আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

ذكر إدريس عليه السلام

পৃষ্ঠা - ২৩২

ইদ্রীস (আ)
আল্লাহ্ তা জানা বলেন,

মোঃ (; ’ শুএে ৷ ১ ^ট্রু£ক্ট্রাট্রু,

অর্থাৎ--ংমরণ১ কর, এ কিভাবে উল্লেখিত ইদরীস এর কথা ৷ সে ছিল সত্যনিষ্ঠ, নবী এবং
আমি তাকে উন্নীত করেছিলাম উচ্চ মর্যাদার ৷ ( ১৯ ৫৬)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইদ্রীস (আ)-এর প্রশংসা করেছেন এবং তার নবী ও সিদ্দীক
হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ তিনিই হলেন, উপরে বর্ণিত খানুখ ৷ বংশ বিশেষজ্ঞদের অশোক
বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর বংশ লতিকার অন্যতম স্তম্ভ ৷ আদম (আ) ও শীছ
(আ)-এর পরে তিনিই সর্বপ্রথম আদম সন্তান র্ষাকে নবুওত দান করা হয়েছিল ৷ ইবন ইসহাক
(র) বলেন, ইনিই সর্বপ্রথম কলম দ্বারা লেখার সুচনা করেন ৷ তিনি আদম (আ)-এর জীবন
কালের তিনশত আশি বছর পেয়েছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেন, মুআবিয়৷ ইবন হাকাম
সুলামী-এর হাদীসে এ ইদরীস (আ)-এর প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (না)-কে
জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, একজন নবী ছিলেন যিনি এ বিদ্যার
সাহায্যে রেখা টানতেন ৷ সুতরাং যার রেখা চিহ্ন তার রেখা চিহ্নের অনুরুপ হবে৩ তারটা সঠিক ৷
বেশকিছু তাফসীরকার মনে করেন যে, ইদরীস (আ) ই প্রথম ব্যক্তি যিনি এ বিষয়ে
আলোকপাত করেছেন ৷ তারা র্তাকে দৃর্ধর্ষ সিংহকুলের জোাতিষী বলে অভিহিত করেন এবং
তাদের বক্তব্যে অনেক অসত্য তথ্য তার প্রতি আরোপ করা হয়েছে যেমনটি অন্য অনেক
নবী-রসুল, দার্শনিক, পণ্ডিতবর্গ ও ওলীর প্রতি আরোপ করা হয়েছিল ৷

আল্লাহর ’

(আর আমি তাকে সুউচ্চ মর্যাদার উন্নীত করেছিলাম ৷) (১ ৯ ৫ ৭ ) প্রসঙ্গে সহীহ বুখারী ও
মুসলিমে মি রাজ সংক্রান্ত হাদীসে আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এর চতুর্থ আসমানে তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ হয়েছিল ৷ ইবন জারীর (র) হিলাল ইবন য়াসাফ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবন
আব্বাস (বা) আমার উপস্থিতিতে কাব (বা) কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, ইদরীস (আ)
সম্পর্কে আল্লাহ তা জানার উক্তি ’“ £ ’ ’£’§$§ এর অর্থ কী? উত্তরে কা ব (বা)
বলেছিলেন, আল্লাহ তা জানা ইদরীস (আ) এর কাছে ওহী প্রেরণ করেন যে, প্রতিদিন আমি
আদম সন্তানদের সমস্ত আমলের সমপরিমাণ প্রতিদান দেবাে ৷ সম্ভবত র্তার সমকালীন মানব
সভানদেরকেই বুঝানো হয়েছে ৷ এতে তিনি তার আমল আরো বৃদ্ধি করতে আপ্রহাম্বিত হয়ে
পড়েন ৷ এরপর তার এক ফেরেশত৷ বন্ধু তার নিকট আগমন করলে তিনি তাকে বললেন
আল্লাহ তাআলা আমার প্রতি এরুপ এরুপ ওহী পাঠিয়েছেন ৷ আপনি মালাকুল মউতএর সঙ্গে
কথা বলুন, যাতে আমি আরো বেশি আমল করতে পারি ৷ ফলে সেই ফেরেশত৷ র্তাকে তার
দৃ’ডানার মধ্যে বহন করে আকাশে নিয়ে যান ৷ তিনি চতুর্থ আসমানে পৌছলে তার সঙ্গে

মালাকুল মউতের সাক্ষ৷ ৷৩ ঘটে ৷ ফেরেশত৷ তার সঙ্গে ইদরীস (আ) এর বক্তব্য সম্পর্কে আলাপ

করেন ৷ মালাকুল মউত বললেন, ইদরীস (আ) কোথায়ঃ জবাবে তিনি বললেন০ এইতে ৷তিনি


[ذِكْرُ إِدْرِيسَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِدْرِيسَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَبِيًّا وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 56] [مَرْيَمَ: 56 - 57] . فَإِدْرِيسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَدْ أَثْنَى اللَّهُ عَلَيْهِ، وَوَصَفَهُ بِالنُّبُوَّةِ وَالصِّدِّيقِيَّةِ، وَهُوَ خَنُوخُ هَذَا، وَهُوَ فِي عَمُودِ نَسَبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَلَى مَا ذَكَرَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ عُلَمَاءِ النَّسَبِ، وَكَانَ أَوَّلَ بَنِي آدَمَ أَعْطِيَ النُّبُوَّةَ بَعْدَ آدَمَ وَشِيثَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ خَطَّ بِالْقَلَمِ، وَقَدْ أَدْرَكَ مِنْ حَيَاةِ آدَمَ ثَلَاثَمِائَةِ سَنَةٍ، وَثَمَانِي سِنِينَ، وَقَدْ قَالَ طَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ: إِنَّهُ الْمُشَارُ إِلَيْهِ فِي حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ لَمَّا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْخَطِّ بِالرَّمْلِ فَقَالَ: «إِنَّهُ كَانَ نَبِيٌّ يَخُطُّ بِهِ فَمَنْ وَافَقَ خَطَّهُ فَذَاكَ» . وَيَزْعُمُ كَثِيرٌ مِنْ عُلَمَاءِ التَّسْيِيرِ وَالْأَحْكَامِ: أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ فِي ذَلِكَ، وَيُسَمُّونَهُ هَرْمَسَ الْهَرَامِسَةِ، وَيَكْذِبُونَ عَلَيْهِ أَشْيَاءَ كَثِيرَةً، كَمَا كَذَبُوا عَلَى غَيْرِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ وَالْعُلَمَاءِ وَالْحُكَمَاءِ وَالْأَوْلِيَاءِ. وَقَوْلُهُ تَعَالَى: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] . هُوَ كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِهِ وَهُوَ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ، وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ২৩৩


আমার পিঠের উপর ৷ মালাকুল মউত বললেন, আশ্চর্য! চতুর্থ আকাশে ইদ্রীস (আ) এর রুহ্
কবয করার আদেশ দিয়ে আমাকে প্রেরণ করা হলে আমি ভাবতে লাগলাম যে, কিভাবে আমি
চতুর্থ আকাশে তার রুহ্ কবয করব, অথচ তিনি পৃথিবীতে রয়েছেন ৷ যা হোক, মালাকুল মউত
সেখানেই তার রুহ্ কবয করেন ৷

আল্লাহ তাআলার কালাম র্মুর্চুাব্লু é’$’ হ্রর্চু£ভুর্চুট্রু-এর অর্থ এটাই ৷ ইবন আবু হাতিম
(র) এ আঘাতের তাফসীরে এ তথ্যটি বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, তখন
ইদ্রীস (আ) সে ফেরেশতাকে বলেছিলেন যে, আপনি মালাকুল মউতকে একটু জিজ্ঞাসা করুন,
আমার আয়ু আর কতটুকু বাকি আছে? ফেরেশতা র্তীকে তা জিজ্ঞাসা করলেতিনি বললেন,
আমি না দেখে বলতে পারব না ৷ তারপর দেখে তিনি বললেন, তুমি আমার নিকট এমন এক
ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছ, যার আয়ুর এক পলক ব্যতীত আর কোন সময় অবশিষ্ট নেই ৷
তারপর ঐ ফেরেশতা তার ডানার নীচের দিকে ইদ্রীস (আ)এর প্রতি দৃষ্টিপাত করে দেখেন
যে, তার মৃত্যু হয়ে গেছে অথচ তিনি তা টেরই পাননি ৷ এ তথ্য ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে গৃহীত
হয়েছে ৷ এর কিছু কিছু অংশ মুনকার পর্যায়ের ৷ প্রোব্লু ঠােদ্বুহু é র্তু£র্দ্ধ §§ এর ব্যাখ্যার ইবন
আবুনাজীহ মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন যে, ইদ্রীস (আ)-কে তুলে নেয়া হয়েছে; তার মৃত্যু
হয়নি, যেমন তুলে নেয়া হয়েছে হযরত ঈসা (আ) কে ৷ তার এ কথার অর্থ যদি এই হয় যে,
তিনি এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেননি, তা হলে এতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷ আর যদি তার
অর্থ এই হয় যে, তাকে জীবিতাবস্থায় তুলে নেয়া হয়েছে, তারপর সেখানে তার মৃত্যু
হয়-তাহলে কাব আহবারের পুর্ব বর্ণিত অভিমতের সঙ্গে এর কোন বিরোধ নেই ৷ আল্লাহ
সর্বজ্ঞ ৷

আওফী বলেন : র্দু , ’ র্চুাইর্মু এাৰুন্ট্রুৰুর্চুর্চু এর ব্যাখ্যার ইবন আব্বাস (রা) বলেন, ইদ্রীস
(আ)-কে ষষ্ঠ আকাশে তুলে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয় ৷ যাহ্হাক (র)-এর অভিমতও
তইি ৷ ইদ্রীস (আ)-এর চতুর্থ আকাশে থাকা সম্পর্কিত ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) বর্ণিত
হাদীসটিই বিশুদ্ধতর ৷ মুজাহিদ (র) প্রমুখের অভিমতও তাই ৷ হাসান বসরী (র) বলেন,
থ্রে£ র্ডাদ্বুব্লু “€§§ অর্থ তাকে আমি জান্নাতে তুলে নিয়েছি ৷ অনেকের মতে, ইদ্রীস
(আ) কে তার পিতা য়ারদ ইবন মাহ্লইিল এর জীবদ্দশাতে তুলে নেয়া হয় ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
কারো কারো মতে, ইদ্রীস (আ) নুহ (আ)-এর পুর্বসুরি নন বরং তিনি বনী ইসরাঈলের
আমলের লোক ৷

ইমাম বুখারী (র) বলেন, ইবন মাসউদ ও ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে, বলা হয়ে থাকে
যে, ইলিয়াস (আ) ও ইদ্রীস (আ) অভিন্ন ব্যক্তি ৷ মিরাজ সম্পর্কে আনাস (রা) থেকে বর্ণিত
যুহরীর হাদীসের বক্তব্য দ্বারা তারা এর প্রমাণ পেশ করেন যে, উক্ত হড়াদীসে আছে, নবী করীম
(সা) যখন ইদ্রীস (আ) এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন, তখন তিনি বলেছিলেন, পুণ্যবান ভাই
ও পুণবান নবীকে খােশ আমদেদ ৷ আদম (আ) ও ইবরাহীম (আ)-এর ন্যায় এ কথা বলেননি
যে, পুণবােন নবী ও পুণ্যবান পুত্রকে খোশ আমদেদ ৷ তারা বলেন, ইদ্রীস (আ) যদি
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বংশের উর্ধ্বতন পুরুষের অন্তর্ভুক্ত হতেন, তাহলে আদম (আ) ও ইবরাহীম
(আ) যা বলেছিলেন, তিনিও তাই বলতেন ৷ কিন্তু এতে তাদের দাবি সপ্রমাণিত হয় না ৷
তাছাড়া বনািকারী হাদীসের বক্তব্য সুষ্ঠুভাবে মুখস্থ রাখতে না পারার সন্তাবনাও রয়েছে ৷ অথবা
বিনয় স্বরুপ তিনি পিতৃত্বের পরিচয় না দিয়ে এরুপ বলেছেন, আদি পিতা আদম (আ) এবং
আল্লাহর বন্ধু ও মুহাম্মদ (সা) ব্যতীত সর্বশ্রেষ্ঠ মহান নবী ইবরাহীম (আ)-এর মত নিজের
পিতৃত্বের উল্লেখ করেননি ৷


جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يَسَافٍ قَالَ: سَأَلَ ابْنُ عَبَّاسٍ كَعْبًا، وَأَنَا حَاضِرٌ، فَقَالَ لَهُ: مَا قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى لِإِدْرِيسَ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] ؟ قَالَ كَعْبٌ: أَمَّا إِدْرِيسُ فَإِنَّ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيْهِ أَنِّي أَرْفَعُ لَكَ كُلَّ يَوْمٍ مِثْلَ جَمِيعِ عَمَلِ بَنِي آدَمَ لَعَلَّهُ مِنْ أَهْلِ زَمَانِهِ، فَأَحَبَّ أَنْ يَزْدَادَ عَمَلًا، فَأَتَاهُ خَلِيلٌ لَهُ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فَقَالَ: إِنِ اللَّهَ أَوْحَى إِلَيَّ كَذَا وَكَذَا، فَكَلِّمْ مَلَكَ الْمَوْتِ فَلْيُؤَخِّرْنِي حَتَّى أَزْدَادَ عَمَلًا فَحَمَلَهُ بَيْنَ جَنَاحَيْهِ، ثُمَّ صَعِدَ بِهِ إِلَى السَّمَاءِ، فَلَمَّا كَانَ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ تَلَقَّاهُ مَلَكُ الْمَوْتِ مُنْحَدِرًا فَكَلَّمَ مَلَكَ الْمَوْتِ فِي الَّذِي كَلَّمَهُ فِيهِ إِدْرِيسُ، فَقَالَ: وَأَيْنَ إِدْرِيسُ؟ قَالَ: هُوَ ذَا عَلَى ظَهْرِي. فَقَالَ مَلَكُ الْمَوْتِ: فَالْعَجَبُ بُعِثْتُ وَقِيلَ لِي: اقْبِضْ رُوحَ إِدْرِيسَ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ. فَجَعَلْتُ أَقُولُ: كَيْفَ أَقْبِضُ رُوحَهُ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ وَهُوَ فِي الْأَرْضِ! فَقَبَضَ رُوحَهُ هُنَاكَ، فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] . وَرَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ عِنْدَ تَفْسِيرِهَا وَعِنْدَهُ. فَقَالَ لِذَلِكَ الْمَلَكِ: سَلْ لِي مَلَكَ الْمَوْتِ كَمْ بَقِيَ مِنْ عُمُرِي؟ فَسَأَلَهُ وَهُوَ مَعَهُ كَمْ بَقِيَ مِنْ عُمُرِهِ، فَقَالَ: لَا أَدْرِي حَتَّى أَنْظُرَ. فَنَظَرَ فَقَالَ: إِنَّكَ لِتَسْأَلُنِي عَنْ رَجُلٍ مَا بَقِيَ مِنْ عُمُرِهِ إِلَّا طَرْفَةُ عَيْنٍ. فَنَظَرَ الْمَلَكُ إِلَى تَحْتِ جَنَاحِهِ إِلَى إِدْرِيسَ فَإِذَا هُوَ قَدْ قُبِضَ وَهُوَ لَا يَشْعُرُ، وَهَذَا مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَفِي بَعْضِهِ نَكَارَةٌ، وَقَوْلُ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ فِي قَوْلِهِ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] . قَالَ: إِدْرِيسُ رُفِعَ وَلَمْ يَمُتْ، كَمَا رُفِعَ عِيسَى. إِنْ أَرَادَ أَنَّهُ لَمْ يَمُتْ إِلَى الْآنِ فَفِي هَذَا نَظَرٌ. وَإِنْ أَرَادَ أَنَّهُ رُفِعَ حَيًّا إِلَى السَّمَاءِ، ثُمَّ قُبِضَ هُنَاكَ فَلَا يُنَافِي مَا تَقَدَّمَ عَنْ كَعْبِ الْأَحْبَارِ،
পৃষ্ঠা - ২৩৪
وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْعَوْفِيُّ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] . قَالَ: رُفِعَ إِلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ فَمَاتَ بِهَا. وَهَكَذَا قَالَ الضَّحَّاكُ، وَالْحَدِيثُ الْمُتَّفَقُ عَلَيْهِ مِنْ أَنَّهُ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ أَصَحُّ، وَهُوَ قَوْلُ مُجَاهِدٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: 57] . قَالَ: إِلَى الْجَنَّةِ. وَقَالَ قَائِلُونَ: رُفِعَ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ يَرْدُ بْنُ مَهْلَائِيلَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ زَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّ إِدْرِيسَ لَمْ يَكُنْ قَبْلَ نُوحٍ بَلْ فِي زَمَانِ بَنِي إِسْرَائِيلَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَيُذْكَرُ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ إِلْيَاسَ هُوَ إِدْرِيسُ، وَاسْتَأْنَسُوا فِي ذَلِكَ بِمَا جَاءَ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ فِي الْإِسْرَاءِ أَنَّهُ لَمَّا مَرَّ بِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ لَهُ: «مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ، وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ» . وَلَمْ يَقُلْ كَمَا قَالَ آدَمُ وَإِبْرَاهِيمُ: «مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ، وَالِابْنِ الصَّالِحِ» . قَالُوا: فَلَوْ كَانَ فِي عَمُودِ نَسَبِهِ لَقَالَ لَهُ كَمَا قَالَا لَهُ. وَهَذَا لَا يَدُلُّ وَلَا بُدَّ عَلَى ذَلِكَ لِأَنَّهُ قَدْ لَا يَكُونُ الرَّاوِي حَفِظَهُ جَيِّدًا أَوْ لَعَلَّهُ قَالَهُ لَهُ عَلَى سَبِيلِ الْهَضْمِ وَالتَّوَاضُعِ، وَلَمْ يَنْتَصِبْ لَهُ فِي مَقَامِ الْأُبُوَّةِ، كَمَا انْتَصَبَ لِآدَمَ أَبِي الْبَشَرِ، وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي هُوَ خَلِيلُ الرَّحْمَنِ، وَهُوَ أَكْبَرُ أُولِي الْعَزْمِ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ.