আমার পিতার উভয় কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে। সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস...
আমার পিতার উভয় কিডনী নষ্ট হয়ে গেছে। সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। ডায়ালাইসিসের জন্য অনেক সময় লাগে। সিরিয়াল লেগে থাকে। ডাক্তার যে সময় দেয় সে সময়ই করতে হয়। কোনো কোনো সময় মাগরিবের কিছু আগে শুরু হয়। একেবারে ইশার সময় শেষ হয়। কিংবা আসরের আগে শুরু হয় মাগরিবে শেষ হয়। জানার বিষয় হল, ডায়ালাইসিস চলাকালীন তিনি নামায পড়বেন, নাকি পরে কাযা করে নিবেন। ডায়ালাইসিস চলাকালীন শুয়ে থাকতে হয়। কেবলা ঠিক থাকে না। অযু করাও সম্ভব নয়। তবে তায়াম্মুম করা যায়। এক দিক দিয়ে শরীরের রক্ত বের করা হয়। আর অন্য দিক দিয়ে রক্ত প্রবেশ হয়। তার নামাযের হুকুম সবিস্তারে জানাবেন।
ডায়ালাইসিস চলা অবস্থায় নামায কাযা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হলে তায়াম্মুম করে শুয়ে যেদিকেফিরে সম্ভব নামায পড়ে নিবে। অসুস্থ অবস্থায় যেভাবে সম্ভব নামায পড়ে নিলে তা আদায় হয়েযায়। পরবর্তীতে তার কাযা করতে হবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/২৮৪, ২৮৭; মাবসূত, সারাখসী ১/২১২-২১৩; আলবাহরুর রায়েক ১/২৮৬; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৩৩, ২/৯৯-১০০
আমি সাইনোসাইটিস রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার শরীরে ঠাণ্ডা লাগাতে নিষেধ করেছেন।...
আমি সাইনোসাইটিস রোগে আক্রান্ত। ডাক্তার শরীরে ঠাণ্ডা লাগাতে নিষেধ করেছেন। আর বাস্তবতা হল, সামান্য ঠাণ্ডা লাগলেই মাথাব্যাথা আরম্ভ হয় এবং সর্দি লেগে যায়। এ অবস্থায় রাতে গোসল ফরয হলে আমি তায়াম্মুম করতে পারব কি না? যদি করা যায় তাহলে গোসলের তায়াম্মুমের নিয়মসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
উল্লেখিত অবস্থায় যদি গরম পানি ব্যবহারের সুযোগ থাকে কিংবা গরমের দিন স্বাভাবিক পানি দ্বারা গোসল করলে যদি তেমন সমস্যা না হয় তাহলে আপনাকে গোসলই করতে হবে। এক্ষেত্রে তায়াম্মুম জায়েয হবে না। তবে গোসল করলে যদি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয় তখন গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করতে পারবেন। তদ্রূপ অসুস্থ অবস্থায় গোসল ফরয হলে তখন গোসল করলে অসুখ যদি আরো বেড়ে যাবে বলে মনে হয় তবেও তায়াম্মুম করা জায়েয। আর গোসলের তায়াম্মুম অযুর তায়াম্মুমের মতোই। উভয় তায়াম্মুম একই নিয়মে করতে হবে। আর ওজরের কারণে তায়াম্মুম করার পর যখন গোসল করার সামর্থ্য ফিরে পাবে তখন তাকে গোসল করতে হবে।
-কিতাবুল আছল ১/৮৬; মাবসূত, সারাখসী ১/১২২; বাদায়েউস সানায়ে ১/১৭১; আলবাহরুর রায়েক ১/১৪১; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ১/৬২
একবার বটিতে লেগে আমার পা অনেকটা কেটে যায়। ডাক্তার সাহেব...
একবার বটিতে লেগে আমার পা অনেকটা কেটে যায়। ডাক্তার সাহেব প্রথমে সেলাই করে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন। এবং ক্ষতির আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিন চারদিন আগে খুলতে মানা করেছেন। তাই আমাকে ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করতে হচ্ছে। হুযুরের নিকট আমার জানার বিষয় হলো, ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করলে কি পুরো ব্যান্ডেজ মাসাহ করতে হবে নাকি অধিকাংশের উপর মাসাহ করলেও যথেষ্ট হবে?
সম্ভব হলে পুরো ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করাই উত্তম। তবে কিছু অংশ ছুটে গেলেও সমস্যা হবে না। কেননা ব্যান্ডেজের অধিকাংশ স্থান মাসাহ করাই যথেষ্ট।
Ñখুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭; হালবাতুল মুজাল্লী ১/৩৪৭; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৭; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৮২
জন্মগতভাবেই আমার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশে অতিরিক্ত একটি ছোট আঙ্গুল...
জন্মগতভাবেই আমার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশে অতিরিক্ত একটি ছোট আঙ্গুল আছে। যার কারণে মানুষের সামনে যেতে আমার লজ্জা হয়। আমি চাচ্ছি, অপারেশনের মাধ্যমে আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে। আমার জন্য কি এ কাজ করা বৈধ হবে?
অতিরিক্ত আঙ্গুল কেটে ফেললে যদি ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে তাহলে তা কেটে ফেলা বৈধ হবে। অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা করা যাবে।
Ñফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/২৮৮; বাযলুল মাজহূদ ১৭/৫৪-৫৫; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/১৯৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৬০;
আমি পশু খরিদ করার জন্য একদিন হাটে যাই। অসতর্কতাবশত একটি...
আমি পশু খরিদ করার জন্য একদিন হাটে যাই। অসতর্কতাবশত একটি গরুর পায়ের নিচে পা পড়ে আমার পায়ের অগ্রভাগ মারাত্মক যখম হয়। ডাক্তার ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছেন এবং ব্যান্ডেজ খুলতে ও পানি লাগাতে নিষেধ করেছেন। এ অবস্থায় আমি কীভাবে অযু করব?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি স্বাভাবিক নিয়মেই অযু করবেন। তবে ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করবেন। আর উক্ত পায়ের অবশিষ্টাংশ ধৌত করা সম্ভব হলে তা ধুয়ে নিবেন। তবে যদি পায়ের অবশিষ্টাংশ ধৌত করতে গেলে ব্যান্ডেজ ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে খালি অংশও না ধুয়ে পুরো পা মাসাহ করে নিবেন।
-সুনানে বায়হাকী ১/২২৮; কিতাবুল আছল ১/৪২; আলমাবসূত, সারাখসী ১/৭৩; আলবাহরুর রায়েক ১/১৮৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৫; শরহুল মুনইয়াহ ১১৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/৯০; রদ্দুল মুহতার ১/২৭৮
আমরা হিয়ারিং এইডের ব্যবসা করি। অর্থাৎ মানুষ কানে কম শুনলে...
আমরা হিয়ারিং এইডের ব্যবসা করি। অর্থাৎ মানুষ কানে কম শুনলে অথবা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে আমরা কানের পরীক্ষা করি এবং কানে কম শোনার মেশিন বিক্রি করে থাকি। আমাদের এই ব্যবসায় সাধারণত নাক, কান, গলা বিভাগের ডাক্তারদের সাথে সম্পর্ক। আমাদের মার্কেটিংয়ের লোক বিভিন্ন হাসপাতাল বা চেম্বারে গিয়ে কান স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের সাথে দেখা করেন এবং বলেন, স্যার! আমাদের কাছে রোগী পাঠাবেন। তখন ডাক্তারগণ আমাদের সাথে চুক্তি করেন। আমাকে কত পার্সেন্ট দিবেন। অমুক সেন্টার আমাদেরকে ৬০% দেয়। তখন আমাদের বাধ্য হয়ে বলতে হয় স্যার, তাহলে আমরা ৭০% পার্সেন্ট অথবা ৮০% দিব। এবং মাঝেমধ্যে বিভিন্ন গিফটও প্রদান করে থাকি। ব্যবসার খাতিরে আমাদের মন না চাইলেও এই কমিশন দিতে আমরা বাধ্য। এখানে উল্লেখ্য, কানের টেস্ট ফি নির্ধারিত এবং তা সব জায়গায় এক। এমন নয় যে, কমিশন দিতে হবে বিধায় রোগী থেকে বেশি ফি নিব।
অবশ্য কোনো কোনো ডাক্তার খোদাভীরু, যারা বলেন, আমাকে যে কমিশন দিবেন সেটা রোগী থেকে কম নিবেন। তখন আমরা বলি, স্যার! আপনি এত পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট এভাবে লিখে দিবেন আমরা কম নিব, ইনশাআল্লাহ। আমরা তাই করে থাকি।
এখন আপনাদের নিকট জানার বিষয় হল, ডাক্তারদের সাথে এমন লেনদেন করা কতটুকু শরীয়তসম্মত? যদি বলি, এই ব্যবসা ছেড়ে দিব তাহলে এটাই কি সমাধান? এভাবে সকলে ছেড়ে দিলে এই সেবা কে করবে?
কোনো রোগী যখন ডাক্তারের কাছে নির্ধারিত চিকিৎসা ফি প্রদানের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসে তখন ডাক্তারের দায়িত্ব হয়ে যায় রোগীকে সঠিক ব্যবস্থাপত্র প্রদান করা। এ ব্যবস্থাপত্র প্রদানের জন্য কখনো রোগীকে টেস্ট দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা লিখে দেওয়া এবং কোথা থেকে তা করালে ভাল হবে এটা বলে দেওয়াও ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র প্রদান সংক্রান্ত দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। যার জন্য রোগী ডাক্তারকে পূর্বেই নির্ধারিত ফি প্রদান করেছে।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পরীক্ষার জন্য কোনো রোগীকে কোনো হিয়ারিং এইড সেন্টারে পাঠানোর প্রয়োজন হলে কোথায় পাঠালে ভাল হবেÑ এ বিষয়ে রোগীকে নির্দেশনা দেওয়া ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র প্রদান সংক্রান্ত দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। এ দায়িত্ব পালনের জন্য কোনো হিয়ারিং এইড সেন্টার থেকে ডাক্তারের কমিশন নেওয়া ঘুষের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর ঘুষ নেওয়া যেমন হারাম তেমনি কাউকে ঘুষ দেওয়াও হারাম। হাদীস শরীফে আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষ দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের উপর লানত করেছেন। Ñমুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৬৫৩২
আর এই কমিশনের বাইরে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পক্ষ থেকে ডাক্তারকে যেসব উপহার দেওয়া হয় তা যদি নগদ অর্থ বা চেক হয় কিংবা বিদেশে যাওয়ার প্যাকেজ অথবা মূল্যবান কোনো ব্যবহার সামগ্রী ইত্যাদি হয় তাহলে তাও ঘুষের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো গ্রহণ করা ডাক্তারের জন্য জায়েয নয়। অবশ্য ওষুধের সেম্পল কিংবা ওষুধের বিজ্ঞাপন সম্বলিত চিকিৎসার ব্যবহার সামগ্রী, যেমন কলম, খাতা, প্যাড, পেপারওয়েট ইত্যাদি নেওয়া ডাক্তারের জন্য জায়েয আছে। তবে ডাক্তারের জন্য এগুলো বিক্রি করে এর মূল্য ভোগ করা বৈধ হবে না।
উল্লেখ্য, ডাক্তারদেরকে কমিশন দেওয়ার এ প্রথাটি আগে ছিল না। এটি চালু করেছে কিছু অসাধু ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তারা ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় অনৈতিক পথে আগায় এবং ডাক্তারদেরকে তাদের কাছে রোগী পাঠানোর জন্য কমিশন দেওয়ার প্রলোভন দেয়। প্রথমে এর পরিমাণ কম ছিল। পরে কমিশনের হার আকাশচুম্বী করা হয়। আর এ টাকার ভার রোগীদেরকেই বহন করতে হয়। এই অনৈতিক কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে ওইসব অসাধু ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষই দায়ী। এই অবৈধ পন্থা চালু হওয়ার কারণে কোনো রকম গুণগত মান ছাড়াই রাতারাতি গজিয়ে উঠে অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যাদের মূল কামাইয়ের অধিকাংশ বা তারও বেশি ডাক্তারদেরকে কমিশন হিসেবে দিয়ে দিতে হয়।
বর্তমানে এর সমাধানও খুব কঠিন নয়। মানসম্মত ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো যদি ডাক্তারদেরকে কমিশন না দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেয়, সাথে টেস্টের ফিও স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসে এবং টেস্টের মানও উন্নত করে এবং রোগীদেরকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে তাহলে সহজেই ঐ কমিশন পদ্ধতি বন্ধ হয়ে যাবে। এবং অন্যান্য ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোও ব্যবসায়িক খাতিরেই নিজেদের মান উন্নত করতে বাধ্য হবে এবং টেস্ট ফিও কমাবে।
Ñমাআলিমুস সুনান ৪/১৬১; আলমাবসূত সারাখসী ১৬/৮২
কিছুদিন আগে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পিছলে পড়ে যাই এবং...
কিছুদিন আগে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পিছলে পড়ে যাই এবং আমার ডান পায়ের গোড়ালি মচকে যায়। তখন লোকজন আমাকে ধরাধরি করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পায়ের আঙ্গুলগুলো খোলা রেখে অবশিষ্ট অংশে প্লাস্টার করে দেন। হুযুরের কাছে আমি জানতে চাই, এ অবস্থায় আমার অযু গোসলের পদ্ধতি কী হবে? আমার জন্য কি তায়াম্মুম করা বৈধ হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অযুর জন্য আপনি প্লাস্টার করা পা ছাড়া অন্যান্য অঙ্গ স্বাভাবিক নিয়মেই ধুবেন। আর প্লাস্টারকৃত পায়ের আঙ্গুলগুলো খোলা থাকলেও তা ধোয়া যেহেতু সমস্যা তাই ঐ পা আঙ্গুলসহ পুরোটাই মাসাহ করবেন।
অবশ্য এ অবস্থায় জর বা অন্য কোনো কারণে পানি ব্যবহার করতে সমস্যা হলে তায়াম্মুম করতে পারবেন। আর সমস্যা না হলে উপরোক্ত নিয়মে অযুই করতে হবে, তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না। আর এ অবস্থায় গোসল ফরয হলে পস্নাস্টার করা অংশটুকুতে পলিথিন জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে গোসল করবেন। এরপর পলিথিন খুলে যে অংশটুকু ধোয়া যায়নি তা মাসাহ করে নিবেন। আর এভাবে গোসল করা সম্ভব না হলে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করবেন।
-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬২৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩১২, ১/৩৫৭; শরহুল মুনইয়া ১১৬; ১১৮ বাদায়েউস সানায়ে ১/৯০; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ৬৮
ধুমপান করার হুকুম কী এবং জর্দা দিয়ে পান খাওয়া যাবে...
ধুমপান করার হুকুম কী এবং জর্দা দিয়ে পান খাওয়া যাবে কি না? আর সিগারেট অথবা জর্দা দিয়ে পান খাওয়া লোক যদি নামায পড়ে এবং নামাযের মধ্যে মুখ থেকে গন্ধ আসে তাহলে ঐ নামাযের হুকুম কী হবে? এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
ধুমপান করা নাজায়েয। এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যগত ক্ষতিও রয়েছে। জেনে শুনে নিজের জান-মালের ক্ষতি করা গুনাহ। অধিকন্তু ধুমপায়ীর মুখের দুর্গন্ধে অন্যের কষ্ট হয়, যা পৃথক একটি গুনাহ। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
আর দুর্গন্ধযুক্ত অবস্থায় নামাযে দাঁড়ানো মাকরূহে তাহরীমী। বরং এ অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করাও মাকরূহ। হাদীস শরীফে ধুমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্ত্ত কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
অতএব বিড়ি-সিগারেটের তীব্র দুর্গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা যে নিষিদ্ধ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। অবশ্য এ কারণে নামায ত্যাগ করা যাবে না এবং মসজিদে গমনাগমনও বন্ধ করা যাবে না। বরং অতি দ্রুত এ বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। আর নামায আদায়ের পূর্বে এবং মসজিদে প্রবেশের আগে ভালো করে মেসওয়াক বা ব্রাশ করে দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে।
আরো প্রকাশ থাকে যে, ধুমপানের দুর্গন্ধ নিয়েও যদি কেউ নামায পড়ে নেয় তাহলে তার নামায আদায় হয়ে যাবে।
আর পানের সাথে জর্দা বা তামাক খাওয়াও ডাক্তারি মতে শারীরিক ক্ষতির কারণ। তাই যথাসম্ভব এ থেকেও বিরত থাকা উচিত। আর কারো ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে তার জন্য তা খাওয়া নাজায়েয হবে।
উল্লেখ্য যে, যারা পান-জর্দা খায় তাদের জন্যও নামায আদায়ের পূর্বে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া কর্তব্য। যেন পানের কণাগুলো বের হয়ে যায় এবং গন্ধও না থাকে।
আরো উল্লেখ থাকে যে, মিসওয়াক ইসলামের দায়েমী একটি সুন্নত। এ সুন্নতটির প্রতি যত্নবান হয়ে দাঁত এবং মুখ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য।
-ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দাইমা ১৩/৫৬; আলফাতাওয়াশ শারইয়্যাহ ১০/১৪৫; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬১
আমার ডান পা ভেঙ্গে গেছে। ডাক্তার পুরো পা প্লাস্টার করে...
আমার ডান পা ভেঙ্গে গেছে। ডাক্তার পুরো পা প্লাস্টার করে দিয়েছেন। এতে করে নড়াচড়া করতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় আমার গোসল ফরয হয়েছে। গোসল করলে প্লাস্টারের ভেতর পানি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমি জানতে চাচ্ছি যে, কীভাবে আমি পবিত্রতা অর্জন করতে পারব?
প্রশ্নোক্ত অবস্থায় গোসল করলে যেহেতু প্লাস্টারের ভিতরে পানি পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং গোসলের জন্য প্রয়োজনীয় নড়াচড়া করাও কষ্টকর তাই গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করে নিলেই চলবে।
আর গোসলের তায়াম্মুম অযুর তায়াম্মুমের মতোই।
-মারাকিল ফালাহ ৬৮; ফাতহুল কাদীর ১/১০৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১১৮; আলবাহরুর রায়েক ১/১৪০; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৩৮
আমাদের এক সহপাঠী রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার জন্য নিকটবর্তী একটি ডায়াগনস্টিক...
আমাদের এক সহপাঠী রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার জন্য নিকটবর্তী একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায়। ডাক্তার সিরিঞ্জের সাহায্যে তার শরীর থেকে প্রায় এক সিরিঞ্জ রক্ত সংগ্রহ করে। তবে সিরিঞ্জের সুঁই স্থাপনের স্থান থেকে রক্ত বের হয়নি। সে নতুন অযু না করেই পুরনো অযুতে আসরের নামায আদায় করে। জানার বিষয় হল, উক্ত পদ্ধতিতে শরীর থেকে রক্ত নেওয়ার দ্বারা অযু নষ্ট হয় কি না। জানালে উপকৃত হব।
শরীরের যে কোনো জায়গা থেকে যদি এ পরিমাণ রক্ত বের হয়, যা গড়িয়ে পড়ার মতো তাহলে এর দ্বারা অযু নষ্ট হয়ে যায়। যদিও তা কোনো কারণে গড়িয়ে না পড়ে বা শরীরে না লাগে। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সিরিঞ্জ দিয়ে রক্ত নেওয়ার দ্বারাই ঐ ব্যক্তির অযু ভেঙ্গে গিয়েছিল। তাই পূর্বের অযু দিয়ে ঐ দিনের আসরের নামায আদায় করা সহীহ হয়নি। তা কাযা করে নেওয়া জরুরি।
-ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১; রদ্দুল মুহতার ১/১৩৪; আলমুহীতুল বুরহানী ১/১৯৭
এক ব্যক্তির বাম পা মারাত্মকভাবে যখম হওয়ায় ডাক্তার তার পা...
এক ব্যক্তির বাম পা মারাত্মকভাবে যখম হওয়ায় ডাক্তার তার পা ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। তাই সে অযু করার সময় ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করে নামায পড়ে। জানার বিষয় হল, তাকে যদি ফরয নামাযের ইমাম বানানো হয় আর সুস্থ লোকজন তার ইকতিদা করে তাহলে কি সুস্থ লোকদের নামায সহীহ হবে?
হ্যাঁ, ব্যান্ডেজের উপর মাসহকারী ইমাম হতে পারে এবং তার পিছনে সুস্থ লোকদের ইকতিদা সহীহ হবে। তবে যে ব্যক্তির ক্ষতস্থান থেকে সর্বদা রক্ত বা পুঁজ ঝরতে থাকে তার জন্য ইমামতি করা সহীহ হবে না।
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৫০, ৩৫৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/১৪৭; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৬৩; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১৮৫; শরহুল মুনইয়াহ ৫১৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৮৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৯০; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৮৮
আমার এক আত্মীয় ভীষণ অসুস' হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার পানি ব্যবহার...
আমার এক আত্মীয় ভীষণ অসুস' হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার পানি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তাই তিনি নিজের কাছে একটি মাটির টুকরা রেখেছেন। প্রত্যেকবার এটা দিয়ে তায়াম্মুম করে নামায আদায় করেন। জানার বিষয় হল, এ পদ্ধতিতে তায়াম্মুম করা সহীহ হবে কি? প্রত্যেকবার তায়াম্মুমের জন্য নতুন মাটি নিতে হবে কি?
মাটির একটি টুকরা দ্বারা যতবার ইচ্ছা তায়াম্মুম করা যায়। প্রত্যেকবার তায়াম্মুমের জন্য নতুন মাটি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩১; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩১১; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৬৩; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/১৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/২৪২
আমরা জানি, মেয়েদের চুল কাটা নিষেধ। তবে প্রয়োজনের সময় চার...
আমরা জানি, মেয়েদের চুল কাটা নিষেধ। তবে প্রয়োজনের সময় চার আঙ্গুল পরিমাণ চুল কাটা যায়। এখন আমার প্রশ্ন হল : ক) মেয়েরা কতদিন পর পর চুল কাটতে পারবে এবং তার পরিমাণ কতটুকু?
খ) বেশি কাটলে তার কাফফারা কী দিতে হবে এবং তা কী পরিমাণ? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হল : ১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রা. চুল লম্বা রাখতেন। ২. এ পরিমাণ খাটো করবে না যে, পুরুষের চুলের মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে।
৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। পক্ষান্তরে যার চুল তত লম্বা নয়; বরং অল্প কাটলেই কাঁধ সমান হয়ে যাবে এবং পুরুষের বাবরী চুলের মতো দেখা যাবে তার জন্য অল্প করেও কাটার অনুমতি নেই। তবে জটিল অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে চুল ছোট করা, এমনকি জরুরতবশতঃ কামানোরও অনুমতি রয়েছে।
অতএব চার আঙ্গুল পরিমাণ কাটা যাবে-এ কথা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়; বরং চুল বেশি বড় থাকলে যেমন কোমর সমান চুল থাকলে চার আঙ্গুলের বেশি পিঠের মাঝামাঝি করে কাটা জায়েয। তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। এর জন্য সময়েরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর কেউ নাজায়েয পরিমাণ কেটে ফেললে বা বিজাতীয় অনুকরণে চুল কেটে করে ফেললে তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে।
সহীহ বুখারী ২/৮৭৪; জামে তিরমিযী ১/১০৩; সহীহ মুসলিম ১/১৪৮; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৪৭২; আলমুফাসসাল ফী আহকামিল মারআতি ওয়াল বায়তিল মুসলিম ৩/৪০০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৭৭; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ৪/২০৩; আলফাতাওয়াল মারআহ, শায়খ ইবনে বায পৃ. ১৬৫ আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪১৬
আমার একটি দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার...
আমার একটি দাঁত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার দাঁতে ক্যাপ ব্যবহার করতে বলেন। আমার জিজ্ঞাসা হল, আমি দাঁতে সোনার ক্যাপ ব্যবহার করতে পারব কি না?
হ্যাঁ, দাঁতে স্বর্ণের ক্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। এটি নাজায়েয নয়।
নয়।-মুসনাদে বাযযার, মাজমাউয যাওয়ায়েদ হাদীস : ৮৭১৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৫১;বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩১৬; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৮৬; আলমাজমূ ৪/৩২৭
গাড়ি দুর্ঘটনায় আমার বাম হাতের কব্জি থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত ক্ষত...
গাড়ি দুর্ঘটনায় আমার বাম হাতের কব্জি থেকে আঙ্গুল পর্যন্ত ক্ষত হয়। ডাক্তার ক্ষত অংশটুকুসহ আরো কিছু অংশ ব্যান্ডেজ করে দেন। কনুই পর্যন্ত বাকি অংশ খোলা আছে। অযুর সময় ব্যান্ডেজটি খুলে ক্ষত স্থানের আশপাশ ধৌত করাও বেশ কষ্টকর। অযুর সময় আমার করণীয় কী?
এধরনের ক্ষেত্রে অযু-গোসলের নিয়ম হল, ব্যান্ডেজকৃত অংশের উপর মাসেহ করা। অর্থাৎ ভেজা হাত দিয়ে পুরো ব্যান্ডেজের উপর মুছে দেওয়া। ভালো অংশের ব্যান্ডেজের উপরও মাসেহ করবে। তা খোলার প্রয়োজন নেই। আর ঐ হাতের অবশিষ্ট খোলা অংশ ধৌত করবে।
-সুনানে আবু দাউদ ৪৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৫০
দাঁতে স্বর্ণের ক্যাপ ব্যবহার করা ৷
-মাজমাউয যাওয়ায়েদ হাদীস : ৮৭১৩; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩১৬; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৮৬৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
দাঁতে স্বর্নের ক্যাপ ব্যবহার করা৷
দেখিয়েছি। ডাক্তার দাঁতে ক্যাপ ব্যবহার করতে বলেন। আমার জিজ্ঞাসা হল, আমি দাঁতে সোনার ক্যাপ ব্যবহার করতে পারব কি না?
-মাজমাউয যাওয়ায়েদ হাদীস : ৮৭১৩; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৫১;বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩১৬; আলবাহরুর রায়েক ৮/১৮৬৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া৷
01756473393
ব্যান্ডেজকৃত স্থানে অযু গোসলের সময় করনীয়৷
১/৫০৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
ধুমপান করার হুকুম কী এবং জর্দা দিয়ে পান খাওয়া যাবে...
সিগারেট অথবা জর্দা দিয়ে পান খাওয়া লোক যদি নামায পড়ে এবং নামাযের মধ্যে মুখ থেকে গন্ধ আসে তাহলে ঐ নামাযের হুকুম কী হবে? এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
দুর্গন্ধ বস্ত্ত কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে
মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে। অতএব বিড়ি-সিগারেটের তীব্র দুর্গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা যে নিষিদ্ধ হবে তা তো সহজেই অনুমেয়। অবশ্য এ কারণে নামায ত্যাগ করা যাবে না এবং মসজিদে গমনাগমনও বন্ধ করা যাবে না। বরং অতি দ্রুত এ বদ অভ্যাস ত্যাগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। আর নামায আদায়ের পূর্বে এবং মসজিদে প্রবেশের আগে ভালো করে মেসওয়াক বা ব্রাশ করে দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে। আরো প্রকাশ থাকে যে, ধুমপানের দুর্গন্ধ নিয়েও যদি কেউ নামায পড়ে নেয় তাহলে তার নামায আদায় হয়ে যাবে। আর পানের সাথে জর্দা বা তামাক খাওয়াও ডাক্তারি মতে শারীরিক ক্ষতির কারণ। তাই যথাসম্ভব এ থেকেও বিরত থাকা উচিত। আর কারো ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর প্রমাণিত হলে তার জন্য তা খাওয়া নাজায়েয হবে। উল্লেখ্য যে, যারা পান-জর্দা খায় তাদের জন্যও নামায আদায়ের পূর্বে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া কর্তব্য। যেন পানের কণাগুলো বের হয়ে যায় এবং গন্ধও না থাকে। আরো উল্লেখ থাকে যে, মিসওয়াক ইসলামের দায়েমী একটি সুন্নত। এ
সুন্নতটির প্রতি যত্নবান হয়ে দাঁত এবং মুখ
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য। -ফাতাওয়াল লাজনাতিদ দাইমা ১৩/৫৬; আলফাতাওয়াশ শারইয়্যাহ ১০/১৪৫; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬১৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
জন্মগতভাবেই আমার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশে অতিরিক্ত একটি ছোট আঙ্গুল...
আছে। যার কারণে মানুষের সামনে যেতে আমার লজ্জা হয়। আমি চাচ্ছি, অপারেশনের
মাধ্যমে আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে। আমার জন্য কি এ কাজ করা বৈধ হবে?
বৈধ হবে। অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা করা যাবে।
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/২৮৮; বাযলুল মাজহূদ ১৭/৫৪-৫৫; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ৪/১৯৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৬০;
কিছুদিন আগে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় পিছলে পড়ে যাই এবং...
হবে?
স্বাভাবিক নিয়মেই ধুবেন। আর প্লাস্টারকৃত
পায়ের আঙ্গুলগুলো খোলা থাকলেও তা ধোয়া যেহেতু সমস্যা তাই ঐ পা আঙ্গুলসহ পুরোটাই মাসাহ করবেন। অবশ্য এ অবস্থায় জর বা অন্য কোনো কারণে পানি ব্যবহার করতে সমস্যা হলে তায়াম্মুম করতে পারবেন। আর সমস্যা না হলে উপরোক্ত নিয়মে অযুই করতে হবে, তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না। আর এ অবস্থায় গোসল ফরয হলে পস্নাস্টার করা অংশটুকুতে পলিথিন জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে গোসল করবেন। এরপর পলিথিন খুলে যে অংশটুকু ধোয়া যায়নি তা মাসাহ করে নিবেন। আর এভাবে গোসল করা সম্ভব না হলে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম
করবেন।
-মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস : ৬২৩; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩১২, ১/৩৫৭; শরহুল মুনইয়া ১১৬; ১১৮ বাদায়েউস সানায়ে ১/৯০; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী
পৃ. ৬৮