ফতোয়া নং: ৪৮৬১
তারিখ:
১২-জুন-২০১৭
বিষয়:
শবে মেরাজের রোজা ও রজব মাসের অন্যান্য বিশেষ আমল ৷
প্রশ্ন
শবে মেরাজে ইবাদতের বিশেষ কোন ফযীলত আছে কিনা? অনেকেই এরাতে শবে বরাতের মত বিভিন্ন আমল করে থাকে ৷ পরদিন রোজা রাখে ৷ যাকে মেরাজের রোজা বলে ৷ আসলে কি এসব জিনিষ হাদীস দ্বারা প্রমানিত ? এমাসে কোন বিশেষ আমল থাকলে জানালে উপকৃত হব ৷
উত্তর
শবে মেরাজে ইবাদতের বিশেষ ফযীলতের ব্যাপারে কোন হাদীস বিদ্যমান নেই। তাই শবে মেরাজের কোন গুরুত্বপূর্ণ আমল ইসলামী শরীয়তে নেই।
রজব মাসের বিভিন্ন তারিখে রোযা রাখা, সালাতুর রাগায়েব নামক বিশেষ প্রকৃতির নামায পড়া সংক্রান্ত সকল হাদীসই জাল ও বানোয়াট।
অতএব শবে মেরাজের নামায রোজা ইত্যাদি বিশেষ আমল বিদআত ৷ কারন রাসূল সাঃ সাহাবাগন ও তাবেয়ী তাবে তাবেয়ীগন শবে মেরাজে বিশেষ কোন আমল করেন নি, তাই শবে মেরাজে বিশেষ আমল নেই। আর রাসূল সাঃ যা করেন নি, সেটাকে দ্বীন মনে করার নামই হল বিদআত। আর বিদআত পথভ্রষ্টতা। আর পথভ্রষ্টতা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করে।
-লাতায়েফুল মাআরিফ-১৩১; আাল মাজমাউ শরহুল মুহাযযাব-৩/৫৪৯; তাখরীজে ইহইয়া ইহইয়াউ
উলূমিদ্দীন-১/২৯৬ আল লাআলিল মাসনূআ-২/৫৫-৫৯ তানযীহুশ শরীয়া-২/৮৯-৯০ ৷
তবে রজব মাস সম্পর্কিত নিম্নের হাদীসটি দুর্বল হলেও জাল তথা বানোয়াট নয়। আর ফযিলতের ক্ষেত্রে যেহেতু দুর্বল হাদীসও আমল করা যায় তাই উক্ত হাদীস অনুযায়ী আমল করা যাবে ৷ হাদিসটি হলো,
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ রজব মাস আসলে পড়তেন- আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদ্বান।
-মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৬৪৯৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৩৪৬ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
রজব মাসের বিভিন্ন তারিখে রোযা রাখা, সালাতুর রাগায়েব নামক বিশেষ প্রকৃতির নামায পড়া সংক্রান্ত সকল হাদীসই জাল ও বানোয়াট।
অতএব শবে মেরাজের নামায রোজা ইত্যাদি বিশেষ আমল বিদআত ৷ কারন রাসূল সাঃ সাহাবাগন ও তাবেয়ী তাবে তাবেয়ীগন শবে মেরাজে বিশেষ কোন আমল করেন নি, তাই শবে মেরাজে বিশেষ আমল নেই। আর রাসূল সাঃ যা করেন নি, সেটাকে দ্বীন মনে করার নামই হল বিদআত। আর বিদআত পথভ্রষ্টতা। আর পথভ্রষ্টতা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত করে।
-লাতায়েফুল মাআরিফ-১৩১; আাল মাজমাউ শরহুল মুহাযযাব-৩/৫৪৯; তাখরীজে ইহইয়া ইহইয়াউ
উলূমিদ্দীন-১/২৯৬ আল লাআলিল মাসনূআ-২/৫৫-৫৯ তানযীহুশ শরীয়া-২/৮৯-৯০ ৷
তবে রজব মাস সম্পর্কিত নিম্নের হাদীসটি দুর্বল হলেও জাল তথা বানোয়াট নয়। আর ফযিলতের ক্ষেত্রে যেহেতু দুর্বল হাদীসও আমল করা যায় তাই উক্ত হাদীস অনুযায়ী আমল করা যাবে ৷ হাদিসটি হলো,
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ রজব মাস আসলে পড়তেন- আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদ্বান।
-মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৬৪৯৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২৩৪৬ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- আমি প্রতি রমযানেই রোযাগুলো নিয়মিত রাখি। কিন্তু অধিকাংশ রোযাতেই মুখে...
- এক ব্যক্তি চোখের অসুস্থতার কারণে ড্রপ ব্যবহার করে এবং ঔষধের...
- কেউ যদি শাওয়াল মাসে রমযানের কাযা রোযা রাখে এবং এর...
- ১. আমি লোকমুখে শুনেছি যে, রোযা অবস্থায় যদি শরীর থেকে...
- রোযা অবস্থায় যদি কাউকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, তাহলে এতে কি...
- রোযা অবস্থায় আমার মুখে মশা বা অন্য কোনো পোকা প্রবেশ...
- কুলি করার পর সাধারণত মুখে যে পানি লেগে থাকে তা...
- আমরা রমযান মাসে খতম তারাবীহ পড়ে থাকি। তখন আমরা সবাই...
- আমার প্রস্র্রাব আটকে যাওয়ার সমস্যা আছে। এজন্য আগে মাঝেমধ্যে ক্যাথেটারও...
- গত রমযানে একদিন দিনের বেলা আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। তখন আমি...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ রোজা-ইতিকাফ