ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৬২৬২
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

আমাদের এলাকার এক কৃষক থেকে ৪০০/- টাকা দরে ১০ মণ...

প্রশ্ন

আমাদের এলাকার এক কৃষক থেকে ৪০০/- টাকা দরে ১০ মণ ইরি ধান ক্রয় করেছি। চুক্তিটি এভাবে হয়েছে যে, আমি তাকে নগদ ৪,০০০/- টাকা দিয়েছি। তিনি ছয় মাস পর পর পাঁচ মণ করে ধান দিবেন। এক বছরে সম্পূর্ণ ধান পরিশোধ করবেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রথম কিস্তিতে তিনি পাঁচ মণ ধান দিয়েছেন। দ্বিতীয় কিস্তি দেওয়ার সময় তিন মণ ধান দিতে চাচ্ছেন এবং বলছেন যে, ক্ষেতের ধান কম হয়েছে। তাই তিন মণ দিবেন। আর দুই মণ ধানের বর্তমান বাজার মূল্য হিসেবে মূল্য দিয়ে দিবেন। এখন আমার জন্য ঐ দুই মণ ধানের মূল্য নেওয়া জায়েয হবে কি?

উত্তর

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার জন্য ঐ দুই মণ ধানের পরিবর্তে তার মূল্য নেওয়া জায়েয হবে না। হাদীস শরীফে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আছে। আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অগ্রিম পণ্য ক্রয় করবে সে যেন ঐ পণ্য ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ না করে।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৪৬২

অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ কৃষক থেকে ধানের পরিবর্তে মূল্য নেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে ঐ কৃষক বাজার থেকে ধান কিনেও দিতে পারবেন। আর যদি আপনি টাকাই নিতে চান তবে দুই মণ ধান বাবদ প্রদত্ত মূল ৮০০/- টাকাই নিতে পারবেন। এর অতিরিক্ত নেওয়া জায়েয হবে না।

-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৩৪৬২; ইলাউস সুনান ৪/৪৩৪; ফাতহুল কাদীর ৬/২৩০; আলবাহরুর রায়েক ৬/১৬৬; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ১/৩৫৭

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ ব্যবসা-চাকুরী