আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة يونس عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ৫৩৩

ইউনুস (আ) এর বর্ণনা

সুরা ইউনুসে আল্লাহ বলেনং :

খু

মোঃ

অর্খাৎ তবে ইউনুসের সম্প্রদায় ব্যতীত কোন জনপদবাসী কেন এমন হল না যারা ঈমান

আনত এবং তাদের ঈমান তাদের উপকারে আনত? তারা যখন বিশ্বাস করল তখন আমি

তাদেরকে পার্থিব জীবনে হীন৩ ড়াজনক শাস্তি হতে মুক্ত করলাম এবং কিছুকালের জন্যে
জীবনােপভােগ করতে দিলাম ৷ (সুরা ইউনুসং : ৯৮)

সুরা আন্বিয়ায় আল্লাহ বলেন :

এ্যা৷ র্শে দ্বুএ


অর্থাৎ-এবং স্মরণ কর যুন নুন এর কথা, যখন সে ণ্ক্রাধভরে বের হয়ে গিয়েছিল এবং
মনে করেছিল আমি তার জন্যে শাস্তি নির্ধারণ করব না ৷ অতঃপর সে অন্ধকার থেকে আহ্বান
করেছিল, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; তুমি পবিত্র, মহান, আমি ওে তা সীমালংঘনকারী ৷ তখন
আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে উদ্ধার করেছিলাম দুশ্চিম্ভা হতে এবং এভাবেই
আমি মুমিনদেরকে উদ্ধার করে থাকি ৷ (সুরা আম্বিয়া : ৮ ৭-৮৮)

সুর বা সাফ্ফাতে আল্লাহ বলেন




অর্থাৎ-ইউনুসও ছিল রড়াসুলগণের একজন ৷ স্মরণ কর, যখন সে পলায়ন করে বোঝাই
নৌযড়ানে পৌছল ৷ অতঃপর সে লটারীতে যোগদান করল এবং পরাভুত হল ৷ পরে এক
বৃহদাকার মৎস্য তাকে গিলে ফেলল, তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগল ৷ সে যদি


[قِصَّةُ يُونُسَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] [قَوْمُ يُونُسَ وَمَا حَلَّ بِهِمْ مِنَ الْعَذَابِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي سُورَةِ " يُونُسَ " {فَلَوْلَا كَانَتْ قَرْيَةٌ آمَنَتْ فَنَفَعَهَا إِيمَانُهَا إِلَّا قَوْمَ يُونُسَ لَمَّا آمَنُوا كَشَفْنَا عَنْهُمْ عَذَابَ الْخِزْيِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ} [يونس: 98] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الْأَنْبِيَاءِ ": {وَذَا النُّونِ إِذْ ذَهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَنْ لَنْ نَقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ - فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنْجِي الْمُؤْمِنِينَ} [الأنبياء: 87 - 88] [الْأَنْبِيَاءِ: 87، 88] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " الصَّافَّاتِ " {وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ - إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ - فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِينَ - فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ - فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِينَ - لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ - فَنَبَذْنَاهُ بِالْعَرَاءِ وَهُوَ سَقِيمٌ - وَأَنْبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِنْ يَقْطِينٍ - وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ - فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ} [الصافات: 139 - 148] [الصَّافَّاتِ: 139 - 148] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ " نُونْ ": {فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تَكُنْ كَصَاحِبِ الْحُوتِ إِذْ نَادَى وَهُوَ مَكْظُومٌ - لَوْلَا أَنْ تَدَارَكَهُ نِعْمَةٌ مِنْ رَبِّهِ لَنُبِذَ بِالْعَرَاءِ وَهُوَ مَذْمُومٌ - فَاجْتَبَاهُ رَبُّهُ فَجَعَلَهُ مِنَ الصَّالِحِينَ} [القلم: 48 - 50] [الْقَلَمِ: 48 - 50] .
পৃষ্ঠা - ৫৩৪


আল্লাহর পবিত্র৩ ৷ ও মহিম৷ ঘোষণা না করত, তাহলে তাকে পুনরুথান দিবস পর্যন্ত
থাকতে হত এটার উদরে ৷ অতঃপর ইউনুসকে আমি নিক্ষেপ করলাম এক তৃণহীন প্রান্তরে
এবং সে ছিল রুগ্ন ৷ পরে আমি তার উপর এক লাউ গাছ উদ্গত করলাম ৷ (সাফ্ফাত
১৩৯ ১ : ৬)

সুরায়ে সাফ্ফাতে আল্লাহ তা জানা বলেনং :


অর্থাৎ-৩ ৷কে (ইউনুস) আমি এক লক্ষ বা ৩তোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম ৷

ফলে তারা ঈমান এনেছিল ৷ আর আমি তাদেরকে কিছুকালের জন্য জীবনােপভোগ করতে
দিলাম ৷ (সুরা সাফ্ফাত০ : ১৪ ৭ ১৪৮)

সুরায়ে কলমে অৰুল্লাহ্ তাআলা বলেন :

ধু

অর্থাৎ-অ৩ ত,এব ভুমি ধৈর্যধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নিদোশর অপেক্ষায় তুমি মৎস্য
সহচরের ন্যায় অধৈর্য হয়াে না সে বিবাদ আচ্ছন্ন অবস্থায় কাত র প্রার্থনা করেছিল ৷ তার
প্ৰতিপালকের অনুগ্রহত তার নিকট না পৌছলে সে লাঞ্ছিত হয়ে নিক্ষিপ্ত হত উন্মুক্ত প্রাতরে ৷
পুনরায় তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন এবং তাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত
করলেন ৷ (সুরা কলম : ৪৮-৫০)

উল্লেখিত আয়াতসমুহের ব্যাথ্যায় তাফসীরকারগণ বলেন, আল্লাহ তা আল৷ তৎকালীন
মাওসিল প্রদেশের নিনােভা নামক জায়গার অধিবাসীদের নিকট ইউনুস (আ) কে প্রেরণ
করেন ৷ তিনি তাদেরকে মহান আল্লাহ তা আলার দিকে আহ্বান করেন ৷ তারা তাকে মিথ্যা
ন্ প্ৰদিপন্ন করে এবং তারা তাদের কুফরী ও অবাধ্যতায় নিমগ্ন থাকে ৷ অত ৪৩পর যখন নবীর
বিরুদ্ধে তাদের অবাধ্যতা ও নাফরমানী দীর্ঘায়ি৩ ৩হয় তখন তিনি তাদের মধ্য হতে বের হয়ে
পড়েন এবং৩ তিন দিন পর তাদের প্ৰতি আযাব নাযিল হবে বলে সতর্ক করে দেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা), মুজাহিদ; সাঈদ ইবন জুম্মাইর, কাতাদা (র) প্রমুখ মনীষী
বলেন, ইউনুস (আ) যখন তার উম্মতদের মধ্য হতে চলে গেলেন এবং তার সম্প্রদায় আল্লাহ
তা জানার আবার তাদের উপর অত ত্যাসন্ন বলে নিশ্চিত হল আল্লাহ তা আলা তাদের অন্তরে
তাওবার অনুভুতি সৃষ্টি করেন এবং তারা তাদের নবীর প্রতি ৩কৃত অপকর্মের জন্যে লজ্জিত হয়ে
পড়ে ৷ তারপর তারা সৈন্যের প্রতীক যে টা কাপড় পরে নিল এবং প্রতে ৷কটি পশু শাবককে
৩াদের যা থেকে পৃথক করে দিল ৷ অন্যদিকে নিজেরা আল্লাহ তা জানার দরবারে কাতর হয়ে
প্রার্থনা করতে লাগল ৷ করুণস্বরে তা ৷ফবিয়াদ করতে লাগল ৷ অনুনয় বিনয় করতে লাগল ৷
নিজেদেরকে প্রতিপালকের প্রতি সমর্পণ করে দিল ৷ (হলে-মেয়ে ত্রী-পুরুয সকলেই আল্লাহ
তাআলার দরবারে কান্নাকাটি করতে লাগল ৷ প্রতিটি জীব-জভু জানােয়ার কাতরাতে লাগল ৷

অলেবিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খ্যাঃণোঞ্জোক্লো৪গাে০ওেয়াে

قَالَ أَهْلُ التَّفْسِيرِ: بَعَثَ اللَّهُ يُونُسَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَى أَهْلِ نِينَوَى ; مِنْ أَرْضِ الْمَوْصِلِ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، فَكَذَّبُوهُ وَتَمَرَّدُوا عَلَى كُفْرِهِمْ وَعِنَادِهِمْ، فَلَمَّا طَالَ ذَلِكَ عَلَيْهِ مَنْ أَمْرِهُمْ، خَرَجَ مِنْ بَيْنِ أَظْهَرِهِمْ، وَوَعَدَهُمْ حُلُولَ الْعَذَابِ بِهِمْ بَعْدَ ثَلَاثٍ. قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَقَتَادَةُ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ: فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ بَيْنِ ظَهْرَانَيْهِمْ وَتَحَقَّقُوا نُزُولَ الْعَذَابِ بِهِمْ، قَذَفَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمُ التَّوْبَةَ وَالْإِنَابَةَ، وَنَدِمُوا عَلَى مَا كَانَ مِنْهُمْ إِلَى نَبِيِّهِمْ، فَلَبِسُوا الْمُسُوحَ، وَفَرَّقُوا بَيْنَ كُلِّ بَهِيمَةٍ وَوَلَدِهَا، ثُمَّ عَجُّوَا إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَصَرَخُوا وَتَضَرَّعُوا إِلَيْهِ، وَتَمَسْكَنُوا لَدَيْهِ، وَبَكَى الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ، وَالْبَنُونَ وَالْبَنَاتُ، وَالْأُمَّهَاتُ، وَجَأَرَتِ الْأَنْعَامُ وَالدَّوَابُّ وَالْمَوَاشِي، وَرَغَتِ الْإِبِلُ وَفُصْلَانُهَا، وَخَارَتِ الْبَقَرُ وَأَوْلَادُهَا، وَثَغَتِ الْغَنَمُ وَحُمْلَانُهَا، وَكَانَتْ سَاعَةً عَظِيمَةً هَائِلَةً، فَكَشَفَ اللَّهُ الْعَظِيمُ، بِحَوْلِهِ وَقُوَّتِهِ، وَرَأْفَتِهِ وَرَحْمَتِهِ، عَنْهُمُ الْعَذَابَ الَّذِي كَانَ قَدِ اتَّصَلَ بِهِمْ بِسَبَبِهِ، وَدَارَ عَلَى رُؤُوسِهِمْ كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ ; وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى {فَلَوْلَا كَانَتْ قَرْيَةٌ آمَنَتْ فَنَفَعَهَا إِيمَانُهَا} [يونس: 98] أَيْ ; هَلَّا وُجِدَتْ فِيمَا سَلَفَ مِنَ الْقُرُونِ قَرْيَةٌ آمَنَتْ بِكَمَالِهَا. فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ ذَلِكَ، بَلْ كَمَا قَالَ تَعَالَى {وَمَا أَرْسَلْنَا فِي قَرْيَةٍ مِنْ نَذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتْرَفُوهَا إِنَّا بِمَا أُرْسِلْتُمْ بِهِ كَافِرُونَ} [سبأ: 34] . وَقَوْلُهُ: {إِلَّا قَوْمَ يُونُسَ لَمَّا آمَنُوا كَشَفْنَا عَنْهُمْ عَذَابَ الْخِزْيِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ} [يونس: 98] أَيْ ; آمَنُوا بِكَمَالِهِمْ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُفَسِّرُونَ ; هَلْ يَنْفَعُهُمْ
পৃষ্ঠা - ৫৩৫


উট ওতার বাচ্চাগুলাে চিৎকা র করতে লাগল ৷ পা ভী, গরু ও বাছুরগুলাে হা ৷ম্ব৷ হাম্ব৷ রব ছাড়তে
লাগল ৷ ছাগল ও তার ছানাগুলাে ওা৷ ভী৷ করতে লাগল ৷ এক প্রচণ্ড ও ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব
হল ৷ তখন আল্লাহ তাআলা তার কুদরত, রহমত ও করুণাবশে তাদের উপর থেকে আমার
রহিত করে দিলেন ৷ আল্লাহ তাআলার আবার তাদের মাথা ৷র উপর এসে গিয়েছিল এবং রাতের

তিমির রাশির ন্যায় মাথার উপর ঘুরছিল ৷ এ ঘটনার দিকে ইংগিত করে আল্লাহ তা আলা

ধ্ড়ুপ্রুন্ণ্ ১া৷ ৷ঠুদ্বুাদ্বু“ ৷ ৷ম্পোদ্বু ঞা৷ ,: ;,ন্ত্তাহ্র ১া,৷এ্

অর্থাৎ তার ইউনুস (আ)-এর সম্প্রদায় ব্যতীত কোন জনপদবাসী কেন এমন হল না যারা
ঈমান আনত এবং তাদের ঈমান তাদের উপকারে আসত? অর্থাৎ কেন তুমি অতীতে
বসবাসকারী এমন সম্প্রদায় পেলে না, যারা পরিপুর্ণভাবে ঈমান এনেছিলঃ এতে বোঝা যায়
পরিপুর্ণরুপে কেউ ঈমান আনয়ন করেনি ৷ এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেনং ং

ন্ন্ ন্দ্বু;ার্চুঠুা৷হু & ৷ এেক্কুদ্বুর্চু;ঝু ,এে রু৷ র্স্টছু fi,: দ্বু র্চুহ্রণ্ষ্ ^১ মোঃ ৷ ঙ্ঠু
টু; দ্বুদ্বু৩ ৷ৰু
অর্থাৎ-যখনই আমি কোন জনপদে সত তর্ককারী প্রেরণ ৷করেছি তখনই এটার বিত্তশালী
অধিবাসীরা বলেছে, ভোমারা যা সহকারে প্রেরিত হয়েছ আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি ৷
(সুরা সাবা০ : ৩৪) পুনরায় আল্লাহ্ তা আলা বলেনং :
াঠুর্দুএ ৷ ব্লু,ঠুঠুা৷ব্লে ১ ঞধ্৷ ৷ £, ৷ §£ ন্হ্র্দুছুষ্ট্র মোঃ ৷দ্বুৰুপুঠু৷ ৷£ঠুপু ,£:;: ন্ছুর্দু ৰুষ্
ৰ্

অর্থাৎ-“ত তবে ইউনুস (আ) এর সম্প্রদায় ব্যতীত, তারা যখন পবিপুর্ণভাবে বিশ্বাস করল

তখন আমি তাদেরকে পার্থিব জীবনে হীনতাজনক শাস্তি থেকে মুক্ত করলাম এবং কিছু কালের
জন্যে জীবনােপভােগ করতে দিলাম ৷” অর্থাৎত তারা পরিপুর্ণতা বে ঈমান এনেছিল ৷

তাফসীরকারদের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে যে, এ ধরনের ঈমান কি
আখিরাতেও তাদের কে ন উপকারে আসবে এবং আখিরাতের আমার থেকে তাদেরকে যুক্তি
করবেঃ যেমন পার্থিব জীবনে এই ঈমান তাদেরকে পার্থিব শাস্তি থেকে রক্ষা করোছ?এ
ব্যাপারে দুটি মত রয়েছে, তবে বাক্যের বাচনভঙ্গিতে প্রকাশ্যত র মত হচ্ছে, ইা৷, অর্থাৎ
আখিরাতেও এই ঈমান উপকারে আসবে ৷ যেমন আল্লাহ তা জানা বলেন, ৷টুৰুবুএৰু৷ প্লে

অর্থাৎ-যখন তারা ঈমান আনলে আবার আল্লাহ্ তাআলা বলেন ব্রি

ষ্ট্রু১ ষ্৷ ৷ ণ্ড্রঢুষ্; প্ ;;£& ষ্ক্কুকু স্টুট্রুন্ এ৷ স্৷ ৷ ণ্া১াৰু১ ক্লে৷ ৷ ণ্এে,া,

অর্থাৎ-তা ৩াকে ইউনুস (আ) আমি লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্ৰতি প্রেরণ করেছিলাম
এবং তারা ঈমান এনেছিল ৷ ফলে আমি তাদেরকে কিছু কালের জন্য জীবনােপভােগ করতে
দিয়েছিলাম ৷
অর্থাৎ এ আয়াতে উল্লেখিত কিছু কালের জন্যে জীবনােপভােগ ও আখিরাতে আমার ব ভ
হ্ব বার মধ্যে কোন বৈপরিতা নেই ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷


هَذَا الْإِيمَانُ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ، فَيُنْقِذُهُمْ مِنَ الْعَذَابِ الْأُخْرَوِيِّ، كَمَا أَنْقَذَهُمْ مِنَ الْعَذَابِ الدُّنْيَوِيِّ؟ عَلَى قَوْلَيْنِ، الْأَظْهَرُ مِنَ السِّيَاقِ: نَعَمْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. كَمَا قَالَ تَعَالَى: {لَمَّا آمَنُوا} [يونس: 98] وَقَالَ تَعَالَى: {وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ - فَآمَنُوا فَمَتَّعْنَاهُمْ إِلَى حِينٍ} [الصافات: 147 - 148] وَهَذَا الْمَتَاعُ إِلَى حِينٍ لَا يَنْفِي أَنْ يَكُونَ مَعَهُ غَيْرُهُ مِنْ رَفْعِ الْعَذَابِ الْأُخْرَوِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ كَانُوا مِائَةَ أَلْفٍ لَا مَحَالَةَ. وَاخْتَلَفُوا فِي الزِّيَادَةِ ; فَعَنْ مَكْحُولٍ: عَشَرَةُ آلَافٍ. وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ، وَابْنُ جَرِيرٍ وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرٍ، عَمَّنْ سَمِعَ أَبَا الْعَالِيَةِ ; حَدَّثَنِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ «أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ قَوْلِهِ {وَأَرْسَلْنَاهُ إِلَى مِائَةِ أَلْفٍ أَوْ يَزِيدُونَ} [الصافات: 147] قَالَ: يَزِيدُونَ عِشْرِينَ أَلْفًا» . فَلَوْلَا هَذَا الرَّجُلُ الْمُبْهَمُ لَكَانَ هَذَا الْحَدِيثُ فَاصِلًا فِي هَذَا الْبَابِ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانُوا مِائَةَ أَلْفٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفًا. وَعَنْهُ، وَبِضْعَةً وَثَلَاثِينَ أَلْفًا. وَعَنْهُ، وَبِضْعَةً وَأَرْبَعِينَ أَلْفًا. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ كَانُوا مِائَةَ أَلْفٍ وَسَبْعِينَ أَلْفًا. وَاخْتَلَفُوا ; هَلْ كَانَ إِرْسَالُهُ إِلَيْهِمْ قَبْلَ الْحُوتِ أَوْ بَعْدَهُ، أَوْ هُمَا أُمَّتَانِ؟ عَلَى ثَلَاثَةِ أَقْوَالٍ، هِيَ مَبْسُوطَةٌ فِي التَّفْسِيرِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، لَمَّا ذَهَبَ مُغَاضِبًا بِسَبَبِ قَوْمِهِ، رَكِبَ سَفِينَةً فِي الْبَحْرِ، فَلَجَّتْ بِهِمْ وَاضْطَرَبَتْ، وَمَاجَتْ بِهِمْ وَثَقُلَتْ بِمَا فِيهَا، وَكَادُوا
পৃষ্ঠা - ৫৩৬
يَغْرَقُونَ، عَلَى مَا ذَكَرَهُ الْمُفَسِّرُونَ، قَالُوا: فَاشْتَوَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ عَلَى أَنْ يَقْتَرِعُوا، فَمَنْ وَقَعَتْ عَلَيْهِ الْقُرْعَةُ أَلْقَوْهُ مِنَ السَّفِينَةِ ; لِيَتَخَفَّفُوا مِنْهُ، فَلَمَّا اقْتَرَعُوا وَقَعَتِ الْقُرْعَةُ عَلَى نَبِيِّ اللَّهِ يُونُسَ، فَلَمْ يَسْمَحُوا بِهِ، فَأَعَادُوهَا ثَانِيَةً فَوَقَعَتْ عَلَيْهِ أَيْضًا، فَشَمَّرَ لِيَخْلَعَ ثِيَابَهُ وَيُلْقِيَ بِنَفْسِهِ، فَأَبَوْا عَلَيْهِ ذَلِكَ، ثُمَّ أَعَادُوا الْقُرْعَةَ ثَالِثَةً فَوَقَعَتْ عَلَيْهِ أَيْضًا ; لِمَا يُرِيدُهُ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ - إِذْ أَبَقَ إِلَى الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ - فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِينَ - فَالْتَقَمَهُ الْحُوتُ وَهُوَ مُلِيمٌ} [الصافات: 139 - 142] وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا وَقَعَتْ عَلَيْهِ الْقُرْعَةُ، أُلْقِيَ فِي الْبَحْرِ، وَبَعَثَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، حُوتًا عَظِيمًا مِنَ الْبَحْرِ الْأَخْضَرِ فَالْتَقَمَهُ، وَأَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى: أَنْ لَا تَأْكُلَ لَهُ لَحْمًا، وَلَا تُهَشِّمَ لَهُ عَظْمًا، فَلَيْسَ لَكَ بِرِزْقٍ، فَأَخْذَهُ فَطَافَ بِهِ الْبِحَارَ كُلَّهَا. وَقِيلَ: إِنَّهُ ابْتَلَعَ ذَلِكَ الْحُوتَ حُوتٌ آخَرُ أَكْبَرُ مِنْهُ. قَالُوا: وَلَمَّا اسْتَقَرَّ فِي جَوْفِ الْحُوتِ، حَسِبَ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ، فَحَرَّكَ جَوَارِحَهُ فَتَحَرَّكَتْ، فَإِذَا هُوَ حَيٌّ، فَخَرَّ لِلَّهِ سَاجِدًا، وَقَالَ: يَا رَبِّ، اتَّخَذْتُ لَكَ مَسْجِدًا لَمْ يَعْبُدْكَ أَحَدٌ فِي مَثَلِهِ. وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي مِقْدَارِ لُبْثِهِ فِي بَطْنِهِ ; فَقَالَ مَجَالِدٌ عَنِ الشَّعْبِيِّ: الْتَقَمَهُ ضُحًى، وَلَفَظَهُ عَشِيَّةً. وَقَالَ قَتَادَةُ: مَكَثَ فِيهِ ثَلَاثًا. وَقَالَ جَعْفَرٌ الصَّادِقُ سَبْعَةَ أَيَّامٍ. وَيَشْهَدُ لَهُ شِعْرُ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ: وَأَنْتَ بِفَضْلٍ مِنْكَ نَجَّيْتَ يُوُنُسَا ... وَقَدْ بَاتَ فِي أَضْعَافِ حُوتٍ لَيَالِيَا
পৃষ্ঠা - ৫৩৭


যে সকল লোকের হিদায়াতের জন্যে ইউনুস (আ) কে প্রেরণ করা হয়েছিল তাদের সংখ্যা
সুনিশ্চিত এক লাখ ছিল ৷ তবে তাফসীরকারগণের মধ্যে এক লাখের অতিরিক্ত সংখ্যা সম্বন্ধে
মতানৈক্য রয়েছে ৷ স কহুল (র) এর বর্ণনা মতে এ সংখ্যাটি ছিল দশ হাজার ৷ তিরমিজী, ইবন

জারীর তাবারী (র) ও ইবন আবু হাতিম (র) প্রমুখ উবাই ইবন কা ব (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুল (সা) কে ,§’$§;’ ১ ৷ ব্দ;াপু৷ ৷হু ৷ ৰু ষ্এ ৷ : ৷৬, ৷ এ আয়াতাংশের

তাফসীর সম্পর্কে প্রশ্ন করার তিনি বলেন, তারা এক লাখের উধের্ব বিশ হাজার ছিল ৷ আবদুল্লাহ
ইবন আব্বাস (বা)-এর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “তারা ছিলেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৷

অন্য এক সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাদের সংখ্যা ছিল
১ লাখ ৩০ হাজারের উচর্ধ্ব ৷ অন্য এক সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) থেকে ১ লাখ ৪০
হাজারের উভ্রুর্ধ্ব বলে বর্ণনা রয়েছে ৷ সাঈদ ইবন জুবাইর (বা) বলেন, “তারা সর্বসাকল্যে ১
লাখ ৭০ হাজার ছিল ৷”

সংখ্যা মাছ সংক্রান্ত ঘটনার পুর্বে ছিল, না কি পরে এ ব্যাপারেও তাফসীরকারগণের
মততেদ রয়েছে ৷ এ লোকস×খ্যা একটি সম্প্রদায়ের নাকি পৃথক পৃথক দুইটি সম্প্রদায়ের এ
নিয়েও ম৩ ভেদ আছে ৷ এই তিনটি বিষয়ে তাফসীর গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷
মোদ্দা কথা হচ্ছে, যখন ইউনুস (আ) আপন সম্প্রদায়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে৩ তার নিজ
জনপদ ত্যাগ করে অন্যত্র রওয়ানা হলেন, তখন তিনি সাগর পার হবার জন্যে অন্যদের সাথে
নৌকা ৷য় উঠলেন ৷ নৌকা টি কিছুক্ষণ পর যা ৷ত্রীদের নিয়ে উত্তাল৩ তরঙ্গের মধ্যে পড়লো ৷ নৌকাঢি
ঘুরপাক খেতে লাগলো এবং ডুবুডুবু অবস্থায় পতিত হলো ৷ তাফসীরকারদের বর্ণনা মতে,
তাদের সকলের ডুবে মরার উপক্রম হল ৷ তাফসীরকারগণ বলেন, নাবিক ও যাত্রীরা মিলে
পরামর্শ করল এবং লটারীর মাধ্যমে পলাতক অপরাধী সম্পর্কে একটি সিদ্ধান্তে পৌছতে তারা
মনস্থু করল ৷ তারা স্থির করল, লটারীতে যার নাম উঠবে অন্যদেরকে রক্ষা করার জন্যে তাকে
নৌকা থেকে ফেলে দিতে হবে ৷ লটারীতে আল্লাহর নবী ইউনুস (আ) এর নাম উঠলে৷ ৷ এতে
তারা তাকে নৌকা থেকে ফেলে দেবার সিদ্ধান্তে না পৌছে পুনরায় লটারী করে কিন্তু এবারও
তার নাম উঠে ৷ আল্লাহর নবী অন্যদেরকে রক্ষা করার জন্যে আপন কাপড় খুলে ঝাপ দেবার
জন্যে ভৈ৩ বি হলেন কিন্তু নাবিক ও যাত্রীর৷ তাকে বাধা দিল বরং তারা পুনরায় লটারী করলো
এবং তৃতীয় বারেও আল্লাহ তা আলার কোন মহান উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে তারই নাম ওঠে ৷

আল্লাহ তা অ লা৷ এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে ইরশাদ করেন ং

ঞ্চুক্রো ৷ ৷এ
অর্থাৎ-ইউনুস (আ)ও ছিল রাসুলদের একজন ৷ স্মরণ কর, যখন সে পলায়ন করে
বোঝ ই নৌযানে পৌছল ৷৩ তারপর সে লটারীতে যোগদান করল ও পরাভুত হল ৷ পরে এক
বিরাট মাছ তাকে গিলে ফেলল তখন সে নিজেকে ৷ধক্কায় দিতে লাগল ৷ (৩৭ সাফফাত :
১ ৩৯ : ২ )
লটারীতে ইউনুস (আ) এর নাম উঠার ফলে৩ তাকে নদীতে ফেলে দেয়৷ হল তখন আল্লাহ
তা জানা তার জন্যে সবুজ সাগর থেকে একটি বিরাট মাছ প্রেরণ করেন যা তাকে গিলে ফেলে ৷


وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي الْحَسَنِ، وَأَبُو مَالِكٍ: مَكَثَ فِي جَوْفِهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ كَمْ مِقْدَارُ مَا لَبِثَ فِيهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ لَمَّا جُعِلَ الْحُوتُ يَطُوفُ بِهِ فِي قَرَارِ الْبِحَارِ اللُّجِّيَّةِ، وَيَقْتَحِمُ بِهِ لُجَجَ الْمَوْجِ الْأُجَاجِيِّ، فَسَمِعَ تَسْبِيحَ الْحِيتَانِ لِلرَّحْمَنِ، وَحَتَّى سَمِعَ تَسْبِيحَ الْحَصَى لِفَالِقِ الْحَبِّ وَالنَّوَى، وَرَبِّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ، وَالْأَرْضِينَ السَّبْعِ، وَمَا بَيْنَهَا، وَمَا تَحْتَ الثَّرَى، فَعِنْدَ ذَلِكَ وَهُنَالِكَ قَالَ مَا قَالَ بِلِسَانِ الْحَالِ وَالْمَقَالِ، كَمَا أَخْبَرَ عَنْهُ ذُو الْعِزَّةِ وَالْجَلَالِ، الَّذِي يَعْلَمُ السِّرَّ وَالنَّجْوَى، وَيَكْشِفُ الضُّرَّ وَالْبَلْوَى، سَامِعُ الْأَصْوَاتِ وَإِنْ ضَعُفَتْ، وَعَالِمُ الْخِفْيَاتِ وَإِنْ دَقَّتْ، وَمُجِيبُ الدَّعَوَاتِ وَإِنْ عَظُمَتْ، حَيْثُ قَالَ فِي كِتَابِهِ الْمُبِينِ، الْمُنَزَّلِ عَلَى رَسُولِهِ الْأَمِينِ، وَهُوَ أَصْدَقُ الْقَائِلِينَ، وَرَبُّ الْعَالَمِينَ، وَإِلَهُ الْمُرْسَلِينَ: {وَذَا النُّونِ إِذْ ذَهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَنْ لَنْ نَقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ - فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنْجِي الْمُؤْمِنِينَ} [الأنبياء: 87 - 88] . {فَظَنَّ أَنْ لَنْ نَقْدِرَ عَلَيْهِ} [الأنبياء: 87] أَيْ ; نُضَيِّقَ. وَقِيلَ: مَعْنَاهُ نُقَدِّرُ، مِنَ التَّقْدِيرِ. وَهِيَ لُغَةٌ مَشْهُورَةٌ: قَدَرَ، وَقَدَّرَ. كَمَا قَالَ الشَّاعِرُ فَلَا عَائِدٌ ذَاكَ الزَّمَانُ الَّذِي مَضَى ... تَبَارَكْتَ مَا تُقَدِّرْ يَكُنْ فَلَكَ الْأَمْرُ {فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ} [الأنبياء: 87] قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَمْرُو بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫৩৮


অন্যদিকে আল্লাহ তাআলা মাছকে হুকুম দেন যেন সে তার অস্থি মাংস কিছু না খায় কেননা
এটা রিযিক নয় ৷৩ তারপর মাছটি তাকে ধরে নিয়ে সমস্ত সাগরময় ঘুরে রেড়ায় ৷ কেউ কেউ
বলেন, এ মাছটিকে তার চাইতে বড় আকারের আরেকটি মাছগ্ গিলে ফেলে ৷ তাফসীরকারগণ
বলেন, যখন তিনি মাছের পেটে অবস্থান করছিলেন তখন তিনি নিজকে মৃত বলেই মনে
করছিলেন ৷ এবং তিনি নিজের অঙ্গ-প্রতব্রুঙ্গ সাড়া দিয়ে এগুলো নড়ছে দেখে নিশ্চিত হন যে,
তিনি জীবিত রয়েছেন ৷ তিনি আল্লাহ তাআলার দরবারে সিজদায় পড়লেন এবং বললেন, “হে
আমার প্রতিপালক ! আমি এমন এক স্থানে আপনার দরবারে সিজদা করলাম, যেরুপ স্থানে এর
আগে আর কেউই কােনদিন সিজদা করেনি ৷”

ইউনুস (আ)-এর মাছের পেটে অবস্থানের মেয়াদ নিয়ে তাফসীরকারপণ বিভিন্ন মত প্রকাশ
করেছেন ৷ যুজালিদ (র) আল্লামা শাবী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, দিনের প্রথম
প্রহরে মাছ তাকে গিলেছিল আর শেষ প্রহরে বমি করে ডাঙ্গায় নিক্ষেপ করেছিল ৷ কাতাদা (র )
বলেন, তিনি মাছের পেটে তিনদিন অবস্থান করেছিলেন ৷ জাফর সাদিক (র) বলেন, সাত
দিন তিনি মাছের পেটে অবস্থান করেছিলেন ৷ ’ করি উমাইয়া ইবন আবুসালত এই অভিমতের
অনুকুলে বলেন :

অর্থাৎ-হে আল্লাহ তুমি অনুগ্রহ করে ইউনুস (আ) কে মুক্তি দিয়েছিলে ৷ অথচ তিনি
মাছের পেটে কয়েক রাত কাল যাপন করেছিলেন ৷ সাঈদ ইবন আবুল হাসান (র ) ও আবু
মালিক (র) বলেন, ইউনুস (আ) মাছের পেটে ৪০ দিন অবস্থান করেছিলেন ৷ তবে আল্লাহ
তাআ লাই অধিক জানেন যে কত সময় মাছের পেটে অবস্থান করেছিলেন ৷ মােদ্দাকথা, যখন
মাছটি তাকে নিয়ে সাগরের তলদেশে ভ্রমণ করছিল এবং উত্ত ল তরঙ্গমালায় বিচরণ করছিল
খনত তিনি আল্লাহ তা অ ৷লার উদ্দেশে নিবেদিত মৎস্যকৃলের৩ তাসবীহ শুনতে পেলেন এমনকি
শস্য দানা ও আটির স্রষ্টা, সাত আসমান ও সাত যমীনের প্রতিপালক, এদের মধ্যে ও মাটির
নিচে যা কিছু রয়েছে এদের প্রতিপালকের জন্যে নিবেদিত পাথরের তাসবীহও তিনি শুনতে
পান ৷ তখন তিনি মুখে ও তার অবস্থার দ্বারা যে আকৃতি জানান যে প্রসঙ্গে ইজ্জত সম্মান ও
মর্যাদার অধিকারী, গোপন কথা ও রহস্য সম্বন্ধে অবগত ;অভাব-অনটন ও মুসীবত থেকে
উদ্ধারকারী, ক্ষীণতম শব্দও শ্রবণকারী, সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম গোপন সম্পর্কেও অবগত, বড় থেকে বড়
বিষয়েও সম্যক জ্ঞাত আল্লাহ তাআল৷ তার আল-আমীন উপাধি লাতকাবী রাসুলের প্রতি
অবতীর্ণ সুস্পষ্ট কিত ৷বে ইরশাদ করেন আর তিনিও তো সর্বাধিক সত তোষী বিশ্ব জগতের
প্রতিপ৷ ৷লকং :

&)






অর্থাৎ-এবং স্মরণ কর বুননুন তথা মাছের অধিকারী ইউনুস (আ)-এর কথা, যখন সে ক্ষুব্ধ
মনে বের হয়ে গিয়েছিল এবং ভেবেছিল আমি তার জন্যে শাস্তি নির্ধারণ করব না ৷ তারপর সে


مَيْمُونٍ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ، وَالْحَسَنُ، وَقَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ: ظُلْمَةُ بَطْنِ الْحُوتِ، وَظُلْمَةُ الْبَحْرِ، وَظُلْمَةُ اللَّيْلِ. وَقَالَ سَالِمُ بْنُ أَبِي الْجَعْدِ: ابْتَلَعَ الْحُوتَ حُوتٌ آخَرُ، فَصَارَ ظُلْمَةُ الْحُوتَيْنِ مَعَ ظُلْمَةِ الْبَحْرِ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِينَ - لَلَبِثَ فِي بَطْنِهِ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ} [الصافات: 143 - 144] قِيلَ: مَعْنَاهُ ; لَوْلَا أَنَّهُ سَبَّحَ اللَّهَ هُنَالِكَ، وَقَالَ مَا قَالَ مِنَ التَّهْلِيلِ وَالتَّسْبِيحِ، وَالِاعْتِرَافِ لِلَّهِ بِالْخُضُوعِ، وَالتَّوْبَةِ إِلَيْهِ، وَالرُّجُوعِ إِلَيْهِ، لَلَبِثَ هُنَالِكَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَلَبُعِثَ مِنْ جَوْفِ ذَلِكَ الْحُوتِ. هَذَا مَعْنَى مَا رُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فِي إِحْدَى الرِّوَايَتَيْنِ عَنْهُ. وَقِيلَ: مَعْنَاهُ: فَلَوْلَا أَنَّهُ كَانَ مِنْ قَبْلِ أَخْذِ الْحُوتِ لَهُ مِنَ الْمُسَبِّحِينِ أَيِ ; الْمُطِيعِينَ الْمُصَلِّينَ الذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا. قَالَهُ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ، وَوَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَالضَّحَّاكُ، وَالسُّدِّيُّ، وَعَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، وَالْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، وَقَتَادَةُ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ وَيَشْهَدُ لِهَذَا مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَبَعْضُ أَهْلِ السُّنَنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِي: «يَا غُلَامُ، إِنِّي مُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ ; احْفَظِ اللَّهَ يَحْفَظْكَ، احْفَظِ اللَّهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ، تَعَرَّفْ إِلَى اللَّهِ فِي الرَّخَاءِ يَعْرِفْكَ فِي الشِّدَّةِ» وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ فِي " تَفْسِيرِهِ "،
পৃষ্ঠা - ৫৩৯


অন্ধকার থেকে আহ্বান করেছিল, “তুমি ব্যতীত কেন ইলাহ্ নেই; তুমি পবিত্র, মহান, আমি

তো সীমালংঘনকারী ৷” তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিবুয়ছিলাম এবংত তাকে উদ্ধার করেছিলাম

দৃশ্চিন্তা হতে এবং এভাবেই আমি মুমিনবুদরবুক উদ্ধার করে থাকি ৷ (সুরা আন্বিয়৷ : ৮ ৭-৮৮ )
আয়াতাৎ শ অর্থ হচ্ছে, ইউনুস (আ) বুভবুবছিবুলন যে,

আমি কখনও তার জন্যে শাস্তি নির্ধারণ করব না ৷ আবার কেউ বুকউ বলেন )১£৷ শব্দটি

)দ্বু১ থেকে নিষ্পন্ন ৷ আর এই ব্যাখ্যাটি প্রসিদ্ধত র ৷ একজন প্রসিদ্ধ কবি বলেনং :

এা১ ,<ৰু ,,প্রু ৷০ ;,ও,াপ্রুও র্দেণ্ণ্ চুো৷ ৷ ব্লু,ঙু)পু ৷ এ্যা১ ,;া;১া১ ১া ০

১৷ ৷
অর্থাৎ যে যুগ চলে গেছে তা আর কোন দিনও ফিরে আসবে না ৷ তুমি বরকতময়
তামার জন্য যা নির্ধারিত তা ই ঘটে থাকে ৷ হুকুম তো তােমাবই ৷

আয়াতাৎশ ;,াপু,,র্দুদ্বু৷ ! হু৷ প্রুএ্এে এব তাফসীর প্রসবুঙ্গ আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) ও
সাঈদ ইবন জুবায়র প্রমুখ মুফাসৃসির বলেন, আয়াতে উল্লেখিত ;,বুঠুন্ঝুর্চু দ্বারা মাছের পেটের
অন্ধকার, সমুদ্রের অন্ধকার এবং রাতের অন্ধকারবুক বুঝানো হয়েছে ৷ সালিম ইবনে আবুল জাদ
(র) বলেন, যে মাছটি ইউনুস (আ) কে গিবুল বুফবুলছিল, অন্য একটি মাছ আবা ৷র ওটাবুকন্ গিলে
ফেলে ৷ তাই এই দুই ধরনের অন্ধকার যুক্ত হয়েছিল ৷ত তৃতীয় অন্ধকার অর্থাৎ সমুদ্রের অন্ধকাবুরর

সাথে অন্ল্লৰুহ তৰু আলা বলেনং :

অর্থাৎ-সে যদি আল্লাহর পবিত্রত ৷ ও ম্নেমহিম৷ ঘোষণা না করত তাহলে তাকে পুনরুথিত
দিবস পর্যন্ত তার পেটে থাকবুত হত ৷ (সুরা সাফ্ফাত৪ ১ ৪৩ ১৪ : )

বুকউ বুকউ বলেন, এ আয়াবুত তর অর্থ হচ্ছে-সে যদি সেখানে আল্লাহর পবিত্রতা ও তার
মহিমা ঘোষণা না করত অ অনুনয় বিনয় সহকারে আপন ত্রুটি স্বীকা ৷র না করত, কৃতকর্মের জন্যে
লজ্জিত হয়ে আল্লাহর প্রতি তঝুবুক না পড়ত তার যে সেখানেই অর্থাৎ মাছের পেটে কিয়ামত
দিবস পর্যন্ত থাকত এবং মাছের পেট থেবুকই তাকে পুনরুথিত করা হত ৷ সাঈদ ইবনে জুবা ৷ইর
(রা) হবুত বর্ণিত দুইটি বর্ণনার একটি উপবুরাক্ত বর্ণনা ৷র মর্মার্থ প্রকাশ করে ৷

কেউ কেউ বলেন, আয়াত টির অর্থ হচ্ছে মাছ তাকেড়াগ্ গিবুল ফেলার পুর্বে যদি তিনি তা ৷ল্লাহ্

তাফসীবুরব সমর্থকবুদর মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবন৩ আব্বাস (রা), সাঈদ ইবন জুবাইর (বা ) যাহ্হাক,
সুদ্দী, আত ৷ ইবন সাঈর, হাসান বসরী (ব) ও কাতাদ৷ (র) প্রমুখের নাম বিশেষভাবে
উবুল্লখবুযাপ্য ৷ ইবন জ বীর (র)ও এই ব্যাখ্যাটি গ্রহণ করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) ও কোন
কোন সুনান গ্রন্থের সংকলক কর্তৃক আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত একটি
বুরওয়ায়েতও এর প্রমাণ বহন করে ৷ বর্ণনাটি হচ্ছে এই যে, ইবন আব্বাস (বা) বলেন, একদা
রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে সম্বোধন কবুর বলেন, হে বালক! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা
বুশখাব ৷ এগুলো তুমি সংরক্ষণ করবুব ৷ আল্লাহ তাআলা তোমার বুহফাজত করবুবন ৷ আল্লাহ


وَالْبَزَّارُ فِي " مَسْنَدِهِ "، مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ مَوْلَى أَمِّ سَلَمَةَ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا أَرَادَ اللَّهُ حَبْسَ يُونُسَ فِي بَطْنِ الْحُوتِ، أَوْحَى اللَّهُ إِلَى الْحُوتِ، أَنْ خُذْ وَلَا تَخْدِشْ لَحْمًا، وَلَا تَكْسِرْ عَظْمًا. فَلَمَّا انْتَهَى بِهِ إِلَى أَسْفَلِ الْبَحْرِ، سَمِعَ يُونُسَ حِسًّا، فَقَالَ فِي نَفْسِهِ: مَا هَذَا؟ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ، وَهُوَ فِي بَطْنِ الْحُوتِ: إِنَّ هَذَا تَسْبِيحُ دَوَابِّ الْبَحْرِ قَالَ فَسَبَّحَ وَهُوَ فِي بَطْنِ الْحُوتِ، فَسَمِعَتِ الْمَلَائِكَةُ تَسْبِيحَهُ، فَقَالُوا يَا رَبَّنَا، إِنَّا نَسْمَعُ صَوْتًا ضَعِيفًا بِأَرْضٍ غَرِيبَةٍ. قَالَ ذَلِكَ عَبْدِي يُونُسُ، عَصَانِي فَحَبَسْتُهُ فِي بَطْنِ الْحُوتِ فِي الْبَحْرِ. قَالُوا: الْعَبْدُ الصَّالِحُ الَّذِي كَانَ يَصْعَدُ إِلَيْكَ مِنْهُ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ عَمَلٌ صَالِحٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَشَفَعُوا لَهُ عِنْدَ ذَلِكَ، فَأَمَرَ الْحُوتَ فَقَذَفَهُ فِي السَّاحِلِ، كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَهُوَ سَقِيمٌ} [الصافات: 145] » هَذَا لَفْظُ ابْنِ جَرِيرٍ إِسْنَادًا وَمَتْنًا. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُهُ يُرْوَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا بِهَذَا الْإِسْنَادِ، كَذَا قَالَ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي " تَفْسِيرِهِ ": حَدَّثَنَا أَبُو عَبِيدِ اللَّهِ أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ أَخِي وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمِّي، حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ، أَنَّ يَزِيدَ الرَّقَاشِيَّ حَدَّثَهُ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ وَلَا أَعْلَمُ إِلَّا أَنَّ أَنَسًا يَرْفَعُ الْحَدِيثَ
পৃষ্ঠা - ৫৪০
إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّ يُونُسَ النَّبِيَّ عَلَيْهِ السَّلَامُ، حِينَ بَدَا لَهُ أَنْ يَدْعُوَ بِهَذِهِ الْكَلِمَاتِ، وَهُوَ فِي بَطْنِ الْحُوتِ قَالَ: اللَّهُمَّ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ. فَأَقْبَلَتِ الدَّعْوَةُ تَحِنُّ بِالْعَرْشِ، فَقَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: يَا رَبِّ، صَوْتٌ ضَعِيفٌ مَعْرُوفٌ مِنْ بِلَادٍ غَرِيبَةٍ. فَقَالَ: أَمَا تَعْرِفُونَ ذَاكَ؟ قَالُوا: يَا رَبِّ، وَمَنْ هُوَ؟ قَالَ: عَبْدِي يُونُسُ. قَالُوا: عَبَدُكَ يُونُسُ الَّذِي لَمْ يَزَلْ يُرْفَعُ لَهُ عَمَلٌ مُتَقَبَّلٌ وَدَعْوَةٌ مُجَابَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالُوا: يَا رَبِّ، أَوَلَا تَرْحَمُ مَا كَانَ يَصْنَعُهُ فِي الرَّخَاءِ، فَتُنَجِّيَهُ مِنَ الْبَلَاءِ؟ قَالَ: بَلَى. فَأَمَرَ الْحُوتَ فَطَرَحَهُ فِي الْعَرَاءِ.» وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ. زَادَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: قَالَ أَبُو صَخْرٍ حُمَيْدُ بْنُ زِيَادٍ: فَأَخْبَرَنِي ابْنُ قُسَيْطٍ وَأَنَا أُحَدِّثُهُ هَذَا الْحَدِيثَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: طُرِحَ بِالْعَرَاءِ، وَأَنْبَتَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْيَقْطِينَةَ. قُلْنَا: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، وَمَا الْيَقْطِينَةُ؟ قَالَ: شَجَرَةُ الدُّبَّاءِ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَهَيَّأَ اللَّهُ لَهُ أُرْوِيَّةً وَحْشِيَّةً تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الْأَرْضِ - أَوْ قَالَ: هَشَاشِ الْأَرْضِ - قَالَ: فَتَنْفَشِخُ عَلَيْهِ فَتَرْوِيهِ مِنْ لَبَنِهَا، كُلَّ عَشِيَّةٍ وَبُكْرَةٍ، حَتَّى نَبَتَ. وَقَالَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ فِي ذَلِكَ بَيْتًا مِنْ شِعْرِهِ فَأَنْبَتَ يَقْطِينًا عَلَيْهِ بِرِحْمَةٍ ... مِنَ اللَّهِ لَوْلَا اللَّهُ أُلْفِيَ ضَاحِيَا وَهَذَا غَرِيبٌ أَيْضًا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَيَزِيدُ الرَّقَاشِيُّ ضَعِيفٌ، وَلَكِنْ يَتَقَوَّى
পৃষ্ঠা - ৫৪১


তাআলার হুকুবুমর প্ৰতি লক্ষ্য রাখলে আল্লাহ তাআলাবুক তোমার প্রতি সভুষ্ট পাবে ৷ সচ্ছলতার
সময় আল্লাহ তাআলাকে চিনবুল ভোমা র সংকটকালে আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে চিনবুবন ৷

ইবন জ বীর তাবারী (র) তার তাফসীর গ্রবুন্থ এবং বাযযার (ব) তার মুসনাদ গ্রন্থে আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেছেন যখন আল্লাহ
তা জানা মাছের পেটে ইউনুস (আ) কে বন্দী করতে ইচ্ছে করলেন তখন তিনি মাছকে নিবুদ শ
দিলেন যে, ইউনুস (আ) কে ধর তবুব তার শরীর জখম করবে না এবং তার হাড়ও ভাঙবুব
না ৷ মাছ যখন তাবুক নিবুয় সাগরের তলবুদবুশ চলে গেল ইউনুস (আ) তখন ছিলেন মাছের
পেটে ৷ আওয়াজ শুনতে গেলেন এবং মবুন মবুন বলতে লাগবুলন, একি ব্যাপার ? আল্লাহ
তা জানা তার প্রতি এ মর্মে ওহী প্রেরণ করলেন যে, এগুলো হচ্ছে সাগরের প্রাণীদের তাসবীহ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, মাছের বুপবুট অবস্থান কালেই তিনি তাসবীহ পড়তে লাগলেন ৷ তখন
ফেরেশতাগণ বললেন, হে আমাদের প্ৰতিপালকৰু এই জনমানবহীন স্থানে আমরা একটি
আওয়াজ শুনতে পাচ্ছি ৷ জবাবে আল্লাহ তাআল৷ বললেন, এ আমার বান্দা ইউনুস (আ) )৷ সে
আমার নাফরমানী করেবুছ৩ তাই আমি তাকে সাগরের মাছের পেটে কবুয়দ করেছি ৷ বুফবুরশতারা
বললেন, “তিনি কি ঐ সত্বান্দা নন, যার বুনক আমল প্রতি দিনই আপনার দরবারে পৌছত?”
আল্লাহ্ তাআলা বললেন : হীা’ ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) ববুলন, তখন ফেবুরশতাগণ আল্লাহ তাআলার দরবারে তার জন্যে সুপারিশ
করলেন ৷ সুপারিশ মঞ্জুর করে আল্লাহ তাআলা তাবুক সাগরের কিনারে ফেলে দেবার জন্যে
মাছকে নির্দেশ দিলেন ৷ সেই মতে মাছ তাবুক সাগরের কিনারায় ফেলে চলে গেল ৷ এই অবস্থার
কথাই অ ৷ল্লাহ্ তা জানা বলেন, ছুট্রু;ন্নুন্র্দু দ্বুএ৷ §, অর্থাৎ যে ছিল রুগ্ন ৷ (সুরা সাফ্ফাত : ১৪৩ )

এটা ৷হবুলা ইবন জারীর (র) এর ভাষ্য ৷ বায্যার (র) বলেন, এ সনদ ছাড়া আর কোন
সনবুদ এই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই ৷ ইবন হাতীম (র) তার তাফসীবুর
বলেন, আন স ইবৃবুন মালিক (বা) হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন
ইউনুস (আ) মাছের পেটে অবস্থানরত অবস্থায় নিম্ন বর্ণিত শব্দমালার মাধ্যমে আল্লাহ তা জানার


কাংছ দু আ করেন :

অর্থাৎ-হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই; তুমি পবিত্র, মহান! আমি তো
সীমালংঘনকারী ৷ (সুরা আম্বিয়া : ৮৭)

এই দৃআব গুনগুন আওয়াজ আল্লাহ৩ তাআলার আরশে পৌছলে ফেবুরশতাগণ বললেন, হে
আমাদের প্রতিপালক! জনমানবহীন ভুমি থেকে যে ক্ষীণ আওয়াজ আসছে তা যেন পরিচিত ৷
আল্লাহ তা আলা বলেন, তোমরা কি এ শব্দ বুচন নাঃ তারা বললেন, হে আমাদের প্রনিপ লক
তিনি কো আল্লাহ্ তা জানা বললেন, আমার বান্দ৷ ইউনুস ৷ ত ৷র৷ বললেন, আপনার বান্দা ৷সেই
ইউনুস (আ) যীর আমল সব সময়ই গ্রহণীযরুবুপ আপনার দরবারে উথিত হতো ? তারা আরো
বললেন, হে আমাদের প্রতিপালকৰু তিনি স্বাচ্ছন্দোর সময় যে আমল করতেন এর বিনিময়ে
আপনি কি দু বুখর সময় তার প্রতি সদয় হবেন না? এবং সংবস্ট থেকে তাকে উদ্ধার করবেন
না? আল্লাহ তা আলা বললেন : হ্যা ৷ তখন মাছবুক৩ তিনি নির্দেশ দিবুলন ৷ তখন মাছ তাকে এক


بِحَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ الْمُتَقَدِّمِ، كَمَا يَتَقَوَّى ذَاكَ بِهَذَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَنَبَذْنَاهُ} [الصافات: 145] أَيْ ; أَلْقَيْنَاهُ بِالْعَرَاءِ وَهُوَ الْمَكَانُ الْقَفْرُ الَّذِي لَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْأَشْجَارِ، بَلْ هُوَ عَارٍ مِنْهَا {وَهُوَ سَقِيمٌ} [الصافات: 145] أَيْ ; ضَعِيفُ الْبَدَنِ. قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: كَهَيْئَةِ الْفَرْخِ، لَيْسَ عَلَيْهِ رِيشٌ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَالسُّدِّيُّ، وَابْنُ زَيْدٍ: كَهَيْئَةِ الصَّبِيِّ حِينَ يُولَدُ، وَهُوَ الْمَنْفُوسُ، لَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ {وَأَنْبَتْنَا عَلَيْهِ شَجَرَةً مِنْ يَقْطِينٍ} [الصافات: 146] قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَعِكْرِمَةُ، وَمُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَوَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ، وَهِلَالُ بْنُ يَسَافٍ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ، وَعَطَاءٌ الْخُرَاسَانِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ: هُوَ الْقَرْعُ. قَالَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ: فِي إِنْبَاتِ الْقَرْعِ عَلَيْهِ حِكَمٌ جَمَّةٌ ; مِنْهَا أَنَّ وَرَقَهُ فِي غَايَةِ النُّعُومَةِ، وَكَثِيرٌ وَظَلِيلٌ، وَلَا يَقْرَبُهُ ذُبَابٌ، وَيُؤْكَلُ ثَمَرُهُ مِنْ أَوَّلِ طُلُوعِهِ إِلَى آخِرِهِ، نِيئًا وَمَطْبُوخًا، وَبِقِشْرِهِ وَبِبِزْرِهِ أَيْضًا، وَفِيهِ نَفْعٌ كَثِيرٌ، وَتَقْوِيَةٌ لِلدِّمَاغِ، وَغَيْرُ ذَلِكَ. وَتَقَدَّمَ كَلَامُ أَبِي هُرَيْرَةَ فِي تَسْخِيرِ اللَّهِ تَعَالَى لَهُ تِلْكَ الْأُرْوِيَّةَ الَّتِي كَانَتْ تُرْضِعُهُ لَبَنَهَا، وَتَرْعَى فِي الْبَرِّيَّةِ، وَتَأْتِيهِ بُكْرَةً وَعَشِيَّةً. وَهَذَا مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ بِهِ، وَنِعْمَتِهِ عَلَيْهِ، وَإِحْسَانِهِ إِلَيْهِ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى {فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ} [الأنبياء: 88] أَيِ ; الْكَرْبِ وَالضِّيقِ الَّذِي كَانَ فِيهِ {وَكَذَلِكَ نُنْجِي الْمُؤْمِنِينَ} [الأنبياء: 88]
পৃষ্ঠা - ৫৪২


তৃণহীন প্রাম্ভরে নিক্ষেপ করল ৷ আবু হুরায়রা (রা) থেকে অতিরিক্তি বর্ণনায় রয়েছে, সেখানে
আল্লাহ তাআল৷ তার জন্যে একটি লাউ গাছ জন্মালেন এবং তার জন্যে একটি পােকামাকড়
ভোজী বন্য ছাগলের ব্যবস্থা করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, প্রাণীটি তার জন্যে পা এলিয়ে দিত
এবং সকাল ও সন্ধ্যায় তাকে তৃপ্ত করে দুধ পান করাতাে যাবৎ না সেখানে ঘাসপাতা গজিয়ে
ওঠে ৷ প্রসিদ্ধ কবি উমাইয়া ইবন আবু সালত এ সম্পর্কে একটি কবিতা বলেন :

অর্থাৎ-আল্লাহ তাআল৷ দয়াপরবশ হয়ে তার জন্যে একটি লাউপাছ জন্মালেন; নচেৎ তিনি
দুর্বলই থেকে যেতেন ৷

বণ্টাটি গরীব পর্যায়ের ৷ তবে পুর্বোক্ত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত হাদীসের দ্বারা এটি
সমর্থিত ৷ আল্লাহই সম্যক জ্ঞাত ৷

আল্লাহ্ তাআল৷ ইরশাদ করেন ং

অর্থাৎ-অতঃপর ইউনুস (আ)-কে আমি নিক্ষেপ করলাম এক তৃণহীন প্রাম্ভরে এবং সে

ছিল রুগ্ন ৷ পরে আমি তার উপর একটি লাউপাছ উদ্গত করলাম ৷ (সুরা সাফফাত :
১৪৫ ১৪৬)

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) বলেন ণ্ঝু০দ্বু০দ্বু, এর অর্থ হচ্ছে দুর্বলদেহী যেন পাখির ছানা
যার পালক গজ মনি ৷ ইবন আব্বাস (রা), সুদ্দী এবং ইবন যায়েদ (র) ণ্ৰুপুন্নু০ এর ব্যাখ্যায়
বলেন যেন সদ্য প্রসু৩ নেতিয়ে পড়ে থাকা গুই সাপের বাচ্চা ৷

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) ও ইবন আব্বাস (রা ), ইকরিমা, মুজাহিদ (র) সাঈদ ইবন
জুবায়ের (র) প্রমুখ মুফাল্সিরের মতে, পু)া এর অর্থ লাউ গাছ ৷

উলামায়ে কিরামের কেউ কেউ বলেন, লড়াউগাছ উদগত করার মধ্যে প্রচুর হিকমত রয়েছে ৷
যেমন লাউ গাছের পাতা খুবই কোমল, সং থ্যায় বেশি, ছায়াদার, মাছি ৩ার নিকটে যায় না,
তার ফল ধরার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তা খাওয়া যায়, কাচা ও রান্না করে খ৷ ৷ওয়৷ যায়, বাকল
ছাড়া ও বাকলসহ এবং বীচিও খাওয়া যায় ৷৩ তার মধ্যে অনেক উপক বিাও রয়েছে ৷ এটা
মস্তিষ্কের শক্তি বর্ধক এবং তাতে অন্য অনেক গুণাগুণ রয়েছে ৷ অ বু হুরায়রা (বা) )-এর বর্ণনা
পুর্বেই বিবৃত হয়েছে ৷ আল্লাহ তাআলা তার জন্যে একটি বন্য ছাগলের ন্যায় প্রাণীকে
নিয়োজিত রেখেছিলেন যা তাকে তার দুধ খ৷ ওয়াত, মাঠে চরত এবং সকাল ও সন্ধ্যায় তার
কাছে আসত ৷ এটা তার প্রতি আল্লাহ তা আলার রহমত, নিয়ামত ও অনুগ্রহ রুপে গণ্য ৷

এজন্যেই আল্লাহ তাআলা বলেছেন :


অর্থাৎ তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিলাম এবং তাকে উদ্ধার করলাম দুশ্চিম্ভা থেকে ৷
অর্থাৎ যে সৎ কটে তিনি পতিত হয়েছিলেন তা থেকে ৷ এভ৷ ৷বেই আমি মুমিনদেব উদ্ধার করে


أَيْ ; وَهَذَا صَنِيعُنَا بِكُلِّ مُؤْمِنٍ دَعَانَا وَاسْتَجَارَ بِنَا. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي عِمْرَانُ بْنُ بَكَّارٍ الْكَلَاعِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا أَبُو يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ وَهُوَ ابْنُ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «: اسْمُ اللَّهِ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ، وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى، دَعْوَةُ يُونُسَ بْنِ مَتَّى قَالَ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هِيَ لِيُونُسَ خَاصَّةً أَمْ لِجَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ؟ قَالَ هِيَ لِيُونُسَ خَاصَّةً، وَلِلْمُؤْمِنِينَ عَامَّةً إِذَا دَعَوْا بِهَا، أَلَمْ تَسْمَعْ قَوْلَ اللَّهِ تَعَالَى: {فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ - فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنْجِي الْمُؤْمِنِينَ} [الأنبياء: 87 - 88] » فَهُوَ شَرْطٌ مِنَ اللَّهِ لِمَنْ دَعَاهُ بِهِ وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ حَنْطَبٍ - قَالَ أَبُو خَالِدٍ: أَحْسَبُهُ عَنْ مُصْعَبٍ. يَعْنِي ابْنَ سَعْدٍ - عَنْ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ دَعَا بِدُعَاءِ يُونُسَ اسْتُجِيبَ لَهُ.» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ: يُرِيدُ بِهِ {وَكَذَلِكَ نُنْجِي الْمُؤْمِنِينَ} [الأنبياء: 88] وَهَذَانِ طَرِيقَانِ عَنْ سَعْدٍ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৩


থাকি ৷ অর্থাৎ যারা আমার কাছে ফরিয়াদ করে ও আশ্রয় প্রার্থ্যা৷ করে তাদের প্রতি এই আমার
চিরাচরিত রীতি ৷

ইবন জারীর (র) আবু ওক্কাসের পৌত্র সাদ ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে শুনেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা ) ইরশাদ করেন, ইউনুস
(আ) ইবন মাত্তার দুআয় ব্যবহৃত আল্লাহ্ তাআলার নাম নিয়ে দুআ করা হলে তিনি তাতে
সাড়া দেন এবং কিছু চাওয়া হলে তিনি তা দান করেন ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসুল (না)! এটা কি শুধু ইউনুস (আ)-এর জন্যে খান
ছিল, না কি সকল মুসলমানের জন্যেওন্’ উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন : এটা ইউনুস
(আ)-এর জন্যে বিশেষভাবে এবং সাধারণভাবে মুসলমানদের জন্যে যদি তারা এ দুআ করে ৷
তুমি কি আল্লাহর বাণী লক্ষ্য করনি ৷ যাতে তিনি বলেছেন : &এ

?

) ন্
;,পুন্ (১ন্দ্বু ৷ ১ এেঠাঠুপুপ্

ঙুাৰুর্চুপ্ঠুহুপ্া৷াব্লুা৷

কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দু আ করবে তার জন্যে শর্ত হচ্ছে ইউনুস (আ) যে দু আ
করেছেন যে দুআ করা ৷ অন্য এক সুত্রে সাদ ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইউনুস (আ)-এর দুআর শব্দ মালায় দৃআ করে তার
দুআ কবুল করা হয় ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ হাদীসের দ্বারা ন্ৰুড্রুএেদ্ভুগ্লু ৷ ঢাষ্ট“ এ! ৷;৷ত্ ;
-এর দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷ ইমাম মুহাম্মদ (র ) হতে বর্ণিত ৷ তিনি সাদ ইবন মালিক (রা )
হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, একদিন আমি উসমান ইবন আফ্ফান (রা)-এর সাথে
মসজিদে দেখা করলাম এবং তাকে আমি সালাম দিলাম ৷ তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট মনে হল
কিন্তু তিনি আমার সালামের উত্তর দিলেন না ৷ আমি উমর (রা)-এর নিকট গেলাম এবং
বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! স লা৷মের সম্বন্ধে কি কিছু ঘটে গেছে? তিনি বললেন না তবে
ব্যাপার কি? আমি বললড়াম কিছু নয়৩ তবে আমি উসমান (রা) এর সাথে এই মাত্র মসজিদে
দেখা করলাম, র্তাকে সালাম দিলাম ৷ তিনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট মনে হল কিন্তু আমার সালামের
উত্তর দেননি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, উমর (রা) উসমান (রা)-এর নিকট একজন লোক পাঠালেন
এবং ভীকে ডাকলেন, অতঃপর তিনি বললেন তুমি আমার ভাইয়ের সালামের উত্তর কেন দিলে
না? উসমান (রা) বললেন, না আমি এরুপ কাজ করিনি ৷ সাদ (রা) বললেন, না তিনি এরুপ
করেছেন ৷ এতে দু’জনই শপথ করে নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, পরে
যখন উসমান (রা)-এর স্মরণ হয় তখন তিনি বললেন ইা, আল্লাহ্ তাআলার কাছে আমি
ক্ষমাপ্রার্থী ৷ আল্লাহর কাছে আমি তওব৷ করছি ৷ তুমি আমার সাথে এই মাত্র দেখা করেছিলে
কিন্তু আমি মনে মনে এমন একটি কথা নিয়ে নিজে চিম্ভামগ্ন ছিলাম যা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা )
থেকে শুনেছি ৷ আল্লাহ্র কলম! যখনই আমি এটা স্মরণ করি তখনই এটা যেন আমার চোখ,
মুখ ও অস্তরকে আচ্ছন্ন করে ফেলে ৷ সাদ (রা) বললেন, আমি আপনাকে একটি হাদীস সম্পর্কে

ৎবাদ দিচ্ছি, রাসুলুল্লাহ (না) একদিন আমাদের সামনে উত্তম দুআ সম্বন্ধে আলোচনা শুরু
করেন এমন সময় এক বেদুঈন আসল এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অন্যদিকে নিবিষ্ট করে


وَثَالِثٌ أَحْسَنُ مِنْهُمَا ;قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي وَالِدِي مُحَمَّدٌ، عَنْ أَبِيهِ سَعْدٍ - وَهُوَ ابْنُ أَبِي وَقَّاصٍ - قَالَ: مَرَرْتُ بِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ فِي الْمَسْجِدِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَمَلَأَ عَيْنَيْهِ مِنِّي ثُمَّ لَمْ يَرْدُدْ عَلَيَّ السَّلَامَ، فَأَتَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ هَلْ حَدَثَ فِي الْإِسْلَامِ شَيْءٌ؟ مَرَّتَيْنِ. قَالَ: لَا، وَمَا ذَاكَ؟ قُلْتُ: لَا، إِلَّا أَنِّي مَرَرْتُ بِعُثْمَانَ آنِفًا فِي الْمَسْجِدِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَمَلَأَ عَيْنَيْهِ مِنِّي، ثُمَّ لَمْ يَرْدُدْ عَلَيَّ السَّلَامَ. قَالَ: فَأَرْسَلَ عُمَرُ إِلَى عُثْمَانَ فَدَعَاهُ، فَقَالَ: مَا مَنَعَكَ أَنْ لَا تَكُونَ رَدَدْتَ عَلَى أَخِيكَ السَّلَامَ؟ قَالَ: مَا فَعَلْتُ. قَالَ سَعْدٌ: قُلْتُ: بَلَى. حَتَّى حَلَفَ وَحَلَفْتُ. قَالَ: ثُمَّ إِنْ عُثْمَانَ ذَكَرَ، فَقَالَ: بَلَى، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ، إِنَّكَ مَرَرْتَ بِي آنِفًا، وَأَنَا أُحَدِّثُ نَفْسِي بِكَلِمَةٍ سَمِعْتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَا وَاللَّهِ، مَا ذَكَرْتُهَا قَطُّ إِلَّا تَغَشَّى بَصَرِي وَقَلْبِي غِشَاوَةٌ. قَالَ سَعْدٌ: فَأَنَا أُنْبِئُكَ بِهَا، «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَكَرَ لَنَا أَوَّلَ دَعْوَةٍ، ثُمَّ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَشَغَلَهُ، حَتَّى قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاتَّبَعْتُهُ، فَلَمَّا أَشْفَقْتُ أَنْ يَسْبِقَنِي إِلَى مَنْزِلِهِ، ضَرَبْتُ بِقَدَمِي الْأَرْضَ، فَالْتَفَتَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ أَبُو إِسْحَاقَ؟ قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ، يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَمَهْ؟ قُلْتُ: لَا وَاللَّهِ، إِلَّا أَنَّكَ ذَكَرْتَ لَنَا أَوَّلَ دَعْوَةٍ، ثُمَّ جَاءَ هَذَا الْأَعْرَابِيُّ فَشَغَلَكَ. قَالَ: نَعَمْ، دَعْوَةُ ذِي النُّونِ ; إِذْ
পৃষ্ঠা - ৫৪৪
هُوَ فِي بَطْنِ الْحُوتِ: {لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ} [الأنبياء: 87] فَإِنَّهُ لَمْ يَدْعُ بِهَا مُسْلِمٌ رَبَّهُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلَّا اسْتَجَابَ لَهُ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৫৪৫


ফেললে৷ ৷ রাসুলুল্লাহ (না) উঠে দাড়ালেন, আমিও রাসুল (না)-এর অনুসরণ করলাম ৷ যখন
আমার আশঙ্কা হলো যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমি পৌছে যাওয়ার পুর্বে তিনি আপন ঘরে পৌছে
যাবেন, তখন আমি মাটিতে জোরে পা দিয়ে আঘাত করলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার
দিকে ফিরেত কালেন এবং বললেন, কে হো আবু ইসহাক নাকাি জবাবে আমি বললাম, হীা,
আমিই হে আল্লাহ্র রাসুল (সা) তিনি বললেন, কি জন্য এই আওয়াজ? বললাম, মারাত্মক
কিছুই না, আল্লাহ্র শপথ আপনি আমাদের কাছে উত্তম দৃঅ৷ সম্বন্ধে আলোচনা করছিলেন ৷
ইতিমধ্যে বেদুঈনটি আসল ও আপনার কথায় ব্যাঘাত ঘটাল ৷

তিনি বললেন হীা, এটা হচ্ছে মৎস্য-সহচরের মাছের ৰুপব্লুট অবস্থানকালীন দৃ আ ৷

দু আটি হচ্ছে : ৷ ১া

যখনই কোন মুসলিম কোন বিষয়ে আপন প্রতিপালকের কাছে কখনও এই দুআ করে
তখনই তা কবুল করা হয় ৷ এ হাদীসটি ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবন সাদ সুত্রে তিরমিযী ও
নানা ৷ঈ (র ) বর্ণনা করেছেন ৷

ইউনুস (আ) এর মর্যাদা
সুরায়ে সাফ্ফাতে আল্লাহ ত৷ আলা ইরশাদ করেন ;, ট্াশু, এ ! ৰু,ং৷ )শু ৰুদ্বুর্দু দ্বুা
অর্থাৎ নিশ্চয় ইউনুস ছিল রাসুলদের একজন (৩৭ সাফ্ফাত৪ ১৩৯)
অনুরুপভাবে সুরায়ে নিস৷ ও আনআমে তাকে আন্বিয়ায়ে কিরামের অন্তর্ভুক্ত বলে উল্লেখ
করা হয়েছে ৷ তাদের উপর আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ধিত হোক ৷
ইমাম আহমদ (র) আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সুত্রে বর্ননা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন :

ষ্-এ্যা ৰুএ
অর্থাৎ-কারো একথা বলা উচিত তনয় যে, আমি ইউনুস (আ) ইবন মাত্তা ওখহ্মে উত্তম ৷
ইমাম বুখাবী (র) সুফিয়ান আছ ছাত্তরী (র) ও ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইরশাদ করেন :
ন্নে
অর্থাৎ-কারো একথা বলা উচিত নয় যে আমি ইউনুস (আ) ইবন মাত্তা থেকে উত্তম ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বাকেদ্র ইউনুস (আ) (কত তার পিতার দিকে সম্পর্কিত করেছেন ৷ ইমাম
মুসলিম (র) ও আবু দাউদ (র) অন্য এক সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আব্দুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন :
তাবারানীর বর্ণনায় এে ৷ শব্দটি অতিরিক্ত রয়েছে ৷ অর্থাৎ আল্লাহর নিকট উত্তম ৷
বর্ণনাটির সনদ ত্রুটিমুক্ত ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া ( ১ম খণ্ডুলোঃড্রুজ্জাএ্যা০জ্যো

[فَضْلُ يُونُسَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] ذِكْرُ فَضْلِ يُونُسَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِنَّ يُونُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِينَ} [الصافات: 139] . وَذَكَرَهُ تَعَالَى فِي جُمْلَةِ الْأَنْبِيَاءِ الْكِرَامِ، فِي سُورَتَيِ " النِّسَاءِ " و " الْأَنْعَامِ "، عَلَيْهِمْ مِنَ اللَّهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا: حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَا يَنْبَغِي لِعَبْدٍ أَنْ يَقُولَ: إِنِّي خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى» وَنَسَبَهُ إِلَى أَبِيهِ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، وَمُسْلِمٌ، وَأَبُو دَاوُدَ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ. قَالَ شُعْبَةُ فِيمَا حَكَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْهُ: لَمْ يَسْمَعْ قَتَادَةُ مِنْ أَبِي الْعَالِيَةِ سِوَى أَرْبَعَةِ أَحَادِيثَ، هَذَا أَحُدُهَا. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ،
পৃষ্ঠা - ৫৪৬


ইমাম বুখারী (র) ও মুসলিম (র) আবু হুরায়রা (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন
রাসুলুল্লাহ (সা) ইরশাদ করেন : ’
ধু
ইমাম বুখারী (র) ও মুসলিম (র) অন্য এক সুত্রে সারা জাহাদুনর উপর মুসা (আ) এর
শ্রেষ্ঠতৃ দাবি করায় জনৈক ইহুদীর জনৈক মুসলমান কর্তৃক প্রহৃত হবার ঘটনা আবু হুরায়রা (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, তার ইমাম বুখারী (র) হাদীসের শেসাংশে বলেন :
; ণ্ৰুএে :ি
অর্থাৎ কেউ যেন ইউনুস (আ) থেকে নিজেকে উত্তম বলে মনে না করে ৷
অন্য বর্ণনায় রয়েছে : শ্ব
অর্থাৎ আমাকে (অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে) ইউনুস (আ ) ইবন মতো থেকে উত্তম মনে
করা সযীচীন নয় ৷
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
শ্নোফো ধু
অর্থাৎ-আমাকে অন্যান্য নবীর উপর শ্রেষ্ঠতৃ দিও না , ইউনুস (আ ) এর উপরও নয় ৷
এটা অবশ্য রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিনয় প্রকাশের জন্যে বল্যেছন ৷ আল্লাহর রহমত ও শান্তি তার
প্ৰতি ও অন্যান্য নবী-রাসুলের প্রতি বর্নিত হোক !


عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «وَمَا يَنْبَغِي لِعَبْدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَرَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ كَيْسَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، أَنْبَأَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي يَحْيَى الْقَتَّاتِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى» إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعْتُ حُمَيْدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا يَنْبَغِي لِعَبْدٍ أَنْ يَقُولَ: أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى» وَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ. وَفِي " الْبُخَارِيِّ " وَ " مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فِي قِصَّةِ الْمُسْلِمِ الَّذِي لَطَمَ وَجْهَ الْيَهُودِيِّ حِينَ قَالَ: لَا وَالَّذِي اصْطَفَى مُوسَى عَلَى الْعَالَمِينَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي آخِرِهِ: «وَلَا أَقُولُ: إِنَّ أَحَدًا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى» أَيْ ; لَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يُفَضِّلَ نَفْسَهُ عَلَى يُونُسَ. وَفِي رِوَايَةٍ: «لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৫৪৭
يُفَضِّلَنِي عَلَى يُونُسَ بْنِ مَتَّى» كَمَا قَدْ وَرَدَ فِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ: «لَا تُفَضِّلُونِي عَلَى الْأَنْبِيَاءِ، وَلَا عَلَى يُونُسَ بْنِ مَتَّى» وَهَذَا مِنْ بَابِ الْهَضْمِ وَالتَّوَاضُعِ مِنْهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَعَلَى سَائِرِ أَنْبِيَاءِ اللَّهِ وَالْمُرْسَلِينَ.