আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة صالح نبي ثمود عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ৩০২

হযরত সালিহ্ (আ) এর বর্ণনা

ছামুদ একটি ইতিহ্াসপ্রসিদ্ধ জাতি ৷ তাদের পুর্ব-পুরুট্রুষ ছামুদ’ এর নামানুসারে এ জাতির
নামকরণ করা হয়েছে ৷ ছামুদ-এর আর এক ভাই ছিল জুদায়স ৷ তারা উভয়ে আবির ইবন
শ্ইরাম ইবন সাম ইবন নুহ্’-এর পুত্র ৷ এরা ছিল আরবে আরিব৷ তথা আদি আরব সম্প্রদায়ের
লোক ৷ হিজায ও তবুকের মধ্যবর্তী হিজ্বর’ নামক স্থানে তারা বসবাস করত ৷ তবুক যুদ্ধে
যাওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ্ (স) এই পথ দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন এর বংনাি পরে আসছে ৷
আদ জাতির পর ছামুদ জাতির অভুব্রুদয় ঘটে ৷ তাদের মত এরাও মুর্তি পুজা করত ৷ এদেরই
মধ্য থেকে আল্লাহ তার এক বান্দ৷ সালিহ্ (আ) কে রাসুলরুপে প্রেরণ করেন ৷ তার বংশ লতিকা
হচ্ছে : সালিহ্ ইবন অবদ ইবন মাসিহ্ ইবন উবায়দ ইবন হাজির ইবন ছামুদ ইবন আবির ইবন
ইরাম ইবন সাম ইবন নুহ (আ) ৷ তিনি তাদেরকে এক আল্লাহর ইবাদতংকরতে, তার সাথে
কাউকে শরীক না করতে এবং মুর্তিপুজা ও শিরক বর্জসের নির্দেশ ৷দেন ৷ ফলে কিছু স খ্যক
লোক তার প্রতি ঈমা ৷ন আনে ৷ কিন্তু অধিকাংশ লোকই কুফয়ীতে লিপ্ত থা ৷কে এবং কথায়-কাজে
র্তাকে কষ্ট দেয় এমনকি এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করতেও উদ্যত হয় ৷ তারা নবীর সেই
উটনীটিকে হত্যা করে ফেলে যাকে আল্লাহ তাআলা নবুওতের প্ৰমাণস্বরুপ প্রেরণ করেছিলেন ৷

তখন আল্লাহ তাদেরকে শক্তভাবে পাকড়াও করেন এ প্রসং গে সুরা আ’রাফে আল্লাহ বলেনং :

(

৷ এ
,;১ ৷ ; ট্রুাছুা ঞদ্বুঝু১ব্রধ্; , ৷ ধ্;ণ্£৷ ধ্া৷ ৷ ভ্রওন্া; ;এে র্দু ;;মিঃ ন্হ্র; ; ;দ্ব


ণ্ডা ; ষ্ট্রশৃশ্হ্রর্চু এ


ধ্া£র্বৃএ ৷

এখ্রি


;); ;,;;fi
ণ্;র্দু;দ্বু
ণ্এব্লুৰুধুগ্


ণ্ডাএ



পব্শ্




ত্ণ্


[قِصَّةُ صَالِحٍ نَبِيِّ ثَمُودَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] [قِصَّتُهُ مَعَ قَوْمِهِ وَالْمُعْجِزَةُ الَّتِي أَيَّدَهُ اللَّهُ بِهَا] وَهُمْ قَبِيلَةٌ مَشْهُورَةٌ يُقَالُ: ثَمُودُ بِاسْمِ جَدِّهِمْ ثَمُودَ أَخِي جَدِيسٍ، وَهُمَا ابْنَا عَابَرَ بْنِ إِرَمَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، وَكَانُوا عَرَبًا مِنَ الْعَارِبَةِ يَسْكُنُونَ الْحِجْرَ الَّذِي بَيْنَ الْحِجَازِ وَتَبُوكَ، وَقَدْ مَرَّ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ذَاهِبٌ إِلَى تَبُوكَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَكَانُوا بَعْدَ قَوْمِ عَادٍ، وَكَانُوا يَعْبُدُونَ الْأَصْنَامَ كَأُولَئِكَ، فَبَعَثَ اللَّهُ فِيهِمْ رَجُلًا مِنْهُمْ، وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ صَالِحُ بْنُ عَبْدِ بْنِ مَاسِخِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ حَاجِرِ بْنِ ثَمُودَ بْنِ عَابَرَ بْنِ إِرَمَ بْنِ سَامِ بْنِ نُوحٍ، فَدَعَاهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنْ يَخْلَعُوا الْأَصْنَامَ وَالْأَنْدَادَ، وَلَا يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا فَآمَنَتْ بِهِ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ، وَكَفَرَ جُمْهُورُهُمْ، وَنَالُوا مِنْهُ بِالْمَقَالِ وَالْفَعَالِ، وَهَمُّوا بِقَتْلِهِ، وَقَتَلُوا النَّاقَةَ الَّتِي جَعَلَهَا اللَّهُ حُجَّةً عَلَيْهِمْ، فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ أَخْذَ عَزِيزٍ مُقْتَدِرٍ، كَمَا قَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ قَدْ جَاءَتْكُمْ بَيِّنَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ هَذِهِ نَاقَةُ اللَّهِ لَكُمْ آيَةً فَذَرُوهَا تَأْكُلْ فِي أَرْضِ اللَّهِ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ وَاذْكُرُوا إِذْ جَعَلَكُمْ خُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِ عَادٍ وَبَوَّأَكُمْ فِي الْأَرْضِ تَتَّخِذُونَ مِنْ سُهُولِهَا قُصُورًا وَتَنْحِتُونَ الْجِبَالَ بُيُوتًا فَاذْكُرُوا آلَاءَ اللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ قَالَ الْمَلَأُ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا مِنْ قَوْمِهِ لِلَّذِينَ اسْتُضْعِفُوا لِمَنْ آمَنَ مِنْهُمْ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ صَالِحًا مُرْسَلٌ مِنْ رَبِّهِ قَالُوا إِنَّا بِمَا أُرْسِلَ بِهِ مُؤْمِنُونَ قَالَ الَّذِينَ اسْتَكْبَرُوا إِنَّا بِالَّذِي آمَنْتُمْ بِهِ كَافِرُونَ فَعَقَرُوا النَّاقَةَ وعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ وَقَالُوا يَا صَالِحُ ائْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ فَأَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ فَأَصْبَحُوا فِي دَارِهِمْ جَاثِمِينَ فَتَوَلَّى عَنْهُمْ وَقَالَ يَا قَوْمِ لَقَدْ أَبْلَغْتُكُمْ رِسَالَةَ رَبِّي وَنَصَحْتُ لَكُمْ وَلَكِنْ لَا تُحِبُّونَ النَّاصِحِينَ} [الأعراف: 73] [الْأَعْرَافِ: 73 - 79] .
পৃষ্ঠা - ৩০৩


ছামুদ জাতির নিকট তাদের স্ব গােত্রীয় সালিহ্কে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলেছিল, হে আমার
সম্প্রদায় ৷ তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ নেই ৷
তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে ৷ আল্লাহর এ
উটনীটি তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ একে আল্লাহর যমীনে চরে খেতে দাও এবং একে
কোন ক্লেশ দিও না ৷ৰুদািল তোমাদের উপর মর্মন্তুদ শাস্তি আপতিত হবে ৷ স্মরণ কর, আদ
জাতির পর তিনি তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন, তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে
এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে, তোমরা সমতল ভুমিতে প্রাসাদ ও পাহাড় কেটে বাস-গৃহ
নির্মাণ করছ ৷ সুতরাং আল্লাহর অৰুণ্নহ্ স্মরণ কর এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটিয়ো না ৷

তার সম্প্রদায়ের দান্বিক প্রধানরা সেই সম্প্রদায়ের ঈমানদার যাদের দুর্বল মনে করা হত
তাদের বলল, তোমরা কি জান যে, সালিহ্ আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত ? তারা বলল, তার প্রতি যে
বাণী প্রেরিত হয়েছে আমরা তাতে বিশ্বাসী ৷ দান্বিকেরা বলল, তোমরা যা বিশ্বাস কর আমরা তা
প্রত্যাখ্যান করি ৷ তখন তারা সেই উটনীটি বধ করে এবং আল্লাহ্র আদেশ অমান্য করে এবং
বলে, হে সাব্দিহ্! তুমি রাসুল হলে আমাদের যার ভয় দেখাচ্ছ তা নিয়ে এসো ৷ ’ তারপর তারা
ভুমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হয় ৷ ফলে তাদের প্রভাত হল নিজ গৃহে অবঃমুখে পতিত অবস্থায় ৷
তারপর সে তাদের নিকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল, হে আমার সম্প্রদায় ৷ আমি তো
আমার প্রতিপালকের বাণী তোমাদের নিকট পৌহিয়েছিলাম এবং তোমাদেরকে হিতোপদেশ
দিয়েছিলাম কিন্তু তোমরা তো হিতাকাত্তক্ষীদেরকে পছন্দ কর না ৷ ’ (সুরা আরাফ , ৭৩ ৭৯ )

সুরা হ্রদে আল্লাহ বলেন


ক্ট্রহুষ্; ধ্৷ ৷ ’

ান্তিাশুা৷া

)

গ্র



?

া৷প্রু;







وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ هُودٍ: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ هُوَ أَنْشَأَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ وَاسْتَعْمَرَكُمْ فِيهَا فَاسْتَغْفِرُوهُ ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ إِنَّ رَبِّي قَرِيبٌ مُجِيبٌ قَالُوا يَا صَالِحُ قَدْ كُنْتَ فِينَا مَرْجُوًّا قَبْلَ هَذَا أَتَنْهَانَا أَنْ نَعْبُدَ مَا يَعْبُدُ آبَاؤُنَا وَإِنَّنَا لَفِي شَكٍّ مِمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ مُرِيبٍ قَالَ يَا قَوْمِ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كُنْتُ عَلَى بَيِّنَةٍ مِنْ رَبِّي وَآتَانِي مِنْهُ رَحْمَةً فَمَنْ يَنْصُرُنِي مِنَ اللَّهِ إِنْ عَصَيْتُهُ فَمَا تَزِيدُونَنِي غَيْرَ تَخْسِيرٍ وَيَا قَوْمِ هَذِهِ نَاقَةُ اللَّهِ لَكُمْ آيَةً فَذَرُوهَا تَأْكُلْ فِي أَرْضِ اللَّهِ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ قَرِيبٌ فَعَقَرُوهَا فَقَالَ تَمَتَّعُوا فِي دَارِكُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ ذَلِكَ وَعْدٌ غَيْرُ مَكْذُوبٍ فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا نَجَّيْنَا صَالِحًا وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مِنَّا وَمِنْ خِزْيِ يَوْمِئِذٍ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ وَأَخَذَ الَّذِينَ ظَلَمُوا الصَّيْحَةُ فَأَصْبَحُوا فِي دِيَارِهِمْ جَاثِمِينَ كَأَنْ لَمْ يَغْنَوْا فِيهَا أَلَا إِنَّ ثَمُودَ كَفَرُوا رَبَّهُمْ أَلَا بُعْدًا لِثَمُودَ} [هود: 61] [الْحِجْرِ: 80 - 84] . وَقَالَ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى فِي سُورَةِ سُبْحَانَ: {وَمَا مَنَعَنَا أَنْ نُرْسِلَ بِالْآيَاتِ إِلَّا أَنْ كَذَّبَ بِهَا الْأَوَّلُونَ وَآتَيْنَا ثَمُودَ النَّاقَةَ مُبْصِرَةً فَظَلَمُوا بِهَا وَمَا نُرْسِلُ بِالْآيَاتِ إِلَّا تَخْوِيفًا} [الإسراء: 59] .
পৃষ্ঠা - ৩০৪


ছামুদ জাতির নিকট তাদের স্বগােত্রীয় সালিহ্কে পাঠিয়েছিলাম ৷ সে বলেছিল, হে আমার
সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নেই ৷
তিনি তােমাদেরকে ভুমি থেকে সৃষ্টি করেছেন ৷ এবং তাংজী তিনি তােমাদেরকে বসবাস
করিয়েছেন ৷ সুতরাং তার ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তার দিকেই প্রত্যাবর্তন কর ৷ আমার প্রতিপালক
নিকটেই, তিনি আহ্বানে সাড়া দেন ৷ ’ তারা বলল, হে সালিহ্! এর পুর্বে তুমি ছিলে আমাদের
আশা-স্থল ৷ তুমি কি আমাদেরকে নিষেধ করছ ইবাদত করতে তাদের, যাদের ইবাদত করত
আমাদের পিতৃ-পুরুষরাঃ আমরা অবশ্যই বিভ্রড়াস্তিকর সন্দেহ পোষণ করি যে বিষয়ে, যার প্ৰতি
তুমি আমাদেরকে আহ্বান করছ ৷ ’ সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় ! তােমরাৰুকি ভেবে দেখেছ,
আমি যদি আমার প্ৰতিপালক প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি এবং তিনি যদি আমাকে
তার নিজ অনুগ্নহ দান করে থাকেন, তবে আল্লাহ্র শাস্তি থােক আমাকে কে রক্ষা করবে, আমি
যদি তার অৰাধ্যতা করি? সুতরাং তোমরা তো কেবল আমার ক্ষতিই বাড়িয়ে দিচ্ছ ৷

হে আমার সম্প্রদায় ! আল্লাহর এ উটনীটি তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ একে আল্লাহর
যমীনে চরে খেতে দাও ৷ একে কোন ক্লেশ দিও না, ক্লেশ দিলে আশু শাস্তি তোমাদের উপর
আপতিত হবে ৷’ কিন্তু তারা ওকে বধ করল ৷ তারপর সে বলল, তোমরা তোমাদের ঘরে
তিনদিন জীবন উপভোগ করে লও ৷ এই একটি প্রতিশ্রুতি যা মিথ্যা হবার নয় ৷ এবং যখন
আমার নির্দেশ আসল, তখন আমি সালিহ্ ও তার সংগে যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে আমার
অনুযহে রক্ষা করলাম এবং রক্ষা করলাম সে দিনের লাঞ্জুনা হতে ৷ তোমার প্রতিপালক তো
শক্তিমান, পরাক্রমশালী ৷ তারপর যারা সীমালংঘন করেছিল মহা নাদ তাদেরকে আঘাত করল,
ফলে ওরা নিজ নিজ ঘরে নতজানু অবস্থায় শেষ হয়ে গেল ৷ যেন তারা সেথায় কখনও বসবাস
করেনি ৷ জেনে ব্লেখ ছামুদ জাতি তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করেছিল ৷ জোন রেখা
ধ্বংসই হল ছামুদ জাতির পরিণাম (সুরা হ্রদ : ৬ ১ ৬৮)

সুরা হিজরে আল্লাহ বলেন প্

৷ ১র্দুদ্বু ^এওর্দ্র,



হিজ্বরবাসিগণও রাসুলপ ণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছিল ৷ আমি তাদেরকে আমার নিদর্শন
দিয়েছিলাম, কিত্তু তারা তা উপেক্ষা করেছিল ৷ তারা পাহাড় কেটে ঘর তৈরি করত নিরাপদ
বাসের জন্যে ৷ তারপর প্রভাতকালে এক মহা নাদ তাদেরকে আঘাত করল ৷ সুতরাং তারা যা

অর্জন করেছিল তা তাদের কোন কাজে আসেনি ৷ (সুরা হিজ্বর : ৮০ ৮৪ )
সুরা ইসৃরায় আল্লাহ বলেন ং


১ ;এণ্;১ ,




وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الشُّعَرَاءِ: {كَذَّبَتْ ثَمُودُ الْمُرْسَلِينَ إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ صَالِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ أَتُتْرَكُونَ فِي مَا هَاهُنَا آمِنِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ قَالُوا إِنَّمَا أَنْتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ مَا أَنْتَ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا فَأْتِ بِآيَةٍ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ قَالَ هَذِهِ نَاقَةٌ لَهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَعْلُومٍ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا نَادِمِينَ فَأَخَذَهُمُ الْعَذَابُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ} [الشعراء: 141] [النَّمْلِ: 45 - 53] .
পৃষ্ঠা - ৩০৫


পুর্ববর্তিগণ কর্তৃক নিদর্শন অস্বীকার করাই আমাকে নিদর্শন প্রেরণ করা থেকে বিরত
রাখে ৷ আমি শিক্ষাপ্রদ নিদর্শম্স্বরুপ ছামুদ জাতিকে উটনী দিয়েছিলাম , অতঃপর তারা ওর প্রতি
জুলম করেছিল ৷ আমি ডীতি প্রদর্শনের জন্যেই নিদর্শন প্রেরণ করি ৷ (সুরা ইস্রা : ৫৯)

সুরা শু আরায় আল্লাহ বলেন০ ং



র্চু,র্নাষ্ ৷ (াঠোএ
,;ৰুপ্লু ৷
এ?
০ঠুএে

প্রুব্লুক্ট্রাএাস্া৷ৰুকুঝু;এে



ছামুদ সম্প্রদায় রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল ৷ যখন ওদের স্বগােত্রীয় সালিহ্ তাদেরকে
বলল, তােমরা কি সাবধান হবে না ? আমি তাে৫ তামাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসুল ৷ অতএব,
আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার অ ৷নুগতা কর, আমি তে ড়ামাদের নিকট এর জন্যে কোন প্ৰতিদান
চাই না; আমার পুরস্কার তো জগতসমুহের প্রতিপালকের নিকটেই আছে ৷ তােমাদেরকে কি
নিরাপদে ছেড়ে রাখা হবে, যা এখানে আছে তাতে-উদ্যানে, প্ৰস্রবণে ও শস্যক্ষেত্রে এবং
সুকোমল গুচ্ছবিশিষ্ট খেজুর বাগানে? তোমরা তো নৈপুণ্যের সাথে পাহাড় কেটে ঘর তৈরি
করছ ৷ তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অ ৷নুগতা কর এবং সীমালং ঘনকারীদের আদেশ
মান্য করে৷ না ৷

যারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, শাস্তি স্থাপন করে না তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্নস্তদের
অন্যতম ৷ তুমি তো আমাদের মত একজন মানুষ, কাজেই তুমি যদি স৩ তাবাদী হও একটি
নিদর্শন উপ তকর ৷ সালিহ্ বলল, এই যে উটনী , এর জন্যে আছে পানি পারুনব পালা এবং
তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা, নির্ধারিত এক এক দিনে; এবং এর কোন অনিষ্ট
সাধন করে৷ না, করলে মহা দিবসের শাস্তি৫ তামাদের উপর আপতিত হবে ৷ কিন্তু ওরা ওকে
বধ করল, পরিণামে ওরা অনুতপ্ত হল ৷৩ তারপর শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করল ৷ এতে অবশ্যই
রয়েছে নিদর্শন, কিন্তু তাদের অধিকাৎশই মু’মিন নয় ৷ তোমার প্রতিপালক, তিনি তো
পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু ৷ (সুরা শুআরা,৪ ১ : ১ ১ ৫৯)


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ حم السَّجْدَةِ: {وَأَمَّا ثَمُودُ فَهَدَيْنَاهُمْ فَاسْتَحَبُّوا الْعَمَى عَلَى الْهُدَى فَأَخَذَتْهُمْ صَاعِقَةُ الْعَذَابِ الْهُونِ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ وَنَجَّيْنَا الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ} [فصلت: 17] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ اقْتَرَبَتْ: {كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِالنُّذُرِ فَقَالُوا أَبَشَرًا مِنَّا وَاحِدًا نَتَّبِعُهُ إِنَّا إِذًا لَفِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ أَؤُلْقِيَ الذِّكْرُ عَلَيْهِ مِنْ بَيْنِنَا بَلْ هُوَ كَذَّابٌ أَشِرٌ سَيَعْلَمُونَ غَدًا مَنِ الْكَذَّابُ الْأَشِرُ إِنَّا مُرْسِلُو النَّاقَةِ فِتْنَةً لَهُمْ فَارْتَقِبْهُمْ وَاصْطَبِرْ وَنَبِّئْهُمْ أَنَّ الْمَاءَ قِسْمَةٌ بَيْنَهُمْ كُلُّ شِرْبٍ مُحْتَضَرٌ فَنَادَوْا صَاحِبَهُمْ فَتَعَاطَى فَعَقَرَ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ صَيْحَةً وَاحِدَةً فَكَانُوا كَهَشِيمِ الْمُحْتَظِرِ وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ} [القمر: 23] [الشَّمْسِ: 11 - 15] . وَكَثِيرًا مَا يَقْرِنُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ بَيْنَ ذِكْرِ عَادٍ وَثَمُودَ، كَمَا فِي سُورَةِ بَرَاءَةَ، وَإِبْرَاهِيمَ، وَالْفُرْقَانِ، وَسُورَةِ ص، وَسُورَةِ ق، وَالنَّجْمِ، وَالْفَجْرِ. وَيُقَالُ: إِنَّ هَاتَيْنِ الْأُمَّتَيْنِ لَا يَعْرِفُ خَبَرَهُمَا أَهْلُ الْكِتَابِ، وَلَيْسَ لَهُمَا ذِكْرٌ فِي كِتَابِهِمُ التَّوْرَاةِ، وَلَكِنْ فِي الْقُرْآنِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ مُوسَى أَخْبَرَ عَنْهُمَا، كَمَا قَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ إِبْرَاهِيمَ: {وَقَالَ مُوسَى إِنْ تَكْفُرُوا أَنْتُمْ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا فَإِنَّ اللَّهَ لَغَنِيٌّ حَمِيدٌ أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَبَأُ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ وَالَّذِينَ مِنْ بَعْدِهِمْ لَا يَعْلَمُهُمْ إِلَّا اللَّهُ جَاءَتْهُمْ رُسُلُهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ} [إبراهيم: 8] [إِبْرَاهِيمَ: 8 - 9] .
পৃষ্ঠা - ৩০৬


সুরা নামলে আল্লাহ্ বলেন :
»))







ঠোা৷া

আমি অবশ্যই ছামুদ সম্প্রদায়ের নিকট তাদের স্বগােত্রীয় সাশিহ্ৰে পাঠিশ্নেছিলড়াম এ
আদেশসহ্, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, ফিষু ওরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে বিতর্কে লিপ্ত হল ৷ সে
বলল, হে আমার সম্প্রদায় ! তোমরা কেন কদ্যাণের পুর্বে অকদ্যাণ ত্বরান্বিত করতে চষো কেন
তোমরা অন্মোহ্রনিকট কমা প্রার্থনা করহ না, যাতে তোমরা অনুগ্রহ্ভাৰ্স হতে পার? তারা
বলল, তোমাকে ও তোমার সংগে যারা আছে তাদের আমরা অমংণণের কারণ মনে করি ৷ ’
সাশিহ্ কাল, তােমাদের শুভাশুত অস্লোহ্র ইধ্তিন্নাচর, বন্তুত তোমরা এমন এক সম্প্রদায়
যাদেরকে পরীক্ষা করা হসেহ্ ৷ ’

আের সে শহরে ছিল এমন নয় ব্যক্তি, সারা দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করত এবং সৎকর্ম করত
না ৷ তারা বলল, তোমরা আল্পাহ্র নামে শপথ স্হ্ণ কর, “আমরা রাতের বেলা তাকে ও তার
পরিবার-পরিজনকে অবশ্যই আক্রমণ করব, তারপর তার অতিতাবককে নিশ্চয় বলব, তার
পরিবার-পরিজনের হত্যা আমরা প্রত্যক্ষ করিনি; আমরা অবশ্যই সত্যবাদী ৷ ’ তারা এক চক্রাস্ত
করেহাি এবংআষিও এক কৌশল অবলণ্স করলাম, জ্যি ওরা বুঝতে পারেনি ৷ অতএব দেশ,
তাদের চল্যাংষ্র পয়িণাম ৰী লোঃষ্আমি অবশ্যই তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়ের সকলকে
ধ্বংস করেছি ৷ এই তো ওদের ঘরবাড়ি-ষ্ সীমাবংঘনের কারণে যা জনশুন্য অবস্থায় পড়ে
আহে; এতে আনী-সম্প্রদান্নের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে এবং যারা মু শিব ও মুত্তাকী হিল
তাঃদরকে আমি মোঃ কব্লেইি ৷ (সুরা নামল : : ৫ ৫৩) ,

সুরা হা-মীমআসসাম্যায় আরাহ্র বাণী :

৷ ;
; ৷


আল-ৰিদারা ওয়ান নিহারা (১ম খলোঃণোণ্ডুট্রোন্ম্রন্মোঃজ্যো

الْآيَةَ الظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا مِنْ تَمَامِ كَلَامِ مُوسَى مَعَ قَوْمِهِ، وَلَكِنْ لَمَّا كَانَ هَاتَانِ الْأُمَّتَانِ مِنَ الْعَرَبِ لَمْ يَضْبِطُوا خَبَرَهُمَا جَيِّدًا، وَلَا اعْتَنَوْا بِحِفْظِهِ، وَإِنْ كَانَ خَبَرُهُمَا كَانَ مَشْهُورًا فِي زَمَانِ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا كُلِّهِ فِي التَّفْسِيرِ مُسْتَقْصًى، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَالْمَقْصُودُ الْآنَ ذِكْرُ قِصَّتِهِمْ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَكَيْفَ نَجَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَنْ آمَنَ بِهِ. وَكَيْفَ قَطَعَ دَابِرَ الْقَوْمِ الَّذِينَ ظَلَمُوا بِكُفْرِهِمْ وَعُتُوِّهِمْ، وَمُخَالَفَتِهِمْ رَسُولَهُمْ عَلَيْهِ السَّلَامُ، قَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُمْ كَانُوا عَرَبًا، وَكَانُوا بَعْدَ عَادٍ، وَلَمْ يَعْتَبِرُوا بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ؛ وَلِهَذَا قَالَ لَهُمْ نَبِيُّهُمْ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ قَدْ جَاءَتْكُمْ بَيِّنَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ هَذِهِ نَاقَةُ اللَّهِ لَكُمْ آيَةً فَذَرُوهَا تَأْكُلْ فِي أَرْضِ اللَّهِ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ وَاذْكُرُوا إِذْ جَعَلَكُمْ خُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِ عَادٍ وَبَوَّأَكُمْ فِي الْأَرْضِ تَتَّخِذُونَ مِنْ سُهُولِهَا قُصُورًا وَتَنْحِتُونَ الْجِبَالَ بُيُوتًا فَاذْكُرُوا آلَاءَ اللَّهِ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ} [الأعراف: 73] . أَيْ إِنَّمَا جَعَلَكُمْ خُلَفَاءَ مِنْ بَعْدِهِمْ لِتَعْتَبِرُوا بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَتَعْمَلُوا بِخِلَافِ عَمَلِهِمْ، وَأَبَاحَ لَكُمْ هَذِهِ الْأَرْضَ تَبْنُونَ فِي سُهُولِهَا الْقُصُورَ، {وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ} [الشعراء: 149] . أَيْ حَاذِقِينَ فِي صَنْعَتِهَا وَإِتْقَانِهَا وَإِحْكَامِهَا، فَقَابِلُوا نِعْمَةَ اللَّهِ بِالشُّكْرِ وَالْعَمَلِ الصَّالِحِ وَالْعِبَادَةِ لَهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَإِيَّاكُمْ وَمُخَالَفَتَهُ، وَالْعُدُولَ عَنْ طَاعَتِهِ
পৃষ্ঠা - ৩০৭


আর ছামুদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার তো এই যে, আমি তাদেরকে পথ-নির্দেশ করেছিলাম, কিন্তু
তারা সৎপথের পরিবর্তে ভ্রান্তপথ অবলম্বন, করেছিল ৷ তারপর তাদেরকে লাঞ্চুনাদায়ক শাস্তি
আঘাত হানল তাদের কৃতকর্মের পরিণামস্বরুপ ৷ আমি উদ্ধার করলাম তাদেরকে যারা ঈমান
এনেছিল এবং তাকওয়া অবলম্বন করত ৷ (সুরা হা-মীম-আসৃ-সাজদা : ১ ৭ : ১৮)

সুরা বব্লুমারে অশ্রুাল্পাহ্ বনুেন ও ৫ &
(
পুৰুণ্ড্রহ্র

র্চ১
; ঠেহু র্টু,ণ্,ম্প্ও




ষ্এশ্প্

ম্পে র্গে

ছামুদ সম্প্রদায় সতর্ককারিগণকে যিথ্যাবাদী বলেছিল ৷ তারা বলেছিল , আমরা কি
আমাদেরই এক ব্যক্তির অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথপামী এবং উন্মাদরুপে গণ্য হ্ব ৷
আমাদের মধ্যে কি ওরই প্রতি প্রত্যাদেশ হয়ােছানা, সে তাে একজন মিথ্যাবাদী,,দাষিক ৷
আগামীকাল তারা জানবে, কে যিথ্যাবাদী, দাম্বিক ৷ আমি তাদের পরীক্ষার জন্যে পাঠিয়েছি এক
উটনী ৷ অতএব, তৃমি ওদের আচরণ লক্ষ্য কর এবং ধৈর্যশীল হও ৷ এবং ওদেরকে জানিয়ে দাও
যে, ওদের মধ্যে পানি বন্টন নির্ধারিত এবং পানির অংশের জন্যে প্ৰতেদ্রকে উপস্থিত হয়ে
পালাক্রমে ৷ তারপর তারা তাদের এক সংগীকে আহ্বান করল, যে ওকে ধরে হত্যা করল ৷ কী
কঠোর ছিল আমার শান্তি ও সতকবািণী! আমি ওদেরকে আঘাত হেনেছিলাম এক মহানাদ দ্বারা;
ফলে ওরা হয়ে গেল শৌয়াড় প্রন্তুতকারীর বিখণ্ডিত শুকনো শাখা-প্রশাখার মত ৷ আমি কুরআন
সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্যে; অতএব, উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি ? (সুরা

কামারং ২৩-৩২)



, ৷র্বৃর্চুহুদ্বু ট্রু;াছু£ রুিাট্রু
ছামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতাবশত অস্বীকার করেছিল ৷ তাদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাগ্য, সে
যখন তৎপর হয়ে উঠল, তখন আল্লাহর রাসুল তাদেরকে বলল, আল্লাহর উটনী এবং ওকে পানি
পান করাবার বাপারে সাবধান হও ৷ কিন্তু তারা রাসুলকে অস্বীকার করে এবং ওকে কেটে
ফেলে ৷ তাদের পাপের জন্যে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সমুলে ধ্বংস করে একাকার করে

দিলেন এবং এর পরিণামের জন্যে আল্লাহর আশংকা করার কিছু নেই ৷ (সুরা শামৃস : ১ ১ ১ ৫)


فَإِنَّ عَاقِبَةَ ذَلِكَ وَخِيمَةٌ؛ وَلِهَذَا وَعَظَهُمْ بِقَوْلِهِ: {أَتُتْرَكُونَ فِي مَا هَاهُنَا آمِنِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ} [الشعراء: 146] . أَيْ مُتَرَاكِمٌ كَثِيرٌ حَسَنٌ بَهِيٌّ نَاضِجٌ {وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ} [الشعراء: 149] . وَقَالَ لَهُمْ أَيْضًا: {يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ هُوَ أَنْشَأَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ وَاسْتَعْمَرَكُمْ فِيهَا} [هود: 61] . أَيْ هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ فَأَنْشَأَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ وَجَعَلَكُمْ عُمَّارَهَا. أَيْ أَعْطَاكُمُوهَا بِمَا فِيهَا مِنَ الزُّرُوعِ وَالثِّمَارِ فَهُوَ الْخَالِقُ الرَّزَّاقُ فَهُوَ الَّذِي يَسْتَحِقُّ الْعِبَادَةَ وَحْدَهُ لَا سِوَاهُ فَاسْتَغْفِرُوهُ، ثُمَّ تُوبُوا إِلَيْهِ. أَيْ أَقْلِعُوا عَمَّا أَنْتُمْ فِيهِ، وَأَقْبِلُوا عَلَى عِبَادَتِهِ فَإِنَّهُ يَقْبَلُ مِنْكُمْ، وَيَتَجَاوَزُ عَنْكُمْ {إِنَّ رَبِّي قَرِيبٌ مُجِيبٌ قَالُوا يَا صَالِحُ قَدْ كُنْتَ فِينَا مَرْجُوًّا قَبْلَ هَذَا} [هود: 61] . أَيْ قَدْ كُنَّا نَرْجُو أَنْ يَكُونَ عَقْلُكَ كَامِلًا قَبْلَ هَذِهِ الْمَقَالَةِ، وَهِيَ دُعَاؤُكَ إِيَّانَا إِلَى إِفْرَادِ الْعِبَادَةِ لِلَّهِ وَحْدَهُ، وَتَرْكِ مَا كُنَّا نَعْبُدُهُ مِنَ الْأَنْدَادِ، وَالْعُدُولِ عَنْ دِينِ الْآبَاءِ وَالْأَجْدَادِ؛ وَلِهَذَا قَالُوا: {أَتَنْهَانَا أَنْ نَعْبُدَ مَا يَعْبُدُ آبَاؤُنَا وَإِنَّنَا لَفِي شَكٍّ مِمَّا تَدْعُونَا إِلَيْهِ مُرِيبٍ قَالَ يَا قَوْمِ أَرَأَيْتُمْ إِنْ كُنْتُ عَلَى بَيِّنَةٍ مِنْ رَبِّي وَآتَانِي مِنْهُ رَحْمَةً فَمَنْ يَنْصُرُنِي مِنَ اللَّهِ إِنْ عَصَيْتُهُ فَمَا تَزِيدُونَنِي غَيْرَ تَخْسِيرٍ} [هود: 62] . وَهَذَا تَلَطُّفٌ مِنْهُ لَهُمْ فِي الْعِبَارَةِ وَلِينِ الْجَانِبِ، وَحُسْنُ تَأَتٍّ فِي الدَّعْوَةِ لَهُمْ إِلَى الْخَيْرِ. أَيْ فَمَا ظَنُّكُمْ إِنْ كَانَ الْأَمْرُ كَمَا أَقُولُ لَكُمْ، وَأَدْعُوكُمْ إِلَيْهِ؟ مَاذَا عُذْرُكُمْ عِنْدَ اللَّهِ؟ وَمَاذَا يُخَلِّصُكُمْ بَيْنَ يَدَيْهِ؟ وَأَنْتُمْ تَطْلُبُونَ مِنِّي أَنْ أَتْرُكَ دُعَاءَكُمْ إِلَى طَاعَتِهِ؟ وَأَنَا لَا
পৃষ্ঠা - ৩০৮


আল্লাহ্ কুরআনের বহু স্থানে আদ ও ছামুদ জাতির উল্লেখ একসাথে পাশাপাশি করেছেন ৷
যেমন সুরা বারাআত, সুরা ইব্রাহীম, সুরা ফুরকান, সুরা সাদ, সুরা কাফ, সুরা নাজ্বম ও সুরা
ফজ্বর ৷ বলা হয়ে থাকে যে, এই দুটি জাতিপ্সষ্পর্কে আহ্লিকিতাবরা কিছুই জানতো না এবং
তাদের তাওরাত কিতাবেও এ সম্পর্কে কোন উল্লেখ নেই ৷ কিণ্ডু পবিত্র কুরআন থেকে প্রমাণ
পাওয়া যায় যে, হযরত মুসা (আ) এ দুই জাতি সম্পর্কে তার সম্প্রদায়কে অবগত করেছিলেন ৷
যেমন সুরা ইবরাহীমে আছে





মুসা বলেছিল, তোমরা এবং পৃথিবীর সকলেই যদি অকৃতজ্ঞ হও, তথাপি আল্লাহ
অমুখাপেক্ষী এবং প্রশংসাহ ৷ তোমাদের নিকট কি সংবাদ আসেনি তোমাদের পুর্ববত্মীদর
নুহের সম্প্রদায়ের, আদের ও ছামুদদের এবং তাদের পরবর্তীদের? তাদের বিষয় আল্লাহ
ব্যতীত অন্য কেউ জানে না ৷ তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাদের রাসুল এসেহিল (সুরা

ইবরাহীম৪ ৮ ৯)

এ আয়াত থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, এখানে সবগুলো কথাই মুসা (আ)-এর যা
তিনি নিজের জাতির উদ্দেশে বলেছিলেন ৷ কিন্তু আদ ও ছামুদ সম্প্রদায় দুটি যেহেতু আরব
জাতির অন্তর্ভুক্ত, তাই বনী ইসরাঈলরা এদের ইতিহাস ভালভাবে সংরক্ষণ করেনি এবং
গুরুত্ব-সহকারে স্মরণও রাখেনি; যদিও মুসা (আ) এর সময়ে বনী ইসরাঈলদের মধ্যে তাদের
ঘটনা মশহুর ছিল ৷ আমার তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ সমস্ত

ৎসাই আল্লাহর ৷

এখন ছামুদ জা ৷তির অবস্থা ও তাদের ঘটনা বর্ণনা করাই আমাদের উদ্দেশ্য ৷ অর্থাৎ আল্লাহ্
তার নবী হযরত সালিহ (আ)-কে ও যারা তার উপর ঈমান এনেছিল তাদেরকে কিভাবে আমার
থেকে র্বাচিয়ে রাখেন, আর রাসুলের বিরুদ্ধাচরণকাৰী, অত্যাচারী কাফিরদেরকে কিভাবে নির্মুল
করেছিলেন এখন তা বর্ণনা করা হবে ৷ পুর্বেই বলা হয়েছে যে, ছামুদ সম্প্রদায় জাতিতে ছিল
আরব ৷ আদ সম্প্রদায়ের ধ্ব স হবার পর ছামুদ সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হয় ৷ তারা তাদের অবস্থা

থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করেনি ৷ এ কারণেই তাদের নবী তাদেরকে বলেছিলেন ং




?


ণ্ওঠ১শ্লো

ৰু
র্ভ, )ব্লু১এি ষ্




يُمْكِنُنِي هَذَا؛ لِأَنَّهُ وَاجِبٌ عَلَيَّ، وَلَوْ تَرَكْتُهُ لَمَا قَدَرَ أَحَدٌ مِنْكُمْ وَلَا مِنْ غَيْرِكُمْ أَنْ يُجِيرَنِي مِنْهُ، وَلَا يَنْصُرَنِي فَأَنَا لَا أَزَالُ أَدْعُوكُمْ إِلَى اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ، وَقَالُوا لَهُ أَيْضًا: {إِنَّمَا أَنْتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ} [الشعراء: 185] . أَيْ مِنَ الْمَسْحُورِينَ. يَعْنُونَ مَسْحُورًا لَا تَدْرِي مَا تَقُولُ فِي دُعَائِكَ إِيَّانَا إِلَى إِفْرَادِ الْعِبَادَةِ لِلَّهِ وَحْدَهُ، وَخَلْعِ مَا سِوَاهُ مِنَ الْأَنْدَادِ. وَهَذَا الْقَوْلُ عَلَيْهِ الْجُمْهُورُ أَنَّ الْمُرَادَ بِالْمُسَحَّرِينَ الْمَسْحُورُونَ. وَقِيلَ: مِنَ الْمُسَحَّرِينَ. أَيْ مِمَّنْ لَهُ سَحْرٌ وَهِيَ الرِّئَةُ كَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ: إِنَّمَا أَنْتَ بَشَرٌ لَهُ سَحْرٌ. وَالْأَوَّلُ أَظْهَرُ لِقَوْلِهِمْ بَعْدَ هَذَا: {مَا أَنْتَ إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُنَا} [الشعراء: 154] . وَقَوْلُهُمْ: {فَأْتِ بِآيَةٍ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ} [الشعراء: 154] . سَأَلُوا مِنْهُ أَنْ يَأْتِيَهُمْ بِخَارِقٍ يَدُلُّ عَلَى صِدْقِ مَا جَاءَهُمْ بِهِ {قَالَ هَذِهِ نَاقَةٌ لَهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَعْلُومٍ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ} [الشعراء: 155] . وَقَالَ: {قَدْ جَاءَتْكُمْ بَيِّنَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ هَذِهِ نَاقَةُ اللَّهِ لَكُمْ آيَةً فَذَرُوهَا تَأْكُلْ فِي أَرْضِ اللَّهِ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} [الأعراف: 73] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَآتَيْنَا ثَمُودَ النَّاقَةَ مُبْصِرَةً فَظَلَمُوا بِهَا} [الإسراء: 59] . وَقَدْ ذَكَرَ الْمُفَسِّرُونَ: أَنَّ ثَمُودَ اجْتَمَعُوا يَوْمًا فِي نَادِيهِمْ، فَجَاءَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَالِحٌ فَدَعَاهُمْ إِلَى اللَّهِ وَذَكَّرَهُمْ وَحَذَّرَهُمْ وَوَعَظَهُمْ وَأَمَرَهُمْ، فَقَالُوا لَهُ: إِنْ أَنْتَ أَخْرَجْتَ لَنَا مِنْ هَذِهِ الصَّخْرَةِ وَأَشَارُوا إِلَى صَخْرَةٍ هُنَاكَ نَاقَةً مِنْ صِفَتِهَا كَيْتَ وَكَيْتَ، وَذَكَرُوا أَوْصَافًا سَمَّوْهَا وَنَعَتُوهَا وَتَعَنَّتُوا فِيهَا، وَأَنْ تَكُونَ عُشَرَاءَ طَوِيلَةً مِنْ صِفَتِهَا كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَالِحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ: أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَجَبْتُكُمْ إِلَى مَا سَأَلْتُمْ عَلَى الْوَجْهِ الَّذِي طَلَبْتُمْ أَتُؤْمِنُونَ بِمَا جِئْتُكُمْ بِهِ. وَتُصَدِّقُونِي فِيمَا أُرْسِلْتُ بِهِ. قَالُوا: نَعَمْ.
পৃষ্ঠা - ৩০৯


হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহ্র ইবাদত কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন
ইলাহ্ নেই ৷ তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের-কাহু থেকে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে ৷
আল্লাহ্র এই উটনী তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ একে আল্পাহ্র জমিতে চরে খেতে দাও
এবং একে কোন ক্লেশ দিও না , দিলে মর্ষভৃদ শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হবে ৷ স্মরণ কর,
আদ জাতির পর তিনি তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেহ্নো, তিনি তােমাদেরকে
পৃথিবীতে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে, তোমরা সমতল ভুমিতে প্রাসাদ ও পাহাড় কেটে
বাসগৃহ নির্মাণ করছ ৷ সুতরাং আস্লাহ্র অনুগহ্ স্মরণ কর এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় ঘটিয়ো না ৷
(সুরা আরাফ : ৭৩ ৭৪)

“ অর্থাৎ আদ জাতিকে ধ্বংস করে তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করার উদ্দেশ্য এই যে ,
তাদের ঘটনা থেকে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে এবং তারা যে সব অন্যায় আচরণ করত
তোমরা তা করবে না ৷ এ যমীন তোমাদের আয়ত্তাধীন করে দেয়৷ হয়েছে ৷ এর সমভুমিতে
তোমরা অটালিকা নির্মাণ করছ আর পাহাড় কেটে সুনিপুণভাৰে তাতে ঘরবাড়ি তৈরি করছ ৷
অতএব, এর অনিবার্য দাব্ধিহিসেবে এসব নিয়ামতের শোকর আদায় কর , সৎক র্মে তৎপর থাক,
একনিষ্ঠভাবে এক আল্লাহ্র বন্দেগী কর র্ষার কোন শরীকনেই ৷ তার নাকরমানী ও দাসৎ থেকে
ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সাবধান থাক ৷ কেননা, এর পরিণতি খুবই জঘন্য ৷

এ উদ্দেশ্যে নবী এ বাণী দ্বারা উপদেশ দিচ্ছেন ং

স্পি

তােমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়৷ হবো
উদ্যানসমুহের মধ্যে ও ঝরনাসমুহের মধ্যে৷ শসাক্ষেত্রের মধ্যে ও মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের
মধ্যে ? (সুরা শু আরা ১৪৬ ১৪৮১

ষ্


তোমরা পাহাড় কেটে জাকজমকের ঘরবাড়ি নির্মাণ করছ ৷ সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় কর ও

আমার আনুগত্য কর এবং সীমালংঘনকারীদ্বের আদেশ মান্য করে৷ না-যারা পৃথিবীতে অনর্থ
সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না ৷ (সুরাৰুশুআরা : ১ : ১ ১ : ২)

নবী তাদেরকে আরও বললেন



,
হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর দাসৎ কবুল কর ৷ তিনি ব্যতীত তোমাদের আর

কোন ইলাহ নেই ৷ তিনিই তোমাদেরকে যমীন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তারমধ্যেই বসবাস
করার সুবিধা দিয়েছেন ৷ অর্থাৎ আস্লাহ্ তােমাদেরাক সৃষ্টিকবেহেন এবং যমীন থেকে উদ্ভাবন ;


فَأَخَذَ عُهُودَهُمْ وَمَوَاثِيقَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى مُصَلَّاهُ فَصَلَّى لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مَا قُدِّرَ لَهُ، ثُمَّ دَعَا رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُجِيبَهُمْ إِلَى مَا طَلَبُوا فَأَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ تِلْكَ الصَّخْرَةَ أَنْ تَنْفَطِرَ عَنْ نَاقَةٍ عَظِيمَةٍ كَوْمَاءَ عُشَرَاءَ عَلَى الْوَجْهِ الْمَطْلُوبِ الَّذِي طَلَبُوا وَعَلَى الصِّفَةِ الَّتِي نَعَتُوا، فَلَمَّا عَايَنُوهَا كَذَلِكَ رَأَوْا أَمْرًا عَظِيمًا، وَمَنْظَرًا هَائِلًا، وَقُدْرَةً بَاهِرَةً، وَدَلِيلًا قَاطِعًا، وَبُرْهَانًا سَاطِعًا فَآمَنَ كَثِيرٌ مِنْهُمْ، وَاسْتَمَرَّ أَكْثَرُهُمْ عَلَى كُفْرِهِمْ وَضَلَالِهِمْ وَعِنَادِهِمْ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {فَظَلَمُوا بِهَا} [الأعراف: 103] . أَيْ جَحَدُوا بِهَا، وَلَمْ يَتَّبِعُوا الْحَقَّ بِسَبَبِهَا. أَيْ أَكْثَرُهُمْ، وَكَانَ رَئِيسُ الَّذِينَ آمَنُوا جُنْدَعَ بْنَ عَمْرِو بْنِ مِخْلَاةَ بْنِ لَبِيدِ بْنِ جَوَّاسٍ، وَكَانَ مِنْ رُؤَسَائِهِمْ، وَهُمْ بَقِيَّةُ الْأَشْرَافِ بِالْإِسْلَامِ فَصَدَّهُمْ ذُؤَابُ بْنُ عُمَرَ بْنِ لَبِيدٍ، وَالْحُبَابُ صَاحِبُ أَوْثَانِهِمْ، وَرَبَابُ بْنُ صَمْعَرِ بْنِ جَلْهَسٍ، وَدَعَا جُنْدَعٌ ابْنَ عَمِّهِ شِهَابَ بْنَ خَلِيفَةَ، وَكَانَ مِنْ أَشْرَافِهِمْ فَهَمَّ بِالْإِسْلَامِ فَنَهَاهُ أُولَئِكَ فَمَالَ إِلَيْهِمْ. فَقَالَ فِي ذَلِكَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يُقَالُ لَهُ: مِهْرَشُ بْنُ غَنْمَةَ بْنِ الدُّمَيْلِ رَحِمَهُ اللَّهُ شِعْرًا: وَكَانَتْ عُصْبَةٌ مِنْ آلِ عَمْرٍو ... إِلَى دِينِ النَّبِيِّ دَعَوْا شِهَابَا عَزِيزَ ثَمُودَ كُلُّهُمْ جَمِيعًا ... فَهَمَّ بِأَنْ يُجِيبَ وَلَوْ أَجَابَا لَأَصْبَحَ صَالِحٌ فِينَا عَزِيزًا ... وَمَا عَدَلُوا بِصَاحِبِهِمْ ذُؤَابَا وَلَكِنَّ الْغُوَاةَ مِنْ آلِ حِجْرٍ ... تَوَلَّوْا بَعْدَ رُشْدِهِمُ ذِئَابَا
পৃষ্ঠা - ৩১০


করেছেন ৷ তারপর তােমড়াদেরকেই যমীনের আৰাদকারী বানিয়েছেন ৷ অর্থাৎ পৃথিবীর যাবতীয়
শস্য এবং ফল-ফলাদি তোমাদেরকে প্রদান করেছেন ৷ এভাবে তিনিই তোমাদের সৃষ্টিকারী ও
রিযিকদাতা ৷ সুতরাং ইবাদত পাওয়ার হকদার একমাত্র তিনিই, অন্য কেউ নয় ৷ ট্রুদ্বু;ৰুৰুন্াহু
— ৰু৷ ! ;::“;: অতএব, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তওবা কর ৷ অর্থাৎ তোমাদের
বর্তমান কর্মনীতি পরিহার করে তার ইবাদতের দিকে ধাবিত হও; তোমাদের ইবাদত-

ইসতিগৃফার কবুল করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন ৷

শুষ্


আমার প্ৰতিপড়াস্ক নিকটেই আছেন, তিনি আরো কবুল করবেন এতে কোন সন্দেহ
নেই ৷ তারা বগ্যা, হে সালিহ্ষ্ট ইতিপুর্বে তোমার উপর আমাদের বড় আশা ছিল ৷ অর্থাৎ
তোমার এই জাতীয় কথাবার্তা বলার পুর্বে আমাদের আশা জ্জি যে, তুমি একজন প্রজ্ঞাবান
লোক হবে ৷ কিন্তু আমাদের যে আশা ভৃ-লুষ্ঠিত হল-এখন তুমি আমাদেরকে এক আল্লাহ্র

ইবাদত করতে, আমরা যে দেবতাদের পুজা করছি সেগুলো বর্জ্যন্ব করতে ও ৰাপ-দাদার ধর্ম
ত্যাগ করতে বলাহ ৷ এ জন্যেই তারা বাংলা :




আমাদের বাপ-দাদারা যাদের পুজা করত, তুমি কি আমাদেরকে তাদের পুজা করতে নিষেধ
করছে! ৷ তুমি আমাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছ, সে বিষয়ে আমরা অবশ্যই বিভ্রাস্তিকর সন্দেহ

পোষণ করি ৷ সে বলল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কি ভেবে দেখেছো আমি যদি আমার

প্রতিপালক প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণসহ প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি, আর তিনি যদি আমাকে তার নিজ

অনুগ্রহ দান করে থাকেন, তারপর আমি যদি তার অবা ধ্যতা করি, তবে তার শাস্তি থেকে
আমাকে কে রক্ষা করবে৷ তোমরা তাে কেবল আমার ক্ষতিই বাড়িয়ে দিছে৷ ৷ (সুরা হ্রদ ও


এ হচ্ছে হযরত সালিহ্ (আ)-এর কোমল ভাষার প্রয়োগ ও সৌজন্যর্মুলক আচরণের
মাধ্যমে তাদেরকে কল্যাণের পথে আহ্বান ৷ অর্থাৎ তোমাদের কী ধারণা যদি আমি
তোমাদেরকে যেদিকে আহ্বান জানাচ্ছি তা প্রকৃতপক্ষে সত্য হয়ে থাকে তবে আল্লাহ্র নিকট
তোমাদের কি ওজর থাকবে এবং তখন তোমাদেরকে কিসে মুক্তি দেবো অথচ তোমরা আমাকে
আল্লাহর দিকে দাওয়ড়াতের কাজ পরিহার করতে বলছ আর তা কােনক্রমেই আমার পক্ষে সম্ভব
নয় ৷ কেননা, এটি আমার অপরিহার্য কর্তব্য ৷ আমি যদি তা ত্যাগ করি, তবে তার পাকড়াও
থেকে না তোমরা আমাকে বাচাতে পারবে; না অন্য কেউ, না কেউ আমাকে সাহায্য করতে

সক্ষম হবে ৷ সুতরাং তোমাদের ও আমার মধ্যে আল্লাহ্র ফয়সালা আসার পুর্ব পর্যন্ত আমি
লা-শয়ীক এক আল্লাহ্র দিকে আহ্বানের কাজ চালিয়ে যেতে থাকর ৷


وَلِهَذَا قَالَ لَهُمْ صَالِحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {هَذِهِ نَاقَةُ اللَّهِ لَكُمْ آيَةً} [الأعراف: 73] . أَضَافَهَا لِلَّهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى إِضَافَةَ تَشْرِيفٍ وَتَعْظِيمٍ، كَقَوْلِهِ: بَيْتُ اللَّهِ، وَعَبْدُ اللَّهِ. {لَكُمْ آيَةً} [الأعراف: 73] . أَيْ دَلِيلًا عَلَى صِدْقِ مَا جِئْتُكُمْ بِهِ {فَذَرُوهَا تَأْكُلْ فِي أَرْضِ اللَّهِ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ قَرِيبٌ} [هود: 64] . فَاتَّفَقَ الْحَالُ عَلَى أَنْ تَبْقَى هَذِهِ النَّاقَةُ بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ تَرْعَى حَيْثُ شَاءَتْ مِنْ أَرْضِهِمْ، وَتَرِدُ الْمَاءَ يَوْمًا بَعْدَ يَوْمٍ، وَكَانَتْ إِذَا وَرَدَتِ الْمَاءَ تَشْرَبُ مَاءَ الْبِئْرِ يَوْمَهَا ذَلِكَ فَكَانُوا يَرْفَعُونَ حَاجَتَهُمْ مِنَ الْمَاءِ فِي يَوْمِهِمْ لِغَدِهِمْ، وَيُقَالُ إِنَّهُمْ كَانُوا يَشْرَبُونَ مِنْ لَبَنِهَا كِفَايَتَهُمْ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {لَهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَعْلُومٍ} [الشعراء: 155] . وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّا مُرْسِلُو النَّاقَةِ فِتْنَةً لَهُمْ} [القمر: 27] . أَيِ اخْتِبَارًا لَهُمْ أَيُؤْمِنُونَ بِهَا أَمْ يَكْفُرُونَ؟ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. بِمَا يَفْعَلُونَ: {فَارْتَقِبْهُمْ} [القمر: 27] أَيِ انْتَظِرْ مَا يَكُونُ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَاصْطَبِرْ عَلَى أَذَاهُمْ فَسَيَأْتِيكَ الْخَبَرُ عَلَى جَلِيَّةٍ {وَنَبِّئْهُمْ أَنَّ الْمَاءَ قِسْمَةٌ بَيْنَهُمْ كُلُّ شِرْبٍ مُحْتَضَرٌ} [القمر: 28] . فَلَمَّا طَالَ عَلَيْهِمُ الْحَالُ هَذَا اجْتَمَعَ مَلَؤُهُمْ، وَاتَّفَقَ رَأْيُهُمْ عَلَى أَنْ يَعْقِرُوا هَذِهِ النَّاقَةَ لِيَسْتَرِيحُوا مِنْهَا، وَيَتَوَفَّرَ عَلَيْهِمْ مَاؤُهُمْ، وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَعَقَرُوا النَّاقَةَ وَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ وَقَالُوا يَا صَالِحُ ائْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ} [الأعراف: 77] . وَكَانَ الَّذِي تَوَلَّى قَتْلَهَا مِنْهُمْ رَئِيسَهُمْ قُدَارَ بْنَ سَالِفِ بْنِ جُنْدَعٍ، وَكَانَ أَحْمَرَ أَزْرَقَ قَصِيرًا، وَكَانَ يُقَالُ: إِنَّهُ وَلَدُ زَانِيَةٍ، وُلِدَ عَلَى فِرَاشِ سَالِفٍ. وَهُوَ مِنْ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: صِيبَانُ، وَكَانَ فِعْلُهُ ذَلِكَ بِاتِّفَاقِ جَمِيعِهِمْ؛ فَلِهَذَا نُسِبَ
পৃষ্ঠা - ৩১১


সট্রাহ (আ) কে তার সম্প্রদায়ের লোকজন আরো বন্সেছিল : :, ৷ ঞা

গ্লু,মোঃ ৷ (তুমি তো একজন জাদৃগ্রস্ত লোক) অর্থাৎ তোমার উপর জাদুর প্রভাব পড়েছে,
তাই সকল দেবতাংক বাদ দিয়ে এক আল্লাহর ইবাদত করার জন্যে তুমি যে আমাদেরকে
আহ্বান জানাচ্ছ তাতে তুমি কী বলছে৷ তা তুমি নিজেই বুঝতে পারছো না ৷

অধিকাংশ আলিমই এই অর্থ করেছেন : র্চু,পু ধ্ষ্ট্রুন্র্দু০শুষ্ অর্থ fi,§):’;$“— ৷ কেউ কেউ
এর অর্থ করেছেন যে, তোমার কাছে জাদু আছে, অর্থাৎ তুমি জাদুকর্ব ( , < ) ) ৷
তারা এ কথা বলছে যে, তুমি একজন মানুষ, তোমার জাদু জানা আছে ৷ তবে প্রথম অর্থই
অধিকতর স্পষ্ট ৷ যেহেতু পরেই তাদের কথা আসছে যে, তারা বলেছে ক্ট্রর্বুর্বৃন্ ৰু৷ ৷ ষ্ ৷ ৷০
মোঃ তুমি তো আমাদের মতই মানুষ ৷ (তুমি
কোন একটা নিদর্শন নিয়ে এসো যদি তুমি সত্যবড়াদী হয়ে থাক ৷) তবাি নর্বীর কাছে দাবি
জানায়, যে কোন একটা অলৌকিক জিনিস দেখিয়ে তিনি যেন নিজের দাবির সভ্যতার পক্ষে

প্রমাণ উপস্থাপিত করেন ৷


ণ্ইধুর্দুাছু^র্তৃর

সালিহ্ বলল, এই উটনী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে
পানি গানের পালা-নিল্টি এক এক দিনের ৷ তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না, তাহলে

তােমাদেরকে মহা দিবসের আমার পাকড়াও করবে (সুরা শু আরাং : ১৫৩)

আল্লাহ তা জানা অন্যত্র বলেন


“fl ণ্ৰুষ্

(
,০০ঠুর্দু

তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নিদর্শন এসেছে ৷ আল্লাহর এ
উটনী তোমাদের জন্যে একটি নিদর্শন ৷ অতএব, একে আল্লাহর মমীনে চরে খেতে দাও ৷ একে
কোন ক্লেশ দিও না, দিলে মর্মন্তুদ শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হবে ৷ (সুরা অড়ারাফং ৭৩)

আল্লাহর বাণী৪ার্চু ৷মোঃ র্দুর্চুৰুণ্ন্ৰুৰু,বু র্জুাৰু৷ ! র্ন্তদ্বুশুপুও ( ৷ এ আমি শিক্ষাপ্রদ
নিদর্শনস্বরুপ ছামুদ জা ৷তিকে উটনী দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু ওরা তার প্রতি জুলুম করেছিল ৷ (সুরা
বনী ইন্প্ারাঈল০ ৫৯)

ঘুফাসৃসিরগণ উল্লেখ করেন, ছামুদ সম্প্রদায়ের , লোকেরা একবার এক স্থানে সমবেত হয় ৷
ঐ সমাবেশে আল্লাহর নবী হযরত সালিহ্ (আ) আগমন করেন ৷ তিনি তাদেরকে আল্লাহর দিকে
আহ্বান জানান, উপদেশ দান করেন, ডীতি প্রদর্শন করেন, নসীহত করেন এবং তাদেরকে সৎ
কাজের নির্দেশ দেন ৷ উপস্থিত লোকজন তাকে বলল, ঐ যে একটা পাথর দেখা যায়, ওর মধ্য
থেকে যদি অমুক অমুক গুণসম্পন্ন একটি দীর্ঘকায় দশ মাসের গর্ভবতী উটর্নী বের করে দেখাতে
পার, তবে দেখাও ৷ সালিহ্ (আ) বললেন ও তোমাদের বর্ণিত গুণসষ্পন্ন উটনী যদি আমি বের


الْفِعْلُ إِلَى جَمِيعِهِمْ كُلِّهِمْ. وَذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، وَغَيْرُهُ مِنْ عُلَمَاءِ الْمُفَسِّرِينَ: أَنَّ امْرَأَتَيْنِ مِنْ ثَمُودَ اسْمُ إِحْدَاهُمَا صَدُوفُ بِنْتُ الْمُحَيَّا بْنِ زُهَيْرِ بْنِ الْمُحَيَّا، وَكَانَتْ ذَاتَ حَسَبٍ وَمَالٍ، وَكَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ أَسْلَمَ، فَفَارَقَتْهُ فَدَعَتِ ابْنَ عَمٍّ لَهَا يُقَالُ لَهُ: مِصْدَعُ بْنُ مَهْرَجِ بْنِ الْمُحَيَّا، وَعَرَضَتْ عَلَيْهِ نَفْسَهَا إِنْ هُوَ عَقَرَ النَّاقَةَ، وَاسْمُ الْأُخْرَى عُنَيْزَةُ بِنْتُ غُنَيْمِ بْنِ مِجْلَزٍ، وَتُكْنَى أُمَّ عُثْمَانَ، وَكَانَتْ عَجُوزًا كَافِرَةً، لَهَا بَنَاتٌ مِنْ زَوْجِهَا ذُؤَابِ بْنِ عَمْرٍو أَحَدِ الرُّؤَسَاءِ، فَعَرَضَتْ بَنَاتَهَا الْأَرْبَعَ عَلَى قُدَارِ بْنِ سَالِفٍ إِنْ هُوَ عَقَرَ النَّاقَةَ فَلَهُ أَيُّ بَنَاتِهَا شَاءَ، فَانْتُدِبَ هَذَانِ الشَّابَّانِ لِعَقْرِهَا، وَسَعَوْا فِي قَوْمِهِمْ بِذَلِكَ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ سَبْعَةٌ آخَرُونَ فَصَارُوا تِسْعَةً، وَهُمُ الْمَذْكُورُونَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَكَانَ فِي الْمَدِينَةِ تِسْعَةُ رَهْطٍ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ} [النمل: 48] . وَسَعَوْا فِي بَقِيَّةِ الْقَبِيلَةِ، وَحَسَّنُوا لَهُمْ عَقْرَهَا فَأَجَابُوهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَطَاوَعُوهُمْ فِي ذَلِكَ فَانْطَلَقُوا يَرْصُدُونَ النَّاقَةَ، فَلَمَّا صَدَرَتْ مِنْ وِرْدِهَا كَمَنَ لَهَا مِصْدَعٌ فَرَمَاهَا بِسَهْمٍ فَانْتَظَمَ عَظْمَ سَاقِهَا، وَجَاءَ النِّسَاءُ نِسَاءُ الْقَبِيلَةِ فِي قَتْلِهَا، وَحَسَرْنَ عَنْ وُجُوهِهِنَّ تَرْغِيبًا لَهُمْ، فَابْتَدَرَهُمْ قُدَارُ بْنُ سَالِفٍ فَشَدَّ عَلَيْهَا بِالسَّيْفِ فَكَشَفَ عَنْ عُرْقُوبِهَا، فَخَرَّتْ سَاقِطَةً إِلَى الْأَرْضِ، وَرَغَتْ رَغَاةً وَاحِدَةً عَظِيمَةً، تُحَذِّرُ وَلَدَهَا، ثُمَّ طَعَنَ فِي لَبَّتِهَا فَنَحَرَهَا، وَانْطَلَقَ سَقْبُهَا، وَهُوَ فَصِيلُهَا فَصَعِدَ جَبَلًا مَنِيعًا، وَرَغَا ثَلَاثًا.
পৃষ্ঠা - ৩১২


করে দেই তাহলে কি তোমরা আমার আনীত দীন ও আমার নবুওতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন
করবেঃ তারা সবাই বললষ্ : হ্যা, বিশ্বাস করব ৷ তখন তিনি এ কথার উপর তাদের থেকে
অঙ্গীকার ও প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন ৷ এরপর সড়ালিহ্ (আ) সালাত আদায়ের জন্যে র্দাড়িয়ে যান

ৎসালাত শেষে আল্লাহর নিকট তাদের আবদার পুরণ করার প্রার্থনা করেন ৷ আল্লাহ ঐ
পাবথবকে কােট গিয়ে অনুরুপ গুণসষ্পন্ন একটি উটনী বের করে দেয়ার নির্দেশ দেন ৷ যখন তারা
স্বচক্ষে এরুপ উটনী দেখতে পেল, তখন তারা সত্যি সত্যি এক বিস্ময়কর বিষয়, ভীতিপ্রদ দৃশ্য,
সুস্পষ্ট কুদরত ও চুড়ান্ত প্রমাণই প্রত্যক্ষ করল ৷ এ দৃশ্য দেখার পর উপস্থিত বহু লোক ঈমান

আসে বটে, কিন্তু অধিকাং শ লোকই তাদের কুফরী, গুমরাহী ও বৈরিতার উপর অটল হয়ে
থাকল

এ জন্যেই কুরআনে বলা হয়েছেং !র্দু !মোঃ (৩ তারা তার সাথে জুলুম করল) অর্থাৎ
তাদের অধিকাত্শ্ইি মানতে অস্বীকার করল এবং সত্যকে গ্রহণ করল না ৷ যারা ঈমান এনেছিল
তাদের প্রধান ছিল জানৃদা ইবন আমর ইবন ঘুহাল্পাত ইবন লবীদ ইবন জুওয়াস ৷ এ ছিল ছামুদ
সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা ৷ সম্প্রদায়ের অবশিষ্ট শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিবর্পও ইসলাম গ্রহণে উদ্যত
হয়, কিন্তু তিন ব্যক্তি তাদেরকে তা থেকে বিরত রাখে ৷ তারা হল : যাওয়ার ইবন উমর ইবন
লবীদ ও খাবৃবাব এ দুইজন ছিল তাদের ধর্ফগুরু এবং বাবার ইবন সামআর ইবন জাল্মাস ৷
জানদা ইসলাম গ্রহণ করার পর আপন চাচাত ডইি শিহাব ইবন খলীফাকে ঈমান আনার জন্যে
আহ্বান জানায় ৷ সেও ছিল সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোক এবং ইসলাম গ্রহণ করার জন্যে সেও
উদতে হয় ৷ কিন্তু ঐ ব্যক্তিরা তাকে বাধা দিলে সে তাদের দিকেই ঝুকে পড়ে ৷ এ ঘটনার
পরিপ্রেক্ষিতে মিহরাশ ইবন পানামা ইবন যুমায়ল নামক জনৈক মুসলমান করি তার কবিতায়
বলেন :

“আমর পরিবারের একদল লোক শিহড়াবকে নবীর দীন কবুল করার জন্যে আহ্বান জানায় ৷
এরা সকলেই ছামুদ সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট লোক ৷ শিহাবও সে আহ্বানে সাড়া দিতে উদ্যত হয় ৷
যদি সে সাড়া দিত তাহলে নবী সড়ালিহ্ (আ) আমাদের মাঝে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হয়ে
যেত ৷ জুওয়াব তার নদীর সাথে সুবিচার করেনি ৷ বরং হিজর উপত্যকার কতিপয় নির্বোধ
লোক আলোর পথ দেখার পরেও মুখ ফিরিয়ে থাকে ৷ ”



এ কারণে হযরত সালিহ (আ) তাদেরকে বললেনং : ১গ্রা (এটি
আল্লাহ্র উটনী, তোমাদের জন্যে নিদর্শন) ৷ আল্লাহর উটনী শব্দটি বলা হয়েছে উটনীটির মর্যাদা
নির্দেশের উদ্দেশ্যে ৷ যেমন বলা হয় এ , প্রু আল্লাহ্র ঘর; এ্যা৷ ,াপ্রু;গ্লুআল্পাহ্র বান্দা ৷

ব্র ৷ এ , তোমাদের জন্যে নিদর্শন ৷ অর্থাৎ আমি তোমাদের কাছে যে দাওয়াত নিয়ে এসেছি
এটা তার সভ্যতার প্রমাণ ৷

দু

একে আল্লাহর যমীনে চরে যেয়ে বেড়াতে দাও এবং এর অনিষ্ট সাধন করো না ৷ অন্যথায়
এক নিকটবর্তী আমার তােমাদেরকে পাকড়াও করবে ৷’ তারপর অবস্থা এই র্দাড়াল যে, এ
উটনীটি তাদের মধ্যে স্বাধীনভাবে যেখানে ইচ্ছা চরে বেড়াত, একদিন পর পর পানির ঘাটে


وَرَوَى عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ عَمَّنْ سَمِعَ الْحَسَنَ أَنَّهُ قَالَ: يَا رَبِّ أَيْنَ أُمِّي، ثُمَّ دَخَلَ فِي صَخْرَةٍ فَغَابَ فِيهَا، وَيُقَالُ: بَلِ اتَّبَعُوهُ فَعَقَرُوهُ أَيْضًا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَنَادَوْا صَاحِبَهُمْ فَتَعَاطَى فَعَقَرَ فَكَيْفَ كَانَ عَذَابِي وَنُذُرِ} [القمر: 29] . وَقَالَ تَعَالَى: {إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ نَاقَةَ اللَّهِ وَسُقْيَاهَا} [الشمس: 12] . أَيِ احْذَرُوهَا {فَكَذَّبُوهُ فَعَقَرُوهَا فَدَمْدَمَ عَلَيْهِمْ رَبُّهُمْ بِذَنْبِهِمْ فَسَوَّاهَا وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا} [الشمس: 14] . قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ هُوَ ابْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ: «خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ النَّاقَةَ، وَذَكَرَ الَّذِي عَقَرَهَا، فَقَالَ: {إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا} [الشمس: 12] انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَارِمٌ عَزِيزٌ مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ» . أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ هِشَامٍ بِهِ. عَارِمٌ أَيْ شَهْمٌ عَزِيزٌ أَيْ رَئِيسٌ مَنِيعٌ أَيْ مُطَاعٌ فِي قَوْمِهِ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خُثَيْمٍ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ: أَلَا أُحَدِّثُكَ بِأَشْقَى النَّاسِ. قَالَ: بَلَى. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩১৩


অবতরণ করত ৷ যেদিন যে পানি পান করত সেদিন কুদ্বুপর সমস্ত পানি নিঃশেষ করে ফেলত ৷
তাইর্চু সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের পালার দিনে পরের দিনের জন্যে প্রয়োজনীয় পানি উত্তোলন
করে রখেত ৷ কথিত আছে যে, সম্প্রদায়ের দোকড্ডা ঐ উটনীটির দুধ পর্যাপ্ত পরিমাণ পান
করত ৷ (এ উটনীটির জন্যে রয়েছে পানি পানের

’ ^ এবংপ্ তোমাদের জন্যেও রয়েছে পানি পানের নির্দিষ্ট দিন) ৷ আন্নাহ্ বলেন : ৷পু ৷

ন্ন্ এে ৷ ৷ ৰুা, (আমি এ ঞ্জো পাঠিয়েহি তাদের মোঃ ৷ষ্াদ্যে) প্যাণা এই
যে, তারা কি এতে গ্মাস মানে না কি দ্দৌ করে ৷ আর ধ্কুস্ত ন্তে এই যে তারা কি
স্কো ষ্৷ অ্যাং মা মোঃ ৷ ;’; ণ্া৷ (মমএর তুমি ষ্জ্যো আচরণের ণ্ৰি ষ্দ্যে
শো এবং জ্যো ণাৰ্ ৷ $’ ৷ ’, (এবং ধৈর্থ ধ্ারণ কর) মোঃ যে fl আসে তা সহ্য

করাজােজ্যো-

,: ন্ন্ণ্ শুর্দু (এবং তাদেরকে ৰ্;া৷ঙ্গিষ্মে দাও যে তাদের মধ্যে পানি ৰ্ষ্ন নির্ধারিত
ৎ পাণির র্সাষ্াদ্ধ৷ স্ন্যে মোঃ লোঃ হয়ে মোঃ ৷ (সুরা খ্যাঃ : ২ ৭ ২৮)
দীর্ঘ দিন মারষ্ এ অরস্থা চলতে থাকার সম্প্রদায়ের সোঙ্কের৷ অ’ধের্য হয়ে পড়ে ৷ এর
থেকে নিকুতি দাসে৷ ষ্ান্যে তারা একদা সমবেত হয় ও পরামর্শ করে ৷ তারা সমিণিততাবে এই
সিদাষ্ করে যে, উষ্মীটিষ্কে হত্যা করতে হবে ৷ এর ধ্ণে তারা ঞ্জোঢির করল থেকে নিঙ্কুতি
পাবে এবং সমস্ত পানির উপর পুর্ণ কর্তৃত্ব তাদের প্রতিষ্ঠিত হবে ৷ শয়তান তাদেরকে এ কাজের
যুক্তি ও সুফ্যা প্রদর্শন করল ৷ আল্লাহর বাণী :

াদ্বুৰুও;;১

ঙ্ওছুট্রু,া
অতঃপর তারা সেই উটনীটি বধ করে এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং বলে,
হে সাণিহ্! তুমি রাসুল হয়ে থাকলে আমাদ্যেকেণ্ যার ভয় মোঃ তা নিয়ে এসো ৷
(সুরা অড়ারাক : ৭৭)

যে সোক উটনী হত্যার দায়িত্ব গ্রহ ৷ করে তার নাম কিদার ইবন সালিফ ইবন জানদাষ্-
সে ইিস সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা ৷ সে ছিল গৌরবর্ণ, নীল চোখ ও শিক্ষা চুল বি০িষ্টি ৷ কথিত
মতে, সে দাি মালিক-এর যারজ সন্তান ৷ সায়বান নামক এক ব্যক্তির ঔরসে তার জন্ম হয় ৷
কিংার একা হত্যা করলেও যেহেতু সম্প্রদায়ের সকলের ঐকমত্যে করেছিল তাই হত্যা করার
দায়িত্ব সবার প্রতি আরোপিত হয়েছে ৷

ইৰ্ন আমীর (র) প্রমুখ মুফাসৃসির লিখেছেন : ছামুদ সম্প্রদায়ের দুই মহিলা একজনের
নাম সাদুক ৷ সে মাহ্য়া ইবন যুহায়র ইবন মুখতাব্রের কন্যা এবং প্রচুর ধন-সষ্পদ ও বংশীয়
ৰুগৌরবের অধিকারী ৷ তার স্বামী ইসলাম গ্রহণ করে ৷ ফলে শ্রী তাকে ত্যাগ করে এবং নিজের
চাচাত তাই মিসৃৱা ইবন মিহ্রাজ ইবন মাহ্য়াকে বলে, যদি তুমি উটনীটি হত্যা করতে পার,
তবে তোমাকে আমি বিবাহ করব ৷ অপর মইিলাটি হিল উনায়যা ৰিনত গুনায়ম ইবন মিজলড়ায,
তাকেউষ্মে উহমান বলে ডাকা হতো ৷ মহিসড়াটি ছিল বৃদ্ধা এবং কাফির ৷ তার স্বামী ছিল
সম্প্রদায়ের অন্যতম সর্দার যুওয়ড়ার ইবন আমর ৷ এই স্বামীর ঔরসে তার চারটি কন্যা ছিল ৷


رَجُلَانِ أَحَدُهُمَا أُحَيْمِرُ ثَمُودَ الَّذِي عَقَرَ النَّاقَةَ، وَالَّذِي يَضْرِبُكَ يَا عَلِيُّ عَلَى هَذَا - يَعْنِي قَرْنَهُ - حَتَّى تَبْتَلَّ مِنْهُ هَذِهِ» . يَعْنِي لِحْيَتَهُ رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَقَالَ تَعَالَى: {فَعَقَرُوا النَّاقَةَ وَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ وَقَالُوا يَا صَالِحُ ائْتِنَا بِمَا تَعِدُنَا إِنْ كُنْتَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ} [الأعراف: 77] . فَجَمَعُوا فِي كَلَامِهِمْ هَذَا بَيْنَ كُفْرٍ بَلِيغٍ مِنْ وُجُوهٍ؛ مِنْهَا أَنَّهُمْ خَالَفُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ فِي ارْتِكَابِهِمُ النَّهْيَ الْأَكِيدَ فِي عَقْرِ النَّاقَةِ الَّتِي جَعَلَهَا اللَّهُ لَهُمْ آيَةً، وَمِنْهَا أَنَّهُمُ اسْتَعْجَلُوا وُقُوعَ الْعَذَابِ بِهِمْ فَاسْتَحَقُّوهُ مِنْ وَجْهَيْنِ؛ أَحَدُهُمَا: الشَّرْطُ عَلَيْهِمْ فِي قَوْلِهِ: {وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابٌ قَرِيبٌ} [هود: 64] . وَفِي آيَةٍ " عَظِيمٌ ". وَفِي الْأُخْرَى " أَلِيمٌ ". وَالْكُلُّ حَقٌّ. وَالثَّانِي: اسْتِعْجَالُهُمْ عَلَى ذَلِكَ. وَمِنْهَا أَنَّهُمْ كَذَّبُوا الرَّسُولَ الَّذِي قَدْ قَامَ الدَّلِيلُ الْقَاطِعُ عَلَى نُبُوَّتِهِ وَصِدْقِهِ، وَهُمْ يَعْلَمُونَ ذَلِكَ عِلْمًا جَازِمًا، وَلَكِنْ حَمَلَهُمُ الْكُفْرُ وَالضَّلَالُ وَالْعِنَادُ عَلَى اسْتِبْعَادِ الْحَقِّ، وَوُقُوعِ الْعَذَابِ بِهِمْ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَعَقَرُوهَا فَقَالَ تَمَتَّعُوا فِي دَارِكُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ ذَلِكَ وَعْدٌ غَيْرُ مَكْذُوبٍ} [هود: 65] . وَذَكَرُوا أَنَّهُمْ لَمَّا عَقَرُوا النَّاقَةَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ سَطَا عَلَيْهَا قُدَارُ بْنُ سَالِفٍ لَعَنَهُ اللَّهُ فَعَرْقَبَهَا فَسَقَطَتْ إِلَى الْأَرْضِ، ثُمَّ ابْتَدَرُوهَا بِأَسْيَافِهِمْ يُقَطِّعُونَهَا، فَلَمَّا عَايَنَ ذَلِكَ سَقْبُهَا، وَهُوَ وَلَدُهَا شَرَدَ عَنْهُمْ فَعَلَا أَعْلَى الْجَبَلِ هُنَاكَ، وَرَغَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ؛ فَلِهَذَا قَالَ لَهُمْ صَالِحٌ: {تَمَتَّعُوا فِي دَارِكُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ} [هود: 65] . أَيْ غَيْرَ يَوْمِهِمْ ذَلِكَ، فَلَمْ يُصَدِّقُوهُ أَيْضًا فِي هَذَا الْوَعْدِ الْأَكِيدِ، بَلْ لَمَّا أَمْسَوْا هَمُّوا بِقَتْلِهِ، وَأَرَادُوا فِيمَا يَزْعُمُونَ أَنْ يُلْحِقُوهُ بِالنَّاقَةِ {قَالُوا تَقَاسَمُوا بِاللَّهِ لَنُبَيِّتَنَّهُ وَأَهْلَهُ} [النمل: 49] . أَيْ لَنَكْبِسَنَّهُ فِي دَارِهِ مَعَ أَهْلِهِ فَلَنَقْتُلَنَّهُ، ثُمَّ نَجْحَدَنَّ قَتْلَهُ، وَنُنْكِرَنَّ ذَلِكَ إِنْ طَالَبَنَا أَوْلِيَاؤُهُ بِدَمِهِ؛ وَلِهَذَا قَالُوا: {ثُمَّ لَنَقُولَنَّ لِوَلِيِّهِ مَا شَهِدْنَا مَهْلِكَ أَهْلِهِ وَإِنَّا لَصَادِقُونَ} [النمل: 49] . وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৩১৪


মহিলাটি কিদার ইবন সালিফকে প্রস্তাব দেয় যে, সে যদি উটনীটি হত্যা করতে পারে তবে তার
এ চার কন্যার মধ্য থেকে যাকে ইছে বিয়ে করতে পারবে ৷ তখন ঐ যুবকদ্বয় উটনী হত্যার
দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং সম্প্রদায়ের লোকদের সমর্থন লাভৈর চেষ্টা চালায় ৷ সে মতে, অপর সাত
ব্যক্তি তাদের ডাকে সাড়া দেয় ৷ এভাবে তারা নয়জন ঐক্যবদ্ধ হয় ৷ কুরআনে সে কথাই বলা
হয়েছে :


ষ্া£ঙ্

আর সেই শহরে ছিল এমন নয় ব্যক্তি যারা দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করত এবং কোন সত্কর্ম

করত যা ৷ (সুরা নামঘ : ৪৮)

তারপর এ! সমস্যা গোটা সম্প্রদজাের কাংৰ্ যায় এবং ডাঃর্মীহ্ত্যার উদ্যোগের কথা
আমার ৷ এ ব্যাপারে সকণেই তাদেরকে সমর্থন করে ও সহযােণিতোর অশ্নোস দের ৷ এরপর
তারা উটর্নীর সন্ধানে বের হয় ৷ যখন তারা দেখতে পেল যে, মোঃ পানির ঘাট থেকে ফিরে
আসছে, তখন তাদের মধ্যকার মিসুরা নামক ব্যক্তিটি যে পুর্ব থেকে শুৎ পেতে বসে ছিল সে
একটি তার তার দিকে ছুড়ে মারে, তীরটি উটনীটির পায়ের পােহা ভেদ করে চলে যায় ৷ এদিকে
মহিলড়ারা তাদের মুখমগুস অরারিত করে গোটা কৰিসড়ার মধ্যে উটনী হত্যার কথা ছড়িয়ে
তাদেরকে উৎসাহিত করতে থাকে ৷ কিদার ইবন সান্সিফ অগ্রসর হয়ে তনোয়ড়ার দিয়ে আঘাত
করে উটনীটির পায়ের গোছার রপ কেটে দেয় ৷ সাথে সাথে উটনীর্টি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং
বিকট শব্দে চিৎকার দিয়ে ওঠে ৷ চিত্কারের মাধ্যমে সে তার পেটের বাচ্চাকে সতর্ক করে ৷
কিদার পুনরায় বর্শা দিয়ে উর্টনীটির বুকে আঘাত করে এবং তাকে হত্যা করে ৷ ওদিকে বাচ্চাটি
একটি দুর্গম পাহাড়ে আরোহণ করে তিনবার ডাক দেয় ৷

আবদুর রজ্জাক (র) হাসান (র) থেকে বর্ণিত : উটনীটির বাচ্চার ডাক ছিল এই : , এ ৷
ণে ;, ৷ হে আমার বব! আমার মা কােথায়ঃ এরপর সে একটি পাথরের মধ্যে প্রবেশ করে
অদৃশ্য হয়ে যায়৷ কারো কারো মতে, লোকজন ঐ বাচ্চার পশ্চাদ্ধাবন করে তড়াকেও হত্যা

করেছিল ৷


আল্লাহ বলেন
অতঃপর তারা তাদের এক সং পীকে আহ্বান করল এবং সে এসে উটনীঢিকে ধরে হত্যা
করল ৷ দেখ, কি কঠোর ছিল আমার শান্তি ও সতর্করাণী (সুরা কামার : ২৯-৩০ )
অন্যত্র আল্লাহ্ বলেন :


ওদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাগ্য সে যখন তৎপর হয়ে উঠলো, তখন আল্লাহর রাসুল

বলল, আল্লাহ্র উটনী ও তার পানি পান করার বিষয়ে সাবধান হও ৷ অর্থাৎ তোমরা একে ভয়

করিও ৷ কিন্তু তারা রাসুলকে অস্বীকার করল এবং উটনীঢিকেও হত্যা করে ফেললো ৷

ত্রৈষ্ঠাং

তাদের পাপের জন্যে তাদের প্ৰতিপালক তাদেরকে সমুলে ধ্বংস করে একাকার করে
দিলেন এবং এর পরিণামের জন্য আল্লাহ্র আশঙ্কা করার কিছু নেই ৷ (সুরা শামস্৪ ১ ২ ১৫)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খগ্রা ৪ষ্০জ্যো-ব্লুমোঃ জ্যো

{وَمَكَرُوا مَكْرًا وَمَكَرْنَا مَكْرًا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ مَكْرِهِمْ أَنَّا دَمَّرْنَاهُمْ وَقَوْمَهُمْ أَجْمَعِينَ فَتِلْكَ بُيُوتُهُمْ خَاوِيَةً بِمَا ظَلَمُوا إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ وَأَنْجَيْنَا الَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ} [النمل: 50] . وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَرْسَلَ عَلَى أُولَئِكَ النَّفَرِ الَّذِينَ قَصَدُوا قَتْلَ صَالِحٍ حِجَارَةً رَضَخَتْهُمْ سَلَفًا وَتَعْجِيلًا قَبْلَ قَوْمِهِمْ، وَأَصْبَحَتْ ثَمُودُ يَوْمَ الْخَمِيسِ، وَهُوَ الْيَوْمُ الْأَوَّلُ مِنْ أَيَّامِ النَّظِرَةِ، وَوُجُوهُهُمْ مُصْفَرَّةٌ، كَمَا أَنْذَرَهُمْ صَالِحٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَمَّا أَمْسَوْا نَادَوْا بِأَجْمَعِهِمْ: أَلَا قَدْ مَضَى يَوْمٌ مِنَ الْأَجَلِ، ثُمَّ أَصْبَحُوا فِي الْيَوْمِ الثَّانِي مِنْ أَيَّامِ التَّأْجِيلِ، وَهُوَ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، وَوُجُوهُهُمْ مُحْمَرَّةٌ، فَلَمَّا أَمْسَوْا نَادَوْا: أَلَا قَدْ مَضَى يَوْمَانِ مِنَ الْأَجَلِ، ثُمَّ أَصْبَحُوا فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ مِنْ أَيَّامِ الْمَتَاعِ، وَهُوَ يَوْمُ السَّبْتِ، وَوُجُوهُهُمْ مُسْوَدَّةٌ، فَلَمَّا أَمْسَوْا نَادَوْا: أَلَا قَدْ مَضَى الْأَجَلُ، فَلَمَّا كَانَ صَبِيحَةُ يَوْمِ الْأَحَدِ تَحَنَّطُوا وَتَأَهَّبُوا، وَقَعَدُوا يَنْظُرُونَ مَاذَا يَحِلُّ بِهِمْ مِنَ الْعَذَابِ وَالنَّكَالِ وَالنِّقْمَةِ لَا يَدْرُونَ كَيْفَ يُفْعَلُ بِهِمْ، وَلَا مِنْ أَيِّ جِهَةٍ يَأْتِيهِمُ الْعَذَابُ، فَلَمَّا أَشْرَقَتِ الشَّمْسُ جَاءَتْهُمْ صَيْحَةٌ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ فَوْقِهِمْ، وَرَجْفَةٌ شَدِيدَةٌ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ، فَفَاضَتِ الْأَرْوَاحُ وَزَهَقَتِ النُّفُوسُ، وَسَكَنَتِ الْحَرَكَاتُ، وَخَشَعَتِ الْأَصْوَاتُ، وَحُقَّتِ الْحَقَائِقُ، {فَأَصْبَحُوا فِي دَارِهِمْ جَاثِمِينَ} [الأعراف: 78] جُثَثًا لَا أَرْوَاحَ فِيهَا، وَلَا حِرَاكَ بِهَا قَالُوا: وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُمْ أَحَدٌ إِلَّا جَارِيَةٌ كَانَتْ مُقْعَدَةً، وَاسْمُهَا: كَلْبَةُ بِنْتُ السَّلْقِ، وَيُقَالُ لَهَا: الزُّرَيْعَةُ. وَكَانَتْ شَدِيدَةَ الْكُفْرِ وَالْعَدَاوَةِ لِصَالِحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَمَّا رَأَتِ الْعَذَابَ أُطْلِقَتْ رِجْلَاهَا، فَقَامَتْ تَسْعَى كَأَسْرَعِ شَيْءٍ فَأَتَتْ حَيًّا مِنَ
পৃষ্ঠা - ৩১৫


ইমাম আহমদ (র) আবদুল্লাহ ইবন নুমায়র (র) সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন যামআ (রা) থেকে
বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সড়া) একবার ভাষণ দিতে গিয়ে উটনী ও তার হত্যাকারীর প্রসংপ
উল্লেখ করেছিলেনং ৷১ £ ৷ :’ ” ৷ ১৷ (তাদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাপা সে যখন
তৎপর হয়ে উঠল) যে সােকটি তৎপর হয়েছিল সে অত্যন্ত কঠিন, রুঢ় ও কওমের সর্দার ৷ আবু
যড়াম আর ন্যায় মুহাম্মদ ইবন ইসহ৷ ক লিখেছেন, ইয়াযীদ ইবন মুহাম্মদ আমার ইবন ইয়াসির
(বা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : হে আলী! আমি কি তোমাকে মানব গোষ্ঠীর
সবচেয়ে বড় দুই হতভাপার কথা শুনবেঃ আলী (বা) বললেন, বলুন, ইয়া রাসুলাল্পাহ! তিনি
বললেন : একজন হল ছামুদ সম্প্রদায়ের সেই গৌরবর্ণ সােকটি, যে উটনী হত্যা করেছিল; আর
দ্বিতীয়জন হল সেই ব্যক্তি যে তোমার এই স্থানে (অর্থাৎ মস্তকের পার্শে) আঘাত করবে, যার
ফলে এটা অর্থাৎ দাড়ি ভিজে যাবে ৷ ইবন আবু হাতিম (ব) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আল্লাহ
তা আলা বলেন :


অতঃপর তারা সেই উটনী বধ করে এবং আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং বলে,
হে সালিহ্! ভুমি রাসুল হয়ে থাকলে আমাদেরকে যার ভয় দেথাচ্ছ তা আনয়ন কর ৷ (সুরা
আরাফ : ৭ ৭)
এই উক্তির মধ্যে তারা কয়েকটি জঘন্য কুফরী কথা বলেছে যথা : (১) আল্লাহ যে উটনী
তাদের জন্যে নিদর্শন রুপে পাঠিয়ে তাকে কোন প্রকার কষ্ট দিতে কঠোরতাবে নিষেধ
করেছিলেন, তারা তাকে হত্যা করে আল্লাহ ও রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে ৷ (২) আযাব
আনয়নের জন্যে তারা বেশি রকম তড়ােহুড়া করে ৷ দুই কারণে তারা যে আয়াবে গ্রেফতার হয়,
(এক) তাদের উপর আরোপিত ৰুার্চু
(একে কে নরুপ কষ্ট দিও না, অন্যথায় অতি শীঘ্রই আমার তােমাদেরকে পাকড়াও করবে ৷)
অন্য এক আয়াতে আছে ছু ^৬ঝু; ? ৷;র্দু (ভয়াবহ আমার), অপর এক আয়াতে আছে —
,৷ ৷া; (পীড়াদায়ক আযাব) ৷ এর প্রতিটিই য়থার্থরুপে দেখা দেয় ৷ (দুই) আযাব
তাড়াতাড়ি এনে দেয়ার জন্যে তাদের পীড়াপীড়ি করা ৷ (৩) তারা তাদের নিকট প্রেরিত
রাসুলকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে অথচ তিনি তার নবুওতের দাবির সভ্যতার পক্ষে চুড়ান্ত প্রমাণ
উপস্থিত করেছিলেন এবং তারাও তা নিশ্চিতরুপে জানতে৷ ৷ কিন্তু সত্যকে এড়িয়ে চলার
মানসিকতা ও আযাবে গ্রেফতার হওয়ার যােগ্যতাই তাদেরকে ভ্রান্ত কুফরী পথে যেতে ও বিদ্বেষী

হয়ে চলতে উদ্বুদ্ধ করে ৷ আল্লাহ বলেনং ষ্


জ্যি ওরা তাকে বধ করল ৷ ফলে সড়ালিহ্ বলল, তোমরা তোমাদের বাড়িতে তিনদিন
জীবন উপভোগ করে নাও ৷ এ এমন একটি ওয়াদ৷ যা মিথ্যা হবার নয় ৷ (সুরা হ্রদ৪ ৬৫)

মুফাসসিরগণ লিখেছেন, উটনীটির উপর প্রথম যে ব্যক্তি হামলা করে তার নাম কিদার
ইবন সালিফ (তার প্ৰতি আল্লাহর অভিশাপ বর্নিত হোক ৷) প্রথম আঘাতেই উটনীটির পায়ের


الْعَرَبِ فَأَخْبَرَتْهُمْ بِمَا رَأَتْ وَمَا حَلَّ بِقَوْمِهَا، وَاسْتَسْقَتْهُمْ مَاءً، فَلَمَّا شَرِبَتْ مَاتَتْ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كَأَنْ لَمْ يَغْنَوْا فِيهَا} [الأعراف: 92] . أَيْ لَمْ يُقِيمُوا فِيهَا فِي سَعَةٍ، وَرِزْقٍ، وَغَنَاءٍ: {أَلَا إِنَّ ثَمُودَ كَفَرُوا رَبَّهُمْ أَلَا بُعْدًا لِثَمُودَ} [هود: 68] . أَيْ نَادَى عَلَيْهِمْ لِسَانُ الْقَدَرِ بِهَذَا. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «لَمَّا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحِجْرِ قَالَ: لَا تَسْأَلُوا الْآيَاتِ فَقَدْ سَأَلَهَا قَوْمُ صَالِحٍ فَكَانَتْ يَعْنِي النَّاقَةَ تَرِدُ مِنْ هَذَا الْفَجِّ، وَتَصْدُرُ مِنْ هَذَا الْفَجِّ فَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ فَعَقَرُوهَا، وَكَانَتْ تَشْرَبُ مَاءَهُمْ يَوْمًا، وَيَشْرَبُونَ لَبَنَهَا يَوْمًا، فَعَقَرُوهَا، فَأَخَذَتْهُمْ صَيْحَةٌ أَهْمَدَ اللَّهُ مَنْ تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ مِنْهُمْ إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا كَانَ فِي حَرَمِ اللَّهِ. فَقَالُوا: مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: هُوَ أَبُو رِغَالٍ، فَلَمَّا خَرَجَ مِنَ الْحَرَمِ أَصَابَهُ مَا أَصَابَ قَوْمَهُ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ، وَلَيْسَ هُوَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْكُتُبِ السِّتَّةِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَيْضًا قَالَ: مَعْمَرٌ أَخْبَرَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِقَبْرِ أَبِي رِغَالٍ، فَقَالَ: أَتَدْرُونَ مَنْ هَذَا؟ قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: هَذَا قَبْرُ أَبِي رِغَالٍ رَجُلٍ مِنْ ثَمُودَ كَانَ فِي حَرَمِ اللَّهِ، فَمَنَعَهُ حَرَمُ اللَّهِ عَذَابَ اللَّهِ، فَلَمَّا خَرَجَ أَصَابَهُ مَا أَصَابَ قَوْمَهُ، فَدُفِنَ هَاهُنَا وَدُفِنَ مَعَهُ غُصْنٌ مِنْ ذَهَبٍ. فَنَزَلَ الْقَوْمُ فَابْتَدَرُوهُ بِأَسْيَافِهِمْ فَبَحَثُوا عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৩১৬


গোছা কেটে যায় এৎ সে মাটিতে পড়ে যায় ৷ এরপর অন্যরা দৌড়ে গিয়ে তরবারি দ্বারা কেটে
উটনীটির দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করে ৷ উটনীটির সদ্য প্রসুত বাচ্চা এ অবস্থা দেখে দৌড়ে নিকটবর্তী
এক পাহাড়ে গিয়ে ওঠে এবং তিনবার আওয়াজ দেয় ৷ এজন্যে সালিহ্ (আ) তাদেরকে
বললেন : তোমরা তিনদিন পর্যন্ত তোমাদের ঘরবাড়িতে
জীবন উপর্তোগ কর ৷ অর্থাৎঘটনার ঐ দিন বাদ দিয়ে পরবর্তী তিনদিন ৷ কিন্তু এত কঠোর
সতর্কবাণী শুনানো সাত্ত্বও তারা এ কথা বিশ্বাস করল না ৷ বরং ঐ রাত্রেই নবীকেও হত্যা করার
ষড়যন্ত্র পাকায এবং উটনীটির মত তাকেও খতম করার পরিকল্পনা করে ৷ £fi€£ !§fié
ৰুপুটু র্চুৰ্টএ্যা <শু ৷ৰু তারা পরস্পরে বলল, আল্লাহর নামে কসম কর যে, আমরা সালিহ্
ও তার পরিবারসিহ লোকদের উপর রাত্রিবেলায় আক্রমণ চালাব ৷ অর্থাৎ আমরা তার বাড়িতে
হামলা করে সালিহ্কে তার পরিবার পরিজনসহ হত্যা করব এবং পরে তার অভিভাবকরা যদি

রক্তপণ চায় তবে আমরা হত্যা করার কথা অস্বীকার করব ৷ এ কথাই কুরআনে বলা হয়েছে ও
মোঃ ৷£হ্রৰুহ্র ৷; ধ্প্রুা,থু র্চুা;ব্লুওর্দ্রৰু
পরে তার অভিডাবকর্দুক বলব, আমরা তার পরিবারের হত্যা৷র্দুশ্বত্যক্ষ করিনি ৷ (সুরা
নামল : : ৯)
আল্লাহ্ তাআলা আরো বলেন :


র্চুা ণ্;ট্রিবৃৰুষু
é

তারা এক চক্রান্ত করেছিল এবং আমিও এক কৌশল অবলম্বন করলাম, কিন্তু ওরা বুঝতে
পারেনি ৷ অতএব দেখ, ওদের চক্রাত্তের পরিণতি কি হয়েছে! আমি অবশ্যই ওদের এবং ওদের
সম্প্রদায়ের সকলকে ধ্বংস করেছি ৷ এই তাে ওদের ঘরৰাড়ি — সীমালংঘন করার কারণে যা
জনশুন্য অবস্থায়-পড়ে আছে ৷ এতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্যে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে ৷ আর যারা
মুমিন-মুত্তাকী ছিল তাদেরকে আমি উদ্ধার করেছি ৷ (সুরা নামল : ৫ :-৫৩)
ছামুদ জাতির ধ্বংসলীলা সংঘটিত হয়েছিল নিম্নরুপে : যে কয় ব্যক্তি হযরত সালিহ্
(আ)-কে হত্যা করতে সংকল্পবদ্ধ হয়, আল্লাহ প্রথমে তাদের উপর পাথর নিক্ষেপ করে
চুর্ণ-বিচুর্ণ করেন ৷ পরে গোটাসম্প্রদায়কে ধ্বংস করেন ৷ যে তিনদিন তাদেরকে অবকাশ দেয়া
হয়েছিল তার প্রথমদিন ছিল বৃহস্পতিবার ৷ এই দিন আমার সাথে সাথে সম্প্রদায়ের সকলের মুখ
ফ্যাকাসে হয়ে যায় ৷ যখন সন্ধ্যড়া হল তখন পরস্পর বলাবলি করল, জেনে রেখ, নির্ধারিত
সময়ের প্রথম দিন শেষ হয়ে গেল ৷ দ্বিতীয় দিন শুক্রবারে সকলের চেহারা লাল রঙ ধারণ করে ৷
সন্ধ্যড়াকালে তারা বলাবলি করে যে, শুনে রেখ, নির্ধারিত সময়ের দৃইদিন কেটে গেছে ৷ তৃতীয়
দিন শনিবড়ারে সকলের চেহারা কাল রঙ ধারণ করে ৷ সন্ধ্যড়াবেলড়া তারা বলাবলি করে যে, জেনে
নাও, নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেছে ৷ রবিবার সকালে তারা থােশবু লাগিয়ে প্রস্তুত হয়ে
অপেক্ষায় থাকল কি শান্তি ও আযাব-গযব নাযিল হয় তা দেখার জন্যে ৷ তাদের কােনই


فَاسْتَخْرَجُوا الْغُصْنَ» . قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: قَالَ مَعْمَرٌ: قَالَ الزُّهْرِيُّ: أَبُو رِغَالٍ أَبُو ثَقِيفٍ. هَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ جَاءَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مُتَّصِلًا، كَمَا ذَكَرَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ فِي السِّيرَةِ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ، عَنْ بُجَيْرِ بْنِ أَبِي بُجَيْرٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: حِينَ خَرَجْنَا مَعَهُ إِلَى الطَّائِفِ فَمَرَرْنَا بِقَبْرٍ، فَقَالَ: إِنَّ هَذَا قَبْرُ أَبِي رِغَالٍ، وَهُوَ أَبُو ثَقِيفٍ، وَكَانَ مِنْ ثَمُودَ، وَكَانَ بِهَذَا الْحَرَمِ يَدْفَعُ عَنْهُ، فَلَمَّا خَرَجَ مِنْهُ أَصَابَتْهُ النِّقْمَةُ الَّتِي أَصَابَتْ قَوْمَهُ بِهَذَا الْمَكَانِ فَدُفِنَ فِيهِ، وَآيَةُ ذَلِكَ أَنَّهُ دُفِنَ مَعَهُ غُصْنٌ مِنْ ذَهَبٍ، إِنْ أَنْتُمْ نَبَشْتُمْ عَنْهُ أَصَبْتُمُوهُ مَعَهُ. فَابْتَدَرَهُ النَّاسُ فَاسْتَخْرَجُوا مِنْهُ الْغُصْنَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ بِهِ. قَالَ شَيْخُنَا الْحَافِظُ أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ عَزِيزٌ. قُلْتُ: تَفَرَّدَ بِهِ بُجَيْرُ بْنُ أَبِي بُجَيْرٍ هَذَا، وَلَا يُعْرَفُ إِلَّا بِهَذَا الْحَدِيثِ، وَلَمْ يَرْوِ عَنْهُ سِوَى إِسْمَاعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ. قَالَ شَيْخُنَا: فَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ وَهِمَ فِي رَفْعِهِ، وَإِنَّمَا يَكُونُ مِنْ كَلَامِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو مِنْ زَامِلَتَيْهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: لَكِنْ فِي الْمُرْسَلِ الَّذِي قَبْلَهُ، وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ أَيْضًا شَاهِدٌ لَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩১৭


ধারণা ছিল না যে, তাদেরকে কি করা হবে এৎ কোন দিক থেকে আমার আসবে ৷ কিছু সময়
পর সুর্য যখন উপরে এসে উজ্জ্বল হয়ে উঠল’, তখন আসমানের দিক থেকে বিকট আওয়াজ
এলো এবং নিচের দিক থেকে প্রবল ভুকষ্পন শুরু হন ৷ সাথে সাথে তাদের প্রাণবড়ায়ু উড়ে গেল,
সকল নড়াচড়া বন্ধ হায়গেল, শোরগােল স্তব্ধ হল এবং যা সত্য তাই বাস্তবে ঘটে গেল ৷ ফলে
সবইি লাশ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে রইল ৷
ইতিহাসবেত্তাপণ লিখেছেন, হড়ামুদ সম্প্রদায়ের এ আবার থেকে একজন মাত্র মহিলা ছাড়া
আর কেউই মুক্তি পারনি ৷ মহিশাটির নাম কাসবা বিনত সলােকা, ডাকনাম যারীআ ৷ সে ছিল
কট্টর কাফির ও হ্ববত সাশিহু (আ)এব চরম দুশমন ৷ আমার আসতে দেখেই সে দ্রুত বের
হয়ে দৌড়ে এক আরব পোত্রে গিয়ে উঠস এবং তার সম্প্রদায়ের উপর পতিত যে আমার যে
প্রত্যক্ষ করে জ্যো-আঃ বর্ণনা দিস ৷ পিপাসার কাতর হয়ে সে পানি পান করতে চাইল ৷
কিন্তু পানি পান করার সাথে সাথেই মৃত্যুর কোণে ঢশে পড়স্ ৷


আল্লাহর বাণী : ! ,১ব্ক্ত ণ্র্দু , ,এে (যেন সেখানে তারা কোন দিন বসবাস করে নাই) ৷
আল্লাহ বলেন : ’ (জেনে বের, হড়ামুদ
সম্প্রদায় তাদের প্ৰতিপাসককে অস্বীকার করেছিল ৷ জেনে রের, ধ্বংসই হল ছামুদ সম্প্রদায়ের

পরিণাম) (সুরা হ্রদঃ ৬৮) ৷ এটইি ছিল তাদের অদৃষ্ট লিখন ৷

ইমাম আহমদ (র) , আবদুর রাজ্জাক (র) জাবির (না) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুসুল্পাহ (সা)
একবার হিজর উপত্যকা দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলেন ? তোমরা আল্লাহর নিদর্শন অর্থাৎ
মুজিযা দেখার আবদার করো না ৷ সান্সিহ্ (আ)-এর সম্প্রদায় এরুপ আবদার জানিয়েছিল ৷ সেই
নিদর্শনের উনীি এই গিরিপথ দিয়ে পানি পান করার জন্যে যেত এবং পান করার পর এই পথ
দিয়েই উঠে আসত (তারা আল্লাহর হুকুমের অবাধ্য হল
ও উটনীটিকে বধ করল) ৷ ’ ’

উটনী একদিন তাদের পানি পান করত এবং তারা একদিন উটনীর দুধ পান করত ৷ পরে
তারা উটনীটিকে বধ করে ৷ ফলে এক বিকট আওয়াজ তাদেরকে পাকড়াও করে ৷ এতে ছামুদ
সম্প্রদায়ের শুধু একজন লোক ব্যতীত আসমানের নিচে তাদের যত লোক ছিল সবাইকে আল্লাহ
ধ্বংস করে দেন ৷ সেই ণ্লাকঢি হারম শরীফে অবস্থান করছিল ৷ সঙ্গীরা জিজ্ঞেস করল, কে সেই
ণ্লাকটি ইয়া রাসুলাল্লাহ ! তিনি বললেন, তার নাম আবু রাপাস ৷ পরে হারম শরীফ থেকে বের
হবার পর ঐ আবার তাকে ধ্বংস করে, যে আবার তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিল ৷ এ হাদীসটি
ইমাম মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সংগৃহীত; কিন্তু হাদীসের প্রসিদ্ধ ছয়টি কিতাবের কােনটিতেই
এর কোন উল্লেখ নেই ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ ৷

আবদুর রাজ্জাক (র) ইসমাঈল ইবন উমাইয়া (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন, একদা নবী
করীম (না) আবু রাপালের কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন,
তোমরা কি জান, এই কবরবাসী কাে৷ তারা বলল, আল্লাহ ও তার রাসুলই সম্যক জানেন ৷ তিনি
বললেন, এটা আবু রাপালের কবর , সে ছামুদ সম্প্রদায়ের লোক ৷ আল্লাহর হারমে সে অবস্থান
করছিল ৷ সুতরাং আল্লাহর হারম আল্লাহর আমার থেকে দুরে রাখে ৷ পরে হারম-থেকে সে


وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَتَوَلَّى عَنْهُمْ وَقَالَ يَا قَوْمِ لَقَدْ أَبْلَغْتُكُمْ رِسَالَةَ رَبِّي وَنَصَحْتُ لَكُمْ وَلَكِنْ لَا تُحِبُّونَ النَّاصِحِينَ} [الأعراف: 79] . إِخْبَارٌ عَنْ صَالِحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنَّهُ خَاطَبَ قَوْمَهُ بَعْدَ هَلَاكِهِمْ، وَقَدْ أَخَذَ فِي الذَّهَابِ عَنْ مَحِلَّتِهِمْ إِلَى غَيْرِهَا قَائِلًا لَهُمْ: {يَا قَوْمِ لَقَدْ أَبْلَغْتُكُمْ رِسَالَةَ رَبِّي وَنَصَحْتُ لَكُمْ} [الأعراف: 79] . أَيْ جَهَدْتُ فِي هِدَايَتِكُمْ بِكُلِّ مَا أَمْكَنَنِي، وَحَرَصْتُ عَلَى ذَلِكَ بِقَوْلِي وَفِعْلِي وَنِيَّتِي {وَلَكِنْ لَا تُحِبُّونَ النَّاصِحِينَ} [الأعراف: 79] . أَيْ لَمْ تَكُنْ سَجَايَاكُمْ تَقْبَلُ الْحَقَّ وَلَا تُرِيدُهُ، فَلِهَذَا صِرْتُمْ إِلَى مَا أَنْتُمْ فِيهِ مِنَ الْعَذَابِ الْأَلِيمِ الْمُسْتَمِرِّ بِكُمُ الْمُتَّصِلِ إِلَى الْأَبَدِ، وَلَيْسَ لِي فِيكُمْ حِيلَةٌ، وَلَا لِي بِالدَّفْعِ عَنْكُمْ يَدَانِ، وَالَّذِي وَجَبَ عَلَيَّ مِنْ أَدَاءِ الرِّسَالَةِ وَالنُّصْحِ لَكُمْ قَدْ فَعَلْتُهُ وَبَذَلْتُهُ لَكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ. وَهَكَذَا خَاطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ قَلِيبِ بَدْرٍ بَعْدَ ثَلَاثِ لَيَالٍ، وَقَفَ عَلَيْهِمْ، وَقَدْ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، وَأَمَرَ بِالرَّحِيلِ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، فَقَالَ: «يَا أَهْلَ الْقَلِيبِ هَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَكُمْ رَبُّكُمْ حَقًّا، فَإِنِّي قَدْ وَجَدْتُ مَا وَعَدَنِي رَبِّي حَقًّا» . وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: «بِئْسَ عَشِيرَةُ النَّبِيِّ كُنْتُمْ لِنَبِيِّكُمْ كَذَّبْتُمُونِي وَصَدَّقَنِي النَّاسُ، وَأَخْرَجْتُمُونِي وَآوَانِي النَّاسُ، وَقَاتَلْتُمُونِي وَنَصَرَنِي النَّاسُ، فَبِئْسَ عَشِيرَةُ النَّبِيِّ كُنْتُمْ لِنَبِيِّكُمْ» . فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ تُخَاطِبُ أَقْوَامًا قَدْ جَيَّفُوا. فَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ بِأَسْمَعَ لِمَا أَقُولُ مِنْهُمْ، وَلَكِنَّهُمْ لَا يُجِيبُونَ» . وَسَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. وَيُقَالُ: إِنَّ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ انْتَقَلَ إِلَى حَرَمِ اللَّهِ فَأَقَامَ بِهِ حَتَّى مَاتَ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ
পৃষ্ঠা - ৩১৮


বেরিঃয় আসলে সেই আমার তাকে ধ্বংস করে, যে আবার তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিল ৷
তারপর এখানে তাকে দাফন করা হয় এবং তার সাথে স্বর্পনির্মিত একটি ডালও দাফন করা হয় ৷
এ কথা শুনে কাফেলার সবইি বাহন থেকে নেমে এসে তরবারি দ্বারা কবর খুড়ে স্বর্ণের ভাল বের
করে নিয়ে আসে ৷

আবদুর রাজ্জাক ন্ (র) যুহয়ী থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আবু রাপালের অপর নাম আবু
ছার্কীফ ৷ বর্ণনার এই সুত্রটি মুরসাল ৷ এ হাদীস মুত্তাসিল সনদেও বর্ণিত হয়েছে ৷ যেমন মুহাম্মদ
ইবন ইসহাক (র) তার সীরাত গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) প্রমুখাৎ থেকে বর্ণনা
করেছেন ৷ আবদুল্লাহ (রা) বলেন, রাসুসুল্পাহ (না)-এর তইিফ পমনের সময় আমরাও সাথে
হিশাম ৷ একটি কবর অতিক্রম করার সময় তিনি বললেন, এটি আবু রাগালের কবর যাকে
আবু ছার্কীফ্ও বলা হয় ৷ সে ছামুদ সম্প্রদায়ের লোক ৷ হায়মে অবস্থান করার তার উপর
তাৎক্ষণিকভাবে আমার আসেনি ৷ পরে যখন হারম থেকে বেরিয়ে এই স্থানে আসে, তখন সেই
আমার তার উপর পতিত হয়, যে আবার তার সম্প্রদায়ের উপর পতিত হয়েছিল ৷ এখানেই
তাকে দাফন করা হয় ৷ এর প্রমাণ এই যে, তার সাথে স্বর্ণের একটি ডালও দাফন করা
হয়েছিল ৷ তোমরা তার কবর খুড়সে সাথে ঐ ডালটিও পাবে ৷ তখনই লোকজন কবরটি খুড়ে
ডালটি বের করে আসে ৷ আবু দাউদ (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে এ হড়াদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ হাফিজ আবুল হাজ্জাজ মায্র্মী একে হাসান ও আযীয’ পর্যায়ের হাদীস বলে মন্তব্য
করেছেন ৷

আমার মতে, এ হড়াদীসটি বুজায়র ইৰুন আবু ৰুজায়র একটি বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীস
ব্যতীত অন্য কোন হাদীসের বর্ণনাকারী হিসেবে ভাবে দেখা যায় না ৷ এছাড়া ইসমাঈল ইবন
উমাইয়া ব্যতীত অন্য কেউ এটা বর্ণনা করেননি ৷ শায়খ আবুল হাঘ্আজ বলেছেন, , এ
হড়াদীসকে মারকু’ বলা অমুলক, এটা আসলে আবদুল্লাহ ইৰ্ন আমরেরই একটি উক্তি ৷ তবে

পুরে বর্ণিত মুরসাল ও জাযিরের হাদীসে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷ আল্লাহর বাণীং


¢»

তঃপ র সালিহ তাদের থেকে মুখ ফিরিবে নিয়ে বন্যা, হে আমার সস্ব;াদায়৷ আমি তো
আমার অগ্রতিপালকের বাণী তােমাদ্যো নিকট শৌস্কিয়ইিশাম এবং তোমাদেরকে হিভোপদেশ
দিারহিপাম ক্ষিডু তােষ্ম র৷ তো ইিতাকজৌদ্যোষ্কে পহস্ কর না ৷ (সুর৷ আ রাফ্ : ৭৯),

সম্প্রদাবের ধ্বংসের পর হযরত সাল্পিহ্ (আ) তাদেরষ্কেউন্ধেপ করে যে কথা বঙ্গেহিণেন্
এখানে, তা ম্ভান্ানান্ হ£রশ্নে ৷ ডিষি র্তা৷৷ পম্প্রথাঃর জ্যো যেৰে গ্রাস্ যাওয়ার সময়
ণ্ ষ্মোঃন্নেট্রুন্ ৰু’;র্বু৷ মোঃব্লুপ্রুর্বৃ র্ক্সাষ্ন্ণ্ন্শ্ :,“ , ঞ হু’ (যে আমার
ন্সম্প্রদায আমার মোঃ পরপাম আমি তোমাদের নিকট পৌর্হিচ্র দিচ্ৰুছুলোঃ “এবং

ণ্াতামড়াদেবকে উপদ্যো৩ দিবের্হিা৷র্স) ত্মর্থাং ত্তোমালোঃ র্হিদায়াডের ষ্সো আমি আমার

,




بْنِ وَهْرَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي عُسْفَانَ حِينَ حَجَّ قَالَ: «يَا أَبَا بَكْرٍ أَيُّ وَادٍ هَذَا؟» . قَالَ: وَادِي عُسْفَانَ. قَالَ: «لَقَدْ مَرَّ بِهِ هُودٌ، وَصَالِحٌ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ عَلَى بَكَرَاتٍ حُمْرٍ خُطُمُهَا اللِّيفُ، أُزُرُهُمُ الْعَبَاءُ، وَأَرْدِيَتُهُمُ النِّمَارُ، يُلَبُّونَ يَحُجُّونَ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ» . إِسْنَادٌ حَسَنٌ، وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي قِصَّةِ نُوحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ رِوَايَةِ الطَّبَرَانِيِّ، وَفِيهِ نُوحٌ، وَهُودٌ، وَإِبْرَاهِيمُ.
পৃষ্ঠা - ৩১৯


সাধ্যমত চেষ্টমৃ করেছিলাম ৷ কথায়, কাজে ও সদিচ্ছা দিয়ে তা একাত্তভাবে কামনা কঃরছিললড়াম
র্চু,ট্টাম্রা (, ^,শুপু;; র্শ্ব;,হ্রা^ দ্বু(কিন্তু হিতাকাজ্জীদেরকে তোমরা পছন্দ কর না) অর্থাৎ
সত্য ঠোমরড়া কবুল করনি আর না কবুল করতে প্রস্তুত ছিলে ৷ এ কারণেই আজ তোমরা
চিরস্থায়ী আযাবের মধ্যে পড়ে রয়েছ ৷ এখন আমার আর করার কিছুই নেই ৷ তোমাদের থেকে
আমার দুর করার কোন শক্তি আমার আদৌ নেই ৷ আল্লাহর বাণী পৌছিয়ে দেয়া ও উপদেশ
দেয়ার দায়িতৃই আমার উপর ন্যস্ত ছিল ৷ সে দায়িত্ব আমি পালন করেছি ৷ কিত্তু কার্যত সেটাই

হয় যেটা আল্লাহ চান ৷

শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)ও অনুরুপভাবে বদর প্রান্তরে অবস্থিত কুপে নিক্ষিপ্ত নিহত
কাফির সর্দারদের লাশগুলো সম্বোধন করে ভাষণ দিয়েছিলেন ৷ বদর যুদ্ধে নিহত কুরায়শ
সর্দারকে বদরের কুপে নিক্ষেপ করা হয় ৷ তিনদিন পর শ্বেষরাতে ময়দান ত্যাগ করার সময়
রাসুলুল্লাহ (সা) উক্ত কুপের নিকট দাড়িয়ে বলেছিলেন, “হে কুপবাসীরা! তোমাদের সাথে
তোমাদের প্রভু যে ওয়াদা করেছিলেন তার সত্যতা দেখতে পেয়েছো তো? আমার সাথে আমার
প্রভৃর যে ওয়াদা ছিল তা আমি পুরোপুরি সত্যরুপে পেয়েছি ৷’ রাসুলুল্লাহ (সা) আরও বলেন,
তোমরা হচ্ছ নবীর নিকৃষ্ট পরিজন ৷ তোমরা তো তোমাদের নবীকে মিথুকে প্রতিপন্ন করছ ৷
কিন্তু অন্য লোকেরা আমাকে সত্য বলে স্বীকার করেছে ৷ তোমরা আমাকে দেশ থেকে বের করে
দিয়েছ ৷ অন্যরা আমাকে আশ্রয় দিয়েছে ৷ তোমরা আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছো,
পক্ষান্তরে অন্যরা আমাকে সাহায্য করেছে তোমরা তোমাদের নবীর কত জঘন্য পরিজন
ছিলে !”

হযরত উমর (রা) রাসুলুল্লাহ (না)-কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ৷ আপনি এমন একদল
লোকের সাথে কথা বলছেন, যারা লাশ হয়ে পড়ে আছে ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, “যে মহান
সত্তার হাতে আমার জীবন, তার শপথ করে বলছি, আমি যেসব কথাবার্তা বলছি তা ওদের
চেয়ে তোমরা মোটেই বেশি শুনছ না; যিভু তারা উত্তর দিচ্ছে না এই না ৷”


পরে যথাস্থানে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা আসবে ইনশাআল্লাহ ৷ কথিত আছে, হযরত
সালিহ্ (আ) এ ঘটনার পর হারম শরীফে চলে যান এবং তার ইস্তিকাল পর্যন্ত লেখানেই
অবস্থান করেন ৷

ইমাম আহমদ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, বিদায় হজাের প্রাক্কালে রাসুলুল্লাহ
(না) যখন উস্ফান উপত্যকা অতিক্রম করেন তখন জিজ্ঞেস করেন, হে আবু বকর ! এটা কোন
উপত্যকা? আবু বকর (বা) বলেন, এটা উসৃফান উপত্যকা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, এই স্থান
দিয়ে হুদ ও সালিহ্ (আ) নবীদ্বয় অতিক্রম করেছিলেন ৷ তাদের বাহন হিল উটনী, লাপাম হিল
খেজুর গাছের ছাল দ্বারা তৈরি রশি, পরনে ছিল জোব্বা এবং গায়ে ছিল চাদর ৷ হম্ভজ্জর উদ্দেশ্যে
তালবিয়া (-,;াছুা) পড়তে পড়তে র্তার৷ আল্লাহর ঘর তওয়াফ করছিলেন ৷ এ হাদীসের সনদ
হাসান পর্যায়ের ৷ হযরত নুহ্ নবীর আলোচনায় তড়াবারানী থেকে এ হড়াদীসটি উদ্ধৃত করা
হয়েছে সেখানে নুহ,হ্র হদ ও ইব্রাহীম (আ) এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৷


[ذِكْرُ مُرُورِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْحِجْرِ مِنْ أَرْضِ ثَمُودَ عَامَ تَبُوكَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا صَخْرُ بْنُ جُوَيْرِيَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «لَمَّا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ عَلَى تَبُوكَ نَزَلَ بِهِمُ الْحِجْرَ عِنْدَ بُيُوتِ ثَمُودَ، فَاسْتَقَى النَّاسُ مِنَ الْآبَارِ الَّتِي كَانَتْ تَشْرَبُ مِنْهَا ثَمُودُ، فَعَجَنُوا مِنْهَا وَنَصَبُوا الْقُدُورَ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ فَأَهْرَاقُوا الْقُدُورَ، وَعَلَفُوا الْعَجِينَ الْإِبِلَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ بِهِمْ حَتَّى نَزَلَ بِهِمْ عَلَى الْبِئْرِ الَّتِي كَانَتْ تَشْرَبُ مِنْهَا النَّاقَةُ، وَنَهَاهُمْ أَنْ يَدْخُلُوا عَلَى الْقَوْمِ الَّذِينَ عُذِّبُوا، وَقَالَ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ» . وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْحِجْرِ: «لَا تَدْخُلُوا عَلَى هَؤُلَاءِ الْمُعَذَّبِينَ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ» . أَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ. وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا مَرَّ بِمَنَازِلِهِمْ قَنَّعَ رَأْسَهُ، وَأَسْرَعَ رَاحِلَتَهُ، وَنَهَى عَنْ دُخُولِ مَنَازِلِهِمْ «إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ» . وَفِي رِوَايَةٍ «فَإِنْ لَمْ تَبْكُوا فَتَبَاكَوْا، خَشْيَةَ أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ» . صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩২০


তবুক যুদ্ধের সময় ছামুদ জাতির আবাসভৃমি
হিজ্র উপত্যকা দিয়ে রাসুলুল্লাহ (না) এর গমন

ইমাম আহমদ ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তাবুক অভিযানকালে রাসুলুল্লাহ (সা)
সদলবলে হিজ্বর উপত্যকায় অবতরণ করেন ৷ যেখানে ছামুদ জাতি বসবাস করত ৷ ছামুদ
সম্প্রদায় যেসব কুপের পানি পান করত, লোকজন সেসব কুপের পানি ব্যবহার করে ৷ এ পানি
দিয়ে আটার খামীর তৈরি করে এবং যথারীতি ডেকচি উনুনে চড়ান ৷ এমন সময় রাসুলুল্লাহ
(সা) এর নির্দেশ আমার তারা ডেকচির খাদ্য ফেলে দিয়ে খামীর উটকে খেতে দেন ৷ তারপর
তিনি সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে যে কুপ থেকে আল্লাহর ট্য়ী পানি পান করত সে কুপের
নিকট অবতরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ণ্লাকজনকে সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির বাসন্থানে যেতে
নিষেধ করেন ৷ তিনি বললেন, “আমার আশংকা হয় তোমাদের উপর না তাদের মত আযাব
আপতিত হয় ৷ সুতরাং তোমরা তাদের ঐ স্থানে প্রবেশ করো না ৷ ” ইমাম আহমদ (র)
আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে অন্য এক বর্ণনায় বলেন, হিজ্বরে অবস্থানকালে রাসুল (সা)
বলেছিলেন : তোমরা আল্লাহর গযবে ধ্বংস প্রাপ্তদের ঐসব বাসস্থানে কান্নারত অবস্থায় ছাড়া
যেয়ো না, যদি একান্তই কান্না না আসে তাহলে সেখানে আদৌ যেয়াে না ৷ যে আমার তাদের
উপর এসেছিল, সেরুপ আমার তোমাদের উপরও না পতিত হয়ে যায় ৷ বুখারী ও যুসলিমে
একাধিক সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ কোন কোন বর্ণনায় এভাবে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) যখন ছামুদ জাতির এলাকা অতিক্রম করেন তখন মাথা ঢেকে রাখেন, বাহনকে দ্রুত
চালান এবং কান্নারত অবস্থায় ব্যতীত কাউকে তাদের বাসন্থানে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন ৷
অন্য বর্ণনায় এতট্কু বেশি আছে যে, “যদি একান্তই কান্না না আসে তবে কান্নার ভঙ্গী অবলম্বন
কর এই ভয়ে যে, তাদের উপর যে আমার এসেছিল, অনুরুপ আমার তোমাদের উপরও না এসে
পড়ে ৷ ’

ইমাম আহমদ (র) আমের ইবন সাদ (রা) থেকে বর্ণনা ”করেন : তাবুক যুদ্ধে গমনকালে
লোকজন দ্রুত অগ্রসর হয়ে হিজ্বরবাসীর বাসস্থানে প্রবেশ করতে থাকে ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর
নিকট এ সংবাদ পৌছলে তিনি লোকজনের মধ্যে ঘোষণা করে দেন ম্বু ৷প্রু ; ৷ ,;৷ ৷ অর্থাৎ
সালাত আদায় করা হবে ৷ অড়ামের (রা) বলেন এ সময় আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকট
উপস্থিত হই ৷ তিনি তখন নিজের বাহন উট থামাচ্ছিলেন এবং বলছিলেনষ্ক তোমরা কেন ঐসব
লোকের বাসস্থানে প্রবেশ করছ, যাদের উপর আল্লাহ গযব নাযিল করেছেন ৷ এক ব্যক্তি
আশ্চর্যাযিত হয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আশ্চর্যজনক বস্তু হির্সেবৈ এগুলো দেখৃছি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমি কি এর চেয়ে অধিক আশ্চর্যের কথা তোমাদেরকে বলবো না ৷ তা
হল এই যে, তোমাদের মধ্যেই এক ব্যক্তি তোমাদেরকে সেসব ঘটনা বলে দেয় যা তোমাদের
পুর্বে অতীত হয়ে গেছে এবং সেসব ঘটনার কথাও বলে যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হয়ে ৷ অতএব,
তোমরা সত্যের উপর অটল-অবিচল হয়ে থাক ৷ তা না হলে আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দিতে
বিন্দুমাত্র পরােয়া করবেন না ৷ শীঘ্রই এমন এক জাতির আবির্ভাব হয়ে যারা তাদের উপর আগত
শাস্তি থেকে নিজেদেরকে বিন্দুমাত্র রক্ষা করতে পারবে না ৷ এ হাদীসের সনদ হাসান’ পর্যায়ের
কিন্তু অন্য হাদীস গ্রন্থকারপণ এ হাদীসটি বর্ণনা করেননি ৷ কথিত আছে যে, সালিহ্ (আ) এর


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَوْسَطَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي كَبْشَةَ الْأَنْمَارِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، وَاسْمُهُ: عَمْرُو بْنُ سَعْدٍ، وَيُقَالُ: عَامِرُ بْنُ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَمَّا كَانَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، فَسَارَعَ النَّاسُ إِلَى أَهْلِ الْحِجْرِ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِمْ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَادَى فِي النَّاسِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. قَالَ: فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ مُمْسِكٌ بَعِيرَهُ، وَهُوَ يَقُولُ: مَا تَدْخُلُونَ عَلَى قَوْمٍ غَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ؟ فَنَادَاهُ رَجُلٌ: نَعْجَبُ مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: أَفَلَا أُنَبِّئُكُمْ بِأَعْجَبَ مِنْ ذَلِكَ؟ رَجُلٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ يُنَبِّئُكُمْ بِمَا كَانَ قَبْلَكُمْ، وَمَا هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكُمْ فَاسْتَقِيمُوا وَسَدِّدُوا، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَعْبَأُ بِعَذَابِكُمْ شَيْئًا، وَسَيَأْتِي قَوْمٌ لَا يَدْفَعُونَ عَنْ أَنْفُسِهِمْ بِشَيْءٍ» . إِسْنَادٌ حَسَنٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ قَوْمَ صَالِحٍ كَانَتْ أَعْمَارُهُمْ طَوِيلَةً، فَكَانُوا يَبْنُونَ الْبُيُوتَ مِنَ الْمَدَرِ فَتَخْرَبُ قَبْلَ مَوْتِ الْوَاحِدِ مِنْهُمْ، فَنَحَتُوا لَهُمْ بُيُوتًا فِي الْجِبَالِ، وَذَكَرُوا أَنَّ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا سَأَلُوهُ آيَةً، فَأَخْرَجَ اللَّهُ لَهُمُ النَّاقَةَ مِنَ الصَّخْرَةِ أَمَرَهُمْ بِهَا وَبِالْوَلَدِ الَّذِي كَانَ فِي جَوْفِهَا، وَحَذَّرَهُمْ بَأْسَ اللَّهِ إِنْ هُمْ نَالُوهَا بِسُوءٍ، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ سَيَعْقِرُونَهَا، وَيَكُونُ سَبَبُ هَلَاكِهِمْ ذَلِكَ، وَذَكَرَ لَهُمْ صِفَةَ عَاقِرِهَا، وَأَنَّهُ أَحْمَرُ أَزْرَقُ أَصْهَبُ، فَبَعَثُوا الْقَوَابِلَ فِي الْبَلَدِ مَتَى وَجَدُوا مَوْلُودًا بِهَذِهِ الصِّفَةِ يَقْتُلْنَهُ، فَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ دَهْرًا طَوِيلًا، وَانْقَرَضَ جِيلٌ وَأَتَى جِيلٌ آخَرُ، فَلَمَّا كَانَ فِي بَعْضِ الْأَعْصَارِ خَطَبَ رَئِيسٌ
পৃষ্ঠা - ৩২১


সম্প্রদায়ের লোকজন দীর্ঘায়ু হতো ৷ মাটির ঘর বানিয়ে তারা বাস করত ৷ কিন্তু কারোর মৃত্যুর
পুর্বেই তার ঘর বিনষ্ট হয়ে যেত ৷ এ কারণে তারা পাহাড় ণ্ কটে প্রাসাদ নির্মাণ করত ৷
ইতিহাসরেত্তাণণ লিখেছেন, হযরত সালিহ্ (আ)-এর নিকট নিদর্শন দাবি করলে আল্লাহ ঐ
কওমের জন্যে উটনী প্রেরণ করেন ৷ একটি পাথর থেকে উটনীটি বের হয়ে আসে ৷ এই উটনী
ও তার পেটের বাচ্চার সাথে দৃর্ব্যবহার করতে তাদেরকে তিনি নিষেধ করেন ৷ দুর্ব্যবহ্ার করলে
আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি আসবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন ৷ তিনি আরও জানিয়ে দেন যে,
শীঘ্রই এরা উটর্নীটিকৈ হত্যা করবে এবং এর কারণেই তারা ধ্বংস হয়ে ৷ যে ব্যক্তি উটনীটিকে
হত্যা করবে তিনি তার পরিচয়ওতৃলে ধরেন ৷ তার গায়ের রঙ হবে পৌর, চোখের রঙ নীল
এবং তার চুল হবে পিঙ্গল্বর্ণের ৷ সম্প্রদায়ের লোকজন এই বৈশিটোর কোন শিশু জন্মগ্রহণ
করলে সাথে সাথে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গোটা জনপদে ধ্াত্রীদের নিয়োজিত করে ৷ এই
অনুসন্ধান দীর্ঘকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ৷ এ তাৰ্ এক প্রজন্মের পর অন্য প্রজন্মের অবসান
ঘটে ৷
তারপর এক সময়ে উক্ত সম্প্রদায়ের এক সর্দার ব্যক্তির পুত্রের সাথে আর এক সর্দার
ব্যক্তির কন্যার বিবাহের প্রস্তাব দেয় ৷ সেমতে বিবাহও হয় ৷ এই দম্পতির ঘরেই উটনীর
হত্যাকারীর জন্ম হয় ৷ শিশুটির নাম রাখা হয় কিদার ইবন সালিফ্ ৷ সন্তানের পিতা-মাতা ও
বাপ-দাদ৷ স্যাস্ত ও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ধাত্রীদের পক্ষে তাকে হত্যা করা পরে হলো না ৷
শিশুটি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে ৷ অন্য শিশুরা এক মাসে যতটুকু বড় হয় সে এক সষ্াহে ততটুকু
বড় হয়ে যায় ৷ এভাবে গাে সম্প্রদায়ের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যআিপে মোঃ করে ৷ সবাই
তাকে নেতা হিসেবে মেনে চলে ৷ এক পর্যায়ে তার মনের মধ্যে উটনী হত্যা করার বাসনার
উদ্রেক হয় ৷ সম্প্রদায়ের আরও আট ব্যক্তি এ ব্যাপারে তাকে অনুসরণ করে ৷ এই নয়জন
সোকই হযরত সালিহ্ (আ)-কেও হত্যা করার পরিকল্পনা করে ৷ এরপর যখন উটনী হত্যার
ঘটনা সংঘটিত হলো এবং সালিহ্ (আ)-এর নিকট এ সংবাদ পৌহাল, তখন তিনি র্কাদতে
র্কাদতে সম্প্রদায়ের লোকদের নিকট যান ৷ সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় সোকের৷ সর্বীর কাছে এই
কথা বলে ওজর পেশ করার যে, আমাদের নেতৃস্থানীয় কারো দ্বারা এ ঘটনা ঘটেনি ৷ ঐ
কয়েকজন অল্প বয়সী যুবক এ ঘটনাটি সটি য়েহে ৷
কথিত আছে যে, তপন সাণিহ্ (আ) এর প্রতিকার হিস্যা,ব্ল উটর্নীটির বাচ্চাটিকে নিয়ে এসে
তার সাথে উত্তম ব্যবহার করার নির্দেশ দেন ৷ লোকজন রাচ্চাকে ধরে আমার জন্যে অগ্রসর
হলে রাচ্চাটি পাহুাড়ে উঠে যায় ৷ সােকজনও পিছে পিছে পাহাড়ে উঠল ৷ কিন্তু বাচ্চা আরও
উপরে উঠে পাহাড়ের শীর্ষে চলে যায়, যেখানে তারা পৌহতে সক্ষম হয়নি ৷ বাচ্চা সেখানে গিয়ে
, চোখের পানি যেন্াস কাদঙে থাকে ৷ তারপর ণ্সট্রু হযরত সালিহ্ (আ) এর দিকে মুখ ফিরিয়ে
তিনবার তাক দ্যো ৷ তপন সালিহ্ (আ) সম্প্রর্দারষ্কে সক্ষ্ম করে ৰ্ল্’ক্ষো, তোমরা তিনদিন পর্যন্ত
ব্াড়িঙে রসে আরন উপভোগ কর--এ এমন এক ওরাদ৷ যা মিথ্যা হবার নয় ৷ নবী তাদেরকে
আরও জানাংসপ ন্জা৷াঙ্গীকাপ ৷ষ্ঠাংাদের চেহার৷ ফ্যাকাশ্বে হয়ে যাবে, পরের দিন রত্তিম এবং
ণ্শ্ তডীয দিন কাণে৷ রস্কটুন্ ধ্ারং৷ জ্যো৷ চছুর্থ দিয়ে এক স্পোসব্দ এসে তাদেরকে আঘাত হানে ৷
; ফাং৷ তক্ষো নিজ নিজ রয়ে ম্রে ষ্টপুজ় হয়ে পড়ে পাৰে ৷ এ রর্ণনার সাথে কোন কোন দিক
ৰু প্ সশ্যা প্রশ্নের অমিঃাশ মোঃ অ্যাংলোঃসের ঙ্গুষ্পষ্ট বর্ণনার সংখ্যাঃ যা হতিপুর্ধে আমরা

শ্অলোঃ৷ করে মোঃ ৷ সঠিক ঙ্ঘ খ্যাঃ অ্যাং ৷


مِنْ رُؤَسَائِهِمْ عَلَى ابْنِهِ بِنْتَ آخَرَ مِثْلِهِ فِي الرِّيَاسَةِ، فَزَوَّجَهُ فَوُلِدَ بَيْنَهُمَا عَاقِرُ النَّاقَةِ، وَهُوَ قُدَارُ بْنُ سَالِفٍ، فَلَمْ تَتَمَكَّنِ الْقَوَابِلُ مِنْ قَتْلِهِ لِشَرَفِ أَبَوَيْهِ وَجَدَّيْهِ فِيهِمْ، فَنَشَأَ نَشْأَةً سَرِيعَةً فَكَانَ يَشِبُّ فِي الْجُمُعَةِ، كَمَا يَشِبُّ غَيْرُهُ فِي شَهْرٍ، حَتَّى كَانَ مِنْ أَمْرِهِ أَنْ خَرَجَ مُطَاعًا فِيهِمْ رَئِيسًا بَيْنَهُمْ، فَسَوَّلَتْ لَهُ نَفْسُهُ عَقْرَ النَّاقَةِ، وَاتَّبَعَهُ عَلَى ذَلِكَ ثَمَانِيَةٌ مِنْ أَشْرَافِهِمْ، وَهُمُ التِّسْعَةُ الَّذِينَ أَرَادُوا قَتْلَ صَالِحٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَلَمَّا وَقَعَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا وَقَعَ مِنْ عَقْرِ النَّاقَةِ، وَبَلَغَ ذَلِكَ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ جَاءَهُمْ بَاكِيًا عَلَيْهَا فَتَلَقَّوْهُ يَعْتَذِرُونَ إِلَيْهِ، وَيَقُولُونَ: إِنَّ هَذَا لَمْ يَقَعْ عَنْ مَلَأٍ مِنَّا، وَإِنَّمَا فَعَلَ هَذَا هَؤُلَاءِ الْأَحْدَاثُ فِينَا، فَيُقَالُ إِنَّهُ أَمَرَهُمْ بِاسْتِدْرَاكِ سَقْبِهَا حَتَّى يُحْسِنُوا إِلَيْهِ عِوَضًا عَنْهَا، فَذَهَبُوا وَرَاءَهُ فَصَعِدَ جَبَلًا هُنَاكَ، فَلَمَّا تَصَاعَدُوا فِيهِ وَرَاءَهُ تَعَالَى الْجَبَلُ حَتَّى ارْتَفَعَ فَلَا يَنَالُهُ الطَّيْرُ، وَبَكَى الْفَصِيلُ حَتَّى سَالَتْ دُمُوعُهُ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَ صَالِحًا عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَرَغَا ثَلَاثًا فَعِنْدَهَا قَالَ صَالِحٌ: {تَمَتَّعُوا فِي دَارِكُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ ذَلِكَ وَعْدٌ غَيْرُ مَكْذُوبٍ} [هود: 65] . وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُمْ يُصْبِحُونَ مِنْ غَدِهِمْ صُفْرًا، ثُمَّ تَحْمَرُّ وُجُوهُهُمْ فِي الثَّانِي، وَفِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ تَسْوَدُّ وُجُوهُهُمْ، فَلَمَّا كَانَ فِي الْيَوْمِ الرَّابِعِ أَتَتْهُمُ صَيْحَةٌ فِيهَا صَوْتُ كُلِّ صَاعِقَةٍ فَأَخْمَدَتْهُمْ فَأَصْبَحُوا فِي دَارِهِمْ جَاثِمِينَ، وَفِي بَعْضِ هَذَا السِّيَاقِ نَظَرٌ وَمُخَالَفَةٌ لِظَاهِرِ مَا يُفْهَمُ مِنَ الْقُرْآنِ فِي شَأْنِهِمْ وَقِصَّتِهِمْ، كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ، وَهُوَ حَسْبُنَا وَنِعْمَ الْوَكِيلُ.