আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر ذرية إبراهيم عليه الصلاة والسلام

قصة ذي الكفل

পৃষ্ঠা - ৫১৮

যুল-কিফ্ল এর ঘটনা
একদল মনে করেন, যুল-কিফ্ল হযরত আইয়ুব (আ)-এর পুত্র ৷ আল্লাহ তাআলা সুরা

আন্বিয়ায় আইয়ুব (আ) এর ঘটনা বর্ণনাশেষে বলেনং :





এবং ইসমাঈল, ইদরীস ও যুল কিফ্লের কথা স্মরণ কর, তারা প্রতেব্রকেই ছিল
সবরকারী ৷ আমি তাদেরকে আমার রহমতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম ৷ তারা ছিল
সৎকর্মপরায়ণ ৷ (২১৪ ৮৫ ৮৬)

সুরা সাদেও আইয়ুব (আ) এর ঘটনা বলার পরে আল্লাহ বলেন :
এদ্বু১ ৷এ



দু



এও১াএ

স্মরণ কর, আমার বান্দা ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা, তারা ছিল শক্তিশালী ও

সুক্ষ্মদর্শী ৷ আমি তাদেরকে এক বিশেষ গুণের অধিকারী করেছিলাম অর্থাৎ পরকালের স্মরণ ৷

অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত ও উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ স্মরণ কর, ইসমাঈল,
আল-ইয়াসাআ ও যুল-কিফ্লের কথা ৷ এরা প্রত্যেকেই ছিল সজ্জন ৷ (সুরা সাদ : ৪ ৫ : ৮ )

কুরআনের এসব আয়াতে উল্লেখিত মহান নবীগণের সাথে যুল-কিফ্লের নামও প্রশংসা
একত্রে উল্লেখ থাকায় স্পষ্টত বোঝা যায় যে, তিনিও নবী ছিলেন ৷ তার সম্পর্কে এ মত
প্রসিদ্ধ ৷ এটা অনেকেরই ধারণা, যুল-কিফ্ল নবী ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন একজন পুণ্যবান
ও ন্যায়পরায়ণ শাসক ৷ ইবন জারীর (র) এ ব্যাপারে মতামত প্রকাশে বিরত রয়েছেন ৷ আল্লাহ
সর্বজ্ঞ ৷

ইবন জারীর (র) ও ইবন আবু নাজীহ্ (র) মুজাহিদ (র) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে,
যুল কিফ্ল নবী ছিলেন না ৷ বরং তিনি ছিলেন একজন পুণ্যবান ব্যক্তি-ষ্ তার সম্প্রদায়ের প্রতি
প্রেরিত নবীর পক্ষ থেকে তিনি এই দায়িতৃ গ্রহণ করেন যে,৩ তিনি সম্প্রদায়ের লোকজনের
দেখাশোনা করবেন এবং ন্যায়-নীতিব সাথে তাদের বিচার-মীমাংসা করবেন ৷ এই কারণে তাকে
যুল-কিফ্ল (জিম্মড়াদার) নামে অভিহিত করা হয় ৷

ইবন জারীর (র) ও ইবন আবী হাতিম (র) মুজাহিদ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন : হযরত
ইয়াসাআ যখন বয়ােবৃদ্ধ হন তখন তিনি ভাবলেন, যদি আমার জীবদ্দশায় একজন লোককে


[قِصَّةُ ذِي الْكِفْلِ] وَهَذِهِ قِصَّةُ ذِي الْكِفْلِ الَّذِي زَعَمَ قَوْمٌ أَنَّهُ ابْنُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى بَعْدَ قِصَّةِ أَيُّوبَ فِي سُورَةِ الْأَنْبِيَاءِ: {وَإِسْمَاعِيلَ وَإِدْرِيسَ وَذَا الْكِفْلِ كُلٌّ مِنَ الصَّابِرِينَ وَأَدْخَلْنَاهُمْ فِي رَحْمَتِنَا إِنَّهُمْ مِنَ الصَّالِحِينَ} [الأنبياء: 85] [ص: 45 - 48] . فَالظَّاهِرُ مِنْ ذِكْرِهِ فِي الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ بِالثَّنَاءِ عَلَيْهِ مَقْرُونًا مَعَ هَؤُلَاءِ السَّادَةِ الْأَنْبِيَاءِ أَنَّهُ نَبِيٌّ عَلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ، وَقَدْ زَعَمَ آخَرُونَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا، وَإِنَّمَا كَانَ رَجُلًا صَالِحًا وَحَكَمًا مُقْسِطًا عَادِلًا. وَتَوَقَّفَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي ذَلِكَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ: أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا، وَإِنَّمَا كَانَ رَجُلًا صَالِحًا، وَكَانَ قَدْ تَكَفَّلَ لِبَنِي قَوْمِهِ أَنْ يَكْفِيَهُ أَمْرَهُمْ، وَيَقْضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْعَدْلِ فَفَعَلَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯


সমাজের বুকে কাজ করার জন্যে দায়িত্ব দিতে পারতাম এবং কিভাবে যে দাযিতু পালন করে
তা স্বচক্ষে দেখতে পারতাম, তাহলে মনে শান্তি পেতাম ৷ এরপর তিনি লোকজনকে জড়ো করে
বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছ, যে তিনটি কাজ করার অঙ্গীকার করলে তাকে আমি আমার
স্থলাভিষিক্ত করব ৷ কাজ তিনটি এই : দিনে সওম পালন করবে, রাতে জেগে ইবাদভ করবে
এবং কখনও রাপাম্বিত হতে পারবে না ৷ এ কথার পর বাহ্যদৃষ্টিতে সাধারণ বলে গণ্য এক ব্যক্তি
র্দাড়িয়ে বলল-আমি পারব ৷ তখন তিনি বললেন, তুমি কি দিনে সওয করতে, রাত্রে জেগে
ইবাদভ করতে ও রাগাম্বিত না হয়ে থাকতে পারবে? সে বলল, হীড়া, পারব ৷ এরপর সেদিনের
মত সবাইকে বিদায় দিলেন ৷ পরের দিন পুনরায় লোকদেরকে জড়ো করে আবার সেই প্রস্তাব
রাখেন ৷ সবাই নিরব থাকল, কিন্তু ঐ লোকটি দাড়িয়ে বলল, আমি পারব ৷ অতঃপর নবী
আল-ইয়াসাআ ঐ ব্যক্তিকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন ৷

ইবলীস তখন শয়তানদেরকে ডেকে বলল, ঐ ব্যক্তিকে পথভ্রষ্ট করার দায়িত্ব তোমাদের
নিতে হবে ৷ কিন্তু তারা সকলে তাতে ব্যর্থ হলো ৷ তখন ইবলীস বলল : আচ্ছা আমিই তার
দায়িতৃ নিলাম ৷ পরে ইবলীস এক বৃদ্ধ দরিদ্রের বেশে লোকটির কাছে আসে ৷ যে এমন সময়ই
আসল, যখন তিনি দৃপুরের বিশ্রামের জন্যে শয্যা গ্রহণ করেছিলেন ৷ আর তিনি ঐ বিশেষ সময়
ছাড়া দিনে বা রাতের অন্য কোন সময়ই নিদ্রা যেতেন না ৷ তিনি ঘুমাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷
এমন সময় ইবলীস এসে দরজা ধাক্কা দেয় ৷ ভিতর থেকে তিনি বললেন, দরজায় কে? ইবলীস
বলল, আমি একজন অসহায় মজলুম বৃদ্ধ লোক ৷ তিনি দরজা খুলে দিলেন ৷ বৃদ্ধ তার ঘটনা
বলতে লাগল ৷ সে জালাল, আমার সাথে আমার গোত্রের লোকের বিবাদ আছে ৷ তারা আমার
উপর এই এই জুলুম করেছে ৷ বৃদ্ধ তার ঘটনার বিবরণ দিতে দিতে বিকাল হয়ে গেল ৷ দৃপুরের
নিদ্বার সময় অতিবাহিত হয়ে গেল ৷ তিনি বলে দিলেন, সন্ধ্যার পরে আমি যখন দরবারে বসব
তখন তুমি এসো ৷ তোমার হক আমি আদায় করে দেব ৷ বৃদ্ধ চলে গেল, সন্ধ্যার পরে দরবারে
বসে বৃদ্ধ আসছে কিনা তাকিয়ে দেখলেন কিন্তু তাকে উপস্থিত পেলেন না ৷ তালাশ করেও তার
কোন সন্ধান পাওয়া গেল না

পরের দিন সকালে বিচার আসনে বসে বৃদ্ধের জন্যে অপেক্ষা করেও তাকে দেখলেন না !
মজলিস শেষে তিনি যখন দৃপুরের শয্যা গ্রহণে গেলেন তখন বৃদ্ধ এসে দরজায় ধাক্কা দিল ৷
ভেতর থেকে জিজ্ঞেস করলেন, দরজায় কে? বলা হল, অসহায় এক মজলুম বৃদ্ধ ৷ দরজা খুলে
দেয়া হল ৷ বললেন, আমি কি তোমাকে বলিনি যে, যখন আমি দরবারে বসব তখন তুমি
আসবে? সে বলল, আমার গোত্রের লোকেরা অত্যন্ত জঘন্য প্রকৃতির ৷ যখন তারা জানল যে,
আপনি দরবারে বসা ৷ তখন তারা আমাকে আমার হক প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয় ৷ কিন্তু যখন
আপনি দরবার ছেড়ে উঠে যান তখন তারা যে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ৷ তিনি বললেন, এখন চলে
যাও ৷ সন্ধ্যড়ার পরে যখন দরবারে বসব তখন এসো ৷ কিন্তু বৃদ্ধের সাথে কথা বলতে বলতে তার
আজকের দৃপুরের নিদ্রাও আর হল না ৷ রাত্রে দরবারে বসে বৃদ্ধের অপেক্ষা করলেন কিন্তু তাকে
দেখা গেল না ৷ অধিক রাত্রি হওয়ায় তন্দ্র৷ তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল ৷ তিনি বাড়ির একজনকে
বললেন, আমার দারুণ নিদ্রা পাচ্ছে ৷ এখন আমি ঘুমাবাে ৷ সুতরাং কেউ যদি দরজায় কাছে
আসতে চায় তাকে আসতে দিও না ৷ একথা বলে যাওয়ার পর মুহ্রর্তোহ বৃদ্ধ সেখানে উপস্থিত


فَسُمِّيَ ذَا الْكِفْلِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ طَرِيقِ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: لَمَّا كَبُرَ الْيَسَعُ قَالَ: لَوْ أَنِّي اسْتَخْلَفْتُ رَجُلًا عَلَى النَّاسِ يَعْمَلُ عَلَيْهِمْ فِي حَيَاتِي حَتَّى أَنْظُرَ كَيْفَ يَعْمَلُ. فَجَمَعَ النَّاسَ. فَقَالَ: مَنْ يَتَقَبَّلُ لِي بِثَلَاثٍ أَسْتَخْلِفُهُ؛ يَصُومُ النَّهَارَ، وَيَقُومُ اللَّيْلَ، وَلَا يَغْضَبُ؟ قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ تَزْدَرِيهِ الْعَيْنُ. فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: أَنْتَ تَصُومُ النَّهَارَ، وَتَقُومُ اللَّيْلَ، وَلَا تَغْضَبُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَرَدَّهُمْ ذَلِكَ الْيَوْمَ. وَقَالَ مِثْلَهَا الْيَوْمَ الْآخَرَ فَسَكَتَ النَّاسُ، وَقَامَ ذَلِكَ الرَّجُلُ، فَقَالَ: أَنَا. فَاسْتَخْلَفَهُ، قَالَ: فَجَعَلَ إِبْلِيسُ يَقُولُ لِلشَّيَاطِينِ: عَلَيْكُمْ بِفُلَانٍ. فَأَعْيَاهُمْ ذَلِكَ، فَقَالَ: دَعُونِي وَإِيَّاهُ، فَأَتَاهُ فِي صُورَةِ شَيْخٍ كَبِيرٍ فَقِيرٍ، وَأَتَاهُ حِينَ أَخَذَ مَضْجَعَهُ لِلْقَائِلَةِ، وَكَانَ لَا يَنَامُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ إِلَّا تِلْكَ النَّوْمَةَ فَدَقَّ الْبَابَ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: شَيْخٌ كَبِيرٌ مَظْلُومٌ. قَالَ: فَقَامَ فَفَتَحَ الْبَابَ فَجَعَلَ يَقُصُّ عَلَيْهِ. فَقَالَ: إِنَّ بَيْنِي وَبَيْنَ قَوْمِي خُصُومَةً، وَإِنَّهُمْ ظَلَمُونِي وَفَعَلُوا بِي وَفَعَلُوا، وَجَعَلَ يُطَوِّلُ عَلَيْهِ حَتَّى حَضَرَ الرَّوَاحُ، وَذَهَبَتِ الْقَائِلَةُ. وَقَالَ: إِذَا رُحْتُ فَأْتِنِي آخُذْ لَكَ بِحَقِّكَ فَانْطَلَقَ، وَرَاحَ فَكَانَ فِي مَجْلِسِهِ فَجَعَلَ يَنْظُرُ هَلْ يَرَى الشَّيْخَ فَلَمْ يَرَهُ، فَقَامَ يَتْبَعُهُ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ جَعَلَ يَقْضِي بَيْنَ النَّاسِ، وَيَنْتَظِرُهُ فَلَا يَرَاهُ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى الْقَائِلَةِ فَأَخَذَ مَضْجَعَهُ أَتَاهُ فَدَقَّ الْبَابَ. فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: الشَّيْخُ الْكَبِيرُ الْمَظْلُومُ فَفَتَحَ لَهُ. فَقَالَ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِذَا قَعَدْتُ فَأْتِنِي؟ فَقَالَ: إِنَّهُمْ أَخْبَثُ قَوْمٍ، إِذَا عَرَفُوا أَنَّكَ قَاعِدٌ قَالُوا: نَحْنُ نُعْطِيكَ حَقَّكَ. وَإِذَا قُمْتَ جَحَدُونِي، قَالَ: فَانْطَلِقْ فَإِذَا رُحْتُ فَأْتِنِي. قَالَ: فَفَاتَتْهُ الْقَائِلَةُ فَرَاحَ فَجَعَلَ يَنْتَظِرُ فَلَا يَرَاهُ، وَشَقَّ
পৃষ্ঠা - ৫২০


হল ৷ পাহারাদার লেড়াকঢি বলল, পিছু হটো, পিছু হটো ৷ বৃদ্ধ বলল, আমি হুজুরের কাছে
গতকাল এসেছিলাম এবং আমার সমস্যার কথা বলেহ্নিন্ড়াম ৷ কিন্তু পাহারাদার বলল, কিছুতেই
দেখা করা যাবে না ৷ আল্লাহর কলম! আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন কোন লোককে তার
কাছে যেতে না দিই ৷ এভাবে পাহারাদার তাকে নিবৃত্ত করলো ৷

বৃদ্ধ তখন ঘরের পানে তাকিয়ে দেওয়ালের এক স্থানে একটি ছিদ্বপথ লক্ষ্য করল ৷
ইবলীসরুপী ঐ বৃদ্ধ উক্ত ছিদ্রপথ দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করল এবং ভিতরের দিক থেকে
দরজা ধাক্কা দিল ৷ শব্দ শুনে যুল-কিফ্ল-এর ঘুম ভেঙে যায় ৷ তিনি বললেন, ওহে, আমি কি
তোমাকে এ সময় আসতে বারণ করিনি? সে বলল, আমি আমার নিজ প্রচেষ্টায় এসেছি ৷
আপনি তাে আমাকে আসতে দেননি ৷ লক্ষ্য করে দেখুন, কিভাবে আমি এসেছি ৷ তিনি দরজার
কাছে এসে দেখলেন, তা সেভাবেই বন্ধ রয়েছে যেভাবে তিনি বন্ধ করেছিলেন ৷ অথচ সে ঘরের
ভিতরে তার কাছেই রয়েছে ৷ তিনি এতক্ষ্যণ তাকে চিনতে পারলেন এবং বললেন, তুমি (তা
আল্লাহর দুশমন ৷ সে বলল, হ্যা, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আপনি আমাকে পরাজিত ও নিরাশ করে
দিয়েছেন ৷ আপনাকে রাগাৰিত করার জন্যে আমি এসব কাজ করেছি যা আপনি দেখতে
পাচ্ছেন ৷ অতঃপর আল্লাহ এই ব্যক্তির নাম রাখেন যুল-কিফ্ল ৷ কারণ তিনি যে কাজ করার
জিম্মদােরী গ্রহণ করেছিলেন তা পুরণ করেছেন ৷

ইবন আবী হাতিম (র) ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে প্রায় অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন হারিছ, মুহাম্মদ ইবন কায়স, ইবন হুজায়রা আল-আকবর ও অন্যান্য আরও
ঐতিহাসিক থেকেও এরুপ বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ ইবন আবী হাতিম (র) কাতাদা (র) সুত্রে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আবু মুসা অড়াশআরী (রা)-কে এই মিম্বরের উপর থেকে বলতে
শুনেছি যে, যুল-কিফ্ল নবী ছিলেন না ৷ বরং তিনি একজন নেককার লোক ছিলেন ৷ প্রত্যহ
একশ’ রাকাত সালাত শ্ আদায় করতেন ৷ তার সম্প্রদায়ের নবীর কাছ থেকে তিনি দায়িত্প্রাপ্ত হন
এবং নবীর পরে তীর স্থলাভিষিক্ত হন এবং প্রত্যহ একশ রাকাত করে সালাত আদায় করেন ৷
এজন্যে তার নাম রাখা হয় যুল-কিফ্ল ৷ ইবন জারীরও কাতাদা (র) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
করেন ৷ আবুমুসা আশআবী (রা) সুত্রে এ বর্ণনা মুনকাতি পর্যায়ের ৷

ইমাম আহমদ (র) ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ
(সা) থেকে একবার নয় দুইবার নয়, সাতবার নয় বরং তার চেয়ে রেশিবার শুনেছি : কিফ্ল
বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির নাম ৷ এমন কোন গুনাহের কাজ নেই যা সে করেনি ৷ একদা তার
কাছে এক মহিলা আসে, যে তাকে উপভোগ করার উদ্দেশ্যে ষাটটি দীনড়ার দেয় ৷ যখন সে
স্বামী-ত্রীর মতো তাকে উপভোগে উদ্যত হলো তখন মহিলাটি কস্পিত বদনে কুপিয়ে কুপিয়ে
র্কাদতে লাগল ৷ কিফ্ল তাকে জিজ্ঞেস করল, কীদছ কেন? আমি কি তোমার প্রতি বলপ্ৰয়ােগ
করছি? মহিলাটি বলল, না ৷ বরং র্কাদার কারণ এই যে, আমি কখনও এ কাজ করিনি ৷
অভাব-অনটনই আমাকে এ কাজে বাধ্য করেছে ৷ কিফ্ল বলল, এ কাজ কখনও করনি, এই
প্রথমবার? অতঃপর তিনি নেমে গেলেন এবং বললেন, যাও, দীনড়ারগুলো তোমারই ৷ এরপর
বললেন, আল্লাহর কলম! কিফ্ল আর কখনও আল্লাহর নাফরমড়ানী করবে না ৷ ঐ রাত্রেই কিফ্ল
মারা যান ৷ সকাল বেলা তার দরজায় লিখিত দেখা যায়, আল্লাহ কিফ্লকে ক্ষমা করে


عَلَيْهِ النُّعَاسُ. فَقَالَ: لِبَعْضِ أَهْلِهِ لَا تَدَعَنَّ أَحَدًا يَقْرُبُ هَذَا الْبَابَ حَتَّى أَنَامَ فَإِنِّي قَدْ شَقَّ عَلَيَّ النَّوْمُ، فَلَمَّا كَانَ تِلْكَ السَّاعَةَ جَاءَ، فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: وَرَاءَكَ، وَرَاءَكَ. فَقَالَ: إِنِّي قَدْ أَتَيْتُهُ أَمْسِ فَذَكَرْتُ لَهُ أَمْرِي. فَقَالَ: لَا، وَاللَّهِ لَقَدْ أَمَرَنَا أَنْ لَا نَدَعَ أَحَدًا يَقْرُبُهُ، فَلَمَّا أَعْيَاهُ نَظَرَ فَرَأَى كُوَّةً فِي الْبَيْتِ فَتَسَوَّرَ مِنْهَا فَإِذَا هُوَ فِي الْبَيْتِ، وَإِذَا هُوَ يَدُقُّ الْبَابَ مِنْ دَاخِلٍ قَالَ: فَاسْتَيْقَظَ الرَّجُلُ. فَقَالَ: يَا فُلَانُ أَلَمْ آمُرْكَ؟ قَالَ: أَمَّا مِنْ قِبَلِي، وَاللَّهِ لَمْ تُؤْتَ فَانْظُرْ مِنْ أَيْنَ أُتِيتَ؟ قَالَ: فَقَامَ إِلَى الْبَابِ فَإِذَا هُوَ مُغْلَقٌ، كَمَا أَغْلَقَهُ، وَإِذَا الرَّجُلُ مَعَهُ فِي الْبَيْتِ فَعَرَفَهُ. فَقَالَ: أَعَدُوَّ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. أَعْيَيْتَنِي فِي كُلِّ شَيْءٍ، فَفَعَلْتُ مَا تَرَى لِأُغْضِبَكَ فَسَمَّاهُ اللَّهُ ذَا الْكِفْلِ؛ لِأَنَّهُ تَكَفَّلَ بِأَمْرٍ فَوَفَّى بِهِ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَرِيبًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، وَمُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، وَابْنِ حُجَيْرَةَ الْأَكْبَرِ، وَغَيْرِهِمْ مِنَ السَّلَفِ نَحْوُ هَذَا. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَمَاهِرِ، أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ كِنَانَةَ بْنِ الْأَخْنَسِ قَالَ: سَمِعْتُ الْأَشْعَرِيَّ يَعْنِي أَبَا مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ يَقُولُ: مَا كَانَ ذُو الْكِفْلِ نَبِيًّا، وَلَكِنْ كَانَ رَجُلًا صَالِحًا يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ صَلَاةٍ، فَتَكَفَّلَ لَهُ ذُو الْكِفْلِ مِنْ بَعْدِهِ يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ صَلَاةٍ فَسُمِّيَ ذَا الْكِفْلِ. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ فَذَكَرَهُ مُنْقَطِعًا.
পৃষ্ঠা - ৫২১


দিয়েছেন ৷ তিরমিযী (র)ও আমাশ সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং একে হড়াসান’ বলে
অভিহিত করেছেন ৷ কেউ কেউ একে ইবন উমরের মওকুফ’ বর্ণনা বলে অভিহিত করেছেন ৷
হাদীসটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷ তাছাড়া এর সনদে আপত্তি আছে ৷ কেননা এর একজন
বর্ণনা কারী সা আদ সম্পর্কে আবু হাতিম বলেছেন ধ্প্রু: ! ১৷ আমি তাকে চিনি না, এই একটা
মাত্র হাদীসেই তার উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ অবশ্য ইবন হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন ৷ এই
সাআদ থেকে কেবল আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ আর-রাযী ব্যতীত অন্য কেউ হাদীস বর্ণনা
করেননি ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷

গযবে ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিসমুহের কথা

তাওরাত কিতাব নাযিল হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন জাতিকে ব্যাপক আযাবে সম্পুর্ণরুপে

ধ্বংস করা হয়েছে কুরআনে এর ¢’$$fl:! পাওয়া যায় আল্লাহ বলেন০ ং


০এ্ এ১৷ ৷ ষ্টুঝু,৷ ৷ ৷ শুএে

(আমি পুর্ববর্তী বহু মানব গোষ্ঠীকে বিনাশ করার পর মুসাকে কিতাব দিয়েছিলাম ৷
(সুরা কাসাস : ৪৩) ৷ যেমন ইবন জারীর, ইবন আবী হাতিম ও বাঘৃযার (র) আবু সাঈদ থুদরী
(রা) থেকে বর্ণনা করেন : তাওরাত নাযিল হওয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীতে কোন আসমানী
কিংবা যমীনী আমার দ্বারা কোন জাতিকে সম্পুর্ণ নির্মুল করেননি ৷ কেবল সেই একটি মাত্র
জনপদের নােককেই করেছেন যাদেরকে তিনি বানরে পরিণত করেন ৷ আল্লাহ বলেন :


fl;

বায্যার এ হাদীসকে মারকু বলে বর্ণনা করেছেন কিন্তু সঠিক এই যে, এটা মওকুফ’
পর্যায়ের হাদীস ৷ সুতরাং এর দ্বারা বোঝা যায় যে, সমস্ত মানব গোষ্ঠীকে সম্পুর্ণরুপে ধ্বংস করে
দেয়া হয়েছে ৷ তারা সকলেই মুসা (আ)-এর যুগের পুর্বেকার লোক ৷ সেই সম্পুর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত

সটুপ্ৰদ য়গুলেড়ার মৰুধ্য একটি হরুচ্ছ আসহাবুর রসৃস সুরা ফুরকানে আল্লাহ বলেনঃ


আমি আদ, ছামুদ, রাস্সবাসী এবং তাদের অন্তর্বর্তীকালের বহু সম্প্রদায়কে ধ্বং স করেছি ৷
এদের প্রত্যেকের জন্যেই আমি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি এবং প্ৰত্যেককেই সম্পুর্ণরুপে ধ্বংস করে
দিয়েছি ৷ (সুরা ফুরকান : ৩৮-৩৯)

সুরা ক্যুফে আল্লাহ বলেন০ ং

(
গ্রষ্স্১ষ্ন্নী
র্দুদ্বু;টু ট্রুছু£র্ন্ত ,দ্বুপু ৷ ’াহ্রশুদ্বুস্ঝুশু;ড্ছুপ্রুব্রি হ<ঠুষ্া৷ ঙ্!;ন্টু১াট্রুদ্বু ৷ন্,পু
তাদের পুর্বেও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে নুহের সম্প্রদায়, রসৃস ও ছামুদ সম্প্রদায় আদ,
ফিরআউন ও লুত সম্প্রদায় এবং আয়কার অধিবাসী ও তুব্বা সম্প্রদায় ৷ ওরা সকলেই


فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعْدٍ مَوْلَى طَلْحَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ إِلَّا مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مِرَارٍ، وَلَكِنْ قَدْ سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ: «كَانَ الْكِفْلُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَا يَتَوَرَّعُ مِنْ ذَنْبٍ عَمِلَهُ، فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَأَعْطَاهَا سِتِّينَ دِينَارًا عَلَى أَنْ يَطَأَهَا، فَلَمَّا قَعَدَ مِنْهَا مَقْعَدَ الرَّجُلِ مِنِ امْرَأَتِهِ ارْتَعَدَتْ، وَبَكَتْ فَقَالَ لَهَا مَا يُبْكِيكِ أَكْرَهْتُكِ. قَالَتْ: لَا، وَلَكِنْ هَذَا عَمَلٌ لَمْ أَعْمَلْهُ قَطُّ، وَإِنَّمَا حَمَلَتْنِي عَلَيْهِ الْحَاجَةُ. قَالَ: فَتَفْعَلِينَ هَذَا، وَلَمْ تَفْعَلِيهِ قَطُّ؟ ثُمَّ نَزَلَ. فَقَالَ: اذْهَبِي بِالدَّنَانِيرِ لَكِ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَا يَعْصِي اللَّهَ الْكِفْلُ أَبَدًا. فَمَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ فَأَصْبَحَ مَكْتُوبًا عَلَى بَابِهِ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لِلْكِفْلِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ حَسَنٌ. وَذَكَرَ أَنَّ بَعْضَهُمْ رَوَاهُ فَوَقَفَهُ عَلَى ابْنِ عُمَرَ فَهُوَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ فَإِنَّ سَعْدًا هَذَا قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَا أَعْرِفُهُ إِلَّا بِحَدِيثٍ وَاحِدٍ. وَوَثَّقَهُ ابْنُ حِبَّانَ. وَلَمْ يَرْوِ عَنْهُ سِوَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ هَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَإِنْ كَانَ مَحْفُوظًا فَلَيْسَ هُوَ ذَا الْكِفْلِ. وَإِنَّمَا لَفْظُ الْحَدِيثِ " الْكِفْلُ " مِنْ غَيْرِ إِضَافَةٍ فَهُوَ رَجُلٌ آخَرُ غَيْرُ الْمَذْكُورِ فِي الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.