আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ذكر بناء البيت العتيق

পৃষ্ঠা - ৩৭৬

বায়তৃল আতীক বা কাবাগৃহ নির্মাণ

এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাণী ং



শ্
র্চুা,ওর্টু গ্লু১৷ ৷এ ৷, ’ ঞা;াছুএে

এবং স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহীমের জন্যে নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই ঘরের স্থান,
তখন বলেজ্জিড়াম, আমার সাথে কোন শরীক স্থির করো না, এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখিও
তাদের জন্যে যারা তাওয়াফ করে এবং যারা (দাড়ায় সালাতে), রুকু করে ও সিজদা করে ৷
এবং মানুষের নিকট হজ্জ-এর ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও
সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটসমুহের পিঠে, এরা আসবে দুর-দুরান্তের পথ অতিক্রম করে ৷ (সুরা :
হজ্জ : ২৬ ২ ৭ )

আল্লাহর রাণী৪ €



মানব জাতির জন্যে সর্বপ্রথম যে ঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অতাে বাক্কায়, তা বরকতময়
ও বিশ্বজগতের দিশারী ৷৩ তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে ৷ যেমন মাকামে ইব্রাহীম এবং যে
কেউ ( সস্থানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ ৷ মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামথ্য আছে,
আল্লাহর উদ্দেশে ঐ গৃহের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য ৷ এবং কেউ প্রুত্যাথ্যান করলে সে
জেনে রাথুক , আল্লাহ্ বিশ্বজগতের মুথাঃপক্ষী নন ৷ (সুরা আলে-ইমরান : ৯৬-৯৮ )

আল্লাহর রাণী৪






,১এএএএ“৷ ,১এএএএট্টহ্র,এ ৷,


[ذِكْرُ بِنَاءِ الْبَيْتِ الْعَتِيقِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَنْ لَا تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ} [الحج: 26] . [الْحَجِّ: 26 - 27] . وَقَالَ تَعَالَى: {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ فِيهِ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ مَقَامُ إِبْرَاهِيمَ وَمَنْ دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 96] [الْبَقَرَةِ: 124 - 129] . يَذْكُرُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭


অবস্থিত ৷ এমনকি যদি বড়ায়ভুল মা মুর নিচে পতিত হতো তবে তা অবশ্যই কা বাঘরের উপরেই
পড়ভাে ৷ শুধু তাই নয়, কোন কোন পুর্বসুরি আলিমের মতে, সাত আসমানের প্রতিটি ইবাদত
গৃহ এই একই বরাবরে অবস্থিত ৷ তারা বলেছেন, প্রতিটি আসমানে একটি করে ঘর আছে ৷
আসমানবাসীরা সেই ঘরে আল্লাহর ইবাদত করে থাকেন ৷ আসমানবাসীদের জন্যে সেগুলো
পৃথিবীর অধিবাসীদের কাবারই অনুরুপ ৷ তাই আল্পাহ্ ইব্রাহীম (আ ) কে পৃথিবীর
অধিবাসীদের জন্যে একটি ঘর নির্মাণ করতে আদেশ দেন, যেমনি আকাশের ফেরেশতাদের
জন্যে ইবড়াদতখানা রয়েছে, আল্পাহ্ তাকে সে স্থান দেখিয়ে দেন ৷ আকাশ ও যমীন সৃষ্টির পর
থেকেই এই স্থানটিকে উক্ত ঘরের জন্যে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল ৷ বুখারী ও মুসলিমে এ
কথাই বর্ণিত হয়েছে যে, এই শহরকে আল্লাহ সেই দিনই হন্রম’ বলে মর্যাদাসম্পন্ন করেছেন,
যেদিন তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছিলেন ৷ সুতরাং আল্লাহ্ প্রদত্ত মর্যাদার এটা কিয়ামত
পর্যন্ত তা হারমই থাকবে ৷ কোন সহীহ্ বর্ণনায়কােন নবী থেকে এমন বর্ণনা পাওয়া যায়নি যে,
ইব্রাহীম খলীলের নির্মাণের পুর্বে এ ঘরের কোন নির্মিতরুপ হিল ৷

আয়াতে উল্লেখিত ষ্ ৷ ৷ র্চু ,ার্বু (ঘরের স্থান) শব্দ থেকে কেউ কেউ প্রমাণ করতে
চেয়েছেন যে, এ ঘরের ড়িড়ি পুর্ব থেকেই বিদ্যমান ছিল ৷ কিন্তু তাদের এ দর্শীল যথার্থ নয় ৷
কেননা, ঘরের ন্থান বলে বোঝান হয়েছে সেই ন্থানকে যা আল্লাহর জ্ঞানে নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট
ছিল এবং তারই কুদরতে হযরত আদম (আ) থেকে ইব্রাহীম থশীল (আ)-এর সময় পর্যন্ত
সকল নবীর নিকট তা পরিচিত ছিল ৷ আমরা আগেই বলেছি যে, হযরত আদম (আ) এ ঘরের
উপর গম্বুজ নির্মাণ করেছিলেন ৷ ফেরেশতাপণ তাকে বলেছিলেন, আমরা আপনার পুর্বেই এ ঘর
তওয়াফ করেছি ৷ নুহের কিশতী এ ঘরের চারদিকে চল্লিশ দিন (না তার কাছাকাছি সময়) ধরে
প্রদক্ষিণ করে ৷ কিন্তু এগুলো ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে ৷ আমরা বলেছি যে,
ইসরাঈলী বর্ণনাকে আমরা সত্যও জানবাে না, মিথ্যাও বলবো না ৷ সুতরাং এর দ্বারা কোন
প্রমাণ দেয়৷ যাবে না ৷ তবে যদি তা সত্যের বিপরীত হয় তবে অবশইে তা পরিত্যাজ্য ৷

আল্লাহ্ বলেন , ,


নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের ইবাদতেয় জন্যে নির্মাণ করা হয়েছে, যা মক্কায় অবস্থিত

তা অতি বরকতময় ও বিশ্ববাসীর হিদায়াতের মাধ্যম ৷

অর্থাৎ প্রথম ঘর যা সর্বসাধারণের কল্যাণার্থে নির্মাণ করা হয়েছে, তা ছিল বরকতের জন্যে
’ ও হিদায়াতের জন্যে ৷ ¢$,;fi দ্বারা ২টি অর্থ বোঝা যায় (১) মক্কা, (২) বা বা যে জায়গার

উপর দাড়িয়ে আছে তা ৷ র্বু,র্চুএ দ্বুা ৷ ণ্ট্টব্র (এতে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমুহ ৷) কেননা,
এটা নির্মাণ করেছেন ইব্রাহীম খলীল (আ) যিনি তার পরবর্তী সকল নবীর পিতা ৷ নিজ
বংশধরদের মধ্যে বাবা তাকে অনুসরণ করেছে ও তার রীতি-নীতি গ্রহণ করেছে, তাদের তিনি
ইমাম ৷ এ কারণেই আল্লাহ্ বলেছেন ণ্ ১ ৷ , ৷ ন্ার্চুহু (ইবৃরাহীমের র্দাড়াবার স্থান) অর্থাৎ যে
পাথরের উপর দাড়িয়ে তিনি কা বাঘৱ নির্মাণ করেছিলেন ৷ কাৰা ঘরের দেওয়াল যখন তার
চাইতে উচু হয়ে যায়, তখন পুত্র ইসমাঈল (আ) এই প্রসিদ্ধ পাথরখান৷ এনে পিতার পায়ের
নিচে স্থাপন করেন, যাতে তার উপর দাড়িয়ে দেওয়াল উচু করতে পারেন ৷ ইবন আব্বাস

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (১ম খওপ্) : ৭-

تَعَالَى عَنْ عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ وَصَفِيِّهِ وَخَلِيلِهِ، إِمَامِ الْحُنَفَاءِ، وَوَالِدِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِ أَفْضَلُ صَلَاةٍ وَتَسْلِيمٍ، أَنَّهُ بَنَى الْبَيْتَ الْعَتِيقَ الَّذِي هُوَ أَوَّلُ مَسْجِدٍ وُضِعَ لِعُمُومِ النَّاسِ يَعْبُدُونَ اللَّهَ فِيهِ، وَبَوَّأَهُ اللَّهُ مَكَانَهُ أَيْ أَرْشَدَهُ إِلَيْهِ وَدَلَّهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ رُوِّينَا عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَغَيْرِهِ أَنَّهُ أُرْشِدَ إِلَيْهِ بِوَحْيٍ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي صِفَةِ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ أَنَّ الْكَعْبَةَ بِحِيَالِ الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ بِحَيْثُ أَنَّهُ لَوْ سَقَطَ لَسَقَطَ عَلَيْهَا، وَكَذَلِكَ مَعَابِدُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ، كَمَا قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: إِنَّ فِي كُلِّ سَمَاءٍ بَيْتًا يَعْبُدُ اللَّهَ فِيهِ أَهْلُ كُلِّ سَمَاءٍ وَهُوَ فِيهَا كَالْكَعْبَةِ لِأَهْلِ الْأَرْضِ فَأَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنْ يَبْنِيَ لَهُ بَيْتًا يَكُونُ لِأَهْلِ الْأَرْضِ كَتِلْكَ الْمَعَابِدِ لِمَلَائِكَةِ السَّمَاءِ، وَأَرْشَدَهُ اللَّهُ إِلَى مَكَانِ الْبَيْتِ الْمُهَيَّأِ لَهُ الْمُعَيَّنِ لِذَلِكَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ «إِنَّ هَذَا الْبَلَدَ حَرَّمَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» . وَلَمْ يَجِئْ فِي خَبَرٍ صَحِيحٍ عَنْ مَعْصُومٍ أَنَّ الْبَيْتَ كَانَ مَبْنِيًّا قَبْلَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَنْ تَمَسَّكَ فِي هَذَا بِقَوْلِهِ: {مَكَانَ الْبَيْتِ} [الحج: 26] فَلَيْسَ بِنَاهِضٍ وَلَا ظَاهِرٍ؛ لِأَنَّ الْمُرَادَ مَكَانُهُ الْمُقَدَّرُ فِي عِلْمِ اللَّهِ، الْمُقَدَّرُ فِي قَدَرِهِ، الْمُعَظَّمُ عِنْدَ الْأَنْبِيَاءِ مَوْضِعُهُ مِنْ لَدُنْ آدَمَ إِلَى زَمَانِ إِبْرَاهِيمَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّ آدَمَ نَصَبَ عَلَيْهِ قُبَّةً، وَأَنَّ الْمَلَائِكَةَ قَالُوا لَهُ: قَدْ طُفْنَا قَبْلَكَ بِهَذَا الْبَيْتِ. وَأَنَّ السَّفِينَةَ طَافَتْ بِهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৮


(না)-এর দীর্ঘ হাদীসে এ কথা পুকৌ উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এ পাথরটি সেই প্রাচীনকাল থেকে
হযরত উমর (রা)-এর খিলাফতকাল পর্যন্ত কাবার দেওয়াল সংলগ্ন ছিল ৷ তিনি এটাকে কাবা
ঘর থেকে কিছু পিছিয়ে দেন ৷ যাতে সালাত আদায়কারী ও তাওয়ড়াফকারীদের অসুবিধা না হয় ৷
এ ব্যাপারে হযরত উমর (না)-এর পদক্ষেপকে সকলে মেনে নেন ৷

কেননা, যেসব বিষয়ে হযরত উমর (রা) এর মতামত আল্লাহ তাআলার আনুকুল্য লাভ
করে তন্মধ্যে এটি একটি ৷ কারণ, একদা তিনি রাসুল (সা) এর নিকট বলেছিলেনঃ া ৷ fl
ণ্ডা০ ৰু০;গু ৷ , ৷ ণ্াঘ্র; গ্লু ০০ কতই না ভাল হত যদি মাকামে ইব্রাহীমকে আমরা
সালা তের স্থানরুপে গ্রহণ করতাম খনত আল্লাহ আয়াত নাযিল করেনং :ণ্ধ্রুর্দুহু গ্লুট্রু০ ৷ এ;াই ৷ এ
ঝুদ্বুর্বুণ্ ট্ট^ ৷ ) ৷ (তোমরা মাকা মে ইব্রাহীমকে৷ স ৷লাতের স্থান রুপে গ্রহণ কর ৷) ইসলামের
প্রাথমিক যুগ শোপর্যত ঐ পাথরের উপর হযরত ইব্রাহীম (আ) এর পায়ের দাগ অবশিষ্ট ছিল ৷

আবুতালিব তার বিখ্যাত কাসীদায়ে লামিয়ায়’ এ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন :
ড্রুঞ^১ এ১-ইএ

অর্থাৎ-হাওর পর্বতের কন্যা এবং যিনি ছাবীর পর্বতকে তার জায়গায় দৃঢ়ভ৷ বে স্থাপন
করেছেন তার কসম এবং যিনি হেরা পর্বতে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন ও অবত তরণ করেছিলেন
তার কসম ৷ এই ঘরের কসম, মক্কাবাসীদের উপরে এই ঘরের হক রয়েছে ৷ আল্লাহর
কসম, তিনি কিছুমাত্র পাফিল নন ৷ কসম হাজরে আসওয়াদের ৷ যখন দিবসের প্রথমডাগে
ও শেষভাগে লোকজন তাওয়াফকালে তাকে জড়িয়ে ধরে ৷ কসম মাকামে ইব্রাহীমের,
যার উপর তার পাদৃকাবিহীন নগ্ন পায়ের স্মৃতিচিহ্ন এখনও বিদ্যমান রয়েছে ৷
অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীম (আ) যে পাথরের উপর দাড়িয়ে কা বাঘর নির্মাণ করেছিলেন, সেই
পাথরের উপর তা ৷র পায়ের চিহ্ন অঙ্কিত হয়ে যায় ৷

আল্লাহ বলেন ৷
(স্মরণ কর যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল বায়তুল্লাহুর প্রাচীর তুলছিল ) তখন তারা এই
দু আ পাঠ করেছিলেন০ : ণ্ার্বৃদ্বুব্লুৰু র্চুট্রু’,-হে আমাদের
প্রতিপা ৷লক ! আমাদের এ কাজ গ্রহণ কর ৷ নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ৷সর্বজ্ঞাত৷ ৷

এ থেকে সহজেই বোঝা যায় যে, আল্লাহ্র নির্দেশ পালনে তার৷ উভয়ে ছিলেন একান্ত
নিষ্ঠাবান ৷ তাই সর্ব্যশ্রাত৷ ও সর্বজাত্তা আল্লাহর নিকট তারা দু আ করছেন তাদের এ মহৎ কাজ
ও প্রচেষ্টা কবুল করার জন্যে ৷ আল্লাহ্র রাণী০



وَلَكِنْ كُلُّ هَذِهِ الْأَخْبَارِ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَدْ قَرَّرْنَا أَنَّهَا لَا تُصَدَّقُ وَلَا تُكَذَّبُ فَلَا يُحْتَجُّ بِهَا، فَأَمَّا إِنْ رَدَّهَا الْحَقُّ فَهِيَ مَرْدُودَةٌ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ: {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ} [آل عمران: 96] . أَيْ أَوَّلُ بَيْتٍ وُضِعَ لِعُمُومِ النَّاسِ لِلْبَرَكَةِ وَالْهُدَى الْبَيْتُ الَّذِي بِبَكَّةَ قِيلَ: مَكَّةُ. وَقِيلَ: مَحَلَّةُ الْكَعْبَةِ {فِيهِ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ} [آل عمران: 97] . أَيْ عَلَى أَنَّهُ بِنَاءُ الْخَلِيلِ وَالِدِ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ بَعْدِهِ وَإِمَامِ الْحُنَفَاءِ مِنْ وَلَدِهِ الَّذِينَ يَقْتَدُونَ بِهِ. وَيَتَمَسَّكُونَ بِسُنَّتِهِ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {مَقَامُ إِبْرَاهِيمَ} [آل عمران: 97] أَيِ: الْحَجَرُ الَّذِي كَانَ يَقِفُ عَلَيْهِ قَائِمًا لَمَّا ارْتَفَعَ الْبِنَاءُ عَنْ قَامَتِهِ فَوَضَعَ لَهُ وَلَدُهُ هَذَا الْحَجَرَ الْمَشْهُورَ لِيَرْتَفِعَ عَلَيْهِ لَمَّا تَعَالَى الْبِنَاءُ وَعَظُمَ الْفِنَاءُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ الطَّوِيلِ، وَقَدْ كَانَ هَذَا الْحَجَرُ مُلْصَقًا بِحَائِطِ الْكَعْبَةِ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنْ قَدِيمِ الزَّمَانِ إِلَى أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَأَخَّرَهُ عَنِ الْبَيْتِ قَلِيلًا لِئَلَّا يَشْغَلَ الْمُصَلُّونَ عِنْدَهُ الطَّائِفِينَ بِالْبَيْتِ، وَاتَّبَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي هَذَا، فَإِنَّهُ قَدْ وَافَقَهُ رَبُّهُ فِي أَشْيَاءَ مِنْهَا؛ فِي قَوْلِهِ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوِ اتَّخَذْنَا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى. فَأَنْزَلَ اللَّهُ {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125] وَقَدْ كَانَتْ آثَارُ قَدَمَيِ الْخَلِيلِ بَاقِيَةً فِي الصَّخْرَةِ إِلَى أَوَّلِ الْإِسْلَامِ، وَقَدْ قَالَ أَبُو طَالِبٍ فِي قَصِيدَتِهِ اللَّامِيَّةِ الْمَشْهُورَةِ: وَثَوْرٍ وَمَنْ أَرْسَى ثَبِيرًا مَكَانَهُ ... وَرَاقٍ لِيَرْقَى فِي حِرَاءَ وَنَازِلِ وَبِالْبَيْتِ حَقِّ الْبَيْتِ مِنْ بَطْنِ مَكَّةَ ... وَبِاللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِغَافِلِ وَبِالْحَجَرِ الْمُسْوَدِّ إِذْ يَمْسَحُونَهُ ... إِذَا اكْتَنَفُوهُ بِالضُّحَى وَالْأَصَائِلِ وَمَوْطِئُ إِبْرَاهِيمَ فِي الصَّخْرِ رَطْبَةٌ ... عَلَى قَدَمَيْهِ حَافِيًا غَيْرَ نَاعِلِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৯


হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের উভয়কে তোমার একান্ত অনুগত কর এবং আমাদের
বংশধর হতে তোমার এক অনুগত উম্মত কর ৷ আমাদেরকে ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে
দাও এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হও ৷ তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ (সুরা বাকারা :

মোটকথা, হযরত ইব্রাহীম খলীল (আ) বিশ্বের সবচেয়ে অধিক সম্মানিত মসজিদকে
সবচেয়ে অধিক সম্মানিত স্থানে প্রতিষ্ঠা করেন ৷ সে স্থানটি এমন একটি উপত্যকা, যেখানে
কোন ফসল উৎপাদিত হয় না ৷ তিনি তথাকার অধিবাসীদের জন্যে বরকতের দুঅ৷ করেন ৷
ফলের দ্বারা তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করতে দৃআ করেন ৷ যদিও সেখানে পানির স্বল্পতা এবং
বৃক্ষ, ফল ও ফসলের শুন্যত৷ ছিল ৷ তিনি আল্লাহর কাছে দুআ করেন এ স্থানকে সম্মানিত ও
নিরাপদ স্থানে পরিণত করতে ৷ আল্লাহ তার প্রার্থনা মোঃন্ৰ্ম্, দুআ কবুল করেন, আহ্বানে সাড়া
দেন ও প্রার্থিত ৩বন্তু দান করেন ৷ আল্লাহ বলেনম্নহু;

দ্দৌ,^হ্র ;ট্রু, ,গুর্দু”৷ ৷ ঝু£হুঠুট্রু প্রো (£;; (র্দুব্লুব্লু র্চ৷ ৷,^ব্লু র্বৃ ন্র্দ্র;

ওরা কি দেখে না, আমি হারমকে নিরাপদ স্থান করেছি, অথচ এর চতৃষ্পার্থে যে সব মানুষ

আছে তাদের উপর হামলা করা হয় ৷ (সুরা আনকাবুত : ৬৭)

অন্ল্লাহ্ আরও বলেন ং


আমি কি ওদেরকে এক নিরাপদ হারমে প্রতিষ্ঠিত করিনি, যেখানে সর্বপ্রকার ফলমুল
আমদানী হয় আমার দেয়৷ রিযিক স্বরুপ ? (সুরা কাসাসং ৫৭)

হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর কাছে তাদের মধ্যে একজন রাসুল প্রেরণ করার জন্যে
দুআ করেন ৷ অর্থাৎ তাদের স্বজাতির মধ্য থেকে তাদেরই উন্নত ভাষাশৈলীতে পারদর্শী কোন
ব্যক্তিকে ৷ যাতে করে নীল ও দুনিয়ার উভয় নিয়ামতের পুর্ণ অধিকারী হতে পারে ৷ আল্লাহ তার
এ দুআও কবুল করেন ৷ তিনি তাদের মধ্য থেকে রাসুল প্রেরণ করেন ৷ যিনি ছিলেন সর্বশেষ
নবী, তার পরে আর কোন নবী-রাসুল আসবেন না ৷ তার দীনকে পুর্ণতা দান করেন, যা
ইতিপুর্বে কারও ক্ষেত্রে করেননি ৷ তার দাওয়াতকে সর্বকালে সর্বদেশে পৃথিবীর সকল
ভাষাভাষীর জন্যে ব্যাপক ও বিন্তুত করে দিয়েছেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত তার দীনই বলবৎ থাকবে ৷

সকল নবীর মধ্যে এটা ছিল তার একক বৈশিষ্ট্য, তার ব্যক্তিত্বের মর্যাদা, তার আনীত
দীনের পুর্ণতা, জন্মভৃমির গৌরব, ভাষার গ্রেষ্ঠতু, উষ্মতের উপর তার অশেষ দয়া ও মমতা,
বংশ মর্যাদা এবং তার আচার-আচরণ ৷ এই কারণে হযরত ইব্রাহীম (আ) যখন দুনিয়াবাসীর
জন্যে কাবা নির্মাণ করেন তখন তা সমান ও মর্যাদায় সপ্তম আকাশের অধিবাসী
ফেরেশতাগণের কাবা বায়তৃল মামুরের সমমর্যাদা লাভ করে ৷ বায়তৃল মামুরে প্রত্যহ সত্তর
হাজার ফেরেশতা ইবাদত করে থাকেন এবং একবার যারা এ সুযোগ পান তারা কিয়ামত অবধি
আর দ্বিতীয়বার সে সুযোগ পান না ৷ আমরা সুরা বাকারার তাফসীরে বায়তুল্লাহ্ নির্মাণ সংক্রান্ত
যাবতীয় কথা এবং ৎশ্রিষ্ট হাদীস ও বর্ণনাসমুহের উল্লেখ করেছি ৷ আগ্রহী ব্যক্তি তা সেখানে
দেখে নিতে পারেন ৷ সে বর্ণনাসমুহের একটি হলো, সকল প্রশংসা আল্লাহরই ৷ সুদ্দী বলেছেন,


يَعْنِي أَنَّ رِجْلَهُ الْكَرِيمَةَ غَاصَتْ فِي الصَّخْرَةِ فَصَارَتْ عَلَى قَدْرِ قَدَمِهِ حَافِيَةً لَا مُنْتَعِلَةً؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ} [البقرة: 127] . أَيْ فِي حَالِ قَوْلِهِمَا: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] . فَهُمَا فِي غَايَةِ الْإِخْلَاصِ وَالطَّاعَةِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَهُمَا يَسْأَلَانِ مِنَ اللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ أَنْ يَتَقَبَّلَ مِنْهُمَا مَا هُمَا فِيهِ مِنَ الطَّاعَةِ الْعَظِيمَةِ وَالسَّعْيِ الْمَشْكُورِ {رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ} [البقرة: 128] . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْخَلِيلَ بَنَى أَشْرَفَ الْمَسَاجِدِ فِي أَشْرَفِ الْبِقَاعِ فِي وَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ، وَدَعَا لِأَهْلِهَا بِالْبَرَكَةِ، وَأَنْ يُرْزَقُوا مِنَ الثَّمَرَاتِ مَعَ قِلَّةِ الْمِيَاهِ، وَعَدَمِ الْأَشْجَارِ وَالزُّرُوعِ وَالثِّمَارِ، وَأَنْ يَجْعَلَهُ حَرَمًا مُحَرَّمًا وَأَمْنًا مُحَتَّمًا، فَاسْتَجَابَ اللَّهُ - وَلَهُ الْحَمْدُ - لَهُ مَسْأَلَتَهُ، وَلَبَّى دَعْوَتَهُ وَأَتَاهُ طِلْبَتَهُ، فَقَالَ تَعَالَى: {أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَمًا آمِنًا وَيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ} [العنكبوت: 67] . وَقَالَ تَعَالَى: {أَوَلَمْ نُمَكِّنْ لَهُمْ حَرَمًا آمِنًا يُجْبَى إِلَيْهِ ثَمَرَاتُ كُلِّ شَيْءٍ رِزْقًا مِنْ لَدُنَّا} [القصص: 57] . وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ يَبْعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ أَيْ مِنْ جِنْسِهِمْ وَعَلَى لُغَتِهِمُ الْفَصِيحَةِ الْبَلِيغَةِ النَّصِيحَةِ لِتَتِمَّ عَلَيْهِمُ النِّعْمَتَانِ الدُّنْيَوِيَّةُ وَالدِّينِيَّةُ، بِسَعَادَةِ الْأُولَى وَالْآخِرَةِ، وَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ فَبَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا، وَأَيَّ رَسُولٍ، خَتَمَ بِهِ أَنْبِيَاءَهُ وَرُسُلَهُ، وَأَكْمَلَ لَهُ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا قَبْلَهُ، وَعَمَّ بِدَعْوَتِهِ أَهْلَ الْأَرْضِ عَلَى اخْتِلَافِ أَجْنَاسِهِمْ وَلُغَاتِهِمْ وَصِفَاتِهِمْ فِي سَائِرِ الْأَقْطَارِ وَالْأَمْصَارِ وَالْأَعْصَارِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَانَ هَذَا مِنْ خَصَائِصِهِ مِنْ بَيْنِ سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ لِشَرَفِهِ فِي نَفْسِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩৮০


আল্পাহ্ যখন ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) কে কাবা নির্মাণের আদেশ করেন, তখন তারা
কাবার স্থানটি খুজে পাচ্ছিলেন না ৷ আল্লাহ্ তখন খাজুজ নামক একটি বায়ু প্রেরণ করেন ৷ তার
ছিল দু’টি পাখা ও সর্পাকৃতির মস্তক ৷ সে বায়ু প্রাচীন কাবার স্থানটি আবত্তনাি মুক্ত করে দেয় ৷
তখন ইব্রাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) তা অনুসরণ করে কোদাল দ্বারা মাটি খুড়ে সেখানে
ভিত্তি স্থাপন করেন ৷


আল্লাহ বলেন
(যখন আমি ইব্রাহীমকে ঘরের স্থান নির্ধারণ করে দিলাম ৷) ভিত্তির উপর দেয়াল উঠানাের
ন্ সময় ঘরের স্তম্ভ নির্মাণ করেন ৷ ইব্রাহীম (আ) ইসমাগৈ (আ) কে বললেন, প্রিয় বৎস! এখন
তুমি আমার জন্যে ভারতবর্ষ থেকে হাজরে আসৃওয়ড়াদ নিয়ে এস ৷ মুলত এটা ছিল শুভ্র ইয়ড়াকুত
পাথর, দেখতে উট পাখির ন্যায় ৷ হযরত আদম (আ) এ পাথরসহ জান্নড়াত থেকে অবতরণ
করেন ৷ মানুষের পাপ-স্পর্শে এটা কাল হয়ে যায় ৷ ইসমাঈল (আ) একটি পাথর নিয়ে পিতার
নিকট এসে উক্ত হাজরে আসওয়ড়াদকে রুকনে কাবার নিকট দেখতে পান ৷ পিতাকে জিজ্ঞেস
করেন, আব্বাজান ! এ পাথরটি কে নিয়ে এসেছে? তিনি বললেন, এটা এমন একজন নিয়ে
এসেছেন যিনি তোমার চাইতে অধিক গতিসম্পন্ন ৷ এরপর উভয়ে পুনরায় নির্মাণ কাজে
মনোনিবেশ করেন ও দৃআ পাঠ করতে থাকেন :
ার্দুর্চুর্চু
হে আমাদের রব ! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন ৷ নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ ৷
ইবন আবুহাতিম (র) বলেছেন, ইব্রাহীম (আ) পাচটি পাহাড়ের পাথর দ্বারা কাবা নির্মাণ
করেছিলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) যখন নির্মাণ কাজে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন গোটা
পৃথিবীর বাদশাহ যুলকারনাইন ঐ পথ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
আপনাদেরকে এ কাজ করতে কে নির্দেশ দিয়েছে? জবাবে ইব্রাহীম (আ) বললেন, আল্লাহই
আমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন ৷ যুলকারনাইন বললেন, আপনার কথার যথার্থতা কি করে
বুঝবাে? তখন পাচটি ভেড়া সাক্ষ্য দিল যে, আল্লাইে এ নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তখন যুলকারনাইন
ঈমান আনলেন এবং তার সত্যতা স্বীকার করে নিলেন ৷

আযরাকী (র) লিখেছেন, তিনি ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্র (আ)-এ সাথে বায়তৃল্লাহ তাওয়াফ
করেছেন ৷ হযরত ইব্রাহীম খলীল (আ)-এর তৈরি কাবা দীর্ঘকাল যাবত অক্ষত থাকে ৷
পরবর্তীকালে ক্যুায়শগণ ঘরটি পুনর্নির্মাণ করে ৷ তখন ঘরের উত্তর দিক থেকে যেই দিকে শাম
দেশ অবস্থিত, হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর ভিত্তি থেকে কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়, রর্তমানে
সেই অবস্থার উপরেই কাবাঘর আছে ৷

বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত ? রাসুলুল্লাহ (সা) একবার
তাকে বলেছিলেন, আয়েশা! তুমি তোমার সম্প্রদায়ের লোকদের ব্যাপারটি ভেবে দেখেছ কি?
তারা যখন কাবা পুনঃনির্মাণ করে, তখন ইব্রাহীম (আ)-এর ভিত্তি থেকে ছোট করে ফেলে ৷
আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ আপনি কেন তা ইব্রাহীম (আ)-এর ভিত্তির উপর ফিরিয়ে
আনেন না? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের লোড়াকজন যদি নওমুসলিম না হত,


وَكَمَالِ مَا أُرْسِلَ بِهِ، وَشَرَفِ بُقْعَتِهِ، وَفَصَاحَةِ لُغَتِهِ، وَكَمَالِ شَفَقَتِهِ عَلَى أُمَّتِهِ، وَلُطْفِهِ وَرَحْمَتِهِ، وَكِرِيمِ مَحْتِدِهِ، وَعَظِيمِ مَوْلِدِهِ، وَطِيبِ مَصْدَرِهِ وَمَوْرِدِهِ؛ وَلِهَذَا اسْتَحَقَّ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِذْ كَانَ بَانِيَ كَعْبَةِ أَهْلِ الْأَرْضِ أَنْ يَكُونُ مَنْصِبُهُ وَمَحَلُّهُ وَمَوْضِعُهُ فِي مَنَازِلِ السَّمَاوَاتِ، وَرَفِيعِ الدَّرَجَاتِ عِنْدَ الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ الَّذِي هُوَ كَعْبَةُ أَهْلِ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ الْمُبَارَكِ الْمَبْرُورِ الَّذِي يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ يَتَعَبَّدُونَ فِيهِ، ثُمَّ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ إِلَى يَوْمِ الْبَعْثِ وَالنُّشُورِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي التَّفْسِيرِ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ صِفَةَ بِنَايَةِ الْبَيْتِ وَمَا وَرَدَ فِي ذَلِكَ مِنَ الْأَخْبَارِ وَالْآثَارِ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ فَمَنْ أَرَادَهُ فَلْيُرَاجِعْهُ ثَمَّ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَمِنْ ذَلِكَ مَا قَالَ السُّدِّيُّ: لَمَّا أَمَرَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ يَبْنِيَا الْبَيْتَ، ثُمَّ لَمْ يَدْرِيَا أَيْنَ مَكَانُهُ حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ رِيحًا يُقَالُ لَهُ الْخَجُوجُ لَهَا جَنَاحَانِ وَرَأْسٌ فِي صُورَةِ حَيَّةٍ، فَكَنَسَتْ لَهُمَا مَا حَوْلَ الْكَعْبَةِ عَنْ أَسَاسِ الْبَيْتِ الْأَوَّلِ، وَأَتْبَعَاهَا بِالْمَعَاوِلِ يَحْفِرَانِ حَتَّى وَضَعَا الْأَسَاسَ، وَذَلِكَ حَيْثُ يَقُولُ تَعَالَى: {وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ} [الحج: 26] . فَلَمَّا بَلَغَا الْقَوَاعِدَ بَنَيَا الرُّكْنَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِإِسْمَاعِيلَ: يَا بُنَيَّ اطْلُبْ لِي حَجَرًا حَسَنًا أَضَعُهُ هَاهُنَا قَالَ: يَا أَبَتِ إِنِّي كَسْلَانُ تَعِبٌ. قَالَ: عَلَيَّ ذَلِكَ. فَانْطَلَقَ وَجَاءَهُ جِبْرِيلُ بِالْحَجَرِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْهِنْدِ،
পৃষ্ঠা - ৩৮১


ভিন্ন বর্ণনায়- যদি তোমার লোকজন জাহিলী যুগের কিৎবা কুফরী যুগের কাছাকাছি সময়ের
লোক না হত, তাহলে আমি কাবার মধ্যে রক্ষিত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে দিতাম,
ঘরের দরজা নিচু করে যমীনের সমতলে নিয়ে আসতাম এবং (বাদ-পড়া) হিজর অংশ হাডীম১
ৎশটুকু বায়তুল্লাহ্র অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম ৷ পরবর্তীকালে হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা)
র্তার শাসনামলে কাবাঘর সেভাবেই পুনঃনির্মাণ করেন ৷ যেদিকে রাসুলুল্লাহ (সা) ইংগিত
করেছেন বলে তীর খালা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (যা) তাকে বলেছিলেন ৷

হিজরী ৭৩ সালে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ইবন যুবায়র (রা)-কে হত্যা করে তদানীন্তন
খলীফা আবদুল-মালিক ইবন মার,ওয়ানের নিকট পত্র লিখে ৷ আবদুল মালিকের সভাসদগণের
ধারণা ছিল যে, ইবন যুবায়র (রা) আপন খেয়াল-খুশী মতেই কাবার সংস্কার করেছিলেন ৷
সুতরাং খলীফা তা ণ্তংগে পুর্বাবন্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন ৷ এ নির্দেশ মত খলীফার
লোকজন কাবার উত্তর-দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে, হাডীম অংশকে ভিতর থেকে বের করে দেয় এবং
অন্যান্য পাথর কাবা ঘরের ভিতরে রেখে দেয়াল উঠিয়ে দেয় ৷ ফলে পুর্ব দিকের দরজা উচু
হয়ে যায় এবং পশ্চিমের দরজা সম্পুর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয় ৷ বর্তমানে এই অবস্থায়ই আছে ৷

পরে আবদুল মালি ক (র)-এর লোকজন যখন জানলাে যে, ইবন যুবায়র (রা) হযরত
আয়েশা (রা)-এর বর্ণনা অনুসারে কাবা সংস্কার করেছিলেন, তখন তারা দুঃখ প্রকাশ করে এবং
অনুশোচনা করে যে, এরুপ করা না হলে ভাল হত ৷ এরপর খলীফা মাহদী ইবন মানসুর
খিলাফতে অধিষ্ঠিত হয়ে ইমাম মালিক ইবন আনাসের নিকট পরামর্শ চান যে, আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়র (রা)-এর ভিত্তির উপর কাবা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলে কেমন হয় ? ইমাম মালিক (র) বলেন,
এতে আমার আশংকা হয় যে, রাজা-বাদশাহ্রা কাৰাকে খেলার বন্তুতে পরিণত করবে ৷ অর্থাৎ
প্রত্যেক বাদশাহ তার ইচ্ছামত কাবা ঘর সংস্কার করতে চাইবে ৷ সুতরাং কাবাকে সেই অবস্থার
উপর বহাল রাখা হয় এবং আজও পর্যন্ত সেই একই অবস্থায় আছে ৷



১ কুরায়েশদের পুনঃনির্মাণকালে কাবার বাদ পড়া অংশ হাডীম বা হিজরে ইসমাঈল নামে বিখ্যাত ৷


وَكَانَ يَاقُوتَةً بَيْضَاءَ مِثْلَ الثَّغَامَةِ، وَكَانَ آدَمُ هَبَطَ بِهِ مِنَ الْجَنَّةِ فَاسْوَدَّ مِنْ خَطَايَا النَّاسِ، فَجَاءَهُ إِسْمَاعِيلُ بِحَجَرٍ فَوَجَدَهُ عِنْدَ الرُّكْنِ، فَقَالَ: يَا أَبَتِ مَنْ جَاءَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: جَاءَ بِهِ مَنْ هُوَ أَنْشَطُ مِنْكَ. فَبَنَيَا، وَهُمَا يَدْعُوَانِ اللَّهَ: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] . وَذَكَرَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ أَنَّهُ بَنَاهُ مِنْ خَمْسَةِ أَجْبُلٍ، وَأَنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ - وَكَانَ مَلِكَ الْأَرْضِ إِذْ ذَاكَ - مَرَّ بِهِمَا وَهُمَا يَبْنِيَانِهِ، فَقَالَ: مَنْ أَمَرَكُمَا بِهَذَا؟ فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: اللَّهُ أَمَرَنَا بِهِ. فَقَالَ: وَمَا يُدْرِينِي بِمَا تَقُولُ؟ فَشَهِدَتْ خَمْسَةُ أَكْبُشٍ أَنَّهُ أَمَرَهُ بِذَلِكَ فَآمَنَ وَصَدَّقَ. وَذَكَرَ الْأَزْرَقِيُّ أَنَّهُ طَافَ مَعَ الْخَلِيلِ بِالْبَيْتِ. وَقَدْ كَانَتْ عَلَى بِنَاءِ الْخَلِيلِ مُدَّةً طَوِيلَةً، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ بَنَتْهَا قُرَيْشٌ فَقَصُرَتْ بِهَا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ مِنْ جِهَةِ الشَّمَالِ مِمَّا يَلِي الشَّامَ عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ الْيَوْمَ، وَفِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَخْبَرَ ابْنَ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَمْ تَرَيْ أَنَّ قَوْمَكِ لَمَّا بَنَوُا الْكَعْبَةَ اقْتَصَرُوا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا تَرُدُّهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ؟ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৮২

হযরত ইব্রাহীম খলীল (আ)-এর প্রশংসায়

এ প্রসংগে আল্লাহ বলেন :
মোঃ :;ণ্এে ৰুশুশুৰুশুহ্ন এে উশ্র্ন্তৰুইশ্র্ন্ত“ ন্গ্রের্ন্তশুৰুট্টর্দ্র ন্ওগ্১শুগু ঞওও ও
;ন্হৃপ্রুএেব্লিএ৷ প্রু;াহ্র এে é এর্ডণ্ ৷;;ণ্র্ন্ত;র্ন্ত ;;ৰু; এাহু
স্মরণ কর , যখন ইব্রাহীমকে তার প্রতিপালক কয়েকটি কথা দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন এবং
সেগুলো সে পুর্ণ করেছিল ৷ আল্লাহ বললেন, আমি তোমাকে মানব জাতির নেতা করছি, যে
বলল, আমার বংশধরগণের মধ্য হতেণ্ডা আল্লাহ বললেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালিমদের প্ৰতি

প্রযোজ্য নয় ৷ (সুরা বাকারা : ১২৪)

আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে যেসব কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন, তিনি যেসব
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আল্লাহ্ র্তাকে মানব জাতির নেতৃত্ব দান করেন ৷ যাতে তারা তার
অনুকরণ ও অনুসরণ করতে পারে ৷ ইব্রাহীম (আ) এই নিয়ামত তার পরবর্তী বংশধরদের
মধ্যে অব্যাহত রাখার জন্যে আল্লাহর নিকট দৃআ করেন ৷ আল্লাহ্ তার প্রার্থনা শুনেন এবং
জানিয়ে যেন যে , র্তাকে যে নেতৃত্ব দেয়া হল তা জালিমরা লাভ করতে পারবে না, এটা কেবল
তার সন্তানদের মধ্যে আদিম ও সৎকর্মশীলদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে ৷

যেমন আল্লাহ্ বক্কটুারুট্ন :

আমি ইব্রাহীমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের জন্যে স্থির
করলাম নবুওত ও কিতাব, আমি তাকে দুনিয়ার পুরস্কৃত করেছিলাম ৷ আখিরাতেও সে নিশ্চয়ই

সৎকর্মপরায়ণভৈদর অন্যতম হবে ৷ (২৯ আন-কাবুত : ২৭)

আল্লাহ্র বাণী ?
এে ড্রু ড্রু


র্চাশ্রো



لَوْلَا حِدْثَانُ قَوْمِكِ - وَفِي رِوَايَةٍ: لَوْلَا أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ. أَوْ قَالَ: بِكُفْرٍ - لَأَنْفَقْتُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَلَجَعَلْتُ بَابَهَا بِالْأَرْضِ، وَلَأَدْخَلْتُ فِيهَا الْحِجْرَ» . وَقَدْ بَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي أَيَّامِهِ عَلَى مَا أَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسْبَمَا أَخْبَرَتْهُ خَالَتُهُ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَنْهُ، فَلَمَّا قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ الْخَلِيفَةِ إِذْ ذَاكَ، فَاعْتَقَدُوا أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ إِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ، فَأَمَرَ بِرَدِّهَا إِلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فَنَقَضُوا الْحَائِطَ الشَّامِيَّ وَأَخْرَجُوا مِنْهَا الْحِجْرَ، ثُمَّ سَدُّوا الْحَائِطَ وَرَدَمُوا الْأَحْجَارَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ فَارْتَفَعَ بَابُهَا الشَّرْقِيُّ وَسَدُّوا الْغَرْبِيَّ بِالْكُلِّيَّةِ، كَمَا هُوَ مُشَاهَدٌ إِلَى الْيَوْمِ، ثُمَّ لَمَّا بَلَغَهُمْ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ إِنَّمَا فَعَلَ هَذَا لَمَّا أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ نَدِمُوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَتَأَسَّفُوا أَنْ لَوْ كَانُوا تَرَكُوهُ وَمَا تَوَلَّى مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ لَمَّا كَانَ فِي زَمَنِ الْمَهْدِيِّ بْنِ الْمَنْصُورِ اسْتَشَارَ الْإِمَامَ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ فِي رَدِّهَا عَلَى الصِّفَةِ الَّتِي بَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ يَتَّخِذَهَا الْمُلُوكُ لُعْبَةً، يَعْنِي كُلَّمَا جَاءَ مَلِكٌ بَنَاهَا عَلَى الصِّفَةِ الَّتِي يُرِيدُ فَاسْتَقَرَّ الْأَمْرُ عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ الْيَوْمَ.