ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৬৫১৭
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

মান্যবর মুফতী সাহেব, আমার একটি পাঞ্জাবী টেইলার্সের দোকান আছে। লোকেরা...

প্রশ্ন

মান্যবর মুফতী সাহেব, আমার একটি পাঞ্জাবী টেইলার্সের দোকান আছে। লোকেরা কাপড় ও মাপ দিয়ে যায়। বানানো হলে মজুরী দিয়ে পোশাক নিয়ে যায়। জানার বিষয় হল, অনেকে অর্ডার দিয়ে পরে আর পোশাক নিতে আসে না। কেউ কেউ এক বছর পরে নিতে এসেছে- এমনও হয়েছে। এভাবে আমার টেইলার্সে কিছু জামা প্রস্তুত হয়ে পড়ে আছে। অন্যদিকে অর্ডার রসিদে স্পষ্ট লেখা আছে ‘ডেলিভারির তারিখের দুইমাস বা ষাট দিনের মধ্যে জামা না নিলে পরে যদি তা হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তবে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।’

যেহেতু প্রত্যেকটি প্রস্তুতকৃত জামার মজুরী কারিগরকে পরিশোধ করা দায়িত্ব তাই এসকল কাপড় বিক্রি করে আমার জন্য মজুরী আদায় করার কোনো সুযোগ আছে কি না? পরে অর্ডারকারী আসলে আমার কী করণীয়? আমার অবস্থা বিবেচনা পূর্বক করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত পরামর্শ চাই।

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা যনুযায়ী ডেলিভারি তারিখের পর দুই মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও যে সব কাপড়ের মালিক আসেনি এবং চেষ্টা করেও মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি সেসব কাপড় আপনি বিক্রি করে দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার নির্ধারিত মজুরী রেখে অবশিষ্ট টাকা মালিকের পাওনা হিসাবে আপনার নিকট জমা রাখবেন এবং এর হিসাব কোনো খাতায় লিখে রাখবেন। পরবর্তীতে মালিক আসলে তাকে এ টাকা দিয়ে দিবেন। আর যদি কোনোভাবেই মালিকের সন্ধান পাওয়া না যায় তবে ঐ টাকা সদকা করে দিবেন।

আর ভবিষ্যতে এ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য অর্ডার দাতার নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার অবশ্যই লিখে রাখবেন। সাথে অর্ডার রশিদে মালিক থেকে এ ব্যাপারে স্বাক্ষরও নিয়ে রাখতে পারেন যে, নির্ধারিত মেয়াদের ভিতর কাপড় না নিলে মেয়াদের পর কর্তৃপক্ষ তা বিক্রি করে দেওয়ার অধিকার রাখবে।

-আলমাবসূত, সারাখসী ১১/৩; রদ্দুল মুহতার ৪/২৭৮; ফাতহুল কাদীর ৫/৩৫১; আল বাহরুর রায়েক ৫/১৫৩

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ খাওয়া-পোশাক