আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ذكر ذرية إبراهيم عليه الصلاة والسلام

قصة نبي الله أيوب عليه السلام

পৃষ্ঠা - ৫০৮

হযরত আইয়ুব (আ) এর ঘটনা

ইবন ইসহাক (র) বলেন, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন রোমের বাসিন্দা ৷ তার বংশপঞ্জি
নিম্নরুপ : আইয়ুব ইবন মুস, ইবন যারাহ ইবনুল ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম আল-খলীল
(আ) ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তার বংশ তালিকা এভাবে : আইয়ুব ইবন মুস ইবন রাবীল
ইবনুল ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইয়াকুব (আ) ৷ কোন কোন ঐতিহাসিক অন্যরুপ লিখেছেন ৷
ইবন আসাকির (র) লিখেছেন, আইয়ুব নবীর মা ছিলেন হযরত লুত ৷ আ)-এর কন্যা ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ)-এর পিতা সেই ঈমানদারদের একজন যারা হযরত
ইব্রাহীম (আ) কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপের দিন ঈমান এসেছিলেন ৷ কিস্তু প্রথম মতটাই অধিক
৷ প্রসিদ্ধ ৷ কেননা, তিনি ছিলেন ইব্রাহীম (আ) এর অধংস্তন বংশধর ৷ এ বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত
আয়াতের তাফসীরে বিস্তারিত লিখেছি ৷ যথাং :


আর তার (ইব্রাহীমের) বংশ ধরদের মধ্যে রয়েছে দাউদ, সুলায়মড়ান, আইয়ুব, ইউসুফ,
মুসা ও হারুন ৷ (৬ : ৮৪)
সঠিক মত এই যে < গ্লু৷ বলতে ইব্রাহীম (আ)-এর বংশধরদের বোঝানো হয়েছে; নুহ

(আ)-এর বংশধর নয় ৷ হযরত আইয়ুব (আ) সেসব নবীর অন্যতম যাদের নিকট ওহী পাঠানো

হয়েছে বলে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ যেমন ং

াট্রুা৷,


শ্ণ্ন্৬ ’
তোমার কাছে ওহী প্রেরণ করেছি যেমন নুহ ও তার পরবর্তী নবীগণের কাছে প্রেরণ
করেছিলাম ৷ ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও ত ৷র বংশ ধরণ ণ, ঈস৷ , অ ৷ইয়ুব, হারুন
এবং সুলায়মানের কাছে ওহী প্রেরণ করেছিলাম ৷ (৪ : ১৬৩)
অতএব, বিশুদ্ধ মত এই যে, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন ঈসা ইবন ইসহাক (আ )-এর
বংশধর ৷ তার ত্রীর নামের ব্যাপারেও বিভিন্ন মত পাওয়া যায় ৷ কারও মতে, লায়্যা বিনত
ইয়াকুব ৷ কারও মতে, রুহমাহ বা রাহিমাহ বিনত আফরাইম ৷ কারও মতে, মানশা বিনত
ইউসুফ ইবন ইয়াকুব ৷ শেষোক্ত মতা২ বেশি প্রসিদ্ধ ৷ এই কারণে আমরা এখানে এই মতেরই
উল্লেখ করেছি ৷ হযরত আইয়ুব (আ)-এর ঘটনা বলার পর আমরা বনী ইসরাঈলের অন্যান্য


[قِصَّةُ نَبِيِّ اللَّهِ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَانَ رَجُلًا مِنَ الرُّومِ، وَهُوَ أَيُّوبُ بْنُ مُوصَ بْنَ رَزَاحَ بْنِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَقَالَ غَيْرُهُ هُوَ أَيُّوبُ بْنُ مُوصَ بْنِ رَغْوِيلَ بْنِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَعْقُوبَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ، وَحَكَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ أُمَّهُ بِنْتُ لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقِيلَ: كَانَ أَبُوهُ مِمَّنْ آمَنَ بِإِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَوْمَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ فَلَمْ تَحْرِقْهُ. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ لِأَنَّهُ مِنْ ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ، كَمَا قَرَّرْنَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَى وَهَارُونَ} [الأنعام: 84] الْآيَاتِ [الْأَنْعَامِ: 84] . مِنْ أَنَّ الصَّحِيحَ أَنَّ الضَّمِيرَ عَائِدٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ دُونَ نُوحٍ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَهُوَ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ الْمَنْصُوصِ عَلَى الْإِيحَاءِ إِلَيْهِمْ فِي سُورَةِ النِّسَاءِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَوْحَيْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَعِيسَى وَأَيُّوبَ} [النساء: 163] . الْآيَةَ. فَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مِنْ سُلَالَةِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَامْرَأَتُهُ قِيلَ: اسْمُهَا لَيَا بِنْتُ يَعْقُوبَ. وَقِيلَ: رَحْمَةُ بِنْتُ أَفْرَائِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ، وَهَذَا أَشْهَرُ فَلِهَذَا ذَكَرْنَاهُ هَاهُنَا، ثُمَّ نَعْطِفُ بِذِكْرِ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ ذِكْرِ قِصَّتِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ৫০৯


নবী সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশা ৷ল্লাহ ৷ আল্লাহ্র বাণী৪


এবং স্মরণ কর, আইয়ুবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল,

আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি ৷৩ তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷ তখন আমি তার ডাকে
সাড়া দিলাম ৷ তার দৃষ্কখ-কষ্ট দুরীভুত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার-পরিজন ফিরিয়ে দিলাম
এবং তাদের সঙ্গে তাদের মত আরো দিয়েছিলাম আমার বিশেষ রহমতরুপে এবং
ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশস্বরুপ ৷ (২১ : ৮৩-৮৪ )

সুরা সাদে আল্লাহ বলেনং :
মোঃ
§

ট্রু,াক্ট্রার্কোা
স্মরণ কর, আমার বান্দা আইয়ুবকে, যখন সে তার প্রতিপালকরুক আহ্বান করে বলেছিল ,
শয়তান তাে আমাকে যন্ত্রণ৷ ও কষ্টে ফেলেছে ৷ আমি তাকে বললাম, তুমি তোমার পা দিয়ে
ভুমিতে আঘাত কর, এই ৫৩ তা গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয় ৷ আমি তাকে দিলাম তার
পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরও আমার অনুগ্রহস্বরুপ ও বোধ্যাক্তিসম্পন্ন লোকদের জন্যে
উপদেশ স্বরুপ ৷ আমি তাকে আদেশ করলাম, এক মুঠে৷ তৃণ লও ও তা দিয়ে আঘাত কর এবং
শপথ ভঙ্গ করে৷ না ৷ আমি তাকে পেলাম ধৈর্যশীল ৷ কত উত্তম বান্দ৷ যে! সে ছিল আমার
অভিযুখী ৷ (৩৮ং ষ্ ৪১-৪৪)

ইবন আসাকির (র) কালবী (র) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, সর্বপ্রথম প্রেরিত নবী হযরত
ইদরীস (আ) ৷ তারপরে নুহ, তারপর ইব্রাহীম (আ) ৷ তারপর ইসমাঈল, তারপর ইসহাক ,
তারপর ইয়াকুব, তারপর ইউসুফ (আ) ৷ তারপর লুত , তারপর হুদ , তারপর সালিহ, তারপর
শুআয়ব, তারপর মুসা ও হারুন, তারপর ইলয়াস, তারপর আল-য়াসা, তারপর উরফী ইবন
সুওয়ায়লিখ ইবন আফরাইম ইবন ইউসুফ ইবন ইয়াকুব (আ) ৷ তারপর ইউনুস (আ) ইবন
মাত্তা ইয়াকুবের বংশধর ৷ তারপর আইয়ুব ইবন যারাহ ইবন আমুস ইবন লায়ফারাম ইবনুল
ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীম (আ) ৷ উক্ত ত্রুমধারায় কোন কোন নামের ক্ষেত্রে আপত্তি
আছে ৷ কেননা হুদ ও সালিহ (আ) সম্পর্কে প্রসিদ্ধ মত এই যে, তাদের আগমন নুহ (আ)-এর
পরে ও ইবরাহীম (আ)-এর পুর্বে হয়েছিল ৷

ঐতিহাসিক ও তাফসীরকারগণ বলেছেন, হযরত ৩আইয়ুব (আ) ছিলেন সে কালের একজন
বড় ধনাঢ৷ ব্যক্তি ৷ সকল প্রকার সম্পদের অধিকারী ছিলেন তিনি ৷ যথা চ তুষ্পদ ও গৃহ পালিত


قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ فَكَشَفْنَا مَا بِهِ مِنْ ضُرٍّ وَآتَيْنَاهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا وَذِكْرَى لِلْعَابِدِينَ} [الأنبياء: 83] [ص: 41 - 44] . وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ الْكَلْبِيِّ أَنَّهُ قَالَ: أَوَّلُ نَبِيٍّ بُعِثَ إِدْرِيسُ، ثُمَّ نُوحٌ، ثُمَّ إِبْرَاهِيمُ، ثُمَّ إِسْمَاعِيلُ، ثُمَّ إِسْحَاقُ، ثُمَّ يَعْقُوبُ، ثُمَّ يُوسُفُ، ثُمَّ لُوطٌ، ثُمَّ هُودٌ، ثُمَّ صَالِحٌ، ثُمَّ شُعَيْبٌ، ثُمَّ مُوسَى وَهَارُونُ، ثُمَّ إِلْيَاسُ، ثُمَّ الْيَسَعُ، ثُمَّ عُرْفِيُّ بْنُ سَوِيلَخَ بْنِ أَفْرَائِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ، ثُمَّ يُونُسُ بْنُ مَتَّى مِنْ بَنِي يَعْقُوبَ، ثُمَّ أَيُّوبَ بْنِ رَزَاحَ بْنِ آمُوصَ بْنِ لِيفَرَزَ بْنِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَفِي بَعْضِ هَذَا التَّرْتِيبِ نَظَرٌ فَإِنَّ هُودًا وَصَالِحًا الْمَشْهُورُ أَنَّهُمَا بَعْدَ نُوحٍ، وَقَبْلَ إِبْرَاهِيمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ عُلَمَاءُ التَّفْسِيرِ، وَالتَّارِيخِ، وَغَيْرُهُمْ: كَانَ أَيُّوبُ رَجُلًا كَثِيرَ الْمَالِ مِنْ سَائِرِ صُنُوفِهِ وَأَنْوَاعِهِ مِنَ الْأَنْعَامِ وَالْعَبِيدِ وَالْمَوَاشِي وَالْأَرَاضِي الْمُتَّسِعَةِ بِأَرْضِ الْبَثْنِيَّةِ مِنْ أَرْضِ حُورَانَ. وَحَكَى ابْنُ عَسَاكِرَ: أَنَّهَا كُلَّهَا كَانَتْ لَهُ، وَكَانَ لَهُ أَوْلَادٌ وَأَهْلُونَ كَثِيرٌ، فَسُلِبَ مِنْ ذَلِكَ جَمِيعِهِ، وَابْتُلِيَ فِي جَسَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১০


পশু ৷ দাস-দাসী এবং হাওরান অঞ্চলের বৃছায়না এলাকার বিশাল জমির মালিকানা ছিল তার
হস্তগত ৷

ইবন আসাকির (ব) বর্ণনা করেন, হযরত আইয়ুব (আ) এর ঐ সব সম্পদ ছাড়াও আরও
ছিল প্রচুর সন্তান ও পরিবার পবিজন ৷ পরে এ সব কিছু তার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নানা প্রকার
দৈহিক ব্যাধি দ্বারা তাকে পরীক্ষায় ফেলা হয় ৷ শরীরের সর্ব অষ্ পে রোগ ছিল এত ব্যাপক যে
জিহবা ও হৃৎপিণ্ড ব্যতীত কোন একটি স্থানও অক্ষত ছিল না ৷ এ দুই অ প দ্বারা তিনি
আল্লাহর যিকির করতেন ৷ এত সব মুসীবত সত্বেও৩ তিনি ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা দেখান ৷ রাত-দিন
সকাল-সন্ধ্যড়া সর্বক্ষণ আল্লাহর যিকিরে রত থাকেন ৷ রোগ দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ায় বন্ধু-বান্ধব,
আপনজন তীর কাছ থেকে সরে যেতে থাকে ৷ অবশেষে তাকে শহরের বা ৷ইরে এক আবর্জনাময়
স্থানে ফেলে রাখা হয় ৷ একে একে সবাই তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ একমাত্র শ্রী ছাড়া অন্য
কেউ তার খোজ খবর রাখত না ৷ স্বামীর অধিকার, তার পুর্বের ভালবাসা ও অনুগ্রহেব কথা
মনে রেখে ত্রী তার সেবার নিয়োজিত থাকেন ৷ শ্রী তার অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন ৷
পেশার পায়খানায় সাহায্য করতেন এবং অন্যান্য খিদমতে আঞ্জাম দিতেন ৷ ন্তীও ক্রমশ দুর্বল
হতে থাকেন ৷ অর্থের দৈন্য দেখা দেয় ৷ ফলে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সেই পারিশ্রমিক দ্বারা
স্বামীর আহার্য ও ঔষধ্পত্রের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হন ৷ তবুও তিনি অসীম ধৈর্যের পরিচয় দেন ৷
সম্পদ ও সন্তানাদি হারান ৷ স্বামীর করুণ অবস্থা, অর্থের অভাব ও মানুষের সাহায্য-সহানুভুতির
অনুপন্থিতি এ সব প্রতিকুল অবন্থাকে স্বামী-ত্রী উভয়ে অত্যন্ত ধৈর্যেব সাথে মুকাবিলা করেন ৷
অথচ সম্পদঐশ্বর্য, বন্ধু-বান্ধব ইতিপুর্বে সবই তাদের করায়ত্ত ছিল ৷ সহীহ হাদীসে আছে
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ;;


সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হয় নবীগ ৷ণের ৷ত তারপর সতম্পোন্থী লোকদের, এরপর দীনদাদীর স্তর
ভেদে পর্যায়ক্রমে এ পরীক্ষা চলে ৷ যদি সে দৃ তার সঙ্গে দীনের আনুগত্য করতে থাকে তবে
তার পরীক্ষা ৷ও কঠােরতর হয় ৷’ উল্লেখিত বিপদ-আপদ হযরত আইয়ুব (আ )-এর ক্ষেত্রে যতই
বৃদ্ধি পেয়েছে৩ ত তার ধৈর্য, সহনশীলতা, আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বৃদ্ধি
পেয়েছে ৷ এমনকি তার ধৈর্য ও মুসীবত পরবর্তীকালে প্রবাদে পরিণত হয়ে যায় ৷ ওহাব ইবন
মুনাব্বিহ ও অন্য অনেকে ইসরাঈলী উলামাদের বরাতে হযরত আইয়ুব (আ)-এর সম্পদ ও
সভানাদি নিঃশেষিত হওয়া ও দেহের রোগ সম্পর্কে দীর্ঘ বর্ণনা দান করেছেন ৷ আল্লাহ এগুলোর
বিশুদ্ধত৷ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত ৷

মুজাহিদ (র) বলেছেন, পৃথিবীতে হযরত আইয়ুব (আ)-এরই সর্বপ্রথম বসন্ত রোগ হয় ৷
ঐতিহড়াসিকগণ হযরত আইয়ুব (আ)-এর পরীক্ষাকালের ন্থায়িতৃ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ
করেন ৷ ওহাবের মতে, তার পরীক্ষাকাল ছিল তিন বছর এর কমও নয়, রেশিও নয় ৷
আনাস (বা) ব,লেন সাত বছর কয়েক মাস পর্যন্ত তার পরীক্ষা চলে ৷ এই সময়ে তাকে বনী
ইসরাঈলের একটি আবর্জনাময় স্থানে ফেলে রাখা হয় ৷ বিভিন্ন রকম কীট তার দেহের উপর


بِأَنْوَاعِ الْبَلَاءِ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُ عُضْوٌ سَلِيمٌ سِوَى قَلْبِهِ وَلِسَانِهِ يَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ بِهِمَا، وَهُوَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ ذَاكِرٌ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي لَيْلِهِ وَنَهَارِهِ، وَصَبَاحِهِ وَمَسَائِهِ، وَطَالَ مَرَضُهُ حَتَّى عَافَهُ الْجَلِيسُ، وَأَوْحَشَ مِنْهُ الْأَنِيسُ، وَأُخْرِجَ مِنْ بَلَدِهِ وَأُلْقِيَ عَلَى مَزْبَلَةٍ خَارِجَهَا، وَانْقَطَعَ عَنْهُ النَّاسُ، وَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ يَحْنُو عَلَيْهِ سِوَى زَوْجَتِهِ كَانَتْ تَرْعَى لَهُ حَقَّهُ، وَتَعْرِفُ قَدِيمَ إِحْسَانِهِ إِلَيْهَا وَشَفَقَتِهِ عَلَيْهَا، فَكَانَتْ تَتَرَدَّدُ إِلَيْهِ فَتُصْلِحُ مِنْ شَأْنِهِ، وَتُعِينُهُ عَلَى قَضَاءِ حَاجَتِهِ وَتَقُومُ بِمَصْلَحَتِهِ، وَضَعُفَ حَالُهَا، وَقَلَّ مَالُهَا حَتَّى كَانَتْ تَخْدِمُ النَّاسَ بِالْأَجْرِ لِتُطْعِمَهُ، وَتَقُومَ بِأَوَدِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا وَهِيَ صَابِرَةٌ مَعَهُ عَلَى مَا حَلَّ بِهِمَا مِنْ فِرَاقِ الْمَالِ وَالْوَلَدِ، وَمَا يَخْتَصُّ بِهَا مِنَ الْمُصِيبَةِ بِالزَّوْجِ، وَضِيقِ ذَاتِ الْيَدِ، وَخِدْمَةِ النَّاسِ بَعْدَ السَّعَادَةِ وَالنِّعْمَةِ وَالْخِدْمَةِ، وَالْحُرْمَةِ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَشَدُّ النَّاسِ بَلَاءً الْأَنْبِيَاءُ، ثُمَّ الصَّالِحُونَ، ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ، يُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ صَلَابَةٌ زِيدَ فِي بَلَائِهِ» . وَلَمْ يَزِدْ هَذَا كُلُّهُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَّا صَبْرًا وَاحْتِسَابًا، وَحَمْدًا وَشُكْرًا، حَتَّى إِنَّ الْمَثَلَ لَيُضْرَبُ بِصَبْرِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَيُضْرَبُ الْمَثَلُ أَيْضًا بِمَا حَصَلَ لَهُ مِنْ أَنْوَاعِ الْبَلَايَا، وَقَدْ رُوِيَ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، وَغَيْرِهِ مِنْ عُلَمَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي قِصَّةِ أَيُّوبَ خَبَرٌ طَوِيلٌ فِي كَيْفِيَّةِ ذَهَابِ مَالِهِ وَوَلَدِهِ، وَبَلَائِهِ فِي جَسَدِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ، وَعَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ أَيُّوبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَوَّلَ مَنْ أَصَابَهُ الْجُدَرِيُّ. وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي مُدَّةِ
পৃষ্ঠা - ৫১১


দিয়ে চলাচল করত ৷ অতঃপর আল্লাহ র্তাকে এ ঘুসীবত থেকে উদ্ধার করেন ৷ বিপুলভাবে তাকে
পুরস্কৃত করেন এবং তার প্রশংসাও করেন ৷

হুমায়দ (র) বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ) আঠ৷ ৷র বছর যাবত মুসীবতে আবদ্ধ ছিলেন ৷
সুদ্দী (র) বলেছেন, অইিয়ুব (আ) এর দেহ থেকে মাং স খসে পড়ে এমনকিতার হাড় ও শিরা
ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না ৷ত তার ত্রীতার দেহের নিচে ছাই বিছিয়ে দিতেন ৷ এ অবস্থা
যখন দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে, তখন একদা ৷ত্রী বললেন, হে আইয়ুব! আপনি যদি আপনার
প্রতিপালকের কাছে দুআ করতেন তাহলে তিনি এ বিপদ থেকে আপনাকে উদ্ধার করতেন ৷
তদুত্তরে আইয়ুব (আ) বললেন, আমি সত্তর বছর সুস্থ দেহে জীবন যাপন করেছি, এখন তার
জন্যে সত্তর বছর সবর করলেও তা নগণ্যই হবে ৷ স্বামীর মুখে এ কথা শুনে শ্রী ঘাবড়ে যান ৷
তখন থেকে তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মানুষের কাজকর্ম করে আইয়ুব (আ)-এর আহার্যের
বন্দোবস্ত করতেন ৷

কিছুদিন পর লোকজন যখন জানল যে, এই মহিলাটি আইয়ুব (আ)শ্এর ত্রী ৷ তখন আর
তারা র্তাকে কাজে নিতে৷ না ৷ তাদের ভয় হল যে, এরুপ মেলামেশার দ্বারা আইয়ুরের রোগ
হয়ত তাদের মধ্যে সং ক্রামিত হতে পারে ৷ একদা ৷ত্রী কোথাও কা জ খুজে না পেয়ে অবশেষে
জনৈক সম্রা ন্ত ব্যক্তির কন্যার কাছে খুব উন্নত মানের খাদ্যের বিনিময়ে নিজের চুলের দুইটি
বেনীর একটি বিক্রি করে দেন ৷ উক্ত খাদ্য নিয়ে তিনি আইয়ুব (আ)-এর কাছে উপস্থিত হন ৷
অইিয়ুব (আ) এমন খাদ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ খাদ্য কোথায়
পেয়েছ? শ্রী জানালেন, অন্যের কাজ করে এ খাদ্য সংগ্রহ করেছি ৷ পরের দিনও শ্রী কোথাও
কাজ না পেয়ে অবশিষ্ট বেনীটিও খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন ৷ উক্ত খাদ্য আইয়ুব
(আ)-এর কাছে নিয়ে আসলে এবারও তিনি অসস্তুষ্ট হন এবং কসম করেন যে, কোথা থেকে
কিভাবে এ খাদ্য তিনি পেলেন, না বলা পর্যন্ত তিনি তা খাবেন না ৷ তখন ত্রী নিজ মাথা থেকে
ওড়না তুলে দেখা ৷ন ৷ আইয়ুব (আ) ত্রীর মাথা মুণ্ডিত দেখে আল্লাহর কাছে দু আ করেন:
(
হে আমার প্রতিপালক! আমি দৃ৪খে-কষ্টে পতিত হয়েছি, আর আপনি তো সকল
দয়ালুদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷ (সুরা আম্বিয়া০ : ৮৩)

ইবন আবী হ দিম (র) আবদুল্লাহ ইবন উবায়দ ইবন উমায়র (রা ) থেকে বর্ণনা করেন
হযরত আইয়ুব (আ) এর দুই ভাই ছিল ৷ একদা তারা তাদের ভাইকে দেখতে আসে ৷ কিন্তু
অইিয়ুব (আ) এর দেহের দুর্পন্ধের কারণে তারা তার কাছে যেতে সক্ষম হলো না ৷ দুরে দাড়িয়ে
থাকে ৷ তখন একজন অপর জনকে বললং আইয়ুবের মধ্যে কোন কল্যাণ আছে বলে যদি
আল্লাহ জানতেন, তাহলে তিনি এভাবে তাকে এরুপ কঠিন পরীক্ষায় ফেলতেন না ৷ তাদের এ
কথায় তিনি এতই মর্মাহত হন যে, এমনটি আর কখনও হননি ৷ অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে
দু আ করলেন, হে আল্লাহ ! আপনি যদি জানেন যে, এমন একটি রাতও যায়নি , যে রাত্রে আমি
পেট ভরে খানা থেয়েছি অথচ আমার জানা মতে, কোন ব্যক্তি ক্ষুধার্ত অবস্থায় থেকেছে, তা
হলে আমার সত্যতা প্রকাশ করুন ৷ ’ তখন আকাশ থেকে তার কথার সত্যতা ঘোষণা করা হয়


بَلْوَاهُ عَلَى أَقْوَالٍ؛ فَزَعَمَ وَهْبٌ أَنَّهُ ابْتُلِيَ ثَلَاثَ سِنِينَ لَا تَزِيدُ وَلَا تَنْقُصُ. وَقَالَ أَنَسٌ ابْتُلِيَ سَبْعَ سِنِينَ وَأَشْهُرًا، وَأُلْقِيَ عَلَى مَزْبَلَةٍ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ تَخْتَلِفُ الدَّوَابُّ فِي جَسَدِهِ حَتَّى فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ، وَعَظَّمَ لَهُ الْأَجْرَ، وَأَحْسَنَ الثَّنَاءَ عَلَيْهِ. وَقَالَ حُمَيْدٌ: مَكَثَ فِي بَلْوَاهُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقَالَ السُّدِّيُّ: تَسَاقَطَ لَحْمُهُ حَتَّى لَمْ يَبْقَ إِلَّا الْعَظْمُ وَالْعَصَبُ، فَكَانَتِ امْرَأَتُهُ تَأْتِيهِ بِالرَّمَادِ تَفْرُشُهُ تَحْتَهُ، فَلَمَّا طَالَ عَلَيْهَا قَالَتْ: يَا أَيُّوبُ لَوْ دَعَوْتَ رَبَّكَ لَفَرَّجَ عَنْكَ. فَقَالَ: قَدْ عِشْتُ سَبْعِينَ سَنَةً صَحِيحًا فَهُوَ قَلِيلٌ لِلَّهِ أَنْ أَصْبِرَ لَهُ سَبْعِينَ سَنَةً، فَجَزِعَتْ مِنْ هَذَا الْكَلَامِ، وَكَانَتْ تَخْدُمُ النَّاسَ بِالْأَجْرِ، وَتُطْعِمُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَسْتَخْدِمُونَهَا لِعِلْمِهِمْ أَنَّهَا امْرَأَةُ أَيُّوبَ خَوْفًا أَنْ يَنَالَهُمْ مِنْ بَلَائِهِ أَوْ تُعْدِيَهُمْ بِمُخَالَطَتِهِ، فَلَمَّا لَمْ تَجِدْ أَحَدًا يَسْتَخْدِمُهَا عَمَدَتْ فَبَاعَتْ لِبَعْضِ بَنَاتِ الْأَشْرَافِ إِحْدَى ضَفِيرَتَيْهَا بِطَعَامٍ طَيِّبٍ كَثِيرٍ فَأَتَتْ بِهِ أَيُّوبَ. فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ لَكِ هَذَا؟ وَأَنْكَرَهُ فَقَالَتْ: خَدَمْتُ بِهِ أُنَاسًا. فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ لَمْ تَجِدْ أَحَدًا فَبَاعَتِ الضَّفِيرَةَ الْأُخْرَى بِطَعَامٍ فَأَتَتْهُ بِهِ فَأَنْكَرَهُ أَيْضًا، وَحَلَفَ لَا يَأْكُلُهُ حَتَّى تُخْبِرَهُ مِنْ أَيْنَ لَهَا هَذَا الطَّعَامُ؟ فَكَشَفَتْ عَنْ رَأْسِهَا خِمَارَهَا، فَلَمَّا رَأَى رَأْسَهَا مَحْلُوقًا. قَالَ فِي دُعَائِهِ: {أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ} [الأنبياء: 83] . وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫১২
حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: كَانَ لِأَيُّوبَ أَخَوَانِ فَجَاءَا يَوْمًا فَلَمْ يَسْتَطِيعَا أَنْ يَدْنُوَا مِنْهُ مِنْ رِيحِهِ فَقَامَا مِنْ بَعِيدٍ. فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: لَوْ كَانَ اللَّهُ عَلِمَ مِنْ أَيُّوبَ خَيْرًا مَا ابْتَلَاهُ بِهَذَا. فَجَزِعَ أَيُّوبُ مِنْ قَوْلِهِمَا جَزَعًا لَمْ يَجْزَعْ مِنْ شَيْءٍ قَطُّ مِثْلَهُ، قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي لَمْ أَبِتْ لَيْلَةً قَطُّ شَبْعَانًا، وَأَنَا أَعْلَمُ مَكَانَ جَائِعٍ فَصَدِّقْنِي. فَصُدِّقَ مِنَ السَّمَاءِ وَهُمَا يَسْمَعَانِ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي لَمْ يَكُنْ لِي قَمِيصَانِ قَطُّ، وَأَنَا أَعْلَمُ مَكَانَ عَارٍ فَصَدِّقْنِي. فَصُدِّقَ مِنَ السَّمَاءِ وَهُمَا يَسْمَعَانِ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ بِعِزَّتِكَ وَخَرَّ سَاجِدًا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ بِعِزَّتِكَ لَا أَرْفَعُ رَأْسِي أَبَدًا حَتَّى تَكْشِفَ عَنِّي فَمَا رَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى كَشَفَ عَنْهُ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: وَابْنُ جَرِيرٍ جَمِيعًا، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ أَيُّوبَ لَبِثَ بِهِ بَلَاؤُهُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَرَفَضَهُ الْقَرِيبُ وَالْبَعِيدُ إِلَّا رَجُلَيْنِ مِنْ إِخْوَانِهِ كَانَا مِنْ أَخَصِّ إِخْوَانِهِ لَهُ كَانَا يَغْدُوَانِ إِلَيْهِ وَيَرُوحَانِ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: تَعْلَمُ وَاللَّهِ لَقَدْ أَذْنَبَ أَيُّوبُ ذَنْبًا مَا أَذْنَبَهُ أَحَدٌ مِنَ الْعَالَمِينَ. قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: مُنْذُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً لَمْ يَرْحَمْهُ رَبُّهُ فَيَكْشِفَ مَا بِهِ. فَلَمَّا رَاحَا إِلَيْهِ لَمْ يَصْبِرِ الرَّجُلُ حَتَّى ذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ أَيُّوبُ: لَا أَدْرِي مَا تَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৫১৩


এবং ঐ দুই তাই তা শ্রবণও করে ৷ অতঃপর তিনি পুনরায় বললেন, হে আল্লাহ্৷ আপনি যদি
জানেন যে, বস্ত্রহীন লোকের খবর পাওয়ায় আমি কখনও দুটি জামা গ্রহণ করিনি তাহলে আমার
সতৰুতা প্রকাশ করুন ৷ ’ তখন আকাশ থেকে তার সত্যতা ঘোষণা করা হয় যা ঐ দুই ভাই
শ্রবণ করেছিল ৷ অতঃপর তিনি বলেন, হে আল্লাহ আপনার ইয্যতে তর কসম, এরপর সিজদায়
পড়ে যান এবং বলেন, হে আল্লাহ আপনার ইযযতে র কলম, আমার মুসীবত দুর না করা
পর্যন্ত আ মি মাথা উঠার না ৷’ সতাই বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর মাথা উঠা ননি ৷

ইবন আবী হাতিম (র) ও ইবন জা ৷রীর (র) উভয়ে আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহর নবী আইয়ুব (আ)-এর রোগ আঠার বছর যাবত
স্থায়ী ছিল ৷ কাছের ও দুরের সকল লোক তাকে পরিত্যাগ করে যায় ৷ কিস্তু দুই ব্যক্তি পরিত্যাগ
করেনি ৷ তারা ছিল তার দুই ভাই ৷ এ দুই ভাই ছিল তার খুবই আদরের পাত্র ৷ সকালে ও
বিকেলে তারা আইয়ুব (আ)-এর কাছে আসত ৷ একদিন এক ভাই অপরজনকে বলে, দেখ-
আ ল্লাহ জানেন যে, আইয়ুব এমন কোন পাপ করেছে যা অন্য কোন লোক কখনও করেনি ৷
অপরজন বলল, কি সে পাপ? সে বলল, আজ আ ৷ঠারটি বছর সে রোগে ভুগছে ৷ আল্লাহ তাকে
রহমত করেননি ৷ রোগ থেকে মুক্তি দেননি ৷ বিকেলে যখন তারা আসল, তখন দ্বিতীয় ভাইটি
আর ধৈর্য ধরতে পারল না ৷ আইয়ুব (আ) এর কাছে তা বলে দিল ৷ হযরত অইিয়ুব (আ)
বললেন, তুমি কি বলছ, তা আমি বুঝি না ৷ তবে আল্লাহ জানেন, একদা আমি দুই ব্যক্তির পাশ
দিয়ে যাচ্ছিলাম যারা পরস্পর ঝগড়া করছিল এবং আল্লাহর যিকির করছিল ৷ আমি বাড়িতে
প্রত্যাবর্তন করলাম এবং তারা যে অনুপযুক্ত পরিবেশে আল্লাহর যিকির করেছে সে জন্যে তাদের
পক্ষ থেকে আমি কাফ্ফারা আদায় করি ৷

হযরত অইিয়ুব (আ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যেতেন ৷ প্রয়োজন শেষ হলে শ্রী তার
হাত ধরে আনতেন ও স্ব-স্থানে রাখতেন ৷ একদা স্বামীর কাছে আসতে ত্রীর দেরি হয় ৷ এ

সময়ে আল্লাহ অইিয়ুব (আ) এর কাছে ওহী পাঠালেনং :

এ; ৷ ওেওদ্বু৷ (হে আইয়ুব! তোমার পা দ্বারা
মাটিতে আঘাত কর ৷ এই তো গোসলের ও পান করার ঠাণ্ডা পানি) বেশ কিছু সময় দেরি করে
শ্রী আজ অইিয়ুব (আ)-এর কাছে আসলেন ও তাকে দেখতে লাগলেন ৷ হযরত আইয়ুব (আ)
পুর্বের চেয়েও অধিক সুন্দর ও সুস্বাস্থ্যবান হয়েছেন ৷ তিনি এ অবস্থায় ন্তীর সম্মুখে আসলেন ৷ শ্রী
তাকে চিনতে না পেরে বললেন, আল্লাহ তোমাকে বরকতময় করুন ৷ এখানে আল্লাহর নবী
ণ্রাগগ্নস্ত অবস্থায় অবস্থান করছিলেন তাকে কি তুমি দেখেছ? আল্লাহর কসম , ঐ নবী রোগে
পড়ার পুর্বে যখন সুস্থ ছিলেন, তখন তার যে চেহারা জ্জি সে চেহারার সাথে তোমার চেহারার
ন্যায় অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ চেহারার লোক আমি আর কাউকে দেখিনি ৷ হযরত আইয়ুব (আ)
বললেন, আমিই সেই লোক ৷ হযরত অইিয়ুব (আ)-এর বাড়িতে দু’টি উঠান ছিল ৷ একটি গম
মাড়ানাের এবং আরেকটি যবের ৷ আল্লাহ দুই খণ্ড মেঘ পাঠিয়ে দেন ৷ একটি খণ্ড গমের উঠানের
উপর এসে স্বর্ণ বর্ষণ করে ৷ পর্যাপ্ত বর্ষণের ফলে তা পরিপুর্ণ হয়ে গড়িয়ে যেতে থাকে ৷ অপর
খণ্ডটি যবের উঠানের উপর রৌপ্য বর্ষণ করে-যা পরিপুর্ণ হয়ে গড়িয়ে যেতে থাকে ৷
উপরোক্ত সকল বর্ণনা ইবন আবীর (র) এর ৷ ইবন হিব্বান (র) ও তার সহীহ গ্রন্থে উপরোক্ত


غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَعْلَمُ أَنِّي كُنْتُ أَمُرُّ عَلَى الرَّجُلَيْنِ يَتَنَازَعَانِ فَيَذْكُرَانِ اللَّهَ، فَأَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي فَأُكَفِّرُ عَنْهُمَا كَرَاهِيَةَ أَنْ يَذْكُرَا اللَّهَ إِلَّا فِي حَقٍّ» . قَالَ: «وَكَانَ يَخْرُجُ فِي حَاجَتِهِ فَإِذَا قَضَاهَا أَمْسَكَتِ امْرَأَتُهُ بِيَدِهِ حَتَّى يَرْجِعَ، فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ أَبْطَأَتْ عَلَيْهِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أَيُّوبَ فِي مَكَانِهِ أَنِ: {ارْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَا مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَشَرَابٌ} [ص: 42] فَاسْتَبْطَأَتْهُ فَتَلَقَّتْهُ تَنْظُرُ، وَأَقْبَلَ عَلَيْهَا قَدْ أَذْهَبُ اللَّهُ مَا بِهِ مِنَ الْبَلَاءِ، وَهُوَ عَلَى أَحْسَنِ مَا كَانَ، فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ: أَيْ بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ، هَلْ رَأَيْتَ نَبِيَّ اللَّهِ هَذَا الْمُبْتَلَى؟ فَوَاللَّهِ عَلَى ذَلِكَ مَا رَأَيْتُ رَجُلًا أَشْبَهَ بِهِ مِنْكَ إِذْ كَانَ صَحِيحًا. قَالَ: فَإِنِّي أَنَا هُوَ. قَالَ: وَكَانَ لَهُ أَنْدَرَانِ؛ أَنْدَرٌ لِلْقَمْحِ وَأَنْدَرٌ لِلشَّعِيرِ، فَبَعَثَ اللَّهُ سَحَابَتَيْنِ فَلَمَّا كَانَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى أَنْدَرِ الْقَمْحِ أَفْرَغَتْ فِيهِ الذَّهَبَ حَتَّى فَاضَ، وَأَفْرَغَتِ الْأُخْرَى فِي أَنْدَرِ الشَّعِيرِ الْوَرِقَ حَتَّى فَاضَ» . هَذَا لَفْظُ ابْنِ جَرِيرٍ. وَهَكَذَا رَوَاهُ بِتَمَامِهِ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَرْمَلَةَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ. وَهَذَا غَرِيبٌ رَفْعُهُ جِدًّا، وَالْأَشْبَهُ أَنْ يَكُونَ مَوْقُوفًا. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي ثنا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَأَلْبَسُهُ اللَّهُ حُلَّةً مِنَ الْجَنَّةِ فَتَنَحَّى أَيُّوبُ، وَجَلَسَ فِي نَاحِيَةٍ، وَجَاءَتِ امْرَأَتُهُ فَلَمْ تَعْرِفْهُ فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا الْمُبْتَلَى الَّذِي كَانَ هَاهُنَا، لَعَلَّ الْكِلَابَ ذَهَبَتْ بِهِ أَوِ الذِّئَابَ؟ وَجَعَلَتْ تُكَلِّمُهُ سَاعَةً. قَالَ: وَيْحَكِ أَنَا أَيُّوبُ. قَالَتْ: أَتَسْخَرُ مِنِّي يَا عَبْدَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: وَيْحَكِ أَنَا أَيُّوبُ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৫১৪


সমুদয় ঘটনা ইবন ওহাব সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীসের মারকু বর্ণনা একান্তই গরীব’
পর্যায়ের ৷ এটা মওকুফ হওয়াই সঠিক ৷ ইবন আবী হাতিম (ব) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, আল্লাহ হযরত আইয়ুব (আ)-কে জান্নাতের পোশাক পরিধান করান ৷ আইয়ুব (আ)
জান্নার্তী পোশাক পরে একটু দুরে গিয়ে পথের পাশে বসে থাকেন ৷ তারপর তার শ্রী যখন
সেখানে আসেন, তখন তিনি তাকে চিনতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর বন্দো ৷
এখানে <রাপগ্রস্ত যে ণ্লাকটি ছিল তাকে সম্ভবত কুকুরে বা বাঘে নিয়ে গেছে ৷ এভাবে লোকটির
সাথে কিছু সময় ধরে শ্রী কথা বলতে থাকেন ৷ লোকটি বলল, সম্ভবত আমিই সেই আইয়ুব ৷ শ্রী
বললেন, হে আল্লাহর বন্দো৷ আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন ? তখন তিনি বলে
উঠলেন, আল্লাহ তোমাকে রহম করুন ৷ আমিই তো আইয়ুব ৷ আল্লাহ আমার সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে
দিয়েছেন ৷

ইবন আব্বাস (বা) বলেন, আল্লাহ হযরত আইয়ুব (আ)-কে পুর্বের সম্পদ ও সন্তান
অবিকল ফিরিয়ে দেন এবং সেই সাথে সমপরিমাণ অতিরিক্ত দান করেন ৷ ওহাব ইবন ঘুনাব্বিহ
(ব) বলেন, আল্লাহ তাকে ওহীর মাধ্যমে জানান : আমি তোমার সত্তানাদি ও ধন-সস্পদ
ফিরিয়ে দিয়েছি এবং আরও সমপরিমাণ দান করেছি, এখন এই পানি দ্বারা তুমি গোসল কর ৷
কারণ এর দ্বারা তুমি আরোপ্য লাভ করবে ৷ তোমার আপনজন ও আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ
থেকে কুরবানী দাও এবং তাদের জন্যে ক্ষমা চাও ৷ কেননা, তোমার ব্যাপারে তারা আমার
অবাধ্যতা করেছে ৷ ইবন আবী হাতিম (র) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আর্বী হাতিম (ব)
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে আরো বর্ণনা করেন যে, নবী কৰীম (সা) বলেছেন : আল্লাহ আইয়ুব
(আ)-কে শ্লোপ থেকে মুক্তি দেয়ার পর তার প্ৰতি স্বর্ণ বর্ষণ করেন ৷ আইয়ুব (আ) তা অঞ্জলি
ভরে উঠিয়ে কাপড় ভর্তি করতে থাকেন ৷ তখন অদৃশ্যলােক থেকে তাকে বলা হল, হে আইয়ুব ৷
তুমি কি তৃপ্ত হওনি? আইয়ুব (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! কে এমন আছে, যে
আপনার রহমতে তৃপ্ত হয়ে কে তা চাওয়া বন্ধ করতে পারে? অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ইমাম
আহমদ আবু দাউদ তায়ালিসী (র) সুত্রে, আবদুস সামাদ (র) কাতাদা (র) থেকে এবং ইবন
হিব্বান (ব) আবদুস সামাদ (র) থেকে ৷ এ হাদীস সহীহ-এব শর্তে উত্তীর্ণ ৷ অবশ্য, সিহাহ
সিত্তার কোন গ্রন্থে এটা বর্ণিত হয়নি ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷ ইমাম আহমদ (র ) আবু হুরায়রা
(রা)-এর সুত্রে বর্ণনা করেন, জনৈক লোকের মাধ্যমে আইয়ুব (আ)-এব কাছে কতগুলো
স্বর্ণ-পাত্র পাঠান হয় ৷ তিনি সেগুলো নিজের কাপড়ে ভরে রাখতে থাকেন ৷ তখন আওয়াজ হল,
হে অইিয়ুব! যা তোমাকে দেয়া হয়েছে তা কি তোমার জন্যে যথেষ্ট নয়? আইয়ুব বললেন, হে
আমার পালনকর্তা আপনার অনুগ্রহ থেকে কে হাত পুটাতে পারে? হাদীসটি উক্ত সুত্রে
মওকুফ ৷ তবে অন্য সুত্রে আবুহুরায়রা (রা) থেকে এটা মারকু রুগেও বর্ণিত হয়েছে ৷

ইমাম আহমদ (ব) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : একদা
আইয়ুব (আ) বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করছিলেন ৷ এমন সময় তার সামনে এক ঝাক স্বর্ণের
পঙ্গপাল পতিত হল ৷ তিনি সেগুলো হাতে ধরে কাপড়ে রাখতে লাপলেন ৷ তখন তার
প্রতিপালক তাকে ডেকে বললেন, হে আইয়ুব! তুমি যা দেখতে পাচ্ছেড়া তা থেকে আমি কি
তোমাকে অমুখাপেক্ষী করে দেইনি? তিনি উত্তর দিলেন, অবশ্যই আমার প্রতিপালক বিক্ষ্ম আমি

আল-বিদড়ায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খপ্ণ্ডুপ্)গ্যেঙ্ঘম্র-ওেমোঃজ্যো

رَدَّ اللَّهُ عَلَيَّ جَسَدِي. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَرَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ مَالَهُ وَوَلَدَهُ بِأَعْيَانِهِمْ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: قَدْ رَدَدْتُ عَلَيْكَ أَهْلَكَ وَمَالَكَ، وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ، فَاغْتَسِلْ بِهَذَا الْمَاءِ فَإِنَّ فِيهِ شِفَاءَكَ وَقَرِّبْ عَنْ صَحَابَتِكَ قُرْبَانًا، وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّهُمْ قَدْ عَصَوْنِي فِيكَ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: ثنا أَبُو زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَمَّا عَافَى اللَّهُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَمْطَرَ عَلَيْهِ جَرَادًا مِنْ ذَهَبٍ فَجَعَلَ يَأْخُذُ بِيَدِهِ، وَيَجْعَلُ فِي ثَوْبِهِ. قَالَ: فَقِيلَ لَهُ: يَا أَيُّوبُ أَمَا تَشْبَعُ؟ قَالَ: يَا رَبِّ وَمَنْ يَشْبَعُ مِنْ رَحْمَتِكَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَعَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بِهِ. وَلَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أُرْسِلَ عَلَى أَيُّوبَ رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ مِنْ ذَهَبٍ فَجَعَلَ يَقْبِضُهَا فِي ثَوْبِهِ فَقِيلَ يَا أَيُّوبُ أَلَمْ يَكْفِكَ مَا أَعْطَيْنَاكَ قَالَ: أَيْ رَبِّ، وَمَنْ يَسْتَغْنِي عَنْ فَضْلِكَ. هَذَا مَوْقُوفٌ، وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَرْفُوعًا.
পৃষ্ঠা - ৫১৫

৪৯৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া

আপনার বরকতের অমুখাপেক্ষী নই ৷ বুখারী (র) আবদুর রায়যা ক (র) সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷
»’

আল্লাহর বাণী: এ্ান্,ন্ ণ্ডেব্লু, ৷ (তু তোমার পা দ্বারা আঘাত কর ৷) আইয়ুব (আ)
নির্দেশ মোতাবেক আপন র্পা দ্বারা মাটিতে আঘাত করলেন ৷ আল্লাহ সেখান থেকে একটি
ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করেন ৷ যার পানি ছিল সুশীতল ৷ আল্লাহ তাকে এই পানি দ্বারা গোসল
করতে ও তা পান করতে হুকুম দেন ৷ আইয়ুব (আ)ত তাই করলেন ৷ ফলে তার সমস্ত ব্যথা
বেদনা ও তার দেহের প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল রোগ শোক ও ক্ষত দুর হয়ে গেল ৷ আল্লাহ
তাকে সুাস্থ্য দান করেন, তার চেহারাব্লুক সুদর্শন চেহারায় পরিবর্তন করে দেন ৷ এ ছাড়া
কে প্রচুর ধন-সম্পদও দান করেন ৷ এমনকিার্ণের পঙ্গপালও বর্ষণ করেন ৷ তাকে আল্লাহ
সন্তান-সম্ভতিও প্রদান করেন ৷ আল্লাহ বলেন: ন্ছুর্ধর্দু মোঃ ধ্াইষ্া :fifi ;§ (তাকে তার
পরিবারবর্গ ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের সমপরিমাণও দিলাম) ৷ কারও কারও মতে আল্লাহ
আইয়ুব (আ) এর পুর্বের সন্তানদেরকে জীবিত করে দেন ৷ আর কারও মতে, পুর্বের সন্তানদের
বিনিময়ে আল্লাহ আইয়ুব (আ) কে সওয়াব দান করেন এবং তাদের স্থলে সমস খ্যক সন্তান
দুনিয়ার দান করেন ৷ আর এ সকলকে আল্লাহ কিয়ামব্লুতর দিন তার সাথে একত্র
করবেন ৷ ৷১১^; ট্রুঙ্কু£হ (আমার পক্ষ থেকে রহমতারুপ ৷) অর্থাৎ আমি তার যাবতীয়

৪খ-কষ্ট দুর করে ল্টিামপ্’ ৷ ;শুং ;, ৰুা র্চুণ্ মোঃ; (এবং তার উপর যে মুসীবত চেপে
ছিল তা থেকে তাকে মুক্ত করলাম ৷) অর্থাৎ এটা ছিল তার প্ৰতি আমার রহমত, কৃপা ও
অনুগ্রহ ৷ শুপ্রুপ্রএ্ষ্র্দুন্পুা < ;১^<১ট্রু (এবং ইবাদতকারীদের জন্যে উপব্লুদশারুপ) অর্থাৎ এটা ঐ
ব্যক্তির জন্যে উপদেশারুপ যে তার দেহ, সম্পদ কিংবা সন্তানের ব্যাপারে পরীক্ষায় পতিত
হবে ৷ তার জন্যে আল্লাহর নবী অাইয়ুব (আ) আদর্শ হয়ে থাকবেন ৷ কেননা, আল্লাহ আইয়ুব
(আ) কে তার চাইতেও অনেক বড় পরীক্ষায় ফেব্লুলছিব্লুলন ৷ কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ করেন এবং
বিনিময়ে পুরস্কার আশা করেন ৷ ফলে আল্লাহ তাকে মুক্তি দেন ৷ উপরোক্ত আয়াত ৰুপু;ন্নু)
(াধ্ থেকে যারা এ অর্থ নিয়েছেন যে, এটা তার শ্রীর নাম (ব্লু ^ )াতদের এরুপ দলীল
গ্রহণ সম্পুর্ণ বাতিল ও ভ্রান্তিপুর্ণ ৷ যাহ্হাক (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
আল্লাহ আইয়ুব (আ)-এর ত্রীব্লুক যৌবন ফিরিয়ে দেন এবং ত্রীকে পুর্বাপেক্ষা অধিক সুশ্রী করে
দেন; এমনকি আরও ছাব্বিশজন পুত্র সন্তানও তার গর্ভে জন্মগ্রহণ করে ৷ রোগ থেকে মুক্তি
লাব্লু৩ব্ পর আইয়ুব (আ) সত্তর বছর জীবিত ছিলেন ৷ তিনি রোম দেশে বসবাস করতেন এবং
দীব্লুন হানীফ তথা সত্য ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৷ এরপর পরবর্তী লোকজন ইবরাহীম

(আ) এর দীনের মধ্যে বিকৃতি ৩ঘটায় ৷ আল্লাহর বাণী৪


(


হে আইয়ুব! তুমিা-হস্তে তৃণশলা ধারণ কর এবং তা দ্বারা স্তীকে প্রহার কর ৷ তবুও কসম
ভঙ্গ করো না ৷ আমরা আইয়ুবব্লুক ধৈর্যশীল পেয়েছি ৷ কতই না উত্তম বান্দা সে! ৪সব্লুন্দহ সে
ছিল আমার অভিমুখী ৷ (সুরা মাস : ৪৪)


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَمَا أَيُّوبُ يَغْتَسِلُ عُرْيَانًا خَرَّ عَلَيْهِ جَرَادٌ مِنْ ذَهَبٍ فَجَعَلَ أَيُّوبُ يَحْثِي فِي ثَوْبِهِ فَنَادَاهُ رَبُّهُ عَزَّ وَجَلَّ: يَا أَيُّوبُ أَلَمْ أَكُنْ أَغْنَيْتُكَ عَمَّا تَرَى. قَالَ: بَلَى يَا رَبِّ، وَلَكِنْ لَا غِنَى لِي عَنْ بَرَكَتِكَ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَقَوْلُهُ: {ارْكُضْ بِرِجْلِكَ} [ص: 42] أَيِ اضْرِبِ الْأَرْضَ بِرِجْلِكَ فَامْتَثَلَ مَا أُمِرَ بِهِ فَأَنْبَعَ اللَّهُ لَهُ عَيْنًا بَارِدَةَ الْمَاءِ، وَأُمِرَ أَنْ يَغْتَسِلَ فِيهَا، وَيَشْرَبَ مِنْهَا، فَأَذْهَبَ اللَّهُ عَنْهُ مَا كَانَ يَجِدُهُ مِنَ الْأَلَمِ وَالْأَذَى وَالسَّقَمِ وَالْمَرَضِ، الَّذِي كَانَ فِي جَسَدِهِ ظَاهِرًا وَبَاطِنًا، وَأَبْدَلَهُ اللَّهُ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ صِحَّةً ظَاهِرَةً وَبَاطِنَةً، وَجَمَالًا تَامًّا، وَمَالًا كَثِيرًا حَتَّى صَبَّ لَهُ مِنَ الْمَالِ صَبًّا مَطَرًا عَظِيمًا جَرَادًا مِنْ ذَهَبٍ، وَأَخْلَفَ اللَّهُ لَهُ أَهْلَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَآتَيْنَاهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ} [الأنبياء: 84] . فَقِيلَ أَحْيَاهُمُ اللَّهُ بِأَعْيَانِهِمْ. وَقِيلَ: آجَرَهُ فِيمَنْ سَلَفَ، وَعَوَّضَهُ عَنْهُمْ فِي الدُّنْيَا بَدَلَهُمْ، وَجَمَعَ لَهُ شَمْلَهُ بِكُلِّهِمْ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ. وَقَوْلُهُ: {رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا} [الأنبياء: 84] . أَيْ رَفَعْنَا عَنْهُ شِدَّتَهُ، وَكَشَفْنَا مَا بِهِ مِنْ ضُرٍّ رَحْمَةً مِنَّا بِهِ وَرَأْفَةً وَإِحْسَانًا {وَذِكْرَى لِلْعَابِدِينَ} [الأنبياء: 84] أَيْ تَذْكِرَةً لِمَنِ ابْتُلِيَ فِي جَسَدِهِ أَوْ مَالِهِ أَوْ وَلَدِهِ فَلَهُ أُسْوَةٌ بِنَبِيِّ اللَّهِ أَيُّوبَ، حَيْثُ ابْتَلَاهُ اللَّهُ بِمَا هُوَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ، فَصَبَرَ وَاحْتَسَبَ حَتَّى فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ. وَمَنْ فَهِمَ مِنْ هَذَا اسْمَ امْرَأَتِهِ. فَقَالَ: هِيَ رَحْمَةُ مِنْ هَذِهِ الْآيَةِ فَقَدْ أَبْعَدَ النُّجْعَةَ، وَأَغْرَقَ فِي النَّزْعِ.
পৃষ্ঠা - ৫১৬


অর্থাৎ এটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আইয়ুব (আ)-এর প্রতি বিশেষ রেয়াত ৷ তিনি ত্রীকে
একশ’ কােড়া মারার শপথ করেছিলেন ৷ এর কারণ হিসেবে কেউ বলেছেন, শ্রী চুল বিক্রি করার
তিনি এই শপথটি করেছিলেন ৷ কেউ বলেছেন যে, একদা শয়তান নবীর শ্ৰীর কাছে
চিকিৎসকের বেশ ধরে গিয়ে আইয়ুব (আ)-এর ব্যাধির নির্দিষ্ট ঔষধের বর্ণনা দিয়েছিল ৷ ত্রী
তার কাছে এসে উক্ত ঔষধের কথা ব্যক্ত করেন ৷ তিনি বুঝতে পারলেন যে, এটা শয়তানের
কাজ ৷ তখন তিনি কসম করেন যে, ত্রীকে একশ’ কােড়া মারবেন ৷ রোগ মুক্তির পর আল্লাহ
র্তাকে জানালেন যে, শস্যের গোছাব মত এক গোছা তৃণ একত্রে বেধে একবার ত্রীকে মার ৷
এতে একশ’ কোড়া মারা হয়েছে বলে গণ্য হবে ৷ এতেই কসমের কাফফ্রাে হয়ে যাবে ৷ কসম
ভাঙ্গার গুনাহ হবে না ৷ এটা হল মুক্তির সহজ ব্যবস্থা এবং এমন ব্যক্তির কসম থেকে নিকৃতি
লাভের উপায়, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে ও তার আনুগত্য করে ৷ বিশেষ করে একজন
ধৈর্যশীল সতী-সাখ্ঘী, সত্যপন্থী নেককার শ্রী লোকের ক্ষেত্রে ৷ এজন্যে আল্লাহ এই সুয়েফুগ
দেয়ার কারণ হিসেবে সাথে সাথেই উল্লেখ করেছেন : দ্বু^এে ৷ ন্গ্লু ৷প্রু £র্দ্রণ্ শুর্চুহুর্বৃটু ট্রিা
,র্দুর্দু’,াদুেদ্বুপু ৷ (আমি তাকে সবরকারীরুপে পেয়েছি ৷ কত ভাল বন্দো ¢fl ৷ নিশ্চয়ই সে আল্লাহর
ইবাদতকারী) ৷ বহু সংখ্যক ফিকাহবিদ এই রেয়াতকে আয়মড়ান ও নুযুর (শপথ ও মড়ানত)
অধ্যায়ে দলীলরুপে প্রয়োগ করেছেন ৷ কিছু সংখ্যক ফকীহ এর ব্যাপ্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে
শপথ থেকে র্বাচড়ার উপায় ও বাহানা অধ্যায় সংযোজন করেছেন শ্রোা ধ্া ;৷ ৷ ন্ৰু ৷£ )
(ব্লু,া ১৷ ৷ )ণ্ ষ্ণ্ >া১৷ ৷ তারা দলীল হিসেবে এ আয়াতকেই পেশ করেছেন এবং রকমারি
মাসআলা বের করেছেন ৷ আমরা তার কিছু অংশ কিতাবুল আহকামে’ যখন পৌছব ইনশাল্লাহ
তখন আলোচনা করব ৷

ইবন জারীর (র) প্রমুখ ইতিহাসরেত্তা লিখেছেন যে, হযরত আইয়ুব (আ) তিরানব্বই বছর
বয়সে ইন্তিকাল করেন ৷ কারও মতে, তিনি এর চেয়ে রেশিদিন জীবিত ছিলেন ৷ মুজাহিদ (র)
সুত্রে লায়ছ বর্ণনা করেন যে, কিয়ড়ামতের দিন আল্লাহ দলীল হিসেবে ধনীদের বিরুদ্ধে সুলায়মান
(আ)-কে, দাস-দাসীদের বিরুদ্ধে ইউসুফ (আ)-কে এবং ঘুসীবত ও বিপদগ্রস্তদের মুকাবিলায়
আইয়ুব (আ)-কে পেশ করবেন ৷ ইবন আসাকির (র)ও সমঅর্থবোধক বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷
মৃত্যুকালে হযরত আইয়ুব (আ) তার পুত্র হাওমালকে ওসীয়ত করে যান ৷ তার পরে বিশর ইবন
আইয়ুব তার স্থলাভিষিক্ত হন ৷ অনেকের ধারণা মতে , এই বিশরই কুরআনে বর্ণিত যুল-কিফ্ল ৷
এদের ধারণা হিসেবে তিনি নবী এবং পচাত্তর বছর বয়সে তিনি ইস্তিকাল করেন ৷ কিছু লোক
যখন আইয়ুব (আ)-এর পুত্র বিশরকে যুল-কিফ্ল বলেছেন, তখন আমরা যুল-কিফ্ল-এর
কাহিনীই এখন আলোচনা করব ৷


وَقَالَ الضَّحَّاكُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: رَدَّ اللَّهُ إِلَيْهَا شَبَابَهَا وَزَادَهَا حَتَّى وَلَدَتْ لَهُ سِتَّةً وَعِشْرِينَ وَلَدًا ذَكَرًا. وَعَاشَ أَيُّوبُ بَعْدَ ذَلِكَ سَبْعِينَ سَنَةً بِأَرْضِ الرُّومِ عَلَى دِينِ الْحَنِيفِيَّةِ، ثُمَّ غَيَّرُوا بَعْدَهُ دِينَ إِبْرَاهِيمَ. وَقَوْلُهُ: {خُذْ بِيَدِكَ ضِغْثًا فَاضْرِبْ بِهِ وَلَا تَحْنَثْ إِنَّا وَجَدْنَاهُ صَابِرًا نِعْمَ الْعَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} [ص: 44] . هَذِهِ رُخْصَةٌ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى لِعَبْدِهِ وَرَسُولِهِ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِيمَا كَانَ مِنْ حَلِفِهِ لَيَضْرِبَنَّ امْرَأَتَهُ مِائَةَ سَوْطٍ. فَقِيلَ: حَلِفُهُ ذَلِكَ لِبَيْعِهَا ضَفَائِرَهَا. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ اعْتَرَضَهَا الشَّيْطَانُ فِي صُورَةِ طَبِيبٍ يَصِفُ لَهَا دَوَاءً لِأَيُّوبَ، فَأَتَتْهُ فَأَخْبَرَتْهُ، فَعَرَفَ أَنَّهُ الشَّيْطَانُ فَحَلَفَ لَيَضْرِبَنَّهَا مِائَةَ سَوْطٍ، فَلَمَّا عَافَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَفْتَاهُ أَنْ يَأْخُذَ ضِغْثًا، وَهُوَ كَالْعِثْكَالِ الَّذِي يَجْمَعُ الشَّمَارِيخَ فَيَجْمَعَهَا كُلَّهَا وَيَضْرِبَهَا بِهِ ضَرْبَةً وَاحِدَةً، وَيَكُونُ هَذَا مُنْزَلًا مَنْزِلَةَ الضَّرْبِ بِمِائَةِ سَوْطٍ، وَيَبَرُّ وَلَا يَحْنَثُ. وَهَذَا مِنَ الْفَرَجِ وَالْمَخْرَجِ لِمَنِ اتَّقَى اللَّهَ، وَأَطَاعَهُ، وَلَا سِيَّمَا فِي حَقِّ امْرَأَتِهِ الصَّابِرَةِ الْمُحْتَسِبَةِ الْمُكَابِدَةِ الصِّدِّيقَةِ الْبَارَّةِ الرَّاشِدَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا؛ وَلِهَذَا عَقَّبَ اللَّهُ هَذِهِ الرُّخْصَةَ، وَعَلَّلَهَا بِقَوْلِهِ: {إِنَّا وَجَدْنَاهُ صَابِرًا نِعْمَ الْعَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} [ص: 44] . وَقَدِ اسْتَعْمَلَ كَثِيرٌ مِنَ الْفُقَهَاءِ هَذِهِ الرُّخْصَةَ فِي بَابِ الْأَيْمَانِ وَالنُّذُورِ، وَتَوَسَّعَ آخَرُونَ فِيهَا حَتَّى وَضَعُوا كِتَابَ الْحِيَلِ فِي الْخَلَاصِ مِنَ الْأَيْمَانِ، وَصَدَّرُوهُ بِهَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ، وَأَتَوْا فِيهِ بِأَشْيَاءَ مِنَ الْعَجَائِبِ وَالْغَرَائِبِ، وَسَنَذْكُرُ طَرَفًا مِنْ ذَلِكَ فِي كِتَابِ الْأَحْكَامِ عِنْدَ الْوُصُولِ إِلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، وَغَيْرُهُ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ أَنَّ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
পৃষ্ঠা - ৫১৭
لَمَّا تُوُفِّيَ كَانَ عُمُرُهُ ثَلَاثًا وَتِسْعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّهُ عَاشَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ رَوَى لَيْثٌ عَنْ مُجَاهِدٍ مَا مَعْنَاهُ: أَنَّ اللَّهَ يَحْتَجُّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِسُلَيْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَغْنِيَاءِ، وَبِيُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَرِقَّاءِ، وَبِأَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى أَهْلِ الْبَلَاءِ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِمَعْنَاهُ، وَأَنَّهُ أَوْصَى إِلَى وَلَدِهِ حَوْمَلَ، وَقَامَ بِالْأَمْرِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ بِشْرُ بْنُ أَيُّوبَ، وَهُوَ الَّذِي يَزْعُمُ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ ذُو الْكِفْلِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمَاتَ ابْنُهُ هَذَا، وَكَانَ نَبِيًّا فِيمَا يَزْعُمُونَ، وَكَانَ عُمُرُهُ مِنَ السِّنِينَ خَمْسًا وَسَبْعِينَ، وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا قِصَّةَ ذِي الْكِفْلِ إِذْ قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ ابْنُ أَيُّوبَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ.