ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৫৪৬৭
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

আলকাউসার শাওয়াল ১৪৩১ হি. সংখ্যায় ‘যবীহুল্লাহ কে-এই প্রশ্ন কেন’’ শিরোনামে...

প্রশ্ন

আলকাউসার শাওয়াল ১৪৩১ হি. সংখ্যায় ‘যবীহুল্লাহ কে-এই প্রশ্ন কেন’’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রবন্ধটি খুব ভালো লেগেছে। আলহামদুলিল্লাহ, এতে ইলমী ইতমিনান হয়েছে। কিন্তু প্রবন্ধটির এক স্থানে ‘তাফহীমুল কুরআন’-এর হাওয়ালা এসেছে। অথচ তা একটি বিতর্কিত কিতাব। এ সম্পর্কে আহলে হক ওলামায়ে কেরাম আপত্তি করে থাকেন। কিছু ভাই তো এমনও বলেছেন যে, দেখ, আলকাউসার তো এই কিতাবকে সমর্থন করছে! আশা করি, বিষয়টির উপর আলোকপাত করবেন। এতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে।

উত্তর

যারা একথা বলেছেন তাঁরা আসলে প্রবন্ধটি ভালোভাবে পড়েননি এবং এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কেও চিন্তা-ভাবনা করেননি। কেননা, যাদের উদ্দেশে প্রবন্ধটি লেখা হয়েছিল তারা সরাসরি ইসলামী ‘মাসাদির’ থেকে বিষয়টি বুঝতে সক্ষম নয়। তাদেরকে বোঝানোর পদ্ধতি হল, এ কথা দেখানো যে, মুসলমানদের সকল মত ও পথের মানুষ একমত যে, যবীহুল্লাহ হযরত ইসমাঈল আ., ইসহাক আ. নয়। এই বিষয়ে কোনো মাযহাব-মাসলাক ও মতবাদের ইখতিলাফ বা দ্বিমত নেই। এ হিসেবেই ‘তাফহীমুল কুরআন’-এর হাওলা দেওয়া হয়েছে। এ প্রবন্ধে আকরম খাঁর কিতাবেরও হাওলা দেওয়া হয়েছে। অথচ তার কিতাবে ফিকরী ও খতরনাক পর্যায়ের প্রচুর ভুল রয়েছে। কিন্তু উভয় কিতাবে যবীহুল্লাহ সংক্রান্ত আলোচনা ভালো লেখা হয়েছে, যা সহীহও বটে। আর কোনো প্রসঙ্গে একটি কিতাবের শুধু হাওলা দেওয়ার অর্থ কিতাবটিকে সমর্থন করা নয়। অতএব উপরোক্ত ধারণা ভুল।

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ কুরআন