَيْسَ كُلُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ سَأَلَ هَذَا السُّؤَالَ، بَلِ الضَّمِيرُ عَائِدٌ عَلَى الْجِنْسِ فِي قَوْلِهِ: {وَجَاوَزْنَا بِبَنِي إِسْرَائِيلَ الْبَحْرَ فَأَتَوْا عَلَى قَوْمٍ يَعْكُفُونَ عَلَى أَصْنَامٍ لَهُمْ قَالُوا يَامُوسَى اجْعَلْ لَنَا إِلَهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ} [الأعراف: 138] أَيْ; قَالَ بَعْضُهُمْ كَمَا فِي قَوْلِهِ:
পৃষ্ঠা - ৬৩৯


লায়সী (রা) বলেন, হুনাইন যুদ্ধের সময় আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে বের হলাম ৷ যখন
আমরা একটি কুল গাছের কাছে উপস্থিত হলাম তখন আমরা বললাম, হে আল্পাহ্র রাসুল (সা) !
কাফিরদের যেরুপ তরবারি রাখার জায়গা রয়েছে, আমাদের সেরুপ তরবারি রাখার জায়গার
ব্যবস্থা করে দিন ৷ কাফিররা তাদের তরবারি কুল গাছে ঝুলিয়ে রাখে ও তার চারপাশে ঘিরে
বসে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন (আশ্চর্যাৰিত হয়ে) বললেনষ্ক আল্লাহ আকবার! এবং বললেন এটা
হচ্ছে ঠিক তেমনি, যেমনটি বনী ইসরাঈলরা মুসা (আ) কে বলেছিল৪ < ৷গ্লু ৷ ৷ র্চুর্দু৷ টুট্রু ৷
রুর্দুপু ৷ ণ্ট্রুপু অর্থাৎ হে মুস) তাদের দেবতাদের মত আম৷ ৷দের জন্যেও একটি দেবতা গড়ে
দাও ৷’ তোমরা তো তোমাদের পুর্ববর্তীদের রীতিনীতিই অনুসরণ করছ ৷ ইমাম নাসা ঈ (র) এবং
তিরমিযী (র)ও ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম তিরমিযী (র) হাদীসটিকে হাসান
সহীহ বলে অভিহিত করেছেন ৷ ইবন জারীর (র) আবু ওয়াকিদ আল লাইসী (রা)-এর বরাতে
বর্ণনা করেছেন যে, সাহাবায়ে কিরড়াম (রা) রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে খায়বারের উদ্দেশে মক্কা
ত্যাগ করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, কাফিরদের একটি কুলগাছ ছিল , তারা এটার কাছে অবস্থান
করত এবং তাদের হাতিয়ার এটার সাথে ঝুলিয়ে রাখত ৷ এ পাছটাকে বলা হত যাতৃ
আনওয়াত ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন, একটি বড় সবুজ রংয়ের কুল গাছের কাছে পৌছে আমরা
বললাম, ইয়৷ রড়াসুলাল্পাহা আমাদের জন্যেও একটি যাতু আনওয়াত-এব ব্যবস্থা করুন, যেমনটি
কাফিরদের রয়েছে ৷ রসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন : যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ তার
শপথ, তোমরা এরুপ কথা বললে, যেমন মুসা (আ)-এর সম্প্রদায় মুসা (আ)-কে বলেছিল,
আমাদের জন্য এ সম্প্রদায়ের দেবতাদের মত একটি দেবতা গড়ে দাও ৷ সে বলল, তোমরা তো
এক মুর্থ সম্প্রদায় ৷ এসব লোক যাতে লিপ্ত রয়েছে তা তো বিধ্বস্ত হবে এবং তারা বা করছে
তাও অমুলক ৷ ” (সুরা আরাফ ষ্ক ১৩৮-১৩৯)

বন্তুত মুসা (আ) যখন মিসর ত্যাগ করে বায়তৃল মুকদ্দোসের উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে সেখানে
পৌছলেন, তখন সেখানে হায়সানী, ফাযারী ও কানআনী ইত্যাদি গোত্র সম্বলিত একটি দুর্দান্ত
জাতিকে বসবাসরত দেখতে পান ৷ মুসা (আ) তখন বনী ইসরস্কিৰকে শহরে প্রবেশ করার এবং
তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদেরকে বায়তৃল মুকাদ্দাস থেকে বিতাড়িত করতে হুকুম দিলেন ৷
আল্পাহ্ তাআলা তাদেরকে ইব্রাহীম (আ) কিংবা মুসা (আ)-এর মাধ্যমে এই শহরটি বিজয়ের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু তারা মুসা (আ)-এর নির্দেশ মানতে অস্বীকার করল এবং যুদ্ধ থেকে
বিরত রইল ৷ তখন আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ভীতিগ্রস্ত করলেন এবং তীহ প্রান্তরে নিক্ষেপ
করেন, যেখানে তারা সুদীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত উড্রান্তের মত ইতস্তত ঘোরাফেরা করতে
থাকেন

যেমন আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেনং :

ণ্ব্লু ১গ্


নৌ
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ডপ্)ণো


{وَحَشَرْنَاهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا - وَعُرِضُوا عَلَى رَبِّكَ صَفًّا لَقَدْ جِئْتُمُونَا كَمَا خَلَقْنَاكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ بَلْ زَعَمْتُمْ أَلَّنْ نَجْعَلَ لَكُمْ مَوْعِدًا} [الكهف: 47 - 48] [الْكَهْفِ: 47، 48] . فَالَّذِينَ زَعَمُوا هَذَا بَعْضُ النَّاسِ، لَا كُلُّهُمْ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سِنَانِ بْنِ أَبِي سِنَانٍ الدِّيلِيِّ، عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَبْلَ حُنَيْنٍ، فَمَرَرْنَا بِسِدْرَةٍ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اجْعَلْ لَنَا ذَاتَ أَنْوَاطٍ، كَمَا لِلْكُفَّارِ ذَاتُ أَنْوَاطٍ. وَكَانَ الْكَفَّارُ يَنُوطُونَ سِلَاحَهُمْ بِسِدْرَةٍ، وَيَعْكُفُونَ حَوْلَهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُ أَكْبَرُ، هَذَا كَمَا قَالَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِمُوسَى: اجْعَلْ لَنَا إِلَهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ. إِنَّكُمْ تَرْكَبُونَ سُنَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. ثُمَّ قَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَمَعْمَرٍ، وَعَقِيلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سِنَانِ بْنِ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، «أَنَّهُمْ خَرَجُوا مِنْ مَكَّةَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى حُنَيْنٍ قَالَ: وَكَانَ لِلْكُفَّارِ سِدْرَةٌ يَعْكُفُونَ عِنْدَهَا، وَيُعَلِّقُونَ بِهَا أَسْلِحَتَهُمْ يُقَالُ لَهَا: ذَاتُ أَنْوَاطٍ. قَالَ: فَمَرَرْنَا بِسِدْرَةٍ خَضْرَاءَ عَظِيمَةٍ، قَالَ: فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ
পৃষ্ঠা - ৬৪০


গ্লু;;পু ৷ষ্াশুদ্বু১ ট্রু,পু রু’স্ ট্রু, £,র্চুর্ন্ত



(,






র্চএ


>
(ব্লু
;

>
১ ১
৭০ি


স্মরণ কর , মুসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল হে আমার সম্প্রদায় ৷ তোমরা তোমাদের প্ৰতি
আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর; যখন তিনি তোমাদের মধ্য থেকে নবী করেছিলেন ও তােমাদেরকে
রাজাধিপতি করেছিলেন এবং বিশ্বজগভে কাউকেও যা তিনি দেননি তা তােমাদেরকে
দিয়েছিলেন ৷ হে আমার সম্প্রদায় ! আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভুমি নির্দিষ্ট করেছেন
তাতে তোমরা প্রবেশ কর এবং পশ্চাদপসরণ করবে না, করলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে ৷
তারা বলল, হে মুসা সেখানে এক দুর্দান্ত সম্প্রদায় রয়েছে এবং তারা যে স্থান থেকে বের না
হওয়া পর্যন্ত আমরা সেখানে কিছুণ্ডে ই প্রবেশ করব না, বসেই স্থান থেকে বের হয়ে গেলেই
আমরা প্রবেশ করব ৷ যারা ভয় করছিল তাদের মধ্যে দুজন, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ
করেছিলেন তারা বলল, তোমরা তাদের মুকাবিলা করে দরজায় প্রবেশ করলেই৫ তামরা জয়ী
হবে আর তোমরা মু মিন হলে আল্লাহর উপরই নির্ভর কর ৷ তারা বলল, হে মুসা৩ তারা যতদিন
সেখানে থাকবে, ততদিন আমরা সেখানে প্রবেশ করবই না ৷ সুতরাং তুমি আর তোমার
প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর; আমরা এখানেই বসে থাকবে৷ ৷ সে বলল, হে আমার
প্রতিপালক ! আমার ও আমার ভাই ব্যতীত অপর কারও উপর আমার আধিপত্য নেই ৷ সুতরাং
তুমি আমাদের ও সত্যত্যাপী সম্প্রদায়ের মধ্যে ফয়সালা করে দাও ৷ আল্লাহ বললেন, তবে এটা
চল্লিশ বছর তাদের জন্য নিষিদ্ধ রইল, তারা পৃথিবীতে উদ ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে, সুতরাং তুমি
সতাত্যাগী সম্প্রদায়ের জন্য দু৪খ করবে না ৷ (সুরা মায়িদা : ২০ ২৬)
এখানে আল্লাহর নবী মুসা (আ) বনী ইসরাঈলেব উপর আল্লাহ তাআলা যে অনুগ্রহ
করেছিলেন, তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ৷ আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি ইহলৌকিক ও
পারলৌকিক নিয়াম৩ তসমুহ দান করে অনুগ্রহ করেছিলেন ৷ তাই আল্লাহর নবী তাদেরকে
আল্লাহর রাহে আল্লাহর দুশমনের বিরুদ্ধে জিহড়াদ করার জন্যে আদেশ দিচ্ছেন ৷

তিনি বললেন :

ষ্পুপ্রু ৷ক্ট্রত্রর্দুপ্রু£শ্ব র্বৃদ্বু^ ইট্রু৷ ৷ ; :é র্শে৷ ৷ ধ্ন্র্দুপু ৷ ঠুশ্ব ৷ ,£$$ ব্লু,দ্বুঙু

স্পো


اللَّهِ، اجْعَلْ لَنَا ذَاتَ أَنْوَاطٍ كَمَا لَهُمْ ذَاتُ أَنْوَاطٍ. قَالَ: قُلْتُمْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، كَمَا قَالَ قَوْمُ مُوسَى لِمُوسَى " {اجْعَلْ لَنَا إِلَهًا كَمَا لَهُمْ آلِهَةٌ قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ - إِنَّ هَؤُلَاءِ مُتَبَّرٌ مَا هُمْ فِيهِ وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [الأعراف: 138 - 139] » . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا انْفَصَلَ مِنْ بِلَادِ مِصْرَ، وَوَاجَهَ بِلَادَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ وَجَدَ فِيهَا قَوْمًا مِنَ الْجَبَّارِينَ، مِنْ الْحَيْثَانِيِّينَ، وَالْفَزَارِيِّينَ، وَالْكَنْعَانِيِّينَ، وَغَيْرِهِمْ فَأَمَرَهُمْ مُوسَى، عَلَيْهِ السَّلَامُ، بِالدُّخُولِ عَلَيْهِمْ، وَمُقَاتَلَتِهِمْ وَإِجْلَائِهِمْ إِيَّاهُمْ عَنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، فَإِنَّ اللَّهَ كَتَبَهُ لَهُمْ، وَوَعَدَهُمْ إِيَّاهُ، عَلَى لِسَانِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، وَمُوسَى الْكَلِيمِ الْجَلِيلِ، فَأَبَوْا وَنَكَلُوا عَنِ الْجِهَادِ، فَسَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْخَوْفَ، وَأَلْقَاهُمْ فِي التِّيهِ; يَسِيرُونَ، وَيَحِلُّونَ، وَيَرْتَحِلُونَ، وَيَذْهَبُونَ، وَيَجِيئُونَ، فِي مُدَّةٍ مِنَ السِّنِينَ طَوِيلَةٍ، هِيَ مِنَ الْعَدَدِ أَرْبَعُونَ; كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ جَعَلَ فِيكُمْ أَنْبِيَاءَ وَجَعَلَكُمْ مُلُوكًا وَآتَاكُمْ مَا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا مِنَ الْعَالَمِينَ - يَا قَوْمِ ادْخُلُوا الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ الَّتِي كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَرْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ - قَالُوا يَا مُوسَى إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ وَإِنَّا لَنْ نَدْخُلَهَا حَتَّى يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنَّا دَاخِلُونَ - قَالَ رَجُلَانِ مِنَ الَّذِينَ يَخَافُونَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمَا ادْخُلُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ - قَالُوا يَا مُوسَى إِنَّا لَنْ نَدْخُلَهَا أَبَدًا مَا دَامُوا فِيهَا فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ - قَالَ رَبِّ إِنِّي لَا أَمْلِكُ إِلَّا نَفْسِي وَأَخِي فَافْرُقْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ - قَالَ فَإِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً يَتِيهُونَ فِي الْأَرْضِ فَلَا تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ} [المائدة: 20 - 26] [الْمَائِدَةِ: 20 - 26] .
পৃষ্ঠা - ৬৪১


অর্থাৎ হে আমার সম্প্রদায় ৷ পবিত্র ভুমিতে তোমরা প্রবেশ কর আর এটা তোমাদের
প্রতিপালক তোমাদের জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন ৷ তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে না এবং
দুশমনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হতে বিরত থাকবে না ৷ যদি পশ্চাদপসরণ কর ও বিরত থাক
লাভের পর ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পরিপুর্ণতা ৷অর্জনের পর অপরিপুর্ণতার শিকার হয়ে ৷


প্রতিউত্তার তারা বলল,
সেখানে রয়েছে একটি দৃর্ধর্ষ, দুর্দাত ও কা ৷ফির সম্প্রদায় ৷ত তারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বলতে লাগল
ট্ ’ ’ “’ “’ ৷;ৰুাদ্বু
অর্থাৎ যতক্ষণ না ঐ সম্প্রদায়টি সেখান থেকে বের হয়ে যায় আমরা যেখানে প্রবেশ
করব না ৷ যখন তারা বের হয়ে যাবে আমরা সেখানে প্রবেশ করব, অথচ তারা ফিরআউনের
ৎস ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ করেছে ৷ আর সে ছিল এদের তুলনায় অধিকতর দুর্দান্ত, অধিকতর
যুদ্ধ-কুশলী এবং সৈন্য সংখ্যার দিক থেকে প্রবলতর ৷ এ থেকে বোঝা যায় যে, তারা তাদের
এরুপ উজ্যি ফলে ভব্লুসনার যােগ্য এবং থােদাদ্রোহী হতভাগ্য, দৃর্দাম্ভ শত্রুদের মুকাবিল৷ থেকে
বিরত থেকে লাঞ্চুন৷ ও নিন্দার যোগ্য ৷

এ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে বহু তাফসীরকার বিভিন্ন ধরনের কল্প-কাহিনী ও বিবেকের
কাছে অ্যাহণীয় এবং বিশুদ্ধ বর্ণনা বিবর্জিত তথ্যাদি পেশ করেছেন ৷ যেমন কেউ কেউ
বলেছেন, বনী ইসরাঈলের প্রতিপক্ষ দৃর্দাত্ত সম্প্রদায়ের লোকজন বিরাট দেহের অধিকারী ও
ভীষণ আকৃতির ছিল ৷ তারা এরুপও বর্ণনা করেছেন যে, বনী ইসরাঈলের দুতরা যখন তাদের
কাছে পৌছল , তখন সে দৃদত্তি সম্প্রদায়ের দুতদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাদের সাথে সাক্ষাত
করল এবং তাদেরকে একজন একজন করে পাকড়াও করে আন্তিনের মধ্যে ও পায়জামার
ফিতার সাথে জড়াতে লাগল, দুতরা সংখ্যায় ছিল বারজন ৷ সােকঢি তাদেরকে তাদের বাদশাহর
সম্মুখে ফেলল ৷ বাদশাহ বলল, এগুলো কি? তারা যে আদম সন্তান সে চিনতেই পারল না ৷
অবশেষে তারা তার কাছে তাদের পরিচয় দিল ৷

এসব কল্প-কাহিনী ভিত্তিহীন ৷ এ সম্পর্কে আরো বর্ণিত রয়েছে যে, বাদশাহ তাদের ফেরৎ
যাওয়ার সময় তাদের সাথে কিছু আঙ্গুর দিয়েছিল ৷ প্রতিটি আঙ্গুর একজন লোকের জন্যে যথেষ্ট
ছিল ৷ তাদের সাথে আরো কিছু ফলও সে দিয়েছিল, যাতে তারা তাদের দেহের আকার-আকৃতি
সম্বন্ধে ধারণা করতে পারে ৷ এই বর্ণনাটিও বিশুদ্ধ নয় ৷ এ প্রসঙ্গে তারা আরো বর্ণনা করেছেন
যে, দৃর্ধষ ব্যক্তিদের মধ্য হতে ৩উক্ত ইবন অ ৷নাক নামী এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলকে ধ্বংস করার
জন্যে বনী ইসরাঈলের দিকে এগিয়ে আসল ৷ তার উচ্চতা ছিল ৩৩৩তুষ্টু হাত ৷ বাগড়াবী প্রমুখ
তাফসীরকারগণ এরুপ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তা শুদ্ধ নয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এর হাদীস :

অর্থাৎ-অ ল্লআাহ আদমকে যা ৷ট হাত উচ্চতা বিশিষ্ট করে সৃষ্টি করেন তারপর ক্রমে ক্রমে
কমতে কমতে তা এ পর্যায়ে এসে পৌছেছে এর ব্যাখ্যা বর্ণনা প্রসঙ্গে তা বিস্তারিত আলোচনা


يُذَكِّرُهُمْ نَبِيُّ اللَّهِ نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْهِمْ، إِحْسَانَهُ عَلَيْهِمْ بِالنِّعَمِ الدِّينِيَّةِ وَالدُّنْيَوِيَّةِ، وَيَأْمُرُهُمْ بِالْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَمُقَاتَلَةِ أَعْدَائِهِ، فَقَالَ: {يَا قَوْمِ ادْخُلُوا الْأَرْضَ الْمُقَدَّسَةَ الَّتِي كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ وَلَا تَرْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِكُمْ} [المائدة: 21] أَيْ; تَنْكِصُوا عَلَى أَعْقَابِكُمْ، وَتَنْكِلُوا عَلَى قِتَالِ أَعْدَائِكُمْ. {فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ} [المائدة: 21] أَيْ; فَتَخْسَرُوا بَعْدَ الرِّبْحِ، وَتَنْقُصُوا بَعْدَ الْكَمَالِ. {قَالُوا يَا مُوسَى إِنَّ فِيهَا قَوْمًا جَبَّارِينَ} [المائدة: 22] أَيْ; عُتَاةً كَفَرَةً مُتَمَرِّدِينَ، {وَإِنَّا لَنْ نَدْخُلَهَا حَتَّى يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا فَإِنَّا دَاخِلُونَ} [المائدة: 22] ، خَافُوا مِنْ هَؤُلَاءِ الْجَبَّارِينَ، وَقَدْ عَايَنُوا هَلَاكَ فِرْعَوْنَ، وَهُوَ أَجْبَرُ مِنْ هَؤُلَاءِ، وَأَشَدُّ بَأْسًا، وَأَكْثَرُ جَمْعًا، وَأَعْظَمُ جُنْدًا. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُمْ مَلُومُونَ فِي هَذِهِ الْمَقَالَةِ، وَمَذْمُومُونَ عَلَى هَذِهِ الْحَالَةِ، مِنَ الذِّلَّةِ عَنْ مُصَاوَلَةِ الْأَعْدَاءِ، وَمُقَاوَمَةِ الْمَرَدَةِ الْأَشْقِيَاءِ. وَقَدْ ذَكَرَ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ هَاهُنَا آثَارًا، فِيهَا مُجَازَفَاتٌ كَثِيرَةٌ بَاطِلَةٌ، يَدُلُّ الْعَقْلُ وَالنَّقْلُ عَلَى خِلَافِهَا; مِنْ أَنَّهُمْ كَانُوا أَشْكَالًا هَائِلَةً ضِخَامًا جِدًّا، حَتَّى إِنَّهُمْ ذَكَرُوا أَنَّ رُسُلَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، لَمَّا قَدِمُوا عَلَيْهِمْ، تَلَقَّاهُمْ رَجُلٌ مِنْ رُسُلِ الْجَبَّارِينَ، فَجَعَلَ يَأْخُذُهُمْ وَاحِدًا وَاحِدًا، وَيَلُفُّهُمْ فِي أَكْمَامِهِ وَحُجْزَةِ سَرَاوِيلِهِ، وَهُمُ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا، فَجَاءَ بِهِمْ، فَنَثَرَهُمْ بَيْنَ يَدَيْ مَلِكِ الْجَبَّارِينَ، فَقَالَ: مَا هَؤُلَاءِ؟ وَلَمْ يَعْرِفْ أَنَّهُمْ مِنْ بَنِي آدَمَ حَتَّى عَرَّفُوهُ. وَكُلُّ هَذِهِ هَذَيَانَاتٌ
পৃষ্ঠা - ৬৪২


করা হয়েছে ৷ তারা আরো বলেন, উজ নামের উক্ত ব্যক্তিটি একটি পাহাড়ের চুড়ার প্রতি তাকাল

তা উপড়িয়ে নিয়ে আসল এবং মুসা (আ)-এর সৈন্য-সামন্তের উপর রেখে দেবার মনস্থ
করল, এমন সময় একটি পাখি আসল ও পাথরের পাহাড়টিকে ঠোকর দিল এবং তা ছিদ্র করে
ফেলল ৷ ফলে উজের গলায় তা বেড়ীর মত বসে গেল ৷ তখন মুসা (আ) তার দিকে অগ্রসর
হয়ে লাফ দিয়ে ১০ হাত উপরে উঠলেন ৷ তার উচ্চতা ছিল ১০ হাত তখন মুসা (আ)-এর
সাথে তার লাঠিটি ছিল ৷ আর লাঠিটির উচ্চতাও ছিল ১০ হাত ৷ মুসা (আ) এর লাঠি তার
পায়ের পির্টের কাছে পৌছল এবং মুস৷ (আ)৩ তাকে লাঠি দ্বারা বধ করলেন ৷ উক্ত বর্ণনাটি
আওফ আল-বাকালী (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন জারীর (র) আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)
থেকে এটি বর্ণনা করেছেন তার এ বর্ণনার সনদের বিশুদ্ধতড়ায় মত বিরােধ রয়েছে ৷ এ ছাড়াও
এগুলো সবই হচ্ছে ইসরাঈলী বর্ণনা ৷ এর সব বর্ণনা বনী ইসরাঈলের মুর্থদের রচিত ৷ এসব
মিথ্যা বর্ণনার সংখ্যা এত অধিক যে, এগুলোর মধ্যে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা খুবই দৃরুহ
ব্যাপার ৷ এগুলোকে সত্য বলে মেনে নিলে বনী ইসরাঈলকে যুদ্ধে যোগদান না করার কিৎবা
যুদ্ধ হতে বিরত থাকার ব্যাপারে ক্ষমার যোগ্য বলে বিবেচনা করতে হয় ৷ কিন্তু আল্লাহ তাআলা
তাদেরকে যুদ্ধ হতে বিরত থাকার জন্যে শাস্তি প্রদান করেছেন, জিহাদ না করার জন্যে এবং
তাদের রাসুলের বিরোধিতা করার জন্যে তাদেরকে র্তীহের ময়দানে চল্লিশ বছর যাবত ভবঘুরে
জীবন যাপন করার শাস্তি দিয়েছেন ৷ দুজন পুণবােন ব্যক্তি তাদেরকে যুদ্ধ করার জন্যে অগ্রসর
হতে এবং যুদ্ধ পরিহড়ারের মনোভাব প্রত্যাহার করার জন্যে যে উপদেশ দান করেছিলেন, তা
আল্লাহ্ তাআলা উপরোক্ত আয়াতে ইংগিত করেছেন ৷ কথিত আছে, উক্ত দু’জন ছিলেন ইউশা
ইবন নুন (আ) ও কালিব ইবন ইউকান্ন৷ ৷ আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা), মুজাহিদ (র) ,
ইকরিমা (র), আতীয়্যা (র) , সুদ্দী (র), রবী ইবন আনাস (র) ও আরো অনেকে এ মত ব্যক্ত
করেছেন ৷

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন ং

অর্থাৎ যারা ভয় করে কিৎব৷ যারা ভীত তাদের মধ্য হতে দুইজন যাদেরকে আল্লাহ
তাআলা ঈমান, ইসলাম, আনুগত্য ও সাহস প্রদান করেছেন, তারা বললেন, দরজা দিয়ে
তাদের কাছে ঢুকে পড় এবং ঢুকে পড়লেই তোমরা জয়ী হয়ে যাবে ৷ আর যদি তোমরা আল্লাহ
৷ আলাব উপর তাওয়াক্কুল রাখ তার কাভ্রুইে সাহায্য চাও এবং তার কাছেই আশ্রয় চাও,
আল্লাহ তা জানা তােমাদেরকে তোমাদের শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং তােমাদেরকে
বিজয়ী করবেন ৷ তখন তারা বলল, হে মুসা ! যতক্ষণ পর্যন্ত দুর্দান্ত সম্প্রদায় উক্ত শহরে অবস্থান
করবে, আমরা সেখানে প্রবেশ করব না ৷ তুমি ও তোমার প্রতিপালক তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর,
আমরা এখানেই বসে রইলাম ৷ ’ (সুরা মায়িদা : ২৩ ২৪ )

যোটকথা, বনী ইসরাঈলের সর্দাররা জিহাদ হতে ৩বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল ৷ এর ফলে
বিরটি বিপর্যয় ঘটে গেল ৷ কথিত আছে, ইউশা (আ) ও কালিব (আ) য়খন তাদের এরুপ উক্তি


وَخُرَافَاتٌ لَا حَقِيقَةَ لَهَا، وَأَنَّ الْمَلِكَ بَعَثَ مَعَهُمْ عِنَبًا، كُلُّ عِنَبَةٍ تَكْفِي الرَّجُلَ، وَشَيْئًا مِنْ ثِمَارِهِمْ; لِيَعْلَمُوا ضَخَامَةَ أَشْكَالِهِمْ، وَهَذَا لَيْسَ بِصَحِيحٍ. وَذَكَرُوا هَاهُنَا أَنَّ عُوجَ بْنَ عُنُقَ، خَرَجَ مِنْ عِنْدِ الْجَبَّارِينَ إِلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ; لِيُهْلِكَهُمْ، وَكَانَ طُولُهُ ثَلَاثَةَ آلَافِ ذِرَاعٍ، وَثَلَاثَمِائَةِ ذِرَاعٍ، وَثَلَاثَةً وَثَلَاثِينَ ذِرَاعًا، وَثُلْثَ ذِرَاعٍ، هَكَذَا ذَكَرَهُ الْبَغَوِيُّ وَغَيْرُهُ، وَلَيْسَ بِصَحِيحٍ، كَمَا قَدَّمْنَا بَيَانَهُ عِنْدَ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ آدَمَ، طُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ لَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الْآنَ» . قَالُوا: فَعَمَدَ عُوجُ إِلَى قِمَّةِ جَبَلٍ، فَاقْتَلَعَهَا، ثُمَّ أَخَذَهَا بِيَدَيْهِ; لِيُلْقِيَهَا عَلَى جَيْشِ مُوسَى، فَجَاءَ طَائِرٌ، فَنَقَرَ تِلْكَ الصَّخْرَةَ، فَخَرَقَهَا، فَصَارَتْ طَوْقًا فِي عُنُقِ عُوجَ بْنِ عُنُقَ، ثُمَّ عَمَدَ مُوسَى إِلَيْهِ، فَوَثَبَ فِي الْهَوَاءِ عَشَرَةَ أَذْرُعٍ، وَطُولُهُ عَشَرَةُ أَذْرُعٍ، وَبِيَدِهِ عَصَاهُ، وَطُولُهَا عَشَرَةُ أَذْرُعٍ، فَوَصَلَ إِلَى كَعْبِ قَدَمِهِ فَقَتَلَهُ. يُرْوَى هَذَا عَنْ نَوْفٍ الْبِكَالِيِّ، وَنَقَلَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَفِي إِسْنَادِهِ إِلَيْهِ نَظَرٌ. ثُمَّ هُوَ مَعَ هَذَا كُلِّهِ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَكُلُّ هَذِهِ مِنْ وَضْعِ جُهَّالِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَإِنَّ الْأَخْبَارَ الْكِذْبَةَ قَدْ كَثُرَتْ عِنْدَهُمْ، وَلَا تَمْيِيزَ لَهُمْ بَيْنَ صَحِيحِهَا وَبَاطِلِهَا. ثُمَّ لَوْ كَانَ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৬৪৩


শুনতে পেলেন (তখনকার নিয়ম অনুযায়ী) তারা তাদের কাপড় ছিড়ে ফেলেন এবং মুসা (আ)
ও হারুন (আ) এই অশ্রাব্য কথার জন্য আল্লাহ্ তাআলার গযব থেকে পরিত্রাণের জন্যে বনী
ইসরাঈলের প্রতি আল্লাহ তাআলার রহমত কামনা করে সিজদায় পড়ে পেলেন ৷

মুসা (আ) বললেন :

শুতৃাএ

হে আমার প্ৰতিপালক ! আমার ও আমার ভাই ছাড়া আর কারো উপর আমার
আধিপত্য সেই ৷ সুতরাং তুমি আমাদের ও সতত্যাগী সম্প্রদায়ের মধ্যে ফয়সালা করে দাও ৷
(সুরা মায়িদা : ২৫)

উক্ত আয়াতে উল্লেখিত আয়াতাংশের অর্থ সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) বলেন,
এটার অর্থ হচ্ছে আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন ৷

আল্লাহ্তাআলা বলেন : (
ণ্

অর্থাৎ জিহাদ হতে বিরত থাকার জন্য তাদেরকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছিল যে , তারা
চল্লিশ বছর যাবত দিন-রাত সকাল-সন্ধ্যড়া তীহ ময়দানে উদ্দেশ্যৰিহীনভাবে ভবঘুরে জীবন
যাপন করবে ৷ (সুরা মায়িদা : ২৬)

কথিত আছে, তাদের যারা তীহ ময়দানে প্রবেশ করেছিল তাদের কেউ বের হতে পারেনি
বরং তাদের সকলে এই চল্লিশ বছরে সেখানে মৃত্যুবরণ করেছিল ৷ কেবল তাদের ছেলে মেয়েরা
এবং ইউশা (আ) ও কালিব (আ) বেচে ছিলেন ৷ বদরের দিন রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাহাবীপণ
মুসা (আ)-এ্যার সম্প্রদায়ের ন্যায় বলেননি ৷ বরং তিনি যখন তাদের কাছে যুদ্ধে যাবার বিষয়ে
পরামর্শ করলেন, তখন আবু বকর সিদ্দীক (বা) এ ব্যাপারে কথা বললেন, আবু বকর (রা) ও
অন্যান্য মুহাজির সাহাবী এ ব্যাপারে উত্তম পরামর্শ দিলেন ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
তোমরা আমাকে এ ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান কর ৷ ’ শেষ পর্যন্ত সাদ ইবন মুযায (বা) বলেন,
সম্ভবত আপনি আমাদের দিকেই ইঙ্গিত করছেন ইয়া রাসুলাল্পাহ৷ সেই সত্তার শপথ, যিনি
আপনাকে সত্য সহকারে প্রেরণ করেছেন, যদি আপনি আমাদেরকে নিয়ে এ সমুদ্র পাড়ি দিতে
চান অতঃপর আপনি এটাতে বাড়াপিয়ে পড়েন, তবে আমরাও আপনার সাথে বাপিয়ে পড়তে
প্রস্তুত ৷ আমাদের মধ্য হতে কোন ব্যক্তিই পিছু হটে থাকবে না ৷ আগামীকালই যদি
আমাদেরকে শত্রুর মুকাবিলা করতে হয় আমরা যুদ্ধে ধৈর্যের পরিচয় দেব এবং মুকাৰিলার সময়
দৃঢ় থাকর ৷ হয়ত শীঘ্রই আল্লাহ তাআলা আমাদের পক্ষ থেকে আপনাকে এমন আচরণ প্রদর্শন
করাবেন যাতে আপনার চোখ জুড়াবে ৷ সুতরাং আপনি আল্লাহ্ তাআলার উপর ভরসা করে
রওয়ানা হতে পারেন ৷ তার কথায় রাসুলুল্পাহ (সা) অত্যন্ত প্রীত হলেন ৷


صَحِيحًا لَكَانَ بَنُو إِسْرَائِيلَ مَعْذُورِينَ فِي النُّكُولِ عَنْ قِتَالِهِمْ، وَقَدْ ذَمَّهُمُ اللَّهُ عَلَى نُكُولِهِمْ، وَعَاقَبَهُمْ بِالتِّيهِ عَلَى تَرْكِ جِهَادِهِمْ، وَمُخَالَفَتِهِمْ رَسُولَهُمْ، وَقَدْ أَشَارَ عَلَيْهِمْ رَجُلَانِ صَالِحَانِ مِنْهُمْ بِالْإِقْدَامِ، وَنَهَيَاهُمْ عَنِ الْإِحْجَامِ. وَيُقَالُ: إِنَّهُمَا يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، وَكَالِبُ بْنُ يُوفَنَّا. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَعِكْرِمَةُ، وَعَطِيَّةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَالرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. {قَالَ رَجُلَانِ مِنَ الَّذِينَ يَخَافُونَ} [المائدة: 23] أَيْ; يَخَافُونَ اللَّهَ وَقَرَأَ بَعْضُهُمْ: (يُخَافُونَ) ; أَيْ يُهَابُونَ، {أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمَا} [المائدة: 23] أَيْ; بِالْإِسْلَامِ، وَالْإِيمَانِ، وَالطَّاعَةِ، وَالشَّجَاعَةِ: {ادْخُلُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ} [المائدة: 23] أَيْ; إِذَا تَوَكَّلْتُمْ عَلَى اللَّهِ، وَاسْتَعَنْتُمْ بِهِ، وَلَجَأْتُمْ إِلَيْهِ، نَصَرَكُمْ عَلَى عَدُوِّكُمْ، وَأَيَّدَكُمْ عَلَيْهِمْ، وَأَظْفَرَكُمْ بِهِمْ. {قَالُوا يَامُوسَى إِنَّا لَنْ نَدْخُلَهَا أَبَدًا مَا دَامُوا فِيهَا فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ} [المائدة: 24] فَصَمَّمَ مَلَؤُهُمْ علىالنُّكُولِ عَنِ الْجِهَادِ، وَوَقَعَ أَمْرٌ عَظِيمٌ، وَوَهَنٌ كَبِيرٌ. فَيُقَالُ: إِنَّ يُوشَعَ، وَكَالِبَ لَمَّا سَمِعَا هَذَا الْكَلَامَ شَقَّا ثِيَابَهُمَا، وَإِنَّ مُوسَى وَهَارُونَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، سَجَدَا; إِعْظَامًا لِهَذَا الْكَلَامِ وَغَضَبًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَشَفَقَةً عَلَيْهِمْ مِنْ وَبِيلِ هَذِهِ الْمَقَالَةِ. {قَالَ رَبِّ إِنِّي لَا أَمْلِكُ إِلَّا نَفْسِي وَأَخِي فَافْرُقْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ} [المائدة: 25]
পৃষ্ঠা - ৬৪৪


ইমাম আহমদ (ব) ইবন শিহাব (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, সাহাবী হযরত
মিকদাদ (রা) রাসুলুল্লাহ (সা)-কে বদরের যুদ্ধের দিন বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ৷ আমরা

আপনাকে যেরুপ বলব না, যেরুপ বনী ইসরাঈল মুসা (আ) কে বস্তুলজ্জিং

অর্থাৎ ভুমি ও তোমার প্রতিপালক যুদ্ধ কর আমরা এখানে বসে বইলাম, বরং আমরা

বলব, আপনি ও আপনার প্রতিপালক যুদ্ধে যাত্রা করুন, আমরাও আপনাদের সাথে যুদ্ধে শরীক
থাকবাে ৷ ’

উল্লেখিত হাদীসের এ সনদটি উত্তম ৷ অন্য অনেক সুত্রেও এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি
মিকদাদ (রা)-কে এমন একটি যুদ্ধে উপস্থিত হতে দেখেছি, যে যুদ্ধে তার অবস্থান এত
গৌরবজনক ছিল যে, আমি যদি সে অবস্থানে থাকতাম তবে তা অন্য যে কোন কিছুর চাইতে
আমার কাছে প্রিয়তর হতো ৷ ’ রাসুলুল্লাহ (সা) মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদোয়ায় রত ছিলেন,
এমন সময় মিকদাদ (রা) রাসুল (সা) এর খিদমতে হাযির হয়ে আরব করলেন, আল্লাহ্র শপথ
হে আল্লাহ্র রাসুল! আমরা আপনাকে এরুপ বলব না, যেরুপ বনী ইসরাঈলরা মুসা (আ ) কে
বলেছিল৪ ৷পু;ছুণ্, ৷দ্বু৷ ১াওাম্বুণ্ এভুদ্বুর্চু পুট্রু ৷ এ্যা৷ ৷ বরং আমরা যুদ্ধ করব, আপনার
ডানপাশে আপনার বামপাশে, আপনার সামনে ও পিছন থেকে আমরা প্রাণ দিয়ে কাফিরদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷ এ কথা শুনাবপর আমি রাসুল (না)-এর চেহারা মুবারক উজ্জ্বল হয়ে উঠতে
দেখতে পেলাম ৷ তিনি এতে খুশী হয়েছিলেন ৷

ইমাম বুখারী (র) তার গ্রন্থের তাফসীর এবং মাপাযী অধ্যায়ে এ বর্ণনা পেশ করেছেন ৷
হাফিজ আবু বকর মারদােয়েহ্ (ব) আনাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ
(সা) যখন বদরের দিকে বওয়ানা হলেন, তখন তিনি মুসলমানদের সাথে পরামর্শ করলেন ৷
উমর (রা) র্তাকে সুপরামর্শ দিলেন ৷ তারপর হুযুব (সা) আনসারগণের পরামর্শ চাইলেন ৷ কিছু
ৎখ্যক আনসার অন্যান্য আনসারকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আনসার সম্প্রদায় ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) যুদ্ধের ব্যাপারে তোমাদের পরামর্শ চাইছেন ৷ তখন আনসারগণ বললেন আমরা
রাসুলুল্লাহ (সা) কে এরুপ বলব না যেরুপ বনী ইসরাঈল মুসা (আ) কে বলেছিল৪া১ ১
§:“fi ৷১ছুই১ ৷ ৷ ১র্দুাএোর্দ্র ’§ ১১ ৷ যে সত্তা আপনাকে সত্যসহকারে প্রেরণ
করেছেন তার শপথ, আমাদেরকে যদি পৃথিবীর অতি দুরতম অংশে ও মুকাবিলার জন্যে যেতে
বলা হয়, নিশ্চয়ই আমরা আপনার আনুগত্য করব ৷ ইমাম আহমদ (র) বিভিন্ন সুত্রে আনাস
(রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা পেশ করেছেন ৷ ইবন হিব্বান (র) তার সহীহ গ্রন্থেও অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷

বনী ইসরাঈলের তীহ প্রাম্ভরে প্রবেশ ও অত্যাশ্চর্য ঘটনাবলী

পুর্বোল্লিখিত দৃর্দান্ত জাতির বিরুদ্ধে বনী ইসরাঈলের জিহাদ করা হতে বিরত থাকার
বিষয়টি উপরে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ এ কারণে আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাঈলকে তীহ প্রাম্ভার


قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ. {قَالَ فَإِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْ أَرْبَعِينَ سَنَةً يَتِيهُونَ فِي الْأَرْضِ فَلَا تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ} [المائدة: 26] عُوقِبُوا عَلَى نُكُولِهِمْ بِالتَّيَهَانِ فِي الْأَرْضِ، يَسِيرُوا إِلَى غَيْرِ مَقْصِدٍ، لَيْلًا وَنَهَارًا، وَصَبَاحًا وَمَسَاءً. وَيُقَالُ: إِنَّهُ لَمْ يَخْرُجْ أَحَدٌ مِنَ التِّيهِ مِمَّنْ دَخَلَهُ، بَلْ مَاتُوا كُلُّهُمْ فِي مُدَّةِ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَلَمْ يَبْقَ إِلَّا ذَرَّارِيُّهُمْ سِوَى يُوشَعَ، وَكَالِبَ، عَلَيْهِمَا السَّلَامُ. لَكِنَّ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ بَدْرٍ، لَمْ يَقُولُوا لَهُ كَمَا قَالَ قَوْمُ مُوسَى لِمُوسَى، بَلْ لَمَّا اسْتَشَارَهُمْ فِي الذَّهَابِ إِلَى النَّفِيرِ، تَكَلَّمَ الصِّدِّيقُ فَأَحْسَنَ، وَغَيْرُهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، ثُمَّ جَعَلَ يَقُولُ: «أَشِيرُوا عَلَيَّ حَتَّى قَالَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ: كَأَنَّكَ تُعَرِّضُ بِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَوِ اسْتَعْرَضْتَ بِنَا هَذَا الْبَحْرَ فَخُضْتَهُ لَخُضْنَاهُ مَعَكَ، مَا تَخَلَّفَ مِنَّا رَجُلٌ وَاحِدٌ، وَمَا نَكْرَهُ أَنْ يَلْقَى بِنَا عَدُوَّنَا غَدًا، إِنَّا لَصُبُرٌ فِي الْحَرْبِ صُدُقٌ فِي اللِّقَاءِ، لَعَلَّ اللَّهَ يُرِيكَ مِنَّا مَا تَقَرُّ بِهِ عَيْنُكَ. فَسِرْ بِنَا عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ. فَسُرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِ سَعْدٍ، وَبَسَطَهُ ذَلِكَ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَحْمَسِيِّ، عَنْ طَارِقٍ هُوَ ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ الْمِقْدَادَ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا لَا نَقُولُ لَكَ كَمَا قَالَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِمُوسَى:
পৃষ্ঠা - ৬৪৫
{فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ} [المائدة: 24] وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا مَعَكُمْ مُقَاتِلُونَ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَهُ طُرُقٌ أُخْرَى. قَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ مُخَارِقٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَقَدْ شَهِدْتُ مِنَ الْمِقْدَادِ مَشْهَدًا، لَأَنْ أَكُونَ أَنَا صَاحِبَهُ، أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا عُدِلَ بِهِ; أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَدْعُو عَلَى الْمُشْرِكِينَ، فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَا نَقُولُ لَكَ كَمَا قَالَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِمُوسَى: {فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ} [المائدة: 24] وَلَكُنَّا نُقَاتِلُ عَنْ يَمِينِكَ، وَعَنْ يَسَارِكَ، وَمِنْ بَيْنِ يَدَيْكَ، وَمِنْ خَلْفِكَ. فَرَأَيْتُ وَجْهَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُشْرِقُ لِذَلِكَ، وَسُرَّ بِذَلِكَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي التَّفْسِيرِ وَالْمَغَازِي، مِنْ طُرُقٍ عَنْ مُخَارِقٍ بِهِ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرِ بْنُ مَرْدَوَيْهِ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا سَارَ إِلَى بَدْرٍ اسْتَشَارَ الْمُسْلِمِينَ، فَأَشَارَ عَلَيْهِ عُمَرُ، ثُمَّ اسْتَشَارَهُمْ، فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: يَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ، إِيَّاكُمْ يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالُوا: إِذًا لَا نَقُولُ لَهُ كَمَا قَالَ بَنُو إِسْرَائِيلَ لِمُوسَى: {فَاذْهَبْ أَنْتَ وَرَبُّكَ فَقَاتِلَا إِنَّا هَاهُنَا قَاعِدُونَ} [المائدة: 24] وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ، لَوْ ضَرَبْتَ أَكْبَادَهَا إِلَى بَرْكِ الْغِمَادِ لَاتَّبَعْنَاكَ» . رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عُبَيْدَةَ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ
পৃষ্ঠা - ৬৪৬


ভবঘুরের মত বিচরণের শান্তি দেন এবং নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, চল্লিশ বছর তারা সেখান
থেকে বের হতে পারবে না ৷ কিতাবীদের প্রন্থাদিতে জিহাদ থেকে বিরত থাকার বিষয়টি আমার
চোখে পড়েনি বরং তাদের কিভাবে রয়েছে, “মুসা (আ) একদিন ইউশা (আ) কে কড়াফিরদের
একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ করার প্রস্তুতি নিতে হুকুম দিলেন ৷ আর মুসা (আ), হড়ারুন
(আ) ও পাের নামক এক ব্যক্তি একটি টিলার চুড়ায় বলেছিলেন ৷ মুসা (আ) তার লাঠি উপরের
দিকে উঠালেন, যখনই তিনি তার লড়াঠি উপরের দিকে উঠিয়ে রাখতেন, তখনই ইউশা (আ)
শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হতেন ৷ আর যখনই লড়াঠিসহ তার হাত ক্লান্তি কিংবা অন্য কারণে নিচে
নেমে আসত তখনই শত্রুদল বিজয়ী হতে থাকত ৷ তাই হারুন (আ) ও পাের মুসা (আ) এর
দুই হাতকে সুর্ষাস্ত পর্যন্ত ডানে, বামে শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন ৷ ইউশা (আ)-এর সৈন্য দল
জয়লাভ করল ৷

কিতাবীদের মতে, ইউশা (আ)-এর সেনাবাহিনী সকলে মাদায়ানকে পছন্দ করত ৷ মুসা
(আ)-এর শ্বশুরের কাছে মুসা (আ)-এর যাবতীয় ঘটনার সংবাদ পৌছল ৷ আর এ খবর পৌছল
যে, কিভাবে আল্লাহ্ তাআলা মুসা (আ)-কে তার শত্রু ফিরআউনের বিরুদ্ধে বিজয় দান
করেছেন ৷ তাই তিনি মুসা (আ)-এর কাছে আনুগত্য সহকারে উপস্থিত হলেন ৷ তার সাথে
ছিলেন তার মেয়ে সাকুরা ৷ সাকুরা ছিলেন মুসা (আ)-এর শ্রী ৷ তার সাথে মুসা (আ)-এর দুই
পুত্র জারশুন এবং আটিরও ছিলেন ৷ মুসা (আ) তার শ্বশুরের সাথে সাক্ষাত করলেন ৷ তিনি
তাকে সম্মান প্রদশ্নি করলেন ৷ তার সাথে বনী ইসরাঈলের মুরুববীগণও সাক্ষাত করলেন,
র্তারাও তার প্রতি সমান প্রদর্শন করলেন ৷

কিতাবীরা আরো উল্লেখ করে যে, মুসা (আ)-এর শ্বশুর দেখলেন যে, ঝগড়া বিবাদের সময়
বনী ইসরাঈলের একটি দল মুসা (আ)-এর কাছে ভিড় জমায় ৷ তাই তিনি মুসা (আ)-কে
পরামর্শ দিলেন, তিনি যেন জনগণের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক আমানতদাব, পরহেযপার ও
চরিত্রবান প্রশাসক নিযুক্ত করেন ৷ যারা ঘুষ ও খিয়ড়ানতকে ঘৃণা করেন ৷ তিনি যেন তাদেরকে
বিভিন্ন স্তরের প্রধানরুপে নিযুক্ত করেন ৷ যেমন প্রতি হাজারের জন্যে, প্রতি শতের জন্যে, প্রতি
পঞ্চাশজনের জন্য এবং প্রতি দশজনের জন্য একজন করে ৷ তারা জনগণের মধ্যে বিচড়ারকার্য
সমাধা করবেন ৷ তাদের কর্তব্য সমাধানে যদি কোন প্রকার সমস্যা দেখা দেয়, তখন তারা
আপনার কাছে ফায়সালার জন্যে আসবে এবং আপনি তাদের সমস্যার সমাধান দেবেন ৷ মুসা
(আ) সেরুপ শাসনের ব্যবস্থা প্রবর্তন করলেন ৷

কিতাবীরা আরো বলেন, মিসর থেকে বের হবার তৃতীয় মাসে বনী ইসরাঈলরা সিনাইর
কাছে সমতল ভুমিতে অবতরণ করেন ৷ তারা তাদের কাছে চলতি বছরের প্রথম মাসে মিসর
থেকে বের হয়েছিলেন ৷ এটা ছিল বসন্ত ঋতৃর সুচনাকাল ৷ কাজেই তারা যেন গ্রীষ্মের প্রারম্ভে
তীহ নামক ময়দানে প্রবেশ করেছিলেন ৷ আল্লাহই অধিকতর জ্ঞাত ৷
কিতাবীরা বলেন, বনী ইসরাঈলগণ সিনাইয়ের তুর পাহাড়ের পাশেই অবতরণ করেন ৷
অতঃপর মুসা (আ) তুর পাহাড়ে আরোহণ করেন এবং তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বলেন ৷
আল্লাহ্ তাআলা তাকে হুকুম দিলেন, তিনি যেন বনী ইসরাইলকে আল্লাহ্ তাআলা যেসব


الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ خَالِدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَأَخْرَجَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ أَبِي يَعْلَى، عَنْ عَبْدِ الْأَعْلَى بْنِ حَمَّادٍ، عَنْ مُعْتَمِرٍ عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ نَحْوَهُ.