قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ৩২২

হযরত ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ) এর , ঘটনা

ইব্রাহীম (আ)-এর নসবনামা নিম্নরুপ ও ইব্রাহীম ইবন তারাখ (২৫০) ইবন লাহুর
(১৪৮) ইবন সারুগ (২৩০) ইবন রাউ (২৩৯) ইবন ফালিগ (৪৩৯) ইবন আবির (৪৬৪) ইবন
শালিহ্ (৪৩৩) ইবন আরফাখশাদ (৪৩৮) ইবন নাম (৬০০) ইবন নুহ্ (আ) ৷ আহলে
কিতাবদেৱ গ্রন্থে এভাবেই হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর নসবনামার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ উপরে
বন্ধনীর মধ্যে বয়স দেখান হয়েছে ৷ হযরত নুহ্ (আ)-এর বয়স ইতিপুর্বে তার আলোচনায়
উল্লেখ করা হয়েছে, তইি এখানে পুনরুল্পেখের প্রয়োজন নেই ৷ হাফিজ ইবন আসাকির (র) তার
ইতিহাস গ্রন্থে,ইসহাক ইবন বিশ্ব কাহিনীর “আল মাবদা’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে ,
ইব্রাহীম (আ)-এর মায়ের নাম ছিল উমায়লা ৷ এরপর তিনি ইব্রাহীম (আ)এর জন্মের এক
দীর্ঘ কাহিনীও লিখেছেন ৷ ফালবী লিখেছেন যে, ইব্রাহীম (আ)-এর মায়ের নাম বুনা বিনৃত
কারবানা ইবন কুরহী ৷ ইনি ছিলেন আরফাখৃশাদ ইবন নাম ইবন নুহের বংশধর ৷
ইবন আসাকির ইকরামা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর
কুনিয়াত বা উপনাম ছিল আর্য যায়ফান (গ্লু , ৮৷ ৷ , ৷) ৷ বর্ণনাকারিপণ বলেছেন,
তারাখের বয়স যখন পচাত্তর বছর তখন তার ঔরসে ইব্রাহীম, নাহ্রর ও হারান-এর জন্ম হয় ৷
হারানের পুত্রের নাম ছিল লুত (আ) ৷ বর্ণনাকারীদের মতে, ইব্রাহীম ছিলেন তিন পুত্রের মধ্যে
মধ্যম ৷ হারান পিতার জীবদ্দশায় নিজ জন্মস্থান কালদান অর্থাৎ বাবেলে (ব্যাবিলনে) মৃত্যুবরণ
করেন ৷ ঐতিহাসিক ও জীবনীকারদের নিকট এই মতই প্রসিদ্ধ ও যথার্থ ৷ ইবন আসাকির ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ইব্রাহীম (আ) গুতায়ে দামেশ্যকর১ বুরযা নামক গ্রামে
জন্মগ্রহণ করেন, যা কাসিয়ুন পর্বতের সন্নিকাট অবস্থিত ৷ অতঃপর ইবন আসাকির বলেন,
সঠিক মত এই যে, তিনি বাবেলে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তবে গুতায়ে দামেশকে জন্ম হওয়ার কথা
এ কারণে বলা হয় যে, হযরত লুত (আ)কে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে যখন তিনি এখানে
আগমন করেছিলেন, তখন তিনি সেখানে সালাত আদায় করেছিলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) বিবি
সারাহ্কে এবং নাহুর আপন ভাই হারানের কন্যা মালিকাকে বিবাহ করেন ৷ সারাহ্ ছিলেন ’
বন্ধ্য৷ ৷ তার কোন সন্তান হত না ৷ ইতিহাসবেত্তাদের মতে, তারাখ নিজ পুত্র ইব্রাহীম,
ইবরাহীমের শ্রী সারাহ্ ও হারানের পুত্র লুতকে নিয়ে কালদানীদের এলাকা থেকে কানআনীদের
এলাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন ৷ হারান নামক স্থানে তারা অবতরণ করেন ৷ এখানেই তারাখের
মৃত্যু ঘটে ৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল দৃ’শ পঞ্চাশ বছর ৷ এই বর্ণনা থেকে প্রমাণ মেলে যে,
ইব্রাহীম (আ)-এর জন্ম হারানে হয়নি; বরং কাশদানী জাতির ভুখশুই তার জন্মস্থান ৷ এ স্থানটি
হল বাবেল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ৷ এরপর-তারা সেখান থেকে কানআনীদের আবাসভুমির



১ সিরিয়ার একটি এলাকার নাম যেখানে প্রচুর পানি ও বৃক্ষ বিদ্যমান ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খণ্ড) : >—


[قِصَّةُ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] [تَرْجَمَتُهُ وَقِصَّتُهُ مَعَ قَوْمِهِ] هُوَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ تَارَخَ " 250 " بْنِ نَاحُورَ " 148 " بْنِ سَارُوغَ " 230 " بْنِ رَاغُوَ " 239 " بْنِ فَالَغَ " 439 " بْنِ عَابَرَ " 464 " بْنِ شَالَخَ " 433 " بْنِ أَرْفَخْشَدَ " 438 " بْنِ سَامِ " 600 " بْنِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. هَذَا نَصُّ أَهْلِ الْكِتَابِ فِي كِتَابِهِمْ، وَقَدْ أَعْلَمْتُ عَلَى أَعْمَارِهِمْ تَحْتَ أَسْمَائِهِمْ بِالْهِنْدِيِّ، كَمَا ذَكَرُوهُ مِنَ الْمُدَدِ، وَقَدَّمْنَا الْكَلَامَ عَلَى عُمُرِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ. وَحَكَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ فِي تَرْجَمَةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مِنْ تَارِيخِهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ بِشْرٍ الْكَاهِلِيِّ صَاحِبِ كِتَابِ الْمُبْتَدَأِ أَنَّ اسْمَ أُمِّ إِبْرَاهِيمَ أُمَيْلَةُ، ثُمَّ أَوْرَدَ عَنْهُ فِي خَبَرِ وِلَادَتِهَا لَهُ حِكَايَةً طَوِيلَةً. وَقَالَ الْكَلْبِيُّ: اسْمُهَا نُونَا بِنْتُ كَرَنْبَا بْنِ كُوثَى مِنْ بَنِي أَرْفَخْشَدَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُكْنَى أَبَا الضِّيفَانِ قَالُوا: وَلَمَّا كَانَ عُمُرُ تَارَخَ خَمْسًا
পৃষ্ঠা - ৩২৩


উদ্দেশে যাত্রা করেন ৷ এটা হলো বায়তৃল মুকাদ্দাসের এলাকা ণ্৷ তারপর তারা হারানে বসবাস
আরম্ভ করেন ৷ হারান হলো সেকালের কাশদানী জাতির আবাসভুমি ৷ জাসীরা এবং শামও-এর
অন্তর্ভুক্ত ৷ এখানকার অধিবাসীরা সাতটি নক্ষত্রের পুজা করত ৷ সেই জাতির লোকেরা দামেশক
শহর নির্মাণ করেছিল ৷ তারা এই দীনের অনুসারী ছিল ৷ তারা উত্তর মেরুর দিকে মুখ করে
বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ বা মন্তের দ্বারা সাতটি তারকার পুজা করত ৷ এই কারণেই প্রাচীন
দামেশকের সাতটি প্রবেশ দ্বারের্ প্রতিটিতেউক্ত, সাততারকার এক একটি তারকার বিশাল
মুর্তি স্থাপিত ছিল ৷ এদের নামে তারা বিভিন্ন পর্ব ও উৎসব পালন করত ৷ হারানের,
অধিবাসীরাও নক্ষত্র ও মুর্তি পুজা করত ৷ মােটকথা, সে সময় ভু-পৃষ্ঠের উপর যত লোক ছিল
তাদের মধ্য থেকে শুধু ইবরাহীম খলীল (আ), তার ত্রী (সারা) ও ভাতিজা লুত (আ) ব্যতীত
সবাই ছিল কাফির ৷ আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহীম (আ)-এর দ্বারা সেসব দৃকুতি ও ভ্রাস্তি
ৰিদুরিত করেন ৷ কেননা, আল্লাহ র্তাকে বাল্যকাণেই সঠিক পথের সন্ধান দেন ৷ রাসুল হওয়ার

ৰুর্গীরব দান করেন এবং বৃদ্ধ বয়সে খলীল বা বন্ধুরুপে গ্রহণ করেন


আমি তো ইতিপুর্বে ইবরাহীমকে সং পথের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্বন্ধে ছিলাম
সম্যক পরিজ্ঞাত ৷ (সুরা আম্বিয়াং ৫১) অর্থাৎ তিনি এর যোগ্য ছিলেন ৷

আল্লাহরবাণী৪

;,







)
;

(






وَسَبْعِينَ سَنَةً وُلِدَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَنَاحُورُ، وَهَارَانُ، وَوُلِدَ لِهَارَانَ لُوطٌ. وَعِنْدَهُمْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الْأَوْسَطُ، وَأَنَّ هَارَانَ مَاتَ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ فِي أَرْضِهِ الَّتِي وُلِدَ فِيهَا، وَهِيَ أَرْضُ الْكَلْدَانِيِّينَ يَعْنُونَ أَرْضَ بَابِلَ. وَهَذَا هُوَ الصَّحِيحُ الْمَشْهُورُ عِنْدَ أَهْلِ السِّيَرِ وَالتَّوَارِيخِ وَالْأَخْبَارِ، وَصَحَّحَ ذَلِكَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ بَعْدَمَا رَوَى مِنْ طَرِيقِ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، عَنِ الْوَلِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وُلِدَ إِبْرَاهِيمُ بِغُوطَةِ دِمَشْقَ فِي قَرْيَةٍ يُقَالُ لَهَا: بَرْزَةُ فِي جَبَلٍ يُقَالُ لَهُ: قَاسِيُونَ. ثُمَّ قَالَ: وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ وُلِدَ بِبَابِلَ، وَإِنَّمَا نُسِبَ إِلَيْهِ هَذَا الْمَقَامُ؛ لِأَنَّهُ صَلَّى فِيهِ إِذْ جَاءَ مُعِينًا لِلُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالُوا: فَتَزَوَّجَ إِبْرَاهِيمُ سَارَةَ، وَنَاحُورُ مَلْكَا ابْنَةَ هَارَانَ، يَعْنُونَ بِابْنَةِ أَخِيهِ. قَالُوا: وَكَانَتْ سَارَةُ عَاقِرًا لَا تَلِدُ. قَالُوا: وَانْطَلَقَ تَارَخُ بِابْنِهِ إِبْرَاهِيمَ، وَامْرَأَتِهِ سَارَةَ، وَابْنِ أَخِيهِ لُوطِ بْنِ هَارَانَ، فَخَرَجَ بِهِمْ مِنْ أَرْضِ الْكَلْدَانِيِّينَ إِلَى أَرْضِ الْكَنْعَانِيِّينَ، فَنَزَلُوا حَرَّانَ، فَمَاتَ فِيهَا تَارَخُ وَلَهُ مِائَتَانِ وَخَمْسُونَ سَنَةً. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَمْ يُولَدْ بِحَرَّانَ، وَإِنَّمَا مَوْلِدُهُ بِأَرْضِ الْكَلْدَانِيِّينَ، وَهِيَ أَرْضُ بَابِلَ وَمَا وَالَاهَا. ثُمَّ ارْتَحَلُوا قَاصِدِينَ أَرْضَ الْكَنْعَانِيِّينَ، وَهِيَ بِلَادُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَأَقَامُوا بِحَرَّانَ، وَهِيَ أَرْضُ الْكَشْدَانِيِّينَ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَكَذَلِكَ أَرْضُ الْجَزِيرَةِ وَالشَّامِ أَيْضًا، وَكَانُوا يَعْبُدُونَ الْكَوَاكِبَ السَّبْعَةَ، وَالَّذِينَ عَمَّرُوا مَدِينَةَ دِمَشْقَ كَانُوا عَلَى هَذَا الدِّينِ يَسْتَقْبِلُونَ الْقُطْبَ الشَّمَالِيَّ، وَيَعْبُدُونَ الْكَوَاكِبَ السَّبْعَةَ بِأَنْوَاعٍ مِنَ الْفَعَالِ وَالْمَقَالِ؛ وَلِهَذَا كَانَ عَلَى كُلِّ بَابٍ مِنْ أَبْوَابِ دِمَشْقَ السَّبْعَةِ
পৃষ্ঠা - ৩২৪


fifi’



ৰুর্দু;পু ব্র:াব্লু ;,এে“াগ্লুহুর্বৃ,রুভু;৷ ৷ ণ্;£;প্;র্ন্ত ৷ৰু^া;;, বু,র্দু^,ব্লু;১গ্লু দ্বুএে৷ fl ৷ধু^ব্লু;গ্লু


স্মরং৷ কর ইব্রাহীমের কথা, যে তার সম্প্রদায়কে ব্যলছিল, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর
এবং তাকে ভয় কর; তোমাদের জন্যে এটাই গ্রেয়, যদি তোমরা জানতে ৷ তোমরা তো আল্লাহ
ব্যতীত কেবল মুর্তি পুজা করছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করছ; তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের পুজা
কর তারা তোমাদের র্জীবনােপকরণের মালিক নয় ৷ সুতরাং তোমরা জীবনােপকরণ কামনা কর
আল্লাহর নিকট“ এবং তারই ইবাদত কর ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর ৷ তোমরা তারই
নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে ৷ তোমরা যদি আমাকে মিথ্যাবাদী প্ৰতিপন্ন কর তবে জেনে রেখ,
তোমাদের পুর্ববর্তীগণও নবীগণকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করেছিল ৷ বন্তুত সুস্পক্টভাৰে প্রচার করে
দেয়া ব্যতীত রাসুলের আর কোন দায়িত্ব নেই ৷ ওরা কি লক্ষ্য করে না, কিভাবে আল্লাহ সৃষ্টিকে
অস্তিত্ব দান করেন, তারপর তা পুনরায় সৃষ্টি করেন ? এটা তো আল্লাহর জন্যে সহজ ৷

বল, পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং অনুধাবন কর, কিভাবে তিনি সৃষ্টি আরম্ভ করেছেন ? তারপর
আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি ৷ আল্লাহ তো সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান ৷ তিনি যাকে ইচ্ছা
শাস্তি দেন এবং যার প্রতি ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন ৷ তোমরা তারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে ৷
তোমরা আল্লাহকে ব্যর্থ করতে পারবে না পৃথিবীতে অথবা আকাশে এবং আল্লাহ ব্যতীত
তোমাদের কোন অভিভাবক নেই, সাহাযকোরীও নেই ৷ যারা আল্লাহর নিদর্শন ও তার সাক্ষাৎ
অস্বীকার করে, তারাই আমার অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়, তাদের জন্যে রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি ৷

উত্তরে ইবরাহীমের সম্প্রদায় শুধু এই বলল, তাকে হত্যা কর অথবা আগুনে পুড়িয়ে দাও ৷
কিন্তু আল্লাহ তাকে অগ্নি থেকে রক্ষা করলেন ৷ এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে মুমিন সম্প্রদায়ের ’
জন্য ৷ ইব্রাহীম বলল, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে মুর্তিগুলোকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করছ; পার্থিব
জীবনে তোমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বের খাতিরে ৷ পরে কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে
অস্বীকার করবে এবং পরস্পরকে অতিসম্পাত দিবে ৷ তোমাদের আবাস হবে জাহড়ান্নড়াম এবং
তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না ৷ লুত তার প্ৰতি বিশ্বাস স্থাপন করল ৷ ইব্রাহীম বলল,
আমি আমার প্ৰতিপালকের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ কংছি ৷ তিনি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷
আমি ইবরাহীমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের জন্যে স্থির করলাম
নবুওত ও কিতাব এবং আমি তাকে দুনিয়ার পুরস্কৃত করেছিলাম; আখিরাতেও সে নিশ্চয়
সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম হবে ৷ (সুরা আনকাবুত : ১৬-২৭)

তারপর আল্লাহ ইব্রাহীম (আ)-এর সাথে তার পিতার এবং সম্প্রদায়ের সোকদেরন্বিতবেরি
কথা উল্লেখ করেছেন ৷ পরে আমরা ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ৷ হযরত
ইব্রাহীম (আ) সর্ব প্রথম আপন পিতাকে ঈমানের দাওয়াত দেন ৷ তার পিতা ছিল মুর্তিপুজাৰী ৷
কাজেই কল্যাণের দিকে আহ্বান পাওয়ার অধিকার তারই সবচাইতে বেশি ৷ আল্লাহ বলেন :


الْقَدِيمَةِ هَيْكَلٌ لِكَوْكَبٍ مِنْهَا، وَيَعْمَلُونَ لَهَا أَعْيَادًا وَقَرَابِينَ. وَهَكَذَا كَانَ أَهْلُ حَرَّانَ يَعْبُدُونَ الْكَوَاكِبَ وَالْأَصْنَامَ، وَكُلُّ مَنْ كَانَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ كَانُوا كُفَّارًا سِوَى إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ، وَامْرَأَتِهِ، وَابْنِ أَخِيهِ لُوطٍ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ. وَكَانَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الَّذِي أَزَالَ اللَّهُ بِهِ تِلْكَ الشُّرُورَ، وَأَبْطَلَ بِهِ ذَاكَ الضَّلَالَ. فَإِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى آتَاهُ رُشْدَهُ فِي صِغَرِهِ، وَابْتَعَثَهُ رَسُولًا، وَاتَّخَذَهُ خَلِيلًا فِي كِبَرِهِ. قَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ آتَيْنَا إِبْرَاهِيمَ رُشْدَهُ مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا بِهِ عَالِمِينَ} [الأنبياء: 51] . أَيْ كَانَ أَهْلًا لِذَلِكَ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِبْرَاهِيمَ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاتَّقُوهُ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ - إِنَّمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا وَتَخْلُقُونَ إِفْكًا إِنَّ الَّذِينَ تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَا يَمْلِكُونَ لَكُمْ رِزْقًا فَابْتَغُوا عِنْدَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ إِلَيْهِ تُرْجَعُونَ - وَإِنْ تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِنْ قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ - أَوَ لَمْ يَرَوْا كَيْفَ يُبْدِئُ اللَّهُ الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ إِنَّ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسِيرٌ - قُلْ سِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَانْظُرُوا كَيْفَ بَدَأَ الْخَلْقَ ثُمَّ اللَّهُ يُنْشِئُ النَّشْأَةَ الْآخِرَةَ إِنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ - يُعَذِّبُ مَنْ يَشَاءُ وَيَرْحَمُ مَنْ يَشَاءُ وَإِلَيْهِ تُقْلَبُونَ - وَمَا أَنْتُمْ بِمُعْجِزِينَ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَمَا لَكُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ مِنْ وَلِيٍّ وَلَا نَصِيرٍ - وَالَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ اللَّهِ وَلِقَائِهِ أُولَئِكَ يَئِسُوا مِنْ رَحْمَتِي وَأُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ - فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا اقْتُلُوهُ أَوْ حَرِّقُوهُ فَأَنْجَاهُ اللَّهُ مِنَ النَّارِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ - وَقَالَ إِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا مَوَدَّةَ بَيْنِكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ثُمَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُ بَعْضُكُمْ بِبَعْضٍ وَيَلْعَنُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا وَمَأْوَاكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِنْ نَاصِرِينَ - فَآمَنَ لَهُ لُوطٌ وَقَالَ إِنِّي مُهَاجِرٌ إِلَى رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ - وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ وَآتَيْنَاهُ أَجْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} [العنكبوت: 16 - 27] [الْعَنْكَبُوتِ: 16 - 27]
পৃষ্ঠা - ৩২৫


ন্া

স্মরণ কর, এই কিভাবে উল্লিখিত ইবরাহীমের কথা; যে ছিল সত্যনিষ্ঠ নবী ৷ যখন সে তার
পিতাকে বলল, হে পিতা ! তুমি কেন তার ইবাদত কর যে শুনে না, দেখে না এবং তোমার
কোন কাণ্ডেইি আসে না ? হে আমার পিতা ! আমার নিকট তো এসেছে জ্ঞান, যা তোমার নিকট
আসেনি; সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখার ৷ হে আমার পিতা !
শয়তানের ইবাদত কর না ৷ শয়তান তো দয়াময়ের অবাধ্য ৷ হে আমার পিতা ! আমি আশংকা
করছি, তোমাকে দয়াময়ের শাস্তি স্পর্শ করবে এবং তুমি শয়তানের বন্ধু হয়ে পড়বে ৷

পিতা বলল, হে ইবরাহীম ! তুমি কি আমার দেব-দেবী হতে বিমুখঃ যদি তুমি নিবৃত্ত না হও
তবে আমি পাথরের আঘাতে তোমার প্রাণনাশ করবই ৷ তুমি চিরদিনের জন্যে আমার নিকট
হতে দুর হয়ে যাও ৷’ ইব্রাহীম বলল, তোমার প্রতি সালাম ৷ আমি আমার প্রতিপালকের নিকট
তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করব, তিনি আমার প্ৰতি অতিশয় অনুযহশীল ৷ আমি তোমাদের
হতে ও তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদের ইবাদত কর তাদের হতে পৃথক হচ্ছি ৷ আমি আমার
প্রতিপালককে আহ্বান করি, আশা করি আমার প্রতিপালককে আহ্বান করে আমি ব্যকৈন্বম হব
না ৷ (সুরা মারয়াম : ৪ ১-৪৮)

এখানে আল্লাহ ইবরাহীম (আ) ও তার পিতার মধ্যে যে কথোপকথন ও বিতর্ক হয়েছিল তা
উল্লেখ করেছেন ৷ সত্যের দিকে পিতাকে যে কোমল ভাষায় ও উত্তম তংপিতে আহ্বান করেছেন
তা এখানে সুন্দরতাবে ব্যক্ত হয়েছে ৷ তিনি পিতার মুর্তি পুজার অসারতা তুলে ধরেছেন এভাবে
যে, এগুলো তাদের উপাসনাকারীদের ডাক শুনতে পায় না, তাদের অবস্থানও দেখতে পায় না;
তা হলে কিভাবে এরা উপাসকদের উপকার করবে? কিভাবে তাদের খাদ্য ও সাহায্য দান করে
তাদের কল্যাণ করবে ? তারপর আল্লাহ তাকে যে হিদায়াত ও উপকারী জ্ঞান দান করছেন তার
ভিত্তিতে পিতাকে সতর্ক করে দেন , যদিও বয়সে তিনি পিতার চেয়ে ছোট ৷

ার্চুা
;


ثُمَّ ذَكَرَ تَعَالَى مُنَاظَرَتَهُ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَكَانَ أَوَّلُ دَعْوَتِهِ لِأَبِيهِ، وَكَانَ أَبُوهُ مِمَّنْ يَعْبُدُ الْأَصْنَامَ؛ لِأَنَّهُ أَحَقُّ النَّاسِ بِإِخْلَاصِ النَّصِيحَةِ لَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَبِيًّا} [مريم: 41] إِذْ {قَالَ لِأَبِيهِ يَا أَبَتِ لِمَ تَعْبُدُ مَا لَا يَسْمَعُ وَلَا يُبْصِرُ وَلَا يُغْنِي عَنْكَ شَيْئًا - يَا أَبَتِ إِنِّي قَدْ جَاءَنِي مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ يَأْتِكَ فَاتَّبِعْنِي أَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا - يَا أَبَتِ لَا تَعْبُدِ الشَّيْطَانَ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلرَّحْمَنِ عَصِيًّا - يَا أَبَتِ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَمَسَّكَ عَذَابٌ مِنَ الرَّحْمَنِ فَتَكُونَ لِلشَّيْطَانِ وَلِيًّا - قَالَ أَرَاغِبٌ أَنْتَ عَنْ آلِهَتِي يَا إِبْرَاهِيمُ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ لَأَرْجُمَنَّكَ وَاهْجُرْنِي مَلِيًّا - قَالَ سَلَامٌ عَلَيْكَ سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيًّا - وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَأَدْعُو رَبِّي عَسَى أَلَّا أَكُونَ بِدُعَاءِ رَبِّي شَقِيًّا} [مريم: 42 - 48] [مَرْيَمَ: 41 - 48] . يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَبِيهِ مِنَ الْمُحَاوَرَةِ وَالْمُجَادَلَةِ، وَكَيْفَ دَعَا أَبَاهُ إِلَى الْحَقِّ بِأَلْطَفِ عِبَارَةٍ وَأَحْسَنِ إِشَارَةٍ، بَيَّنَ لَهُ بُطْلَانَ مَا هُوَ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ الَّتِي لَا تَسْمَعُ دُعَاءَ عَابِدِهَا وَلَا تُبْصِرُ مَكَانَهُ، كَيْفَ تُغْنِي عَنْهُ شَيْئًا أَوْ تَفْعَلُ بِهِ خَيْرًا مِنْ رِزْقٍ أَوْ نَصْرٍ؟
পৃষ্ঠা - ৩২৬


হে আমার পিতা! আমার কাছে জ্ঞান এসেছে যা তোমার নিকট আসেনি; সুতরাং আমার
অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখার ৷ অর্থাৎ এমন পথ যা অতি সুদৃঢ় , সহজ ও
সরল ৷ যে পথ অবলম্বন করলে দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাকে কল্যাণের পথে নিয়ে যাবে ৷
ইবরাহীম (আ) যখন পিতার নিকট এই সভা পথ ও উপদেশ পেশ করলেন, তখন পিতা তা

গ্রহণ করল না, বরং উল্টে৷ তাকে ধমকাল ও ভয় দেখাল ৷ সে বলল০


(হে ইব্রাহীম! তুমি কি আমার (সব দেবী থেকে বিমুখ? যদি তুমি নিবৃত্ত না হও, তবে
আমি পাথরের আঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করবােই’ ৷ কেউ কেউ বলেন, মৌখিকভাবে আবার

কেউ কেউ বলেন, বাস্তবেই পাথর মারব ৷ র্দু পুার্শ্ব র্দেট্রুর্বৃহু ৷ , (চিরতরের জন্যে দুর হয়ে যাও)
অর্থাৎ আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দীর্ঘকালের জন্যে চলে যাও ৷ ইবরাহীম (আ) তখন
বলেছিলেন০ এহুা ণ্১া (তোমার প্রতি সালাম) অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকে কোন রকম
কষ্টদায়ক ব্যবহার তুমি পাবে না ৷ আমার তৰুফ্র থেকে ভুমি সম্পুর্ণ নিরাপদ ৷ ইবরাহীম


অতিরিক্ত আরও বললেন, (আমি আমার

প্রতিপ৷ ৷লকের নিকট তােমা ৷র জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব ৷ তিনি আমার প্রতি অতিশয় অনুযহশীল)া
ইবন আব্বাস (রা) প্রমুখ বলেছেন ছুব্লু অর্থ হু^০া০৷ অর্থাৎ দয়ালু ৷ কেননা তিনি আমাকে
সত্য পথের সন্ধাদ্বু দিয়েছেন ৷ একনিষ্ঠভ৷ ৷বে তার ইবাদত করার তওফীক দিয়েছেন ৷ একারণেই
তিনি বললেনং ১৷ ৷ ’
“ এো;?স্পে এধ্রু ঠেএ ষ্এএএ :এ স্টা এল্হ্লাষ্ট্র এ
ার্টুষ্কৃট্রুসৃ ’$ ; ৷ব্লু ৰু গু :,§$ ৷ (আমি তােমাদেরকে পরিত্যাগ করছি এবং আল্লাহ ব্যতীত যাদের
তোমরা পুজা করছ তাদেরও পরিত্যাগ করছি ৷ আমি কেবল আমার পালনকর্তা গ্লুাকই আহ্বান
করি ৷ আশা করি, আমার প্রতিপালককে আহ্বান করে আমি ব্যর্থকাম হব না ৷ এই ওয়াদা
অনুযায়ী ইবরাহীম পিতার জন্যে সর্বদা ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন ষ্৷ পরে যখন জানলেন যে,
তার পিতা আল্লাহর দুশমন; তখন তিনি তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন ৷ যেমন আল্লাহ্

বলেনঃ

?
(এ:শ্ন্এে


র্ন্ত
ছুর্দু১ঝু;ৰুর্দু১র্দু র্দুা
ইব্রাহীম তার পিতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে;
অতঃপর যখন এটা তার নিকট সুস্পষ্ট হল যে, সে আল্লাহর শত্রু, তখন ইবরাহীমতার সম্পর্ক
ছিন্ন করল ৷ ইবরাহীম তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল ৷ (সুরা তাওব্াং : ১১৪)
ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
কিয়ামতের দিন ইবরাহীম (আ)-এর সাথে তীর পিতা আযরের সাক্ষাৎ হবে ৷ আযরের চেহারা
মলিন ও কালিমালিপ্ত দেখে ইবরাহীম (আ) বলবেন, আমি কি আপনাকে দুনিয়ার বলিনি যে,
আমার অব্ড়াধ্য হবেন না ? পিতা বলবে, আজ আর আমি তোমার অবাধ্য হব না ৷’ তখন
ইবরাহীম (আ) বলবেন, হে আমার প্রতিপালক৷ আপনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে,
পুনরুথান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না ৷ কিন্তু আমার পিতা যেখানে আপনার দয়া ও

ব্লু


ثُمَّ قَالَ مُنَبِّهًا عَلَى مَا أَعْطَاهُ اللَّهُ مِنَ الْهُدَى وَالْعِلْمِ النَّافِعِ، وَإِنْ كَانَ أَصْغَرَ سِنًّا مِنْ أَبِيهِ {يَا أَبَتِ إِنِّي قَدْ جَاءَنِي مِنَ الْعِلْمِ مَا لَمْ يَأْتِكَ فَاتَّبِعْنِي أَهْدِكَ صِرَاطًا سَوِيًّا} [مريم: 43] . أَيْ مُسْتَقِيمًا وَاضِحًا سَهْلًا حَنِيفًا، يُفْضِي بِكَ إِلَى الْخَيْرِ فِي دُنْيَاكَ وَأُخْرَاكَ، فَلَمَّا عَرَضَ هَذَا الرُّشْدَ عَلَيْهِ، وَأَهْدَى هَذِهِ النَّصِيحَةَ إِلَيْهِ لَمْ يَقْبَلْهَا مِنْهُ، وَلَا أَخَذَهَا عَنْهُ بَلْ تَهَدَّدَهُ وَتَوَعَّدَهُ {قَالَ أَرَاغِبٌ أَنْتَ عَنْ آلِهَتِي يَا إِبْرَاهِيمُ لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ لَأَرْجُمَنَّكَ} [مريم: 46] . قِيلَ: بِالْمَقَالِ. وَقِيلَ: بِالْفَعَالِ {وَاهْجُرْنِي مَلِيًّا} [مريم: 46] أَيْ وَاقْطَعْنِي وَأَطِلْ هِجْرَانِي فَعِنْدَهَا قَالَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: {سَلَامٌ عَلَيْكَ} [مريم: 47] أَيْ لَا يَصِلُكَ مِنِّي مَكْرُوهٌ، وَلَا يَنَالُكَ مِنِّي أَذًى، بَلْ أَنْتَ سَالِمٌ مِنْ نَاحِيَتِي، وَزَادَهُ خَيْرًا فَقَالَ: {سَأَسْتَغْفِرُ لَكَ رَبِّي إِنَّهُ كَانَ بِي حَفِيًّا} [مريم: 47] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرُهُ: أَيْ لَطِيفًا. يَعْنِي فِي أَنْ هَدَانِي لِعِبَادَتِهِ وَالْإِخْلَاصِ لَهُ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {وَأَعْتَزِلُكُمْ وَمَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَأَدْعُو رَبِّي عَسَى أَلَّا أَكُونَ بِدُعَاءِ رَبِّي شَقِيًّا} [مريم: 48] . وَقَدِ اسْتَغْفَرَ لَهُ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا وَعَدَهُ فِي أَدْعِيَتِهِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ} [التوبة: 114] . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي أَخِي عَبْدُ الْحَمِيدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَلْقَى إِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ آزَرَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَعَلَى وَجْهِ آزَرَ قَتَرَةٌ وَغَبَرَةٌ. فَيَقُولُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ لَا تَعْصِنِي. فَيَقُولُ لَهُ أَبُوهُ: فَالْيَوْمَ
পৃষ্ঠা - ৩২৭


ক্ষমা থেকে দুরে থাকছে, সেখানে এর চেয়ে অধিক লাঞ্চুনা আর কি হতে পারাে আল্লাহ
বলবেন, আমি কাফিরদের উপর জান্নাত হারামগু করে দিয়েছি ৷ তারপর বলা হবে : হে
ইব্রাহীম! তোমার পায়ের নিচে কি? নিচের দিকে তাকিয়ে তিনি দেখবেন, একটি জবাইকৃত

পশু রক্তাপুত অবস্থায় পড়ে আছে ৷ তারপর পশুটির পাগুলি ধরে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা
হবো

ইমাম বুখারী (র) কিতাবুত তাফসীরে’ ভিন্ন সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম
নাসাঈও এ হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম ৰায্যার (র) এটা আবু হুরায়রা (রা) ও আবু সাঈদ
(রা) থেকে বর্ণনা করছেন এসব বর্ণনায় ইব্রাহীম (আ)-এর পিতা আযর বলে বর্ণিত
হয়েছে ৷ আল্লাহ বলেন :

এেচী র্টুএ


স্মরণ কর, ইব্রাহীম তার পিতা আযরকে ব্লেছিল, আপনি কি মুর্তিকে ইলাহরুপে গ্রহণ
করেন? আমি আপনাকে ও আপনার সম্প্রদায়কে স্পষ্ট ভ্রাস্তিত্বে দেখছি ৷ (সুরা আনআম : ৭৪)

কুরআনের উক্ত আয়াত ও বর্ণিত হাদীসগুলো থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইব্রাহীম (আ)-এর
পিতার নাম আযর ৷ কিন্তু অধিকাংশ বংশবিদদের মতে,-যাদের মধ্যে ইবন আব্বাস (রা) ও
আছেন, ইব্রাহীম (আ)-এর পিতার নাম তারাখ ৷ আহন্সি কিতড়াবদের মতে, তারাখ একটি
মুর্তির নাম ৷ ইব্রাহীম (আ)-এর পিতা এর পুজা করত এবং এরই নামানুসারে তাকে তারাখ
উপাধি দেয়া হয় ৷ কিন্তু প্রকৃত নাম আযর ৷ ইবন জারীর লিখেছেন : সঠিক কথা এই যে, আযর
তার প্রকৃত নাম; অথবা আযর ও তারাখ দুটোই তার আসল নাম; কিৎবা যে কোন একটা
উপাধি এবং অপরটা নাম ৷ ইবনে জারীরের এ বক্তব্যটি সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷
আল্লাহই অধিকতর ধ্জ্ঞাত ৷ আল্লাহর বাণী :



এট্টা


১া








لَا أَعْصِيكَ. فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ: يَا رَبِّ إِنَّكَ وَعَدْتَنِي أَنْ لَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، وَأَيُّ خِزْيٍ أَخْزَى مِنْ أَبِي الْأَبْعَدِ. فَيَقُولُ اللَّهُ: إِنِّي حَرَّمْتُ الْجَنَّةَ عَلَى الْكَافِرِينَ، ثُمَّ يُقَالُ: يَا إِبْرَاهِيمُ مَا تَحْتَ رِجْلَيْكَ، فَيَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ بِذِيخٍ مُتَلَطِّخٍ فَيُؤْخَذُ بِقَوَائِمِهِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ» . هَكَذَا رَوَاهُ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ مُنْفَرِدًا. وَقَالَ فِي التَّفْسِيرِ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَفْصِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَزَّارُ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَفِي سِيَاقِهِ غَرَابَةٌ. وَرَوَاهُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَبْدِ الْغَافِرِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِأَبِيهِ آزَرَ أَتَتَّخِذُ أَصْنَامًا آلِهَةً إِنِّي أَرَاكَ وَقَوْمَكَ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ} [الأنعام: 74] . هَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ اسْمَ أَبِي إِبْرَاهِيمَ آزَرُ. وَجُمْهُورُ أَهْلِ النَّسَبِ مِنْهُمُ ابْنُ عَبَّاسٍ عَلَى أَنَّ اسْمَ أَبِيهِ تَارَحُ. وَأَهْلُ الْكِتَابِ يَقُولُونَ: تَارَخُ بِالْخَاءِ الْمُعْجَمَةِ. فَقِيلَ: إِنَّهُ لُقِّبَ بِصَنَمٍ كَانَ يَعْبُدُهُ اسْمُهُ آزَرُ.
পৃষ্ঠা - ৩২৮




র্বৃ,৷ ,)া

এভাবে ইবরাহীমকে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালন ব্যবস্থা ৷দেখইি, আর যাতে সে
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয় ৷ তারপর রাত্রির অন্ধকার যখন তাকে আচ্ছন্ন করল, তখন সে
নক্ষত্র দেখে বলল, এই তো আমার প্রতিপালক, এরপর যখন উহা অস্তমিত হল তখন সে
বলল, যা অস্তমিত হয় তা আমি পছন্দ করি না ৷ ’ তারপর যখন সে চন্দ্রকে সমুজ্জ্বলরুপে উদিত
হতে দেখল, তখন সে বলল, এই তো আমার প্রতিপালক,’ যখন এটাও অস্তমিত হল তখন সে
বলল, আমাকে আমার প্রতিপালক সৎপথ প্রদর্শন না করলে আমি অবশ্যই পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত
হব ৷ ’ তারপর যখন সে সুর্যকে দীপ্তিমানরুপে উদিত হতে দেখল তখন সে বলল, এটাই আমার
প্রতিপালক এটিই সর্ববৃহৎ, যখন এটাও অস্তমিত হল তখন সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় !
তোমরা যাকে আল্লাহর শরীক কর তার সাথে আমার কোন সংশ্রব নেই ৷ আমি একনিষ্ঠভাবে
তার দিকে মুখ ফিরাচ্ছি যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশ্ারিকদের
ত্ন্তের্তুক্ত নই ৷

তার সম্প্রদায় তার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হল ৷ সে বলল, তোমরা কি আল্লাহ সম্বন্ধে আমার
সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবো তিনি তাে আমাকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন ৷ আমার প্রতিপ৷ ৷লক
অন্যরুপ ইচ্ছা না করলে তোমরা যাবে তার শরীক কর তাকে আমি ভয় করি না, সব কিছুই
আমার প্রতিপালকের জ্ঞানায়ত্ত ৷ তবে কি তোমরা অবধান করবে না ? তোমরা যাকে আল্লাহর
শরীক কর আমি তাকে কিরুপে ভয় করব? অথচ তোমরা আল্লাহর শরীক করতে ভয় ণ্কর না
যে বিষয়ে তিনি তােমাদেরকে কোন সনদ দেননি; সুতরাং যদি তোমরা জান তবে বল , দৃদলের
মধ্যে কোন দল নিরাপত্তা লাভের অধিকারী ৷ যারা ঈমান এসেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম
দ্বারা কলুষিত করেনি, নিরাপত্তা তাদের জন্যে, তারাই সৎপথ প্রাপ্ত ৷ এবং এই হচ্ছে আমার
যুক্তি-প্রমাণ যা ইবরাহীমকে দিয়েছিলাম তার সম্প্রদায়ের মুক৷ ৷বিলায়; যাকে ইচ্ছা মর্যা ৷দায় আ ৷মি
উন্নীত করি; তোমার প্রতিপালক প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানী ৷ (সুরা আনআম : ৭৫-৮৩)

এখানে ইব্রাহীম (আ) ও তার সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্ট বিতর্কের কথা বলা হয়েছে ৷ তিনি
যুক্তি দেখিয়েছেন যে, এসব উজ্জাপ্ নক্ষ্যঘ্র মুলত জড় পদার্থ যা কখনো উপাসা হতে পারে না ৷
আর আল্লাহর সাথে শরীক করে এগুলোর পুজাও করা যেতে পারে না ৷ কেননা, এটা সৃষ্ট,
প্রতিপালিত ও ন্নিয়গ্রিত ৷ এরা উদিত হয় ও অস্ত যায় এবং অদৃশ্যও হয়ে যায় ৷ পক্ষান্তরে, মহান
প্রতিপালর্ক আল্লাহ, যার থেকে কোন কিছুই অদৃশ্য হতে পারে না ৷ কিছুই তার দৃষ্টি থেকে
গোপন থাকতে পারে না ৷ বরং তিনি সর্বদা, সর্বত্র বিদ্যমান ৷ তার কোন ক্ষয় ও পতন নেই ৷
তিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনি ব্যতীত অন্য কোন প্ৰতিপালক নেই ৷ এভাবে
ইব্রাহীম (আ) সর্বপ্রথম নক্ষত্রের ইলাহ্ হওয়ার অযােগ্যত৷ বর্ণনা করেন ৷ কারো কারো মতে,
এখানে নক্ষত্র বলতে যোহরা সেতারা তথা শুক্র গ্রহকে বুঝানো হয়েছে-যা অন্য সকল
নক্ষত্রের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল হয় ৷ এ কারভ্রুংইি পরবর্তীতে তিনি আরও অগ্রসর হয়ে চদ্রের


وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَالصَّوَابُ أَنَّ اسْمَهُ آزَرُ، وَلَعَلَّ لَهُ اسْمَانِ عَلَمَانِ أَوْ أَحَدُهُمَا لَقَبٌ، وَالْآخَرُ عَلَمٌ، وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ مُحْتَمَلٌ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ نُرِي إِبْرَاهِيمَ مَلَكُوتَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلِيَكُونَ مِنَ الْمُوقِنِينَ فَلَمَّا جَنَّ عَلَيْهِ اللَّيْلُ رَأَى كَوْكَبًا قَالَ هَذَا رَبِّي فَلَمَّا أَفَلَ قَالَ لَا أُحِبُّ الْآفِلِينَ فَلَمَّا رَأَى الْقَمَرَ بَازِغًا قَالَ هَذَا رَبِّي فَلَمَّا أَفَلَ قَالَ لَئِنْ لَمْ يَهْدِنِي رَبِّي لَأَكُونَنَّ مِنَ الْقَوْمِ الضَّالِّينَ فَلَمَّا رَأَى الشَّمْسَ بَازِغَةً قَالَ هَذَا رَبِّي هَذَا أَكْبَرُ فَلَمَّا أَفَلَتْ قَالَ يَاقَوْمِ إِنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَحَاجَّهُ قَوْمُهُ قَالَ أَتُحَاجُّونِّي فِي اللَّهِ وَقَدْ هَدَانِي وَلَا أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبِّي شَيْئًا وَسِعَ رَبِّي كُلَّ شَيْءٍ عِلْمًا أَفَلَا تَتَذَكَّرُونَ وَكَيْفَ أَخَافُ مَا أَشْرَكْتُمْ وَلَا تَخَافُونَ أَنَّكُمْ أَشْرَكْتُمْ بِاللَّهِ مَا لَمْ يُنَزِّلْ بِهِ عَلَيْكُمْ سُلْطَانًا فَأَيُّ الْفَرِيقَيْنِ أَحَقُّ بِالْأَمْنِ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ وَتِلْكَ حُجَّتُنَا آتَيْنَاهَا إِبْرَاهِيمَ عَلَى قَوْمِهِ نَرْفَعُ دَرَجَاتٍ مَنْ نَشَاءُ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيمٌ} [الأنعام: 75] [الْأَنْعَامِ: 75 - 83] . وَهَذَا الْمَقَامُ مَقَامُ مُنَاظَرَةٍ لِقَوْمِهِ، وَبَيَانٌ لَهُمْ أَنَّ هَذِهِ الْأَجْرَامَ الْمُشَاهَدَةَ مِنَ الْكَوَاكِبِ النَّيِّرَةِ لَا تَصْلُحُ لِلْأُلُوهِيَّةِ، وَلَا أَنْ تُعْبَدَ مَعَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ؛ لِأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ مَرْبُوبَةٌ مَصْنُوعَةٌ مُدَبَّرَةٌ مُسَخَّرَةٌ تَطْلُعُ تَارَةً وَتَأْفُلُ أُخْرَى، فَتَغِيبُ عَنْ هَذَا الْعَالَمِ، وَالرَّبُّ تَعَالَى لَا يَغِيبُ عَنْهُ شَيْءٌ. وَلَا تَخْفَى عَلَيْهِ خَافِيَةٌ
পৃষ্ঠা - ৩২৯
، بَلْ هُوَ الدَّائِمُ الْبَاقِي بِلَا زَوَالٍ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ، وَلَا رَبَّ سِوَاهُ فَبَيَّنَ لَهُمْ أَوَّلًا عَدَمَ صَلَاحِيَةِ الْكَوْكَبِ - قِيلَ: هُوَ الزُّهَرَةُ - لِذَلِكَ تَرَقَّى مِنْهَا إِلَى الْقَمَرِ الَّذِي هُوَ أَضْوَأُ مِنْهَا وَأَبْهَى مِنْ حُسْنِهَا، ثُمَّ تَرَقَّى إِلَى الشَّمْسِ الَّتِي هِيَ أَشَدُّ الْأَجْرَامِ الْمُشَاهَدَةِ ضِيَاءً وَسَنَاءً وَبَهَاءً، فَبَيَّنَ أَنَّهَا مُسَخَّرَةٌ مُسَيَّرَةٌ مُقَدَّرَةٌ مَرْبُوبَةٌ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمِنْ آيَاتِهِ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ لَا تَسْجُدُوا لِلشَّمْسِ وَلَا لِلْقَمَرِ وَاسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَهُنَّ إِنْ كُنْتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ} [فصلت: 37] . وَلِهَذَا قَالَ: {فَلَمَّا رَأَى الشَّمْسَ بَازِغَةً} [الأنعام: 78] . أَيْ طَالِعَةً {قَالَ هَذَا رَبِّي هَذَا أَكْبَرُ فَلَمَّا أَفَلَتْ قَالَ يَا قَوْمِ إِنِّي بَرِيءٌ مِمَّا تُشْرِكُونَ - إِنِّي وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ - وَحَاجَّهُ قَوْمُهُ قَالَ أَتُحَاجُّونِّي فِي اللَّهِ وَقَدْ هَدَانِ وَلَا أَخَافُ مَا تُشْرِكُونَ بِهِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبِّي شَيْئًا} [الأنعام: 78 - 80] . أَيْ لَسْتُ أُبَالِي فِي هَذِهِ الْآلِهَةِ الَّتِي تَعْبُدُونَهَا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَإِنَّهَا لَا تَنْفَعُ شَيْئًا وَلَا تَسْمَعُ وَلَا تَعْقِلُ، بَلْ هِيَ مَرْبُوبَةٌ مُسَخَّرَةٌ كَالْكَوَاكِبِ وَنَحْوِهَا، أَوْ مَصْنُوعَةٌ مَنْحُوتَةٌ مَنْجُورَةٌ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ مَوْعِظَتَهُ هَذِهِ فِي الْكَوَاكِبِ لِأَهْلِ حَرَّانَ فَإِنَّهُمْ كَانَ يَعْبُدُونَهَا، وَهَذَا يَرُدُّ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أَنَّهُ قَالَ هَذَا حِينَ خَرَجَ مِنَ السَّرَبِ لَمَّا كَانَ صَغِيرًا، كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى أَخْبَارٍ إِسْرَائِيلِيَّةٍ لَا يُوثَقُ بِهَا، وَلَا سِيَّمَا إِذَا خَالَفَتِ الْحَقَّ، وَأَمَّا أَهْلُ بَابِلَ فَكَانُوا يَعْبُدُونَ الْأَصْنَامَ، وَهُمُ الَّذِينَ نَاظَرَهُمْ فِي عِبَادَتِهَا، وَكَسَرَهَا عَلَيْهِمْ وَأَهَانَهَا وَبَيَّنَ بُطْلَانَهَا، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَقَالَ إِنَّمَا اتَّخَذْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَوْثَانًا مَوَدَّةَ بَيْنِكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ثُمَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَكْفُرُ بَعْضُكُمْ بِبَعْضٍ وَيَلْعَنُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا وَمَأْوَاكُمُ النَّارُ وَمَا لَكُمْ مِنْ نَاصِرِينَ} [العنكبوت: 25] .
পৃষ্ঠা - ৩৩০


উল্লেখ করেনষ্-ষ্যা নক্ষত্রের চেয়ে অধিক উজ্জ্বল ও ঝলমলে ৷ এর পর আরও উপরের দিকে
লক্ষ্য করে সুর্যের উল্লেখ করেন, যার অবয়ব্ সর্ব বৃহৎ এবং যার উজ্জ্বলতা ও আলোক বিকিরণ
তীব্রতর ৷ এভাবে ইব্রাহীম (আ) স্পষ্টতাবে বুঝান্সেন যে, সুর্যও নিয়ত্রিত ও অধীনস্থু অন্যের

নির্দেশ পালনে বাধ্য ৷ আল্লাহর বাণী :

§,’ স্পো ৷,এ্যা স্পো ৷এ ষ্প্রু


স্পো

তার নিদর্শনসমুহের মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন ৷ তোমরা সুর্যকে সিজদা ৷করো না; চন্দ্রকেও

নয়, বরং সিজদা কর সেই আল্লাহঙ্গুকন্-যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা কেবল তার
ইবাদত কর ৷ (সুরা হা-মীম আস্সাজদাং ৩৭)

এ কারণেই আল্লাহ বলেছেন র্চু£) স্পে! ৷ $ এে (যখন সে সুর্যকে দীপ্তিমান
অর্থাৎ উদিত হতে দেখল ৷)

ঞা ছু;^প্রু-র্চ ণ্ৰুশু৷ ৰু;দ্বুন্দ্বুওধু ব্ৰার্দুপ্ ;া১৭ এে ৷ওও ^প্ও এে এএে
াও৷ শ্ ণ্; ওওহুশ্ংৰুন্
§$ ৰুহ্রাৰুর্মুগু ৰুর্দুৰুও ;এষ্ণ্ শু,-৩-শু-ঠোন্ এর্দ্রন্ ৰুশুট্রুও র্চুর্দুএ্যা ৰুগুংপ্রো ৰুই
ষ্
( ; হু ৰুট্রইএইএেই ;;, বু৷ ন্ন্ ট্রু,ট্রুহ্র,ছুর্দু ৷£ এে

আমার প্রতিপালক অন্যরুপ ইচ্ছা না করলে তোমরা থাকে তার শরীক কর তাকে আমি ভয়
করি না অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত অন্য যাদের ইবাদত তোমরা কর তাদের কোন পরোয়া আমি করি
না ৷ কেননা ওরা না পারে কোন উপকার করতে, না পারে কিছু শুনতে আর না পারে কিছু
অনুধাবন করতে ৷ বরং এরা হয় প্ৰতিপালিত ও নিয়শ্রিত যেমন নক্ষত্র ইত্যাদি ৷ না হয়
নিজেদেরই হাতের তৈরি ও থােদাইকৃত ৷

নক্ষত্র সম্পর্কে ইব্রাহীম (আ)-এর উপরোক্ত উপদেশ বাণী থেকে স্পষ্টত বোঝা যায় যে ,
এ সব কথা তিনি হারানের অধিবাসীদের লক্ষ্য করে বলেছিলেন ৷ কেননা, তারা নক্ষত্রের পুজা
করত ৷ এর দ্বারা ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ যারা মনে করেন যে, ইব্রাহীম (আ) এ কথা তখন
বলেছিলেন; যখন তিনি ৰাল্যকালে গুহা থেকে বের হয়ে আসেন ৷ এতে তাদের অভিমত খণ্ডন
হয়ে যায় ৷ এই মত ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে নেয়া হয়েছে ৷ যার কোন নির্জাযােগ্যতা নেই ৷
বিশেষ করে যখন তা সঠিক বর্ণনার পরিপন্থী হয় ৷ অপরদিকে বড়াবেলবাসীরা ছিল মুর্তিপুজক ৷
ইব্রাহীম (আ) তাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হন ৷ মুর্তি ভাঙ্গেন, অপদস্ত করেন এবং সেগুলোর
অসারতা বর্ণনা করেন ৷


وَقَالَ فِي سُورَةِ الْأَنْبِيَاءِ: {وَلَقَدْ آتَيْنَا إِبْرَاهِيمَ رُشْدَهُ مِنْ قَبْلُ وَكُنَّا بِهِ عَالِمِينَ إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنْتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ قَالَ لَقَدْ كُنْتُمْ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ قَالُوا أَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ أَمْ أَنْتَ مِنَ اللَّاعِبِينَ قَالَ بَلْ رَبُّكُمْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي فَطَرَهُنَّ وَأَنَا عَلَى ذَلِكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُمْ بَعْدَ أَنْ تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ فَجَعَلَهُمْ جُذَاذًا إِلَّا كَبِيرًا لَهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ قَالُوا مَنْ فَعَلَ هَذَا بِآلِهَتِنَا إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ قَالُوا سَمِعْنَا فَتًى يَذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ قَالُوا فَأْتُوا بِهِ عَلَى أَعْيُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ قَالُوا أَأَنْتَ فَعَلْتَ هَذَا بِآلِهَتِنَا يَاإِبْرَاهِيمُ قَالَ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا فَاسْأَلُوهُمْ إِنْ كَانُوا يَنْطِقُونَ فَرَجَعُوا إِلَى أَنْفُسِهِمْ فَقَالُوا إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ ثُمَّ نُكِسُوا عَلَى رُءُوسِهِمْ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَؤُلَاءِ يَنْطِقُونَ قَالَ أَفَتَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ أُفٍّ لَكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانْصُرُوا آلِهَتَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ قُلْنَا يَانَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ} [الأنبياء: 51] [الشُّعَرَاءِ: 69 - 83] .
পৃষ্ঠা - ৩৩১


আল্পাহ্তাআলা বলেনং : ন্টুন্
,’


ণ্ৰু এ

ইব্রাহীম বলল, তোমরা আল্পাহ্র পরিবর্তে মুর্তিদেরকে উপাস্যরুপে গ্রহণ করহাে, পার্থিব
জীবনে তোমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বের খাতিরে; পরৈ কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরহুক্ল
তাম্বীকার করবে এবং পরস্পরকে অডিসম্পাত দিবে ৷ তোমাদের আবাস হবে জাহান্নাম এবং
তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না ৷ (সুরা আনকাবুত : ২৫)

ধু ঞাসুরা আন্বিয়ায় আল্লাহ তাআলা বলেন :




(

ণ্া







ৰু ছুক্ট্রণ্ ষ্






আমি তো এর পুর্বে ইবরাহীমকে সৎপখের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তার সম্বন্ধে ছিলাম

সম্যক পরিজ্ঞাত ৷ যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বলল, এই মুর্তিগুলাে কী, যাদের
পুজায় তোমরা রত রয়েছ? ওরা বলল, আমরা আম,দ্বুদের পিতৃ-পুরুষগণকে এগুলোর পুজা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪২ ——


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الصَّافَّاتِ: {وَإِنَّ مِنْ شِيعَتِهِ لَإِبْرَاهِيمَ إِذْ جَاءَ رَبَّهُ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ فَمَا ظَنُّكُمْ بِرَبِّ الْعَالَمِينَ فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِينَ فَرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ أَلَا تَأْكُلُونَ مَا لَكُمْ لَا تَنْطِقُونَ فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ} [الصافات: 83] [الصَّافَّاتِ: 83 - 98] . يُخْبِرُ اللَّهُ تَعَالَى عَنْ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّهُ أَنْكَرَ عَلَى قَوْمِهِ عِبَادَةَ الْأَوْثَانِ، وَحَقَّرَهَا عِنْدَهُمْ، وَصَغَّرَهَا، وَتَنَقَّصَهَا فَقَالَ: {مَا هَذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنْتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ} [الأنبياء: 52] . أَيْ مُعْتَكِفُونَ عِنْدَهَا وَخَاضِعُونَ لَهَا {قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ} [الأنبياء: 53] . مَا كَانَ حُجَّتَهُمْ إِلَّا صَنِيعُ الْآبَاءِ وَالْأَجْدَادِ، وَمَا كَانُوا عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ الْأَنْدَادِ {قَالَ لَقَدْ كُنْتُمْ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ} [الأنبياء: 54] . كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَاذَا تَعْبُدُونَ أَئِفْكًا آلِهَةً دُونَ اللَّهِ تُرِيدُونَ فَمَا ظَنُّكُمْ بِرَبِّ الْعَالَمِينَ} [الصافات: 85] . قَالَ قَتَادَةُ: فَمَا ظَنُّكُمْ بِهِ أَنَّهُ فَاعِلٌ بِكُمْ إِذَا لَقِيتُمُوهُ وَقَدْ عَبَدْتُمْ غَيْرَهُ. وَقَالَ لَهُمْ: {هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ أَوْ يَنْفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ قَالُوا بَلْ وَجَدْنَا آبَاءَنَا كَذَلِكَ يَفْعَلُونَ} [الشعراء: 72] . سَلَّمُوا
পৃষ্ঠা - ৩৩২


করতে দেখেছি ৷ সে বলল, তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পিতৃ-পুরুষগণও রয়েছে স্পষ্ট
বিভ্রাস্তিতে ৷ ওরা বলল, তুমি কি আমাদের নিকট সত্য এনেছ, নাকি তুমি কৌতুক করছ? সে
বলল, না তোমাদের প্রতিপালক তো আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক, যিনি ওদের সৃষ্টি
করেছেন এবং এ বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী ৷

শপথ আল্লাহর, তোমরা চলে গেলে আমি তোমাদের মুর্তিগুলো সম্বন্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা
অবলম্বন করব ৷ ’ তারপর সে চুর্ণৰুবিচুর্ণ করে দিল ওদের প্রধানটি ব্যতীত; যাতে তারা ওর দিকে
ফিরে আসে ৷ তারা বলল, আমাদের উপাস্যদের প্রতি এরুপ করল কে? সে নিশ্চয়ই
সীমা লংঘনকারী ৷ কেউ কেউ বলল, এক যুবককে ওদের সমালোচনা করতে ৩শুনেছি; তাকে বলা
হয় ইব্রাহীম ৷ ওরা বলল,ত তাকে উপস্থিত কর লোকজনের সম্মুখে, যাতে তারা সাক্ষ্য দিতে
পারে ৷ তারা বলল, হে ইব্রাহীম! তৃমিই কি আমাদের উপাস্যদের প্রতি এরুপ করেছ? সে
বলল, সে-ই তাে এটা করেছে, এই তাে এগুলোর প্রধান ৷ এ গুলোকে জিজ্ঞেস কর ৷ যদি
এগুলো কথা বলতে পারে ৷ তখন ওরা মনে মনে চিন্তা করে দেখল এবং একে অপরকে বলতে
লাগল, তােমরাই তো সীমালস্মনকাবী ?

অতপর ওদের মস্তক অবনত হয়ে গেল এবং ওরা বলল, তুমি তে ৷ জানই যে, এরা কথা
বলে না ৷ ইব্রাহীম বলল, তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত কর যা
তোমাদের কোন উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না? ধিক্ তােমাদেরকে এবং
আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদেরকে ৷ তবে কি তোমরা বুঝবে না ? ওরা
বলল, একে পুড়িয়ে দাও, সাহায্য কর তোমাদের দেবতাগুলোকে, তোমরা যদি কিছু
করতে চাও ৷ আমি বললাম, হে আগুন তুমি ইবরাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ৷
ওরা তার ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করেছিল ৷ কিন্তু আমি তাদেরকে করে দিলাম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৷
(সুরা আন্বিয়৷ : ৫১ ৭০)

সুরা শুআ ৷রায় আল্লাহর বাণী :
’ ’”






স্পোা
এ এ
৷ ৷

>

ওদের নিকট ইবরাহীমের বৃত্তান্ত বর্ণনা কর ৷ সে যখন তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে
বলেছিল, তোমরা কিসের ইবাদত কর ? ওরা বলল, আমরা প্রতিমার পুজা করি এবং আমরা


لَهُ أَنَّهَا لَا تَسْمَعُ دَاعِيًا وَلَا تَنْفَعُ وَلَا تَضُرُّ شَيْئًا، وَإِنَّمَا الْحَامِلُ لَهُمْ عَلَى عِبَادَتِهَا الِاقْتِدَاءُ بِأَسْلَافِهِمْ، وَمَنْ هُوَ مِثْلُهُمْ فِي الضَّلَالِ مِنَ الْآبَاءِ الْجُهَّالِ؛ وَلِهَذَا قَالَ لَهُمْ: {أَفَرَأَيْتُمْ مَا كُنْتُمْ تَعْبُدُونَ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمُ الْأَقْدَمُونَ فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِي إِلَّا رَبَّ الْعَالَمِينَ} [الشعراء: 75] . وَهَذَا بُرْهَانٌ قَاطِعٌ عَلَى بُطْلَانِ إِلَهِيَّةِ مَا ادَّعَوْهُ مِنَ الْأَصْنَامِ؛ لِأَنَّهُ تَبَرَّأَ مِنْهَا وَتَنَقَّصَ بِهَا، فَلَوْ كَانَتْ تَضُرُّ لَضَرَّتْهُ أَوْ تُؤَثِّرُ لَأَثَّرَتْ فِيهِ {قَالُوا أَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ أَمْ أَنْتَ مِنَ اللَّاعِبِينَ} [الأنبياء: 55] . يَقُولُونَ: هَذَا الْكَلَامُ الَّذِي تَقُولُهُ لَنَا، وَتَنْتَقِصُ بِهِ آلِهَتَنَا، وَتَطْعَنُ بِسَبَبِهِ فِي آبَائِنَا تَقُولُهُ مُحِقًّا جَادًّا فِيهِ أَمْ لَاعِبًا قَالَ: {بَلْ رَبُّكُمْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي فَطَرَهُنَّ وَأَنَا عَلَى ذَلِكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ} [الأنبياء: 56] . يَعْنِي: بَلْ أَقُولُ لَكُمْ ذَلِكَ جَادًّا مُحِقًّا، وَإِنَّمَا إِلَهُكُمُ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّكُمْ، وَرَبُّ كُلِّ شَيْءٍ فَاطِرُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْخَالِقُ لَهُمَا عَلَى غَيْرِ مِثَالٍ سَبَقَ، فَهُوَ الْمُسْتَحِقُّ لِلْعِبَادَةِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَا عَلَى ذَلِكُمْ مِنَ الشَّاهِدِينَ. وَقَوْلُهُ: {وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُمْ بَعْدَ أَنْ تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ} [الأنبياء: 57] . أَقْسَمَ لَيَكِيدَنَّ هَذِهِ الْأَصْنَامَ الَّتِي يَعْبُدُونَهَا بَعْدَ أَنْ تَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ إِلَى عِيدِهِمْ. قِيلَ: إِنَّهُ قَالَ هَذَا خُفْيَةً فِي نَفْسِهِ. وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: سَمِعَهُ بَعْضُهُمْ. وَكَانَ لَهُمْ عِيدٌ يَذْهَبُونَ إِلَيْهِ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً إِلَى ظَاهِرِ الْبَلَدِ فَدَعَاهُ أَبُوهُ لِيَحْضُرَهُ، فَقَالَ: {إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 89] كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَنَظَرَ نَظْرَةً فِي النُّجُومِ فَقَالَ إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 88] . عَرَّضَ لَهُمْ فِي الْكَلَامِ حَتَّى تَوَصَّلَ إِلَى مَقْصُودِهِ مِنْ إِهَانَةِ أَصْنَامِهِمْ، وَنُصْرَةِ دِينِ اللَّهِ الْحَقِّ فِي بُطْلَانِ مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ الْأَصْنَامِ الَّتِي تَسْتَحِقُّ أَنْ تُكَسَّرَ، وَأَنْ تُهَانَ غَايَةَ الْإِهَانَةِ، فَلَمَّا خَرَجُوا إِلَى عِيدِهِمْ، وَاسْتَقَرَّ هُوَ فِي بَلَدِهِمْ {فرَاغَ إِلَى آلِهَتِهِمْ} [الصافات: 91] . أَيْ ذَهَبَ إِلَيْهَا مُسْرِعًا مُسْتَخْفِيًا
পৃষ্ঠা - ৩৩৩


নিষ্ঠার সাথে ওদের পুজায় নিরত থাকর ৷ সে বলল, তোমরা প্রার্থনা করলে ওরা কি ণ্শ্যানা
অথবা ওরা কি তোমাদের উপকার কিত্বা অপকাৱ করতে পারো ওরা বলল, না, তবে আমরা
আমাদের পিতৃ পুরুষদ্দেরকে এরুপই করতে দেখেছি ৷

সে বলল, তোমরা কি তার সম্বন্ধে ভোর দেখেছ যার পুজা করছ-তোমরা এবং তোমাদের
অতীত পিতৃ পুরুষরাঃ ওরা সকলেই আমার শত্রু, জগতসমুহের প্রতিপালক ব্যতীত, যিনি
আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই আমাকে পথ প্রদর্শন করেন ৷ তিনিই আমাকে দান করেন আহড়ার্য
ও পানীয় ৷ এবং রেগােক্রান্ত হলে তিনিই আমাকে রােগমুক্ত করেন; এবং তিনিই আমার মৃত্যু
ঘটাবেন, তারপর পুনর্জীবিত করবেন ৷ এবং আশা করি, তিনি কিয়ামত দিবসে আমার
অপরাধসমুহ মার্জনা করে দেবেন ৷ হে আমার প্রতিপালক৷ আমাকে জ্ঞান দান কর এবং
সৎকর্মপরায়ণদের শামিল কর ৷ (সুরা শুআরড়া : ৬৯-৮৩)

সুরা সাফ্ফাতে আল্লাহ বলেন ং

এ ১

)
ব্লু ৷ fl
)
৷ ,

ইবরাহীম তো তার অনুপামীদের অন্তর্ভুক্ত ৷ স্মরণ কর, সে তার প্রতিপালকের নিকট
উপস্থিত হয়েছিল বিশুদ্ধচিত্তে ৷ যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কেও জিজ্ঞেস করেছিল,
তোমরা কিসের পুজা করছ? তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে অলীক ইলাহ্গুলোকে চাও?
জগতসমুহের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা কী? তারপর সে তারকারাজির দিকে একবার
তাকাল এবং বলল, আমি অসুস্থ ৷ অতঃপর ওরা তাকে পশ্চাতে রেখে চলে গেল ৷ পরে সে
সন্তর্পণে ওদের দেবতাগুলাের নিকট গেল ৷ এবং বলল, তোমরা খাদ্য গ্রহণ করছ না কেন ষ্
তোমাদের কী হয়েছে যে তোমরা কথা বলনাঃ তখন সে তাদের উপর সবলে আঘাত হানল ৷
তখন ঐ লোকগুলো তার দিকে ছুটে আসলাে ৷ সে বলল, তোমরা নিজেরা যাদেরকে খোদাই
করে নির্মাণ কর, তোমরা কি তাদেরই পুজা কর? প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্ই সৃষ্টি করেছেন
তােমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরি কর তাও ৷ ওরা বলল, এর জন্যে এক ইমারত তৈরি কর,
তারপর একে জ্বলত্ত আগুনে নিক্ষেপ কর ৷ ওরা তার বিরুদ্ধে চক্রাস্তের সংকল্প করেছিল; কিন্তু
আমি ওদেরকে অতিশয় হেয় করে দিলাম ৷ (সুরাসাফ্ফাত : ৮৩-৯৮)

এ আয়াতগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দেন যে, ইবরাহীম (আ) তার
’ ন্ সম্প্রদায়ের লোকদের মুর্তি পুজার সমালোচনা করেন এবং তাদের কাছে ওগুলোর অসারতা ও
অক্ষমতার কথা তুলে ধরেন ৷ যেমন তিনি বলেছেন :


فَوَجَدَهَا فِي بَهْوٍ عَظِيمٍ، وَقَدْ وَضَعُوا بَيْنَ أَيْدِيَهَا أَنْوَاعًا مِنَ الْأَطْعِمَةِ قُرْبَانًا إِلَيْهَا، فَقَالَ لَهَا عَلَى سَبِيلِ التَّهَكُّمِ وَالِازْدِرَاءِ: {أَلَا تَأْكُلُونَ - مَا لَكُمْ لَا تَنْطِقُونَ - فَرَاغَ عَلَيْهِمْ ضَرْبًا بِالْيَمِينِ} [الصافات: 91 - 93] ؛ لِأَنَّهَا أَقْوَى وَأَبْطَشُ وَأَسْرَعُ وَأَقْهَرُ، فَكَسَّرَهَا بِقَدُومٍ فِي يَدِهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {فَجَعَلَهُمْ جُذَاذًا} [الأنبياء: 58] أَيْ حُطَامًا كَسَّرَهَا كُلَّهَا {إِلَّا كَبِيرًا لَهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ} [الأنبياء: 58] . قِيلَ: إِنَّهُ وَضَعَ الْقَدُومَ فِي يَدِ الْكَبِيرِ إِشَارَةً إِلَى أَنَّهُ غَارَ أَنْ تُعْبَدَ مَعَهُ هَذِهِ الصِّغَارُ، فَلَمَّا رَجَعُوا مِنْ عِيدِهِمْ، وَوَجَدُوا مَا حَلَّ بِمَعْبُودِهِمْ {قَالُوا مَنْ فَعَلَ هَذَا بِآلِهَتِنَا إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ} [الأنبياء: 59] . وَهَذَا فِيهِ دَلِيلٌ ظَاهِرٌ لَهُمْ لَوْ كَانُوا يَعْقِلُونَ، وَهُوَ مَا حَلَّ بِآلِهَتِهِمُ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَهَا، فَلَوْ كَانَتْ آلِهَةً لَدَفَعَتْ عَنْ أَنْفُسِهَا مَنْ أَرَادَهَا بِسُوءٍ لَكِنَّهُمْ قَالُوا مِنْ جَهْلِهِمْ، وَقِلَّةِ عَقْلِهِمْ، وَكَثْرَةِ ضَلَالِهِمْ، وَخَبَالِهِمْ: {مَنْ فَعَلَ هَذَا بِآلِهَتِنَا إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ قَالُوا سَمِعْنَا فَتًى يَذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ} [الأنبياء: 59] . أَيْ يَذْكُرُهَا بِالْعَيْبِ، وَالتَّنَقُّصِ لَهَا، وَالِازْدِرَاءِ بِهَا فَهُوَ الْمُقِيمُ عَلَيْهَا، وَالْكَاسِرُ لَهَا، وَعَلَى قَوْلِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَيْ يَذْكُرُهُمْ بِقَوْلِهِ: {وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُمْ بَعْدَ أَنْ تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ} [الأنبياء: 57] . {قَالُوا فَأْتُوا بِهِ عَلَى أَعْيُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ} [الأنبياء: 61] . أَيْ فِي الْمَلَأِ الْأَكْبَرِ عَلَى رُءُوسِ الْأَشْهَادِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ مَقَالَتَهُ، وَيَسْمَعُونَ كَلَامَهُ، وَيُعَايِنُونَ مَا يَحِلُّ بِهِ مِنَ الِاقْتِصَاصِ مِنْهُ، وَكَانَ هَذَا أَكْبَرَ مَقَاصِدِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنْ يَجْتَمِعَ النَّاسُ كُلُّهُمْ فَيُقِيمَ عَلَى جَمِيعِ عُبَّادِ الْأَصْنَامِ الْحُجَّةَ عَلَى بُطْلَانِ مَا هُمْ عَلَيْهِ، كَمَا قَالَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ لِفِرْعَوْنَ: {مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّينَةِ وَأَنْ يُحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى} [طه: 59] .
পৃষ্ঠা - ৩৩৪

(,^,এষ্ষ্কৃাব্লু (শু৷ ন্ৰু;ৰুট্রু;া৷ া দ্বুহুএে৷ :এে ৷পু০
(এই মুর্তিগুলো কি? যাদের পুজায় তোমরা রত রয়েছ?) অর্থাৎ এদের নিকট নিষ্ঠার সাথে
বসে থাক ও কাতর হয়ে থাক ৷ তারা উত্তর দিল; (আমরা
আমাদের পুর্ব পুরুষদেরকে এদের পুজারীরুপে পেয়েছি ৷) তাদের যুক্তি এই একটাই যে, তাদের
বাপ-দাদারা এরুপ দেবদেবীর পুজা-অর্চনা করতো ৷


এদ্বুণ্
তিনি বললেন, তোমরা ও তোমাদের ৰাপ-দাদারা স্পষ্ট বিভ্রাস্তিতে রয়েছে৷ ৷ যেমন আল্লাহ্

বলেছেনং : ৷

)

যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে জিজ্ঞেস করেছিল, তোমরা কিসের পুজা করছ?
তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে অলীক ইলাহগুলােকে চাওদ্রু তা হলে জগতসমুহের প্রতিপালক
সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কি?

কাতাদা এ আয়াতাৎশের ব্যাখ্যা এভাবে করেছেন যে, বিশ্ব জাহড়ানের পালনকর্তা আল্লাহকে
বাদ দিয়ে যখন তোমরা অন্যদের ইবাদত করছ, তখন যেদিন তার সাথে সাক্ষাৎ হবে সেদিন
তিনি তোমাদের সাথে কিরুপ ব্যবহার করবেন বলে মনে করা

ইব্রাহীম (আ) তাদেরকে বলেছেন

;াৰুা,৷াণ্



এস্পে১

তোমরা প্রার্থনা করলে ওরা কি শুনাে অথবা ওরা কি তোমাদের উপকার কিং বা অপকার

করতে পাবেঃ ওরা বলল, না তবে আমরা আমাদের রাপ-দাদাদেরকে এরুপই করতে দেখেছি ৷
(সুরা শুআরা০ ৭২ ৭৪)

তারা স্বীকার করে নেয় যে, আহবড়ানকারীর ডাক ওরা শোনে না, কারও কোন উপকারও
করতে পারে না ৷ অপকারও করতে পারে না ৷ তারা এরুপ করছে কেবল তাদের মুর্থ
পুর্ব হ্র,াদ্বুষদের অন্ধ আনুগত্য হিসেবে ৷ এ জন্যেই তিনি তাদেরকে বলে দেন যেং :

¢(;


তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ যাদের পুজা করে আসছ তোমরা ও তোমাদের

পুর্ববর্তী পিতৃ পুরুষেরা; কেননা রাববুল আলামীন ব্যতীত ত ৷রা সবা ৷ই আমার দৃশমন ৷ (সুরা
শু ৭৭)

তারা মুর্তির উপাস্য হওয়ার যে দা ৷বি করত তা যে বাতিল ও ভ্রান্ত, উল্লিখিত আয়ড়াতসমুহে
তার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ কেননা, হযরত ৩ইবরাহীম (আ) ওগুলােকে পরিত্যাগ করেন ও


فَلَمَّا اجْتَمَعُوا وَجَاءُوا بِهِ. كَمَا ذَكَرُوا: {قَالُوا أَأَنْتَ فَعَلْتَ هَذَا بِآلِهَتِنَا يَا إِبْرَاهِيمُ قَالَ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا} [الأنبياء: 62] . قِيلَ: مَعْنَاهُ هُوَ الْحَامِلُ لِي عَلَى تَكْسِيرِهَا، وَإِنَّمَا عَرَّضَ لَهُمْ فِي الْقَوْلِ {فَاسْأَلُوهُمْ إِنْ كَانُوا يَنْطِقُونَ} [الأنبياء: 63] . وَإِنَّمَا أَرَادَ بِقَوْلِهِ هَذَا أَنْ يُبَادِرُوا إِلَى الْقَوْلِ أَنَّ هَذِهِ لَا تَنْطِقُ فَيَعْتَرِفُوا بِأَنَّهَا جَمَادٌ كَسَائِرِ الْجَمَادَاتِ {فَرَجَعُوا إِلَى أَنْفُسِهِمْ فَقَالُوا إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ} [الأنبياء: 64] . أَيْ فَعَادُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ بِالْمَلَامَةِ فَقَالُوا: {إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ} [الأنبياء: 64] . أَيْ فِي تَرْكِهَا لَا حَافِظَ لَهَا، وَلَا حَارِسَ عِنْدَهَا {ثُمَّ نُكِسُوا عَلَى رُءُوسِهِمْ} [الأنبياء: 65] . قَالَ السُّدِّيُّ: أَيْ ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى الْفِتْنَةِ فَعَلَى هَذَا يَكُونُ قَوْلُهُ: {إِنَّكُمْ أَنْتُمُ الظَّالِمُونَ} [الأنبياء: 64] . أَيْ فِي عِبَادَتِهَا. وَقَالَ قَتَادَةُ أَدْرَكَتِ الْقَوْمَ حَيْرَةُ سَوْءٍ أَيْ فَأَطْرَقُوا، ثُمَّ قَالُوا: {لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَؤُلَاءِ يَنْطِقُونَ} [الأنبياء: 65] . أَيْ لَقَدْ عَلِمْتَ يَا إِبْرَاهِيمُ أَنَّ هَذِهِ لَا تَنْطِقُ فَكَيْفَ تَأْمُرُنَا بِسُؤَالِهَا فَعِنْدَ ذَلِكَ قَالَ لَهُمُ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {أَفَتَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ أُفٍّ لَكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ} [الأنبياء: 66] . كَمَا قَالَ: {فَأَقْبَلُوا إِلَيْهِ يَزِفُّونَ} [الصافات: 94] . قَالَ مُجَاهِدٌ: يُسْرِعُونَ. {قَالَ أَتَعْبُدُونَ مَا تَنْحِتُونَ} [الصافات: 95] . أَيْ كَيْفَ تَعْبُدُونَ أَصْنَامًا أَنْتُمْ تَنْحِتُونَهَا مِنَ الْخَشَبِ وَالْحِجَارَةِ، وَتُصَوِّرُونَهَا وَتُشَكِّلُونَهَا كَمَا تُرِيدُونَ {وَاللَّهُ خَلَقَكُمْ وَمَا تَعْمَلُونَ} [الصافات: 96] ؟ وَسَوَاءٌ كَانَتْ مَا مَصْدَرِيَّةً أَوْ بِمَعْنَى الَّذِي فَمُقْتَضَى الْكَلَامِ أَنَّكُمْ مَخْلُوقُونَ وَهَذِهِ الْأَصْنَامَ مَخْلُوقَةٌ، فَكَيْفَ يَعْبُدُ مَخْلُوقٌ مَخْلُوقًا مِثْلَهُ فَإِنَّهُ لَيْسَ عِبَادَتُكُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৩৫


হেয়প্রতিপন্ন করেন ৷ এতে যদি তাদের ক্ষমতা থাকত ক্ষতি করার তা হলে অবশ্যই তারা তার
ক্ষতি করত ৷ অথবা যদি আদৌ কোন প্রভাবের অধিকারী হত তবে অবশ্যই তার উপর যে


ধরনের প্রভাব ফেলত ৷

(তারা বলল, তুমি কি আমাদের নিকট সতাসহ আগমন করেছ, না কি তুমি কৌতুক
করছ?) অর্থাৎ তারা বলেছে যে, হে ইব্রাহীম ! তুমি আমাদের নিকট যা কিছু ব্লছো, আমাদের
উপাস্যদেরকে তিরস্কার করছো এবং আমাদের পুর্ব-পুরুষদের সামালোচনা করছো এ সব কি
তুমি সত্যি সত্যিই বলছ, নাকি কৌতুক করছ?


র্চু১ণ্ণ্ ণ্ঘ্র,র্ন্ত ষ্া£ মোঃ এেশ্এে ;;খ্রী ,ব্লুদ্বুন্া৷,প শ্স্পো ; ণ্হ্নর্শ্বওএন্
(সে বলল, না তোমাদের প্রতিপালক তো তিনি, যিনি আসমান ও যমীনের প্ৰতিপালক,
যিনি এগুলো সৃজন করেছেন; এবং আমিই এর উপর অন্যতম সাক্ষী ৷ (অর্থাৎ আমি তোমাদের
নিকট যা কিছু বলছি, সবই সত্য ও যথার্থ বলছি ৷ ব্ন্তুত তোমাদের উপাস্য সেই একজনই,
যিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই ৷ তিনি ণ্তামাদের প্রতিপালক এবং আসমান-যমীনেরও
প্রতিপালকন্৷ পুর্ব-দৃষ্টাম্ভ ছাড়াই তিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন ৷ সুতরাং ইৰাদতের যোগ্য একমাত্র
তিনিই, তার কোন শরীক নেই; এবং আমি নিজেই এর উপর সাক্ষী ৷



ধ্র্দু৷ ৷ (ও,

আল্লাহর কলম, তোমরা চর্দুল গেলে আমি তোমাদের মুর্তিগুলো সম্বন্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা
অবলম্বন করব (সুরা আন্বিয়া৪ ৫৫ ৫ ৭) ৷ অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীম (আ) এ মর্মে প্রতিজ্ঞা ৷করেন
যে, লোকজন মেলায় চলে যাওয়ার পর তাদের উপাস্য মুর্তিগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ
করবেন ৷ কারো কারো মতে, ইব্রাহীম (আ) এ কথা মনে মনে বলেছিলেন ৷ ইবন মাসউদ (রা)
বলেছেন যে, তাদের মধ্যে কয়েকজন ইব্রাহীম (আ)-এর এ কথাটি শুনে ফেলেছিল ৷ ইব্রাহীম
(আ)-এর সম্প্রদায়ের লোকজন শহরের উপকণ্ঠে তাদের একটি নির্ধারিত বার্ষিক মেলায় মিলিত
হতো ৷ ইব্রাহীম (আ)-এব পিতা তাকে মেলায় যাওয়ার জন্যে আহ্বান জানালে তিনি
বলেছিলেন, আমি পীড়িত’ ৷ আল্লাহ বলেন :


(সে নক্ষত্রের দিকে একবার তড়াকাল, তারপর বলল, আমি পীড়িত) তিনি কথাটা একটু
ঘুরিয়ে বললেন ৷ যাতে তার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় আর তা হলো তাদের মুর্তিসমুহকে হেয়প্রতিপন্ন
করা ৷ মুর্তিপুজা খণ্ডনের ব্যাপারে আল্লাহর সত্য দীনের সাহায্য করা ৷ আর ধ্ব স ও চরম
লাঞ্চুন্যাই ছিল মুর্তিগুলোর যথার্থ পাওনা ৷ এরপর সম্প্রদায়ের লোকজন যখন মেলায় চলে যায়
এবং ইব্রাহীম (আ) শহরেই থেকে যান তখন মোঃ ! ষ্পু ! ব্লু৷ , অখাৎ তিনি চুপিসারে
দ্রুতপদে দেবতাদের দিকে অগ্রসর হলেন ৷ তিনি র্দুদখতে পান যে, মুর্তিগুলো একটি বিরাট
প্রকােষ্ঠের মধ্যে রয়েছে এবং তাদের সম্মুখে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য সৈবেদ্যরুপে রাখা আছে ৷ এ
দেশে তিনি উপহাস ছলে বললেন ং



لَهَا بِأَوْلَى مِنْ عِبَادَتِهَا لَكُمْ، وَهَذَا بَاطِلٌ فَالْآخَرُ بَاطِلٌ لِلتَّحَكُّمِ؛ إِذْ لَيْسَتِ الْعِبَادَةُ تَصْلُحُ وَلَا تَجِبُ إِلَّا لِلْخَالِقِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. {قَالُوا ابْنُوا لَهُ بُنْيَانًا فَأَلْقُوهُ فِي الْجَحِيمِ فَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَسْفَلِينَ} [الصافات: 97] . عَدَلُوا عَنِ الْجِدَالِ وَالْمُنَاظَرَةِ لَمَّا انْقَطَعُوا وَغُلِبُوا، وَلَمْ تَبْقَ لَهُمْ حَجَّةٌ وَلَا شُبْهَةٌ، إِلَى اسْتِعْمَالِ قُوَّتِهِمْ وَسُلْطَانِهِمْ، لِيَنْصُرُوا مَا هُمْ عَلَيْهِ مِنْ سَفَهِهِمْ وَطُغْيَانِهِمْ، فَكَادَهُمُ الرَّبُّ جَلَّ جَلَالُهُ، وَأَعْلَى كَلِمَتَهُ وَدِينَهُ وَبُرْهَانَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانْصُرُوا آلِهَتَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ قُلْنَا يَانَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ} [الأنبياء: 68] . وَذَلِكَ أَنَّهُمْ شَرَعُوا يَجْمَعُونَ حَطَبًا مِنْ جَمِيعِ مَا يُمْكِنُهُمْ مِنَ الْأَمَاكِنِ، فَمَكَثُوا مُدَّةً يَجْمَعُونَ لَهُ حَتَّى إِنَّ الْمَرْأَةَ مِنْهُمْ كَانَتْ إِذَا مَرِضَتْ تَنْذِرُ لَئِنْ عُوفِيَتْ لَتَحْمِلَنَّ حَطَبًا لِحَرِيقِ إِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ عَمَدُوا إِلَى جَوْبَةٍ عَظِيمَةٍ فَوَضَعُوا فِيهَا ذَلِكَ الْحَطَبَ، وَأَطْلَقُوا فِيهِ النَّارَ فَاضْطَرَمَتْ وَتَأَجَّجَتْ وَالْتَهَبَتْ، وَعَلَاهَا شَرَرٌ لَمْ يُرَ مِثْلُهُ قَطُّ، ثُمَّ وَضَعُوا إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي كِفَّةِ مَنْجَنِيقٍ صَنَعَهُ لَهُمْ رَجُلٌ مِنَ الْأَكْرَادِ يُقَالُ لَهُ هِيزَنُ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنْ صَنَعَ الْمَجَانِيقَ فَخَسَفَ اللَّهُ بِهِ الْأَرْضَ فَهُوَ يَتَجَلْجَلُ فِيهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، ثُمَّ أَخَذُوا يُقَيِّدُونَهُ وَيُكَتِّفُونَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ، لَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الْمُلْكُ لَا شَرِيكَ لَكَ. فَلَمَّا وُضِعَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي كِفَّةِ الْمَنْجَنِيقِ مُقَيَّدًا مَكْتُوفًا، ثُمَّ أَلْقَوْهُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৬


(তোমরা খাচ্ছ না কেন? কি হল তোমাদের, কথা বলছ না কেন ? তারপর সে তাদের উপর তার
ডান হাত দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত হানল ৷) কেননা, ডান হতেই অধিকতর শক্তিশালী ও দ্রুত
ক্রিয়াশীল হয়ে থাকে ৷ তাই তিনি নিজ হাতের কুঠারের প্রচণ্ড আঘাতে মুর্তিগুলো ভেঙ্গে চুরমার
করে দিলেন ৷ ;হু মোঃঠুষ্ (ইব্রাহীম মুর্তিগুলাের্কে টুকরো টুকরো করে দিন) অর্থাৎ
সব্গুলোকে তিনি ভেঙ্গে :চুরমার করে দিলেন ৷ (তাদের
মধ্যে বড়টা ব্যতীত, যাতে তারা তার দিকে ফিরে আসে ৷) কেউ কেউ বলেছেন, ইব্রাহীম
(আ) তার কুঠারখানা বড় মুর্তির হাতে ঝুলিয়ে রেখে দেন ৷ এতে এই ইঙ্গিত ছিল যে; তারা যেন
মনে করে যে, তার সাথে ছোট মুর্তিগুলো পুজিত হওয়ার কারণে ওটাই ছোটগুলোর উপর ঈর্ষা
বশত আক্রমণ করেছে ৷ তারপর মেলা থেকে ফিরে এসে লোকজন তাদের উপাস্যদের এ অবস্থা
যখন দেখল :
(তখন তারা বলল, আমাদের উপাস্যদের সাথে এরুপ আচরণ কে করল ৷ নিশ্চয়ই সে
একজন সীমালংঘনকারী ৷ ) ণ্ এ কথার মধ্যে তাদের জন্য সুস্পষ্ট প্রমাণ ছিল , যদি তারা বুঝতে
চেষ্টা করত ! কেননা, তারা যে সব দেব-দেবীর উপাসনা করে , তারা যদি সত্যি উপাস্য হত, তা
হলে যে তাদেরকে আক্রমণ করেছে তাকে তারা প্রতিহত করত ৷ কিভু নিজেদের মুর্থতা,
নির্বুদ্ধিতা ও চরম পথভ্রষ্টতার কারণে তারা বললং :
ঝুঝুহ্রপুির্চুপ্রু;
ণ্ শ্ ;)
ট্রুার্চুা৷ওছু
(আমাদের উপাস্যদের সাথে এ আচরণ করল কে ? নিশ্চয়ই সে এক জালিম ৷ তাদের
কতিপয় লোক বলল, আমরা এক যুবককে এদের বিষয়ে আলোচনা করতে শুনেছি, তাকে
ইব্রাহীম বলা হয় ৷) অর্থাৎ যে এদের দোষ-ক্রটি বর্ণনা করত, এদের নিয়ে সমালোচনা করত ৷
সুতরাং সেই এসে এদেরকে ভেঙ্গেছে ৷ ইবন মাসউদ (রা) বলেছেন ন্গুাষ্ট্র£; র্দ্র (সে এদের

আলোচনা করত) দ্বারা ইব্রাহীম (আ) ইতিপুর্বের কথা বলাই উদ্দেশ্য, অর্থাৎ-


(আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের মুর্তিগুলোর ব্যাপারে এক ব্যবস্থা নেব্ তোমরা ফিরে
যাওয়ার পরে) টুপুর্চুঘ্র (তারা বলল,
তাকে জনসমক্ষে উপস্থিত কর, যাতে তারা দেখতে পারে) অর্থাৎ উপস্থিত জনতার মাঝে
নেতৃবৃন্দের সম্মুখে তাকে হাযির কর; যাতে জনগণ তার বক্তব্য প্রদানকালে উপস্থিত থাকে এবং
তার কথাবার্তা শুনতে পারে ৷ এবং তাকে ব্দলাস্বরুপ যে শাস্তি দেওয়া হবে তা প্রত্যক্ষ করতে
পারে ৷ এটাই ছিল হযরত ইব্রাহীম খলীলের প্রধানতম উদ্দেশ্য যে, সকল মানুষ উপস্থিত হলে
তিনি সমস্ত মুর্তি পুজারীর সম্মুখে তাদের ধর্ম-কর্মের ভ্রাস্তিব্ প্রমাণ পেশ করবেন ৷ যেমনটি মুসা

আ ও ফিরআউনকে বলে লেনং :
( ) ছি



مِنْهُ إِلَى النَّارِ قَالَ: حَسْبُنَا اللَّهُ، وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. كَمَا رَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ. قَالَهَا إِبْرَاهِيمُ حِينَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ، وَقَالَهَا مُحَمَّدٌ حِينَ قِيلَ لَهُ: {إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ فَانْقَلَبُوا بِنِعْمَةٍ مِنَ اللَّهِ وَفَضْلٍ لَمْ يَمْسَسْهُمْ سُوءٌ} [آل عمران: 173] [آلِ عِمْرَانَ: 173 - 174] . الْآيَةَ. وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمَّا أُلْقِيَ إِبْرَاهِيمُ فِي النَّارِ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ فِي السَّمَاءِ وَاحِدٌ، وَأَنَا فِي الْأَرْضِ وَاحِدٌ أَعْبُدُكَ» . وَذَكَرَ بَعْضُ السَّلَفِ أَنَّ جِبْرِيلَ عَرَضَ لَهُ فِي الْهَوَاءِ فَقَالَ: أَلَكَ حَاجَةٌ؟ فَقَالَ: أَمَّا إِلَيْكَ فَلَا. وَيُرْوَى عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ أَنَّهُ قَالَ: جَعَلَ مَلَكُ الْمَطَرِ يَقُولُ: مَتَى أُومَرُ فَأُرْسِلَ الْمَطَرَ؟ فَكَانَ أَمْرُ اللَّهِ أَسْرَعَ {قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ} [الأنبياء: 69] . قَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ أَيْ لَا تَضُرِّيهِ، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَبُو الْعَالِيَةِ: لَوْلَا أَنَّ اللَّهَ قَالَ: {وَسَلَامًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ} [الأنبياء: 69] لَأَذَى إِبْرَاهِيمَ بَرْدُهَا. وَقَالَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ: لَمْ يَنْتَفِعْ أَهْلُ الْأَرْضِ يَوْمَئِذٍ بِنَارٍ، وَلَمْ يُحْرَقْ مِنْهُ سِوَى وَثَاقِهِ. وَقَالَ الضَّحَّاكُ: يُرْوَى أَنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ مَعَهُ يَمْسَحُ الْعَرَقَ عَنْ وَجْهِهِ لَمْ يُصِبْهُ مِنْهَا شَيْءٌ غَيْرُهُ. وَقَالَ السُّدِّيُّ: كَانَ مَعَهُ أَيْضًا مَلَكُ الظِّلِّ. وَصَارَ إِبْرَاهِيمُ
পৃষ্ঠা - ৩৩৭
عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي مِثْلِ الْجُونَةِ حَوْلَهُ النَّارُ، وَهُوَ فِي رَوْضَةٍ خَضْرَاءَ، وَالنَّاسُ يَنْظُرُونَ إِلَيْهِ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى الْوُصُولِ إِلَيْهِ، وَلَا هُوَ يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ فَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ: أَحْسَنُ كَلِمَةٍ قَالَهَا أَبُو إِبْرَاهِيمَ إِذْ قَالَ لَمَّا رَأَى وَلَدَهُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ: نِعْمَ الرَّبُّ رَبُّكَ يَا إِبْرَاهِيمُ. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ، عَنْ عِكْرِمَةَ: أَنَّ أُمَّ إِبْرَاهِيمَ نَظَرَتْ إِلَى ابْنِهَا عَلَيْهِ السَّلَامُ فَنَادَتْهُ: يَا بُنَيَّ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَجِيءَ إِلَيْكَ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُنَجِّيَنِي مِنْ حَرِّ النَّارِ حَوْلَكَ. فَقَالَ: نَعَمْ. فَأَقْبَلَتْ إِلَيْهِ لَا يَمَسُّهَا شَيْءٌ مِنْ حَرِّ النَّارِ، فَلَمَّا وَصَلَتْ إِلَيْهِ اعْتَنَقَتْهُ، وَقَبَّلَتْهُ، ثُمَّ عَادَتْ. وَعَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّهُ قَالَ: أُخْبِرْتُ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ مَكَثَ هُنَاكَ إِمَّا أَرْبَعِينَ، وَإِمَّا خَمْسِينَ يَوْمًا، وَأَنَّهُ قَالَ: مَا كُنْتُ أَيَّامًا وَلَيَالِيَ أَطْيَبَ عَيْشًا إِذْ كُنْتُ فِيهَا، وَوَدِدْتُ أَنَّ عَيْشِي وَحَيَاتِي كُلَّهَا مِثْلُ إِذْ كُنْتُ فِيهَا. صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ. فَأَرَادُوا أَنْ يَنْتَصِرُوا فَخُذِلُوا، وَأَرَادُوا أَنْ يَرْتَفِعُوا فَاتَّضَعُوا، وَأَرَادُوا أَنْ يَغْلِبُوا فَغُلِبُوا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ} [الأنبياء: 70] . وَفِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: الْأَسْفَلِينَ فَفَازُوا بِالْخَسَارَةِ وَالسَّفَالِ هَذَا فِي الدُّنْيَا، وَأَمَّا فِي الْآخِرَةِ فَإِنَّ نَارَهُمْ لَا تَكُونُ عَلَيْهِمْ بَرْدًا وَلَا سَلَامًا، وَلَا يُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَلَا سَلَامًا، بَلْ هِيَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّهَا سَاءَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا} [الفرقان: 66] . قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى أَوِ ابْنُ سَلَّامٍ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৩৮


(ণ্তামাদের নির্ধারিত সময় উৎসবের দিন এবং যেই দিন পুৰ্বাহে লোকজনকে সমবেত করা
হবে ৷ (সুরা আহা; ৫৯) ৷ তারপর যখন লোকজন জমায়েত হলো এবং ইব্রাহীম (আ)-কে

সেখানে হাযির করা হল, তখন তারা বলল :

(হে ইব্রাহীম! আমাদের দেব-দেবীর সাথে এই কাণ্ড কি তুমিই ঘঢিয়েছ? সে বলল, এদের
এই বড়টাই বরং এ কাজটি করেছে ৷) কেউ কেউ এ আয়ড়াতের অর্থ করেছেন এভাবে এটি
আমাকে এগুলো ভাঙ্গার ব্যাপারে উব্দুদ্ধ করেছে; অবশ্য কথাটাকে তিনি একটু ঘুরিয়ে বলেছেন ৷

(ওদের কাছেই জিজ্ঞেস কর যদি ওরা কথা বলতে
পারে) ইব্রাহীম (আ) এ কথার দ্বারা এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, ওরা যেন দ্রুত এই কথা
বলে যে, এরা তো কথা বলতে পারে না ৷ ফলত তারা স্বীকা ৷র করে নিয়ে যে, অন্যান্য জড়ব্ন্তুর
ন্যায় এগুলােও নিছক জড়বন্তু ৷ র্চু,ক্ট্র’া৷হি৷ ৷
(অতঃপর তারা মনে মনে চিন্তা করল এবং বলল, তােমরাই র্তো জালিম) অর্থাৎ তারা
নিজেদেরকে তিরক৷ ৷র ও ধিক্কার দিয়ে বলল, জা ড়ালিম তো তোমরা নিজেরাই; এদেরকে তোমরা

এমনিই ণ্হুৰুড় চলে গেলে, ণ্কান পাহারাদার ও হিফাজতকারী রেখে গেলে না
)

^ ? র্টচােন্

(তারপর তারা মাথা নত করে ঝুকে গেল) সুদ্দী (র) এর অর্থ করেছেন, তারা ফিত্না
, , )

ফ্যাসাদের দিকে ফিরে পেল ৷ এ অর্থ অনুযায়ী উপরের তােমরাই জালিম ণ্:;৷ ণ্হ্র; ৷ )
( র্চু, ^ ’ ৷দ্বু৷ ৷ এর অর্থ তোমরা এদের ইবাদত করার কারণে জালিম পদবড়াচ্য ৷ কাতাদ৷ (র)
বলেছেন, ইব্রাহীম (আ)-এর কথায় তারা অত্যধিক দৃশ্চিভাগ্রস্ত হয় ৷ ফলে তাদের মাথা নত
হয়ে যায় ৷ তারপর তারা বলল ট্রু,ক্ট্রপুৰুাৰু ণ্র্বৃাহ্র১ ৷শু এ পুএছু $’§§ (তুমি তো জানই যে,
এগুলো কথা বলে না) অর্থাৎ হে ইব্রাহীম! তোমার তো জানা আছে যে, এরা কথা বলে না ৷

সুতরাং এদের নিকট জিজ্ঞেস করার জন্যে তুমি কেন ব্লছ ? এ সময় ইব্রাহীম খলীল তাদের

উদ্দেশ করে বলেন ’; ৷
^ণ্র্শ্বন্সণ্দ্দৌ

ষ্ ন্না

(তোমরা কি আল্লাহ ব্যতীত এমন সব বস্তুর পুজা কর, যা না তোমাদের কোন উপকার
করতে পারে; না কোন ক্ষতি করতে পারে ? ধিক তোমাদের জন্যে এবং তোমাদের উপাস্যদের
জব্লুন৷ যাদেরকে তোমরা পুজা কর আল্লাহ ব্যতীত ৷ তোমরা কি মোটেই জ্ঞান খাটাও না?)
ব্লু,প্রু১, ণ্া ৷ ৷ ৷ ,া ৰুদ্বএে (তারপর তারা ইবরড়াহীমের দিকে জোড় আসলো ৷) মুজাহিদ
বলেছেন, ৰু,ট্রুকুাপুপুগ্ ৷
(তোমরা কি সেই সব দেবতাদের পুজা কর যেগুলো তোমরা নিজেরাই খেদািই করে তৈরি কর?)
অর্থাৎ তোমরা কিভাবে এমন সব মুর্তির পুজা কর, যেগুলো তোমরা স্বহস্তে কাঠ অথবা পাথর
খোদাই করে নির্মাণ করে থাকে৷ এবং নিজেদের ইচ্ছামত আকৃতি দান কর ৷ ন্র্বুঘ্রর্দুছু ৰুড়া৷ ৷ ও

- ;,,াধ্; ৷ৰু, (অথচ আল্লাহৃই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন
যাদেরকে তোমরা তৈরি করে থাক) ৷ৰুঅক্ষরটি ণ্া,া ও হতে পারে; আবার ণ্া, শো


أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِقَتْلِ الْوَزَغِ. وَقَالَ «كَانَ يَنْفُخُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، وَأَخْرَجَاهُ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ شَيْبَةَ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ أَنَّ نَافِعًا مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اقْتُلُوا الْوَزَغَ فَإِنَّهُ كَانَ يَنْفُخُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ النَّارَ» . قَالَ: فَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقْتُلُهُنَّ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ أَنَّ امْرَأَةً دَخَلَتْ عَلَى عَائِشَةَ، فَإِذَا رُمْحٌ مَنْصُوبٌ فَقَالَتْ: مَا هَذَا الرُّمْحُ؟ فَقَالَتْ: نَقْتُلُ بِهِ الْأَوْزَاغَ، ثُمَّ حَدَّثَتْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمَّا أُلْقِيَ فِي النَّارِ جَعَلَتِ الدَّوَابُّ كُلُّهَا تُطْفِئُ عَنْهُ إِلَّا الْوَزَغَ فَإِنَّهُ جَعَلَ يَنْفُخُهَا عَلَيْهِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَيْنِ الْوَجْهَيْنِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ حَدَّثَتْنِي سَائِبَةُ مَوْلَاةُ الْفَاكِهِ بْنِ الْمُغِيرَةِ قَالَتْ دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৩৯


-ও হতে পারে ৷ যেটাই হোক, এখানে যেকথা বলা উদ্দেশ্য তা হল এই যে, তােমরাও সৃষ্টি
আর এই মুর্তিশুলোও সৃষ্টি ৷ এখন একটি সৃষ্টি অপর একটি সৃষ্টির ইবাদত কিভাবে করতে পারে ৷
কেননা, তোমরা তাদের উপাস্য না হয়ে তারা তোমাদের উপাস্য হবে এই অ্যাধিকারের কোন
ভিত্তি নেই ৷ এটাও যেমন ভিত্তিহীন, তেমনি এর বিপরীতটা অর্থাৎ তোমার উপাস্য হওয়াও
ভিত্তিহীন ৷ কারণ, ইবাদত, উপাসনা পাওয়ার অধিকারী কেবল সৃষ্টিকর্তাই; এ ব্যাপারে কেউ
তার শরীক নেই ৷

ন্এ৷ মোঃ ৷শুার্টুর্বু ন্ভুাদ্বুর্বৃার্চুর্দুর্চুন্ ণ্ন্গ্লুর্দু ৷ মুে §§’fl£€ র্দুট্রিাপুৰুর্টু €)’ ;’;; ৷ ,fi’:’
(#€£? অিরা বলল, এর জনে এক ইমারত তৈরি কর ৷ তারপর একে জ্বলম্ভ আগুনে
নিক্ষেপ কর ৷ তারা ইবরাহীমের বিরুদ্ধে চক্রাস্তের সংকল্প করেছিল, কিত্তু আমি তাদেরকে
অতিশয় হেয় করে দিলাম ৷) ইব্রাহীম (আ)-এর সাথে তারা যখন যুক্তি ও বিতর্কে এটে উঠতে
পারলো না, তাদের পক্ষে পেশ করার মত কােনই দলীলপ্ৰমাণ থাকল না, তখন তারা বিতর্কের
পথ এড়িয়ে শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগের পথ অবলম্বন করে যাতে করে নিজেদের নির্বুদ্ধিতা ও
হ্ঠকারিতা টিকিয়ে রাখতে পারে ৷ সুতরাং আল্লাহ সুবহানুহ্ তাআলাও তাদের চক্রান্তকে ব্যর্থ
করে দেয়ার কৌশল গ্রহণ করেন ৷ আল্লাহ বলেন :






তারা বলল, ইবরাহীমকে পুড়িয়ে দাও এবং তোমাদের দেবতাদেরকে সাহায্য কর যদি

তোমরা কিছু করতে চাও ৷ আমি ব্ললাম , হে আগুন তুমি ইব্রাহীমের জন্যে শীতল ও নিরাপদ

হয়ে যাও ৷ তারা ইব্রাহীমের ক্ষতি সাধন করতে ঢেয়েছিল; কিন্তু আমি তাদেরকে করে দিলাম
সর্বাধিক ক্ষতিঃপ্লস্ত ৷ (সুরা আম্বিয়া : ৬৮ ৭০)

তারা বিভিন্ন স্থান থেকে সম্ভাব্য চেষ্টায় মাধ্যমে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে থাকে ৷ দীর্ঘদিন
পর্যন্ত তারা এ সংগ্রহের কাজে রত থাকে ৷ তাদের মধ্যে কোন মহিলা পীড়িত হলে মানত করত
যে, যদি সে আরােগ্য লাভ করে তবে ইব্রাহীম (আ) কে পােড়াবার লাকড়ি সংগ্রহ করে দেবে ৷
এরপর তারা বিরাট এক গর্ত তৈরি করে তার মধ্যে লাকড়ি নিক্ষেপ করে অগ্নি সংযোগ করে ৷
ফলে তীব্র দাহনে প্ৰজ্বলিত অগ্নিশিখড়া এত উর্ধে উঠতে থাকে, যার কোন তুলনা হয় না ৷ তারপর
ইব্রাহীম (আ)-কে মিনজানীক নামক নিক্ষেপণযরুন্ত্র বসিয়ে দেয় ৷ এই যন্ত্রটি কুর্দী সম্প্রদায়ের
হযােন নামক এক ব্যক্তি তৈরি করে ৷ মিনজানীক যন্ত্র সে-ই সর্ব প্রথম আবিষ্কার করে ৷ আল্লাহ
তাকে মাটির মধ্যে ধসিয়ে দেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত যে মাটির মধ্যে তলিয়ে যেতে থাকবে ৷
তারপর তারা ইব্রাহীম (আ)-কে আষ্টেপৃষ্ঠে রেধে টেনে হেচড়ে নিয়ে যেতে থাকে) তখন তিনি
বলতে থাকেন : éfl এট্রুপ্রুপুছু § ঞ্জো fl; §

(আপনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, আপনি মহা পবিত্র, বাদশাহীর মালিক কেবল
আপনিই, আপনার কোন শরীক সেই ৷) ইব্রাহীম (আ)-কে মিনজানীকের পাল্লাদ্বুট্রুাত-প৷ র্বৃাৰুা

অবস্থায় রেখে আগুনে নিক্ষেপ করা হয় ৷ তখন তিনি বলেন
(আমার জন্যে আল্লাহ-ই যথেষ্ট, তিনি উত্তম অভিভাবক) ৷ যেমন বুখারী শর্বীফে ইবন আব্বাস



فَرَأَيْتُ فِي بَيْتِهَا رُمْحًا مَوْضُوعًا فَقُلْتُ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ مَا تَصْنَعِينَ بِهَذَا الرُّمْحِ؟ قَالَتْ: هَذَا لِهَذِهِ الْأَوْزَاغِ نَقْتُلُهُنَّ بِهِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَدَّثَنَا «أَنَّ إِبْرَاهِيمَ حِينَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ لَمْ تَكُنْ فِي الْأَرْضِ دَابَّةٌ إِلَّا تُطْفِئُ عَنْهُ النَّارَ غَيْرَ الْوَزَغِ كَانَ يَنْفُخُ عَلَيْهِ» . فَأَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَتْلِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ يُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৪০


(রা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যেং ংইবরাহীম (আ) কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন তিনি


?
বলেছিলেন :

যখন তাকে বলা হয়েছিলং

প্রে এন্াএে
;
— ন্এষ্৮া
তোমাদের বিরুদ্ধে লোক জমায়েত হয়েছে ৷ সুতরাং তাদেরকে ভয় কর; কিন্তু এটা তাদের
ঈমানকে আরও দৃঢ় করে দিয়েছিল ৷ আর তারা বলেছিল, আল্লাহই আমাদের জন্যে যথেষ্ট এবং
তিনি বড়ই উত্তম কর্ম-বিধায়ক ৷ তারপর তারা আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহসহ ফিরে এসেছিল ৷
কােনরুপ ক্ষতি তাদেরকে স্পর্শ করতে পারেনি ৷ (সুরা আল-ইমরান : ১ ৭৩-১ ৭৪ )

আবু ইয়াল৷ (র ) আবু হুরায়রা (বা ) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
ইবরাহীয (আ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয় তখন তিনি এই দৃআটি পড়েন : হে আল্লাহ !
আপনি আকাশ রাজ্যে একা আর এই যমীনে আমি একইি আপনার ইবাদত করছি ৷

পুর্ববর্তী যুগের কোন কোন আলিম বলেন, জিবরাঈল (আ) শুন্যে থেকে হযরত ইবরাহীয
(আ)-কে বলেছিলেন : আপনার কোন সাহায্যের প্রয়োজন আছে কি? উত্তরে ইবরাহীয (আ)
বলেছিলেন, সাহায্যের প্রয়োজন আছে, তবে আপনার কাছে নয় ৷ ’ ইবন আব্বাস ও সাঈদ
ইবন জুবড়ায়র (রা) থেকে বর্ণিতং : ঐ সময় বৃষ্টির ফেরেশত৷ (মীকাঈল) বলেছিলেন, আমাকে
যখনই নির্দেশ দেওয়া হবে তখনই বৃষ্টি প্রেরণ করব ৷ কিন্তু আল্লাহর নির্দেশ বাণী অধিক দ্রুত
গতিতে পৌছে যায়

অর্থাৎ-আমি হুকুম করলাম, হে আগুন! তুমি ইবরাহীমের উপর শীতল ও শাণ্ডিদায়ক হয়ে
যাও) ৷ হযরত আ ৷লী ইবন আবী তালিব (রা) র্চু১া এর অর্থ করেছেন, তাকে কষ্ট দিও না ৷
ইবন আব্বাস (রা) ও আবুল আলিয়া (র) বলেছেন, আল্লাহ য না
বলতেন তাহলে ঠাও৷ ৷ও শীতলতায় ইবরাহীয (আ) এর কষ্ট হত ৷ কা বে আহবার বলেছেন,
পৃথিবীর কোন লোকই ঐদিন আগুন থেকে কােনরুপ উপকৃত হতে পারেনি এবং ইবরাহীয
(আ)-এর বন্ধনের রশি ছাড়া আর কিছুই জ্বলেনি ৷ যাহ্হাক (র) বলেছেন, ঐ সময় হযরত
জিবরাঈল (আ) ইবরাহীয (আ)-এর সঙ্গে ছিলেন এবং তার শরীর থেকে যায় মুছে দিচ্ছিলেন
এবং ঘাম নিগতি হওয়া ছাড়া আগুনের আর কোন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়নি ৷ সুদ্দী (র)
বলেছেন : ইবরাহীয (আ)-এর সাথে ছায়া দানের ফেরেশতাও ছিলেন ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ)
যখন প্রাচীর রেষ্টনীর মধ্যকার উক্ত গহবরে অবস্থান করছিলেন, তখন তার চতৃষ্পার্শে আগুনের
লেলিহান শিখ৷ দাউ দাউ করছিল অথচ তিনি ছিলেন শ্যাযল উদ্যানে শান্তি ও নিরাপদে ৷
লোকজন এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করছিল; কিন্তু না৩ ৷রা ইবরাহীয (আ) এর নিকট যেতে পারছিল,
, আর না ইবরাহীয (আ) বেরিয়ে তাদের কাছে আসতে পারছিলেন ৷ আবুহুরায়রা (রা) বলেন :
ইবরাহীয (আ) এর পিতা ৷আপন পুত্রের এ অবস্থা ৷দেখে একটি অতি উত্তম কথা বলেছিল,৩
ণ্;;১ হে ইবরাহীয! তোমার প্রতিপালক কতই না উত্তম
প্রতিপালক ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ ( ১ম খণ্ডম্পো)গ্যে৪৩-


[ذِكْرُ مُنَاظَرَةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مَعَ مَنِ ادَّعَى الرُّبُوبِيَّةَ] ذِكْرُ مُنَاظَرَةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مَعَ مَنْ أَرَادَ أَنْ يُنَازِعَ الْعَظِيمَ الْجَلِيلَ فِي إِزَارِ الْعَظَمَةِ وَرِدَاءِ الْكِبْرِيَاءِ فَادَّعَى الرُّبُوبِيَّةَ وَهُوَ أَحَدُ الْعَبِيدِ الضُّعَفَاءِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِي حَاجَّ إِبْرَاهِيمَ فِي رَبِّهِ أَنْ آتَاهُ اللَّهُ الْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ قَالَ إِبْرَاهِيمُ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} [البقرة: 258] . [الْبَقَرَةِ: 258] . يَذْكُرُ تَعَالَى مُنَاظَرَةَ خَلِيلِهِ مَعَ هَذَا الْمَلِكِ الْجَبَّارِ الْمُتَمَرِّدِ الَّذِي ادَّعَى لِنَفْسِهِ الرُّبُوبِيَّةِ فَأَبْطَلَ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ دَلِيلَهُ، وَبَيَّنَ كَثْرَةَ جَهْلِهِ وَقِلَّةَ عَقْلِهِ، وَأَلْجَمَهُ الْحُجَّةَ وَأَوْضَحَ لَهُ طَرِيقَ الْمَحَجَّةِ. قَالَ الْمُفَسِّرُونَ وَغَيْرُهُمْ مِنْ عُلَمَاءِ النَّسَبِ وَالْأَخْبَارِ: وَهَذَا الْمَلِكُ هُوَ مَلِكُ بَابِلَ، وَاسْمُهُ النُّمْرُودُ بْنُ كَنْعَانَ بْنِ كُوشِ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ قَالَهُ مُجَاهِدٌ. وَقَالَ غَيْرُهُ: نُمْرُودُ بْنُ فَالِحِ بْنِ عَابَرَ بْنِ صَالِحِ بْنِ أَرْفَخْشَدَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ. قَالَ مُجَاهِدٌ وَغَيْرُهُ: وَكَانَ أَحَدَ مُلُوكِ الدُّنْيَا.
পৃষ্ঠা - ৩৪১


ইবন আসাকীর (র) ইকরিমা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন : ইবরাহীম (আ) এর মা পুত্রকে এ
অবস্থায় দেখে ডেকে বলেছিলেন, হে আমার প্রিয় পুত্র ! আমি তোমার নিকট আসতে চাই ৷ তাই
আল্লাহর কাছে একটু বল, যাতে তোমার চারপাশের আগুন থেকে আমাকে রক্ষা করেন ৷
ইবরাহীম (আ) বললেন, হীা, বলছি ৷ তারপর মা পুত্রের নিকট চলে গেলেন ৷ আগুন তাকে
স্পর্শ কর ল না ৷ কাছে গিয়ে মাতা আপন পুত্রকে আলিঙ্গন ও চুম্বন করলেন এবং পুনরায়
অক্ষতভাবে সেখান থেকে বের হয়ে আসেন ৷ মিনহাল ইবন আমর (রা) বর্ণনা করেছেন :
হযরত ইবরাহীম (আ) আগুনের মধ্যে চল্লিশ কিৎবা পঞ্চাশ দিন অবস্থান করেন ৷ এই সময়
সম্পর্কে হযরত ইবরাহীম (আ) বলেন : আগুনের মধ্যে আমি যতদিন ছিলাম ততদিন এমন
শান্তি ও আরামে কাটিয়েছি যে, তার চেয়ে অধিক আরামের জীবন আমি কখনও উপভোগ
করিনি ৷ তিনি আরও বলেন : আমার গোটা জীবন যদি ঐরুপ অবস্থায় কাটত , তবে কতই না
উত্তম হতো এভাবে হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সম্প্রদায় শত্রুতাবশত প্রতিশোধ নিতে
চেয়েছিল; কিন্তু তারা ব্যর্থকাম হল ৷ তারা গৌরব অর্জন করতে চেয়েছিল, কিন্তু লাঞ্ছিত হল ৷
তারা বিজয়ী হতে চেয়েছিল, কিন্তু পরাজিত হল ৷ আল্লাহর বাণী :


(তারা চক্রান্ত করে ক্ষতি করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত করে
দেই ৷) অপর আয়াতে আছে শ্রোর্মু৷ ন্দ্বু মোঃ (আমি তাদেরকে হীনতম করে দেই)
এরুপে দুনিয়ার জীবনে তারা ক্ষ্হুতি ও লাঞ্চুনাপ্রাপ্ত হয় আর আখিরাতের জীবনে তাড়ের উপর
আগুন না শীতল হবে, না শাস্তিদায়ক হবে বরং সেখানকার অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন :
াৰুশু:র্চব্লুপুষ্ট্ৰ ”$£’;£fi $§£ (;fi; (জাহান্নড়াম হল তাদের জন্যে নিকৃষ্ট আবাস ও ঠিকানা

(সুরা ফুরকান : ৬৬)

ইমাম বুখারী (র) উমৃমু শারীক (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) গিরগিটি
মারার আদেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, ইবরাহীম (আ)-এর বিরুদ্ধে এটি আগুনে কুক
দিয়েছিল ৷ ইমাম মুসলিম (র) ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে এবং বুখারী, মুসলিম , নাসাঈ ও ইবন
মাজাহ্ (র) সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (রা) সুত্রে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র)
আয়েশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমরা গিরগিটি হত্যা কর;
কারণ সে ইবরাহীম (আ)-এর বিরুদ্ধে আগুনে কুক দিয়েছিল তাই হযরত আয়েশা (রা)
গিরগিটি হত্যা করতেন ৷ ইমাম আহমদ (র) নড়াফি (র)-এর সুত্রে বর্ণনা করেন, জনৈক মহিলা
হযরত আয়েশা (রা)-এর গৃহে প্রবেশ্ করে একটি বার্তা দেখে জিজ্ঞেস করল : এ বর্শা দ্বারা
আপনি কি করেন? উত্তরে আয়েশা (রা) বললেন, এর দ্বারা আমি গিরগিটি নিধন করি ৷ তারপর
তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : ইবরাহীম (আ) কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়
তখন সমস্ত জীব-ড্ড ও কীট-পতঙ্গ আগুন নিভাতে চেষ্টা করেছিল, কেবল এ গিরগিটি তা
করেনি; বরং সে উল্টে৷ আগুনে কুক দিয়েছিল ৷ উপরোক্ত হাদীস দু’টি ইমাম আহমদ (র) ভিন্ন
আর কেউ বর্ণনা করেননি ৷


فَإِنَّهُ قَدْ مَلَكَ الدُّنْيَا فِيمَا ذَكَرُوا أَرْبَعَةٌ مُؤْمِنَانِ وَكَافِرَانِ، فَالْمُؤْمِنَانِ؛ ذُو الْقَرْنَيْنِ وَسُلَيْمَانُ. وَالْكَافِرَانِ؛ النُّمْرُودُ وبُخْتُنَصَّرَ، وَذَكَرُوا أَنَّ نُمْرُودًا هَذَا اسْتَمَرَّ فِي مُلْكِهِ أَرْبَعَمِائَةِ سَنَةٍ، وَكَانَ قَدْ طَغَا وَبَغَا وَتَجَبَّرَ وَعَتَا، وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا، وَلَمَّا دَعَاهُ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ حَمَلَهُ الْجَهْلُ وَالضَّلَالُ وَطُولُ الْإِمْهَالِ عَلَى إِنْكَارِ الصَّانِعِ، فَحَاجَّ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ فِي ذَلِكَ وَادَّعَى لِنَفْسِهِ الرُّبُوبِيَّةَ، فَلَمَّا قَالَ لَهُ الْخَلِيلُ: {رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ} [البقرة: 258] . قَالَ قَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: يَعْنِي أَنَّهُ إِذَا أُتِيَ بِالرَّجُلَيْنِ قَدْ تَحَتَّمَ قَتْلُهُمَا فَإِذَا أَمَرَ بِقَتْلِ أَحَدِهِمَا، وَعَفَا عَنِ الْآخَرِ، فَكَأَنَّهُ قَدْ أَحْيَا هَذَا وَأَمَاتَ الْآخَرَ، وَهَذَا لَيْسَ بِمُعَارَضَةٍ لِلْخَلِيلِ، بَلْ هُوَ كَلَامٌ خَارِجِيٌّ عَنْ مَقَامِ الْمُنَاظَرَةِ لَيْسَ بِمَنْعٍ وَلَا بِمُعَارَضَةٍ، بَلْ هُوَ تَشْغِيبٌ مَحْضٌ، وَهُوَ انْقِطَاعٌ فِي الْحَقِيقَةِ، فَإِنَّ الْخَلِيلَ اسْتَدَلَّ عَلَى وُجُودِ الصَّانِعِ بِحُدُوثِ هَذِهِ الْمُشَاهَدَاتِ؛ مِنْ إِحْيَاءِ الْحَيَوَانَاتِ، وَمَوْتِهَا عَلَى وُجُودِ فَاعِلِ ذَلِكَ الَّذِي لَا بُدَّ مِنِ اسْتِنَادِهَا إِلَى وُجُودِهِ ضَرُورَةً، وَعَدَمِ قِيَامِهَا بِنَفْسِهَا، وَلَا بُدَّ مِنْ فَاعِلٍ لِهَذِهِ الْحَوَادِثِ الْمُشَاهَدَةِ؛ مِنْ خَلْقِهَا، وَتَسْخِيرِهَا، وَتَسْيِيرِ هَذِهِ الْكَوَاكِبِ، وَالرِّيَاحِ، وَالسَّحَابِ، وَالْمَطَرِ، وَخَلْقِ هَذِهِ الْحَيَوَانَاتِ الَّتِي تُوجَدُ مُشَاهَدَةً، ثُمَّ إِمَاتَتِهَا. وَلِهَذَا {قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّيَ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ} [البقرة: 258] . فَقَوْلُ
পৃষ্ঠা - ৩৪২


ইমাম আহমদফাকিহ্ ইবনুল মুপীরার মুক্ত দাসী সুমামা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন, আমি একদা আয়েশা (রা)-এর গৃহে যাই ৷ তখন সেখানে একটা বর্শা রাখা আছে
দেখতে পাই ৷ জিজ্ঞেস করলাম, হে উম্মুল মুমিনীন! এ বর্শা দিয়ে আপনি কী করেন ? তিনি
বললেন, এ দিয়ে আমি এসব গিরগিটি বধ করি ৷ কারণ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে বলেছেন :
ইবরাহীম (আ)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়, তখন যমীনের উপর এমন কোন জীব ছিল
না যারা আগুন নেভাতে চেষ্টা করেনি, কেবল এই গিরগিটি ব্যতীত ৷ সে ইবরাহীম (আ)এর
উপরে আগুনে কুক দেয় ৷ তাই রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে এগুলো হত্যা করতে আদেশ
করেছেন ৷ ইবন মাজাহ্ (ব) জারীর ইবন হাযিম (র) সুত্রে এ হড়াদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সাথে খােদায়ী দাবিদার
এক দুর্বল ৰান্দার বিতর্ক প্রসঙ্গ
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী :

তুমি কি ঐ ব্যক্তিকে দেখনি, যে ইবরাহীমের সাথে তার প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্কে লিপ্ত
হয়েছিল, যেহেতু আল্লাহ তাকে কর্তৃতু দিয়েছিলেন ৷ যখন ইবরাহীম বলল, তিনি আমার
প্রতিপালক যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান ৷ সে বলল, আমিও তাে জীবন দান কবি ও
মৃত্যু ঘটাই ৷ ইবরাহীম বলল, আল্লাহ সুর্যকে পুর্ব দিক হতে উদয় করান, তুমি তাকে পশ্চিম
দিক হতে উদয় করাও তো! অতঃপর যে কুফরী করেছিল, যে হতবুদ্ধি হয়ে গেল ৷ আল্লাহ
জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না ৷ (সুরা বাকারা : ২৫৮)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহীম (আ)-এর সাথে সেই সীমালংঘনকারী
প্রতাপশালী রাজার বিতর্বেল্ম কথা উল্লেখ করছেন, যে নিজে প্রতিপালক হওয়ার দাবি করেছিল ৷
হযরত ইবরাহীম খলীল (আ) তার উপস্থাপিত যুক্তির অসারতা প্রমাণ করেন, তার মুর্থতা ও
স্বল্পবুদ্ধিতা প্রকাশ করে দেন এবং নিজের দলীল দ্বারা তাকে নিরু ত্তর করেন ৷

তাফসীরবিদ, ঐতিহাসিক ও বংশবিদদের মতে, এ রাজাটি ছিল ব্যাবিলনের রাজা ৷ মুজাহিদ
(র) তার নাম নমরুদ ইবন কিনআন ইবন কুশ ইবন সামং ইবন নুহ বলে উল্লেখ করেছেন ৷
অন্যরা তার বংশলতিকা বলেছেন এভাবে নমরুদ ইবন ফালিহ্ ইবন আবির ইবন সালিহ
ইবন আরফাখশাদ ইবন সাম ইবন নুহ ৷ মুজাহিদ (র) প্রমুখ বলেছেন, যেসব রাজস্ব-বাদশাহ
দুনিয়া জোড়া রাজত্ব করেছে, এ ছিল তাদের অন্যতম ৷ ঐতিহাসিকদের মতে, এরুপ বাদশাহর
ৎখ্যা ছিল চার ৷ দুজন মু’মিন ও দু’জন কাফির ৷ মু’মিন দু’জন হলেন (১) যুলকারনায়ন ও (২)
সুলায়মান (আ) আর কাফির দু’জন হল (১) নমরুদ ও (২) বুখৃত নসর ৷ ঐতিহাসিকদের মতে,


هَذَا الْمَلِكِ الْجَاهِلِ: {أَنَا أُحْيِي وَأُمِيتُ} [البقرة: 258] . إِنْ عَنَى أَنَّهُ الْفَاعِلُ لِهَذِهِ الْمُشَاهَدَاتِ فَقَدْ كَابَرَ وَعَانَدَ، وَإِنْ عَنَى مَا ذَكَرَهُ قَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا يَتَعَلَّقُ بِكَلَامِ الْخَلِيلِ؛ إِذْ لَمْ يَمْنَعْ مُقَدِّمَةً وَلَا عَارَضَ الدَّلِيلَ، وَلَمَّا كَانَ انْقِطَاعُ مُنَاظَرَةِ هَذَا الْمَلِكِ قَدْ تَخْفَى عَلَى كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ مِمَّنْ حَضَرَهُ وَغَيْرِهِمْ، ذَكَرَ دَلِيلًا آخَرَ بَيَّنَ وُجُودَ الصَّانِعِ وَبُطْلَانَ مَا ادَّعَاهُ النُّمْرُودُ، وَانْقِطَاعَهُ جَهْرَةً {قَالَ فَإِنَّ اللَّهَ يَأْتِي بِالشَّمْسِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ الْمَغْرِبِ} [البقرة: 258] . أَيْ هَذِهِ الشَّمْسُ مُسَخَّرَةٌ كُلَّ يَوْمٍ تَطْلُعُ مِنَ الْمَشْرِقِ كَمَا سَخَّرَهَا خَالِقُهَا وَمُسَيِّرُهَا وَقَاهِرُهَا، وَهُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ، فَإِنْ كُنْتَ كَمَا زَعَمْتَ مِنْ أَنَّكَ الَّذِي تُحْيِي وَتُمِيتُ، فَأْتِ بِهَذِهِ الشَّمْسِ مِنَ الْمَغْرِبِ، فَإِنَّ الَّذِي يُحْيِي وَيُمِيتُ هُوَ الَّذِي يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ، وَلَا يُمَانَعُ وَلَا يُغَالَبُ، بَلْ قَدْ قَهَرَ كُلَّ شَيْءٍ، وَدَانَ لَهُ كُلُّ شَيْءٍ، فَإِنْ كُنْتَ كَمَا تَزْعُمُ فَافْعَلْ هَذَا، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْهُ فَلَسْتَ كَمَا زَعَمْتَ، وَأَنْتَ تَعْلَمُ وَكُلُّ أَحَدٍ أَنَّكَ لَا تَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ مِنْ هَذَا، بَلْ أَنْتَ أَعْجَزُ وَأَقَلُّ مِنْ أَنْ تَخْلُقَ بَعُوضَةً أَوْ تَنْتَصِرَ مِنْهَا فَبَيَّنَ ضَلَالَهُ وَجَهْلَهُ، وَكَذِبَهُ فِيمَا ادَّعَاهُ وَبُطْلَانَ مَا سَلَكَهُ وَتَبَجَّحَ بِهِ عِنْدَ جَهَلَةِ قَوْمِهِ، وَلَمْ يَبْقَ لَهُ كَلَامٌ يُجِيبُ الْخَلِيلَ بِهِ، بَلِ انْقَطَعَ وَسَكَتَ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {فَبُهِتَ الَّذِي كَفَرَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ} [البقرة: 258] . وَقَدْ ذَكَرَ السُّدِّيُّ أَنَّ هَذِهِ الْمُنَاظَرَةَ كَانَتْ بَيْنَ إِبْرَاهِيمَ وَبَيْنَ النُّمْرُودِ يَوْمَ خَرَجَ مِنَ النَّارِ، وَلَمْ يَكُنِ اجْتَمَعَ بِهِ إِلَّا يَوْمَئِذٍ فَكَانَتْ بَيْنَهُمَا هَذِهِ الْمُنَاظَرَةُ،
পৃষ্ঠা - ৩৪৩


নমরুদ চারশ বছরকালব্যাপী রাজতু করেছিল ৷ ফলে সে জুলুম-অত্যাচাব, দান্তিকত৷ ও
সীমালংঘনের চরমে গিয়ে পৌছে এবং পার্থিব র্জীবনবেইি সে চরম লক্ষ্য বলে বেছে নেয় ৷
ইব্রাহীম খলীল (আ) যখন তাকে এক ও লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের জন্যে আহ্বান
জানালেন, তখন তার মুর্থতা, পথ ভ্রষ্টত৷ ও উচ্চ জািাষ তাকে সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করতে
প্ৰরোচিত করে ৷ এ ব্যাপারে সে ইবরাহীম (আ) এর সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয় এবং নিজেই
প্ৰতিপালক হওয়ার দাবি করে ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) যখন ব্ললেন৪ আমার প্রতিপা ৷লক তো
তিনি, যিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান ৷ নমরুদ বলল, আমিও তাে জীবন দান করি ও
মৃত্যু ঘটইি ৷

কাতাদা, সুদ্দী ও মুহাম্মদ ইবন ইসহ ক (র) লিখেছেন, নমরুদ ঐ সময় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দু’
ব্যক্তিকে ডেকে আসে ৷ অতঃপর একজনকে হত্য৷ করে ও অপরজনকে ক্ষমা করে দেয় ৷ এর
দ্বারা সে বোঝাতে (চয়েছে যে, সে একজনকে জীবন দান করল এবং অন্যজনের মৃত্যু ঘটান ৷
এ কা ৷জটি ইব্রাহীম (আ) এর দলীলের কোন মুকাবিলাই ছিল না ৷ বরং৩ তা বিতর্কের সাথে
সামঞ্জস্যহীন একটা উদ্ভট দুষ্কর্ম ছাড়া কিছুই নয় ৷ কেননা, হযরত ইবরাহীম খলীল (আ)
বিদ্যমান সৃষ্ট-বন্তুর দ্বারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করছেন ৷ তিনি দেখাচ্ছেন যে, যেসব প্রাণী
আমরা দেখতে পাই, তা এক সময় জন্মলাভ করেছে ৷ আবার কিছু দিন পর সেগুলো মৃত্যুবরণ
করছে ৷ এ থেকেই বোঝা যায় যে, এই কাজের একজন কর্তা আছেন, যিনি প্রাণীকে সৃষ্টি
করছেন ও মৃত্যু দিচ্ছেন ৷ কারণ কর্তা ছাড়া আপনা আপনি কোন কিছু হওয়া অসম্ভব ৷ সুতরাং
বিশ্বজগতে প্রাণী অপ্রাণী যা কিছু আছে৩ তা একবার অস্তিত্বে আসা ও আর একবার অস্তিতৃ লােপ
পাওয়া, সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা, নক্ষত্র, বায়ু, যেঘমালা ও বৃষ্টি পরিচালনা করা ইত্যাদি কাজের
জন্যে অবশ্যই একজন কর্তা আছেন ৷ সে জন্যে ইব্রাহীম (আ) বললেনং :

ঞাদ্বু পুশু র্চুব্লুএাশু ’ পু(আমার প্রতিপালক তিনিই, যিনি জীবন দান করেন ও
মৃত্যু ঘটান ৷) অতএব, এ মুর্থ বাদচুা৷হর এই যে কথা আমিও জীবন দান কবি ও মৃত্যু ঘটইি
এর দ্বারা যদি এটা বোঝান হয় যে, সে ই দৃশ্যমান জগতের কর্তা, তবে এটা বৃথা দম্ভও
বাস্তবকে অস্বীকার করা ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ আর এ কথার দ্বারা যদি সেটাই বোঝান হয়ে
থাকে, যার উল্লেখ মুজাহিদ, সুদ্দী ও ইবন ইসহাক (র) করেছেন, তাহলে এ কথার কোন
মুল্যই নেই ৷ কেননা ইব্রাহীম (আ)-এর পেশকৃত দলীলের তাতে পতন হয় না

বাদশাহ নমরুদের এই যুক্তির অসারত ৷ উপস্থিত অনেকের কাছে অস্পষ্ট হওয়ায় এবং
অনুপন্থিতদের নিকট অস্পষ্ট হওয়ার প্রবল আশংকা থাকায় হযরত ইবরাহীম (আ) আর একটি
যুক্তি পেশ করেন, যার দ্বারা সৃষ্টিকর্তা র অস্তিত্ব ও নমরুদের মিথ্যা দাবি স্পষ্টভ৷ ৷বে প্রমাণিত
হয় ৷ ন্,দ্বুরুপু ৷ ট্রু,ন্ষ্ ৷ব্লুৰু ১গ্লুছু &,;§ £fi’ ৷ ;,ব্লু স্পো ৷ষ্টু ^ ;^ার্চু ম্বুটু৷ ৷ ’fi, র্চু র্মু ঢ

ইবরাহীম বলল, আল্লাহ ওে ৷ সুর্যকে পুর্ব দিক থেকে উদিত করেন, তুমি একে পশ্চিম দিক
থেকে উদিত করাও দেখি ৷

অর্থাৎ এই সুর্য আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে প্র৩ তাহ পুর্ব দিক থেকে উদিত হয় এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথে
পবিচালনা করেন ৷ এই আল্লাহ এক, অন্য কোন ইলাহ্ নেই ৷ তিনিই সব কিছুর সৃষ্টিকতা৷


وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّ النُّمْرُودَ كَانَ عِنْدَهُ طَعَامٌ، وَكَانَ النَّاسُ يَفِدُونَ إِلَيْهِ لِلْمِيرَةِ فَوَفَدَ إِبْرَاهِيمُ فِي جُمْلَةِ مَنْ وَفَدَ لِلْمِيرَةِ فَكَانَ بَيْنَهُمَا هَذِهِ الْمُنَاظَرَةُ، وَلَمْ يُعْطَ إِبْرَاهِيمُ مِنَ الطَّعَامِ كَمَا أُعْطِيَ النَّاسُ، بَلْ خَرَجَ وَلَيْسَ مَعَهُ شَيْءٌ مِنَ الطَّعَامِ، فَلَمَّا قَرُبَ مِنْ أَهْلِهِ عَمَدَ إِلَى كَثِيبٍ مِنَ التُّرَابِ فَمَلَأَ مِنْهُ عِدْلَيْهِ. وَقَالَ أَشْغَلُ أَهْلِي إِذَا قَدِمْتُ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ وَضَعَ رِحَالَهُ وَجَاءَ فَاتَّكَأَ فَنَامَ، فَقَامَتِ امْرَأَتُهُ سَارَةُ إِلَى الْعِدْلَيْنِ فَوَجَدَتْهُمَا مَلْآنَيْنِ طَعَامًا طَيِّبًا فَعَمِلَتْ مِنْهُ طَعَامًا، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ إِبْرَاهِيمُ وَجَدَ الَّذِي قَدْ أَصْلَحُوهُ، فَقَالَ: أَنَّى لَكُمْ هَذَا؟ قَالَتْ: مِنَ الَّذِي جِئْتَ بِهِ. فَعَرَفَ أَنَّهُ رِزْقٌ رَزَقَهُمُوهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ: وَبَعَثَ اللَّهُ إِلَى ذَلِكَ الْمَلِكِ الْجَبَّارِ مَلَكًا يَأْمُرُهُ بِالْإِيمَانِ بِاللَّهِ فَأَبَى عَلَيْهِ، ثُمَّ دَعَاهُ الثَّانِيَةَ فَأَبَى عَلَيْهِ، ثُمَّ الثَّالِثَةَ فَأَبَى عَلَيْهِ. وَقَالَ: اجْمَعْ جُمُوعَكَ وَأَجْمَعُ جُمُوعِي. فَجَمَعَ النُّمْرُودُ جَيْشَهُ وَجُنُودَهُ وَقْتَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، فَأَرْسَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ ذُبَابًا مِنَ الْبَعُوضِ بِحَيْثُ لَمْ يَرَوْا عَيْنَ الشَّمْسِ، وَسَلَّطَهَا اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَأَكَلَتْ لُحُومَهُمْ وَدِمَاءَهُمْ، وَتَرَكَتْهُمْ عِظَامًا بَالِيَةً، وَدَخَلَتْ وَاحِدَةٌ مِنْهَا فِي مَنْخَرَيِ الْمَلِكِ، فَمَكَثَتْ فِي مَنْخَرَيْهِ أَرْبَعَمِائَةِ سَنَةٍ عَذَّبَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِهَا فَكَانَ يَضْرِبُ رَأْسَهُ بِالْمَرَازِبِ فِي هَذِهِ الْمُدَّةِ كُلِّهَا حَتَّى أَهْلَكَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ بِهَا، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৪৪


এখন তোমার জীবন দান ও মৃত্যু ঘটানোর দা ৷বি যদি যথার্থ হয়, তবে এ সুর্যকেতু মি পশ্চিম
দিক থেকে উদিত কর ৷ কেননা, যিনি জীবন দান ও মৃত্যু ঘটাতে পারেন, তিনি যা ইচ্ছা তাই
করতে পারেন ৷ তার ইচ্ছাকে কেউ বাধা দিতে পারে না, তাকে কেউ অক্ষম করতে পারে না;
বরং সব কিছুর উপরই তার কর্তৃত্ব চলে, সব কিছুই তার নির্দেশ মানতে বাধ্য ৷ অতএব নিজের
দাবি অনুযায়ী তুমি যদি প্রতিপালক হয়ে থাক, তাহলে এটা করে দেখাও ৷ আর যদি তা করতে
না পার তবে তোমার দাবি মিথ্যা ৷ কিন্তু তৃমিও জান এবং অন্যান্য প্রত্যেকেই জানে যে, এ কাজ
করতে তুমি সক্ষম নও ৷ এতে৷ দুরের কথা, একটা সামান্য মশা সৃষ্টি করাও তোমার পক্ষে সম্ভব
নয় ৷ এ যুক্তি প্রদর্শনের পরে নমরুদের ভ্রষ্টতড়া, মুর্থতা, মিথ্যাচার ও মুর্থ সমাজের কাছে তার
দাম্ভিকত৷ স্পষ্ট হয়ে যায় ৷ সে কোন উত্তর দিতে সক্ষম হল না ৷,নীরব নিছুপ হয়ে রয়ে গেল ৷


অড়াল্লড়াহ্ বকৃলনং :
কাফির লোকটি হতভম্ব হয়ে গেল ৷ আর জা ৷লিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সুপথ দেখান না ৷
(সুরা বাকারা ২৫৮)

সুদ্দী (র) লিখেছেন, নমরুদ ও ইবরাহীম (আ) এর মধ্যে এ বিত তর্ক হচ্ছেত তিনি অগ্নি থেকে
বের হয়ে আসার দিনের ঘটনা এবৎ সেখানে লোকের কোন জমায়েত ছিল৷ না ৷ কেবল দু জনের
মধ্যেই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ৷ আবদুর রাজ্জাক যায়দ ইবন আসলাম (বা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন :
নমরুদের নিকট সঞ্চিত খাদ্য ভাত্তার ছিল ৷ লোকজন দলে দলে তার নিকট খাদ্য আনার জন্যে
যেত ৷ হযরত ইবরাহীম (আ)-ও এরুপ এক দলের সাথে খাদ্য আনতে যান ৷ সেখানেই এ
বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় ৷ ফলে নমরুদ ইবরাহীম (আ)কে খাদ্য না দিয়ে ফিরিয়ে দেয় ৷ ইবরাহীম
(আ) শুন্যপাত্র নিয়ে বেরিয়ে আসেন ৷ বাড়ির কাছে এসে তিনি দু’টি পাত্রে মাটি ভর্তি করে
আনেন এবং মনে মনে ভাবেন বাড়ি পৌছে সাংসারিক কাজে জড়িয়ে পড়বেন ৷ বাড়ি পৌছে
বাহন রেখে তিনি ঘরে প্রবেশ করে দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে বসে পড়েন ৷ কিছুক্ষণের
মধ্যেই তিনি নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ৷ ইবরাহীম (আ)-এর ত্রী সারাহ পাত্র দু’টির কাছে গিয়ে
উৎকৃষ্ট খাদ্যদ্রব্য দ্বারা তা ভর্তি দেখতে পান এবংত৷ দ্বারা খাদ্য তৈরি করেন ৷ ঘুম থেকে জেগে
হযরত ইবরাহীম (আ) রান্না করা খাদ্য দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এ তোমরা কােথেকে পেলে?
সারাহ জানালেন, আপনি যা এনেছেনত ত৷ থেবেইি তৈরি করা হয়েছে ৷ এ সময় ইবরাহীম (আ)
আচ করতে পারেন যে, আল্লাহ তাআলা বিশেষ খাদ্য হিসেবে তাদেরকে এ রিয্ক দান
করেছেন ৷
যায়দ ইবন আসলাম (বা) বর্ণনা করেছেন যে, এই অহৎকারী বাদশাহর নিকট আল্লাহ
একজন ফেবেশত৷ প্রেরণ করেন ৷ ফেরেশত৷ তাকে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে বললে সে
অস্বীকার করে ৷ পুনরায় দ্বিতীয় ও তভীয়বার আহ্বান জানালে প্রত্যেক বারেই সে অস্বীকৃতি
জানায় এবৎ বলে দেয়, তুমি তোমার বাহিনী একত্র কর, আর আমি আমার বাহিনী একত্র করি ৷
পরের দিন সুর্যোদয়ের সময় নমরুদত তার সৈন্য সামস্তের সমাবেশ ঘটালাে ৷ অপর দিকে আল্লাহ
অগণিত মশা প্রেরণ করলেন ৷ মশার সং থ্যা এত বেশি ছিল যে, তাতে তারা সুর্যের মুখটি পর্যন্ত
দেখতে সক্ষম হয়নি ৷ আল্লাহ মশা বাহিনীকে তাদের উপর লেলিয়ে দেন ৷ ফলে মশা তাদের
রক্ত-মাৎস খেয়ে সাদা হাডিদ্র বের করে দেয় ৷ একটি মশা নমরুদের নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করে ৷


[ذِكْرُ هِجْرَةِ الْخَلِيلِ إِلَى بِلَادِ الشَّامِ وَدُخُولِهِ الدِّيَارَ الْمِصْرِيَّةَ] َ وَاسْتِقْرَارِهِ فِي الْأَرْضِ الْمُقَدَّسَةِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَآمَنَ لَهُ لُوطٌ وَقَالَ إِنِّي مُهَاجِرٌ إِلَى رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ وَآتَيْنَاهُ أَجْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} [العنكبوت: 26] {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ نَافِلَةً وَكُلًّا جَعَلْنَا صَالِحِينَ - وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَإِقَامَ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ وَكَانُوا لَنَا عَابِدِينَ} [الأنبياء: 72 - 73] [الْأَنْبِيَاءِ: 71 - 73] . لَمَّا هَجَرَ قَوْمَهُ فِي اللَّهِ، وَهَاجَرَ مِنْ بَيْنِ أَظْهُرِهِمْ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ عَاقِرًا لَا يُولَدُ لَهَا، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مِنَ الْوَلَدِ أَحَدٌ، بَلْ مَعَهُ ابْنُ أَخِيهِ لُوطُ بْنُ هَارَانَ بْنِ آزَرَ وَهَبَهُ اللَّهُ تَعَالَى بَعْدَ ذَلِكَ الْأَوْلَادَ الصَّالِحِينَ، وَجَعَلَ فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ، فَكُلُّ نَبِيٍّ بُعِثَ بَعْدَهُ فَهُوَ مِنْ ذُرِّيَّتِهِ، وَكُلُّ كِتَابٍ نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ عَلَى نَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ بَعْدِهِ فَعَلَى أَحَدِ نَسْلِهِ وَعَقِبِهِ خِلْعَةً مِنَ اللَّهِ وَكَرَامَةً لَهُ حِينَ تَرَكَ بِلَادَهُ وَأَهْلَهُ وَأَقْرِبَاءَهُ، وَهَاجَرَ إِلَى بَلَدٍ يَتَمَكَّنُ فِيهَا مِنْ عِبَادَةِ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَدَعْوَةِ الْخَلْقِ إِلَيْهِ، وَالْأَرْضُ الَّتِي قَصَدَهَا بِالْهِجْرَةِ أَرْضُ الشَّامِ، وَهِيَ الَّتِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا لِلْعَالَمِينَ} [الأنبياء: 71] . قَالَهُ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، وَأَبُو الْعَالِيَةِ،
পৃষ্ঠা - ৩৪৫
وَقَتَادَةُ، وَغَيْرُهُمْ. وَرَوَى الْعَوْفِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلَهُ: {إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا لِلْعَالَمِينَ} [الأنبياء: 71] . مَكَّةَ أَلَمْ تَسْمَعْ إِلَى قَوْلِهِ: {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ} [آل عمران: 96] . وَزَعَمَ كَعْبُ الْأَحْبَارِ أَنَّهَا حَرَّانُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا عَنْ نَقْلِ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ خَرَجَ مِنْ أَرْضِ بَابِلَ هُوَ وَابْنُ أَخِيهِ لُوطٌ، وَأَخُوهُ نَاحُورُ، وَامْرَأَةُ إِبْرَاهِيمَ سَارَةُ، وَامْرَأَةُ أَخِيهِ مَلْكَا، فَنَزَلُوا حَرَّانَ فَمَاتَ تَارَخُ أَبُو إِبْرَاهِيمَ بِهَا. وَقَالَ السُّدِّيُّ: انْطَلَقَ إِبْرَاهِيمُ وَلُوطٌ قِبَلَ الشَّامِ فَلَقِيَ إِبْرَاهِيمُ سَارَةَ، وَهِيَ ابْنَةُ مَلِكِ حَرَّانَ، وَقَدْ طَعَنَتْ عَلَى قَوْمِهَا فِي دِينِهِمْ فَتَزَوَّجَهَا عَلَى أَنْ لَا يُغَيِّرَهَا. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَهُوَ غَرِيبٌ، وَالْمَشْهُورُ أَنَّهَا ابْنَةُ عَمِّهِ هَارَانَ الَّذِي تُنْسَبُ إِلَيْهِ حَرَّانُ، وَمَنْ زَعَمَ أَنَّهَا ابْنَةُ أَخِيهِ هَارَانَ أُخْتُ لُوطٍ، كَمَا حَكَاهُ السُّهَيْلِيُّ، عَنِ الْقُتَبِيِّ، وَالنَّقَّاشِ فَقَدْ أَبْعَدَ النُّجْعَةَ، وَقَالَ بِلَا عِلْمٍ، وَادَّعَى أَنَّ تَزْوِيجَ بِنْتِ الْأَخِ كَانَ إِذْ ذَاكَ مَشْرُوعًا فَلَيْسَ لَهُ عَلَى ذَلِكَ دَلِيلٌ. وَلَوْ فُرِضَ أَنَّ هَذَا كَانَ مَشْرُوعًا فِي وَقْتٍ، كَمَا هُوَ مَنْقُولٌ عَنِ الرَّبَّانِيِّينَ مِنَ الْيَهُودِ، فَإِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَا تَتَعَاطَاهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ الْمَشْهُورُ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا هَاجَرَ مِنْ بَابِلَ خَرَجَ بِسَارَةَ مُهَاجِرًا مِنْ بِلَادِهِ، كَمَا تَقَدَّمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَ الشَّامَ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ إِنِّي جَاعِلٌ هَذِهِ الْأَرْضَ لِخَلَفِكَ مِنْ بَعْدِكَ فَابْتَنَى إِبْرَاهِيمُ مَذْبَحًا لِلَّهِ شُكْرًا عَلَى هَذِهِ النِّعْمَةِ، وَضَرَبَ قُبَّتَهُ شَرْقِيَّ بَيْتِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৬


চারশ বছর পর্যন্ত এই মশা তার নাকের ছিদ্রে অবন্থ ন করে দৎশন করতে থাকে ৷ এই দীর্ঘ
সময়ে সে হাতৃড়ি দ্বারা নিজের মাথা ঠুকড়াতে থাকে ৷ অবশেষে এভাবেই আল্লাহ তাকে ধ্বংস
করেন ৷

হযরত ইব্রাহীম (আ) এর সিরিয়া ও মিসরে হিজরত
এবং অবশেষে ফিলিস্তিনে স্থায়ী বসতি স্থাপন
এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণীং

স্পো ’fi

এএে ৬১এ fl :ঠুএশুএে


১ এে ব্লু ব্লু


শ্প্টা


লুত তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করল ৷ ইব্রাহীম বলল, আমি আমার প্রতিপালকের উদ্দেশে

দেশ ত্যাগ করছি ৷ তিনি তো পরড়াক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ আমি ইবরাহীমকে দান করলাম ইসহাক

ও ইয়াকুব এবং বৎশধরদের জান্য স্থির করলাম নবুওত ও কিতাব এবং আমি তাকে দুনিয়ার

পুরস্কৃত করেছিলাম ৷ আখিরাতেও সে নিশ্চয়ই সৎকর্য পরায়ণদের অন্যতম হবে (সুরা
আনকাবুত : ২৬-২৭)

আল্লাহ্ তাআলা বলেন ং

;;এট্টন্
;;াপ্রুব্লুক্ট্র৷ ৷প্রুট্রুশুাৰু
এষ্কেষ্হু

এবং আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সেই দেশে নিয়ে গেলাম, যেখানে আমি কল্যাণ
ব্লেখেছি বিশ্ববাসীর জন্যে এবং আমি ইবরাহীমকে দান করেছিলাম ইসহাক এবং পৌত্ররুপে
ইয়াকুব, আর প্রত্যেককেই করেছিলাম সৎকর্মপরায়ণ; এবং তাদেরকে করেছিলাম নেতা; তারা
আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথপ্রদর্শন করত, তাদেরকে ওহী প্রেরণ করেছিলাম সৎকর্ম
করতে, সালাত কায়েম করতে এবং যাকাত প্রদান করতে; তারা:আমারই ইবড়াদত করত ৷
(সুরা আন্বিয়ড়া০ ং ৭১ ৭৩)

হযরত ইব্রাহীম (আ) নিজের দেশ ও জাতিকে ত্যাগ করে আল্লাহর রাহে হিজরত করেন ৷
তার ত্রী ছিলেন বন্ধ্যা, কোন সন্তান হত না এবং তার কে ন পুত্র সন্তান ছিল না বরং ভ্রাতুম্পুএ
লুত ইবন হারান ইবন আযর তার সংগে ছিল ৷ এমতাবস্থায় আল্লাহ র্তাকে একাধিক পুত্র সন্তান
দান করেন এবং তাদের সকলেই পুণ্যবান ছিলেন ৷ ইব্রাহীম (আ)-এর বৎশে নবুওত এবং
কিতাব প্রেরণের ধারা চালু রাখেন ৷ সুতরাং ইব্রাহীম (আ)-এর পরে যিনিই নবী হিসেবে
প্রেরিত হয়েছেন তার বংশ থেবেইি হয়েছেন এবং তার পরে যে কিতাবই আসমান থেকে কোন


الْمَقْدِسِ، ثُمَّ انْطَلَقَ مُرْتَحِلًا إِلَى الْيَمَنِ، وَأَنَّهُ كَانَ جُوعٌ أَيْ قَحْطٌ وَشِدَّةٌ، وَغَلَاءٌ فَارْتَحَلُوا إِلَى مِصْرَ، وَذَكَرُوا قِصَّةَ سَارَةَ مَعَ مَلِكِهَا، وَأَنَّ إِبْرَاهِيمَ قَالَ لَهَا قُولِي: أَنَا أُخْتُهُ. وَذَكَرُوا إِخْدَامَ الْمَلِكِ إِيَّاهَا هَاجَرَ، ثُمَّ أَخْرَجَهُمْ مِنْهَا فَرَجَعُوا إِلَى بِلَادِ التَّيَمُّنِ يَعْنِي أَرْضَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ، وَمَا وَالَاهَا وَمَعَهُ دَوَابُّ وَعَبِيدٌ وَأَمْوَالٌ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ إِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ، ثِنْتَانِ مِنْهُنَّ فِي ذَاتِ اللَّهِ قَوْلُهُ: {إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 89] وَقَوْلُهُ: {بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا} [الأنبياء: 63] . وَقَالَ: بَيْنَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ وَسَارَةُ إِذْ أَتَى عَلَى جَبَّارٍ مِنَ الْجَبَابِرَةِ، فَقِيلَ لَهُ: هَاهُنَا رَجُلٌ مَعَهُ امْرَأَةٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ. فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ عَنْهَا. فَقَالَ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: أُخْتِي. فَأَتَى سَارَةَ فَقَالَ: يَا سَارَةُ لَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، وَإِنَّ هَذَا سَأَلَنِي فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّكِ أُخْتِي فَلَا تُكَذِّبِينِي. فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا، فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا بِيَدِهِ فَأُخِذَ، فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ. فَدَعَتِ اللَّهَ فَأُطْلِقَ، ثُمَّ تَنَاوَلَهَا الثَّانِيَةَ، فَأُخِذَ مِثْلَهَا أَوْ أَشَدَّ، فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ. فَدَعَتْ فَأُطْلِقَ فَدَعَا بَعْضَ حَجَبَتِهِ، فَقَالَ: إِنَّكَ لَمْ تَأْتِنِي بِإِنْسَانٍ، وَإِنَّمَا أَتَيْتَنِي بِشَيْطَانٍ فَأَخْدَمَهَا هَاجَرَ. فَأَتَتْهُ وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فَأَوْمَأَ بِيَدِهِ؛ مَهْيَمْ؟ فَقَالَتْ: رَدَّ اللَّهُ كَيْدَ الْكَافِرِ أَوِ الْفَاجِرِ فِي نَحْرِهِ، وَأَخْدَمَ هَاجَرَ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَتِلْكَ أُمُّكُمْ يَا بَنِي مَاءِ السَّمَاءِ. تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مَوْقُوفًا.
পৃষ্ঠা - ৩৪৭


নবীর উপর অবতীর্ণ হয়েছে, তা র্তার বং শধরদের উপরই অবতীর্ণ হয়েছে ৷ এ সব পুরস্কার
আল্লাহ তাকে দিয়েছেন তার ত্যাগ ও কুরবানী এবং আল্লাহর জন্যে দ্বেশ, পরিজন ও
আত্মীয়-স্বজনকে পরিত্যাগ করার বিনিময়ে ৷ এমন দেশের উদ্দেশে তিনি হিজরত করলেন
যেখানে আল্লাহর ইবাদত এবং বান্দাদেরকে আল্লাহর দিকে আহবানের সুযোগ ছিল ৷ র্তার সেই
হিজরতের দেশটি হল শাম বা সিরিয়া ৷ এ দেশ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন০ ং

— ঞ্জা৷
সে দেশের দিকে যেখানে আমি বিশ্ববাসীর জন্য বরকত রেখে দিয়েছি’ ৷ উবা ই ইবন কা ব

আল আলিয়া, কাতাদা প্রমুখ এই মত পোষণ করেন ৷ কিভু আওফীর সুত্রে ইবন আব্বাস (বা)

সুত্রে বর্ণিত ৷ উপরোক্ত আয়াতে (;,, ,াএে গ্র;গ্ ৷ৰুইর্চুাপ্লু ট্রুপু ৷ ,ণ্ , ১৷ ৷ ণ্ডা৷ ) যে
দেশের কথা বলা হয়েছে, যে দেশ হল মক্ক৷ এবং সমর্থনে ৷র্তিনিগু নিরুম্নর অয়েতে উৰুল্লখ করেন :




নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে স্থাপিত ৩হয়েছে সেটাই হচ্ছে এ ঘর যা মক্কায়
অবস্থিত এবং সারা জাহানের জন্যে হিদায়াত ও বরকতময় ৷ (সুরা আল-ইমরান : ৯৬)

বার আহবার (বা) এর মতে , সে দেশটি ছিল হড়ারান ৷ ইতিপুর্বে আমরা আহ্লি কিতাবদের
বরাত দিয়ে বলে এসেছি যে, হযরত ইবরাহীম (আ), তার ভ্রাতৃম্পুত্র লুত (আ), ডাই নাহ্রর ত্রী
সারাহ্ ও ভাইয়ের ত্রী মালিকাসহ বাবিল থেকে বওয়ানা হন এবং হারানে পৌছে সেখানে
বসবাস শুরু করেন ৷ সেখানে ইবরাহীম (আ) এর পিতা তারাখ এর মৃত্যু হয় ৷

সুদ্দী (ব) লিখেছেন, ইবরাহীম (আ) ও লুত (আ) সিরিয়ার উদ্দেশে বওয়ানা হন ৷ পথে
সারাহ্র সাথে সাক্ষাৎ হয় ৷ সারাহ্ ছিলেন হারানের রাজকুমারী ৷ তিনি র্তার সম্প্রদায়ের ধর্মকে
কটাক্ষ করতে ন ৷ ইবরাহীম (আ)৩ তাকে এই শর্তে বিবাহ করেন যে, তাকে ত্যাগ করবেন না ৷
ইবন জ বীর (র) এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন কিন্তু ঐতিহাসিকদের আর কেউ এ ব্যাপারে বর্ণনা
করেন নি ৷ প্রসিদ্ধ মতে, সারাহ্ হযরত ইবরাহীম (আ) এর চাচা হারান এর কন্যা ৷ যার নামে
হারান রাজ্যের পরিচিতি ৷ সুহায়লী (র) কুতায়বী ও নাফ্ফাসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন যে,
সারাহ্ হযরত ইবরাহীম (আ)-এব সহোদর হারানের কন্যা লুত-এর ভগ্নি ৷ এ মত সম্পুর্ণ
ভিত্তিহীন ও অমুলক ৷ এ মত পােষণকারীরা দাবি করেছেন যে, ঐ সময় ভাতিজী বিবাহ করা
ভৈবধ ছিল ৷ কিন্তু এ দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ নেই ৷ যদি ধরেও নেয়া হয় যে, কোন এক সময়ে
ভাতিজী বিবাহ করা বৈধ ছিল ৷ যেমন ইহুদী পণ্ডিতরা বলে থাকেন তবুও এটা সম্ভব নয় ৷
কেননা, নিরুপায় অবস্থায় কোন কিছু বৈধ হলেও৩ তার সুযোগ গ্রহণ নবী রাসুলগণের উন্নত
চরিত্রের মর্যাদার পক্ষে শোভনীয় নয় ৷ আ ৷ল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷

প্রসিদ্ধ মত হল, হযরত ইবরাহীম (আ) যখন বাবিল থেকে হিজরত করেন, তখন সারাহ্কে
সাথে নিয়েই বের হয়েছিলেন যেমন পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সম্যক জ্ঞাত ৷ আহ্লি
কিতাবদের বর্ণনা মতে, হযরত ইবরাহীম (আ) যখন সিরিয়ায় যান তখন আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে
জানান, তোমার পরে এই দেশটি আমি তোমার উত্তরসুরিদের আয়ত্তে দেব ৷ এই অনুপ্রহের
কৃতজ্ঞতা প্রকাশস্বরুপ তিনি তথায় কুরবড়ানীর একটি কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং বায়তৃল


وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلِيٍّ الْفَلَّاسِ، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَمْ يَكْذِبْ قَطُّ إِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ كُلُّ ذَلِكَ فِي ذَاتِ اللَّهِ: قَوْلُهُ: إِنِّي سَقِيمٌ. وَقَوْلُهُ: بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا. وَبَيْنَمَا هُوَ يَسِيرُ فِي أَرْضِ جَبَّارٍ مِنَ الْجَبَابِرَةِ إِذْ نَزَلَ مَنْزِلًا، فَأُتِيَ الْجَبَّارُ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ قَدْ نَزَلَ هَاهُنَا رَجُلٌ مَعَهُ امْرَأَةٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ عَنْهَا، فَقَالَ: إِنَّهَا أُخْتِي، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهَا قَالَ: إِنَّ هَذَا سَأَلَنِي عَنْكِ فَقُلْتُ: إِنَّكِ أُخْتِي، وَإِنَّهُ لَيْسَ الْيَوْمَ مُسْلِمٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، وَإِنَّكِ أُخْتِي فَلَا تُكَذِّبِينِي عِنْدَهُ، فَانْطُلِقَ بِهَا، فَلَمَّا ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا أُخِذَ، فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ فَدَعَتْ لَهُ فَأُرْسِلَ فَذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا فَأُخِذَ مِثْلَهَا أَوْ أَشَدَّ مِنْهَا فَقَالَ: ادْعِي اللَّهَ لِي، وَلَا أَضُرُّكِ. فَدَعَتْ فَأُرْسِلَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَدَعَا أَدْنَى حَشَمِهِ فَقَالَ: إِنَّكَ لَمْ تَأْتِنِي بِإِنْسَانٍ، وَلَكِنْ أَتَيْتَنِي بِشَيْطَانٍ أَخْرِجْهَا، وَأَعْطِهَا هَاجَرَ. فَجَاءَتْ وَإِبْرَاهِيمُ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهَا انْصَرَفَ، فَقَالَ: مَهْيَمْ؟ فَقَالَتْ: كَفَى اللَّهُ كَيْدَ الظَّالِمِ، وَأَخْدَمَنِي هَاجَرَ» . وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ هِشَامٍ. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْلَمُ أَسْنَدَهُ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلَّا هِشَامٌ. وَرَوَاهُ غَيْرُهُ مَوْقُوفًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَفْصٍ، عَنْ، وَرْقَاءَ هُوَ ابْنُ عُمَرَ الْيَشْكُرِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ
পৃষ্ঠা - ৩৪৮


মুকাদ্দাসের পুর্ব প্রান্তে তিনি নিজের থাকার জন্যে একটি গম্বুজ বিশিষ্ট প্রকোষ্ঠ নির্মাণ করেন ৷
অতংপর তিনি জীবিকার অন্বেষণে বের হন ৷ এ সময় বায়তু ল মুকাদ্দাস অঞ্চলে ছিল প্রচণ্ড
আক ল ও দুর্তিক্ষ, তাই সবাইকে নিয়ে তিনি মিসরে চলে যান ৷ এই সাথে আহ্লি কিতাবরা
সারাহ্ এবং তথ্াকার রাজার ঘটনা, সারাহ্কে নিজের বোন বলে পরিচয় দিতে শিখিয়ে দেয়া
রাজা কর্তৃক সারাহ্ (ব)-এর খিদমতের জন্যে হাজেরাকে দান; অতঃপর সেখান থেকে
তাদেরকে বহিষ্কার করা এবং বরকতময় বায়তৃল মুকাদ্দাস অঞ্চলে বহু জীব্-জন্তু, দাস-দাসী ও
ধন-সম্পদসহ প্রত্যাগমন করার কথা উল্লেখ করেছেন ৷

ইমাম বুথারী (র) আবুহুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, হযরত ইবরাহীম (আ)৩ তিনবার
অসত্য উক্তি করেছিলেন ৷ এর দুটি আল্লাহ সৎ ক্রাম্ভ (১) তিনি বলেছিলেন : এের্দু১া




বড় মুর্তিটিই এ কর্মটি করেছে ৷ এবং তৃতীয় উক্তিটি করেছিলেন নিজের ব্যাপারে ৷ ঘটনা এই,

হযরত ইব্রাহীম (আ) শ্রী সারাহ্সহ কোন এক জালিম বাদশাহৱ এলাকা অতিক্রম করছিলেন ৷
বাদশাহৱ নিকট সংবাদ গেল যে, এই এলাকায় একজন লোক আছে যার সাথে রয়েছে এক
পরমা সুন্দরী নারী ৷ জালিম বাদশাহ্ হযরত ইব্রাহীম (আ)-এব নিকট লোক পাঠান ৷ আগন্তুক
এসে হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে সারাহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল, ইনি (ক? উত্তরে তিনি বললেন
৪ আমার বোন ৷ এরপর হযরত ইব্রাহীম (আ) সারাহ্র কাছে এসে বলেন, দেখ সারাহ্! এই
ধরাপৃষ্ঠে আমি এবং তুমি ব্যতীত আর কোন মুমিন নেই ৷ এই আগন্তুক তোমার সাথে আমার
সম্পবেরি কথা জানতে ঢেয়েছে ৷ আমি তাকে এই কথা ৷বলে দিয়েছি যে, তুমি আমার বোন ৷
এখন আমাকে তুমি মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করো না ৷ এরপর ঐ জালিম বাদশাহ সারাহ্কে নিয়ে

, যাওয়ার জন্যে লোক পাঠান ৷

সারাহ্ বাদশাহৱ দরবারে নীত হলে , বাদশাহ তীর প্রতি হাত বাড়ায় ৷ সংগে সংগে সে
থােদার গযবে পতিত হয় ৷ বাদশাহ বলল, সারাহ্ আমার জন্যে দুআ কর, আমি তোমার কোন
ক্ষতি সাধন করব না ৷ সারাহ্ দুআ করলেন ৷ ফলে বাদশাহ ছাড়া পড়ায় ৷ কিত্তু দ্বিতীয়বার সে

সারাহ্র প্রতি হাত বাড়ায় ৷ এবারও সে পুর্বের ন্যায় কিৎবা তদপেক্ষা কঠিনভাবে তার প্রতি

শাস্তি নেমে আসে ৷ পুনর্বার বাদশাহ বলল, আমার জন্যে দৃআ কর ৷ আমি তোমার কোন অনিষ্ট
করব না ৷ সারাহ্ দৃআ করলে সে পুনরায় রক্ষা পায় ৷ তখন বাদশাহ্ তার একান্ত সচিবকে
ডেকে বলল, তুমি তো আমার কাছে কোন মানবী আননি, এনেছ এক ড়ামানবী ৷ পরে বাদশাহ

সারাহ্র খিদমতের জ্যন্য হাজেরাকে দান করল ৷ সারাহ্ ইব্রাহীম (আ) এর কাছে ফিরে এসে

তাকে সালাত আদায়রত দেখতে পান ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ) সা ৷লাতে থেকেই হাং৩ র ইশারা
দ্বারা ঘটনা জন নতে চাইলেন ৷ সারা বললেন, আল্লাহ অনড়াচ৷ ৷রী কা ৷ফিরের চক্রাস্ত নস্যাত করে
দিয়েছেন এবং ঐ জালিম আমার খিদমতের জন্যে হাজেরাকে দিয়েছে ৷

আবু হুরায়রা (বা) বলেন, হে বেদুঈন আরব সত্তানগণ! এই হাজেরাই তোমাদের আদি
মাতা ৷ ইমাম বুখারী (র) এই একক সুত্রে হাদীসটি মওকুফ রুপে বর্ণনা করেছেন ৷ হাফিজ আবু
বকর আল বাবৃযার (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
হযরত ইব্রাহীম (আ) মাত্র তিনবার ব্যতীত কখনও অসত্য উক্তি করেন নি ৷ ঐ তিনটি উক্তিই


اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ إِلَّا ثَلَاثَ كَذَبَاتٍ؛ قَوْلُهُ حِينَ دُعِيَ إِلَى آلِهَتِهِمْ فَقَالَ: إِنِّي سَقِيمٌ. وَقَوْلُهُ: بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا. وَقَوْلُهُ لِسَارَةَ: إِنَّهَا أُخْتِي. قَالَ: وَدَخَلَ إِبْرَاهِيمُ قَرْيَةً فِيهَا مَلِكٌ مِنَ الْمُلُوكِ أَوْ جَبَّارٌ مِنَ الْجَبَابِرَةِ فَقِيلَ: دَخَلَ إِبْرَاهِيمُ اللَّيْلَةَ بِامْرَأَةٍ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ. قَالَ: فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ الْمَلِكُ أَوِ الْجَبَّارُ مَنْ هَذِهِ مَعَكَ؟ قَالَ: أُخْتِي. قَالَ: فَأَرْسِلْ بِهَا. قَالَ: فَأَرْسَلَ بِهَا إِلَيْهِ. وَقَالَ: لَا تُكَذِّبِي قَوْلِي، فَإِنِّي قَدْ أَخْبَرْتُهُ أَنَّكِ أُخْتِي، إِنْ عَلَى الْأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ قَامَ إِلَيْهَا فَأَقْبَلَتْ تَوَضَّأُ وَتُصَلِّي، وَتَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ، وَأَحْصَنْتُ فَرْجِي إِلَّا عَلَى زَوْجِي فَلَا تُسَلِّطْ عَلَيَّ الْكَافِرَ. قَالَ: فَغَطَّ حَتَّى رَكَضَ بِرِجْلِهِ» . قَالَ أَبُو الزِّنَادِ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «اللَّهُمَّ إِنْ يَمُتْ يُقَلْ: هِيَ قَتَلَتْهُ. قَالَ: فَأُرْسِلَ. قَالَ: ثُمَّ قَامَ إِلَيْهَا. قَالَ: فَقَامَتْ تَوَضَّأُ وَتُصَلِّي، وَتَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي آمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُولِكَ، وَأَحْصَنْتُ فَرْجِي إِلَّا عَلَى زَوْجِي فَلَا تُسَلِّطْ عَلَيَّ الْكَافِرَ. قَالَ: فَغَطَّ حَتَّى رَكَضَ بِرِجْلِهِ. قَالَ أَبُو الزِّنَادِ، وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهَا قَالَتِ: اللَّهُمَّ إِنْ يَمُتْ يُقَلْ هِيَ قَتَلَتْهُ. قَالَ: فَأُرْسِلَ. قَالَ: فَقَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ: مَا أَرْسَلْتُمْ إِلَيَّ إِلَّا شَيْطَانًا أَرْجِعُوهَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ، وَأَعْطُوهَا هَاجَرَ. قَالَ: فَرَجَعَتْ فَقَالَتْ لِإِبْرَاهِيمَ: أَشَعَرْتَ؟ إِنَّ اللَّهَ رَدَّ كَيْدَ الْكَافِرِ وَأَخْدَمَ وَلِيدَةً» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ، وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৩৪৯


ছিল আল্লাহ সংক্রান্ত ৷ (১) নিজেকে ছু ট্রুদ্বুন্ট্রুন্ন্ “; (আমি পীড়িত বলা ,) (২)ধ্াগ্প্ ’ ’ “ ^
$§§;§ (এদের এ বড়টাই এ কাজ করেছে বর্লাষ্ ,) (৩) হযরত ইবরাহীম কোন এক জালিম
রাজার এলাকা দিয়ে সফর করার সময় কো ন এক মঞ্জিলে অবতরণ করেন ৷ জালিম রাজা ৩ থায

আগমন করে ৷ তাকে জানানো হয় যে, এখানে একজন লোক এসেছে যার সাথে এক পরমা
সুন্দরী রমণী আছে ৷ রাজা তখনই ইবরাহীম (আ)-এর নিকট লোক প্রেরণ করে ৷ সে এসে
মহিলাটি সম্পর্কে ইবরাহীম (আ)-কে জিজ্ঞেস করল ৷ তিনি বললেন, যে আমার বোন ’ ৷ এরপর
ইবরাহীম (আ) তার ত্রীর কাছে আসেন এবং বলেন, একটি লোক তোমার সম্পর্কে আমার কাছে
জিজ্ঞেস করেছে ৷ আমি তোমাকে আমার কোন বলে পরিচয় দিয়েছি ৷ এখন আমি আর তুমি
ছাড়া পৃথিবীতে আর কোন মুসলিম নেই ৷ এ হিস্যেব তুমি আমার বোনও বটে ৷ সুতরাং রাজার
কাছে আমাকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করো না যেন ৷ রাজা তার দিকে হাত বাড়াতেই আল্লাহর
পক্ষ থেকে এক আমার এসে তাকে পাকড়াও করে ৷ রাজা বলল, তুমি আল্লাহ্র কাছে দৃআ
কর, আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না ৷ তিনি দৃআ করেন ৷ ফলে সে যুক্ত হয় ৷ কিন্তু পরক্ষাণ
আবার তাকে ধরার জন্যে হাত বাড়ার ৷ এবারও আল্লাহর পক্ষ থেকে পুর্বের ন্যায় কিৎরা
তদপেক্ষা শক্তডারে পাকড়াও হয় ৷ রাজা পুনরায় বলল, আমার জন্যে আল্লাহর নিকট দৃআ
কর, তোমার কোন ক্ষতি আমি করব না ৷ সুতরাং দৃআ করায় যে মুক্তি পেয়ে যায় ৷ এরুপ
তিনবার ঘটে ৷ অতঃপর রাজা তার সর্বাপেক্ষা ঘনিষ্ঠ অনুচরকে ডেকে বললাে, তুমি তাে কোন
মানবী আননি; এনেছ এক মানবী ৷ একে বের করে দাও এবং হড়াজেরাকেও সাথে দিয়ে দাও ৷
বিবি সারাহ্ ফিরে আসলেন ৷ ইবরাহীম (আ) তখন সালাতে রত ছিলেন ৷ সারাহ্র শব্দ পেয়েই
তিনি তার দিকে ফিরে তাকালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, ঘটনা কি? সারড়াহ্ বললেন, আল্লাহ
জালিমের চক্রাম্ভ ব্যর্থ করে দিয়েছেন ৷ আর সে আমার খিদমতের জন্যে হাজেরাকে দান
করেছে ৷ ’ বায্যার (র) বলেছেন, মুহম্মদ (র) এর সুত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে হিশাম ব্যতীত
কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন বলে আমার জন ৷নেই ৷ অন্যরা একে মওকুর্ফ’ হিসেবে বর্ণনা
করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন : তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেন, হযরত ইবরাহীম (আ)৩ তিনবার ছাড়া কখনও মিথ্যা কথা বলেননি ৷ ( ১ ) কাফিররা
যখন তাদের মেলায় যাওয়ার জন্যে আহবান জানায়, তখন তিনি বলেছিলেন, ণ্র্বৃদ্বু;র্চু é; ৷
(আমি পীড়িত) (২) তিনি মুর্তি ভেঙ্গে বলেছিলেন,া!১ণ্ ১ঝু^হ্র র্দুপুহুপুণ্ড্র ট্রু৷ (এদের মর্দুধ্য
এই বড়টিই এ কাজ করেছে), (৩) নিজের শ্ৰী স ৷রাহ্র পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেনং
র্শেং ৷ ৷ষ্৷ (এ আমার কোন) ৷ বর্ণনাক৷ রী বলেনং : হযরত ইবরাহীম (আ) একবার কোন এক
জনপদে প্রবেশ করেন ৷ সেখানে ছিল এক জ লিম রাজা ৷ তাকে জানানো হল যে, এ রড়াত্রে
ইবরাহীম এক পরমা সুন্দরী নারীসহ এখানে এসেছে ৷ রাজা তার কাছে দুত পাঠাল ৷ দুত হযরত
ইবরাহীম (আ) কে জিজ্ঞেস করল ৷ আপনার সাথী এ রমণীটি কে ? ইবরাহীম (আ) বললেন,
আমার বোন ৷ দুত বলল, একে রাজার কাছে পাঠিয়ে দিন ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) পাঠিয়ে
দিলেন এবং বলে দিলেন যে, আমার উক্তিকে তুমি মিথ্যা প্রতিপন্ন করে৷ না যেন ৷ কারণ

রাজাকে আমি জ৷ ৷নিয়েছি যে, তুমি আমার বোন হও ৷ মনে কর যে, এ পৃথিবীর বুকে আমি এবং
আল বিদায়৷ ওয়ান নিহড়ায়া ( ১ম খগ্যে)ধ্ প্লু৪


الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهِ مُخْتَصَرًا. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي كَلِمَاتِ إِبْرَاهِيمَ الثَّلَاثِ الَّتِي قَالَ: «مَا مِنْهَا كَلِمَةٌ إِلَّا مَاحَلَ بِهَا عَنْ دِينِ اللَّهِ، فَقَالَ: {إِنِّي سَقِيمٌ} [الصافات: 89] وَقَالَ: {بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا} [الأنبياء: 63] وَقَالَ لِلْمَلِكِ حِينَ أَرَادَ امْرَأَتَهُ: هِيَ أُخْتِي» . فَقَوْلُهُ فِي الْحَدِيثِ «. هِيَ أُخْتِي» . أَيْ فِي دِينِ اللَّهِ، وَقَوْلُهُ لَهَا «إِنَّهُ لَيْسَ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِي وَغَيْرَكِ» . يَعْنِي زَوْجَيْنِ مُؤْمِنَيْنِ غَيْرِي وَغَيْرَكِ، وَيَتَعَيَّنُ حَمْلُهُ عَلَى هَذَا؛ لِأَنَّ لُوطًا كَانَ مَعَهُمْ، وَهُوَ نَبِيٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَوْلُهُ لَهَا لَمَّا رَجَعَتْ إِلَيْهِ: مَهْيَمْ؟ مَعْنَاهُ مَا الْخَبَرُ فَقَالَتْ: «. إِنَّ اللَّهَ رَدَّ كَيْدَ الْكَافِرِ» . وَفِي رِوَايَةٍ «الْفَاجِرِ» . وَهُوَ الْمَلِكُ «. وَأَخْدَمَ جَارِيَةً» . وَكَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ وَقْتِ ذُهِبَ بِهَا إِلَى الْمَلِكِ قَامَ يُصَلِّي لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَيَسْأَلُهُ أَنْ يَدْفَعَ عَنْ أَهْلِهِ، وَأَنْ يَرُدَّ بَأْسَ هَذَا الَّذِي أَرَادَ أَهْلَهُ بِسُوءٍ، وَهَكَذَا فَعَلَتْ هِيَ أَيْضًا كُلَّمَا أَرَادَ عَدُوُّ اللَّهِ أَنْ يَنَالَ مِنْهَا أَمْرًا قَامَتْ إِلَى وُضُوئِهَا وَصَلَاتِهَا، وَدَعَتِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا تَقَدَّمَ مِنَ الدُّعَاءِ الْعَظِيمِ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ} [البقرة: 45] . فَعَصَمَهَا اللَّهُ وَصَانَهَا لِعِصْمَةِ عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ وَحَبِيبِهِ وَخَلِيلِهِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
পৃষ্ঠা - ৩৫০


তুমি ছাড়া আর কোন মু’মিন নেই ৷ সারাহ্ রাজার দরবারে পৌছলে সে সারাহ্র দিকে অগ্রসর
হল ৷ সারাহ্ তখন অযু করে সালাত আদায় করতে উদ্যত হলেন এবং নিম্নের দুআটি পড়লেন-
নৌ ১৷ ৷ ৷

অর্থাৎ হে আল্লাহ ! আপনি অবশ্যই অবগত আছেন যে, আমি আপনার উপর ও আপনার
রাসুলের উপর ঈমান এসেছি ৷ আমার স্বামী ব্যতীত অন্য সবার থেকে আমার লজ্জাস্থানকে
হিফাজত করেছি ৷ অতএব, কোন কাফিরকে আমার উপর হস্তক্ষেপ করতে দেবেন না ৷ ’

জালিম রাজাকে তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এমনভাবে টুটি চেপে ধরা হলো যে, পায়ের
সাথে পা ঘর্ষণ করে ছট্ফাট্ করতে লাগলো ৷ আবুয যিনাদ (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বলেন,
সারাহ্ তখন পুনরায় দুআ করেন, হে আল্লাহ! লোকটি এভাবে মারা গেলে লোকে বলবে
আমিই তাকে হত্যা করেছি ৷ অতএব, রাজা শাস্তি থেকে মুক্তিলাভ করল ৷ কিন্তু পুনরায় রাজা
তার দিকে, অগ্রসর হলো ৷ সারাহ্ও পুর্বের ন্যায় অয়ু ও সালাত শেষে ঐ দুআটি পড়লেন ৷ রাজা
পুনরায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ছট্ফট্ করতে থাকে ৷ এ দেশে সারাহ্ বললেন, “হে আল্লাহ ! এ যদি মারা
যায় তবে লোকে বলবে ঐ মহিলাটিই তাকে হত্যা করেছে ৷” অতঃপর যে মুক্তি লাভ করে ৷ এ
ভাবে তৃতীয় বা চতুর্থ বারের পর জালিম রাজা তার লোকদেরকে ডেকে বলল, তোমরা আমার
কাছে তো একটা দানবী পাঠিয়েছ ৷ একে ইবরাহীমের নিকট ফিরিয়ে দাও আর হাজেরাকেও এর
সাথে দিয়ে দাও ৷ বিবি সারাহ্ ফিরে এসে হযরত ইবরাহীম (আ)-কে জানালেন, আপনি কি
জানতে পেরেছেন, আল্লাহ কাফিরদের চক্রাভ ব্যর্থ করে দিয়েছেন এবং ঐ জালিম একজন
দাসীকেও দান করেছে ? কেবল ইমাম আহমদ (র) এই সুত্রে হাদীসটি বংনাি করেছেন, অবশ্য
সহীহ সনদের শর্ত অনুযায়ী ৷ ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে মারফুভাবে হাদীসটি

ৎাকক্ষিপ্ত কাংর বংনাি ৷করেছেন ৷ ইবন আবী হাতিম আবু সাঈদ (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন৪ হযরত ইবরাহীম (আ) যে তিনটি কথা বলেছিলেন তার প্রতিটিই
আল্লাহ্র দীনের গ্রন্থি উম্মোচন করে ৷ তার প্রথম কথাং : ছুট্রু ব্লু০শু^ ক্লে৷ ৷ (আমি পীডি৩ ) দ্বিভীয়
কথা০ ৷১১ণ্ ^ ’ং দ্বুট্রু০র্দু fi£’§ র্চুর্চু (বরং এদের বড়জনই এ কাজ করেছে), তৃতীয় কথা০ : যখন
রাজা তার ত্রীকে কামনা করেছিল তখন বলেছিলেন, ঞ্জ;;৷ ১ (সে আমার বোন) অর্থাং
আল্লাহর দীনের সম্পর্কে বোন ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) ত ৷র ত্রীকে বলেছিলেন-“ এ জগতে
আমি এবং তুমি ব্যতীত আর কো ন মু মিন নেই ৷” তার এ কথা ৷র অর্থ হল, আমরা ব্যতীত আর
কোন মু’মিন দম্পতি নেই ৷ এ ব্যাখ্যা এ জন্যে প্রয়োজন, যেহেতু হযরত লুত (আ) ও তখন
তাদের সফরসংগী ছিলেন আর তিনি ছিলেন একজন নবী ৷ বিবি সারাহ্ যখন জালিম বাদশাহর
নিকট যাওয়ার জন্যে রওয়ানা হন, তখন থেকেই হযরত ইবরাহীম (আ) সালাত আদায়ে রত
থাকেন এবং দু আ করতে থাকেন, যেন আল্লাহ তার ত্রীকে হিফা ৷জত করেন এবং জালিমের
কুমতলব ব্যর্থ করে দেন ৷ বিবি সারাহ্ও অনুরুপ আমল করেন ৷ আল্লাহর দৃশমন তাকে ধরতে
গেলে তিনি অযু করে সালাত আদায়ান্তে দুআ করেন ৷ আল্লাহ বলেন :





وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ إِلَى نُبُوَّةِ ثَلَاثِ نِسْوَةٍ؛ سَارَةَ، وَأُمِّ مُوسَى، وَمَرْيَمَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ أَنَّهُنَّ صَدِّيقَاتٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ وَأَرْضَاهُنَّ وَرَأَيْتُ فِي بَعْضِ الْآثَارِ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ كَشَفَ الْحِجَابَ فِيمَا بَيْنَ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَبَيْنَهَا فَلَمْ يَزَلْ يَرَاهَا مُنْذُ خَرَجَتْ مِنْ عِنْدِهِ إِلَى أَنْ رَجَعَتْ إِلَيْهِ، وَكَانَ مُشَاهِدًا لَهَا وَهِيَ عِنْدَ الْمَلِكِ، وَكَيْفَ عَصَمَهَا اللَّهُ مِنْهُ؛ لِيَكُونَ ذَلِكَ أَطْيَبَ لِقَلْبِهِ وَأَقَرَّ لِعَيْنِهِ وَأَشَدَّ لِطُمَأْنِينَتِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ يُحِبُّهَا حُبًّا شَدِيدًا لِدِينِهَا، وَقَرَابَتِهَا مِنْهُ وَحُسْنِهَا الْبَاهِرِ، فَإِنَّهُ قَدْ قِيلَ: إِنَّهُ لَمْ تَكُنِ امْرَأَةٌ بَعْدَ حَوَّاءَ إِلَى زَمَانِهَا أَحْسَنَ مِنْهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَذَكَرَ بَعْضُ أَهْلِ التَّوَارِيخِ: أَنَّ فِرْعَوْنَ مِصْرَ هَذَا كَانَ أَخًا لِلضَّحَّاكِ الْمَلِكِ الْمَشْهُورِ بِالظُّلْمِ، وَكَانَ عَامِلًا لِأَخِيهِ عَلَى مِصْرَ. وَيُقَالُ: كَانَ اسْمُهُ سِنَانَ بْنَ عِلْوَانَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُوجِ بْنِ عِمْلَاقِ بْنِ لَاوَذَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، وَذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ فِي التِّيجَانِ أَنَّ الَّذِي أَرَادَهَا عَمْرُو بْنُ امْرِئِ الْقَيْسِ بْنِ بَايلبونَ بْنِ سَبَأٍ، وَكَانَ عَلَى مِصْرَ نَقَلَهُ السُّهَيْلِيُّ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ إِنَّ الْخَلِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ رَجَعَ مِنْ بِلَادِ مِصْرَ إِلَى أَرْضِ التَّيَمُّنِ، وَهِيَ الْأَرْضُ الْمُقَدَّسَةُ الَّتِي كَانَ فِيهَا، وَمَعَهُ أَنْعَامٌ وَعَبِيدٌ وَمَالٌ جَزِيلٌ، وَصَحِبَتْهُمْ هَاجَرُ الْقِبْطِيَّةُ الْمِصْرِيَّةُ، ثُمَّ إِنَّ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ نَزَحَ بِمَا لَهُ مِنَ الْأَمْوَالِ الْجَزِيلَةِ بِأَمْرِ الْخَلِيلِ لَهُ فِي ذَلِكَ إِلَى أَرْضِ الْغَوْرِ، الْمَعْرُوفِ بِغَوْرِ زُغَرَ، فَنَزَلَ بِمَدِينَةَ سَدُومَ، وَهِيَ أُمُّ تِلْكَ الْبِلَادِ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَكَانَ أَهْلُهَا أَشْرَارًا كُفَّارًا فُجَّارًا،
পৃষ্ঠা - ৩৫১


(আমরা ধৈর্য ও সালাত দ্বারা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর ৷ (২ বাকারা : ৪৫) ৷ এভাবে আল্লাহ
তার খলীল , হাবীব, রাসুল ও বান্দার খাতিরে তার ত্রীর সক্সম রক্ষা করলেন ৷

কোন কোন বিজ্ঞ আলিমের মতে, তিনজন মহিলা নবী ছিলেন (১) সারাহ্ (২) হযরত মুসা
(আ)-এব যা, (৩) মারয়াম ৷ কিন্ডু অধিকাৎ শের মতে, তারা তিনজন সিদ্দীকা (সত্যপরায়ণা)
(আল্লাহ্ তাদের প্রতি প্রসন্ন হোন) ছিলেন ৷ আমি কোন কোন বর্ণনায় দেখেছি বিবি সারাহ্
যখন ইবরাহীম (আ)-এব নিকট থেকে জালিম বাদশাহর কাছে যান, তখন থেকে র্তার ফিরে
আসা পর্যন্ত আল্লাহ ইবরাহীম (আ) ও সারাহ্র মধ্যকার পর্দা উঠিয়ে নেন ৷ ফলে রাজার কাছে ,
তার থাকাকা ৷লীন যা যা যটছিল সবই তিনি প্রত ত্যক্ষ করছিলেন ৷ আল্লাহ এ ব্যবস্থা করেছিলেন
যাতে ইব্রাহীম (আ) এর হৃদয় পবিত্র থাকে চক্ষু শীতল থাকে এবংত তিনি অস্তরে প্রশান্তি বোধ
করেন ৷ কেননা, হযরত ইবরাহীম (আ) সারাহ্কেত তার দীনের জন্যে, আত্মীয়ত ৷র সম্পর্কের
জন্যে ও অনুপম সৌন্দর্যের জন্যে তাকে প্রগাঢ় মহব্বত করতেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, বিবি
হাওয়ার পর থেকে সারাহ্র যুগ পর্যন্ত তার চাইতে অধিক সুন্দরী কোন নারীর জন্ম হয়নি ৷
সকল প্রশংসা আল্লাহরই ৷

কোন কোন ইতিহাসবিদ লিখেছেন, এই সময়ে মিসরের ফিরআউন ছিল বিখ্যাত জালিম
বাদশাহ জাহ্হাকের ভাই ৷ সেত তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে মিসরের শাসনকর্তা ৷ছিল ৷ তার নাম
কেউ বলেন সিনান ইবন আলওযান ইবন উবায়দ ইবন উওয়ায়জ ইবন আমলাক ইবন লাওদ
ইবন নাম ইবন নুহ ৷ ইবন হিশাম ভীজা ন’ নামক গ্রন্থে বলেছেন, যে রাজা সারাহ্র উপর লোড
করেছিলত ৷র নাম আমর ইবন ইমরুল কায়স ইবন ম ইলুন ইবন সারা ৷ সে মিসরের
শাসনকর্তাছিল ৷ সুহায়লী (র) এ তথ্য বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সম্যক জ্ঞাত ৷

অতঃপর হযরত ইবরাহীম (আ) মিসর থেকে তীর পুর্ববর্তী বাসস্থান বরকতের দেশ তথা
বায়ভুল মুকাদ্দাসে যান ৷ তার সাথে বহু পশু সম্পদ, গোলাম, বীদী ও ধনসম্পদ ছিল ৷ মিসরের
কিবতী বংশোদ্ভুত হাজেরাও সাথে ছিলেন ৷ এই সময় হযরত লুত (আ) র্তার ধন-সম্পদসহ
হযরত ইবরাহীম (আ)-এর আদেশক্রমে পাওব দেশে চলে যান ৷ পাওরে-যাগার নামে এ
স্থানটি প্রসিদ্ধ ছিল ৷ তিনি সে অঞ্চলে ঐ যুগের প্রসিদ্ধ শহর সাদ্দুমে অবতরণ করেন ৷ শহরের
বাসিন্দার৷ ছিল কাফির, পাপাসক্ত ও দুকুতকারী ৷ আল্লাহ্ তাআলা হযরত ইবরাহীম (আ) কে
দৃষ্টি প্রসারিত করে উত্তর, দক্ষিণ, পুর্ব ও পশ্চিমে তাকাত্তুত বলেন এবং সু-সৎবাদ দেন যে, এই
সমুদয় স্থান তোমাকে ও তোমার উত্তরসুরিদেরকে চিরদিনের জন্য দান করব ৷ তোমার
সন্তানদের সংখ্যা এত বৃদ্ধি করে দেব যে, তাদের সংখ্যা পৃথিবীর বালুকণার সংখ্যার সমান হয়ে
যাবে ৷ এই সুসৎবাদ পুর্ণ মাত্রায় প্রতিফলিত হয়, বিশেষ করে এই উম্মতে মুহাম্মদিয়ার ক্ষেত্রে ৷
একটি হাদীস থেকে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনষ্ক আল্লাহ আমার সম্মুখে পৃথিবীর এক অৎশকে ঝুকিয়ে দেন ৷
আমিত ৷র পুর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত দেখে নিলাম ৷ অচিরেই আমার উম্মতের রাজতু এই দেখান
সীমানা পর্যন্ত বিস্তার লা ৩ করবে ৷ ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন, কিছুদিন পর ঐ দুরাচার লোকেরা
হযরত লুত (আ)-এব উপর চড়াও হয় এবং তীর পশু ও ধন-সম্পদ কেড়ে নিয়ে তাকে বন্দী


وَأَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ يَأْمُرُهُ أَنْ يَمُدَّ بَصَرَهُ، وَيَنْظُرَ شَمَالًا وَجَنُوبًا وَشَرْقًا وَغَرْبًا، وَبَشَّرَهُ بِأَنَّ هَذِهِ الْأَرْضَ كُلَّهَا سَأَجْعَلُهَا لَكَ، وَلِخَلَفِكَ إِلَى آخِرِ الدَّهْرِ، وَسَأُكْثِرُ ذُرِّيَّتَكَ حَتَّى يَصِيرُوا بِعَدَدِ تُرَابِ الْأَرْضِ، وَهَذِهِ الْبِشَارَةُ اتَّصَلَتْ بِهَذِهِ الْأُمَّةِ، بَلْ مَا كَمَلَتْ وَلَا كَانَتْ أَعْظَمَ مِنْهَا فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ الْمُحَمَّدِيَّةِ، يُؤَيِّدُ ذَلِكَ قَوْلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الْأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَسَيَبْلُغُ مُلْكُ أُمَّتِي مَا زَوَى لِي مِنْهَا» . قَالُوا: ثُمَّ إِنَّ طَائِفَةً مِنَ الْجَبَّارِينَ تَسَلَّطُوا عَلَى لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَأَسَرُوهُ، وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُ وَاسْتَاقُوا أَنْعَامَهُ، فَلَمَّا بَلَغَ الْخَبَرُ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَارَ إِلَيْهِمْ فِي ثَلَاثِمِائَةٍ وَثَمَانِيَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَاسْتَنْقَذَ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَاسْتَرْجَعَ أَمْوَالَهُ، وَقَتَلَ مِنْ أَعْدَاءِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ خَلْقًا كَثِيرًا وَهَزَمَهُمْ، وَسَاقَ فِي آثَارِهِمْ حَتَّى وَصَلَ إِلَى شَمَالِيِّ دِمَشْقَ، وَعَسْكَرَ بِظَاهِرِهَا عِنْدَ بَرْزَةَ، وَأَظُنُّ مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ الْمَنْسُوبَ إِلَيْهِ بِبَرْزَةَ الْيَوْمَ إِنَّمَا سُمِّيَ؛ لِأَنَّهُ كَانَ مَوْضِعَ مَوْقِفِ جَيْشِ الْخَلِيلِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ رَجَعَ مُؤَيَّدًا مَنْصُورًا إِلَى بِلَادِهِ، وَتَلَقَّاهُ مُلُوكُ بِلَادِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ مُعَظِّمِينَ لَهُ مُكْرِمِينَ خَاضِعِينَ، وَاسْتَقَرَّ بِبِلَادِهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৫২


করে রাখে ৷ এ সংবাদ হযরত ইবরা হীম (আ) এর নিকট পৌছলে তিনি তিনশ’ আঠ৷ ৷রজন সৈন্য
নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করেন এবং লুত (আ) কে উদ্ধার করেন তার সম্পদ ফিরিয়ে
আনেন ৷ আল্লাহ ও তার রাসুলের বিপুল স ×খ্যক শত্রুকে হত্যা করেন ৷ শত্রু বাহিনীকে পরাজিত
করেন ও , তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেত তিনি৷ দ ৷মেশকের পুর্ব প্রান্ত পর্যন্ত পৌছেন ৷ শহরের উপকণ্ঠে
ব্ারযাহ্ নামক স্থানে সেনা ছাউনি স্থাপন করেন ৷ আমার ধারণা-; এই স্থানকে “মাকামে
ইব্রাহীম” বলার কারণ এটাই যে , এখানে ইব্রাহীম খলীলুল্লাহর সৈন্য বাহিনীর শিবির ছিল ৷

তারপর হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর সাহায্যপুষ্ট অবস্থায় বিজয়ীর বেশে নিজ দেশে
প্রত্যাবর্তন করেন ৷ বায়তৃল মুকাদ্দাসের শহরসমুহের শাসকবর্গ শ্রদ্ধাভরে ও বিনীতভাবে এসে
তাকে অভ্যর্থাং৷ জানান ৷ তিনি সেখানেই বসবাস করতে থাকেন ৷

হাজেরার গর্ভে ইসমাঈল (আ) এর জন্ম প্রসঙ্গ

আহ্লি কিতাবদের বর্ণনা মতে হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর নিকট সুসন্তানের জন্য

দুআ করেন ৷ আল্লাহত তাকে এ বিষয়ে সৃসৎ বাদ দানও করেন ৷ কিন্তু এরপর বায়তৃল মুকাদ্দাসে

তার বিশটি বছর অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ এ সময় একদিন সারাহ্ হযরত তইবরাহীম (আ) কে
বললেন, আমাকে তে৷ আল্লাহ সন্তান থেকে বঞ্চিতই রেখেছেন ৷ সুতরাং আপনি আমার বাদীয়
সাথে মিলিত হন ৷৩ তার গর্ভে আল্লাহ আমাকে একটা সন্তান দিতেও পারেন ৷ সারাহ্ হাজেরাকে
ইব্রাহীমের জন্যে হেব৷ করে দিলে ইব্রাহীম (আ) তার সাথে মিলিত হন ৷ তাতে হাজেরা
সন্তান-সম্ভবা হন ৷ এতে আহ্লি কিতাবগণ বলে থাকেন, হড়াজেরা অনেকটা গৌরব্বােধ করেন
এবং আপন মনিব স ৷রাহ্র তুলনায় নিজেকে ভাগ্যবতী বলে মনে করতে থাকেন ৷ সারাহ্র মধ্যে
আত্মমর্যাদা বোধ জাগ্রত হয় এবংত তিনি এ সম্পর্কে ইব্রাহীম (আ) এর নিকট অভিযোগ করেন ৷
জবাবে ইব্রাহীম (আ) বললেন, “তার ব্যাপারে তুমি যে কোন পদক্ষেপ নিতে চাও নিতে
পার ৷” এতে হড়াজেরা শংকিত হয়ে পলায়ন করেন এবং অদুরেই এক কুপের নিকটে অবতরণ
করেন ৷ সেখানে জনৈক ফেরেশতা তাকে বলে দেন যে, তুমি ভয় পেয় না; যে সন্তান তুমি
ধারণ করেছ আল্লাহ তাকে পৌরবময় করবেন ৷ ফেরেশতা তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন
এবং সৃস× বাদ দেন যে, তুমি পুত্র-সন্তান প্রসব করবে ৷ তার নাম রাখবে ইসমাঈল ৷ সে হয়ে
এক অনন্য সাধারণ ব্যক্তিতৃ ৷ সকল লোকের উপর তার প্রভাব থাকবে এবং অন্য সবাই তার
দ্বারা শক্তির প্রেরণা পাবে ৷ সে তার ভাইদের কর্তৃত্াধীন সমস্ত এলাকার অধিকারী হবে ৷ এসব
শুনে হড়াজেরা আল্লাহর শুকরিয়৷ আদায়করেন ৷ এই সৃসৎবাদ হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর
অবঃস্তন সন্তান মুহাম্মদ (না)-এর ক্ষেত্রে পুর্ণমাত্রায় প্রযোজ্য ৷ কেননা, গোটা আরব জাতি তার
দ্বারা গৌরবের অধিকারী হয় ৷ পুর্ব-পশ্চিমের সমস্ত এলাকায় তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
তাকে আল্লাহ এমন উন্নত ও কল্যাণকর শিক্ষা এবং সৎকর্ম-কুশলতা দান করেন যা পুর্বে কোন
উম্মতকেই দেওয়া হয়নি ৷ আরব জাত ৷তির এ মর্যাদা পাওয়ার কারণ হচ্ছে তাদের রাসলেল <
যিনি হচ্ছেন নবীকুল শিরােমণি ৷৩ তার রিস৷ লোড হচ্ছে বরকতময় ৷ তিনি হলেন চ
জন্যে রাসুল ৷ তার আনীত আদর্শ হচ্ছে পুণ্যত তম আদর্শ ৷ হাজেরা ঘরে যে


[ذِكْرُ مَوْلِدِ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ هَاجَرَ] قَالَ أَهْلُ الْكِتَابِ: إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَأَلَ اللَّهَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً، وَأَنَّ اللَّهَ بَشَّرَهُ بِذَلِكَ، وَأَنَّهُ لَمَّا كَانَ لِإِبْرَاهِيمَ بِبِلَادِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ عَشْرُ سِنِينَ، قَالَتْ سَارَةُ لِإِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: إِنَّ الرَّبَّ قَدْ أَحْرَمَنِي الْوَلَدَ، فَادْخُلْ عَلَى أَمَتِي هَذِهِ لَعَلَّ اللَّهَ يَرْزُقُنَا مِنْهَا وَلَدًا. فَلَمَّا وَهَبَتْهَا لَهُ دَخَلَ بِهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَحِينَ دَخَلَ بِهَا حَمَلَتْ مِنْهُ. قَالُوا: فَلَمَّا حَمَلَتِ ارْتَفَعَتْ نَفْسُهَا وَتَعَاظَمَتْ عَلَى سَيِّدَتِهَا، فَغَارَتْ مِنْهَا سَارَةُ فَشَكَتْ ذَلِكَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ لَهَا: افْعَلِي بِهَا مَا شِئْتِ. فَخَافَتْ هَاجَرُ فَهَرَبَتْ فَنَزَلَتْ عِنْدَ عَيْنٍ هُنَاكَ، فَقَالَ لَهَا مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ: لَا تَخَافِي فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ مِنْ هَذَا الْغُلَامِ الَّذِي حَمَلْتِ خَيْرًا. وَأَمَرَهَا بِالرُّجُوعِ، وَبَشَّرَهَا أَنَّهَا سَتَلِدُ ابْنًا وَتُسَمِّيهِ إِسْمَاعِيلَ، وَيَكُونُ وَحْشَ النَّاسِ، يَدُهُ عَلَى الْكُلِّ، وَيَدُ الْكُلِّ بِهِ، وَيَمْلِكُ جَمِيعَ بِلَادِ إِخْوَتِهِ، فَشَكَرَتِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى ذَلِكَ. وَهَذِهِ الْبِشَارَةُ إِنَّمَا انْطَبَقَتْ عَلَى وَلَدِهِ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ الَّذِي سَادَتْ بِهِ الْعَرَبُ، وَمَلَكَتْ جَمِيعَ الْبِلَادِ غَرْبًا وَشَرْقًا، وَأَتَاهَا اللَّهُ مِنَ الْعِلْمِ النَّافِعِ وَالْعَمَلِ الصَّالِحِ مَا لَمْ يُؤْتِ أُمَّةً مِنَ الْأُمَمِ قَبْلَهُمْ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا بِشَرَفِ رَسُولِهَا عَلَى سَائِرِ الرُّسُلِ وَبَرَكَةِ رِسَالَتِهِ وَيُمْنِ بِشَارَتِهِ وَكَمَالِهِ فِيمَا جَاءَ بِهِ. وَعُمُومِ بَعْثَتِهِ لِجَمِيعِ أَهْلِ الْأَرْضِ.
পৃষ্ঠা - ৩৫৩
وَلَمَّا رَجَعَتْ هَاجَرُ وَضَعَتْ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالُوا: وَلَدَتْهُ وَلِإِبْرَاهِيمَ مِنَ الْعُمُرِ سِتٌّ وَثَمَانُونَ سَنَةً قَبْلَ مَوْلِدِ إِسْحَاقَ بِثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَلَمَّا وُلِدَ إِسْمَاعِيلُ أَوْحَى اللَّهُ إِلَى إِبْرَاهِيمَ يُبَشِّرُهُ بِإِسْحَاقَ مِنْ سَارَةَ فَخَرَّ لِلَّهِ سَاجِدًا. وَقَالَ لَهُ: قَدِ اسْتَجَبْتُ لَكَ فِي إِسْمَاعِيلَ، وَبَارَكْتُ عَلَيْهِ وَكَثَّرْتُهُ وَنَمَّيْتُهُ جَدًّا كَبِيرًا، وَيُولَدُ لَهُ اثْنَا عَشَرَ عَظِيمًا، وَأَجْعَلُهُ رَئِيسًا لِشَعْبٍ عَظِيمٍ. وَهَذِهِ أَيْضًا بِشَارَةٌ بِهَذِهِ الْأُمَّةِ الْعَظِيمَةِ، وَهَؤُلَاءِ الِاثْنَا عَشَرَ عَظِيمًا هُمُ الْخُلَفَاءُ الِاثْنَا عَشَرَ الْمُبَشَّرُ بِهِمْ فِي حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَكُونُ اثْنَا عَشَرَ أَمِيرًا» . ثُمَّ قَالَ: كَلِمَةٌ لَمْ أَفْهَمْهَا فَسَأَلْتُ أَبِي مَا قَالَ؟ قَالَ: «كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . أَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ، وَفِي رِوَايَةٍ «لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ قَائِمًا» . وَفِي رِوَايَةٍ «عَزِيزًا حَتَّى يَكُونَ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . فَهَؤُلَاءِ مِنْهُمُ الْأَئِمَّةُ الْأَرْبَعَةُ؛ أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَمِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَيْضًا، وَمِنْهُمْ بَعْضُ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ اثْنَيْ عَشَرَ نَسَقًا، بَلْ لَا بُدَّ مِنْ وُجُودِهِمْ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ الْأَئِمَّةَ الِاثْنَيْ عَشَرَ الَّذِي يَعْتَقِدُ فِيهِمْ الرَّافِضَةُ الَّذِينَ أَوَّلُهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَآخِرُهُمُ الْمُنْتَظِرُ بِسِرْدَابِ سَامَرَّا، وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَسْكَرِيُّ فِيمَا يَزْعُمُونَ، فَإِنَّ أُولَئِكَ لَمْ يَكُنْ فِيهِمْ أَنْفَعُ مِنْ عَلِيٍّ وَابْنِهِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ تَرَكَ الْقِتَالَ وَسَلَّمَ الْأَمْرَ لِمُعَاوِيَةَ، وَأَخْمَدَ نَارَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৪


ইসমাঈল (আ) ভুক্ষিষ্ঠ হন ৷ এ সময় ইবরাহীম (আ)-এর বয়স হয়েছিল ছিয়াশি বছর ৷ এটা
হচ্ছে ইসহাক (আ) এর জন্মের (তর বছর পুর্বের ঘটনা ৷ ইসমাঈল (আ) এর জন্মের পর

আল্লাহ হযরত ইবরাহীম (আ) কে স ৷রাহ্র গর্ভে ইসহাক নামের সন্তান জন্মের সুসং বাদ দেন ৷
ইবরাহীম (আ) খনত আল্লাহর উদ্দেশে গােকরানা সিজদা আদায় করেন ৷ আল্লাহ তাকে জানান
যে, আমি তোমার দুআ ইসমাঈব্লুলর পক্ষে কবুল করেছি ৷ তাকে বরকত দান করেছি ৷ তার

ৎশের বিন্তুতি দান করেছি ৷ তার সন্তানদের মধ্য থেকে বারজন প্রধাব্লুনর জন্ম হবে ৷ তাকে
আমি বিরাট সম্প্রদায়ের প্রধান করব ৷ এটাও এই উম্মণ্ডে তর জন্যে একটা সুসংবা-দ ৷ বারজন
প্রধান হলেন সেই বারজন খলীফাব্লুয় রাশিদা যাদের কথা জাবির ইবন সামুরা সুত্রে বর্ণিত
হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে যে, নবী করীম (সা) বলেছেন, বারজন
আমীর হবে ৷ জাবির (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এরপর একটা শব্দ বলেছেন, কিন্তু আমি তা
বুঝতে পারিনি ৷ তাই সে সম্পর্কে আমার পিতার কাছে জিজ্ঞেস করি ৷ তিনি বললেন, রাসুলের
সে শব্দটি হল শুষ্টন্-ন্-ন্ ঠো ৭স্পাহ্র অর্থাৎ তারা সবাই হবেন কুরায়শ গোত্রের লোক ৷ বুখারী
ও মুসলিম এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে :

ধু

অর্থাৎ এই খিলাফত বারজন খলীফ৷ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত বা শক্তিশালী থাকব্লুব এরা সবাই
হবে কুরায়শ গোত্রের লোক ৷ উক্ত বারজব্লুনর মধ্যে চারজন হলেন প্রথম চার খলীফা আবু বকর
(রা), উমর (রা), উসমান (রা) ও আলী (বা); একজন উমর ইবন আবদুল আযীয (র);
কতিপয় বনী আব্বাসীয় খলীফা ৷ বারজন খলীফা ধারাবাহিকভাবে হতে হবে এমন কোন কথা
নাই, বরং যে ব্লুকানভাব্লুব বারজব্লুনর বিদ্যমান হওয়াটাই জরুরী ৷ উল্লিখিত বারজন ইমাম
রাফিজী সম্প্রদা ব্লুয়র কথিত বার ইমাম’ নয়- যাদের প্রথমজন আ ৷লী ইবন তালিব (বা) আর
শেষ ইমাম মুহাম্মদ ইবন হাসান আসকা রী ৷ এই শেষোক্ত ইমাব্লুমর ব্যাপারে তাদের বিশ্বাস এই
যে, তিনি সামেরার একটি ভুগর্ভস্থ প্রকোষ্ঠ থেকে তিনি বের হয়ে আসব্লুবন এরা তার
প্রতীক্ষায় আছে ৷ কারণ এই ইমামগণ হযরত আলী (রা) ও তার পুত্র হাসান ইবন আ ৷লী (বা)
অপেক্ষা অধিকতর কল্যাণকামী হতে পারেন না ৷ বিশেষ করে যখন স্বয়ং হাসান ইবন আলী
(বা) যুদ্ধ পরিত্যাগ করে হযরত মুআবিয়া (রা) এর অনুকুলে খিলাফত ত্যাগ করেন ৷ যার ফলে
ফিৎনার আগুন নির্বাপিত হয়, মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক গৃহযুদ্ধ বন্ধ হয় ৷ অবশিষ্ট
ইমামগণ তো অন্যদের শাসনাধীন ছিলেন ৷ উম্মব্লু৩ র উপরে ব্লুক ন বিষব্লুয়ই তাদের কোন
আধিপত্য ছিল না ৷ সামিরার ভুগর্ভন্থিত প্রব্লুকাষ্ঠ সম্পর্কে রাফিজীদের যে বিশ্বাসত ৷নিতান্ত
অবাস্তব কল্পনা ও হেয়ালীপনা ছাড়া আর কিছুই নয়, এর কো ন৬ ভিত্তি নেই ৷

হা৷জেরার গর্ভে ইসমাঈল (আ)-এর জন্ম হলে সারাহ্র ঈর্ষা পায় ৷ তিনি হযরত ইবরাহীম
(আ) এর নিকট আবেদন জানান, যাব্লুত হাজেরাব্লুক তার চোখের আড়াল করে দেন ৷ সুতরাং
ইবরাহীম (আ) হাজেরা ও তার পুত্রব্লুক নিয়ে বের হয়ে পড়েন এবং মক্কায় নিয়ে রাখেন ৷ বলা
হয়ে থাকে যে, ইসমাঈল (আ) তখন দুধের শিশু ছিলেন ৷ ইবরাহীম (আ) যখন তাদেরকে


الْفِتْنَةِ، وَسَكَّنَ رَحَى الْحُرُوبِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَالْبَاقُونَ مِنْ جُمْلَةِ الرَّعَايَا لَمْ يَكُنْ لَهُمْ حُكْمٌ عَلَى الْأُمَّةِ فِي أَمْرٍ مِنَ الْأُمُورِ، وَأَمَّا مَا يَعْتَقِدُونَهُ بِسِرْدَابِ سَامَرَّا فَذَاكَ هَوَسٌ فِي الرُّءُوسِ، وَهَذَيَانٌ فِي النُّفُوسِ لَا حَقِيقَةَ لَهُ وَلَا عَيْنَ وَلَا أَثَرَ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَاجَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَمَّا وُلِدَ لَهَا إِسْمَاعِيلُ اشْتَدَّتْ غَيْرَةُ سَارَةَ مِنْهَا، وَطَلَبَتْ مِنَ الْخَلِيلِ أَنْ يُغَيِّبَ وَجْهَهَا عَنْهَا، فَذَهَبَ بِهَا وَبِوَلَدِهَا فَسَارَ بِهِمَا حَتَّى وَضَعَهُمَا حَيْثُ مَكَّةَ الْيَوْمَ، وَيُقَالُ: إِنَّ وَلَدَهَا كَانَ إِذْ ذَاكَ رَضِيعًا، فَلَمَّا تَرَكَهُمَا هُنَاكَ وَوَلَّى ظَهْرَهُ عَنْهُمَا قَامَتْ إِلَيْهِ هَاجَرُ وَتَعَلَّقَتْ بِثِيَابِهِ، وَقَالَتْ: يَا إِبْرَاهِيمُ أَيْنَ تَذْهَبُ، وَتَدَعُنَا هَاهُنَا، وَلَيْسَ مَعَنَا مَا يَكْفِينَا؟ فَلَمْ يُجِبْهَا، فَلَمَّا أَلَحَّتْ عَلَيْهِ وَهُوَ لَا يُجِيبُهَا قَالَتْ لَهُ: آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَتْ: فَإِذًا لَا يُضَيِّعُنَا. وَقَدْ ذَكَرَ الشَّيْخُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي زَيْدٍ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي كِتَابِ النَّوَادِرِ: أَنَّ سَارَةَ تَغَضَّبَتْ عَلَى هَاجَرَ فَحَلَفَتْ لَتَقْطَعَنَّ ثَلَاثَةَ أَعْضَاءٍ مِنْهَا، فَأَمَرَهَا الْخَلِيلُ أَنْ تَثْقُبَ أُذُنَيْهَا وَأَنْ تَخْفِضَهَا فَتَبَرَّ قَسَمُهَا. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: فَكَانَتْ أَوَّلَ مَنِ اخْتَتَنَ مِنَ النِّسَاءِ، وَأَوَّلَ مَنْ ثَقَبَتْ أُذُنَيْهَا مِنْهُنَّ، وَأَوَّلَ مَنْ طَوَّلَتْ ذَيْلَهَا.
পৃষ্ঠা - ৩৫৫


সেখানে রেখে ফিরে আসার জন্যে উদ্যত ৩হলেন, তখন হাজেরা উঠে তার কাপড় জড়িয়ে ধরে
বললেন, হে ইবরাহীম ৷ আমাদেরকে এখানে খাদ্য-রসদহীন অবস্থায় রেখে কোথায় যাচ্ছেন?
ইবরাহীম (আ) কোন উত্তর দিলেন না, বারবার পীড়াপীড়ি করা সত্বেও তিনি যখন জওয়াব
দিলেন না, তখন হাজেরা জিজ্ঞেস করলেন ও আল্লাহ কি এরুপ করতে আপনাকে আদেশ
করেছেনঃ’ ইবরাহীম (আ) বললেন, হীা’ ৷ হাজেরা বললেন : তাহলে আর কোন ভয় নেই ৷
তিনি আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না ৷ ’ শায়খ আবু মুহাম্মদ ইবন আবী যায়দ (র) নাওয়াদির’
কিতাবে লিখেছেন : সারাহ্ হাজেরার উপর ক্রুদ্ধ হয়ে কসম করলেন যে, তিনি তার তিনটি
অঙ্গ ছেদন করবেন ৷ ইবরাহীম (আ) বললেন, দুটি কান ছিদ্র করে দাও ও খাৎনা করিয়ে দাও
এবং কসম থেকে মুক্ত হয়ে যাও ৷ সুহায়লী বলেছেন : এই হাজেরাই সর্বপ্রথম নারী যার খাৎনা
করা হয়েছিল, সর্বপ্রথম যার উভয় কান স্থির করা হয় এবং তিনিই সর্বপ্রথম দীর্ঘ তাচল ব্যবহার
করেন ৷

ইসমাঈল (আ) ও হাজেরাকে নিয়ে হযরত ইবরাহীম (আ)-এর ফারান
পর্বতমালা তথা মক্কা ভুমিতে হিজরত ও কাবড়া গৃহ নির্মাণ

ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ও নারী জাতি সর্বপ্রথম কােমরবন্দ
ব্যবহার শিখে ইসমাঈল (আ) এর মায়ের নিকট থেকে ৷ হাজেরা কােমরবন্দ ব্যবহার করতেন
সারাহ্র দৃষ্টি থেকে নিজের পদচিহ্ন গোপন রাখার জন্যে ৷

হযরত ইবরাহীম (আ) হাজেরা ও ইসমাঈল (আ)-কে নিয়ে যখন মক্কায় যান, হাজেরা
তখন তার শিশু পুত্রকে দুধ পান করাতে ন ৷ মসজিদে হারমের উচু অংশে বায়তৃল্লাহর কাছে
যমযম কুপের নিকটে অবস্থিত একটি বড় গাছের নিচে তিনি তাদেরকে রেখে আসেন ৷ মক্কায়
তখন না ছিল কোন মানুষ, না ছিল কোন পানি ৷ এখানেই তিনি তাদেরকে রেখে এলেন ৷ একটি
থলের মধ্যে কিছু খেজুর ও একটি মশকে কিছু পানিও রাখলেন ৷৩ রতপর ইবরাহীম (আ)
যেদিক থেকে এসেছিলেন, সেদিকে ফিরে চললেন ৷ হাজেরাও তার পিছু পিছু ছুটে যান এবং
জিজ্ঞেস করেন : হে ইবরাহীম ! আমাদেরকে এই শুন্য প্রান্তরে রেখে কোথায় যাচ্ছেন? যেখানে
নেই কোন মানুষজন, নেই কোন খাদ্য পানীয় ৷ ’ হাজেরা বার বার একথা বলা সত্বেও ইবরাহীম
(আ) র্তার দিকে ফিরেও৩ কা৷লেন না ৷ তখন হাজেরা জিজ্ঞেস করলেন৪ আল্লাহ কি এরকম
করতে আপনাকে আদেশ করেছেনঃ ইবরাহীম (আ) বললেন, হ্যা’ ৷ হাজেরা বললেনং :
তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না ৷ ’ একথা বলে হাজেরা ফিরে অড়াসলেন এবং
ইবরাহীম (আ)-ও চলে গেলেন ৷ যখন তিনি ছানিয়া (গিরিপথ) পর্যন্ত পৌছলেন, যেখান থেকে
তাকে আর দেখা যাচ্ছিল না ৷ তখন তিনি কাব৷ ঘরের দিকে মুখ করে র্দাড়ালেন এবং দুহাত
তুলে নিম্নো ৷ক্ত দুআ পড়লেন :



,
)
স্পো ঞদ্বু






[ذِكْرُ مُهَاجَرَةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِابْنِهِ إِسْمَاعِيلَ وَأُمِّهِ هَاجَرَ إِلَى مَكَّةَ وَبِنَائِهِ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ] ذِكْرُ مُهَاجَرَةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِابْنِهِ إِسْمَاعِيلَ وَأُمِّهِ هَاجَرَ إِلَى جِبَالِ فَارَانَ وَهِيَ أَرْضُ مَكَّةَ وَبِنَائِهِ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، وَكَثِيرِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى الْآخَرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَوَّلَ مَا اتَّخَذَ النِّسَاءُ الْمِنْطَقَ مِنْ قِبَلِ أُمِّ إِسْمَاعِيلَ اتَّخَذَتْ مِنْطَقًا لِتُعْفِيَ أَثَرَهَا عَلَى سَارَةَ، ثُمَّ جَاءَ بِهَا إِبْرَاهِيمُ وَبِابْنِهَا إِسْمَاعِيلَ وَهِيَ تُرْضِعُهُ حَتَّى وَضَعَهُمَا عِنْدَ الْبَيْتِ عِنْدَ دَوْحَةٍ فَوْقَ زَمْزَمَ فِي أَعْلَى الْمَسْجِدِ، وَلَيْسَ بِمَكَّةَ يَوْمَئِذٍ أَحَدٌ، وَلَيْسَ بِهَا مَاءٌ فَوَضَعَهُمَا هُنَالِكَ وَوَضَعَ عِنْدَهُمَا جِرَابًا فِيهِ تَمْرٌ وَسِقَاءً فِيهِ مَاءٌ، ثُمَّ قَفَّى إِبْرَاهِيمُ مُنْطَلِقًا فَتَبِعَتْهُ أُمُّ إِسْمَاعِيلَ فَقَالَتْ: يَا إِبْرَاهِيمُ أَيْنَ تَذْهَبُ، وَتَتْرُكُنَا بِهَذَا الْوَادِي الَّذِي لَيْسَ فِيهِ إِنْسٌ وَلَا شَيْءٌ؟ فَقَالَتْ لَهُ ذَلِكَ مِرَارًا، وَجَعَلَ لَا يَلْتَفِتُ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ لَهُ: آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَتْ: إِذًا لَا يُضَيِّعُنَا. ثُمَّ رَجَعَتْ فَانْطَلَقَ إِبْرَاهِيمُ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ الثَّنِيَّةِ حَيْثُ لَا يَرَوْنَهُ اسْتَقْبَلَ بِوَجْهِهِ الْبَيْتَ، ثُمَّ دَعَا بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ وَرَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: {رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ} [إبراهيم: 37] .
পৃষ্ঠা - ৩৫৬


হে আমার প্রতিপালক ! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর
উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট ৷ হে আমাদের প্রতিপালক! এজন্যে যে, ওরা যেন
সালাত কায়েম করে ৷ অতএব, তুমি কিছু লোকের অন্তর তাদের দিকে অনুরাগী করে দাও এবং
ফলাদি দ্বারা ওদের জীবিকার ব্যবস্থা করে দাও ৷ যাতে ওরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ৷’ (সুরা
ইব্রাহীম : ৩ ৭) ৷

ইসমাঈল (আ) এর মা ইসমাঈলকে নিজের স্তনের দুধ পান করাতেন এবং নিজে ঐ
মশকের পানি পান করতে তন ৷ শেষে যশকের পানি ফুবিয়ে গেলে মা ও শিশু উভয়ে তৃষ্ণায়

কাতর হয়ে পড়েন ৷ শিশুর প্রতি তাকিয়ে দেখেন, পিপাসায় তার বুক ধড়ফড় করছে কিৎবা
মাটিতে পড়েছট্ফট্ করছে ৷ শিশু পুত্রের এ করুণ অবস্থা দেখে সহ্য করতে না পেরে মা
সেখান থেকে উঠে গেলেন এবং নিকটবর্তী সাফা পর্বতে আরোহণ করলেন ৷ সেখান থেকে
প্রাম্ভরের দিকে তাকিয়ে কা ৷উকে দেখা যায় কিনা লক্ষ্য করলেন ৷ কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলেন
না ৷ তারপর সাফ৷ পর্বত থেকে হাজের৷ নেমে নিম্ন ভুমিতে ৩চলে আসলে তিনি তার আমার
তাচলের একদিক উঠিয়ে ক্লাম্ভ-শ্রাম্ভ ব্যক্তির মত ছুটে চললেন ৷ নীচু ভুমি পাড়ি দিয়ে তিনি
মারওয়৷ পাহাড়ে ওঠেন ৷ চতুর্দিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলেন ক উকে দেখা যায় কিনা ৷
কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলেন না ৷ এত ৷বে৩ তিনি সাতবার আসা-যাওয়৷ করেন ৷ ইবন আব্বাস
(রা) বলেন, নবী করীম (যা) বলেছেন, এ জন্যেই লোকজন হজ্জ ও উমরায় উভয় পাহাড়ের
মাঝে সাতবার সাঈ করে থাকেন ৷ মারওয়৷ পাহাড়ে উঠে তিনি একটি আওয়াজ শুনতে পান ৷
তিনি তখন নিজেকে লক্ষ্য করে বলেন : চুপ কর! তারপর কান পেতে পুনরায় ঐ একই
আওয়াজ শুনতে পেলেন ৷ হাজের৷ তখন বললেন, তোমার আওয়াজ শুনেছি, যদি সাহায্য করতে
পার, তবে সাহায্য করা এমন সময় তিনি দেখতে পুেলেন যে, যযযম কুপের স্থানে একজন
ফেবেশ্ তা দাড়িয়ে আছেন ৷ ফেরেশত ৷ নিজের পায়ের গোড়ালি দ্বারা কিৎবা তার ডানা দ্বারা
মাটিতে আঘাত করতে লাগলেন ৷ শেষ পর্যন্ত পানি বের হয়ে আসে ৷ তখন হাজের৷ এর
চারপাশে আপন হাত দ্বারা বীধ দিয়ে হাউজের ন্যায় করে দিলেন এবং আজলা তবে যশকে

পানি তালার পরও পানি উপচে পড়তে লাগল ৷

ইবন আব্বাস (বা) বলেন, নবী করীম (যা) বলেছেন, ইসমাঈল (আ) এর মাঝে আল্লাহ
রহম করুন ৷ যদি টুনি যমযমকে বাধ না দিয়ে এভাবে ছেড়ে দিতে ন কিত্বা তিনি বলেছেন :

প্রবহমান ঝর্ণায় পরিণত হত ৷ তারপর হাজের৷ পানি পান করলেন এবং শিশু পুত্রকে দুধ পান
করালেন ৷ ফেরেশত৷ তাকে বললেন, আপনি ধ্বংসের কোন আশংকা করবেন না ৷ কেননা,
এখানেই আল্লাহর ঘর রয়েছে ৷ একে এই শিশু ও তার পিতা পুনঃনির্মাণ করবেন ৷ আল্লাহ তার
পরিজনকে বিনাশ করবেন না ৷ ঐ সময় আল্লাহর এ ঘরটি মাটির থেকে কিছু উচু ঢিবির মত
ছিল ৷ বন্যার পানির ফলে তার ডান ও বাযদিকে ভাঙন ধরেছিল ৷ হাজের৷ এভাবে দিনযাপন
করছিলেন ৷ পরিশেষে জুরহুম গোত্রের য়ামান দেশীয় একদল লোক তাদের কাছ দিয়ে
অতিক্রম করছিল ৷ অথবা জুরহুম পরিবারের কিছু লোক ঐ পথ ধরে এদিকে আসছিল ৷ তারা
মক্কার নিচু ভুমিতে অবতরণ করল এবং তারা দেখতে পেল যে, একটা পাখি চক্রাকারে উড়ছে ৷


وَجَعَلَتْ أُمُّ إِسْمَاعِيلَ تُرْضِعُ إِسْمَاعِيلَ، وَتَشْرَبُ مِنْ ذَلِكَ الْمَاءِ حَتَّى إِذَا نَفَذَ مَا فِي السِّقَاءِ عَطِشَتْ وَعَطِشَ ابْنُهَا، وَجَعَلَتْ تَنْظُرُ إِلَيْهِ يَتَلَوَّى. أَوْ قَالَ: يَتَلَبَّطُ فَانْطَلَقَتْ كَرَاهِيَةَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَيْهِ فَوَجَدَتِ الصَّفَا أَقْرَبَ جَبَلٍ فِي الْأَرْضِ يَلِيهَا فَقَامَتْ عَلَيْهِ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَتِ الْوَادِيَ تَنْظُرُ هَلْ تَرَى أَحَدًا فَلَمْ تَرَ أَحَدًا فَهَبَطَتْ مِنَ الصَّفَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْوَادِيَ رَفَعَتْ طَرَفَ دِرْعِهَا، ثُمَّ سَعَتْ سَعْيَ الْإِنْسَانِ الْمَجْهُودِ حَتَّى إِذَا جَاوَزَتِ الْوَادِيَ، ثُمَّ أَتَتِ الْمَرْوَةَ فَقَامَتْ عَلَيْهَا وَنَظَرَتْ هَلْ تَرَى أَحَدًا فَلَمْ تَرَ أَحَدًا، فَفَعَلَتْ ذَلِكَ سَبْعَ مَرَّاتٍ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَذَلِكَ سَعْيُ النَّاسِ بَيْنَهُمَا» . فَلَمَّا أَشْرَفَتْ عَلَى الْمَرْوَةِ سَمِعَتْ صَوْتًا فَقَالَتْ: صَهٍ. تُرِيدُ نَفْسَهَا، ثُمَّ تَسَمَّعَتْ فَسَمِعَتْ أَيْضًا فَقَالَتْ: قَدْ أَسْمَعْتَ إِنْ كَانَ عِنْدَكَ غُوَاثٌ. فَإِذَا هِيَ بِالْمَلَكِ عِنْدَ مَوْضِعِ زَمْزَمَ، فَبَحَثَ بِعَقِبِهِ أَوْ قَالَ بِجَنَاحِهِ حَتَّى ظَهَرَ الْمَاءُ، فَجَعَلَتْ تَخُوضُهُ وَتَقُولُ بِيَدِهَا هَكَذَا، وَجَعَلَتْ تَغْرِفُ مِنَ الْمَاءِ فِي سِقَائِهَا، وَهُوَ يَفُورُ بَعْدَ مَا تَغْرِفُ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَرْحَمُ اللَّهُ أُمَّ إِسْمَاعِيلَ، لَوْ تَرَكَتْ زَمْزَمَ» . أَوْ قَالَ: «لَوْ لَمْ تَغْرِفْ مِنَ الْمَاءِ لَكَانَتْ زَمْزَمُ عَيْنًا مَعِينًا» . قَالَ: فَشَرِبَتْ وَأَرْضَعَتْ وَلَدَهَا فَقَالَ لَهَا الْمَلَكُ: لَا تَخَافِي الضَّيْعَةَ فَإِنَّ هَاهُنَا بَيْتَ اللَّهِ يَبْنِي هَذَا الْغُلَامُ وَأَبُوهُ، وَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضَيِّعُ أَهْلَهُ، وَكَانَ الْبَيْتُ مُرْتَفِعًا مِنَ الْأَرْضِ كَالرَّابِيَةِ تَأْتِيهِ السُّيُولُ فَتَأْخُذُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ، فَكَانَتْ كَذَلِكَ حَتَّى مَرَّتْ بِهِمْ رُفْقَةٌ مِنْ جُرْهُمٍ أَوْ أَهْلُ بَيْتٍ مِنْ جُرْهُمٍ مُقْبِلِينَ مِنْ طَرِيقِ كَدَاءَ، فَنَزَلُوا فِي أَسْفَلِ مَكَّةَ فَرَأَوْا طَائِرًا عَائِفًا، فَقَالُوا: إِنَّ هَذَا الطَّائِرَ لَيَدُورُ عَلَى الْمَاءِ، لَعَهْدُنَا بِهَذَا الْوَادِي،
পৃষ্ঠা - ৩৫৭


তখন তারা বলাবলি করল, নিশ্চয় এ পাথিটি পানির উপরই উড়ছে অথচ আমরা এ উপত্যকায়
বহুদিন কাটিয়েছি, এখানে কোন পানি ছিল না ৷ তখন তারা একজন কি দু’জন মশকধারী লোক
সেখানে পাঠান ৷ তারা সেখানে পিয়েই পানি দেখতে পেল ৷ ফিরে এসে সবাইকে পানির সংবাদ
দিল ৷ সংবাদ পেয়ে সবাই সেদিকে অগ্রসর হল ৷ ইসমাঈল (আ) এর যা ঐ সময় পানির নিকট
বসা ছিলেন ৷ তারা তার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করার অনুমতি চাইল ৷ হাজেরা জবাব দিলেন
৪ হীা, থাকতে পার, তবে এ পানির ওপর তোমাদের কোন অধিকার থাকবে না ৷ তারা তা মেনে
নিল

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন, এ ঘটনা ইসমাঈল
(আ)-এর মাকে একটি সুযোগ এনে দিল ৷ সেও মানুষের সাহচর্য চাচ্ছিল ৷ এরপর তারা সেখানে
বসতি স্থাপন করল এবং তাদের পয়িবড়ার-পরিজনের কাছেও সংবাদ পাঠাল , তারাও এসে তাদের
সাথে বসবাস করতে লাগল ৷ পরিশেষে সেখানে তাদের কয়েকটি পরিবারের বসতি স্থাপিত
হল ৷ এদিকে ইসমাঈল (আ) যৌবনে উপনীত হলেন এবং তাদের থেকে আরবী ভাষা
শিখলেন যৌবনে পৌছে তিনি তাদের কাছে আকর্ষণীয় ও প্রিয়পাত্র হার উঠলেন ৷ যখন তিনি
পুর্ণ যৌবন লাভ করলেন তখন তারা তার সঙ্গে তাদেরই একটি মেয়েকে বিবাহ দিল ৷ এরই
মধ্যে ইসমাঈল (আ)-এর যা হাজেরার ইন্তিকাল হয় ৷ ইসমাঈল (আ)-এর বিবাহের পর
ইবরাহীম (আ) তার পরিত্যক্ত পরিবারকে দেখার জন্যে এখানে আসেন ৷ কিন্তু ইসমড়াঈল
(আ)-কে পেলেন না ৷ তখন তার শ্ৰীকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ শ্রী জানালেন, তিনি
আমাদের জীবিকার খোজে বেরিয়ে গেছেন ৷ তখন তিনি তাদের জীবনযাত্রা ও অবস্থা সম্বন্ধে
জিজ্ঞেস করলেন ৷ সে জানায়, আমরা অতি কষ্টে, অভাব-অনটনে আছি ৷ সে তার কাছে
নিজেদের দুর্দশার অভিযোগ করল ৷ তখন ইবরাহীম (আ) বললেন, তোমার স্বামী বাড়ি ফিরে
এসে আমার সালাম জানাবে এবং তাকে দরজার চৌকাঠ বদলিয়ে ফেলতে বলবে ৷

ইসমাঈল (আ) বাড়ি ফিরে এলে তিনি যেন কিছু একটা ঘটনার আভাস পেলেন ৷ ত্রীকে
জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কাছে কি কোন লোক এসেছিল? শ্রী বলল, হ্যা , এই এই আকৃতির
একজন বৃদ্ধ লোক এসেছিলেন ৷ তিনি আপনার সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন ৷ আমি তা
জানিয়েছি ৷ আমাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ আমি বলেছি যে, আমরা খুব
কষ্টে ও অভাবে আছি ৷ ইসমাঈল (আ) জিজ্ঞেস করলেন, তিনি তোমাকে কোন উপদেশ
দিয়েছেন কি? ত্রী বলল, হ্যা, আপনাকে তার সালাম জানাতে বলেছেন ও আপনাকে দরজার
চৌকাঠ বদলাতে বলেছেন ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, ইনি আমার পিতা ৷ তোমাকে ত্যাগ করার
জন্যে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ সুতরাং তুমি তোমার আপনজনদের কাছে চলে যাও ৷ তখন
তিনি শ্ৰীকে তালাক দিয়ে দিলেন এবং জুরহুম গোত্রের অন্য এক মহিলাকে বিবাহ করেন ৷
ইবরাহীম (আ) দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাদের থেকে দুরেই রইলেন ৷ তারপর হযরত ইবরাহীম (আ)
তাদেরকে পুনরায় দেখতে এলেন ৷ কিন্তু এবারও তিনি ইসমাঈলকে বাড়িতে পেলেন না ৷
পুত্রবধুর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন, তিনি আমাদের জীবিকার অম্বেষণে
বাইরে গেছেন ৷ ’ ইবরাহীম (আ) বললেন, তোমরা কেমন আছ, তোমাদের জীবনযাত্রা ও
অবস্থা কেমনঃ জবাবে পুত্রবধু বললেন : আমরা ভাল আছি ও স্বচ্ছন্দে আছি, সাথে সাথে


وَمَا فِيهِ مَاءٌ، فَأَرْسَلُوا جَرِيًّا أَوْ جَرِيَّيْنِ فَإِذَا هُمْ بِالْمَاءِ، فَرَجَعُوا فَأَخْبَرُوهُمْ بِالْمَاءِ، فَأَقْبَلُوا قَالَ: وَأُمُّ إِسْمَاعِيلَ عِنْدَ الْمَاءِ، فَقَالُوا: تَأْذَنِينَ لَنَا أَنْ نَنْزِلَ عِنْدَكِ. قَالَتْ: نَعَمْ، وَلَكِنْ لَا حَقَّ لَكُمْ فِي الْمَاءِ. قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَأَلْفَى ذَلِكَ أُمَّ إِسْمَاعِيلَ وَهِيَ تُحِبُّ الْأُنْسَ» . فَنَزَلُوا وَأَرْسَلُوا إِلَى أَهْلِيهِمْ فَنَزَلُوا مَعَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ بِهَا أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْهُمْ، وَشَبَّ الْغُلَامُ، وَتَعَلَّمَ الْعَرَبِيَّةَ مِنْهُمْ، وَأَنْفَسَهُمْ وَأَعْجَبَهُمْ حِينَ شَبَّ، فَلَمَّا أَدْرَكَ زَوَّجُوهُ امْرَأَةً مِنْهُمْ، وَمَاتَتْ أُمُّ إِسْمَاعِيلَ، فَجَاءَ إِبْرَاهِيمُ بَعْدَ مَا تَزَوَّجَ إِسْمَاعِيلُ يُطَالِعُ تَرِكَتَهُ، فَلَمْ يَجِدْ إِسْمَاعِيلَ فَسَأَلَ امْرَأَتَهُ عَنْهُ فَقَالَتْ: خَرَجَ يَبْتَغِي لَنَا. ثُمَّ سَأَلَهَا عَنْ عَيْشِهِمْ وَهَيْئَتِهِمْ، فَقَالَتْ: نَحْنُ بِشَرٍّ نَحْنُ فِي ضِيقٍ وَشِدَّةٍ. وَشَكَتْ إِلَيْهِ، قَالَ: فَإِذَا جَاءَ زَوْجُكِ فَاقْرَئِي عَلَيْهِ السَّلَامَ، وَقُولِي لَهُ يُغَيِّرُ عَتَبَةَ بَابِهِ. فَلَمَّا جَاءَ إِسْمَاعِيلُ كَأَنَّهُ آنَسَ شَيْئًا، فَقَالَ: هَلْ جَاءَكُمْ مِنْ أَحَدٍ؟ فَقَالَتْ: نَعَمْ. جَاءَنَا شَيْخٌ كَذَا وَكَذَا، فَسَأَلَنَا عَنْكَ فَأَخْبَرْتُهُ، وَسَأَلَنِي كَيْفَ عَيْشُنَا فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّا فِي جَهْدٍ وَشِدَّةٍ. قَالَ: فَهَلْ أَوْصَاكِ بِشَيْءٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ. أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَيَقُولُ: غَيِّرْ عَتَبَةَ بَابِكَ. قَالَ: ذَاكَ أَبِي، وَأَمَرَنِي أَنْ أُفَارِقَكَ فَالْحَقِي بِأَهْلِكِ. فَطَلَّقَهَا وَتَزَوَّجَ مِنْهُمْ أُخْرَى، وَلَبِثَ عَنْهُمْ إِبْرَاهِيمُ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ أَتَاهُمْ بَعْدُ فَلَمْ يَجِدْهُ فَدَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ فَسَأَلَهَا عَنْهُ فَقَالَتْ: خَرَجَ يَبْتَغِي لَنَا. قَالَ: كَيْفَ أَنْتُمْ؟ وَسَأَلَهَا عَنْ عَيْشِهِمْ وَهَيْئَتِهِمْ، فَقَالَتْ: نَحْنُ بِخَيْرٍ وَسَعَةٍ، وَأَثْنَتْ عَلَى اللَّهِ، فَقَالَ: مَا طَعَامُكُمْ؟ قَالَتِ: اللَّحْمُ. قَالَ: فَمَا شَرَابُكُمْ؟ قَالَتِ: الْمَاءُ. قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي اللَّحْمِ وَالْمَاءِ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ يَوْمَئِذٍ حَبٌّ، وَلَوْ كَانَ لَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৮


মহিলাটি আল্লাহ্র প্ৰশংসাও করলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) জিজ্ঞেস করলেন, সাধারণত তোমাদের
খাদ্য কী? তিনি বললেন : গোশৃত ৷ পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন ও তোমাদের পানীয় কি? তিনি
বললেন, পানি ৷ ইব্রাহীম (আ) দুআ করলেন, হে আল্লাহ ! এদের গোশৃত ও পানিতে বরকত
দান করুন ৷ ’

নবী করীম (সা) বলেছেন, ঐ সময় তাদের ওখানে খড়াদম্মেস্য উৎপাদিত হত না ৷ যদি হত
তা হলে তিনি তাদের জন্যে সে ৰিষয়েও দুআ করতেন ৷ ব্ংনািকারী বলেন, মক্কা ব্যতীত অন্য
কোথাও কেউ শুধু গোশত ও পানি দ্বারা জীবন ধারণ করতে পারে না ৷ কেননা, শুধু গোশত ও
পানি জীবন যাপনের অনুকুল হতে পারে না ৷ ইব্রাহীম (আ) বললেন, তোমার স্বামী যখন
বাড়িতে আসবে তখন আমার সালাম জানাবে ও দরজার চৌকাঠ অপরিবর্তিত রাখতে বলবে ৷
ইসমাঈল (আ) যখন বাড়িতে আসলেন, তখন ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের নিকট কেউ
এসেছিল কি? শ্রী বললেন : হীা, একজন সুন্দর আকৃতির বৃদ্ধলোক এসেছিলেন ৷ ত্রী আগন্তুকের
প্রশংসা করলেন ৷ তিনি আপনার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছেন ৷ আমি তাকে আপনার সংবাদ
জানিয়েছি ৷ তিনি আমাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন ৷ আমি জানিয়েছি যে,
আমরা ভাল আছি ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, তিনি কি তোমাকে আর কোন উপদেশ দিয়েছেন ?
শ্রী বললেন, হীা, তিনি আপনাকে সালাম জানিয়েছেন ও আপনার দরজার চৌকাঠ ঠিক রাখতে
বলেছেন ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, ইনি আমার পিতা ৷ তোমাকে শ্রীরুপে বহাল রাখতে আদেশ
করেছেন ৷

পুনরায় ইব্রাহীম (আ) এদের থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত দুরেই থাকলেন ৷ তারপর ইব্রাহীম
(আ) পুনরায় তথায় আসলেন ৷ দেখলেন, ইসমাঈল যমযম কুপের নিকটে বিরাট এক বৃক্ষের
নিচে বসে তীর র্চাছছিলেন ৷ পিতাকে দেখে তিনি তার দিকে এগিয়ে আসলেন ৷ অতঃপর উভয়ে
এমনভাবে পরস্পরকে আলিঙ্গন করলেন, যেমন সাধারণত পিতাপুত্রের মধ্যে হয়ে থাকে ৷
এরপর ইব্রাহীম (আ) বললেন, হে ইসমাঈল ! আল্লাহ আমাকে একটি কাজের আদেশ
করেছেন ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, আল্লাহ যে আদেশ করেছেন তা বাস্তবায়িত করুন ৷
ইব্রাহীম (আ) বললেন, তুমি আমাকে সাহায্য করবেঃ ইসমাঈল (আ) বললেন : নিশ্চয়ই
আমি আপনাকে সাহায্য করব ৷ ইব্রাহীম (আ) পার্শে অবস্থিত উচু ঢিবিটির দিকে ইঙ্গিত করে
বললেন, আল্লাহ আমাকে এ স্থানটি ঘিরে একটি ঘর নির্মাণের আদেশ দিয়েছেন ৷ তখন তারা
উভয়ে কাবা ঘরের দেয়াল উঠাতে লেগে পেলেন ৷ ইসমাঈল (আ) পাথর আনতেন ও
ইব্রাহীম (আ) পাথুনী দিতেন ৷ শেষে যখন দেয়াল উচু হয়ে গেল, তখন ইসমাঈল (আ)
মাকামে ইবরাহীম’ নামে প্রসিদ্ধ পাথরটি আনলেন এবং সেখানে রাখলেন ৷ ইব্রাহীম (আ)
তার উপর দাড়িয়ে ইমারত তৈরি করতে লাগলেন আর ইসমাঈল (আ) তাকে পাথর যোগান
দিতে থাকেন ৷ এ সময় তারা উভয়ে নিম্নের দৃআটি পাঠ করেন এর্দুদ্বু fi: টুদ্বুব্লুট্রু ট্রুন্টু
আমাদের থেকে এ কাজ কবুল করুন ৷ নিশ্চয়ই
আপনি সবকিছু শোনেন ও জানেন ৷ (সুরা বাকারা : ১২৭)

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪৫


حَبٌّ لَدَعَا لَهُمْ فِيهِ فَهُمَا لَا يَخْلُو عَلَيْهِمَا أَحَدٌ بِغَيْرِ مَكَّةَ إِلَّا لَمْ يُوَافِقَاهُ» . قَالَ: فَإِذَا جَاءَ زَوْجُكِ فَاقْرَئِي عَلَيْهِ السَّلَامَ، وَمُرِيهِ يُثَبِّتْ عَتَبَةَ بَابِهِ، فَلَمَّا جَاءَ إِسْمَاعِيلُ قَالَ: هَلْ أَتَاكُمْ مِنْ أَحَدٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ. أَتَانَا شَيْخٌ حَسَنُ الْهَيْئَةِ، وَأَثْنَتْ عَلَيْهِ، فَسَأَلَنِي عَنْكَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَسَأَلَنِي كَيْفَ عَيْشُنَا فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّا بِخَيْرٍ، قَالَ: فَأَوْصَاكِ بِشَيْءٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، هُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَيَأْمُرُكَ أَنْ تُثَبِّتَ عَتَبَةَ بَابِكَ. قَالَ: ذَاكَ أَبِي، وَأَنْتِ الْعَتَبَةُ، وَأَمَرَنِي أَنْ أُمْسِكَكِ، ثُمَّ لَبِثَ عَنْهُمْ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ جَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ وَإِسْمَاعِيلُ يَبْرِي نَبْلًا لَهُ تَحْتَ دَوْحَةٍ قَرِيبًا مِنْ زَمْزَمَ، فَلَمَّا رَآهُ قَامَ إِلَيْهِ فَصَنَعَا كَمَا يَصْنَعُ الْوَلَدُ بِالْوَالِدِ وَالْوَالِدُ بِالْوَلَدِ، ثُمَّ قَالَ: يَا إِسْمَاعِيلُ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي بِأَمْرٍ. قَالَ: فَاصْنَعْ مَا أَمَرَكَ رَبُّكَ. قَالَ: وَتُعِينُنِي. قَالَ: وَأُعِينُكَ. قَالَ: فَإِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَبْنِيَ هَاهُنَا بَيْتًا. وَأَشَارَ إِلَى أَكَمَةٍ مُرْتَفِعَةٍ عَلَى مَا حَوْلَهَا، قَالَ: فَعِنْدَ ذَلِكَ رَفَعَا الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ فَجَعَلَ إِسْمَاعِيلُ يَأْتِي بِالْحِجَارَةِ، وَإِبْرَاهِيمُ يَبْنِي، حَتَّى إِذَا ارْتَفَعَ الْبِنَاءُ جَاءَ بِهَذَا الْحَجَرِ فَوَضَعَهُ لَهُ فَقَامَ عَلَيْهِ وَهُوَ يَبْنِي، وَإِسْمَاعِيلُ يُنَاوِلُهُ الْحِجَارَةَ، وَهُمَا يَقُولَانِ: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] . قَالَ: وَجَعَلَا يَبْنِيَانِ حَتَّى يَدُورَا حَوْلَ الْبَيْتِ، وَهُمَا يَقُولَانِ: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯


এভাবে তারা দু’জনে কাবাঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেন এবং কাজ শেষে ঘরের চারদিকে
তড়াওয়ড়াফ করেন এবং উক্ত দৃআ পাঠ করেন ৷ ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন : যখন ইবরাহীম (আ) ও তার শ্রী সারাহ্র মধ্যে যা ঘটার ঘটে গেল , তখন
তিনি ইসমাঈল (আ) ও তার মাকে নিয়ে বের হয়ে যান ৷ তাদের সাথে পানি ভর্তি একটি মশক
ছিল ৷ তারপর ইমাম বুখারী (র) ণ্পুর্বোল্লিখিত হড়াদীসের অনুরুপ ঘটনার বিবরণ দেন ৷ হাদীসটি
ইবন অড়াব্বাসের উক্তি ৷ এর কিছু অংশ মারফু’ আর কিছু গরীব’ পর্যায়ের ৷ ইবন আব্বাস (বা)
সম্ভবত ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে এগুলো সংগ্রহ করেছেন ৷ তার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, ইসমাঈল
(আ) ঐ সময় দৃগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন ৷ তাওরাত পন্থীরা বলেন, আল্লাহ ইবরাহীম (আ)-কে পুত্র
ইসমাঈল (আ) ও তার কাছে আর যত দাস ও অন্যান্য লোক ছিল তাদের খাতনার নির্দেশ
দেন ৷ তিনি এ নির্দেশ পালন করেন এবং সবাইকে খাৎনা করান ৷ এ সময় ইবরাহীম (আ)-এর
বয়স হয়েছিল নিরানব্বই বছর ও ইসমাঈল (আ)-এর বয়স ছিল তের বছর ৷ খাতনা করাটা
ছিল আল্লাহর নির্দোণ পালনার্থে ৷ এতে প্রতীয়মান হয়, অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হিসেবেই তিনি

তা পালন করেন ৷ এ কারণেই উলামায়ে কিরাম খাতনা করা ওয়াজিব বলেছেন-এ মত
সঠিক ৷

বুখারী শরীফে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (সা) বলেছেন :
ইবরাহীম (আ) আশি বছর বয়সে (ছুতারের) বাইসের (ণ্প্রু;চা৷রু)সড়াহড়াভ্রুযব্র নিজের খাতনা
করেন ৷ আবদুর রহমান ইবন ইসহাক , আজলান, মুহাম্মদ ইবন আমর ও ইমাম মুসলিম ভিন্ন
ভিন্ন সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ উক্ত বর্ণনায় ব্যবহৃত কুদুম ’ শব্দটির অর্থ ধারাল অস্ত্র ৷
কেউ কেউ এটি একটি স্থানের নাম বলেছেন ৷ এসব হাদীসের শব্দের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য

আছে ৷ ইবন হিব্বান (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
নবী ইবরাহীম (আ) একশ’ বিশ বছর বয়সে খাতনা করান ৷ এর পরেও আশি বছর জীবিত
থাকেন ৷ এসব বর্ণনায় ইসমাঈল (আ) কে যাবীহ্ বলে উল্লেখ করা হয়নি এবং এতে ইবরাহীম
(আ)-এর তিনবার আগমনের কথা বলা হয়েছে ৷ প্রথমবার আগমন করেন তখন, যখন
হাজেরার মৃত্যু হয় ও ইসমাঈল (আ) বিবাহ করেন ৷ শিশুকালে রেখে আসার পর থেকে
ইসমাঈলের বিবাহ করা পর্যন্ত তিনি আর তাদের শৌজ-খবর নেননি ৷ বলা হয় যে, সফরকালে
ইবরাহীম (আ)-এর জন্যে য়যীনের দুরৎ সংকুচিত হয়ে যেত ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি যখন
আসতেন তখন বিদ্যুতের গতিসম্পন্ন বাহন বুরাকে চড়ে আসতেন ৷ এ যদি হয় তাহলে হযরত
ইবরাহীম (আ) তা দের সংবাদ না নিয়ে কিভাবে দুরে পড়ে থাকতে পারেন? অথচ নিজের
পরিজনের সংবাদ রাখা একটি গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব; বিশেষ করে যে অবস্থায় তাদের রেখে

এসেছিলেন ৷ এসব ঘটনার কিছু অংশ ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে নেয়া ৷ অবশ্য কিছু আছে মারফু
হাদীস ৷ তবে এতে যাবীহ্’-এর ঘটনার উল্লেখ নেই ৷ কিন্তু তাফসীরের মধ্যে সুরা সাফ্ফাতে
আমরা দলীলসহ উল্লেখ করেছি যে, যাবীহ হলেন হযরত ইসমাঈল (আ) ৷


سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ بَيْنَ إِبْرَاهِيمَ وَأَهْلِهِ مَا كَانَ خَرَجَ بِإِسْمَاعِيلَ وَأُمِّ إِسْمَاعِيلَ وَمَعَهُمْ شَنَّةٌ فِيهَا مَاءٌ. وَذَكَرَ تَمَامَهُ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ، وَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ كَلَامِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَمُوَشَّحٌ بِرَفْعِ بَعْضِهِ، وَفِي بَعْضِهِ غَرَابَةٌ، وَكَأَنَّهُ مِمَّا تَلَقَّاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَفِيهِ أَنَّ إِسْمَاعِيلَ كَانَ رَضِيعًا إِذْ ذَاكَ، وَعِنْدَ أَهْلِ التَّوْرَاةِ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ أَمَرَهُ اللَّهُ بِأَنْ يَخْتِنَ وَلَدَهُ إِسْمَاعِيلَ، وَكُلَّ مَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْعَبِيدِ وَغَيْرِهِمْ فَخَتَنَهُمْ، وَذَلِكَ بَعْدَ مُضِيِّ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ سَنَةً مِنْ عُمُرِهِ، فَيَكُونُ عُمُرُ إِسْمَاعِيلَ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَهَذَا امْتِثَالٌ لِأَمْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَهْلِهِ فَيَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ فَعَلَهُ عَلَى وَجْهِ الْوُجُوبِ؛ وَلِهَذَا كَانَ الصَّحِيحُ مِنْ أَقْوَالِ الْعُلَمَاءِ أَنَّهُ وَاجِبٌ عَلَى الرِّجَالِ، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي مَوْضِعِهِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً بِالْقَدُومِ» . تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، وَتَابَعَهُ عَجْلَانُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ بِهِ. وَفِي بَعْضِ الْأَلْفَاظِ «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ بَعْدَ مَا أَتَتْ عَلَيْهِ ثَمَانُونَ سَنَةً وَاخْتَتَنَ بِالْقَدُومِ» . وَالْقَدُومُ هُوَ الْآلَةُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬০
وَقِيلَ: مَوْضِعٌ. وَهَذَا اللَّفْظُ لَا يُنَافِي الزِّيَادَةَ عَلَى الثَّمَانِينَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ لِمَا سَيَأْتِي مِنَ الْحَدِيثِ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ وَهُوَ ابْنُ مِائَةٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِينَ سَنَةً» . رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، وَلَيْسَ فِي هَذَا السِّيَاقِ ذِكْرُ قِصَّةِ الذَّبِيحِ وَأَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ، وَلَمْ يَذْكُرْ فِي قَدَمَاتِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَّا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، أُولَاهُنَّ بَعْدَ أَنْ تَزَوَّجَ إِسْمَاعِيلُ بَعْدَ مَوْتِ هَاجَرَ، وَكَيْفَ يَتْرُكُهُمْ مِنْ حِينِ صِغَرِ الْوَلَدِ عَلَى مَا ذُكِرَ إِلَى حِينِ تَزْوِيجِهِ لَا يَنْظُرُ فِي حَالِهِمْ؟ وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ الْأَرْضَ كَانَتْ تُطْوَى لَهُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ يَرْكَبُ الْبُرَاقَ إِذَا سَارَ إِلَيْهِمْ، فَكَيْفَ يَتَخَلَّفُ عَنْ مُطَالَعَةِ حَالِهِمْ، وَهُمْ فِي غَايَةِ الضَّرُورَةِ الشَّدِيدَةِ وَالْحَاجَةِ الْأَكِيدَةِ؟ وَكَأَنَّ بَعْضَ هَذَا السِّيَاقِ مُتَلَقًّى مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَمُطَرَّزٌ بِشَيْءٍ مِنَ الْمَرْفُوعَاتِ، وَلَمْ يُذْكَرْ فِيهِ قِصَّةُ الذَّبِيحِ، وَقَدْ دَلَّلْنَا عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ هُوَ إِسْمَاعِيلُ عَلَى الصَّحِيحِ فِي سُورَةِ الصَّافَّاتِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬১

ইসমাঈল যড়াবীহুল্লাহ (আ) এর ঘটনা

আল্লাহর বাণীষ্ক


)

,

এবং সে বলল, আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চললাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সৎপথে
পরিচালিত করবেন; হে আমার প্রতিপালর্ক ! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান কর ৷ ’
তারপর আমি তাকে এক স্থির-বুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম ৷ অতঃপর সে যখন তার পিতার
সঙ্গে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হল, তখন ইবরাহীম্ (আ) বলল, বৎস ! আমি স্বপ্নে দেখি
যে, তোমাকে যবেহ্ করছি; এখন তোমার অভিমত কি বল ? সে বলল, পিতা ! আপনি যাতে
আদিষ্ট হয়েছেন তাই করুন ৷ আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন ৷ ’ যখন
তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহীম তার পুত্রকে কাত করে শায়িত করল, তখন
আমি তাকে আহ্বান করে বললড়াম, ৫হ ইব্রাহীম! তুমি তো স্বপ্নড়াদেশ সত্যই পালন করলে!
এভ৷ ৷বেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি ৷ ’নিশ্চয়ই এ ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা ৷
আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে ৷ আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে
রেখেছি ৷ ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক ৷ এভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত
করে থাকি ৷ সে ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্যতম ! আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলড়াম
ইসহাকের, সে ছিল এক নবী, সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম ৷ আমি তাকে বরকত দান করেছিলাম
এবং ইসহড়াককেও, তাদের বং শধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক নিজেদের প্রতি
স্পষ্ট অত্যাচারী ৷ (সুরা৪ সাফ্ফাতষ্ক ৯৯ ১১৩)


[قِصَّةُ الذَّبِيحِ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَابُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَاأَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَاإِبْرَاهِيمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَاقَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِنَفْسِهِ مُبِينٌ} [الصافات: 99] أَيْ شَبَّ وَصَارَ يَسْعَى فِي مَصَالِحِهِ كَأَبِيهِ. قَالَ مُجَاهِدٌ: {فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ} [الصافات: 102] أَيْ شَبَّ وَارْتَحَلَ، وَأَطَاقَ مَا يَفْعَلُهُ أَبُوهُ مِنَ السَّعْيِ وَالْعَمَلِ، فَلَمَّا كَانَ هَذَا أُرِيَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي الْمَنَامِ أَنَّهُ يُؤْمَرُ بِذَبْحِ وَلَدِهِ هَذَا. وَفِي الْحَدِيثِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مَرْفُوعًا «. رُؤْيَا الْأَنْبِيَاءِ وَحْيٌ» . قَالَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৬২


এখানে আল্লাহ বলছেন যে, তার একনিষ্ঠ বন্ধু নবী ইবরাহীম (আ) যখন নিজ সম্প্রদায় ও
জন্মভুমি ত্যাগ করে যান, তখন তিনি আল্লাহর নিকট একটি নেককার পুত্র সন্তান প্রার্থনা
করেন ৷ আল্লাহ তাকে একজন ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করেন ৷ তিনি হলেন ইসমাঈল
(আ) ৷ কেননা, তিনিই হলেন প্রথম পুত্র ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) এর ছিয়াশি ৷রছর বয়সে তার
জন্ম হয় ৷ এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই ৷ গ্যে র্ধ;হু র্দুৰুদ্ মোঃ (সে যখন তার পিতার
সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হল) অর্থাৎ যখন যুবক হল ও পিতার ন্যায় নিজের
কাজকর্ম করার বয়সে পৌছল ৷ ’ মুজাহিদ এর অর্থ করেছেন : সে যখন যুবক হল, স্বাধীনভাবে
পিতার ন্যায় চেষ্টা-সংপ্রাম ও কাজকর্ম করার উপযোগী হল ৷ যখন ইবরাহীম (আ) তার স্বপ্ন
থেকে বুঝতে পারলেন যে, আল্লাহ তার পুত্রকে যবেহ্ করার হুকুম দিয়েছেন ৷ হযরত ইবন
আব্বাস (রা) থেকে এক মারকু হাদীসে বর্ণিত হয়েছেশু ং ষ্১, ন্ড্রু১ ১৷ ! ৷ , , (নবীদের
স্বপ্ন ওহী) ৷ উবায়দ ইবন উমায়রও এ অভিমত ৩ব্যক্ত করেছেন ৷ এ নির্দেশ ছিল আল্লাহর পক্ষ
থেকে ইবরাহীম খলীলের প্রতি এক বিরাট পরীক্ষা ৷ কেননা, তিনি এই প্রিয় পুত্রটি পেয়েছিলেন

তার বৃদ্ধ বয়সে ৷ তাছাড়া এ শিশুপুত্র ও তার মাকে এক জনমানবহীন শুন্য প্রাম্ভরে রেখে
এসেছিলেন, যেখানে না ছিল কোন কৃষি ফসল, না ছিল তরুলতা ৷ ইবরাহীম খলীল (আ)
আল্লাহর নির্দেশ ৷পালন করলেন ৷ আল্লাহর উপর ভরসা রেখে তাদেরকে সেখানে রেখে আসেন ৷
আল্লাহ তাদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করলেন ৷ এমন উপায়ে পানাহারের ব্যবস্থা করে দিলেন, যা
ছিল তাদের ধারণাতীত ৷ এরপর যখন আল্লাহ এই একমাত্র পুত্রধনকে যবেহ্ করার নির্দেশ দেন,
তখন তিনি দ্রুত সে নির্দেশ পালনে এগিয়ে আসেন ৷ ইবরাহীম (আ ) এ প্রস্তাব তার পুত্রের
সামনে পেশ করেন ৷ যাতে এ কঠিন কাজ সহজভাবে ও প্রশান্ত চিত্তে করতে পারেন ৷ চাপ
প্রয়োগ করে ও বাধ্য করে যবেহ্ করার চাইতে এটা ছিল সহজ উপায় ৷

ইবরাহীম বলল, বৎ স ! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করছি ৷ এখন

তোমার অভিমত কি বল ৷ ’ ধৈর্যশীল পুত্র পিতার নির্দেশ পালন করার জন্যে খুশী মনে প্রস্তাব
গ্রহণ করেন ৷ তিনি বললেন, হে আমার পিতা ! আপনি যে ব্যাপারে আদিষ্ট হয়েছেন তা-ই
করুন ৷ আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন ৷ এ জবাব ছিল চুড়ান্ত পর্যায়ের
আন্তরিকতার পরিচায়ক ৷ তিনি পিতার আনুগত্য ও আল্লাহর হুকুম পালনের পরাকাষ্ঠ৷ প্রদশ্নি
করেন ৷
আল্লাহ্ তা আলা বলেনং ,১১১১১ ধ্র্দুদ্বু, ৷১১৷ ৷শুএরু (যখন তারা ৷উভয়ে আনুগত্য

প্রকাশ করল এবং তার পুত্রকে কাত করে শুইয়ে দিল) ৷ এ আয়ড়াতাং শের কয়েকটি অর্থ বলা
হয়েছে; ( ১ ) তা বাউভয়ে আল্লাহর হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ও মনােবল
দৃঢ় করেন ৷ (২) এখানে পুর্বের কাজ পরে ও পরের কাজ পুর্বে বলা হয়ছে ৷ অর্থাৎ পিতা
ইবরাহীম (আ) পুত্র ইসমাঈল (আ) কে উপুড় করে শোয়ালেন ৷ (৩) ইবরাহীম (আ ) পুত্রকে
উপুড় করে শোয়ান এ জন্যে যে, যবেহ্ করার সময়ত তার চেহারার উপর যাতে দৃষ্টি না পড়ে ৷
ইবন আব্বাস (বা) , মুজ৷ ৷হিদ, সাঈদ ইবন জুবায়র, কাতাদা ও যাহ্হাক (র) এই মত পোষণ
করেন ৷ (৪) লম্বা ৷ভ৷ ৷বে চিত করে শায়িত করান, যেমন পশু যবেহ্ করার সময় শায়িত করান
হয় ৷ এ অবস্থায় কপালের এক অং শ মাটির সাথে লেগে থাকে ৷ ৷১া১৷ অর্থ ইবরাহীম (অ)
যবেহ্ করার জন্যে বিসমিল্লাহ্ ও আল্লাহু আকবর বলেন ৷ আর পুত্র মৃত্যুর জন্যে কলেমায়ে
শাহাদাত পাঠ করেন ৷


عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ أَيْضًا. وَهَذَا اخْتِبَارٌ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ لِخَلِيلِهِ فِي أَنْ يَذْبَحَ هَذَا الْوَلَدَ الْعَزِيزَ الَّذِي جَاءَهُ عَلَى كِبَرٍ، وَقَدْ طَعَنَ فِي السِّنِّ بَعْدَ مَا أُمِرَ بِأَنْ يُسْكِنَهُ هُوَ وَأُمَّهُ فِي بِلَادٍ قَفْرٍ، وَوَادٍ لَيْسَ بِهِ حَسِيسٌ وَلَا أَنِيسٌ وَلَا زَرْعٌ وَلَا ضَرْعٌ، فَامْتَثَلَ أَمْرَ اللَّهِ فِي ذَلِكَ، وَتَرَكَهُمَا هُنَاكَ ثِقَةً بِاللَّهِ وَتَوَكُّلًا عَلَيْهِ فَجَعَلَ اللَّهُ لَهُمَا فَرَجًا وَمَخْرَجًا، وَرَزَقَهُمَا مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبَانِ، ثُمَّ لَمَّا أُمِرَ بَعْدَ هَذَا كُلِّهِ بِذَبْحِ وَلَدِهِ هَذَا، الَّذِي قَدْ أَفْرَدَهُ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ، وَهُوَ بِكْرُهُ وَوَحِيدُهُ الَّذِي لَيْسَ لَهُ غَيْرُهُ أَجَابَ رَبَّهُ وَامْتَثَلَ أَمْرَهُ وَسَارَعَ إِلَى طَاعَتِهِ، ثُمَّ عَرَضَ ذَلِكَ عَلَى وَلَدِهِ؛ لِيَكُونَ أَطْيَبَ لِقَلْبِهِ وَأَهْوَنَ عَلَيْهِ مِنْ أَنْ يَأْخُذَهُ قَسْرًا وَيَذْبَحَهُ قَهْرًا، قَالَ: {يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى} [الصافات: 102] . فَبَادَرَ الْغُلَامُ الْحَلِيمُ يَبَرُّ وَالِدَهُ الْخَلِيلَ إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ: {يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ} [الصافات: 102] . وَهَذَا الْجَوَابُ فِي غَايَةِ السَّدَادِ وَالطَّاعَةِ لِلْوَالِدِ وَلِرَبِّ الْعِبَادِ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا أَسْلَمَا وَتَلَّهُ لِلْجَبِينِ} [الصافات: 103] . قِيلَ: أَسْلَمَا أَيِ اسْتَسْلَمَا لِأَمْرِ اللَّهِ وَعَزَمَا عَلَى ذَلِكَ. وَقِيلَ: هَذَا مِنَ الْمُقَدَّمِ وَالْمُؤَخَّرِ، وَالْمَعْنَى تَلَّهُ لِلْجَبِينِ أَيْ أَلْقَاهُ عَلَى وَجْهِهِ. قِيلَ: أَرَادَ أَنْ يَذْبَحَهُ مِنْ قَفَاهُ لِئَلَّا يُشَاهِدَهُ فِي حَالِ ذَبْحِهِ. قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَقَتَادَةُ، وَالضَّحَّاكُ. وَقِيلَ: بَلْ أَضْجَعَهُ كَمَا تُضْجَعُ الذَّبَائِحُ، وَبَقِيَ طَرَفُ جَبِينِهِ لَاصِقًا بِالْأَرْضِ، وَأَسْلَمَا أَيْ سَمَّى إِبْرَاهِيمُ وَكَبَّرَ وَتَشَهَّدَ وَسَلَّمَ الْوَلَدَ لِلْمَوْتِ. قَالَ السُّدِّيُّ وَغَيْرُهُ: أَمَرَّ السِّكِّينَ عَلَى حَلْقِهِ فَلَمْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৩


সুদ্দী (র) প্রমুখ বলেছেন, হযরত ইব্রাহীম (আ) গলায় ছুরি চালান কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্রও
কাটল না ৷ কেউ বলেছেন যে, গলার নিচে আমার পাত রাখা হয়েছিল ৷ কিংষ্কৃ তাতেও কাটা
যায়নি ৷ আ ৷ল্লাহই সম্যক অবগত ৷


এ সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়ষ্ক ৷
(হে ইব্রাহীম তুমি স্বপ্নকে সত্যই পালন করলে) অর্থাৎ তোমাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশকু পুর্ণ
হয়েছে ৷ তুমি পরীক্ষা ৷য় উত্তীর্ণ হয়েছ ৷ আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্যে তোমার আগ্রহ ও
আনুগত্য প্রমাণিত হয়েছে ৷ তুমি পুত্রকে কুরবানীর জন্যে পেশ করেছ ৷ যেমন ইতিপুর্বে তুমি
আগুনে নিজের দেহকে সমর্পণ করেছিলে এবং মেহমানদের জন্যে প্রচুর অর্থ-সম্পদ ব্যয়
করেছিলে ৷
র্দুশ্

আল্লাহ্ তা জানা বলেন৪ , ৷ ৷ ;)া ৷ ,ধ্এ্ ৷ এ ,৷ (নিশ্চয়ই এ ছিল স্পষ্ট
পরীক্ষা) প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট পরীক্ষা ৷৷ আল্লাহর বাণীং

প্রু;াব্লু০ র্টিপু১; ৷এ্াশু (আমি তাকে মুক্তি দিলাম এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে ৷)

অর্থাৎ একটি সহজ বিনিময়৷ দ্ব ৷রা আমি ইব্রাহীম (আ)-এর পুত্রকে যবেহ করা থেকে মুক্ত
করে দিলাম ৷ অধিকাৎশ আলিমের মতে, এ বিনিময়টি ছিল শিৎ বিশিষ্ট একটি সাদা দুম্বা
যাকে ইব্রাহীম (আ) ছাবীর পর্বতে একটি বাংলা বৃক্ষে বাধা অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন ৷
ইমাম ছাওরী (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন, ঐ দুম্বাটি জান্নাতে চল্লিশ বছর পর্যন্ত
বিচরণ করেছিল ৷ সাঈদ ইবন জুরায়র (বা) বলেছেন : দুম্বাটি জান্নাতে চরে বেড়াত ৷ এক
সময়ে এটা ছাবীর পর্বত ভেদ করে বের হয়ে আসে ৷ তার শরীরে ছিল লাল বর্ণের পশম ৷ ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণিত, শিংযুক্ত একটি দৃম্ব৷ ছাবীর পাহাড় থেকে নেমে ইব্রাহীম (আ) এর
নিকট হেটে আসে এবং ভ্যা র্ভা৷ করে ভাকতে থাকে ৷ ইব্রাহীম (আ) তাকে ধরে যবেহ করে
দেন ৷ এই দৃম্বাটি হযরত আদম (আ)-এর পুত্র হাবিলও কুরবানী করেছিলেন এবং আল্লাহ তা
কবুলও করেছিলেন ৷ ইবন আবী হাতিম (র) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

মুজাহিদ (র) বলেছেন, ইব্রাহীম (আ) উক্ত দুম্বাকে মিনায় যবেহ করেন ৷ উবায়দ ইবন
উমায়ব্ (রা)-এর মতে, স্থানটি ছিল মাকামে ইব্রাহীম ৷ ইবন আব্বাস (রা)-এর বর্ণনা মতে
এটা ছিল একটি পাহাড়ী ছাগল ৷ কিন্তু হাসান (না) থেকে বর্ণিত, এটা একটি বুনাে ছাগল ৷
দুম্বাব নাম ছিল জুরায়র ৷ সুতরাং ইবন আব্বাস ও হাসান (রা) থেকে বর্ণিত হওয়ার কথা ঠিক
নয়; বরং এগুলো ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গৃহীত ৷ অবশ্য এ বিষয়ে কুরআনে যেভাবে বলা
হয়েছে তাতে অন্য কোন দিক লক্ষ্যও করার প্রয়োজন থাকে না ৷ কুরআনে একে ছু ^াদ্বু; চ্ছু
মহান যবেহ বলা হয়েছে এবং সুস্পষ্ট পরীক্ষা বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ হাদীসে দুম্বার কথা
বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) সাফিয়া বিনত শায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ,
বনী সুলায়মের এক মহিলা আমাকে বলেছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উছমান ইবন তালহাকে ডেকে
পাঠান; বর্ণনাকারী বলেন, উছমানকে জিজ্ঞেস করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আপনাকে কেন সংবাদ
দিয়েছিলেন ? উছমান বললেন, আমি যখন কাব৷ ঘরে প্রবেশ করি তখন সেই দুম্বার দুটি শিং
দেখতে পাই ৷ এটা ঢেকে রাখার জন্যে তোমাকে বলতে আমি ভুলে যাই ৷ তখন তিনি শিৎ দুটি


تَقْطَعْ شَيْئًا. وَيُقَالُ: جُعِلَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ حَلْقِهِ صَفِيحَةٌ مِنْ نُحَاسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَعِنْدَ ذَلِكَ نُودِيَ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا} [الصافات: 104] . أَيْ قَدْ حَصَلَ الْمَقْصُودُ مِنِ اخْتِبَارِكِ وَطَاعَتِكَ وَمُبَادَرَتِكَ إِلَى أَمْرِ رَبِّكَ وَبَذْلِكَ وَلَدَكَ لِلْقُرْبَانِ، كَمَا سَمَحْتَ بِبَدَنِكَ لِلنِّيرَانِ، وَكَمَا مَالُكَ مَبْذُولٌ لِلضِّيفَانِ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ} [الصافات: 106] . أَيِ الِاخْتِبَارُ الظَّاهِرُ الْبَيِّنُ. وَقَوْلُهُ: {وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ} [الصافات: 107] . أَيْ وَجَعَلْنَا فِدَاءَ ذَبْحِ وَلَدِهِ مَا يَسَّرَهُ اللَّهُ تَعَالَى لَهُ مِنَ الْعِوَضِ عَنْهُ، وَالْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ أَنَّهُ كَبْشٌ أَبْيَضُ أَعْيَنُ أَقْرَنُ رَآهُ مَرْبُوطًا بِسَمُرَةٍ فِي ثَبِيرٍ. قَالَ الثَّوْرِيُّ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَبْشٌ قَدْ رَعَى فِي الْجَنَّةِ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: كَانَ يَرْتَعُ فِي الْجَنَّةِ حَتَّى تَشَقَّقَ عَنْهُ ثَبِيرٌ، وَكَانَ عَلَيْهِ عِهْنٌ أَحْمَرُ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: هَبَطَ عَلَيْهِ مِنْ ثَبِيرٍ كَبْشٌ أَعْيَنُ أَقْرَنُ لَهُ ثُغَاءٌ فَذَبَحَهُ، وَهُوَ الْكَبْشُ الَّذِي قَرَّبَهُ ابْنُ آدَمَ فَتُقُبِّلَ مِنْهُ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. قَالَ مُجَاهِدٌ: فَذَبَحَهُ بِمِنًى. وَقَالَ عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ: ذَبَحَهُ بِالْمَقَامِ. فَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ وَعْلًا، وَعَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ كَانَ تَيْسًا مِنَ الْأَرْوَى وَاسْمُهُ جَرِيرٌ فَلَا يَكَادُ يَصِحُّ عَنْهُمَا، ثُمَّ غَالِبُ مَا هَاهُنَا مِنَ الْآثَارِ مَأْخُوذٌ مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَفِي الْقُرْآنِ كِفَايَةٌ عَمَّا جَرَى مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ وَالِاخْتِبَارِ الْبَاهِرِ وَأَنَّهُ فُدِيَ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৪


ঢেকে দেন ৷ কেননা, আল্লাহর ঘরে এমন কিছু থাকা উচিত নয় যা মুসল্লিদের একাপ্রতা বিনষ্ট
করে ৷ সৃফিয়ান (রা) বলেছেন, ইবরাহীমের দৃম্বার শিৎ দু’টি সর্বদা কাবা ঘরে সংরক্ষিত ছিল ৷
যখন খানড়ায়ে কবােয় আগুন লেগে যায় তখন শিং দু’টি পুড়ে ত্যা হয়ে যায় ৷ ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে বর্ণিত দৃম্বাটির মাথা সর্বদা কাবড়ার মীযাবে (কাশ্যিশ) ঝুলান থাকত এবং বৌদ্রে তা শুকিয়ে
যায় ৷ এই একটি কথাই প্রমাণ করে যে, হযরত ইসমাঈল (আ)-ই হলেন যড়াবীহুল্পাহ আর কেউ
নয় ৷ কেননা, তিনিই মক্কায় বসবাস করতেন ৷ হযরত ইসহাক (আ) শিশুকালে মক্কায়
এসেছিলেন কিনা আমাদের জানা নেই ৷ আল্লাহই উত্তমরুপে অবগত ৷

কুরআন থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় বরং বলা যায় এ উদ্দেশে ৰুই আয়াত নাযিল হয়েছে
যে, ইসমাঈল (আ) ই যাবীহুল্পাহ ৷ কেননা, আল্লাহ কুরআনে প্রথমে যড়াবীহ্ এর ঘটনা উল্লেখ

)

কচুর পরে বস্থণ্লভৈছনং ৫) ক্রোক্রোণ্ডা
(আমি ইবরাহীমকে ইসহাকের সুসৎবাদ দিলাম, সে ছিল নবী, সৎকর্মশীলদের একজন ৷)

বাক্যটিকে যারা একে এ! বলেছেন, তাদের এরুপ ব্যাখ্যা স্বেচ্ছাভ্রমকল্পিত ৷ ইসহাক
(আ)-কে যাৰীহুল্লাহ বলা ইসরাঈলী চক্রাত ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ তারা তাদের কিভাবে এ
স্থানে নিঃসন্দেহভাবে বিকৃতি করেছে ৷ তাদের মতে, আল্লাহ ইব্রাহীম (আ)-কে আদেশ করেন
তার একক ও প্রথম পুত্র ইসহড়াককে যবেহ করতে ৷ ইসহাক শব্দকে এখানে প্রক্ষিপ্তভাবে ঢুকড়ান
হয়েছে ৷ এটা মিথ্যা ও অলীক ৷ কেননা, ইসহাক একক পুত্রও নন, প্রথম পুত্রও নন ৷ বরং একক
ও প্রথম পুত্র ছিলেন ইসমাঈল (আ) ৷ ইসরাঈলীরা আরবদের প্রতি হিংসার বশবর্তী হয়ে
এমনটি করেছে ৷ কারণ ইসমাঈল (আ) হলেন আরবদের পিতৃ-পুরুষ যারা হিজাষের
অধিবাসী এবং যাদের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা) জন্মগ্রহণ করেন ৷ পক্ষান্তরে, ইসহাক (আ) হলেন
ইয়াকুব (আ)-এর পিতা ৷ ইয়াকুব (আ)-কে ইসরাঈলও বলা হত ৷ বনী ইসরাঈলীরা তার
দিকেই নিজেদেরকে সম্পর্কিত করে থাকে ৷ তারা আরবদের এই গৌরব নিজেদের পক্ষে নিতে
চেয়েছিল ৷ এ উদ্দেশ্যে তারা আল্লাহর কালাম পরিবর্তন করে এবং মিথ্যা ও বাতিল কথার
অনুপ্রবেশ ঘটায় ৷ কিন্তু তারা বুঝল না যে, সম্মান ও মর্যাদার চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে যাকে
ইচ্ছা তাকে দান করেন ৷ প্রাচীনকালের আলিমদের একটি দল ইসহাক (আ)-কে য়াবীহুল্লাহ
বলেছেন ৷ তারা এ মত গ্রহণ করেছেন সম্ভবত কাব আহবারের বর্ণনা থেকে, কিৎৰা আহলি
কিতাবদের সহীফা থেকে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে এ ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়নি ৷
সুতরাং এসব মতামতের দ্বারা আমরা কুরআনের স্পষ্ট বংনািকে ত্যাগ করতে পারি না ৷
কুরআনের বর্ণনা থেকে ইসহাক (আ)-কে যাবীহুল্লাহ বলার কােনই অবকাশ নেই ৷ বরং
কুরআন থেকে যা বোঝা যায় কুরআনের উক্তি ও সুস্পষ্ট বর্ণনা এই যে, তিনি হলেন
ইসমাঈল (আ) ৷ মুহাম্মদ ইবন কাব আল কুরাব্জী (র) এ প্রসঙ্গে একটি সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন ৷
তিনি বলেছেন, যাবীহ্বাহ হযরত ইসমাঈল (আ), ইসহাক (আ) নয় ৷


আমি ইবরাহীমের ত্রী সারাহ্কে ইসহাকের এবং ইসহাকের পরে ইয়াকুরের জন্মের সুসৎ বাদ
দিলাম ৷


وَقَدْ وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ أَنَّهُ كَانَ كَبْشًا، قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ خَالِهِ مُسَافِعٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ قَالَتْ أَخْبَرَتْنِي امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ، وَلَّدَتْ عَامَّةَ أَهْلِ دَارِنَا قَالَتْ: أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى عُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ. وَقَالَ مَرَّةً: إِنَّهَا سَأَلَتْ عُثْمَانَ لِمَ دَعَاكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنِّي كُنْتُ رَأَيْتُ قَرْنَيِ الْكَبْشِ حِينَ دَخَلْتُ الْبَيْتَ فَنَسِيتُ أَنْ آمُرَكَ أَنْ تُخَمِّرَهُمَا فَخَمِّرْهُمَا فَإِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ فِي الْبَيْتِ شَيْءٌ يَشْغَلُ الْمُصَلِّيَ» . قَالَ: سُفْيَانُ لَمْ تَزَلْ قَرْنَا الْكَبْشِ فِي الْبَيْتِ حَتَّى احْتِرَاقِ الْبَيْتِ فَاحْتَرَقَا. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَأْسَ الْكَبْشِ لَمْ يَزَلْ مُعَلَّقًا عِنْدَ مِيزَابِ الْكَعْبَةِ قَدْ يَبِسَ، وَهَذَا وَحْدَهُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ إِسْمَاعِيلُ؛ لِأَنَّهُ كَانَ هُوَ الْمُقِيمَ بِمَكَّةَ وَإِسْحَاقُ لَا نَعْلَمُ أَنَّهُ قَدِمَهَا فِي حَالِ صِغَرِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَذَا هُوَ الظَّاهِرُ مِنَ الْقُرْآنِ، بَلْ كَأَنَّهُ نَصٌّ عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ هُوَ إِسْمَاعِيلُ؛ لِأَنَّهُ ذَكَرَ قِصَّةَ الذَّبِيحِ، ثُمَّ قَالَ بَعْدَهُ: {وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ} [الصافات: 112] . وَمَنْ جَعَلَهُ حَالًا فَقَدْ تَكَلَّفَ، وَمُسْتَنَدُهُ أَنَّهُ إِسْحَاقُ إِنَّمَا هُوَ إِسْرَائِيلِيَّاتُ، وَكِتَابُهُمْ فِيهِ تَحْرِيفٌ، وَلَا سِيَّمَا هَاهُنَا قَطْعًا لَا مَحِيدَ عَنْهُ فَإِنَّ عِنْدَهُمْ أَنَّ اللَّهَ أَمَرَ إِبْرَاهِيمَ أَنْ يَذْبَحَ ابْنَهُ وَحِيدَهُ وَفِي نُسْخَةٍ مِنَ الْمُعَرَّبَةِ: بِكْرَهُ إِسْحَاقَ فَلَفْظَةُ إِسْحَاقَ هَاهُنَا مُقْحَمَةٌ مَكْذُوبَةٌ مُفْتَرَاةٌ؛ لِأَنَّهُ لَيْسَ هُوَ الْوَحِيدَ وَلَا الْبِكْرَ وَإِنَّمَا الْوَحِيدُ الْبِكْرُ إِسْمَاعِيلُ، وَإِنَّمَا حَمَلَهُمْ عَلَى هَذَا حَسَدُ الْعَرَبِ فَإِنَّ إِسْمَاعِيلَ أَبُو الْعَرَبِ الَّذِينَ يَسْكُنُونَ الْحِجَازَ الَّذِينَ مِنْهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِسْحَاقَ وَالِدُ يَعْقُوبَ، وَهُوَ إِسْرَائِيلُ الَّذِينَ يَنْتَسِبُونَ إِلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৫
فَأَرَادُوا أَنْ يَجُرُّوا هَذَا الشَّرَفَ إِلَيْهِمْ فَحَرَّفُوا كَلَامَ اللَّهِ وَزَادُوا فِيهِ وَهُمْ قَوْمٌ بُهْتٌ، وَلَمْ يُقِرُّوا بِأَنَّ الْفَضْلَ بِيَدِ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ، وَقَدْ قَالَ بِأَنَّهُ إِسْحَاقُ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنَ السَّلَفِ، وَغَيْرِهِمْ، وَإِنَّمَا أَخَذُوهُ وَاللَّهُ أَعْلَمُ مِنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ أَوْ صُحُفِ أَهْلِ الْكِتَابِ، وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَنِ الْمَعْصُومِ حَتَّى نَتْرُكَ لِأَجْلِهِ ظَاهِرَ الْكِتَابِ الْعَزِيزِ وَلَا يُفْهَمُ هَذَا مِنَ الْقُرْآنِ، بَلِ الْمَفْهُومُ بَلِ الْمَنْطُوقُ بَلِ النَّصُّ عِنْدَ التَّأَمُّلِ عَلَى أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ، وَمَا أَحْسَنَ مَا اسْتَدَلَّ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ عَلَى أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ، وَلَيْسَ بِإِسْحَاقَ مِنْ قَوْلِهِ: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] قَالَ: فَكَيْفَ تَقَعُ الْبِشَارَةُ بِإِسْحَاقَ وَأَنَّهُ سَيُولَدُ لَهُ يَعْقُوبُ، ثُمَّ يُؤْمَرُ بِذَبْحِ إِسْحَاقَ وَهُوَ صَغِيرٌ قَبْلَ أَنْ يُولَدَ لَهُ؟ هَذَا لَا يَكُونُ؛ لِأَنَّهُ يُنَاقِضُ الْبِشَارَةَ الْمُتَقَدِّمَةَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اعْتَرَضَ السُّهَيْلِيُّ عَلَى هَذَا الِاسْتِدْلَالِ بِمَا حَاصِلُهُ أَنَّ قَوْلَهُ: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ} [هود: 71] جُمْلَةٌ تَامَّةٌ. وَقَوْلَهُ: {وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . جُمْلَةٌ أُخْرَى لَيْسَتْ فِي حَيِّزِ الْبِشَارَةِ، قَالَ: لِأَنَّهُ لَا يَجُوزُ مِنْ حَيْثُ الْعَرَبِيَّةُ أَنْ يَكُونَ مَخْفُوضًا إِلَّا أَنْ يُعَادَ مَعَهُ حَرْفُ الْجَرِّ فَلَا يَجُوزُ أَنْ يُقَالَ مَرَرْتُ بِزَيْدٍ وَمِنْ بَعْدِهِ عَمْرٍو حَتَّى يُقَالَ وَمِنْ بَعْدِهِ بِعَمْرٍو. وَقَالَ فَقَوْلُهُ: {وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . مَنْصُوبٌ بِفِعْلٍ مُضْمَرٍ تَقْدِيرُهُ وَوَهَبْنَا لِإِسْحَاقَ يَعْقُوبَ، وَفِي هَذَا الَّذِي قَالَهُ نَظَرٌ، وَرَجَّحَ أَنَّهُ إِسْحَاقُ وَاحْتَجَّ بِقَوْلِهِ: {فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ} [الصافات: 102] . قَالَ: وَإِسْمَاعِيلُ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ إِنَّمَا كَانَ فِي حَالِ صِغَرِهِ هُوَ وَأَمُّهُ بِحِيَالِ مَكَّةَ فَكَيْفَ يَبْلُغُ مَعَهُ السَّعْيَ؟ وَهَذَا أَيْضًا فِيهِ نَظَرٌ؛ لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ أَنَّ الْخَلِيلَ كَانَ يَذْهَبُ فِي كَثِيرٍ مِنَ الْأَوْقَاتِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬


এখানে ইসহাকের জন্ম হওয়ায় এবং তার থেকে পুত্র ইয়াকুবের জন্ম হওয়ার সুসংবাদ দেয়া
হয়েছে ৷ বিক্ষ্ম এই সাথে যদি ইয়াকুবের জন্মের পুর্বেই ইসহাককে বাল্যকালে যবেহের নির্দেশও
দেয়৷ হয়, তবে পুর্বের সুসংবাদ আর সুসৎ বাদ থাকে কি করে? বরং এটা হয়ে যায় সুসৎ বাদের
বিপরীত ৷

সুহায়লী (ব) উপরোক্ত যুক্তি প্রমাণের উপর প্রশ্ন করেছেন ৷ তার প্রশ্নের সারমর্ম এইং
ন্ ৷ ; ঠু ট্রু,ৰুদ্বু একটি ভিন্ন
বাক্য ৷ পুর্ব রাকোর সুসৎবাদের আওতায় এটা আসে না ৷ কেননা, এখানে প্রুদ্বুণ্ন্ শব্দের
উপর আরবীর নিয়ম অনুযায়ী ৷ যেমন
”fl; পড়া যায় না, পড়তে হলে
ঙু-কে পুনরায় উল্লেখ করে এে^ন্ পড়তে হবে ৷ অতএব আয়াতে ন্ঞা ;,গ্রা ব্র
হিসেবে
ধ্ ;প্রুপ্গ্রা পড়তে হবে ৷ অর্থাৎ প্রুদ্বুণ্ এা; ১৷ ঢু ষ্ঞা, কিন্তু সুহায়লীর কথা
প্রশ্নাভীত নয়, তইি ইসহাক (আ) কেও যাবীহুল্লাহ বলা যাবে না ৷ সুহায়লী তার মতের সপক্ষে
ভিন্ন আরও একটি দলীল দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন, আল্লাহর বাণী স্পোধ্শ্প্ণ্ ! ’ ’ ৫পু এে
(সে যখন ইবরাহীমের সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল) বিক্ষ্ম ইসমাঈল (আ) যেহেতু
সে সময় ইবরাহীম (আ) এর কাছে ছিলেন না, বরং শিশুকালে মায়ের সাথে মক্কা উপত্যকায়
থাকতেন সুতরাং পিতার সাথে চলাফেরা করার প্রশ্নই উঠে না ৷ এ দলীলও সমর্থনযােগ্য নয় ৷
কেননা, বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, হযরত ইবরাহীম (আ) ঐ সময়ে বহুবার বৃরাকে চড়ে মক্কায়
নিয়েছেন এবং পুত্র ও পুত্রের মাকে দেখে পুনরায় চলে আসতেন ৷ ইসহাক (আ)-কে যাবীহুল্লাহ
বলার পক্ষে যাদের মতামত পাওয়া যায় তাদের মধ্যে কাব আহবার অন্যতম ৷ হযরত উমর,
আব্বাস, আলী, ইবন মাসউদ (রা), মাসরুক, ইকরামা, সাঈদ ইবন জুবায়র , মুজাহিদ, আত৷ ,
শা’বী , মুকাতিল, উবায়দ ইবন উমর, আবু মায়সারা, যায়দ ইবন আসলাম , আবদুল্লাহ ইবন
শার্কীক, যুহরী, কাসিম ইবন আবী বুরদাহ্ মাকহুল, উছমান ইবন হাজির, সুদৃদী, হাসান,
কাতাদা, আবুল হুযায়ল, ইবন সাবিত (বা) প্রমুখ এই মত পোষণ করেন ৷ ইবন জ বিবও এ
মতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ৷ বিক্ষ্ম তার বেলায় এটা একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার ৷ ইবন আব্বাস
(বা) থেকে দু’টি মত বর্ণিত হয়েছে, তন্মধ্যে একটি মত উপরের অনুরুপ ৷ কিন্তু তার সঠিক মত
ও অধিকাৎশ সাহারা, তাবিঈ ও আলিমদের মতে হযরত ইসমাঈল (আ)-ই যাবীহুল্লাহ ৷
মুজাহিদ, সাঈদ, শা’বী, ইউসুফ ইবন মাহরান, আতা প্রমুখ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণনা
করেছেন যে , তিনি হলেন ইসমাঈল (আ) ৷ ইবন জারীর (র) আত৷ ইবন আবী রেবাহব সুত্রে
ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, যার পরিবর্তে দুম্ব৷ যবেহ হয়েছে তিনি হযরত
ইসমাঈল (আ) ৷ অথচ ইহুদীরা বলে থাকে ইসহাকের কথা ৷ এটা তারা মিথ্যা বলে ৷ ইমাম
আহমদের পুত্র আবদুল্লীহ (র) বলেছেন, আমার পিতার মত এই যে, যাবীহুল্লাহ হযরত
ইসমাঈল (আ) ৷ ইবন আবী হাতিম (র) বলেন, আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞেস করেছি যে,
যাবীহুল্লাহ কে? তিনি বলেছেন, যথার্থ কথা হল তিনি হযরত ইসমাঈল (আ) ৷ ইবন আবী


رَاكِبًا الْبُرَاقَ إِلَى مَكَّةَ يَطَّلِعُ عَلَى وَلَدِهِ وَابْنِهِ، ثُمَّ يَرْجِعُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَمَنْ حُكِيَ الْقَوْلُ عَنْهُ بِأَنَّ الذَّبْيحَ إِسْحَاقُ كَعْبُ الْأَحْبَارِ. وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ، وَالْعَبَّاسِ، وَعَلِيٍّ، وَابْنِ مَسْعُودٍ، وَمَسْرُوقٍ، وَعِكْرِمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَعَطَاءٍ، وَالشَّعْبِيِّ، وَمُقَاتِلٍ، وَعُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، وَأَبِي مَيْسَرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، وَالزُّهْرِيِّ، وَالْقَاسِمِ بْنِ أَبِي بَزَّةَ، وَمَكْحُولٍ، وَعُثْمَانَ بْنِ حَاضِرٍ، وَالسُّدِّيِّ، وَالْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ، وَأَبِي الْهُذَيْلِ، وَابْنِ سَابِطٍ، وَهُوَ اخْتِيَارُ ابْنِ جَرِيرٍ، وَهَذَا عَجَبٌ مِنْهُ، وَهُوَ إِحْدَى الرِّوَايَتَيْنِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَلَكِنَّ الصَّحِيحَ عَنْهُ، وَعَنْ أَكْثَرِ هَؤُلَاءِ أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ مُجَاهِدٌ، وَسَعِيدٌ وَالشَّعْبِيُّ، وَيُوسُفُ بْنُ مِهْرَانَ، وَعَطَاءٌ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: هُوَ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: الْمَفْدِيُّ إِسْمَاعِيلُ، وَزَعَمَتِ الْيَهُودُ أَنَّهُ إِسْحَاقُ، وَكَذَبَتِ الْيَهُودُ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، عَنْ أَبِيهِ هُوَ إِسْمَاعِيلُ، وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: سَأَلْتُ أَبِي عَنِ الذَّبِيحِ فَقَالَ: الصَّحِيحُ أَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: وَرُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ، وَابْنِ عُمَرَ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي الطُّفَيْلِ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَالْحَسَنِ، وَمُجَاهِدٍ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৭


হাতিম (র) বলেন : হযরত আলী, ইবন উমর, আবু হুরায়রা (রা), আবুতট্রু-তুফায়ল, সাঈদ
ইবনুল মুসাফির, সাঈদ ইবন জুবড়ায়র , হাসান, মুজাহিদ, শাবী, মুহাম্মদ ইবন কাব, আবু
জাফর মুহাম্মদ ইবন আলী ও আবু সালিহ সকলেই বলেছেন-যাবীহুল্লাহ হযরত ইসমাঈল
(আ) ৷ ইমাম বগবী (র)-ও উপরোক্ত মত রাবী ইবন আনাস (রা) , কালবী ও আবু আমর ইবন
আল৷ (যা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত মুআবিয়া (রা) থেকে বর্ণিত , এক ব্যক্তি এসে রাসুল
(না)-কে সম্বোধন করল এভাবে; ব্লু,ন্ প্রুপ্রু;এ ! ;,ৰু৷ ৮ হে দুই যাবীহার পুত্র ! একথা শুনে
রাসুল (সা) হেসে দিলেন ৷ উমর ইবন আবদুল আযীয (র) ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র)ও এই
কথা বলেছেন ৷ হাসান বসরী (র) বলেন, এ বর্ণনায় কোন সন্দেহ নেই ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
মুহাম্মদ ইবন কাব সুত্রে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (ব) যখন
খলীফা, তখন আমি সিরিয়ার ছিলাম ৷ আমি ইসমাঈলের যাবীহুল্লাহ্ হওয়ার পক্ষে খলীফার
নিকট দলীল স্বরুপ এই আয়াত পেশ করলাম;


(আমি তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পরে ইয়াকুবের জন্মের সুসংবাদ দিলাম) ৷ তখন
খলীফা উমর ইবন আবদুল আযীয বললেন, এটা৫ ত৷ একটা চমৎকার দলীল এ দিকট৷ আমি
লক্ষ্য করিনি ৷ এখন দেখছিতু মি যা বলছ৩ তাই সঠিক ৷ অতঃপর খলীফা সিরিয়ার বসবাসকারী
এক লোককে ডেকে আনতে বলেন ৷ ঐ লোকটি পুর্বে ইহুদী ছিল ৷ পরে ইসলাম গ্রহণ করে
এবং একজন ভাল মুসলমান হয় ৷ লোকটি ইহুদী সম্প্রদায়ের আলিম ছিল ৷ খলীফা তাকে
জিজ্ঞেস করলেন, ইবরাহীম (আ)-এর দুই পুত্রের মধ্যে কোন পুত্রকে যবেহ করার নির্দেশ
দেওয়া হয় ৷ সে বলল, আল্লাহর শপথ ইসমাঈল (আ)-কে ৷ হে আমীরুল মুমিনীন! ইহুদীরা
একথা ভালরুপেই জানে ৷ কিন্তু তারা আরবদের প্রতি হিংসা পোষণ করে এ কারণে যে, তাদের
পিতৃপুরুষ এমন এক ব্যক্তি যার ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ রয়েছে এবং যবেহর নির্দেশ পেয়ে
ধৈর্য ধরার কারণে যার সম্মান ও মর্যাদার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই কারণেই ইহুদীরা জেনে
বুঝেই তাকে অস্বীকার করে এবং বলে যে , ইসহাককেই যবেহ করার আদেশ দেয়া হয়েছিল ৷
কেননা, ইসহাক (আ) তাদের পিতৃপুরুষ ৷ এ বিষয়ে আমরা দলীল-প্রমাণসহ বিস্তারিত
আলোচনা আমাদের তাফসীরে উল্লেখ করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই ৷


وَالشَّعْبِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، وَأَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، وَأَبِي صَالِحٍ أَنَّهُمْ قَالُوا: الذَّبِيحُ هُوَ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَحَكَاهُ الْبَغَوِيُّ أَيْضًا عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، وَالْكَلْبِيِّ، وَأَبِي عَمْرِو بْنِ الْعَلَاءِ. قُلْتُ: وَرُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَجَاءَ عَنْهُ «أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا ابْنَ الذَّبِيحَيْنِ، فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَإِلَيْهِ ذَهَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَكَانَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ يَقُولُ: لَا شَكَّ فِي هَذَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ سُفْيَانِ بْنِ فَرْوَةَ الْأَسْلَمِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّهُ ذَكَرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَهُوَ خَلِيفَةٌ إِذْ كَانَ مَعَهُ بِالشَّامِ يَعْنِي اسْتِدْلَالَهُ بِقَوْلِهِ بَعْدَ الْقِصَّةِ: {فَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: إِنَّ هَذَا الشَّيْءَ مَا كُنْتُ أَنْظُرُ فِيهِ، وَإِنِّي لَأَرَاهُ كَمَا قُلْتَ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى رَجُلٍ كَانَ عِنْدَهُ بِالشَّامِ كَانَ يَهُودِيًّا فَأَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، وَكَانَ يُرَى أَنَّهُ مِنْ عُلَمَائِهِمْ قَالَ: فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ ذَلِكَ - قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ: وَأَنَا عِنْدَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ - فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: أَيُّ ابْنَيْ إِبْرَاهِيمَ أُمِرَ بِذَبْحِهِ؟ فَقَالَ: إِسْمَاعِيلُ وَاللَّهِ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنَّ يَهُودَ لَتَعْلَمُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৮

ইসহাক (আ) এর জন্ম

এ প্রসঙ্গে আল্লাহর বাণী৪





আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলাম ইসহাকের সে ছিল এক নবী, সৎকর্মপরায়ণদের
অন্যতম ৷ আমি তাকে বরকত দান করেছিলাম এবং ইসহাককেও ৷ তাদের বংশধরদের মধ্যে
কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক নিজেদের প্ৰতি স্পষ্ট অত্যাচারী ৷ (সুরা সাফ্ফাত :

১ ১ ২ ১ ১৩)

মাদায়েন অঞ্চলের অধিবাসী লুত (আ)-এর সম্প্রদায়ের কুফরী ও পাপাচারের শাস্তি
প্রদানের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ফেরেশতাগণ সেখানে যাওয়ার পথে হযরত ইব্রাহীম (আ) ও
সারাহ্কে এ সুসংবাদ শুনিয়ে যান ৷

আল্লাহবলেনং ,






গ্রার্বৃ


আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিল ৷ তারা বলল,
সালাম’ ৷ সেও বলল, সালাম’ ৷ সে অবিলম্বে এক করে যে করা বাছুর নিয়ে আসল ৷ সে যখন
দেখল, তাদের হাত সেটা ৷র দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করল এবং
তাদের সম্বন্ধে তার মনে ভীতি সঞ্চার হলো ৷ তারা বলল, তয় করে৷ না, আমরা লুতের
সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি ৷ তখন তার ত্রী দাড়িয়েছিল এবং সে হাসল ৷৩ তারপর আমি
তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম ৷ সে বলল, কি আশ্চয় ৷
সন্তানের জননী হয় আমি, যখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী বৃদ্ধ ৷ এটি অবশ্যই এক

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪৬-


بِذَلِكَ، وَلَكِنَّهُمْ يَحْسُدُونَكُمْ مَعْشَرَ الْعَرَبِ عَلَى أَنْ يَكُونَ أَبَاكُمُ الَّذِي كَانَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ فِيهِ وَالْفَضْلِ الَّذِي ذَكَرَهُ اللَّهُ مِنْهُ لِصَبْرِهِ لِمَا أُمِرَ بِهِ، فَهُمْ يَجْحَدُونَ ذَلِكَ وَيَزْعُمُونَ أَنَّهُ إِسْحَاقُ؛ لِأَنَّ إِسْحَاقَ أَبُوهُمْ. وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذِهِ الْمَسْأَلَةَ مُسْتَقْصَاةً بِأَدِلَّتِهَا، وَآثَارِهَا فِي كِتَابِنَا التَّفْسِيرِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৯


অদ্ভুত ব্যাপার ও তারা বলল, আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময় বোধ করছ? হে পরিবারবর্গ৷ তোমাদের
প্রতি রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ ৷ তিনি প্রশৎসার্ভু ও সম্মানার্দু ৷ (সুরা হ্রদ : ৬৯ ৭৪)
আল্লাহর বাণীং


ণ্ব্লুাণ্


গ্লু,হু;;;;; ৷ ব্লু; ষ্ব্লু; ১া; ;; ৷; এ;: ; ;া; ১;ব্লু;;; র্চু;; র্দুস্থু; ৷ ’ ;পু’;দ্বু;

এবং ওদেরকে বল, ইবরাহীমের অতিথিদের কথা, যখন ওরা তার নিকট উপস্থিত হয়ে
বলল, সালাম’ ৷ তখন সে বলেছিল, আমরা তোমাদের আগমনে আতৎকিত ৷’ তারা বলল
ভয় করিও না, আমরা তামাকে এক জ্ঞানী পুত্রের শুভ সংবাদ দিচ্ছি’ ৷ সে বলল, তোমরা কি
আমাকে শুভ সংবাদ দিচ্ছ আমি বার্ধকগ্রেস্ত হওয়া সত্বেও ? তোমরা কি বিষয়ে শুভ সং বাদ
দিচ্ছ? ওরা বলল, ’আমরা স৩ দ্র সংবাদ দিচ্ছি, সুতরাং তুমি হতাশ হইও না ৷ সে বলল, যারা
পথভ্রষ্ট তারা ব্যতীত আর কে তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ হতে হতাশ হয়? (সুরা হিজ্বরং ;
৫ ১ ৫৬)

আল্লাহর বাণী৪
এ;


ণ্ম্বু


তোমার নিকট ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কাি যখন ওরা তার
কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম ৷ উত্তরে সে বলল, সালাম ৷ এরা তো অপরিচিত লোক ৷
তারপর ইব্রাহীম তার ত্রীর নিকট গেল এবং একটি মাংসল গরুর বাছুর তাজা অবস্থায় নিয়ে
আসল ও তাদের সামনে রাখল এবং বলল, তোমরা খাচ্ছ না কেন? এতে ওদের সম্পর্কে তার
মনে ভীতির সঞ্চার হল ৷ ওরা বলল, ভীত হয়ে৷ না ৷ ’ তারপর ওরা তাকে এক জ্ঞানী পুত্র
সন্তানের সুসংবাদ দিল ৷ তখন তার ন্তী চিৎকার করতে করতে আসল এবং পাল চাপড়িয়ে বলল ,
এই বৃদ্ধা বন্ধ্যার সন্তান হবো তারা বলল, তোমার প্রতিপালক এরুপই বলেছেন, তিনি প্রজ্ঞাময়,
সর্বজ্ঞ ৷ (সুরা যারিয়াত : ২৪ ৩০)


[ذِكْرُ مَوْلِدِ إِسْحَاقَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَاقَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِنَفْسِهِ مُبِينٌ} [الصافات: 112] . وَقَدْ كَانَتِ الْبِشَارَةُ بِهِ مِنَ الْمَلَائِكَةِ لِإِبْرَاهِيمَ وَسَارَةَ لَمَّا مَرُّوا بِهِمْ مُجْتَازِينَ ذَاهِبِينَ إِلَى مَدَائِنِ قَوْمِ لُوطٍ لِيُدَمِّرُوا عَلَيْهِمْ لِكُفْرِهِمْ وَفُجُورِهِمْ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا سَلَامًا قَالَ سَلَامٌ فَمَا لَبِثَ أَنْ جَاءَ بِعِجْلٍ حَنِيذٍ فَلَمَّا رَأَى أَيْدِيَهُمْ لَا تَصِلُ إِلَيْهِ نَكِرَهُمْ وَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً قَالُوا لَا تَخَفْ إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمِ لُوطٍ وَامْرَأَتُهُ قَائِمَةٌ فَضَحِكَتْ فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ قَالَتْ يَاوَيْلَتَى أَأَلِدُ وَأَنَا عَجُوزٌ وَهَذَا بَعْلِي شَيْخًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عَجِيبٌ قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ} [هود: 69] [الذَّارِيَاتِ: 24 - 30] .
পৃষ্ঠা - ৩৭০
يَذْكُرُ تَعَالَى أَنَّ الْمَلَائِكَةَ قَالُوا وَكَانُوا ثَلَاثَةً؛ جِبْرِيلَ، وَمِيكَائِيلَ، وَإِسْرَافِيلَ، لَمَّا وَرَدُوا عَلَى الْخَلِيلِ حَسِبَهُمْ أَوَّلًا أَضْيَافًا فَعَامَلَهُمْ مُعَامَلَةَ الضُّيُوفِ شَوَى لَهُمْ عِجْلًا سَمِينًا مِنْ خِيَارِ بَقَرِهِ، فَلَمَّا قَرَّبَهُ إِلَيْهِمْ وَعَرَضَ عَلَيْهِمْ لَمْ يَرَ لَهُمْ هِمَّةً إِلَى الْأَكْلِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَذَلِكَ لِأَنَّ الْمَلَائِكَةَ لَيْسَ فِيهِمْ قُوَّةُ الْحَاجَةِ إِلَى الطَّعَامِ فَنَكِرَهُمْ إِبْرَاهِيمُ: {وَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً قَالُوا لَا تَخَفْ إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمِ لُوطٍ} [هود: 70] . أَيْ لِنُدَمِّرَ عَلَيْهِمْ فَاسْتَبْشَرَتْ عِنْدَ ذَلِكَ سَارَةُ غَضَبًا لِلَّهِ عَلَيْهِمْ وَكَانَتْ قَائِمَةً عَلَى رُءُوسِ الْأَضْيَافِ، كَمَا جَرَتْ بِهِ عَادَةُ النَّاسِ مِنَ الْعَرَبِ وَغَيْرِهِمْ، فَلَمَّا ضَحِكَتِ اسْتِبْشَارًا بِذَلِكَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . أَيْ بَشَّرَتْهَا الْمَلَائِكَةُ بِذَلِكَ {فَأَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ فِي صَرَّةٍ} [الذاريات: 29] . أَيْ فِي صَرْخَةٍ {فَصَكَّتْ وَجْهَهَا} [الذاريات: 29] أَيْ كَمَا يَفْعَلُ النِّسَاءُ عِنْدَ التَّعَجُّبِ، وَقَالَتْ: {يَا وَيْلَتَا أَأَلِدُ وَأَنَا عَجُوزٌ وَهَذَا بَعْلِي شَيْخًا} [هود: 72] . أَيْ كَيْفَ يَلِدُ مِثْلِي وَأَنَا كَبِيرَةٌ وَعَقِيمٌ أَيْضًا {وَهَذَا بَعْلِي} [هود: 72] أَيْ زَوْجِي شَيْخًا، تَعَجَّبَتْ مِنْ وُجُودِ وَلَدٍ وَالْحَالَةُ هَذِهِ؛ وَلِهَذَا قَالَتْ: {إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عَجِيبٌ - قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ} [هود: 72 - 73] . وَكَذَلِكَ تَعَجَّبَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اسْتِبْشَارًا بِهَذِهِ الْبِشَارَةِ وَتَثْبِيتًا لَهَا وَفَرَحًا بِهَا
পৃষ্ঠা - ৩৭১


এখানে মেহমান অর্থ ফেরেশতা যারা মানুষের আকৃতি ধারণ করে এসেছিলেন, এরা
ৎখ্যায় ছিলেন তিনজন ও জিবরাঈল (আ), মীকাঈল (আ) ও ইসরাফীল (আ) ৷ হযরত
ইবরাহীম (আ)-এর বাড়িতে এসে তিনি মেহমানরুপে গণ্য করেন এবং মেহমানদের সাথে যে
রকম আচরণ করা হয় সে রকম আচরণ করেন ৷ সুতরাং তিনি তার পােয়ালের সবচাইতে
হৃষ্টপুষ্ট একটি বাছুর ভুনা করে তাদের সামনে পেশ করেন ৷ কিন্তু তিনি আহারের প্রতি তাদের
কো ৷নই আগ্নহ দেখতে পেলেন না ৷ কেননা, ফেরেশতাদের আহারের কোন প্রয়োজন হয় না ৷

তাদের সম্বন্ধে তার মনে৩ ভীতিঃ সঞ্চার
হল ৷ তারা বলল, ডীত হয়ো না, আমরা লুতে তর সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি ৷ অর্থাৎ
তাদেরকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ৷ এ সময় শ্রী সারাহ্ আল্লাহর ক্রোধে লুতের সম্প্রদায়ের শাস্তির
কথা শুনে আনন্দিত হন ৷ সারাহ্ মেহমানদের সামনেই দণ্ডায়মান ছিলেন যেমনি আরব ও
অনারবদের মধ্যে নিয়ম প্রচলিত আছে ৷ সারাহ্ যখন ঐ সংবাদ শুনে হেসে দেন তখন আল্লাহ


তাকে সুসৎবাদ
(তারপর আমি৩ ৷কে ইসহাকের ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুরের সুসৎবাদ দিলাম) অর্থাৎ

ফেরেশতারা তাকে এ বিষয়ে সুসৎ বাদ দেন ৷ ;;:’é ধ্^,ণ্ ৰুশুএ;প্ ’ ^ ১ (তখন তার শ্রী
চিৎকার করতে করতে সম্মুখে আসল ৷) (এবং নিজের পাল

চাপড়িয়ে বলতে €fififi);>!ংfi§ যেভাবে মেয়ে লোকেরা অবাক হলে করে থাকে ৷ ট্রুএাৰুএ

আশ্চর্য! আমি জননী হব, অথচ

এখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী বৃদ্ধ) অর্থাৎ আমার মত একজন বৃদ্ধা ও বন্ধ্য৷ মহিলা কী

করে সন্তান জন্ম দিতে পারে আর আমার স্বামীও এই বৃদ্ধ! এ অবস্থায় সন্তান হওয়ার সৎ ৷দে

তিনি আশ্চর্যবােধ করেন ৷৩ তাই তিনি বলেনং ) ^ ৷ঞ এটা অবশ্যই এক
অদ্ভুতব্যাপাব ৷) ,

ষ্দ্বুধ্)×র্চু
(ওরা বলল, আল্লাহর কাজে আপনি বিম্ময়বােধ করছেন ? হে পরিবারবর্গ৷ তোমাদের প্ৰতি
রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ ৷ তিনি প্রশৎসার অধিকারী ও সম্মানের অধিকারী ৷)

ইবরাহীম (আ) ও এ সুসৎ বাদ পেয়ে ও ত্রীর খুশীর সাথে শরীক হয়ে এবং ন্তীর মনে দৃঢ়তা

সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিজেও আশ্চর্যবােধ করেন ৷




ইবরাহীম বলল, তে ৷মরা কি আমাকে শুভ সংবাদ দিচ্ছ আমি বার্ধক্যগ্রস্ত হওয়া সত্বেও?
তোমরা কি বিষয়ে শুভ সংবাদ দিচ্ছ? তারা বলল, আমরা সত্য সংবাদ দিচ্ছি ৷ সুতরাং আপনি

হতাশ হবেন না ৷


{قَالَ أَبَشَّرْتُمُونِي عَلَى أَنْ مَسَّنِيَ الْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُونَ قَالُوا بَشَّرْنَاكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْقَانِطِينَ} [الحجر: 54] .
পৃষ্ঠা - ৩৭২


এই বাক্য দ্বারা সুসংবাদকে দৃঢ়তর করা হয়েছে ৷ তারপর ফেরেশ্ ৷তাগণ ইব্রাহীম (আ) ও
সারাহকে এক জ্ঞানী পুত্র সন্তানের (ঝু ¢£ ব্লুর্বুাষ্;) সুসংবাদ দিলেন ৷ অর্থাৎ ইসহাক (আ) ও
তার ভাইয়ের কথা ৷ ইসমাঈল (আ) কে আল্লাহ বিভিন্ন গুণের ও মর্যাদার অধিকারী বলে

কুরআনে উল্লেখ করেছেন যেমন ণ্া বা ধৈর্যশীল-যা তার অবস্থার সাথে খুবই সাম
স্যপুর্ণ ৷ তাছ৷ ড়৷ ওয়াদ৷ পালনকারী এবং সহনশীল বলেও তার উল্লেখ করা হয়েছে ৷

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন০ ং



(আ ৷মি তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পর ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম ৷) এ আয়াত দ্ব৷ ৷রাই
মুহাম্মদ ইবন কা ব আল কুরাজী (র) প্রমুখ দলীল পেশ করেছেন যে, যাকে যবেহ-এর হুকুম
করা হয়েছিল তিনি হলেন ইসমাঈল (আ)-ইসহাক (আ) নন ৷ কেননা ইসহাক (আ)-কে
যবেহ করার হুকুম দেয়া যুক্তিযুক্ত হতে পারে না ৷ যেহেতু সুসংবাদ দেয়৷ হয়েছে যে, তিনি বেচে
থাকবেন এবং তার ইয়াকুব্ নামক একজন সন্তানও জন্মগ্রহণ করবে ৷ কিন্তু ইসহাক শ্রুন্নুধ্
শব্দটি ধ্,দ্বু; শব্দ থেকে নির্গত যার অর্থ পরে হওয়া বা পরে আসা ৷

আহ্লি কিতাবদের মতে, ফেরেশতাদের সম্মুখে ভুন৷ করা ব্াছুরের সাথে রুটি , তিনটা
মশক, ঘি ও দুধ আনা হয় এবং ফেরেশতাগণ তা থেয়েও ছিলেন ৷ কিন্তু ফেরেশতাদের খাওয়ার
মতটি এক চরম ভ্রাস্তি বৈ কিছু নয় ৷ কারও কারও মতে ফেরেশতাগণ আহার করতে
চেয়েছিলেন, কিভু খাদ্যদ্রব্য তখন বা৩ ৷সে মিশে যায় ৷ আহ্লি কিতাবদের মতে, আল্লাহ
ইব্রাহীম (আ) কে বলেনং : তোমার শ্ৰীকে সারা ( ৷ ) ৷) বলে ভেকো না, বরং সে হচ্ছে
(ও,£) সারাহ্ ৷ আমি তাকে বরকত দান করব এবং তাকে পুত্র সন্তান দান করব ৷ সে
পুত্রকেও বরকতময় করব ৷ তার বংশ থেকে অনেক গোত্র হবে এবং সে বংশে অনেক
রাজা-বাদশাহর জন্ম হবে ৷ একথা শুনে ইব্রাহীম (আ) শুকরিয়া আদায়ের জন্যে সিজদায় পড়ে
যান ৷ তিনি মনে মনে চিন্তা করে হাসেন এবং বলেন, আমার বয়স যখন একশ’র উপরে এবং
সারাহ্র বয়স নব্বই এখন আমাদের সন্তান হবে ! ইব্রাহীম (আ) প্রার্থনা করেন, হে আল্লাহ !
ইব্রাহীম যদি আপনার সম্মুখে লালিত-পালিত হত ! আল্লাহ বলেন : হে ইব্রাহীম ৷ আমি আমার
নিজের কসম করে বলছি, তোমার শ্রী সারাহ্ অবশ্যই পুত্র সন্তান প্রসব করবে ৷ তার নাম হবে
ইসহাক ৷ সে দীর্ঘজীবী হবে এবং আমার আশিস ধন্য হবে সে এবং তার পরবর্তী ব০ ×শধররা ৷
ইসমাঈলের ব্যাপারে৫ তামার প্রার্থনা ৷কবুল করেছি ৷৩ তাকে বরকত দান করেছি ৷ আমি তাকে
বড় করেছি ও যথেষ্ট সমৃদ্ধি দিয়েছি ৷ ত ৷র বংশে বারজন বাদশাহর জন্ম হবে৷ তাকে আমি এক
বিশাল ব্×শের প্রধান বানাব ৷ এ বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আল্লাহই সর্বশু

আল্লাহর বাণী৪


(আমি তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম ৷) এ আয়াত
থেকে প্রমাণিত হয় যে, বিবি সারাহ্ নিজ পুত্র ইসহাক ও ইসহাকের পুএ ইয়াকুব (নাতি ) এর
দ্বারা আনন্দ লাভ করবেন ৷ অর্থাৎ ইব্রাহীম (আ) ও সারাহ্র জীবদ্দশায় ইয়াকুবের জন্ম হবে


أَكَّدُوا الْخَبَرَ بِهَذِهِ الْبِشَارَةِ، وَقَرَّرُوهُ مَعَهُ فَبَشَّرُوهُمَا {بِغُلَامٍ عَلِيمٍ} [الحجر: 53] وَهُوَ إِسْحَاقُ وَأَخُوهُ إِسْمَاعِيلُ غُلَامٌ حَلِيمٌ مُنَاسِبٌ لِمَقَامِهِ وَصَبْرِهِ. وَهَكَذَا وَصَفَهُ رَبُّهُ بِصِدْقِ الْوَعْدِ وَالصَّبْرِ. وَقَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . وَهَذَا مِمَّا اسْتَدَلَّ بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ، وَغَيْرُهُ عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ هُوَ إِسْمَاعِيلُ، وَأَنَّ إِسْحَاقَ لَا يَجُوزُ أَنْ يُؤْمَرَ بِذَبْحِهِ بَعْدَ أَنْ وَقَعَتِ الْبِشَارَةُ بِوُجُودِهِ وَوُجُودِ وَلَدِهِ يَعْقُوبَ الْمُشْتَقِّ مِنَ الْعَقِبِ مِنْ بَعْدِهِ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ أَحْضَرَ مَعَ الْعِجْلِ الْحَنِيذِ وَهُوَ الْمَشْوِيُّ رَغِيفًا مِنْ مَلَّةٍ فِيهِ ثَلَاثَةُ أَكْيَالٍ وَسَمْنٌ وَلَبَنٌ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّهُمْ أَكَلُوا، وَهَذَا غَلَطٌ مَحْضٌ. وَقِيلَ: كَانُوا يُورُونَ أَنَّهُمْ يَأْكُلُونَ، وَالطَّعَامُ يَتَلَاشَى فِي الْهَوَاءِ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِإِبْرَاهِيمَ: أَمَّا سَارَةُ امْرَأَتُكَ فَلَا يُدْعَى اسْمُهَا سَارَا، وَلَكِنِ اسْمُهَا سَارَةُ، وَأُبَارِكُ عَلَيْهَا، وَأُعْطِيكَ مِنْهَا ابْنًا وَأُبَارِكُهُ، وَيَكُونُ لِلشُّعُوبِ، وَمُلُوكُ الشُّعُوبِ مِنْهُ. فَخَرَّ إِبْرَاهِيمُ عَلَى وَجْهِهِ يَعْنِي سَاجِدًا وَضَحِكَ قَائِلًا فِي نَفْسِهِ: أَبَعْدَ مِائَةِ سَنَةٍ يُولَدُ لِي غُلَامٌ، أَوْ سَارَةُ تَلِدُ وَقَدْ أَتَتْ عَلَيْهَا تِسْعُونَ سَنَةً؟ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لِلَّهِ تَعَالَى: لَيْتَ إِسْمَاعِيلَ يَعِيشُ قُدَّامَكَ! فَقَالَ اللَّهُ لِإِبْرَاهِيمَ: بِحَقِّي إِنَّ امْرَأَتَكَ سَارَةَ تَلِدُ لَكَ غُلَامًا
পৃষ্ঠা - ৩৭৩


এবং তাকে দেখে উভয়ের চোখ জুড়াবে ৷ যেমন জুড়াবে পুত্র ইসহাককে পেয়ে ৷

এই অর্থ যদি গ্রহণ করা না হয় তাহলে ইসহাকের সাথে তার বংশের সবাইকে বাদ দিয়ে
কেবল ইয়াকুবের উল্লেখ করার কোন অর্থ হয় না ৷ যখনই নিল্টিভ৷ ৷বে ইয়াকুবের নাম উল্লেখ
করা হয়েছে, তখনই নিশ্চিতভাবে বুঝতে হবে যে, ইব্রাহীম (আ) ও সারাহ্ ইয়াকুবকে পেয়ে
সেরুপ খুশী হবেন ও আনন্দ উপভোগ করবেন, যেরুপ খুশী ও আনন্দ উপভোগ করবেন তীর
পিতা ইসহাকের জন্মের দরুন ৷ আল্লাহর বাণীঘ্র



আমি তাকে দান করেছি ইসহাক ও ইয়াকুব ৷ প্রন্ব তক্যেকই আমি পথ প্রদর্শন করেছি ৷
( সুবা আনআমং ৮৪) আল্লাহর বাণী৪


মোঃ
অতঃপর ইব্রাহীম যখন তাদেরকে এবং আল্লাহ বর্তীত তারা আর যাদের পুজা
করত-তাদের সবাইকে পরিত্যাগ করল ৷ তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব ৷
(সুরা মাবয়াম০ : ৪৯)

এ আয়াতটি উল্লেখিত অভিমত কে আরও শক্তিশালী করেছে ৷ বুখারী ও মুসলিমের একটি
হাদীসও এই মত কে সমর্থন করে ৷ আবু যর (রা) সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেনং আমি একদা
জিজ্ঞেস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! সর্বপ্রথম নির্মিত মসজিদ কে ৷নৃটি? তিনি বললেন, মসজিদুল
হারম ৷ আমি বললাম, তারপর কো ৷নটি ? তিনি বললেন, মসজিদুল আক্সা ৷ আমি বললাম, এ
দৃ’ মসজিদের নির্মাণের মধ্যে ব্যবধান কত ? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর ৷ আমি বললাম, এর
পরবর্তী মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদ কে ৷নৃটিষ্ তিনি বললেন, এর পরে সব জায়গা সমান ৷ যেখানেই
সালাতের সময় হয় সেখানেই পড়ে নাও; কেননা সকল জায়গাই সালাত আদায়ের উপযুক্ত ৷

আহ্লি কিতাবদের মতে, হযরত ইয়াকুব (আ) মসজিদে আক্সা নির্মাণ করেন ৷ এর অপর
নাম মসজিদে ঈলিয়া বায়তু ল মুকাদ্দাস ৷ এটাও উল্লেখিত হাদীসের বর্ণনার সভ্যতার
প্রমাণবহ ৷ এ হিসাবে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) কর্তৃক মসজিদুল হারম নির্মাণের চল্লিশ
বছর পর ইয়াকুব (যার অপর নাম ইসমাঈল) (আ) কর্তৃক মসজিদে আক্সা নির্মাণের তথ্য
পাওয়া যায় ৷ এই সাথে আরও প্রমাণিত হয় যে, ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) যখন
মসজিদুল হারম নির্মাণ করেন তখন ইসহাক (আ) বত তমান ছিলেন ৷ কেননা ইররাহীম (আ)
যখন দু আ করেছিলেন তখন বলেছিলেন-আ ৷ল্লাহর বাণীং


ঢ়;াণ্র্টু
এ্যাং;স্



وَتَدْعُو اسْمَهُ إِسْحَاقَ إِلَى مِثْلِ هَذَا الْحِينِ مِنْ قَابَلٍ، وَأُوَاثِقُهُ مِيثَاقِي إِلَى الدَّهْرِ، وَلِخَلَفِهِ مِنْ بَعْدِهِ، وَقَدِ اسْتَجَبْتُ لَكَ فِي إِسْمَاعِيلَ، وَبَارَكْتُ عَلَيْهِ وَكَبَّرْتُهُ وَنَمَّيْتُهُ جَدًّا كَبِيرًا، وَيُولَدُ لَهُ اثْنَا عَشَرَ عَظِيمًا، وَأَجْعَلُهُ رَئِيسًا لِشَعْبٍ عَظِيمٍ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا بِمَا تَقَدَّمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهَا تَسْتَمْتِعُ بِوُجُودِ وَلَدِهَا إِسْحَاقَ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ يُولَدُ وَلَدُهُ يَعْقُوبُ أَيْ يُولَدُ فِي حَيَاتِهِمَا لِتَقَرَّ أَعْيُنُهُمَا بِهِ. كَمَا قَرَّتْ بِوَالِدِهِ. وَلَوْ لَمْ يُرِدْ هَذَا لَمْ يَكُنْ لِذِكْرِ يَعْقُوبَ وَتَخْصِيصِ التَّنْصِيصِ عَلَيْهِ مِنْ دُونِ سَائِرِ نَسْلِ إِسْحَاقَ فَائِدَةٌ، وَلَمَّا عُيِّنَ بِالذِّكْرِ دَلَّ عَلَى أَنَّهُمْ يَتَمَتَّعَانِ بِهِ وَيُسَرَّانِ بِمَوْلِدِهِ، كَمَا سُرَّا بِمَوْلِدِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ كُلًّا هَدَيْنَا} [الأنعام: 84] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ} [مريم: 49] . وَهَذَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ظَاهِرٌ قَوِيٌّ، وَيُؤَيِّدُهُ مَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ أَوَّلَ؟ قَالَ: الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ. قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ؟ قَالَ: الْمَسْجِدُ الْأَقْصَى. قُلْتُ: كَمْ بَيْنَهُمَا؟ قَالَ: أَرْبَعُونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৩৭৪

এ ৷
<,’ ১


স্মরণ কর, ইব্রাহীম বলেছিল , হে আমার প্রতিপ৷ ৷লক ! এই নগরীকে নিরাপদ করে৷ এবং
আমাকে ও আমার পুত্রগণকে প্রতিমা পুজা থেকে দুরে রেখ ৷ হে আমার প্রতিপালক৷ এ
প্রতিমাগুলাে বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে ৷ সুতরাং যে আমার অনুসরণ করবে সেই আমার
দলতুক্ত, কিন্তু কেউ আমার অরাধ্য হলে তুমি তো ক্ষমড়াশীল, পরম দয়ালু ৷ হে আমার
প্রতিপালক৷ আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার
পবিত্র ঘরের নিকট, হে আমাদের প্রতিপালক ! এজংন্য যে, ওরা যেন সালাত কায়েম করে ৷
অতএব, তুমি কিছু লোকের অন্তর ওদের প্রতি অনুরাপী করে দাও এবং ফলাদি দ্বারা ওদের
রিয্কের ব্যবস্থা করিও , যাতে ওরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ৷ হে আমাদের প্রতিপালক ! তুমি তো
জান, যা আমরা গোপন করি ও যা আমরা প্রকাশ করি, অড়াকাশমগুলী ও পৃথিবীর কিছুই আল্লাহর
নিকট গোপন থাকে না ৷ প্রশংসা আল্লাহ্রই প্রাপ্য, যিনি আমাকে আমার বার্ধকাে ইসমাঈল ও
ইসহাককে দান করেছেন ৷ আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনে থাকেন ৷ হে আমার
প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও ৷ হে
আমাদের প্রতিপালক ! আমার প্রার্থনা কবুল কর ৷ হে আমাদের প্রতিপালক ! যেদিন হিসাব হবে
সেদিন আমাকে আমার পিতড়ামাতাকে এবং মুমিনগণকে ক্ষমা করো ! (১৪ : ৩৫ : ১)

সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) সম্পর্কে হাদীসে যা বর্ণিত হয়েছে অর্থাৎ তিনি যখন বায়তৃল
মুকাদ্দাস নির্মাণ করেন তখন আল্লাহর নিকট তিনটি জিনিস চেয়েছিলেন ৷ নিম্নের আঘাতের
ব্যাখ্যার আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছিং



সুলায়মান বলল, হে আমার রব! আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দ্বুান
করুন, যার অধিকারী আ ৷মি ছাড়া আর কেউ না হয় ৷ (সুরা সাদং ৩৫)

সুলায়মান (আ)-এব আলােচনায়ও আমরা এ বিষয়ে উল্লেখ করব ৷ এর অর্থ তিনি
বায়তুল মুকাদ্দাসকে পুনঃনির্মাণ করেন ৷ কেননা পুব্লুকী উল্লেখ করা হয়েছে যে, উভয় মসজিদের
নির্মাণের মধ্যে চল্লিশ বছরের ব্যবধান ৷ কিছু! সুলায়মান (আ) ও ইব্রাহীম (আ) এর মধ্যে
চল্লিশ বছরের ব্যবধানের কথা কেউ বলেন নি ৷ কেবলমাত্র ইবন হিব্বান (র) তার তাকাসীম

ও আনওয়া’ গ্রন্থে এর উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু তার আগে বা পরে অন্য কেউ এ মত পোষণ
করেন নি ৷


قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ؟ قَالَ: ثُمَّ حَيْثُ أَدْرَكْتَ الصَّلَاةَ فَصَلِّ فَكُلُّهَا مَسْجِدٌ» . وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ يَعْقُوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الَّذِي أَسَّسَ الْمَسْجِدَ الْأَقْصَى، وَهُوَ مَسْجِدُ إِيلِيَا، وَهُوَ مَسْجِدُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ شَرَّفَهُ اللَّهُ. وَهَذَا مُتَّجِهٌ، وَيَشْهَدُ لَهُ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنَ الْحَدِيثِ. فَعَلَى هَذَا يَكُونُ بِنَاءُ يَعْقُوبَ، وَهُوَ إِسْرَائِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَعْدَ بِنَاءِ الْخَلِيلِ وَابْنِهِ إِسْمَاعِيلَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بِأَرْبَعِينَ سَنَةً سَوَاءً، وَقَدْ كَانَ بِنَاؤُهُمَا ذَلِكَ بَعْدَ وُجُودِ إِسْحَاقَ؛ لِأَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا دَعَا قَالَ فِي دُعَائِهِ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ} [إبراهيم: 35] [ص: 35] .
পৃষ্ঠা - ৩৭৫
وَكَمَا سَنُورِدُهُ فِي قِصَّتِهِ فَالْمُرَادُ مِنْ ذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَنَّهُ جَدَّدَ بِنَاءَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ مِنْ أَنَّ بَيْنَهُمَا أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَلَمْ يَقُلْ أَحَدٌ إِنَّ بَيْنَ سُلَيْمَانَ وَإِبْرَاهِيمَ أَرْبَعِينَ سَنَةً سِوَى ابْنِ حِبَّانَ فِي تَقَاسِيمِهِ وَأَنْوَاعِهِ، وَهَذَا الْقَوْلُ لَمْ يُوَافَقْ عَلَيْهِ وَلَا سُبِقَ إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৬

বায়তৃল আতীক বা কাবাগৃহ নির্মাণ

এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাণী ং



শ্
র্চুা,ওর্টু গ্লু১৷ ৷এ ৷, ’ ঞা;াছুএে

এবং স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহীমের জন্যে নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই ঘরের স্থান,
তখন বলেজ্জিড়াম, আমার সাথে কোন শরীক স্থির করো না, এবং আমার ঘরকে পবিত্র রাখিও
তাদের জন্যে যারা তাওয়াফ করে এবং যারা (দাড়ায় সালাতে), রুকু করে ও সিজদা করে ৷
এবং মানুষের নিকট হজ্জ-এর ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও
সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উটসমুহের পিঠে, এরা আসবে দুর-দুরান্তের পথ অতিক্রম করে ৷ (সুরা :
হজ্জ : ২৬ ২ ৭ )

আল্লাহর রাণী৪ €



মানব জাতির জন্যে সর্বপ্রথম যে ঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অতাে বাক্কায়, তা বরকতময়
ও বিশ্বজগতের দিশারী ৷৩ তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে ৷ যেমন মাকামে ইব্রাহীম এবং যে
কেউ ( সস্থানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ ৷ মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামথ্য আছে,
আল্লাহর উদ্দেশে ঐ গৃহের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য ৷ এবং কেউ প্রুত্যাথ্যান করলে সে
জেনে রাথুক , আল্লাহ্ বিশ্বজগতের মুথাঃপক্ষী নন ৷ (সুরা আলে-ইমরান : ৯৬-৯৮ )

আল্লাহর রাণী৪






,১এএএএ“৷ ,১এএএএট্টহ্র,এ ৷,


[ذِكْرُ بِنَاءِ الْبَيْتِ الْعَتِيقِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَنْ لَا تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ يَأْتُوكَ رِجَالًا وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ} [الحج: 26] . [الْحَجِّ: 26 - 27] . وَقَالَ تَعَالَى: {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ فِيهِ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ مَقَامُ إِبْرَاهِيمَ وَمَنْ دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ} [آل عمران: 96] [الْبَقَرَةِ: 124 - 129] . يَذْكُرُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৭


অবস্থিত ৷ এমনকি যদি বড়ায়ভুল মা মুর নিচে পতিত হতো তবে তা অবশ্যই কা বাঘরের উপরেই
পড়ভাে ৷ শুধু তাই নয়, কোন কোন পুর্বসুরি আলিমের মতে, সাত আসমানের প্রতিটি ইবাদত
গৃহ এই একই বরাবরে অবস্থিত ৷ তারা বলেছেন, প্রতিটি আসমানে একটি করে ঘর আছে ৷
আসমানবাসীরা সেই ঘরে আল্লাহর ইবাদত করে থাকেন ৷ আসমানবাসীদের জন্যে সেগুলো
পৃথিবীর অধিবাসীদের কাবারই অনুরুপ ৷ তাই আল্পাহ্ ইব্রাহীম (আ ) কে পৃথিবীর
অধিবাসীদের জন্যে একটি ঘর নির্মাণ করতে আদেশ দেন, যেমনি আকাশের ফেরেশতাদের
জন্যে ইবড়াদতখানা রয়েছে, আল্পাহ্ তাকে সে স্থান দেখিয়ে দেন ৷ আকাশ ও যমীন সৃষ্টির পর
থেকেই এই স্থানটিকে উক্ত ঘরের জন্যে নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছিল ৷ বুখারী ও মুসলিমে এ
কথাই বর্ণিত হয়েছে যে, এই শহরকে আল্লাহ সেই দিনই হন্রম’ বলে মর্যাদাসম্পন্ন করেছেন,
যেদিন তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছিলেন ৷ সুতরাং আল্লাহ্ প্রদত্ত মর্যাদার এটা কিয়ামত
পর্যন্ত তা হারমই থাকবে ৷ কোন সহীহ্ বর্ণনায়কােন নবী থেকে এমন বর্ণনা পাওয়া যায়নি যে,
ইব্রাহীম খলীলের নির্মাণের পুর্বে এ ঘরের কোন নির্মিতরুপ হিল ৷

আয়াতে উল্লেখিত ষ্ ৷ ৷ র্চু ,ার্বু (ঘরের স্থান) শব্দ থেকে কেউ কেউ প্রমাণ করতে
চেয়েছেন যে, এ ঘরের ড়িড়ি পুর্ব থেকেই বিদ্যমান ছিল ৷ কিন্তু তাদের এ দর্শীল যথার্থ নয় ৷
কেননা, ঘরের ন্থান বলে বোঝান হয়েছে সেই ন্থানকে যা আল্লাহর জ্ঞানে নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট
ছিল এবং তারই কুদরতে হযরত আদম (আ) থেকে ইব্রাহীম থশীল (আ)-এর সময় পর্যন্ত
সকল নবীর নিকট তা পরিচিত ছিল ৷ আমরা আগেই বলেছি যে, হযরত আদম (আ) এ ঘরের
উপর গম্বুজ নির্মাণ করেছিলেন ৷ ফেরেশতাপণ তাকে বলেছিলেন, আমরা আপনার পুর্বেই এ ঘর
তওয়াফ করেছি ৷ নুহের কিশতী এ ঘরের চারদিকে চল্লিশ দিন (না তার কাছাকাছি সময়) ধরে
প্রদক্ষিণ করে ৷ কিন্তু এগুলো ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে ৷ আমরা বলেছি যে,
ইসরাঈলী বর্ণনাকে আমরা সত্যও জানবাে না, মিথ্যাও বলবো না ৷ সুতরাং এর দ্বারা কোন
প্রমাণ দেয়৷ যাবে না ৷ তবে যদি তা সত্যের বিপরীত হয় তবে অবশইে তা পরিত্যাজ্য ৷

আল্লাহ্ বলেন , ,


নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের ইবাদতেয় জন্যে নির্মাণ করা হয়েছে, যা মক্কায় অবস্থিত

তা অতি বরকতময় ও বিশ্ববাসীর হিদায়াতের মাধ্যম ৷

অর্থাৎ প্রথম ঘর যা সর্বসাধারণের কল্যাণার্থে নির্মাণ করা হয়েছে, তা ছিল বরকতের জন্যে
’ ও হিদায়াতের জন্যে ৷ ¢$,;fi দ্বারা ২টি অর্থ বোঝা যায় (১) মক্কা, (২) বা বা যে জায়গার

উপর দাড়িয়ে আছে তা ৷ র্বু,র্চুএ দ্বুা ৷ ণ্ট্টব্র (এতে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমুহ ৷) কেননা,
এটা নির্মাণ করেছেন ইব্রাহীম খলীল (আ) যিনি তার পরবর্তী সকল নবীর পিতা ৷ নিজ
বংশধরদের মধ্যে বাবা তাকে অনুসরণ করেছে ও তার রীতি-নীতি গ্রহণ করেছে, তাদের তিনি
ইমাম ৷ এ কারণেই আল্লাহ্ বলেছেন ণ্ ১ ৷ , ৷ ন্ার্চুহু (ইবৃরাহীমের র্দাড়াবার স্থান) অর্থাৎ যে
পাথরের উপর দাড়িয়ে তিনি কা বাঘৱ নির্মাণ করেছিলেন ৷ কাৰা ঘরের দেওয়াল যখন তার
চাইতে উচু হয়ে যায়, তখন পুত্র ইসমাঈল (আ) এই প্রসিদ্ধ পাথরখান৷ এনে পিতার পায়ের
নিচে স্থাপন করেন, যাতে তার উপর দাড়িয়ে দেওয়াল উচু করতে পারেন ৷ ইবন আব্বাস

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (১ম খওপ্) : ৭-

تَعَالَى عَنْ عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ وَصَفِيِّهِ وَخَلِيلِهِ، إِمَامِ الْحُنَفَاءِ، وَوَالِدِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِ أَفْضَلُ صَلَاةٍ وَتَسْلِيمٍ، أَنَّهُ بَنَى الْبَيْتَ الْعَتِيقَ الَّذِي هُوَ أَوَّلُ مَسْجِدٍ وُضِعَ لِعُمُومِ النَّاسِ يَعْبُدُونَ اللَّهَ فِيهِ، وَبَوَّأَهُ اللَّهُ مَكَانَهُ أَيْ أَرْشَدَهُ إِلَيْهِ وَدَلَّهُ عَلَيْهِ، وَقَدْ رُوِّينَا عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَغَيْرِهِ أَنَّهُ أُرْشِدَ إِلَيْهِ بِوَحْيٍ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَقَدْ قَدَّمْنَا فِي صِفَةِ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ أَنَّ الْكَعْبَةَ بِحِيَالِ الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ بِحَيْثُ أَنَّهُ لَوْ سَقَطَ لَسَقَطَ عَلَيْهَا، وَكَذَلِكَ مَعَابِدُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ، كَمَا قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: إِنَّ فِي كُلِّ سَمَاءٍ بَيْتًا يَعْبُدُ اللَّهَ فِيهِ أَهْلُ كُلِّ سَمَاءٍ وَهُوَ فِيهَا كَالْكَعْبَةِ لِأَهْلِ الْأَرْضِ فَأَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنْ يَبْنِيَ لَهُ بَيْتًا يَكُونُ لِأَهْلِ الْأَرْضِ كَتِلْكَ الْمَعَابِدِ لِمَلَائِكَةِ السَّمَاءِ، وَأَرْشَدَهُ اللَّهُ إِلَى مَكَانِ الْبَيْتِ الْمُهَيَّأِ لَهُ الْمُعَيَّنِ لِذَلِكَ مُنْذُ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ «إِنَّ هَذَا الْبَلَدَ حَرَّمَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فَهُوَ حَرَامٌ بِحُرْمَةِ اللَّهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ» . وَلَمْ يَجِئْ فِي خَبَرٍ صَحِيحٍ عَنْ مَعْصُومٍ أَنَّ الْبَيْتَ كَانَ مَبْنِيًّا قَبْلَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَنْ تَمَسَّكَ فِي هَذَا بِقَوْلِهِ: {مَكَانَ الْبَيْتِ} [الحج: 26] فَلَيْسَ بِنَاهِضٍ وَلَا ظَاهِرٍ؛ لِأَنَّ الْمُرَادَ مَكَانُهُ الْمُقَدَّرُ فِي عِلْمِ اللَّهِ، الْمُقَدَّرُ فِي قَدَرِهِ، الْمُعَظَّمُ عِنْدَ الْأَنْبِيَاءِ مَوْضِعُهُ مِنْ لَدُنْ آدَمَ إِلَى زَمَانِ إِبْرَاهِيمَ. وَقَدْ ذَكَرْنَا أَنَّ آدَمَ نَصَبَ عَلَيْهِ قُبَّةً، وَأَنَّ الْمَلَائِكَةَ قَالُوا لَهُ: قَدْ طُفْنَا قَبْلَكَ بِهَذَا الْبَيْتِ. وَأَنَّ السَّفِينَةَ طَافَتْ بِهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا أَوْ نَحْوَ ذَلِكَ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৮


(না)-এর দীর্ঘ হাদীসে এ কথা পুকৌ উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এ পাথরটি সেই প্রাচীনকাল থেকে
হযরত উমর (রা)-এর খিলাফতকাল পর্যন্ত কাবার দেওয়াল সংলগ্ন ছিল ৷ তিনি এটাকে কাবা
ঘর থেকে কিছু পিছিয়ে দেন ৷ যাতে সালাত আদায়কারী ও তাওয়ড়াফকারীদের অসুবিধা না হয় ৷
এ ব্যাপারে হযরত উমর (না)-এর পদক্ষেপকে সকলে মেনে নেন ৷

কেননা, যেসব বিষয়ে হযরত উমর (রা) এর মতামত আল্লাহ তাআলার আনুকুল্য লাভ
করে তন্মধ্যে এটি একটি ৷ কারণ, একদা তিনি রাসুল (সা) এর নিকট বলেছিলেনঃ া ৷ fl
ণ্ডা০ ৰু০;গু ৷ , ৷ ণ্াঘ্র; গ্লু ০০ কতই না ভাল হত যদি মাকামে ইব্রাহীমকে আমরা
সালা তের স্থানরুপে গ্রহণ করতাম খনত আল্লাহ আয়াত নাযিল করেনং :ণ্ধ্রুর্দুহু গ্লুট্রু০ ৷ এ;াই ৷ এ
ঝুদ্বুর্বুণ্ ট্ট^ ৷ ) ৷ (তোমরা মাকা মে ইব্রাহীমকে৷ স ৷লাতের স্থান রুপে গ্রহণ কর ৷) ইসলামের
প্রাথমিক যুগ শোপর্যত ঐ পাথরের উপর হযরত ইব্রাহীম (আ) এর পায়ের দাগ অবশিষ্ট ছিল ৷

আবুতালিব তার বিখ্যাত কাসীদায়ে লামিয়ায়’ এ বিষয়ের উল্লেখ করেছেন :
ড্রুঞ^১ এ১-ইএ

অর্থাৎ-হাওর পর্বতের কন্যা এবং যিনি ছাবীর পর্বতকে তার জায়গায় দৃঢ়ভ৷ বে স্থাপন
করেছেন তার কসম এবং যিনি হেরা পর্বতে উদ্ভাসিত হয়েছিলেন ও অবত তরণ করেছিলেন
তার কসম ৷ এই ঘরের কসম, মক্কাবাসীদের উপরে এই ঘরের হক রয়েছে ৷ আল্লাহর
কসম, তিনি কিছুমাত্র পাফিল নন ৷ কসম হাজরে আসওয়াদের ৷ যখন দিবসের প্রথমডাগে
ও শেষভাগে লোকজন তাওয়াফকালে তাকে জড়িয়ে ধরে ৷ কসম মাকামে ইব্রাহীমের,
যার উপর তার পাদৃকাবিহীন নগ্ন পায়ের স্মৃতিচিহ্ন এখনও বিদ্যমান রয়েছে ৷
অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীম (আ) যে পাথরের উপর দাড়িয়ে কা বাঘর নির্মাণ করেছিলেন, সেই
পাথরের উপর তা ৷র পায়ের চিহ্ন অঙ্কিত হয়ে যায় ৷

আল্লাহ বলেন ৷
(স্মরণ কর যখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল বায়তুল্লাহুর প্রাচীর তুলছিল ) তখন তারা এই
দু আ পাঠ করেছিলেন০ : ণ্ার্বৃদ্বুব্লুৰু র্চুট্রু’,-হে আমাদের
প্রতিপা ৷লক ! আমাদের এ কাজ গ্রহণ কর ৷ নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ৷সর্বজ্ঞাত৷ ৷

এ থেকে সহজেই বোঝা যায় যে, আল্লাহ্র নির্দেশ পালনে তার৷ উভয়ে ছিলেন একান্ত
নিষ্ঠাবান ৷ তাই সর্ব্যশ্রাত৷ ও সর্বজাত্তা আল্লাহর নিকট তারা দু আ করছেন তাদের এ মহৎ কাজ
ও প্রচেষ্টা কবুল করার জন্যে ৷ আল্লাহ্র রাণী০



وَلَكِنْ كُلُّ هَذِهِ الْأَخْبَارِ عَنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَقَدْ قَرَّرْنَا أَنَّهَا لَا تُصَدَّقُ وَلَا تُكَذَّبُ فَلَا يُحْتَجُّ بِهَا، فَأَمَّا إِنْ رَدَّهَا الْحَقُّ فَهِيَ مَرْدُودَةٌ، وَقَدْ قَالَ اللَّهُ: {إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ} [آل عمران: 96] . أَيْ أَوَّلُ بَيْتٍ وُضِعَ لِعُمُومِ النَّاسِ لِلْبَرَكَةِ وَالْهُدَى الْبَيْتُ الَّذِي بِبَكَّةَ قِيلَ: مَكَّةُ. وَقِيلَ: مَحَلَّةُ الْكَعْبَةِ {فِيهِ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ} [آل عمران: 97] . أَيْ عَلَى أَنَّهُ بِنَاءُ الْخَلِيلِ وَالِدِ الْأَنْبِيَاءِ مِنْ بَعْدِهِ وَإِمَامِ الْحُنَفَاءِ مِنْ وَلَدِهِ الَّذِينَ يَقْتَدُونَ بِهِ. وَيَتَمَسَّكُونَ بِسُنَّتِهِ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {مَقَامُ إِبْرَاهِيمَ} [آل عمران: 97] أَيِ: الْحَجَرُ الَّذِي كَانَ يَقِفُ عَلَيْهِ قَائِمًا لَمَّا ارْتَفَعَ الْبِنَاءُ عَنْ قَامَتِهِ فَوَضَعَ لَهُ وَلَدُهُ هَذَا الْحَجَرَ الْمَشْهُورَ لِيَرْتَفِعَ عَلَيْهِ لَمَّا تَعَالَى الْبِنَاءُ وَعَظُمَ الْفِنَاءُ، كَمَا تَقَدَّمَ فِي حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ الطَّوِيلِ، وَقَدْ كَانَ هَذَا الْحَجَرُ مُلْصَقًا بِحَائِطِ الْكَعْبَةِ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ مِنْ قَدِيمِ الزَّمَانِ إِلَى أَيَّامِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَأَخَّرَهُ عَنِ الْبَيْتِ قَلِيلًا لِئَلَّا يَشْغَلَ الْمُصَلُّونَ عِنْدَهُ الطَّائِفِينَ بِالْبَيْتِ، وَاتَّبَعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي هَذَا، فَإِنَّهُ قَدْ وَافَقَهُ رَبُّهُ فِي أَشْيَاءَ مِنْهَا؛ فِي قَوْلِهِ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوِ اتَّخَذْنَا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى. فَأَنْزَلَ اللَّهُ {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125] وَقَدْ كَانَتْ آثَارُ قَدَمَيِ الْخَلِيلِ بَاقِيَةً فِي الصَّخْرَةِ إِلَى أَوَّلِ الْإِسْلَامِ، وَقَدْ قَالَ أَبُو طَالِبٍ فِي قَصِيدَتِهِ اللَّامِيَّةِ الْمَشْهُورَةِ: وَثَوْرٍ وَمَنْ أَرْسَى ثَبِيرًا مَكَانَهُ ... وَرَاقٍ لِيَرْقَى فِي حِرَاءَ وَنَازِلِ وَبِالْبَيْتِ حَقِّ الْبَيْتِ مِنْ بَطْنِ مَكَّةَ ... وَبِاللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِغَافِلِ وَبِالْحَجَرِ الْمُسْوَدِّ إِذْ يَمْسَحُونَهُ ... إِذَا اكْتَنَفُوهُ بِالضُّحَى وَالْأَصَائِلِ وَمَوْطِئُ إِبْرَاهِيمَ فِي الصَّخْرِ رَطْبَةٌ ... عَلَى قَدَمَيْهِ حَافِيًا غَيْرَ نَاعِلِ
পৃষ্ঠা - ৩৭৯


হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের উভয়কে তোমার একান্ত অনুগত কর এবং আমাদের
বংশধর হতে তোমার এক অনুগত উম্মত কর ৷ আমাদেরকে ইবাদতের নিয়ম-পদ্ধতি দেখিয়ে
দাও এবং আমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হও ৷ তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ (সুরা বাকারা :

মোটকথা, হযরত ইব্রাহীম খলীল (আ) বিশ্বের সবচেয়ে অধিক সম্মানিত মসজিদকে
সবচেয়ে অধিক সম্মানিত স্থানে প্রতিষ্ঠা করেন ৷ সে স্থানটি এমন একটি উপত্যকা, যেখানে
কোন ফসল উৎপাদিত হয় না ৷ তিনি তথাকার অধিবাসীদের জন্যে বরকতের দুঅ৷ করেন ৷
ফলের দ্বারা তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করতে দৃআ করেন ৷ যদিও সেখানে পানির স্বল্পতা এবং
বৃক্ষ, ফল ও ফসলের শুন্যত৷ ছিল ৷ তিনি আল্লাহর কাছে দুআ করেন এ স্থানকে সম্মানিত ও
নিরাপদ স্থানে পরিণত করতে ৷ আল্লাহ তার প্রার্থনা মোঃন্ৰ্ম্, দুআ কবুল করেন, আহ্বানে সাড়া
দেন ও প্রার্থিত ৩বন্তু দান করেন ৷ আল্লাহ বলেনম্নহু;

দ্দৌ,^হ্র ;ট্রু, ,গুর্দু”৷ ৷ ঝু£হুঠুট্রু প্রো (£;; (র্দুব্লুব্লু র্চ৷ ৷,^ব্লু র্বৃ ন্র্দ্র;

ওরা কি দেখে না, আমি হারমকে নিরাপদ স্থান করেছি, অথচ এর চতৃষ্পার্থে যে সব মানুষ

আছে তাদের উপর হামলা করা হয় ৷ (সুরা আনকাবুত : ৬৭)

অন্ল্লাহ্ আরও বলেন ং


আমি কি ওদেরকে এক নিরাপদ হারমে প্রতিষ্ঠিত করিনি, যেখানে সর্বপ্রকার ফলমুল
আমদানী হয় আমার দেয়৷ রিযিক স্বরুপ ? (সুরা কাসাসং ৫৭)

হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর কাছে তাদের মধ্যে একজন রাসুল প্রেরণ করার জন্যে
দুআ করেন ৷ অর্থাৎ তাদের স্বজাতির মধ্য থেকে তাদেরই উন্নত ভাষাশৈলীতে পারদর্শী কোন
ব্যক্তিকে ৷ যাতে করে নীল ও দুনিয়ার উভয় নিয়ামতের পুর্ণ অধিকারী হতে পারে ৷ আল্লাহ তার
এ দুআও কবুল করেন ৷ তিনি তাদের মধ্য থেকে রাসুল প্রেরণ করেন ৷ যিনি ছিলেন সর্বশেষ
নবী, তার পরে আর কোন নবী-রাসুল আসবেন না ৷ তার দীনকে পুর্ণতা দান করেন, যা
ইতিপুর্বে কারও ক্ষেত্রে করেননি ৷ তার দাওয়াতকে সর্বকালে সর্বদেশে পৃথিবীর সকল
ভাষাভাষীর জন্যে ব্যাপক ও বিন্তুত করে দিয়েছেন ৷ কিয়ামত পর্যন্ত তার দীনই বলবৎ থাকবে ৷

সকল নবীর মধ্যে এটা ছিল তার একক বৈশিষ্ট্য, তার ব্যক্তিত্বের মর্যাদা, তার আনীত
দীনের পুর্ণতা, জন্মভৃমির গৌরব, ভাষার গ্রেষ্ঠতু, উষ্মতের উপর তার অশেষ দয়া ও মমতা,
বংশ মর্যাদা এবং তার আচার-আচরণ ৷ এই কারণে হযরত ইব্রাহীম (আ) যখন দুনিয়াবাসীর
জন্যে কাবা নির্মাণ করেন তখন তা সমান ও মর্যাদায় সপ্তম আকাশের অধিবাসী
ফেরেশতাগণের কাবা বায়তৃল মামুরের সমমর্যাদা লাভ করে ৷ বায়তৃল মামুরে প্রত্যহ সত্তর
হাজার ফেরেশতা ইবাদত করে থাকেন এবং একবার যারা এ সুযোগ পান তারা কিয়ামত অবধি
আর দ্বিতীয়বার সে সুযোগ পান না ৷ আমরা সুরা বাকারার তাফসীরে বায়তুল্লাহ্ নির্মাণ সংক্রান্ত
যাবতীয় কথা এবং ৎশ্রিষ্ট হাদীস ও বর্ণনাসমুহের উল্লেখ করেছি ৷ আগ্রহী ব্যক্তি তা সেখানে
দেখে নিতে পারেন ৷ সে বর্ণনাসমুহের একটি হলো, সকল প্রশংসা আল্লাহরই ৷ সুদ্দী বলেছেন,


يَعْنِي أَنَّ رِجْلَهُ الْكَرِيمَةَ غَاصَتْ فِي الصَّخْرَةِ فَصَارَتْ عَلَى قَدْرِ قَدَمِهِ حَافِيَةً لَا مُنْتَعِلَةً؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ} [البقرة: 127] . أَيْ فِي حَالِ قَوْلِهِمَا: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] . فَهُمَا فِي غَايَةِ الْإِخْلَاصِ وَالطَّاعَةِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَهُمَا يَسْأَلَانِ مِنَ اللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ أَنْ يَتَقَبَّلَ مِنْهُمَا مَا هُمَا فِيهِ مِنَ الطَّاعَةِ الْعَظِيمَةِ وَالسَّعْيِ الْمَشْكُورِ {رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ} [البقرة: 128] . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ الْخَلِيلَ بَنَى أَشْرَفَ الْمَسَاجِدِ فِي أَشْرَفِ الْبِقَاعِ فِي وَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ، وَدَعَا لِأَهْلِهَا بِالْبَرَكَةِ، وَأَنْ يُرْزَقُوا مِنَ الثَّمَرَاتِ مَعَ قِلَّةِ الْمِيَاهِ، وَعَدَمِ الْأَشْجَارِ وَالزُّرُوعِ وَالثِّمَارِ، وَأَنْ يَجْعَلَهُ حَرَمًا مُحَرَّمًا وَأَمْنًا مُحَتَّمًا، فَاسْتَجَابَ اللَّهُ - وَلَهُ الْحَمْدُ - لَهُ مَسْأَلَتَهُ، وَلَبَّى دَعْوَتَهُ وَأَتَاهُ طِلْبَتَهُ، فَقَالَ تَعَالَى: {أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا جَعَلْنَا حَرَمًا آمِنًا وَيُتَخَطَّفُ النَّاسُ مِنْ حَوْلِهِمْ} [العنكبوت: 67] . وَقَالَ تَعَالَى: {أَوَلَمْ نُمَكِّنْ لَهُمْ حَرَمًا آمِنًا يُجْبَى إِلَيْهِ ثَمَرَاتُ كُلِّ شَيْءٍ رِزْقًا مِنْ لَدُنَّا} [القصص: 57] . وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ يَبْعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ أَيْ مِنْ جِنْسِهِمْ وَعَلَى لُغَتِهِمُ الْفَصِيحَةِ الْبَلِيغَةِ النَّصِيحَةِ لِتَتِمَّ عَلَيْهِمُ النِّعْمَتَانِ الدُّنْيَوِيَّةُ وَالدِّينِيَّةُ، بِسَعَادَةِ الْأُولَى وَالْآخِرَةِ، وَقَدِ اسْتَجَابَ اللَّهُ لَهُ فَبَعَثَ فِيهِمْ رَسُولًا، وَأَيَّ رَسُولٍ، خَتَمَ بِهِ أَنْبِيَاءَهُ وَرُسُلَهُ، وَأَكْمَلَ لَهُ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يُؤْتِ أَحَدًا قَبْلَهُ، وَعَمَّ بِدَعْوَتِهِ أَهْلَ الْأَرْضِ عَلَى اخْتِلَافِ أَجْنَاسِهِمْ وَلُغَاتِهِمْ وَصِفَاتِهِمْ فِي سَائِرِ الْأَقْطَارِ وَالْأَمْصَارِ وَالْأَعْصَارِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَانَ هَذَا مِنْ خَصَائِصِهِ مِنْ بَيْنِ سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ لِشَرَفِهِ فِي نَفْسِهِ،
পৃষ্ঠা - ৩৮০


আল্পাহ্ যখন ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) কে কাবা নির্মাণের আদেশ করেন, তখন তারা
কাবার স্থানটি খুজে পাচ্ছিলেন না ৷ আল্লাহ্ তখন খাজুজ নামক একটি বায়ু প্রেরণ করেন ৷ তার
ছিল দু’টি পাখা ও সর্পাকৃতির মস্তক ৷ সে বায়ু প্রাচীন কাবার স্থানটি আবত্তনাি মুক্ত করে দেয় ৷
তখন ইব্রাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) তা অনুসরণ করে কোদাল দ্বারা মাটি খুড়ে সেখানে
ভিত্তি স্থাপন করেন ৷


আল্লাহ বলেন
(যখন আমি ইব্রাহীমকে ঘরের স্থান নির্ধারণ করে দিলাম ৷) ভিত্তির উপর দেয়াল উঠানাের
ন্ সময় ঘরের স্তম্ভ নির্মাণ করেন ৷ ইব্রাহীম (আ) ইসমাগৈ (আ) কে বললেন, প্রিয় বৎস! এখন
তুমি আমার জন্যে ভারতবর্ষ থেকে হাজরে আসৃওয়ড়াদ নিয়ে এস ৷ মুলত এটা ছিল শুভ্র ইয়ড়াকুত
পাথর, দেখতে উট পাখির ন্যায় ৷ হযরত আদম (আ) এ পাথরসহ জান্নড়াত থেকে অবতরণ
করেন ৷ মানুষের পাপ-স্পর্শে এটা কাল হয়ে যায় ৷ ইসমাঈল (আ) একটি পাথর নিয়ে পিতার
নিকট এসে উক্ত হাজরে আসওয়ড়াদকে রুকনে কাবার নিকট দেখতে পান ৷ পিতাকে জিজ্ঞেস
করেন, আব্বাজান ! এ পাথরটি কে নিয়ে এসেছে? তিনি বললেন, এটা এমন একজন নিয়ে
এসেছেন যিনি তোমার চাইতে অধিক গতিসম্পন্ন ৷ এরপর উভয়ে পুনরায় নির্মাণ কাজে
মনোনিবেশ করেন ও দৃআ পাঠ করতে থাকেন :
ার্দুর্চুর্চু
হে আমাদের রব ! আমাদের পক্ষ থেকে কবুল করুন ৷ নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ ৷
ইবন আবুহাতিম (র) বলেছেন, ইব্রাহীম (আ) পাচটি পাহাড়ের পাথর দ্বারা কাবা নির্মাণ
করেছিলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) যখন নির্মাণ কাজে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন গোটা
পৃথিবীর বাদশাহ যুলকারনাইন ঐ পথ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
আপনাদেরকে এ কাজ করতে কে নির্দেশ দিয়েছে? জবাবে ইব্রাহীম (আ) বললেন, আল্লাহই
আমাদেরকে এ নির্দেশ দিয়েছেন ৷ যুলকারনাইন বললেন, আপনার কথার যথার্থতা কি করে
বুঝবাে? তখন পাচটি ভেড়া সাক্ষ্য দিল যে, আল্লাইে এ নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তখন যুলকারনাইন
ঈমান আনলেন এবং তার সত্যতা স্বীকার করে নিলেন ৷

আযরাকী (র) লিখেছেন, তিনি ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্র (আ)-এ সাথে বায়তৃল্লাহ তাওয়াফ
করেছেন ৷ হযরত ইব্রাহীম খলীল (আ)-এর তৈরি কাবা দীর্ঘকাল যাবত অক্ষত থাকে ৷
পরবর্তীকালে ক্যুায়শগণ ঘরটি পুনর্নির্মাণ করে ৷ তখন ঘরের উত্তর দিক থেকে যেই দিকে শাম
দেশ অবস্থিত, হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর ভিত্তি থেকে কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়, রর্তমানে
সেই অবস্থার উপরেই কাবাঘর আছে ৷

বুখারী ও মুসলিম শরীফে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত ? রাসুলুল্লাহ (সা) একবার
তাকে বলেছিলেন, আয়েশা! তুমি তোমার সম্প্রদায়ের লোকদের ব্যাপারটি ভেবে দেখেছ কি?
তারা যখন কাবা পুনঃনির্মাণ করে, তখন ইব্রাহীম (আ)-এর ভিত্তি থেকে ছোট করে ফেলে ৷
আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ আপনি কেন তা ইব্রাহীম (আ)-এর ভিত্তির উপর ফিরিয়ে
আনেন না? রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমার সম্প্রদায়ের লোড়াকজন যদি নওমুসলিম না হত,


وَكَمَالِ مَا أُرْسِلَ بِهِ، وَشَرَفِ بُقْعَتِهِ، وَفَصَاحَةِ لُغَتِهِ، وَكَمَالِ شَفَقَتِهِ عَلَى أُمَّتِهِ، وَلُطْفِهِ وَرَحْمَتِهِ، وَكِرِيمِ مَحْتِدِهِ، وَعَظِيمِ مَوْلِدِهِ، وَطِيبِ مَصْدَرِهِ وَمَوْرِدِهِ؛ وَلِهَذَا اسْتَحَقَّ إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِذْ كَانَ بَانِيَ كَعْبَةِ أَهْلِ الْأَرْضِ أَنْ يَكُونُ مَنْصِبُهُ وَمَحَلُّهُ وَمَوْضِعُهُ فِي مَنَازِلِ السَّمَاوَاتِ، وَرَفِيعِ الدَّرَجَاتِ عِنْدَ الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ الَّذِي هُوَ كَعْبَةُ أَهْلِ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ الْمُبَارَكِ الْمَبْرُورِ الَّذِي يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ يَتَعَبَّدُونَ فِيهِ، ثُمَّ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ إِلَى يَوْمِ الْبَعْثِ وَالنُّشُورِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي التَّفْسِيرِ مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ صِفَةَ بِنَايَةِ الْبَيْتِ وَمَا وَرَدَ فِي ذَلِكَ مِنَ الْأَخْبَارِ وَالْآثَارِ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ فَمَنْ أَرَادَهُ فَلْيُرَاجِعْهُ ثَمَّ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. فَمِنْ ذَلِكَ مَا قَالَ السُّدِّيُّ: لَمَّا أَمَرَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَنْ يَبْنِيَا الْبَيْتَ، ثُمَّ لَمْ يَدْرِيَا أَيْنَ مَكَانُهُ حَتَّى بَعَثَ اللَّهُ رِيحًا يُقَالُ لَهُ الْخَجُوجُ لَهَا جَنَاحَانِ وَرَأْسٌ فِي صُورَةِ حَيَّةٍ، فَكَنَسَتْ لَهُمَا مَا حَوْلَ الْكَعْبَةِ عَنْ أَسَاسِ الْبَيْتِ الْأَوَّلِ، وَأَتْبَعَاهَا بِالْمَعَاوِلِ يَحْفِرَانِ حَتَّى وَضَعَا الْأَسَاسَ، وَذَلِكَ حَيْثُ يَقُولُ تَعَالَى: {وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ} [الحج: 26] . فَلَمَّا بَلَغَا الْقَوَاعِدَ بَنَيَا الرُّكْنَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِإِسْمَاعِيلَ: يَا بُنَيَّ اطْلُبْ لِي حَجَرًا حَسَنًا أَضَعُهُ هَاهُنَا قَالَ: يَا أَبَتِ إِنِّي كَسْلَانُ تَعِبٌ. قَالَ: عَلَيَّ ذَلِكَ. فَانْطَلَقَ وَجَاءَهُ جِبْرِيلُ بِالْحَجَرِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْهِنْدِ،
পৃষ্ঠা - ৩৮১


ভিন্ন বর্ণনায়- যদি তোমার লোকজন জাহিলী যুগের কিৎবা কুফরী যুগের কাছাকাছি সময়ের
লোক না হত, তাহলে আমি কাবার মধ্যে রক্ষিত সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে দিতাম,
ঘরের দরজা নিচু করে যমীনের সমতলে নিয়ে আসতাম এবং (বাদ-পড়া) হিজর অংশ হাডীম১
ৎশটুকু বায়তুল্লাহ্র অন্তর্ভুক্ত করে দিতাম ৷ পরবর্তীকালে হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (বা)
র্তার শাসনামলে কাবাঘর সেভাবেই পুনঃনির্মাণ করেন ৷ যেদিকে রাসুলুল্লাহ (সা) ইংগিত
করেছেন বলে তীর খালা উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (যা) তাকে বলেছিলেন ৷

হিজরী ৭৩ সালে হাজ্জাজ ইবন ইউসুফ ইবন যুবায়র (রা)-কে হত্যা করে তদানীন্তন
খলীফা আবদুল-মালিক ইবন মার,ওয়ানের নিকট পত্র লিখে ৷ আবদুল মালিকের সভাসদগণের
ধারণা ছিল যে, ইবন যুবায়র (রা) আপন খেয়াল-খুশী মতেই কাবার সংস্কার করেছিলেন ৷
সুতরাং খলীফা তা ণ্তংগে পুর্বাবন্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন ৷ এ নির্দেশ মত খলীফার
লোকজন কাবার উত্তর-দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে, হাডীম অংশকে ভিতর থেকে বের করে দেয় এবং
অন্যান্য পাথর কাবা ঘরের ভিতরে রেখে দেয়াল উঠিয়ে দেয় ৷ ফলে পুর্ব দিকের দরজা উচু
হয়ে যায় এবং পশ্চিমের দরজা সম্পুর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয় ৷ বর্তমানে এই অবস্থায়ই আছে ৷

পরে আবদুল মালি ক (র)-এর লোকজন যখন জানলাে যে, ইবন যুবায়র (রা) হযরত
আয়েশা (রা)-এর বর্ণনা অনুসারে কাবা সংস্কার করেছিলেন, তখন তারা দুঃখ প্রকাশ করে এবং
অনুশোচনা করে যে, এরুপ করা না হলে ভাল হত ৷ এরপর খলীফা মাহদী ইবন মানসুর
খিলাফতে অধিষ্ঠিত হয়ে ইমাম মালিক ইবন আনাসের নিকট পরামর্শ চান যে, আবদুল্লাহ ইবন
যুবায়র (রা)-এর ভিত্তির উপর কাবা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলে কেমন হয় ? ইমাম মালিক (র) বলেন,
এতে আমার আশংকা হয় যে, রাজা-বাদশাহ্রা কাৰাকে খেলার বন্তুতে পরিণত করবে ৷ অর্থাৎ
প্রত্যেক বাদশাহ তার ইচ্ছামত কাবা ঘর সংস্কার করতে চাইবে ৷ সুতরাং কাবাকে সেই অবস্থার
উপর বহাল রাখা হয় এবং আজও পর্যন্ত সেই একই অবস্থায় আছে ৷



১ কুরায়েশদের পুনঃনির্মাণকালে কাবার বাদ পড়া অংশ হাডীম বা হিজরে ইসমাঈল নামে বিখ্যাত ৷


وَكَانَ يَاقُوتَةً بَيْضَاءَ مِثْلَ الثَّغَامَةِ، وَكَانَ آدَمُ هَبَطَ بِهِ مِنَ الْجَنَّةِ فَاسْوَدَّ مِنْ خَطَايَا النَّاسِ، فَجَاءَهُ إِسْمَاعِيلُ بِحَجَرٍ فَوَجَدَهُ عِنْدَ الرُّكْنِ، فَقَالَ: يَا أَبَتِ مَنْ جَاءَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: جَاءَ بِهِ مَنْ هُوَ أَنْشَطُ مِنْكَ. فَبَنَيَا، وَهُمَا يَدْعُوَانِ اللَّهَ: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] . وَذَكَرَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ أَنَّهُ بَنَاهُ مِنْ خَمْسَةِ أَجْبُلٍ، وَأَنَّ ذَا الْقَرْنَيْنِ - وَكَانَ مَلِكَ الْأَرْضِ إِذْ ذَاكَ - مَرَّ بِهِمَا وَهُمَا يَبْنِيَانِهِ، فَقَالَ: مَنْ أَمَرَكُمَا بِهَذَا؟ فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ: اللَّهُ أَمَرَنَا بِهِ. فَقَالَ: وَمَا يُدْرِينِي بِمَا تَقُولُ؟ فَشَهِدَتْ خَمْسَةُ أَكْبُشٍ أَنَّهُ أَمَرَهُ بِذَلِكَ فَآمَنَ وَصَدَّقَ. وَذَكَرَ الْأَزْرَقِيُّ أَنَّهُ طَافَ مَعَ الْخَلِيلِ بِالْبَيْتِ. وَقَدْ كَانَتْ عَلَى بِنَاءِ الْخَلِيلِ مُدَّةً طَوِيلَةً، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ بَنَتْهَا قُرَيْشٌ فَقَصُرَتْ بِهَا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ مِنْ جِهَةِ الشَّمَالِ مِمَّا يَلِي الشَّامَ عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ الْيَوْمَ، وَفِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ أَخْبَرَ ابْنَ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَلَمْ تَرَيْ أَنَّ قَوْمَكِ لَمَّا بَنَوُا الْكَعْبَةَ اقْتَصَرُوا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ. فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا تَرُدُّهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ؟ فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৮২

হযরত ইব্রাহীম খলীল (আ)-এর প্রশংসায়

এ প্রসংগে আল্লাহ বলেন :
মোঃ :;ণ্এে ৰুশুশুৰুশুহ্ন এে উশ্র্ন্তৰুইশ্র্ন্ত“ ন্গ্রের্ন্তশুৰুট্টর্দ্র ন্ওগ্১শুগু ঞওও ও
;ন্হৃপ্রুএেব্লিএ৷ প্রু;াহ্র এে é এর্ডণ্ ৷;;ণ্র্ন্ত;র্ন্ত ;;ৰু; এাহু
স্মরণ কর , যখন ইব্রাহীমকে তার প্রতিপালক কয়েকটি কথা দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন এবং
সেগুলো সে পুর্ণ করেছিল ৷ আল্লাহ বললেন, আমি তোমাকে মানব জাতির নেতা করছি, যে
বলল, আমার বংশধরগণের মধ্য হতেণ্ডা আল্লাহ বললেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালিমদের প্ৰতি

প্রযোজ্য নয় ৷ (সুরা বাকারা : ১২৪)

আল্লাহ্ হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে যেসব কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিলেন, তিনি যেসব
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আল্লাহ্ র্তাকে মানব জাতির নেতৃত্ব দান করেন ৷ যাতে তারা তার
অনুকরণ ও অনুসরণ করতে পারে ৷ ইব্রাহীম (আ) এই নিয়ামত তার পরবর্তী বংশধরদের
মধ্যে অব্যাহত রাখার জন্যে আল্লাহর নিকট দৃআ করেন ৷ আল্লাহ্ তার প্রার্থনা শুনেন এবং
জানিয়ে যেন যে , র্তাকে যে নেতৃত্ব দেয়া হল তা জালিমরা লাভ করতে পারবে না, এটা কেবল
তার সন্তানদের মধ্যে আদিম ও সৎকর্মশীলদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে ৷

যেমন আল্লাহ্ বক্কটুারুট্ন :

আমি ইব্রাহীমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের জন্যে স্থির
করলাম নবুওত ও কিতাব, আমি তাকে দুনিয়ার পুরস্কৃত করেছিলাম ৷ আখিরাতেও সে নিশ্চয়ই

সৎকর্মপরায়ণভৈদর অন্যতম হবে ৷ (২৯ আন-কাবুত : ২৭)

আল্লাহ্র বাণী ?
এে ড্রু ড্রু


র্চাশ্রো



لَوْلَا حِدْثَانُ قَوْمِكِ - وَفِي رِوَايَةٍ: لَوْلَا أَنَّ قَوْمَكِ حَدِيثُو عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ. أَوْ قَالَ: بِكُفْرٍ - لَأَنْفَقْتُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَلَجَعَلْتُ بَابَهَا بِالْأَرْضِ، وَلَأَدْخَلْتُ فِيهَا الْحِجْرَ» . وَقَدْ بَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي أَيَّامِهِ عَلَى مَا أَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسْبَمَا أَخْبَرَتْهُ خَالَتُهُ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَنْهُ، فَلَمَّا قَتَلَهُ الْحَجَّاجُ فِي سَنَةِ ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ كَتَبَ إِلَى عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ الْخَلِيفَةِ إِذْ ذَاكَ، فَاعْتَقَدُوا أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ إِنَّمَا صَنَعَ ذَلِكَ مِنْ تِلْقَاءِ نَفْسِهِ، فَأَمَرَ بِرَدِّهَا إِلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ فَنَقَضُوا الْحَائِطَ الشَّامِيَّ وَأَخْرَجُوا مِنْهَا الْحِجْرَ، ثُمَّ سَدُّوا الْحَائِطَ وَرَدَمُوا الْأَحْجَارَ فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ فَارْتَفَعَ بَابُهَا الشَّرْقِيُّ وَسَدُّوا الْغَرْبِيَّ بِالْكُلِّيَّةِ، كَمَا هُوَ مُشَاهَدٌ إِلَى الْيَوْمِ، ثُمَّ لَمَّا بَلَغَهُمْ أَنَّ ابْنَ الزُّبَيْرِ إِنَّمَا فَعَلَ هَذَا لَمَّا أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ نَدِمُوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَتَأَسَّفُوا أَنْ لَوْ كَانُوا تَرَكُوهُ وَمَا تَوَلَّى مِنْ ذَلِكَ، ثُمَّ لَمَّا كَانَ فِي زَمَنِ الْمَهْدِيِّ بْنِ الْمَنْصُورِ اسْتَشَارَ الْإِمَامَ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ فِي رَدِّهَا عَلَى الصِّفَةِ الَّتِي بَنَاهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ، فَقَالَ لَهُ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ يَتَّخِذَهَا الْمُلُوكُ لُعْبَةً، يَعْنِي كُلَّمَا جَاءَ مَلِكٌ بَنَاهَا عَلَى الصِّفَةِ الَّتِي يُرِيدُ فَاسْتَقَرَّ الْأَمْرُ عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ الْيَوْمَ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৩

;,শু০দ্বু ৷


এবং তাকে দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকুব ও ওদের প্ররুত ব্রুককে সৎপথে পরিচালিত

করেছিলাম, পুর্বে নুহ্কেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার বা শধর দাউদ, সৃলায়মান,
আইয়ুব, ইউসুফ, মুসা ও হারুনকেও; আর এভা ৷বেই সৎকর্যপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করি এবং
যাকারিয়া, য়াহ্য়া , ঈসা এবং ইল্য়াসকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম, এরা সকলে
সজ্জনদের অন্তভুক্তি ৷ আরও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম ইসমাঈল, আল-য়াসাআ, ইউনুস ও
লুতকে; এবং শ্রেষ্ঠতু দান করেছিলাম বিশ্ব জগতের উপর প্রত্যেককে এবং এদের পিতৃ-পুরুষ ,
বংশধর এবং ভ্রাতৃবৃন্দের কতককে; তাদেরকে মনোনীত করেছিলাম এবং সরল পথে পরিচালিত
করেছিলাম ৷ (সুরা আনআমং ৮৪ ৮৭)

প্রসিদ্ধ মতে, “§ ০ট্রু (তার বা শধরদের) বলতে এখানে হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে
বুঝান হয়েছে ৷ হযরত লুত (আ) যদিও হযরত ইব্রাহীম (আ) এর ভাতিজা তবুও অন্যদের
প্রাধান্য হেতৃ তাকেও বং শধর হিসাবে বলা হয়েছে ৷ অপর একদল আলিমের মতে তার
বলতে হযরত নুহ (আ) কে বুঝান হয়েছে ৷ পুর্বে আমরা নুহ (আ)-এর আলোচনায় এ বিষয়ের
উল্লেখ করেছি ৷ আল্পাহই সর্বজ্ঞ ৷ আল্লাহর বাণীং

আমি নুহ এবং ইব্রাহীমকে রাসুলরুপে প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদের বং শধরগণের জন্যে
স্থির করেছিলাম নবুওত ও কিতাব ৷ (সুরা হড়াদীদং ২৬)

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর পরে আসমান থেকে যত কিতাব যত নবীর উপর নাযিল
হয়েছে, তারা সকলেই নিশ্চিতভাবে তড়ার বংশধরদের অন্তর্ভুক্ত ৷ এটা এমন একটা সম্মান যার
কোন তুলনা হয় না ৷ এমন একটা সুমহড়ান মর্যাদা যার তুলা আর কিছুই নেই ৷ কারণ, হযরত
ইব্রাহীম (আ) এর ঔরসে দুই মহান পুত্র সম্ভানের জন্ম হয় ৷ হাজেরার গর্ভে ইসমাঈল এবং
সারাহ্র গর্ভে ইসহাক ৷ ইসহাকের পুত্র ইয়াকুব তার অপর নাম ছিল ইসরাঈল ৷ পরবর্তী
বংশধরগণ এই ইসরাঈলের নামেই বনী ইসরাঈল নামে অভিহিত হয়ে থাকে ৷ এই ইসরাঈলী
বংশে এতো বিপুল সংখ্যক নবীর আগমন ঘটে, যাদের সঠিক সংখ্যা তাদেরকে প্রেরণকারী
আল্লাহ ব্যতীত আর কেউই জানেন না ৷ অব্যাহতভাবে এই বংশেই নবী-রাসুলগণ আসতে
থাকেন এবং হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ) পর্যন্ত পৌছে সে ধারার সমাপ্তি ঘটে ৷ অর্থাৎ ঈসা
ইবন মারয়াম (আ) ইসরাঈল বৎব্শর শেষ নবী ৷ অপরদিকে হযরত ইসমাঈল (আ)এর
সভানগণ আরবের বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়ে আরব ভুমিতেই বসবাস করতে থাকেন ৷ তার
সন্তানদের মধ্যে সর্বশেষ নবী খাত তড়ামুল আম্বিয়া, বনী আদমের শ্রেষ্ঠ সন্তান, দুনিয়া ও
আখিরাতের গৌরব রবি মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম আল
কুরড়ায়শী আল-মকী ওয়াল মাদানী ব্যতীত অন্য কোন নবীর আগমন ঘটেনি ৷ ইনিই হলেন সেই
মহামানব যীর দ্বারা সমগ্র মানব জাতি গৌরবাষিত ৷ আদি-অম্ভ সকল মানুষের ঈর্ষার পাত্র ৷


[ذِكْرُ ثَنَاءِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ الْكَرِيمِ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ وَخَلِيلِهِ إِبْرَاهِيمَ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ} [البقرة: 124] . لَمَّا وَفَّى مَا أَمَرَهُ رَبُّهُ بِهِ مِنَ التَّكَالِيفِ الْعَظِيمَةِ جَعَلَهُ لِلنَّاسِ إِمَامًا يَقْتَدُونَ بِهِ. وَيَأْتَمُّونَ بِهَدْيِهِ، وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ الْإِمَامَةُ مُتَّصِلَةً بِسَبَبِهِ وَبَاقِيَةً فِي نَسَبِهِ وَخَالِدَةً فِي عَقِبِهِ، فَأُجِيبَ إِلَى مَا سَأَلَ وَرَامَ وَسُلِّمَتْ إِلَيْهِ الْإِمَامَةُ بِزِمَامٍ، وَاسْتُثْنِيَ مِنْ نَيْلِهَا الظَّالِمُونَ، وَاخْتُصَّ بِهَا مِنْ ذُرِّيَّتِهِ الْعُلَمَاءُ الْعَامِلُونَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ وَآتَيْنَاهُ أَجْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} [العنكبوت: 27] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ كُلًّا هَدَيْنَا وَنُوحًا هَدَيْنَا مِنْ قَبْلُ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَى وَهَارُونَ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ وَزَكَرِيَّا وَيَحْيَى وَعِيسَى وَإِلْيَاسَ كُلٌّ مِنَ الصَّالِحِينَ وَإِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوطًا وَكُلًّا فَضَّلْنَا عَلَى الْعَالَمِينَ وَمِنْ آبَائِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ وَإِخْوَانِهِمْ وَاجْتَبَيْنَاهُمْ وَهَدَيْنَاهُمْ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [الأنعام: 84] عَائِدٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَى الْمَشْهُورِ وَلُوطٌ، وَإِنْ كَانَ ابْنَ أَخِيهِ إِلَّا أَنَّهُ دَخَلَ فِي الذُّرِّيَّةِ تَغْلِيبًا، وَهَذَا هُوَ الْحَامِلُ لِلْقَائِلِ الْآخَرِ أَنَّ الضَّمِيرَ عَلَى نُوحٍ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي قِصَّتِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৪


সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন :
অর্থাৎ-“আমি এমন এক মর্যাদাপুর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হন যে, আমার কাছে পৌছার জন্যে
প্রাত্যবেইি লালায়িত হবে; এমনকি ইব্রাহীম (আ) ও ৷ ’ এই বাক্যের দ্বারা রাসুলুল্লাহ (সা)
প্রকারাতরে হযরত ইব্রাহীম (আ) এর ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ৷ এ থেকে স্পষ্টভা ৷বে বোঝা যায়

যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর পরে অন্য সব মানুষের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতে হযরত ইব্রাহীম
(আ)-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ ও সম্মানিত পুরুষ ৷

ইমাম বুখাৰী (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা ) হাসান (রা)-কে
কোলে নিয়ে বলতেন, আমি তোমাদের দৃই তইিয়ের জন্যে সেরুপ আশ্রয় চাই, যেরুপ আশ্রয়
চেয়েছিলেন তোমাদের আদি পিতা ইব্রাহীম (আ) ইসমাঈল ও ইসহাকের জন্যে ৷ আমি আশ্রয়
চাই আল্লাহ্র পরিপুর্ণ কালেমাহ্ দ্বারা প্রাতাক শয়তান ও বিষাক্ত সরীসৃপ থেকে এবং প্রত্যেক
ক্ষতিকর চোখের দৃষ্টি থেকে ৷ সুনান হাদীসের প্রম্বুকারপণও মানসুর (র ) সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ আল্পাহ্ বলেন০ ং




এ ৷ ৷ ণ্পুন্ ৷

)

যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার প্রতিপালক৷ কিভাবে তুমি মৃতকে জীবিত কর আমাকে
দেখাও ৷ তিনি বললেন, তবে কি তুমি বিশ্বাস করনি৷ সে বলল, কেন করব না, তবে এটি
কেবল আমার চিত্ত প্রশাস্তির জন্যে ৷ তিনি বললেন, তবে চারটি পাখি লও এবং সেগুলোকে
তোমার বশীভুত করে লও ৷ তারপর তাদের এক এক অংশ এক এক পাহাড়ে স্থাপন কর ৷
তারপর তাদেরকে ডাক দাও ওরা দ্রুতগতিতে তোমার নিকট আসবে ৷ জেনে রেখো , আল্লাহ্
প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (সুরা বাকারা : ২৬০)

আল্লাহ্র নিকট হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর এই প্রশ্ন সম্পর্কে মুফাসৃসিরগণ বহু কথা
লিখেছেন, আমরা তাফসীর গ্রন্থে সে সবের বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সারকথা এই যে,
ইব্রাহীম (আ)-এর প্রার্থনা আল্লাহ্ কবুল করেন ৷ আল্লাহ্ তাকে চার প্রকার পাখি সংগ্রহ করার
নির্দেশ দেন ৷ এই চার প্রকার পাখি কি কি ছিল সে বিষয়ে মুফড়াসৃসিরগণের মতভেদ আছে ৷ যাই
হোক, উক্ত পাথিগুলােকে কেটে তাদের মাংস ও পাখা ইত্যাদি খণ্ড-বিখণ্ড করে সবগুলো মিলিয়ে-
মিশিয়ে চারটি ভাগে বিভক্ত করে এবং এক এক ভাগ এক এক পাহাড়ে রাখতে বলেন ৷ তারপর
প্রত্যেকটি পাখির নাম ধরে আল্লাহ্র নামে ডাকতে বলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) যখন একটি একটি
করে পাখির নাম ধরে ডাকেন, তখন প্রত্যেক পাহাড় থেকে ঐ পাখির খণ্ডিত মাংস ও পাখ৷ উড়ে
এসে একত্রিত হতে থাকে এবং পুর্বে যেরুপ ছিল সেরুপ পুর্ণাঙ্গ পাখিতে পরিণত হতে থাকে ৷
আর ইব্রাহীম (আ) সেই মহান সভার কুদরত ও ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেন, যিনি কোন কিছুকে হও


وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا وَإِبْرَاهِيمَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ} [الحديد: 26] . الْآيَةَ. فَكُلُّ كِتَابٍ أُنْزِلَ مِنَ السَّمَاءِ عَلَى نَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ بَعْدَ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ فَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ وَشِيعَتِهِ، وَهَذِهِ خِلْعَةٌ سَنِيَّةٌ لَا تُضَاهَى، وَمَرْتَبَةٌ عَلِيَّةٌ لَا تُبَاهَى، وَذَلِكَ أَنَّهُ وُلِدَ لَهُ لِصُلْبِهِ وَلَدَانِ ذَكَرَانِ عَظِيمَانِ؛ إِسْمَاعِيلُ مِنْ هَاجَرَ، ثُمَّ إِسْحَاقُ مِنْ سَارَةَ، وَوُلِدَ لِهَذَا يَعْقُوبُ وَهُوَ إِسْرَائِيلُ الَّذِي يَنْتَسِبُ إِلَيْهِ سَائِرُ أَسْبَاطِهِمْ فَكَانَتْ فِيهِمُ النُّبُوَّةُ، وَكَثُرُوا جِدًّا بِحَيْثُ لَا يَعْلَمُ عَدَدَهُمْ إِلَّا الَّذِي بَعَثَهُمْ، وَاخْتَصَّهُمْ بِالرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ حَتَّى خُتِمُوا بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ. وَأَمَّا إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَكَانَتْ مِنْهُ الْعَرَبُ عَلَى اخْتِلَافِ قَبَائِلِهَا، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَلَمْ يُوجَدْ مِنْ سُلَالَتِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ سِوَى خَاتَمِهِمْ عَلَى الْإِطْلَاقِ وَسَيِّدِهِمْ، وَفَخْرِ بَنِي آدَمَ فِي الدُّنْيَا، وَالْآخِرَةِ؛ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ الْمَكِّيِّ ثُمَّ الْمَدَنِيِّ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يُوجَدْ مِنْ هَذَا الْفَرْعِ الشَّرِيفِ وَالْغُصْنِ الْمُنِيفِ سِوَى هَذِهِ الْجَوْهَرَةِ الْبَاهِرَةِ، وَالدُّرَّةِ الزَّاهِرَةِ، وَوَاسِطَةِ الْعِقْدِ الْفَاخِرَةِ، وَهُوَ السَّيِّدُ الَّذِي يَفْتَخِرُ بِهِ أَهْلُ الْجَمْعِ، وَيَغْبِطُهُ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، كَمَا سَنُورِدُهُ أَنَّهُ قَالَ: «سَأَقُومُ مَقَامًا يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ» . فَمَدَحَ إِبْرَاهِيمَ أَبَاهُ مِدْحَةً عَظِيمَةً فِي هَذَا السِّيَاقِ، وَدَلَّ كَلَامُهُ عَلَى أَنَّهُ أَفْضَلُ الْخَلَائِقِ بَعْدَهُ عِنْدَ الْخَلَّاقِ فِي هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৫


(কুন) বললে সাথে সাথেই তা হয়ে যায় ৷ ইব্রাহীম (আ) এর ডাকের সাথে ঐ পাখিগুলাে তার
দিকে দৌড়িয়ে আসতে থাকে ৷ উড়ে আমার চেয়ে দৌড়ে আসার মধ্যে আল্লাহর কুদরত অধিক
সুম্পৃষ্ট হয়ে ওঠে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, আল্লাহ্র হুকুম অনুযায়ী ইব্রাহীম (আ) পাখিগুলাের
মাথা কেটে নিজের হাতে রেখে দিয়েছিলেন ৷ বাকি অংশ পাহাড় থেকে উড়ে আসলে তিনি মাথা
ফেলে দিতেন ৷ ফলে মাথাগুলো সংশ্লিষ্ট পাখির দেহের সাথে গিয়ে লেগে যেত ৷ অতএব,
আল্পাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ সেই ৷ আল্লাহ মৃতকে জীবিত করতে পারেন এ ব্যাপারে
ইব্রাহীম (আ) এর ইল্মে ইয়াকীন (দৃঢ় বিশ্বাস) ছিল ৷ এতে কোন সন্দেহ নেই ৷ কিত্তু তিনি
তা খোলা চোখে দেখতে চেয়েছিলেন মাত্র ৷ যাতে ইলমে ইয়াকীন আয়নুল ইয়াকীনে’ উন্নীত
হয় ৷ আল্লাহ্ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন ও আশা পুরণ করেন ৷ আল্লাহ্র বাণীং

রুিা৷ ;া র্বৃ;ট্রু১া৷দ্বু ৰু)ক্ট্রর্দ্ধ; ৷ ;;া,;৷ ১;র্চু ন্হ্;;,;৷ ’ ^শুন্’ া হুকু ন্৷ ;এে৷ ৷ শুা£র্মু৷ ৷র্বু ;

;, এে ;,,াশ্ন্১৷ ণ্;; ৷ , ,ৰু;রুপুৰু


;,র্চু;াহু ,; ৷
, ৷

হে কিতাবিগণ৷ ইব্রাহীম সম্বন্ধে কেন তোমরা তর্ক কর, অথচ তাওরাত ও ইনজীল তো
তার পরেই অবতীর্ণ হয়েছিল? তোমরা কি বুঝ নাম্র দেখ, যে বিষয়ে তোমাদের সামান্য জ্ঞান
আছে তোমরাই তাে সে বিষয়ে তর্ক করেছ, তবে যে বিষয়ে তোমাদের কােনই জ্ঞান নেই যে
বিষয়ে কেন তর্ক করছ? আল্লাহ জ্ঞাত আছেন এবং তোমরা জ্ঞাত নও ৷ ইব্রাহীম ইহুদী ও ছিল
না, খৃক্টানও ছিল না; সে ছিল একনিষ্ঠ, আত্মসমর্পণকারী এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল
না ৷ যারা ইবরাহীমের অনুসরণ করেছিল তারা এবং এই নবী ও যারা ঈমান এন্যেছ মানুষের
মধ্যে তারা ইবরাহীমের ঘনিষ্ঠতম ৷ আল্লাহ্ মুমিনদের অভিভাবক ৷ (সুরা আল-ইমরান
৬৫ ৬৮ )

ইয়াহুদ ও নাসারা প্রভ্রু ত্যবেইি দ বি করত যে, ইব্রাহীম (আ) তাদেরই লোক ৷ আল্লাহ
তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইব্রাহীম (আ)-কে তা ৷দের দলভুক্ত হওয়ার অপবাদ থেকে মুক্ত
করেন ৷ তিনি তাদের চরম মুর্থতা ও জ্ঞা ৷দের স্বল্পত৷ ৷এই বলে প্রকাশ করে দেন যে, তাওরাত ও

ইনজীল তো তার যুগের পরেই নাযিল হয়েছে ৷

অর্থাৎ তিনি কিভাবে তোমাদের ধর্মের লোক হবেন, যখন দুনিয়া থেকে তার বিদায়ের
বহু যুগ পরে তাওরাত ইনজীল নাযিল হয়েছে অর্থাৎ তোমাদের শরীয়ত এসেছে ৷ এ কারণেই
আল্লাহ্ বলেছেন০ : ;, ,া^;; ১াষ্ ৷ তোমরা কি এ সামান্য বিষয়টিও বুঝ না?

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (১ম খণ্ড) ৪৮-

পুো,৷াম্রা৷৪গাে০ €০া৷া


الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَوِّذُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ، وَيَقُولُ: إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهِمَا إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ» . وَرَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورٍ بِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ أَرِنِي كَيْفَ تُحْيِ الْمَوْتَى قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِنْ قَالَ بَلَى وَلَكِنْ لِيَطْمَئِنَّ قَلْبِي قَالَ فَخُذْ أَرْبَعَةً مِنَ الطَّيْرِ فَصُرْهُنَّ إِلَيْكَ ثُمَّ اجْعَلْ عَلَى كُلِّ جَبَلٍ مِنْهُنَّ جُزْءًا ثُمَّ ادْعُهُنَّ يَأْتِينَكَ سَعْيًا وَاعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [البقرة: 260] . ذَكَرَ الْمُفَسِّرُونَ لِهَذَا السُّؤَالِ أَسْبَابًا بَسَطْنَاهَا فِي التَّفْسِيرِ وَقَرَّرْنَاهَا بِأَتَمِّ تَقْرِيرٍ، وَالْحَاصِلُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَجَابَهُ إِلَى مَا سَأَلَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَعْمِدَ إِلَى أَرْبَعَةٍ مِنَ الطُّيُورِ، وَاخْتَلَفُوا فِي تَعْيِينِهَا عَلَى أَقْوَالٍ، وَالْمَقْصُودُ حَاصِلٌ عَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ، فَأَمَرَهُ أَنْ يُمَزِّقَ لُحُومَهُنَّ وَرِيشَهُنَّ، وَيَخْلِطَ ذَلِكَ بَعْضَهُ فِي بَعْضٍ، ثُمَّ يُقَسِّمُهُ قِسَمًا، وَيَجْعَلَ عَلَى كُلِّ جَبَلٍ مِنْهُنَّ جُزْءًا فَفَعَلَ مَا أُمِرَ بِهِ، ثُمَّ أُمِرَ أَنْ يَدْعُوَهُنَّ بِإِذْنِ رَبِّهِنَّ، فَلَمَّا دَعَاهُنَّ جَعَلَ كُلُّ عُضْوٍ يَطِيرُ إِلَى صَاحِبِهِ، وَكُلُّ رِيشَةٍ تَأْتِي إِلَى أُخْتِهَا حَتَّى اجْتَمَعَ بَدَنُ كُلِّ طَائِرٍ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ، وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَى قُدْرَةِ الَّذِي يَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬


আল্লাহ আরও বলেন০ :
ঢুংদ্বু ৷দ্বু @


ইবরাহীম ইহুদীও ছিল না, নাসারাও ছিল না, বরং সে ছিল একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণকারী ৷ সে
ঘুশরিকও ছিল না ৷ ’ আল্পাহ্ এখানে স্পষ্ট বলেছেন যে, ইব্রাহীম ছিলেন দীনে হানীফের উপর
প্রতিষ্ঠিত ৩৷ দীনে হানীফ বলা হয় স্বেচ্ছায় বাতিলকে পরিত্যাগ করে হককে গ্রহণ করা এবং

আন্তরিকভাবে তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা ৷ এই দীনে হানীফ ইহুদী, খৃষ্টান ও মুশরিকদের ধর্ম

থেকে সম্পুর্ণ পৃথক ৷ আল্লাহ্ হশ্বলেনং :
১ ঠের্চুৰু

)




ষু)মোঃ

” ”
হৈংগ্রস্পে খু এ স্পোঢ়


াপুঠু থ্রে ৷
র্চু ণ্ব্লু^এ৷ ৷ ঢে৷ ৷ ৰুাগ্লু ৷
হ্রর্বৃ,দ্বুষ্কৃ
৷ ”





” ”



র্পার্চের্দুার্দু৷ ৷ ৷ৰুঠু «fl ৷


لِلشَّيْءِ: كُنْ فَيَكُونُ فَأَتَيْنَ إِلَيْهِ سَعْيًا لِيَكُونَ أَبْيَنَ لَهُ وَأَوْضَحَ لِمُشَاهَدَتِهِ مِنْ أَنْ يَأْتِينَ طَيَرَانًا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أُمِرَ أَنْ يَأْخُذَ رُءُوسَهُنَّ فِي يَدِهِ فَجَعَلَ كُلُّ طَائِرٍ يَأْتِي فَتَلْقَاهُ رَأْسُهُ فَيَتَرَكَّبُ عَلَى جُثَّتِهِ كَمَا كَانَ، فَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَعْلَمُ قُدْرَةَ اللَّهِ تَعَالَى عَلَى إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عِلْمًا يَقِينًا لَا يَحْتَمِلُ النَّقِيضَ، وَلَكِنْ أَحَبَّ أَنْ يُشَاهِدَ ذَلِكَ عِيَانًا، وَيَتَرَقَّى مِنْ عِلْمِ الْيَقِينِ إِلَى عَيْنِ الْيَقِينِ فَأَجَابَهُ اللَّهُ إِلَى سُؤَالِهِ، وَأَعْطَاهُ غَايَةَ مَأْمُولِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لِمَ تُحَاجُّونَ فِي إِبْرَاهِيمَ وَمَا أُنْزِلَتِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ إِلَّا مِنْ بَعْدِهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ هَا أَنْتُمْ هَؤُلَاءِ حَاجَجْتُمْ فِيمَا لَكُمْ بِهِ عِلْمٌ فَلِمَ تُحَاجُّونَ فِيمَا لَيْسَ لَكُمْ بِهِ عِلْمٌ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَكِنْ كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ} [آل عمران: 65] . أَيْ فَكَيْفَ يَكُونُ عَلَى دِينِكُمْ، وَأَنْتُمْ إِنَّمَا شُرِعَ لَكُمْ مَا شُرِعَ بَعْدَهُ بِمُدَدٍ مُتَطَاوِلَةٍ؟ وَلِهَذَا قَالَ: {أَفَلَا تَعْقِلُونَ} [آل عمران: 65] إِلَى أَنْ قَالَ: {مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَكِنْ كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ} [آل عمران: 67] . فَبَيَّنَ أَنَّهُ كَانَ عَلَى دِينِ اللَّهِ الْحَنِيفِ، وَهُوَ الْقَصْدُ إِلَى الْإِخْلَاصِ، وَالِانْحِرَافُ عَمْدًا عَنِ الْبَاطِلِ إِلَى الْحَقِّ الَّذِي هُوَ مُخَالِفٌ لِلْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ وَالْمُشْرِكِيَّةِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَنْ يَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلَّا مَنْ سَفِهَ نَفْسَهُ وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَابَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ أَمْ كُنْتُمْ شُهَدَاءَ إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ الْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ بَعْدِي قَالُوا نَعْبُدُ إِلَهَكَ وَإِلَهَ آبَائِكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِلَهًا وَاحِدًا وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُمْ مَا كَسَبْتُمْ وَلَا تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ وَقَالُوا كُونُوا هُودًا أَوْ نَصَارَى تَهْتَدُوا قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِنْ رَبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ صِبْغَةَ اللَّهِ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ صِبْغَةً وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ قُلْ أَتُحَاجُّونَنَا فِي اللَّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُخْلِصُونَ أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوا هُودًا أَوْ نَصَارَى قُلْ أَأَنْتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللَّهُ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ كَتَمَ شَهَادَةً عِنْدَهُ مِنَ اللَّهِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ} [البقرة: 130] [الْبَقَرَةِ: 130 - 140] .
পৃষ্ঠা - ৩৮৭


যে নিজেকে নির্বোধ করেছে সে ব্যতীত ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ হতে আর কে বিমুখ হবো
পৃথিবীতে তাকে আমি মনোনীত করেছি; পরকালেও সে সৎ কর্যপরায়ণগণের অন্যতম ৷ তার
প্ৰতিপালক যখন তাকে বলেছিলেন, অড়াত্মসমর্পণ কর’, সে ব্লেছিল , জগতসমুহের
প্রতিপালকের নিকট আত্মসর্মপণ করলাম ৷’ এবং ইব্রাহীম ও ইয়াকুব এ সম্বন্ধে তাদের
পুত্রগণকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, হে পুত্রগণ ! আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে এ দীনকে মনোনীত
করেছেন ৷ সুতরাং আত্মসমর্পণকাবী না হয়ে তোমরা কখনও মৃত্যুবরণ করিও না ৷ ’ ইয়াকুবের
নিকট যখন মৃত্যু এসেছিল তোমরা কি তখন উপস্থিত ছিলে? সে যখন পুত্রগণকে জিজ্ঞেস
করেছিল, আমার পরে তোমরা কিসের ইবাদত করবো” তারা তখন বলেছিল, আমরা আপনার
ইলাহ্-এর ও আপনার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের ইলাহ্-এরই ইবাদত
করব ৷ তিনি একমাত্র ইলাহ্ এবং আমরা তার নিকট আত্মসমর্পণকারী ৷ ’ সেই উম্মত অতীত
হয়েছে ওরা যা অত্তনি করেছে তা ওদের, তোমরা যা অর্জন কর তা তোমাদের ৷ তারা যা করত
সে সম্বন্ধে তােমাদেরকে কোন প্রশ্ন করা হবে না ৷ তারা বলে, ইহুদী বা খৃপ্টান হও, ঠিক পথ
পাবে ৷ ’ বল, বরং একনিষ্ঠ হয়ে আমরা ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করব এবং সে মুশরিকদের
অন্তর্ভুক্ত ছিল না ৷’ তোমরা বল, আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি এবং
ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব্ ও তার বংশধরপণের প্ৰতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা
তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে মুসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীকে দেয়া হয়েছে ৷ আমরা তাদের
মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তার নিকট আত্মসমর্পণকায়ী ৷ তোমরা যাতে ঈমান
এনেছ তারা যদি সেরুপ ঈমান আসে তবে নিশ্চয় তারা সৎপথ পাবে ৷ আর যদি তারা মুখ
ফিরিয়ে নেয়, তবে তারা নিশ্চয়ই বিরুদ্ধতাবাপন্ন ৷ তাদের বিরুদ্ধে তোমার জন্যে আল্লাহ্ই
যথেষ্ট ৷ তিনি সর্বশ্রোতড়া, সর্বজ্ঞ ৷ আমরা গ্রহণ করলাম আল্লাহ্র রং, ব্ঙে আল্লাহ্ অপেক্ষা কে
অধিকতর সুন্দর ? এবং আমরা তারই ইবাদতকারী ৷ বল , আল্পাহ্ সম্বন্ধে তোমরা কি আমাদের
সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাওন্ যখন তিনি আমাদের প্রতিপালক এবং তােমাদেরও প্ৰতিপালক !
আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের এবং আমরা তার প্রতি অকপট ৷
তোমরা কি বল যে, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণ ইহুদী কিৎবা
খৃন্টান ছিল ?

বল, তোমরা বেশি জান, না আল্লাহ্?’ আল্লাহর নিকট হতে তার কাছে যে প্রমাণ আছে তা
যে গোপন করে তার অপেক্ষা অধিকতর জালিম আর কে হতে পারে? তোমরা যা কর আল্লাহ সে
সম্বন্ধে অনবহিত নন ৷ (২ : ১৩০ ১৪ :)

আল্লাহ হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে ইহুদী বা খৃক্টান হওয়ার অপবাদ থেকে মুক্ত করে
সুস্পষ্টভাবে বলে দেন যে, তিনি একনিষ্ষ্ঠক্টেসদ্বুড়ামানঞ্জিলুন এবং তিনি ঘুশরিকও ছিরুলন না ৷ এ

কারণে আল্লাহ্তাআলা বলেছেন : ও ৷ র্টু,া


মানুষের মধ্যে ইব্রাহীম (আ)-এর ঘনিষ্ঠতম তারা, যারা তাকে অনুসরণকব্লু র ৷ ’ তার
সময়ে যারা তার অনুসারী ছিল এবং তার পরে যারা তার দীন গ্রহণ করেছে ৷ “ ৷ ৷ ১গুদ্বু

(এবং এই নবী) অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (সা) ৷ কেননা যেই দীনে-হানীফকে আল্লাই ইব্রাহীম
(আ)-এর জন্যে মনোনীত করেছিলেন সেই দীনে-হানিফকেই তিনি মুহাম্মদ (সা)-এর জন্য
মনোনীত করেছেন ৷ তদুপরি মুহাম্মদ (না)-এর দীনকে তিনি পুর্ণতা দান করেছেন এবং তাকে
এমন সব নিয়ামত দান করেছেন যা অন্য কোন নবী বা রাসুলকে ইতিপুর্বে দান করেননি ৷


فَنَزَّهَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ خَلِيلَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنْ أَنْ يَكُونَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا، وَبَيَّنَ أَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ} [آل عمران: 68] . يَعْنِي الَّذِينَ كَانُوا عَلَى مِلَّتِهِ مِنْ أَتْبَاعِهِ فِي زَمَانِهِ وَمَنْ تَمَسَّكَ بِدِينِهِ مِنْ بَعْدِهِمْ {وَهَذَا النَّبِيُّ} [آل عمران: 68] يَعْنِي مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لَهُ الدِّينَ الْحَنِيفَ الَّذِي شَرَعَهُ لِلْخَلِيلِ وَكَمَّلَهُ اللَّهُ تَعَالَى لَهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৮
وَأَعْطَاهُ مَا لَمْ يُعْطِ نَبِيًّا وَلَا رَسُولًا قَبْلَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ} [الأنعام: 161] [النَّحْلِ: 120 - 123] . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا رَأَى الصُّوَرَ فِي الْبَيْتِ لَمْ يَدْخُلْ حَتَّى أَمَرَ بِهَا فَمُحِيَتْ، وَرَأَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ بِأَيْدِيهِمَا الْأَزْلَامُ، فَقَالَ: قَاتَلَهُمُ اللَّهُ، وَاللَّهُ إِنِ اسْتَقْسَمَا بِالْأَزْلَامِ قَطُّ» . لَمْ يُخْرِجْهُ مُسْلِمٌ، وَفِي بَعْضِ أَلْفَاظِ الْبُخَارِيِّ «قَاتَلَهُمُ اللَّهُ لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ شَيْخَنَا لَمْ يَسْتَقْسِمْ بِهَا قَطُّ» . فَقَوْلُهُ أُمَّةً أَيْ قُدْوَةً إِمَامًا مُهْتَدِيًا دَاعِيًا إِلَى الْخَيْرِ يُقْتَدَى بِهِ فِيهِ {قَانِتًا لِلَّهِ} [النحل: 120] أَيْ خَاشِعًا لَهُ فِي جَمِيعِ حَالَاتِهِ وَحَرَكَاتِهِ وَسَكَنَاتِهِ حَنِيفًا أَيْ مُخْلِصًا عَلَى بَصِيرَةٍ وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ {شَاكِرًا لِأَنْعُمِهِ} [النحل: 121] . أَيْ قَائِمًا بِشُكْرِ رَبِّهِ بِجَمِيعِ جَوَارِحِهِ مِنْ قَلْبِهِ وَلِسَانِهِ وَأَعْمَالِهِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯


ৰুমাল্লাহ্ বলেনঃ




স্পএেঠে হে
গ্লু
)
,াট্রু৷ এোর্চু

& পা
ঞা ৷
বল, আমার প্রতিপালক আমাকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন ৷ এটাই সু-প্রতিষ্ঠিত দীন
ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ, সে ছিল একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না ৷ বল, আমার
সালাত, আমার ইৰাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগত তসমুহের প্রতিপালক আল্লাহরই
উদ্দেশে ৷ তার কোন শরীক নেই এবং আমি এরুপই আদিষ্ট হয়েছি এবং আত্মসমর্পণকারীদের

মধ্যে আমিই প্রথম ৷ (৬ : ১৬১ ১৬৩)
আল্লাহ আরো বলেন :
১৷ ট্রুট্রু



৷ দ্বু

ইবরাহীম ছিল এক উম্মত আল্লাহর অনুগত , একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অম্ভভুক্তি ছিল
না ৷ সে ছিল আল্লাহর অনুগহের জন্যে কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং তাকে
সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন ৷ আমি তাকে দুনিয়ার দিয়েছিলাম মঙ্গল এবং আখিরাতেও
সে নিশ্চয়ই সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম ৷ এখন আমি তোমার প্রতি প্ৰত্যাদেশ করলাম, তুমি
একনিষ্ঠ ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ (১৬ :
১ ২০ ১ ২৩ )

ইমান বুখারী (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কাবা ঘরের
মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখে তাতে প্রবেশ করেননি ৷ অতঃপর তার হুকুমে সেগুলো মুছে ফেলা হয় ৷
তিনি কাবাঘরে হযরত ইবরাহীম (আ) ও হযরত ইসমাঈল (আ)-এর মুর্ডিং হাতে জুয়ার তীর
দেখতে পান ৷ এ দেশে তিনি বলেন, যারা এরুপ বানিয়েছে তাদেরকে আল্লাহ নিপাত করুক ৷
আল্লাহর কসম, তারা দু’জনের কেউই জুয়ার৩ তীর বের করেন নি ৷ আয়াতে উল্লিখিত উম্মাত
( ৷ ) অর্থ নেতা ও পথপ্রদর্শক ৷ যিনি মঙ্গলের দিকে মানুষকে আহ্বান করেন এবং সে
ব্যাপারে তাকে অনুসরণ করা হয় ৷ ৭াপু (’:(§ এর অর্থ সর্বাবস্থায়-চলাফেরার প্রতি মুহুর্তে
আল্লাহকে ভয় করে চলা ^ৰু অর্থ তৰুম্ভার্বৃষ্ঠির সাথে আ ৷ম্ভরিক হওয়া ৷

;,ট্রব্লুস্পো ৷ ;ব্লু ৰু কুা ণ্াদ্বু ¢;’,:;’ ৷দ্বুষ্কৃা; অর্থ সমস্ত অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ দিয়ে পালন
কর্ত্যর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ৷ যথা অন্তর, জিহ্বা ও কর্ম ইত্যাদির মাধ্যমে ৷ ৷শুদ্বুহু৷ অর্থ




اجْتَبَاهُ أَيِ اخْتَارَهُ اللَّهُ لِنَفْسِهِ وَاصْطَفَاهُ لِرِسَالَتِهِ وَاتَّخَذَهُ خَلِيلًا، وَجَمَعَ لَهُ بَيْنَ خَيْرَيِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَاتَّبَعَ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125] . يُرَغِّبُ تَعَالَى فِي اتِّبَاعِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ؛ لِأَنَّهُ كَانَ عَلَى الدِّينِ الْقَوِيمِ وَالصِّرَاطِ الْمُسْتَقِيمِ، وَقَدْ قَامَ بِجَمِيعِ مَا أَمَرَهُ بِهِ رَبُّهُ، وَمَدَحَهُ تَعَالَى بِذَلِكَ فَقَالَ: {وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي وَفَّى} [النجم: 37] . وَلِهَذَا اتَّخَذَهُ اللَّهُ خَلِيلًا، وَالْخُلَّةُ هِيَ غَايَةُ الْمَحَبَّةِ، كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ: قَدْ تَخَلَّلْتَ مَسْلَكَ الرُّوحِ مِنِّي ... وَبِذَا سُمِّيَ الْخَلِيلُ خَلِيلًا وَهَكَذَا نَالَ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ وَسَيِّدُ الرُّسُلِ؛ مُحَمَّدٌ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ وَغَيْرِهِمَا مِنْ حَدِيثِ جُنْدَبٍ الْبَجَلِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، وَابْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَنِي خَلِيلًا، كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا» . وَقَالَ أَيْضًا فِي آخِرِ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا «أَيُّهَا النَّاسُ لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ» . أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ، وَثَبَتَ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ مَسْعُودٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৯০


আল্লাহ তাকে নিজের জন্যে মনোনীত করেন ৷ রিসালাতের দায়িত্ব দেয়ার জন্যে বাছাই করেন ৷
নিজের বন্ধুরুপে গ্রহণ করেন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ তাকে দান করেন ৷
আল্লাহর বাণীং





দীনের ব্যাপারে সেই ব্যক্তি অপেক্ষা কে উত্তম, যে সত্কর্মপরায়ণ হয়ে আল্লাহর কাছে
আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে ৷ আল্লাহ ইবরাহীমকে
বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছেন৷ (৪ : ১২৫)

এখানে আল্লাহ হযরত ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করার জন্যে উৎসাহিত করেছেন ৷
কেননা, তিনি ছিলেন মজবুত দীন ও সরল পথের উপর সু প্রতিষ্ঠিত ৷ আল্লাহ র্তাচক যা যা
করার আদেশ দিয়েছিলেন তিনি তার সব কিছুই যথাযথভাবে পালন করেছেন ৷ আল্লাহ নিজেই
তার প্রশং সায় বলেছেন ণ্১দ্বু ঠুএে ৷ ণ্ হু০০, দ্বু (এবং ইবরাহীমের কিভাবে, যে পালন
করেছিল তার দায়িত্ব (৫৩৩৭) ৷ এ কারণেই আল্লাহ তাকে খলীল রুপে গ্রহণ করেন ৷ খলীল

বলা হয় সেই বন্ধুকে যার প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা থাকে ৷ যেমন কোন কবি বলেছেনং :
অর্থাৎ-আমার অন্তরকে সে ভালবাসা দিয়ে জয় করে নিয়েছে আর এ কারণেই অন্তরঙ্গ
বন্ধুকে খলীল বলা হয় ৷ অনুরুপভাবে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (না)-ও আল্লাহর খলীল হওয়ার
মর্যাদা লাভ করেছিলেন ৷ সহীহ্ বুখারী , মুসলিম ইত্যাদি গ্রন্থে জুনদুব আল বাজালী , আবদুল্লাহ
ইবন আমর ও ইবন মাসউদ (বা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুল (সা) বলেছেন : হে জনমলীে ৷ জোন ব্লেখে৷ আল্লাহ আমাকে তার খলীলরুপে গ্রহণ
করেছেন, যেভাবে তিনি ইবরাহীমকে খলীল রুপে গ্রহণ করেছিলেন :
জীবনের শেষ ভাষণে রাসুল (সা) বলেছিলেন :
৷ গ্রৰু ৷

স্কোএ —
হে জনগণ ! পৃথিবীর অধিবাসীদের মধ্যে কাউকে যদি আমি খলীল হিসাবে গ্রহণ করতাম,

তবে অবশ্যই আবু বকর (রা)-কে আমার খলীল বানাতাম ন্ ৷ কিন্তু তোমাদের এই সাথী আল্লাহর
খলীল ৷

এ হাদীস বুখারী ও মুসলিমে আবু সাঈদ খুদরী (বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ তা ছাড়া
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) , ইবন আব্বাস (রা) ও ইবন মাসউদ (বা) সুত্রে এ হাদীসখানা
অন্যান্য কিতাবেও বর্ণিত হয়েছে ৷ সহীহ্ বুখারীতে আমর ইবন মায়মুন (রা) থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, হযরত মুআয (বা) ইয়ামানে গমন করেন ৷ তখন সবাইকে নিয়ে ফজরের সালাত


وَرَوَى الْبُخَارِيُّ فِي صَحِيحِهِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ قَالَ: «إِنَّ مُعَاذًا لَمَّا قَدِمَ الْيَمَنَ صَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَقَرَأَ: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125] . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: لَقَدْ قَرَّتْ عَيْنُ أُمِّ إِبْرَاهِيمَ» . وَقَالَ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أُسَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجُوزْجَانِيُّ بِمَكَّةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْتَظِرُونَهُ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْهُمْ سَمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ فَسَمِعَ حَدِيثَهُمْ، وَإِذَا بَعْضُهُمْ يَقُولُ: عَجَبٌ أَنَّ اللَّهَ اتَّخَذَ مِنْ خَلْقِهِ خَلِيلًا، فَإِبْرَاهِيمُ خَلِيلُهُ. وَقَالَ آخَرُ: مَاذَا بِأَعْجَبَ مِنْ أَنَّ اللَّهَ كَلَّمَ مُوسَى تَكْلِيمًا. وَقَالَ آخَرُ: فَعِيسَى رُوحُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ. وَقَالَ آخَرُ: آدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ. فَخَرَجَ عَلَيْهِمُ فَسَلَّمَ. وَقَالَ: قَدْ سَمِعْتُ كَلَامَكُمْ، وَعَجَبَكُمْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُ اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ، وَمُوسَى كَلِيمُهُ وَهُوَ كَذَلِكَ، وَعِيسَى رُوحُهُ وَكَلِمَتُهُ وَهُوَ كَذَلِكَ، وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ وَهُوَ كَذَلِكَ أَلَا وَإِنِّي حَبِيبُ اللَّهِ، وَلَا فَخْرَ، أَلَا وَإِنِّي أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ، وَلَا فَخْرَ، وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ حَلْقَةَ بَابِ الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُهُ اللَّهُ فَيُدْخِلُنِيهَا وَمَعِي فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَنَا أَكْرَمُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا فَخْرَ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৯১


আদায় করেন এবং কিরাআতে এ আয়াতে তিলাওয়াত করেনঃ ,

(আল্লাহ ইবরাহীমকে খলীলরুপে গ্রহণ করেন) তখন উপস্থিত একজন বললেন, ইবরাহীমের
মায়ের চোখ কতই না শীতল হয়েছিল ৷ ইবন মারদুয়েহ (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, একদা রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহারা তার জন্য অপেক্ষমাণ দিলেন ৷ এক পর্যায়ে
তিনি বের হয়ে আসেন ৷ কাছাকাছি এলে তিনি শুনতে পান-শ্এরা যেন কিছু একটা বলাব্লি
করছেন ৷ তখন সেখানে থেমে গিয়ে তিনি তাদের থেকে শুনতে পান যে, কেউ একজন বলছেন,
কী আশ্চর্য! আল্লাহ তারই সৃষ্টি মানুষের মধ্য থেকে খলীল’ বানিয়েছেন ইবরাহীম তার
খলীল ৷ আর একজন বলছেন, কী আশ্চর্য ! আল্লাহ মুসার সাথে কথাবার্তা বলেছেন ৷ অপরজন
বলছেন, ঈসা তো আল্লাহর রুহ্ ও কালিমাহ্ ৷ অন্য আর একজন বলছেন, আদম (আ)-কে
আল্লাহ বাছাই করে নিয়েছেন ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের সম্মুখে আসেন এবং বলেন,
আমি তোমাদের কথাবার্তা ও বিস্মিত হওয়ার কথা শুনতে পেয়েছি ৷ ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর
খলীল , তিনি তাই ছিলেন, মুসা (আ) আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন তিনিও তা-ই ছিলেন, ঈসা
(আ) আল্লাহর রুহ্ ও কালিমাহ্ তিনি ঠিক তাই ছিলেন ৷ আদম (আ)-কে আল্লাহ বাছাই
করেছিলেন, এবং তিনি তেমনই ছিলেন ৷ জেনে রেখ, আমি আল্লাহর হাবীব (পরম বন্ধু) এতে
আমার কোন অহংকার নেই ৷ জেনে ব্লেখ, আমিই প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার সুপারিশই
প্রথম শোনা হবে, এতে আমার কোন অহংকার নেই ৷ আমিই সে ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম জান্নাতের
দরজার কড়া নাড়বে ৷ অতঃপর তা খুলে আমাকে ভিতরে প্রবেশ করানো হবে ৷ তখন আমার
সাথে থাকবে দরিদ্র মুমিনগণ; কিয়ামতের দিন প্রাথমিক যুগের ও শেষ যুগের সকল মানুষের
মধ্যে সবচাইতে সম্মানিত আমিই, এতে আমার কোন অহংকার নেই ৷ এই সনদে হাদীসটি
গরীব’ পর্যায়ের বটে ৷ তবে অন্যান্য সনদে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

হাকিম (র) তার মুসতড়াদরাকে’ ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেছেন : তোমরা কি অস্বীকার করতে পারবে যে, খলীল হওয়ার সৌভাগ্য
হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর ৷ আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হযরত মুসা (আ)-এর এবং
আল্লাহর দীদার লাভের সৌভাগ্য মুহাম্মদ (না)-এর ৷ ইবন আবু হাতিম (র) ইসহড়াক ইবন
বাশৃশার (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, আল্লাহ যখন ইব্রাহীম (আ)-কে খলীলরুপে বরণ করে নেন,
তখন তার অন্তরের মধ্যে ভীতি পেড়ে বসে, এমনকি পাখি যেমন আকাশে ওড়ার সময় ডানা
ঝাপটানাের আওয়াজ হয় তেমনি তার অন্তর থেকে উৎপন্ন ভীতির আওয়াজ দুর থেকে শোনা
যেত ৷ উবায়দ ইবন উমায়র (রা) বলেন, ইবরাহীম (আ) সর্বদাই অতিথি আপ্যায়ন করতেন ৷
একদিন তিনি অতিথির সন্ধানে ঘর থেকে বের হলেন ৷ কিন্তু কোন অতিথি পেলেন না ৷
অবশেষে ঘরে ফিরে এসে দেখেন একজন মানুষ ঘরের মধ্যে দাড়িয়ে আছে ৷ তিনি জিজ্ঞেস
করলেন, ওহে আল্লাহর বান্দা! আমার বিনা অনুমতিতে কে তোমাকে আমার ঘরে প্রবেশ
করাল? লোকটি বলল, এ ঘরের মালিকের অনুমতিক্রমেই আমি এতে প্রবেশ করেছি ৷ ইব্রাহীম
(আ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পরিচয় কী ? সে বলল, আমি রুহ কবজকারী মালাকুল মওত ৷
আমাকে আমার প্রতিপালক তার এক বন্দোর নিকট এই সু-সংবাদ দিয়ে প্রেরণ করেছেন যে,
তাকে আল্লাহ খলীল রুপে গ্রহণ করেছেন ৷ ইব্রাহীম (আ) বললেন, সেই বান্দাটি কো আল্লাহর
কসম, এ সংবাদটি যদি আমাকে দিতে! তিনি কোন দুরতম এলাকায় অবস্থান করলেও আমি


وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَتُنْكِرُونَ أَنْ تَكُونَ الْخُلَّةُ لِإِبْرَاهِيمَ، وَالْكَلَامُ لِمُوسَى، وَالرُّؤْيَةُ لِمُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ» . وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الْسُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: لَمَّا اتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا أَلْقَى فِي قَلْبِهِ الْوَجَلَ حَتَّى إِنْ كَانَ خَفَقَانُ قَلْبِهِ لَيُسْمَعُ مِنْ بُعْدٍ، كَمَا يُسْمَعُ خَفَقَانُ الطَّيْرِ فِي الْهَوَاءِ. وَقَالَ عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضِيفُ النَّاسَ، فَخَرَجَ يَوْمًا يَلْتَمِسُ إِنْسَانًا يُضِيفُهُ فَلَمْ يَجِدْ أَحَدًا يُضِيفُهُ، فَرَجَعَ إِلَى دَارِهِ فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلًا قَائِمًا، فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ مَا أَدْخَلَكَ دَارِي بِغَيْرِ إِذْنِي؟ قَالَ: دَخَلْتُهَا بِإِذْنِ رَبِّهَا. قَالَ: وَمَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا مَلَكُ الْمَوْتِ أَرْسَلَنِي رَبِّي إِلَى عَبْدٍ مِنْ عِبَادِهِ أُبَشِّرُهُ بِأَنَّ اللَّهَ قَدِ اتَّخَذَهُ خَلِيلًا. قَالَ: مَنْ هُوَ، فَوَاللَّهِ إِنْ أَخْبَرْتَنِي بِهِ، ثُمَّ كَانَ بِأَقْصَى الْبِلَادِ لَآتِيَنَّهُ، ثُمَّ لَا أَبْرَحُ لَهُ جَارًا حَتَّى يُفَرِّقَ بَيْنَنَا الْمَوْتُ. قَالَ: ذَلِكَ الْعَبْدُ أَنْتَ. قَالَ: أَنَا! قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَبِمَ اتَّخَذَنِي رَبِّي خَلِيلًا؟ قَالَ: بِأَنَّكَ تُعْطِي النَّاسَ وَلَا تَسْأَلُهُمْ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَقَدْ ذَكَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فِي الْقُرْآنِ كَثِيرًا فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ بِالثَّنَاءِ عَلَيْهِ وَالْمَدْحِ لَهُ، فَقِيلَ: إِنَّهُ مَذْكُورٌ فِي خَمْسَةٍ وَثَلَاثِينَ مَوْضِعًا، مِنْهَا خَمْسَةَ عَشَرَ فِي الْبَقَرَةِ وَحْدَهَا، وَهُوَ أَحَدُ أُولِي الْعَزْمِ الْخَمْسَةِ الْمَنْصُوصِ عَلَى أَسْمَائِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩৯২


তার নিকট যেতাম এবং আমৃতু ব্র সেখানেই অবস্থান করতাম ৷ মালাকুল মওত বললেন-
আপনিই হচ্ছেন সেই বান্দ৷ ৷ ইবরাহীম (আ) বললেন, আমিঃ তিনি বললেন, হ্যা, আপনিই ৷
ইবরাহীম (আ) বললেন, আল্লাহ আমাকে কি কারণে তার খলীলরুপে গ্রহণ করলেন? তিনি
জবাব দিলেন, কারণ এই যে, আপনি মানুষকে দান করেন তাদের কাছে কিছু চান না ৷ ইবন
আবুহাতিম (র) এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷

আল্লাহ হযরত ইবরাহীম (আ) এর এই গুণের কথা উল্লেখ করে কুরআনের বহু স্থানে তার

প্ৰশ০ যা করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, কুরআনের পয়ত্রিশ জায়গায় এর উল্লেখ রয়েছে ৷

তন্মধ্যে কেবল সুরা বকােরায় পনের জায়গায় তার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ হযরত ইবরাহীম (আ)

সেই পাচজন উলুল-আয্ম (দৃঢ় প্রতিজ্ঞ) নবীর অন্যতম, নবীগণের মধ্যে যাদের নাম আল্লাহ

তাআলা কুরআনের দুইটি সুরার অর্থাৎ সুরা আহযাব ও সুরা শুরায় বিশেষভাবে উল্লেখ
করেছেন ৷ আয়াত দু’টি হলো : (



স্মরণ কর , যখন আমি নবীদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং তোমার নিকট

থেকেও এবং নুহ, ইব্রাহীম , মুসা এবং ঈসা ইবন মারযামের নিকট থেকে ৷ আমি তাদের নিকট

থেকে গ্রহণ করেছিলাম দৃঢ় অঙ্গীকার ৷ (সুরা আহযাব : ৭)

আল্লাহর বাণী৪
(

আল্লাহ তোমাদের জন্যে বিধিবদ্ধ করেছেন সেই দীন যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহ্কে ,
আর যা ওহীর মাধ্যমে পাঠিয়েছি তোমার নিকট এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মুসা ও
ঈসাকে এ কথা বলে যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে মতভেদ কর না ৷ (সুরা
শুরা : ১৩)

উক্ত পড়াচজন উলুল আয্ম নবীদের মধ্যে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (না)-এর পরেই হযরত
ইবরাহীম (আ)-এর স্থান ৷ (মিরাজ রজনীতে) তিনি হযরত ইবরাহীম (আ)-কে সপ্তম
আকাশের উপরে বায়তুল মামুরে হেলান দেয়৷ অবস্থায় দেখেছিলেন ৷ যেখানে প্রতিদিন সত্তর
হাজার ফেরেশতড়া ইবাদত করার জন্যে প্রবেশ করেন এবং আর কখনও দ্বিতীয়বার সেখানে
প্রবেশের সুযোগ র্তাদের আসে না ৷ আর শুরায়ক ইবন আবু নুমায়র হযরত আনাস (বা) সুত্রে
মিরাজ সম্পর্কের হাদীসে যে বর্ণনা করেছেন, ইবরাহীম (আ) ষষ্ঠ আকাশে এবং মুসা (আ)
সপ্তম আকাশে ছিলেন, উক্ত হাদীসে রাৰী শুরায়কএর ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণ সমালোচনা
করেছেন ৷ সুতরাং প্রথম হাদীসই সঠিক ও বিশুদ্ধ ৷


تَخْصِيصًا مِنْ بَيْنِ سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ فِي آيَتَيِ الْأَحْزَابِ وَالشُّورَى، وَهُمَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذْنَا مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقَهُمْ وَمِنْكَ وَمِنْ نُوحٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَأَخَذْنَا مِنْهُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا} [الأحزاب: 7] . وَقَوْلُهُ: {شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّى بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ} [الشورى: 13] . الْآيَةَ، ثُمَّ هُوَ أَشْرَفُ أُولِي الْعَزْمِ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ الَّذِي وَجَدَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ مُسْنِدًا ظَهْرَهُ بِالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ الَّذِي يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ ثُمَّ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، وَمَا وَقَعَ فِي حَدِيثِ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسٍ فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ؛ مِنْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ فِي السَّادِسَةِ وَمُوسَى فِي السَّابِعَةِ، فَمِمَّا انْتُقِدَ عَلَى شَرِيكٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. ثُمَّ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ أَفْضَلُ مِنْ مُوسَى الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ فِيهِ: «وَأَخَّرْتُ الثَّالِثَةَ لِيَوْمٍ يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهَذَا هُوَ الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ الَّذِي أَخْبَرَ عَنْهُ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ بِقَوْلِهِ: «أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا فَخْرَ» . ثُمَّ ذَكَرَ اسْتِشْفَاعَ النَّاسِ بِآدَمَ، ثُمَّ بِنُوحٍ، ثُمَّ بِإِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ مُوسَى، ثُمَّ عِيسَى فَكُلُّهُمْ يَحِيدُ عَنْهَا، حَتَّى يَأْتُوا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَقُولُ: «أَنَا لَهَا أَنَا لَهَا» . الْحَدِيثَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৩
عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَكْرَمُ النَّاسِ؟ قَالَ: أَتْقَاهُمْ. قَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ. قَالَ: فَيُوسُفُ نَبِيُّ اللَّهِ ابْنُ نَبِيِّ اللَّهِ ابْنِ نَبِيِّ اللَّهِ ابْنِ خَلِيلِ اللَّهِ. قَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ. قَالَ: فَعَنْ مَعَادِنِ الْعَرَبِ تَسْأَلُونِي؟ خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ إِذَا فَقِهُوا» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ بِهِ. ، ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: قَالَ أَبُو أُسَامَةَ، وَمُعْتَمِرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: وَقَدْ أَسْنَدَهُ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ مِنْ حَدِيثِهِمَا، وَحَدِيثِ عَبْدَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ بِشْرٍ أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَذْكُرُوا أَبَاهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْكَرِيمَ ابْنَ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ اللَّهِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْكَرِيمَ ابْنَ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْكَرِيمُ ابْنُ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪


ইমাম আহমদ (ব) আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :


এে;
একজন সম্মানিত পুত্র যার পিতাও ছিল সম্মানিত ৷ তার পিতাও ছিল সম্মানিত এবং তার

পিতাও ছিল সম্মানিত ৷ এরা হল ইউসুফ, তার পিতা ইয়াকুব ৷৩ তার পিতা ইসহড়াক এবং তার

পিতা ইবরাহীম খলীল (আ) ৷ ইমাম আহমদ (র) এ হাদীসটি এককভ ড়াবে বর্ণনা করেছেন ৷

হযরত মুসা (আ) থেকে হযরত ইব্রাহীম (আ) যে শ্রেষ্ঠ এ বিষয়টি নিম্নোক্ত হাদীসের দ্বারা
প্রতীয়মান হয় ৷ যেখানে বলা হয়েছে :

অর্থাৎ তৃড়ীয় যে বৈশিষ্ট্যটি আমাকে দান করা হয়েছে তা সেইদিন দেয়া হবে, যেই দিন
সমস্ত মানুষ আমার প্রতি আকৃষ্ট হবে, এমনকি ইবরাহীমও ৷

এ হাদীস ইমাম মুসলিম উবাই ইবন কাব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ আর তাহল
মাকামে মাহ্মুদ’ ৷ রাসুল (সা) পুর্বেই তা জানিয়ে দিয়েছেন এই বলে যে, কিয়ামতের দিন
আমি হব বনী আদমের সর্দার এবং এতে আমার অহংকার নেই ৷ ’ ঐ হাদীসে এর পর বলা
হয়েছে যে মানুষ সুপারিশ পাওয়ার জন্যে আদম (আ) এর কাছে যাবে, তারপর নুহ, তারপরে
ইব্রাহীম, তারপরে মুসা ও তারপরে ঈসা (আ) এর কাছে যাবে ৷ প্রত্যেকেই সুপারিশ করতে
অস্বীকার করবেন ৷ সবশেষে মুহাম্মদ (সা) এর কাছে যাবে ৷ তখন তিনি বলবেন, আমিই এর
যোগ্য ৷ এটা আমারই কাজ ৷’ বুখারী শরীফে বিভিন্ন জায়গায় এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম
মুসলিম ও নাসাঈ ইবন উমর আল আময়ী সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রসুলুল্পাহ (স)-কে জিজ্ঞেস করা
হয়, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! অধিক সম্মানিত মানুষ কো রসুলুল্লাহ (সা) বললেন : অধিকতর মুত্তাকী
ব্যক্তি ৷ তারা বললেন : আমরা আপনাকে এ কথা জিজ্ঞেস করি নাই ৷ পরে তিনি বললেন, তা
হলে ইউসুফ; যিনি আল্লাহর নবী, তার পিতাও আল্লাহর নবী, তার পিতাও আল্লাহর নবী এবং
তার পিতা আল্লাহ্র খলীল ৷ সাহাবাগণ বললেন : আমরা এটাও জিজ্ঞেস করিনি ৷ তিনি
বললেন, তা হলে কি তোমরা আরবদের উৎসসমুহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছা তবে গােন :
জাহিলী যুগে যারা উত্তম ছিল, ইসলামী যুগেও তারাই উত্তম, যদি তারা ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন হয় ৷
বুখারী, নাসাঈ ও আহমদ (র) বিভিন্ন সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (ব)
ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বংনাি ৷,করেন রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন৪ হাশরের ময়দানে মানুষকে
নগ্ন পায়ে, উলঙ্গ ও খাত্নাবিহীন অবস্থায় উঠান হবে ৷ সর্বপ্রথম ইব্রাহীম (আ) কে কাপড়

পরান হবে ৷ এরপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করেন :াশু প্রুপু১ ’ পুট্রুন্ শু১৷ রুর্চু fl$

যে অবস্থায় আমি প্রথমে সৃষ্টি করেছি ঐ অবন্থায়ই পুনরায় উঠার ৷ ’ (২১ আম্বিয়া : ১০৪)

ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়েই এ হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত
ইব্রাহীম (আ)-এর এই বিশেষ ফযীলত ও সম্মানের কারণে তিনি মাকামে মাহমুদের


إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ» . تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مُغِيرَةُ بْنُ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُحْشَرُ النَّاسُ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا فَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ» . ثُمَّ قَرَأَ {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ} [الأنبياء: 104] . فَأَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَشُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، كِلَاهُمَا عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ النُّعْمَانِ النَّخَعِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِهِ. وَهَذِهِ الْفَضِيلَةُ الْمُعَيَّنَةُ لَا تَقْتَضِي الْأَفْضَلِيَّةَ بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا قَابَلَهَا مِمَّا ثَبَتَ لِصَاحِبِ الْمَقَامِ الْمَحْمُودِ الَّذِي يَغْبِطُهُ بِهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ، وَأَمَّا الْحَدِيثُ الْآخَرُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ هُوَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا خَيْرَ الْبَرِيَّةِ فَقَالَ: " ذَاكَ إِبْرَاهِيمُ» . فَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، وَعَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ أَرْبَعَتُهُمْ عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَهَذَا مِنْ بَابِ الْهَضْمِ، وَالتَّوَاضُعِ مَعَ وَالِدِهِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا قَالَ: «لَا تُفَضِّلُونِي عَلَى الْأَنْبِيَاءِ» . وَقَالَ «لَا تُفَضِّلُونِي عَلَى مُوسَى فَإِنَّ النَّاسَ يُصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ فَأَجِدُ مُوسَى
পৃষ্ঠা - ৩৯৫


অধিকারীর’ তুলনায় অধিক সম্মানিত হয়ে মাননি ৷ যে মাকামে মাহমুদের জন্যে প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত সবাই ঈর্ষাম্বিত হবেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আনাস ইবন মালিক (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেনষ্ক এক ব্যক্তি রাসুল
রাসুল (সা) বললেন,
তিনি হলেন হযরত ইব্রাহীম (আ) ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীসটি বিভিন্ন মাধ্যমে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিরমিযী (র) একে সহীহ ও হাসান বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এ কথাটি আপন
পিতৃ পুরুষ হযরত ইব্রাহীম (আ) এর সম্মানার্থে বিনয় প্রকাশ স্বরুপ বলেছেন ৷ যেমন তিনি
বলেছেনং অন্য নবীদের উপরে তোমরা আমাকে প্রাধান্য দিও না ষ্পু; ন্£প্ণ্ম্রা)
( ৷ -ট্রু১া ৷ তিনি আরও বলেছেন ং তোমরা আমাকে মুসার উপর শ্রেষ্ঠত্ডু দান করো ন ৷
কারণ, কিয়ামতের দিন সকল মানুষ বেছুশন্হয়ে পড়ে থাকবে ৷ অতঃপর সর্বপ্রথম আমার ছুশ
ফিরে আসবে ৷ কিন্তু আমি উঃঠ দেখতে পাব মুসা (আ) আল্লাহর আরশের স্তম্ভ ধরে দাড়িয়ে
আছেন ৷ আমি জানি না, মুসা (আ) ক্লি আমার পুর্বেই ভুশপ্রাপ্ত হবেন, না কি তুর পাহাড়ে বেছুশ
হওয়ার বদলাস্বরুপ এ রকম করা হবো এই সব বর্ণনা থাকা সত্বেও মুহাম্মদ (সা) এর
কিয়ামতের দিন বনী আদমের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও সর্দার হওয়াতে কোন ব্যত্যয় ঘটবে না ৷ কেননা,
মুতাওয়াতির সুত্রে একথা প্রমাণিত যে, কিয়ামতের দিন তিনিই হবেন ণ্া!াগ্লু তথা
মানবকুল শ্রেষ্ঠ ৷

অনুরুপতাবে মুসলিম শরীফে উবাই ইবন বা ব সুত্রে বর্ণিত হাদীস আমাকে যে তিনটি
বিশেষত্ব দান করা হয়েছে তার তৃতীয়টি সেদিন দেয়৷ হয়ে, যেদিন সকল মানুষ আমার প্রতি
আকৃষ্ট হবে ৷ এমনকি ইবরাহীমও’ ৷ এর দ্বারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর শ্রেষ্ঠতুই প্রমাণিত হয় ৷
হযরত মুহাম্মদ (সা) এর পরেই হযরত ইব্রাহীম (আ) এর শ্রেষ্ঠতু ও উলুল আয্ম রাসুল
প্রমাণিত হবার কারণে সালাতের মধ্যে তাশাহ্হুদে ইব্রাহীম (আ) এর উল্পেখ করতে
মুসল্লীদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে ৷ যেমন বুথারী ও মুসলিমে কাব ইবন আজুরা (রা) প্রমুখ
থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ কাব বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আপনার প্রতি

সালাম তো আমরা জানি, কিন্তু আপনার প্রতি সালাত র্কীভাবেঃ জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, তোমরা বলবে০ ং

(হে আল্পাহ্ ! মুহাম্মদের প্রতি ও তার পরিবার বর্গের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন যেমনি
আপনি ইবরাহীমের উপর ও তার পরিৰারবর্গের উপরে রহমত বর্ষণ করেছিলেন ৷ আর
মুহাম্মদের প্রতি এবং তার পরিবারবার্গর প্রতি বরকত দান করুন ৷ যেমনি আপনি ইবৃরাহীমের
উপর ও তার পরিবারবর্গের প্রতি বরকত দান করেছিলেন ৷ আপনি অত্যধিক প্রশংসিত ও
সম্মানিত) ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪৯-


بَاطِشًا بِقَائِمَةِ الْعَرْشِ، فَلَا أَدْرِي أَفَاقَ قَبْلِي أَمْ جُوزِيَ بِصَعْقَةِ الطُّورِ» . وَهَذَا كُلُّهُ لَا يُنَافِي مَا ثَبَتَ بِالتَّوَاتُرِ عَنْهُ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ مِنْ أَنَّهُ سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَكَذَلِكَ حَدِيثُ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ «وَأَخَّرْتُ الثَّالِثَةَ لِيَوْمٍ يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ» . وَلَمَّا كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَفْضَلَ الرُّسُلِ وَأُولِي الْعَزْمِ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ أُمِرَ الْمُصَلِّي أَنْ يَقُولَ فِي تَشَهُّدِهِ مَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، وَغَيْرِهِ قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا السَّلَامُ عَلَيْكَ قَدْ عَرَفْنَاهُ، فَكَيْفَ الصَّلَاةُ عَلَيْكَ؟ قَالَ: «قُولُوا: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ» . وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي وَفَّى} [النجم: 37] . قَالُوا: وَفَّى جَمِيعَ مَا أُمِرَ بِهِ. وَقَامَ بِجَمِيعِ خِصَالِ الْإِيمَانِ وَشُعَبِهِ، وَكَانَ لَا يَشْغَلُهُ مُرَاعَاةُ الْأَمْرِ الْجَلِيلِ عَنِ الْقِيَامِ بِمَصْلَحَةِ الْأَمْرِ الْقَلِيلِ، وَلَا يُنْسِيهِ الْقِيَامُ بِأَعْبَاءِ الْمَصَالِحِ الْكِبَارِ عَنِ الصِّغَارِ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ {وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ} [البقرة: 124] . قَالَ: ابْتَلَاهُ اللَّهُ بِالطَّهَارَةِ خَمْسٌ فِي الرَّأْسِ، وَخَمْسٌ فِي الْجَسَدِ فَأَمَّا الَّتِي فِي الرَّأْسِ؛ قَصُّ الشَّارِبِ، وَالْمَضْمَضَةُ، وَالسِّوَاكُ، وَالِاسْتِنْشَاقُ، وَفَرْقُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬


é
আল্লাহর বাণীং : §§ ৰু^ব্লু;া৷ ণ্পু১১০শু!ৰু “আর ইব্রাহীম তার দ যিও পুর্ণ করেছিল ৷”

অর্থাৎ র্তাকে যত প্রকার হুকুম করা হয়েছিল তিনিত তার সবগুলোই পালন করেছিলেন ৷ ঈমানের
সমস্ত গুণাগুণ ও সকল শাখা ৰু প্রশাখা তিনি আয়ত্ত করেছিলেন ৷ কোন বড় ও জটিল সমস্যাই
র্তাকে কোন ছোট হুকুম পালনেও বাধা দিতে পারেনি এবং বড় ধরনের হুকুম পালনের ক্লা ন্তি
তাকে ছোট ধরনের হুকুয়ুদ্বুালনে বিরত রাখেনি ৷ আবদুর রাঘৃযাক (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে নিম্নের আয়াত ১াদ্বু (স্মরণ কর
ইবরাহীমকে৩ার প্রতিপালক কয়েকটি বিষয়ে পর্বীক্ষ৷ নিলে তিনি সবগুলোই পুরণ করেন) এর
ব্যাখ্যার বলেছেন০ : আল্লাহ্ ইব্রাহীমকে মাথা সংক্রান্ত পাচ প্রকার, পবিত্রত৷ এবং দেহের
অবশিষ্ট অংশ সংক্রান্ত পাচ প্রকার পবিত্রতার হুকুম দ্বারা পরীক্ষা করেছেন ৷ মাথার পড়াচ প্রকার
এই : (১) পোফ কাটা (২) কুলি করা (৩) মিসৃওয়াক করা (৪) পানি দ্বারা নাক পরিষ্কার করা
(৫) মাথার চুলের সিথি কাটা ৷ অবশিষ্টশরীরের পড়াচ প্রকার হন ( ১) নখ কাটা (২) নাভীর
নীচের গশম মুণ্ডন (ও) খাতৃন৷ করা (৪) বগলের পশমউঠান (জ) থেশাব-পায়খানার পর পানি
দ্বারা শৌভ করা ৷ ইবন আবু হাতিম এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুর রাঘৃযাক বলেন, সাঈদ
ইবনুলৰু মুসাব্যিব, মুজাহিদ, শাবী, নখঈ, আবু সালিহ্ ও আবুল জালদও অনুরুপ হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে আবুহ্বায়্রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
মানুষের স্বভারগত পরিচ্ছন্নত৷ পড়াচটি ( ১ ) খাত নাণ্ করা (২) গৌর কর্ম করা (৩) পেড়াক কাটা
(৪) নখ কাটা (৫) বগলের পশম উঠান ৷ সহীহ মুসলিম ও সুনান প্রন্থাদিতে আয়েশা (রা) সুত্রে
বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা দশটি ( ১ ) পোফ ছুাটা (২ ) দাড়ি লম্বা
হতে দেয়৷ (৩) মিসওয়াককরা (৪ ) পানি দ্বারা নাক পরিষ্কার করা (৫) নখ কাটা (৬) দেহের
গ্রন্থি পানি দ্বারা ধোয়া (৭) বগলের পশম উঠান (৮) নাভীর নীচের অংশে ফৌর করা ৷ (৯)
পানি দ্বারা ইসতিনজা করা (১০) খাত্নাণ্করা ৷ খাত্নার সময়ে তার (ইব্রাহীম (আ)-এর)
বয়স সম্পর্কে আলোচনা পরে আসছে ৷ যাই হোক নিষ্ঠা, আত্তরিকতা ও একাগ্রতড়ার সাথে
ইবড়াদত-বন্দেগী হযরত ইবরাহীম (আ)-কে শরীরের যত্ন নেয়া, প্রত্যেক অংগ-প্রত্যৎগের হক
আদায় করা, সৌন্দর্য রক্ষা করা এবং যে জিনিসগুলো ক্ষতিকর ছিল যথাং : :অধিক পরিমাণ চুল,
বড় নখ, দাতের ময়লা ও দাগ দুর করা থেকে অন্নুনােযােগী করে রাখত না ৷ সুতরাৎএ
ৰিষয়গুলােও আল্লাহ্ কর্তৃক ইবরাহীমের প্রশংসা ( ১গ্লু é; ৷ ণ্ ণ্গু০ঔাএ) (ইব্রাহীম তার
কর্তব্য বাস্তবায়ন করেছে)-এর অন্তর্ভুক্ত ৷

,

, জান্নাতে হযরত ইবরাহীম (আ)-এর প্রাসাদ

হাফিজ আবু বকর আল বাঘৃযার (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেনং জান্নাতের মধ্যে মনি-মুক্ত৷ দ্বারা নির্মিত একটি অতি মনােরম প্রাসাদ রয়েছে ৷ কোন
ভাৎপাচুরা বা ফাটল তাতে ণ্নইণ্ ৷ অ ল্লাহ তার খলীলের জন্যে এটি তৈরি করেছেন ৷ আল্লাহ্র
মেহমান হিসেবে তিনি তাতে থাকবেন ৷ বাঘৃযার (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে অনুরুপ হাদীস
বর্ণনা ৷করেছেন ৷ অতং পর বাযুযার (র) বলেন, এই হাদীসের বর্ণনাকারী হামমাদ ইবন স ৷লামা


الرَّأْسِ. وَأَمَّا الَّتِي فِي الْجَسَدِ؛ تَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ، وَحَلْقُ الْعَانَةِ، وَالْخِتَانُ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ، وَغَسْلُ أَثَرِ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ بِالْمَاءِ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَقَالَ: وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَمُجَاهِدٍ، وَالشَّعْبِيِّ، وَالنَّخَعِيِّ، وَأَبِي صَالِحٍ، وَأَبِي الْجَلْدِ نَحْوُ ذَلِكَ. قُلْتُ: وَفِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْفِطْرَةُ خَمْسٌ؛ الْخِتَانُ، وَالِاسْتِحْدَادُ، وَقَصُّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ» . وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، وَأَهْلِ السُّنَنِ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ الْعَبْدَرِيِّ الْمَكِّيِّ الْحَجَبِيِّ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ؛ قَصُّ الشَّارِبِ، وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ، وَالسِّوَاكُ، وَاسْتِنْشَاقُ الْمَاءِ، وَقَصُّ الْأَظْفَارِ، وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ، وَحَلْقُ الْعَانَةِ، وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ يَعْنِي الِاسْتِنْجَاءَ» . وَسَيَأْتِي فِي ذِكْرِ مِقْدَارِ عُمُرِهِ الْكَلَامُ عَلَى الْخِتَانِ، وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ لَا يَشْغَلُهُ الْقِيَامُ بِالْإِخْلَاصِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَخُشُوعُ الْعِبَادَةِ الْعَظِيمَةِ عَنْ مُرَاعَاةِ مَصْلَحَةِ بَدَنِهِ، وَإِعْطَاءِ كُلِّ عُضْوٍ مَا يَسْتَحِقُّهُ مِنَ الْإِصْلَاحِ وَالتَّحْسِينِ، وَإِزَالَةِ مَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৭


থেকে কেবল য়াযীদ ইবন হারুন ও নযর ইবন শুমায়লী মারকু হিসেবে হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ ঐ দু’জন বাদে অন্য সবাই মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ৷ এই ত্রুটি না
থাকলে হাদীসটি সহীহ্-এর শর্তে উত্তীর্ণ হ্যতা, বিন্দু ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) এটি
বর্ণনা করেননি ৷

ইব্রাহীম (আ)-এর আকৃতি-অবয়ব

ইমাম আহমদ (র) জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : আমার
সম্মুখে পয়গম্বরগণকে ৫প্যা করা হয় ৷তন্মধ্যে মুসা (আ) শানুয়া গোত্রের ণ্লাকদের অনুরুপ
দেখতে পাই ৷ ঈসা ণ্ ইবন মারয়াম (আ)-কে অনেকটা উরওয়া ইবন মাসউদের মত এবং
ইব্রাহীম (আ)-কে অনেকটা দাহ্য়া কালবীর মত দেখতে পাই ৷ এ সনদে ও এ পাঠে ইমাম
আহমদ (র) একাই এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আসওয়াদ ইবন আব্বাস
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন : আমি ঈসা ইবন মারয়সে , মুসা ও ইব্রাহীম
(আ)-ণ্ক দেখেছি ৷ তন্মধ্যে ঈসা (আ) ছিলেন গৌরবর্ণ, চুল ঘন কাল, বক্ষদেশ প্রশস্ত ৷ আর
মুসা (আ) ছিলেন ধুসরবর্ণ ও বলিষ্ঠ দেহী ৷ সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন : আর ইব্রাহীম (আ) ?
রাসুলুল্লাহ (স) বললেন, তোমাদের সাথীর দিকে তড়াকাও অর্থাৎ তার নিজের দিকে ইঙ্গিত
করেন ৷ ইমাম বুখারী মুজাহিদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবন আব্বাস (রা) থেকে শুন্যেছন
;যে, লোকজন তার সম্মুখে দাজ্জাশের প্রসঙ্গ দিয়ে আলোচনা করছিল এবং বলছিল, দাজ্জালের
চক্ষুদ্বয়ের মধ্যখানে লিখিত থাকবে কাফিৱ ( এ-ব্র এ ) ৷ ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমি
রাসুলুল্লাহ (স)-এর কাছে এ কথা শুনি নাই ৷ বরং তিনি বলেছেন : ইব্রাহীম (আ) কে যদি
দেখতে চাও, তবে তোমাদের সাথীর প্রতি তড়াকাও ৷ আর মুসা (আ) হলেন, যনচুল্, ধুসর রং
বিশিষ্ট ৷ তিনি একটি লাল উটের উপর ন্উপবিষ্ট-যার নাকের রশি খেজুর গাছের ছালের তৈরি ৷
আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তিনি এ অবস্থায় উপত্যকার দিকে নেমে আসছেন ৷ বৃখারী ও মুসলিম
(র) এ হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বৃখারী (র) কিতড়াবুল হজ্জ’ ও কিতাবুল
লিবাসে’ এবং মুসলিম (র)ও আবদুল্লাহ-ইবন আওন সুত্রে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷

হযরত ইব্রাহীম , (আ)-এর ইনতিকাল ও তার বয়স প্রসঙ্গ ষ্

ইবন জারীর (র) তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন, হযরত ইব্রাহীম (আ) নমরুদ (ইবন
কিনআন)-এর যুগে জন্মগ্রহণ করেন ৷ কথিত আছে যে, এই নমরুদই ছিল প্রসিদ্ধ বাদশাহ
যাহ্হাক ৷ সে দীর্ঘ এক হাজার বছর যাবত বাদশাহী করেছিল বলে মরে করা হয়ে থাকে ৷তার
শাসন আমল ছিল জুলুম-অত্যাচারে পরিপুর্ণ ৷ কোন কোন ইতিহাসবিদের মতে, এই নমরুদ
ছিল বনু রাসিব গোত্রের লোক ৷ এই গোত্রেই হযরত নুহ (আ) প্রেরিত হয়েছিলেন ৷ নমরুদ ঐ
সময় সমগ্র দুনিয়ার বাদশাহ ছিল ৷ ইতিহড়াসবিদগণ উল্লেখ করেছেন, একদা আকাশে একটি
নক্ষত্র উদিত হয় ৷ তার জ্যোতির সম্মুখে সুর্য ও চন্দ্র নিম্প্রড হয়ে যায় ৷ এ অবস্থায় লোকজন
ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ৷ নমরুদ বিচলিত হয়ে দেশের সব গণক ও জ্যোতির্বিদদের একত্র করে


يَشِينُ مِنْ زِيَادَةِ شَعْرٍ أَوْ ظُفُرٍ، أَوْ وُجُودِ قَلَحٍ أَوْ وَسَخٍ، فَهَذَا مِنْ جُمْلَةِ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي حَقِّهِ مِنَ الْمَدْحِ الْعَظِيمِ {وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي وَفَّى} [النجم: 37] .
পৃষ্ঠা - ৩৯৮


এর কারণ জিজ্ঞেস করে ৷ তারা জানলে, আপনার রাজত্বের মধ্যে এমন এক শিশুর জন্ম হবে
যার হাতে আপনার বাদশাহীর পতন ঘটবে ৷ নমরুদ তখন রাজ্যব্যাপী ঘোষণা দিল, এখন থেকে
কোন পুরুষ ত্রীর কাছে যেতে পারবে না এবং এখন থেকে কোন শিশুর জন্ম হলে তাকে হত্যা
করা হবে ৷ এতদসত্বেও হযরত ইব্রাহীম (আ) ঐ সময়ে জন্মগ্রহণ করেন ৷ আল্লাহ র্তাকে
হিফাজত করেন ও পাপিষ্ঠদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেন ৷ তিনি তাকে উত্তমভাবে
লালন পালনের ব্যবস্থা করেন ৷ ক্রমশ বড় হয়েও তিনি যৌবনে পদার্পণ করেন, যা পুর্বেই বর্ণিত
হয়েছে ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) এর জন্মভুমি ছিল সুস কারও মতে বাবেল, কারও মতে
কুছায়ষ্-এর পার্শ্ববর্তী সাওয়াদ নামক এক গ্রাম ৷ ইতিপুর্বে হযরত ইবন আব্বাস (রা) এর একটি
বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে হযরত ইব্রাহীম (আ) দামেশকের পুর্ব পার্শে
বারযাহ্নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন ৷ আল্লাহ হযরত ইব্রাহীম (আ)এর হাতে নমরুদের
পতন ঘটাবার পর তিনি প্রথমে হারানে এবং পরে সেখান থেকে শাম দেশে হিঅরত করেন এবং
সেখান থেকে ঈলিয়ড়ায় গিয়ে বসবাস করেন ৷ অতঃপর ইসমাঈল ও ইসহড়াক (আ)-এর জন্ম
হয় ৷ তারপর কিনআনের অম্ভষ্তি হিবরুন নামক স্থানে সারাহ্র ইনতিকাল হয় ৷ আহলে
কিতাবপণ উল্লেখ করেছেন, মৃত্যুকালে সারাহ্র বয়স হয়েতাি একশ’ সাতাশ বছর ৷ ইব্রাহীম
(আ) সারাহ্র মৃত্যুতে অত্যন্ত মর্মাহত হন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন ৷ বনু হায়ছ গোত্রের আফরান
ইবন সাখার নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঢারশ’ মিহুকাশের বিনিময়ে তিনি একটি জায়গা
ক্রয় করেন এবং সারাহ্কে সেখানে দাফন করেন ৷ এরপর ইব্রাহীম (আ)-এর পুত্র ইসহড়াককে
রুফাকা বিনত বাভুঈল ইবন নাহুর ইবন তারাহ্-এর সাথে বিবাহ করড়ান ৷ পুত্রবধুকে আমার
জন্যে তিনি নিজের তৃত্যকে পাঠিয়ে দেন ৷ সে রুফাকা ও তার দৃধ্-মড়া ও দাসীদেরকে উটের
উপর সওয়াৱ করে নিয়ে আসে ৷

আহশি কিতাবদের বর্ণনা ও হযরত ইবরাহীম (আ) অতঃপর কানতৃরা নাম্বী এক মহিলাকে
বিবাহ করেন এবং তার গর্ভে যামরান, ইয়াকশান, মদােন, মাদয়ান, শায়াক ও শুহ্-এর জন্ম
হয় ৷ এদের প্রত্যেকের সভান-সম্ভতি সম্পর্কেও বিবরণ রয়েছে ৷

ইবন আসাকির বিভিন্ন প্রাচীন পণ্ডিতদের বরাতে ইবরাহীম (আ)-এর কাছে মড়ালড়াকুল
মওতের আগমন সম্পর্কে আহলে কিতড়াবদের উপাখ্যানসমুহ বর্ণনা করেছেন ৷ সঠিক অবস্থা
আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, হযরত দাউদ (আ) ও হযরত সুলায়মান (আ) এর
মত হযরত ইবরাহীম (আ)-ও আকম্মিকভাবে ইনতিকাল করেন ৷ কিন্তু আহলে কিতাব ও
অন্যদের বর্ণনা এর বিপরীত ৷ তারা বলেছেন, ইবরাহীম (আ) পীড়িত হয়ে একশ’ পচাত্তর বছর
মতান্তরে একশ’ নব্বই বছর বয়সে ইনতিকাল করেন এবং আফরান হায়হীর সেই জমিতে র্তার
সহধর্মিনী সারাহ্র কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয় ৷ ইসমাঈল (আ) ও ইসহাক (আ)



(১) মুজামুল বুলদান কিভাবে এর নাম লেখা হয়েছে কুছাএ $ এর উপর পেশ, , , সাকিন £ এর উপর যবর ও
শেষে আন্সিফে মাকসুরা ; ৷ সহ লেখা হয়ে থাকে ৷ যেহেতু এটা চার অক্ষর বিশিষ্ট শব্দ ৷ কুছায় নামে তিনটি ঘায়গ৷ আছে
(১) সাওয়াদৃল ইরাহুকু (২) ব্যবেলে (৩) মক্কায় ৷ ইরাকের কুছায় দুটি ( ১ ) কুছায় তাবীক (২) কুছায় য়ীৰী ৷ এটাই ইব্রাহীম
(আ)-এর স্মৃতি বিজড়িত স্থান এবং এখানেই তার জন্ম হয় ৷ এ দুটি স্থানই রাবেলে অবস্থিত ৷ এখানেই ইব্রাহীম (আ) কে
আগুনে নিক্ষেপ করা হয়া উক্ত দুটি কুছায় বাবেলের দুই প্রান্তে অবস্থিত ৷


[ذِكْرُ قَصْرِهِ فِي الْجَنَّةِ] قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ الْقَطَّانُ الْوَاسِطِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ، قَالَا: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ قَصْرًا أَحْسَبُهُ قَالَ: مِنْ لُؤْلُؤَةٍ لَيْسَ فِيهِ فَصْمٌ وَلَا وَهْنٌ، أَعَدَّهُ اللَّهُ لِخَلِيلِهِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ نُزُلًا» . قَالَ الْبَزَّارُ: وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَمِيلٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. ثُمَّ قَالَ: وَهَذَا الْحَدِيثُ لَا نَعْلَمُ رَوَاهُ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ فَأَسْنَدَهُ إِلَّا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَغَيْرُهُمَا يَرْوِيهِ مَوْقُوفًا قُلْتُ: لَوْلَا هَذِهِ الْعِلَّةُ لَكَانَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৯
[ذِكْرُ صِفَةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَحُجَيْنٌ قَالَا: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «عُرِضَ عَلَيَّ الْأَنْبِيَاءُ؛ فَإِذَا مُوسَى ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَرَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ يَعْنِي نَفْسَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَبِهَذَا اللَّفْظِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عُثْمَانَ يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، وَمُوسَى، وَإِبْرَاهِيمَ؛ فَأَمَّا عِيسَى فَأَحْمَرُ جَعْدٌ عَرِيضُ الصَّدْرِ، وَأَمَّا مُوسَى فَآدَمُ جَسِيمٌ» . قَالُوا لَهُ: فَإِبْرَاهِيمُ؟ قَالَ: «انْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ» . يَعْنِي نَفْسَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا بَيَانُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا النَّضْرُ، أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٌ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ وَذَكَرُوا لَهُ الدَّجَّالَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ مَكْتُوبٌ: كَافِرٌ أَوْ ك ف ر فَقَالَ: لَمْ أَسْمَعْهُ. وَلَكِنَّهُ قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَانْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ، وَأَمَّا مُوسَى فَجَعْدٌ آدَمُ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ مَخْطُومٍ
পৃষ্ঠা - ৪০০


উভয়ে দাফনকড়ার্য সম্পাদন করেন ৷ ইবনুল-কালবী বলেছেন, ইবরাহীম (আ) দৃ’শ বছর বয়সে
ইনতিকাল করেন ৷ আবু হাতিম ইবন হিব্বান তার সহীহ’ গ্রন্থে মুফাযযল আবু হুরায়রা (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, হযরত ইবরাহীম (আ) বাটালীর সাহায্যে খাত্না করান ৷ তখন তার বয়স
হ্নিশু একশ’ বিশ বছর ৷ এরপর তিনি আশি বছর কাল জীবিত থাকেন ৷ হাফিজ ইবন আসাকির
(র) আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে এ হাদীসখানা মওকুফ’ভারে বর্ণনা করেছেন ৷

তারপর ইবন হিব্বান (র) এ হাদীস যারা মড়ারফু ভাবে বর্ণনা করেছেনত তাদের বর্ণনাকে
বাতিল বলে অভিহিত করেছেন, যেমন মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন, ইবরাহীম (আ) যখন একশ’ বিশ বছর বয়সে উপনীত হন,
তখন খাতনা করান এবং এরপর আশি বছর জীবিত থাকেন ৷ আর তিনি কাদুম (ছুতারের
বাইস) দ্বারা খাত্না করিয়েছিলেন ৷ হাফিজ ইবন আসাকির (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন ৪ৰুইবরাহীম (আ) যখন খাত্না করান তখন তার বয়স ছিল
আশি বছর ৷ ইবন হিব্বান আবদুর রায্যাক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, কাদুম একটা গ্রামের
নাম ৷ আমার জানা মতে সহীহ’ গ্রন্থে যা এসেছে তা এই যে, ইবরাহীম (আ) যখন খাত্না
করান তখন তিনি আশি বছর বয়সে পৌছেন ৷ অন্য বর্ণনায় তীর বয়স ছিল আশি বছর ৷ এ
দু’টি বর্ণনার কােনটিতেই এ কথা নেই যে, তিনি পরে কত দিন জীবিত ছিলেন ৷ আল্লাহই
সম্যক অবগত ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল তাফসীরে ওকী’র মধ্যে যিয়াদড়াত থেকে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন : ইবরাহীম (আ) সর্বপ্রথম
পায়জামা পরিধান করেন, সর্বপ্রথম মাথার চুলে সিথি কাটেন, সর্বপ্রথম শুক্ষীর কর্ম করেন,
সর্বপ্রথম খাত্না করান কাদুমের সাহায্যে ৷ তখন তার বয়স ছিল একশ বিশ বছর এবং
তারপরে আশি বছর জীবিত থাকেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম অতিথিকে আহার করান, সর্বপ্রথম
পৌঢ়ত্বে উপনীত ৩হন ৷ এ মওকুফ হাদীসটি মারফু হাদীসেরই অনুরুপ ৷ ইবন হিব্বান (র) এ
ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করেন ৷
ইমাম মালিক (র) সাঈদ ইবনুল মুসায়িবে (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ ইবরাহীম (আ)-ই
প্রথম ব্যক্তি যিনি অতিথিকে আহার করান এবং প্রথম মানুষ যিনি খাত্না করান, সর্বপ্রথম
তিনিই গৌফ ছুড়াটেন, সর্বপ্রথম তিনিই পৌঢ়ত্নের শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করেন ৷ ইবরাহীম (আ)
বললেন, হে আমার প্রতিপালক ৷ এটা কী ? আল্লাহ বললেন, এ হল মর্যাদা ৷ ইবরাহীম (আ)
বললেন, হে প্রতিপালক ৷ তা হলে আমার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করে দিন ৷ ইয়াহয়া ও সাঈদ
ব্যতীত অন্য সবাই আরও কিছু বাড়িয়ে বলেছেন যেমন : তিনিই সর্বপ্রথম লোক যিনি পৌফ
ছোট করেন, সর্বপ্রথম ৫ক্ষীরকর্য করেন, সর্বপ্রথম পায়জামা পরিধান করেন ৷ হযরত ইবরাহীম
(আ) এর কবর, তার পুত্র ইসহাক (আ) এর কবর ও তার পৌত্র ইয়াকুব (আ) এর কবর
মুরাব্বা’ নামক গোরন্তানে যা হযরত সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) হিবরুন (ৰুণ্ডট্টা০া৷ ) শহরে
তৈরি করেছিলেন ৷ বর্তমানে এর নাম বালাদৃল খলীল (খলীলের শহর) ৷ ১ বনী ইসরাঈলের যুগ
থেকে আমাদের এই যুগ পর্যন্ত বংশ ও জাতি পরম্পরায় ধারাবাহিকভাবে এ কথাই চলে আসছে
যে, হযরত ইবরাহীম (আ)-এর কবর মুরাব্বাতে অবস্থিত ৷ সুতরাং কথাটা যে সঠিক , তা
নিশ্চিতভড়াবে বলা চলে ৷ তবে কোন নির্ভরযোগ্য সুত্রে তার কবর কোনটি তা নির্ণিত হয়নি ৷



১ সম্প্রতিকালে শহরটি খলিলীয়া নামে পরিচিতি ৷


بِخُلْبَةٍ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ انْحَدَرَ فِي الْوَادِي» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا فِي كِتَابِ الْحَجِّ، وَفِي اللِّبَاسِ، وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪০১


সুতরাং ঐ ন্থানৃটির যত্ন করা এবং তার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা সকলের কর্তব্য, এ স্থানটি
পদদলিত করা উচিত নয় ৷ কেননা, হতে পারে যে স্থানটি পদদলিত করা হচ্ছে তারই নিচে
হযরত ইব্রাহীম খলীল বা তার কোন পুত্রের কবর রয়েছে ৷ ইবন আসড়াকির ওহব ইবন
মুনাব্বিহ সুত্রে বলেছেন, হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর কবরের কাছে একটি প্রাচীন শিলা পাওয়া
গিয়েছে, যার উপর নিম্নলিখিত কবিতা লেখা রয়েছে :

গো




ণ্এৰু; ১৷ ;)ন্ণ্এাএ

অর্থ : হে আল্লাহ ! যে ব্যক্তির নির্ধারিত সময় ঘনিয়ে আসে তার সমস্ত আশা-আকাত্তক্ষা
জলাঞ্জলি দিয়ে মৃত্যুর কাছে সে আত্মসমর্পণ করে ৷ মৃত্যু যার দৃয়ারে এসে যায় তাকে কোন
কলাকৌশণ আর বাচিয়ে রাখতে পারে না ৷ পুর্বের লেড়াকই যখন গত হয়ে গেছে, তখন

আর শেষের ণ্লাক টিভ্রুক থাকে কোন উপায়ে ৷ মানুষ তার কবরের সাথী নিজের আমল

টিন্ন কাউকেই পাবে না ৷
নতুন নতুন বাং লায় ইসলাযীক বই ডাউনলোড করতে ইসলামী বই ওয়েব সাইট ভিজিট করুণ

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এরসন্তান-সততি প্রসঙ্গ ষ্

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর প্রথম সন্তান ইসমাঈল (আ) ৷ যিনি মিসরের কিবতী বংশীয়া
হড়াজেরার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন ৷ এরপর ইব্রাহীম (আ)-এর শ্রী তার চাচাত বোন সারাহর
গর্ডের দ্বিতীয় পুত্র ইসহাক (আ) জন্মগ্রহণ করেন ৷ তারপর হযরত ইব্রাহীম (আ) কিনআনের
কানৃতুরা বিনত ইয়াকতানকেৰু বিবাহ করেন ৷ তার গর্ভে ছয়টি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন ৷
তারা হলেন (১) মাদ্য়ান (২) যামরান (৩) সারাজ (৪) য়াকশান (৫) নাশুক (৬) এনামটি
অজ্ঞাত ৷ এরপর হযরত ইব্রাহীম (আ) হাজুন বিনত অড়ামীনকে বিবাহ করেন ৷ এই পক্ষে
পড়াচটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেন : ( ১) কাযসান (২) সুরাজ (৩) উমায়স (৪ ) লুতান (৫)
লাফিস ৷ আবুল কাসিম সুহায়লী তার আত-তারীফ ওয়াল আলাম’ গ্রন্থে এরুপ উল্লেখ
করেছেন ৷

হযরত ইব্রাহীম (আ) এর জীবদ্দশায় যে সব বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তন্মধ্যে লুত
(আ) এর সম্প্রদায়ের ঘটনা ও তাদের উপর আল্লাহর আযাবের ঘটনা অন্যতম ৷ ঘটনাটি
নিম্নরুপ৪ হযরত লুত (আ) ছিলেন হারান ইবন তারাহ-এর পুত্র ৷ এই তারাহকেই আযরও বলা
হত ৷ যা পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷ হযরত লুত ছিলেন ইব্রাহীম খলীল (আ)-এর ভাতিজা ৷
ইব্রাহীম, হড়ারান ও নাজুর এরা ছিলেন তিনভাই যা পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷ হড়ারানের
বংশধরকে বনু হড়ারান বলা হয় ৷ জ্যি আহলে কিতাব্দের ইতিহাস এ মত সমর্থন করে না ৷
হযরত লুত (আ) চাচা ইব্রাহীম খলীল (আ)-এর নির্দেণক্রমে গওর যাপার অঞ্চলে সাদ্দুম
শহরে চলে য়ান ৷ এটা ছিল ঐ অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র ৷ অনেক গ্রাম, মহল্লা ও ক্ষেত-খামার এবং


[ذِكْرُ وَفَاةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا قِيلَ فِي عُمُرِهِ] ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي تَارِيخِهِ أَنَّ مَوْلِدَهُ كَانَ فِي زَمَنِ النُّمْرُودِ بْنِ كَنْعَانَ وَهُوَ فِيمَا قِيلَ الضَّحَّاكُ الْمَلِكُ الْمَشْهُورُ الَّذِي يُقَالُ: إِنَّهُ مَلَكَ أَلْفَ سَنَةٍ وَكَانَ فِي غَايَةِ الْغَشَمِ وَالظُّلْمِ، وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ مِنْ بَنِي رَاسِبٍ الَّذِينَ بُعِثَ إِلَيْهِمْ نُوحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَأَنَّهُ كَانَ إِذْ ذَاكَ مَلِكَ الدُّنْيَا، وَذَكَرُوا أَنَّهُ طَلَعَ نَجْمٌ أَخْفَى ضَوْءَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ، فَهَالَ ذَلِكَ أَهْلَ ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَفَزِغَ النُّمْرُودُ فَجَمَعَ الْكَهَنَةَ وَالْمُنَجِّمِينَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ ذَلِكَ فَقَالُوا: يُولَدُ مَوْلُودٌ فِي رَعِيَّتِكَ يَكُونُ زَوَالُ مُلْكِكَ عَلَى يَدَيْهِ، فَأَمَرَ عِنْدَ ذَلِكَ بِمَنْعِ الرِّجَالِ عَنِ النِّسَاءِ وَأَنْ يُقْتَلَ الْمَوْلُودُونَ مِنْ ذَلِكَ الْحِينِ، فَكَانَ مَوْلِدُ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ فِي ذَلِكَ الْحِينِ، فَحَمَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَانَهُ مِنْ كَيْدِ الْفُجَّارِ، وَشَبَّ شَبَابًا بَاهِرًا، وَأَنْبَتَهُ اللَّهُ نَبَاتًا حَسَنًا حَتَّى كَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا تَقَدَّمَ، وَكَانَ مَوْلِدُهُ بِالسُّوسِ. وَقِيلَ: بِبَابِلَ. وَقِيلَ: بِالسَّوَادِ مِنْ نَاحِيَةِ كُوثَى. وَتَقَدَّمَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ وُلِدَ بِبَرْزَةَ شَرْقِيَّ دِمَشْقَ، فَلَمَّا أَهْلَكَ اللَّهُ نُمْرُودَ عَلَى يَدَيْهِ، وَهَاجَرَ إِلَى حَرَّانَ، ثُمَّ إِلَى أَرْضِ الشَّامِ، وَأَقَامَ بِبِلَادِ إِيلِيَا كَمَا ذَكَرْنَا، وَوُلِدَ لَهُ إِسْمَاعِيلُ وَإِسْحَاقُ، وَمَاتَتْ سَارَةُ قَبْلَهُ بِقَرْيَةِ حَبْرُونَ الَّتِي فِي أَرْضِ كَنْعَانَ، وَلَهَا مِنَ الْعُمُرِ مِائَةٌ وَسَبْعٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً فِيمَا ذَكَرَ أَهْلُ
পৃষ্ঠা - ৪০২


ব্যবসায়কেন্দ্র এ শহরের উপকণ্ঠে অব ত ছিল ৷ এখানকার অধিবাসীরা ছিল দুনিয়ার মধ্যে
সবচেয়ে নিকৃষ্ট, পাপাসক্ত, দুশ্চরিত্র, সংকীর্ণমনা ও জঘন্য কাফির ৷ তারা দস্যুবৃত্তি করতো ৷
প্রকাশ্য মজলিসে অশ্লীল ও বেহায়াপনা প্রদর্শন করত ৷ কোন পাপেরক্যজ থেকেই তারা বিরত
থাকত না ৷ অতিশয় জঘন্য ছিল তাদের কজৰুকরবর ৷ তার এমন একটি অশ্লীল কাজের জন্ম
দেয় যা ইতিপুর্বে কোন আদম সন্তান করেনি ৷ তাহল, নারীদেরকে ত্যাগ করে তারা
সমকামি৩ য় লিপ্ত হয় ৷ হযরত লুত (আ) তাদেরকে এক ও লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের দিকে
আহ্বান জানান এবং এসব ঘৃণিত অভ্যাস, অশ্লীলতা ও বেহড়ায়াপনা বর্জন করতে ৩বলেন ৷ কিন্তু
তারা তাদের ভ্রান্তি, বিদ্রোহ, পাপ ও কুফরের প্ৰতি অবিচল থাকে ৷ ফলে, আল্লাহ তাদের উপর
এমন কঠিন অযাব নাযিল করলেন যা ফেরাবার সাধ্য কারােরই নেই, এ ছিল তাদের
ধারণাতীত ও কল্পনাভীত শান্তি ৷ আল্লাহ তাদেরকে সমুলে ৰিনাশ করে দিলেন ৷ বিশ্বের
বিবেকবানদের জন্যে তা একটি শিক্ষাপ্রদ ঘটনা হয়ে থাকল ৷ এ কারণেই আ ল্লাহ তার মহগ্রস্থ

আল-কুরঅড়ানের বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনার উল্লেখ করেছেন ৷ সুরা আ রাফে আল্লাহ বলেনঃ




এবং লুতকে প ঠিয়েছিলাম ৷ সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, তােমরা এমন কুকর্ম করছ যা
ওে আমাদের পুর্বে বিশ্বে কেউ করেনি; তোমরা তো কাম তৃপ্তির জন্যে নারী ছেড়ে পুরুষের কাছে
গমন কর, তোমরা তো সীমলংঘনকরী সম্প্রদায় ৷ উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল, এদেরকে
তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও ৷ এরা তো এমন লোক যারা অতি পবিত্র হতে চায় ৷ ’
তারপর তাকে ও তার শ্রী র্ব্যতীত তার পরিজনঃবর্গকে উদ্ধার করেছিলাম, তার শ্রী ছিল পেছনে
রয়ে থাকা লোকদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম ৷ সুতরাং

অপরাধীদের পরিণাম কি হয়েছিল তা লক্ষ্য কর ! (৭ : ৮০ ৮৪ )

সুরা হ্দে আল্লাহ বলেন; :








الْكِتَابِ فَحَزِنَ عَلَيْهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَرَثَاهَا رَحِمَهَا اللَّهُ، وَاشْتَرَى مِنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي حِيثَ يُقَالُ لَهُ: عَفْرُونُ بْنُ صَخْرٍ مَغَارَةً بِأَرْبَعِمِائَةِ مِثْقَالِ فِضَّةٍ، وَدَفَنَ فِيهَا سَارَةَ هُنَالِكَ. قَالُوا: ثُمَّ خَطَبَ إِبْرَاهِيمُ عَلَى ابْنِهِ إِسْحَاقَ فَزَوَّجَهُ رِفْقَا بِنْتَ ثَبْوِيلَ بْنِ نَاحُورَ بْنِ تَارَخَ وَبَعَثَ مَوْلَاهُ، فَحَمَلَهَا مِنْ بِلَادِهَا وَمَعَهَا مُرْضِعَتُهَا وَجَوَارِيهَا عَلَى الْإِبِلِ. قَالُوا: ثُمَّ تَزَوَّجَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَنْطُورَا فَوَلَدَتْ لَهُ؛ زَمَرَانَ، وَيَقِشَانَ، وَمَادَانَ، وَمَدْيَنَ، وَشَيَاقَ، وَشُوحَ، وَذَكَرُوا مَا وَلَدَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْ هَؤُلَاءِ أَوْلَادِ قَنْطُورَا. وَقَدْ رَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ السَّلَفِ عَنْ أَخْبَارِ أَهْلِ الْكِتَابِ فِي صِفَةِ مَجِيءِ مَلَكِ الْمَوْتِ إِلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَخْبَارًا كَثِيرَةً اللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهَا. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ مَاتَ فَجْأَةً. وَكَذَا دَاوُدُ وَسُلَيْمَانُ وَالَّذِي ذَكَرَهُ أَهْلُ الْكِتَابِ وَغَيْرُهُمْ خِلَافُ ذَلِكَ. قَالُوا: ثُمَّ مَرِضَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَاتَ عَنْ مِائَةٍ وَخَمْسٍ وَسَبْعِينَ. وَدُفِنَ فِي الْمَغَارَةِ الْمَذْكُورَةِ عِنْدَ امْرَأَتِهِ سَارَةَ الَّتِي فِي مَزْرَعَةِ عَفْرُونَ الْحِيثِيِّ، وَتَوَلَّى دَفْنَهُ إِسْمَاعِيلُ وَإِسْحَاقُ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ وَرَدَ مَا يَدُلُّ أَنَّهُ عَاشَ مِائَتَيْ سَنَةٍ، كَمَا قَالَهُ ابْنُ الْكَلْبِيِّ. وَقَالَ أَبُو حَاتِمِ بْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ: أَنْبَأَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَنَدِيُّ
পৃষ্ঠা - ৪০৩


র্চুদ্বুব্লু
ঝুঠু৷ ৷


?

ন্

¢
াট্রু১-র্বুএাণ্যুঃএে
,



মোঃষ্ম্পেঞ্জো



আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসং বাদসহ ইবরাহীমের নিকট আসল ৷ তারা বলল,
সালায ৷ সেও বলল, সালড়াম , সে অবিলম্বে এক কারাব করা বড়াছুর আনল ৷ সে যখন দেখল ,
তাদের হাত ঐটির দিকে প্রসারিত হ্চ্ছে না ৷ তখন তাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করল এবং তাদের
সম্বন্ধে তার মনে ভীতি সঞ্চার হল ৷ তারা বলল, ভয় করে৷ না, আমরা লুতের সম্প্রদায়ের প্রতি
প্রেরিত হয়েছি ৷ তখন তার শ্রী র্দড়াড়িয়েছিল এবং সে হাসল ৷ তারপর আমি তাকে ইসহাকের ও
ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম ৷ সে বলল, কি আশ্চর্য ! সন্তানের মা হব আমি
যখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী বৃদ্ধ ৷ এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার ৷ তারা বলল,
আল্লাহব কাজে তুমি বিম্ময় বোধ করছষ্ হে পরিবারবর্গ৷ তোমাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর
অনৃগ্নহ্ ও কল্যাণ ৷ তিনি প্রশংসাই ও সম্মড়ানার্তু ৷
তারপর যখন ইবরাহীমের ভীতি দুরীভুত হল এবং তার নিকট সুসংবাদ আসল তখন সে
লুতের সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে আমার সাথে বাদানুবাদ করতে লাগল ৷ ইব্রাহীম তো অবশ্যই
সহনশীল ৷ কোমল-হৃদয়, সতত আল্লাহ অভিমুখী ৷ হে ইব্রাহীম ! এ থেকে বিরত হও ৷ তোমার
প্রতিপালকের বিধান এসে পড়েছে ৷ ওদের প্রতি তো আসবে শাস্তি যা অনিবার্য এবং যখন
আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুতের নিকট আসল তখন তাদের আগমনে সে বিষগ্ন হল এবং
নিজেকে তাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করল এবং বলল, এঢি নিদারুণ দিন ! তার সম্প্রদায় তার
নিকট উদৃভ্রাম্ভ হয়ে ছুটে আসল এবং পুর্ব থেকে তারা কৃ-কর্মে লিপ্ত ছিল ৷


بِمَكَّةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زِيَادٍ اللَّحْجِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُرَّةَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ بِالْقَدُومِ، وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ وَمِائَةِ سَنَةٍ، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِينَ سَنَةً» . وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عِكْرِمَةَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَجَعْفَرِ بْنِ عَوْنٍ الْعَمْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَوْقُوفًا. ثُمَّ قَالَ ابْنُ حِبَّانَ: ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُدْحِضِ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ رَفَعَ هَذَا الْخَبَرِ وَهْمٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجُنَيْدِ بِبُسْتَ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ حِينَ بَلَغَ مِائَةً وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِينَ سَنَةً، وَاخْتَتَنَ بِقَدُومٍ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَقَدْ أَتَتْ عَلَيْهِ ثَمَانُونَ سَنَةً» . ثُمَّ رَوَى ابْنُ حِبَّانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ أَنَّهُ قَالَ: الْقَدُومُ اسْمُ الْقَرْيَةِ. قُلْتُ: الَّذِي فِي الصَّحِيحِ أَنَّهُ اخْتَتَنَ وَقَدْ أَتَتْ عَلَيْهِ ثَمَانُونَ سَنَةً، وَفِي رِوَايَةٍ «وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً» . وَلَيْسَ فِيهِمَا تَعَرُّضٌ لِمَا عَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪০৪
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَسَّانِيُّ الْوَاسِطِيُّ رَاوِي تَفْسِيرِ وَكِيعٍ عَنْهُ فِيمَا ذَكَرَهُ مِنَ الزِّيَادَاتِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ أَوَّلَ مَنْ تَسَرْوَلَ، وَأَوَّلَ مَنْ فَرَقَ، وَأَوَّلَ مَنِ اسْتَحَدَّ، وَأَوَّلَ مَنِ اخْتَتَنَ بِالْقَدُومِ وَهُوَ ابْنُ عِشْرِينَ وَمِائَةِ سَنَةٍ وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِينَ سَنَةً، وَأَوَّلَ مَنْ قَرَى الضَّيْفَ، وَأَوَّلَ مَنْ شَابَ. هَكَذَا رَوَاهُ مَوْقُوفًا، وَهُوَ أَشْبَهُ بِالْمَرْفُوعِ خِلَافًا لِابْنِ حِبَّانَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مَالِكٌ: عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ أَوَّلَ مَنْ أَضَافَ الضَّيْفَ، وَأَوَّلَ النَّاسِ اخْتَتَنَ، وَأَوَّلَ النَّاسِ قَصَّ شَارِبَهُ، وَأَوَّلَ النَّاسِ رَأَى الشَّيْبَ، فَقَالَ: يَا رَبِّ مَا هَذَا؟ فَقَالَ اللَّهُ: وَقَارٌ. فَقَالَ: يَا رَبِّ زِدْنِي وَقَارًا. وَزَادَ غَيْرُهُمَا: وَأَوَّلَ مَنْ قَصَّ شَارِبَهُ، وَأَوَّلَ مَنِ اسْتَحَدَّ، وَأَوَّلَ مَنْ لَبِسَ السَّرَاوِيلَ، فَقَبْرُهُ وَقَبْرُ وَلَدِهِ إِسْحَاقَ وَقَبْرُ وَلَدِ وَلَدِهِ يَعْقُوبَ فِي الْمَرْبَعَةِ الَّتِي بَنَاهَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِبَلَدِ حَبْرُونَ، وَهُوَ الْبَلَدُ الْمَعْرُوفُ بِالْخَلِيلِ الْيَوْمَ. وَهَذَا مُتَلَقًّى بِالتَّوَاتُرِ أُمَّةً بَعْدَ أُمَّةٍ، وَجِيلًا بَعْدَ جِيلٍ مِنْ زَمَنِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَإِلَى زَمَانِنَا هَذَا أَنَّ قَبْرَهُ بِالْمَرْبَعَةِ تَحْقِيقًا. فَأَمَّا تَعْيِينُهُ مِنْهَا فَلَيْسَ فِيهِ خَبَرٌ صَحِيحٌ عَنْ مَعْصُومٍ، فَيَنْبَغِي أَنْ تُرَاعَى تِلْكَ الْمَحَلَّةُ، وَأَنْ تُحْتَرَمَ احْتِرَامَ مِثْلِهَا، وَأَنْ
পৃষ্ঠা - ৪০৫

ত্ম্ব;ল ণ্ৰিদায়৷ ওণ্র্ন-ত নিহায়া ৩৯৩

সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় ! এরা আমার কন্যা, তোমাদের জন্যে এরা পবিত্র ৷ সুতরাং
আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার যেহমানদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে আমাকে হেয় করো না ৷

তোমাদের মধ্যে কি কোন ভাল মানুষ ৫নই?’ তারা বলল, তুমি তো জান, তোমার কন্যাদেরকে
আমাদের কোন প্রয়োজন নেই; আমরা কি চাই তা তাে তুমি জানই’ ৷ সে বলল, তোমাদের
উপর যদি আমার শক্তি থাকত অথবা যদি আমি নিতে পারতাম কোন শক্তিশালী আশ্রয় তারা
বলল, হে লুতা আমরা তােমার প্ৰতিপালক প্রেরিত ফেরেশতা ৷ ওরা কখনই তোমার নিকট
পৌছতে পারবে না ৷ সুতরাং তুমি রাতের কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বের হয়ে
পড় এবং তোমাদের মধ্যে কেউ পেছন দিকে তাকাবে না, তোমার শ্রী ব্যতীত ৷ ওদের যা ঘটবে
তারও তাই ঘটবে ৷ প্রভাত ওদের জন্যে নির্ধারিত কাল ৷ প্রভাত কি নিকটবর্তী নয় ? ত

ারপর যখন আমার আদেশ আসল তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং তাদের উপর
ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর-কংকর যা তোমার প্ৰতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল ৷ এটি
জাশিমদের থেকে দুরে নয় ৷ (১ ১ : ৬৯-৮৩)

সুরা হিজরে আল্লাহ বলেন :


( (,ষ্ঠুৰুদ্বুপুশু,ট্রুপুপু ৷ (াঞে পাৰু ১াগ্ এদ্বুণ্ছু
,;ৰুণ্ণ্
৷ ৷


(fl; এ

(,ণ্ড্র,ৰুদ্বুঐ৷ (,র্দ্র

ঞ ৷ওএ!ণ্ ওেশ্রোঢুপ্রুষ্টর্ন্ত ন্হ্রন্নী,৷ র্চুাএে ;,’ ^ ৷,শু৷ এন্ :ণ্;ৰুপু গ্রেএ




’১


১ণ্ডে
>




শুষ্ষ্)ংটু


;,;হ্রহ্র ,র্বুছু১ হ্রা(ন্ৰু ধু ;,; প্রুপু,^;াদ্বু,৷ দ্বুশু£ন্ ;, ^,’,পুপুকু র্বুণ্বু, ষ্ঠে ,পুর্দুদ্বু,


০,
শুএগুণ্এৰু;ও$৷ এও;

স্টীস্পা

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খণ্ড) ৫০-


تُبَجَّلَ، وَأَنْ تُجَلَّ أَنْ يُدَاسَ فِي أَرْجَائِهَا خَشْيَةَ أَنْ يَكُونَ قَبْرُ الْخَلِيلِ أَوْ أَحَدٍ مِنْ أَوْلَادِهِ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ تَحْتَهَا. وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ إِلَى وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: وُجِدَ عِنْدَ قَبْرِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَى حَجَرٍ كِتَابَةٌ خَلِقَةٌ: أَلْهَى جَهُولًا أَمَلُهْ ... يَمُوتُ مَنْ جَا أَجَلُهْ وَمَنْ دَنَا مِنْ حَتْفِهْ ... لَمْ تُغْنِ عَنْهُ حِيَلُهْ وَكَيْفَ يَبْقَى آخِرُهْ ... مَنْ مَاتَ عَنْهُ أَوَّلُهْ وَالْمَرْءُ لَا يَصْحَبُهْ ... فِي الْقَبْرِ إِلَّا عَمَلُهْ
পৃষ্ঠা - ৪০৬


এবং ওদেরকে বল, ইবরাহীমের অতিথিদের কথা, যখন ওরা তার কাছে উপস্থিত হয়ে

বলল, সালাম’ , তখন সে বলেছিল, আমরা তোমাদের আগমনে আতংকিত ৷ ওরা বলল, ভয়
করো না, আমরা তোমাকে এক জ্ঞানী পুত্রের শুভ সংবাদ দিচ্ছি ৷’ সে বলল, তোমরা কি
আমাকে শুভ সংবাদ দিচ্ছ আমি বার্ধকগ্রেস্ত হওয়া সত্বেও ? তোমরা কী বিষয়ে শুভ সংবাদ দিচ্ছ?
ওরা বলল, আমরা সত্য সংবাদ দিচ্ছি, সুতরাং তুমি হতাশ হয়ে৷ না ৷ ’ সে বলল, যারা পথভ্রষ্ট
তারা ব্যতীত আর কে তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ হতে হতাশ হয় ? সে বলল, হে প্রেরিতগণ ৷
তোমাদের আর বিশেষ কি কাজ আছেঃ’ ওরা বলল, আমাদেরকে এক অপর ৷ধী সম্প্রদায়ের
বিরুদ্ধে প্রেরণ করা হয়েছে তবে লুতের পরিবারবর্গের বিরুদ্ধে নয় আমরা অবশ্যই ওদের
সকলকে রক্ষা করব ৷ কিন্তু তার ত্রীকে নয় ৷ আমরা স্থির করেছি যে, সে অবশ্যই পেছনে বয়ে
যাওয়া লোকদের অভর্ভুক্ত’ ৷

ফেরেশতাগণ যখন লুত পরিবারের কাছে আসল, তখন লুত বলল, তোমরা তো অপরিচিত
লোক ৷ তারা বলল, না ওরা যে বিষয়ে সন্দিগ্ধ ছিল, আমরা তোমার নিকট তাই নিয়ে এসেছি;
“আমরা তোমার কাছে সত্য সংবাদ নিয়ে এসেছি এবং অবশ্যই আমরা সত্যবাদী, সুতরাং তুমি
রাতের কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বের হয়ে পড় এবং তুমি তাদের পশ্চাদানুসরণ
কর এবং তোমাদের মধ্যে কেউ যেন পেছন দিকে না তাকায়; তোমাদেরকে যেখানে যেতে বলা
হচ্ছে তোমরা সেখানে চলে যাও ৷ আমি তাকে এ বিষয়ে প্ৰত্যাদেশ দিলাম যে, প্রত্যুষে ওদেরকে
সমুলে বিনাশ করা হবে ৷

নগরবাসিগণ উল্লসিত হয়ে উপস্থিত হল ৷ সে বলল, ওরা আমার অতিথি; সুতরাং তোমরা
আমাকে বে ইজ্জত করো না ৷ তোমরা আল্পাহ্কে ভয় কর ও আমাকে হেয় করো না ৷ ’ তা ৷রা
বলল, আমরা কি দুনিয়াশুদ্ধ লোককে আশ্রয় দিতে তোমাকে নিষেধ করিনিঃ’ লুত বলল,
’একাম্ভই যদি তোমরা কিছু করতে চাও তবে আমার এই কন্যাগণ রয়েছে ৷ তোমার জীবনের
শপথ, ওরা তো মত্ততায় বিমুঢ় হয়েছে ৷ তারপর সুর্যোদয়ের সময়ে মহানাদ তাদেরকে আঘাত
করল; এবং আমি জনপদকে উস্টিয়ে উপর নিচ করে দিলাম এবং ওদের উপর প্রস্তর-কংকর
বর্ষণ করলাম ৷ অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যে ৷ তা
লোক চলাচলের পথের পাশে এখনও বিদ্যমান ৷ অবশ্যই এতে মুমিনদের জন্যে রয়েছে
নিদর্শন ৷ (১৫ : ৫১-৭৭)

সুরা শুআরায় আল্লাহ বলেন ং
ট্রু,৷ ,ব্লু৷ ন্^,ন্ ৰুপুা’; ,ট্রুকুপুর্দু’া৷শঃ ’ ,দ্বুন্ব্লুঠুাষ্’াঠু ব্লুদুা৷, ৷৷
’,টু,’১ব্লুদ্বু
ণ্;শ্’হ্হ্রণ্র্ঘণ্১ন্৷ ৷দ্বুত্রএে ১$শুশ্এন্’দ্বুওন্ব্লুত্ত’াপ্ৰণ্ ন্হ্রন্,াদ্বুও ;ণু’ ক্ও^ণ্’×’পু;াওএ


,; ন্,পু ৷ র্চু,প্রু ট্রু’,;’,হ্র;৷ ৷ট্রুঙ্কুাট্রু

৷ (া৷’দ্ব



[ذِكْرُ أَوْلَادِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] أَوَّلُ مَنْ وُلِدَ لَهُ إِسْمَاعِيلُ مِنْ هَاجَرَ الْقِبْطِيَّةِ الْمِصْرِيَّةِ، ثُمَّ وُلِدَ لَهُ إِسْحَاقُ مِنْ سَارَةَ بِنْتِ عَمِّ الْخَلِيلِ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا قَنْطُورَا بِنْتَ يَقْطُنَ الْكَنْعَانِيَّةَ فَوَلَدَتْ لَهُ سِتَّةً؛ مَدْيَنَ، وَزَمَرَانَ، وَسَرَجَ، وَيَقِشَانَ، وَنَشَقَ، وَلَمْ يُسَمَّ السَّادِسُ. ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا حَجُونَ بِنْتَ أَمِينَ فَوَلَدَتْ لَهُ خَمْسَةً؛ كَيْسَانَ، وَسُورَجَ، وَأَمِيمَ، وَلُوطَانَ، وَنَافَسَ. هَكَذَا ذَكَرَهُ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ فِي كِتَابِهِ " التَّعْرِيفُ وَالْإِعْلَامُ ".
পৃষ্ঠা - ৪০৭

া;

ব্ল £ৰুর্চুব্র ৷ দ্বু,^,পু ৷ পুছুাণ্াপুদ্বু র্দু’, ৷ ; পু,পুছুপ্দ্বুদ্বু ,£দ্বুদ্বুহুট্রুর্ধ
লুতের সম্প্রদায় রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল, যখন ওদের তাই লুত ওদেরকে বলল,
তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তো তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসুল ৷ সুতরাং তোমরা
আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর ৷ আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদড়ান
চাই নড়া, আমার পুরস্কার তেড়া জগতসমুহের প্রতিপালকের কাংইে আছে ৷ সৃষ্টির মধ্যে তোমরা
তো কেবল পুরুষের সাথেই উপগত হও এবং৫ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে যে
ন্তীলােক সৃষ্টি করেছেন৩ তাদেরকে তোমরা বর্জন করে থাক ৷ তোমরা তো সীমালংঘনকায়ী
সম্প্রদায় ৷ ওরা বলল, হে লুত তুমি যদি নিবৃত্ত না হও, তবে অবশ্যই তুমি নির্বাসিত হবে ৷

লুত বলল, আমি তোমাদের এ কাজকে ঘৃণা করি ৷ হে আমার প্রতিপলেক্ ! আমাকে এবং
আমার পরিবার-পরিজনকে, ওরা যা করে তা থেকে রক্ষা কর ৷ অতঃপর আমি তাকে এবং তার
পরিবড়ার-পরিজন সকলকে রক্ষা করলাম ৷ এক বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পেছনে বয়ে যাওয়া
ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তারপর অপর সকলকে ধ্বংস করলাম ৷ তাদের উপর শাস্তিমুলক বৃষ্টি বর্ষণ
করেছিলাম, তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল, তাদের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকুষ্ট!
এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে ৷ ৰিহুক্ষ্ম ওদের অধিকাৎশই মুমিন নয় ৷ তোমার প্রতিপালক , তিনি
তো পরাত্রুমশালী, পরম দয়ালু ৷ (২৬ : ১৬০ন্১ ৭৫)

সুরা নামলে আল্লাহ বলেনং :


র্বৃ


(
স্মরণ কর, লুতের কথা, যে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমরা জোনশুনে কেন অশ্লীল কা জ
করছন্ তোমরা কি কাম তৃপ্তির জন্যে নড়ারীকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবো তোমরা তো এক অজ্ঞ
সম্প্রদায় ৷ উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল, লুত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে
দাও ৷ এরা তো এমন লোক যারা পবিত্র সাজতে চায় ৷ তারপর তাকে ও তার পরিবারবর্গকে
উদ্ধার করলাম, তার ত্রী ব্যতীত; তাকে করেছিলাম ধ্বং সপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তাদের উপর
ভয়ংকর বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম; যাদের ডীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল তাদের জন্য এই বর্ষণ ছিল

কত মারাত্মক! (২৭ : ৫৪-৫৮)

সুরা আনৃকাবুতে আল্লাহ বলেন $



ষ্ন্ , ? ট্



[قِصَّةُ قَوْمِ لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا حَلَّ بِهِمْ مِنَ النِّقْمَةِ الْعَمِيمَةِ] وَمِمَّا وَقَعَ فِي حَيَاةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مِنَ الْأُمُورِ الْعَظِيمَةِ قِصَّةُ قَوْمِ لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا حَلَّ بِهِمْ مِنَ النِّقْمَةِ الْعَمِيمَةِ وَذَلِكَ أَنَّ لُوطًا ابْنُ هَارَانَ بْنِ تَارَحَ، وَهُوَ آزَرُ، كَمَا تَقَدَّمَ وَلُوطٌ ابْنُ أَخِي إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ فَإِبْرَاهِيمُ وَهَارَانُ وَنَاحُورُ إِخْوَةٌ كَمَا قَدَّمْنَا، وَيُقَالُ: إِنَّ هَارَانَ هَذَا هُوَ الَّذِي بَنَى حَرَّانَ، وَهَذَا ضَعِيفٌ لِمُخَالَفَتِهِ مَا بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ لُوطٌ قَدْ نَزَحَ عَنْ مَحَلَّةِ عَمِّهِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ بِأَمْرِهِ لَهُ وَإِذْنِهِ، فَنَزَلَ بِمَدِينَةِ سَدُومَ مِنْ أَرْضِ غَوْرِ زُغَرَ، وَكَانَتْ أُمَّ تِلْكَ الْمَحَلَّةِ وَلَهَا أَرْضٌ وَمُعْمَلَاتٌ وَقُرًى مُضَافَةٌ إِلَيْهَا، وَلَهَا أَهْلٌ مِنْ أَفْجَرِ النَّاسِ وَأَكْفَرِهِمْ وَأَسْوَئِهِمْ طَوِيَّةً وَأَرْدَئِهِمْ سَرِيرَةً وَسِيرَةً، يَقْطَعُونَ السَّبِيلَ، وَيَأْتُونَ فِي نَادِيهِمُ الْمُنْكَرَ، وَلَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ، لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ ابْتَدَعُوا فَاحِشَةً لَمْ يَسْبِقْهُمْ إِلَيْهَا أَحَدٌ مِنْ بَنِي آدَمَ وَهِيَ إِتْيَانُ الذُّكْرَانِ مِنَ الْعَالَمَيْنِ، وَتَرْكُ مَا خَلَقَ اللَّهُ مِنَ النِّسْوَانِ لِعِبَادِهِ الصَّالِحِينَ، فَدَعَاهُمْ لُوطٌ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ تَعَالَى وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَنَهَاهُمْ عَنْ تَعَاطِي هَذِهِ الْمُحَرَّمَاتِ، وَالْفَوَاحِشِ الْمُنْكَرَاتِ، وَالْأَفَاعِيلِ الْمُسْتَقْبَحَاتِ فَتَمَادَوْا عَلَى ضَلَالِهِمْ وَطُغْيَانِهِمْ، وَاسْتَمَرُّوا عَلَى فُجُورِهِمْ وَكُفْرَانِهِمْ، فَأَحَلَّ اللَّهُ بِهِمْ مِنَ الْبَأْسِ الَّذِي لَا يُرَدُّ مَا لَمْ يَكُنْ فِي خَلَدِهِمْ وَحُسْبَانِهِمْ، وَجَعَلَهُمْ مَثُلَةً فِي الْعَالَمِينَ، وَعِبْرَةً يُتَّعِظُ بِهَا
পৃষ্ঠা - ৪০৮




৷ “র্দুাহ্র
৷ ৷শু৷ ৷ ব্লুা&াদ্বু
é ট্রু,র্দ্র ঞ;
াক্ট্র৷ চু,ণ্ড্র,,শ্রো ক্কু প্লুদ্বুাহ্র প্রো;ট্রু^াষ্ট্য এোদ্বু £:াহ্রছু;; ৷ভু৷ ;;;§ ’ ও ত্তহুন্হ্
গ্লুদ্বু ,দ্বুপুড্রুপু

স্মরণ কর লুতের কথা, যে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল,ঞে তোমরা তো এমন অশ্লীল কা জ
করছ; যা তোমাদের পুর্বেবিশ্বে কেউ করেনি ৷ তােমরাই তো পুরুষে উপগত হচ্ছ ৷ তােমরাই
তো রাহজোনি করে থাক এবং তােমরাই তো নিজেদের মজলিসে প্রকাশ্যে ঘৃণ্য কাজ করে
থাক ৷ উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু এই বলল, আমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি নিয়ে এসো যদি
তুমি সত্যবাদী হও ৷’ সে বলল, হে আমার প্রতিপালক ৷ বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
আমাকে সাহায্য কর ৷ ’ যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদসহ ইবরাহীমের কাছে
আসল, তারা বণেছিল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব ৷ এর অধিবাসীরা
ণ্তা জালিম ৷ ইব্রাহীম বলল , এই জনপদে তাে লুত রয়েছে ৷ তারা বলল, সেখানে কারা আছে
তা আমরা ভাল জানি; আমরা তাে লুতকে ও তার পরিবার-পরিজনবর্পকে রক্ষা কয়বই; তার শ্রী
ব্যতীত; সে তাে পেছনে রয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ৷

এবং যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুতের কাছে আসল, তখন তাদের জন্যে সে বিষগ্ন
হয়ে পড়ল এবং নিজকে তাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করল ৷ তারা বলল, ভয় করো না, দুঃখও
করো না ৷ আমরা তোমাকে ও তোমার পরিজনবর্পকে রক্ষা করব, তোমার শ্রী ব্যতীত; সে তো
পেছনে বয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ৷ আমরা এই জনপদবাসীদের উপর আকাশ থেকে শাস্তি
নাযিল করব, কারণ তারা পাপাচার করেছিল ৷ আমি বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে এতে
একটি স্পষ্ট নিদর্শন রেখেছি ৷ (২৯ : ২৮-৩৫)

সুরা সাফ্ফাতে আল্লাহ বলেনঃ
১ ৷ প্রুক্কুছুঠুধ্ র্চু৮প্রু)


)


,

লুতও ছিল রাসুলগণের একজন ৷ আমি তাকে ও তার পরিবারের সকলকে উদ্ধার
করেছিলাম--এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল পেছনে রয়ে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তারপর


الْأَلِبَّاءُ مِنَ الْعَالِمِينَ؛ وَلِهَذَا ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى قِصَّتَهُمْ فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِهِ الْمُبِينِ فَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ: {وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ} [الأعراف: 80] {إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ - وَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوهُمْ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ - فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ - وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ} [الأعراف: 81 - 84] [الْأَعْرَافِ: 80 - 84] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ هُودٍ:
পৃষ্ঠা - ৪০৯
{وَلَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا سَلَامًا قَالَ سَلَامٌ فَمَا لَبِثَ أَنْ جَاءَ بِعِجْلٍ حَنِيذٍ فَلَمَّا رَأَى أَيْدِيَهُمْ لَا تَصِلُ إِلَيْهِ نَكِرَهُمْ وَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً قَالُوا لَا تَخَفْ إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمِ لُوطٍ وَامْرَأَتُهُ قَائِمَةٌ فَضَحِكَتْ فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ قَالَتْ يَاوَيْلَتَى أَأَلِدُ وَأَنَا عَجُوزٌ وَهَذَا بَعْلِي شَيْخًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عَجِيبٌ قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ فَلَمَّا ذَهَبَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الرَّوْعُ وَجَاءَتْهُ الْبُشْرَى يُجَادِلُنَا فِي قَوْمِ لُوطٍ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَحَلِيمٌ أَوَّاهٌ مُنِيبٌ يَاإِبْرَاهِيمُ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا إِنَّهُ قَدْ جَاءَ أَمْرُ رَبِّكَ وَإِنَّهُمْ آتِيهِمْ عَذَابٌ غَيْرُ مَرْدُودٍ وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ وَجَاءَهُ قَوْمُهُ يُهْرَعُونَ إِلَيْهِ وَمِنْ قَبْلُ كَانُوا يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ قَالَ يَاقَوْمِ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي هُنَّ أَطْهَرُ لَكُمْ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِي فِي ضَيْفِي أَلَيْسَ مِنْكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ قَالُوا لَقَدْ عَلِمْتَ مَا لَنَا فِي بَنَاتِكَ مِنْ حَقٍّ وَإِنَّكَ لَتَعْلَمُ مَا نُرِيدُ قَالَ لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ قَالُوا يَالُوطُ إِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ لَنْ يَصِلُوا إِلَيْكَ فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنَ اللَّيْلِ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلَّا امْرَأَتَكَ إِنَّهُ مُصِيبُهَا مَا أَصَابَهُمْ إِنَّ مَوْعِدَهُمُ الصُّبْحُ أَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيبٍ فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ مَنْضُودٍ مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ} [هود: 69] [هُودٍ: 69 - 83] .
পৃষ্ঠা - ৪১০


অবশিষ্টদেরকে আমি সম্পুর্ণভাবে ধ্বংস করেছিলাম ৷ তোমরা তো ওদের ধ্বংসাবশেষগুলাে
অতিক্রম করে থাক সকালে ও সন্ধ্যায়, তবুও কি তোমরা অনুধাবন করবে না ? (৩৭ :

সুরা যারিয়াতে হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর মেহমড়ান ও পুত্রের সুসংরাদের ঘটনা উল্লেখ

করার পরঅয়ােহ তাআলা বলেন ৰু ;

র্দুএে

;fi


১))

ইব্রাহীম বলল, হে ফোদ্ররশতাগণ ৷ তোমাদের বিশেষ কাজ কী ? ওরা বলল, আমাদেরকে
এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে ৷ মোঃ উপর নিক্ষেপ করার জন্যে মাটির
শক্ত ঢেলা, যা সীমালংঘনকারীদের জন্যে চিহ্নিত, তোমার প্রতিপাপ্সবেগ্রুব কাছ থােক ৷ সেখানে
যে সব মুযিন ছিল আমি তাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম এবং সেখানে একটি পরিবার ব্যতীত
কোন আত্মসমর্পণকারী আমি শ্পাইনি ৷ যারা মর্যন্তুদ শাস্তিক্লে ভয় করে, আমি তাদের জন্যে
তাতে একটি নিদর্শন রেখেছি ৷ (৫১ : ৩১ ৩ ৭)ব্লু

সুরাইনশিকাফে আল্লাহ বলেন :

(

ান্দ্বুপু ণ্ড্র৷ ১া৷





é

ট্টএেঙ্ )¢;§

লুত সম্প্রদায় প্রত্যাখ্যান করেছিল সতর্ককারীদেরকে, আমি ওদের উপর পাঠিয়েছিলাম
পাথরবাহী প্রচণ্ড ঝড় ৷ কিন্তু লুত পরিবারের উপর নয় ৷৩ তাদেরকে আমি উদ্ধার করেছিলাম
রাতের শেযাং যে আমার বিশেষ অনুগ্রহস্বরুপ; যারা তজ্ঞ আমি তাদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত
করে থাকি ৷ লুত ওদেরকে সতক করেছিল আমার শাস্তি সম্পর্কে; কিন্তু ওরা সতর্কবাণী
সম্বন্ধে বিতণ্ডা শুরু করল ৷ ওরা লুতের কাছ থেকে তার মেহমানদেরকে দাবি করল, তখন আমি
ওদের ষ্টিশক্তি লোপ করে দিলাম এবং আমি বললাম, আম্বাদন কর, আমার শান্তি এবং
সত ৷ পরিণাম ৷ ভোরে বিরামহীন শাস্তি তাদেরকে আঘাত করল এবং আমি বললাম,
আস্বাদন কর, আমার শান্তি এবং সতর্করাণীব পরিণাম ৷’ আমি কুরআন সহজ করে দিয়েছি
উপদেশ গ্রহণের জন্যে; অতএব উপদেশগ্রহণকারী কেউ আছে কি ? (৫৪ ৪৩৩-৪ :)


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْحِجْرِ: {وَنَبِّئْهُمْ عَنْ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ} [الحجر: 51] إِذْ {دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا قَالَ إِنَّا مِنْكُمْ وَجِلُونَ - قَالُوا لَا تَوْجَلْ إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ - قَالَ أَبَشَّرْتُمُونِي عَلَى أَنْ مَسَّنِيَ الْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُونَ - قَالُوا بَشَّرْنَاكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْقَانِطِينَ - قَالَ وَمَنْ يَقْنَطُ مِنْ رَحْمَةِ رَبِّهِ إِلَّا الضَّالُّونَ - قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ - قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ - إِلَّا آلَ لُوطٍ إِنَّا لَمُنَجُّوهُمْ أَجْمَعِينَ - إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَا إِنَّهَا لَمِنَ الْغَابِرِينَ} [الحجر: 52 - 60] {فَلَمَّا جَاءَ آلَ لُوطٍ الْمُرْسَلُونَ - قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ مُنْكَرُونَ} [الحجر: 61 - 62] {قَالُوا بَلْ جِئْنَاكَ بِمَا كَانُوا فِيهِ يَمْتَرُونَ - وَأَتَيْنَاكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّا لَصَادِقُونَ - فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنَ اللَّيْلِ وَاتَّبِعْ أَدْبَارَهُمْ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ وَامْضُوا حَيْثُ تُؤْمَرُونَ - وَقَضَيْنَا إِلَيْهِ ذَلِكَ الْأَمْرَ أَنَّ دَابِرَ هَؤُلَاءِ مَقْطُوعٌ مُصْبِحِينَ - وَجَاءَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَسْتَبْشِرُونَ - قَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُونِ - وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ - قَالُوا أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنِ الْعَالَمِينَ - قَالَ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ - لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ - فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُشْرِقِينَ - فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ - إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ - وَإِنَّهَا لَبِسَبِيلٍ مُقِيمٍ - إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِلْمُؤْمِنِينَ} [الحجر: 63 - 77] [الْحِجْرِ: 51 - 77] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الشُّعَرَاءِ:
পৃষ্ঠা - ৪১১


তাফসীর গ্রন্থে এ সব সুরার যথাস্থানে আমরা এই ঘটনার বিশদ আলোচনা করেছি ৷ আল্লাহ
হযরত লুত (আ) ও তার সম্প্রদায় সম্পর্কে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা
ইতিপুর্বে কওমে নুহ, কওমে আদ ও কওমে ছামুদ-এর আলোচনায় সেসব উল্লেখ করেছি ৷

এখন আমরা যে সব কথার সার ব-সংক্ষেপ বর্ণনা করব, যা তাদের কর্মনীতি ও পরিণতি
সম্পর্কে কুরআন, হাদীস ও ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে ৷ এ ব্যাপারে আল্লাহর সাহায্য কামনা করি ৷
তাহল, হযরত লুত (আ) তীর সম্প্রদায়কে এক ও লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান
জানান ৷ সেইসব অশ্লীল কাজ করতে নিষেধ করেন যার উল্লেখ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা
করেছেন ৷ কিন্তু একজন লোকও তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং তার উপর ঈমান আনেনি ৷
নিষেধকৃত কর্ম থেকে কেউ বিরত থাকেনি ৷ বরং তারা তাদের অবস্থার উপর অটল অবিচল
হয়ে থাকে এবং নিজেদের ভ্রষ্টত৷ ও মুর্থতড়া থেকে বিরত থাকেনি ৷ এমনকি তারা তাদের
রাসুলকে তাদের সমাজ থেকে বহিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করে ৷

রাসুল যখন তাদেরকে উদ্দেশ করে উপদেশ দেন, তখন তারা বিবেক না খাটিয়ে এই এক
উত্তরই দিতে থাকে যে, লুত পরিবারকে তোমরা ৫তামাদেরন্ন্জনপদ থেকে বের করে দাও ৷
কেননা, তারা এমন মানুষ যারা পাকুন্পবিত্র সাজতে চায় ৷ এ কথার মধ্য দিয়ে তারা লুত
পরিবারের নিন্দা কঃাতেগিয়ে তাদের চরম প্রশংসাই করেছে ৷ আবারণ্এটাকেই তারা বহিষ্কারের
কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ৷ চরম শত্রুত৷ ও ঘৃণা থাকার কারণেই তারা লুতকে এ কথা বলার
সুযোগ পেয়েছে ৷ কিন্তু আল্লাহ হযরত লুত (আ)-কে ও তার পরিবারবর্পকে পবিত্র রাখলেন এবং
সম্মানের সঙ্গে সেখান থেকে তাদেরকে বের করে আনলেন, তবে তার ত্রীকে নয় ৷ আর তার
সম্প্রদায়ের সবাইকে আপন বাসভুমিতে চিরন্থায়ীভাবে থাকতে দিলেন ৷ তবে সে থাকা ছিল
দৃর্পন্ধময় সমুদ্র তরংগের আঘাতে লীন হয়ে ৷ যা ছিল প্রকৃতপক্ষে উত্তপ্ত আগুন ও তাপ প্রবাহ
এবং তার পানি তিক্ত ও লবণাক্ত ৷

তারা নবীকে এরুপ উত্তর তখনই দিয়েছে, যখন তিনি তাদেরকে জঘন্য পাপ ও চরম
অশ্লীলত৷ যা ইতিপুর্বে বিশ্বের কোন লোক করেনি, তা থেকে নিবৃত্ত থাকতে বলেছেন ৷ এ
কারণেই তারা বিশ্ববাসীর জন্যে উদাহরণ ও শিক্ষাপ্রদ হয়ে রয়ে গিয়েছে ৷ এ পাপকর্ম ছাড়াও
তারা ছিনক্ষাই, রাহাজানি করত, পথের সাথীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করত ৷ প্রকাশ্য
ষ্মজলিসে বিভিন্ন রকম নির্লজ্জ কথা বলতাে এবং লজ্জাজনক কাজে লিপ্ত হতো ৷ যেমন সশব্দে
বায়ু ত্যাগ করত ৷ এতে ব্লুকান লজ্জা বোধ করত না ৷ অনেক সময় বড় বড় জঘন্য কাজও
করত ৷ কোন উপদেশদানকারীর উপদেশ ও জ্ঞানী লোকের পরামর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র ভ্রাক্ষেপ
করতো না ৷ এ জাতীয় কাজের মাধ্যমে তারা চতুষ্পদ জতুার মত বরং তার চাইতেও অ বন ও
বিভ্রান্ত বলে পরিচয় দিত ৷ তারা তাদের বর্তমান কাজ থেকে বিরত থাকেনি, বিগত পাপ থেকে
অনুশোচনা করেনি এবং ভবিষ্যতে আত্মসৎশোধনের ইচ্ছাও করেনি ৷ অতএব, আল্লাহ তাদেরকে
শক্ত হাতে পাকড়াও করলেন ৷ তারা হযরত লুত (আ) কে বলেছিল ং ৬


(তুমি স৩ তবােদী হয়ে যা কোন আল্লাহর আমার আমাদের জন্যে নিয়ে এস) অর্থাৎ নবী তাদের
যে কঠিন আযাৰের ভয় দেথাচ্ছিলেন তারা সেই আমার কামনা করছিল এবং ভয়াবহ শাস্তির


{كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ - إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ} [الشعراء: 160 - 161] {إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ - فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ - وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ - أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ - وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ - قَالُوا لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ - قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُمْ مِنَ الْقَالِينَ - رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ - فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ - إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ - ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ - وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ - إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُؤْمِنِينَ - وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ} [الشعراء: 107 - 175] [الشُّعَرَاءِ: 160 - 175] .
পৃষ্ঠা - ৪১২


আবেদন জানাচ্ছিল ৷ এই সময় দয়ালু নবী তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান ৷
তিনি বিশ্ব প্রভু ও রাসুলগণের ইলাহ্-এর নিকট অনাচারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য প্রার্থনা
করেন ৷ ফলে নবীর মর্যাদা হানিতে আল্লাহর ক্রোধের উদ্রেক হয়, নবীর ক্রোধের জন্যে আল্লাহ
ক্রোধাম্বিভ হন ৷ নবীর প্রার্থনা কবুল করেন এবং তীর প্রার্থিত বন্তু দান করেন ৷ আপন দুত ও
<ফরেশতাগণকে প্রেরণ করেন ৷ তারা আল্লাহর খলীল ইব্রাহীম (আ)-এর কাছে আগমন

করেন ৷ তাকে এক জ্ঞানী পুত্রের সুসংবাদ দেন এবং তারা যে গুরু ত্হ্পুর্ণ ব্যাপার নিয়ে এসেছেন
সে বিষয়টিও তাকে জানান ৷



)

ইবরাহীম বলল, হে ফেরেশতাগণ! আপনাদের আগমনের উদ্দেশ্য কী ? তা ৷রা বলল, আমরা
এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি ৷ যাতে তাদের উপর শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি, যা
সীমাল ত্মনকারীদের শাস্তি দেয়ার জন্যে আপনার প্রুতিপালকের কাছে চিহ্নিত রয়েছে ৷

আল্লাহ বলেন০ :

র্চু, ৷ ধ্প্রু৷ ৷ ৷সৌং ট্রি৷ ৷প্রুা৷দ্ব এে ’ ৷ন্ ,হ্র^ছু^ ন্৷ ’§ ;ন্র্চু ( ঢ়’পুদ্বু
ণ্ংর্মু

১া৷ র্দুপুট্টর্দুদ্বু মোঃ
আর যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে আসল, বৃওখন
তারা বলেছিল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদের ধ্বংস করব ৷ কারণ এর অধিবাসীরা
জালিম ৷ ইব্রাহীম বলল, এই জনপদে তো লুতও আছে ৷ তারা বলল, ওখানে কারা আছে সে
সম্পর্কে আমরা ভালভাবে অবগত আছি ৷ আমরা তাকে ও তার পরিবারবর্পকে অবশ্যই রক্ষা

করব, তবে তার ত্রীকে নয় ৷ সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ৷ (২৯ : ৩৯)

অৰুলুৰুহ্বৰ্ল্নং :



(“যখন ইবরাহীমের ভীতি দুর হল ও সুসংবাদ জানান হল, তখন সে লুতের প্রসঙ্গ নিয়ে
আমার সাথে বিতর্ক করা আরম্ভ করল) কেননা, ইব্রাহীম (আ) আশা করেছিলেন যে, তারা
খারাপ পথ পরিহার করে ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে ৷

তাই আল্লাহ বলেন :
র্চুপ্পুট্ট


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ النَّمْلِ: {وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ وَأَنْتُمْ تُبْصِرُونَ أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوا آلَ لُوطٍ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَاهَا مِنَ الْغَابِرِينَ وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ} [النمل: 54] [النَّمْلِ 54 - 58] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْعَنْكَبُوتِ:
পৃষ্ঠা - ৪১৩


(নিশ্চয়ই ইব্রাহীম বড়ইভৈধর্যশীল, কোমল হৃদয় ও একনিষ্ঠ ইবাদতকারী ৷ হে ইব্রাহীম ! এ
জাতীয় কথাবার্তা থেকে বিরত থাক ৷ তােমার“পালনকর্তার নির্দেশ এসে গেছে এবং তাদের
উপর যে আবার অবশ্যই পতিত হবে) ৷ অর্থাৎ এ প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে অন্যপ্ৰঙ্গঙ্গে কথা বল ৷
কেননা, তাদের ধ্বংস ও নির্মুল করার আদেশ চুড়ান্ত হয়ে গেছে ৷ তোমার পালনকর্তার নির্দেশ
এসে গেছে ৷ অর্থাৎ এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়ে গেছে ৷ তার এ নির্দেশ ও শান্তি ফেরাবাব ও
প্রতিহত করার সাধ্য কারও যেই ৷ এ নির্দেশ অপ্রতিরোধ্যতাবে আসবেই ৷ (সুরা হ্রদ : ৭৪ ৭৫ )

সাঈদ ইবন জুবায়র, সুদ্দী, কাতাদা ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) উল্লেখ করেছেন যে,
হযরত ইব্রাহীম (আ) ফেরেশতাদেবকে বলেছিলেন ই; আপনারা কি, এমন কোন জনপদ ধ্বংস
করবেন যে খানে তিনশ’ মুমিন রয়েছে ? তারা বললেন, না ৷ তিনি বললেন, যদি দুশ’ থাকে ?

তারা বললেন না ৷ ইব্রাহীম বললেন, যদি চল্লিশ জন মুমিন থাকেশো তারা বললেন না ৷ তিনি
বললেন, যদি চৌদ্দজন মুমিন থাকে? তারা বললেন তবুও না ৷ ইবন ইসহাক লিখেছেন৪
ইব্রাহীম (আ) এ কথাও বলেছিলেন যে, যদি একজন মাত্র মুমিন থাকে তবে সেই জনপদ
ধ্বংস করাব ব্যাপারে আপনাদের মত কি? জবাবে তারা বললেনং তবুও ধ্বং স করা হবে না ৷
তখন তিনি বললেন, সেখানে তো লুত রয়েছে ৷ তারা বলল,
সেখড়ানে কে আছে তা আমাদের ভালতাবেই জানা আছে’ ৷

আহলি কিতাবদের বর্ণনায় এসেছে যে, ইব্রাহীম (আ) বলেছিলেন, হে আল্লাহ! লুত
সম্প্রদায়ের মধ্যে পঞ্চাশজন সৎকর্মশীল লোক থাকলেও কি আপনি তাদেরকে ধ্বং স করবেনঃ
এভাবে উভয়ের কথােপকথন দশজন পর্যন্ত নেমে আসে ৷ আল্লাহ বলেন, তাদের মধ্যে দশজন
সংকর্মণীল লোক থাকলেও আমি তাদেরকে ধ্বং স করব না ৷

আল্লাহর বাণী৪

াপু১এ
, ;

আর যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুতের কাছে আগমন করল তখন তাদের আগমনে
সে দৃশ্চিঅ্যাংস্ত হল এবং বলতে লাগল, আজ অত্যন্ত কঠিন দিন ৷ (সুরা ছদ : ৭৭)

মুফাল্সিরগণ বলেছেন ৷ এই ফেরেশতাগণ ছিলেন হযরত জিবরাঈল (আ), মীকাঈল (আ)
ও ইসৱাফীল (আ) ৷ র্তারা ইব্রাহীম (আ)-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসেন এবং সাদ্দুম
শহরে এসে উপস্থিত হন ৷ লুত (আ)-এর সম্প্রদায়ের পরীক্ষাস্বরুপ এবং তাদের শাস্তিযােগ্য
হওয়ার চুড়ান্ত প্রমাণস্বরুপ তারা সুদর্শন তরুণ বেশে হাযির হন ৷ হযরত লুত (আ)-এব বাড়িতে
তারা অতিথি হিসাবে ওঠেন ৷ তখন ছিল সুর্য ভোবার সময় ৷ হযরত দুত (আ) তাদের দেখে
ভীত হলেন ৷ মনে মনে ভাবলেন, যদি তিনি আতিথ্য প্রদান না করেন, তবে অন্য কেউ তা
করবে ৷ তিনি তাদেরকে মানুষইভ ৷বলেন ৷ দৃশ্চিস্তা তাকে ঘিরে ধবল ৷ তিনি বললেন, আজ
একটা বড় কঠিন দিন ৷


{وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ وَتَقْطَعُونَ السَّبِيلَ وَتَأْتُونَ فِي نَادِيكُمُ الْمُنْكَرَ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا ائْتِنَا بِعَذَابِ اللَّهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا إِنَّا مُهْلِكُو أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ إِنَّ أَهْلَهَا كَانُوا ظَالِمِينَ قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا قَالُوا نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَنْ فِيهَا لَنُنَجِّيَنَّهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ وَلَمَّا أَنْ جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالُوا لَا تَخَفْ وَلَا تَحْزَنْ إِنَّا مُنَجُّوكَ وَأَهْلَكَ إِلَّا امْرَأَتَكَ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ إِنَّا مُنْزِلُونَ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ رِجْزًا مِنَ السَّمَاءِ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ وَلَقَدْ تَرَكْنَا مِنْهَا آيَةً بَيِّنَةً لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ} [العنكبوت: 28] [الصَّافَّاتِ: 133 - 138] . وَقَالَ تَعَالَى فِي الذَّارِيَاتِ بَعْدَ قِصَّةِ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ وَبِشَارَتِهِمْ إِيَّاهُ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ: {قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ لِنُرْسِلَ عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ طِينٍ مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ فَأَخْرَجْنَا مَنْ كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} [الذاريات: 31] {إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ حَاصِبًا إِلَّا آلَ لُوطٍ نَجَّيْنَاهُمْ بِسَحَرٍ - نِعْمَةً مِنْ عِنْدِنَا كَذَلِكَ نَجْزِي مَنْ شَكَرَ - وَلَقَدْ أَنْذَرَهُمْ بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ - وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَنْ ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ - وَلَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُكْرَةً عَذَابٌ مُسْتَقِرٌّ - فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ - وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ} [القمر: 34 - 40] [الْقَمَرِ 33 - 40] .
পৃষ্ঠা - ৪১৪


ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে মুজাহিদ, কাতাদা ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) হযরত লুত
(আ)-এর এ কঠিন পরীক্ষার বর্ণনা দিয়েছেন ৷ হযরত লুত (আ) অন্যান্য সময়ে তার
সম্প্রদায়কে নিজের যেহমানদের কাছে ঘেযতে নিষেধ করতেন ৷ এ কারণে তারা লুত (আ)-এর
উপর শর্ত আরোপ করেছিল যে, তিনি নিজের বাড়িতে কাউকে মেহমান হিসেবে রাখবেন না ৷
কিত্তু সেদিন তিনি এমন ণ্লাকদেরকেই মেহমানরুপে দেখতে পেলেন যাদেরকে সরিয়ে দেয়ার
উপায়ও ছিল না ৷

কাতদো (র) বলেন, হযরত লুত (আ) নিজের ক্ষেতে কাজ করছিলেন, এমন সময়
মেহমানগণ তার কাছে উপস্থিত হন এবং তার বাড়িতে মেহমান হওয়ার আবেদন জানান ৷ তিনি
তা প্রত্যাখ্যান করতে লজ্জাবােধ করেন এবং সেখান থেকে তাদেরকে সাথে নিয়ে রওয়ানা হন
এবং তাদের আগে আগে হীটতে থাকেন ৷ তাদের সাথে তিনি এমন ইঙ্গিতপুর্ণ কথা বলতে
থাকেন, যাতে তারা এ জনপদ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান ৷ হযরত লুত (আ) তাদেরকে
বললেন, হে ভইিয়েরা! এই জনপদের লোকের চেয়ে নিকৃষ্ট ও দৃশ্চরিত্র লোক ধরাপৃষ্ঠে আর
আছে কিনা আমার ণ্ জানা নেই ৷ কিছুদুর অগ্রসর হয়ে তিনি আবার এ কথা উল্লেখ করেন ৷
এভাবে চারবার তাদেরকে কথাটি বলেন ৷ কাতদো (র) বলেন, ফেরেশতাগণ এ ব্যাপারে আদিষ্ট
ছিলেন যে, যতক্ষণ নবী তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা যেন
তাদেরকে ধ্বংস না করেন ৷

সুদৃদী (র) বলেন, ফেরেশতাগণ ইব্রাহীম (আ)-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লুতের
সম্প্রদায়ের উদ্দেশে রওয়ানা হন ৷ দুপুর বেলা তারা সেখানে পৌছেন ৷ সাদৃদুম নদীর তীরে
উপস্থিত হলে হযরত লুত (আ)-এর এক মেয়ের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হয় ৷ বাড়িতে পানি
নেয়ার জন্যে যে এখানে এসেছিল ৷ লুত (আ)-এর ছিলেন দুই কন্যা ৷ বড়জনের নাম রায়ছা
এবং ছোট জনের নাম যারাতা ৷ মেয়েটিকে তারা বললেন : ওহেৰু এখানে মেহমান হওয়া যায়
এমন কারও বাড়ি আছে কি ? মেয়েটি বললেন, আপনারা এখানে অপেক্ষা করুন ৷ আমি ফিরে না
আসা পর্যন্ত জনপদে প্রবেশ করবেন না ৷ নিজের সম্প্রদায়ের ব্যাপারে মেয়েঢির অন্তরে
লোকগুলাের প্রতি করুণার উদ্রেক হয় ৷ বাড়ি এসে মেয়েটি পিতাকে সম্বোধন করে বললেন :
পিতা নগর তােরণে কয়েকজন তরুণ আপনার অপেক্ষায় আছেন ৷ তাদের মত সুদর্শন লোক
আমি কখনও দেখিনি ৷ আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদেরকে না লাঞ্ছিত করে! ইতিপুর্বে
সম্প্রদায়ের লোকজন হযরত লুত (আ)-কে কোন পুরুষ লোককে মেহমান রাখতে নিষেধ করে
দিয়েছিল ৷ যা হোক, হযরত লুত (আ) তাদেরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং নিজের
পরিবারবর্ণের লোকজন ছাড়া আর কেউ বিষয়টি জানতে পারেনি ৷ কিন্তু লুতের শ্রী বাড়ি থেকে
বের হয়ে জনপদের লোকদের কাছে খবরটি পৌছিয়ে দেয় ৷ সে জানিয়ে দেয় যে, লুতের
বাড়িতে এমন কতিপয় সুশ্রী তরুণ এসেছে যাদের ন্যায় সুন্দর লোক আর হয় না ৷ তখন

লোকজন খুশীতে লুত (আ) এর বাড়ির দিকে ছুটে আসে ৷


আল্লাহর বাণী০

وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ الْقِصَصِ فِي أَمَاكِنِهَا مِنْ هَذِهِ السُّورَةِ فِي التَّفْسِيرِ، وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ لُوطًا وَقَوْمَهُ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ مِنَ الْقُرْآنِ، تَقَدَّمَ ذِكْرُهَا مَعَ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ. وَالْمَقْصُودُ الْآنَ إِيرَادُ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَمَا أَحَلَّ اللَّهُ بِهِمْ، مَجْمُوعًا مِنَ الْآيَاتِ وَالْآثَارِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. وَذَلِكَ أَنَّ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا دَعَاهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَنَهَاهُمْ عَنْ تَعَاطِي مَا ذَكَرَ اللَّهُ عَنْهُمْ مِنَ الْفَوَاحِشِ، فَلَمْ يَسْتَجِيبُوا لَهُ وَلَمْ يُؤْمِنُوا بِهِ، حَتَّى وَلَا رَجُلٌ وَاحِدٌ مِنْهُمْ، وَلَمْ يَتْرُكُوا مَا عَنْهُ نُهُوا، بَلِ اسْتَمَرُّوا عَلَى حَالِهِمْ، وَلِمَ يَرْعَوُوا عَنْ غَيِّهِمْ وَضَلَالِهِمْ، وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ رَسُولِهِمْ مِنْ بَيْنِ ظَهْرَانَيْهِمْ، وَمَا كَانَ حَاصِلُ جَوَابِهِمْ عَنْ خِطَابِهِمْ، إِذْ كَانُوا لَا يَعْقِلُونَ: إِلَّا أَنْ قَالُوا {أَخْرِجُوا آلَ لُوطٍ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ} [النمل: 56] فَجَعَلُوا غَايَةَ الْمَدْحِ ذَمًّا يَقْتَضِي الْإِخْرَاجَ، وَمَا حَمَلَهُمْ عَلَى مَقَالَتِهِمْ هَذِهِ إِلَّا الْعِنَادُ وَاللَّجَاجُ، فَطَهَّرَهُ اللَّهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ، وَأَخْرَجَهُمْ مِنْهَا أَحْسَنَ إِخْرَاجٍ، وَتَرَكَهُمْ فِي مَحَلَّتِهِمْ خَالِدِينَ لَكِنْ بَعْدَ مَا صَيَّرَهَا عَلَيْهِمْ بَحْرَةً مُنْتِنَةً ذَاتَ أَمْوَاجٍ، لَكِنَّهَا عَلَيْهِمْ فِي الْحَقِيقَةِ نَارٌ تَأَجَّجُ وَحَرٌّ يَتَوَهَّجُ، وَمَاؤُهَا مِلْحٌ أُجَاجٌ، وَمَا كَانَ هَذَا جَوَابَهُمْ إِلَّا لَمَّا نَهَاهُمْ عَنِ الطَّامَّةِ الْعُظْمَى وَالْفَاحِشَةِ الْكُبْرَى الَّتِي لَمْ يَسْبِقْهُمْ إِلَيْهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا؛ وَلِهَذَا صَارُوا مَثُلَةً فِيهَا، وَعِبْرَةً لِمَنْ عَلَيْهَا، وَكَانُوا مَعَ ذَلِكَ يَقْطَعُونَ الطَّرِيقَ، وَيَخُونُونَ الرَّفِيقَ، وَيَأْتُونَ فِي نَادِيهِمْ وَهُوَ مُجْتَمَعُهُمْ وَمَحَلُّ حَدِيثِهِمْ وَسَمَرِهِمُ الْمُنْكَرَ مِنَ الْأَقْوَالِ، وَالْأَفْعَالِ عَلَى اخْتِلَافِ أَصْنَافِهِ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُمْ كَانُوا يَتَضَارَطُونَ فِي مَجَالِسِهِمْ وَلَا يَسْتَحْيُونَ مِنْ مُجَالِسِهِمْ، وَرُبَّمَا وَقَعَ مِنْهُمُ الْفَعْلَةُ الْعَظِيمَةُ فِي الْمَحَافِلِ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৪১৫
يَسْتَنْكِفُونَ، وَلَا يَرْعَوُونَ لِوَعْظِ وَاعِظٍ، وَلَا نَصِيحَةٍ مِنْ نَاقِلٍ، وَكَانُوا فِي ذَلِكَ وَغَيْرِهِ كَالْأَنْعَامِ بَلْ أَضَلُّ سَبِيلًا، وَلَمْ يُقْلِعُوا عَمَّا كَانُوا عَلَيْهِ فِي الْحَاضِرِ، وَلَا نَدِمُوا عَلَى مَا سَلَفَ مِنَ الْمَاضِي، وَلَا رَامُوا فِي الْمُسْتَقْبَلِ تَحْوِيلًا، فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ أَخَذًا وَبِيلًا، وَقَالُوا لَهُ فِيمَا قَالُوا: {ائْتِنَا بِعَذَابِ اللَّهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ} [العنكبوت: 29] . فَطَلَبُوا مِنْهُ وُقُوعَ مَا حَذَّرَهُمْ عَنْهُ مِنَ الْعَذَابِ الْأَلِيمِ، وَحُلُولِ الْبَأْسِ الْعَظِيمِ فَعِنْدَ ذَلِكَ دَعَا عَلَيْهِمْ نَبِيُّهُمُ الْكَرِيمُ فَسَأَلَ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَإِلَهِ الْمُرْسَلِينَ أَنْ يَنْصُرَهُ عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ فَغَارَ اللَّهُ لِغَيْرَتِهِ، وَغَضِبَ لِغَضْبَتِهِ، وَاسْتَجَابَ لِدَعْوَتِهِ، وَأَجَابَهُ إِلَى طِلْبَتِهِ، وَبَعَثَ رُسُلَهُ الْكِرَامَ، وَمَلَائِكَتَهُ الْعِظَامَ فَمَرُّوا عَلَى الْخَلِيلِ إِبْرَاهِيمَ، وَبَشَّرُوهُ بِالْغُلَامِ الْعَلِيمِ، وَأَخْبَرُوهُ بِمَا جَاءُوا لَهُ مِنَ الْأَمْرِ الْجَسِيمِ، وَالْخَطْبِ الْعَمِيمِ {قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ لِنُرْسِلَ عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ طِينٍ مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ} [الذاريات: 31] . وَقَالَ: {وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا إِنَّا مُهْلِكُو أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ إِنَّ أَهْلَهَا كَانُوا ظَالِمِينَ قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا قَالُوا نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَنْ فِيهَا لَنُنَجِّيَنَّهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ} [العنكبوت: 31] . وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا ذَهَبَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الرَّوْعُ وَجَاءَتْهُ الْبُشْرَى يُجَادِلُنَا فِي قَوْمِ لُوطٍ} [هود: 74] . وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَرْجُو أَنْ يُنِيبُوا وَيُسْلِمُوا وَيُقْلِعُوا وَيَرْجِعُوا؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَحَلِيمٌ أَوَّاهٌ مُنِيبٌ يَا إِبْرَاهِيمُ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا إِنَّهُ قَدْ جَاءَ أَمْرُ رَبِّكَ وَإِنَّهُمْ آتِيهِمْ عَذَابٌ غَيْرُ مَرْدُودٍ} [هود: 75] . أَيْ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا، وَتَكَلَّمْ فِي غَيْرِهِ فَإِنَّهُ قَدْ حُتِمَ أَمْرُهُمْ، وَوَجَبَ عَذَابُهُمْ وَتَدْمِيرُهُمْ وَهَلَاكُهُمْ. {إِنَّهُ قَدْ جَاءَ أَمْرُ رَبِّكَ} [هود: 76] . أَيْ قَدْ أَمَرَ بِهِ مَنْ لَا يُرَدُّ أَمْرُهُ، وَلَا يُرَدُّ بِأْسُهُ، وَلَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ {وَإِنَّهُمْ آتِيهِمْ عَذَابٌ غَيْرُ مَرْدُودٍ} [هود: 76] .
পৃষ্ঠা - ৪১৬


(ইতিপুর্বে তারা বিভিন্ন রকম পাপকর্মে লিপ্ত ছিল) অর্থাৎ বহু বড় বড় গুনাহর সাথে এই

জঘন্য পাপ কাজও তারা চালিয়ে যেতো ৷

(াদ্র

লুত বলল, হে আমার সম্প্রদায়! এই যে আমার কন্যারা আছে যারা তোমাদের জন্যে
পবিত্রতম ৷

এ কথা দ্বারা হযরত লুত (আ) তার ধর্মীয় ও দীনী কন্যাদের অর্থাৎ তাদের ত্রীদের প্রতি
ইংগিত করেছেন ৷ কেননা, নবীগণ তাদের উম্মতের জন্যে পিতৃতৃল্য ৷ হাদীস ও কুরআনে
এরুপই বলা হয়েছে ৷

আল্লাহ বলেন : ণ্র্বুন্,ম্রর্মুধ্পুপুৰু ধ্ছু৷ ৷দ্বুদ্বু ’§ ষ্০ছুদ্বু৷ ;,^০ র্মু;ট্রুদ্বুশুএ ৷ ষ্এ্দ্বু৷ চা ৷ ৷

নবী মুমিনদের জন্যে৩ তাদের নিজেদের চইিতেও ঘনিষ্ঠতর আর তার ত্রীগণ মু’মিনদের
মা ৷ (৩৩০ : ৬) ৷ কোন কোন সাহারা ও প্রাচীন আলিমগণের মতে নবী মু ’মিনদের পিতা ৷

উপরোক্ত আঘাতের অনুরুপ আর একটি আয়াত এইং
^ণ্’ৰু০, ঢো ;০^০^’ণ্ব্রউও^ণ্ইঐ :এএ এ ব্র>০ণ্£এও ;ওএএশ্রো :; ৷০ওএ :০১এ

(-,প্রুপ্রর্দু০ শু^ও ,;পু^;৷ পুাটু

তোমরা বিশ্বের পুরুষদের কাছে গমন করছ ৷ আর তোমাদের প্ৰতিপালক তোমাদের জন্যে
যে ত্রীকুল সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে পরিত্যাগ করছ; বরং তোমরা এক সীমালংঘনকারী
সম্প্রদায় ৷ (২৬ : ১৬৫)

মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবড়ায়র, রাবী ইবন আনাস, কাতাদা , সুদ্দী ও মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক
(র) আঘাতের উক্তরুপ ব্যাখ্যা করেছেন এবং এ ব্যাখ্যাই সঠিক ৷ দ্বিতীয় মতটি অর্থাৎ তার
নিজের কন্যাগণ হওয়া ভুল ৷ এটা অড়াহলি কিতাবদের থেকে গৃহীত এবং তাদের কিভাবে অনেক
বিকৃতি ঘটেছে ৷ তাদের আর একটি ভুল উক্তি এই যে, ফেরেশতড়ারা সংখ্যায় ছিলেন দুইজন
এবং রাত্রে তারা লুত (আ)-এর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন ৷ এছাড়া আহলি কিতাবগণ এই
ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক অদ্ভুত মিথ্যা উপাখ্যান সৃষ্টি করেছে ৷

আল্লাহর বাণী৪

’) ’


অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে আমাকে
হেয় কর না ৷ তোমাদের মধ্যে কি কোন ভাল মানুষ নেই? (১ ১ : র্দুা৮)

এ আয়াতে হযরত লুত (আ) নিজ জাতিকে অশ্লীল কাজ থেকে বারণ করেছেন ৷ এর
মাধ্যমে তিনি এ কথাৱও সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তাদের সমাজের একজন লােকও সুস্থ রুচির বা
ভাল স্বভাবের ছিল না; বরং সমাজের সমস্ত লোকই ছিল নির্বোধ, জঘন্য পাপাসক্ত ও নিরেট
কাফির ৷ ফেরেশতাগণও এটাই চাচ্ছিলেন যে, সম্প্রদায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পুর্বেই নবীর


وَذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ جَعَلَ يَقُولُ: أَتُهْلِكُونَ قَرْيَةً فِيهَا ثَلَاثُمِائَةِ مُؤْمِنٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَمِائَتَا مُؤْمِنٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَأَرْبَعُونَ مُؤْمِنًا قَالُوا: لَا. قَالَ: فَأَرْبَعَةَ عَشَرَ مُؤْمِنًا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ إِلَى أَنْ قَالَ: أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَ فِيهَا مُؤْمِنٌ وَاحِدٌ؟ قَالُوا: لَا. {قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا قَالُوا نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَنْ فِيهَا} [العنكبوت: 32] . الْآيَةَ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ قَالَ: يَا رَبِّ أَتُهْلِكُهُمْ وَفِيهِمْ خَمْسُونَ رَجُلًا صَالِحًا؟ فَقَالَ اللَّهُ: لَا أُهْلِكُهُمْ وَفِيهِمْ خَمْسُونَ صَالِحًا. ثُمَّ تَنَازَلَ إِلَى عَشَرَةٍ، فَقَالَ اللَّهُ: لَا أُهْلِكُهُمْ وَفِيهِمْ عَشَرَةٌ صَالِحُونَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ} [هود: 77] . قَالَ الْمُفَسِّرُونَ: لَمَّا فَصَلَتِ الْمَلَائِكَةُ مِنْ عِنْدِ إِبْرَاهِيمَ وَهُمْ؛ جِبْرِيلُ، وَمِيكَائِيلُ، وَإِسْرَافِيلُ، أَقْبَلُوا حَتَّى أَتَوْا أَرْضَ سَدُومَ فِي صُورَةِ شُبَّانٍ حِسَانٍ اخْتِبَارًا مِنَ اللَّهِ تَعَالَى لِقَوْمِ لُوطٍ، وَإِقَامَةً لِلْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ، فَاسْتَضَافُوا لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَذَلِكَ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ فَخَشِيَ إِنْ لَمْ يُضِفْهُمْ أَنْ يُضِيفَهُمْ غَيْرُهُ مِنَ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ، وَحَسِبَهُمْ بَشَرًا مِنَ النَّاسِ وَ {سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ} [هود: 77] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَقَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: شَدِيدٌ بَلَاؤُهُ، وَذَلِكَ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ مُدَافَعَتِهِ اللَّيْلَةَ عَنْهُمْ، كَمَا كَانَ يَصْنَعُ بِغَيْرِهِمْ مَعَهُمْ، وَكَانُوا قَدِ اشْتَرَطُوا عَلَيْهِ أَنْ لَا يُضِيفَ أَحَدًا، وَلَكِنْ رَأَى مَنْ لَا يُمْكِنُ الْمَحِيدُ عَنْهُ. وَذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৪১৭


কাছ থেকে তাদের সম্পর্কে তারা কিছু শুনবেন ৷ কিন্তু সম্প্রদায়ের অভিশপ্ত লোকেরা নবীর উত্তম

কথার উত্তরে বললং :

আপনি ভাল করেই জানেন, আপনার কন্যাদের দিয়ে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷
আপনি এও জানেন যে, আমরা কি চাচ্ছি ৷ (১১ : ৭৯)

তারা বলছে, হে লুত! আপনি অবগত আছেন যে, ত্রীদের প্ৰতি আমাদের কোন আকর্ষণ
নেই ৷ আমাদের উদ্দেশ্য কি, তা আপনি ভাল করেই জা নেন ৷ নবীকে উদ্দেশ করে তারা এরুপ
কুৎসিৎ ভাষা ব্যবহার করতে আল্লাহকে একর্টুও ভয় পায়নি ৷ যিনি কঠিন শাস্তিদা৩া ৷ এ ক্রীকারণে

হযরত লুত (আ) বলেছিলেনং : ণ্শ্ৰু-৬ :পুর্চুট্ট

হায়, তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকত অথবা যদি আমি নিতে প র৩ড়াম কোন
শক্তিশালী আশ্রয় ৷ ( ১ ১ : ৮০)

অর্থাৎ তিনি কামনা করেছিলেন সম্প্রদায়কে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যদি হযরত লুতের
থাকত, অথবা তাকে সাহায্যকারী ধনবল বা জনবল যদি থাকত ৩তা হলে তাদের অন্যায় দাবির
উপযুক্ত শাস্তি তিনি দিতে পারতেন ৷

যুহরী (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে মারফুরুপে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বল্যেছন : সন্দেহ প্রকাশের ব্যাপারে আমরা ইব্রাহীম (আ) এর চাইতে বেশি হকদার ৷ আল্লাহ
লুত (আ) এর উপর রহম করুন ৷ কেননা, তিনি শক্তিশালী অবলম্বনের আশ্রয় প্রার্থনা
করেছিলেন ৷ আমি যদি সেই দীর্ঘকাল জেলখানায় অবস্থান করত ৷ম যেমনি ইউসুফ (আ)
করেছিলেন তবে আমি অবশ্যই আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিতাম ৷ এ হাদীস আবুয যিনাদ ভিন্ন
সুত্রেও বর্ণনা করেছেন এবং মুহাম্মদ ইবন আমর (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন;
আল্লাহ লুত (আ)-এর উপর রহমত বর্ষণ করুন ৷ কেননা, তিনি শক্তিশালী অবলম্বন অর্থাৎ
আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করেছিলেন ৷ এরপর থেকে আল্লাহ যত নবী প্রেরণ করেছেন

তাদেরকে নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী করে সৃষ্টি করেছেন ৷ আল্লাহর বাণীং
৷ ট্রুাষ্ট্র৷ র্চুা;ট্রু

(

০১াদ্বুা১

নগরবাসীরা উল্লসিত হয়ে উপস্থিত হলো ৷ সে বলল, ওরা আমার মেহমান, সুতরাং তোমরা

আমাকে বে-ইজ্জত করো না ৷ আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমাকে হেয় করো না ৷ তারা বলল, হে

লুত! আমরা কি ওে ড়ামাকে দুনিয়া শুদ্ধ লোককে আশ্রয় দিতে নিষেধ করিনিন্ধ্র লুত বলল,
তোমাদের একা ৷স্তই যদি কিছু করতে ৩হয় তাহলে আমার এই কন্যাগণ রয়েছে ৷ (১৫০ ৬৭)

হযরত লুত (আ) সম্প্রদায়ের লোকজনকে তাদের ত্রীদের কাছে যেতে আদেশ দেন এবং

তাদের কু-অভ্যাসের উপর অবিচল থাকার মন্দ পরিণতির কথা জানিয়ে দেন যা অচিরেই তাদের


قَتَادَةُ أَنَّهُمْ وَرَدُوا عَلَيْهِ، وَهُوَ فِي أَرْضٍ لَهُ يَعْمَلُ فِيهَا، فَتَضَيَّفُوهُ فَاسْتَحْيَى مِنْهُمْ وَانْطَلَقَ أَمَامَهُمْ، وَجَعَلَ يُعَرِّضُ لَهُمْ فِي الْكَلَامِ لَعَلَّهُمْ يَنْصَرِفُونَ عَنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَيَنْزِلُونَ فِي غَيْرِهَا، فَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَاللَّهِ يَا هَؤُلَاءِ مَا أَعْلَمُ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَهْلَ بَلَدٍ أَخْبَثَ مِنْ هَؤُلَاءِ، ثُمَّ مَشَى قَلِيلًا، ثُمَّ أَعَادَ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ حَتَّى كَرَّرَهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ قَالَ: وَكَانُوا قَدْ أُمِرُوا أَنْ لَا يُهْلِكُوهُمْ حَتَّى يَشْهَدَ عَلَيْهِمْ نَبِيُّهُمْ بِذَلِكَ. وَقَالَ السُّدِّيُّ: خَرَجَتِ الْمَلَائِكَةُ مِنْ عِنْدِ إِبْرَاهِيمَ نَحْوَ قَوْمِ لُوطٍ فَأَتَوْهَا نِصْفَ النَّهَارِ، فَلَمَّا بَلَغُوا نَهْرَ سَدُومَ لَقُوا ابْنَةَ لُوطٍ تَسْتَقِي مِنَ الْمَاءِ لِأَهْلِهَا، وَكَانَتْ لَهُ ابْنَتَانِ اسْمُ الْكُبْرَى أَرِيثَا، وَالصُّغْرَى دَغُوْثَا فَقَالُوا لَهَا: يَا جَارِيَةُ هَلْ مِنْ مَنْزِلٍ؟ فَقَالَتْ لَهُمْ: مَكَانَكُمْ، لَا تَدْخُلُوا حَتَّى آتِيَكُمْ. فَرِقَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ قَوْمِهَا، فَأَتَتْ أَبَاهَا فَقَالَتْ: يَا أَبَتَاهُ أَرَادَكَ فِتْيَانٌ عَلَى بَابِ الْمَدِينَةِ، مَا رَأَيْتُ وُجُوهَ قَوْمٍ قَطُّ هِيَ أَحْسَنَ مِنْهُمْ، لَا يَأْخُذُهُمْ قَوْمُكَ فَيَفْضَحُوهُمْ. وَقَدْ كَانَ قَوْمُهُ نَهَوْهُ أَنْ يُضِيفَ رَجُلًا، فَجَاءَ بِهِمْ، فَلَمْ يَعْلَمْ أَحَدٌ إِلَّا أَهْلُ الْبَيْتِ، فَخَرَجَتِ امْرَأَتُهُ فَأَخْبَرَتْ قَوْمَهَا فَقَالَتْ: إِنَّ فِي بَيْتِ لُوطٍ رِجَالًا مَا رَأَيْتُ مِثْلَ وُجُوهِهِمْ قَطُّ. فَجَاءَهُ قَوْمُهُ يُهْرَعُونَ إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৮


উপর পতিত হবে ৷ কিভু কোন কিছুতে তারা নিবৃত্ত হল না ৷ বরং নবী য৩ ই তাদেরকে
উপদেশ দেন, তারা৩ তই উত্তেজিত হয়ে যেহমানদের কাছে পৌছার চেষ্টা করে ৷ জ্যি রাতের
শেষে তকদীর তাদেরকে কোথায় পৌছিয়ে দেবে তা তাদের আদৌ জানা ছিল না ৷ এ কারণেই
আল্লাহ তা আলা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর জীবনের কসম করে বলেন০ ং



তোমার জীবনের শপথ! ওরা তো মত্ততায় বিমুঢ় হয়েছে ৷ ( ১ ৫ ৭২)
আল্লাহর বাণী৪


এ্যাএ




লুত ওদেরকে আমার কঠে৷ ৷র শাস্তি সম্পর্কে স৩ ক করেছিল ৷ কিন্তু ওরা সতর্কবাণী সম্বন্ধে
বিতণ্ডা শুরু করল ৷ তারা লুতের কাছ থেকে তার মেহমানদেরকে দ বি করল ৷ তখন আমি
ওদের দৃষ্টিশক্তি লোপ করে দিলাম এবং আমি বললাম, আস্বাদন কর আমার শান্তি ও
সতর্কবাণীর পরিণাম ৷ প্রভু ক্তষে বিরামহীন শাস্তি তাদেরকে আঘাত করল ৷ (৫৪০ ৩৬ ৩৮)

মুফাসৃসির ও অন্যান্য আলিম বলেছেন, হযরত লুত (আ) তার সম্প্রদায়কে তার ঘরে
প্রবেশ করতে নিষেধ করেন এবং তাদেরকে বাধা দেন ৷ ঘরের দরজা বন্ধ ছিল ৷ তারা তা খুলে
ভিতরে প্রবেশ করতে উদ্যত হলো ৷ আর হযরত লুত (আ) দরজার বাইরে থােক তাদেরকে
উপদেশ দিতে এবং ড়িতরে যেতে ধারণ করতে থাকেন ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে ম্বাদানুবাদ চলতে
থাকে ৷ অবস্থা যখন সঙ্গীন হয়ে আসল এবং ঘটনা লুত (আ)-এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার
উপক্রম হল; তখন তিনি বললেন, তোমাদের প্রতিহত করার শক্তি যদি আমার থাকত অথবা
কোন শক্তিশালী অবলম্বনের আশ্রয় নিতে পারতাম৩ তবে তােমাদেরকে উপযুক্তশাস্তি প্রদান
“হে লুত! আমরা তোমার প্রতিপালক প্রেরিত ফেরেশতা ৷ ওরা কখনই তোমার কাছে পৌছতে
পারবে না ৷ (১১ : ৮১) )

মুফাসৃসিরগণ উল্লেখ করেন, জিবরাঈল (আ) ঘর থেকে বেরিয়ে তাদের সম্মুখে আসেন
এবং নিজ ডানার এক প্রান্ত দ্বারা হালকাভাবে তাদের চেহারায় আঘাত করেন ৷ ফলে তাদের
দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়ে যায় ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তাদের চোখ সম্পুর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যায় ৷
এমনকি চেহারায় চোখের কোন চিহ্নই অবশিষ্ট রইলাে না ৷ তারপর তারা দেয়াল হাতড়িয়ে
কোন মতে সেখান থেকে ফিরে যায় ৷ আল্লাহর নবী লুত (আ)-কে ধমক দিতে দিতে বলতে
পারে কাল সকালে আমাদের ও তার মধ্যে বোঝাপড়৷ হবে ৷

আল্লাহবলেন৪ )


وَقَوْلُهُ: {وَمِنْ قَبْلُ كَانُوا يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ} [هود: 78] . أَيْ هَذَا مَعَ مَا سَلَفَ لَهُمْ مِنَ الذُّنُوبِ الْعَظِيمَةِ الْكَبِيرَةِ الْكَثِيرَةِ {قَالَ يَا قَوْمِ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي هُنَّ أَطْهَرُ لَكُمْ} [هود: 78] . يُرْشِدُهُمْ إِلَى غِشْيَانِ نِسَائِهِمْ، وَهُنَّ بَنَاتُهُ شَرْعًا؛ لِأَنَّ النَّبِيَّ لِلْأُمَّةِ بِمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ، كَمَا وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ، وَكَمَا قَالَ تَعَالَى: {النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ} [الأحزاب: 6] . وَفِي قِرَاءَةِ بَعْضِ الصَّحَابَةِ وَالسَّلَفِ: " وَهُوَ أَبٌ لَهُمْ ". وَهَذَا كَقَوْلِهِ: {أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ} [الشعراء: 165] [الشُّعَرَاءِ: 165 - 166] . وَهَذَا هُوَ الَّذِي نَصَّ عَلَيْهِ مُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَالرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَهُوَ الصَّوَابُ. وَالْقَوْلُ الْآخَرُ خَطَأٌ مَأْخُوذٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ. وَقَدْ تَصَحَّفَ عَلَيْهِمْ، كَمَا أَخْطَئُوا فِي قَوْلِهِمْ: إِنَّ الْمَلَائِكَةَ كَانُوا اثْنَيْنِ، وَإِنَّهُمْ تَعَشَّوْا عِنْدَهُ، وَقَدْ خَبَّطَ أَهْلُ الْكِتَابِ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ تَخْبِيطًا عَظِيمًا. وَقَوْلُهُ: {فَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ فِي ضَيْفِي أَلَيْسَ مِنْكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ} [هود: 78] نَهْيٌ لَهُمْ عَنْ تَعَاطِي مَا لَا يَلِيقُ مِنَ الْفَاحِشَةِ، وَشَهَادَةٌ عَلَيْهِمْ بِأَنَّهُ لَيْسَ فِيهِمْ رَجُلٌ لَهُ مُسْكَةٌ، وَلَا فِيهِ خَيْرٌ، بَلِ الْجَمِيعُ سُفَهَاءُ فَجَرَةٌ أَقْوِيَاءُ كَفَرَةٌ أَعْتِيَاءُ. وَكَانَ هَذَا مِنْ جُمْلَةِ مَا أَرَادَ الْمَلَائِكَةُ أَنْ يَسْمَعُوا مِنْهُ مِنْ قَبْلِ
পৃষ্ঠা - ৪১৯


ওরা লুতের কাছ থেকে তার যেহমানদেরকে দাবি করল ৷ তখন আমি তাদের দৃষ্টিশক্তি
লোপ করে দিলাম এবং আমি বললামং এখন আমার শান্তি ও সতর্ক বাণীর পরিণাম আস্বাদন
কর ৷ প্রত্যুষে বিরামহীন শান্তি ও তাদের উপর আঘাত হানল ৷ (৫৪ : ৩৭-৩৮)

ফেরেশতাগণ হযরত লুত (আ)-এর কাছে দুটি প্রস্তাব পেশ করেন (১) পরিবার-পরিজন
নিয়ে রাতের শেষে রওয়ানা হয়ে যাবেন (২) কেউ পেছনের দিকে ফিরে তাকাবেন না ৷ অর্থাৎ
সম্প্রদায়ের উপর যখন আমার পতিত হবে এবং আযাবের শব্দ শোনা যাবে তখন কেউ যেন
পশ্চাতে ফিরে না তাকায় ৷ ফেরেশতাগণ আরও জানান যে, তিনি যেন সকলের পেছনে থেকে
সবাইকে পরিচালনা করেন ৷ এ;ৰু, ৰু ৷ ১৷ ৷ এই বাক্যাৎশের দুটি অর্থ হতে পারে ( ১ ) যাওয়ার
সময় তোমার ত্রীকে সাথে নেবে না ৷ এ অবস্থায় ও ; ৷ ,, ৷ এর উপর যবর দিয়ে পড়তে হবে
এবং শুা৷ঞাৰু প্রুা১ থেকে সে ব্যতিক্রম হবে ৷ (২) যাওয়ার পথে দলের কেউ পেছনের
দিকে তড়াকাবে না কিন্তু কেবল তোমার শ্রীই এ নির্দেশ অমান্য করে পেছনের দিকে তাকাবে;
ফলে সম্প্রদায়ের উপর যে আমার আসবে ঐ আযাবে সেও গ্রেফতার হবে ৷ এ অবস্থায় ও ণ্স্পে ৷

; ষ্া র্দুাট্রু;থেকে মুস্তাসৃন৷ (ব্যতিক্রম) হবে ৷ পেশ যুক্ত পাঠ ( ৷ ,, ৷) এ অর্থকে
সমর্থন করে ৷ কিন্তু প্রথম অর্থই অধিকতর স্পষ্ট ৷

সুহায়লী বলেন, লুত (আ)-এর স্তীর নাম ওয়ালিহা এবং নুহ (আ)-এর শ্ৰীর নাম ওয়ালিপা ৷
আগন্তুক ফেরেশতাগণ ঐসব বিদ্রোহী পাপিষ্ঠ, সীমালংঘনকারী নির্বোধ অভিশপ্ত সম্প্রদায়কে
ধ্বংস করা হবে এ সুসংবাদ লুত (আ)-কে শোনান, যারা পরবর্তী যুগের লোকদের জন্যে দৃষ্টান্ত
হয়ে রয়েছে ৷

আল্লাহর বাণী৪ ;, ৷
তাদের প্রতিশ্রুত সময় প্রভাত কাল ৷ আর প্রভাত কাল খুব নিকটে নয় কি?

হযরত লুত (আ) নিজ পরিবারবর্গ নিয়ে বের হয়ে আসেন ৷ পরিবারবর্গ বলতে তার দুটি
কন্যাই মাত্র ছিল ৷ সম্প্রদায়ের অন্য কোন একটি লোকও তার সাথে আসেনি ৷ কেউ কেউ
বলেছেন, তার ত্রীও একই সাথে বের হয়েছিল ৷ কিন্তু সঠিক খবর আল্লাহই ভাল জানেন ৷ তারা
যখন সে এলাকা অতিক্রম করে চলে আসেন এবং সুর্য উদিত হয়, তখন আল্লাহর অলংঘনীয়
নির্দেশ ও অপ্রতিরোধ্য আবার তাদের উপর নেমে আসে ৷ আহলি কিতাবদের মতে
ফেরেশতাগণ হযরত লুত (আ) কে তথায় অবস্থিত একটি পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে বলেন ৷ কিন্তু
হযরত লুত (আ) এর নিকট তা অত্যন্ত দৃংসাধ্য ঠেকে ৷৩ তাই তিনি নিকটবর্তী কোন গ্রামে চলে
যাওয়ার প্রস্তাব দেন ৷ ফেরেশতাগণ বললেন, তাই করপ্স ৷ গ্রামে পৌছে সেখানে স্থিত হওয়া
পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো এবং তারপরই আমরা আমার অবতীর্ণ করব ৷ আহলি কিতাবগণ
বলেন, যে মতে হযরত লুত (আ) গওরযাগর নামক একটি ক্ষুদ্র গ্রামে চলে যান এবং
সুর্যোদয়ের সাথে সাথে তাদের উপর আল্লাহর আমার নেমে আসে ৷

আল্লাহ তাআলা বলেনং :


গ্লু১ ৷ ব্লুর্চু; ৷র্দুপু১


(( ; ,


أَنْ يَسْأَلُوهُ عَنْهُ فَقَالَ قَوْمُهُ عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ الْحَمِيدِ الْمَجِيدِ مُجِيبِينَ لِنَبِيِّهِمْ فِيمَا أَمَرَهُمْ بِهِ مِنَ الْأَمْرِ السَّدِيدِ: {لَقَدْ عَلِمْتَ مَا لَنَا فِي بَنَاتِكَ مِنْ حَقٍّ وَإِنَّكَ لَتَعْلَمُ مَا نُرِيدُ} [هود: 79] . يَقُولُونَ: عَلَيْهِمْ لِعَائِنُ اللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتَ يَا لُوطُ إِنَّهُ لَا أَرَبَ لَنَا فِي نِسَائِنَا، وَإِنَّكَ لَتَعْلَمُ مُرَادَنَا، وَغَرَضَنَا، وَاجَهُوا بِهَذَا الْكَلَامِ الْقَبِيحِ رَسُولَهُمُ الْكَرِيمَ، وَلَمْ يَخَافُوا سَطْوَةَ الْعَظِيمِ ذِي الْعَذَابِ الْأَلِيمِ؛ وَلِهَذَا قَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ} [هود: 80] . وَدَّ أَنْ لَوْ كَانَ لَهُ بِهِمْ قُوَّةٌ أَوْ لَهُ مَنَعَةٌ، وَعَشِيرَةٌ يَنْصُرُونَهُ عَلَيْهِمْ لِيُحِلَّ بِهِمْ مَا يَسْتَحِقُّونَهُ مِنَ الْعَذَابِ عَلَى هَذَا الْخِطَابِ، وَقَدْ قَالَ الزُّهْرِيُّ: عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا «نَحْنُ أَحَقُّ بِالشَّكِّ مِنْ إِبْرَاهِيمَ، وَيَرْحَمُ اللَّهُ لُوطًا لَقَدْ كَانَ يَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ، وَلَوْ لَبِثْتُ فِي السِّجْنِ مَا لَبِثَ يُوسُفُ لَأَجَبْتُ الدَّاعِيَ» . وَرَوَاهُ أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى لُوطٍ لَقَدْ كَانَ يَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ» . يَعْنِي اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ «فَمَا بَعَثَ اللَّهُ بَعْدَهُ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا فِي ثَرْوَةٍ مِنْ قَوْمِهِ» . وَقَالَ تَعَالَى: {وَجَاءَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَسْتَبْشِرُونَ قَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُونِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ قَالُوا أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنِ الْعَالَمِينَ قَالَ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ} [الحجر: 67] . فَأَمَرَهُمْ بِقُرْبَانِ نِسَائِهِمْ، وَحَذَّرَهُمُ الِاسْتِمْرَارَ عَلَى طَرِيقَتِهِمْ وَسَيِّئَاتِهِمْ، هَذَا وَهُمْ فِي ذَلِكَ لَا يَنْتَهُونَ وَلَا يَرْعَوُونَ،
পৃষ্ঠা - ৪২০
بَلْ كُلَّمَا نَهَاهُمْ يُبَالِغُونَ فِي تَحْصِيلِ هَؤُلَاءِ الضِّيفَانِ وَيَحْرِصُونَ، وَلَمْ يَعْلَمُوا مَا حَمَّ بِهِ الْقَدَرُ مِمَّا هُمْ إِلَيْهِ صَائِرُونَ، وَصَبِيحَةَ لَيْلَتِهِمْ مُنْتَقِلُونَ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى مُقْسِمًا بِحَيَاةِ نَبِيِّهِ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ: {لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ} [الحجر: 72] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَنْذَرَهُمْ بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَنْ ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ وَلَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُكْرَةً عَذَابٌ مُسْتَقِرٌّ} [القمر: 36] . ذَكَرَ الْمُفَسِّرُونَ وَغَيْرُهُمْ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ جَعَلَ يُمَانِعُ قَوْمَهُ الدُّخُولَ وَيُدَافِعُهُمْ، وَالْبَابُ مُغْلَقٌ، وَهُمْ يَرُومُونَ فَتْحَهُ وَوُلُوجَهُ وَهُوَ يَعِظُهُمْ وَيَنْهَاهُمْ مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ، فَلَمَّا ضَاقَ الْأَمْرُ، وَعَسُرَ الْحَالُ قَالَ مَا قَالَ: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ} [هود: 80] . لَأَحْلَلْتُ بِكُمُ النَّكَالَ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: {يَا لُوطُ إِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ لَنْ يَصِلُوا إِلَيْكَ} [هود: 81] . وَذَكَرُوا أَنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَرَجَ عَلَيْهِمْ فَضَرَبَ وُجُوهَهُمْ خَفْقَةً بِطَرَفِ جَنَاحِهِ فَطُمِسَتْ أَعْيُنُهُمْ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهَا غَارَتْ بِالْكُلِّيَّةِ، وَلَمْ يَبْقَ لَهَا مَحَلٌّ، وَلَا عَيْنٌ، وَلَا أَثَرٌ فَرَجَعُوا يَتَجَسَّسُونَ مَعَ الْحِيطَانِ، وَيَتَوَعَّدُونَ رَسُولَ الرَّحْمَنِ وَيَقُولُونَ: إِذَا كَانَ الْغَدُ كَانَ لَنَا وَلَهُ شَأنٌ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَنْ ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ وَلَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُكْرَةً عَذَابٌ مُسْتَقِرٌّ} [القمر: 37] . فَذَلِكَ