আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

باب ما ورد في خلق آدم عليه السلام

ذكر احتجاج آدم وموسى عليهما الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ১৮৯

আদম (আ) ও মুসা (আ)-এর বাদানুবাদ

ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন :
“মুসা (আ) আদম (আ)-এব সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন ৷ তিনি তাঁকে বলেন, আপনি-ই তো
মানুষকে আপনার অপরাধ দ্বারা জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে দুর্বিপাকে
ফেলেছেন ৷” আদম (আ) বললেন, হে মুসা! আপনি তো যে ব্যক্তি যে, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর রিসালাত ও কালাম দিয়ে আপনাকে বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছেন ; আপনি কি আমাকে এমন একটি
কাজের জন্য তিরস্কার করছেন, যা আমাকে সৃষ্টি করার পুর্বেই আল্লাহ আমার নামে লিপিবদ্ধ
করে রেখেছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এতে আদম (আ) তর্কে মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ
করেন ৷

মুসলিম, নাসাঈ ও আহমদ (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : আদম (আ) ও মুসা
(আ) বাদানুবাদে লিপ্ত হন ৷ মুসা (আ) আদম (আ)-কে বলল যে, আপনি যে আদম যে
আপনার ত্রুটি আপনাকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে ৷ উত্তরে আদম (আ) র্তাকে বললেন,
আর আপনি তো সে মুসা , যাকে আল্লাহ্ তাআলা তার রিসালাত ও কালাম দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত
করেছেন ৷ আপনি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছেন, যা আমার সৃষ্টির পুর্বেই
স্থির করে রাখা হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এভাবে আদম (আ) যুক্তি প্রমাণে মুসা
(আ)-এব উপর জয়লাভ করেন ৷ একথাটি তিনি দুবার বলেছেন ৷

ইমাম বুখারী এবং মুসলিম (র) ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) বর্ণনা করেন যে, আবু হুরায়রা (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “আদম (আ) ও
মুসা (আ) বিতর্কে লিপ্ত হন ৷ মুসা বললেন, যে আদম (আ) ! আপনি যে ব্যক্তি যে, আল্লাহ
তাআলা আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন ও আপনার মধ্যে তার রুহ্ সঞ্চার করেছেন ৷ আর
আপনি লোকদেরকে ভ্রমে নিপতিত করলেন ও তাদেরকে জান্নাত থেকে বের করিয়ে দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এর উত্তরে আদম (আ) বললেন, আর আপনি সেই মুসা (আ) যে,
আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে তীর কালাম দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন ৷ আমার এমন একটি
কৃতকর্মের জন্য আপনি আমাকে তিরস্কার করছেন, যা আসমানসমুহ ও যমীন সৃষ্টি করার পুর্বেই
আল্লাহ্ তাআলা আমার নামে লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, ফলে
যুক্তিতে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন ৷

ইমাম তিরমিযী ও নাসাঈ (র) ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন ৷ তিরমিযী (র ) বলেন,
হাদীসটি গরীব’ পর্যায়ের ৷ বাযযারও ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র )

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম খণ্ড) ২৬-


[ذِكْرُ احْتِجَاجِ آدَمَ وَمُوسَى عَلَيْهِمَا الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ النَّجَّارِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حَاجَّ مُوسَى آدَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ فَقَالَ لَهُ: أَنْتَ الَّذِي أَخْرَجْتَ النَّاسَ بِذَنْبِكَ مِنَ الْجَنَّةِ وَأَشْقَيْتَهُمْ! قَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى أَنْتَ الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَاتِهِ وَبِكَلَامِهِ! أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي، أَوْ قَدَّرَهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عَمْرٍو النَّاقِدِ، وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ النَّجَّارِ بِهِ. قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ الدِّمَشْقِيُّ: وَلَمْ يُخَرِّجَا عَنْهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ سِوَاهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৯০
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ لَهُ مُوسَى: أَنْتَ آدَمُ الَّذِي أَخْرَجَتْكَ خَطِيئَتُكَ مِنَ الْجَنَّةِ! فَقَالَ لَهُ آدَمُ: وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَاتِهِ وَبِكَلَامِهِ! تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قُدِّرَ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ! قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . مَرَّتَيْنِ قُلْتُ: وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى، فَقَالَ: مُوسَى يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ أَغْوَيْتَ النَّاسَ، وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ! قَالَ: فَقَالَ آدَمُ: وَأَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلَامِهِ! تَلُومُنِي عَلَى عَمَلٍ أَعْمَلُهُ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ! قَالَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى بْنِ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، عَنْ مُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: وَهُوَ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْأَعْمَشِ قَالَ: وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. قُلْتُ: هَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ فِي مُسْنَدِهِ،
পৃষ্ঠা - ১৯১


আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “আদম (আ) ও মুসা
(আ) বড়াদানুবাদে লিপ্ত হন ৷ মুসা (আ) বললেন, হে আদম (আ) ! আপনি আমাদের পিতা ৷
আপনি আমাদের সর্বনাশ করেছেন এবং আমাদের জান্নড়াত থেকে বের করিয়ে দিয়েছেন ৷ উত্তরে
আদম (আ) র্তাকে বললেন, আপনি তো সে মুসা যে, আল্লাহ্ তাআলা আপনাকে তার কালাম
দিয়ে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন ৷ কখনো বলেছেন, র্তার রিসালাতের জন্য এবং তিনি নিজ হাতে
আপনাকে মনোনীত করেছেন ৷ আপনি কি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য তিরস্কার করছেন,
যা আমাকে সৃষ্টির চল্লিশ বছর পুর্বেই আমার নামে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল? রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন : যুক্তি-তর্কে আদম (আ) মুসার উপর জয়লাভ করেন ৷ আদম (আ) মুসার উপর
জয়লাভ করেন, আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন ৷

ইবন মাজাহ্ (র) ব্যতীত সিহাহ সিত্তার সংকলকগণের অবশিষ্ট পাচজনই হাদীসটি দশটি
ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বর্ণনা করেছেন যে, আবু হুরায়রা (বা)
বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “মুসা (আ ) এর সংগে আদম (আ ) এর সাক্ষাৎ হলে মুসা
(আ) র্তাকে বললেন, আপনি যে আদম (আ) যে, আল্লাহ তাআলা আপনাকে তার নিজ হাতে
সৃষ্টি করেন, তার ফেরেশতাদেরকে আপনার সামনে সিজদাবনত করান এবং আপনাকে জান্নাতে
স্থান দেন ৷ তারপর আপনি একটি কাজ করে বলেন ৷ আদম (আ) বললেন, আপনি তো সে
মুসা (আ) যে, আল্লাহ তাআলা আপনার সাথে কথা বলেছেন, তার রিসালতের জন্যে
আপনাকে মনোনীত করেছেন এবং আপনার উপর তাওরাত অবতীর্ণ করেছেন ৷ আচ্ছা, আপনি
বলুনতো আমার সৃষ্টি আগে হয়েছে নাকি আমার এ কর্মের উল্লেখ আগে হয়েছে? মুসা (আ)
বললেন, না বরং আপনার এ কর্মের উল্লেখ আগে হয়েছে ৷ এভাবে আদম (আ) মুসা (আ )-এর
উপর জয়লাভ করেন ৷”

ইবন আবু হাতিম (র) বর্ণিত এ হাদীসের শেবাংশে আদম (আ)-এর উক্তিসহ অতিরিক্ত
এরুপ বর্ণনা আছে : আল্লাহ আপনাকে এমন কয়েকটি ফলক দান করেছেন, যাতে যাবতীয়
বিষয়ের সুস্পষ্ট বিবরণ রয়েছে এবং একান্তে ভৈনকট্য দান করেছেন ৷ এবার আপনি বলুন, আল্লাহ্
তাআলা তাওরাত কখন লিপিবদ্ধ করেছিলেন? মুসা (আ ) বললেন, সৃষ্টির চল্লিশ বছর পুর্বে ৷
আদম (আ) বললেন, তাতে কি আপনি এেটুর্চুর্দ্ধ র্দুর্দু § ণ্; ৷ £¢;§ কথাটি পাননিঃ মুসা (আ)
বললেন, জী ইড়া ৷ আদম (আ) বললেন, তবে কি আপনি আমাকে আমার এমন একটি
কৃতকর্মের জন্য তিরস্কার করছেন যা আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর আগেই আল্লাহ্ তাআলা
লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন যে, আমি তা করব ? বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ও
এভাবে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়লাভ করেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত এ সংক্রান্ত বর্ণনা মুসা (আ)-এর বক্তব্যে অতিরিক্ত একথাটিও
আছে : “আপনি আপনার সম্ভানদেরকে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন ৷” তবে এ অংশটি
হাদীসের অংশ কিনা তাতে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৷

হাফিজ আবু ইয়ালা আল-মুসিলী তার মুসনাদে আমীরুল মুমিনীন উমর ইবন খাত্তাব (বা)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : “মুসা (আ) বললেন, হে আমার রব ! আপনি


عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُثَنَّى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ أَسَدٍ، عَنِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. قَالَ: وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. وَرَوَاهُ الْبَزَّارُ أَيْضًا، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ طَاوُسًا، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا، وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ. فَقَالَ لَهُ آدَمُ: يَا مُوسَى أَنْتَ الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلَامِهِ!» . وَقَالَ مَرَّةً «بِرِسَالَتِهِ، وَخَطَّ لَكَ بِيَدِهِ! أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً!» . قَالَ: «حَجَّ آدَمُ مُوسَى، حَجَّ آدَمُ مُوسَى، حَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، حَدَّثَنَا عَنْ سُفْيَانَ قَالَ: حَفِظْنَاهُ مِنْ عَمْرٍو، عَنْ طَاوُسٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى فَقَالَ مُوسَى: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُونَا خَيَّبْتَنَا، وَأَخْرَجْتَنَا مِنَ الْجَنَّةِ. فَقَالَ لَهُ آدَمُ: يَا مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِكَلَامِهِ وَخَطَّ لَكَ بِيَدِهِ! أَتَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدَّرَهُ اللَّهُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً! فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . هَكَذَا ثَلَاثًا. قَالَ سُفْيَانُ: حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ عَشْرِ طُرُقٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ১৯২
أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى، فَقَالَ: أَنْتَ آدَمُ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَأَسْكَنَكَ الْجَنَّةَ، ثُمَّ فَعَلْتَ! فَقَالَ: أَنْتَ مُوسَى الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ، وَاصْطَفَاكَ بِرِسَالَتِهِ، وَأَنْزَلَ عَلَيْكَ التَّوْرَاةَ! أَنَا أَقْدَمُ أَمِ الذِّكْرُ؟ قَالَ: لَا بَلِ الذِّكْرُ. فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» قَالَ أَحْمَدُ: وَحَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحُمَيْدٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ رَجُلٍ قَالَ: حَمَّادٌ أَظُنُّهُ جُنْدَبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى» . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ هُوَ ابْنُ حَازِمٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ هُوَ ابْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى، فَقَالَ: أَنْتَ آدَمُ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَأَسْكَنَكَ جَنَّتَهُ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، ثُمَّ صَنَعْتَ مَا صَنَعْتَ! قَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى أَنْتَ الَّذِي كَلَّمَهُ اللَّهُ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ التَّوْرَاةَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَهَلْ تَجِدُهُ مَكْتُوبًا عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَكَذَا رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ
পৃষ্ঠা - ১৯৩



আমাকে সে আদম (আ)-কে একটু দেখান, যিনি আমাদেরকে এবং তার নিজেকে জান্নাত থেকে
বের করিয়ে দেন ৷ আল্লাহ্ তাআলা র্তাকে আদম (আ)-কে দেখালেন ৷ দেখে মুসা (আ)
বললেন, আপনিই আদম (আ)? তিনি বললেন, হী৷ ৷ মুসা (আ) বললেন, আপনি যে ব্যক্তি যার ধ্
মধ্যে আল্লাহ তাআলা তার রুহ্ সঞ্চার করেছেন, বীর সামনে তার ফেরেশতাদেরকে
সিজদাবনত করিয়েছেন এবং যীকে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিয়েছেন ৷ জবাবে তিনি বললেন, হী৷ ৷
মুসা (আ) জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদেরকে এবং আপনার নিজেকে জান্নড়াত থেকে বের করে
দিতে কিসে আপনাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল ? উত্তরে আদম (আ) বললেন, আপনি কো তিনি বললেন,
আমি মুসা (আ) ৷ আদম (আ) বললেন, আপনি কি বনী ইসরাঈলের নবী মুসা যে, আল্লাহ
তাআলা পর্দার আড়াল থেকে আপনার সাথে এমনভাবে কথা বলেছেন যে, আপনার ও তার
মধ্যে কোন দুত ছিল না ? মুসা (আ) বললেন, জী হী৷ ৷ এবার আদম (আ) বললেন : আপনি
আমাকে এমন একটি বিষয়ে তিরস্কার করছেন, যা পুর্ব থেকেই আল্লাহ্ তাআলা নির্ধারণ করে
রেখেছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন : এভাবে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হন,
এভাবে আদম (আ) মুসা (আ ) এর উপর জয়যুক্ত হন ৷

আবু দাউদ (র) ও ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবু ইয়ালা (র) ঈষৎ
পরিবর্তনসহ ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷

উল্লেখ্য যে, এ হাদীসের ব্যাপারে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায় ৷ কাদরিয়া সম্প্রদায়ের একটি
দল এ হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷ কারণ এ হড়াদীসে পুর্ব সিদ্ধান্ত তথা তাকদীরের প্রমাণ
রয়েছে ৷ জাবরিয়্যা সম্প্রদায়ের একটি দল এ হাদীস দ্বারা তাদের মতের সপক্ষে প্রমাণ পেশ
করেছে ৷ আর বাহ্যিক দৃষ্টিতে তা প্রমাণিত হয়ও ৷ কারণ, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন : পুর্ব
সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হন ৷ এর জবাব পরে
দেওয়া হবে ৷ অন্য একদল আলিম বলেন, আদম (আ) মুসা (আ)-এর মতের বিপরীতে এ জন্য
যুক্তি প্রদর্শন করেছেন যে, মুসা (আ) তাকে এমন একটি অপরাধের জন্য তিরস্কার করেছেন, যা
থেকে তিনি তাওবা করে নিয়েছিলেন ৷ আর অপরাধ থেকে তাওবাকারী ঠিক যে ব্যক্তির ন্যায়,

যার কোন অপরাধ নেই ৷

কারো কারো মতে, এ জয়লাভের কারণ হলো, আদম (আ) হলেন মুসা (আ)-এর চাইতে
বয়ােজেষ্ঠে ও প্রবীণ ৷ কেউ কেউ বলেন, এর কারণ হলো, আদম (আ) হলেন তার আদি
পিতা ৷ কারো কারো মতে এর কারণ, র্তারা দু’জন ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন শরীয়তের ধারক ৷ আবার
কেউ কেউ বলেন, এর কারণ তারা দৃজনই ছিলেন আলমে-বরযখে ৷ > আর তাদের ধারণার সে
জগতে শরীয়তের বিধান প্রযোজ্য নয় ৷

সঠিক কথা হলো এই যে, এ হাদীসটি বহু পাঠে বর্ণিত হয়েছে ৷ তার কতক বর্ণিত হয়েছে

অর্থগতরুপে ৷ কিংন্থ তা সন্দেহযুক্ত নয় ৷ সহীহ বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য কিতাবের বেশির
ভাগ বক্তব্যের সারকথা হলো, মুসা (আ) আদম (আ)-কে তার নিজেকে ও সম্ভানদেরকে



১ বা এ জগতের বা পরকালের ব্যাপার নয়, বরং মধ্যবর্তী অন্রেক জগতের ব্যম্পোঘ্নে


رَفَعَهُ. وَكَذَا رَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ خَالِدٍ، وَهِشَامٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، وَهَذَا عَلَى شَرْطِهِمَا مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى عِنْدَ رَبِّهِمَا، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ; قَالَ مُوسَى: أَنْتَ الَّذِي خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَأَسْكَنَكَ جَنَّتَهُ، ثُمَّ أَهْبَطْتَ النَّاسَ إِلَى الْأَرْضِ بِخَطِيئَتِكَ! قَالَ آدَمُ: أَنْتَ مُوسَى الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَتِهِ وَكَلَامِهِ، وَأَعْطَاكَ الْأَلْوَاحَ فِيهَا تِبْيَانُ كُلِّ شَيْءٍ، وَقَرَّبَكَ نَجِيًّا فَبِكَمْ وَجَدْتَ اللَّهَ كَتَبَ التَّوْرَاةَ؟ قَالَ مُوسَى: بِأَرْبَعِينَ عَامًا. قَالَ آدَمُ: فَهَلْ وَجَدْتَ فِيهَا " وَعَصَى آدَمُ رَبَّهُ فَغَوَى " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: أَفَتَلُومُنِي عَلَى أَنْ عَمِلْتُ عَمَلًا كَتَبَ اللَّهُ عَلَيَّ أَنْ أَعْمَلَهُ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي بِأَرْبَعِينَ سَنَةً! قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . قَالَ الْحَارِثُ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ بِذَلِكَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مُوسَى الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ عِيَاضٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي ذُبَابٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، وَالْأَعْرَجِ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجَّ آدَمُ وَمُوسَى،
পৃষ্ঠা - ১৯৪
فَقَالَ مُوسَى لِآدَمَ: يَا آدَمُ أَنْتَ الَّذِي أَدْخَلْتَ ذُرِّيَّتَكَ النَّارَ! فَقَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَاتِهِ وَبِكَلَامِهِ، وَأَنْزَلَ عَلَيْكَ التَّوْرَاةَ، فَهَلْ وَجَدْتَ أَنِّي أَهْبِطُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَحَجَّهُ آدَمُ» . وَهَذَا عَلَى شَرْطِهِمَا، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَفِي قَوْلِهِ: " أَدْخَلْتَ ذُرِّيَّتَكَ النَّارَ " نَكَارَةٌ. فَهَذِهِ طُرُقُ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. رَوَاهُ عَنْهُ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَذَكْوَانُ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ، وَطَاوُسُ بْنُ كَيْسَانَ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ هُرْمُزَ الْأَعْرَجُ، وَعَمَّارُ بْنُ أَبِي عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، وَهَمَّامُ بْنُ مُنَبِّهٍ، وَيَزِيدُ بْنُ هُرْمُزَ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ فِي مُسْنَدِهِ مِنْ حَدِيثِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قَالَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ: يَا رَبِّ أَرِنَا آدَمَ الَّذِي أَخْرَجَنَا وَنَفْسَهُ مِنَ الْجَنَّةِ. فَأَرَاهُ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: أَنْتَ آدَمُ! فَقَالَ لَهُ آدَمُ: نَعَمْ. قَالَ: أَنْتَ الَّذِي نَفَخَ اللَّهُ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ، وَعَلَّمَكَ الْأَسْمَاءَ كُلَّهَا! قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَمَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ أَخْرَجْتَنَا، وَنَفْسَكَ مِنَ الْجَنَّةِ؟ فَقَالَ لَهُ آدَمُ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا مُوسَى. قَالَ: أَنْتَ مُوسَى نَبِيُّ بَنِي إِسْرَائِيلَ، أَنْتَ الَّذِي كَلَّمَكَ اللَّهُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ فَلَمْ يَجْعَلْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ رَسُولًا مِنْ خَلْقِهِ! قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ قَدْ سَبَقَ مِنَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْقَضَاءُ بِهِ قَبْلُ! قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ قَالَ
পৃষ্ঠা - ১৯৫


জান্নাত থেকে বের করিয়ে দেয়ার জন্য দোষারোপ করেছিলেন ৷৩ তাই উত্তরে আদম (আ ) র্তাকে
বলেছিলেন, আপনাদেরকে আ ৷মি বের করিনি ৷ বের করেছেন সেই সত্তা ৷যিনি আমার বৃক্ষ-ফল
খাওয়ার সাথে বহিষ্কারকে সংশ্লিষ্ট করে রেখেছিলেন; আর যিনি তা সংশ্লিষ্ট করে রেখেছিলেন
আমার সৃষ্টির পুর্বেই এবং তা লিপিবদ্ধ ও নির্ধারণ করে রেখেছিলেন, তিনি হলেন মহান
তা ল্লআ৷হ্ ৷ সুতরাং আপনি আমাকে এমন একটি কাজের জন্য দোষারোপ করছেন, যার সাথে
আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ বড় জোর এ৩ টুকু বলা যায় যে, আমাকে বৃক্ষ ফল খেতে নিষেধ
করা হয়েছিল, কিভৃ অমি তা খেয়ে ফেলি ৷ এর সাথে বহিষ্কারের সৎশ্লিষ্টতা আমার কর্ম নয় ৷
সুতরাৎঅ ৷পনাদেরকে এবং আমার নিজেকে জান্নাত থেকে বহিষ্কার আমি করিনি ৷ তা ছিল
সম্পুর্ণ আল্লাহ তাআলার কুদররু৩ তর লীলাখেলা! অবশ্য ৩াতে আল্লাহর হিকমত রয়েছে
অতএব, এ কারণে আদম (আ) মুসা (আ)-এর উপর জয়যুক্ত হয়েছিলেন ৷

পক্ষাম্ভরে যারা এ হাদীসকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে, তারা আসলে একশুয়ে ৷ কেননা,
হাদীসটি আবু হুরায়রা (বা) থেকে যুতাওয়াতির সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ আর বিশ্বাসয়োপ্যতা ও
স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে আবু হুরায়রা (বা) এর মর্যাদা প্ৰশ্নাডীত ৷ তাছাড়া আরো কতিপয় সাহারা
থেকেও হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে যা আমরা উপরে উল্লেখ করে এসেছি ৷ আর একটু আগে
হাদীসটির যেসব ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল, তা হাদীসের শব্দ ও মর্ম উভয়ের সাথেই
স০গদিপুর্ণ ৷ তাদের মধ্যে অবস্থানের যৌক্তিকত৷ জ ববিয্যা সম্প্রদায়ের চাইতে বেশি আর
কারোরই নেই ৷ কিন্তু কয়েক দিক থেকে ৷চ৩ ও আপত্তি রয়েছে০

প্রথমত, মুসা (আ) এমন কাজের জন্য দোষারোপ করতে পারেন না, যে কাজের
জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাওব৷ করে নিয়েছেন ৷ দ্বিতীয়ত, মুসা (আ) নিজেও আদিষ্ট না
হয়েও এক ব্যক্তিকে হত্যা করে আল্লাহ তাঅড়ালার নিকট এ বলে প্রার্থনা করেছিলেন

যে, §fi;飧 ত্াদ্বু;এে ^^এ দ্বুর্দ্রর্চু ট্রু,শুড্রু র্চুহে আমার রবৰু আমি নিজের উপর

অত্যাচার করেছি ৷ অতএব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও ৷ ফলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে
দেন ৷ (২৮ং ১৬)

৩র্জীয়ত, আদম (আ) যদি পুর্ব লিখিত তকদীর৷ দ্বার বাঅপরাধের জন্য দােষারোপের জবাব
দিয়ে থাকেন,৩ ৩াহলে কৃতকর্মে তিরস্কৃত ৩সকলের জন্যই এ পথ খুলে যেতে৷ এবং সকলেই পুর্ব
নির্ধারিত তকদীরের দােহাই দিয়ে প্রমাণ পেশ করতে পারতে ৷ ৷ এভাবে কিস স ও হুদুদ তথা
শরীয়ত নির্ধারিত শাস্তিসমুহের বিধানের দ্বার রুদ্ধ হয়ে যেতে৷ ৷৩ ৩কদীরকেই যদি দলীল রুপে
পেশ করা যেতো, তাহলে যে কেউ ছোট-বড় সকল কৃত অপরাধের জন্য৩ তার দ্বারা দলীল পেশ
করতে পারত ৷ আর এটা ভয়াবহ পরিণতির দিকেই নিয়ে যেতে তা ৷ এ জন্যই কোন কোন আলিম
বলেনং : আদম (আ) তকদীর৷ দ্ব ৷রা দুর্তোগের ব্যাপারে দলীল পেশ করেছিলেন আল্লাহর আদেশ
অমান্যের সপক্ষের যুক্তি হিসাবে নয় ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷


أَبُو يَعْلَى: وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ، عَنِ الرُّدَيْنِيِّ بْنِ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمُرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ قَالَ: أَبُو مُحَمَّدٍ أَكْثَرُ ظَنِّي أَنَّهُ رَفَعَهُ قَالَ: «الْتَقَى آدَمُ وَمُوسَى، فَقَالَ مُوسَى لِآدَمَ: أَنْتَ أَبُو النَّاسِ أَسْكَنَكَ اللَّهُ جَنَّتَهُ، وَأَسْجَدَ لَكَ مَلَائِكَتَهُ! قَالَ آدَمُ: يَا مُوسَى أَمَا تَجِدُهُ عَلَيَّ مَكْتُوبًا! قَالَ: فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى، فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . وَهَذَا الْإِسْنَادُ أَيْضًا لَا بَأْسَ بِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ رِوَايَةُ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى لِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ. وَرِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ لَهُ ; عَنْ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ رَجُلٍ. قَالَ حَمَّادٌ: أَظُنُّهُ جُنْدُبَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيَّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقِيَ آدَمُ مُوسَى» . فَذَكَرَ مَعْنَاهُ. وَقَدِ اخْتَلَفَتْ مَسَالِكُ النَّاسِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ; فَرَدَّهُ قَوْمٌ مِنَ الْقَدَرِيَّةِ لِمَا تَضَمَّنَ مِنْ إِثْبَاتِ الْقَدَرِ السَّابِقِ. وَاحْتَجَّ بِهِ قَوْمٌ مِنَ الْجَبْرِيَّةِ، وَهُوَ ظَاهِرٌ لَهُمْ بَادِيَ الرَّأْيِ ; حَيْثُ قَالَ: «فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى» . لَمَّا احْتَجَّ عَلَيْهِ بِتَقْدِيمِ كِتَابِهِ، وَسَيَأْتِي الْجَوَابُ، عَنْ هَذَا. وَقَالَ آخَرُونَ: إِنَّمَا حَجَّهُ لِأَنَّهُ لَامَهُ عَلَى ذَنْبٍ قَدْ تَابَ مِنْهُ، وَالتَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ. وَقِيلَ: إِنَّمَا حَجَّهُ لِأَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ১৯৬
أَكْبَرُ مِنْهُ وَأَقْدَمُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ أَبُوهُ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُمَا فِي شَرِيعَتَيْنِ مُتَغَايِرَتَيْنِ. وَقِيلَ: لِأَنَّهُمَا فِي دَارِ الْبَرْزَخِ، وَقَدِ انْقَطَعَ التَّكْلِيفُ فِيمَا يَزْعُمُونَهُ. وَالتَّحْقِيقُ: إِنَّ هَذَا الْحَدِيثَ رُوِيَ بِأَلْفَاظٍ كَثِيرَةٍ بَعْضُهَا مَرْوِيٌّ بِالْمَعْنَى وَفِيهِ نَظَرٌ، وَمَدَارُ مُعْظَمِهَا فِي الصَّحِيحَيْنِ، وَغَيْرِهِمَا عَلَى أَنَّهُ لَامَهُ عَلَى إِخْرَاجِهِ نَفْسَهُ وَذُرِّيَّتَهُ مِنَ الْجَنَّةِ. فَقَالَ لَهُ آدَمُ: أَنَا لَمْ أُخْرِجْكُمْ، وَإِنَّمَا أَخْرَجَكُمُ الَّذِي رَتَّبَ الْإِخْرَاجَ عَلَى أَكْلِي مِنَ الشَّجَرَةِ، وَالَّذِي رَتَّبَ ذَلِكَ، وَقَدَّرَهُ وَكَتَبَهُ قَبْلَ أَنْ أُخْلَقَ هُوَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَنْتَ تَلُومُنِي عَلَى أَمْرٍ لَيْسَ لَهُ نِسْبَةٌ إِلَيَّ أَكْثَرَ مَا أَنِّي نُهِيتُ عَنِ الْأَكْلِ مِنَ الشَّجَرَةِ فَأَكَلْتُ مِنْهَا، وَكَوْنُ الْإِخْرَاجِ مُتَرَتِّبًا عَلَى ذَلِكَ لَيْسَ مِنْ فِعْلِي، فَأَنَا لَمْ أُخْرِجْكُمْ وَلَا نَفْسِي مِنَ الْجَنَّةِ، وَإِنَّمَا كَانَ هَذَا مِنْ قَدَرِ اللَّهِ وَصُنْعِهِ، وَلَهُ الْحِكْمَةُ فِي ذَلِكَ فَلِهَذَا حَجَّ آدَمُ مُوسَى. وَمَنْ كَذَّبَ بِهَذَا الْحَدِيثِ فَمُعَانِدٌ ; لِأَنَّهُ مُتَوَاتِرٌ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَنَاهِيكَ بِهِ عَدَالَةً وَحِفْظًا وَإِتْقَانًا، ثُمَّ هُوَ مَرْوِيٌّ عَنْ غَيْرِهِ مِنَ الصَّحَابَةِ، كَمَا ذَكَرْنَا. وَمَنْ تَأَوَّلَهُ بِتِلْكَ التَّأْوِيلَاتِ الْمَذْكُورَةِ آنِفًا فَهُوَ بَعِيدٌ مِنَ اللَّفْظِ وَالْمَعْنَى، وَمَا فِيهِمْ مَنْ هُوَ أَقْوَى مَسْلَكًا مِنَ الْجَبْرِيَّةِ. وَفِيمَا قَالُوهُ نَظَرٌ مِنْ وُجُوهٍ ; أَحَدُهَا: أَنَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا يَلُومُ عَلَى أَمْرٍ قَدْ تَابَ مِنْهُ فَاعِلُهُ. الثَّانِي: أَنَّهُ قَدْ قَتَلَ نَفْسًا لَمْ يُؤْمَرْ بِقَتْلِهَا، وَقَدْ سَأَلَ اللَّهَ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِهِ: {رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ} [القصص: 16] . الْآيَةَ، الثَّالِثُ: أَنَّهُ لَوْ كَانَ الْجَوَابُ عَنِ اللَّوْمِ عَلَى الذَّنْبِ بِالْقَدَرِ الْمُتَقَدِّمِ كِتَابَتُهُ عَلَى الْعَبْدِ لَانْفَتَحَ هَذَا لِكُلِّ مَنْ لِيمَ عَلَى أَمْرٍ قَدْ فَعَلَهُ، فَيَحْتَجُّ بِالْقَدَرِ السَّابِقِ،
পৃষ্ঠা - ১৯৭
فَيَنْسَدُّ بَابُ الْقِصَاصِ وَالْحُدُودِ، وَلَوْ كَانَ الْقَدَرُ حُجَّةً لَاحْتَجَّ بِهِ كُلُّ أَحَدٍ عَلَى الْأَمْرِ الَّذِي ارْتَكَبَهُ فِي الْأُمُورِ الْكِبَارِ وَالصِّغَارِ، وَهَذَا يُفْضِي إِلَى لَوَازِمَ فَظِيعَةٍ. فَلِهَذَا قَالَ مَنْ قَالَ مِنَ الْعُلَمَاءِ بِأَنَّ جَوَابَ آدَمَ إِنَّمَا كَانَ احْتِجَاجًا بِالْقَدَرِ عَلَى الْمُصِيبَةِ لَا الْمَعْصِيَةِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ، وَهُوَ حَسْبِي وَنِعْمَ الْوَكِيلُ.