আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

قصة الذبيح عليه السلام

قصة الذبيح عليه السلام

পৃষ্ঠা - ৩৬১

ইসমাঈল যড়াবীহুল্লাহ (আ) এর ঘটনা

আল্লাহর বাণীষ্ক


)

,

এবং সে বলল, আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চললাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সৎপথে
পরিচালিত করবেন; হে আমার প্রতিপালর্ক ! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান কর ৷ ’
তারপর আমি তাকে এক স্থির-বুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম ৷ অতঃপর সে যখন তার পিতার
সঙ্গে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হল, তখন ইবরাহীম্ (আ) বলল, বৎস ! আমি স্বপ্নে দেখি
যে, তোমাকে যবেহ্ করছি; এখন তোমার অভিমত কি বল ? সে বলল, পিতা ! আপনি যাতে
আদিষ্ট হয়েছেন তাই করুন ৷ আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন ৷ ’ যখন
তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তার পুত্রকে কাত করে শায়িত করল, তখন
আমি তাকে আহ্বান করে বললড়াম, ৫হ ইব্রাহীম! তুমি তো স্বপ্নড়াদেশ সত্যই পালন করলে!
এভ৷ ৷বেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি ৷ ’নিশ্চয়ই এ ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা ৷
আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে ৷ আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে
রেখেছি ৷ ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ এভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত
করে থাকি ৷ সে ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্যতম ! আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলড়াম
ইসহাকের, সে ছিল এক নবী, সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম ৷ আমি তাকে বরকত দান করেছিলাম
এবং ইসহড়াককেও, তাদের বং শধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক নিজেদের প্রতি
স্পষ্ট অত্যাচারী ৷ (সুরা৪ সাফ্ফাতষ্ক ৯৯ ১১৩)


[قِصَّةُ الذَّبِيحِ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَابُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَاأَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَاإِبْرَاهِيمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَاقَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِنَفْسِهِ مُبِينٌ} [الصافات: 99] أَيْ شَبَّ وَصَارَ يَسْعَى فِي مَصَالِحِهِ كَأَبِيهِ. قَالَ مُجَاهِدٌ: {فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ} [الصافات: 102] أَيْ شَبَّ وَارْتَحَلَ، وَأَطَاقَ مَا يَفْعَلُهُ أَبُوهُ مِنَ السَّعْيِ وَالْعَمَلِ، فَلَمَّا كَانَ هَذَا أُرِيَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي الْمَنَامِ أَنَّهُ يُؤْمَرُ بِذَبْحِ وَلَدِهِ هَذَا. وَفِي الْحَدِيثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا «. رُؤْيَا الْأَنْبِيَاءِ وَحْيٌ» . قَالَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৬২


এখানে আল্লাহ বলছেন যে, তার একনিষ্ঠ বন্ধু নবী ইবরাহীম (আ) যখন নিজ সম্প্রদায় ও
জন্মভুমি ত্যাগ করে যান, তখন তিনি আল্লাহর নিকট একটি নেককার পুত্র সন্তান প্রার্থনা
করেন ৷ আল্লাহ তাকে একজন ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করেন ৷ তিনি হলেন ইসমাঈল
(আ) ৷ কেননা, তিনিই হলেন প্রথম পুত্র ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) এর ছিয়াশি ৷রছর বয়সে তার
জন্ম হয় ৷ এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই ৷ গ্যে র্ধ;হু র্দুৰুদ্ মোঃ (সে যখন তার পিতার
সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হল) অর্থাৎ যখন যুবক হল ও পিতার ন্যায় নিজের
কাজকর্ম করার বয়সে পৌছল ৷ ’ মুজাহিদ এর অর্থ করেছেন : সে যখন যুবক হল, স্বাধীনভাবে
পিতার ন্যায় চেষ্টা-সংপ্রাম ও কাজকর্ম করার উপযোগী হল ৷ যখন ইবরাহীম (আ) তার স্বপ্ন
থেকে বুঝতে পারলেন যে, আল্লাহ তার পুত্রকে যবেহ্ করার হুকুম দিয়েছেন ৷ হযরত ইবন
আব্বাস (রা) থেকে এক মারকু হাদীসে বর্ণিত হয়েছেশু ং ষ্১, ন্ড্রু১ ১৷ ! ৷ , , (নবীদের
স্বপ্ন ওহী) ৷ উবায়দ ইবন উমায়রও এ অভিমত ৩ব্যক্ত করেছেন ৷ এ নির্দেশ ছিল আল্লাহর পক্ষ
থেকে ইবরাহীম খলীলের প্রতি এক বিরাট পরীক্ষা ৷ কেননা, তিনি এই প্রিয় পুত্রটি পেয়েছিলেন

তার বৃদ্ধ বয়সে ৷ তাছাড়া এ শিশুপুত্র ও তার মাকে এক জনমানবহীন শুন্য প্রাম্ভরে রেখে
এসেছিলেন, যেখানে না ছিল কোন কৃষি ফসল, না ছিল তরুলতা ৷ ইবরাহীম খলীল (আ)
আল্লাহর নির্দেশ ৷পালন করলেন ৷ আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তাদেরকে সেখানে রেখে আসেন ৷
আল্লাহ তাদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করলেন ৷ এমন উপায়ে পানাহারের ব্যবস্থা করে দিলেন, যা
ছিল তাদের ধারণাতীত ৷ এরপর যখন আল্লাহ এই একমাত্র পুত্রধনকে যবেহ্ করার নির্দেশ দেন,
তখন তিনি দ্রুত সে নির্দেশ পালনে এগিয়ে আসেন ৷ ইবরাহীম (আ ) এ প্রস্তাব তার পুত্রের
সামনে পেশ করেন ৷ যাতে এ কঠিন কাজ সহজভাবে ও প্রশান্ত চিত্তে করতে পারেন ৷ চাপ
প্রয়োগ করে ও বাধ্য করে যবেহ্ করার চাইতে এটা ছিল সহজ উপায় ৷

ইবরাহীম বলল, বৎ স ! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করছি ৷ এখন

তোমার অভিমত কি বল ৷ ’ ধৈর্যশীল পুত্র পিতার নির্দেশ পালন করার জন্যে খুশী মনে প্রস্তাব
গ্রহণ করেন ৷ তিনি বললেন, হে আমার পিতা ! আপনি যে ব্যাপারে আদিষ্ট হয়েছেন তা-ই
করুন ৷ আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন ৷ এ জবাব ছিল চুড়ান্ত পর্যায়ের
আন্তরিকতার পরিচায়ক ৷ তিনি পিতার আনুগত্য ও আল্লাহর হুকুম পালনের পরাকাষ্ঠ৷ প্রদশ্নি
করেন ৷
আল্লাহ্ তা আলা বলেনং ,১১১১১ ধ্র্দুদ্বু, ৷১১৷ ৷শুএরু (যখন তারা ৷উভয়ে আনুগত্য

প্রকাশ করল এবং তার পুত্রকে কাত করে শুইয়ে দিল) ৷ এ আয়ড়াতাং শের কয়েকটি অর্থ বলা
হয়েছে; ( ১ ) তা বাউভয়ে আল্লাহর হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ও মনােবল
দৃঢ় করেন ৷ (২) এখানে পুর্বের কাজ পরে ও পরের কাজ পুর্বে বলা হয়ছে ৷ অর্থাৎ পিতা
ইবরাহীম (আ) পুত্র ইসমাঈল (আ) কে উপুড় করে শোয়ালেন ৷ (৩) ইবরাহীম (আ ) পুত্রকে
উপুড় করে শোয়ান এ জন্যে যে, যবেহ্ করার সময়ত তার চেহারার উপর যাতে দৃষ্টি না পড়ে ৷
ইবন আব্বাস (বা) , মুজ৷ ৷হিদ, সাঈদ ইবন জুবায়র, কাতাদা ও যাহ্হাক (র) এই মত পোষণ
করেন ৷ (৪) লম্বা ৷ভ৷ ৷বে চিত করে শায়িত করান, যেমন পশু যবেহ্ করার সময় শায়িত করান
হয় ৷ এ অবস্থায় কপালের এক অং শ মাটির সাথে লেগে থাকে ৷ ৷১া১৷ অর্থ ইবরাহীম (অ)
যবেহ্ করার জন্যে বিসমিল্লাহ্ ও আল্লাহু আকবর বলেন ৷ আর পুত্র মৃত্যুর জন্যে কলেমায়ে
শাহাদাত পাঠ করেন ৷


عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ أَيْضًا. وَهَذَا اخْتِبَارٌ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لِخَلِيلِهِ فِي أَنْ يَذْبَحَ هَذَا الْوَلَدَ الْعَزِيزَ الَّذِي جَاءَهُ عَلَى كِبَرٍ، وَقَدْ طَعَنَ فِي السِّنِّ بَعْدَ مَا أُمِرَ بِأَنْ يُسْكِنَهُ هُوَ وَأُمَّهُ فِي بِلَادٍ قَفْرٍ، وَوَادٍ لَيْسَ بِهِ حَسِيسٌ وَلَا أَنِيسٌ وَلَا زَرْعٌ وَلَا ضَرْعٌ، فَامْتَثَلَ أَمْرَ اللَّهِ فِي ذَلِكَ، وَتَرَكَهُمَا هُنَاكَ ثِقَةً بِاللَّهِ وَتَوَكُّلًا عَلَيْهِ فَجَعَلَ اللَّهُ لَهُمَا فَرَجًا وَمَخْرَجًا، وَرَزَقَهُمَا مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبَانِ، ثُمَّ لَمَّا أُمِرَ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ بِذَبْحِ وَلَدِهِ هَذَا، الَّذِي قَدْ أَفْرَدَهُ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ، وَهُوَ بِكْرُهُ وَوَحِيدُهُ الَّذِي لَيْسَ لَهُ غَيْرُهُ أَجَابَ رَبَّهُ وَامْتَثَلَ أَمْرَهُ وَسَارَعَ إِلَى طَاعَتِهِ، ثُمَّ عَرَضَ ذَلِكَ عَلَى وَلَدِهِ؛ لِيَكُونَ أَطْيَبَ لِقَلْبِهِ وَأَهْوَنَ عَلَيْهِ مِنْ أَنْ يَأْخُذَهُ قَسْرًا وَيَذْبَحَهُ قَهْرًا، قَالَ: {يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى} [الصافات: 102] . فَبَادَرَ الْغُلَامُ الْحَلِيمُ يَبَرُّ وَالِدَهُ الْخَلِيلَ إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ: {يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ} [الصافات: 102] . وَهَذَا الْجَوَابُ فِي غَايَةِ السَّدَادِ وَالطَّاعَةِ لِلْوَالِدِ وَلِرَبِّ الْعِبَادِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ} [الصافات: 103] . قِيلَ: أَسْلَمَا أَيِ اسْتَسْلَمَا لِأَمْرِ اللَّهِ وَعَزَمَا عَلَى ذَلِكَ. وَقِيلَ: هَذَا مِنَ الْمُقَدَّمِ وَالْمُؤَخَّرِ، وَالْمَعْنَى تَلَّهُ لِلْجَبِينِ أَيْ أَلْقَاهُ عَلَى وَجْهِهِ. قِيلَ: أَرَادَ أَنْ يَذْبَحَهُ مِنْ قَفَاهُ لِئَلَّا يُشَاهِدَهُ فِي حَالِ ذَبْحِهِ. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَقَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ. وَقِيلَ: بَلْ أَضْجَعَهُ كَمَا تُضْجَعُ الذَّبَائِحُ، وَبَقِيَ طَرَفُ جَبِينِهِ لَاصِقًا بِالْأَرْضِ، وَأَسْلَمَا أَيْ سَمَّى إِبْرَاهِيمُ وَكَبَّرَ وَتَشَهَّدَ وَسَلَّمَ الْوَلَدَ لِلْمَوْتِ. قَالَ السُّدِّيُّ وَغَيْرُهُ: أَمَرَّ السِّكِّينَ عَلَى حَلْقِهِ فَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৩


সুদ্দী (র) প্রমুখ বলেছেন, হযরত ইব্রাহীম (আ) গলায় ছুরি চালান কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্রও
কাটল না ৷ কেউ বলেছেন যে, গলার নিচে আমার পাত রাখা হয়েছিল ৷ কিংষ্কৃ তাতেও কাটা
যায়নি ৷ আ ৷ল্লাহই সম্যক অবগত ৷


এ সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়ষ্ক ৷
(হে ইব্রাহীম তুমি স্বপ্নকে সত্যই পালন করলে) অর্থাৎ তোমাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশকু পুর্ণ
হয়েছে ৷ তুমি পরীক্ষা ৷য় উত্তীর্ণ হয়েছ ৷ আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্যে তোমার আগ্রহ ও
আনুগত্য প্রমাণিত হয়েছে ৷ তুমি পুত্রকে কুরবানীর জন্যে পেশ করেছ ৷ যেমন ইতিপুর্বে তুমি
আগুনে নিজের দেহকে সমর্পণ করেছিলে এবং মেহমানদের জন্যে প্রচুর অর্থ-সম্পদ ব্যয়
করেছিলে ৷
র্দুশ্

আল্লাহ্ তা জানা বলেন৪ , ৷ ৷ ;)া ৷ ,ধ্এ্ ৷ এ ,৷ (নিশ্চয়ই এ ছিল স্পষ্ট
পরীক্ষা) প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট পরীক্ষা ৷৷ আল্লাহর বাণীং

প্রু;াব্লু০ র্টিপু১; ৷এ্াশু (আমি তাকে মুক্তি দিলাম এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে ৷)

অর্থাৎ একটি সহজ বিনিময়৷ দ্ব ৷রা আমি ইব্রাহীম (আ)-এর পুত্রকে যবেহ করা থেকে মুক্ত
করে দিলাম ৷ অধিকাৎশ আলিমের মতে, এ বিনিময়টি ছিল শিৎ বিশিষ্ট একটি সাদা দুম্বা
যাকে ইব্রাহীম (আ) ছাবীর পর্বতে একটি বাংলা বৃক্ষে বাধা অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন ৷
ইমাম ছাওরী (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, ঐ দুম্বাটি জান্নাতে চল্লিশ বছর পর্যন্ত
বিচরণ করেছিল ৷ সাঈদ ইবন জুরায়র (বা) বলেছেন : দুম্বাটি জান্নাতে চরে বেড়াত ৷ এক
সময়ে এটা ছাবীর পর্বত ভেদ করে বের হয়ে আসে ৷ তার শরীরে ছিল লাল বর্ণের পশম ৷ ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণিত, শিংযুক্ত একটি দৃম্ব৷ ছাবীর পাহাড় থেকে নেমে ইব্রাহীম (আ) এর
নিকট হেটে আসে এবং ভ্যা র্ভা৷ করে ভাকতে থাকে ৷ ইব্রাহীম (আ) তাকে ধরে যবেহ করে
দেন ৷ এই দৃম্বাটি হযরত আদম (আ)-এর পুত্র হাবিলও কুরবানী করেছিলেন এবং আল্লাহ তা
কবুলও করেছিলেন ৷ ইবন আবী হাতিম (র) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

মুজাহিদ (র) বলেছেন, ইব্রাহীম (আ) উক্ত দুম্বাকে মিনায় যবেহ করেন ৷ উবায়দ ইবন
উমায়ব্ (রা)-এর মতে, স্থানটি ছিল মাকামে ইব্রাহীম ৷ ইবন আব্বাস (রা)-এর বর্ণনা মতে
এটা ছিল একটি পাহাড়ী ছাগল ৷ কিন্তু হাসান (না) থেকে বর্ণিত, এটা একটি বুনাে ছাগল ৷
দুম্বাব নাম ছিল জুরায়র ৷ সুতরাং ইবন আব্বাস ও হাসান (রা) থেকে বর্ণিত হওয়ার কথা ঠিক
নয়; বরং এগুলো ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গৃহীত ৷ অবশ্য এ বিষয়ে কুরআনে যেভাবে বলা
হয়েছে তাতে অন্য কোন দিক লক্ষ্যও করার প্রয়োজন থাকে না ৷ কুরআনে একে ছু ^াদ্বু; চ্ছু
মহান যবেহ বলা হয়েছে এবং সুস্পষ্ট পরীক্ষা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ হাদীসে দুম্বার কথা
বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) সাফিয়া বিনত শায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ,
বনী সুলায়মের এক মহিলা আমাকে বলেছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উছমান ইবন তালহাকে ডেকে
পাঠান; বর্ণনাকারী বলেন, উছমানকে জিজ্ঞেস করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আপনাকে কেন সংবাদ
দিয়েছিলেন ? উছমান বললেন, আমি যখন কাব৷ ঘরে প্রবেশ করি তখন সেই দুম্বার দুটি শিং
দেখতে পাই ৷ এটা ঢেকে রাখার জন্যে তোমাকে বলতে আমি ভুলে যাই ৷ তখন তিনি শিৎ দুটি


تَقْطَعْ شَيْئًا. وَيُقَالُ: جُعِلَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ حَلْقِهِ صَفِيحَةٌ مِنْ نُحَاسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَعِنْدَ ذَلِكَ نُودِيَ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا} [الصافات: 104] . أَيْ قَدْ حَصَلَ الْمَقْصُودُ مِنِ اخْتِبَارِكِ وَطَاعَتِكَ وَمُبَادَرَتِكَ إِلَى أَمْرِ رَبِّكَ وَبَذْلِكَ وَلَدَكَ لِلْقُرْبَانِ، كَمَا سَمَحْتَ بِبَدَنِكَ لِلنِّيرَانِ، وَكَمَا مَالُكَ مَبْذُولٌ لِلضِّيفَانِ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ} [الصافات: 106] . أَيِ الِاخْتِبَارُ الظَّاهِرُ الْبَيِّنُ. وَقَوْلُهُ: {وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ} [الصافات: 107] . أَيْ وَجَعَلْنَا فِدَاءَ ذَبْحِ وَلَدِهِ مَا يَسَّرَهُ اللَّهُ تَعَالَى لَهُ مِنَ الْعِوَضِ عَنْهُ، وَالْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ أَنَّهُ كَبْشٌ أَبْيَضُ أَعْيَنُ أَقْرَنُ رَآهُ مَرْبُوطًا بِسَمُرَةٍ فِي ثَبِيرٍ. قَالَ الثَّوْرِيُّ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَبْشٌ قَدْ رَعَى فِي الْجَنَّةِ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: كَانَ يَرْتَعُ فِي الْجَنَّةِ حَتَّى تَشَقَّقَ عَنْهُ ثَبِيرٌ، وَكَانَ عَلَيْهِ عِهْنٌ أَحْمَرُ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: هَبَطَ عَلَيْهِ مِنْ ثَبِيرٍ كَبْشٌ أَعْيَنُ أَقْرَنُ لَهُ ثُغَاءٌ فَذَبَحَهُ، وَهُوَ الْكَبْشُ الَّذِي قَرَّبَهُ ابْنُ آدَمَ فَتُقُبِّلَ مِنْهُ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. قَالَ مُجَاهِدٌ: فَذَبَحَهُ بِمِنًى. وَقَالَ عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ: ذَبَحَهُ بِالْمَقَامِ. فَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ وَعْلًا، وَعَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ كَانَ تَيْسًا مِنَ الْأَرْوَى وَاسْمُهُ جَرِيرٌ فَلَا يَكَادُ يَصِحُّ عَنْهُمَا، ثُمَّ غَالِبُ مَا هَاهُنَا مِنَ الْآثَارِ مَأْخُوذٌ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَفِي الْقُرْآنِ كِفَايَةٌ عَمَّا جَرَى مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ وَالِاخْتِبَارِ الْبَاهِرِ وَأَنَّهُ فُدِيَ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৪


ঢেকে দেন ৷ কেননা, আল্লাহর ঘরে এমন কিছু থাকা উচিত নয় যা মুসল্লিদের একাপ্রতা বিনষ্ট
করে ৷ সৃফিয়ান (রা) বলেছেন, ইবরাহীমের দৃম্বার শিৎ দু’টি সর্বদা কাবা ঘরে সংরক্ষিত ছিল ৷
যখন খানড়ায়ে কবােয় আগুন লেগে যায় তখন শিং দু’টি পুড়ে ত্যা হয়ে যায় ৷ ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে বর্ণিত দৃম্বাটির মাথা সর্বদা কাবড়ার মীযাবে (কাশ্যিশ) ঝুলান থাকত এবং বৌদ্রে তা শুকিয়ে
যায় ৷ এই একটি কথাই প্রমাণ করে যে, হযরত ইসমাঈল (আ)-ই হলেন যড়াবীহুল্পাহ আর কেউ
নয় ৷ কেননা, তিনিই মক্কায় বসবাস করতেন ৷ হযরত ইসহাক (আ) শিশুকালে মক্কায়
এসেছিলেন কিনা আমাদের জানা নেই ৷ আল্লাহই উত্তমরুপে অবগত ৷

কুরআন থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় বরং বলা যায় এ উদ্দেশে ৰুই আয়াত নাযিল হয়েছে
যে, ইসমাঈল (আ) ই যাবীহুল্পাহ ৷ কেননা, আল্লাহ কুরআনে প্রথমে যড়াবীহ্ এর ঘটনা উল্লেখ

)

কচুর পরে বস্থণ্লভৈছনং ৫) ক্রোক্রোণ্ডা
(আমি ইবরাহীমকে ইসহাকের সুসৎবাদ দিলাম, সে ছিল নবী, সৎকর্মশীলদের একজন ৷)

বাক্যটিকে যারা একে এ! বলেছেন, তাদের এরুপ ব্যাখ্যা স্বেচ্ছাভ্রমকল্পিত ৷ ইসহাক
(আ)-কে যাৰীহুল্লাহ বলা ইসরাঈলী চক্রাত ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ তারা তাদের কিভাবে এ
স্থানে নিঃসন্দেহভাবে বিকৃতি করেছে ৷ তাদের মতে, আল্লাহ ইব্রাহীম (আ)-কে আদেশ করেন
তার একক ও প্রথম পুত্র ইসহড়াককে যবেহ করতে ৷ ইসহাক শব্দকে এখানে প্রক্ষিপ্তভাবে ঢুকড়ান
হয়েছে ৷ এটা মিথ্যা ও অলীক ৷ কেননা, ইসহাক একক পুত্রও নন, প্রথম পুত্রও নন ৷ বরং একক
ও প্রথম পুত্র ছিলেন ইসমাঈল (আ) ৷ ইসরাঈলীরা আরবদের প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়ে
এমনটি করেছে ৷ কারণ ইসমাঈল (আ) হলেন আরবদের পিতৃ-পুরুষ যারা হিজাষের
অধিবাসী এবং যাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা) জন্মগ্রহণ করেন ৷ পক্ষান্তরে, ইসহাক (আ) হলেন
ইয়াকুব (আ)-এর পিতা ৷ ইয়াকুব (আ)-কে ইসরাঈলও বলা হত ৷ বনী ইসরাঈলীরা তার
দিকেই নিজেদেরকে সম্পর্কিত করে থাকে ৷ তারা আরবদের এই গৌরব নিজেদের পক্ষে নিতে
চেয়েছিল ৷ এ উদ্দেশ্যে তারা আল্লাহর কালাম পরিবর্তন করে এবং মিথ্যা ও বাতিল কথার
অনুপ্রবেশ ঘটায় ৷ কিন্তু তারা বুঝল না যে, সম্মান ও মর্যাদার চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে যাকে
ইচ্ছা তাকে দান করেন ৷ প্রাচীনকালের আলিমদের একটি দল ইসহাক (আ)-কে য়াবীহুল্লাহ
বলেছেন ৷ তারা এ মত গ্রহণ করেছেন সম্ভবত কাব আহবারের বর্ণনা থেকে, কিৎৰা আহলি
কিতাবদের সহীফা থেকে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে এ ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি ৷
সুতরাং এসব মতামতের দ্বারা আমরা কুরআনের স্পষ্ট বংনািকে ত্যাগ করতে পারি না ৷
কুরআনের বর্ণনা থেকে ইসহাক (আ)-কে যাবীহুল্লাহ বলার কােনই অবকাশ নেই ৷ বরং
কুরআন থেকে যা বোঝা যায় কুরআনের উক্তি ও সুস্পষ্ট বর্ণনা এই যে, তিনি হলেন
ইসমাঈল (আ) ৷ মুহাম্মদ ইবন কাব আল কুরাব্জী (র) এ প্রসঙ্গে একটি সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন ৷
তিনি বলেছেন, যাবীহ্বাহ হযরত ইসমাঈল (আ), ইসহাক (আ) নয় ৷


আমি ইবরাহীমের ত্রী সারাহ্কে ইসহাকের এবং ইসহাকের পরে ইয়াকুরের জন্মের সুসৎ বাদ
দিলাম ৷


وَقَدْ وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ كَبْشًا، قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ خَالِهِ مُسَافِعٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ قَالَتْ أَخْبَرَتْنِي امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ، وَلَّدَتْ عَامَّةَ أَهْلِ دَارِنَا قَالَتْ: أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ. وَقَالَ مَرَّةً: إِنَّهَا سَأَلَتْ عُثْمَانَ لِمَ دَعَاكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنِّي كُنْتُ رَأَيْتُ قَرْنَيِ الْكَبْشِ حِينَ دَخَلْتُ الْبَيْتَ فَنَسِيتُ أَنْ آمُرَكَ أَنْ تُخَمِّرَهُمَا فَخَمِّرْهُمَا فَإِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ فِي الْبَيْتِ شَيْءٌ يَشْغَلُ الْمُصَلِّيَ» . قَالَ: سُفْيَانُ لَمْ تَزَلْ قَرْنَا الْكَبْشِ فِي الْبَيْتِ حَتَّى احْتِرَاقِ الْبَيْتِ فَاحْتَرَقَا. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَأْسَ الْكَبْشِ لَمْ يَزَلْ مُعَلَّقًا عِنْدَ مِيزَابِ الْكَعْبَةِ قَدْ يَبِسَ، وَهَذَا وَحْدَهُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ إِسْمَاعِيلُ؛ لِأَنَّهُ كَانَ هُوَ الْمُقِيمَ بِمَكَّةَ وَإِسْحَاقُ لَا نَعْلَمُ أَنَّهُ قَدِمَهَا فِي حَالِ صِغَرِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا هُوَ الظَّاهِرُ مِنَ الْقُرْآنِ، بَلْ كَأَنَّهُ نَصٌّ عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ هُوَ إِسْمَاعِيلُ؛ لِأَنَّهُ ذَكَرَ قِصَّةَ الذَّبِيحِ، ثُمَّ قَالَ بَعْدَهُ: {وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ} [الصافات: 112] . وَمَنْ جَعَلَهُ حَالًا فَقَدْ تَكَلَّفَ، وَمُسْتَنَدُهُ أَنَّهُ إِسْحَاقُ إِنَّمَا هُوَ إِسْرَائِيلِيَّاتُ، وَكِتَابُهُمْ فِيهِ تَحْرِيفٌ، وَلَا سِيَّمَا هَاهُنَا قَطْعًا لَا مَحِيدَ عَنْهُ فَإِنَّ عِنْدَهُمْ أَنَّ اللَّهَ أَمَرَ إِبْرَاهِيمَ أَنْ يَذْبَحَ ابْنَهُ وَحِيدَهُ وَفِي نُسْخَةٍ مِنَ الْمُعَرَّبَةِ: بِكْرَهُ إِسْحَاقَ فَلَفْظَةُ إِسْحَاقَ هَاهُنَا مُقْحَمَةٌ مَكْذُوبَةٌ مُفْتَرَاةٌ؛ لِأَنَّهُ لَيْسَ هُوَ الْوَحِيدَ وَلَا الْبِكْرَ وَإِنَّمَا الْوَحِيدُ الْبِكْرُ إِسْمَاعِيلُ، وَإِنَّمَا حَمَلَهُمْ عَلَى هَذَا حَسَدُ الْعَرَبِ فَإِنَّ إِسْمَاعِيلَ أَبُو الْعَرَبِ الَّذِينَ يَسْكُنُونَ الْحِجَازَ الَّذِينَ مِنْهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِسْحَاقَ وَالِدُ يَعْقُوبَ، وَهُوَ إِسْرَائِيلُ الَّذِينَ يَنْتَسِبُونَ إِلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৫
فَأَرَادُوا أَنْ يَجُرُّوا هَذَا الشَّرَفَ إِلَيْهِمْ فَحَرَّفُوا كَلَامَ اللَّهِ وَزَادُوا فِيهِ وَهُمْ قَوْمٌ بُهْتٌ، وَلَمْ يُقِرُّوا بِأَنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ، وَقَدْ قَالَ بِأَنَّهُ إِسْحَاقُ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ السَّلَفِ، وَغَيْرِهِمْ، وَإِنَّمَا أَخَذُوهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ مِنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ أَوْ صُحُفِ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَنِ الْمَعْصُومِ حَتَّى نَتْرُكَ لِأَجْلِهِ ظَاهِرَ الْكِتَابِ الْعَزِيزِ وَلَا يُفْهَمُ هَذَا مِنَ الْقُرْآنِ، بَلِ الْمَفْهُومُ بَلِ الْمَنْطُوقُ بَلِ النَّصُّ عِنْدَ التَّأَمُّلِ عَلَى أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ، وَمَا أَحْسَنَ مَا اسْتَدَلَّ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ عَلَى أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ، وَلَيْسَ بِإِسْحَاقَ مِنْ قَوْلِهِ: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] قَالَ: فَكَيْفَ تَقَعُ الْبِشَارَةُ بِإِسْحَاقَ وَأَنَّهُ سَيُولَدُ لَهُ يَعْقُوبُ، ثُمَّ يُؤْمَرُ بِذَبْحِ إِسْحَاقَ وَهُوَ صَغِيرٌ قَبْلَ أَنْ يُولَدَ لَهُ؟ هَذَا لَا يَكُونُ؛ لِأَنَّهُ يُنَاقِضُ الْبِشَارَةَ الْمُتَقَدِّمَةَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اعْتَرَضَ السُّهَيْلِيُّ عَلَى هَذَا الِاسْتِدْلَالِ بِمَا حَاصِلُهُ أَنَّ قَوْلَهُ: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ} [هود: 71] جُمْلَةٌ تَامَّةٌ. وَقَوْلَهُ: {وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . جُمْلَةٌ أُخْرَى لَيْسَتْ فِي حَيِّزِ الْبِشَارَةِ، قَالَ: لِأَنَّهُ لَا يَجُوزُ مِنْ حَيْثُ الْعَرَبِيَّةُ أَنْ يَكُونَ مَخْفُوضًا إِلَّا أَنْ يُعَادَ مَعَهُ حَرْفُ الْجَرِّ فَلَا يَجُوزُ أَنْ يُقَالَ مَرَرْتُ بِزَيْدٍ وَمِنْ بَعْدِهِ عَمْرٍو حَتَّى يُقَالَ وَمِنْ بَعْدِهِ بِعَمْرٍو. وَقَالَ فَقَوْلُهُ: {وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . مَنْصُوبٌ بِفِعْلٍ مُضْمَرٍ تَقْدِيرُهُ وَوَهَبْنَا لِإِسْحَاقَ يَعْقُوبَ، وَفِي هَذَا الَّذِي قَالَهُ نَظَرٌ، وَرَجَّحَ أَنَّهُ إِسْحَاقُ وَاحْتَجَّ بِقَوْلِهِ: {فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ} [الصافات: 102] . قَالَ: وَإِسْمَاعِيلُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ إِنَّمَا كَانَ فِي حَالِ صِغَرِهِ هُوَ وَأَمُّهُ بِحِيَالِ مَكَّةَ فَكَيْفَ يَبْلُغُ مَعَهُ السَّعْيَ؟ وَهَذَا أَيْضًا فِيهِ نَظَرٌ؛ لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ أَنَّ الْخَلِيلَ كَانَ يَذْهَبُ فِي كَثِيرٍ مِنَ الْأَوْقَاتِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬


এখানে ইসহাকের জন্ম হওয়ায় এবং তার থেকে পুত্র ইয়াকুবের জন্ম হওয়ার সুসংবাদ দেয়া
হয়েছে ৷ বিক্ষ্ম এই সাথে যদি ইয়াকুবের জন্মের পুর্বেই ইসহাককে বাল্যকালে যবেহের নির্দেশও
দেয়৷ হয়, তবে পুর্বের সুসংবাদ আর সুসৎ বাদ থাকে কি করে? বরং এটা হয়ে যায় সুসৎ বাদের
বিপরীত ৷

সুহায়লী (ব) উপরোক্ত যুক্তি প্রমাণের উপর প্রশ্ন করেছেন ৷ তার প্রশ্নের সারমর্ম এইং
ন্ ৷ ; ঠু ট্রু,ৰুদ্বু একটি ভিন্ন
বাক্য ৷ পুর্ব রাকোর সুসৎবাদের আওতায় এটা আসে না ৷ কেননা, এখানে প্রুদ্বুণ্ন্ শব্দের
উপর আরবীর নিয়ম অনুযায়ী ৷ যেমন
”fl; পড়া যায় না, পড়তে হলে
ঙু-কে পুনরায় উল্লেখ করে এে^ন্ পড়তে হবে ৷ অতএব আয়াতে ন্ঞা ;,গ্রা ব্র
হিসেবে
ধ্ ;প্রুপ্গ্রা পড়তে হবে ৷ অর্থাৎ প্রুদ্বুণ্ এা; ১৷ ঢু ষ্ঞা, কিন্তু সুহায়লীর কথা
প্রশ্নাভীত নয়, তইি ইসহাক (আ) কেও যাবীহুল্লাহ বলা যাবে না ৷ সুহায়লী তার মতের সপক্ষে
ভিন্ন আরও একটি দলীল দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, আল্লাহর বাণী স্পোধ্শ্প্ণ্ ! ’ ’ ৫পু এে
(সে যখন ইবরাহীমের সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল) বিক্ষ্ম ইসমাঈল (আ) যেহেতু
সে সময় ইবরাহীম (আ) এর কাছে ছিলেন না, বরং শিশুকালে মায়ের সাথে মক্কা উপত্যকায়
থাকতেন সুতরাং পিতার সাথে চলাফেরা করার প্রশ্নই উঠে না ৷ এ দলীলও সমর্থনযােগ্য নয় ৷
কেননা, বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, হযরত ইবরাহীম (আ) ঐ সময়ে বহুবার বৃরাকে চড়ে মক্কায়
নিয়েছেন এবং পুত্র ও পুত্রের মাকে দেখে পুনরায় চলে আসতেন ৷ ইসহাক (আ)-কে যাবীহুল্লাহ
বলার পক্ষে যাদের মতামত পাওয়া যায় তাদের মধ্যে কাব আহবার অন্যতম ৷ হযরত উমর,
আব্বাস, আলী, ইবন মাসউদ (রা), মাসরুক, ইকরামা, সাঈদ ইবন জুবায়র , মুজাহিদ, আত৷ ,
শা’বী , মুকাতিল, উবায়দ ইবন উমর, আবু মায়সারা, যায়দ ইবন আসলাম , আবদুল্লাহ ইবন
শার্কীক, যুহরী, কাসিম ইবন আবী বুরদাহ্ মাকহুল, উছমান ইবন হাজির, সুদৃদী, হাসান,
কাতাদা, আবুল হুযায়ল, ইবন সাবিত (বা) প্রমুখ এই মত পোষণ করেন ৷ ইবন জ বিবও এ
মতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ৷ বিক্ষ্ম তার বেলায় এটা একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ৷ ইবন আব্বাস
(বা) থেকে দু’টি মত বর্ণিত হয়েছে, তন্মধ্যে একটি মত উপরের অনুরুপ ৷ কিন্তু তার সঠিক মত
ও অধিকাৎশ সাহারা, তাবিঈ ও আলিমদের মতে হযরত ইসমাঈল (আ)-ই যাবীহুল্লাহ ৷
মুজাহিদ, সাঈদ, শা’বী, ইউসুফ ইবন মাহরান, আতা প্রমুখ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে , তিনি হলেন ইসমাঈল (আ) ৷ ইবন জারীর (র) আত৷ ইবন আবী রেবাহব সুত্রে
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, যার পরিবর্তে দুম্ব৷ যবেহ হয়েছে তিনি হযরত
ইসমাঈল (আ) ৷ অথচ ইহুদীরা বলে থাকে ইসহাকের কথা ৷ এটা তারা মিথ্যা বলে ৷ ইমাম
আহমদের পুত্র আবদুল্লীহ (র) বলেছেন, আমার পিতার মত এই যে, যাবীহুল্লাহ হযরত
ইসমাঈল (আ) ৷ ইবন আবী হাতিম (র) বলেন, আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করেছি যে,
যাবীহুল্লাহ কে? তিনি বলেছেন, যথার্থ কথা হল তিনি হযরত ইসমাঈল (আ) ৷ ইবন আবী


رَاكِبًا الْبُرَاقَ إِلَى مَكَّةَ يَطَّلِعُ عَلَى وَلَدِهِ وَابْنِهِ، ثُمَّ يَرْجِعُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَمَنْ حُكِيَ الْقَوْلُ عَنْهُ بِأَنَّ الذَّبْيحَ إِسْحَاقُ كَعْبُ الْأَحْبَارِ. وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ، وَالْعَبَّاسِ، وَعَلِيٍّ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَمَسْرُوقٍ، وَعِكْرِمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَعَطَاءٍ، وَالشَّعْبِيِّ، وَمُقَاتِلٍ، وَعُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَأَبِي مَيْسَرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، وَالزُّهْرِيِّ، وَالْقَاسِمِ بْنِ أَبِي بَزَّةَ، وَمَكْحُولٍ، وَعُثْمَانَ بْنِ حَاضِرٍ، وَالسُّدِّيِّ، وَالْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ، وَأَبِي الْهُذَيْلِ، وَابْنِ سَابِطٍ، وَهُوَ اخْتِيَارُ ابْنِ جَرِيرٍ، وَهَذَا عَجَبٌ مِنْهُ، وَهُوَ إِحْدَى الرِّوَايَتَيْنِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَلَكِنَّ الصَّحِيحَ عَنْهُ، وَعَنْ أَكْثَرِ هَؤُلَاءِ أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ مُجَاهِدٌ، وَسَعِيدٌ وَالشَّعْبِيُّ، وَيُوسُفُ بْنُ مِهْرَانَ، وَعَطَاءٌ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: هُوَ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: الْمَفْدِيُّ إِسْمَاعِيلُ، وَزَعَمَتِ الْيَهُودُ أَنَّهُ إِسْحَاقُ، وَكَذَبَتِ الْيَهُودُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، عَنْ أَبِيهِ هُوَ إِسْمَاعِيلُ، وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: سَأَلْتُ أَبِي عَنِ الذَّبِيحِ فَقَالَ: الصَّحِيحُ أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ، وَابْنِ عُمَرَ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي الطُّفَيْلِ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَالْحَسَنِ، وَمُجَاهِدٍ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৭


হাতিম (র) বলেন : হযরত আলী, ইবন উমর, আবু হুরায়রা (রা), আবুতট্রু-তুফায়ল, সাঈদ
ইবনুল মুসাফির, সাঈদ ইবন জুবড়ায়র , হাসান, মুজাহিদ, শাবী, মুহাম্মদ ইবন কাব, আবু
জাফর মুহাম্মদ ইবন আলী ও আবু সালিহ সকলেই বলেছেন-যাবীহুল্লাহ হযরত ইসমাঈল
(আ) ৷ ইমাম বগবী (র)-ও উপরোক্ত মত রাবী ইবন আনাস (রা) , কালবী ও আবু আমর ইবন
আল৷ (যা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত মুআবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত , এক ব্যক্তি এসে রাসুল
(না)-কে সম্বোধন করল এভাবে; ব্লু,ন্ প্রুপ্রু;এ ! ;,ৰু৷ ৮ হে দুই যাবীহার পুত্র ! একথা শুনে
রাসুল (সা) হেসে দিলেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয (র) ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র)ও এই
কথা বলেছেন ৷ হাসান বসরী (র) বলেন, এ বর্ণনায় কোন সন্দেহ নেই ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
মুহাম্মদ ইবন কাব সুত্রে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (ব) যখন
খলীফা, তখন আমি সিরিয়ার ছিলাম ৷ আমি ইসমাঈলের যাবীহুল্লাহ্ হওয়ার পক্ষে খলীফার
নিকট দলীল স্বরুপ এই আয়াত পেশ করলাম;


(আমি তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পরে ইয়াকুবের জন্মের সুসংবাদ দিলাম) ৷ তখন
খলীফা উমর ইবন আবদুল আযীয বললেন, এটা৫ ত৷ একটা চমৎকার দলীল এ দিকট৷ আমি
লক্ষ্য করিনি ৷ এখন দেখছিতু মি যা বলছ৩ তাই সঠিক ৷ অতঃপর খলীফা সিরিয়ার বসবাসকারী
এক লোককে ডেকে আনতে বলেন ৷ ঐ লোকটি পুর্বে ইহুদী ছিল ৷ পরে ইসলাম গ্রহণ করে
এবং একজন ভাল মুসলমান হয় ৷ লোকটি ইহুদী সম্প্রদায়ের আলিম ছিল ৷ খলীফা তাকে
জিজ্ঞেস করলেন, ইবরাহীম (আ)-এর দুই পুত্রের মধ্যে কোন পুত্রকে যবেহ করার নির্দেশ
দেওয়া হয় ৷ সে বলল, আল্লাহর শপথ ইসমাঈল (আ)-কে ৷ হে আমীরুল মুমিনীন! ইহুদীরা
একথা ভালরুপেই জানে ৷ কিন্তু তারা আরবদের প্রতি হিংসা পোষণ করে এ কারণে যে, তাদের
পিতৃপুরুষ এমন এক ব্যক্তি যার ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ রয়েছে এবং যবেহর নির্দেশ পেয়ে
ধৈর্য ধরার কারণে যার সম্মান ও মর্যাদার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই কারণেই ইহুদীরা জেনে
বুঝেই তাকে অস্বীকার করে এবং বলে যে , ইসহাককেই যবেহ করার আদেশ দেয়া হয়েছিল ৷
কেননা, ইসহাক (আ) তাদের পিতৃপুরুষ ৷ এ বিষয়ে আমরা দলীল-প্রমাণসহ বিস্তারিত
আলোচনা আমাদের তাফসীরে উল্লেখ করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই ৷


وَالشَّعْبِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، وَأَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، وَأَبِي صَالِحٍ أَنَّهُمْ قَالُوا: الذَّبِيحُ هُوَ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَحَكَاهُ الْبَغَوِيُّ أَيْضًا عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، وَالْكَلْبِيِّ، وَأَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ. قُلْتُ: وَرُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَجَاءَ عَنْهُ «أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا ابْنَ الذَّبِيحَيْنِ، فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَإِلَيْهِ ذَهَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَكَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ يَقُولُ: لَا شَكَّ فِي هَذَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ سُفْيَانِ بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّهُ ذَكَرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ خَلِيفَةٌ إِذْ كَانَ مَعَهُ بِالشَّامِ يَعْنِي اسْتِدْلَالَهُ بِقَوْلِهِ بَعْدَ الْقِصَّةِ: {فَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: إِنَّ هَذَا الشَّيْءَ مَا كُنْتُ أَنْظُرُ فِيهِ، وَإِنِّي لَأَرَاهُ كَمَا قُلْتَ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى رَجُلٍ كَانَ عِنْدَهُ بِالشَّامِ كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ يُرَى أَنَّهُ مِنْ عُلَمَائِهِمْ قَالَ: فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ ذَلِكَ - قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ: وَأَنَا عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ - فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: أَيُّ ابْنَيْ إِبْرَاهِيمَ أُمِرَ بِذَبْحِهِ؟ فَقَالَ: إِسْمَاعِيلُ وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنَّ يَهُودَ لَتَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৮

ইসহাক (আ) এর জন্ম

এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী৪





আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলাম ইসহাকের সে ছিল এক নবী, সৎকর্মপরায়ণদের
অন্যতম ৷ আমি তাকে বরকত দান করেছিলাম এবং ইসহাককেও ৷ তাদের বংশধরদের মধ্যে
কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক নিজেদের প্ৰতি স্পষ্ট অত্যাচারী ৷ (সুরা সাফ্ফাত :

১ ১ ২ ১ ১৩)

মাদায়েন অঞ্চলের অধিবাসী লুত (আ)-এর সম্প্রদায়ের কুফরী ও পাপাচারের শাস্তি
প্রদানের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ফেরেশতাগণ সেখানে যাওয়ার পথে হযরত ইব্রাহীম (আ) ও
সারাহ্কে এ সুসংবাদ শুনিয়ে যান ৷

আল্লাহবলেনং ,






গ্রার্বৃ


আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল ৷ তারা বলল,
সালাম’ ৷ সেও বলল, সালাম’ ৷ সে অবিলম্বে এক করে যে করা বাছুর নিয়ে আসল ৷ সে যখন
দেখল, তাদের হাত সেটা ৷র দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করল এবং
তাদের সম্বন্ধে তার মনে ভীতি সঞ্চার হলো ৷ তারা বলল, তয় করে৷ না, আমরা লুতের
সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি ৷ তখন তার ত্রী দাড়িয়েছিল এবং সে হাসল ৷৩ তারপর আমি
তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম ৷ সে বলল, কি আশ্চয় ৷
সন্তানের জননী হয় আমি, যখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী বৃদ্ধ ৷ এটি অবশ্যই এক

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪৬-


بِذَلِكَ، وَلَكِنَّهُمْ يَحْسُدُونَكُمْ مَعْشَرَ الْعَرَبِ عَلَى أَنْ يَكُونَ أَبَاكُمُ الَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ فِيهِ وَالْفَضْلِ الَّذِي ذَكَرَهُ اللَّهُ مِنْهُ لِصَبْرِهِ لِمَا أُمِرَ بِهِ، فَهُمْ يَجْحَدُونَ ذَلِكَ وَيَزْعُمُونَ أَنَّهُ إِسْحَاقُ؛ لِأَنَّ إِسْحَاقَ أَبُوهُمْ. وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذِهِ الْمَسْأَلَةَ مُسْتَقْصَاةً بِأَدِلَّتِهَا، وَآثَارِهَا فِي كِتَابِنَا التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.