ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৬৫৫২
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

আমি একটি বায়িং হাউজে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার পদে কর্মরত। বিভিন্ন গার্মেন্টস...

প্রশ্ন

আমি একটি বায়িং হাউজে কোয়ালিটি কন্ট্রোলার পদে কর্মরত। বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে তৈরি পোশাক ইনস্পেকশনের কাজে যেতে হয়। মাঝেমধ্যেই গার্মেন্টেস মালিকগণ উপহার বা গিফট হিসেবে আমাকে বিভিন্ন খাম দেয়। তাতে ভালো অংকের টাকা থাকে। এক্ষেত্রে তাদের গোপন উদ্দেশ্য হল, আমি যেন খুব যাচাই বাছাই না করেই ইনস্পেকশন রিপোর্ট ওকে করে দিই। প্রশ্ন হল, শরীয়তের দৃষ্টিতে আমার জন্য এ উপহার নেওয়া কি বৈধ? যদি বৈধ না হয় তাহলে আমার করণীয় কী?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত টাকা উপহার বলে দেওয়া হলেও তা মূলত ঘুষ। এ টাকা গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহ তাআলা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। -সূরা বাকারা ১৮৮

হাদীস শরীফে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষদাতা ও গ্রহিতা উভয়ের প্রতি অভিসম্পাৎ করেছেন। -জামে তিরমিযী, হাদীস : ১৩৩৭

অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যাদের থেকে ঘুষ নেওয়া হয়েছে তাদেরকে ঐ টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। আর যাদের সন্ধান পাওয়া যাবে না তাদের টাকা সদকা করে দিতে হবে। আর নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বদা যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং বিগত দিনের জন্য ইসিত্মগফার করতে হবে।

-সূরা বাকারা ১৮৮; তাফসীরে কুরতুবী ২/২২৭; শরহুল মাজাল্লাহ ৬/১৪; মাআরিফুল কুরআন, মুফতী শফী রাহ. ৫/৩৯৭; আলমওসূআতুল ফিকহিয়্যাহ কুয়েত ২২/২২২

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ খাওয়া-পোশাক